باب ما ورد في خلق آدم عليه السلام
পৃষ্ঠা - ১৫৮
আদম (আ) এর সৃষ্টি
আল্লাহ তা আলা বলেন :
ার্চুট্রুব্লু ৷
এএে ণ্া<;াণ্৷ ৷ :া; ণ্ব্লুন্ষ্ঙুঠুশুন্কুষ্টু পুপুদ্বু ৷হ্রট্ট১ ৷ ণ্চু ’ র্চু,ঙ্কু£ং৬; ১ওে ণ্া; ৷
মোঃ ণ্প্ন্
নি
ধৃরু ৷ ৷
(
র্লেপু
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, আমি পৃথিবীতে
প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি ৷ তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে অশান্তি
ঘটাবে ও রক্তপাত করবে ? আমরাই তো আপনার সপ্রশংস ন্তুতি ও পবিত্রতা ঘোষণা করি ৷ তিনি
বললেন, আমি যা আমি তোমরা জান না ৷
এবং তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন তারপর সে সমুদয় ফেরেশতার সম্মুখে
প্রকাশ করলেন এবং বললেন তোমরা আমাকে এ সবের নাম বলে দাও, যদি তোমরা স৩ বােদী
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ২২-
[بَابُ مَا وَرَدَ فِي خَلْقِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
[بِدَايَةُ خَلْقِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ قَالَ يَا آدَمُ أَنْبِئْهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ فَلَمَّا أَنْبَأَهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ فَأَزَلَّهُمَا الشَّيْطَانُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ وَقُلْنَا اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ} [البقرة: 30]
[آلِ عِمْرَانَ: 59] .
পৃষ্ঠা - ১৫৯
থেকে বহু নরশ্নারী ছড়িয়ে দেন ৷ এবং আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের
’ নিকট যাঞা কর এবং সতর্ক থাক আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে ৷ আল্লাহ তোমাদের উপর ভীক্ষ্ণ
দৃষ্টি রাখেন ৷ (৪ : ১)
যেমন অন্য আয়াতে বলেনং :
এন্ন্হ্ল্টিা;ণ্া৷া৷এ ৷ৰুওাব্লুব্লুাৰুাব্লুা৷ব্লু; ব্লুব্লুপ্লু£ছুর্স্ট ৷এব্লুএণ্ব্লুা
অর্থাৎ হে মানব জা ৷তি! আমি তােমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি ৷
পরে তােমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জা ৷তি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে
পরিচিত হতে পার ৷ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে অধিক
মুত্তাকী ৷ আল্লাহ সব কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন ৷ (৪৯ : ১৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন ং
থ্রে ৷ মোঃ
অর্থাৎ তিনিই তােমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার সঙ্গিনী
সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার নিকট শান্তি পায় ৷ ( ৭ : ১৮৯)
অন্যত্র আল্লাহ তাআল৷ বলেন ং
(”
এ
া
া”;া৷ ঝুএহ্রব্লু ৷ব্লুব্লুন্
ন্ট্পু৷ ”াশ্র্দ্র১৷ ব্লুর্দু-টুব্লুব্লু৷ ৷ (াব্রে পু;দ্বুএা;^কুা৷ ১গ্ ব্লুা;াএর্ল্ড ’ এব্লুব্লু”এ ণ্এ” ব্লুণ্ ৷
“ ট্র০ব্লুৰুঠ-ৰুষ্
াপু”এদ্বু”পু
াব্লুএ£এব্র এব্লুব্লুএ ৷
এহু৮ব্লুভুগ্লুব্লু এএ” র্চুটু১ব্লুছুাএ
মোঃ;র্ন্তটু৷ “ !§”; বৃশুঠুৰুএ স্১ব্রি৷ ব্লুণ্ ট্রু১ব্লু থ্রের্চু ব্রো ঢ়০া৷ন্ড়ু এেব্লুওা;শু
স্পো ৷ এব্লু পু£াএ ”“ ৷ ৷র্বৃব্লু£ব্লুাব্লুএএ ব্লুাএ ৷ শ্ব্লু ৷ব্লুএর্বুব্লুএা
وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا} [النساء: 1] . كَمَا قَالَ: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ} [الحجرات: 13] . وَقَالَ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا} [الأعراف: 189] . الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ১৬০
৷ ব্রোআেএেস্পো র্দু^ৰুৰুর্দু;ওেট্টণ্-ধ্ণ্াএ ,া৷ ং§; এে১া;এরু;ৰু^া৷ এএএ
া
া
ণ্র্বুার্চু §
ষ্এ১)১ন্ কৈংশুষ্টি
অর্থাৎ আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করি, তারপর রুপদান করি, তারপর ফেরেশতাদের
আদমকে সিজদা করতে বলি, তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করে ৷ যারা সিজদা করল,
যে তাদের অন্তর্ভুক্ত হলো না ৷
তিনি বললেন, আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন সিজদা করা থেকে কিসে
তোমাকে বারণ করল ? সে বলল, আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ; আমাকে তুমি আগুন দিয়ে সৃষ্টি
করেছ আর তাকে সৃষ্টি করেছ ক ৷দ৷ মাটি দিয়ে ৷ তিনি বললেন, এখান থেকে তুমি নেমে যাও,
এখানে থােক তুমি অহংকার করবে তা হতে পারে না ৷ সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও তুমি
অধমদের অন্তর্ভুক্ত ৷
সে বলল, পুনরুথান দিবস পর্যন্ত আমাকে তুমি অবকাশ দাও ৷ তিনি বললেন, যাদেরকে
অবকাশ দেয়৷ হয়েছে তৃমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হলে ৷ ইবলীস বলল, তুমি আমাকে শাস্তি দান
করলে, তাই আমিও নি ংসন্দেহে তোমার সরল পথে মানুষের জন্য ওৎ পেতে থাকর ৷ তারপর
আমি৩ তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক থেকে তাদের নিকট আসবই এবং তুমি তাদের
অধিকাৎশকে কৃতজ্ঞ পাবে না ৷
তিনি বললেন, এখান থেকে তুমি ধিক্কৃত ও বিতাড়িত অবস্থায় বের হয়ে যাও; মানুষের
মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে, নিশ্চয় আমি ৫৩ ড়ামাদের সকলের দ্বারা জাহান্নড়াম পুর্ণ
করবই ৷ আর বললাম, হে আদম ৷ ভুমি ও তোমার সঙ্গিনী জান্নাতে বসবাস কর এবং যা এবং
যেখানে ইচ্ছা আহার কর কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ে৷ না ৷ অন্যথায় তোমরা জালিমদের
তারপর তাদের গোপন করে রাখা লজ্জান্থান তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান
তা তাদেরকে কুযন্ত্রণা দিল এবং বলল, পাছে তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাও কিৎরাৰু তামরা চিরস্থায়ী
হও এ জন্য তোমাদের প্রতিপালক এ বৃক্ষ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন ৷ এবং সে
তাদের উভয়ের নিকট শপথ করে বলল, আমি তোমাদের হিতাকাডফীদের একজন ৷
এভাবে সে প্রবঞ্চনা দ্বারা তাদেরকে অং৪পতিত করল ৷ তারপর যখন তারা যে বৃক্ষফল
আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জান্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নড়াতের
পাতা দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে লাগল ৷ তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সম্বোধন করে
وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ خَلَقْنَاكُمْ ثُمَّ صَوَّرْنَاكُمْ ثُمَّ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ لَمْ يَكُنْ مِنَ السَّاجِدِينَ قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ قَالَ فَاهْبِطْ مِنْهَا فَمَا يَكُونُ لَكَ أَنْ تَتَكَبَّرَ فِيهَا فَاخْرُجْ إِنَّكَ مِنَ الصَّاغِرِينَ قَالَ أَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ قَالَ إِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ قَالَ فَبِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ ثُمَّ لَآتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ قَالَ اخْرُجْ مِنْهَا مَذْءُومًا مَدْحُورًا لَمَنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنْكُمْ أَجْمَعِينَ وَيَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ فَكُلَا مِنْ حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُورِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْآتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ وَقَاسَمَهُمَا إِنِّي لَكُمَا لَمِنَ النَّاصِحِينَ فَدَلَّاهُمَا بِغُرُورٍ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُلْ لَكُمَا إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُبِينٌ قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ قَالَ اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ قَالَ فِيهَا تَحْيَوْنَ وَفِيهَا تَمُوتُونَ وَمِنْهَا تُخْرَجُونَ} [الأعراف: 11]
[الْأَعْرَافِ: 11 - 25] .
পৃষ্ঠা - ১৬১
বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হতে ৩নিষেধ করিনি এবং আমি কি
তোমাদেরকে বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শক্রা তারা বলল, হে আমাদের
প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছি, তুমি যদি আমাদের ক্ষমা না কর এবং
দয়া না কর; তা হলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবো ৷
তিনি বললেন, তোমরা একে অন্যের শত্রুরুপে নেমে দ ও এবং পৃথিবীতে ৩কিছু দিনের
জন্যে তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল ৷ তিনি বললেন, সেখানেই তোমরা জীবন যাপন
করবে এবং সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হবে এবং সেখান থেকেই তোমাদের বের করে আনা
হবে ৷ (৭ : ১ ১-২৫)
যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন
অর্থাৎ এ (মাটি) থেকে তে আমাদের সৃষ্টি করেছি, তাতেই তোমাদের ফিরিয়ে দেব এবং
সেখান থেকেই পুনরায় তোমাদেরকে বের করে আনব ৷ (২০ : ৫৫)
;,ব্লু
এলোঃ ষ্ঠেদ্বু এে
ষ্ন্নু ৷ ৷
,,;
১
এ
× :
প্রএাধু; ১৷ ৷
;া৷ ’
(
অর্থাৎ আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি ছুড়াচে-ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে এবং তার পুর্বে
সৃষ্টি করেছি জিন জাতিকে অতি উষ্ণ বায়ুর উত্তাপ থেকে ৷ স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক
ফেরেশতাদেরকে বললেন, আমি ছাচেঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করতে
كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 55] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ وَالْجَانَّ خَلَقْنَاهُ مِنْ قَبْلُ مِنْ نَارِ السَّمُومِ وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى أَنْ يَكُونَ مَعَ السَّاجِدِينَ قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا لَكَ أَلَّا تَكُونَ مَعَ السَّاجِدِينَ قَالَ لَمْ أَكُنْ لِأَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهُ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ وَإِنَّ عَلَيْكَ اللَّعْنَةَ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ قَالَ هَذَا صِرَاطٌ عَلَيَّ مُسْتَقِيمٌ إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ إِلَّا مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْغَاوِينَ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ أَجْمَعِينَ لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَابٍ لِكُلِّ بَابٍ مِنْهُمْ جُزْءٌ مَقْسُومٌ} [الحجر: 26]
[الْحِجْرِ 26 - 44] .
وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ قَالَ أَأَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ طِينًا - قَالَ أَرَأَيْتَكَ هَذَا الَّذِي كَرَّمْتَ عَلَيَّ لَئِنْ أَخَّرْتَنِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَأَحْتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهُ إِلَّا قَلِيلًا - قَالَ اذْهَبْ فَمَنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَاؤُكُمْ جَزَاءً مَوْفُورًا - وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِمْ بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكْهُمْ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ وَعِدْهُمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا - إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ وَكَفَى بِرَبِّكَ وَكِيلًا} [الإسراء: 61 - 65]
[الْإِسْرَاءِ: 61 - 65] .
পৃষ্ঠা - ১৬২
যাচ্ছি ৷ যখন আমি তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার রুহ সঞ্চার করব; তখন তোমরা তার
সামনে সিজদায় পড়ে যেয়ো ৷ তখন ফেরেশতড়াগণ সকলেই সিজদা করল ৰিক্ষু ইবলীস সিজদা
করল না ৷ সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার করল ৷
আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস! কি ব্যাপার তুমি সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলে না যে সে
বলল, আমি এমন মানুষকে সিজদা করবার নই, যাকে আপনি ছাচে-ঢাল৷ শুকনো ঠনঠনে মাটি
দিয়ে সৃষ্টি করেছেন ৷ আল্লাহ বললেন, তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও ৷ কারণ তুমি
বিতাড়িত এবং কিয়ামত পর্যন্ত তোমার প্রতি রইল লানত ৷
সে বলল, হে আমার প্রতিপালক৷ আপনি আমাকে পুনরুথান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন ৷
আল্লাহ বললেন, যাও অবধারিত সময় আসা পর্যন্ত তোমাকে অবকাশ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করা
হলো ৷ সে বলল, হে আমার প্রতিপালক৷ আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, সে জন্য আমি
পৃথিবীতে পাপকর্মকে মানুষের সামনে শোভন করে উপস্থাপন করব এবং আপনার মনোনীত
বান্দাদের ব্যতীত তাদের সকলকেই আমি বিপথগামী করে ছাড়ব ৷
আল্লাহ বললেন, এ হলো আমার নিকট পৌছুবার সোজা পথ ৷ বিভ্রান্তুদের মধ্যে যারা
তোমার অনুসরণ করবে; তারা ব্যতীত আমার বন্দোদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা থাকবে
না ৷ তোমার অনুসারীদের সকলেরই নির্ধারিত স্থান হবে জাহান্নাম ৷ যার সাতটি দরজা আছে ৷
প্রত্যেক দরজার জন্য আছে পৃথক পৃথক দল ৷ (১৫ চ ২৬-৪ : )
এ্যা এে ১দ্বু;
১
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম আদমকে সিজদা কর, তখন
ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল ৷ সে বলল, যাকে আপনি কাদা মাটি থেকে সৃষ্টি
করেছেন, আমি কি তাকে সিজদা করব ?
সে আরো বলল, বলুন, ওকে যে আপনি আমার উপর উচ্চ মর্যাদা দান করলেন, তা কেন?
আপনি যদি কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দেন; তবে আর কয়েকজন ব্যতীত তার
বংশধরকে আমি আমার কর্তৃতুাধীন করে ফেলব ৷
আল্লাহ বললেন, যাও তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে; জাহান্নামই হবে
তোমাদের সকলের শান্তি পুর্ণ শান্তি ৷ তোমার আহবানে ওদের মধ্যকার যাদেরকে পার
وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلًا} [الكهف: 50] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ عَهِدْنَا إِلَى آدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى فَقُلْنَا يَا آدَمُ إِنَّ هَذَا عَدُوٌّ لَكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَى فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَا يَبْلَى فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى ثُمَّ اجْتَبَاهُ رَبُّهُ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَى قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيعًا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَى قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِي أَعْمَى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيرًا قَالَ كَذَلِكَ أَتَتْكَ آيَاتُنَا فَنَسِيتَهَا وَكَذَلِكَ الْيَوْمَ تُنْسَى} [طه: 115]
[طه: 115 - 126] .
পৃষ্ঠা - ১৬৩
পদস্থালিত কর, তুমি তোমার অশ্বারো হী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর এবং
তাদের ধন-সম্পদ ও সভান-সম্ভতিতে শরীক হয়ে যাও আর৩ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দাও ৷ শয়তান
তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়; তা ছলনা মাত্র ৷ আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা
নেই ৷ কর্মবিধায়ক হিসাবে তোমার প্ৰতিপালকই যথেষ্ট ৷ ( ১ ৭ং ৬ ১ ৬৫ )
এেদ্বু ট্র৷ ৷র্চু
, ,
¢
ষ্ক্ট্র ণ্ব্লু ণ্ ষ্ক্ট্র ষ্ এ ;)
ঞড্রু
অর্থাৎ আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশ৩ ৷দেরকে বলেছিলাম আদমকে সিজদা কর,
তখন ইবলীস ব্যতীত তারা সকলেই সিজদা করল ৷ সে জিনদের একজন, সে তার
প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল, তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার
বংশধরকে অভিভাবক রুপে গ্রহণ করছ ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু ৷ জালিমদের এ বিনিময়
কত নিকৃষ্ট ! (১৮ : ৫০)
া
(
ও
এর্চুস্
১
এ্যা
,
অর্থাৎ আমি তো ইতিপুর্বে আদমের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল,
আমি তাকে সংকল্পে দৃঢ় পাইনি ৷ স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললড়াম , আদমের
প্ৰতি সিজদা কর ; তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল; যে অমান্য করল ৷ তারপর
আমি বললাম, হে আদম ! এ তোমার ও তোমার ত্রীর শত্রু; সুতরাং সে যেন কিছুতেই
وَقَالَ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ نَبَأٌ عَظِيمٌ أَنْتُمْ عَنْهُ مُعْرِضُونَ - مَا كَانَ لِيَ مِنْ عِلْمٍ بِالْمَلَإِ الْأَعْلَى إِذْ يَخْتَصِمُونَ - إِنْ يُوحَى إِلَيَّ إِلَّا أَنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُبِينٌ - إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ طِينٍ - فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ - فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ - قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنْتَ مِنَ الْعَالِينَ - قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ - قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ - وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ - قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ - قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ - إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ - قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ - إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ - قَالَ فَالْحَقُّ وَالْحَقَّ أَقُولُ لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنْكَ وَمِمَّنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ - قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ - إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ - وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُ بَعْدَ حِينٍ} [ص: 67 - 88]
[ص: 67 - 88] .
فَهَذَا ذِكْرُ هَذِهِ الْقِصَّةِ مِنْ مَوَاضِعَ مُتَفَرِّقَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ فِي التَّفْسِيرِ. وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا مَضْمُونَ مَا دَلَّتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآيَاتُ الْكَرِيمَاتُ، وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ.
فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّهُ خَاطَبَ الْمَلَائِكَةَ قَائِلًا لَهُمْ: {إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً} [البقرة: 30] . أَعْلَمَ بِمَا يُرِيدُ أَنْ يَخْلُقَ مِنْ آدَمَ وَذُرِّيَّتِهِ الَّذِينَ يُخْلِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، كَمَا قَالَ: {وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَائِفَ الْأَرْضِ} [الأنعام: 165] . وَقَالَ: {وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاءَ الْأَرْضِ} [النمل: 62] . فَأَخْبَرَهُمْ بِذَلِكَ عَلَى سَبِيلِ التَّنْوِيهِ بِخَلْقِ آدَمَ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا يُخْبِرُ بِالْأَمْرِ الْعَظِيمِ قَبْلَ كَوْنِهِ. فَقَالَتِ الْمَلَائِكَةُ سَائِلِينَ عَلَى وَجْهِ الِاسْتِكْشَافِ وَالِاسْتِعْلَامِ عَنْ وَجْهِ الْحِكْمَةِ لَا
পৃষ্ঠা - ১৬৪
তোমাদেরকে জান্নড়াত থেকে বের করে না দেয়, দিলে তোমরা দুঃখ পাবে ৷ তোমার জন্য এই
রইল যে, তুমি জান্নাতে ক্ষুধার্ত হবে না ও নগ্নও হবে না এবং তথায় পিপাসার্ত হবে না এবং
বৌদ্রক্লিষ্টও হবে না ৷
তারপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল ৷ সে বলল, হে আদম! আমি কি তোমাকে বলে দেব
অনন্ত জীবনপ্রদ গাছের কথা ও অক্ষয় রাজ্যের কথা ? তারপর তারা তা থেকে ভক্ষণ করল;
তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের গাছের পাতা
দিয়ে নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল ৷ আদম তার প্রতিপালকের হুকুম অমান্য করল, ফলে
সে ভ্রমে পতিত হলো ৷ এরপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি
ক্ষমাপরায়ণ হলেন ও তাকে পথ-নির্দেশ করলেন ৷
তিনি বললেন, তোমরা একই সাথে জান্নাত থেকে নেমে যাও তোমরা পরস্পর পরস্পরের
শত্রু ৷ পরে আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সৎ পথের নির্দেশ আসলে যে আমার অনুসরণ
করবে, সে বিপথগামী হবে না ও দুঃখ-কষ্ট পাবে না ৷ যে আমার স্মরণে বিমুখ তার জীবন যাপন
হবে সংকুচিত এবং আমি তাকে কিয়ড়ামতের দিন উথিত করব অন্ধ অবস্থায় ৷ সে বলবে, হে
আমার প্রতিপালক ! কেন তুমি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উথিত করলে ? আমি তো চক্ষুষ্মড়ান ছিলাম ৷
তিনি বলবেন, এরুপই আমার নিদর্শনাবলী তোমার নিকট এসেছিল, কিন্তু তুমি তা তুলে
গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তুমিও বিস্মৃত হলে ৷ (২০ং ১ ১৫ ১ ২৬)
,
৷ শুপু;শ্ব ৷
;“;
,
শ্লে৷ ৷
,
াঠু
’ ?
