আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في ذهابه صلى الله عليه وسلم إلى أهل الطائف

পৃষ্ঠা - ২০৪৭


ইবন হানরা ইবনুল আসদ৷ হুযা ৷লী, এরা তার প্রতিবেশী ছিল ৷ হাকাম ইবন আবুল আস ব্যতীত

তাদের কেউই শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷ আমার নিকট বর্ণনা পৌছেছে যে, তাদের
কেউ কেউ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নামাযরত অবস্থায় বকরীর নাড়িভুড়ি তার প্রতি নিক্ষেপ করত ৷
কউ রান্নার সময় তার খাদ্যদ্রব্যের পাত্রে ময়লা আর্বজনা ঢেলে দিত ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্
(না) একটি পাথর সংগ্রহ করলেন ৷ সেটির আড়ালে থেকে তিনি নামায আদায় করতেন ৷ তারা
তার প্রতি কিছু নিক্ষেপ করলে সেটিকে লাঠির মাথায় ঝুলিয়ে তার দরজায় এসে র্দাড়াতেন এবং
বলতেনৃ হে বনু আবৃদ মানাফ ! প্রতিবেশীর প্রতি এ তোমাদের কেমন আচরণ ? তারপর তা
রাস্তায় ফেলে দিতেন ৷

আমি বলি ইণ্ডে তাপুর্বে যা আলোচিত হয়েছে বেশীর ভাগ দ্বার৷ প্রতীয়মান হয় যে তার

নামাযরত অবস্থায় তারা তার ঘাড়ের উপর উটের নাড়িভুড়ি (রথে দিত ৷ যেমন ইবন মাসউদ
(রা) বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে আছে যে, ফাতিমা (বা) এগিয়ে এসে ওই নাড়িভুড়ি ফেলে
দিয়েছিলেন এবং ফাতিমা (রা) ওদেরকে গালমন্দ করেছিলেন ৷ রনুেলুল্লাহ্ (সা) ফিরে এসে
ওদের সাতজনের জন্যে বদ দৃ’অ৷ করেছিলেন ৷ ইতোপুর্বে তা আলোচিত হয়েছে ৷ অনুরুপ
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস বর্ণনা করেছেন সেই ঘটনা যে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
গলায় ফাস লাগি গয়ে দিয়েছিল এবং তার গলা শক্তভাবে চেপে ধরেছিল ৷ তখন হযরত আবু বকর
(রা) তাদেরকে বাধা দিয়ে বলেছিলেন ৷ ওে ৷মর৷ কি এমন একজন লোককে খুন করবে যে বলে
আমার প্রতিপালক আল্লাহ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায় করছিলেন ৷ এ সময়ে
অভিশপ্ত আবু জ হল তার ঘাড়ে পা চাপা দেয়ার ইচ্ছা করেছিল ৷ কিভু তার আর রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর মাঝখানে তখন বাধা সৃষ্টি হয়েছিল ৷ এ জাতীয় দুঃখজনক ঘটনাগুলাে ঘটেছিল চাচা
আবু তা ৷লিবের ইনতিকালের পর ৷৩ তাই এগুলো এখানে উল্লেখ করা সমীচীন বটে ৷

দীনের দাওয়াত দেয়ার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তাইফ গমন

