আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب مجادلة المشركين رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وإقامته الحجة الدامغة عليهم

পৃষ্ঠা - ১৮৬২
[بَابُ مُجَادَلَةِ الْمُشْرِكِينَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَإِقَامَتِهِ الْحُجَّةَ الدَّامِغَةَ عَلَيْهِمْ] ْ، وَاعْتِرَافِهِمْ فِي أَنْفُسِهِمْ بِالْحَقِّ، وَإِنْ أَظْهَرُوا الْمُخَالِفَةَ ; عِنَادًا وَحَسَدًا، وَبَغْيًا، وَجُحُودًا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهْوَيْهِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ الْمُغِيرَةِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ، فَكَأَنَّهُ رَقَّ لَهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا جَهْلٍ فَأَتَاهُ، فَقَالَ: يَا عَمِّ، إِنَّ قَوْمَكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَجْمَعُوا لَكَ مَالًا. قَالَ: لِمَ؟ قَالَ: لِيُعْطُوكَهُ، فَإِنَّكَ أَتَيْتَ مُحَمَّدًا لِتَعْرِضَ لِمَا قِبَلَهُ. قَالَ: قَدْ عَلِمَتْ قُرَيْشٌ أَنِّي أَكْثَرُهَا مَالًا. قَالَ: فَقُلْ فِيهِ قَوْلًا يَبْلُغُ قَوْمَكَ أَنَّكَ مُنْكِرٌ لَهُ. قَالَ: وَمَاذَا أَقُولُ؟ فَوَاللَّهِ مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ أَعْلَمُ بِالْأَشْعَارِ مِنِّي، وَلَا أَعْلَمُ بِرَجَزِهِ، وَلَا بِقَصِيدِهِ مِنِّي، وَلَا
পৃষ্ঠা - ১৮৬৩


বলল, না, না, আল্লাহর কসম, বিকট চীৎকারের কথা ব্যতীত আর কিছুই আমার বোধগম্য
হয়নি ৷

বায়হাকী (র) প্রমুখ হাকিম আজলাহ্ সুত্রে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে ওই

বর্ণনা সন্দেহমুক্ত নয় ৷ ওই বর্ণনায়এ তটুকু অতিরিক্ত আছে যে, তুমি যদি নেতৃতৃ চাও, তবে

আমাদের নেতৃত্বের পতাকা আমরা তোমার হাতে তুলে দেব ৷ যতদিন তুমি জীবিত থাকবে
ত তদিন তুমি নেতা হিসেবে যা ৷কবে ৷ ওই বর্ণনায় একথাও আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন —

প্রুর্টুত্ন

(তবুও তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, আমি তো তােমাদেরকে সতর্ক করছি এক
ধ্বংসকর শাস্তির আদ ও ছামুদের ধ্বংসের অনুরুপ) পাঠ করলেন, তখন উতবা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর মুখ চেপে ধরল এবং রক্ত সম্পর্কের দোহাই দিয়ে আর কিছু না বলতে অনুরোধ
করল ৷

এরপর কিছুকাল উত বা তার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে দেখা করেনি, বরং৩ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে দিন কাটায় ৷ তখন আবু জাহ্ল বলে, হে কুরায়শ সম্প্রদায়, আল্লাহ্র কসম, আমার মনে
হয় পিতৃধর্ম ত্যাগ করে উতবা মুহাম্মদের ধর্ম গ্রহণ করেছে এবং মুহাম্মদের আপ্যায়নে সে খুশী
হয়েছে ৷ এটা নিশ্চয়ই তার অভাব ৷ব-অনটনের কারণে হয়েছে ৷ চল, আমরা সবাই তার নিকট
যাই ৷ উতবার সাথে দেখা করে আবু জাহ্ল বলল, হে উতবা আমরা৫ তামার নিকট এ জন্যে
এসেছি যে, তুমি তো মুহাম্মদের ধর্ম গ্রহণ করেছ এবং তার ধর্ম তোমার ভাল লেগেছে ৷ মুলত
তুমি যদি কো ন অতাব ৷ব-অনটনে থাক, তবে আমাদেরকে বল, আমরা তোমাকে ধন সম্পদ সংগ্রহ
করে দিই যাতে করে তুমি আর মুহাম্মদের আপ্যায়ন্সের মুখাপেক্ষী থাকবে না ৷ এ কথা শুনে
উতবা রেগে যায় এবং আল্লাহ্র নামে কসম করে বলে যে, কখনও সে মুহাম্মদ (সা) এর সাথে
কথা বলবে না ৷ যে এও বলে যে, তোমরা তো জ ন আমি কুরায়শ বংশের অন্যতম ধনাঢা
ব্যক্তি, তবে আমি তার নিকট পিয়েছিলাম ৷ এরপর সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যা যা বলেছিল তা
তাদেরকে জানাল ৷ এরপর সে বলল, মুহাম্মদ এমন ভাষায় আমাকে উত্তর দিল যে, আল্লাহর
কসম, তা কো ন জা দুও নয়, কবিতাও নয়, গণকের মন্ত্রও নয় ৷ সে আমার নিকট এগুলো পাঠ
করল ঝু ন্ৰুঠুপু ৷ থেকে শুরু করে ও

ঠুটুঠু;;ট্রু প্রু£ গুম্বু:া; ,াৰু রুব্লুএ্াছু ন্;’ব্র;,১ংন্৷ র্দুাছুপুরু ৷টু; )ছু৷ ১৮৯

পর্যন্ত ৷ তখন আমি আর মুখ চেপে ধরি এবং রক্ত সম্পর্কের দােহাই দিয়ে তাকে থামতে
বলি ৷ তোমাদের তো ৩ ল৩াবেই জানা আছে যে, মুহাম্মদ কিছু বললে তা মিথ্যা হয় না ৷
তাইব্ব আমাদের উপর আমার নাযিল হওয়ার ভয়ে আমিশ ত ছিলাম ৷

এরপর বায়হাকী (র) বলেন“, হাকিম মুহাম্মদ ইবন কাআর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমাকে বলা হয়েছে যে, কুরায়শের ধৈর্যশীল নেতা উতবা ইবন রাবীআ একদিন
বলেছিল তখন সে ছিল কুরায়শী লোকদের সমাবেশে বসা আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন
একাকী মসজিদে বসা ৷ রস্তুত সে বলেছিল, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷ আমি কি ওই লোকের কাছে


