كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
ذكر إسلام حمزة بن عبد المطلب
পৃষ্ঠা - ১৭৯৩
[ذِكْرُ إِسْلَامِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ]
ِ عَمِّ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَسْلَمَ وَكَانَ وَاعِيَةً أَنَّ أَبَا جَهْلٍ اعْتَرَضَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عِنْدَ الصَّفَا، فَآذَاهُ وَشَتَمَهُ، وَنَالَ مِنْهُ مَا يَكْرَهُ مِنَ الْعَيْبِ لِدِينِهِ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَأَقْبَلَ نَحْوَهُ حَتَّى إِذَا قَامَ عَلَى رَأْسِهِ رَفَعَ الْقَوْسَ فَضَرَبَهُ بِهَا ضَرْبَةً شَجَّهُ مِنْهَا شَجَّةً مُنْكَرَةً، وَقَامَتْ رِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ إِلَى حَمْزَةَ ; لِيَنْصُرُوا أَبَا جَهْلٍ مِنْهُ، وَقَالُوا: مَا نَرَاكَ يَا حَمْزَةُ إِلَّا قَدْ صَبَأْتَ. قَالَ حَمْزَةُ: وَمَنْ يَمْنَعُنِي وَقَدِ اسْتَبَانَ لِي مِنْهُ، وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَّ الَّذِي يَقُولُ حَقٌّ، فَوَاللَّهِ لَا أَنْزِعُ، فَامْنَعُونِي إِنَّ كُنْتُمْ صَادِقِينَ. فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ: دَعُوا أَبَا عُمَارَةَ ; فَإِنِّي وَاللَّهِ لَقَدْ سَبَبْتُ ابْنَ أَخِيهِ سَبًّا قَبِيحًا. فَلَمَّا أَسْلَمَ حَمْزَةُ عَرَفَتْ قُرَيْشٌ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَدْ عَزَّ وَامْتَنَعَ، فَكَفُّوا عَمَّا كَانُوا يَتَنَاوَلُونَ مِنْهُ، وَقَالَ حَمْزَةُ فِي ذَلِكَ شِعْرًا.
পৃষ্ঠা - ১৭৯৪
মুখোমুখি হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-কে ভর্ধসনা করে তাকে পীড়৷ দেয় এবং তার দীনের বিরুদ্ধে
কটুক্তি করে ৷ উক্ত ঘটনা তার চাচা হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের কর্ণগােচর করা হয় ৷
তক্ষুণি হামযা আবু জাহ্লের উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷৩ তার নিকট গিয়ে তিনি তার ধনুক দিয়ে
আঘাত করে প্ৰহারে প্রহারে তাকে রক্তাক্ত করে দেন ৷ তখন কুরায়শ বংশের বনী মাখবুম
গোত্রের কতক লোক আবু জাহ্লের সাহায্যে হামযা এর বিরুদ্ধে রুখে র্দাড়ায় ৷ তারা বলে যে ,
আমরা তো দেখতে পাচ্ছি আপনি পিতৃধর্ম ত্যাগ করেছেন৷ হামযা (বা) বললেন , পিতৃধর্ম রর্জনে
আমাকে কে বাধা দিয়ে ? আমার ভাতিজার পক্ষ থেকে এমন কিছু নিদর্শন আমার নিকট স্পষ্ট
হয়ে গিয়েছে যার প্রেক্ষিতে আমি সাক্ষ্য দিতে পারি যে, নিশ্চয়ই সে আল্লাহর রাসুল এবং সে যা
বলে তা সত্য ৷ অতএব, আল্লাহর কসম আমি তার পথ ছাড়র না, তােদের সাধ্য থাকলে
আমাকে বাধা সে তো দেখি ৷
আবু জাহ্ল বলল, আবুআমারাকে ছেড়ে দাও, কারণ আল্লাহর কসম আমি তো তার
ভাতিজাকে বিশ্রী পালি দিয়েছি ৷ হযরত হামযা যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, তখন কুরায়শরা
বুঝতে পারলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিনি আত্মরক্ষ৷ করার মত
সামর্থ অর্জন করেছেন ৷ ফলে ইতোপুর্বে তার সাথে তারা যে জুলুমনির্যাতনমুলক আচরণ করত
তা থেকে তারা এখন বিরত থাকল ৷ এ বিষয়ে হযরত হামযা (রা) একটি কবিতা পাঠ
করেছিলেন ৷ >
ইবন ইসহাক বলেন এরপর হযরত হামযা (বা) নিজের বাড়িতে ফিরে যান ৷ এবার তার
নিকট উপস্থিত হয় শ্ায়ত তান ৷ সে বলে, আপনি কুরায়শ বংশের স্ন্তুাম্ভ নেত তা ৷ আপনি কি ওই
ধর্মত্যাগীর দলে ভিড়লেন ? আর নিজের পিতৃপুরুষের ধর্মত্যাগ করলেন ? আপনি যা করলেন
তর চাইতেও মৃত্যু তো উত্তম ছিল ৷ হযরত হামযা মনে মনে বললেন, হে আল্লাহ আমি যা
করেছি তা যদি সঠিক ও সত্য হয়, তবে আমার অতরে তাকে দৃঢ় করে দিন ৷ অন্যথায়ত
থেকে বের হওয়ার উপায় করে দিন ৷
তিনি রাত কাটালেন ৷ কিন্ত সে রাতে শয়তান তার মনে এমন কুমন্ত্রণার জাল বিস্তার করল
যা অন্য কোন দিন করেনি ৷ ভোরে তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট গিয়ে বললেন ভাতিজা !