১৷ ৷
#
ৰু)’
া
অর্থাৎ বল, এ এক মহা সংবাদ, যা থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে; উর্ধ্বলােকে তাদের
বাদানুবাদ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না ৷ আমার কাছে তো এ ওহী এসেছে যে, আমি
একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ৷
عَلَى وَجْهِ الِاعْتِرَاضِ وَالتَّنَقُّصِ لِبَنِي آدَمَ وَالْحَسَدِ لَهُمْ، كَمَا قَدْ يَتَوَهَّمُهُ بَعْضُ جَهَلَةِ الْمُفَسِّرِينَ: {قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ} [البقرة: 30] . قِيلَ: عَلِمُوا أَنَّ ذَلِكَ كَائِنٌ بِمَا رَأَوْا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَ آدَمَ مِنَ الْحِنِّ وَالْبِنِّ. قَالَهُ قَتَادَةُ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ كَانَتِ الْحِنُّ وَالْبِنُّ قَبْلَ آدَمَ بِأَلْفَيْ عَامٍ، فَسَفَكُوا الدِّمَاءَ فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ جُنْدًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ فَطَرَدُوهُمْ إِلَى جَزَائِرِ الْبُحُورِ، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ، وَعَنِ الْحَسَنِ أُلْهِمُوا ذَلِكَ. وَقِيلَ: لِمَا اطَّلَعُوا عَلَيْهِ مِنَ اللَّوْحِ الْمَحْفُوظِ. فَقِيلَ: أَطْلَعَهُمْ عَلَيْهِ هَارُوتُ وَمَارُوتُ عَنْ مَلَكٍ فَوْقَهُمَا يُقَالُ لَهُ: السِّجِلُّ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُمْ عَلِمُوا أَنَّ الْأَرْضَ لَا يَخْلُقُ مِنْهَا إِلَّا مَنْ يَكُونُ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ غَالِبًا. {وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ} [البقرة: 30] . أَيْ: نَعْبُدُكَ دَائِمًا لَا يَعْصِيكَ مِنَّا أَحَدٌ، فَإِنْ كَانَ الْمُرَادُ بِخَلْقِ هَؤُلَاءِ أَنْ يَعْبُدُوكَ فَهَا نَحْنُ لَا نَفْتُرُ لَيْلًا وَلَا نَهَارًا. {قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا} [البقرة: 30] . أَيْ: أَعْلَمُ مِنَ الْمَصْلَحَةِ الرَّاجِحَةِ فِي خَلْقِ هَؤُلَاءِ {مَا لَا تَعْلَمُونَ} [البقرة: 30] . أَيْ: سَيُوجَدُ مِنْهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالْمُرْسَلُونَ، وَالصِّدِّيقُونَ، وَالشُّهَدَاءُ. ثُمَّ بَيَّنَ لَهُمْ شَرَفَ آدَمَ عَلَيْهِمْ فِي الْعِلْمِ فَقَالَ: {وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا} [البقرة: 31] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هِيَ هَذِهِ الْأَسْمَاءُ الَّتِي يَتَعَارَفُ بِهَا النَّاسُ ; إِنْسَانٌ، وَدَابَّةٌ، وَأَرْضٌ، وَسَهْلٌ، وَبَحْرٌ، وَجَبَلٌ، وَجَمَلٌ، وَحِمَارٌ،
পৃষ্ঠা - ১৬৫
স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বলেছিলেন আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি ক দা
মাটি থেকে, যখন আমি তাকে সুষম করব, তখন তােমরা৩ার প্রতি সিজদাবনত হয়াে ৷ তখন
ইবলীস ব্যতীত ফেরেশতার৷ সকলেই সিজদ৷ ৷বনত হলো ৷ সে অহংকার করল এবং কাফিরদের
অন্তর্ভুক্ত হলো ৷
তিনি বললেন, যে ইবলীস! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি,৩ ব প্রতি সিজদাবনত
হতে তোমাকে কিসে বাধা দিল ? তুমি কি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করলে, না তুমি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ?
সে বলল, আমি তার থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন আর তাকে সৃষ্টি
করেছেন কাদ৷ মাটি থেকে ৷ তিনি বললেন,তু মি এখান থেকে বের হয়ে যাও, নিশ্চয়ই তুমি
বিতাড়িত এবং তোমার উপর আমার লানত স্থায়ী হবে কর্মফল দিবস পর্যন্ত ৷ সে বলল, হে
আমার প্রতিপালক ! আপনি আমাকে পুনকথান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন ৷ তিনি বললেন, তুমি
অবকাশ প্রাপ্তদের অন্তভুক্তি হলে অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত ৷ সে বলল,
আপনার ক্ষমতার শপথ ৷ আমি তাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করব, তবে তাদের মধ্যে আপনার
একনিষ্ঠ বান্দাদের নয় ৷
তিনি বললেন, তবে এটাই সত্য; আর আমি সত্যই বলি তোমার দ্বারা ও তোমার
অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পুর্ণ করবই ৷ বল, এর জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন
প্রতিদান চাই না এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই ৷ এতো বিশ্ব জগতের
জন্য উপদেশ মাত্র ৷ এর সংবাদ তোমরা অবশ্যই জানবে কিছুকাল পরে ৷ (৩৮ : ৬ ৭-৮৮ )
এ হলো কুরআনের বিভিন্ন আঘাতের আলোকে আদম (আ)-এর সৃষ্টির বিবরণ ৷ আমি
তাফসীরে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ এখানে আমি উপরোক্ত আয়াতসমুহের সারমর্ম এবং
এসব আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট রাসুলুল্লাহ (না) থেকে এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসসমুহ উল্লেখ
করেছি ৷ আল্লাহই ওফীকত দাত ৷ ৷ আল্লাহ্ তা আলা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি
ফেরেশতাদেরকে সম্বোধন করে বলেছিলেন০
অর্থাৎ “পৃথিবীতে আমি প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি (২ : ৩০)
এ ঘোষণার আল্লাহ তাআলা আদম ও তার এমন বংশধরদের সৃষ্টি করার সংকল্প ব্যক্ত
করেছেন; যারা একে অপরের প্রতিনিধিত্ব করবে ৷ যেমন এক আয়াতে তিনি বলেন :
এ;০ট্রু১া’^ এ্ষ্কৃ১াহু ^ণ্র্ন্তাগ্১ প্রুপু ৷ ড্রু১ড্রু অর্থাৎ “তিনিই তােমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি
বানিয়েছেন ৷ (৬ং : ১৬৫)
যাহোক, এ ঘোষণা দ্বারা আল্লাহ তাআলা সংকল্প ব্যক্ত করণার্থে ফেরেশতাদেরকে আদম
(আ) ও ত ব বংশধরদের সৃষ্টি করার কথা জ নিয়ে দেন ৷ যেমন বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই
কোন গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের আগাম সংবাদ দেওয়া হয়ে থাকে ৷ ঘোষণা শুনে ফেরেশতাগণ
বললেনং : ৷ অর্থাৎ-“আপনি কি
সেখানে এমন ক উকে সৃষ্টি করবেন, যে র্সেখারুন অশাস্তি ঘটাবে এবং রক্তপাত করবে ?
(২৪ ৩০)
আল-ৰিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ২৩-
وَأَشْبَاهُ ذَلِكَ مِنَ الْأُمَمِ وَغَيْرِهَا. وَفِي رِوَايَةٍ: عَلَّمَهُ اسْمَ الصَّحْفَةِ، وَالْقِدْرِ حَتَّى الْفَسْوَةِ وَالْفُسَيَّةِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: عَلَّمَهُ اسْمَ كُلِّ دَابَّةٍ، وَكُلِّ طَيْرٍ، وَكُلِّ شَيْءٍ.
وَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ الرَّبِيعُ: عَلَّمَهُ أَسْمَاءَ الْمَلَائِكَةِ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدٍ: عَلَّمَهُ أَسْمَاءَ ذُرِّيَّتِهِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ عَلَّمَهُ أَسْمَاءَ الذَّوَاتِ، وَأَفْعَالَهَا مُكَبَّرَهَا وَمُصَغَّرَهَا، كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَذَكَرَ الْبُخَارِيُّ هُنَا مَا رَوَاهُ هُوَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدٍ، وَهِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ» . وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ {ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} [البقرة: 31] . قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ خَلْقَ آدَمَ، قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: لَا يَخْلُقُ رَبُّنَا خَلْقًا إِلَّا كُنَّا أَعْلَمَ مِنْهُ. فَابْتُلُوا بِهَذَا. وَذَلِكَ قَوْلُهُ: {إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} [البقرة: 23] . وَقِيلَ: غَيْرُ ذَلِكَ، كَمَا بَسَطْنَاهُ فِي التَّفْسِيرِ {قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ} [البقرة: 32] . أَيْ: سُبْحَانَكَ أَنْ يُحِيطَ أَحَدٌ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِكَ مِنْ غَيْرِ تَعْلِيمِكَ،
পৃষ্ঠা - ১৬৬
উল্লেখ্য যে, ফেরেশ৩াগণ বিষয়টির তাৎপর্য জানা এবং তার রহস্য সম্পর্কে অবনতি লাভ
করার উদ্দেশ্যে এ কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৷ আপত্তি তোলা, আদম সন্তানদের অমর্যাদা বা
তাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ তাদের উদ্দেশ্য ছিল না ৷ যেমন কোন কো ন অজ্ঞ মুফাসসির ধারণা
করেছেন ৷ তারা বলেছিলেন, আপনি কি পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী ও রক্তপাতকা রী কাউকে
সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন? এর ব্যাখ্যার কেউ কেউ বলেন, আদমের পুর্বে যে জিন ও বিন জাতির
বসবাস ছিল; তাদের কার্যকলাপ দেখে ফেরেশতাগণ জানতে পেরেছিলেন যে, আগামীতেও
এমন অঘটন ঘটবে ৷ এটা কাতাদার অভিমত
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেন৪ আদম (আ) এর পুর্বে জিন জাতি দু’হাজার বছর
বসবাস করে ৷ তারা রক্তপাতে লিপ্ত হলে আল্লাহ তা আলা তাদের কাছে এক ফেরেশ৩া বাহিনী
প্রেরণ করেন ৷ তারা তাদেরকে বিভিন্ন দ্বীপে তাড়িয়ে দেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকেও এরুপ
বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ হাস ন (র) থেকে বর্ণিত যে, ফেরেশতাগণের প্ৰতি এ তথ্য ইলহাম করা
হয়েছিল ৷ কেউ বলেন, লাওহে মাহফুজ থেকে তারা এ ব্যাপারে অবগত হয়েছিলেন ৷ কেউ
বলেন, মারুত ও হারুত তাদেরকে তা অবগত করেছিলেন ৷ তারা দুজন তা জানতে পেয়েছিলেন
তা ৩াদের উপরন্থ শাজাল নামক এক ফেরেশ৩া থেকে ৷ ইবন আবু হাতিম (র) আবু জা ফর বাকির
(র) সুত্রে এটা বর্ণনা করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তাদের একথা জানা ছিল যে, মাটি থেকে সৃষ্ট
জীবেরাভাব এরুপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ৷
অর্থাৎ-আমরা সর্বদা আপনার ইবাদত করি ৷
আমাদের মধ্যকার কেউ আপনার আবাধ্য৩া করে না ৷ এখন যদি এদেরকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য
এই হয় যে,৩ তারা আপনার ইবাদত করবে; তবে আ মরাই তো রাত দিন অবিশ্রান্তভাবে একাজে
নিয়োজিত রয়েছি ৷ গ্লুট্রুমোঃ ১াশু; ণ্া: ৷ ^ ;! ৰুাদ্ব অর্থাৎ-এদেরকে সৃষ্টি করার মধ্যে যে
কী সার্থকতা রয়েছে; তা আমি জানি-তোমরা জান না ৷ অর্থাৎ অদুর ভবিষ্যতে এদেরই মধ্য
থেকে বহু নবী-রাসুল, সিদ্দীক ও শহীদের আবির্ভাব হবে ৷ তারপর আল্লাহ তা জানা ইলভ্রুমর
ক্ষেত্রে ফেরেশতান্াণের উপর আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কথা ব্যক্ত করে বলেনদ্ভা হুট্টপুশ্ন^া ব্লুও৷ ন্ব্লু
র্চুগ্লুপুর্বু অর্থাৎ “এবং তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন ৷” ইবন আব্বাস (বা) বলেন,
াহলো , এসব নাম যদ্দারা মানুষ পরিচিতি লাভ করে থাকে ৷ যেমন মানুষ , জীব, ভুমি , স্থলভাগ
ও জলভাগ, পাহাড়-পবর্ত, উট-গাধা ইত্যাদি ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহ তাআলা
তাকে ডেগ ডেকচি, থালা-বাসন থেকে আরম্ভ করে অধংবাযু নির্গমনের নাম পর্যন্ত শিক্ষা দেন ৷
মুজাহিদ (র) বলেন, আল্লাহ তাকে সকল জীব জল্লু পশু পক্ষী ও সকল বস্তুর নাম শিক্ষা
দিয়েছেন ৷
সাঈদ ইবন জুবায়র (বা) এবং কাতাদা (র) প্রযুখও এরুপ বলেছেন ৷ রাবী বলেন, আল্লাহ
৩াআলা তাকে ফেরেশতাগণের নামসমুহ শিক্ষা দেন ৷ আবদুর রহমান ইবন য়ায়দ (র) বলেন,
আল্লাহ তাকে তার সন্তানদের নাম শিক্ষা দিয়েছেন ৷৩ তবে সঠিক কথা হলো, আল্লাহ তা আলা
আদম (আ) কে ছোট-বড় সকল বস্তু ও তার গুণাগুণ বা বৈশ্যিষ্ট্যর নাম শিক্ষা দেন ৷ ইবন
আব্বাস (বা) এদিকে ইংগিত করেছেন ৷
كَمَا قَالَ: {وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ} [البقرة: 255] . {قَالَ يَا آدَمُ أَنْبِئْهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ فَلَمَّا أَنْبَأَهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ} [البقرة: 33] . أَيْ أَعْلَمُ السِّرَّ كَمَا أَعْلَمُ الْعَلَانِيَةَ. وَقِيلَ: إِنَّ الْمُرَادَ بِقَوْلِهِ: {وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ} [البقرة: 33] . مَا قَالُوا: {أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا} [البقرة: 30] . وَبِقَوْلِهِ: {وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ} [البقرة: 33] . الْمُرَادُ بِهَذَا الْكَلَامِ إِبْلِيسُ وَمَا أَسَرَّهُ وَكَتَمَهُ فِي نَفْسِهِ مِنَ الْكِبَرِ وَالْعَدَاوَةِ لِآدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَهُ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَالسُّدِّيُّ، وَالضَّحَّاكُ، وَالثَّوْرِيُّ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ، وَالرَّبِيعُ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ: {وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ} [البقرة: 33] . قَوْلُهُمْ: لَنْ يَخْلُقَ رَبُّنَا خَلْقًا إِلَّا كُنَّا أَعْلَمَ مِنْهُ، وَأَكْرَمَ عَلَيْهِ مِنْهُ. قَوْلُهُ: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ} [البقرة: 34] . هَذَا إِكْرَامٌ عَظِيمٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِآدَمَ حِينَ خَلَقَهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، كَمَا قَالَ: {فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ} [الحجر: 29] . فَهَذِهِ أَرْبَعُ تَشْرِيفَاتٍ خَلْقُهُ لَهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ، وَنَفْخُهُ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمْرُهُ الْمَلَائِكَةَ بِالسُّجُودِ لَهُ، وَتَعْلِيمُهُ أَسْمَاءَ الْأَشْيَاءِ، وَلِهَذَا قَالَ لَهُ مُوسَى الْكِلِيمُ حِينَ اجْتَمَعَ هُوَ وَإِيَّاهُ فِي الْمَلَأِ الْأَعْلَى، وَتَنَاظَرَا، كَمَا سَيَأْتِي: أَنْتَ آدَمُ أَبُو الْبَشَرِ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ. وَهَكَذَا يَقُولُ لَهُ أَهْلُ الْمَحْشَرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ১৬৭
ইমাম বুখারী (র) ও মুসলিম (র) এ প্রসংগে আনাস ইবন মালিক (রা) , কাতাদা এবং
সাঈদ ও হিশামের সুত্রে বর্ণিত একটি হাদীস উল্লেখ করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন৪
কিয়ামতে তর দিন মু মি’নগণ সমবেত হয়ে বলবে আল্লাহর নিকট সুপারিশ করার জন্য আমরা যদি
কারো কাছে আবেদন করতাম! এই বলে তারা আদম (আ) )-এর কাছে এসে বলবে আপনি
মানব জাতির পিতা ৷ আল্লাহ্ আপনাকে নিজ কুদরভী হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার
ফেরেশতাগণকে আপনার সামনে সিজদা ৷বনত করেছেনও ওআপনাকে যাবতীয় বস্তুর নাম শিক্ষা
fl
অর্থাৎ “তারপর সেগুলো ফেবেশতাগণের সম্মুখে :পশ করলেন এবং বললেন, তোমরা
আমাকে এ সবের নাম বলে দাও যদি তোমরা সতাবাদী হয়ে থাক ৷ ” (২ ং ৩১)
হাসান বসরী (র) বলেন আল্লাহ তা জানা আদম (আ) কে সৃষ্টি করতে চাইলে
ফেরেশতারা বললেন, আমাদের রব যাকেই সৃষ্টি করুন না কেন আমরাই তার চাইতে বেশি
জ্ঞানী প্রতিপন্ন হবে৷ ৷ তাই এভাবে তাদেরকে পরীক্ষা করা হয় ৷ “যদি তোমরা সতাবাদী হয়ে
থাক’ বলে এদিকেই ইংগিত করা হয়েছে ৷ এ প্রসং গে আরো বিভিন্ন মুফাসৃসির বিভিন্ন মত ব্যক্ত
করেছেন ৷ আমি তাফসীরে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
অর্থাৎ-তারা (ফেরেশতারা) বলল, আপনি পবিত্র ৷ আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন
তাছাড়া আমাদের তো কোন জ্ঞানই নেই ৷ বন্তুত আপনি জ্ঞানময় ও প্রজ্ঞাময় ৷ (২ : ৩২)
যেমন এক আয়াতে আল্লাহ তা আলা বলেন
টু
তিনি যা ৷ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তার জ্ঞানের কিছুই তারা আরও করতে পারে না ৷
(২৪ ২৫৫)
,া৮
অর্থাৎ আল্লাহ বললেন, হে আদম! তাদেরকে এগুলোর নাম বলে দাও ৷ যখন যে এ
সকল নাম বলে দিল, তিনি বললেন, আমি কি তােমাদেরকে বলিনি যে, আকাশসমুহ ও পৃথিবীর
অদৃশ্য বস্তু সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত ভাবে অবস্থিত এবং তোমরা যা ব্যক্ত কর বা গোপন রাখ আমি
তাও জানি ? (২৪ ৩৩)
অর্থাৎ আমি প্রকাশ্যট৷ যেমন জানি গোপনটাও ঠিক তেমনই জানি ৷ কেউ কেউ বলেন,
ভোমরা যা ব্যক্ত কর’ বলতে তাদের পুর্বেকার বক্তব্য এেও৷ ৷)
-কে বুঝানো হয়েছে আর তােমরা যা গোপন রা খ দ্বরা ইবলীসের মনে গুপ্ত সে অহংকার ও
وَقَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى {وَلَقَدْ خَلَقْنَاكُمْ ثُمَّ صَوَّرْنَاكُمْ ثُمَّ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ لَمْ يَكُنْ مِنَ السَّاجِدِينَ قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ} [الأعراف: 11]
[الْحِجْرِ: 28 - 35] . اسْتَحَقَّ هَذَا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى ; لِأَنَّهُ اسْتَلْزَمَ تَنَقُّصُهُ لِآدَمَ وَازْدِرَاؤُهُ بِهِ
পৃষ্ঠা - ১৬৮
নিজেকে আদম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করা ই বুঝানো হয়েছে ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র, মুজাহিদ, সুদ্দী
যাহ্হাক ও ছাওরী (র) এ কথা বলেছেন এবং ইবন জা ৷রীর (র)ত তা সমর্থন করেছেন ৷
আবুল আলিয়া, রবী, হাসান ও কাতাদা (র) বলেন৪ :);£ ’;§:’ “fi£$ ৷ঠু দ্বারা
ফেরেশতাদের বক্তব্য, আমাদের বব যাঃকা সৃষ্টি করুন না কেন আমরা তার চেয়ে বেশি জ্ঞানী
এবং বেশি সম্মানিত ই থাকব’এ বক্তব্যটির কথা বুঝানো হয়েছে ৷ এবং
৷ ,
এটা আদমের প্রতি ৩আল্লাহত তা আল৷ প্রদত্ত বিরাট বড় সম্মানের বাই৪প্রকাশ যা তিনি তাকে
নিজ হাতে সৃষ্টি করে তার মধ্যে রুহ সঞ্চার করার পর প্রদর্শন করেছিলেন ৷ যেমন এক আয়াতে
আল্লাহ তাআলা বলেন০ :
অর্থাৎ “আমি যখন তাকে সুঠাম করব এবং তার মধ্যে রুহ সঞ্চার করব, তখন তোমরা
তার প্রতি সিজদ৷ ৷বনত হয়ে৷ ৷” ( ১৫০ ং ২৯)
মোটকথা, আদম (আ) কে আল্লাহত তা জানা চারটি মর্যাদা দান করেছেন৪ (১) তাকে
নিজের পবিত্র হাতে সৃষ্টি করা, (২)৩ তার মধ্যে নিজের রুহ থেকে সঞ্চার করা, (৩)
ফেরেশতাগণকে তাকে সিজদ৷ করার আদেশ দা ন ও (৪ ) তাকে বস্তু নিচয়ের নাম শিক্ষাদ
এ জন্যই উর্ধজগতে ৩মুস৷ কালীম (আ) ও আদম (আ) এর সাক্ষাৎ হলে বাদানুবাদ প্রসৎগে মুসা
(আ) তাকে বলেছিলেন০ : “আপনি মানব জা ৷তির পিত ৷ আদম (আ) ৷ আল্লাহ আপনাকে নিজ
হাতে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মধ্যে তিনি নিজের রুহ থেকে সঞ্চার করেছেন, তার
ফেরেশতাগণকে তিনি আপনার সামনে সিজদাবনত করিয়েছেন এবং আপনাকে বস্তু নিচয়ের
নাম শিক্ষা দিয়েছেন ৷” কিয়ামতেবু দিন হাশরের ময়দানে সমবেত লোকজন এরুপ বলবে ৷
এতদসৎক্রান্ত আলোচনা পুর্বেও হয়েছে এবং একটু পরে আবারো আসবে ইনশাআল্লাহ ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআল৷ বলেন০ ং
§ ৷ ৷ ,
# “
অর্থাৎ-৫তামাদেরকে আমি সৃষ্টি করি, তারপর তোমাদের রুপ দান করি, তারপর
ফেরেশতাদেরকে বলি, আদমকে সিজদ৷ কর ৷ ইবলীস ব্যতীত তারা সকলেই সিজদাবনত হয় ৷
সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলো না ৷
আল্লাহ বললেন, আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন কিসে তোমাকে সিজদ৷ করতে
বারণ করল ? সে বলল, আমি তার অপেক্ষা ণ্শ্রষ্ঠ ৷ আমাকে তুমি সৃষ্টি করেছ আগুন দিয়ে আর
তাকে সৃষ্টি করেছ কাদ৷ ৷মাটি দিয়ে ৷ ( ৭ : ১ ১ ১ ২)
وَتَرَفُّعُهُ عَلَيْهِ مُخَالَفَةَ الْأَمْرِ الْإِلِهِيِّ، وَمُعَانَدَةَ الْحَقِّ فِي النَّصِّ عَلَى آدَمَ عَلَى التَّعْيِينِ، وَشَرَعَ فِي الِاعْتِذَارِ بِمَا لَا يُجْدِي عَنْهُ شَيْئًا، وَكَانَ اعْتِذَارُهُ أَشَدَّ مِنْ ذَنْبِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ سُبْحَانَ: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ قَالَ أَأَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ طِينًا - قَالَ أَرَأَيْتَكَ هَذَا الَّذِي كَرَّمْتَ عَلَيَّ لَئِنْ أَخَّرْتَنِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَأَحْتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهُ إِلَّا قَلِيلًا - قَالَ اذْهَبْ فَمَنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَاؤُكُمْ جَزَاءً مَوْفُورًا - وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِمْ بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكْهُمْ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ وَعِدْهُمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا - إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ وَكَفَى بِرَبِّكَ وَكِيلًا} [الإسراء: 61 - 65]
[الْإِسْرَاءِ: 61 - 65] .
وَقَالَ فِي سُورَةِ الْكَهْفِ: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ} [الكهف: 50] . أَيْ: خَرَجَ عَنْ طَاعَةِ اللَّهِ عَمْدًا وَعِنَادًا وَاسْتِكْبَارًا عَنِ امْتِثَالِ أَمْرِهِ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُ خَانَهُ طَبْعُهُ وَمَادَّتُهُ النَّارِيَّةُ الْخَبِيثَةُ أَحْوَجَ مَا كَانَ إِلَيْهَا. فَإِنَّهُ مَخْلُوقٌ مِنْ نَارٍ، كَمَا قَالَ. وَكَمَا قَدَّمْنَا فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «خُلِقَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ نُورٍ، وَخُلِقَتِ الْجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ، وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ» .
قَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: لَمْ يَكُنْ إِبْلِيسُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ طَرْفَةَ عَيْنٍ قَطُّ. وَقَالَ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ: كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَلَمَّا أَفْسَدُوا فِي الْأَرْضِ بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ جُنْدًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ فَقَتَلُوهُمْ، وَأَجْلَوْهُمْ إِلَى جَزَائِرِ الْبِحَارِ، وَكَانَ إِبْلِيسُ مِمَّنْ أُسِرَ فَأَخَذُوهُ مَعَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ فَكَانَ هُنَاكَ فَلَمَّا أُمِرَتِ الْمَلَائِكَةُ بِالسُّجُودِ امْتَنَعَ إِبْلِيسُ
পৃষ্ঠা - ১৬৯
হাসান বস্রী (র) বলেন, ইবলীস এখানে যুক্তি প্রয়োগের আশ্রয় নিয়েছিল ৷ আর সে-ই
সর্বপ্রথম যুক্তি প্ৰয়োগকারী ৷ মুহাম্মদ ইবন শিরীন (র) বলেন, সর্বপ্রথম যে যুক্তির অবতারণা
করেছিল, যে হলো ইবলীস ৷ আর যুক্তির উপর নির্ভর করেই সুর্য ও চরুন্দ্রর পুজা করা হয়ে
থাকে ৷ ইবনে জারীর (র) এ দুটি রিওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন ৷ এর অর্থ র্দড়োচ্ছে, ইবলীস
নিজেকে তার ও আদমের মাঝে তুলনামুলক দৃষ্টিতে মুল্যায়ন করে আদমের চাইতে নিজেকে
শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করে ৷ ফলে তার এবং সকল ফেরেশতার প্রতি সিজদার আদেশ থাকা সত্বেও সে
সিজদা করা থেকে বিরত থাকে ৷ কিভু এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যুক্তি যখন (ণ্পু)
স্পষ্ট নির্দেশের সাথে সাংঘর্ষিক হয়; তখন তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না ৷ তদুপরি ইবলীসের এ
যুক্তিটিই মুলত ভ্রান্ত ৷ কেননা মাটি আগুন অপেক্ষা বেশি উপকারী ও উত্তম ৷ কারণ মাটির মধ্যে
আছে পান্তীর্য, সহনশীলতা, কোমলতা ও উর্বরতা ৷ পক্ষাম্ভরে আগুনে আছে অস্থিরতা, অধীরতা,
ঝোক প্রবণতা ও দহন প্রবণতা ৷ তাছাড়া আপন কুদরতী হাতে সৃষ্টি করে ও নিজের রুহ থেকে
সঞ্চার করে আল্লাহ্ তাআলা আদম (আ)-কে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন ৷ আর এ কারণেই
তাকে সিজদা করার জন্য আলুাহ্ ফেরেশতাগণকে আদেশ করেছিলেন ৷ যেমন, এক স্থানে
আল্লাহ্ তাঅ ৷ল বলেন :
(
ঠো
১
,ব্লু
এ্লোঃ
অর্থাৎ-স্মরণ কর, তোমার প্ৰতিপালক যখন বললেন, আমি ছাচে ঢালা শুকনো ঠনঠনে
মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করছি, যখন আমি তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার রুহ্ সঞ্চার
করব; তখন তোমরা তার প্ৰতি সিজদারনত হয়ো ৷ তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা
করল, যে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার করল ৷ আল্লাহ্ বললেন, হে ইবলীস ! তোমার
কি হলো যে, তুমি সিজদাকারীদের অত্তর্তুক্ত হলে না ?