ইবন ইসহাক বলেন, আবু তালিবের ইনতিকালের পর কুরায়শর৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব প্রতি
কঠিন অত্যাচার শুরু করে আবু তালিবের জীবদ্দশায় যা তারা করতে পারত না ৷ তখন
বাসুলুল্লাহ্ (সা) তাইফের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন ৷ তার আশা ছিল যে, তাইফের অধিবাসীরা
তাকে সাহায্য করবে এবং তার আপন সম্প্রদায়ের অত্যাচার থেকে তারা তাকে রক্ষা করবে ৷
তিনি এও আশা ৷করেছিলেন যে, তিনি তা ৷ল্লাহ্ব পক্ষ থেকে যা পেয়েছেন তারা তা গ্রহণ করবে ৷
তিনি একা ৷কী তাইফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ বর্ণনাকাবী ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ মুহাম্মদ
ইবন কা ৷আব কুরাযী থেকে বর্ণনা ৷করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাইফে পৌছে ছাকীফ গোত্রের
কয়েক জন লোকের নিকট গেলেন ৷ তারা ছাকীফ গোত্রের নেতৃস্থানীয় ও সন্তুাম্ভ ব্যক্তি ছিল ৷
তারা ছিল তিন ভাই ৷ আবদাইয়ালীল, মাসউদ ও হাবীব ৷৩ তাদের পিতা হল আমব ইবন উমায়র
ইবন আওফ ইবন উকদা ইবন পায়র৷ ইবন আওফ ইবন ছাকীফ ৷ তাদের একজনের শ্রী ছিল
কুরায়শের বনু জুমাহ্ গোত্রের জনৈক মহিলা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তাদের নিকট বললেন ন্
তাদেরকে আল্লাহর পথে আমার আহ্বান জানালেন এবং নিজ সম্প্রদায়ে বিরোধী পক্ষদেব
মুকাবিলায় ইসলাম রক্ষায় তাকে সাহায্য করার আবেদন জানালেন ৷


[فَصْلٌ فِي ذَهَابِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ الطَّائِفِ] ِ يَدْعُوهُمْ إِلَى دِينِ اللَّهِ، وَإِلَى نُصْرَةِ دِينِهِ، فَرَدُّوا عَلَيْهِ ذَلِكَ، وَلَمْ يَقْبَلُوهُ مِنْهُ، فَرَجَعَ إِلَى مَكَّةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا هَلَكَ أَبُو طَالِبٍ نَالَتْ قُرَيْشٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَذَى مَا لَمْ تَكُنْ تَنَالُهُ مِنْهُ فِي حَيَاةِ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ، يَلْتَمِسُ مِنْ ثَقِيفٍ النُّصْرَةَ وَالْمَنَعَةَ بِهِمْ مِنْ قَوْمِهِ، وَرَجَاءَ أَنْ يَقْبَلُوا مِنْهُ مَا جَاءَهُمْ بِهِ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ وَحْدَهُ، فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، قَالَ: لَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ، عَمَدَ إِلَى نَفَرٍ مِنْ ثَقِيفٍ، هُمْ سَادَةُ ثَقِيفٍ وَأَشْرَافُهُمْ، وَهُمْ إِخْوَةٌ ثَلَاثَةٌ: عَبْدُ يَالِيلَ، وَمَسْعُودٌ، وَحَبِيبٌ، بَنُو عَمْرِو بْنِ عُمَيْرِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عُقْدَةَ بْنِ غِيَرَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ، وَعِنْدَ أَحَدِهِمُ امْرَأَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي جُمَحَ، فَجَلَسَ إِلَيْهِمْ، فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ، وَكَلَّمَهُمْ بِمَا جَاءَهُمْ لَهُ مِنْ نُصْرَتِهِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ২০৪৮

২৫৪ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

ওদের একজন বলেছিল, আল্লাহ যদি তোমাকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেন , তবে তিনি
কা’বাগৃহের গিলাফ ছেড়ার ব্যবস্থা করেছেন ৷ দ্বিতীয়জন বলল আল্লাহ রাসুলরুপে প্রেরণ করার
জন্যে তোমাকে ছাড়া আর ক উকে বুঝি পাননি ?৩ তৃতীয়জন বলল, আমি তোমার সাথে কোন
কথ ই বলব না ৷ কারণ তুমি যদি প্রকৃতই আল্লাহর রাসুল হয়ে থাক তবে তোমার কথার
প্রতিবাদ করা হবে চরম বিপজ্জনক ৷ আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও ং;বে তোমার সাথে কথা
বলা আমি উচিত মনে করি না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছাকীফ গোত্র থেকে নিরাশ হয়ে ফিরে
আসার জন্যে উঠে র্দাড়ালেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, আপনারা যে আচরণ করেছেন তা তো
করেছেনই তবে সেটি গোপন রাখবেন ৷ তিনি চেয়েছিলেন তার সব্র্দুাদাহ্ার লোকজন যেন এ
ঘটনাটা জানতে না পারে ৷ অন্যথায় তারা এটি নিয়ে তাকে আভ্রুরা ষ্টা-াট্র বিদ্রাপ করবে ৷

