আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل شدة عداوة قريش للنبي صلى الله عليه وسلم بعد وفاة عمه أبي طالب

পৃষ্ঠা - ২০৪৩


(বা) রাত সঙ্গ দিতেন ৷ আইশা (বা) বলেন, আমাকে বিবাহ করার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সর্বপ্রথম সাওদাকে (বা ) বিবাহ করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন আবু নযর আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত
রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) র্তার সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন ৷ তার নাম ছিল
সাওদা ৷ তিনি ছিলেন বহ সন্তানের জননী ৷ তার মৃত স্বামীর তরফে তার পাচ কিৎবা ছয়টি
সন্তান ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন আমাকে বিবাহ করতে সে: ণ্ৰুামার বাধা কোথায় ? তিনি
বললেন, হে আল্লাহর নবী ! আপনি আমার প্রিয়তম মানুষ না হওয়া বিষয়ক কোন বাধা নেই,
বরং আমি আপনাকে শ্রদ্ধাভয়ে দুরে রাখছি এজন্য যে, আমার ছোলমেয়েরা সকাল-সন্ধ্যা
আপনাকে জ্বালাতন করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এছাড়া অন্য কোন বাধা নেই তো ?
সাওদা বললেন, না , আল্লাহর কসম, অন্য কোন বাধা নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, আল্লাহ
তোমাকে দয়া করুন ! সর্বোত্তম মহিলা হচ্ছে ওরা যারা ৷উটের পিঠে চড়ে ৷ কুরায়শের সতী
নারীগণ য বা শিশু সন্তানের প্রতি অধিক যত্ন শীল স্বামীর বন হ্ন ৷স্পাদের হিফাযতকারী ৷

আমি বলি, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পুর্বে সাওদার স্বামী ছিলেন সুহায়ল ইবন আমরের ভাই
সাকর৷ ন ইবন আমর ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণকারী এবৎ আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী ছিলেন ৷ যেমন
পুবেই বর্ণিত হয়েছে ৷ত তারপর তিনি মক্কায় ফিরে আসেন এবৎ মদীনায় হিজরতের পুর্বে তার
মৃত্যু হয় ৷ আল্লাহ তার প্রতি ৩প্রসন্ন হোন ৷

এ সকল বর্ণনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, হযরত সাওদার পুর্বে হযরত আইশা (বা)-এর
বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইব ন আকীল এমত পোষণ করেন ৷ যুহরী এ
মত পোষণ করেন বলে ইউনুস বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু ইবন আবদুল বাবুর এ অভিমত গ্রহণ
করেছেন যে সাওদার (বা) বিবাহ হযরত আইশা (বা) এর বিবাহের পুর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷
তিনি কা৩ ৷দ৷ ও আবু উবায়দ থেকে এ তথ্য উদ্ধৃত করেছেন ৷ যুহরীও এ মত গ্রহণ করেছেন
বলে আকীল বর্ণনা করেছেন ৷

আবু তালিবের মৃত্যুর পর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর কথা ইতোপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাহায্যকারী ও রক্ষাকারী ছিলেন ৷ জন মাল দিয়ে এবং কথা ও কাজের
মাধ্যমে তিনি যথাসাধ্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করতেন ৷ তিনি যখন মারা
পেলেন, তখন কুরায়শী গৌয়ারর৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর জুলুম-নির্যা তলের দুঃসাহস দেখাল
এবৎ আবু তালিবের জীবদ্দশায় যা করার সাহস পেতে৷ না এখন তারা তা শুরু করল ৷ এ
প্রসৎগে বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন জাফর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু
তালিবের ইনতিকালের পর কুরায়শের এক মুর্থ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে এসে তার
প্রতি ধুলি নিক্ষেপ করে ৷ ধুলি-ধুসরিত দেহে তিনি ঘরে ফিরে আসেন ৷ তার এক কন্যা তা দেখে
কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং কেদে কেদে ওই মাটি পরিষ্কার করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে
সান্তুন৷ ৷দিয়ে বলছিলেন, স্নেহের কন্যা, কেদাে না, আল্লাহ্ই তে ৷মার পিতাকে রক্ষা করবেন ৷
তিনি এও বলছিলেন, আবৃ৩ তালিবের মৃঙু ভ্যুর পুর্বে আমি কষ্ট পাই এমন কোন কাজ কুরায়শ