ইবলীস বলল, আপনি হীচে-ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি হতে যে মানুষ সৃষ্টি করেছেন; তাকে
আমি সিজদা করবা র ৷নই ৷ আল্লাহ বললেন, তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও ৷ কা ৷রণ তুমি
বিতাড়িত এবং কর্মফল দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি রইল অভিশাপ ৷ ( ১ ৫ ২৮ ৩৫ )
আল্লাহ্ তা আলার শুকনো থেকে ইবলীসের এ পরিণতিব করণ এই ছিল যে, একদিকে
আদম (আ) কে তৃচ্ছ করায় এবং নিজেকে আদমের চাইতে মর্যাদাবান জ্ঞান করার যে আদম
(আ)-এর ব্যাপারে আল্লাহ্র সুনির্দিষ্ট আদেশের বিরোধিতা এবং সত্যদ্রোহিতার অপরাধে
مِنْهُ. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَآخَرُونَ: كَانَ إِبْلِيسُ رَئِيسَ الْمَلَائِكَةِ بِالسَّمَاءِ الدُّنْيَا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكَانَ اسْمُهُ عَزَازِيلَ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ: الْحَارِثُ. قَالَ النَّقَّاشُ: وَكُنْيَتُهُ أَبُو كُرْدُوسَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكَانَ مِنْ حَيٍّ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُقَالُ لَهُمْ: الْحِنُّ، وَكَانُوا خُزَّانَ الْجِنَانِ، وَكَانَ مِنْ أَشْرَفِهِمْ، وَأَكْثَرِهِمْ عِلْمًا وَعِبَادَةً، وَكَانَ مِنْ أُولِى الْأَجْنِحَةِ الْأَرْبَعَةِ، فَمَسَخَهُ اللَّهُ شَيْطَانًا رَجِيمًا. وَقَالَ فِي سُورَةِ ص: {إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ طِينٍ - فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ - فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ - إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ - قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنْتَ مِنَ الْعَالِينَ - قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ - قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ - وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ - قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ - قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ - إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ - قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ - إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ - قَالَ فَالْحَقُّ وَالْحَقَّ أَقُولُ - لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنْكَ وَمِمَّنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ} [ص: 71 - 85]
[ص: 71 - 85] . وَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {قَالَ فَبِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ ثُمَّ لَآتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ} [الأعراف: 16]
[الْأَعْرَافِ: 16 - 17] . أَيْ: بِسَبَبِ إِغْوَائِكَ إِيَّايَ لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ، وَلِآتِيَنَّهُمْ مِنْ كُلِّ جِهَةٍ مِنْهُمْ. فَالسَّعِيدُ مَنْ خَالَفَهُ، وَالشَّقِيُّ مَنِ اتَّبَعَهُ.
كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ هُوَ
পৃষ্ঠা - ১৭০
অপরাধী হয় ৷ অপরদিকে সে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যে নিম্ফল যুক্তি-তর্কের
অবতারণা করে ৷ বলা বাহুল্য যে, ইবলীস নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার অপচেষ্টা তার মুল
অপরাধের চাইতেও জঘন্যতর ছিল ৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন০ ং
মোঃট্টাও
ওহ্রা১১খু
ন্র্চু:এ
ষ্র্ভুা০
মৈং é
অর্থাৎ-স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর,
তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল ৷ সে বলল আমি কি ভাবে সিজদা করব যাকে
আপনি কাদা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন ?
সে বলেছিল, বলুন তো এ যে ব্যক্তি যাকে আপনি আমার উপর উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন?
আপনি যদি কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দেন , তবে অল্প কয়েকজন ব্যতীত তার
বংশধরগণাক আমি আমার কতৃাধীনে নিয়ে আসবে৷ ৷
আল্লাহ্ বললেন, যাও তাদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে, জাহান্নামই তোমাদের
সকলের শান্তি, পুর্ণ শান্তি ৷ তোমার আহ্বানে তুমি তাদের মধ্য থেকে যাকে পার পদন্থালিত কর,
তোমার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী দ্বারা তাদেরকে আক্রমণ কর এবং তাদের বলে ও
সন্তান-সম্ভতিতে শরীক হয়ে যাও ও তাদের প্রতিশ্রুতি দাও ৷ শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি
দেয় তা ছলনা মাত্র ৷ আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই ৷ কর্মবিধায়ক হিসেবে
তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট ৷ (১৭ : ৫১ ৫৪ )
সুরা কাহফে আল্লাহ তা জানা বলেন ং
৷ এ
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতড়াদেরকে বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর,
তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল ৷ সে জিনদের একজন ছিল ৷ফলে সে
ইচ্ছাকৃ৩ তভাবে হঠকা রিতা ও অহংকারবশত আল্পাহ্র আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যায় ৷ ( ১ ৮ ৫ : )
আগুনের সৃষ্ট হওয়ার কারণে তার স্বভাব এবং তার মন্দ উপাদানই তাকে এ অখঃপতনের
মুখে ঠেলে দিয়েছিল ৷ ইবলীস যে আগুনের সৃষ্টি তা তার নিজের বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত ৷
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ سَبْرَةَ بْنِ أَبِي الْفَاكِهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَقْعُدُ لِابْنِ آدَمَ بِأَطْرُقِهِ» . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَمَا قَدَّمْنَاهُ فِي صِفَةِ إِبْلِيسَ.
وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُفَسِّرُونَ فِي الْمَلَائِكَةِ الْمَأْمُورِينَ بِالسُّجُودِ لِآدَمَ، أَهُمْ جَمِيعُ الْمَلَائِكَةِ؟ كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ عُمُومُ الْآيَاتِ، وَهُوَ قَوْلُ الْجُمْهُورِ، أَوِ الْمُرَادُ بِهِمْ مَلَائِكَةُ الْأَرْضِ؟ كَمَا رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، وَفِي السِّيَاقِ نَكَارَةٌ، وَإِنْ كَانَ بَعْضُ الْمُتَأَخِّرِينَ قَدْ رَجَّحَهُ، وَلَكِنَّ الْأَظْهَرَ مِنَ السِّيَاقَاتِ الْأَوَّلُ، وَيَدُلُّ عَلَيْهِ الْحَدِيثُ: «وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ» . وَهَذَا عُمُومٌ أَيْضًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَوْلُهُ تَعَالَى لِإِبْلِيسَ: {فَاهْبِطْ مِنْهَا} [الأعراف: 13] وَاخْرُجْ مِنْهَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِي السَّمَاءِ، فَأُمِرَ بِالْهُبُوطِ مِنْهَا وَالْخُرُوجِ مِنَ الْمَنْزِلَةِ وَالْمَكَانَةِ الَّتِي كَانَ قَدْ نَالَهَا بِعِبَادَتِهِ وَتَشَبُّهِهِ بِالْمَلَائِكَةِ فِي الطَّاعَةِ وَالْعِبَادَةِ، ثُمَّ سَلَبَ ذَلِكَ بِكِبْرِهِ وَحَسَدِهِ وَمُخَالَفَتِهِ لِرَبِّهِ، فَأُهْبِطَ إِلَى الْأَرْضِ مَذْءُومًا مَدْحُورًا، وَأَمَرَ اللَّهُ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يَسْكُنَ هُوَ وَزَوْجَتُهُ الْجَنَّةَ، فَقَالَ: {وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 35] . وَقَالَ فِي الْأَعْرَافِ: {قَالَ اخْرُجْ مِنْهَا مَذْءُومًا مَدْحُورًا لَمَنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنْكُمْ أَجْمَعِينَ وَيَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ فَكُلَا مِنْ حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ} [الأعراف: 18]
[الْأَعْرَافِ: 18 - 19] .
পৃষ্ঠা - ১৭১
তাছাড়া সহীহ মুসলিমে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : “(ফরেশতাগণকে নুর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে আর জিনদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে
বোয়াবিহীন অগ্নিশিখা হতে এবং আদমকে যা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে তা তো তোমাদের কাছে
ৰিবৃত হয়েছে ৷
হাসান বসরী (র) বলেনং ইবলীস এক পলকের জন্যও ফেরেশ৩ ৷গণের অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷
শাহর ইবন হাওশাব (ব) বলেন, ইবলীস জিন দলভুক্ত ছিল ৷ যখন তারা পৃথিবীতে হাঙ্গামা সৃষ্টি
করে, খনত আল্লাহ তা জানা তাদের নিকট একটি ফেরেশ৩ ৷ বাহিনী প্রেরণ করেন ৷
ফোরশতাণ তাদের কতককে হত্যা করেন, কতককে বিভিন্ন দ্বীপে নির্বাসন দেন এবং কতককে
বন্দী করেন ৷ ইবলীস ছিল বন্দীদের একজন ৷ ফেরেশতাগণ তকে ধরে সঙ্গে করে আকাশে
নিয়ে যান এবং সে সেখানেই রয়ে যায় ৷ তারপর যখন ফেরেশতাগণকে সিজদার আদেশ করা
হয় তখন ইবলীস সিজদা থেকে বিরত থাকে ৷
ইবন মাসউদ ও ইবন আব্বাস (রা)-সহ একদল সাহারা এবং সাঈদ ইবন মুসায়াব (রা)
প্রমুখ বলেন, ইবলীস সর্বনিম্ন আকাশের ফেরেশতাগণের নেতা ছিল ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
তার নাম ছিল আযাযীল ৷ হারিস (র) থেকে বর্ণিত এক বর্ণনায় আছে যে, আবু কারদুস নাক্কাশ
(ব) বলেন, ইবন আব্বাস (রা ) বলেছেন০ ং ইবলীস ফেরেশতাগণের একটি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত
ছিল, যাদেরকে জিন বলা হতো ৷ এরা জান্নাতের রক্ষণাবেক্ষণের দ যিত্বে ছিল ৷ ইল্ম ও
ইবাদতে ইবলীস ছিল এদের সকলের সেরা ৷ তখন তার চারটি ডানাও ছিল ৷ পরে তার রুপ
বিকৃতি ঘটিয়ে আল্লাহ্ তাআলা তাকে বিতাড়িত শয়তানে পরিণত করেন ৷
সুরা সাদ এ আল্লাহ্ তাআলা বলেনং :
এোব্রগ্
,?
