كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل تعليم جبريل النبي - صلى الله عليه وسلم - كيفية الصلاة وأوقاتها
পৃষ্ঠা - ২০০১
“জিবরাঈল দু’বার আমার ইমামতি করেছেন বায়তুল্লাহ্ শরীফের নিকট ৷ ”
দু’বার তিনি নামায়ের শুরু ওয়াক্ত ও শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে অবগত করিয়েছেন ৷ সুতরাং
শুরু ও শেষ এবং এ দৃয়ের মধ্যবর্তী সময়র্টুকু নামায়ের সময় বলে গণ্য হয় ৷ কিত্তু মাগরিরের
সময় বর্ণনায় তিনি এরুপ ব্যাপ্ত ও বিন্তুত সময়ের শিক্ষা দেননি সহীহ্ যুসলিমে উল্লিখিত
হযরত আবু মুসা, বুবায়দ৷ ও আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) এর হাদীছ থেকে তা জানা যায় ৷
আমি আমার রচিত “আল আহকাম” কিত ৷বে এ সকল বিষয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা
করেছি ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে ৷ সহীহ্ বুখারীতে উল্লিখিত আছে যে, ম৷ মার
আইশা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, প্রথম নামায ফরয হয়েছিল দু’ রাকআত করে ৷
পরবর্তীতে সফরকালীন নামায আ ই থেকে যায় আর মুকীম ও স্থানীয় অধিবাসীর নামায়ে
রাকঅড়াতের স০ খ্য৷ বৃদ্ধি করা হয় ৷ যুহরী সুত্রে ইমাম আওযাঈ এবং মাসরুক সুত্রে ইমাম শা বী
হযরত আইশা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এরুপ বর্ণনাহ্ব সমস্যা সৃষ্টি হয় বটে ৷
কারণ, হযরত আ ৷ইশা (রা) সফর অবস্থায় পুর্ণ নামায আদায় করতেন যা তার বর্ণিত হাদীছের
বিপরীত ৷ হযরত উছমান (রা)-ও ত ৷ই করতেন ৷ আল্লাহ্ ত৷ আল৷ র বাণীং :
ণ্;ষ্কের্চু১
ষ্
যখন তোমরা দেশ বিদেশ সফর করবে, তখন যদিও তামাদের আশংকা হয় যে, কাফিরপণ
তোমাদের জন্যে ফিতনা সৃষ্টি করবে, তবে নামায স০ ক্ষিপ্ত করলে৫ তামাদের কোন দোষ নেই
(৪ : ১০১) ৷ আয়াতের ব্যাখ্যার তাফসীর গ্রন্থে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
বায়হাকী বলেন, হাসান বসরী এই অভিমত পোষণ করেন যে, মুকীমেব নামায শুরু
থেকেই চার রাকআত করে ফরয করা হয়েছে ৷ এ প্রসংগে তিনি একটি ঘুরসাল হাদীছ বর্ণনা
করেছেন যে, শব ই মিরাজের পরবর্তী দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহর ও আসরেব নামায আদায়
করেছেন চার রাকআত করে ৷ মাগরিব তিন রাকআত, তন্মধ্যে প্রথম দু ’রাকআতে উইচ্চ৪স্বরে
কিরাআত পাঠ করেছেন ৷ ইশ ৷৷র নামায আদায় করেছেন চার রাকআত ৷
তন্মধ্যে প্রথম দু’রাকাআত কিরাআতে পাঠ করেছেন উভৈচ্চ৪স্বরে ৷ ফজর আদায় করেছেন
দৃ’ব বাকআত উভয় রাকআঃত উভৈচ্চংস্বরে কিরাআত পাঠ করেছেন ৷
আমি বলি, হযরত আইশা (রা)ত তার উপরোল্লিখিত তবক্তব্য দ্বারা সম্ভবত একথা বুঝিয়েছেন
যে, শব-ই-মি রাজের পুর্ব পর্যন্ত নামায ছিল দু রাকআত দুরাকআত ৷ তারপর যখন পাচ
ওয়াক্ত নামায ফরয হল, তখন মুকীমদেব জন্যে এখন যে বিধান কার্যকর অর্থাৎ পুর্ণ নামায
আদায় করা সে হিসাবেই ফরয হল ৷ আর সফর অবস্থায় দু’রাকআত করে আদায়ের অনুমতি
দেয়৷ হল ৷ যেমনটি পাচ ওয়াক্ত ফরয হওয়ার পুর্বে ছিল ৷ এ ব্যাখ্যানুসারে হযরত আইশা
(না)-এর বর্ণনা নিয়ে কোন সমস্যা থাকে না ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
[فَصْلُ تَعْلِيمِ جِبْرِيلَ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَيْفِيَّةَ الصَّلَاةِ وَأَوْقَاتَهَا]
