আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

قصة فارس والروم

পৃষ্ঠা - ১৯৭৭


বর্ণনাকড়ারী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদের বিপদমুক্তির জন্যে আল্লাহ্ তাআলার
দরবারে দুআ করলেন ৷ আল্লাহ্ তা আলা তাদের বিপদ দুর করে দিলেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র)
বলেন, আবু সুফিয়ান সম্পর্কিত এক বর্ণনায় কিছু বাক্য রয়েছে যা দ্বারা বুঝা যায় যে এ ঘটনা
ঘটেছিল হিজরতের পর ৷ অবশ্য এমনও হয়ে থাকতে পারে যে এরুপ ঘটনা দৃ’বার ঘটেছিল ৷
একবার ঘটেছিল হিজরতের পর এবং একবার ঘটেছিল হিজরতে র পুর্বে ৷ আল্লাহই ভাল
জানেন ৷

এরপর বায়হাকী (র) পারসিকও রোমানদের ঘটনা এবং নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার
প্রেক্ষম্পোট আলোচনা করেছেন তাৰুল্লাহ্ তা আলা বলেছেন $

হ্রট্রুৰু১ন্প্রুব্লুণ্ ৷

ণ্ন্১১ভু)পু

আলিফ-লাম-মীম ৷ রােমকগণ পরাজিত হয়েছে নিকটবর্তী অঞ্চলে ৷ কিন্তু ওদের এই
পরাজয়ের পর ওরা শীঘ্রই বিজয়ী হবে ৷ কয়েক বছরের মধেইে পুর্ব ও পরের সিদ্ধান্ত
আল্লাহ্রই ৷ আর সেদিন মু’মিনগণ আল্লাহর সাহায্য লাভে হর্যোৎফুল্ল হবে (৩০ : ১ ৫ ) ৷
বায়হাকী (র) এরপর সৃফিয়ান ছ৷ ৷ওরী ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে তিনি
বলেছেন পারসিকদের বিরুদ্ধে রোমকগণ বিজয়ী হোক মৃসলমানত তাই কামনা করতেন ৷ কারণ
রোমকগণ ছিল আহলে কিতাব, খৃন্টান ৷ পক্ষা স্তরে , আরবের মৃশরিক লোকেরা কামনা করত যে
পারসিকগণ যেন বিজয়ী হয় ৷ কারণ, ওরা ছিল মুর্তি পুজারী ৷ এই মনােভাবের কথা
মুসলমানগণ হযরত আবু বকর (রা)-কে জানান ৷ তিনি এটি জানান রাসুলুল্লাহ্ ৷সা)-৫ক ৷
উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন “বস্তুত রোমকগণ অবিলম্বে বিজয়ী হবে ৷ হযরত আবু বকর
(বা) এ সং বাদ মুশরিকদেরকে জানালেন ৷ তারা বলল, তাহলে আসুন আমরা একটি মেয়াদ
নির্ধারিত করি ৷ এই মেয়াদের মধ্যে যদি রোমকগণ বিজয়ী হয়, তবে এই অমুক বস্তু আমরা
আপনাকে দিব ৷ আর যদি পারসিকপণ বিজয়ী হয়, তবে আপনি অমুক অমুক বস্তু আমাদেরকে
দেবেন ৷ এ সকল কথা হযরত আবু বকর (বা) এসে রাসুলুল্লাহ্ ৷স৷ ) কে জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন আপনি দশ বছরের কম সমযটাকে মেয়াদ নির্ধারিত করলেন না কেন ?
পরবত্তীতিত ৩সত সতই রোমকগণ বিজয়ী হয়েছিল ৷

এই হাদীছের সনদগুলাে আমরা তাফন্সীর গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছি ৷ আমরা উল্লেখ করেছি
যে, আবু বকর (না)-এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ঘোষণাকারী ছিল উমাইয়া ইবন খালফ ৷ আর
চ্যালেরে মুল্য ছিল ৫টি বিশাল বপু উট ৷ > চ্যালেঞ্জের একটি মেয়াদ নির্ধারিত ছিল ৷ পরে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরামর্শে হযরত আবু বকর (বা) ওই মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেন এবং
চ্যালেঞ্জেব মুল্যমানও বাড়িয়ে দেন ৷ পারসিকদের বিরুদ্ধে রোমকদের বিজয় সংঘটিত হয়েছিল
বদর যুদ্ধের দিবসে ৷ অথবা হুদায়রিয়াব সন্ধির দিবসে ওই বিজয় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷



১ ট্রুণ্১প্রু১াংাশু৷ ৷ বড় বড় উট ৷


عَبَّاسٍ: قَالَ «جَاءَ أَبُو سُفْيَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَسْتَغِيثُ مِنَ الْجُوعِ ; لِأَنَّهُمْ لَمْ يَجِدُوا شَيْئًا حَتَّى أَكَلُوا الْعِهْنَ بِالدَّمِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ فَمَا اسْتَكَانُوا لِرَبِّهِمْ وَمَا يَتَضَرَّعُونَ} [المؤمنون: 76] قَالَ: فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُمْ.» ثُمَّ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِيَ فِي قِصَّةِ أَبِي سُفْيَانَ مَا دَلَّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ، وَلَعَلَّهُ كَانَ مَرَّتَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [قِصَّةُ فَارِسَ وَالرُّومِ] فَصْلٌ ثُمَّ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ قِصَّةَ فَارِسَ وَالرُّومِ وَنُزُولَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {الم غُلِبَتِ الرُّومُ فِي أَدْنَى الْأَرْضِ وَهُمْ مِنْ بَعْدِ غَلَبِهِمْ سَيَغْلِبُونَ فِي بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ الْأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ بِنَصْرِ اللَّهِ يَنْصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الروم: 1] [الرُّومِ: 1 - 5] ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ الْمُسْلِمُونَ يُحِبُّونَ أَنْ يَظْهَرَ الرُّومُ عَلَى فَارِسَ ; لِأَنَّهُمْ أَهْلُ كِتَابٍ، وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يُحِبُّونَ أَنْ تَظْهَرَ
পৃষ্ঠা - ১৯৭৮
فَارِسُ عَلَى الرُّومِ ; لِأَنَّهُمْ أَهْلُ أَوْثَانٍ، فَذَكَرَ ذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ لِأَبِي بَكْرٍ فَذَكَرَهُ أَبُو بَكْرٍ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: " أَمَا إِنَّهُمْ سَيَظْهَرُونَ ". فَذَكَرَ أَبُو بَكْرٍ ذَلِكَ لِلْمُشْرِكِينَ، فَقَالُوا: اجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ أَجَلًا، إِنْ ظَهَرُوا كَانَ لَكَ كَذَا وَكَذَا، وَإِنْ ظَهَرْنَا كَانَ لَنَا كَذَا وَكَذَا. فَذَكَرَ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: " أَلَا جَعَلْتَهُ أُرَاهُ قَالَ دُونَ الْعَشْرِ ". قَالَ: فَظَهَرَتِ الرُّومُ بَعْدَ ذَلِكَ» وَقَدْ أَوْرَدْنَا طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " التَّفْسِيرِ "، وَذَكَرْنَا أَنَّ الْمُبَاحِثَ أَيِ الْمُرَاهِنَ لِأَبِي بَكْرٍ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَأَنَّ الرَّهْنَ كَانَ عَلَى خَمْسِ قَلَائِصَ، وَأَنَّهُ كَانَ إِلَى مُدَّةٍ فَزَادَ فِيهَا الصِّدِّيقُ عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَفِي الرَّهْنِ، وَأَنَّ غَلَبَةَ الرُّومِ عَلَى فَارِسَ كَانَ يَوْمَ بَدْرٍ، أَوْ كَانَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا أُسَيْدٌ الْكِلَابِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ الْعَلَاءَ بْنَ الزُّبَيْرِ الْكِلَابِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: رَأَيْتُ غَلَبَةَ فَارِسَ الرُّومَ، ثُمَّ رَأَيْتُ غَلَبَةَ الرُّومِ فَارِسَ، ثُمَّ رَأَيْتُ غَلَبَةَ الْمُسْلِمِينَ فَارِسَ وَالرُّومَ، وَظُهُورَهُمْ عَلَى الشَّامِ وَالْعِرَاقِ، كُلُّ ذَلِكَ فِي خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً.