كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل ذكر عداوة قريش لرسول الله - صلى الله عليه وسلم -
পৃষ্ঠা - ১৯৫৩
হে কুস ই গোত্র! নিজেদেরকে রক্ষা করার কোন চিন্তা ভাবনা কি তোমাদের আছে ?
ভবিষ্যতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তার সাথে ত ল মিলিয়ে চলার কোন প্রস্তুতি কি তোমাদের
রয়েছে ?
বস্তুত আমার আর তোমাদের অবস্থা এখন যে ব্যক্তির ন্যায়, যে ব্যক্তি বলেছিল হে
আসওয়াদ পাহাড় ৷ নিহত ব্যক্তির হত্যাকারীকে সনাক্ত করার সুযোগ£ত তােমারই আছে যদি তুমি
কথা বলতে পার ৷
(সুহায়লী বলেন, আসওয়াদ একটি পাহাড়ের নাম ৷ সেখানে এক ব্যক্তি খুন হয়েছিল কিভু
তার ঘাতকের খোজ পাওয়া যায়নি ৷ তখন নিহত ব্যক্তির লোকজন বলেছিল যে হে আসওয়াদা
তুমি যদি কথা বলতে পারতে, তবে তুমিই প্রকাশকবে দিতে (ক প্ৰবৃ১ত খুনী ৷)
এরপর ইবন ইসহাক হযরত হাসসান (রা) এর কবিতাটি উল্লেখ করেছেন ৷ ওই পাপে পুর্ণ
অত্যাচারী চুক্তিনামা বিনষ্টকরণে ভুমিকা রাখার জন্যে তিনি ঐ কবিতায় মুতঈম ইবন আদী এবং
হিশাম ইবন আমরের প্রশংসা করেছেন ৷
উমাবী অবশ্য এ প্ৰসৎগে আরো অনেক কবিত ৷র উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা শুধু ইবন
ইসহাকের কবিত ৷ই উল্লেখ করলাম ৷ ওয়াকিদী বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবন সা ৷লিহ্ এবং আবদুর
রহমান ইবন আবদুল আযীযকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে বনু হাশি ৷ম গোত্র গিরিসঙ্কট থেকে বের
হয়ে এসেছিল কোন সময়ে ? জবাবে তারা বলেন, নবুওয়াতের দশম বছরে ৷ অর্থাৎ হিজরতের
তিন বছর পুর্বে ৷ আমি বলি, গিরিসঙ্কট থেকে তাদের বেরিয়ে আসার বছরেই রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর চাচা আবু তালিব এবং সহধর্মিণী হযরত খাদীজা বিনৃত খুওয়ায়লিদ (রা) ইনতিকাল
করেন ৷ এ বিষয়ে আলোচনা অবিলম্বে আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
পবিছেদ
চুক্তিনামা বিনষ্ট হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করার পর ইবন ইসহাক আরও বহু ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ এ ঘটনাগুলােতে বিবৃত হয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর প্রতি কুরায়শদের শত্রুত৷ এবং
হজ্জ, উমর৷ ও অন্যান্য কাজে মক্কায় আগমনকারী সােকদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সংস্পর্শ
থেকে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টার বর্ণনা ৷৷ সেগুলােতে আরো রয়েছে এমন সব মু জিয়ার বর্ণনা ৷যা
তার নিকট আগত হিদায়াত ও দিক নির্দেশনার সত্যতা প্রমাণ করে এবং তার প্রতি ঘুশরিকদের
আরোপিত সত ব্রদ্রোহী সীমালংঘনকারী প্রতারক, উন্মাদ, জাদুকর, গণক, মিখ্যাবাদী ইত্যাকার
অপবাদের অসারতা ও ভিত্তিহীনত৷ প্রমাণ করে ৷ আল্লাহ্ তা আলার ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়েই থাকে ৷
এ প্রসং গে ইবন ইসহাক মুরসালরুপে তৃফ৷ য়ল ইবন আমর দাওসীর ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷
তৃফায়ল দাওসী দাওস গোত্রের একজন সর্বজন মান্য ও সণ্ড্রাম্ভ নেত তা ছিলেন ৷ এক সময় তিনি
মক্কায় আগমন করেন ৷ মক্কার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ তার নিকট একত্রিত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে তারা তাকে সতর্ক করে দেয় ৷ তবে নিকট যেতে এবং তার কথা শুনতে তার৷ তাকে
ধারণ করে ৷
[فَصْلٌ ذِكْرُ عَدَاوَةِ قُرَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -]
َ - وَتَنْفِيرِ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ وَالْقَادِمِينَ إِلَى مَكَّةَ)
وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ بَعْدَ إِبْطَالِ الصَّحِيفَةِ قِصَصًا كَثِيرَةً، تَتَضَمَّنُ نَصْبَ عَدَاوَةِ قُرَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَتَنْفِيرَ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ وَالْقَادِمِينَ إِلَى مَكَّةَ لِحَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ مِنْهُ، وَإِظْهَارَ اللَّهِ الْمُعْجِزَاتِ عَلَى يَدَيْهِ ; دِلَالَةً عَلَى صِدْقِهِ فِيمَا جَاءَهُمْ بِهِ مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى، وَتَكْذِيبًا لَهُمْ فِيمَا يَرْمُونَهُ مِنَ الْبَغْيِ وَالْعُدْوَانِ وَالْمَكْرِ وَالْخِدَاعِ، وَيَرْمُونَهُ مِنَ الْجُنُونِ وَالسِّحْرِ وَالْكِهَانَةِ وَالتَّقَوُّلِ، وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ ; فَذَكَرَ قِصَّةَ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو الدَّوْسِيِّ مُرْسَلَةً، وَكَانَ سَيِّدًا مُطَاعًا شَرِيفًا فِي " دَوْسٍ ". وَكَانَ قَدْ قَدِمَ مَكَّةَ، فَاجْتَمَعَ بِهِ أَشْرَافُ قُرَيْشٍ وَحَذَّرُوهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَنَهَوْهُ أَنْ يَجْتَمِعَ بِهِ، أَوْ يَسْمَعَ كَلَامَهُ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا زَالُوا بِي، حَتَّى أَجْمَعْتُ أَنْ لَا أَسْمَعَ مِنْهُ شَيْئًا وَلَا أُكَلِّمَهُ، حَتَّى حَشَوْتُ أُذُنِيَّ حِينَ غَدَوْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ كُرْسُفًا ; فَرَقًا مِنْ أَنْ يَبْلُغَنِي شَيْءٌ مِنْ قَوْلِهِ، وَأَنَا لَا أُرِيدُ أَنْ أَسْمَعَهُ. قَالَ: فَغَدَوْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَائِمٌ يُصَلِّي عِنْدَ الْكَعْبَةِ، قَالَ: فَقُمْتُ مِنْهُ قَرِيبًا، فَأَبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يُسْمِعَنِي بَعْضَ قَوْلِهِ، قَالَ: فَسَمِعْتُ كَلَامًا حَسَنًا. قَالَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاثُكْلَ أُمِّي! وَاللَّهِ إِنِّي لَرَجُلٌ لَبِيبٌ شَاعِرٌ، مَا يَخْفَى عَلَيَّ الْحَسَنُ مِنَ الْقَبِيحِ، فَمَا يَمْنَعُنِي أَنَّ أَسْمَعَ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ مَا يَقُولُ، فَإِنْ كَانَ الَّذِي يَأْتِي بِهِ حَسَنًا قَبِلْتُهُ، وَإِنْ كَانَ قَبِيحًا تَرَكْتُهُ. قَالَ: فَمَكَثْتُ حَتَّى انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
পৃষ্ঠা - ১৯৫৪
তৃফায়ল বলেন, তারা অনবরত আমাকে এ ব্যাপারে বুঝিয়েছিল ৷ ফলে আমি সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলাম যে, আমি কোন কথা শুনব না এবং তার সাথে কোন আলাপও করব না ৷ এমনকি
তার কোন কথা আমার কানের মধ্যে প্রবেশ করার আশংকায় কানের মধ্যে তুলা ঢুকিয়ে দিয়ে
মসজিদে প্রবেশ করি ৷ তার কোন বক্তব্য শোনার ইচ্ছা আমার ছিল না ৷ তৃফায়ল বলেন, পরের
দিন আমি মসজিদে প্রবেশ ৷কবি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) কাব৷ গৃহের নিকট দাড়িয়ে র্দাড়িয়ে
নামায আদায় করছিলেন ৷ আমি তার কাছাক কাছি এক স্থানে দা ড়ালাম ৷ আল্লাহ তা জানা তার
কিছু পাঠ আমাকে না শুনিয়ে থাকতে দিলেন না ৷ আমি তার মুখ নিং সৃত কিছু সুন্দর বাণী
শুনলাম ৷ তখন আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহর কসম, আমার মায়ের দৃর্ভোগ, আমি একজন
সুবিবেচক ও বুদ্ধিমান করি মানুষ ৷ কোনটা ভাল, কে নট৷ মন্দ তাতে তা আমার নিকট গোপন
থাকে না ৷ তাহলে ওই ব্যক্তি বা বলছেন, তা শুনতে আমার বাধা কোথায় ? তিনি যা বলেন, তা
যদি ভাল হয় আমি তা গ্রহণ করব ৷ আর মন্দ হলে তা বর্জন করব ৷ এরপর আমি অপেক্ষা
করতে লাগলাম ৷ নামায শেষে রাসুলুল্লাহ (সা) যখন গৃহে প্রবেশ করলেন, তখন আমিও তার
গৃহে প্রবেশ করলাম ৷ আমি বললাম, হে মুহাম্মাদ (সা) ! আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে
এরুপ এরুপ বলেছে ৷ ওরা যা বলেছে, তার সবই তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-কে জানালেন ৷ তারা
অনবরত আমাকে আপনার বিষয়ে ভয় দেখিয়েছে ৷ ফলে আপনার কথা যেন শুনতে না পাই
সেজন্যে আমি তুলা দিয়ে আমার কান বন্ধ করে দিয়েছি ৷ কিন্তু আল্লাহ তা জানা আমাকে
আপনার কথা না শুনে থাকতে দিলেন না ৷ আমি আপনার সুন্দর বাণী শুনেছি ৷ এখন আপনার
লক্ষ্য ও কর্ম আমার নিকট বর্ণনা করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইসলামের দাওয়াত আমার নিকট
পেশ করলেন এবং কুরআন তিলাওয়াত করে আমাকে শুনালেন ৷
আল্লাহর কসম, এর চাইতে সুন্দর ও মধুর বাণী আমি ইতে৷ ৷পুর্বে কখনও শুনিনি ৷ এর
চাইতে অধিক ভারসামাপুর্ণ কোন বিষয়ের কথাও আমার শ্রুতিগােচর হয়নি ৷
তৃফায়ল (রা) বলেন, তখনই আমি ইসলাম গ্রহণ করি এবং স৩ সাক্ষ্য প্রদান করি ৷
এরপর আমি বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে আমি সর্বজন মান্য ব্যক্তি বটে ৷
আমি এখন তাদের নিকট ফিরে যাব এবং তাদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানানো ৷ আপনি
আল্লাহর নিকট দুআ করুন তিনি যেন এমন একটি নিদর্শন আমাকে দান করেন, যা ওদের প্রতি
আমার দাওয়াতের সহায়ক হবে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
ণ্ ৷ :এ ;া;;ৰু৷ ব্লু;,ট্রা
হে আল্লাহ ওর জন্যে একটি নিদর্শনের ব্যবস্থা করে দিন !