بِأَشْعَارِ الْجِنِّ، وَاللَّهِ مَا يُشْبِهُ الَّذِي يَقُولُ شَيْئًا مِنْ هَذَا، وَوَاللَّهِ إِنَّ لِقَوْلِهِ الَّذِي يَقُولُهُ حَلَاوَةً، وَإِنَّ عَلَيْهِ لَطَلَاوَةً، وَإِنَّهُ لَمُثْمِرٌ أَعْلَاهُ، مُغْدِقٌ أَسْفَلُهُ، وَإِنَّهُ لَيَعْلُوَ وَلَا يُعْلَى، وَإِنَّهُ لَيَحْطِمُ مَا تَحْتَهُ. قَالَ: لَا يَرْضَى عَنْكَ قَوْمُكَ حَتَّى تَقُولَ فِيهِ. قَالَ: فَدَعْنِي حَتَّى أُفَكِّرَ فِيهِ. فَلَمَّا فَكَّرَ قَالَ: هَذَا سِحْرٌ يُؤْثِرُ ; يَأْثُرُهُ عَنْ غَيْرِهِ فَنَزَلَتْ: {ذَرْنِي وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا وَجَعَلْتُ لَهُ مَالًا مَمْدُودًا وَبَنِينَ شُهُودًا} [المدثر: 11] » الْآيَاتِ. [الْمُدَّثِّرِ: 11 - 13] هَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الصَّنْعَانِيِّ بِمَكَّةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلًا. وَفِيهِ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَيْهِ {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ} [النحل: 90] وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي مُحَمَّدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَوْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ الْمُغِيرَةِ اجْتَمَعَ وَنَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ، وَكَانَ ذَا سِنٍّ فِيهِمْ، وَقَدْ حَضَرَ الْمَوْسِمُ، فَقَالَ: إِنَّ وُفُودَ الْعَرَبِ سَتَقْدَمُ عَلَيْكُمْ فِيهِ، وَقَدْ سَمِعُوا بِأَمْرِ صَاحِبِكُمْ هَذَا، فَأَجْمِعُوا فِيهِ رَأْيًا وَاحِدًا وَلَا
পৃষ্ঠা - ১৮৬৪
تَخْتَلِفُوا فَيُكَذِّبُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا، وَيَرُدُّ قَوْلُ بَعْضِكُمْ بَعْضًا. فَقِيلَ: يَا أَبَا عَبْدِ شَمْسٍ فَقُلْ: وَأَقِمْ لَنَا رَأَيَا نَقُومُ بِهِ. فَقَالَ: بَلْ أَنْتُمْ، فَقُولُوا وَأَنَا أَسْمَعُ. فَقَالُوا: نَقُولُ: كَاهِنٌ. فَقَالَ: مَا هُوَ بِكَاهِنٍ ; فَقَدْ رَأَيْتُ الْكُهَّانَ، فَمَا هُوَ بِزَمْزَمَةِ الْكُهَّانِ. فَقَالُوا: نَقُولُ: مَجْنُونٌ. فَقَالَ: مَا هُوَ بِمَجْنُونٍ، وَلَقَدْ رَأَيْنَا الْجُنُونَ، وَعَرَفْنَاهُ فَمَا هُوَ بِخَنْقِهِ وَلَا تَخَالُجِهِ وَلَا وَسْوَسَتِهِ. فَقَالَ نَقُولُ: شَاعِرٌ. فَقَالَ: مَا هُوَ بِشَاعِرٍ، قَدْ عَرَفْنَا الشِّعْرَ بِرَجَزِهِ، وَهَزَجِهِ، وَقَرِيضِهِ، وَمَقْبُوضِهِ، وَمَبْسُوطِهِ، فَمَا هُوَ بِالشِّعْرِ قَالُوا فَنَقُولُ: هُوَ سَاحِرٌ. قَالَ: مَا هُوَ بِسَاحِرٍ، قَدْ رَأَيْنَا السُّحَّارَ وَسِحْرَهُمْ، فَمَا هُوَ بِنَفْثِهِ، وَلَا بِعَقْدِهِ. قَالُوا: فَمَا نَقُولُ يَا أَبَا عَبْدِ شَمْسٍ؟ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ لِقَوْلِهِ لَحَلَاوَةً، وَإِنَّ أَصْلَهُ لَمُغْدِقٌ، وَإِنَّ فَرْعَهُ لَجَنًى، فَمَا أَنْتُمْ بِقَائِلِينَ مِنْ هَذَا شَيْئًا إِلَّا عُرِفَ أَنَّهُ بَاطِلٌ، وَإِنَّ أَقْرَبَ الْقَوْلِ لَأَنْ تَقُولُوا: سَاحِرٌ. فَتَقُولُوا: هُوَ سَاحِرٌ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَأَبِيهِ، وَبَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجَتِهِ، وَبَيْنَ الْمَرْءِ وَأَخِيهِ، وَبَيْنَ الْمَرْءِ وَعَشِيرَتِهِ. فَتَفَرَّقُوا عَنْهُ بِذَلِكَ، فَجَعَلُوا يَجْلِسُونَ لِلنَّاسِ حَتَّى قَدِمُوا الْمَوْسِمَ، لَا يَمُرُّ بِهِمْ أَحَدٌ إِلَّا حَذَّرُوهُ إِيَّاهُ، وَذَكَرُوا لَهُمْ أَمَرَهُ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي الْوَلِيدِ قَوْلَهُ: {ذَرْنِي وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا وَجَعَلْتُ لَهُ مَالًا مَمْدُودًا وَبَنِينَ شُهُودًا} [المدثر: 11] الْآيَاتِ. وَفِي أُولَئِكَ النَّفَرِ
পৃষ্ঠা - ১৮৬৫


গিয়ে কতগুলো প্রস্তাব পেশ করব ? এমনও হতে পারে যে কোন একটি প্রস্তাব সে গ্রহণ করবে
এবং আমাদেরকে জ্বালাতন করা থেকে বিরত থাকবে ৷ উপস্থিত লোকজন বলল, হে আবু
ওয়ালীদ, আপনি তাই করুন ৷ উতবা উঠে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বসে ৷ এরপর
উতবা ধন-সম্পদ ও রাজতু সম্পর্কে যে সব প্রস্তাব দিয়েছে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা উত্তর
দিয়েছেন তার বিবরণ দেয় ৷

যিয়াদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে উতরা বলেছিল , হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আমি কি
মুহাম্মদের নিকট যাব এবং তার সাথে আলড়াপ-আন্থলাচনা করে তার নিকট কতক প্রস্তাব পেশ
করব ? এমনও হতে পারে যে, সে কোন একটি প্রস্তাব পেশ করবে এবং আমরা প্রস্তাব অনুযায়ী
তার চাহিদা পুরণ করব এবং ফলশ্রুতিতে সে আমাদেরকে জ্বালাতন করা থেকে বিরত থাকবে ৷
এ ঘটনা সংঘটিত হয় তখন, যখন হযরত হামযা (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তারা দেখতে
পায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথীদেব সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷

তখন উপস্থিত লোকজন বলল, হ্যা, হে আবু ওয়ালীদ! আপনি তার নিকট যান এবং তার
সাথে কথা বলুন ৷ উতবা উঠে দাড়ায় এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট গিয়ে বসে ৷ সে বলে,
ভাতিজা আমাদের মধ্যে এবং আমাদের গোত্রের মধ্যে তোমার মর্যাদা এবং আভিজাত্যের কথা
তো তোমার জানা আছে ৷ তবে তোমার সম্প্রদায়ের নিকট তুমি এমন একটি গুরুতর বিষয় নিয়ে
এসেছ যা দ্বারা তুমি তাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে দিয়েছ, তাদের গুণীজনদেরকে মুর্থরুগে
আখ্যায়িত করেছ, তাদের উপাস্যগুলাে ও ধ্র্মমতের নিন্দাবাদ করেছ এবং তাদের পরলােকগত
পুর্ব পুরুষদেরকে কাফির বলে আখ্যায়িত করেছ ৷ তুমি আমার কথা গােন, আমি তোমার নিকট
কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করছি ৷ তুমি সেগুলো ভালভাবে বিবেচনা করে দেখবে ৷ এমনও হতে
পারে যে, তার মধ্যে কোন একটি প্রস্তাব তুমি গ্রহণ করবে ৷

রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, আবুল ওয়ালীদ! বলুন, আমি শুনছি ৷ সে বলল, ভাতিজা! তুমি
যা নিয়ে এসেছ তার মাধ্যমে ধন-সম্পদ অর্জন করা যদি তোমার উদ্দিষ্ট হয়, তবে আমাদের
প্রত্যেকের ধন-সম্পদের একটা অংশ আমরা তোমাকে দিয়ে দেব ফলে তুমি আমাদের সবার
চেয়ে বড় সম্পদশালী হয়ে যাবে ৷ তুমি যদি মর্যাদা অত্তনি করতে চাও, তবে আমরা তোমাকে
চিরদিনের জন্যে নেতা রুপে বরণ করে নেবাে ৷ তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে নেতৃতু দেব না ৷
তুমি যদি রাজতৃ চাও আমরা তোমাকে আমাদের রাজা রুপে বরণ করবো ৷ তোমার নিকট যে
অদৃশ্য আগন্তুক আসে যে যদি জিন হয়ে থাকে এবং তার হাত থেকে আত্মরক্ষায় তুমি যদি
অক্ষয় হয়ে থাক, তবে আমরা ভাক্তার-কবিরাজ ডেকে এনে অর্থব্যয় তোমাকে সুস্থ করে তুলব ৷
কারণ, মাঝে মাঝে অনুষঙ্গী তার মুল ব্যক্তির উপর প্রাধান্য লাভ করে, যার জন্যে চিকিৎসার
প্রয়োজন দেখা দেয় ৷ উতবা হুবহু একথা অথবা এ জাতীয় অন্য কিছু বলেছিল ৷ উতবার বক্তব্য
শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আবুল ওয়ালীদ, আপনার কথা শেষ হয়েছে ? সে
বলল, হীা, শেষ হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এবার আমার বক্তব্য শুনুন ৷ সে বলল, ঠিক
আছে, বলে যাও ! ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পড়তে শুরু করলেন :


قَوْلَهُ: {الَّذِينَ جَعَلُوا الْقُرْآنَ عِضِينَ فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الحجر: 91] » [الْحِجْرِ: 91 - 93] قُلْتُ: وَفِي ذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى إِخْبَارًا عَنْ جَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ: {بَلْ قَالُوا أَضْغَاثُ أَحْلَامٍ بَلِ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ فَلْيَأْتِنَا بِآيَةٍ كَمَا أُرْسِلَ الْأَوَّلُونَ} [الأنبياء: 5] . فَحَارُوا مَاذَا يَقُولُونَ فِيهِ، فَكُلُّ شَيْءٍ يَقُولُونَهُ بَاطِلٌ ; لِأَنَّ مَنْ خَرَجَ عَنِ الْحَقِّ مَهْمَا قَالَهُ أَخْطَأَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {انْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا} [الفرقان: 9] وَقَالَ الْإِمَامُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنِ الْأَجْلَحِ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيُّ عَنِ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسَدِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «اجْتَمَعَ قُرَيْشٌ يَوْمًا، فَقَالُوا: انْظُرُوا أَعْلَمَكُمْ بِالسِّحْرِ وَالْكِهَانَةِ وَالشِّعْرِ، فَلْيَأْتِ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي فَرَّقَ جَمَاعَتَنَا، وَشَتَّتَ أَمْرَنَا، وَعَابَ دِينَنَا، فَلْيُكَلِّمْهُ وَلْيَنْظُرْ مَاذَا يَرُدُّ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: مَا نَعْلَمُ أَحَدًا غَيْرَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ. فَقَالُوا: أَنْتَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ. فَأَتَاهُ عُتْبَةُ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ خَيْرٌ أَمْ عَبْدُ اللَّهِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالَ: أَنْتَ خَيْرٌ أَمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ تَزْعُمُ أَنَّ هَؤُلَاءِ خَيْرٌ مِنْكَ، فَقَدْ عَبَدُوا الْآلِهَةَ الَّتِي عِبْتَ، وَإِنْ كُنْتَ تَزْعُمُ أَنَّكَ خَيْرٌ مِنْهُمْ فَتَكَلَّمْ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ১৮৬৬
نَسْمَعَ قَوْلَكَ، إِنَّا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا سَخْلَةً قَطُّ أَشْأَمَ عَلَى قَوْمِهِ مِنْكَ ; فَرَّقْتَ جَمَاعَتَنَا، وَشَتَّتَّ أَمْرَنَا، وَعِبْتَ دِينَنَا، وَفَضَحْتَنَا فِي الْعَرَبِ، حَتَّى لَقَدْ طَارَ فِيهِمْ أَنَّ فِي قُرَيْشٍ سَاحِرًا، وَأَنَّ فِي قُرَيْشٍ كَاهِنًا، وَاللَّهِ مَا نَنْتَظِرُ إِلَّا مِثْلَ صَيْحَةِ الْحُبْلَى، أَنْ يَقُومَ بَعْضُنَا إِلَى بَعْضٍ بِالسُّيُوفِ حَتَّى نَتَفَانَى، أَيُّهَا الرَّجُلُ إِنْ كَانَ إِنَّمَا بِكَ الْحَاجَةُ، جَمَعْنَا لَكَ حَتَّى تَكُونَ أَغْنَى قُرَيْشٍ رَجُلًا، وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا بِكَ الْبَاءَةُ فَاخْتَرْ أَيَّ نِسَاءِ قُرَيْشٍ شِئْتَ، فَلْنُزَوِّجْكَ عَشْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " فَرَغْتَ؟ ". قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ حم تَنْزِيلٌ مِنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {كِتَابٌ فُصِّلَتْ آيَاتُهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ} [فصلت: 3] إِلَى أَنْ بَلَغَ {فَإِنْ أَعْرَضُوا فَقُلْ أَنْذَرْتُكُمْ صَاعِقَةً مِثْلَ صَاعِقَةِ عَادٍ وَثَمُودَ} [فصلت: 13] فَقَالَ عُتْبَةُ: حَسْبُكَ حَسْبُكَ، مَا عِنْدَكَ غَيْرَ هَذَا؟ قَالَ: " لَا ". فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ، فَقَالُوا: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ مَا تَرَكْتُ شَيْئًا أَرَى أَنَّكُمْ تُكَلِّمُونَهُ إِلَّا كَلَّمْتُهُ. قَالُوا: فَهَلْ أَجَابَكَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ: لَا وَالَّذِي نَصَبَهَا بَنِيَّةً، مَا فَهِمْتُ شَيْئًا مِمَّا قَالَ، غَيْرَ أَنَّهُ أَنْذَرَكُمْ صَاعِقَةً مِثْلَ صَاعِقَةِ عَادٍ وَثَمُودَ. قَالُوا: وَيْلَكَ يُكَلِّمُكَ الرَّجُلُ بِالْعَرَبِيَّةِ لَا تَدْرِي مَا قَالَ؟ ! قَالَ: لَا وَاللَّهِ، مَا فَهِمْتُ شَيْئًا مِمَّا قَالَ، غَيْرَ ذِكْرِ الصَّاعِقَةِ.»
পৃষ্ঠা - ১৮৬৭

ব্লুটুব্লু


টুএেট্রুট্রু ন্
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) রীতিমত পড়ে যেতে লাগলেন ৷