بْنِ عَمْرٍو وَكَانَ مِمَّنْ أَسْلَمَ وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ فَمَاتَ بِهَا قَبْلَ الْهِجْرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. فَهَذِهِ السِّيَاقَاتُ كُلُّهَا دَالَّةٌ عَلَى أَنَّ الْعَقْدَ عَلَى عَائِشَةَ كَانَ مُتَقَدِّمًا عَلَى الْعَقْدِ بِسَوْدَةَ، وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، وَرَوَاهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَاخْتَارَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ أَنَّ الْعَقْدَ عَلَى سَوْدَةَ قَبْلَ عَائِشَةَ، وَحَكَاهُ عَنْ قَتَادَةَ وَأَبِي عُبَيْدَةَ. قَالَ: وَرَوَاهُ عُقَيْلٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ. [فَصْلُ شِدَّةِ عَدَاوَةِ قُرَيْشٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ وَفَاةِ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ] فَصْلٌ قَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ مَوْتِ أَبِي طَالِبٍ، عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ كَانَ نَاصِرًا لَهُ، وَقَائِمًا فِي صَفِّهِ، وَمُدَافِعًا عَنْهُ بِكُلِّ مَا يَقْدِرُ عَلَيْهِ; مِنْ نَفْسٍ، وَمَالٍ، وَفِعَالٍ، فَلَمَّا مَاتَ، اجْتَرَأَ سُفَهَاءُ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَالُوا مِنْهُ مَا لَمْ يَكُونُوا يَصِلُونَ إِلَيْهِ، وَلَا يَقْدِرُونَ عَلَيْهِ. كَمَا قَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيُّ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২০৪৪
جَعْفَرٍ، قَالَ: «لَمَّا مَاتَ أَبُو طَالِبٍ، عَرَضَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَفِيهٌ مِنْ سُفَهَاءِ قُرَيْشٍ، فَأَلْقَى عَلَيْهِ تُرَابًا، فَرَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ، فَأَتَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ تَمْسَحُ عَنْ وَجْهِهِ التُّرَابَ وَتَبْكِي، فَجَعَلَ يَقُولُ: " أَيْ بُنَيَّةُ، لَا تَبْكِينَ فَإِنَّ اللَّهَ مَانِعٌ أَبَاكِ ". وَيَقُولُ مَا بَيْنَ ذَلِكَ: " مَا نَالَتْ قُرَيْشٌ شَيْئًا أَكْرَهُهُ حَتَّى مَاتَ أَبُو طَالِبٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ مُرْسَلًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " «مَا زَالَتْ قُرَيْشٌ كَاعِّينَ عَنِّي حَتَّى مَاتَ أَبُو طَالِبٍ» ". ثُمَّ رَوَاهُ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ الْمُجَدَّرُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " «مَا زَالَتْ قُرَيْشٌ كَاعَّةً حَتَّى تُوُفِّيَ أَبُو طَالِبٍ» ". وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ بِسَنَدِهِ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ وَحَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، أَنَّهُمَا قَالَا: لَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو طَالِبٍ وَخَدِيجَةُ - وَكَانَ بَيْنَهُمَا شَهْرٌ وَخَمْسَةُ أَيَّامٍ - اجْتَمَعَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُصِيبَتَانِ، فَلَزِمَ بَيْتَهُ،
পৃষ্ঠা - ২০৪৫


করতে সাহস পেতো না ৷ এখন তারা তা শুরু করেছে ৷ যিয়াদ বুকাঈ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
থেকে উরওয়া সুত্রে মুরসাল রুপে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

