আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في كيفية إتيان الوحي إلى رسول الله - صلى الله عليه وسلم -

পৃষ্ঠা - ১৭৬১


জিবরাঈল ফেরেশতা রয়েছেন ৷ আচ্ছা, তোমাদের নিকট কী কৌশল আছে ? তারা উত্তর দিল
যে, তার সাথীদের নিকট কমনীয় ও রমণীয় বিষয়গুলােকে আমরা চিত্তাকর্ষক ও সুসজ্জিত করে
রাখব এবং ওগুলোকে তাদের নিকট মােহনীয় করে তুলব ৷ এবার ইবলীস বলল, ঠিক আছে,
তাহলে আমি নিরাশ হব না ৷

ওয়াকিদী বলেন, তালহা ইবন আমর আবদুল্লাহ ইবন আমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, যে দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নবুওয়াতপ্রাপ্ত হলেন, সেদিন শয়তানদেরকে আকাশে যেতে
বধো দেয়া হল এবং তাদের প্রতি উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হল ৷ তখন শয়তানরা ইবলীসের নিকট
গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ওই ঘটনা তাকে জানায় ৷ তখন সে বলে, আসলে নতুন একটি ঘটনা
ঘটেছে ৷ ইসরাঈলীদের নির্গমন স্থলে পবিত্র ভুমিতে তোমাদের প্রতি একজন নবী প্রেরিত
হয়েছেন ৷ তার খোজে শয়তানরা সিরিয়ায় যায় ৷ কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে তারা ইবলীসের
নিকট ফিরে এসে বলে, ওখানে তিনি সেই ৷ ইবলীস বলল, ঠিক আছে, আমি নিজে তাকে খুজে
বের করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খোজে সে মক্কায় গমন করে ৷ যে তাকে দেখতে পায় যে,
তিনি হেরা গুহায় অবতরণ করছেন ৷ তার সাথে রয়েছেন ফেরেশতা জিবরাঈল (আ) ৷ সে তার
শিষ্যদের নিকট ফিরে আসে ৷ তাদের উদ্দেশ্যে সে বলে, আহমদ (সা) নবীরুপে প্রেরিত
হয়েছেন, তার সাথে রয়েছেন জিবরাঈল (আ) ৷ তোমাদের নিকট কী কৌশল আছে ? তারা
সমন্বয়ে উত্তর দিল যে, আমাদের নিকট আছে দুনিয়া ৷ এটিকে আমরা মানব জাতির নিকট
চাকচিক্যময় ও আকর্ষণীয় করে তুলব ৷ যে বলল, ঠিক আছে, তবে তাই কর ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, তালহা ইবন আমর ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বলেছেন,
শয়তানরা আড়ি পেতে ওহী শ্রবণ করত ৷ মুহাম্মাদ (সা) যখন নবুওয়াত লাভ করলেন, তারা
ওহী শ্রবণে বাধা প্রাপ্ত হল ৷ ইবলীসের নিকট তারা এ বিষয়ে অভিযোগ পেশ করে ৷ সে বলে,
নিশ্চয়ই কোন নতুন ঘটনা ঘটেছে ৷ সে আবু কুবায়স পাহাড়ে উঠল ৷ এটি পৃথিবীর আদি
পাহাড় ৷ ওখান থেকে সে দেখতে পেল যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায
আদায় করছেন ৷ সে বলল, আমি গিয়ে তার ঘাড় মটকে দিই ৷ রাগে গরগর করতে করতে সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যায় ৷ তার নিকট তখন হযরত জিবরাঈল (আ) ছিলেন ৷

হযরত জিবরাঈল (আ) তখন ইবলীসকে এমন একটি লাথি নামের যে , সে দুরে বহুদুরে
গিয়ে ছিটকে পড়ল এবং পালিয়ে প্রাণ র্বাচাল ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, জিবরাঈল (আ)
তাকে এমন সজােরে লাথি যেরেছিলেন যে, সে এডেন অঞ্চলে গিয়ে পড়েছিল ৷

রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট ওহী আসতো কেমন করে ?