তৃফায়ল (রা) বলেন, এরপর আমার সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে আমি যাত্রা কবি ৷ ছানিয়া পাহাড়ে
আরোহণ করার পর আমি যখন গোত্রীয় লোকদের প্রায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, তখন আমার
দুচােখের মাঝখানে প্রদীপের ন্যায় জ্যোতি ফুটে উঠল ৷ আমি বললাম , হে আল্লাহ! এ জ্যোতি
আমার যুখমণ্ডল ব্যতীত অন্য কোন স্থানে সৃষ্টি করে দিন ৷ কারণ, আমি আশংকা করছি যে,
আমার যুখমওলে জোাতি দেখে লোকজন বলবে, ধর্ম ত্যাগের ফলে আমার মুখমণ্ডল বিকৃত করা
হয়েছে ৷ তখন ওই জ্যোতি স্থানান্তরিত হয়ে আমার ছড়ির মাথায় জ্বলে উঠল ৷ আমার গোত্রের
فَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ، دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَقُلْتُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ قَوْمَكَ قَالُوا لِي كَذَا وَكَذَا، لِلَّذِي قَالُوا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا بَرِحُوا بِي يُخَوِّفُونَنِي أَمْرَكَ حَتَّى سَدَدْتُ أُذُنَيَّ بِكُرْسُفٍ ; لِئَلَّا أَسْمَعَ قَوْلَكَ، ثُمَّ أَبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يُسْمِعَنِي قَوْلَكَ، فَسَمِعْتُ قَوْلًا حَسَنًا، فَاعْرِضْ عَلَيَّ أَمْرَكَ. قَالَ: فَعَرَضَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْإِسْلَامَ، وَتَلَا عَلَيَّ الْقُرْآنَ، فَلَا وَاللَّهِ مَا سَمِعْتُ قَوْلًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ، وَلَا أَمْرًا أَعْدَلَ مِنْهُ. قَالَ: فَأَسْلَمْتُ وَشَهِدْتُ شَهَادَةَ الْحَقِّ، وَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنِّي امْرُؤٌ مُطَاعٌ فِي قَوْمِي، وَإِنِّي رَاجِعٌ إِلَيْهِمْ، وَدَاعِيهِمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ لِي آيَةً تَكُونُ لِي عَوْنًا عَلَيْهِمْ فِيمَا أَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ. قَالَ: فَقَالَ: " «اللَّهُمَّ اجْعَلْ لَهُ آيَةً» ". قَالَ: فَخَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي، حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِثَنِيَّةٍ تُطْلِعُنِي عَلَى الْحَاضِرِ، وَقَعَ نُورٌ بَيْنَ عَيْنَيَّ مِثْلُ الْمِصْبَاحِ. قَالَ: فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ فِي غَيْرِ وَجْهِي ; فَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَظُنُّوا بِهَا مُثْلَةً وَقَعَتْ فِي وَجْهِي لِفِرَاقِي دِينَهُمْ. قَالَ: فَتَحَوَّلَ فَوَقَعَ فِي رَأْسِ سَوْطِي. قَالَ: فَجُعِلَ الْحَاضِرُ يَتَرَاءَوْنَ ذَلِكَ النُّورَ فِي رَأْسِ سَوْطِي كَالْقِنْدِيلِ الْمُعَلَّقِ، وَأَنَا أَنْهَبِطُ عَلَيْهِمْ مِنَ الثَّنِيَّةِ، حَتَّى جِئْتُهُمْ فَأَصْبَحْتُ فِيهِمْ، فَلَمَّا نَزَلْتُ أَتَانِي أَبِي، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا، فَقُلْتُ: إِلَيْكَ عَنِّي يَا أَبَتِ، فَلَسْتُ مِنْكَ وَلَسْتَ مِنِّي. قَالَ: وَلِمَ يَا بُنَيَّ؟ قَالَ: قُلْتُ: أَسْلَمْتُ وَتَابَعْتُ دِينَ مُحَمَّدٍ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. قَالَ: أَيْ بُنَيَّ، دِينِي دِينُكَ. فَقُلْتُ: فَاذْهَبْ فَاغْتَسِلْ وَطَهِّرْ ثِيَابَكَ، ثُمَّ ائْتِنِي حَتَّى أُعَلِّمَكَ مِمَّا عَلِمْتُ. قَالَ: فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ وَطَهَّرَ ثِيَابَهُ. قَالَ: ثُمَّ جَاءَ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ، فَأَسْلَمَ.
