আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

ذكر عزم الصديق على الهجرة إلى الحبشة

পৃষ্ঠা - ১৯৪১
দ্র,াওন্;প্ ১
কেন তুমি তোমার স্বগােত্রীয়দেব বিরুদ্ধে যাবে ? তারা তোমার প্রতি কোন বিরাট অন্যায়

করেনি এবং ৫৩ ৷মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে যুদ্ধলব্ধ মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কিৎবা তোমার
নিকট থেকে জরিমানা আদায় করেও তোমাকে অপমানিত ও ল ৷ঞ্ছিত করেনি ৷

;

আমাদের প্রতি অবাধ্য হওয়া এবং আমাদের ক্ষতি করার অপরাধে আল্লাহ তা “জানা আবদ
শামস গোত্র, নাওফিল , তায়ম ও মাখয়ুম গোত্রকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করুন ৷

; ষ্শ্

কারণ মায়া মমতা, বন্ধুতু ও প্রীতি বন্ধনের পর তারা আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
গিয়েছে ৷ যাতে তারা হারাম ও অন্যায় কাজ করতে পারে ৷

ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্ন্

বায়তুল্লাহ্শ ৷রীফেব কসম, আমরা মুহাম্মাদ (সা) কে ছেড়ে যাব তোমাদের যে ধারণা
মিথ্যে এবং ৫৩ ৷মর৷ আমাদেরকে উপত্যকার নিকট দণ্ডায়মান দেখতে পাবে না তেমন
ধারণাও মিথ্যে ৷

ইবন হিশাম বলেন, এ কবি৩ ৷র আরো একটি পংক্তি রয়েছে আমরা সেটি উল্লেখ করিনি ৷

আবিসিনিয়ার হিজরতের জন্যে হযরত আবু বকর (রা)-এর সিদ্ধান্ত

ইবন ইসহাক বলেন, মুহাম্মদ ইবন মুসলিম উবওয়৷ সুত্রে হযরত আইশা ( রা ) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, মক্কার জীবন যখন হযরত আবু বকর (বা ) এর জন্যে সৎকটময় হয়ে উঠল , তিনি
যখন সেখানে নানা প্রকারের জুলুম-অত্যাচারে জর্জরিত হচ্ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার
সাহাবীগণের বিরুদ্ধে কুরায়শদের শক্তিমত্তা প্রত্যক্ষ করলেন তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট হিজরণ্ডে র অনুমতি চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ র্তাকে অনুমতি দিলেন ৷ হযরত আবু বকর
(রা) আবিসিনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ মক্কা থেকে এক দিন কি দু ”দিনের পথ অতিক্রম
করার পর ইবন দাগিন্নার সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ সে ছিল বনু হারিছ ইবন বকর ইবন আবদ
মানাত ইবন কিনানা এর ভাই ৷ তার নাম ছিল হারিছ ইবন ইয়াযীদ ৷ আবৃদ মানাত ইবন
কিনানা গোত্রের বনু বকর উপগােত্রের অন্তর্ভুক্ত ৷ সৃহায়লী বলেন,৩ তার নাম ছিল মালিক ৷ সে
প্ বলল, আবু বকর ধ্ কোথায় যাচ্ছেন ? হযরত আবু বকর (রা) বললেন, আমার সম্প্রদায় তো
আমাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে ৷ তারা আমাকে নান৷ দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত করে তৃলেছে
এবং আমার জীবন সৎকটাপন্ন করে দিয়েছে ৷ সে বলল, ওরা কেন এমনটি করেছে ? আপনি
তো গোত্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন, বিপদে সাহায্য করেন সৎকাজ করেন এবং দীন-দুঃখীদের
জন্যে অর্থ ব্যয় করেন ৷ আপনি ফিরে আসুন, আপনি আমার আশ্রয়ে থাকবেন ৷ হযরত আবু
বকর (বা) তার সাথে ফিরে এলেন ৷ মক্কায় পৌছে ইবন দাগিন্ন৷ তার সাথে দীড়াল এবং ঘোষণা