হযরত জিবরাঈল (আ) প্রথমবার কোন অবস্থায় এসেছিলেন তা ইতোপুর্বে আলোচিত
হয়েছে ৷ দ্বিতীয়বার কেমন অবস্থায় এসেছিলেন তাও আলোচনা করা হয়েছে ৷ মালিক (র)
হযরত আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হারিছ ইবন হিশাম রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে
জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার নিকট ওহী আসে কেমন করে ? উত্তরে তিনি
বলেছিলেন, কখনো আসে ঘন্টাধ্বনির ন্যায় ৷ এটি আমার জন্যে খুবই কষ্টকর হয় ৷ এরপর ওই
পরিস্থিতি কেটে যায় আর যা নাযিল হল আমি তা সংরক্ষণ করি ৷ কখনো কখনো ওই ফেরেশতা


[فَصْلٌ فِي كَيْفِيَّةِ إِتْيَانِ الْوَحْيِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -] فَصْلٌ فِي كَيْفِيَّةِ إِتْيَانِ الْوَحْيِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَدْ تَقَدَّمَ كَيْفِيَّةُ مَا جَاءَهُ جِبْرِيلُ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ وَثَانِي مَرَّةٍ أَيْضًا. وَقَالَ مَالِكٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: «أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ؟ فَقَالَ: " أَحْيَانًا يَأْتِينِي مِثْلَ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ، وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ، فَيَفْصِمُ عَنِّي، وَقَدْ وَعَيْتُ مَا قَالَ، وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي الْمَلَكُ رَجُلًا، فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ " قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْوَحْيُ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ، فَيَفْصِمُ عَنْهُ، وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا» . أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ عَامِرِ بْنِ صَالِحٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ بِهِ نَحْوَهُ وَكَذَا رَوَاهُ عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ وَأَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১৭৬২


আমার নিকট আসেন মানুষের রুপ ধরে ৷ তিনি সরাসরি আমার সাথে কথা বলেন ৷ তিনি যা
বলেন, আমি তা সংরক্ষণ করি ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখেছি
যখন তার প্রতি ওহী নাযিল হত প্রচণ্ড ঠাণ্ডার দিলেও ওহী নাযিল হওয়ার পর তার কপাল থেকে
যান ঝরে পড়ত ৷ বর্ণনাটি বুখারী ও সহীহ্ মুসলিম-এর ৷ ইমাম আহমদ (র) আমির ইবন
সালিহ্ সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ অনুরুপ আবদা ইবন সৃলায়মান এবং আনাস ইবন ইয়ায
এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

আইয়ুব সুখতিয়ানী হারিছ ইবন হিশাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্
(সা) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, আপনার নিকট কীভাবে ওহী আসে ? এরপর তিনি পুর্বোক্ত
হাদীছের ন্যায়ই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে ওই সনদে হযরত আইশা (রা) এর নাম উল্লেখ নেই ৷

হযরত আইশা (রা)-এর প্রতি অপবাদ সংক্রান্ত হাদীছে রয়েছে যে , তিনি বলেছিলেন,
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই ঘর থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেননি আর অন্য কেউও বের হয়নি
এমতাবস্থায় তার প্রতি ওহী নাযিল হতে শুরু করে ৷ ওহী নাযিলকালীন অবস্থার মত তখন তার
চোখ-মুখ কঠিন ও স্থির হয়ে উঠে ৷ এরপর তার মুখমণ্ডল থেকে মুক্তাবিন্দুর ন্যায় নাম ঝরে
পড়তে থাকে ৷ তখন ছিল শীতকাল ৷ ওহী নাযিলের গুরুভারের কারণে এমনটি হয়েছিল ৷

ইমাম আহমদ উমর ইবন খড়াত্তাব (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্রতি যখন ওহী নাযিল হত, তখন তার মুখমণ্ডলের নিকট মৌমাছির গুঞ্জরনের ন্যায়
গুঞ্জন শোনা যেত ৷ ট্রু,দ্দু;পু৷ ৷ ত্া১৷ ন্ আঘাতের শানে নুয়ুল বর্ণনা প্ৰসংগে এ হাদীছ
বিস্তারিত ভাবে উল্লিখিত হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) হাদীছটি আবদুর রায্যাক সুত্রে
বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর ইমাম নাসাঈ মন্তব্য করেছেন যে, বর্ণনাটি অগ্রহণযােগ্য ৷ ইউনুস ইবন
সুলায়ম ব্যতীত অন্য কেউ এটি বর্ণনা করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ আর তিনি একজন
অজ্ঞাত পরিচয় রাবী ৷