া
”
ন্ট্রুর্চুৰুভুএে১৷ ;াওদ্বু;০রু এ ট্রণ্ ব্লুঞ্জো ৷ ;০ট্রুএ্ ৷ ণ্ হ্রপু গ্লুএ ৷ এওএা০০৷ ৷ এ ;fi;
অর্থাৎ-স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ফেরেশ৩ ৷দেরকে বলেছিলেন, আমি মানুষ সৃষ্টি
করছি কাদ৷ মাটি থেকে ৷ যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তাতে আমার রুহ সঞ্চার করব,
وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى فَقُلْنَا يَا آدَمُ إِنَّ هَذَا عَدُوٌّ لَكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَى} [طه: 116] . وَهَذَا قَدْ صَرَّحَ بِهِ ابْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَهُوَ ظَاهِرُ هَذِهِ الْآيَاتِ.
وَلَكِنْ حَكَى السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَأَبِي مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ نَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّهُمْ قَالُوا: أُخْرِجَ إِبْلِيسُ مِنَ الْجَنَّةِ، وَأُسْكِنَ آدَمُ الْجَنَّةَ فَكَانَ يَمْشِي فِيهَا وَحْشًا، لَيْسَ لَهُ فِيهَا زَوْجٌ يَسْكُنُ إِلَيْهَا فَنَامَ نَوْمَةً فَاسْتَيْقَظَ وَعِنْدَ رَأْسِهِ امْرَأَةٌ قَاعِدَةٌ خَلَقَهَا اللَّهُ مِنْ ضِلْعِهِ، فَسَأَلَهَا مَنْ أَنْتِ؟ قَالَتْ: امْرَأَةٌ. قَالَ: وَلِمَا خُلِقْتِ؟ . قَالَتْ: لِتَسْكُنَ إِلَيَّ. فَقَالَتْ لَهُ الْمَلَائِكَةُ يَنْظُرُونَ مَا بَلَغَ مِنْ عِلْمِهِ: مَا اسْمُهَا يَا آدَمُ. قَالَ: حَوَّاءُ. قَالُوا: وَلِمَ كَانَتْ حَوَّاءَ؟ قَالَ: لِأَنَّهَا خُلِقَتْ مِنْ شَيْءٍ حَيٍّ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّهَا خُلِقَتْ مِنْ ضِلْعِهِ الْأَقْصَرِ الْأَيْسَرِ وَهُوَ نَائِمٌ، وَلَأَمَ مَكَانَهُ لَحْمًا. وَمِصْدَاقُ هَذَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً} [النساء: 1] . الْآيَةَ، وَفِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ} [الأعراف: 189] .
পৃষ্ঠা - ১৭২
তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হয়ো ৷ তখন ফেরেশতারা সকলেই সিজদাবনত
হলো কেবল ইবলীস ব্যতীত, সে অহংকার করল এবং কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হলো ৷
তিনি বললেন, হে ইবলীস ! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করলাম, তার প্রতি সিজদাবনত
হতে তোমাকে কিসে বাধা দিল ? তুমি কি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করলে, না তুমি উচ্চ মর্যাদাসষ্পন্ন ? সে
বলল, আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷ আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি
করেছেন কাদা মাটি থেকে ৷
তিনি বললেন, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যক্টও ৷ নিশ্চয় তুমি বিতাড়িত এবং তোমার উপর
আমার লানত স্থায়ী হবে কর্মফল দিবস পর্যন্ত ৷
সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ! আপনি আমাকে অবকাশ দিন পুনরুথান দিবস পর্যন্ত ৷
তিনি বললেন, তুমি অবকাশ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হলে--অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন
পর্যন্ত ৷ সে বলল, আপনার ক্ষমতার শপথ ! আমি তাদের সকলকেই পথভ্রষ্ট করব ৷ তবে তাদের
মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বন্দোদেরকে নয় ৷
তিনি বললেন, তবে এটাই সত্য আর আমি সত্যই বলি তোমার দ্বারা ও তোমার
অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নড়াম পুর্ণ করবই ৷ (৩৮ : ৭ ১ ৮৫ )
সুরা আরাফে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
র্টুন্দ্বীন্
সে বলল, আপনি আমাকে উদভ্রান্ত করলেন, এ জন্য আমিও তোমার সরল পথে নিশ্চয় ওৎ
পেতে বসে থাকর ৷ তারপর আমি তাদের নিকট আসরই তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, দক্ষিণ ও বাম
দিক থেকে এবং তুমি তাদের অধিকাৎশকে কৃতজ্ঞরুপে পাবে না ৷ (৭ : ১৬ ১ ৭)
অর্থাৎ তোমার আমাকে উদৃভ্রান্ত করার ফলে আমি ঘাটে ঘাটে তাদের জন্য ওৎ পেতে বসে
থাকর এবং তাদের কাছে তাদের সকল দিক থেকেই আসর ৷ অতএব, তাগ্যবান যে ব্যক্তি যে
তার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর যে তার অনুসরণ করবে সে হলো হতভাগা ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, সুবরা ইবন আবুল ফাকিহ (র) বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি যে, শয়তান আদম (আ)-এর সন্তানদেরকে বিভ্রান্ত করার
জন্য অলিতে-গলিতে ওৎ পেতে বসে থাকে ৷ ইবলীসের পরিচিতিতে আমি এ হাদীসটি উল্লেখ
করেছি ৷
আদম (আ)-ফে সিজদা করার জন্য আদিষ্ট ফেরেশতাগণের ব্যাপারে মুফাসৃসিরগণের
মতভেদ রয়েছে যে, এ অড়াদেশটি সকল ফেরেশতার জন্য নয়, কেবল পৃথিবীর ফেরেশতাগণের
জন্য ছিল? জমহুর আলিমগণের মতে, সকল ফেরেশতার জনােই এ অড়াদেশটি ছিল ৷ যেমন
কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতসমুহের ব্যাপকতড়ার দ্বারা বোঝা যায় ৷ পক্ষান্তরে ইবন আব্বাস (রা )
الْآيَةَ. وَسَنَتَكَلَّمُ عَلَيْهَا فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ زَائِدَةَ، عَنْ مَيْسَرَةَ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلْعٍ، وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلْعِ أَعْلَاهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ، فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا» . لَفْظُ الْبُخَارِيِّ.
وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُفَسِّرُونَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ} [الأعراف: 19] . فَقِيلَ هِيَ الْكَرْمُ. وَرَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالشَّعْبِيِّ، وَجَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، وَمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، وَالسُّدِّيِّ فِي رِوَايَةٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَ: وَتَزْعُمُ يَهُودُ أَنَّهَا الْحِنْطَةُ. وَهَذَا مَرْوِيٌّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَوَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَعَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، وَأَبِي مَالِكٍ، وَمُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى. قَالَ وَهْبٌ: وَالْحَبَّةُ مِنْهُ أَلْيَنُ مِنَ الزَّبَدِ، وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ: {وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ} [الأعراف: 19] . هِيَ النَّخْلَةُ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ: هِيَ التِّينَةُ. وَبِهِ قَالَ قَتَادَةُ، وَابْنُ
পৃষ্ঠা - ১৭৩
থেকে যাহ্হাক (র) এর সুত্রে ইবন জারীর শুধুমা ত্র পৃথিবীর ফেরেশত ৷গণের আদিষ্ট হওয়া র কথা
বর্ণনা করেন ৷ তবে এ সনদে বিচ্ছিন্নত৷ রয়েছে এবং বর্ণনাটিতে অপরিচিতি জনিত দৃর্বলতা
রয়েছে ৷ পরবর্তী যুগের আলিমগণের কেউ কেউ এ দ্বিতীয় অভিমতটি প্রাধান্য দিলেও রর্ণনাভঙ্গি
অনুসারে প্রথমটিই অধিক গ্রহণযোগ্য ৷ এবং তিনি তার ফেরেশতাদেরকে তার সম্মুখে
সিজদাবনত করান’ এ হাদীসটিও এর সপক্ষে প্রমাণ বহন করে ৷ এ হাদীসটি ব্যাপক ৷ আল্লাহ
সবজ্ঞ ৷
র্দুর্দুব্লু ¢, § তৃমি এখান থেকে নেমে য়াও’ এবং !র্চুহু০ ৰুদ্বু;ছু৷ তৃমি এখান থেকে বের
হয়ে য়াও ইবলীসের প্রতি আল্লাহ্ তাআলার এ আদেশ প্রমাণ করে যে, ইবলীস আকাশে ছিল ৷
পরে তাকে সেখান থেকে নেমে যাওয়ার এবং নিজের ইবাদত ও আনুপতে৷ ফেরেশতাগণের
সাদৃশ্য অবলম্বনের ফলে যে পদমর্যাদ৷ সে লাভ করেছিল; তা থেকে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ
দেওয়া হয় ৷ তারপর অহংকার, হিংস৷ ও তার রং এর ৰিরুদ্ধাচরণ করার কারণে তার যে
পদমর্যাদ৷ ৷ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং ধিক্কৃত ও বিতাড়িত অবন্থায়ত তাকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া
হয় ৷ এরপর আল্লাহ্ তা জানা আদম (আ)-কে নিজ শ্রীসহ জান্নাতে বসবাস করার আদেশ
দেন :
ঞা এ১ৰু১
খু এ
অর্থাৎ-এবং আমি বললাম, হে আদম! ভুমি ও তোমার সঙ্গিনী জান্নাতে বসবাস কর এবং
যথা ও যেথা ইচ্ছা আহার কর কিন্তু এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ে৷ না; হলে তোমরা জালিমদের
অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ (২ : ৩৫)
সুরা আরাফে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
খুএ
০গ্রা ৷ঠুঠুওৰুৰু
অর্থাৎ-অ আল্লাহ তা জানা বললেন, এ স্থান থেকে তুমি ধিক্কৃত ও বিতাড়িত অবস্থায় বের
হয়ে যাও ৷ মানুষের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করবে, নিশ্চয় আমি তোমাদের সকলের দ্বারা
জাহান্নাম পুর্ণ করবই ৷
আর হে আদম! ভুমি ও তোমার সঙ্গিনী জান্নাতে বসবাস কর এবং যথা ও যেথা ইচ্ছা
আহার কর; কিন্তু এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়াে না, হলে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷
( ৭
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ২৪
جُرَيْجٍ. وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ: كَانَتْ شَجَرَةً مَنْ أَكَلَ مِنْهَا أَحْدَثَ، وَلَا يَنْبَغِي فِي الْجَنَّةِ حَدَثٌ.