[ذِكْرُ عَزْمِ الصِّدِّيقِ عَلَى الْهِجْرَةِ إِلَى الْحَبَشَةِ] ِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ، حِينَ ضَاقَتْ عَلَيْهِ مَكَّةُ، وَأَصَابَهُ فِيهَا الْأَذَى، وَرَأَى مِنْ تَظَاهُرِ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ مَا رَأَى، اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي الْهِجْرَةِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مُهَاجِرًا، حَتَّى إِذَا سَارَ مِنْ مَكَّةَ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ، لَقِيَهُ ابْنُ الدَّغِنَةِ أَخُو بَنِي الْحَارِثِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْأَحَابِيشِ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: اسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ أَحَدُ بَنِي بَكْرٍ مِنْ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ. وَقَالَ السُّهَيْلِيُّ: اسْمُهُ مَالِكٌ فَقَالَ: إِلَى أَيْنَ يَا أَبَا بَكْرٍ؟ قَالَ: أَخْرَجَنِي قَوْمِي، وَآذَوْنِي، وَضَيَّقُوا عَلَيَّ. قَالَ: وَلِمَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَزِينُ الْعَشِيرَةَ، وَتُعِينُ عَلَى النَّوَائِبِ، وَتَفْعَلُ الْمَعْرُوفَ وَتُكْسِبُ الْمَعْدُومَ، ارْجِعْ فَإِنَّكَ فِي جِوَارِي. فَرَجَعَ مَعَهُ حَتَّى إِذَا دَخَلَ مَكَّةَ قَامَ ابْنُ الدَّغِنَةِ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ فَلَا يَعْرِضْ لَهُ أَحَدٌ إِلَّا بِخَيْرٍ.
পৃষ্ঠা - ১৯৪২


দিয়ে বলল ৷ হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ ইবন আবু কুহাফা অর্থাৎ আবু বকরকে আমি নিরাপত্তা
দিয়েছি, কেউ যেন তড়াৱ প্রতি অসদাচরণ না করে ৷ ফলশ্রুতিতে তারা সকলে তার প্রতি
অসদাচরণ থেকে বিরত থাকে ৷

হযরত আইশা (রা) বলেন, হযরত আবু বকর (রা)-এর একটি মসজিস্তে ছিল সেটি বনু
জুমাহ গোত্রে তার দ্বার প্রান্তে অবস্থিত ছিল ৷ তিনি ওই মসজিদে নামায আদায় করতেন ৷ তিনি
ছিলেন একজন কোমল হৃদয়ের লোক ৷ কুরআন মজীদ পাঠ করার সময় তিনি অনবরত র্কাদতে
থাকতেন ৷ র্তার অবস্থা দেখে অবাক হয়ে নারী-শিশু ও দাস-দাসীরা তার চারিদিকে র্দাড়িয়ে
থাকত ৷ এ অবস্থায় কুরায়শের কতক লোক ইবন দাগিন্নার নিকট উপস্থিত হয়ে বলে, হে ইবন
দাগিন্ন৷ ! আপনি তো নিশ্চয়ই আমাদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্যে এ লোককে আশ্রয় দেননি ৷ সে
যখন নামায আদায় করে এবং মুহাম্মদ (সা) যা নিয়ে এসেছে তা পাঠ করে, তখন সে
ভক্তি-শ্রদ্ধা ও ভয়-ভীতিতে বিপলিত হয়ে পড়ে এবং তার মধ্যে একটা অসাধারণ অবস্থার সৃষ্টি
হয় ৷ আমরা তো আশংকা করছি যে, আমাদের নারী-শিশু ও দুর্বল লোকদেরকে সে বিভ্রান্ত
করবে ৷ সুতরাং তুমি তাকে বলে দেবে যে, সে যেন তার ঘরের মধ্যে থাকে এবং সেখানে তার
মন যা চায় তা করে ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন, এরপর ইবন দাগিন্নড়া উপস্থিত হয় হযরত
আবু বকর (বা) এর নিকট আসে এবং সে বলে আবু বকর! আপনার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে
কষ্ট দেয়ার জন্যে তো আমি আপনাকে আশ্রয় দিইনি ৷ আপনার বর্তমান কর্মকাণ্ড তারা পসন্দ
করছে না ৷ আপনার কারণে তারা কষ্ট বোধ করছে ৷ আপনি বরং আপনার গৃবুহব মধ্যে অবস্থান
করুন এবং সেখানে যা ইচ্ছা তা করুন ৷