সহীহ্ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে আছে যে, হাসান উবাদাহ্ ইবন সামিত (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি যখন ওহী নাযিল হত, তখন তা তীর নিকট অত্যন্ত কষ্টকর
হত এবং তার মুখমণ্ডল ঘর্মাক্ত হয়ে যেত ৷ এক বর্ণনায় আছে যে , তিনি তখন দুচােখ বন্ধ করে
রাখতেন ৷ তার এ অবস্থায় সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম ৷

সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে যায়দ ইবন ছাবিত (রা) থেকে বর্ণিত যে , টু,,ঠু এে ৷ ধ্;প্রুব্লুঠুঠুরু
;;,;;;;;§: ৷ ;,, আয়াত নাযিল হওয়ার পর ইবন উম্মে মাকতুম তীর অন্ধত্বের বিষয়টি
ন্রার্মুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট ব্যক্ত করলেন ৷ এ প্রেক্ষিতে ,,ট্রু:৷ ৷ হো,’৷ ’,: ; (অর্থাৎ যাদের
কোন ওমর নেই) আয়াতাংশ (৪ : ৯৫) নাযিল হয় ৷ যায়র্দ ইবন ছার্বিত (রা) বলেন যে, তখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উরু মুবারক আমার জানুর উপর ছিল ৷ আমি তখন ওহী লিখছিলাম ৷ ওহী
যখন নাযিল হচ্ছিল, তখন তার উরুর চাপে আমার উরু যেতলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷

সহীহ্ মুসলিমে হিশাম ইবন ইয়াহ্য়া ইয়ালা ইবন উমাইয়া সুত্রে বর্ণনা করেন তিনি
বলেছেন, হযরত উমর (রা) আমাকে বলেছিলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি ওহী নাযিল হওয়ার
সময় তীর অবস্থা দেখার কোন আগ্নহ তোমার আছে কি ? একথা বলে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর


قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقُلْتُ: كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ؟ فَذَكَرُهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ عَائِشَةَ. وَفِي حَدِيثِ الْإِفْكِ، «قَالَتْ عَائِشَةُ: فَوَاللَّهِ، مَا رَامَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَجْلِسَهُ، وَلَا خَرَجَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ حَتَّى أُنْزِلَ عَلَيْهِ، فَأَخَذَهُ مَا كَانَ يَأْخُذُهُ مِنَ الْبُرَحَاءِ، حَتَّى أَنَّهُ كَانَ يَتَحَدَّرُ مِنْهُ مِثْلُ الْجُمَانِ مِنَ الْعَرَقِ، وَهُوَ فِي يَوْمٍ شَاتٍ مِنْ ثِقَلِ الْوَحْيِ الَّذِي يَنْزِلَ عَلَيْهِ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ سُلَيْمٍ قَالَ أَمْلَى عَلَيَّ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ الْقَارِيِّ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: كَانَ «إِذَا نَزَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْوَحْيُ يُسْمَعُ عِنْدَ وَجْهِهِ كَدَوِيِّ النَّحْلِ» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ فِي نُزُولِ {قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ} [المؤمنون: 1] وَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ثُمَّ قَالَ النَّسَائِيُّ: مُنْكَرٌ، لَا نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ يُونُسَ بْنَ سُلَيْمٍ وَلَا نَعْرِفُهُ.
পৃষ্ঠা - ১৭৬৩
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ "، وَغَيْرِهِ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ كَرَبَهُ ذَلِكَ وَتَرَبَّدَ وَجْهُهُ وَفِي رِوَايَةٍ وَغَمَّضَ عَيْنَيْهِ وَكُنَّا نَعْرِفُ ذَلِكَ مِنْهُ.» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حِينَ نَزَلَتْ {لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [النساء: 95] فَلَمَّا شَكَى ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ ضَرَارَتَهُ نَزَلَتْ: {غَيْرُ أُولَى الضَّرَرِ} [النساء: 95] ، قَالَ: وَكَانَتْ فَخِذُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى فَخِذِي، وَأَنَا أَكْتُبُ، فَلَمَّا نَزَلَ الْوَحْيُ كَادَتْ فَخِذُهُ تَرُضُّ فَخِذِي وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى عَنْ عَطَاءٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ قَالَ قَالَ لِي عُمَرُ: أَيَسُرُّكَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ يُوحَى إِلَيْهِ؟ فَرَفَعَ طَرَفَ الثَّوْبِ عَنْ وَجْهِهِ، وَهُوَ يُوحَى إِلَيْهِ بِالْجِعْرَانَةِ، فَإِذَا هُوَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ، وَهُوَ يَغِطُّ كَمَا يَغِطُّ الْبَكْرُ وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ لَمَّا نَزَلَ الْحِجَابُ، وَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ১৭৬৪


