আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

ذكر إسلام أبي ذر رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ১৭৯৫


নয় ৷ বরং এই দীন গ্রহণ করে আমি ধন্য ৷ এভাবে হযরত হড়ামযা (রা)-এর মাধ্যমে আল্লাহ
আআল৷ তার দীনকে শক্তিশালী করলেন ৷ বায়হাকী হাকীম ইউনুস ইবন বুকায়র সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত আবু যর গিফারী (রা)-এর ইসলাম গ্রহণ

হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল হাফিয আবু যর (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমার পুর্বে মাত্র তিনজন লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আমি
হলাম চতুর্থ মুসলমান ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং বলেছিলাম
আসসালামু আলায়কা ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই
আর মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ তখন আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মুখমগুলে তৃপ্তি ও
আনন্দের চিহ্ন দেখতে পাই ৷ এটি একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ৷

হযরত আবু যর (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (র) বলেন, আমর
ইবন আব্বাস হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াতপ্রাপ্তির সংবাদ শুনে হযরত আবু যর (বা) তার ভাইকে বললেন,
তুমি ওই জনপদে যাও এবং যে ল্যেকটি নিজেকে নবী বলে দাবী করছে এবং তার নিকট
আকাশ থেকে সংবাদ আসে বলে প্রচার করছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসে আমাকে
জানাও ৷ তুমি তার বক্তব্য শুনে এসে আমাকে তা জানাবে ৷ তখন তার ভাই রওনা হলেন ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন এবং তার বক্তব্য শুনন্সেন ৷ এরপর তিনি হযরত
আবু যর (রা)-এর নিকট ফিরে এসে বলেন যে, আমি তাকে দেখেছি ৷ তিনি সৎকর্মের আদেশ
দেন এবং এমন বাণী শুনান যা কবিতা নয় ৷ আবু যর (রা) বললেন, না, আমি যেমনটি
চেয়েছিলাম , তেমন সবম্ভাষজনকভাবে জানাতে পারলেন না ৷

এবার প্রয়োজনীয় পাথেয় সংগ্রহ করে এবং পানির মশক সাথে নিয়ে তিনি নিজেই রওনা
হয়ে পড়েন এবং মক্কায় গিয়ে উপস্থিত হন ৷ তিনি এসে মসজিদে প্রবেশ করেন এবং সেখানে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে খুজতে থাকেন ৷ তিনি তাকে চিনতেন না ৷ কাউকে জিজ্ঞেস করাও তিনি
সমীচীন মনে করলেন না ৷ এভাবে রাতের কিছু অংশ কেটে যাওয়ার পর তিনি শুয়ে পড়েন ৷
হযরত আলী (রা) তাকে দেখতে পান এবং তিনি যে একজন বহিরাপত মুসাফির তা বুঝতে
পারেন ৷ তইি তিনি তাকে সাথে নিয়ে গেলেন এবং আতিথ্য দান করলেন ৷ তাদের কেউই একে
অন্যকে কিছু জিজ্ঞেস করলেন না ৷ ভোরে আবু যর গিফারী (বা) তার মালপত্র এবং মশক নিয়ে
মসজিদে এলেন ৷ দিনভর সেখানে থাকলেন ৷ তখনও তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নযরে
পড়েননি ৷ সন্ধ্যড়ায় তিনি তার প্রথম দিনের স্থলে ফিরে এলেন ৷ হযরত আলী (রা) তাকে
দেখলেন এবং বললেন, হায় ল্যেকটি বুঝি তার উদ্দিষ্টের সন্ধান পায়নি ৷ তিনি তাকে সেদিন
নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন এবং রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ তাদের কেউ কাউকে কিছুই
জিজ্ঞেস করলেন না ৷

তৃতীয় দিনেও আবু যর গিফারী (বা) মসজিদে এলেন এবং আলী (বা) আবারও তাকে তার
বাড়ি নিয়ে গেলেন ৷ এবার হযরত আলী (রা) তাকে বললেন, হে আপস্তুক ! আপনার আগমনের


