আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

تعظيم قريش لأمر الحرم

পৃষ্ঠা - ১৫৮৬


তোমরা নিজেদের জন্যে সঠিক ধর্ম খুজে নাও ৷ একথা শুনে তারা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং
ইব্রাহীম (আ)-এর হানীফ ও সত্য ধর্ম খুজতে থাকে ৷ বস্তুত ওয়ারাকা ইবন নওফল খৃষ্ট ধর্মে
দীক্ষিত হন এবং কিতাবাদি অধ্যয়ন করে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেন ৷

উছমান ইবন হুওয়াইরিছ রোমান সম্রাটের দরবারে উপস্থিত হয়ে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন এবং
সম্রাটের দরবারে মর্যাদা লাভ করেন ৷ যায়দ ইবন আমর ইবন ণ্নুফায়ল বের হতে চেয়েছিলেন,
কিন্তু তিনি বন্দী হয়ে পড়েন ৷ পরবর্তীতে তিনি বের হয়ে জাকিরা অঞ্চলের রিক্কা নামক স্থানে
গিয়ে উপস্থিত হন ৷ সেখানে একজন অভিজ্ঞ ধর্মযাজকের সাথে তার সাক্ষাত হয় ৷ নিজের
অভিপ্রায়ের কথা যাজকের নিকট প্রকাশ করেন ৷ যাজক বললেন, আপনি তো এমন এক
দীন ধর্মের সন্ধান করেছেন, আপনাকে কেউই দেখতে পারবে না ৷ তার শুনুন-এমন এক
সময় ঘনিয়ে এসেছে যে সময়ে আপনার নিজ শহর থেকে একজন নবী আত্মপ্রকাশ
করবেন ৷ তিনি দীন-ই হানীফ তথা সঠিক দীন সহকারে প্রেরিত হবেন ৷ একথা শুনে তিনি
মক্কার উদ্দেশে ফিরতি যাত্রা করেন ৷ পথিমধ্যে লাখম গোত্রীয় ডাকাতেরা তার উপর হামলা
চালায় এবং তাকে হত্যা করে ৷

আন্দুল্লাহ্ ইবন জাহ্শ মক্কাতেই থেকে যান ৷ এক সময় রমুেলুল্লাহ্ (না)-এর আবির্ভাব
ঘটে ৷ হাবশায় হিজরতকারী দলের সাথে আব্দুল্লাহ ইবন জাহ্শও হাবশা গমন করেন ৷ সেখানে
গিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খৃক্ট ধর্ম গ্রহণ করেন ৷ শেষ পর্যন্ত খৃক্ট ধর্মের উপর তার
মৃত্যু হয় ৷ যায়দ ইবন আমর ইবন ৰুফায়লের জীবনী প্রসঙ্গে এ বর্ণনার সমর্থক একটি বংনিা
ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ ’

খারাইত্তী বলেন, আহমদ ইবন ইসহাক আব্বাস ইবন মিরদাস সুত্রে বর্ণনা করেন,
একদিন দুপুর বেলা তিনি তার দৃগ্ধবতী উন্থীগুলাের পরিচর্যা করছিলেন ৷ হঠাৎ তিনি একটি সাদা
উটপাখি দেখতে পান ৷ পাখিটির পিঠে ছিল একজন দৃগ্ধধবল পোশাক পরিহিত আরোহী ৷ সে
বলল, হে আব্বাস ইবন মিরদাস৷ তুমি কি দেখনি যে, আকাশ তার প্রহরীদের দ্বারা নিজেকে
রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যুদ্ধ কয়েকবার তার পানীয় পান করেছে এবং অশ্বদলের পিঠের
আসন খুলে রাখা হয়েছে? মনে রেখ যিনি সততা ও থােদাভীতি সহকারে সােমবারের দিনে
মঙ্গলবারের রাতে আগমন করলেন তিনি ,কুসওয়া উষ্টীর মালিক ৷ একথা শুনে শংকিত সন্ত্রস্ত
হয়ে আমি ফিরে আসি ৷ যা আমি দেখলাম এবং যা আমি শুনলাম তাতে আমি ভয় পেয়ে
গেলাম ৷ অতঃপর আমি আমাদের নিজস্ব একটি প্রতিমার নিকট উপস্থিত হই ৷ প্রতিমাটির নাম
যামাদ ৷ আমরা সেটির উপাসনা করতাম এবং সেটির মধ্যে অবস্থানকারী জ্যিনর সাথে কথা
বলতাম ৷ আমি তার চারপাশ ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করলাম, তারপর সেটির দেহে হাত বুলিয়ে
দিয়ে সেটিকে চুমু খেলাম তখন শুনতে পেলাম যে, তার মধ্যে অবস্থানকারী জিনটি বলছে :