;খমওলের পর্দা ফীক করে দিলেন ৷ তখন তার প্রতি ওহী নাযিল হচ্ছিল ৷ তার মুখমণ্ডল ছিল
চাল টকটকে ৷ তখন তিনি গোঙাচ্ছিলেন ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল জিইররানা নামক স্থানে ৷

সহীহ্ বুথারী ও সহীহ্ মৃসলিমে হযরত আইশা (না) থেকে বর্ণিত ৷ পর্দার আয়াত নাযিল
দ্বুওয়ার অব্যবহিত পুর্বে একরাতে হযরত সাওদা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে
পয়েছিলেন ৷ তাকে দেখে হযরত উমর (রা) বললেন হে সাওদা শু আমি আপনাকে চিনে
ফলেছি ৷ হযরত সাওদা ঘরে পৌছে এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট অনুযোপ করলেন ৷
ান্বসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বসে বসে রাতের খাবার গ্রহণ করছিলেন ৷ তার হাতে ছিল একটি হাড় ৷
চখনি আল্লাহ্ তাআলা তার প্রতি ওহী নাযিল করলেন ৷ ওই হাড় তখনও তার হাতে ছিল ৷

এরপর তিনি মাথা তুলে বললেন, “প্রয়োজন সমাধা করার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি
তামাদেরকে দেয়া হয়েছে ৷” এতে প্রমাণিত হয় যে, ওহী নাযিল হওয়ার সময় তার অনুভুতি
ন্ম্পুর্ণরুপে বিলুপ্ত হত না ৷ কারণ, হাদীছে রয়েছে যে , তিনি বসা ছিলেন এবং তার হাত থেকে
হাড়টি পড়ে যায়নি ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী বলেন, আব্বাদ ইবন মানসুর হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ওহী নাযিল হওয়ার সময় রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর দেহ ঘুবারক ও
মুখমণ্ডল ঘর্মাক্ত হয়ে যেত ৷ তিনি তখন সাহাবীদের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকতেন ৷
তাদের কেউ তখন র্তার সাথে কথাবার্তা বলতেন না ৷ মুলনাদে আহমদ প্রভৃতি পন্থে ইবন
নাহ্ইয়া আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! ওহী নাযিল হওয়ার বিষয়টি কি আপনি অনুভব করতে পারেন ? তিনি বললেন হীা,
আমি তখন ঘণ্টাধ্বনির ন্যায় আওয়াজ শুনতে পাই আর তখন আমি স্থির হয়ে থাকি ৷ যখন
আমার প্রতি ওহী নাযিল হতে থাকে, তখন আমার আশংকা হয় যে, এর কারণে আমার প্রাণ
বেরিয়ে যাবে ৷