قَالَ: ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১৯৫৫
লোকজন আমার ছড়ির মাথায় ঝুলন্ত ঝাড়বাতির ন্যায় ওই আলো দেখতে পাচ্ছিল ৷ আমি
ছানিয়া পাহাড় থেকে ধীরে ধীরে তাদের দিকে অবতরণ করছিলাম ৷ অবশেষে আমি তাদের
নিকট গিয়ে পৌছি ৷
বাড়ী পৌছার পর আমার পিতা আমার নিকট আসলেন ৷ তিনি ছিলেন বয়ােবৃদ্ধ সম্মানিত
ব্যক্তি ৷ আমি বললাম, “বাবা! আপনি আমার নিকট থেকে দুরে থাকুন ৷ আমার সাথে আপনার
এবং আপনার সাথে আমার এখন কোন সম্পর্ক নেই ৷” তিনি বললেন, “বৎস ! তা কেন ? ” আমি
বললাম, “তা এ জন্যে যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং মুহাম্মাদ (সা)-এর ধর্ম মেনে
নিয়েছি ৷ তিনি বললেন, হে বৎস ! তোমার ধন্ইি আমার ধর্ম ৷ তাহলে আপনি, গোসল করে এবং
জামা-কাপড় পাক-সাফ করে আমার নিকট আসুন ৷ আমি যা শিখেছি আপনাকে তা শিখাব ৷
আমার পিতা গেলেন, গোসল করলেন এবং জামা-কাপড় পাকসাফ করে আমার নিকট ফিরে
এলেন ৷ আমি তার নিকট ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলাম ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷
এরপর আমার শ্রী এল আমার নিকট ৷ আমি বললাম, তুমি আমার নিকট থেকে দুরে থাক ৷
তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ সে বলল, আমার মাতা-পিতার কসম, তা কেন ?
আমি বললাম ইসলাম আমার আর তোমার মাঝে অস্তরাল সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং আমি
মুহাম্মাদ (না)-এর ধর্ম মেনে নিয়েছি ৷ আমার শ্রী বলল, আপনার ধর্মই আমার ধর্ম ৷ আমি
বললাম, তাহলে তুমি যুশৃশিরা ঝর্ণায় যাও এবং গোসল করে পাক-সাফ হয়ে এসো ৷ যুশশিরা
ছিল দাওস ৫গাংত্রর একটি মুর্তি ৷ সেটির চারিদিকে বাধ বেধে তারা পাহাড় থেকে নেমে আসা
পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল ৷ সে বলল, যুশশিরা মুর্তি আমাদের বাচ্চাদের কোন ক্ষতি
করবে আপনি কি তেমন কোন আশংকা করছেন ? আমি বললাম, না ৷ আমি তার দায়-দায়িতু
গ্রহণ করলাম ৷ আমার শ্রী চলে গেল এবং গোসল করে আমার নিকট ফিরে এল ৷ আমি তাকে
ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলাম ৷ সে ইসলাম গ্রহণ করল ৷
এরপর আমি দাওস সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানালাম ৷ তারা আমার
দাওয়াতে সাড়া দিতে বিলম্ব করল ৷ তারপর আমি মক্কায় এলাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ৷
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! দাওস সম্প্রদায়ের ব্যভিচার প্রবণতার আমাদের দাওয়াত
ফলপ্রসু হচ্ছে না ৷ আপনি ওদের বিরুদ্ধে বদ দুআ করুন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন :
৷ ৰুঠুঠুাং৷ ন্ট্রুাঠ্৷ (হে আল্লাহ দাওস সম্প্রদায়কে হিদায়াত দান করুন!) তিনি আমাকে
বললেন, তুমি নিজ সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে যাও এবং তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও আর
ওদের প্রতি নম্র আচরণ করবে ৷ এরপর থেকে আমি অৰিরাম দাওস অঞ্চলে অবস্থান করে
তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকি ৷ অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজরত করে মদীনায়
এলেন ৷ বদর, উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার অভিযানে বের হলে আমি
আমার স্বগােত্রীয় দাওস সম্প্রদায়ের ইসলাম গ্রহণকারী ৭০ থেকে ৮০টি পরিবারের লোকজন
নিয়ে মদীনায় উপস্থিত হই ৷ সেখান থেকে যাত্রা করে আমরা খায়বার গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সাথে মিলিত হই ৷ অন্যান্য মৃজাহিদের সাথে তিনি আমাদেরকেও খায়বার যুদ্ধে প্রাপ্ত গনীমতের
অংশ দান করেন ৷ এরপর থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথেই ছিলাম ৷
أَتَتْنِي صَاحِبَتِي، فَقُلْتُ: إِلَيْكِ عَنِّي، فَلَسْتُ مِنْكِ وَلَسْتَ مِنِّي. قَالَتْ: وَلِمَ؟ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. قَالَ: قُلْتُ: فَرَّقَ بَيْنِي وَبَيْنَكِ الْإِسْلَامُ، وَتَابَعْتُ دِينَ مُحَمَّدٍ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. قَالَتْ: فَدِينِي دِينُكَ. قَالَ: قُلْتُ: فَاذْهَبِي إِلَى حِنَى ذِي الشَّرَى، فَتَطَهَّرِي مِنْهُ. وَكَانَ ذُو الشَّرَى صَنَمًا لِدَوْسٍ، وَكَانَ الْحِمَى حِمَى حَمَوْهُ لَهُ، بِهِ وَشَلٌ مِنْ مَاءٍ يَهْبِطُ مِنْ جَبَلٍ. قَالَتْ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، أَتَخْشَى عَلَى الصَّبِيَّةِ مِنْ ذِي الشَّرَى شَيْئًا؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا، أَنَا ضَامِنٌ لِذَلِكَ. قَالَ: فَذَهَبَتْ فَاغْتَسَلَتْ، ثُمَّ جَاءَتْ فَعَرَضْتُ عَلَيْهَا الْإِسْلَامَ فَأَسْلَمَتْ، ثُمَّ دَعَوْتُ دَوْسًا إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَبْطَؤُوا عَلَيَّ، ثُمَّ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمَكَّةَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ غَلَبَنِي عَلَى دَوْسٍ الزِّنَا فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ. قَالَ: " «اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا، ارْجِعْ إِلَى قَوْمِكَ فَادْعُهُمْ وَارْفُقْ بِهِمْ» ". قَالَ: فَلَمْ أَزَلْ بِأَرْضِ دَوْسٍ أَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، حَتَّى هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى الْمَدِينَةِ، وَمَضَى بَدْرٌ وَأُحُدٌ وَالْخَنْدَقُ، ثُمَّ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمَنْ أَسْلَمَ مَعِي مِنْ قَوْمِي، وَرَسُولُ اللَّهِ بِخَيْبَرَ، حَتَّى نَزَلْتُ الْمَدِينَةَ بِسَبْعِينَ أَوْ ثَمَانِينَ بَيْتًا مِنْ دَوْسٍ، فَلَحِقْنَا بِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِخَيْبَرَ. فَأَسْهَمَ لَنَا مَعَ الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ لَمْ أَزَلْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى إِذَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مَكَّةَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْعَثْنِي إِلَى ذِي الْكَفَّيْنِ صَنَمِ عَمْرِو بْنِ حُمَمَةَ حَتَّى أَحْرِقَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجَ إِلَيْهِ، فَجَعَلَ الطُّفَيْلُ وَهُوَ يُوقِدُ عَلَيْهِ النَّارَ، يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৯৫৬
মক্কা বিজয়ের পর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাকে আপনি আমর ইবন হামামাহ্
গোত্রের যুল কাফ্ফায়ন মুর্তিটি ভস্বীভুত করে দিয়ে আমার জন্য প্রেরণ করুন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এরপর তুফায়ল বের হলেন ওই মুর্তি পােড়ানাের জন্যে ৷ তিনি
মুর্তিতে আগুন ধরাচ্ছিলেন আর বলছিলেন :
ৰু১ৰুপ্ট্রুদ্বুষ্টু ৰু ৰুহুপুা
-াহ্রএ্াট্রুপ্রুট্র ংষ্ঙু )ঢু৷ ৷
হে যুল-কাফ্ফায়না আমি তোমার উপাসক নই ৷ আমাদের জন্য তোমার জন্মের পুর্বে
হয়েছে ৷ আমি তোমার অভ্যন্তরে আগুন পুরে দিচ্ছি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তারপর তুফায়ল মদীনায় ফিরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অবস্থান
করতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন ৷
আরবের কতক লোক যখন ধর্মত্যাপী হয়ে যায়, তখন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে অন্যান্য
মুসলমানের সাথে তুফায়ল বেরিয়ে পড়েন এবং একের পর এক তুলায়হার ও নজদ অঞ্চলের
বিদ্রোহসমুহ দমন করেন ৷ তারপর মুসলিম সৈনিকদের সাথে ইয়ামামা অভিমুখে যাত্রা করেন ৷
তার পুত্র আমর ইবন তুফায়ল তার সাথে ছিলেন ৷ ইয়ামামা যাওয়ার পথে তিনি এক তাৎপর্যপুর্ণ
স্বপ্ন দেখেন ৷ সাথীদেরকে তিনি বলেন, আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি আপনারা আমাকে তার
ব্যাখ্যা বলে দিন ৷ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমার মাথা মুণ্ডন করে দেয়া হয়েছে এবং আমার
মুখ থেকে একটি পাখি উড়ে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ একজন মহিলা আমার সাথে সাক্ষাত করে
আমাকে তার যৌনাঙ্গের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছে ৷ আমি দেখছিলাম যে, আমার পুত্র আমাকে
হন্তদন্ত হয়ে খুজছে ৷ তারপর তাকে আমার নিকট থেকে দুরে সরিয়ে রাখা হয়েছে ৷ সকলে
বলল, উত্তম স্বপ্ন ৷ তিনি বললেন, অবশ্য আমি নিজে তার ব্যাখ্যা করে নিয়েছি ৷ তারা বললেন,
কী যে ব্যাখ্যা ? তিনি বললেন, আমার মাথা মুণ্ডন হল আমার মাথা মাটিতে নেতিয়ে পড়া ৷ মুখ
থেকে বেরিয়ে যাওয়া পাখি হল আমার প্রাণ ৷ যে মহিলা আমাকে তার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে ফেলেছে
তা হল ভুমি ৷ আমার জন্যে কবর খনন করা হবে এবং আমি তার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাব ৷
আমার পুত্র কর্তৃক আমাকে খোজ করা এবং পরে তার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ব্যাখ্যা হল আমি যে
পথে অগ্রসর হয়েছি এবং যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি সেও সে পথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা
করবে ৷
এরপর তুফায়ল (রা) ইয়ড়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন ৷ তার পুত্র মারাত্মকভাবে আহত হন ৷
অবশ্য পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন ৷ এরপর হযরত উমর (রা)-এর শাসনামলে ইয়ারমুকের
যুদ্ধে তিনি শাহাদতবরণ করেন ৷ আলোচ্য বর্ণনাটি ইবন ইসহাক মুরসালরুপে বর্ণনা করেছেন ৷
অবশ্য এর সমর্থনে সহীহ্ হাদীছ রয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন ওয়াকী আবু
হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন তুফায়ল (বা) ও তার সাথীগণ রাসৃলুল্লাহ্