সমগ্র সুলায়ম গোত্রে বলে দাও যে, যামাদ প্রতিমা ধ্বংস হয়েছে এবং মসজিদওয়ড়ালা
লোকেরা সফলকাম হয়েছে


[تَعْظِيمُ قُرَيْشٍ لِأَمْرِ الْحَرَمِ] فَصْلٌ وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَا كَانَتْ قُرَيْشٌ ابْتَدَعُوهُ فِي تَسْمِيَتِهِمُ الْحُمْسَ، وَهُوَ الشِّدَّةُ فِي الدِّينِ وَالصَّلَابَةُ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ عَظَّمُوا الْحَرَمَ تَعْظِيمًا زَائِدًا بِحَيْثُ الْتَزَمُوا بِسَبَبِهِ أَنْ لَا يَخْرُجُوا مِنْهُ لَيْلَةَ عَرَفَةَ كَانُوا يَقُولُونَ: نَحْنُ أَبْنَاءُ الْحَرَمِ، وَقُطَّانُ بَيْتِ اللَّهِ فَكَانُوا لَا يَقِفُونَ بِعَرَفَاتٍ مَعَ عِلْمِهِمْ أَنَّهَا مِنْ مَشَاعِرِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَتَّى لَا يَخْرُجُوا عَنْ نِظَامِ مَا كَانُوا قَرَّرُوهُ مِنَ الْبِدْعَةِ الْفَاسِدَةِ، وَكَانُوا لَا يَدَّخِرُونَ مِنَ اللَّبَنِ أَقِطًا وَلَا سَمْنًا وَلَا يَسْلَئُونَ شَحْمًا وَهُمْ حُرُمٌ وَلَا يَدْخُلُونَ بَيْتًا مِنْ شَعَرٍ وَلَا يَسْتَظِلُّونَ إِنِ اسْتَظَلُّوا إِلَّا بِبَيْتٍ مِنْ أَدَمٍ، وَكَانُوا يَمْنَعُونَ الْحَجِيجَ وَالْعُمَّارَ مَا دَامُوا مُحْرِمِينَ أَنْ يَأْكُلُوا إِلَّا مِنْ طَعَامِ قُرَيْشٍ وَلَا يَطُوفُوا إِلَّا فِي ثِيَابِ قُرَيْشٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدٌ مِنْهُمْ ثَوْبَ أَحَدٍ مِنَ الْحُمْسِ - وَهُمْ قُرَيْشٌ وَمَا وَلَدُوا وَمَنْ دَخَلَ مَعَهُمْ مِنْ كِنَانَةَ وَخُزَاعَةَ - طَافَ عُرْيَانًا وَلَوْ كَانَتِ امْرَأَةً، وَلِهَذَا كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا اتَّفَقَ طَوَافُهَا لِذَلِكَ، وَضَعَتْ يَدَهَا عَلَى فَرْجِهَا، وَتَقُولُ الْيَوْمَ يَبْدُو بَعْضُهُ أَوْ كُلُّهُ ... وَمَا بَدَا مِنْهُ فَلَا أُحِلُّهُ فَإِنْ تَكَرَّمَ أَحَدٌ مِمَّنْ يَجِدُ ثَوْبَ أَحْمَسِيٍّ فَطَافَ فِي ثِيَابِ نَفْسِهِ فَعَلَيْهِ إِذَا،
পৃষ্ঠা - ১৫৮৭
فَرَغَ مِنَ الطَّوَافِ أَنْ يُلْقِيَهَا فَلَا يُنْتَفَعُ بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَلَيْسَ لَهُ وَلَا لِغَيْرِهِ أَنْ يَمَسَّهَا. وَكَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّي تِلْكَ الثِّيَابَ اللَّقَى. قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ كَفَى حَزَنًا كَرِّي عَلَيْهِ كَأَنَّهُ ... لَقًى بَيْنَ أَيْدِي الطَّائِفِينَ حَرِيمُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَكَانُوا كَذَلِكَ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ رَدًّا عَلَيْهِمْ فِيمَا ابْتَدَعُوهُ فَقَالَ {ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} [البقرة: 199] أَيْ: جُمْهُورُ الْعَرَبِ مِنْ عَرَفَاتٍ {وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 199] وَقَدْ قَدَّمْنَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقِفُ بِعَرَفَاتٍ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ تَوْفِيقًا مِنَ اللَّهِ لَهُ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ رَدًّا عَلَيْهِمْ فِيمَا كَانُوا حَرَّمُوا مِنَ اللِّبَاسِ وَالطَّعَامِ عَلَى النَّاسِ {يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ} [الأعراف: 31] الْآيَةَ [اَلْأَعْرَافِ: 31، 32] وَقَالَ زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَلَا أَدْرِي أَكَانَ ابْتِدَاعُهُمْ لِذَلِكَ قَبْلَ الْفِيلِ أَوْ بَعْدَهُ.