আবু ইয়ালা মুসিলী বলেন, ইবরাহীম ইবন হাজ্জাজ আলইয়াস ইবন আসিম থেকে বণ্নাি
করেন ৷ তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ছিলাম ৷ তখন তার প্রতি ওহী
নাযিল হচ্ছিল ৷ তীর প্রতি যখন ওহী নাযিল হত, তখন তার দৃষ্টি স্থির হয়ে যেত চক্ষুদ্বয় থাকত
খোলা ৷ তার শ্রবণেদ্রিয় ও অন্তর আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নাযিল হচ্ছে তা সংরক্ষণের জন্যে
প্রস্তুত থাকত ৷

আবু নুআয়ম হযরত আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রতি যখন ওহী নাযিল হত , তখন তার মাথা ধরে যেত এবং তিনি (মহ্দী দ্বারা মাথায়
প্ৰলেপ দিতেন ৷ হাদীছটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আবু নাসর আসমা বিনত ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন
একদিনের ঘটনা ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর “আযবা” নামক উষ্ট্রীর লাগাম ধরে র্দাড়িয়ে
ছিলাম ৷ তখন সুরা মায়িদা পুরোটাই তার প্রতি নাযিল হল ৷ ওহীর ভারে উষ্ট্রীর পার্শ্বদেশ ভেঙ্গে
যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ এ হাদীছটি আবু নুআয়মও বর্ণনা করেছেন ৷


سَوْدَةَ خَرَجَتْ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى الْمَنَاصِعِ لَيْلًا، فَقَالَ عُمَرُ: قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ، فَرَجَعَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَسَأَلَتْهُ، وَهُوَ جَالِسٌ يَتَعَشَّى، وَالْعَرْقُ فِي يَدِهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ، وَالْعَرْقُ فِي يَدِهِ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: " إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُنَّ أَنْ تَخْرُجْنَ لِحَاجَتِكُنَّ» ". فَدَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنِ الْوَحْيُ يُغَيِّبُ عَنْهُ إِحْسَاسَهُ بِالْكُلِّيَّةِ ; بِدَلِيلِ أَنَّهُ جَالِسٌ لَمْ يَسْقُطْ، وَلَمْ يَسْقُطِ الْعَرْقُ أَيْضًا مِنْ يَدِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ دَائِمًا عَلَيْهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ تَرَبَّدَ لِذَلِكَ جَسَدُهُ وَوَجْهُهُ، وَأَمْسَكَ عَنْ أَصْحَابِهِ، وَلَمْ يُكَلِّمْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ» وَفِي مُسْنَدِ أَحْمَدَ وَغَيْرِهِ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْوَلِيدِ «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ تُحِسُّ بِالْوَحْيِ؟ قَالَ: " نَعَمْ، أَسْمَعُ صَلَاصِلَ، ثُمَّ أَثْبُتُ عِنْدَ ذَلِكَ، وَمَا مِنْ مَرَّةٍ يُوحَى إِلَيَّ إِلَّا ظَنَنْتُ أَنَّ نَفْسِي تَفِيظُ مِنْهُ» "
পৃষ্ঠা - ১৭৬৫
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَجَّاجِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ خَالِهِ «الْفَلَتَانِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأُنْزِلَ عَلَيْهِ، وَكَانَ إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ دَامَ بَصَرُهُ مَفْتُوحَةً عَيْنَاهُ، وَفَرَّغَ سَمْعَهُ وَقَلْبَهُ لِمَا يَأْتِيهِ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ غُرَابٍ عَنِ الْأَحْوَصِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي عَوْنٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ صُدِعَ، وَغَلَّفَ رَأْسَهُ بِالْحِنَّاءِ» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ شَيْبَانُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ إِنِّي لَآخِذَةٌ بِزِمَامِ
পৃষ্ঠা - ১৭৬৬


ইমাম আহমদ হাসান আবদুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্
(সা) সওয়ারীর পৃষ্ঠে ছিলেন এ অবস্থায় সুরা মায়িদা নড়াযিলভ্রু হত ৩থাকে ৷ সওয়ারী ওহীর তার
সইতে অক্ষম হয়ে পড়ে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেটি থেকে নেমে পড়েন ৷