فَصْلٌ
وَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ صَبِيحَةِ لَيْلَةِ الْإِسْرَاءِ، جَاءَهُ جِبْرِيلُ عِنْدَ الزَّوَالِ، فَبَيَّنَ لَهُ كَيْفِيَّةَ الصَّلَاةِ وَأَوْقَاتَهَا، وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَصْحَابَهُ فَاجْتَمَعُوا، وَصَلَّى بِهِ جِبْرِيلُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَى الْغَدِ، وَالْمُسْلِمُونَ يَأْتَمُّونَ بِالنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ يَقْتَدِي بِجِبْرِيلَ، كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ، «أَمَّنِي جِبْرِيلُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ» ، فَبَيَّنَ لَهُ الْوَقْتَيْنِ، فَهُمَا الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ، وَمَا بَيْنَهُمَا الْوَقْتُ الْمُوَسَّعُ، وَلَمْ يَذْكُرْ تَوْسِعَةً فِي وَقْتِ الْمَغْرِبِ. وَقَدْ ثَبَتَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِ أَبِي مُوسَى وَبُرَيْدَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَكُلُّهَا فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " وَمَوْضِعُ بَسْطِ ذَلِكَ فِي كِتَابِنَا الْأَحْكَامِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
فَأَمَّا مَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «فُرِضَتِ الصَّلَاةُ أَوَّلَ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ.» وَكَذَا رَوَاهُ الْأَوْزَاعِيُّ
পৃষ্ঠা - ২০০২
، عَنِ الزُّهْرِيِّ وَرَوَاهُ الشَّعْبِيُّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْهَا. وَهَذَا مُشْكِلٌ مِنْ جِهَةِ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تُتِمُّ الصَّلَاةَ فِي السَّفَرِ، وَكَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا} [النساء: 101] . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ ذَهَبَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ إِلَى أَنَّ صَلَاةَ الْحَضَرِ أَوَّلَ مَا فُرِضَتْ أَرْبَعًا، كَمَا ذَكَرَهُ مُرْسَلًا مِنْ صِلَاتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ صَبِيحَةَ الْإِسْرَاءِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ أَرْبَعًا، وَالْمَغْرِبَ ثَلَاثًا، يَجْهَرُ فِي الْأُولَيَيْنِ، وَالْعِشَاءَ أَرْبَعًا يَجْهَرُ فِي الْأُولَيَيْنِ، وَالصُّبْحَ رَكْعَتَيْنِ يَجْهَرُ فِيهِمَا.
قُلْتُ: فَلَعَلَّ عَائِشَةَ أَرَادَتْ أَنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ قَبْلَ الْإِسْرَاءِ تَكُونُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ لَمَّا فُرِضَتِ الْخَمْسُ فُرِضَتْ حَضَرًا عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ، وَرُخِّصَ فِي السَّفَرِ أَنَّ يُصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، كَمَا كَانَ الْأَمْرُ عَلَيْهِ قَدِيمًا وَعَلَى هَذَا لَا يَبْقَى إِشْكَالٌ بِالْكُلِّيَّةِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.