[ذِكْرُ إِسْلَامِ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرُّومِيِّ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ سِمَاكِ بْنِ الْوَلِيدِ عَنْ مَالِكِ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: كُنْتُ رُبُعَ الْإِسْلَامِ ; أَسْلَمَ قَبْلِي ثَلَاثَةُ نَفَرٍ، وَأَنَا الرَّابِعُ، أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقُلْتُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. فَرَأَيْتُ الِاسْتِبْشَارَ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» -. هَذَا سِيَاقٌ مُخْتَصَرٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: إِسْلَامُ أَبِي ذَرٍّ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنِ الْمُثَنَّى عَنْ أَبِي جَمْرَةَ «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا بَلَغَ أَبَا ذَرٍّ مَبْعَثُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ لِأَخِيهِ: ارْكَبْ إِلَى هَذَا الْوَادِي، فَاعْلَمْ لِي عِلْمَ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ يَأْتِيهِ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ، وَاسْمَعْ مِنْ قَوْلِهِ، ثُمَّ ائْتِنِي. فَانْطَلَقَ الْأَخُ حَتَّى قَدِمَهُ، وَسَمِعَ مِنْ كَلَامِهِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَبِي ذَرٍّ فَقَالَ لَهُ: رَأَيْتُهُ يَأْمُرُ بِمَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ، وَكَلَامًا مَا هُوَ بِالشِّعْرِ. فَقَالَ: مَا شَفَيْتَنِي مِمَّا أَرَدْتُ. فَتَزَوُّدَ وَحَمَلَ شَنَّةً فِيهَا مَاءٌ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ، فَأَتَى الْمَسْجِدَ فَالْتَمَسَ
পৃষ্ঠা - ১৭৯৬
رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَا يَعْرِفُهُ، وَكَرِهَ أَنْ يَسْأَلَ عَنْهُ، حَتَّى أَدْرَكَهُ بَعْضُ اللَّيْلِ اضْطَجَعَ، فَرَآهُ عَلِيٌّ فَعَرَفَ أَنَّهُ غَرِيبٌ، فَلَمَّا رَآهُ تَبِعَهُ، فَلَمْ يَسْأَلْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ احْتَمَلَ قِرْبَتَهُ وَزَادَهُ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَظَلَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَلَا يَرَاهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَتَّى أَمْسَى فَعَادَ إِلَى مَضْجَعِهِ، فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ فَقَالَ: أَمَا آنَ لِلرَّجُلِ يَعْلَمُ مَنْزِلَهُ؟ فَأَقَامَهُ فَذَهَبَ بِهِ مَعَهُ لَا يَسْأَلُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَيْءٍ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الثَّالِثِ، فَعَادَ عَلِيٌّ مِثْلَ ذَلِكَ فَأَقَامَ مَعَهُ، فَقَالَ: أَلَا تُحَدِّثُنِي مَا الَّذِي أَقْدَمَكَ؟ قَالَ: إِنْ أَعْطَيْتَنِي عَهْدًا وَمِيثَاقًا لَتُرْشِدَنِّي، فَعَلْتُ. فَفَعَلَ فَأَخْبَرَهُ، قَالَ: فَإِنَّهُ حَقٌّ، وَإِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَإِذَا أَصْبَحْتَ فَاتَّبِعْنِي، فَإِنِّي إِنْ رَأَيْتُ شَيْئًا أَخَافُ عَلَيْكَ قُمْتُ كَأَنِّي أُرِيقُ الْمَاءَ، وَإِنْ مَضَيْتُ فَاتَّبِعْنِي حَتَّى تَدْخُلَ مَدْخَلِي. فَفَعَلَ، فَانْطَلَقَ يَقْفُوهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَدَخَلَ مَعَهُ، فَسَمِعَ مِنْ قَوْلِهِ وَأَسْلَمَ مَكَانَهُ. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " ارْجِعْ إِلَى قَوْمِكَ فَأَخْبِرْهُمْ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي ". فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَأَصْرُخَنَّ بِهَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ، فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. ثُمَّ قَامَ فَضَرَبُوهُ حَتَّى أَضْجَعُوهُ، فَأَتَى الْعَبَّاسُ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: وَيَلْكُمُ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّهُ مِنْ غِفَارٍ، وَأَنَّ طَرِيقَ تِجَارَتِكُمْ إِلَى الشَّامِ؟ فَأَنْقَذَهُ مِنْهُمْ، ثُمَّ عَادَ مِنَ الْغَدِ بِمِثْلِهَا، فَضَرَبُوهُ وَثَارُوا إِلَيْهِ، فَأَكَبَّ الْعَبَّاسُ عَلَيْهِ» هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَقَدْ جَاءَ إِسْلَامُهُ مَبْسُوطًا فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ "، وَغَيْرِهِ: فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ
পৃষ্ঠা - ১৭৯৭