আমি তো এমন বিষয়ে জড়িয়ে পড়েছি যা থেকে বের হওয়ার পথ আমার জানা নেই ৷ কোন
ব্যাপার সত্য, নাকি বিভ্রান্তি সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েত তার উপর অবিচল থাকা আমার মত
ব্যক্তির জন্য কষ্টকর ৷ তুমি আমাকে কিছু বল ৷ তোমার বক্তব্য শুনতে আমি খুব আগ্রহী ৷
রাসুলুল্লাহ (না) তাকে উদ্দেশ্য করে ওয়ায-নসীহত করলেন ৷ তিনি তাকে পুরস্কারের সৃসংবাদ
এবং শান্তি সম্পর্কে সতর্ক করলেন ৷ তাতে আল্লাহ তাআলা হযরত হামযা (রা)-এর অম্ভরে
ঈমান দান করলেন ৷ তখন তিনি ঘোষণা দিলেন যে, আমি সুস্পষ্টতা বে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি
সত্য নবী ৷ সুতরাং হে ভাতিজা! তুমি তােমা র দীন প্রকাশ্যে প্রচার করে যাও ৷ আল্লাহর কসম
আমি আমার পুর্ব ধর্মমতে থেকে আসমানের নীচের সমগ্র দুনিয়া গেলেও তা আমার মনঃপুত
১ এখানে হযরত হামযা (রা) এর কবিতা উস্লেখ করা ৷হয়নি ৷ সুহায়লী তার রাওদৃল উনুক গ্রন্থে একটি কবিতা
উল্লেখ করেছে যার শুরু এই
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ رَجَعَ حَمْزَةُ إِلَى بَيْتِهِ، فَأَتَاهُ الشَّيْطَانُ، فَقَالَ: أَنْتَ سَيِّدُ قُرَيْشٍ، اتَّبَعْتَ هَذَا الصَّابِئَ، وَتَرَكْتَ دِينَ آبَائِكَ، لَلْمَوْتُ خَيْرٌ لَكَ مِمَّا صَنَعْتَ. فَأَقْبَلَ عَلَى حَمْزَةَ بَثُّهُ، وَقَالَ: مَا صَنَعْتُ! اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ رُشْدًا فَاجْعَلْ تَصْدِيقَهُ فِي قَلْبِي، وَإِلَّا فَاجْعَلْ لِي مِمَّا وَقَعْتُ فِيهِ مَخْرَجًا. فَبَاتَ بِلَيْلَةٍ لَمْ يَبِتْ بِمِثْلِهَا مِنْ وَسْوَسَةِ الشَّيْطَانِ، حَتَّى أَصْبَحَ فَغَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ يَا بْنَ أَخِي، إِنِّي قَدْ وَقَعْتُ فِي أَمْرٍ لَا أَعْرِفُ الْمَخْرَجَ مِنْهُ، وَإِقَامَةُ مِثْلِي عَلَى مَا لَا أَدْرِي مَا هُوَ أَرُشْدٌ هُوَ أَمْ غَيٌّ، شَدِيدٌ، فَحَدِّثْنِي حَدِيثًا فَقَدِ اشْتَهَيْتُ يَا بْنَ أَخِي أَنْ تُحَدِّثَنِي. فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَذَكَّرَهُ وَوَعَظَهُ، وَخَوَّفَهُ وَبَشَّرَهُ، فَأَلْقَى اللَّهُ فِي قَلْبِهِ الْإِيمَانَ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ الصَّادِقُ شَهَادَةَ الصِّدْقِ، فَأَظْهِرْ يَا بْنَ أَخِي دِينَكَ، فَوَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي مَا أَظَلَّتْهُ السَّمَاءُ وَأَنِّي عَلَى دِينِيَ الْأَوَّلِ. فَكَانَ حَمْزَةُ مِمَّنْ أَعَزَّ اللَّهُ بِهِ الدِّينَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ بِهِ.