হযরত আবু বকর (বা) বললেন, তাহলে আমি কি তোমার আশ্রয় প্রত্যাহার করে আল্পাহ্র
আশ্রয় গ্রহণ করব ? সে বলল, তবে তাই হোক, আপনি আমার আশ্রয় থেকে মুক্ত হয়ে যান ৷
আবু বকর (রা) বললেন, তোমার আশ্রয়জনিত দায়, দায়িত্ব আমি ফিরিয়ে দিলাম ৷ তখন
ইবন দড়াগিন্ন৷ দাড়িয়ে বলল, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ ইবন আবু কুহাফা আমার অড়াশ্রয়ে
থাকাজনিত দায়-দায়িতৃ ফিরিয়ে দিয়েছেন, এখন তোমাদের লোকের সাথে তোমাদের যা
করার করতে পার ৷

ইমাম বুখারী (ব) এ বিষয়ক একটি হাদীছ এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ওই হাদীছে কিন্তু
আরো সুন্দর ও বর্ধিত বিবরণ রয়েছে ৷ তিনি বলেছেন ইয়াহ্ইয়া ইবন ৰুকায়র রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সহধর্মিণী আইশা (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার
বাল্যকাল থেকেই আমার পিতামাতাকে দীনের অনুসারী বলেই দেখে এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
প্রতেব্রক দিন সকাল-বিকাল দু’বার আমাদের বাড়ীতে আসতেন ৷ মুসলমানগণ যখন
কাফির-ঘুশরিকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছিলেন, তখন আবু বকর (রা) আবিসিনিয়ায় হিজরত
করার উদ্দোশ্য ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন ৷ বারক আল গড়ামাদ নামক স্থানে পৌছার পর ইবন
দাগিন্নড়ার সাথে তীর সাক্ষাত হয় ৷ সে ছিল ওই অঞ্চলের নেতা ৷ সে বলল, আবু বকর ! কোথায়
যাচ্ছেন ? তিনি বললেন, আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে বের করে দিয়েছে ৷ আমি এখন
সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দেশে দেশে ঘুরবাে আর আমার প্রতিপালকের ইবাদত করবো ৷ ইবন দড়াগিন্না