ইবন মারদাবিয়্যাহ উম্মে আমরের চাচা সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, একদা তিনি রাসুলুল্লাহ
(সা) এর সাথে সফরে ছিলেন ৷ তখন তার প্রতি ৩সুরা মায়িদা নাযিল হয় ৷ ওহীর৩ শরে সষ্ শ্লিষ্ট
সওয়৷ ৷রীর ঘাড় ভেঙ্গে যাওয়া র উপক্রম হয়েছিল ৷ এ সনদে হাদীছটি ণরীব পর্যায়ের ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যারর্তনের সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি ৩সুরা ফাত তহ নাযিল হয় ৷ তখনও তিনি সওয়ারীর পিঠে ছিলেন ৷ অবস্থা
ভেদে সেটি একবার এদিক, একবার ওদিক নড়াচড়৷ করছিল ৷

সহীহ্ বুখায়ীর ভাষ্য গ্রন্থের প্রথম দিকে আমরা ওহীর প্রকারভেদ আলোচনা করেছি ৷
হালীমী প্রমুখ ইমামগণ বা মন্তব্য করেছেন৩ তাও আমরা সেথাঃন উল্লেখ করেছি ৷

পরিচ্ছেদ
আল্লাহ্ তাআলা বলেন :


, ৷ ;

“তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্যে আপনি আপনার জিহ্বা সেটির সাথে সঞ্চালন করবেন
না ৷ এটিড় সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দ য়ি আমারই ৷ সুতরাং আমি যখন সেটি পাঠ করি
আপনি যে পাঠের অনুসরণ করুন ৷ এরপর সেটির বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই” (৭৫ :
১৬ ১৯) ৷
মহান আল্লাহ আরো বলেন :

১াএ
“আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পুর্বে কুরআন পাঠে আপনি তৃর৷ করবেন না
এবং বলুন হে আমার প্রতিপালকা” আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন (২০ : ১১৪) ৷ ওহী নাযিলের
সুচনাকালে পরিস্থিতি এরুপ ছিল ৷ আল্লাহ তা আলার পক্ষ থেকে ফেরেশ৩ তা জিবরাঈল (আ)
ওহী নিয়ে আসলে ফেরেশত৷ থেকে তা গ্রহণ করার প্রচণ্ড আগ্রহ হেতু রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত
জিবরাঈলের তিলাওয়াতে র সাথে সাথে তিলাওয়তি করতেন ৷
এরপর আল্লাহ তা আল৷ তাকে এ নির্দেশ দিলেন যে, ওহী নাযিল শেষ হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত
তিনি যেন চুপ থাকেন ৷ ওই ওহী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বক্ষে সংরক্ষণ করা সেটির তিলাওয়াত
ও তাবলীগ সহজ করে দেয়া, সেটির ব্যাথ্যা-বিশ্লেষণ এবং সেটির মর্য অনুধাবন করিয়ে দেয়ার


الْعَضْبَاءِ ; نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ الْمَائِدَةُ كُلُّهَا، وَكَادَتْ مِنْ ثِقَلِهَا تَدُقُّ عَضُدَ النَّاقَةِ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا حَسَنٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ حَدَّثَنِي حُيَيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ «أُنْزِلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " سُورَةُ الْمَائِدَةِ "، وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمْ تَسْتَطِعْ أَنْ تَحْمِلَهُ، فَنَزَلَ عَنْهَا» . وَرَوَى ابْنُ مَرْدَوَيْهِ مِنْ حَدِيثِ صَبَّاحِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَمْرٍو، عَنْ عَمِّهَا، أَنَّهُ «كَانَ فِي مَسِيرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ " الْمَائِدَةِ " فَانْدَقَّ عُنُقُ الرَّاحِلَةِ مِنْ ثِقَلِهَا» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «نُزُولُ سُورَةِ " الْفَتْحِ " عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَرْجِعَهُ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ،» فَكَأَنَّهُ يَكُونُ تَارَةً وَتَارَةً، بِحَسَبِ الْحَالِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنْوَاعَ الْوَحْيِ إِلَيْهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي أَوَّلِ " شَرْحِ الْبُخَارِيِّ "، وَمَا ذَكَرَهُ الْحَلِيمِيُّ وَغَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.