(না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন দাওস সম্প্রদায় আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়েছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
يَا ذَا الْكَفَّيْنِ لَسْتُ مِنْ عُبَّادِكَا ... مِيلَادُنَا أَقْدَمُ مِنْ مِيلَادِكَا
إِنِّي حَشَوْتُ النَّارَ فِي فُؤَادِكَا
قَالَ: ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَكَانَ مَعَهُ بِالْمَدِينَةِ، حَتَّى قَبَضَ اللَّهُ رَسُولَهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَلَمَّا ارْتَدَّتِ الْعَرَبُ خَرَجَ الطُّفَيْلُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، فَسَارَ مَعَهُمْ حَتَّى فَرَغُوا مِنْ طُلَيْحَةَ وَمِنْ أَرْضِ نَجْدٍ كُلِّهَا، ثُمَّ سَارَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى الْيَمَامَةِ وَمَعَهُ ابْنُهُ عَمْرُو بْنُ الطُّفَيْلِ فَرَأَى رُؤْيَا وَهُوَ مُتَوَجِّهٌ إِلَى الْيَمَامَةِ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رُؤْيَا فَاعْبُرُوهَا لِي ; رَأَيْتُ أَنَّ رَأْسِي حُلِقَ، وَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْ فَمِي طَائِرٌ، وَأَنَّهُ لَقِيَتْنِي امْرَأَةٌ فَأَدْخَلَتْنِي فِي فَرْجِهَا، وَأَرَى ابْنِي يَطْلُبُنِي طَلَبًا حَثِيثًا، ثُمَّ رَأَيْتُهُ حُبِسَ عَنِّي. قَالُوا: خَيْرًا. قَالَ: أَمَّا أَنَا وَاللَّهِ، فَقَدْ أَوَّلْتُهَا. قَالُوا: مَاذَا؟ قَالَ: أَمَّا حَلْقُ رَأْسِي فَوَضْعُهُ، وَأَمَّا الطَّائِرُ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ فَرُوحِي، وَأَمَّا الْمَرْأَةُ الَّتِي أَدْخَلَتْنِي فِي فَرْجِهَا فَالْأَرْضُ تُحْفَرُ لِي فَأُغَيَّبُ فِيهَا، وَأَمَّا طَلَبُ ابْنِي إِيَّايَ ثُمَّ حَبْسُهُ عَنِّي، فَإِنِّي أَرَاهُ سَيَجْهَدُ أَنْ يُصِيبَهُ مَا أَصَابَنِي. فَقُتِلَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى شَهِيدًا بِالْيَمَامَةِ، وَجُرِحَ ابْنُهُ جِرَاحَةً شَدِيدَةً، ثُمَّ اسْتَبَلَّ مِنْهَا، ثُمَّ قُتِلَ عَامَ الْيَرْمُوكِ زَمَنَ عُمَرَ شَهِيدًا رَحِمَهُ اللَّهُ. هَكَذَا ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو مُرْسَلَةً بِلَا إِسْنَادٍ.
وَلِخَبَرِهِ شَاهِدٌ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ ; قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ الطُّفَيْلُ
পৃষ্ঠা - ১৯৫৭
ন্ৰুৰু ;-এা) দ্রব্লু১ @ ৷ ন্ছুৰুদ্বুা৷
হে আল্লাহ ! দাওস সম্প্রদায়কে হিদায়াত করুন এবং তাদেরকে এখানে উপস্থিত করে দিন ৷
হড়াদীছটি ইমাম বুখারী (র ) আবু নুআয়ম সুত্রে সুফিয়ান ছাওরী (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ আবু হরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, তাফায়ল ইবন আমর এবং তার সাথীপণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ দাওস সম্প্রদায় নাফরমানী করেছে এবং ইসলাম গ্রহণে অস্বীকৃতি
জানিয়েছে ৷ আপনি ওদের বিরুদ্ধে বদ দুআ করুন ৷ আবু হুরায়র৷ (রা ) বলেন, এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু’হাত তুললেন ৷ আমি বললাম, এবার দাওস সম্প্রদায়ের ধ্বংস নিশ্চিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনৰু হে আল্লাহ্ৰু দাওস সম্প্রদায়কে হিদায়াত করুন’ এবং ওদেরকে এখানে
নিয়ে আসুন ৷ এটি একটি উত্তম সনদ ৷ অন্যান্য হাদীছবেত্তারা এটি উল্লেখ করেননি ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুলায়মড়ান ইবন হারব জাৰির (র) থেকে বর্ণনা করেন
তুফায়ল ইবন আমর দাওসী (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হলেন ৷ তিনি বললেন
ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্ ! একটি সুরক্ষিত দুর্গটি আপনি দখল করবেন ? এই দুর্গটি জাহিলী যুগে দাওস
গোত্রের অধিকারে ছিল ৷ আল্লাহ তাআলা আনসারদের জন্যে এটি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন ৷
এজন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তখনকার মত এটি দখলে নিতে অস্বীকার করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনায় হিজরত করলেন, তখন তুফায়ল ইবন আমর (রা)-ও
মদীনায় হিজরত করেন ৷ তার গোত্রের একজন লোক তার সাথে ছিল ৷ মদীনায় আবহাওয়া
তাদের প্রতিকুলে ছিল ৷ ফলে সাথী লোকটি রোগাক্রাম্ভ হয়ে পড়ে এবং যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে
উঠে ৷ এক পর্যায়ে সে একটি তীক্ষ্ণধার র্কাচি নেয় এবং হাতের আঙ্গুলের গিটগুলো কেটে
ফেলে ৷ ফলে দু’হাত থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে ৷ রক্ত আর বন্ধ হয়নি যে মারা
যায় ৷ একদিন তুফায়ল ইবন আমর তাকে উত্তম অবস্থায় স্বপ্নে দেখেন ৷ কিন্তু তার হাত দুটো
ছিল কাপড়ে ঢাকা ৷ তুয়ায়ল বললেন তোমার প্রতিপালক তোমার সাথে কী আচরণ করলেন ?
