كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل: في تأليب الملأ من قريش على رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وأصحابه
পৃষ্ঠা - ১৮২৯
ব্যক্তিটি সে বক্তব্যটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে বলে-হে আবুল কাসিম ! তালোয় ভালােয় এখান
থেকে চলে যাও তুমি তো মুর্থ নও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ পরের দিন তারা সকলে
পুনরায় হাভীম অংশে সমবেত হয় ৷ আমিওত ৷দের সাথে ছিলাম ৷ তারা একে অন্যকে বলে,
তোমরা যা কিছু করো ন আর সে যা কিছু করেছে তা তো তোমাদের সবারই আছে ৷ এমনকি
যখন সে তোমাদের অপসন্দের কথা বলেছে তোমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছ ৷
ইতোমধ্যে রাসুলুল্পাহ (সা) এসে সেখানে উপস্থিত হন ৷ তারা সব ই একযােপে তার উপর
আক্রমণ চালায় ৷ সকলে তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তিনি তাদের দীন ধর্ম ও
উপাস্যদের যে দােষত্রুটি বর্ণনা ও সমালোচনা করেন, সেগুলো উল্লেখ করে তারা বলে, তুমিই
কি এরুপ বলে থাক ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ছুা, আমিই এরুপ বলে থাকি ৷ তাদের
একজনকে আমি দেখলাম যে, সে তার চাদরের উভয় প্রান্ত কষে ধরে তার গলায় পেচিয়ে
সজােরে টানছে ৷ এদিকে তার পেছনে দাড়িয়ে হযরত আবু বকর (রা)ত তার প্রতিবাদ করে
বলছিলেন, তোমাদের সর্বনাম হোক ৷ তোমরা একজন মানুষকে কি কেবল এ জন্যেই হত্যা
করবে যে, সে বলে আমার প্রতিপালক আল্লাহ ন্ তখন তারা তাকে ছেড়ে চলে যায় ৷
কুরায়শদের নিষ্ঠুর আচরণসমুহের মধ্যে এটিই আমার দেখা নিষ্ঠুরতম আচরণ ৷
পবিচ্ছেদ
রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবীগণের প্ৰতি কুরায়শ নেতৃবর্গের আক্রোশ , তার
সাহায্য-সহযোগ্ পিতা ও তাকে রক্ষা করার সর্বদা ৷প্রস্তুত তার চাচা আবু তালিবের নিকট তাদের
সমবেত উপস্থিতি এবংত ত ৷কে তাদের হাতে সােপর্দ করার দুরাশা ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছার
চাচা আবুতালিব তাকে তাদের হাতে সােপর্দ করতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী’ আনাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে আমি এমন নির্যাতন ভোগ করেছি যা অন্য
কাউকে ভোগ করতে হয়নি ৷ আল্লাহ্র পথে আমি এমন ভয়-ভীতির মুখোমুখি হয়েছি অন্য কেউ
তেমনটি হয়নি ৷ রাতে-দিনে ত্রিশ দিন আমার এমন কেটেছে যে , আমার নিকট এবং বিলালের
নিকট কে ন জীবের আহারযোগ্য কিছুই ছিল না ৷ বিলাল তার বগলের নীচে যেটুকু খাদ্য
রেখেছিলত ৷ব্যভীত ৩৷ তিরমিযী ও ইবন মজােহ্ হাম্মাদ ইবন সালামাহ্ থেকে এ হাদীছটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷ তিরমিযী একে সহীহ্ ও হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, চাচা আবু তালিব রাসুলুল্লাহ (সা) এর প্রতি অপার দয়া
দেখিয়েছেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে রক্ষা করেছেন এবংত তার পাশে দাড়িয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) অব্যাহত গতিতে দীন প্রচারে আল্লাহ নির্দেশ পালন করে গিয়েছেন ৷ কো ন কিছুই৩ ৷ ৩াকে
দীন প্রচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি ৷ কুরায়শরা যখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে পরিত্যাগ
করা এবং তাদের উপাস্যদের সমালোচনা করা ইত্যাকার তাদের অপসন্দনীয় কাজগুলো থেকে
রাসুলুল্লাহ (না) বিরত থাকছেন না এবং তারা এও দেখল যে, চাচা আবু তালিব তার প্রতি
সহানুভুতি দেখিয়ে যাচ্ছেন, তার পাশে দাড়িয়ে এবং তাকে ওদের হাতে সােপর্দ করতে
অস্বীক৷ ৷র করছেন, তখন তাদের নেতস্থানীয় একটি প্রতিনিধি দল আবু তালিবের নিকট উপস্থিত
