আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

تتابع الوحي بعد انقطاعه

পৃষ্ঠা - ১৭৬৮
جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُعَالِجُ مِنَ التَّنْزِيلِ شِدَّةً، فَكَانَ يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ} [القيامة: 16] ، قَالَ: جَمْعَهُ فِي صَدْرِكَ، ثُمَّ تَقْرَؤُهُ {فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 18] فَاسْتَمِعْ لَهُ وَأَنْصِتْ {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] ، قَالَ: فَكَانَ إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ أَطْرَقَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَرَأَهُ كَمَا وَعَدَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ» . [تَتَابُعُ الْوَحْيِ بَعْدَ انْقِطَاعِهِ] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ تَتَابَعَ الْوَحْيُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ مُصَدِّقٌ بِمَا جَاءَهُ مِنْهُ، قَدْ قَبِلَهُ بِقَبُولِهِ، وَتَحَمَّلَ مِنْهُ مَا حَمَلَهُ، عَلَى رِضَا الْعِبَادِ وَسُخْطِهِمْ، وَلِلنُّبُوَّةِ أَثْقَالٌ وَمُؤْنَةٌ، لَا يَحْمِلُهَا وَلَا يَسْتَضْلِعُ بِهَا إِلَّا أَهْلُ الْقُوَّةِ وَالْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ بِعَوْنِ اللَّهِ وَتَوْفِيقِهِ لِمَا يَلْقَوْنَ مِنَ النَّاسِ، وَمَا يُرَدُّ عَلَيْهِمْ مِمَّا جَاءُوا بِهِ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى مَا أَمَرَ اللَّهُ، عَلَى مَا يَلْقَى مِنْ قَوْمِهِ مِنَ الْخِلَافِ وَالْأَذَى قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَآمَنَتْ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَصَدَّقَتْ بِمَا جَاءَهُ مِنَ اللَّهِ، وَوَازَرَتْهُ عَلَى أَمْرِهِ، وَكَانَتْ أَوَّلَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَصَدَّقَتْ بِمَا جَاءَ
পৃষ্ঠা - ১৭৬৯


আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আনীত বিষয় প্রচার করতে গিয়ে ওই নবী-রাসুলগণ
জনসাধাব ণের পক্ষ থেকে যে অপ্রীতিকর আচরণের সম্মুখীন হন এবং ওরা তাদের উপর যে
অত্যাচা র নির্যাতন চালায় তার মুকা ৷বিলড়ায় মহান আল্লাহর সাহায্য ও দয়ায় তারা দায়িতু পালনে
সক্ষম হন ৷ এ ভাবেই আপন সম্প্রদায়ের বিরোধিতা ও নির্যা ৷তসের মুখে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নিয়মিতভাবে আল্লাহর নির্দেশ পালন করে গিয়েছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ঈমান আনয়ন করলেন আল্লাহর
পক্ষ থেকে প্রা ৷প্ত বিষয় সত্য বলে গ্রহণ করলেন এবং স্বীয় দায়ি তু পালনে রাসুলুল্লাহ (সা) কে
সাহায্য করেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এসেছেন ৷ আল্লাহর পক্ষ থেকে
যা এসেছে তা সত্য বলে গ্রহণ করেছেন ৷ তার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর
দুঃখ-কষ্ট লাঘব করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার বিরুদ্ধবাদীন্দের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকৃতি
ইত্যাকার যত দুঃখজনক আচরণের মুখোমুখি হয়ে শোকেদুঃখে জর্জরিত হয়ে যখন হযরত
খাদীজা (রা)-এর নিকট ফিরে আসতেন, তখন হযরত খাদীজার মাধ্যমে আল্লাহ তাত্মালা তার
সকল দৃংখের উপশম ঘটাতেন ৷

হযরত খাদীজা ৷(রা)৩ তাকে অটল থাকতে বলতে তন ৷ তিনিওার গুরুদায়িতৃ পালন সহজ
করে তুলতেন ৷ সকল কাজে তার সত্যায়ন করতেন এবং শত্রুদের শত্রুতামুলক আচরণকে
সহনীয় করে তৃলতেন ৷ আল্লাহ হযরত খাদীজার প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তবে সন্তুষ্ট করুন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতা থেকে এবং তিনি আবদুল্লাহ ইবন
জাফর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আমাকে নির্দেশ
দেয়া হয়েছে আমি যেন খাদীজাকে জান্নাতে মুক্তার তৈরি একটি ঘরের সুসংবাদ দিই যেখানে