قَالَتْ: فَكَفُّوا عَنْهُ. قَالَتْ: وَكَانَ لِأَبِي بَكْرٍ مَسْجِدٌ عِنْدَ بَابِ دَارِهِ فِي بَنِي جُمَحَ، فَكَانَ يُصَلِّي فِيهِ، وَكَانَ رَجُلًا رَقِيقًا، إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ اسْتَبْكَى. قَالَتْ: فَيَقِفُ عَلَيْهِ الصِّبْيَانُ وَالْعَبِيدُ وَالنِّسَاءُ، يَعْجَبُونَ لِمَا يَرَوْنَ مِنْ هَيْئَتِهِ. قَالَتْ: فَمَشَى رِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى ابْنِ الدَّغِنَّةِ فَقَالُوا: يَا بْنَ الدَّغِنَةِ إِنَّكَ لَمْ تُجِرْ هَذَا الرَّجُلَ لِيُؤْذِيَنَا، إِنَّهُ رَجُلٌ إِذَا صَلَّى وَقَرَأَ مَا جَاءَ بِهِ مُحَمَّدٌ يَرِقُّ، وَكَانَتْ لَهُ هَيْئَةٌ وَنَحْوٌ، فَنَحْنُ نَتَخَوَّفُ عَلَى صِبْيَانِنَا وَنِسَائِنَا وَضُعَفَائِنَا أَنْ يَفْتِنَهُمْ، فَأْتِهِ فَمُرْهُ بِأَنْ يَدْخُلَ بَيْتَهُ، فَلْيَصْنَعْ فِيهِ مَا شَاءَ. قَالَتْ: فَمَشَى ابْنُ الدَّغِنَةِ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ إِنِّي لَمْ أُجِرْكَ لِتُؤْذِيَ قَوْمَكَ، وَقَدْ كَرِهُوا مَكَانَكَ الَّذِي أَنْتَ بِهِ، وَتَأَذَّوْا بِذَلِكَ مِنْكَ، فَادْخُلْ بَيْتَكَ فَاصْنَعْ فِيهِ مَا أَحْبَبْتَ. قَالَ: أَوْ أَرُدُّ عَلَيْكَ جِوَارَكَ وَأَرْضَى بِجِوَارِ اللَّهِ. قَالَ: فَارْدُدْ عَلَيَّ جِوَارِي. قَالَ: قَدْ رَدَدْتُهُ عَلَيْكَ. قَالَتْ: فَقَامَ ابْنُ الدَّغِنَةِ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إِنَّ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ قَدْ رَدَّ عَلَيَّ جِوَارِي، فَشَأْنُكُمْ بِصَاحِبِكُمْ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ الْبُخَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ مُتَفَرِّدًا بِهِ، وَفِيهِ زِيَادَةٌ حَسَنَةٌ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَتْ: لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَيَّ قَطُّ
পৃষ্ঠা - ১৯৪৩
إِلَّا وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ، وَلَمْ يَمُرَّ عَلَيْنَا يَوْمٌ إِلَّا يَأْتِينَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - طَرَفَيِ النَّهَارِ بِكُرَةً وَعَشِيَّةً، فَلَمَّا ابْتُلِيَ الْمُسْلِمُونَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرًا نَحْوَ أَرْضِ الْحَبَشَةِ، حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَرْكَ الْغِمَادِ لَقِيَهُ ابْنُ الدَّغِنَةِ وَهُوَ سَيِّدُ الْقَارَةِ، فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ يَا أَبَا بَكْرٍ؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَخْرَجَنِي قَوْمِي، فَأُرِيدُ أَنْ أَسِيحَ فِي الْأَرْضِ فَأَعْبُدَ رَبِّي. فَقَالَ ابْنُ الدَّغِنَةِ: فَإِنَّ مِثْلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ لَا يَخْرُجُ وَلَا يُخْرَجُ مِثْلُهُ، إِنَّكَ تَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ، فَأَنَا لَكَ جَارٌ، ارْجِعْ فَاعْبُدْ رَبَّكَ بِبَلَدِكَ. فَرَجَعَ وَارْتَحَلَ مَعَهُ ابْنُ الدَّغِنَةِ وَطَافَ ابْنُ الدَّغِنَةِ عَشِيَّةً فِي أَشْرَافِ قُرَيْشٍ، فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ لَا يُخْرَجُ مِثْلُهُ، وَلَا يَخْرُجُ، أَتُخْرِجُونَ رَجُلًا يَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَيَصِلُ الرَّحِمَ، وَيَحْمِلُ الْكَلَّ، وَيَقْرِي الضَّيْفَ، وَيُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ؟ ! فَلَمْ تُكَذِّبْ قُرَيْشٌ بِجِوَارِ ابْنِ الدَّغِنَةِ وَقَالُوا لِابْنِ الدَّغِنَةِ: مُرْ أَبَا بَكْرٍ فَلْيَعْبُدْ رَبَّهُ فِي دَارِهِ، وَلْيُصَلِّ فِيهَا وَلْيَقْرَأْ مَا شَاءَ، وَلَا يُؤْذِينَا بِذَلِكَ، وَلَا يَسْتَعْلِنُ بِهِ، فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يَفْتِنَ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا. فَقَالَ ذَلِكَ ابْنُ الدَّغِنَةِ لِأَبِي بَكْرٍ فَلَبِثَ أَبُو بَكْرٍ بِذَلِكَ يَعْبُدُ رَبَّهُ فِي دَارِهِ، وَلَا يَسْتَعْلِنُ بِصَلَاتِهِ، وَلَا يَقْرَأُ فِي غَيْرِ دَارِهِ، ثُمَّ بَدَا لِأَبِي بَكْرٍ فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ، وَكَانَ يُصَلِّي فِيهِ، وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ، فَيَتَقَذَّفُ عَلَيْهِ نِسَاءُ الْمُشْرِكِينَ وَأَبْنَاؤُهُمْ، يَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ১৯৪৪