ওরা তার অনুরোধ রক্ষা করেনি ৷ নিজেদের গুণ্ডা-বদমাশ ও দাস-শেৰুনীহ্বদরকে তার বিরুদ্ধে
লেলিয়ে দিয়েছিল ৷ এরা তাকে গালি-গালাজ দিতে ও তাকে নিয়ে হৈভৈচ করতে শুরু করে দেয় ৷
ফলে বহু লোক জমায়েত হয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত তিনি একটি বাগাংন আশ্রয় নেন ৷ বাগানের
মালিক ছিল রাবীআর দ পুত্র উতবা এবং শায়বা ৷৩ তারা উভয়েরু ণ্চখন বাগানের মাধ্য ছিল ৷
ছাকীফ গোত্রের দুর্বৃত্তরা তখন ফিরে আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি আব্দুর বীথির ছায়ায় গিয়ে
বলেন ৷ তাইফের দুর্বৃত্তরাত তার সাথে কী নিষ্ঠুর আচরণ করেছে উতবা ও শায়রা তা প্রত্যক্ষ
করছিল ৷ জুমাহ্ গোত্রের উল্লিখিত মহিলাটি রাসুলুল্লাহ্র সাথে সাক্ষাত করলে তিনি তাকে
বলেছিলেন ৫৩ামার শ্বশুর পক্ষ থেকে আমি কী ব্যবহারই না পেলাম! রাসুলুল্লাহ্( সা ) যখন
কিছুটা শা ম্ভ হলেন, তখন বললেন :



শ্শ্শ্শ্শ্শ্

টুএ ষ্এশ্ছুশ্ এপ্রুএএএএএএএপ্রুএাষ্এা১এএষ্ণ্এ ,া,দ্যোা,
ৰুএ ব্লু,ব্লুৰুাগ্লু ৷ ১এ ৷ ঐর্দুণ্ন্৷ ণ্া; ৰুএশঃ ;>া এএে ৷ ৰুএ ;;রুাঠুটু;৷ প্রুএে ৷াধ্ৰু ন্এ ,,ন্ছুপ্রু ১টুছুা
খুম্র,া,ৰুন্খুপ্রু;;ষ্টুঠু ন্১ঘোষ্এাএএএএএ্ণ্ধ্রু;এএম্রাএএএএশু এএ >এও;া৷

-ণ্ান্ ১া৷ ;,;

“হে আল্লাহ! আমি আমার দৃর্বল৩ তা, উপায়হীনতা এবং লোকচক্ষে অকিঞ্চিৎকরতা সম্পর্কে
তােমারই দরবারে ফরিয়াদ করছি ৷ হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াময় তুমিই অবসাদগ্রস্ত অক্ষয় ও দুর্বলদের
মালিক ৷ আমার মালিকও তুমিই ৷ তুমি ছাড়া আমারহ্র তা আর কেউ শ্নই আমাকে কার হাতে
সমর্পণ করছো ? তুমি কি আমাকে এমন দুরবর্তীৰুদর নিকট সমর্পণ করছো যারা রুক্ষ, কর্কশ
ভাষায় আমাকে জঙুজরিত করবে তাদের হাতে, নাকি এমন কোন শত্রুর নিকট সমর্পণ করছো
যারা আমার সাধনাকে বিপর্যস্ত করার ক্ষমতা রাখে তাদের হাতে ? যদি আমার প্রতি তোমার
ক্রোধ পতিত না হয়, তবে আমি এসব কিছুর কোন পরোয়া করি না ৷ তোমার রহমতই আমার