তিলাওয়াত শুনে উতবা চুপ হয়ে গেল এবং দুহাত পেছনে ঠেকিয়ে মনোযোগ সহকারে
শুনতে লাগল ৷ সুরা পাঠ করতে করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সিজদা ৷র আয়াত পর্যন্ত পৌছলেন এবং
আয়াত পাঠান্তে সিজদা করলেন ৷৩ তারপর বললেন, আপনি তো শুনলেন হে আবুল ওয়ালীদা
উতবা বলল ইা, শুনেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এবার আপনার ক জ আপনি করুন ৷ উতবা
উঠে তার সাথীদের নিকট গিয়ে উপস্থিত হল ৷ ওরা বলাবলি করছিল যে, আল্লাহর নামে কসম
করে বলতে পারি আবুল ওয়ালীদ যেমন চেহারা নিয়ে মুহাম্মদ (না)-এর নিকট গিয়েছিল৩ ৷ র
ভিন্ন চেহারা নিয়ে সে ফিরে এসেছে ৷ তাদের নিকট এসে বসার পর তারা বলল, আবুল
ওয়ালীদ৷ কী সংবাদ এসেছেন ? সে বলল, আল্লাহর কসম, আমি এমন এক বাণী শুনেছি যা
ইতোপুর্বে কখনো শুনিনি ৷ আল্লাহর কসম , সেটি কবিতাও নয়, গণকের মন্ত্রও নয় ৷ হে কুরায়শী
সম্প্রদায়! তোমরা তার আনুগত্য কর এবং আমাকে তার আনুগত্য করার সুযোগ দাও ৷ ওই
লোক যা করতে চায় তাকে তা করতে দাও ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার যে বক্তব্য শুনেছিত
একদিন ঘটবেই ৷ আরবের অন্যান্য লোকেরা যদি তাকে ক বু করতে পারে, তবে অন্যের
মাধ্যমে তোমাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়ে (গল ৷ আর সে যদি সমগ্র আরব জাতির উপর বিজয়ী হয়,
তবে তার রাজত্ব মুলত তোমাদেরই রাজতৃ এবং তার সম্মান তোমাদেরই সম্মান ৷ তার মাধ্যমে
তোমরা হয়ে সর্বাধিক সৌভাগ্যবান সম্প্রদায় ৷৩ তারা বলল, হে আবু ওয়ালীদ আল্লাহর কসম
তার বাকচাতুর্য তোমাকে জাদুগ্রস্ত করেছে ৷ সে বলল, তোমাদের সম্মুখে এটিই আমার
অভিমত ৷ তারপর তোমরা যা ভাল মনে কর, করতে পার ৷

এরপর ইসহাক সুত্রে ইউনুস আবু৩ তালিবের কতক কবিতা উদ্ধৃত করেছেন ৷ সেগুলােতে
তিনি উতবার প্ৰশ০ যা করেছেন ৷

বায়হাকী (র) বলেন, আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ ইস্পাহানী ইবন উমর
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উতবা ইবন রাবীআর নিকট ন্
ব্লুটু ৷ ;,ঠুছুটু ৷ ঠেপুপ্ :;:,;: পাঠ করার পর সে তার সাথীদের নিকট উপ ত হয় ৷ সে
তাদেরকে বলে, হে আমার সম্প্রদায় এ বিষয়ে আজকের মত তোমরা আমার কথা মেনে নাও ৷
এরপর না হয় আমার অবাধ্য হবে ৷ আল্লাহর কসম, ওর নিকট থেকে আমি এমন বাণী শুনেছি
যা আমার কান দু’টি কোন দিন শুনেনি ৷ আমি তার কী উত্তর দিব, তা ও আমি বুঝে উঠতে
পারিনি ৷ এ সনদে এটি খুবই অপরিচিত বর্ণনা ৷
এরপর বায়হাকী (র) হাকিম যুহরী সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, আমার
নিকট এ মর্মে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আবু জাহল, আবু সুফিয়ান এবং আখনাস ইবন শুরায়ক
প্রমুখ এক রাতে রাসুলুল্লাহ (না)-এর কুরআন পাঠ শোনার জন্যে বের হয় ৷ তিনি তখন নিজ
গৃহে নামায আদায় করছিলেন ৷ তারা প্রত্যেকেই গোপনে এক একটি স্থানে বসে পড়ে ৷ তাদের


وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ عَبَّاسٍ الدُّورِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الْأَجْلَحِ بِهِ. وَفِيهِ كَلَامٌ، وَزَادَ: «وَإِنْ كُنْتَ إِنَّمَا بِكَ الرِّيَاسَةُ عَقَدْنَا أَلْوِيَتَنَا لَكَ، فَكُنْتَ رَأْسَنَا مَا بَقِيتَ. وَعِنْدَهُ: أَنَّهُ لَمَّا قَالَ لَهُ: {فَإِنْ أَعْرَضُوا فَقُلْ أَنْذَرْتُكُمْ صَاعِقَةً مِثْلَ صَاعِقَةِ عَادٍ وَثَمُودَ} [فصلت: 13] أَمْسَكَ عُتْبَةُ عَلَى فِيهِ، وَنَاشَدَهُ الرَّحِمَ أَنْ يَكُفَّ عَنْهُ، وَلَمْ يَخْرُجْ إِلَى أَهْلِهِ، وَاحْتَبَسَ عَنْهُمْ. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ مَا نَرَى عُتْبَةَ إِلَّا صَبَأَ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَأَعْجَبَهُ طَعَامُهُ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا مِنْ حَاجَةٍ أَصَابَتْهُ، انْطَلِقُوا بِنَا إِلَيْهِ. فَأَتَوْهُ، فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: وَاللَّهِ يَا عُتْبَةُ مَا جِئْنَا إِلَّا أَنَّكَ صَبَوْتَ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَأَعْجَبَكَ أَمْرُهُ، فَإِنْ كَانَ بِكَ حَاجَةٌ جَمَعْنَا لَكَ مِنْ أَمْوَالِنَا مَا يُغْنِيكَ عَنْ طَعَامِ مُحَمَّدٍ. فَغَضِبَ وَأَقْسَمَ بِاللَّهِ لَا يُكَلِّمُ مُحَمَّدًا أَبَدًا، وَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَكْثَرِ قُرَيْشٍ مَالًا، وَلَكِنِّي أَتَيْتُهُ وَقَصَّ عَلَيْهِمُ الْقِصَّةَ فَأَجَابَنِي بِشَيْءٍ وَاللَّهِ مَا هُوَ بِسِحْرٍ وَلَا بِشِعْرٍ وَلَا كِهَانَةٍ، قَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {حم - تَنْزِيلٌ مِنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [فصلت: 1 - 2] حَتَّى بَلَغَ {فَإِنْ أَعْرَضُوا فَقُلْ أَنْذَرْتُكُمْ صَاعِقَةً مِثْلَ صَاعِقَةِ عَادٍ وَثَمُودَ} [فصلت: 13] فَأَمْسَكْتُ بِفِيهِ، وَنَاشَدْتُهُ الرَّحِمَ أَنْ يَكُفَّ، وَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ مُحَمَّدًا إِذَا قَالَ شَيْئًا لَمْ يَكْذِبْ، فَخِفْتُ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْكُمُ الْعَذَابُ.»
পৃষ্ঠা - ১৮৬৮
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: حُدِّثْتُ أَنَّ عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَكَانَ سَيِّدًا حَلِيمًا قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ جَالِسٌ فِي نَادِي قُرَيْشٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَالِسٌ وَحْدَهُ فِي الْمَسْجِدِ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، أَلَا أَقُومُ إِلَى هَذَا فَأُكَلِّمُهُ فَأَعْرِضُ عَلَيْهِ أُمُورًا، لَعَلَّهُ يَقْبَلُ بَعْضَهَا وَيَكُفُّ عَنَّا؟ قَالُوا: بَلَى يَا أَبَا الْوَلِيدِ. فَقَامَ عُتْبَةُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِيمَا قَالَ لَهُ عُتْبَةُ وَفِيمَا عَرَضَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنَ الْمَالِ، وَالْمُلْكِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَقَالَ زِيَادٌ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: «فَقَالَ عُتْبَةُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، أَلَا أَقُومُ إِلَى مُحَمَّدٍ فَأُكَلِّمُهُ، وَأَعْرِضُ عَلَيْهِ أُمُورًا لَعَلَّهُ يَقْبَلُ بَعْضَهَا، فَنُعْطِيهِ أَيُّهَا شَاءَ وَيَكُفُّ عَنَّا وَذَلِكَ حِينَ أَسْلَمَ حَمْزَةُ وَرَأَوْا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَزِيدُونَ وَيَكْثُرُونَ فَقَالُوا: بَلَى يَا أَبَا الْوَلِيدِ فَقُمْ إِلَيْهِ فَكَلِّمْهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ عُتْبَةُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، إِنَّكَ مِنَّا حَيْثُ قَدْ عَلِمْتَ مِنَ السِّطَةِ فِي الْعَشِيرَةِ، وَالْمَكَانِ فِي النَّسَبِ، وَإِنَّكَ قَدْ أَتَيْتَ قَوْمَكَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ، فَرَّقْتَ بِهِ جَمَاعَتَهُمْ، وَسَفَّهْتَ
পৃষ্ঠা - ১৮৬৯