উদ্দেশ্য আমাকে বলবেন কি ? আবু বর (বা) বললেন, আপনি যদি আমাকে কথা দেন যে,
আমাকে সঠিক সন্ধান দেবেন, তবে আমার উদ্দেশ্যের কথা আপনাকে বলব ৷ হযরত আলী (বা)
কথা দিলেন ৷ আবু বর (বা) তখন তার আগমনের উদ্দেশ্য তাকে খুলে বললেন ৷ হযরত আলী
(রা) বললেন, তিনি সতবােদী এবং তিনি আল্লাহর রাসুল ৷ আগামী সকালে আপনি আমার সাথে
যাবেন ৷ আপনার জন্যে ক্ষতির আশংকা রয়েছে এমন কোন পরিস্থিতি দেখলে আমি দাড়িয়ে
প্রস্রাবের ডান করবো আমি যদি স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকি, তবে আপনি আমার পেছনে
পেছনে যাবেন এবং আমি যেখানে প্রবেশ করি আপনি সেখানে প্রবেশ করবেন ৷

হযরত আলী (রা) রওনা হলেন ৷ আবু যরও তাকে অনুসরণ করলেন ৷ এভাবে হযরত
আলী (রা) রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হলেন ৷ সাথে হযরত আবু যর (রা)-ও উপস্থিত
হলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলাপ-আলোচনা শুনলেন এবং তৎক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহণ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, তুমি তোমার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে যাও এবং
ওদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করবে ৷ আমার পক্ষ থেকে অন্য নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তুমি
সেখানেই অবস্থান করবে ৷ হযরত আবু বর (বা) বললেন, যে মহান প্রভু আপনাকে সত্য
সহকারে প্রেরণ করেছে তার কসম, তাদের মধ্যে আমি চীৎকার করে করে এ দীনের দাওয়াত
দেবাে ৷ তিনি ওখান থেকে বের হলেন এবং মসজিদে গিয়ে উভৈচ্চ৪স্ববে ঘোষণা দিলেন, “আমি
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ এ বলে
তিনি সেখানে র্দাড়ালেন ৷ কাফিরগণ তাকে প্ৰহার করতে শুরু করলো ৷ তাদের প্রহারে তিনি
মাটিতে পড়ে যান ৷ হযরত আব্বাস (রা) সেখানে আসেন এবং তার উপর উপুড় হয়ে পড়েন ৷
তিনি বলেন, দৃর্তোগ তোমাদের জন্যে, তোমরা কি জান না যে, এ লোকঢি গিফার গোত্রের ?
তোমাদের তো ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যে ওপথে সিরিয়ার যাতায়াত করতে হয় ৷ ওদের হাত
থেকে তিনি তাকে রক্ষা করলেন ৷ পরের দিনও হযরত আবু যর গিফারী অনুরুপ উট্চ্চ৪স্বরে
ঘোষণা দিলেন ৷ এবারও তারা তার উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালানো ৷ হযরত আব্বাস (বা) এসে
তাকে রক্ষা করলেন ৷ এ হল সহীহ্ বুখারীর ভাষ্য ৷

সহীহ্ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ হযরত আবু যর গিফারী (রা)-এর বয়াতে বলেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি, আমার ভাই আনীস এবং আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সম্প্রদায় গিফার
গোত্র থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ৷ গিফার গোত্রের লোকেরা যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাসগুলােতেও
যুদ্ধ-বিগ্রহ বৈধ মনে করত ৷ আমরা আমাদের এক মামার বাড়ি গিয়ে উঠলাম ৷ তিনি অত্যন্ত
ধনাঢা ও সমাজ্যের গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি আমাদের আদর-অড়াপ্যায়ন করলেন ৷

আমাদের এ সম্মান দেখে তার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের প্রতি ঈর্ষাম্বিত হয় ৷ মামাকে
আমাদের বিরুদ্ধে বৈরী করে তোলার জন্যে তারা তাকে বলে যে, আপনি ঘর থেকে বের
হওয়ার পর আনীসই তো ঘরের মালিক হয়ে বসে ৷ মামা ঘরে ফিরে আমাদেরকে তা
জানালেন ৷ আমি বললাম, এতদিন আমাদের প্রতি আপনি যে সহানুভুতি দেখিয়েছেন এখন তো
আপনি সেটি স্নান করে দিলেন ৷ এরপর তো আপনার এখানে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷


حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ «قَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَرَجْنَا مِنْ قَوْمِنَا غِفَارٍ وَكَانَ يُحِلُّونَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ أَنَا وَأَخِي أُنَيْسٌ وَأُمُّنَا، فَانْطَلَقْنَا حَتَّى نَزَلْنَا عَلَى خَالٍ لَنَا ذِي مَالٍ وَذِي هَيْئَةٍ، فَأَكْرَمَنَا خَالُنَا وَأَحْسَنَ إِلَيْنَا، فَحَسَدَنَا قَوْمُهُ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّكَ إِذَا خَرَجْتَ عَنْ أَهْلِكَ خَلَفَكَ إِلَيْهِمْ أُنَيْسٌ. فَجَاءَ خَالُنَا فَنَثَا مَا قِيلَ لَهُ. فَقُلْتُ لَهُ: أَمَّا مَا مَضَى مِنْ مَعْرُوفِكَ فَقَدْ كَدَّرْتَهُ وَلَا جِمَاعَ لَنَا فِيمَا بَعْدُ. قَالَ: فَقَرَّبْنَا صِرْمَتَنَا فَاحْتَمَلْنَا عَلَيْهَا، وَتَغَطَّى خَالُنَا ثَوْبَهُ وَجَعَلَ يَبْكِي. قَالَ: فَانْطَلَقْنَا حَتَّى نَزَلْنَا حَضْرَةَ مَكَّةَ. قَالَ: فَنَافَرَ أُنَيْسٌ رَجُلًا عَنْ صِرْمَتِنَا وَعَنْ مِثْلِهَا، فَأَتَيَا الْكَاهِنَ فَخَيَّرَ أُنَيْسًا فَأَتَانَا بِصِرْمَتِنَا وَمِثْلِهَا، وَقَدْ صَلَّيْتُ يَا بْنَ أَخِي قَبْلَ أَنْ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ثَلَاثَ سِنِينَ، قَالَ: قُلْتُ: لِمَنْ؟ قَالَ: لِلَّهِ. قُلْتُ: فَأَيْنَ تَوَجَّهُ؟ قَالَ: حَيْثُ وَجَّهَنِيَ اللَّهُ. قَالَ: وَأُصَلِّي عِشَاءً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ أُلْقِيتُ كَأَنِّي خِفَاءٌ حَتَّى تَعْلُوَنِي الشَّمْسُ. قَالَ: فَقَالَ أُنَيْسٌ: إِنَّ لِي حَاجَةً بِمَكَّةَ، فَاكْفِنِي حَتَّى آتِيَكَ.
পৃষ্ঠা - ১৭৯৮


তারপর আমরা আমাদের বাহনগুলো নিয়ে সেগুলোর উপর সামানপত্র চাপিয়ে মক্কায় চলে
আসি ৷ আমাদের মামা তখন কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে র্কাদতে লাপলেন ৷ এদিকে আমার ভাই
আনীস আমাদের উষ্টীগুলো এবং তার প্রতিপক্ষ এক লোকের অনুরুপ ৷উষ্টীপাল বন্ধক রেখে যে
এবং ওই মালিকের মধ্যে কে উত্তম সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে ৷ উভয় পক্ষ একজন গণককে
সালিস ও ঘীমাৎসাকারী মেনে নেয় ৷ মীমাৎসাকারী সিদ্ধান্ত দেয় যে, আনীসই উত্তম ৷ অনম্ভর
যে আমাদের উষ্টীপা ৷ল এবং অপরপক্ষের বন্ধক রাখা অনুরুপ উন্থীপাল নিয়ে ফিরে আসে ৷
হে তা ৷তিজা! আমি কিভু রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে সাক্ষড়া৩ র তিন বছর পুর্বেও নামায
পড়েছি ৷ আমি বললাম, কার উদ্দেশ্যে ওই নামায ছিল ? তিনি বললেন, আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ৷
আমি বললাম, কোন দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছেন ৷ তিনি বললেন , আল্লাহ আমাকে
যেদিকে ফিরিয়েছেন যেদিকে ৷ তিনি বলেন, আমি ইশার নামাযও আদায় করতাম ৷ শেষ রাতে
আমি নিজেকে কাপড়ের মত হালকা বলে অনুভব কর৩ ৷ম ৷ এভাবে সুয উদিত হত এবং দিনের
ন্ আলো ছড়িয়ে পড়ত ৷ তিনি বলেন, তখন আমার তা ৷ই আনীস বলে যে, মক্কায় আমার কিছু কাজ
আছে ৷ সুতরাং আমি ফিরে আসার পর আপনার সাথে সাক্ষাত হয়ে ৷ সে চলে গেল ৷ এরপর সে
আমার নিকট আসতে দেরী করে ৷ আমি বললাম, বিলন্বের কারণ কি ? সে বলল, সেখানে
জনৈক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ লোকটি দাবী করছে যে আল্লাহ্ তাকে আপনার
ধর্মমতের সপক্ষে রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন ৷ আমি বললাম, লোকজন তার সম্পর্কে কী বলে ?
সে বলল, তারা তাকে করি, জাদুকর ইত্যাদি অভিযোগে অভিযুক্ত করছে ৷ আমার তা ৷ই আনীস
একজন কবি ছিল ৷ সে বলল, আমি তো গণকদের কথাবার্তা ৷শুনেছি ৷ তিনি কিত্তু গণকদের মত
কথা বলেন না ৷ অভিজ্ঞ ও খ্যাতিমান কবিদের নিকট আমি তার নিকট শ্রুত বাণীর উল্লেখ
করেছি কিন্ত তা যে কবিতা এমন কথা কেউ বলেননি ৷ আল্লাহ্র কসম, তিনি কিত্তু নিশ্চয়ই
সত্যবাদী আর ওরা মিথ্যাবাদী ৷ আবু বর (বা) বললেন, তুমি কি এখানে আমার কাজগুলো
সামাল দিতে পারবে যাতে করে আমি ওখানে যাওয়ার সুযোগ পাই ? সে বলল, ইব্রা৷ পারব ৷
তবে মক্কাবাসীদের আক্রমণের ব্যাপারে আপনি সতর্ক থাকবেন ৷ কারণ, তারা মুহাম্মাদ (সা) কে
দােষারােপ করে এবং তার প্রতি নির্যাতন চালায় ৷
হযরত আবু যর (বা) বলেন, আমি রওনা হই এবং মক্কায় গিয়ে পৌছি ৷ সেখানকার
একজন দুর্বল মানুষ খুজে নিয়ে আমি তাকে বলি, যে ব্যক্তিকে ওরা ধর্ম৩ ৷৷গী বলছে যে
লোকটি কোথায় ? লোকটি আমার দিকে ইঙ্গিত করে ৷ আর অমনি কাফিরের দলও উপত্যকার
অধিবাসীরা ঢিল হাড় নিয়ে আমার উপর আক্রমণ শুরু করে ৷ আমি অচেতন হয়ে পড়ে থাকি ৷
অবশেষে আমাকে উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ আমাকে যখন উঠিয়ে নেয়া হয়, তখন আমি যেন তীর
নিক্ষেপের রক্তিয লক্ষ্যবন্তু ৷ আমি যমযম কুপের নিকট আসি এবং ওই পানি পান করি ৷
রক্তগুলাে ধুয়ে পরিষ্কার করি ৷ এরপর আমি কাবাগৃহ এবং তার গিলাফের মধ্যখানে অবস্থান
করতে থাকি ৷৩ ভাতিজা ! আমি দীর্ঘ ৩০ দিন ৩০ রাত ওখানে অবস্থান করি ৷ যমযমের পানি
ছাড় ৷ অন্য কোন খাদ্য আমার ছিল না ৷ তাতেই আমি এত স্বাস্থ্যবান ও মোটা হয়ে পড়ি যে,
আমার পেটের চামড়ার ভীজ বিলুপ্ত হয়ে সব সমান হয়ে যায় ৷ ক্ষুধাজনিত কোন দুর্বলতা আমি
অনুভব করিনি ৷