বায়হাকী উরওয়া সুত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, আবু তালিবের মৃত্যুর পুর্ব
পর্যন্ত তার ভয়ে কুরায়শরা ৬ ত ছিল ৷ হাকিম আইশা (বা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
হাফিয আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী আপন সনদে ছা’লাবাহ ইবন সাঈর ও হাকীম ইবন হিযাম
থেকে বংনাি করেছেন, তারা বলেছেন আবু তালিব ও খাদীজা (বা) যখন ইনতিকাল করেন,
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) একই সাথে এই দুইটি বিপদের সম্মুখীন হন ৷ তাদের উভয়ের মৃত্যুর
মধ্যে মাত্র পাচ দিনের ব্যবধান ছিল ৷ তখন তিনি অধিকাৎশ সময় ঘরেই থাকতেন ৷ বের হতেন
কম ৷ ইভোপুর্বে কুরায়শরা তার সাথে যে আচরণ করতে সাহস :পতাে না এখন তারা যে
আচরণ করতে লাগল ৷ এ সংবাদ আবু লাহাবের নিকট পৌছে ৷ সে বস্লুল্লাহ (সা ) এর নিকট
এসে বলে, হে মুহাম্মদ ৷ তুমি তোমার লক্ষে এগিয়ে যাও এবং আবু তালিবের জীবদ্দশায় তুমি যা
যা করতে এখনও তুমি তা করে যাও ৷ লড়াত দেবীর কসম, আমার মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষতি সাধনের
উদ্দেশ্যে কেউ তোমার নিকট পৌছতে পারবে না ৷ ইবন পায়তালাহ্ ংহুন্ৰুমে এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে পালি দিয়েছিল ৷ আবু লাহাব এগিয়ে গিয়ে তাকে শাস্তি দেয় ৷ ইবন পায়তালাহ্ তখন
চীৎকড়ার করে কুরায়শদেরকে ডেকে বলে, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আবু উতবা অর্থাৎ আবু লাহাব
পিতৃধর্ম ত্যাগ করেছে, সে ধর্মান্তরিত হয়েছে ৷ কুরায়শরা তৃরিতগতিতে আবু লাহাবের বাড়িতে
উপস্থিত হয় ৷ সে বলে, আমি আমার পিতা আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম ত্যাগ করিনি ৷ তবে আমি
আমার ভাতিজাকে সকল অত্যাচার থেকে রক্ষা করব যাতে করে সে তার লক্ষে এগিয়ে যেতে
পারে ৷ তার বলল, তাহলে তো আপনি ভাল ও মহৎ কাজ করেছেন এবং আত্মীয়তার মর্যাদা
রক্ষা করেছেন ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিছুদিন নিরাপদ রইলেন ৷ নিজের মত করে বিভিন্ন স্থানে
যাতায়াত করতে লাগলেন ৷ আবু লাহাবের ভয়ে কেউ তাকে কিছু বলতো না ৷ এভাবে চলছিল ৷
একদিন উকবা ইবন আবু মুআইত এবং আবু জাহ্ল আবু লাহাবের নিকট এসে উপস্থিত হল ৷
তারা বলল, আপনি আপনার ভাতিজাকে জিজ্ঞেস করুন, যে বলুক আপনার পিতার শেষ
ঠিকানা কোথায় ? আবু লাহাব বলল, হে মুহাম্মদ৷ আবদুল মুত্তালিবের শেষ ঠিকানা কোথায় ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তার ঠিকানা তার সম্প্রদায়ের সাথে ৷ আবু লাহাব ওদেরকে গিয়ে
বলল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি ৷ সে বলেছে যে , আমার পিতার শেষ ঠিকানা তার
সম্প্রদায়ের সাথে ৷ তারা দু’জনে বলল, সে তো বলে যে, আবদুল ঘুত্তালিবের শেষ ঠিকানা
জাহান্নামে ৷ এবার আবু লাহাব বলল হে ম্হাম্মদ৷ আবদুল মুত্তালিব কি জাহান্নামে যাবেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আবদুল মুত্তালিব যে ধর্মাবিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ওই
ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কারো মৃত্যু হলে সে তো জাহান্নামেই যাবে ৷ তখন অভিশও আবু লাহাব বলল,
আল্লাহর কসম, আমি চিরদিনের জন্যে তোমার শত্রু হয়ে থাকর ৷ কারণ , তুমি বিশ্বাস কর যে
আবদুল ঘুত্তালিব জাহান্নড়ামে যাবেন ৷ তখন থেকে আবু লাহাব ও সমগ্র কুরায়শ সম্প্রদায় বহুগুণ
কঠোর হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর প্ৰতি শত্রুতায় লিপ্ত হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ীতে অবস্থানকালে যারা তীর প্ৰতি জ্বলুম করত
তারা হল আবু লাহাব, হাকাম ইবন আবুল আস ইবন উমাইয়া, উকবা উবৃন আবু মৃআয়ত আদী