একে অন্যের আগমন সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল না ৷ সারারাত তারা কুরআন তিলাওয়াত গােনে ৷
ভোরে তারা আপন আপন গৃহ অভিমুখে যাত্রা করে ৷ পথিমধ্যে তাদের দেখা হয়ে যায় ৷ তখন
তারা এ কাজের জন্যে একে অন্যকে ভর্ধসনা করে এবং একে অন্যকে বলে, খবরদার, আর
কখনো এখানে আসবে না ৷

তোমাদের কোন মুর্থজন যদি দেখে, তবে তার মনে নিশ্চয়ই সন্দেহ সৃষ্টি হবে ৷ এরপর
তারা নিজ নিজ গম্ভব্যপথে চলে যায় ৷ দ্বিতীয় রাতেও তাদের প্রত্যেকে গোপনে এসে নিজ নিজ
স্থানে বলে এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনে রাত কাটিয়ে দেয় ৷ প্রত্যুষে প্রত্যেকে নিজ নিজ পথে
ফিরে যেতে থাকে ৷ কেউ পথিমধ্যে আবার পরস্পরে সাক্ষাত হয়ে যায় ৷

পুনরায় না আসার জন্যে গতরাতে একে অন্যকে যে ভাবে বুঝিয়েছিল এ রাতেও
একে অন্যকে যে ভাবে বুঝাল ৷ তারপর তারা যে স্থান ত্যাগ করল ৷ কিন্তু তৃতীয় রাতেও
তাদের প্রত্যেকে গোপনে নিজ নিজ স্থানে এসে বসে পড়ে এবং তিলাওয়াত শুনে রাত কাটিয়ে
দেয় ৷ প্রভ্যুষে প্রত্যেকে স্ব-স্ব গৃহ অভিমুখে যাত্রা করে ৷ কিন্তু পথে আবার তাদের দেখা হয়ে
যায় ৷ এবার তারা বলে, “না, আর চলতে দেয়া যায় না ৷ আসুন, আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
হই যে, আমরা আর এখানে আসর না ৷ ’ এরপর তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এবং নিজ নিজ পথে চলে
যায় ৷

প্রত্যুষে আখনাস ইবন শুরায়ক লাঠি হাতে ঘর থেকে বের হয় এবং আবু সুফিয়ানের বাড়ি
এসে তার সাথে দেখা করে ৷ সে বলে, “হে আবু হানযালা ৷ (আবু সুফিয়ানের উপনাম)
মুহাম্মদের মুখ থেকে আপনি যা শুনেছেন সে সম্পর্কে আপনার মতামত ব্যক্ত করুন তো হ্ আবু
সুফিয়ান বলল, হে আবু ছা’লাবা ! আল্লাহ্র কসম, আমি এমন কিছু শুনেছি যা আমি ভালভাবে
জ্ঞাত আছি এবং এর পেছনে কী উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তাও আমি জানি ৷ তখন আখনাস বলল,
আপনি যার কসম করেছেন আমিও তার কসম করে বলছি, আমার অভিমতও তাই ৷

এরপর সে ওখান থেকে বের হয়ে আবুজাহ্লের বাড়ি যায় এবং বলে, হে আবুল হাকামা
মুহাম্মাদ থেকে আপনি যা শুনেছেন সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কী ? সে বলল, আমি যা
শুনেছি, তা হল আমরা এবং আবৃদ মানাফ গোত্র মর্যাদা ও সম্মান অর্জনে প্রতিযোগিতারত ৷
তারা লোকজনকে আপ্যায়ন করেছে আমরাও তা করেছি ৷ তারা লোকজনকে সওয়ার হবার
জন্যে বাহন দিয়েছে আমরাও বাহন দিয়েছি ৷ তারা দান-দক্ষিণা করেছে আমরাও দান-দক্ষিণা
করেছি ৷ অবশেষে আমরা যখন সওয়ারীতে আরোহণ করে অসাধারণ দ্রুতগতিতে অগ্রসর
হচ্ছিলাম আর আমরা ছিলাম প্রতিযোগিতায় রত দুটো অশ্ব, তখন তারা বলে উঠল, আমাদের
মধ্যে একজন নবী আছেন, আসমান থেকে যার নিকট ওহী আসে ৷ হায় আমরা ওই মর্যাদা
কোথায় পাব ? আল্পাহ্র কলম, আমি ওই বাণী আর কোন দিন শুনবও না আর সেটি সত্য
বলেও মেনে দেব না ৷ এরপর আখনাস ইবন শুরায়ক সেখান থেকে চলে যায় ৷

এরপর বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল-হাকিম মুগীরাইবন শুবা (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি প্রথম যেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে চিনতে পাই, সেদিনের