الْإِسْلَامِ، وَالْقِيَامِ مَعَهُ عَلَى مَنْ خَالَفَهُ مِنْ قَوْمِهِ، فَقَالَ أَحَدُهُمْ: هُوَ يَمْرُطُ ثِيَابَ الْكَعْبَةِ إِنْ كَانَ اللَّهُ أَرْسَلَكَ. وَقَالَ الْآخَرُ: أَمَا وَجَدَ اللَّهُ أَحَدًا أَرْسَلَهُ غَيْرَكَ؟ وَقَالَ الثَّالِثُ: وَاللَّهِ لَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا; لَئِنْ كُنْتَ رَسُولًا مِنَ اللَّهِ كَمَا تَقُولُ، لَأَنْتَ أَعْظَمُ خَطَرًا مِنْ أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ الْكَلَامَ، وَلَئِنْ كُنْتَ تَكْذِبُ عَلَى اللَّهِ، مَا يَنْبَغِي لِي أَنْ أُكَلِّمَكَ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِمْ، وَقَدْ يَئِسَ مِنْ خَيْرِ ثَقِيفٍ، وَقَدْ قَالَ لَهُمْ - فِيمَا ذُكِرَ لِي -: " إِنْ فَعَلْتُمْ مَا فَعَلْتُمْ، فَاكْتُمُوا عَلَيَّ ". وَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَبْلُغَ قَوْمَهُ عَنْهُ فَيُذْئِرَهُمْ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَفْعَلُوا وَأَغْرَوْا بِهِ سُفَهَاءَهُمْ وَعَبِيدَهُمْ، يَسُبُّونَهُ وَيَصِيحُونَ بِهِ، حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ، وَأَلْجَئُوهُ إِلَى حَائِطٍ لِعَتَبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَهُمَا فِيهِ، وَرَجَعَ عَنْهُ مِنْ سُفَهَاءِ ثَقِيفٍ مَنْ كَانَ يَتْبَعُهُ، فَعَمَدَ إِلَى ظِلِّ حَبَلَةٍ مِنْ عِنَبٍ فَجَلَسَ فِيهِ، وَابْنَا رَبِيعَةَ يَنْظُرَانِ إِلَيْهِ، وَيَرَيَانِ مَا يَلْقَى مِنْ سُفَهَاءِ أَهْلِ الطَّائِفِ - وَقَدْ لَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا ذُكِرَ لِي، الْمَرْأَةَ التِي مِنْ بَنِي جُمَحَ، فَقَالَ لَهَا: " مَاذَا لَقِينَا مِنْ أَحْمَائِكِ! ". فَلَمَّا اطْمَأَنَّ، قَالَ - فِيمَا ذُكِرَ لِي -: «اللَّهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُو ضَعْفَ قُوَّتِي، وَقِلَّةَ حِيلَتِي، وَهَوَانِي عَلَى النَّاسِ، يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، أَنْتَ رَبُّ الْمُسْتَضْعَفِينَ، وَأَنْتَ رَبِّي، إِلَى مَنْ تَكِلُنِي؟ إِلَى بِعِيدٍ يَتَجَهَّمُنِي، أَمْ إِلَى عَدُوٍّ مَلَّكْتَهُ أَمْرِي؟ إِنْ لَمْ يَكُنْ بِكَ غَضَبٌ عَلَيَّ فَلَا أُبَالِي، وَلَكِنَّ عَافِيَتَكَ هِيَ أَوْسَعُ لِي، أَعُوذُ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِي أَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ، وَصَلَحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا
পৃষ্ঠা - ২০৪৯
وَالْآخِرَةِ مِنْ أَنْ تُنْزِلَ بِي غَضَبَكَ، أَوْ تُحِلَّ عَلَيَّ سَخَطَكَ، لَكَ الْعُتْبَى حَتَّى تَرْضَى، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ» ". هَكَذَا أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي كِتَابِهِ " السِّيرَةِ " هَذَا الدُّعَاءَ مِنْ غَيْرِ إِسْنَادٍ، بَلْ ذَكَرَهُ مُعَلَّقًا بِصِيغَةِ الْبَلَاغِ، فَقَالَ: فِيمَا ذُكِرَ لِي. وَقَدْ رَوَيَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، فِي تَرْجَمَةِ الْقَاسِمِ بْنِ اللَّيْثِ الرَّسْعَنِيِّ، شَيْخِ النَّسَائِيِّ والطَّبَرَانِيِّ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، بِسَنَدِهِ مِنْ حَدِيثِهِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو طَالِبٍ، خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ مَاشِيًا عَلَى قَدَمَيْهِ. قَالَ: فَدَعَاهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ فَلَمْ يُجِيبُوهُ، فَانْصَرَفَ إِلَى ظِلِّ شَجَرَةٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: " «اللَّهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُو ضَعْفَ قُوَّتِي، وَقِلَّةَ حِيلَتِي، وَهَوَانِي عَلَى النَّاسِ، أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، أَنْتَ أَرْحَمُ بِي، إِلَى مَنْ تَكِلُنِي؟ إِلَى عَدُوٍّ يَتَجَهَّمُنِي، أَمْ إِلَى قَرِيبٍ مَلَّكْتَهُ أَمْرِي؟ إِنْ لَمْ تَكُنْ غَضْبَانَ عَلَيَّ فَلَا أُبَالِي، غَيْرَ أَنَّ عَافِيَتَكَ هِيَ أَوْسَعُ لِي، أَعُوذُ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِي أَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ، وَصَلَحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ مِنْ أَنْ تُنْزِلَ بِي غَضَبَكَ، أَوْ تُحِلَّ عَلَيَّ سَخَطَكَ، لَكَ الْعُتْبَى حَتَّى تَرْضَى، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ» ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فِلْمًا رَآهُ ابْنَا رَبِيعَةَ عُتْبَةُ وَشَيْبَةُ وَمَا لَقِيَ، تَحَرَّكَتْ لَهُ
পৃষ্ঠা - ২০৫০