وَأَقَلَّ الْخُرُوجَ، وَنَالَتْ مِنْهُ قُرَيْشٌ مَا لَمْ تَكُنْ تَنَالُ وَلَا تَطْمَعُ فِيهِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا لَهَبٍ، فَجَاءَهُ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، امْضِ لِمَا أَرَدْتَ، وَمَا كُنْتَ صَانِعًا إِذْ كَانَ أَبُو طَالِبٍ حَيًّا فَاصْنَعْهُ، لَا وَاللَّاتِ، لَا يُوصَلُ إِلَيْكَ حَتَّى أَمُوتَ. وَسَبَّ ابْنُ الْغَيْطَلَةِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ أَبُو لَهَبٍ فَنَالَ مِنْهُ، فَوَلَّى يَصِيحُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، صَبَأَ أَبُو عُتْبَةَ. فَأَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ حَتَّى وَقَفُوا عَلَى أَبِي لَهَبٍ، فَقَالَ: مَا فَارَقْتُ دِينَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَلَكِنِّي أَمْنَعُ ابْنَ أَخِي أَنْ يُضَامَ حَتَّى يَمْضِيَ لِمَا يُرِيدُ. فَقَالُوا: قَدْ أَحْسَنْتَ، وَأَجْمَلْتَ، وَوَصَلْتَ الرَّحِمَ. فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذَلِكَ أَيَّامًا يَأْتِي وَيَذْهَبُ، لَا يَعْرِضُ لَهُ أَحَدٌ مِنْ قُرَيْشٍ، وَهَابُوا أَبَا لَهَبٍ إِلَى أَنْ جَاءَ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ وَأَبُو جَهْلٍ إِلَى أَبِي لَهَبٍ، فَقَالَا لَهُ: أَخْبَرَكَ ابْنُ أَخِيكَ أَيْنَ مَدْخَلُ أَبِيكَ؟ فَقَالَ لَهُ أَبُو لَهَبٍ: يَا مُحَمَّدُ، أَيْنَ مَدْخَلُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ قَالَ: " مَعَ قَوْمِهِ ". فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا، فَقَالَ: قَدْ سَأَلْتُهُ، فَقَالَ: مَعَ قَوْمِهِ. فَقَالَا: يَزْعُمُ أَنَّهُ فِي النَّارِ. فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَيَدْخُلُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ النَّارَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَمَنْ مَاتَ عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ دَخَلَ النَّارَ ". فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ: - لَعَنَهُ اللَّهُ - وَاللَّهِ لَا بَرِحْتُ لَكَ إِلَّا عَدُوًّا أَبَدًا، وَأَنْتَ تَزْعُمُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ فِي النَّارِ. وَاشْتَدَّ عِنْدَ ذَلِكَ أَبُو لَهَبٍ وَسَائِرُ قُرَيْشٍ عَلَيْهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ النَّفَرَ الَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ; أَبُو لَهَبٍ، وَالْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ، وَعُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ، وَعَدِيُّ بْنُ الْحَمْرَاءِ، وَابْنُ الْأَصْدَاءِ الْهُذَلِيُّ، وَكَانُوا جِيرَانَهُ، لَمْ يُسْلِمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ، وَكَانَ أَحَدُهُمْ - فِيمَا ذُكِرَ لِي - يَطْرَحُ عَلَيْهِ رَحِمَ الشَّاةِ وَهُوَ يُصَلِّي، وَكَانَ أَحَدُهُمْ يَطْرَحُهَا فِي بُرْمَتِهِ إِذَا نُصِبَتْ لَهُ، حَتَّى اتَّخَذَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২০৪৬
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِجْرًا يَسْتَتِرُ بِهِ مِنْهُمْ إِذَا صَلَّى، فَكَانَ إِذَا طَرَحُوا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، يَحْمِلُهُ عَلَى عَوْدٍ ثُمَّ يَقِفُ بِهِ عَلَى بَابِهِ، ثُمَّ يَقُولُ: " يَا بَنِي عَبْدِ مُنَافٍ، أَيُّ جِوَارٍ هَذَا؟ ". ثُمَّ يُلْقِيهِ فِي الطَّرِيقِ. قُلْتُ: وَعِنْدِي أَنَّ غَالِبَ مَا رُوِيَ مِمَّا تَقَدَّمَ - مِنْ طَرْحِهِمْ سَلَى الْجَزُورِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي كَمَا رَوَاهُ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَفِيهِ أَنَّ فَاطِمَةَ جَاءَتْ فَطَرَحَتْهُ عَنْهُ، وَأَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ فَشَتَمَتْهُمْ، ثُمَّ لَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا عَلَى سَبْعَةٍ مِنْهُمْ كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَذَلِكَ مَا أَخْبَرَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مِنْ خَنْقِهِمْ لَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، خَنْقًا شَدِيدًا حَتَّى حَالَ دُونَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، قَائِلًا: أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ: رَبِّيَ اللَّهُ. وَكَذَلِكَ عَزْمُ أَبِي جَهْلٍ، لَعَنَهُ اللَّهُ، عَلَى أَنْ يَطَأَ عَلَى عُنُقِهِ وَهُوَ يُصَلِّي، فَحِيلَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ - كَانَ بَعْدَ وَفَاةِ أَبِي طَالِبٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، فَذِكْرُهَا هَاهُنَا أَنْسَبُ وَأَشْبَهُ.