বলল, হে আবু বকর ! আপনার মত জ্ঞানী-গুণী লোককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা যায় না এবং
এমন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে যেতেও পারে না ৷ আপনি তো দজ্জি ও নিঃস্ব লোকদেরকে
সাহায্য করেন ৷ আত্মীয়তা রক্ষা করেন ৷ অন্যের বোঝা নিজে বহন করেন ৷ মেহমানদেরকে
আদর-আপ্যায়ন করান এবং বিপদাপদে মানুষকে সাহায্য করেন ৷ আমি আপনাকে আশ্রয়
দেয়ার দায়িতু নিলাম ৷ আপনি আপনার গৃহে ফিরে যান এবং আপন প্রতিপালকের ইবাদত
করুন ৷ হযরত আবু বকর (রা) ফিরে এলেন ৷ তার সাথে ইবন দাগিন্নওে ফিরে অড়াসলাে ৷
সল্যাবেলা ইবন দাগিন্না সল্লাম্ভ কুরায়শী লোকদের সাথে সাক্ষাত করে এবং তাদেরকে বলে,
আবু বকরের মত লোককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা যায় না ৷ ওই ধরনের লোক স্বেচ্ছায় দেশ
ছেড়ে চলে যেতেও পারে না ৷ তোমরা কি এমন এক লোককে বের করে দিতে চাও, যে লোক
দরিদ্র ও নিঃস্বদেরকে অর্থ উপার্জন করে দেয় ৷ আত্মীয়তা রক্ষা করে ৷ অন্যের বোঝা বহন
করে ৷ যেহমানকে আদর-আপ্যায়ন করে এবং বিপদাপদে মানুষদেরকে সাহায্য করে ?
কুরায়শের লোকেরা ইবন দাগিন্নার আশ্রয় প্রদান বিষয়ক যিষ্মদােরী প্রত্যাখ্যান করলো না ৷ ইবন
দাগিন্নড়াকে তারা বলে যে, তুমি আবু বকরকে বলে দাও সে যেন তার ঘরের মধ্যে নামায আদায়
করে এবং যা ইচ্ছা ঘরের মধ্যেই করে ৷ তার কাজকর্ম যেন প্রকাশ্যে না করে এবং এতদ্বারা
আমাদেরকে যেন বিরত না করে ৷ কারণ, আমরা আশংকা করছি যে, আমাদের নারী ও শিশুরা
তাতে বিভ্রান্ত হতে পারে ৷ ইবন দড়াগিন্না এসব আবু বকর(রা)-কে বলল ৷ এভাবেই আবু বকর
(রা) সেখানে অবস্থান করছিলেন ৷ নিজ ঘরের মধ্যে আপন প্রতিপালকের ইবাদত করতেন ৷
সশব্দে নামায আদায় করতেন না ৷ নিজ গৃহ ব্যতীত অন্যত্র কুরআন পাঠ করতেন না ৷

এরপর আবু বকর (রা)-এর মনে নতুন ভাবের উদয় হয় ৷ তার ঘরের পাশে তিনি একটি
মসজিদ তৈরী করেন ৷ ওই মসজিদে তিনি নামায পড়তে এবং কুরআন তিলাওয়াত করতে
লাগলেন ৷ র্তাকে দেখে মৃশরিক নারী ও শিশুরা অবাক বিস্ময়ে তার প্রতি তাকিয়ে থাকত ৷
হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয় এবং ক্রন্দনকারী লোক ৷ কুরআন পাঠের
সময় তিনি তার অশ্রু থামিয়ে রাখতে পারতেন না ৷ এ অবস্থা দেখে কুরায়শী সন্নাম্ভ লোকজন
বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ তারা ইবন দড়াগিন্নাকে ডেকে পাঠায় ৷ সে তাদের নিকট উপস্থিত হলে তারা
বলল, হে ইবন দড়াগিন্ন৷ ! তোমার আশ্রয়ে আবু বকরের অবস্থান আমরা মেনে নিয়েছিলাম এই
শর্তে যে, সে তার ঘরের মধ্যে তার প্রতিপালকের ইবাদত করবে ৷ এখন সে ওই শর্ত লংঘন
করেছে ৷ গৃহ-প্রড়াঙ্গণ সে একটি মসজিদ তৈরী করেছে ৷ সেখানে সে প্রকাশ্যে নামায আদায় করে
এবং সেখানে কুরআন তিলাওয়াত করে ৷ আমরা আশংকা করছি যে, তাতে আমাদের নারী ও
ছেলেমেয়েরা বিভ্রান্ত হবে ৷ তুমি তাকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বল ৷ তার ঘরের মধ্যে
থেকে সে যদি নিজ প্রতিপালকের ইবাদত করতে রাষী থাকে, তবে যে তা করবে ৷ আর সে
যদি প্রকাশ্যেই তা করতে চায়, তবে তুমি তাকে বলে দাও তোমার আশ্রয়ে থাকাজনিত
যিম্মাদারী সে যেন ফিরিয়ে দেয় ৷ তোমার আশ্রয় প্রদানের যিম্মাদারীর আমরা অমর্যাদা করতে
চাই না ৷ অন্যদিকে আবু বকর প্রকাশ্যে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে যে সুযোগও আমরা তাকে
দিতে পারি না ৷


وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلًا بَكَّاءً، لَا يَمْلِكُ عَيْنَيْهِ إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ، فَأَفْزَعَ ذَلِكَ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَأَرْسَلُوا إِلَى ابْنِ الدَّغِنَةِ فَقَدِمَ عَلَيْهِمْ، فَقَالُوا: إِنَّا كُنَّا أَجَرْنَا أَبَا بَكْرٍ بِجِوَارِكَ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِي دَارِهِ، فَقَدْ جَاوَزَ ذَلِكَ، فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ، فَأَعْلَنَ فِي الصَّلَاةِ وَالْقِرَاءَةِ فِيهِ، وَإِنَّا قَدْ خَشِينَا أَنْ يَفْتَتِنَ أَبْنَاؤُنَا وَنِسَاؤُنَا، فَانْهَهُ، فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِي دَارِهِ، فَعَلَ، وَإِنْ أَبَى إِلَّا أَنْ يُعْلِنَ ذَلِكَ، فَسَلْهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْكَ ذِمَّتَكَ، فَإِنَّا قَدْ كَرِهْنَا أَنْ نُخْفِرَكَ وَلَسْنَا مُقِرِّينَ لِأَبِي بَكْرٍ الِاسْتِعْلَانَ. قَالَتْ عَائِشَةُ: فَأَتَى ابْنُ الدَّغِنَةِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: قَدْ عَلِمْتَ الَّذِي قَدْ عَاقَدْتُ لَكَ عَلَيْهِ. فَإِمَّا أَنْ تَقْتَصِرَ عَلَى ذَلِكَ، وَإِمَّا أَنْ تَرُدَّ إِلَيَّ ذِمَّتِي، فَإِنِّي لَا أُحِبُّ أَنْ تَسْمَعَ الْعَرَبُ أَنِّي أُخْفِرْتُ فِي رَجُلٍ عَقَدْتُ لَهُ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَإِنِّي أَرُدُّ إِلَيْكَ جِوَارَكَ، وَأَرْضَى بِجِوَارِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ ذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي هِجْرَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا سَيَأْتِي مَبْسُوطًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَالَ: لَقِيَهُ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ حِينَ خَرَجَ مِنْ جِوَارِ ابْنِ الدَّغِنَةِ سَفِيهٌ مِنْ سُفَهَاءِ قُرَيْشٍ، وَهُوَ عَامِدٌ إِلَى الْكَعْبَةِ، فَحَثَا عَلَى رَأْسِهِ تُرَابًا، فَمَرَّ بِأَبِي بَكْرٍ الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ أَوِ الْعَاصُ بْنُ وَائِلٍ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَلَا تَرَى مَا يَصْنَعُ هَذَا السَّفِيهُ؟ فَقَالَ: أَنْتَ فَعَلْتَ
পৃষ্ঠা - ১৯৪৫
ذَلِكَ بِنَفْسِكَ. وَهُوَ يَقُولُ: أَيْ رَبِّ، مَا أَحْلَمَكَ! أَيْ رَبِّ، مَا أَحْلَمَكَ! أَيْ رَبِّ، مَا أَحْلَمَكَ! فَصْلٌ: كُلُّ هَذِهِ الْقِصَصِ ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ مُعْتَرِضًا بِهَا بَيْنَ تَعَاقُدِ قُرَيْشٍ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ، وَكِتَابَتِهِمْ عَلَيْهِمُ الصَّحِيفَةَ الظَّالِمَةَ، وَحَصْرِهِمْ إِيَّاهُمْ فِي الشِّعْبِ، وَبَيْنَ نَقْضِ الصَّحِيفَةِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهَا، وَهِيَ أُمُورٌ مُنَاسِبَةٌ لِهَذَا الْوَقْتِ، وَلِهَذَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِيَ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى ابْنِ إِسْحَاقَ