قَالَ: فَانْطَلَقَ، فَرَاثَ عَلَيَّ، ثُمَّ أَتَانِي، فَقُلْتُ: مَا حَبَسَكَ؟ قَالَ: لَقِيتُ رَجُلًا يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ عَلَى دِينِكَ. قَالَ: فَقُلْتُ: مَا يَقُولُ النَّاسُ لَهُ؟ قَالَ: يَقُولُونَ إِنَّهُ شَاعِرٌ وَسَاحِرٌ. وَكَانَ أُنَيْسٌ شَاعِرًا. قَالَ: فَقَالَ: لَقَدْ سَمِعْتُ الْكُهَّانَ، فَمَا يَقُولُ بِقَوْلِهِمْ، وَقَدْ وَضَعْتُ قَوْلَهُ عَلَى أَقْرَاءِ الشِّعْرِ، فَوَاللَّهِ مَا يَلْتَئِمُ لِسَانَ أَحَدٍ أَنَّهُ شِعْرٌ، وَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَصَادِقٌ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ. قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: هَلْ أَنْتَ كَافِيَّ حَتَّى أَنْطَلِقَ. قَالَ: نَعَمْ، وَكُنْ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ، عَلَى حَذَرٍ ; فَإِنَّهُمْ قَدْ شَنِفُوا لَهُ وَتَجَهَّمُوا لَهُ. قَالَ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى قَدِمْتُ مَكَّةَ، فَتَضَعَّفْتُ رَجُلًا مِنْهُمْ، فَقُلْتُ: أَيْنَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي تَدْعُونَهُ الصَّابِئَ؟ قَالَ: فَأَشَارَ إِلَيَّ، قَالَ: الصَّابِئُ. فَمَالَ أَهْلُ الْوَادِي عَلَيَّ بِكُلِّ مَدَرَةٍ وَعَظْمٍ حَتَّى خَرَرْتُ مَغْشِيًّا عَلَيَّ، فَارْتَفَعْتُ حِينَ ارْتَفَعْتُ كَأَنِّي نُصُبٌ أَحْمَرُ، فَأَتَيْتُ زَمْزَمَ فَشَرِبْتُ مِنْ مَائِهَا وَغَسَلْتُ عَنِّي الدَّمَ، وَدَخَلْتُ بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَأَسْتَارِهَا، فَلَبِثْتُ بِهِ يَا بْنَ أَخِي ثَلَاثِينَ مِنْ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ مَا لِي طَعَامٌ إِلَّا مَاءُ زَمْزَمَ،
পৃষ্ঠা - ১৭৯৯
فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي، وَمَا وَجَدْتُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ. قَالَ: فَبَيْنَا أَهْلُ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ قَمْرَاءَ إِضْحِيَانَ، وَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أَسْمِخَةِ أَهْلِ مَكَّةَ، فَمَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ غَيْرُ امْرَأَتَيْنِ، فَأَتَتَا عَلَيَّ وَهُمَا تَدْعُوَانِ إِسَافًا وَنَائِلَةَ، فَقُلْتُ: أَنْكِحَا أَحَدَهُمَا الْآخَرَ. فَمَا ثَنَاهُمَا ذَلِكَ. فَقُلْتُ: وَهُنَّ مِثْلُ الْخَشَبَةِ غَيْرَ أَنِّي لَمْ أَكُنْ. قَالَ: فَانْطَلَقَتَا تُوَلْوِلَانِ وَتَقُولَانِ: لَوْ كَانَ هَاهُنَا أَحَدٌ مِنْ أَنْفَارِنَا. قَالَ: فَاسْتَقْبَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا هَابِطَانِ مِنَ الْجَبَلِ، فَقَالَ: مَا لَكُمَا؟ فَقَالَتَا: الصَّابِئُ بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَأَسْتَارِهَا. قَالَا مَا قَالَ لَكُمَا؟ قَالَتَا: قَالَ لَنَا كَلِمَةً تَمْلَأُ الْفَمَ. قَالَ: وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - هُوَ وَصَاحَبُهُ حَتَّى اسْتَلَمَ الْحَجَرَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ صَلَّى. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ، فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، فَقَالَ: " عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، مِمَّنْ أَنْتَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: مِنْ غِفَارٍ. قَالَ: فَأَهْوَى بِيَدِهِ فَوَضَعَهَا عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১৮০০