লোকটি বলল, হিজরত করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তাআলা
আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷ তুফায়ল (রা ) বললেন, তোমার দুহাত ঢাকা কেন ? সে বলল
আমাকে বলা হয়েছে যে , তুমি তোমার নিজের যে অঙ্গহানি করেছ তা আর ফিরিয়ে দেয়া হবে
না ৷ তুফায়ল (বা) এ ঘটনা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে জানালেন ৷
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
১ৰুগ্লুঞ ণ্এ্ন্ঙুএ১ ণ্ধ্এ
হে আল্লাহ ! তার হাত দুটিকেও ক্ষমা করে দিন! ’ ’
ইমাম মুসলিম এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বা এবং ইসহাক ইবন
ইররাহীম থেকে ৷ তারা দু’জনে বর্ণনা করেছেন সুলড়ায়মান ইবন হারব থেকে ৷ যদি প্রশ্ন করা হয়
যে এই হাদীছ এবং সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘুসলিমে উল্লিখিত জুনদুব ( রা ) এর হাদীছের মধ্যে
وَأَصْحَابُهُ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: إِنَّ دَوْسًا قَدِ اسْتَعْصَتْ. قَالَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا، وَأْتِ بِهِمْ ".» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «قَدِمَ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ وَأَصْحَابُهُ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ دَوْسًا قَدْ عَصَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهَا. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَدَيْهِ، فَقُلْتُ: هَلَكَتْ دَوْسٌ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا، وَأْتِ بِهِمْ ".» إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ عَمْرٍو الدَّوْسِيَّ أَتَى النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ لَكَ فِي حِصْنٍ حَصِينٍ وَمَنَعَةٍ؟ قَالَ: حِصْنٌ كَانَ لِدَوْسٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَأَبَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِلَّذِي ذَخَرَ اللَّهُ لِلْأَنْصَارِ، فَلَمَّا هَاجَرَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى الْمَدِينَةِ، هَاجَرَ إِلَيْهِ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَهَاجَرَ مَعَهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ، فَاجْتَوَوُا الْمَدِينَةَ، فَمَرِضِ فَجَزِعَ فَأَخَذَ مَشَاقِصَ فَقَطَعَ
পৃষ্ঠা - ১৯৫৮
দৃশ্যমান দ্বন্দু নিরসন করা যাবে কিভাবে ? কারণ জুনদুবের (রা) হাদীছে আছে তিনি বলেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
শ্শ্শ্শ্শ্
এন্থে
এপ্রুাঙ্ ৰুণ্ট্রুণ্,র্তৃষ্ণ্) ণ্এ ৷ ৰু-হু৩
তোমাদের পুববর্তী উম্মতের একজন লোক মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল ৷ যন্ত্রণায়
সে অস্থির হয়ে উঠে ৷ তখন সে একটি ছবি নিয়ে হাত কেটে ৷:ফলে ৷ এরপর তার রক্ত বন্ধ
হয়নি ৷ তাতে সে মারা যায় ৷ র্তা ড়ার সম্পর্কে আ ৷ল্লাহ্ তাআলা বলেন, আমার বান্দা আগেই নিজে
নিজের প্রাণ সং হার করেছে ৷ সুতরাং ড়াআমি তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দিয়েছি ৷
বিভিন্নভাবে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় ৷ প্রথমত পুর্ববর্তী উম্মতে র লোকটি হয়ত
মুশরিক ছিল আর আলোচ্য লোকটি ছিল ঈমানদার ৷ শিবৃকই ছিল ওই লোকটির জাহান্নামে
প্রবেশের হেতু ৷ তবু উম্মতের সতর্কতা ও শিক্ষার জন্যে তার আত্মহত্যাকে জাহান্নামে প্রবেশের
কারণ রুপে আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷ ’
দ্বিভীয়ত পুর্ববর্তী উম্মতভুক্ত লোকটি আত্মহত্যা হারাম ও নিষিদ্ধ জানা সত্বেও সে পথে
জীবনহানি ঘটিয়েছে ৷ আর এ উম্মতের লোকটি নও-ঘুসলিম হওয়ার কারণে জানত না যে,
আত্মহত্যা হারাম ৷
তৃতীয়ত পুর্ববর্তী লোকটি আত্মহত্যার ন্যায় হারাম কাজকে হালাল ও বৈধ জ্ঞানে স্বেচ্ছায়
সজ্ঞানে করেছে আর এ উম্মতে র লোকটি সেটিকে হালাল জ্ঞানে করেনি বরং ভুলক্রমে তা
করেছে ৷
চতুর্থত ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য ছিল হাত কর্তনের মাধ্যমে প্রাণহানি ঘটানো ৷ আর আব্দুল
কর্তনের মাধ্যমে প্রাণহানি ঘটানো এই ব্যক্তির লক্ষ্য ছিল না বরং এতে তার অন্য কোন
উদ্দেশ্য ছিল ৷
আত্মহত্যার মহাপাপকে অতিক্রম করতে পারেনি ৷ ফালে সে জ হান্নামে প্রবেশ করেছে ৷ আর