بِهِ أَحْلَامَهُمْ، وَعِبْتَ بِهِ آلِهَتَهُمْ وَدِينَهُمْ، وَكَفَّرْتَ بِهِ مَنْ مَضَى مِنْ آبَائِهِمْ، فَاسْمَعْ مِنِّي حَتَّى أَعْرِضَ عَلَيْكَ أُمُورًا تَنْظُرُ فِيهَا، لَعَلَّكَ تَقْبَلُ مِنْهَا بَعْضَهَا. قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " يَا أَبَا الْوَلِيدِ أَسْمَعُ ". قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، إِنْ كُنْتَ إِنَّمَا تُرِيدُ بِمَا جِئْتَ بِهِ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ مَالًا، جَمَعْنَا لَكَ مِنْ أَمْوَالِنَا حَتَّى تَكُونَ أَكْثَرَنَا مَالًا، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ بِهِ شَرَفًا، سَوَّدْنَاكَ عَلَيْنَا، حَتَّى لَا نَقْطَعَ أَمْرًا دُونَكَ، وَإِنْ كُنْتُ تُرِيدُ بِهِ مُلْكًا مَلَّكْنَاكَ عَلَيْنَا، وَإِنْ كَانَ هَذَا الَّذِي يَأْتِيكَ رَئِيًّا تَرَاهُ، لَا تَسْتَطِيعُ رَدَّهُ عَنْ نَفْسِكَ طَلَبْنَا لَكَ الطِّبَّ، وَبَذَلْنَا فِيهِ أَمْوَالَنَا، حَتَّى نُبْرِئَكَ مِنْهُ، فَإِنَّهُ رُبَّمَا غَلَبَ التَّابِعُ عَلَى الرَّجُلِ، حَتَّى يُدَاوَى مِنْهُ. أَوْ كَمَا قَالَ لَهُ. حَتَّى إِذَا فَرَغَ عُتْبَةُ وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَسْتَمِعُ مِنْهُ، قَالَ لَهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " أَفَرَغْتَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ؟ ". قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " فَاسْمَعْ مِنِّي ". قَالَ: أَفْعَلُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {حم - تَنْزِيلٌ مِنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ - كِتَابٌ فُصِّلَتْ آيَاتُهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ} [فصلت: 1 - 3] فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقْرَؤُهَا، فَلَمَّا سَمِعَ بِهَا عُتْبَةُ أَنْصَتَ لَهَا، وَأَلْقَى بِيَدَيْهِ خَلْفَهُ أَوْ خَلْفَ ظَهْرِهِ مُعْتَمِدًا عَلَيْهِمَا ; لِيَسْمَعَ مِنْهُ، حَتَّى انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِلَى السَّجْدَةِ فَسَجَدَهَا، ثُمَّ قَالَ: " سَمِعْتَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ؟ ". قَالَ: سَمِعْتُ. قَالَ: " فَأَنْتَ وَذَاكَ ". ثُمَّ قَامَ عُتْبَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: نَحْلِفُ بِاللَّهِ، لَقَدْ جَاءَكُمْ أَبُو الْوَلِيدِ بِغَيْرِ الْوَجْهِ الَّذِي ذَهَبَ بِهِ. فَلَمَّا جَلَسُوا إِلَيْهِ، قَالُوا: مَا وَرَاءَكَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ؟ قَالَ: وَرَائِي أَنِّي وَاللَّهِ قَدْ سَمِعْتُ قَوْلًا
পৃষ্ঠা - ১৮৭০
مَا سَمِعْتُ مِثْلَهُ قَطُّ، وَاللَّهِ مَا هُوَ بِالشِّعْرِ، وَلَا الْكِهَانَةِ، يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، أَطِيعُونِي وَاجْعَلُوهَا بِي، خَلُّوا بَيْنَ هَذَا الرَّجُلِ وَبَيْنَ مَا هُوَ فِيهِ وَاعْتَزِلُوهُ، فَوَاللَّهِ لَيَكُونَنَّ لِقَوْلِهِ الَّذِي سَمِعْتُ نَبَأً، فَإِنْ تُصِبْهُ الْعَرَبُ، فَقَدْ كُفِيتُمُوهُ بِغَيْرِكُمْ، وَإِنْ يَظْهَرْ عَلَى الْعَرَبِ، فَمُلْكُهُ مُلْكُكُمْ، وَعِزُّهُ عِزُّكُمْ، وَكُنْتُمْ أَسْعَدَ النَّاسِ بِهِ، قَالُوا: سَحَرَكَ وَاللَّهِ يَا أَبَا الْوَلِيدِ بِلِسَانِهِ. قَالَ: هَذَا رَأْيِي لَكُمْ، فَاصْنَعُوا مَا بَدَا لَكُمْ» . ثُمَّ ذَكَرَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ شِعْرًا قَالَهُ أَبُو طَالِبٍ يَمْدَحُ فِيهِ عُتْبَةَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْأَصْبَهَانِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ الْآدَمِيُّ بِمَكَّةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَيُّوبَ أَحْمَدُ بْنُ بِشْرٍ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ زُرْعَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَمَّا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ {حم تَنْزِيلٌ مِنَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [فصلت: 1] أَتَى أَصْحَابَهُ، فَقَالَ لَهُمْ: يَا قَوْمِ، أَطِيعُونِي فِي هَذَا الْأَمْرِ الْيَوْمَ، وَاعْصُونِي فِيمَا بَعْدَهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ كَلَامًا مَا سَمِعَتْ أُذُنَايَ كَلَامًا مِثْلَهُ، وَمَا دَرَيْتُ مَا أَرُدُّ عَلَيْهِ.» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ
পৃষ্ঠা - ১৮৭১


ঘটনা এই : আমি এবং আবু জাহ্ল মক্কার এবচু পলি দিয়ে হেটে যাচ্ছিলড়াম ৷ হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে আমাদের দেখা হয়ে যায় ৷ আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, হে
আবুল হাকাম! আপনি আল্লাহর প্রতি এবং তীর রাসুলের প্রতি এগিয়ে আসুন, আমি আপনাকে
আল্লাহ্র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ৷ আবু জাহ্ল বলল, হে মুহাম্মাদ, আমাদের উপাস্যগুলাের
সমালোচনা ও ওগুলােকে গালমন্দ করা থেকে তুমি কি বিরত থাকবে ? তুমি কি এটাই চাও যে,
আমি এই সাক্ষ্য দিই যে, তুমি তোমার রিসালাংতর দায়িত্ব ণ্:পীছে দিয়েছ ? আমরা কি কখনো
তোমার দায়িত্ব পালনের সাক্ষ্য দিব ?

আল্লাহর কলম, আমি যদি জানতাম যে, তুমি যা বলছ তা সত্য, তবে আমি নিশ্চয়ই
তোমার অনুসরণ করতড়াম ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আপন পথে চলে গেলেন ৷ আর আবু
জাহ্ল আমার দিকে ফিরে বলল, আল্লাহর কলম, আমি নি ত জানি যে, সে যা বলছে তা
সত্য ৷ তবে কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো আমাকে তার অনুসরণে বাধা দিচ্ছে ৷ গৌরব ও মর্যাদা
বর্ণনার প্রতিযোগিতায় কুসাইর বংশধরগণ বলল, আমাদের আছে কাবাগৃহ তত্ত্বড়াবধানের
দায়িত্ব, তখন আমরা বললাম, হী৷ , ঠিক আছে ৷ তারা বলুল , আমাদের আছে হড়াজীদেরকে পানি
পান করানোর মর্যাদাপুর্ণ দায়িত্ব ৷ আমরা বললাম, হী৷ তাও ঠিক আছে ৷ তারা বলল, আমাদের
আছে পরামর্শ সভার দায়িত্ব ৷ আমরা বললাম, হী৷ তাও ঠিক আছে ৷ তারা বলল, আমাদের
পতাকা বহনের দায়িত্ব আছে, আমরা বললাম, ছুব্রুা, তাও আছে বৈ কি৷ এরপর তারা
লোকজনকে আখ্যায়িত করে এবং আমরা লোকজনকে আখ্যায়িত করি ৷

অবশেষে প্রতিযোগী দুই সওয়াবী যখন সমান সমান হয়ে গেল, তখন তারা, বলল,
আমাদের মধ্যে একজন নবী আছেন ৷” সুতরাং আল্লাহর কলম, আমি কখনো তার অনুসরণ
করব না ৷

বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ হাকিম আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আবু জাহ্ল ও আবু সুফিয়ান এক জায়গায় বসা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের পাশ
দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন ৷ আবু জাহ্ল বলল, এটি তোমাদের নবী, হে আব্দ শামসৃ গোত্র! আবু
সুফিয়ান বলল, আমাদের পােত্রে নবী আবির্ভুত হবে এতে কি তুমি অবাক হচ্ছে৷ ? তাহলে কি
যারা আমাদের চেয়ে সংখ্যায় কম এবং মর্যাদায় নীচ , তাদের মধ্য থেকে নবী হবে ? আবু জাহ্ল
বলল, আমার অবাক সাথে এ জন্যে যে, প্রবীণ লোকদেরকে বাদ দিয়ে অল্পবয়স্ক বালক কেমন
করে নবী হয় ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কথাবার্তা শুনছিলেন ৷ তিনি তাদের নিকট এসে
বললেন, হে আবু সুফিয়ান৷ আপনি তো আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের জন্যে ক্রুদ্ধ হননি আপনি
বরং ক্রুদ্ধ হয়েছেন নিজের বংশ মর্যাদার জন্যে ৷ আর হে আবুল হাকাম ! আল্লাহর কলম, আপনি
অবশ্যই প্রচুর র্কাদবেন এবং কম হাসবেন ৷ তখন আবু জাহ্ল বলল, তাতিজা! তোমার
নবুওয়াতী দৃষ্টিকোণ থেকে তুমি আমাকে কত মন্দ সতর্কবাণীই না শুনালে৷ এ সুত্রে হড়াদীছটি
-মুরসাল ঘটে এবং এটির মধ্যে কোন এক স্থানে বর্ণনাকারীর সংখ্যা মাত্র একজনে নেমে
এসেছে

১৭ ৰু ণোণোণো(ট্রুঘ্নেরাঃ৪গাে০ওেয়াে

عَنْ يُونُسَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ قَالَ: حُدِّثْتُ «أَنَّ أَبَا جَهْلٍ وَأَبَا سُفْيَانَ وَالْأَخْنَسَ بْنَ شَرِيقٍ خَرَجُوا لَيْلَةً لِيَسْمَعُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ فِي بَيْتِهِ، فَأَخَذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَجْلِسًا لِيَسْتَمِعَ مِنْهُ، وَكُلٌّ لَا يَعْلَمُ بِمَكَانِ صَاحِبِهِ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ، حَتَّى إِذَا أَصْبَحُوا وَطَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَتَلَاوَمُوا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: لَا تَعُودُوا فَلَوْ رَآكُمْ بَعْضُ سُفَهَائِكُمْ لَأَوْقَعْتُمْ فِي نَفْسِهِ شَيْئًا. ثُمَّ انْصَرَفُوا، حَتَّى إِذَا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّانِيَةُ، عَادَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى مَجْلِسِهِ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ مِثْلَ مَا قَالُوا أَوَّلَ مَرَّةٍ. ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الثَّالِثَةُ، أَخَذَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مَجْلِسَهُ، فَبَاتُوا يَسْتَمِعُونَ لَهُ، حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ تَفَرَّقُوا، فَجَمَعَهُمُ الطَّرِيقُ، فَقَالُوا: لَا نَبْرَحُ حَتَّى نَتَعَاهَدَ أَنْ لَا نَعُودَ فَتَعَاهَدُوا عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ تَفَرَّقُوا فَلَمَّا أَصْبَحَ الْأَخْنَسُ بْنُ شَرِيقٍ أَخَذَ عَصَاهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى أَبَا سُفْيَانَ فِي بَيْتِهِ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي يَا أَبَا حَنْظَلَةَ عَنْ رَأْيِكَ فِيمَا سَمِعْتَ مِنْ مُحَمَّدٍ. فَقَالَ: يَا أَبَا ثَعْلَبَةَ وَاللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ أَشْيَاءَ أَعْرِفُهَا وَأَعْرِفُ مَا يُرَادُ بِهَا. فَقَالَ الْأَخْنَسُ: وَأَنَا وَالَّذِي حَلَفْتَ بِهِ. ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ حَتَّى أَتَى أَبَا جَهْلٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ بَيْتَهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْحَكَمِ مَا رَأْيُكَ فِيمَا سَمِعْتَ مِنْ مُحَمَّدٍ؟ فَقَالَ: مَاذَا سَمِعْتُ! تَنَازَعْنَا نَحْنُ وَبَنُو عَبْدِ مَنَافٍ الشَّرَفَ ; أَطْعَمُوا فَأَطْعَمْنَا، وَحَمَلُوا فَحَمَلْنَا، وَأَعْطَوْا فَأَعْطَيْنَا، حَتَّى إِذَا تَجَاثَيْنَا عَلَى الرُّكَبِ، وَكُنَّا كَفَرَسَيْ رِهَانٍ، قَالُوا: مِنَّا نَبِيٌّ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنَ السَّمَاءِ، فَمَتَى نُدْرِكُ هَذِهِ؟ وَاللَّهِ لَا نَسْمَعُ بِهِ أَبَدًا، وَلَا نُصَدِّقُهُ. فَقَامَ عَنْهُ الْأَخْنَسُ بْنُ شَرِيقٍ»
পৃষ্ঠা - ১৮৭২
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: «إِنَّ أَوَّلَ يَوْمٍ عَرَفْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنِّي كُنْتُ أَمْشِي أَنَا وَأَبُو جَهْلِ بْنُ هِشَامٍ فِي بَعْضِ أَزِقَّةِ مَكَّةَ، إِذْ لَقِيَنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِأَبِي جَهْلٍ: " يَا أَبَا الْحَكَمِ هَلُمَّ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ، أَدْعُوكَ إِلَى اللَّهِ ". فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: يَا مُحَمَّدُ، هَلْ أَنْتَ مُنْتَهٍ عَنْ سَبِّ آلِهَتِنَا؟ هَلْ تُرِيدُ إِلَّا أَنْ نَشْهَدَ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ؟ فَنَحْنُ نَشْهَدُ أَنَّ قَدْ بَلَّغْتَ، فَوَاللَّهِ لَوْ أَنِّي أَعْلَمُ أَنَّ مَا تَقُولُ حَقٌّ لَاتَّبَعْتُكَ. فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَقْبَلَ عَلِيٌّ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّ مَا يَقُولُ حَقٌّ، وَلَكِنْ يَمْنَعُنِي شَيْءٌ ; إِنَّ بَنِي قُصَيٍّ، قَالُوا: فِينَا الْحِجَابَةُ. فَقُلْنَا: نَعَمْ. ثُمَّ قَالُوا: فِينَا السِّقَايَةُ. فَقُلْنَا: نَعَمْ. ثُمَّ قَالُوا: فِينَا النَّدْوَةُ. فَقُلْنَا: نَعَمْ. ثُمَّ قَالُوا فِينَا اللِّوَاءُ. فَقُلْنَا: نَعَمْ. ثُمَّ أَطْعَمُوا وَأَطْعَمْنَا، حَتَّى إِذَا تَحَاكَّتِ الرُّكَبُ، قَالُوا: مِنَّا نَبِيٌّ. وَاللَّهِ لَا أَفْعَلُ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو بَكْرٍ قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ الْأَصَمُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ
পৃষ্ঠা - ১৮৭৩


আবু জা হলের উপরোক্ত বক্তব্য উল্লেখ করে৩ তার নিজের ও তার সঙ্গীদের অবস্থান সম্পর্কে
অ আল্লাহ তা আলা বলেন০ :