এক পুর্ণিমা রাতের ঘটনা ৷ মক্কাবাসীর৷ সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ শুধু দুজন মহিলা
বায়তুল্লাহ্শ ৷রীফের তাওয়াফ করছিল ৷৩ তারা আসাফ ও নায়েলা প্ৰতিমড়ার উপাসনা করছিল ৷
আমি বললাম, তোমরা আসাফ ও নায়েলা প্রতিমার একটিকে অন্যটির সাথে বিয়ে দিয়ে দাও ৷
আমার বক্তব্য তাদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল না ৷ এরপর আমি বললাম , ওগুলোতো
কাঠের ন্যায় জড়পদার্থ আমি কিন্তু ওগুলাের প্ৰতি আগ্রহী নই ৷ এরপর তারা দু’জন এ থেদােক্তি
করতে করতে ফিরে যাচ্ছিল যে, এখানে যদি আমাদের কোন লোক থাকত , তবে মজা
দেখাতাম ৷ পথিমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) ও হযরত আবু বকর (বা) তাদের সম্মুখে পড়লো ৷ তারা
দু’জন পাহাড় থেকে নেমে আসছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন তোমাদের কী হয়েছে ? তারা
বলল, কাব৷ গৃহ ও তার গিলাফের মাঝে আমরা একজন ধর্মত্যাগী ব্যক্তিকে দেখে এসেছি ৷
তারা বললেন, যে তোমাদেরকে কী বলেছে ? তারা বলল, যে এমন কথা বলেছে, যা মুখে বলা
যায় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও হযরত আবু বকর (রা) এসে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং
বাগৃহের তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায় করলেন ৷ এরপর আমি
তার নিকট এলাম ৷ সর্বপ্রথম আমি৩ ৷কে ইসলামী রীতিতে অভিব৷ ৷দন জা নাই ৷ তিনি বললেন

৷ ট্রুশ্া ন্া
তোমার প্রতি শান্তি এবংঅ আল্লাহ্ব রহমত বর্ষিত হোক ৷ তুমি কে হে ? আমি বললাম আমি
গিফার গোত্রের লোক ৷ তিনি তার নিজের কপালে হাত ৩রাখলেন ৷ আমি মনে মনে বললাম ,
নিশ্চয়ই আমি গিফার গোত্রের লোক শুনে তিনি অসত্তুষ্ট হয়েছেন ৷ আমি ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে

তার হাত ধরতে যাচ্ছিলাম ৷ তখন তার সাথী হযরত আবু বকর (বা ) আমাকে থ৷ মিয়ে দিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে আমার চাইতে তিনিই অধিক জানতেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কবে থেকে এখানে আছ ? আমি বললাম, ত্রিশ দিন-রাত
অবধি ৷ তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে খাদ্যসামগ্রী সববারাহ করে কে ? আমি উত্তর
দিলাম, যমযমের পানি ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য আমি খাইনি ৷ আমি এও বললাম যে, ওই পানি
পান করেই আমার পেটের চামড়ার র্ভাজ সমান হয়ে গিয়েছে আর আমি আমার মধ্যে
ক্ষুধাজনিত কো ন দুর্বল৩ ৷ অনুভব করি না ৷ তিনি বললেন, নিশ্চয়ই যমযম কুপ বরকতময় কুপ
এবং ওই পানি খাদ্যগুণ সম্পন্ন ৷ হযরত আবু বকর (বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আপনি
আমাকে অনুমতি দিন আমি আজ রাতে তার আহারের বাবন্থা করি ৷ তিনি: তাই করলেন ৷
এরপর তারা দু’জন যাত্রা করলেন ৷

