আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل: ما لاقاه الرسول من أذى قريش

পৃষ্ঠা - ১৮২৭


সেখানে উপস্থিত হয় ৷ সে তার কাপড় দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গলা পেচিয়ে সজােরে টান
দেয় ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) সেখানে উপস্থিত হন এবং উকবাকে ঘাড় ধরে সরিয়ে দিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে মুক্ত করেন ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) নিম্নোক্ত আয়াত উদ্ধৃত করে
বলেন

¢ শ্’ব্লুণ্০শ্ষ্’শ্শ্স্ষ্ শ্শ্ষ্ :)শ্ন্ন্নশ্ষ্শ্ শ্শ্শ্াস্’হ্রণ্ষ্;ঢ়!শ্শ্ণ্ণ্ণ্ন্না
; :ণ্যে

;প্’গু ণ্পুএহ্ন১
একজন লোককে তোমরা কি কেবল এজন্যেই হত্যা করবে যে, সে বলে আমার
প্রতিপালক আল্লাহ অথচ সে তোমাদের প্ৰতিপালকের নিকট থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ সহ তোমাদের
নিকট এসেছে ৷ সে মিথ্যাবাদী হলে তার মিথ্যাবাদিতার জন্যে সে দায়ী হবে ৷ আর যদি সে
সত্যবাদী হয়, সে তােমাদেরকে যে শাস্তির কথা বলে তার কতক তোমাদের উপর আপতিত
হবেই ৷ আল্লাহ্ তাআলা সীমড়ালংঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎপথে পরিচালিত করেন না (৪০ :
২৮) ৷
এ হাদীছের সমর্থনে আল্লাম৷ বায়হড়াকী (র) হাকিম উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি বলেছেন যে, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্ৰতি কুরায়শদের শত্রুতার জঘন্যতম প্রকাশরুপে আপনি কোন ঘটনা দেখেছেন ?
তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমি যা দেখেছি তা হল, তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ একদিন কাবা
শরীফের হাতীম অংশে সমবেত হয়েছিল ৷ সেখানে তারা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর প্রসংপ আলোচনা
করে ৷ তারা বলে যে, এই লোকটির ব্যাপারে আমরা যা ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করছি এরুপ
ধৈর্যধড়ারণ করতে আমরা কখনো কাউকে দেখিনি ৷ যে আমাদের ধৈর্যশীল ও জ্ঞানবান
লোকদেরকে মুর্থ ঠাওরাচ্ছে ৷ আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে গালমন্দ করছে আমাদের দীনধর্মের
সমালোচনা করছে আমাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করছে আমাদের দেবতা ও উপাস্যদেরকে পাল
দিচ্ছে ৷ তার ব্যাপারে আমরা এখন এক মহাসংকটের সম্মুখীন ৷

তারা হুবহু এ কথা বা এমর্মের বক্তব্য রেখেছিল অথবা তারা আলোচনা করছিল ঠিক ওই
সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (না) সেখানে এলেন এবং সোজা এসে হাজ্বারে আসওয়াদ চুম্বন করেন ৷
এরপর তাদের পাশ দিয়ে হেটে তিনি তাওয়াফ করতে শুরু করেন ৷ তাকে উদ্দেশ্য করে তারা
বিভিন্ন কটুক্তি করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখমণ্ডলে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ৷ তবু
তিনি তাওয়াফ চালিয়ে যেতে থাকেন ৷ দ্বিতীয় চক্করে যখন তিনি তাদেরকে অতিক্রম করছিলেন,
তখনও তারা তাকে লক্ষ্য করে কটুক্তি করে ৷ তৃতীয়বারও যখন তারা এরুপ করলো, তখন তিনি
তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! তোমরা কি শুনহো ৷ আমি জ্যি তোমাদের
জন্যে এমন বিষয় নিয়ে এসেছি যাতে তোমাদের যবাহ্ হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ তার বক্তব্য
শুনে তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ৷ সকলের মধ্যে পিন-পতন নিস্তব্ধতা বিরাজ করে ৷
সবাই তখন স্থির ও অনড় যেন তাদের মাথায় পাখি বসেছে ৷ তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিন্দামুখর

দ্যোা৷া ৬াশ্রোা৪গাে০০০া৷া
১২ —

[فَصْلٌ: مَا لَاقَاهُ الرَّسُولُ مِنْ أَذَى قُرَيْشٍ] فَصْلٌ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ سَأَلْتُ ابْنَ عَمْرِو بْنَ الْعَاصِ فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي بِأَشَدِّ شَيْءٍ صَنَعَهُ الْمُشْرِكُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ. قَالَ: «بَيْنَمَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي فِي حِجْرِ الْكَعْبَةِ، إِذْ أَقْبَلَ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ فَوَضَعَ ثَوْبَهُ عَلَى عُنُقِهِ، فَخَنَقَهُ خَنْقًا شَدِيدًا، فَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى أَخَذَ بِمَنْكِبِهِ وَدَفَعَهُ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَالَ: {أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّي اللَّهُ وَقَدْ جَاءَكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ رَبِّكُمْ} [غافر: 28] » الْآيَةَ تَابَعَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَالَ: أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو. وَقَالَ عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قِيلَ لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ. قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৮২৮
الْبَيْهَقِيُّ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ كَمَا رَوَاهُ عَبْدَةُ. انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ وَقَدْ رَوَاهُ فِي أَمَاكِنَ مِنْ " صَحِيحِهِ "، وَصَرَّحَ فِي بَعْضِهَا بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَهُوَ أَشْبَهُ لِرِوَايَةِ عُرْوَةَ عَنْهُ، وَكَوْنُهُ عَنْ عَمْرٍو أَشْبَهُ لِتَقَدُّمِ هَذِهِ الْقِصَّةِ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عُرْوَةَ قَالَ: قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: مَا أَكْثَرُ مَا رَأَيْتَ قُرَيْشًا أَصَابَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا كَانَتْ تُظْهِرُهُ مِنْ عَدَاوَتِهِ، فَقَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ وَقَدِ اجْتَمَعَ أَشْرَافُهُمْ يَوْمًا فِي الْحِجْرِ، فَذَكَرُوا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالُوا: مَا رَأَيْنَا مِثْلَ مَا صَبَرْنَا عَلَيْهِ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ قَطُّ، سَفَّهَ أَحْلَامَنَا، وَشَتَمَ آبَاءَنَا، وَعَابَ دِينَنَا، وَفَرَّقَ جَمَاعَتَنَا، وَسَبَّ آلِهَتَنَا وَصَبَرْنَا مِنْهُ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ، أَوْ كَمَا قَالُوا. قَالَ: فَبَيْنَمَا هُمْ فِي ذَلِكَ طَلَعَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَقْبَلَ يَمْشِي حَتَّى اسْتَلَمَ الرُّكْنَ، ثُمَّ مَرَّ بِهِمْ طَائِفًا بِالْبَيْتِ فَغَمَزُوهُ بِبَعْضِ الْقَوْلِ، فَعَرَفْتُ ذَلِكَ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَمَضَى فَلَمَّا مَرَّ بِهِمُ الثَّانِيَةَ غَمَزُوهُ بِمِثْلِهَا، فَعَرَفْتُهَا فِي وَجْهِهِ، فَمَضَى، ثُمَّ مَرَّ الثَّالِثَةَ فَغَمَزُوهُ بِمِثْلِهَا، فَقَالَ: " أَتَسْمَعُونَ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِالذَّبْحِ ". فَأَخَذَتِ الْقَوْمَ كَلِمَتُهُ حَتَّى مَا مِنْهُمْ مِنْ رَجُلٍ