এই উম্মতে র লোকটির নেক আমল বেশী ছিল ৷ যার ফলে তার লেক আমল তার আব্দুল
কর্তনের পাপকে অতিক্রম করতে পেরেছে ৷ ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করেনি ৷
বরং নবী করীম (সা)এর নিকট হিজরত করে যাওয়ার কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া
হয়েছে ৷ তবে তার হাতের ত্রুটি অবশিষ্ট থেকে যায় এবং অন্য অঙ্গসমুহ সুন্দর হয়ে উঠে ৷ সে
তার ওই ত্রুটি ঢেকে রেখেছিল ৷ স্বপ্নে তার হাত ঢাকা দেখে তুফায়ল (রা) তাকে বললেন
তোমার কী হয়েছে ? সে বলল, আমাকে বলা হয়েছে যে, “তুমি নিজে নিজের যে ক্ষতি সাধন
করেছ তা আর পুরণ করা হবে না ৷ তৃফায়ল (রা) যখন এ ঘটনা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
বর্ণনা করলেন, তখন তিনি এ বলে দুআ করলেন :
بِهَا بِرَاجِمَهُ، فَشَخَبَتْ يَدَاهُ، فَمَا رَقَأَ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ، فَرَآهُ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فِي مَنَامِهِ فِي هَيْئَةٍ حَسَنَةٍ، وَرَآهُ مُغَطِّيًا يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: مَا صَنَعَ بِكَ رَبُّكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي بِهِجْرَتِي إِلَى نَبِيِّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. قَالَ: فَمَا لِي أَرَاكَ مُغَطِّيًا يَدَيْكَ؟ قَالَ: قِيلَ لِي: لَنْ يُصْلَحَ مِنْكَ مَا أَفْسَدْتَ. قَالَ: فَقَصَّهَا الطُّفَيْلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " اللَّهُمَّ وَلِيَدَيْهِ فَاغْفِرْ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ كِلَاهُمَا عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ بِهِ. فَإِنْ قِيلَ: فَمَا الْجَمْعُ بَيْنَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَبَيْنَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ الْحَسَنِ عَنْ جُنْدَبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ بِهِ جُرْحٌ، فَجَزِعَ، فَأَخَذَ سِكِّينًا فَحَزَّ بِهَا يَدَهُ، فَمَا رَقَأَ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ، فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: عَبْدِي بَادَرَنِي بِنَفْسِهِ، فَحَرَّمْتُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ".» فَالْجَوَابُ مِنْ وُجُوهٍ ; أَحَدُهَا: أَنَّهُ قَدْ يَكُونُ ذَاكَ مُشْرِكًا، وَهَذَا مُؤْمِنٌ، وَيَكُونُ قَدْ جُعِلَ هَذَا الصَّنِيعُ سَبَبًا مُسْتَقِلًّا فِي دُخُولِهِ النَّارَ، وَإِنْ كَانَ شِرْكُهُ مُسْتَقِلًّا، إِلَّا أَنَّهُ نَبَّهَ عَلَى هَذَا لِتَعْتَبِرَ أُمَّتُهُ. الثَّانِي: قَدْ يَكُونُ
পৃষ্ঠা - ১৯৫৯
هَذَاكَ عَالِمًا بِالتَّحْرِيمِ، وَهَذَا غَيْرُ عَالِمٍ لِحَدَاثَةِ عَهْدِهِ بِالْإِسْلَامِ. الثَّالِثُ: قَدْ يَكُونُ ذَاكَ فَعَلَهُ مُسْتَحِلًّا لَهُ، وَهَذَا لَمْ يَكُنْ مُسْتَحِلًّا، بَلْ مُخْطِئًا. الرَّابِعُ: قَدْ يَكُونُ أَرَادَ ذَاكَ بِصَنِيعِهِ الْمَذْكُورِ، أَنْ يَقْتُلَ نَفْسَهُ، بِخِلَافِ هَذَا، فَإِنَّهُ يَجُوزُ أَنَّهُ لَمْ يَقْصِدْ قَتْلَ نَفْسِهِ، وَإِنَّمَا أَرَادَ غَيْرَ ذَلِكَ. الْخَامِسُ: قَدْ يَكُونُ هَذَاكَ قَلِيلَ الْحَسَنَاتِ، فَلَمْ تُقَاوِمْ كِبَرَ ذَنْبِهِ الْمَذْكُورِ، فَدَخَلَ النَّارَ، وَهَذَا قَدْ يَكُونُ كَثِيرَ الْحَسَنَاتِ، فَقَاوَمَتِ الذَّنْبَ، فَلَمْ يَلِجِ النَّارَ، بَلْ غُفِرَ لَهُ بِالْهِجْرَةِ إِلَى نَبِيِّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَكِنْ بَقِيَ الشَّيْنُ فِي يَدِهِ فَقَطْ، وَحَسُنَتْ هَيْئَةُ سَائِرِهِ، فَغَطَّى الشَّيْنَ مِنْهُ، فَلَمَّا رَآهُ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو مُغَطِّيًا يَدَيْهِ، قَالَ لَهُ: مَا لَكَ؟ قَالَ: قِيلَ لِي: لَنْ يُصْلَحَ مِنْكَ مَا أَفْسَدْتَ. فَلَمَّا قَصَّهَا الطُّفَيْلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - دَعَا لَهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ، وَلِيَدَيْهِ فَاغْفِرْ ".» أَيْ فَأَصْلِحْ مِنْهَا مَا كَانَ فَاسِدًا. وَالْمُحَقَّقُ أَنَّ اللَّهَ اسْتَجَابَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي صَاحِبِ الطُّفَيْلِ بْنِ عَمْرٍو.