إِلَّا وَكَأَنَّمَا عَلَى رَأْسِهِ طَائِرٌ وَاقِعٌ، حَتَّى إِنَّ أَشَدَّهُمْ فِيهِ وَصَاةً قَبْلَ ذَلِكَ لَيَرْفَؤُهُ حَتَّى إِنَّهُ لَيَقُولُ: انْصَرِفْ أَبَا الْقَاسِمِ رَاشِدًا، فَمَا كُنْتَ بِجَهُولٍ. فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى إِذَا كَانَ الْغَدُ اجْتَمَعُوا فِي الْحِجْرِ وَأَنَا مَعَهُمْ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: ذَكَرْتُمْ مَا بَلَغَ مِنْكُمْ وَمَا بَلَغَكُمْ عَنْهُ حَتَّى إِذَا بَادَأَكُمْ بِمَا تَكْرَهُونَ تَرَكْتُمُوهُ! فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ طَلَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَوَثَبُوا إِلَيْهِ وَثْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَأَحَاطُوا بِهِ يَقُولُونَ: أَنْتَ الَّذِي تَقُولُ كَذَا وَكَذَا؟ لِمَا كَانَ يَبْلُغُهُمْ مِنْ عَيْبِ آلِهَتِهِمْ وَدِينِهِمْ، فَيَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " نَعَمْ، أَنَا الَّذِي أَقُولُ ذَلِكَ ". وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا مِنْهُمْ أَخَذَ بِمَجَامِعِ رِدَائِهِ، وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ يَبْكِي دُونَهُ، وَيَقُولُ: وَيْلَكُمْ أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّي اللَّهُ ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَإِنَّ ذَلِكَ لَأَكْثَرُ مَا رَأَيْتُ قُرَيْشًا بَلَغَتْ مِنْهُ قَطُّ
[فَصْلٌ: فِي تَأْلِيبِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ]
فَصْلٌ
(فِي تَأْلِيبِ الْمَلَأِ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَصْحَابِهِ، وَاجْتِمَاعِهِمْ بِعَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ الْقَائِمِ فِي مَنْعِهِ وَنُصْرَتِهِ، وَحِرْصِهِمْ عَلَيْهِ أَنْ يُسْلِمَهُ إِلَيْهِمْ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ ذَلِكَ بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ)
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَقَدْ أُوذِيتُ فِي اللَّهِ وَمَا يُؤْذَى أَحَدٌ
পৃষ্ঠা - ১৮৩০
হয় ৷ প্রতিনিধি দলে ছিল উ৩ বা ইবন রাবীআ, শায়বা ইবন রাবীআ (ইবন আবৃদ শামস ইবন
আবৃদ মানাফ ইবন কুসাই) , আবু সফিয়ান সাখর ইবন হাবব ইবন উমাইয়া ইবন আবৃদ শামস,
আবুল বুখতারী আস ইবন হিৰুাম (ইবন হারিছ ইবন আসাদ ইবন আবদিল উঘৃযা ইবন কুসাই ,
আসওয়াদ ইবন মুতিব ইবন আসাদ ইবন আবদিল উয্যা, আবু জাহ্ল তার নাম আমর ইবন
হিশাম ইবন যুপীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মাখযুম, ওয়ালীদ ইবন যুপীরা ইবন
আবদিল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মাখবুম ইবন ইয়াকযা ইবন ঘুররা ইবন ক আর ইবন লুওয় ই
নাবীহ্ ও মুনাব্বিহ এদের দুজনের পিতা হাজ্জাজ ইবন আমির ইবন হুযায়ফা ইবন সাঈদ
ইবন সাহম ইবন আমর ইবন হাসীস ইবন কাআব ইবন লুওয় ই, আস ইবন ওয়াইল ইবন
সাঈদ ইবন সাহম ৷ ইবন ইসহাক বলেন তাদের সাথে আরো কেউ ও পাকতে পারে ৷
তারা বলল, হে আবু তালিব! আপনার ভাতিজা তো আমাদের উপাস্যদেরকে গলি মন্দ
করে, আমাদের ধর্মের সমালোচনা করে, আমাদের বিজ্ঞজনদেরকে মুর্থ বলে আখ্যায়িত করে
এবং আমাদের পুর্ব পুরুষদেরকে পথ ভ্রষ্ট রুপে চিহ্নিত করে ৷ সুতরাং আপনি হয় আমাদের
দুর্নাম করা থেকে তারা বিরত রাখবেন, নতুবা তার ও আমাদের মধ্যস্থল থেকে আপনি সরে
র্দাডাবেন ৷ কারণ, তার ধর্যমতের বিরোধি৩ায় আপনি ও আমাদের ন্যায় আছেন, তখন আমরা
তাকে দেখে নিব ৷
আবু তালিব তাদের সাথে নম্রভাবে কথা-বার্তা বললেন এবং ভালোয় ভালোয় তাদেরকে