পুষ্১এে১
র্দুর্চুএ ঞা
দুাধ্০া
ওরা যখন আপনাকে দেখে, তখন ওরা আপনাকে কেবল ঠাট্টাংচ্ৰদ্র্যপের পাত্ররুপে গণ্য করে
এবং বলে, এই কি সে, যাকে আল্লাহ্ রাসুলরুপে পাঠিয়েছেনঃ সে তো আমাদেরকে আমাদের

দেবতাগণ থেকে দুরে সরিয়ে দিত, যদি না আমরা তাদের আনুগকৃত্যদৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতামা
যখন ওরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন ওরা জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট (২৫ : ৪ ১ ৪ ২)

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম হযরত ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বণনা করেন ৷
তিনি বলেন৪ £ণ্,০ ং;০৯ান্ ১াএ এও১াঞ ;,,;; ৰুা’এ সালাতোর উচ্চ করবেন না এবং
অতিশয় ক্ষীণও করবেন না এ দৃয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন (১ ৭০ ং ১১০) আয়াতটি যখন
নাযিল হয় ৷ তখন র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় আত্মগােপন করে থাকতেন ৷ এ প্রসংগে হযরত ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে নামায পডতেন, তখন
উইচ্চওারে কুরআন পাঠ করতে ন ৷ মুশরিকগণ কুরআনের শব্দ শুনে কুরআনকে, যিনি কুরআন

নাযিল করেছেন তাকে এবং যিনি কুরআন এনেছেন৩ তাকে গালমন্দ করত ৷ এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্

তা আলা তার নবী মুহাম্মাদ (না)-কে উদ্দেশ্য করে বললেনং : ;০১া ং,;, ;;§’, অর্থাৎ
উভৈচ্চ৪ারে কুরআন পাঠ করবেন না ৷ উভৈচ্চ৪ারে কুরআন পাঠ করলে মুশরিকগণ ৷তা শুনে
কুরআ নকে পালমন্দ করবে ৷ ং;০স্া১ট্রু১াট্রু অর্থাৎ আপনার সাহাবীগণ ৷শুনতে না পান এমন ক্ষীণ
ারেও পাঠ করবেন না ৷ ক্ষীণ ৷ারে পাঠ করলে তারা আপনার নিকট থেকে তা গ্রহণ করতে
পারবেন না ৷ ১া০ ;া৷ট্র ;,;; ব্লু:াএ বরং এ দৃয়ের মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করুন (১ ৭
১১০)া

ইমাম বুখারী ও মুসলিম এ হাদীছ আবু বিশর জাফর ইবন আবী হাইয়৷ থেকে উক্ত সনদে
বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, দাউদ ইবন হুসড়ায়ন ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায পড়ার সময় যখন উভৈচ্চ৪াবে কুরআন৩ তিলাওয়াত
করতেন, তখন মুশরিকরা সেখান থেকে দুরে সরে যেত এবং তার কণ্ঠে তা শুনতে অনীহা
প্রকাশ করতে৷ ৷ কোন লোক যদিােচ্ছায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নামায আদায়কালীন কুরআন
তিলাওয়াত শুনতে চাইত, তবে৩ তাদের থেকে পৃথক হয়ে একাকী সংগােপনে সে৩ তা শুনত ৷ যদি
সে দেখত যে, তার কুরআন শ্রবণ ৷সম্পর্কে ওরা জেনে ফেলেছে, তার ওদের নির্যাতনের ভয়ে
সে ওখান থেকে চলে যেত, তার আর শোনা হত না ৷


حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: «مَرَّ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى أَبِي جَهْلٍ وَأَبِي سُفْيَانَ وَهُمَا جَالِسَانِ، فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: هَذَا نَبِيُّكُمْ يَا بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَتَعْجَبُ أَنْ يَكُونَ مِنَّا نَبِيٌّ! فَالنَّبِيُّ يَكُونُ فِيمَنْ أَقَلُّ مِنَّا وَأَذَلُّ. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: عَجَبٌ أَنْ يَخْرُجَ غُلَامٌ مِنْ بَيْنِ شُيُوخٍ نَبِيًّا. وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَسْمَعُ فَأَتَاهُمَا، فَقَالَ: " أَمَّا أَنْتَ يَا أَبَا سُفْيَانَ فَمَا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ غَضِبْتَ، وَلَكِنَّكَ حَمِيتَ لِلْأَصْلِ، وَأَمَّا أَنْتَ يَا أَبَا الْحَكَمِ فَوَاللَّهِ لَتَضْحَكَنَّ قَلِيلًا، وَلَتَبْكِيَنَّ كَثِيرًا ". فَقَالَ: بِئْسَمَا تَعِدُنِي يَا ابْنَ أَخِي مِنْ نُبُوَّتِكَ.» هَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ. وَقَوْلُ أَبِي جَهْلٍ لَعَنَهُ اللَّهُ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى مُخْبِرًا عَنْهُ وَعَنْ أَضِرَابِهِ: {وَإِذَا رَأَوْكَ إِنْ يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَذَا الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ رَسُولًا إِنْ كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ آلِهَتِنَا لَوْلَا أَنْ صَبَرْنَا عَلَيْهَا وَسَوْفَ يَعْلَمُونَ حِينَ يَرَوْنَ الْعَذَابَ مَنْ أَضَلُّ سَبِيلًا} [الفرقان: 41] [الْفَرْقَانِ: 41 - 42] وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَرَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مُتَوَارٍ بِمَكَّةَ: {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] . قَالَ: كَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ، فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْمُشْرِكُونَ سَبُّوا الْقُرْآنَ، وَسَبُّوا مَنْ أَنْزَلَهُ، وَمَنْ جَاءَ بِهِ. قَالَ: فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِنَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ} [الإسراء: 110] أَيْ بِقِرَاءَتِكَ، فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ، فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ، {وَلَا تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] عَنْ أَصْحَابِكَ فَلَا تُسْمِعُهُمُ الْقُرْآنَ، حَتَّى يَأْخُذُوهُ عَنْكَ {وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا} [الإسراء: 110] »
পৃষ্ঠা - ১৮৭৪
وَهَكَذَا رَوَاهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ بِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا جَهَرَ بِالْقُرْآنِ، وَهُوَ يُصَلِّي، تَفَرَّقُوا عَنْهُ، وَأَبَوْا أَنْ يَسْتَمِعُوا مِنْهُ، وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْمَعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ بَعْضَ مَا يَتْلُو وَهُوَ يُصَلِّي اسْتَرَقَ السَّمْعَ دُونَهُمْ ; فَرَقًا مِنْهُمْ، فَإِنْ رَأَى أَنَّهُمْ قَدْ عَرَفُوا أَنَّهُ يَسْتَمِعُ، ذَهَبَ خَشْيَةَ أَذَاهُمْ، فَلَمْ يَسْتَمِعْ، فَإِنْ خَفَضَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَمْ يَسْمَعِ الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ مِنْ قِرَاءَتِهِ شَيْئًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ} [الإسراء: 110] فَيَتَفَرَّقُوا عَنْكَ {وَلَا تُخَافِتْ بِهَا} [الإسراء: 110] فَلَا يَسْمَعُ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْمَعَهَا مِمَّنْ يَسْتَرِقُ ذَلِكَ، لَعَلَّهُ يَرْعَوِي إِلَى بَعْضِ مَا يَسْمَعُ، فَيَنْتَفِعُ بِهِ {وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلًا} [الإسراء: 110] »