না আছে কোন কোলাহল, আর না আছে কোন দুঃখ-কষ্ট ৷ এ হাদীছ সহীহ বুখারী ও সহীহ

মুসলিমে হিশাম (র) থেকে উদ্ধৃত আছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আল্লাহ তা অ ৷ল৷ প্রিয়নবী (সা) কে নবুওয়াত প্রদানের মাধ্যমে তার
প্রতি এবং সকল বান্দ র প্রতি যে নিআমত ও অনুগ্রহ বর্ষণ করেছেন প্রিয়নবী (না) তার
পরিবারের ঘনিষ্ঠজনকে একান্তে সেগুলো জানাতেন ৷

মুসা ইবন উকবা যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খাদীজা (রা) সর্বপ্রথম আল্লাহর
প্রতি ঈমান এসেছেন এবং রাসুলকে সত্য বলে গ্রহণ করেছেন ৷ নামায ফরয হওয়ার পুরেই
তিনি ঈমান আসেন ৷

উক্ত বর্ণনার ব্যাখ্যায় আমি বলি যে, এখানে মিরাজের রাতে পাচ ওয়াক্ত নামায ফরয
হওয়ার পুর্বের কথা বলা হয়েছে ৷ নতুবা মুলত নামায ফরয হয়েছে হযরত খাদীজা (রা)-এর
জীবদ্দশায় ৷ এ বিষয়ে আমরা এবন্টু পরে আলোচনা করব ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজা (রা)-ই প্রথম লোক, যিনি আল্লাহ ও তার রাসুলের
প্রতি ঈমান এসেছেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) যা এসেছেন, তা সত্য বলে গ্রহণ করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর উপর নামায ফরয হওয়ার পরের একদিনের ঘটনা ৷ হযরত জিবরাঈল
(আ) এলেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ৷ নিজের পায়ের গোড়ালি দ্বারা তিনি মাঠের এক প্রান্তে


مِنْهُ، فَخَفَّفَ اللَّهُ بِذَلِكَ عَنْ رَسُولِهِ ; لَا يَسْمَعُ شَيْئًا يَكْرَهُهُ ; مِنْ رَدٍّ عَلَيْهِ، وَتَكْذِيبٍ لَهُ، فَيُحْزِنُهُ ذَلِكَ إِلَّا فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ بِهَا، إِذَا رَجَعَ إِلَيْهَا تُثَبِّتُهُ، وَتُخَفِّفُ عَنْهُ، وَتُصَدِّقُهُ، وَتُهَوِّنُ عَلَيْهِ أَمْرَ النَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - «أُمِرْتُ أَنْ أُبَشِّرَ خَدِيجَةَ بِبَيْتٍ مِنْ قَصَبٍ، لَا صَخَبَ فِيهِ، وَلَا نَصَبَ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ: قَالَ: ابْنُ هِشَامٍ الْقَصَبُ: هَاهُنَا اللُّؤْلُؤُ الْمُجَوَّفُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَذْكُرُ جَمِيعَ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِ، وَعَلَى الْعِبَادِ مِنَ النُّبُوَّةِ سِرًّا إِلَى مَنْ يَطْمَئِنُّ إِلَيْهِ مَنْ أَهْلِهِ» . وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَتْ خَدِيجَةُ أَوَّلَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَصَدَّقَ رَسُولَهُ قَبْلَ أَنْ تُفْرَضَ الصَّلَاةُ. قُلْتُ: يَعْنِي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، فَأَمَّا أَصْلُ الصَّلَاةِ فَقَدْ وَجَبَ
পৃষ্ঠা - ১৭৭০
فِي حَيَاةِ خَدِيجَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ خَدِيجَةُ أَوَّلَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَصَدَّقَ بِمَا جَاءَ بِهِ، ثُمَّ «إِنَّ جِبْرِيلَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ افْتُرِضَتْ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ، فَهَمَزَ لَهُ بِعَقِبِهِ فِي نَاحِيَةِ الْوَادِي، فَانْفَجَرَتْ لَهُ عَيْنٌ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ، فَتَوَضَّأَ جِبْرِيلُ وَمُحَمَّدٌ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَسَجَدَ أَرْبَعَ سَجَدَاتٍ، ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَدْ أَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ، وَطَابَتْ نَفْسُهُ، وَجَاءَهُ مَا يُحِبُّ مِنَ اللَّهِ، فَأَخَذَ بِيَدِ خَدِيجَةَ حَتَّى أَتَى بِهَا إِلَى الْعَيْنِ، فَتَوَضَّأَ كَمَا تَوَضَّأَ جِبْرِيلُ، ثُمَّ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ، ثُمَّ كَانَ هُوَ وَخَدِيجَةُ يُصَلِّيَانِ سِرًّا» قَلْتُ: صَلَاةُ جِبْرِيلَ هَذِهِ غَيْرُ الصَّلَاةِ الَّتِي صَلَّاهَا بِهِ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ، فَبَيَّنَ لَهُ أَوْقَاتَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ ; أَوَّلَهَا وَآخِرَهَا ; فَإِنَّ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ فَرْضِيَّتِهَا لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، وَسَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.