বিদায় দিলেন ৷৩ তারা চলে গেল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যথা নিয়মে৩ তার কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন,
তিনি আল্লাহর দীন প্রচার ও মানুষকে আল্লাহর পথে ডাক র দ য়ি পালন করে যাচ্ছিলেন ৷
ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তাদের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠে ৷ এদিকে কুরায়শদের
মধ্যে পরস্পর অধিকহারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কথা আলোচিত হতে থাকে ৷ ফলে, তারা তার
বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার চিভা-ভাবনা করে এবং একে অন্যকে এ জন্যে প্ররােচিত করে ৷ তারা
দ্বিতীয়বার আবু তালিবের নিকট আসে ৷ তারা বলে, হে আবু তালিব ৷ আমাদের মধ্যে আপনি
একজন প্রবীণ মর্যাদাবান ও সন্থান্ত লোক ৷ আপনাকে আমরা বলেছিলাম, আপনার তা তিাজাকে
আমাদের সমালোচনা থেকে বিরত রাখতে আপনি কিন্তু তাকে থামিয়ে রাখেননি ৷ আমাদের
পুর্বপুরুষদেরকে পালি দেয়া জ্ঞানী-গুণীদেরকে মুর্থ বলা এবং আমাদের উপাস্যদের সমালোচনা
করার ন্যায় অনাচার আমরা আর সহ্য করব না ৷ শেষ পর্যন্ত হয় আপনি তাকে আমাদের থেকে
বিরত রাখবেন নতুবা এর ফলশ্রুতিতে আমরা তার এবং আপনার উপর চড়াও হয় ৷ যতক্ষণ না
আমাদের দু’ পক্ষের কােনু এক পক্ষ ধ্বংস হয় ৷ তারা হুবহু তাকে একথা বা এমর্মের অন্য কোন
কথা বলেছিল ৷ এরপর তারা ওখান থেকে প্রন্থান করে ৷াগােত্রীয়দের লোকদের বিচ্ছেদ-বেদনা
ও শত্রুতা আবু তালিবের নিকট গুরুতর ঠেকে ৷ আবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ওদের হাতে
সাে পর্দ করা কিংবা তাকে অপমানিত করার ব্যাপারেও তিনি কো নমতে সম্মত ছিলেন না ৷
ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াকুব ইবন উতবা বলেছেন, কুরায়শের নেতৃবর্গ যখন আবু
তালিবকে একথা বলল, তখন তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে ডেকে আনলেন এবং বললেন,
“ভাতিজা! ণ্৩ামার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমার নিকট এসে এরুপ এরুপ বলেছে ৷ তারা যা যা
وَأُخِفْتُ فِي اللَّهِ وَمَا يُخَافُ أَحَدٌ، وَلَقَدْ أَتَتْ عَلَيَّ ثَلَاثُونَ مِنْ بَيْنِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، وَمَا لِي وَلِبِلَالٍ طَعَامٌ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ، إِلَّا مَا يُوَارِي إِبِطَ بِلَالٍ» . وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدِبَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَمُّهُ أَبُو طَالِبٍ وَمَنَعَهُ، وَقَامَ دُونَهُ، وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى أَمْرِ اللَّهِ مُظْهِرًا لِدِينِهِ لَا يَرُدُّهُ عَنْهُ شَيْءٌ، فَلَمَّا رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَا يُعْتِبُهُمْ مِنْ شَيْءٍ أَنْكَرُوهُ عَلَيْهِ مِنْ فِرَاقِهِمْ، وَعَيْبِ آلِهَتِهِمْ، وَرَأَوْا أَنَّ عَمَّهُ أَبَا طَالِبٍ قَدْ حَدِبَ عَلَيْهِ، وَقَامَ دُونَهُ، فَلَمْ يُسْلِمْهُ لَهُمْ، مَشَى رِجَالٌ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ إِلَى أَبِي طَالِبٍ ; عُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَّيٍّ وَأَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ، وَاسْمُهُ الْعَاصُ بْنُ هِشَامِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَّيٍّ وَالْأَسْوَدُ بْنُ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى وَأَبُو جَهْلٍ، وَاسْمُهُ عَمْرُو بْنُ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ وَالْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومِ بْنِ يَقْظَةَ
পৃষ্ঠা - ১৮৩১
বলেছিল তিনি তা তাকে শুনালেন ৷ সুতরাং তুমি নিজেও বীচ আমাকেও বীচতে দাও ! আমার
মাথায় এমন বোঝা চাপিয়ে দিও না যা বহন করার ক্ষমতা আমার সেই ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)
ধারণা করলেন যে, তার চাচার মনােভাবের পরিবর্তন ঘটেছে এবং তিনি তাকে ত্যাগ করতে
এবং ওদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছেন ৷ তাকে রক্ষায় ও সহযোগিতায় তার চাচা অক্ষম হয়ে
পড়েছেন ৷ এ প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, “আল্লাহ্র কসম, ওরা যদি আমার ডান হাতে
সুর্য এবং বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয় এই শর্তে যে, আমি ওই কাজ ছেড়ে দিব, তবু আমি তা
ছেড়ে দেব না যতক্ষণ না আল্লাহ্ এই দীনকে বিজয়ী করেন কিংবা ওই পথে আমার মৃত্যু হয় ৷
দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠলাে এবং তিনি কেদেই ফেললেন ৷ তারপর ওখান থেকে উঠে
গেলেন ৷ তিনি যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন আবু তালিব তাকে ডেকে বললেন ডাতিজা ৷ তুমি
নিকটে আস ৷ তখন তিনি কাছে আসলেন এবং আবু তালিব বললেন, ডাতিজা ৷ তুমি যাও,
তোমার মন যা চায় তুমি তা বলতে থাক ৷ আল্লাহ্র কসম, আমি কখনো তোমাকে ওদের
হাতে তুলে দেব না ৷”
ইবন ইসহাকবলেন, কুরায়শরা বুঝতে পারল যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে ত্যাগ করতে এবং
তাকে হস্তান্তর করতে আবু তালিব রাযী নন ৷ বরং তার জীবন রক্ষায় আবু তালিব প্রয়োজনে
কুরায়শদেরকে ত্যম্পো করতে এবং তাদের শত্রুতা বরণ করে নিতে প্রন্তুত ৷ তখন তারা আম্মারা
ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরাকে তার নিকট নিয়ে যায় ৷ তারা তাকে বলে, হে আবু তালিব ! এ হল
ওয়লীেদের পুত্র আম্মারা ৷ কুরায়শ বংশের শ্রেষ্ঠতম সাহসী ও সর্বাধিক সুদর্শন যুবক ৷ আপনি
তাকে গ্রহণ করুন ৷ তার জ্ঞান-গরিমা, বিদ্যা-বৃদ্ধি ও শক্তি-সড়াহস আপনার জন্যেই উৎসপত্বিত
থাকবে ৷ আপনি তাকে পুত্ররুপে গ্রহণ করুন ৷ সে একান্ত আপনার হয়েই থাকবে ৷ বিনিময়ে
আপনার ভাতিজাকে আপনি আমাদের হাতে তুলে দিন ৷ সে তো আপনার ধর্ম এবং আপনার
পুর্ব-পুরুষদের ধর্মের বিরোধিতা করছে ৷ আপনার ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে
এবং আমাদের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদেরকে মুর্থ ঠাওরাচ্ছে ৷ আপনি তাকে আমাদের হাতে তুলে
দিন, আমরা তাকে খুন করে ফেলি ৷ তার বিনিময়ে আমরা তো এ যুবকটিকে আপনার হাতে
তুলে দিচ্ছি ৷ তখন আবু তালিব বললেন, তোমরা আমার নিকট যে প্রস্তাব দিয়েছ, আল্লাহ্র
কসম, তা অত্যন্ত মন্দ প্রস্তাব বটে ৷ তোমাদের ছেলেটি তোমরা আমাকে দিবে যেন আমি তাকে
খাইয়ে-পরিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে ভুলি ৷ আর আমার ছেলেটিকে আমি তোমাদের হাতে তুলে দিব
যাতে তোমরা তাকে হত্যা করতে পড়ার? আল্লাহ্র কসম, তা কখনো হবার নয় ৷
মত্ঈম ইবন আদী ইবন নাওফিল ইবন আবৃদ মানাফ ইবন কৃসাঈ বলল, হে আবু তালিব ৷
আল্পাহ্র কসম, আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা আপনার নিকট ইনসাফ ভিত্তিক প্রস্তাব দিয়েছিল
এবং যা আপনি অপসন্দ করেন তা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে ৷ কিন্তু
আমি দেখছি আপনি তার কােনটিই গ্রহণ করছেন না ৷ মুত্ঈম-এর উদ্দেশ্যে আবু তালিব
বললেন, আল্লাহ্র কসম, তারা আমার প্রতি ইনসাফ করেনি, তুমি বরং আমার জন্যে
অপমানজনক এবং ওদের পক্ষে বিজয়মুলক কথাবার্তা বলছে! ৷ সুতরাং তোমার যা ইচ্ছা তা
কর ৷ অথবা তিনি এ মর্মের অন্য কোন ভাষ্য ব্যবহার করেছেন ৷ এরপর সংকট দানা বেধে
بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ وَنُبَيْهٌ وَمُنَبِّهٌ ابْنَا الْحَجَّاجِ بْنِ عَامِرِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سَهْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هُصَيْصِ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ وَالْعَاصُ بْنُ وَائِلِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سَهْمٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَوْ مَنْ مَشَى مِنْهُمْ فَقَالُوا: يَا أَبَا طَالِبٍ إِنَّ ابْنَ أَخِيكَ قَدْ سَبَّ آلِهَتَنَا، وَعَابَ دِينَنَا، وَسَفَّهَ أَحْلَامَنَا، وَضَلَّلَ آبَاءَنَا، فَإِمَّا أَنْ تَكُفَّهُ عَنَّا وَإِمَّا أَنْ تُخَلِّيَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ، فَإِنَّكَ عَلَى مِثْلِ مَا نَحْنُ عَلَيْهِ مِنْ خِلَافِهِ فَنَكْفِيكَهُ. فَقَالَ لَهُمْ أَبُو طَالِبٍ قَوْلًا رَفِيقًا، وَرَدَّهُمْ رَدًّا جَمِيلًا، فَانْصَرَفُوا عَنْهُ وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ، يُظْهِرُ دِينَ اللَّهِ وَيَدْعُو إِلَيْهِ، ثُمَّ شَرَى الْأَمْرُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ، حَتَّى تَبَاعَدَ الرِّجَالُ وَتَضَاغَنُوا، وَأَكْثَرَتْ قُرَيْشٌ ذِكْرَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بَيْنَهَا، فَتَوَامَرُوا فِيهِ، وَحَضَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا عَلَيْهِ، ثُمَّ إِنَّهُمْ مَشَوْا إِلَى أَبِي طَالِبٍ مَرَّةً أُخْرَى، فَقَالُوا: يَا أَبَا طَالِبٍ إِنَّ لَكَ سِنًّا وَشَرَفًا وَمَنْزِلَةً فِينَا، وَإِنَّا قَدِ اسْتَنْهَيْنَاكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكَ، فَلَمْ تَنْهَهُ عَنَّا، وَإِنَّا وَاللَّهِ لَا نَصْبِرُ عَلَى هَذَا ; مِنْ شَتْمِ آبَائِنَا، وَتَسْفِيهِ أَحْلَامِنَا، وَعَيْبِ آلِهَتِنَا، حَتَّى تَكُفَّهُ عَنَّا أَوْ نُنَازِلَهُ وَإِيَّاكَ فِي ذَلِكَ، حَتَّى يَهْلِكَ أَحَدُ الْفَرِيقَيْنِ. أَوْ كَمَا قَالُوا. ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَعَظُمَ عَلَى أَبِي طَالِبٍ فِرَاقُ قَوْمِهِ وَعَدَاوَتُهُمْ، وَلَمْ يَطِبْ نَفْسًا بِإِسْلَامِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَا خِذْلَانِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ الْأَخْنَسِ أَنَّهُ حُدِّثَ «أَنَّ قُرَيْشًا حِينَ قَالُوا لِأَبِي طَالِبٍ هَذِهِ الْمَقَالَةَ، بَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
পৃষ্ঠা - ১৮৩২
فَقَالَ لَهُ: يَا بْنَ أَخِي، إِنْ قَوْمَكَ قَدْ جَاءُونِي، فَقَالُوا لِي كَذَا وَكَذَا لِلَّذِي قَالُوا لَهُ فَأَبْقِ عَلَيَّ وَعَلَى نَفْسِكَ، وَلَا تُحَمِّلْنِي مِنَ الْأَمْرِ مَا لَا أُطِيقُ. قَالَ: فَظَنَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّهُ قَدْ بَدَا لِعَمِّهِ فِيهِ بِدَاءٌ، وَأَنَّهُ خَاذِلُهُ وَمُسْلِمُهُ، وَأَنَّهُ قَدْ ضَعُفَ عَنْ نُصْرَتِهِ وَالْقِيَامِ مَعَهُ، قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " يَا عَمِّ، وَاللَّهِ لَوْ وَضَعُوا الشَّمْسَ فِي يَمِينِي، وَالْقَمَرَ فِي يَسَارِي، عَلَى أَنْ أَتْرُكَ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى يُظْهِرَهُ اللَّهُ، أَوْ أَهْلِكَ فِيهِ مَا تَرَكْتُهُ ". قَالَ: ثُمَّ اسْتَعْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَبَكَى، ثُمَّ قَامَ، فَلَمَّا وَلَّى نَادَاهُ أَبُو طَالِبٍ فَقَالَ: أَقْبِلْ يَا بْنَ أَخِي. فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: اذْهَبْ يَا بْنَ أَخِي، فَقُلْ مَا أَحْبَبْتَ، فَوَاللَّهِ لَا أُسْلِمُكَ لِشَيْءٍ أَبَدًا.»
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ قُرَيْشًا حِينَ عَرَفُوا أَنَّ أَبَا طَالِبٍ قَدْ أَبَى خِذْلَانَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَإِسْلَامَهُ، وَإِجْمَاعَهُ لِفِرَاقِهِمْ فِي ذَلِكَ وَعَدَاوَتِهِ، مَشَوْا إِلَيْهِ بِعُمَارَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَقَالُوا لَهُ فِيمَا بَلَغَنِي: يَا أَبَا طَالِبٍ هَذَا عُمَارَةُ بْنُ الْوَلِيدِ أَنَهَدُ فَتًى فِي قُرَيْشٍ، وَأَجْمَلُهُ فَخُذْهُ، فَلَكَ عَقْلُهُ وَنَصْرُهُ، وَاتَّخِذْهُ وَلَدًا فَهُوَ لَكَ، وَأَسْلِمْ إِلَيْنَا ابْنَ أَخِيكَ هَذَا الَّذِي قَدْ خَالَفَ دِينَكَ وَدِينَ آبَائِكَ، وَفَرَّقَ جَمَاعَةَ قَوْمِكَ، وَسَفَّهَ أَحْلَامَهَا، فَنَقْتُلَهُ، فَإِنَّمَا هُوَ رَجُلٌ بِرَجُلٍ. قَالَ: وَاللَّهِ لَبِئْسَ مَا تَسُومُونَنِي! أَتُعْطُونَنِي ابْنَكُمْ أَغْذُوهُ لَكُمْ، وَأُعْطِيكُمُ ابْنِي تَقْتُلُونَهُ! هَذَا وَاللَّهِ مَا لَا يَكُونُ أَبَدًا. قَالَ: فَقَالَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৮৩৩
উঠে ৷ যুদ্ধ উন্মাদনা তীব্র হয়ে উঠে ৷ সম্প্রদায়ের লোকেরা যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ একে অন্যকে
যুদ্ধের জন্যে আহবান জানায় ৷
এ প্রেক্ষাপটে মুত্ঈম ইবন আদীকে কটাক্ষ করে আব্দ মানাফ গোত্রের যারা তাকে
অপমানিত করেছে, তাদেরকে তিরস্কার করে এবং কুরায়শ গোত্রের যারা তীর প্রতি শত্রুতা
পোষণ করেছে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আবু তালিব নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন ৷ তারা যে
প্রস্তাব করেছে, সে প্রস্তাব যে তার নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়, তা তিনি কবিতায় উল্লেখ
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন০
১৷ ৷
হে পথিক৷ আমর (আবু জাহ্ল ওয়ালীদ) ও মুতঈমকে বলে দাও যে, যদি তাদের সংস্পর্শ
থেকে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেত তবে ভাল হত ৷
আমার সম্পর্ক যদি ছিন্ন হয়ে যেত তার থেকে যে দুর্বল, মন্দ চরিত্র এবং খর্বর্কায়, অথচ
চীৎকার করে খুব বেশী ৷ যার প্রস্রাবের ফৌটা ঝরে পড়ে পায়ের গোছার উপর ৷
’,ছু,ব্লুর্চুা
যে সব সময় কাফেলা ও যাত্রীদলের পেছনে পড়ে থাকে ৷ ওদের নাগাল পায় না ৷ মসৃণ
পাথরে ও উচুতে উঠলে তাকে অনেকটা খরগােশের মত দেখায় ৷
;ব্লু,া
আমাদের দুই সহােদার ভাইকে আমি দেখি যে, তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া হলে তারা
বলে সকল ক্ষমতা অন্যদের হাতে ৷ ,
না, ক্ষমতা বরং তাদেরই হাতে ৷ কিন্তু তারা একজন অপরজনের উপর গড়িয়ে পড়ছে