আমিও তাদের সঙ্গে গেলাম ৷ হযরত আবু বকর (বা) একটি দরজা থুললেন এবং আমাদের
জন্যে তা ৷ইফের আঙ্গুর নিয়ে এলেন ৷ এ৩ দিন পর এই প্রথম আমি খাদ্য গ্রহণ করলাম ৷ এরপর
কয়েক দিন আমি সেখানে অবস্থান করি ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, একটি খেজুর বীথি
অঞ্চলের উদ্দেশ্যে আমি এ স্থান ত্যাগ করব ৷ আর সেটি সম্ভবত ইয়াছরিব অঞ্চল ৷ তুমি আমার
পক্ষ থেকে তোমার সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট আমার দাওয়াত পৌছিয়ে দিতে পারবে ?
তাহলে তোমার মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলা তাদের কল্যাণ সাধন করবেন এবং এর বদৌলতে
আল্লাহ্ তাআল৷ তোমাকে সাওয়াব দান করবেন ৷


فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: كَرِهَ أَنِ انْتَمَيْتُ إِلَى غِفَارٍ. قَالَ: فَأَرَدْتُ أَنْ آخُذَ بِيَدِهِ فَقَذَفَنِي صَاحِبُهُ، وَكَانَ أَعْلَمَ بِهِ مِنِّي. قَالَ: مَتَّى كَنْتَ هَاهُنَا؟ قَالَ: قُلْتُ: كُنْتُ هَاهُنَا مُنْذُ ثَلَاثِينَ مِنْ بَيْنِ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ. قَالَ: فَمَنْ كَانَ يُطْعِمُكَ؟ قُلْتُ: مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلَّا مَاءُ زَمْزَمَ، فَسَمِنْتُ، حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي، وَمَا وَجَدْتُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ. قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ، إِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ ". قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: ائْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي طَعَامِهِ اللَّيْلَةَ. قَالَ: فَفَعَلَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَانْطَلَقْتُ مَعَهُمَا حَتَّى فَتَحَ أَبُو بَكْرٍ بَابًا، فَجَعَلَ يَقْبِضُ لَنَا مِنْ زَبِيبِ الطَّائِفِ. قَالَ: فَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ طَعَامٍ أَكَلْتُهُ بِهَا، فَلَبِثْتُ مَا لَبِثْتُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " إِنِّي قَدْ وُجِّهْتُ إِلَى أَرْضٍ ذَاتِ نَخْلٍ، وَلَا أَحْسَبُهَا إِلَّا يَثْرِبَ، فَهَلْ أَنْتَ مُبَلِّغٌ عَنِّي قَوْمَكَ، لَعَلَّ اللَّهَ يَنْفَعُهُمْ بِكَ، وَيَأْجُرُكَ فِيهِمْ ". قَالَ: فَانْطَلَقْتُ، حَتَّى أَتَيْتُ أَخِي أُنَيْسًا قَالَ: فَقَالَ لِي: مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: قُلْتُ: صَنَعْتُ أَنِّي أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ. قَالَ: فَمَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكَ، فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ. ثُمَّ أَتَيْنَا أُمَّنَا، فَقَالَتْ: مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكُمَا، فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ. فَتَحَمَّلْنَا حَتَّى أَتَيْنَا قَوْمَنَا غِفَارًا، قَالَ: فَأَسْلَمَ بَعْضُهُمْ قَبْلَ أَنْ يَقْدَمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْمَدِينَةَ، وَكَانَ يَؤُمُّهُمْ خُفَافُ بْنُ إِيمَاءَ بْنِ رَحَضَةَ الْغِفَارِيُّ، وَكَانَ سَيِّدَهُمْ يَوْمَئِذٍ، وَقَالَ بَقِيَّتُهُمْ: إِذَا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَسْلَمْنَا. فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَسْلَمَ بَقِيَّتُهُمْ، قَالَ: وَجَاءَتْ أَسْلَمُ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِخْوَانُنَا نُسْلِمُ عَلَى الَّذِي أَسْلَمُوا عَلَيْهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " غِفَارٌ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا، وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ
পৃষ্ঠা - ১৮০১
عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى قِصَّةَ إِسْلَامِهِ عَلَى وَجْهٍ آخَرَ، وَفِيهِ زِيَادَاتٌ غَرِيبَةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَتَقَدَّمَ ذِكْرُ إِسْلَامِ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ فِي كِتَابِ الْبِشَارَاتِ بِمَبْعَثِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ.