আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

كتاب مبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم وذكر شيء من البشارات بذلك

قصة عمرو بن مرة الجهني

পৃষ্ঠা - ১৬২২

ছু৷ é);
আমি এখন বেকার ৷ (ক ন কিছুরই প্রতিবিধান করার ক্ষমত ! আমার সেই ৷ অথচ ছোট
ছোট শিশু-কিশোররা পর্যন্ত সব পরিস্থিতি সাম৷ ল দিয়ে যাচ্ছে ৷



মানব সমাজে আমি যতদিন বেচে থাকব৩ তদিন আমার জীবন দুর্বিষহ ও সংকটময়
থাকবে ৷ সামুদ গোত্র তো তাদের ধ্বং ×সস্থলে রাত্রিযাপন করেছিল ৷

০ ;

তেমনিভ৷ ৷বে ধ্বংস হয়েছে আদ সম্প্রদায় এবং গিরিপথে বসবাসক৷ ৷রী কতক জনপদ ৷ ওবা
সব৷ ৷ই ক্ষত-বিক্ষত ও বিধ্বস্ত ইরান সম্প্রদা ৷য়ের পর্যায়ভুক্ত ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর অন্য একজন চিৎকার করে বলতে ওর করে ৷ হে সুদর্শন
পুরুষ! তোমার চমৎকারিতু ও সৌন্দর্যের দিন ফুরিয়ে গিয়েছে ৷ সকল সৌন্দর্য ও চমৎকাবিত ৩,
এখন যাহব৷ ও ইয়াসরিবের মধ্যবর্তী স্থানে ৷ অপরজন বলল, হে দুর্বল ব্যক্তি ! সেটি কি ?
উত্তরে সে বলল শান্তির নবী কল্যাণকব বাণী নিয়ে সমগ্র জগতের প্ৰতি প্রেরিত হয়েছেন
অতঃপর র্তাকে হারাম শরীফ থেকে বের করে খর্জুর বীথি ও পাথর-নির্মিত গৃহাঞ্চলের দিকে
ঠেলে দেয়৷ হয়েছে ৷ অন্যজন বলল, ওই নাযিলকৃত কিতাব প্রেরিত নবী এবং মর্যাদারান উঘী
নবীর পরিচয় কি ? উত্তরে সে বলল, তিনি হলেন লুওয়াই ইবন পালিব ফিহ্ব ইবন মালিক ইবন
নাদর ইবন কিনানা এর বংশধর ৷

সে বলল, দুরে অনেক দুরেত বতুলনায় আমি (৩ তা অনেক বুড়িয়ে গিয়েছি ৷ তার যুগের
তুলনায় আমার যুগ অভীত হয়ে গিয়েছে ৷ আমি৫’ তা দেখেছি যে, আমি আর নাদর ইবন কিনানা
দুজনে এবইি লক্ষ্যবন্তুতে তীর নিক্ষেপ করেছি ৷ আমরা এরই সাথে ঠাণ্ডা দুধ পান করেছি ৷
একদিন রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে এক প্রক৷ ও বৃক্ষের নিকট থেকে আমি আর সে এক সাথে বের হই ৷
সুর্যোদয়ের সময় সে বেরিয়ে পড়ে এবং সুর্যাস্তেব সময় ঘরে ফিরে যায় ৷ এ সময়ে যে যা যা
শুনেছে তার সবই বার্ণন ৷করেছে এবং যা কিছু দেখেছে তার সবই স্মরণ রেখেছে ৷ আলোচ্য
ব্যক্তি যদি নাদর ইবন কিনানা এর বংশধর হন, তবেত তরবাবি এখন কােষমুক্ত হয়ে, ভয়ভীতি
দুরীভুত হয়ে, ব্যভিচার নির্মুল হবে এবং সুদ মুলোৎপাটিত হবে ৷ সে বলল, ঠিক আছে
পরবর্তীতে কী ঘটবে সে সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন! উত্তরে সে বলল, দুর্দশা,দুর্তিক্ষ এবং
দুঃসাহসিকত৷ বিদুবিত হবে তবে খুযা’আ গোত্রে তার কিছুটা অবশিষ্ট থাকবে ৷ দুঃখ-কষ্ট এবং
মিথ্যাচার বিলীন হয়ে যাবে ৷ তবে খাযরাজ ও আওস গোত্রে তার কিছুটা অবশিষ্ট থাকবে ৷

অহ× কার, দ ৷ন্তিকতা, পরনিন্দা ও বিশ্বাসঘাতকতা নির্মুল হবে ৷ তবে বানু বাকর তথা হাওয়াযিন
গোত্রে তা ৷ব কিছুটা অবশিষ্ট থাকবে ৷ লজ্জাকর কর্যগুলাে এবং পাপাচাবমুলক কা জসমুহ অপসৃত
হবে ৷ তবে খাছ আম গোত্রে কিছুটা তার অবশিষ্ট থাকবে ৷ সে বললং অতঃপর কি ঘটবে সে
সম্পর্কে কিছু বলুন! উত্তরে সে বলল, জ×লী লোকেরা যখন বিজয় লাভ করবে আর হাররা
অঞ্চল যখন নিস্তেজ হয়ে যাবে তখন তুমি হিজরত নগরী মদীনা থেকে বেরিয়ে যাবে ৷ আর


[قِصَّةُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ] قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْخُزَاعِيُّ الْأَهْوَازِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ بْنِ دِلْهَاثِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ يَاسِرِ بْنِ سُوَيْدٍ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ أَبِيهِ دِلْهَاثٍ عَنْ أَبِيهِ إِسْمَاعِيلَ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أَبَاهُ يَاسِرَ بْنَ سُوَيْدٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ قَالَ: خَرَجْتُ حَاجًّا فِي جَمَاعَةٍ مِنْ قَوْمِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَرَأَيْتَ فِي نَوْمِي، وَأَنَا بِمَكَّةَ نُورًا سَاطِعًا مِنَ الْكَعْبَةِ حَتَّى وَصَلَ إِلَى جَبَلِ يَثْرِبَ وَأَشْعَرِ جُهَيْنَةَ فَسَمِعْتُ صَوْتًا بَيْنَ النُّورِ وَهُوَ يَقُولُ: انْقَشَعَتِ الظَّلْمَاءُ، وَسَطَعَ الضِّيَاءُ، وَبُعِثَ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، ثُمَّ أَضَاءَ إِضَاءَةً أُخْرَى حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى قُصُورِ الْحِيرَةِ وَأَبْيَضِ الْمَدَائِنِ، وَسَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ النُّورِ وَهُوَ يَقُولُ: ظَهَرَ الْإِسْلَامُ وَكُسِرَتِ الْأَصْنَامُ، وَوُصِلَتِ الْأَرْحَامُ فَانْتَبَهْتُ فَزِعًا فَقُلْتُ لِقَوْمِي: وَاللَّهِ لَيَحَدُثَنَّ لِهَذَا الْحَيِّ مَنْ قُرَيْشٍ حَدَثٌ، وَأَخْبَرْتُهُمْ بِمَا رَأَيْتُ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بِلَادِنَا جَاءَنِي رَجُلٌ يُقَالَ لَهُ: أَحْمَدُ قَدْ بُعِثَ فَأَتَيْتُهُ فَأُخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ فَقَالَ: يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ أَنَا النَّبِيُّ الْمُرْسَلُ إِلَى الْعِبَادِ كَافَّةً أَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَآمُرُهُمْ بِحَقْنِ الدِّمَاءِ وَصِلَةِ الْأَرْحَامِ، وَعِبَادَةِ اللَّهِ، وَرَفْضِ الْأَصْنَامِ، وَحَجِّ
পৃষ্ঠা - ১৬২৩
الْبَيْتِ، وَصِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا فَمَنْ أَجَابَ فَلَهُ الْجَنَّةُ، وَمَنْ عَصَى فَلَهُ النَّارُ فَآمِنْ بِاللَّهِ يَا عَمْرُو يُؤَمِّنْكَ اللَّهُ مِنْ هَوْلِ جَهَنَّمَ فَقُلْتُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ مِنْ حَلَالٍ وَحَرَامٍ، وَإِنْ رَغَمَ ذَلِكَ كَثِيرًا مِنَ الْأَقْوَامِ، ثُمَّ أَنْشَدْتُهُ أَبْيَاتًا قُلْتُهَا حِينَ سَمِعْتُ بِهِ وَكَانَ لَنَا صَنَمٌ وَكَانَ أَبِي سَادِنًا لَهُ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَكَسَرْتُهُ، ثُمَّ لَحِقْتُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا أَقُولُ شَهِدْتُ بِأَنَّ اللَّهَ حَقٌّ وَأَنَّنِي ... لِآلِهَةِ الْأَحْجَارِ أَوَّلُ تَارِكِ وَشَمَّرْتُ عَنْ سَاقِ الْإِزَارِ مُهَاجِرًا ... إِلَيْكَ أَجُوبُ الْقَفْرَ بَعْدَ الدَّكَادِكِ لِأَصْحَبَ خَيْرَ النَّاسِ نَفْسًا وَوَالِدًا ... رَسُولَ مَلِيكِ النَّاسِ فَوْقَ الْحَبَائِكِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَرْحَبًا بِكَ يَا عَمْرُو بْنَ مُرَّةَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْعَثْنِي إِلَى قَوْمِي لَعَلَّ اللَّهَ يَمُنُّ عَلَيْهِمْ بِي كَمَا مَنَّ عَلَيَّ بِكَ فَبَعَثَنِي إِلَيْهِمْ، وَقَالَ: عَلَيْكَ بِالرِّفْقِ وَالْقَوْلِ السَّدِيدِ وَلَا تَكُنْ فَظًّا وَلَا مُتَكَبِّرًا وَلَا حَسُودًا فَذَكَرَ أَنَّهُ أَتَى قَوْمَهُ فَدَعَاهُمْ إِلَى مَا دَعَاهُ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا كُلُّهُمْ إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا مِنْهُمْ، وَأَنَّهُ وَفَدَ بِهِمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ১৬২৪

সালাম বিনিময় প্রথা যখন রহিত হবে এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তখন মক্কা
শরীফ থেকে বেরিয়ে যাবে ৷

সে বলল, আরো কিছু বলুন ৷ উত্তরে সে বলল, কান যদি না শুনত আর চোখ যদি ঝলমল
করে না উঠত তবে আমি তোমাকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিতাম যা শুনে তুমি অস্থির ও
বিচলিত হয়ে পড়তে ৷ এরপর সে বলল :

ব্লুাট্রু৷ ৰুঢ় ৰু ৰু!ট্রু ৬টুছু; ট্রু,র্দু চু ণ্ট্রু রুন্ট্রুম্প্রু ছুঠুব্লিঠুছুণ্১ ণ্ঢ়ঙু; টু!
হে ইবন গাওত৷ শান্তির ঘুম তুমি আর ঘুমাতে পারবে না ৷ সুপ্ৰভাত আর কােনদিন
আমাদের নিকট আসবে না ৷
বর্ণনাকড়ারী বলেন, এরপর যে এমন প্রচণ্ড আর্তচিৎকার করল, সেটি যেন পর্ভরতী মহিলার
প্রসবকালীন আর্তচিংকার ৷ ক্রমান্বয়ে ভোর হলো ৷ আমি গিয়ে দোণ্ণ্ৰু৷ একটি মৃত গুইসাপ ও

একটি মৃত সাপ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ থেকেই আমি আচ করতে পারি যে রাসুলুল্লাহ্ (সা )
ইতিমধ্যেই মদীনা শরীফ হিজরত করেছেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন জাফর সাদ ইবন উবাদাহ্ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আকাবার শপথের
রাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে বায়আত করার পর আমি বিশেষ প্রয়েজ্যোন হাদ্রামাওত
অঞ্চলের দিকে রওয়ানা করি ৷ যথারীতি প্রয়োজন সেরে আমি বাড়ি ফিরছিলাম ৷ পথেই আমার
ঘুম পড়ায় ! গভীর রাতে এক বিকট চিৎকারে আমি ভড়কে যাই ৷ আমি শুনতে পাই এক
চিৎকারকারী চিৎকার করে বলছে :

শ্রো প্লুএে১া১ ৮১১ ৮১১ পু’শুও৷ পুৰু১১১া১ ৰুন্ন্ত্রুন্হ্ন ৷১র্মু
হে আবু আমরা আমাকে নিদ্রাহীনতার বিপদ পেয়ে বসেছে ৷ আমার নিদ্রা পালিয়েছে এবং
শয়ন হারাম হয়ে গেছে ৷ এরপর সে উপরোল্লিখিত দীর্ঘ কবিতা আবৃত্তি করে ৷
আবু নুআয়ম বলেন, মুহাম্মাদ ইবন জাফর তামীম আদ্দারী (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন নবৃওত লাভ করেন, তখন আমি সিরিয়াতে অবস্থান করছিলাম ৷
এক জরুরী কাজে আমি পথে বের হই ৷ এ অবস্থায় রাত হয়ে যায় ৷ প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী
আমি বলি, এ রাতে শ্এ প্রাম্ভরের নেতৃস্থানীয় জিনের আশ্রয়ে আমি নিজেকে সােপর্দ করলাম ৷
অতঃপর আমি যখন নিদ্রড়ামগ্ন হই তখন স্বপ্নে দেখি এক ঘোষককে ৷ ইতিপুর্বে কখনো আমি
তাকে দেখিনি ৷ সে বলছে, “তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর ৷ কারণ আল্লাহ্র হুকুমের
বিরুদ্ধে কোন জিন কাউকে আশ্রয় দিতে পারবে না ৷ ” আমি বললাম, “হায় ! আল্লাহর কসম,
ণ্ আপনি এ কী বলছেন ? সে বলল, আল-আমীন আল্লাহর রসুলরুপে আবির্ভুত হয়েছেন ৷ হাজুন
অঞ্চলে আমরা তার পেছনে নামায পড়েছি ৷ অতঃপর আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আমরা
তার আনুগত্যের শপথ নিয়েছি ৷ জিনদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে এবং তাদের প্রতি
উল্কাপিণ্ড নিক্ষিপ্ত হয়েছে ৷ তুমি এখনি বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার রাসুল মুহাম্মদ
(না)-এর নিকট যাও এবং ইসলাম গ্রহণ কর ৷


فَرَحَّبَ بِهِمْ وَحَيَّاهُمْ وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا، هَذِهِ نُسْخَتُهُ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ صَادِقٍ، وَحَقٍّ نَاطِقٍ، مَعَ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ لِجُهَيْنَةَ بْنِ زَيْدٍ: إِنَّ لَكُمْ بُطُونَ الْأَرْضِ وَسُهُولَهَا وَتِلَاعَ الْأَوْدِيَةِ وَظُهُورَهَا، تَزْرَعُونَ نَبَاتَهُ وَتَشْرَبُونَ صَافِيَهَ عَلَى أَنْ تُقِرُّوا بِالْخُمْسِ، وَتُصَلُّوا صَلَاةَ الْخَمْسِ، وَفِي التَّبِيعَةِ وَالصُّرَيْمَةِ إِنِ اجْتَمَعَتَا شَاتَانِ، وَإِنْ تَفَرَّقَتَا شَاةٌ شَاةٌ، لَيْسَ عَلَى أَهْلِ الْمِيرَةِ صَدَقَةٌ وَلَا عَلَى الْوَارِدَةِ لَبْقَةٌ، وَشَهِدَ عَلَى نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ حَضَرَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِكِتَابِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَذَكَرَ شِعْرًا قَالَهُ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ فِي ذَلِكَ كَمَا هُوَ مَبْسُوطٌ فِي الْمُسْنَدِ الْكَبِيرِ، وَبِاللَّهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا} [الأحزاب: 7] قَالَ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ: لَمَّا أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ بَنِي آدَمَ يَوْمَ قَالَ {أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ} [الأعراف: 172]
পৃষ্ঠা - ১৬২৫
أَخَذَ مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقًا خَاصًّا، وَأَكَّدَ مَعَ هَؤُلَاءِ الْخَمْسَةِ أُولِي الْعَزْمِ أَصْحَابِ الشَّرَائِعِ الْكِبَارِ، الَّذِينَ أَوَّلُهُمْ نُوحٌ وَآخِرُهُمْ مُحَمَّدٌ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مَنْ طُرُقٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: بَيْنَ خَلْقِ آدَمَ وَنَفْخِ الرُّوحِ فِيهِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ الزُّبَيْرِ الْحَلَبِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ النُّفَيْلِيُّ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقَدٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ رُوَيْمٍ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ قَالَ «قَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى جُعِلْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ مُنْجَدِلٌ فِي الطِّينِ» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ نَصْرِ بْنِ مُزَاحِمٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «
পৃষ্ঠা - ১৬২৬

বর্ণনক্যেরী তামীম আদদারী (রা) বলেন, সকাল বেলা আমি দীরুই আইয়ুব নামক
উপাসনালয়ে জনৈক ইহুদী ধর্যযাজকের সাথে সাক্ষাত করি এনৎ৩ তাকে উক্ত ঘটনা অবহিত
করি ৷ তিনি বললেন, ওরা তোমাকে যথাথই বলেছে ৷ ওই নবী আবির্ভুত হওয়ার কথা মক্কার
হারম শরীফে ৷ তার হিজরত স্থল মদীনারড়া হা রম শরীফ ৷ তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ৷ সুতরাং তুমি অতি
শীঘ্র তার নিকট উপস্থিত হও ৷৩ তামীম (রা) বলেন, অতঃপর আমি এ শহর থেকে রাসুলুল্লাহ
(না)-এর উদ্দেশে রওয়ানা করি এবং৩ তার নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করি ৷

হাতিম ইবন ইসমাঈল সাইদা হুযালী সুত্রে বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন , একদিন
আমরা আমাদের প্রতিমা সুওয়া-এর নিকট ছিলাম ৷ আমাদের রোপাক্রান্ত দৃশটি বকরী আমরা
তখন তার নিকট বরকত লাভের জন্যে উপস্থিত করি ৷ উদ্দেশ্য ছিল সেগুলোর বোগযুক্তি ৷
তখন আমি শুনতে পাই যে, এক ঘোষক ওই মুর্তির গেট থেকে বলছে, জিনদের সকল ষড়যন্ত্র
ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের প্রতি উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ এসব “হচ্ছে একজন নবীর কারণে ৷
তার নাম মুহাম্মদ (সা) ৷ তখন আমি বললড়াম, আল্লাহর কলম, আমি তো ভুল ন্থানে এসে
পড়েছি ৷ অতঃপর আমি বকরীর পাল নিয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ির দিকে যাত্রা করি ৷ পথে এক
ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ সে আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আৰির্তাবের কথা আমার ৷
আবু নুআয়ম বর্ণনাটি এভাবেই সনদ ছাড়া উল্লেখ করেছেন ৷

এরপর আবু নুআয়ম বলেন : উমর ইবন মুহাম্মাদ রড়াহ্বশদ ইবন আবদ রাব্বিহী সুত্রে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সুওয়া নামের মুর্তিটি অবস্থিত ছিল মুআল্লাত নামক স্থানে ৷ হুযায়ল
ও বানু যফর ইবনে সুলায়ম গোত্রের লোকজন এটির পুজা করত ৷ একদিন সুলায়ম গোত্রের
পক্ষ থেকে কিছু উপটোকন দিয়ে বানু যফর গোত্রের লোকেরা রাশেদ ইবন আবৃদ রাব্বিহীকে
সুওয়া প্রতিমার নিকট প্রেরণ করে ৷ রাশেদ বলেন, সুওয়৷ প্রতিমার নিকট পৌছার পুর্বে
পথিমধ্যে ভোরবেলা আমি অন্য এক প্রতিমার নিকট পৌছি ৷ হঠাৎ আমি শুনতে পাই, এই
প্রতিমার গেট থেকে একজন যেন চিৎকার করে বলছে, অবাক কাণ্ড ৷ অবাক কান্ড৷ আবদুল
মুত্তালিবের বংশ থেকে এক নবী আবির্ভুত হয়েছেন! তিনি ব্যভিচার, সুদ এবং মুর্তির উদ্দেশ্যে
বলিদান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ৷ তার আগমনে আকাশকে সংরক্ষিত করে দেয়া হয়েছে এবং
আমাদের প্রতি উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ হায়রে আশ্চর্য ব্যাপার ! ভীষণ আশ্চর্য ব্যাপার !
এরপর অন্য একটি প্রতিমার পেট থেকে একজন চিৎকার করে বলতে শুরু করল, “দাম্মার
প্রতিমা পরিত্যক্ত হয়েছে, সেটির তো উপাসনা করা হতো ৷ নবী আহ্মদ (সা ) আবির্ভুত
হয়েছেন ৷ তিনি নামায পড়েন, যাকাত দান ও রােযা পালনের নির্দেশ দেন এবং পুণ্যকাজ ও
আত্মীয়ত ড়ার বন্ধন রক্ষা করে চলার নির্দেশ দেন ৷ এরপর অপর একটি প্রতিমার পেট থেকে অন্য
একজন চিৎকার দিয়ে বললশু ং

শ্ : :

াৰ্বা

মারয়াম পুত্র ঈসা (আ)-এর পর কুরায়শ ন্ত্তন্ র যিনি নবৃওত ও হেদায়ত করার দায়িতু
পেয়েছেন নিশ্চয়ই তিনি সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছেন ৷


قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: مَتَّى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ» وَفِي الْحَدِيثِ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ فِي قِصَّةِ آدَمَ حِينَ اسْتَخْرَجَ اللَّهُ مِنْ صُلْبِهِ ذُرِّيَّتَهُ خَصَّ الْأَنْبِيَاءَ بِنُورٍ بَيْنَ أَعْيُنِهِمْ وَالظَّاهِرُ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنَّهُ كَانَ عَلَى قَدْرِ مَنَازِلِهِمْ، وَرُتَبِهِمْ عِنْدَ اللَّهِ، وَإِذَا كَانَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ فَنُورُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَظْهَرَ وَأَكْبَرَ وَأَعْظَمَ مِنْهُمْ كُلِّهِمْ. وَهَذَا تَنْوِيهٌ عَظِيمٌ، وَتَنْبِيهٌ ظَاهِرٌ عَلَى شَرَفِهِ وَعُلُوِّ قَدْرِهِ، وَفِي هَذَا الْمَعْنَى الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الْكَلْبِيِّ عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ هِلَالٍ السُّلَمِيِّ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ قَالَ «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي عِنْدَ اللَّهِ لَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ، وَسَأُنْبِئُكُمْ بِأَوَّلِ ذَلِكَ دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبِشَارَةُ عِيسَى بِي، وَرُؤْيَا أُمِّي الَّتِي رَأَتْ، وَكَذَلِكَ أُمَّهَاتُ الْأَنْبِيَاءِ يَرَيْنَ» وَرَوَاهُ اللَّيْثُ وَابْنُ وَهْبٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ،
পৃষ্ঠা - ১৬২৭
وَزَادَ «إِنَّ أُمَّهُ رَأَتْ حِينَ وَضَعَتْهُ نُورًا، أَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُورُ الشَّامِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ بُدَيْلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ قَالَ «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى كُتِبْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ» وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ أَيْضًا، وَهَكَذَا رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَخَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ بِهِ، وَرَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو الْبَاهِلِيِّ عَنْ شَيْبَانَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ قَالَ «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَّى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ» . وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِهِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ حَمْدَانَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ خُلَيْدِ بْنِ دَعْلَجٍ وَسَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ} [الأحزاب: 7]
পৃষ্ঠা - ১৬২৮
قَالَ: كُنْتُ أَوَّلَ النَّبِيِّينَ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ عَنْ بَقِيَّةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، وَشَيْبَانَ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: ذُكِرَ لَنَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مِثْلَهُ. وَهَذَا أَثْبَتُ، وَأَصَحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا إِخْبَارٌ عَنِ التَّنْوِيهِ بِذِكْرِهِ فِي الْمَلَأِ الْأَعْلَى، وَأَنَّهُ مَعْرُوفٌ بِذَلِكَ بَيْنَهُمْ بِأَنَّهُ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ، وَآدَمُ لَمْ يُنْفَخْ فِيهِ الرُّوحُ لِأَنَّ عِلْمَ اللَّهِ تَعَالَى بِذَلِكَ سَابِقٌ قَبْلَ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا مَحَالَةَ فَلَمْ يَبْقَ إِلَّا هَذَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ مِنَ الْإِعْلَامِ بِهِ فِي الْمَلَإِ الْأَعْلَى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَوْرَدَ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ الْحَدِيثَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ «نَحْنُ الْآخِرُونَ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمَقْضِيُّ لَهُمْ قَبْلَ الْخَلَائِقِ بَيْدَ أَنَّهُمْ أُوتُوا الْكِتَابَ مَنْ قَبْلِنَا وَأُوتِينَاهُ مِنْ بَعْدِهِمْ» وَزَادَ أَبُو نُعَيْمٍ فِي آخِرِهِ: فَكَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ وَبِهِ خُتِمَتِ النُّبُوَّةُ وَهُوَ السَّابِقُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ; لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَكْتُوبٍ فِي النُّبُوَّةِ وَالْعَهْدِ. ثُمَّ قَالَ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ الْفَضِيلَةُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا أَوْجَبَ اللَّهُ لَهُ النُّبُوَّةَ قَبْلَ
পৃষ্ঠা - ১৬২৯



সেই নবী আগমন করেছেন , অতীতে ঘটে যা ওয়া এবং ভবিষ্যতে ঘটিতব্য সকল বিষয়ের
যথার্থ সংবাদ নিয়ে ৷

রাশেদ বলেন, ভোরদুবলা আমি সুওয়া’ ৷প্রতিমার নিকট যাই ৷ সেখানে দেখতে পাই যে,
দুটো শেয়াল তার চারদিকে জিভ দিয়ে চাটদুছ, তার উদ্দেশে নিবেদিত নৈদুবদ্যগুলাে খেয়ে
ফেলদুছ এবং ওই প্রতিমার গায়ে পেশার করে তার ওপর দুহলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে ৷ এ
অবস্থা য় রাশেদ বললেন ং

০ ; ৷



হয়ে! এটি কেমন দেবতা যার মাথায় দু দুটো শেয়াল পেশার করছে ? যার গায়ে শেয়াল
পেশার করে তার জন্য সে তো নিশ্চিতভ৷ ৷দুব লাঞ্ছিত ৷

এ ঘটনা ঘটেছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মদীনায় হিজরত কালে ৷ লোকজন তখন তার
আগমন সম্পর্কে পরস্পর আলাপ আলোচনা করছিল ৷ রাশেদ তখন রাসুলুল্লাহ (সা ) এর সাথে
সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং মদীনায় এসে তার সাথে সাক্ষাত করেন ৷৩ তার সাথে কিন্তু
তার পােষা কুকুরটিও ছিল ৷ তখন রাশেদের নাম ছিল যালিম আর কুকুদুরর নাম ছিল রাশেদ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাদুক তার নাম জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি বললেন, তার নাম যালিম ৷ এবার তিনি
তার কুকুরের নাম জানতে চাইলেন ৷ তিনি বললেন, কুকুরের নাম রাশেদ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, না, বরং তোমার নাম রাশেদ আর কুকুদুরর নাম যালিম ৷ এ বলে তিনি মুচকি
হাসলেন ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে বায়আত হন এবং তার সাথে কিছুদিন
মক্কায় অবস্থান করেন ৷ পরবর্তীতে ওয়াহাত অঞ্চলের একখণ্ড জমি তার নামে বরাদ্দ দেয়ার
জন্যে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আবেদন করেন ৷ সংশ্লিষ্ট জমির বর্ণনাও তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট পেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওয়াহত ভুখণ্ডের উচু অংশ তার নামে বরাদ্দ
দেন ৷ বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ হলো পরপর তিনবার পাথর নিদুক্ষদুপর শেষ সীমানা পর্যন্ত ৷
তিনি তাকে একটি পানি ভর্তি পাত্র দান করলেন ৷ তাতে তিনি কু দিয়ে দেন এবং র্তাদুক বলেন
যে, এ ৩পানি জমির উপরিভাগে ঢেলে দিয়ে আর অতিরিক্ত পানি নিতে লোকজনদুক বাধা দেবে
না ৷দি নিতাই করলেন ৷ ওই পানি সদা প্রবহমান ঝর্ণায় পরিণত হয় ৷ আজও সেটি প্রবহমান
রয়েছে ৷ তিনি ওই জমিতে ৩দুখজুর বাগান করেছিলেন ৷ কথিত আছে যে, ওই পানি থেকে সমগ্র
অঞ্চলে পানি সরবরাহ করা হতো ৷ লোকজন ওই অঞ্চলকে “রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পানির
এলাকা” নামে আখ্যায়িত করতো ৷ ওয়াহাতের অধিবাসীরা ওখানে গিয়ে গোসল করতো ৷
রাশেদের নিক্ষিপ্ত পাথর রাকাব অঞ্চলে গিয়ে পৌছে ৷ ওই অঞ্চল “রাকাব আল হাজার” নামে
পরিচিত ৷ পরবর্তীতে রাশেদ উক্ত সুওয়৷ প্রতিমার নিকট যান এবং সেটিকে ভেঙে ফেলেন ৷

আবু নুআয়ম বলেন, সুলায়মান ইবন আহমদ আমর ইবন মুররা আল জুহানী ( বা ) সুত্রে
বনাি করেন ৷ তিনি বলেন জা ৷দুহলী যুগের ঘটনা ৷ আমার সম্প্রদায়ের কতক লোক নিদুয়৷ আমি
হজ্জ করতে য ই ৷ একরাতে আমি একটি স্বপ্ন দুদথি ৷ তখন আমি মক্কায় অবস্থান করছিলাম ৷


تَمَامِ خَلْقِ آدَمَ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هَذَا الْإِيجَابُ هُوَ مَا أَعْلَمَ اللَّهُ مَلَائِكَتَهُ. مَا سَبَقَ فِي عِلْمِهِ وَقَضَائِهِ، مِنْ بِعْثَتِهِ لَهُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ. وَهَذَا الْكَلَامُ يُوَافِقُ مَا ذَكَرْنَاهُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَفِيهِ كَلَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا اقْتَرَفَ آدَمُ الْخَطِيئَةَ قَالَ: يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ إِلَّا غَفَرْتَ لِي. فَقَالَ اللَّهُ: يَا آدَمُ كَيْفَ عَرَفْتَ مُحَمَّدًا، وَلَمْ أَخْلُقْهُ بَعْدُ؟ فَقَالَ: يَا رَبِّ لِأَنَّكَ لَمَّا خَلَقْتَنِي بِيَدِكَ، وَنَفَخْتَ فِيَّ مَنْ رُوحِكَ رَفَعْتُ رَأْسِي فَرَأَيْتُ عَلَى قَوَائِمِ الْعَرْشِ مَكْتُوبًا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ فَعَلِمْتُ أَنَّكَ لَمْ تُضِفْ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ. فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ إِنَّهُ لَأَحَبُّ الْخَلْقِ إِلَيَّ، وَإِذْ قَدْ سَأَلْتَنِي بِحَقِّهِ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ، وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَهُوَ ضَعِيفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ فَمَنْ تَوَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ} [آل عمران: 81] [آلِ عِمْرَانَ: 81، 82]
পৃষ্ঠা - ১৬৩০
قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ إِلَّا أَخَذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقَ لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ حَيٌّ لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلِيَنْصُرَنَّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْمِيثَاقَ عَلَى أُمَّتِهِ، لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهُمْ أَحْيَاءٌ لَيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلِيَنْصُرُنَّهُ. وَهَذَا تَنْوِيهٌ وَتَنْبِيهٌ عَلَى شَرَفِهِ، وَعَظَمَتِهِ فِي سَائِرِ الْمِلَلِ، وَعَلَى أَلْسِنَةِ الْأَنْبِيَاءِ، وَإِعْلَامٌ لَهُمْ وَمِنْهُمْ بِرِسَالَتِهِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، وَأَنَّهُ أَكْرَمُ الْمُرْسَلِينَ وَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ. وَقَدْ أَوْضَحَ أَمْرَهُ، وَكَشَفَ خَبَرَهُ وَبَيَّنَ سِرَّهُ وَجَلَّى مَجْدَهُ وَمَوْلِدَهُ وَبَلَدَهُ، إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ فِي قَوْلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِينَ فَرَغَ مِنْ بِنَاءِ الْبَيْتِ {رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [البقرة: 129] فَكَانَ أَوَّلُ بَيَانِ أَمْرِهِ عَلَى الْجَلِيَّةِ وَالْوُضُوحِ بَيْنَ أَهْلِ الْأَرْضِ عَلَى لِسَانِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ أَكْرَمِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَى اللَّهِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمَا، وَعَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ، وَلِهَذَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ حَدَّثَنَا الْفَرَجُ يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا لُقْمَانُ بْنُ عَامِرٍ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ قَالَ «قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا كَانَ بَدْءُ أَمْرِكَ؟ قَالَ: دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى، وَرَأَتْ أُمِّي أَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُورُ الشَّامِ» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৬৩১


আমি দেখি একটি উজ্জ্বল ৫জ্যাতি ৷ কাবা গৃহ থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে এবং সুদুর ইয়াসরিবের
পাহাড়গুলো ও জুহায়না গোত্রেরজদ্ল পর্যন্ত আলোকিত করে তুলছে ৷ ওই জ্যোতির মধ্যে
আমি শুনতে পেলাম যে, সে বলছে , অন্ধকার কেটে গিয়েছে আলো ছড়িয়ে পড়ছে, শেষ নবী
প্রেরিত হয়েছেন ৷ এরপর পুনরায় জোাতি ছড়িয়ে পড়লো ৷ ওই জোাতিতে আমি হীরা নগরীর
রাজ-প্রাসাদসমুহ এবং মাদাইন নগরীর শুভ্রতা স্পষ্ট দেখতে পাই ৷ ওই জোাতির মধ্যে আমি
শুনতে পাই কে যেন বলছে, ইসলাম প্রকাশিত হয়েছে, মুর্তি প্রতিমা ভেঙে গিয়েছে, আত্মীয়তার
বন্ধন রক্ষিত হয়েছে ৷ এস্বপ্ন দেখে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সজা গ হয়ে যাই ৷ আমার
সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ডেকে বলি যে, আল্লাহর কসম এ কুরায়শ ণ্গাত্রে নিশ্চয়ই গুরুত্বপুর্ণ
কোন ঘটনা ঘটবে ৷ আমি যা দেখেছি তাদের নিকট তা প্রক৷ ৷শ করি ৷

আমরা যখন আমাদের দেশে ফিরে আসি তখন একজন লেন্ক আমাদের নিকট আসেন
এবং আমাদেরকে বলেন যে,আহমদ নামে এক ব্যক্তি রাসুলরুপে আবির্ভুত হয়েছেন ৷ তখন
আমি তার নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নের কথা র্তাকে বলি ৷ তিনি বললেন হে আমর ইবন মুররা !
আমিই রাসুলরুপে প্রেরিত হয়েছি সমগ্র মানবকুলের প্রতি ৷ আমি তাদেরকে ইসলামের প্রতি
আহ্বান করি ৷ পরস্পর খুনোখুনি ও রক্তপাত বন্ধ করা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা, আল্লাহর
ইবাদত করা, মুর্তিপুজা বর্জন করা, বায়তুল্লাহ্ শরীফের হজ্জ করা এবং বার মাসের মধ্যে এক
মাস অর্থাৎ রমযান মাসে রোযা রাখার নির্দেশ দেই ৷ আমার আহ্বানে যে সাড়া দিয়ে সে জান্নাত
পাবে ৷ যে আমার অবাধ্য হবে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নাম ৷ হে আমর ইবন মুররা ৷ তুমি
ঈমান আনয়ন কর, আল্লাহ তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন ৷



তখন আমি বললাম আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং আপনিই
আল্লাহর রাসুল ৷ আপনি হালাল হারাম যা কিছু নিয়ে এসেছেন আমি তার সবই সত্য বলে
বিশ্বাস করলাম যদিও তাতে বহু মানুষ অসস্তুষ্ট হয় ৷ এরপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সম্মুখে কবিতার কয়েকটি চরণ আবৃত্তি করি ৷ এগুলো আমি তখনই রচনা করেছিলাম যখন আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-এর আবির্ভাবের সংবাদ শুনেছিলাম ৷ আমাদের একটি প্রতিমা ছিল ৷ আমার
পিতা ছিলেন সেটির সেরায়েত ৷ আমি তখন প্ৰতিমাটির দিকে এগিয়ে যাই এবং সেটি ভেঙে
ফেলি ৷ তারপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হই ৷ আমি এ কবিতা তার সম্মুখে
আবৃত্তি করি :



আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা আলা সত্য এবং পাথরের তৈরি উপাস্যগুলোকে
আমিই প্রথম বর্জ্যাকারী ৷



أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ، وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ فِي كِتَابِ الْمَوْلِدِ مِنْ طَرِيقِ بَقِيَّةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ حُجْرِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ «أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ شَيْءٍ كَانَ أَوَّلَ أَمْرِ نُبُوَّتِكَ؟ فَقَالَ: أَخَذَ اللَّهُ مِنِّي الْمِيثَاقَ كَمَا أَخَذَ مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ، وَرَأَتْ أَمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنَامِهَا أَنَّهُ خَرَجَ مِنْ بَيْنِ رِجْلَيْهَا سِرَاجٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ» . . وَقَالَ الْإِمَامُ «مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ: حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنَا عَنْ نَفْسِكَ قَالَ: دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى، وَرَأَتْ أُمِّي حِينَ حَمَلَتْ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ أَيْضًا، وَفِيهِ بِشَارَةٌ لِأَهْلِ مَحَلَّتِنَا أَرْضِ بُصْرَى، أَنَّهَا أَوَّلُ بُقْعَةٍ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ خَلَصَ إِلَيْهَا نُورُ النُّبُوَّةِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَلِهَذَا كَانَتْ أَوَّلَ مَدِينَةٍ فُتِحَتْ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ وَكَانَ فَتْحُهَا صُلْحًا فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَقَدْ قَدِمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ فِي صُحْبَةِ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً. وَكَانَتْ عِنْدَهَا قِصَّةُ بَحِيرَى الرَّاهِبِ كَمَا بَيَّنَاهُ وَالثَّانِيَةُ، وَمَعَهُ مَيْسَرَةُ مَوْلَى خَدِيجَةَ فِي تِجَارَةٍ لَهَا، وَبِهَا مَبْرَكُ النَّاقَةِ الَّتِي يُقَالُ: إِنَّ نَاقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرَكَتْ عَلَيْهِ فَأَثَّرَ ذَلِكَ فِيهَا،
পৃষ্ঠা - ১৬৩২
فِيمَا يُذْكَرُ. ثُمَّ نُقِلَ وَبُنِيَ عَلَيْهِ مَسْجِدٌ مَشْهُورٌ الْيَوْمَ. وَهِيَ الْمَدِينَةُ الَّتِي أَضَاءَتْ أَعْنَاقُ الْإِبِلِ عِنْدَهَا مِنْ نُورِ النَّارِ الَّتِي خَرَجَتْ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَسِتِّمِائَةٍ، وَفْقَ مَا أَخْبَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ «تَخْرُجُ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ تُضِيءُ لَهَا أَعْنَاقُ الْإِبِلِ بِبُصْرَى» وَسَيَأْتِي الْكَلَامُ عَلَى ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ أُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الأعراف: 157] الْآيَةَ [اَلْأَعْرَافِ: 157] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي صَخْرٍ الْعُقَيْلِيِّ «حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنَ الْأَعْرَابِ قَالَ: جَلَبْتُ جَلُوبَةً إِلَى الْمَدِينَةِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ بَيْعِي قُلْتُ: لَأَلْقَيَنَّ هَذَا الرَّجُلَ فَلْأَسْمَعَنَّ مِنْهُ، قَالَ: فَتَلَقَّانِي بَيْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ يَمْشُونَ فَتَبِعْتُهُمْ حَتَّى أَتَوْا عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ نَاشِرَ التَّوْرَاةِ يَقْرَؤُهَا، يُعَزِّي بِهَا نَفْسَهُ عَنِ ابْنٍ لَهُ فِي الْمَوْتِ كَأَحْسَنِ الْفِتْيَانِ وَأَجْمَلِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنْشُدُكَ بِالَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ هَلْ تَجِدُ فِي
পৃষ্ঠা - ১৬৩৩

আপনার প্রতি হিজরত করার মানসে আমি আমার লুঙ্গি পায়ের গোছার ওপর গুটিয়ে
ফেলি ৷ আমার দ্রুতপামী ঘোড়া কে আমি ধুলা উড়িয়ে ছুটিয়ে আপনার নিকট নিয়ে আসি ৷


আমি রওয়ান৷ করেছি যিনি ব্যক্তিগত ও বং শগতভাবে গ্রেষ্ঠতম মানুষ তার স ৷ন্নিধ্য লাভের
উদ্দেশে ৷৷ ৷ উর্ধ্ব জগতে আসীন মানব জাতির মালিক মহান আল্লাহর তিনি রাসুল ৷

তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “মারহাবা হে আমর ইবন ঘুররা৷ তোমার প্ৰতি সাদর
অভিনন্দন ! আমি বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার পিতামাত৷ আপনার জানা কুরবান হোক !
আপনি আমাকে দায়িত্ব দিয়ে আমার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করুন ৷ হতে পারে, আল্লাহ
তাআল৷ আমার মাধ্যমে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন যেমন আপনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ
আমার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সত্যি সত্যি আম:ক ওদের প্রতি পাঠালেন ৷
আমাকে উপদেশ দিয়ে তিনি বললেন, অবশ্যই সদা সত্য ও সঠিক কথা বলবে ৷ রুক্ষ,
অহংকারী এবং হিংসাপোষণকারী হবে না ৷ আমার সম্প্রদায়ের নিকট আমি গমন করি ৷ আমি
তাদেরকে ডেকে বলি, হে বনী রিফাআ সম্প্রদায় ! হে বনী জুহায়না সম্প্রদায় ! আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরুপে তোমাদের কাছে এসেছি ৷ আমি তােমাদেরকে জান্নাতের
দিকে আহ্বান করছি এবং জ্যহান্নামের ব্যাপারে সতর্ক করছি ৷ আমি তােমাদেরকে রক্তপাত বন্ধ
করা, আত্মীয়তা ৷র বন্ধন অঢুট রাখা, আল্লাহর ইবাদত করা, মুর্তিপুজ৷ ৷পরিত্যাগ করা ,বায়তৃল্লাহ
শরীফে হজ্জ করা এবং বার মাসের মধ্যে এক মাস অর্থাৎ রমযান মাসে রােয৷ রাখার নির্দেশ
দিচ্ছি ৷ যে ব্যক্তি আমার ডাকে সাড়া দিবে সে জান্নাত পাবে আর যে ব্যক্তি তা অমান্য করবে
তার জন্যে রয়েছে জাহান্নাম ৷ হে জুহায়ন৷ সম্প্রদায় ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷ তোমরা যে
বংশের অস্তভুক্তি , সে বংশের মধ্যে তিনি তােমাদেরকে শ্রেষ্ঠ গোত্রের মর্যাদা দিয়েছেন ৷ জাহেলী
যুগে অন্যদের নিকট যে সকল পাপাচাবিতা ৷ও অশ্লীল৩ ৷ প্রিয় ছিল, তিনি সেগুলো তোমাদের
নিকট অপ্রিয় সা ব্যস্ত করে দিয়েছেন ৷ অন্যরা ণ্৩ ৷ দৃ’বােনকে একত্রে বিয়ে করত, পুত্রকে তার
গিতাবন্তীর মালিকানা দিত এবং সম্মানিত মাসে পাপাচার করত, সুতরাং হে জুহায়ন৷ সম্প্রদায় !
তোমরা লুওয়াই ইবন গালিবের বংশভুক্ত রাসুলরুপে আবির্ভুত এই নবীর ডাকে সাড়া দাও,
তাহলে তোমরা দুনিয়ার সমান ও আখিরাতের মর্যাদা লাভ করতে পারবে ৷ দ্রুত অতি দ্রুত
তোমরা এ, কাজে এগিম্নেয়াও, তাহলে আল্লাহর নিকট তোমরা সম্মান লাভ করবে ৷ একজন
ব্যতীত সকলেই তার আহ্বানে সাড়া দিল ৷ ওই একজন লোক দাড়িয়ে বলল, হে আমর ইবন
য়্ররা৷ আল্লাহ তোমার জীবনকে তিক্ত ও বিস্বাদ করে দিন ৷ তুমি কি আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছ
যে, আমরা আমাদের উপলোঃলােকে পরিত্যাগ করি এবং আমাদের পুর্বপুরুষদের ধ্র্য বর্জন
করে তিহামাবাসী ওই কুরায়শ বংশীয় সােকটির আহবানে সাড়া দিয়ে আমাদের ঐরুক্য ফ টল

সৃষ্টি করি ? না, না, তা কোন প্ৰজোষোগ্য কাজ নয় ৷৩ তাতে কোন মর্যাদা নেই ৷ এরপর সে
নিশ্নো ক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করল :


হ্র)শু ঠুৰুাৰুঙু


كِتَابِكَ ذَا صِفَتِي وَمَخْرَجِي؟ فَقَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا أَيْ: لَا. فَقَالَ ابْنُهُ: إِيْ وَالَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ إِنَّا لَنَجِدُ فِي كِتَابِنَا صِفَتَكَ وَمَخْرَجَكَ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ: أَقِيمُوا الْيَهُودِيَّ عَنْ أَخِيكُمْ. ثُمَّ وَلِيَ كَفْنَهُ وَالصَّلَاةَ عَلَيْهِ» هَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلَهُ شَوَاهِدُ فِي الصَّحِيحِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ غِيَاثٍ أَبُو بَحْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ «الْفَلَتَانِ بْنِ عَاصِمٍ، وَذَكَرَ أَنَّ خَالَهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ شَخَصَ بَصَرُهُ إِلَى رَجُلٍ فَإِذَا يَهُودِيٌّ عَلَيْهِ قَمِيصٌ وَسَرَاوِيلُ وَنَعْلَانِ، قَالَ: فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَلِّمُهُ وَهُوَ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَقْرَأُ التَّوْرَاةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَتَقْرَأُ الْإِنْجِيلَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَالْقُرْآنُ؟ لَوْ تَشَاءُ قَرَأْتُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَبِمَ تَقْرَأُ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ أَتَجِدُنِي نَبِيًّا؟ قَالَ: إِنَّا نَجِدُ نَعْتَكَ وَمَخْرَجَكَ فَلَمَّا خَرَجْتَ رَجَوْنَا أَنْ تَكُونَ فِينَا فَلَمَّا رَأَيْنَاكَ عَرَفْنَا أَنَّكَ لَسْتَ
পৃষ্ঠা - ১৬৩৪
بِهِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَلِمَ يَا يَهُودِيُّ؟ قَالَ: إِنَّا نَجِدُهُ مَكْتُوبًا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِهِ الْجَنَّةَ سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا نَرَى مَعَكَ إِلَّا نَفَرًا يَسِيرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أُمَّتِي لَأَكْثَرُ مِنْ سَبْعِينَ أَلْفًا وَسَبْعِينَ أَلْفًا» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: عَنْ سَالِمٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ عَنْ «أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ فَقَالَ: أَخْرِجُوا أَعْلَمَكُمْ. فَقَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صُورِيَّا. فَخَلَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَاشَدَهُ بِدِينِهِ وَمَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِمْ، وَأَطْعَمَهُمْ مِنَ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى، وَظَلَّلَهُمْ بِهِ مِنَ الْغَمَامِ أَتَعْلَمُنِي رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. وَإِنَّ الْقَوْمَ لَيَعْرِفُونَ مَا أَعْرِفُ، وَإِنَّ صِفَتَكَ وَنَعْتَكَ لَمُبَيَّنٌ فِي التَّوْرَاةِ، وَلَكِنَّهُمْ حَسَدُوكُ قَالَ: فَمَا يَمْنَعُكَ أَنْتَ؟ قَالَ: أَكْرَهُ خِلَافَ قَوْمِي، وَعَسَى أَنْ يَتَّبِعُوكَ وَيُسْلِمُوا فَأُسْلِمُ» ، وَقَالَ سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُحَمَّدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «كَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى يَهُودِ خَيْبَرَ: " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَاحِبِ مُوسَى وَأَخِيهِ وَالْمُصَدِّقِ بِمَا جَاءَ بِهِ مُوسَى أَلَا إِنَّ اللَّهَ قَالَ لَكُمْ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، وَأَهْلَ التَّوْرَاةِ إِنَّكُمْ تَجِدُونَ ذَلِكَ فِي كِتَابِكُمْ إِنَّ مُحَمَّدًا: رَسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا
পৃষ্ঠা - ১৬৩৫
ইবন মুররা এমন বক্তব্য নিয়ে এসেছে যা কল্যাণকাযী কোন লোকের বক্তব্য হতে
পারে না ৷
খুস্বে

আমি মনে করি, তার কথা ও কাজ বাতাসের ন্যায় শেকড়হীন ও অস্থায়ী ৷
াছু১াষ্
তুমি কি অতীত হয়ে যাওয়া মুরববী ও বৃদ্ধদেরকে মুর্থ ঠাওরাচ্ছ, ? যে ব্যক্তি এরুপ করে সে
কখনো সফলতার মুখ দেখবে না ৷ উত্তরে আমর ইবন মুররা বলেন, আমার এবং তোমার মধ্যে
যে মিথ্যাবাদী আল্লাহ্ তার জীবনকে বিস্বাদ কয়ে দিন, তার বাকশক্তি রহিত করে বোবা বানিয়ে
দিন এবৎ তাকে দৃষ্টিহীন অন্ধ বানিয়ে দিন ৷ আমর ইবন মুরর বলেন, অবশেষে যে এ অবস্থায়

মৃত্যুবরণ করেছে যে, তার মুখ অকেজাে হয়ে পড়েছিল, কোন খাদ্যের স্বাদ সে পেত না এবং
সে অন্ধ ও বোবা হয়ে গিয়েছিল ৷




অড়ামর ইবন মুররা ও তার সাথে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তারা সকলে নবী কৰীম
(না)-এর নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে সাদর বরণ করে নিয়েছিলেন ৷ তিনি
তাদেরকে কিছু উপহার এবং তাদের জন্যে একটি ফরমান লিখে দিয়েছিলেন ৷ ঐ ফরমানটি ছিল
এরুপ বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম ৷ এটি রাসুলুল্লাহ (না)-এর ভাষায় মহান আল্লাহ্র পক্ষ
থেকে প্রেরিত ফরমান ৷ এটি সত্য বাণী ও সত্য প্রকাশক ৷ এটি প্রেরণ করা হলো আমর ইবন
মুররা জুহানী-এর মাধ্যমে যুহায়না ইবন যায়দ গোত্রের নিকট ৷ এ ভুখণ্ডের নিস্নাঞ্চল ও সমতল
ভুমি , গভীর ও উচু ভুমি তোমাদের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হলো ৷ তোমরা এর ভুমিতে পশু চরাবে
এবং এর পা ৷নি পান করবে ৷ উৎপাদিত পণ্যের é ৫অংশ দিতে বা ধ্য থাকবে ৷ পড়াচ ওয়াক্ত নামায
আদায় করবে ৷ একই সাথে তবীয়া ও মাবিমা৫ (এক বছরের বড়াছুর আর দুধ ছেড়েছে অমন
বাছুর) এর জন্যে একত্রে থাকলে দুটো বকরী আর আলাদা আলাদাভাবে হলে একটি করে বকরী
প্রদান করতে হবে ৷ কৃষি কাজে ব্যবহৃত পশুর ওপর যাকাত ফরয নয় ৷ ফুল জাতীয় বস্তুর
ওপরও যাকাত ফরয নয় ৷ আমাদের সাথে যে সকল মুসলমান উপস্থিত ছিলেন তারা
কায়স ইবন শাম্মাসের লিখিত এ লিপিটির সাক্ষীরুপে থাকেন ৷ ওইৰু সময়ে আমর ইবন মুররা
আবৃত্তি করছিলেন :

তুমি দেখছ না যে আল্লাহ্ তা“ আ র্তা৷র দীনকে বিজয়ী করে দিয়েছেন এবং অনুসন্ধিৎসু
ব্যক্তির জন্যে কুরআনাের দলীলগুলাে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷


;

এটি দয়াময় আল্পাহ্র কিতাব আমাদের সকলের জন্যে এবৎ আমাদের মিত্রদের জন্যে
শহরে-পল্লীতে সর্বত্রই এটি নুর ৷


سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا [اَلْفَتْحِ: 29] . وَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، وَبِالَّذِي أُنْزِلَ عَلَيْكُمْ، وَأَنْشُدُكُمْ بِالَّذِي أَطْعَمَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ مِنْ أَسْلَافِكُمْ وَأَسْبَاطِكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى، وَأَنْشُدُكُمْ بِالَّذِي أَيْبَسَ الْبَحْرَ لِآبَائِكُمْ حَتَّى أَنْجَاكُمْ مَنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ، إِلَّا أَخْبَرْتُمُونَا: هَلْ تَجِدُونَ فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُؤْمِنُوا بِمُحَمَّدٍ؟ فَإِنْ كُنْتُمْ لَا تَجِدُونَ ذَلِكَ فِي كِتَابِكُمْ فَلَا كُرْهَ عَلَيْكُمْ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ، وَأَدْعُوكُمْ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ ذَكَرَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ فِي كِتَابِ الْمُبْتَدَأِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَرَوَى غَيْرُهُ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّ بُخْتَنَصَّرَ بَعْدَ أَنْ خَرَّبَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَاسْتَذَلَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِسَبْعِ سِنِينَ رَأَى فِي الْمَنَامِ رُؤْيَا عَظِيمَةً هَالَتْهُ فَجَمَعَ الْكَهَنَةَ وَالْحُزَاةَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ رُؤْيَاهُ تِلْكَ فَقَالُوا: لِيَقُصَّهَا الْمَلِكُ حَتَّى نُخْبِرَهُ بِتَأْوِيلِهَا فَقَالَ: إِنِّي أُنْسِيتُهَا، وَإِنْ لَمْ تُخْبِرُونِي بِهَا إِلَى ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ قَتَلْتُكُمْ عَنْ آخِرِكُمْ فَذَهَبُوا خَائِفِينَ وَجِلِينَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৬৩৬
وَعِيدِهِ. فَسَمِعَ بِذَلِكَ دَانْيَالُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ فِي سِجْنِهِ فَقَالَ لِلسَّجَّانِ: اذْهَبْ إِلَيْهِ فَقُلْ لَهُ: إِنَّ هَاهُنَا رَجُلًا عِنْدَهُ عِلْمُ رُؤْيَاكَ وَتَأْوِيلُهَا. فَذَهَبَ إِلَيْهِ فَأَعْلَمَهُ فَطَلَبَهُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ لَمْ يَسْجُدْ لَهُ. فَقَالَ لَهُ: مَا مَنَعَكَ مِنَ السُّجُودِ لِي؟ فَقَالَ: إِنِ اللَّهَ آتَانِي عِلْمًا، وَأَمَرَنِي أَنْ لَا أَسْجُدَ لِغَيْرِهِ فَقَالَ لَهُ بُخْتُنَصَّرُ: إِنِّي أُحِبُّ الَّذِينَ يُوفُونَ لِأَرْبَابِهِمْ بِالْعُهُودِ فَأَخْبِرْنِي عَنْ رُؤْيَايَ. قَالَ لَهُ دَانْيَالُ: رَأَيْتَ صَنَمًا عَظِيمًا رِجْلَاهُ فِي الْأَرْضِ وَرَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ، أَعْلَاهُ مِنْ ذَهَبٍ، وَوَسَطُهُ مِنْ فِضَّةٍ، وَأَسْفَلُهُ مِنْ نُحَاسٍ، وَسَاقَاهُ مِنْ حَدِيدٍ، وَرِجْلَاهُ مِنْ فَخَّارٍ فَبَيْنَا أَنْتَ تَنْظُرُ إِلَيْهِ قَدْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُ وَإِحْكَامُ صَنْعَتِهِ قَذَفَهُ اللَّهُ بِحَجَرٍ مِنَ السَّمَاءِ فَوَقَعَ عَلَى قِمَّةِ رَأْسِهِ حَتَّى طَحَنَهُ، وَاخْتَلَطَ ذَهَبُهُ وَفِضَّتُهُ وَنُحَاسُهُ وَحَدِيدُهُ وَفَخَّارُهُ حَتَّى تَخَيَّلَ إِلَيْكَ أَنَّهُ لَوِ اجْتَمَعَ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَنْ يُمَيِّزُوا بَعْضَهُ مِنْ بَعْضٍ لَمْ يَقْدِرُوا عَلَى ذَلِكَ، وَنَظَرْتَ إِلَى الْحَجَرِ الَّذِي قُذِفَ بِهِ يَرْبُو وَيَعْظُمُ وَيَنْتَشِرُ حَتَّى مَلَأَ الْأَرْضَ كُلَّهَا فَصِرْتَ لَا تَرَى إِلَّا الْحَجَرَ وَالسَّمَاءَ. فَقَالَ لَهُ بُخْتُنَصَّرَ: صَدَقْتَ هَذِهِ الرُّؤْيَا الَّتِي رَأَيْتُهَا فَمَا تَأْوِيلُهَا؟ . فَقَالَ دَانْيَالُ: أَمَّا الصَّنَمُ; فَأُمَمٌ مُخْتَلِفَةٌ فِي أَوَّلِ الزَّمَانِ وَفِي وَسَطِهِ، وَفِي آخِرِهِ، وَأَمَّا الْحَجَرُ الَّذِي قُذِفَ بِهِ الصَّنَمُ; فَدِينٌ يَقْذِفُ اللَّهُ بِهِ هَذِهِ الْأُمَمَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ فَيُظْهِرُهُ عَلَيْهَا فَيَبْعَثُ اللَّهُ نَبِيًّا أُمِّيًّا مِنَ الْعَرَبِ فَيُدَوِّخُ
পৃষ্ঠা - ১৬৩৭
بِهِ الْأُمَمَ وَالْأَدْيَانَ، كَمَا رَأَيْتَ الْحَجَرَ دَوَّخَ أَصْنَافَ الصَّنَمِ، وَيَظْهَرُ عَلَى الْأَدْيَانِ وَالْأُمَمِ، كَمَا رَأَيْتَ الْحَجَرَ ظَهَرَ عَلَى الْأَرْضِ كُلِّهَا فَيُمَحِّصُ اللَّهُ بِهِ الْحَقَّ، وَيُزْهِقُ بِهِ الْبَاطِلَ، وَيَهْدِي بِهِ أَهْلَ الضَّلَالَةِ، وَيُعَلِّمُ بِهِ الْأُمِّيِّينَ، وَيُقَوِّي بِهِ الضَّعَفَةَ، وَيَعِزُّ بِهِ الْأَذِلَّةَ، وَيَنْصُرُ بِهِ الْمُسْتَضْعَفِينَ. وَذَكَرَ تَمَامَ الْقِصَّةِ فِي إِطْلَاقِ بُخْتَنَصَّرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى يَدَيْ دَانْيَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ فِي قِصَّةِ وُفُودِهِ عَلَى الْمُقَوْقِسِ مَلِكِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ، وَسُؤَالِهِ لَهُ عَنْ صِفَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرِيبًا مِنْ سُؤَالِ هِرَقْلَ لِأَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ، وَذَكَرَ أَنَّهُ سَأَلَ أَسَاقِفَةَ النَّصَارَى فِي الْكَنَائِسِ عَنْ صِفَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرُوهُ عَنْ ذَلِكَ، وَهِيَ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ ذَكَرَهَا الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَرَّ بِمِدْرَاسِ الْيَهُودِ فَقَالَ لَهُمْ: يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ أَسْلِمُوا فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَتَجِدُونَ صِفَتِي فِي كُتُبِكُمْ» الْحَدِيثَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ «لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ صِفَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّوْرَاةِ. فَقَالَ: أَجَلْ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِصِفَتِهِ فِي الْقُرْآنِ; {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا} [الأحزاب: 45] وَحِرْزًا لِلْأُمِّيِّينَ، وَأَنْتَ عَبْدِي
পৃষ্ঠা - ১৬৩৮


ষ্ ন্ :


এটি নাযিল হয়েছে সে ব্যক্তির ওপর যিনি পৃথিবীতে পদচারণাকারী সকলের শ্রেষ্ঠ এবং
বংশগতভাবেও যিনি সর্বোত্তম ৷

)


আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর অনুসরণ করেছি তখনও যখন শক্রভুমি বিপদসং ফুল ও
ভীতিকর জনপদে পরিণত হয়েছে ৷

র্ণীাপ্
ন্র্মুর্ন্ত ১া

আমরা এমন এক জাতি যে, আমাদের চারদিকে মর্যাদা ও সম্মানের প্রাচীর নির্মিত ৷ আমরা
তখনও মর্যাদাবান, যুদ্ধে যখন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের খুলি উড়িয়ে দেয়া হয় ৷


আমরা যোদ্ধা জাতি, দীর্ঘহাতে আমরা যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হই ৷ প্রচণ্ড যোদ্ধার হাতে তখন
উজ্জ্বল তরবারি ঝলমলিয়ে ওঠে ৷

৷ ছুর্চুাটুন্ এেদ্বুএ্
তুমি দেখতে পারে তার চারপাশে আনসারদেরকে ৷ তারা তাদের সেনাপতিকে প্ৰহর৷ দিচ্ছে
উর্চু উর্চু বর্শা ও শানিত তরবারি দ্বারা ৷



বড় বড় ঘটনায় যুদ্ধ যখন চলতে থাকে আর দু ংসাহসী হিস্র সিৎহদেরকে উপলক্ষ করে
যখন যুদ্ধের চাকা ঘুরতে থাকে
,প্রুঞা১১া৷ ণ্ান্
তখন তার চেহারার জোাতির উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, যেমন নক্ষত্ররাজির মধ্যে পুর্ণিমার র্চাদের
আলো ৷ আবু উসমান সাঈদ ইবন ইয়াহয়৷ উমাভী তার মাগাষী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে,
আবদুল্লাহ জুহায়ন৷ গোত্রের জনৈক বৃদ্ধের বরাতে বলেছেন, একদা আমাদের মধ্যে এক
ব্যক্তি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় ৷ তখন তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় ৷ আমরা তার জন্যে কবর
খনন করে ফেলি এবং তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করি ৷ দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকার পর হঠাৎ
সে চোখ খুললো এবং তার ভুশ ফিরে এলো ৷ তখন সে বলল, তোমরা কি আমার জন্যে কবর
খুড়েছ? ওরা বলল, হ্যা ৷ সে বলল, ফুসাল কেমন আছেঃ ফুসাল ছিল তার চাচাভাে ভাই ৷
আমরা বললাম, যে ভাল আছে ৷ একটু আগে যে তোমার কুশল জিজ্ঞেস করে গেল ৷ সে বলল,
বন্তুত তাকেই এ কবরে কবরস্থ করা হবে ৷ আমি যখন অচে৩ ভন ছিলাম তখন আমার নিকট এক
ব্যক্তি এসে বলেছে, তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে , তুমি দেখছ না যে তোমার কবর খোড়া
হচ্ছে? তোমার না তো তোমার শোকে মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছে ৷ আচ্ছা বল দেখি আমরা যদি এই


وَرَسُولِي، سَمَّيْتُكَ الْمُتَوَكِّلَ، لَا فَظٌّ وَلَا غَلِيظٌ وَلَا سَخَّابٌ بِالْأَسْوَاقِ وَلَا يَدْفَعُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، وَلَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ حَتَّى يُقِيمُوا الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ; بِأَنْ يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. يَفْتَحُ بِهِ أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِنَانٍ الْعَوْفِيِّ عَنْ فُلَيْحٍ بِهِ، وَرَوَاهُ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ - قِيلَ: ابْنُ رَجَاءٍ، وَقِيلَ: ابْنُ صَالِحٍ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ بِهِ، وَلَفْظُهُ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا، وَفِيهِ زِيَادَةٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ حَدِيثِ فُلَيْحٍ عَنْ هِلَالٍ عَنْ عَطَاءٍ وَزَادَ: قَالَ عَطَاءٌ: فَلَقِيتُ كَعْبًا فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَمَا اخْتَلَفَ حَرْفًا، وَقَالَ فِي الْبُيُوعِ: وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ هِلَالٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَاهُ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْمُفَضَّلِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ أُسَامَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ سَلَامٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «إِنَّا لَنَجِدُ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا
পৃষ্ঠা - ১৬৩৯
أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلْأُمِّيِّينَ أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي، سَمَّيْتُهُ الْمُتَوَكِّلَ لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابَ فِي الْأَسْوَاقِ وَلَا يَجْزِي السَّيِّئَةَ بِمِثْلِهَا، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَتَجَاوَزُ، وَلَنْ أَقْبِضَهُ حَتَّى يُقِيمَ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ; بِأَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. يَفْتَحُ بِهِ أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا» وَقَالَ عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، وَأَخْبَرَنِي اللَّيْثِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ يَقُولُ مِثْلَ مَا قَالَ ابْنُ سَلَامٍ. قُلْتُ: وَهَذَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ أَشْبَهُ، وَلَكِنَّ الرِّوَايَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَكْثَرُ، مَعَ أَنَّهُ كَانَ قَدْ وَجَدَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ زَامِلَتَيْنِ مِنْ كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَكَانَ يُحَدِّثُ مِنْهُمَا كَثِيرًا، وَلِيُعْلَمَ أَنَّ كَثِيرًا مِنَ السَّلَفِ كَانُوا يُطْلِقُونَ التَّوْرَاةَ عَلَى كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَهِيَ عِنْدَهُمْ أَعَمُّ مِنَ الَّتِي أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَلَى مُوسَى، وَقَدْ ثَبَتَ شَاهِدُ ذَلِكَ مِنَ الْحَدِيثِ. وَقَالَ يُونُسُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ شُرَحْبِيلَ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ قَالَتْ: قُلْتُ لِكَعْبِ الْأَحْبَارِ: «كَيْفَ تَجِدُونَ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّوْرَاةِ؟ قَالَ: نَجِدُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، اسْمُهُ الْمُتَوَكِّلُ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَأُعْطِيَ
পৃষ্ঠা - ১৬৪০

কবর থেকে তোমাকে রক্ষা করি তারপর বড় বড় পাথর দিয়ে সেটি ভরে দিই এবং তারপর
সেটিতে ফুসালকে নিক্ষেপ করি, যে ফুসাল তোমাকে এ অবস্থায় দেখে নিরুদ্বেপে চলে গেল
এবং যে ধারণা করল যে, তার এমন পরিণতি হবে না তাহলে তুমি কি তে ড়ামার প্রতিপালকের
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবে এবং তুমি কি র্বশরক ও পথভ্রষ্টতা

ত্যাগ করবেঃ আমি বললাম, হ্যা, আমি তাই করব ৷ ওই আগন্তুক বলল ,ঠিক আছে, তুমি এখন
উঠে দাড়াও , তোমার রোগ সেরে গিয়েছে ৷ এবার লােকটি সুস্থ হয়ে গেল আর ফুসাল মারা
গেল এবং তাকে ওই কবরে কবরস্থু করা হলো ৷ জুহায়নী বলেন, এরপর আমি আমার জুহায়না
গোত্রের ওই লোকটিকে দেখেছি যে নামায পড়ত, প্রতিমার নিন্দাবাদ করত ৷

উমাভী বলেন, আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা উমর ইবন খাত্তাব( (রা) এর সাথে একটি
মজলিসে ছিলাম ৷ সেখ্যনেত ড়ারা জিন সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন ৷ খুবায়ম ইবন ফাতিক
আসাদী বললেন, আমি কিভা ৷বে ইসলাম গ্রহণ করলাম তা আপনাত্ত ত্ব১ বলবো কি ০ হযরত উমর
(রা) বললেন, ঠিক আছে, বলুন ৷ তিনি বলতে শুরু করলেন একঢিণ্ণ্৷ আমি আমার হারিয়ে
যাওয়া উটের পালের খোজে বের হই ৷ আমি সেগুলোর পদচিহৃণ্ অনুসরণ করে অগ্রসর
হচ্ছিলাম ৷ উটের পাল উপরের দিকে উঠেছে আমি তেমন চিহ্ন দেখতে পাই ; যেতে যেতে
আমি ইরাকের আবরাক নামক স্থানে পৌছি ৷ সেখানে আমি আমার বাহন থামিয়ে যাত্রা বিরতি
করি ৷ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আমি বললাম, “এ শহরের প্রধান জিন এবং এ প্রান্তরের সর্দারের
আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ তখন আমি শুনতে পাই যে, আমার উদ্দেশে অদৃশ্য থেকে কে একজন
বলছে

এক্রোখুপুষ্

ওহে তুমি মর্যাদাময় আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা তিনি সম্মানের অধিকারী এব০
মাহস্ফো ও শ্রেষ্ঠ্যতুর মা ৷লিক ৷

৩এ্ঢুছু ৰুাট্রু ৰুর্দুা৷াট্রুট্রুট্রু — পুন্নেট্রুষ্ও৷ ;,,, ;>াৰুৰু৷ ৰুাষ্ট্র৷ ন্ট্র
এরপর সুরা আনফালের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত কর এবং আল্লাহর একতৃ ঘোষণা

কর ৷ কোন পরোয়া নেই ৷ খুবায়ম আসাদী বলেন, এতে আমি খুব ভড়কে যাই ৷ অল্পক্ষাণর
মধ্যেই আমি সম্বিৎ ফিরে পাই এবং বলি :

৩ :

ঞে ণ্

হে নেপথ্যচারী ঘোষক ! আপনি কি বলছেন ? আপনার নিকট কি সত্যপথের দিকনির্দেশনা
আছে ? না কি পথভ্রষ্টতা ?

এ;ঙুট্রু৷ হু হুদুা৷ গ্ৰা;ৰু ং,)ঠু ;ব্লু
আল্লাহ আপনাকে সংপথ প্রদর্শন করুন, সত্যপথ কোনটি স্পষ্টভাবে বলে দিন ৷
জবাবে সে বলল-


الْمَفَاتِيحَ فَيُبَصِّرُ اللَّهُ بِهِ أَعْيُنًا عُورًا، وَيُسْمِعُ آذَانًا وُقْرًا، وَيُقِيمُ بِهِ أَلْسُنًا مُعْوَجَّةً حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، يُعِينُ الْمَظْلُومَ وَيَمْنَعُهُ.» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ كَعْبٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ الْفَقِيهِ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرِمٍ حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ {وَمَا كُنْتَ بِجَانِبِ الطُّورِ إِذْ نَادَيْنَا} [القصص: 46] قَالَ: نُودُوا: يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ اسْتَجَبْتُ لَكُمْ قَبْلَ أَنْ تَدْعُوَنِي، وَأَعْطَيْتُكُمْ قَبْلَ أَنْ تَسْأَلُونِي. وَذَكَرَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَوْحَى إِلَى دَاوُدَ فِي الزَّبُورِ: يَا دَاوُدُ إِنَّهُ سَيَأْتِي مِنْ بَعْدِكَ نَبِيٌّ اسْمُهُ أَحْمَدُ وَمُحَمَّدُ صَادِقًا سَيِّدًا، لَا أَغْضَبُ عَلَيْهِ أَبَدًا وَلَا يُغْضِبُنِي أَبَدًا، وَقَدْ غَفَرْتُ لَهُ قَبْلَ أَنْ يَعْصِيَنِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ، وَأُمَّتُهُ مَرْحُومَةٌ أَعْطَيْتُهُمْ مِنَ النَّوَافِلِ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتُ الْأَنْبِيَاءَ، وَافْتَرَضْتُ عَلَيْهُمُ الْفَرَائِضَ الَّتِي افْتَرَضْتُ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ وَالرُّسُلِ حَتَّى يَأْتُونِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَنُورُهُمْ مِثْلُ نُورِ الْأَنْبِيَاءِ. إِلَى أَنْ قَالَ: يَا دَاوُدُ إِنِّي فَضَّلْتُ مُحَمَّدًا وَأُمَّتَهُ عَلَى الْأُمَمِ كُلِّهَا.
পৃষ্ঠা - ১৬৪১
وَالْعِلْمُ بِأَنَّهُ مَوْجُودٌ فِي كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ مَعْلُومٌ مِنَ الدِّينِ ضَرُورَةً، وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ آيَاتٌ كَثِيرَةٌ فِي الْكِتَابِ الْعَزِيزِ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهَا فِي مَوَاضِعِهَا وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ {الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِهِ هُمْ بِهِ يُؤْمِنُونَ وَإِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ قَالُوا آمَنَّا بِهِ إِنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّنَا إِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلِهِ مُسْلِمِينَ} [القصص: 52] [الْبَقَرَةِ: 146] وَقَالَ تَعَالَى {إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا وَيَقُولُونَ سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنْ كَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُولًا} [الإسراء: 107] [اَلْمَائِدَةِ: 83] وَفِي قِصَّةِ النَّجَاشِيِّ، وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ وَغَيْرِهِمْ كَمَا سَيَأْتِي شَوَاهِدُ كَثِيرَةٌ لِهَذَا الْمَعْنَى، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَذَكَرْنَا فِي تَضَاعِيفِ قَصَصِ الْأَنْبِيَاءِ، مَا تَقَدَّمُ الْإِشَارَةُ إِلَيْهِ مِنْ وَصْفِهِمْ لِبِعْثَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَعْتِهِ وَبَلَدِ مَوْلِدِهِ وَدَارِ مُهَاجَرِهِ، وَنَعْتِ أُمَّتِهِ فِي قِصَّةِ
পৃষ্ঠা - ১৬৪২


া১এে ঞ
ইনি অল্লোহ্র রাসুল, সকল কল্যাণের আমার ৷ তিনি অবস্থান করছেন ইয়াসরিব নগরীতে
ড ৷কছেন জান্নাত ও মুক্তির দিকে ৷

১১গ্র৷ ৷ ; ষ্এে ৷ ব্লুন্নু১, ১ ;৷ ৷ ৷, ৰুন্ এা১ দ্বুষ্হু১
তিনি সৎকর্ম ও নামায আদায়ের নির্দেশ দেন ৷ মানব জাতিকে বিপদ পদ থেকে
রক্ষ ক্ষা করেন ৷

তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম, ওই রাসুলের নিকট গিয়ে তীর প্রতি ঈমান না আনা
পর্যম্ভ আমি ক্ষান্ত হব না ৷ অতঃপর আমি আমার বাহনে আরোহণ করলাম এবং রাসুলুল্লাহ
(না)-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ৷ আমি বললাম

০ : :


আমাকে ওই রাসুলের নিকট পৌছার পথ দেখিয়ে দিন ৷ আপনি সৎপথ পেয়েছেন ৷ যতদিন
আপনি বেচে থাকবেন অতুক্ত ও বিবস্ত্র হবেন না ৷

খুট্রু

আজীবন আপনি নেত ৷ ও তত্ত্বড়াবধায়ক থাকুন সকল জিনের ওপর ৷ যে কল্যাণ আপনি
অর্জন করেছেন তার ওপর অন্য কিছুকে প্রাধান্য দেবেন না ৷ এবার সে বলল-

আল্লাহ তাআলা তোমাদের সাথে থাকবেন এবং তোমার সওয়ারী গম্ভব্যন্থলে পৌছিয়ে
দেবেন ৷ তিনি তোমাকে মহান প্রতিদান প্রদান করবেন এবং তোমাকে বিপদাপদ থেকে
রক্ষা করবেন ৷


তুমি তার প্রতি ঈমান আনয়ন কর ৷ আমার প্রতিপালক তোমার পাওন৷ পরিপুর্ণভাবে প্রদান
করবেন ৷ তুমি প্রবল ও দৃঢ়ভাবে র্তাকে সাহায্য কর তিনি তোমাকে সাহায্য করবেন ৷

আমি বললাম, আল্লাহ আপনাকে নিরাপদ রাখুন, আপনি কে? আমি রাসুলুল্লাহ (সা ) এর
নিকট পৌছলে আপনার কথা বলব ৷ তখন উত্তর এলো আমি জিনদের রাজপুত্র নসীবায়নের
জিনদের জন্য রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিয়োপকৃত নেতা ৷ তোমার উটগুলোর জন্যে আমি যথেষ্ট ৷
আমি ওগুলো ইনৃশাআল্পাহ্ তোমার বাড়িতে পৌছিয়ে দেব ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, আমি মদীনা অভিমুখে যাত্রা করে জুমাবারে সেখানে গিয়ে পৌছি ৷
লোকজন তখন মসজিদের দিকে আসছে ৷ নবী করীম (সা) মিম্বরে দাড়িয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশে
থুতবা দিচ্ছিন্সেন ৷ র্তাকে পুর্ণিমার চাদের মত দেখাচ্ছিল ৷ আমি স্থির করলাম যে, রাসুলুল্লাহ


مُوسَى وَأَشْعِيَا وَأَرْمِيَا وَدَانْيَالَ وَغَيْرِهِمْ. وَقَدْ أَخْبَرَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْ آخِرِ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَخَاتَمِهِمْ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، أَنَّهُ قَامَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ خَطِيبًا قَائِلًا لَهُمْ {إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ} [الصف: 6] وَفِي الْإِنْجِيلِ الْبِشَارَةُ بِالْبَارَقْلِيطِ وَالْمُرَادُ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عَمْرٍو عَنِ الْعَيْزَارِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَكْتُوبٌ فِي الْإِنْجِيلِ لَا فَظٌّ وَلَا غَلِيظٌ وَلَا سَخَّابٌ فِي الْأَسْوَاقِ وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ مِثْلَهَا بَلْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ» . وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا فَيْضٌ الْبَجَلِيُّ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ مِسْكِينٍ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: جُدَّ فِي أَمْرِي، وَاسْمَعْ وَأَطِعْ يَا ابْنَ الطَّاهِرَةِ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، أَنَا خَلَقْتُكَ مِنْ غَيْرِ فَحْلٍ فَجَعَلْتُكَ آيَةً لِلْعَالَمِينَ فَإِيَّايَ فَاعْبُدْ فَبَيِّنْ لِأَهْلِ سُورَانَ بِالسُّرْيَانِيَّةِ بَلِّغْ مَنْ بَيْنِ يَدَيْكَ أَنِّي أَنَا الْحَقُّ الْقَائِمُ الَّذِي لَا أَزُولُ صَدِّقُوا بِالنَّبِيِّ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৩
الْأُمِّيِّ الْعَرَبِيِّ، صَاحِبِ الْجَمَلِ وَالْمِدْرَعَةِ وَالْعِمَامَةِ وَهِيَ التَّاجُ وَالنَّعْلَيْنِ وَالْهِرَاوَةِ وَهِيَ الْقَضِيبُ، الْجَعْدُ الرَّأْسِ الصَّلْتُ الْجَبِينِ الْمَقْرُونُ الْحَاجِبَيْنِ الْأَنْجَلُ الْعَيْنَيْنِ الْأَهْدَبُ الْأَشْفَارِ الْأَدْعَجُ الْعَيْنَيْنِ الْأَقْنَى الْأَنْفِ الْوَاضِحُ الْخَدَّيْنِ الْكَثُّ اللِّحْيَةِ، عَرَقُهُ فِي وَجْهِهِ كَاللُّؤْلُؤِ رِيحُ الْمِسْكِ يَنْضَحُ مِنْهُ، كَأَنَّ عُنُقَهُ إِبْرِيقُ فِضَّةٍ وَكَأَنَّ الذَّهَبَ يَجْرِي فِي تَرَاقِيهِ، لَهُ شَعَرَاتٌ مِنْ لَبَّتِهِ إِلَى سُرَّتِهِ تَجْرِي كَالْقَضِيبِ لَيْسَ فِي بَطْنِهِ شَعْرٌ غَيْرُهُ، شَثْنُ الْكَفِّ وَالْقَدَمِ، إِذَا جَاءَ مَعَ النَّاسِ غَمَرَهُمْ، وَإِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَتَقَلَّعُ مِنَ الصَّخْرِ وَيَتَحَدَّرُ مِنْ صَبَبٍ، ذُو النَّسْلِ الْقَلِيلِ. وَكَأَنَّهُ أَرَادَ الذُّكُورَ مِنْ صُلْبِهِ. هَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ رَافِعِ بْنِ سِنَانٍ حَدَّثَنِي بَعْضُ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৪

(না)-এর নামায শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি মসজিদের দরজায় দাড়িয়ে থাকর ৷ এরপর তীর
কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করব এবং আমার ইসলাম গ্রহণের উপরোক্ত প্রেক্ষাপট সম্পর্কে
তাকে জানাবাে ৷

মসজিদের দরজায় আমার বড়াহনটি দাড় করানোর পর হযরত আবু বকর (রা) বেরিয়ে
এলেন এবং আমাকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, আপনার ইসলাম গ্রহণের কথা আমরা পুরেই
জেনেছি ৷ আপনি মসজিদে ঢুকে পড়ুন এবং নামায আদায় করে নিন ৷ আমি তাই করলামা
এরপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট গেলাম ৷ তিনি আমাকে আমার ইসলাম গ্রহণের
প্রেক্ষাপট নিজেই জানিয়ে দিলেন ৷ আল্লাহ্র৩ তা আলার প্রতি ওকৃ অজ্ঞতা জানিয়ে আমি বললাম,
আলহামদুলিল্লাহ্ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলণে , তোমার সাথী যে জিন সে
তোমাকে দেয়া তার অঙ্গীকার পালন করেছে ৷ বন্তুত ওই প্রকারের কাজ করার যোগ্যতা সে
রাখে বটে ৷ তোমার হারানো উটগুলাে সে তোমার বাড়ি পৌছিন্থ:য় দিয়েছে ৷

তড়াবারানী (র) তার “মুজাম আলকবীর” গ্রন্থে খুরায়ম ইবন ফাতািকর জীবনী প্রসন্সে
লিখেছেন যে, হুসায়ন ইবন ইসহাক হযরত আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন খুরায়ম
ইবন ফাতিক (রা) হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে বলেছিলেন, হে আমীরুল যুমিনীন!
আমার ইসলাম গ্রহণের সুচনালগ্ন সম্পর্কে আমি কি আপনাকে জানাবঃ হযরত উমর (রা )
বললেন, হ্যা জানান ৷ তারপর তিনি পুর্বোক্ত বর্ণনার অনুরুপ ঘটনা বর্ণনা করলেন ; তবে এ
বর্ণনায় কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় ৷ এতে আছে “আমার নিকট এসেছিলেন হযরত আবু বকর
(রা) ৷ তিনি আমাকে বললেন, “মসজিদে প্রবেশ করুন, আপনার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ
আমরা পেয়েছি ৷ আমি বললাম, আমি তাে ভালভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে জানি না ৷ তিনি
আমাকে পবিত্রতা অর্জনের নিয়ম শিখিয়ে দিলেন ৷ এরপর আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম ৷
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখলাম যে, তিনি যেন পুর্ণিমড়ার চীদ ৷ তিনি বলছিলেন,

; ; ) : এ ; শ্ : এ :

খু

যে মুসলিম ব্যক্তি সুন্দরভারে ওযু করে এবং যথাযথভাবে ও পরিপুণ মনোযোগের সাথে যে
নামায আদায় করে সে নিশ্চয় জ ন্নাতে প্রবেশ করবে ৷ হযরত উমর (র ) আমাকে বললেন
আপনার বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণ পেশ করুন নতু বা আমি আপনাকে শাস্তি দেব ৷ তথ্যা

কুরায়শী শায়খ হযরত উসমান ইবন আফ্ফড়ান (বা) আমার সমর্থনে সাক্ষ্য দিলেন ৷ হযরত
উমর (রা) র্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন উসমান সুত্রে বর্ণিত আছে যে, উমর ইবন থাত্তাব (রা) খুরায়ম ইবন ফাতিক
(রা)-কে বলেছিলেন আমাকে এমন একটি ঘটনা শুনিয়ে দিন যা আমাকে তাক লাগিয়ে দেয়
তখন তিনি পুর্ববর্তী বর্ণনাটির অনুরুপ ঘটনা বর্ণনা করেন ৷


عُمُومَتِي وَآبَائِي أَنَّهُمْ كَانَتْ عِنْدَهُمْ وَرَقَةٌ يَتَوَارَثُونَهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ حَتَّى جَاءَ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ وَهِيَ عِنْدَهُمْ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ ذَكَرُوهَا لَهُ وَأَتَوْهُ بِهَا، مَكْتُوبٌ فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ وَقَوْلُهُ الْحَقُّ، وَقَوْلُ الظَّالِمِينَ فِي تَبَابٍ، هَذَا الذِّكْرُ لِأُمَّةٍ تَأْتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ، يُسَبِّلُونَ أَطْرَافَهُمْ وَيَأْتَزِرُونَ عَلَى أَوْسَاطِهِمْ، وَيَخُوضُونَ الْبُحُورَ إِلَى أَعْدَائِهِمْ فِيهِمْ صَلَاةٌ لَوْ كَانَتْ فِي قَوْمِ نُوحٍ مَا أُهْلِكُوا بِالطُّوفَانِ، وَفِي عَادٍ مَا أُهْلِكُوا بِالرِّيحِ، وَفِي ثَمُودَ مَا أُهْلِكُوا بِالصَّيْحَةِ. بِسْمِ اللَّهِ وَقَوْلُهُ الْحَقُّ، وَقَوْلُ الظَّالِمِينَ فِي تِبَابٍ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةً أُخْرَى، قَالَ: فَعَجِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَرَأْتُ عَلَيْهِ لِمَا فِيهَا. وَذَكَرْنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ {الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ} [الأعراف: 157] قِصَّةَ هِشَامِ بْنِ الْعَاصِ الْأُمَوِيِّ حِينَ بَعَثَهُ الصِّدِّيقُ فِي سَرِيَّةٍ إِلَى هِرَقْلَ، يَدْعُوهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَذَكَرَ أَنَّهُ أَخْرَجَ لَهُمْ صُوَرَ الْأَنْبِيَاءِ فِي رَبْعَةٍ، مِنْ آدَمَ إِلَى مُحَمَّدٍ، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، عَلَى النَّعْتِ وَالشَّكْلِ الَّذِي كَانُوا عَلَيْهِ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمَّا أَخْرَجَ صُورَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ قَائِمًا إِكْرَامًا لَهُ. ثُمَّ جَلَسَ وَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَيَتَأَمَّلُهَا. قَالَ: فَقُلْنَا لَهُ: مَنْ أَيْنَ لَكَ هَذِهِ الصُّوَرُ؟ فَقَالَ: إِنَّ آدَمَ سَأَلَ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৫
رَبَّهُ أَنْ يُرِيَهُ الْأَنْبِيَاءَ مِنْ وَلَدِهِ فَأَنْزَلَ عَلَيْهِ صُوَرَهُمْ فَكَانَ فِي خِزَانَةِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عِنْدَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ فَاسْتَخْرَجَهَا ذُو الْقَرْنَيْنِ فَدَفَعَهَا إِلَى دَانْيَالَ. ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ إِنَّ نَفْسِي قَدْ طَابَتْ بِالْخُرُوجِ مِنْ مُلْكِي، وَإِنِّي كُنْتُ عَبْدًا لِأَشَرِّكُمْ مَلَكَةً حَتَّى أَمُوتَ. ثُمَّ أَجَازَنَا فَأَحْسَنَ جَائِزَتَنَا وَسَرَّحَنَا. فَلَمَّا أَتَيْنَا أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ فَحَدَّثْنَاهُ بِمَا رَأَيْنَا وَمَا أَجَازَنَا وَمَا قَالَ لَنَا. قَالَ: فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ: مِسْكِينٌ لَوْ أَرَادَ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا لَفَعَلَ. ثُمَّ قَالَ: «أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ وَالْيَهُودَ يَجِدُونَ نَعْتَ مُحَمَّدٍ عِنْدَهُمْ.» رَوَاهُ الْحَاكِمُ بِطُولِهِ، وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ. وَقَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ قَالَ: قَدِمْتُ بِرَقِيقٍ مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ أَعْطَانِيهِمْ فَقَالُوا لِي: يَا عَمْرُو لَوْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ لَعَرَفْنَاهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ تُخْبِرَنَا فَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ فَقُلْتُ: أَهُوَ هَذَا؟ قَالُوا: لَا. فَمَرَّ عُمَرُ فَقُلْتُ: أَهُوَ هَذَا؟ قَالُوا: لَا. فَدَخَلْنَا الدَّارَ فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَادُونِي: يَا عَمْرُو هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَنَظَرْتُ فَإِذَا هُوَ
পৃষ্ঠা - ১৬৪৬
هُوَ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يُخْبِرَهُمْ بِهِ أَحَدٌ، عَرَفُوهُ بِمَا كَانُوا يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ. وَقَدْ تَقَدَّمَ إِنْذَارُ سَبَأٍ لِقَوْمِهِ، وَبِشَارَتِهِ لَهُمْ بِوُجُودِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِعْرٍ أَسْلَفْنَاهُ فِي تَرْجَمَتِهِ فَأَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَتَقَدَّمَ قَوْلُ الْحَبْرَيْنِ مِنَ الْيَهُودِ لِتُبَّعٍ الْيَمَانِيِّ، حِينَ حَاصَرَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ إِنَّهَا مُهَاجَرُ نَبِيٍّ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ فَرَجَعَ عَنْهَا، وَنَظَمَ شِعْرًا يَتَضَمَّنُ السَّلَامَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.