যেমন মুআলাক পাহাড়ের চুড়া থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ে ৷
া
বিশেষভাবে আমি উল্লেখ করছি আব্দ শাম্স ও নাওফিল এ দৃ’ গোত্রের কথা ৷ তারা
আমাদেরকে দুরে নিক্ষেপ করেছে যেমনটি ফেলে দেয়া হয় জ্বলম্ভ অঙ্গার ৷
এে
সম্প্রদায়ের মধ্যে তারাই আপন ভাইদের অধিক নিন্দাকড়ারী ও অপমানকারী ৷ নিজ
ভ্রাতৃবংশের জন্যে তাদের হাতে কিছু উঠে না ৷
সকল মানুষের মধ্যে তারা দু পােত্রই পিতৃহীন বালকের সাথে মর্যাদার শরীক ৷ তারা তার
নাম নি-শ ৷৷না মুছে ফেলতে চায় ৷
عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ: وَاللَّهِ يَا أَبَا طَالِبٍ لَقَدْ أَنْصَفَكَ قَوْمُكَ، وَجَهَدُوا عَلَى التَّخَلُّصِ مِمَّا تَكْرَهُ، فَمَا أَرَاكَ تُرِيدُ أَنْ تَقْبَلَ مِنْهُمْ شَيْئًا. فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ لِلْمُطْعِمِ: وَاللَّهِ مَا أَنْصَفُونِي، وَلَكِنَّكَ قَدْ أَجْمَعْتَ خِذْلَانِي، وَمُظَاهَرَةَ الْقَوْمِ عَلَيَّ، فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ. أَوْ كَمَا قَالَ، فَحَقِبَ الْأَمْرُ، وَحَمِيَتِ الْحَرْبُ، وَتَنَابَذَ الْقَوْمُ، وَنَادَى بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَقَالَ أَبُو طَالِبٍ عِنْدَ ذَلِكَ، يُعَرِّضُ بِالْمُطْعِمِ بْنِ عَدِيٍّ وَيَعُمُّ مَنْ خَذَلَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَمَنْ عَادَاهُ مِنْ قَبَائِلِ قُرَيْشٍ، وَيَذْكُرُ مَا سَأَلُوهُ وَمَا تَبَاعَدَ مِنْ أَمْرِهِمْ:
أَلَا قُلْ لِعَمْرٍو وَالْوَلِيدِ وَمُطْعِمٍ ... أَلَا لَيْتَ حَظِّي مِنْ حِيَاطَتِكُمْ بَكْرُ
مِنَ الْخُورِ حَبْحَابٌ كَثِيرٌ رُغَاؤُهُ ... يُرَشُّ عَلَى السَّاقَيْنِ مِنْ بَوْلِهِ قَطْرُ
تَخَلَّفَ خَلْفَ الْوِرْدِ لَيْسَ بِلَاحِقٍ ... إِذَا مَا عَلَا الْفَيْفَاءَ قِيلَ لَهُ وَبْرُ
أَرَى أَخَوَيْنَا مِنْ أَبِينَا وَأُمِّنَا ... إِذَا سُئِلَا قَالَا إِلَى غَيْرِنَا الْأَمْرُ
بَلَى لَهُمَا أَمْرٌ وَلَكِنْ تَجَرْجَمَا ... كَمَا جَرْجَمَتْ مِنْ رَأْسِ ذِي عَلَقٍ الصَّخْرُ
أَخُصُّ خُصُوصًا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا ... هُمَا نَبَذَانَا مِثْلَ مَا نُبِذَ الْجَمْرُ
هُمَا أَغْمَزَا لِلْقَوْمِ فِي أَخَوَيْهِمَا ... فَقَدْ أَصْبَحَا مِنْهُمْ أَكُفُّهُمَا صُفْرُ
পৃষ্ঠা - ১৮৩৪
ষ্ fl ) ষ্
তায়ম, মাখবুম ও যুহরা গোত্রের কথাও আমি উল্লেখ করছি ৷ সাহায্য প্রার্থনাকালে ওরা
আমাদের সাহায্যকারী ছিল ৷
তবে আল্লাহর কসম, এখন তোমাদের মাঝে আর আমাদের মাঝে শত্রুত৷ ও বৈরিতার
অবসান হবে না যতদিন আমাদের একজন বংশধরও জীবিত থাকে ও
ইবন হিশাম বলেন, দু’টি পৎক্তিতে কটুক্তি থাকার কারণে আমরা ওই দুটো পৎক্তি উল্লেখ
কৰিনি ৷
পরিচ্ছেদ
দুর্বল ও অসহায় মুসলমানদের প্রতি বিধর্মীদের সীমাহীন নির্যাতনের বিবরণ
ইবন ইসহাক (র) বলেন, বিভিন্ন পােত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর যে সকল সাহাবী ছিলেন এবং
র্যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে কুরায়ভৈশব লোকেরা একে
অন্যকে প্ররোচিত করে ৷ ফলে, প্রতেকে গোত্রের লোকেরা নিজ নিজ গোত্রে অবস্থানকারী
মুসলমানদের উপর বাপিয়ে পড়ে ৷ত তারা তাদের প্রতি নির্য৷ ৷তন চালায় এবং তাদেরকে ধর্মচ্যুত
করা বচেষ্ট৷ চালায় ৷ চাচা আবু৩ তালিবেব মাধ্যমে আল্লাহ তা অ ৷ল৷ প্রিয়নবী (সা) কে এ দৃরবস্থা
থেকে রক্ষা করেন ৷ কুরায়শ ৷বৎশীয় লোকদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ দেখে আবৃত তালিব বনু
হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রে উপস্থিত ৩হন ৷ তিনি নিজে যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাহায্য-সহযােগিত ৷ ও নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছেন ওরাও যেন তেমন করে তার পাশে দাড়ায়
তিনি তাদেরকে এ অনুরোধ করেন ৷ আল্লাহর দৃশমন আবু লাহাব ছাড়া অন্য সকলে তার
আহ্বানে সাড়া দেয় ৷ এই প্রেফাপটে তাদের প্রশংসা সুত্রে এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহযোগিতার জন্যে তাদেরকে উৎসাহিত করে তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
০ প্
কুরায়শ বংশীয় গােত্রগুলো যদি কোন দিন নিজ নিজ গৌরব ও মর্যাদা প্রকাশের জন্যে
সমবেত হয়, তবে আবৃদ মানাফের গোত্রই হবে কুর৷ য়শ গোত্রগুলো র শীর্ষন্থানীয় ৷
আবৃদ মানাফের বংশীয়দের মধ্যে শোযদি সড্রাম্ভ ও সম্মানিত বাক্তিদের ঘোজখবর নেয়া হয়,
তবে অধিকাৎশ সন্তুাম্ভ ও সম্মানিত ব্যক্তি পাওয়া যাবে হাশিমের বংশীয়দের মধ্যে ৷
ষ্দ্বেএছু৩ব্রটু ঠেঠুৰুৰুণ্ র্দু১এ স্পো“ ং ’ ং এএ — ৷১; ৰু১ঞ é; ংএর্টু১ট্র ং১ট্
হাশিম গোত্র যদি কে ন দিন পর্ব ও গৌরব প্রকাশ করতে চায়, তবে৩ তাদের গৌরব ও
পর্বের প্রধান স্তম্ভ হলেন মুহা ন্মদ ৷ গোত্রের সকল মর্যাদাবান ও সম্মানযোগ্য লোকদের মধ্য থেকে
তিনিই মনোনীত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতু ৷
هُمَا أَشْرَكَا فِي الْمَجْدِ مَنْ لَا أَبَا لَهُ
مِنَ النَّاسِ إِلَّا أَنْ يُرَسَّ لَهُ ذِكْرُ ... وَتَيْمٌ وَمَخْزُومٌ وَزُهْرَةُ مِنْهُمُ
وَكَانُوا لَنَا مَوْلًى إِذَا بُغِيَ النَّصْرُ ... فَوَاللَّهِ لَا تَنْفِكُّ مِنَّا عَدَاوَةٌ
وَلَا مِنْكُمُ مَا دَامَ مِنْ نَسْلِنَا شَفْرُ
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَتَرَكْنَا مِنْهَا بَيْتَيْنِ أَقْذَعَ فِيهِمَا.