জন্যে প্রশস্ততম সম্বল ৷ তোমার যে পুণ্য ৫জ্যাতির প্রভাবে সকল অন্ধকার ৰিদুরিত হয় আমি
সেই নুরের আশ্রয় কামনা করছি ৷ আমার ইহকালীন ও পরকালীন কাজকর্ম সুবিনব্রস্ত করে দাও
যাতে তোমার গযব ও অসত্তুষ্টি আমার উপর পতিত না হয় ৷ আমার দোষ-ত্রুটির কথা তোমার
নিকট স্বীকার করছি ৷ তুমি আমার প্ৰতি সত্তুষ্ট হও ! তুমি শক্তি দান না করলে সংকাজ করার
এবং পাপ কাজ থেকে বেচে থাকার কোন ক্ষমতা আমার সেই ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, রাবীআর পুত্র উতবা এবং শায়ব৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ করুণ অবস্থা
(দখল ৷ তখন তার প্ৰতি তাদের রক্তের টান মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ৷ আদ্দাস নামের তাদের এক

খৃন্টান ক্রীতদাসকে ডেকে তারা বলল, এখান থেকে এক থােকা আব্দুর নিয়ে এই পাত্রে করে
ওই লোকটির নিকট যাও এবং তাকে এসব থেতে বল ৷

আদ্দাস তইি করল ৷ আব্দুরের পাত্র নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে রেখে তা থেকে যেতে
বলল ৷ পাত্রে হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিসমিল্লাহ্ বললেন এবং :খতে শুরু করলেন ৷ আদ্দাস
তার চেহারার দিকে তাকিয়ে বলল, এ অঞ্চলের লোকেরা তো এরুপ বাক্য উচ্চারণ করে না ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন ৷ তোমার দেশ কোথায় ? তোমার ধর্ম কী ? সে বলল আমি
খৃক্টান, আমার দেশ নিনােভা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তুমি পুণ্যবান ইউনুস ইবন মাত্তার
দেশের লোক ? আদ্দাস বলল, ইউনুস ইবন মাত্তা সম্পর্কে আপনি কী করে জানলেন ? তিনি
উত্তর দিলেন, “উনি তো আমার ভাই উনি নবী ছিলেন আর আমিও নবী ৷ আদ্দাস মাথা ঝুকিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাথা, হাত ও পা চুম্বন করতে লাগল ৷ এদিকে উতবা ও শায়ব৷ একে
অন্যকে বলছিল, তোমার ক্রীতদাসটিকে তো সে ৰিণড়ে দিয়েছে ৷ অড়াদ্দাস ফিরে এল ৷ তারা
তাকে বলল, হতভাগা, তোর হলোটা কী তুই ওই লোকটির মাথায়, হাতে ও পায়ে চুমু খেলে ?
সে বলল, মুনীর ৷ দৃনিয়াতে ওর চাইতে উত্তম লোক অন্য কেউ নেই ৷ উনি আমাকে এমন একটি
কথা বলেছেন যা নবী ছাড়া অন্য কেউ জানে না ৷ তারা বলল, আদ্দাস খবরদার ৷ সে যেন
তোকে তোর ধর্ম থেকে ফিরিয়ে নিতে না পারে ৷ কারণ, তার ধর্ম অপেক্ষা তোর ধর্মই উত্তম ৷
মুসা ইবন উকবাও প্রায় এ রকম বর্ণনা করেছেন ৷ তবে দু’আর কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি ৷
তিনি এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, “তাইফের অধিবাসীরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যাত্রাপথে
দু’ সারিতে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেয় ৷ পথ অতিক্রমের সময় তার পা রাখা ও পা তোলার সাথে
সাথে প্রচণ্ড পাথর নিক্ষেপে তারা তার পদদ্বয় রক্তরঞ্জিত করে দিয়েছিল ৷ তিনি তাদেরকে
অতিক্রম করে এগিয়ে গেলেন ৷ তখন তার পদদ্বয় থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল ৷ একটি খেজুর
বীথির ছায়ায় তিনি আশ্রয় নিলেন ৷ তখন ব্যথা-বেদনায় তিনি জর্জরিত ৷ ওই বাগানের মালিক
ছিল রাবীআর দুই পুত্র উতবা ও শায়ব৷ ৷ ওরা মহান আল্লাহ্ ও তার রাসুলের শত্রু ছিল বলে
সেখানে তাদের উপস্থিতিকে তিনি পসন্দ করলেন না ৷ এরপর পুর্ববর্তী বংনাির মত আদ্দাসের
ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷



১ ৷
২ সুহায়লী বলেছেন আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ ৷ এটিভুল মুলত ৷ তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহব ফাহমী
কুরাশী ৷


رَحِمُهُمَا، فَدَعَوَا غُلَامًا نَصْرَانِيًّا يُقَالُ لَهُ: عَدَّاسٌ. فَقَالَا لَهُ: خُذْ قِطْفًا مِنْ هَذَا الْعِنَبِ، فَضَعْهُ فِي هَذَا الطَّبَقِ، ثُمَّ اذْهَبْ بِهِ إِلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ، فَقُلْ لَهُ يَأْكُلُ مِنْهُ، فَفَعَلَ عَدَّاسٌ، ثُمَّ ذَهَبَ بِهِ حَتَّى وَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: كُلْ. فَلَمَّا وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِيهِ، قَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ "، ثُمَّ أَكَلَ، فَنَظَرَ عَدَّاسٌ فِي وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا الْكَلَامَ مَا يَقُولُهُ أَهْلُ هَذِهِ الْبِلَادِ! فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَمِنْ أَهْلِ أَيِّ بِلَادٍ أَنْتَ يَا عَدَّاسُ؟ وَمَا دِينُكَ؟ ". قَالَ: نَصْرَانِيٌّ، وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ نِينَوَى. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مِنْ قَرْيَةِ الرَّجُلِ الصَّالِحِ يُونُسَ بْنِ مَتَّى؟ ". فَقَالَ لَهُ عَدَّاسٌ: وَمَا يُدْرِيكَ مَا يُونُسُ بْنُ مَتَّى؟ ! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ذَلِكَ أَخِي، كَانَ نَبِيًّا وَأَنَا نَبِيٌّ ". فَأَكَبَّ عَدَّاسٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ رَأْسَهُ وَيَدَيْهِ وَقَدَمَيْهِ. قَالَ: يَقُولُ ابْنَاءُ رَبِيعَةَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَمَّا غُلَامُكَ فَقَدْ أَفْسَدَهُ عَلَيْكَ. فَلَمَّا جَاءَهُمَا عَدَّاسٌ، قَالَا لَهُ: وَيْلَكَ يَا عَدَّاسُ، مَا لَكَ تُقَبِّلُ رَأْسَ هَذَا الرَّجُلِ وَيَدَيْهِ وَقَدَمَيْهِ؟ قَالَ: يَا سَيِّدِي، مَا فِي الْأَرْضِ شَيْءٌ خَيْرٌ مِنْ هَذَا، لَقَدْ أَخْبَرَنِي بِأَمْرٍ مَا يَعْلَمُهُ إِلَّا نَبِيٌّ. قَالَا لَهُ: وَيْحَكَ يَا عَدَّاسُ، لَا يَصْرِفَنَّكَ عَنْ دِينِكَ; فَإِنَّ دِينَكَ خَيْرٌ مِنْ دِينِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ نَحْوًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الدُّعَاءَ، وَزَادَ: وَقَعَدَ لَهُ أَهْلُ الطَّائِفِ صَفَّيْنِ عَلَى طَرِيقِهِ، فَلَمَّا مَرَّ جَعَلُوا لَا يَرْفَعُ رِجْلَيْهِ، وَلَا يَضَعُهُمَا، إِلَّا رَضَخُوهُمَا بِالْحِجَارَةِ حَتَّى أَدْمَوْهُ، فَخَلَصَ مِنْهُمْ وَهُمَا يَسِيلَانِ الدِّمَاءَ، فَعَمَدَ إِلَى ظِلِّ حَبَلَةٍ، وَهُوَ مَكْرُوبٌ، وَفِي ذَلِكَ الْحَائِطِ عُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا
পৃষ্ঠা - ২০৫১
رَبِيعَةَ فَكَرِهَ مَكَانَهُمَا; لِعَدَاوَتِهِمَا اللَّهَ وَرَسُولَهُ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ عَدَّاسٍ النَّصْرَانِيِّ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَبِي جَبَلٍ الْعَدْوَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ «أَبْصَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَشْرِقِ ثَقِيفٍ، وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى قَوْسٍ - أَوْ عَصًى - حِينَ أَتَاهُمْ يَبْتَغِي عِنْدَهُمُ النَّصْرَ، فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ: {وَالسَّمَاءِ وَالطَّارِقِ} [الطارق: 1] حَتَّى خَتَمَهَا. قَالَ: فَوَعَيْتُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَأَنَا مُشْرِكٌ، ثُمَّ قَرَأْتُهَا فِي الْإِسْلَامِ. قَالَ فَدَعَتْنِي ثَقِيفٌ، فَقَالُوا: مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ؟ فَقَرَأْتُهَا عَلَيْهِمْ، فَقَالَ مَنْ مَعَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ: نَحْنُ أَعْلَمُ بِصَاحِبِنَا، لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ مَا يَقُولُ حَقًّا لَاتَّبَعْنَاهُ.» وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا «قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ؟ قَالَ: " لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكَ مَا لَقِيتُ، وَكَانَ أَشَدُّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ، إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ، فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ، فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي، فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلَّا وَأَنَا بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ، فَرَفَعْتُ رَأْسِي، فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَنَادَانِي، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