وَهَذَا الْخِلَافُ قَرِيبٌ. وَقَدْ أَبْهَمَ اللَّهُ ذِكْرَهَا وَتَعْيِينَهَا، وَلَوْ كَانَ فِي ذِكْرِهَا مَصْلَحَةٌ تَعُودُ إِلَيْنَا لَعَيَّنَهَا لَنَا، كَمَا فِي غَيْرِهَا مِنَ الْمُحَالِّ الَّتِي تُبْهَمُ فِي الْقُرْآنِ.
وَإِنَّمَا الْخِلَافُ الَّذِي ذَكَرُوهُ فِي أَنَّ هَذِهِ الْجَنَّةَ الَّتِي أُسْكِنَهَا آدَمُ، هَلْ هِيَ فِي السَّمَاءِ أَوْ فِي الْأَرْضِ؟ هُوَ الْخِلَافُ الَّذِي يَنْبَغِي فَصْلُهُ وَالْخُرُوجُ مِنْهُ. وَالْجُمْهُورُ عَلَى أَنَّهَا هِيَ الَّتِي فِي السَّمَاءِ، وَهِيَ جَنَّةُ الْمَأْوَى، لِظَاهِرِ الْآيَاتِ وَالْأَحَادِيثِ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ} [البقرة: 35] . وَالْأَلِفُ وَاللَّامُ لَيْسَتْ لِلْعُمُومِ، وَلَا لِمَعْهُودٍ لَفْظِيٍّ، وَإِنَّمَا تَعُودُ عَلَى مَعْهُودٍ ذِهْنِيٍّ، وَهُوَ الْمُسْتَقِرُّ شَرْعًا مِنْ جَنَّةِ الْمَأْوَى، وَكَقَوْلِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لِآدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: «عَلَامَ أَخْرَجْتَنَا وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ» . الْحَدِيثَ. كَمَا سَيَأْتِي الْكَلَامُ عَلَيْهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ، وَاسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ سَلَمَةَ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبُو مَالِكٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ فَيَقُومُ الْمُؤْمِنُونَ حِينَ تَزْلُفُ لَهُمُ الْجَنَّةُ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الْجَنَّةَ فَيَقُولُ: وَهَلْ أَخْرَجَكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلَّا خَطِيئَةُ أَبِيكُمْ!» . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، وَهَذَا فِيهِ قُوَّةٌ جَيِّدَةٌ ظَاهِرَةٌ فِي الدَّلَالَةِ عَلَى أَنَّهَا جَنَّةُ الْمَأْوَى، وَلَيْسَتْ تَخْلُو عَنْ نَظَرٍ.
পৃষ্ঠা - ১৭৪
অন্যত্র আল্লাহ্ তা আলা বলেনং
(
১৷ ৷ এ্যা;, ;,া
ত্বেশু ছুব্লুপু ১৷ , ৷ঠুঠুব্লু ৷,ৰু©র্দু ১৷ এ; ৷ , ;;,ক্ট্র;© ছু৷ , এে ব্লু,ধ্ও
অর্থাৎ-স্মরণ কর, যখন আমি (ফরেশতাদেরকে বললড়াম, আদমের প্রতি সিজদাবনত হও ;
তখন ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদ৷ করল, যে অমান্য করল ৷৩ তারপর আমি বললাম, হে
আদম ! এ তোমার ও তোমার ত্রীর শত্রু ৷ সুতরাং সে যেন কিছুতে ই ৷ :তামাদেরকে জান্নাত থেকে
বের করে না দেয়, দিলে তোমরা দুঃখ পারে ৷ তোমার জন্য এই রইল যে, তুমি জান্নাতে
ক্ষুধার্ত হবে না এবং নগ্নও হবে না; এবং লেখার পিপাসার্ত হবে না এবং রৌদ্র-ব্লিষ্টেও হবে না ৷
(২০ : ১১৬-১১৯)
এ আয়াতগুলাে প্রমাণ করে যে, হাওয়া (আ) এর সৃষ্টি আদম (আ )-এর জান্নাতে প্রবেশের
আগেই হয়েছিল ৷ কারণ আল্লাহ্ তাআলা বলেন “হে আদম ! ভুমি ও তোমার শ্রী জান্নাতে
বসবাস কর ৷” ইসহাক ইবন বাশৃশার (র) স্পষ্টরুপেই এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷
কিন্তু সুদ্দী আবু সালিহ ও আবু মালিকের সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে এবং মুররা এর
সুত্রে ইবন মাসউদ (রা) ও কতিপয় সাহারা থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা বলেন : আল্লাহ্
তাআলা ইবলীসকে জান্নড়াত থেকে বের করে দেন ৷ আদম (আ) কে জান্নাতে বসবাস করতে
দেন ৷ আদম (আ) তথায় নিঃসঙ্গ এক কী ঘুরে বেড়াতে থাকেন ৷ সেখানে তার শ্রী নেই, যার
কাছে গিয়ে একটু শাস্তি লা ও করা যায় ৷ এক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন ৷ জাগ্রত হয়ে দেখতে
পেলেন যে, তীর শিয়রে একজন নারী উপবিষ্ট রয়েছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা র্তাকে আদম
(আ)এর পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেন ৷ দেখে আদম (আ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি
কে হো তিনি বললেন ? আমি একজন নারী ৷ আদম (আ) বললেন, তোমাকে কেন সৃষ্টি করা
হয়েছেঃ জবাবে তিনি বললেন, যাতে আপনি আমার কাছে শান্তি পান ৷ তখন ফেরেশতাগণ
আদম (আ)-এর জ্ঞানবত্তা যাচাই করার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আদম ! উনার নাম কি
বলুন তো! আদম (আ) বললেন, হাওয়া ৷ আবার তারা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা হাওয়া নাম
হলো কেনা আদম (আ) বললেন, কারণ র্তাকে হাই’ (জীবন্ত সত্তা) থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, হাওয়াকে আদম
(আ)-এর বাম পাজরের সবচাইতে ছোট হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ তখন আদম (আ) ঘুমন্ত
অবস্থায় ছিলেন ৷ পরে সে স্থানটি আবার গোশত দ্বারা পুরণ করে দেওয়া হয় ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্
তাআলা বলেন ং
,;
ঞএিণ্
وَقَالَ آخَرُونَ بَلِ الْجَنَّةُ الَّتِي أُسْكِنَهَا آدَمُ لَمْ تَكُنْ جَنَّةَ الْخُلْدِ ; لِأَنَّهُ كُلِّفَ فِيهَا أَنْ لَا يَأْكُلَ مِنْ تِلْكَ الشَّجَرَةِ، وَلِأَنَّهُ نَامَ فِيهَا وَأَخْرَجَ مِنْهَا، وَدَخَلَ عَلَيْهِ إِبْلِيسُ فِيهَا، وَهَذَا مِمَّا يُنَافِي أَنْ تَكُونَ جَنَّةَ الْمَأْوَى. وَهَذَا الْقَوْلُ مَحْكِيٌّ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَوَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ. وَاخْتَارَهُ ابْنُ قُتَيْبَةَ فِي الْمَعَارِفِ، وَالْقَاضِي مُنْذِرُ بْنُ سَعِيدٍ الْبَلُّوطِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ، وَأُفْرِدَ لَهُ مُصَنَّفًا عَلَى حِدَةٍ، وَحَكَاهُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ الْإِمَامِ وَأَصْحَابِهِ رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَنَقَلَهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الرَّازِيُّ ابْنُ خَطِيبِ الرَّيِّ فِي تَفْسِيرِهِ عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ الْبَلْخِيِّ، وَأَبِي مُسْلِمٍ الْأَصْبَهَانِيِّ. وَنَقَلَهُ الْقُرْطُبِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ عَنِ الْمُعْتَزِلَةِ، وَالْقَدَرِيَّةِ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ نَصُّ التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ. وَمِمَّنْ حَكَى الْخِلَافَ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ فِي " الْمِلَلِ وَالنِّحَلِ " وَأَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَطِيَّةَ فِي تَفْسِيرِهِ، وَأَبُو عِيسَى الرُّمَّانِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ.
وَحَكَى عَنِ الْجُمْهُورِ الْأَوَّلَ، وَأَبُو الْقَاسِمِ الرَّاغِبُ، وَالْقَاضِي الْمَاوَرْدِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ فَقَالَ: وَاخْتُلِفَ فِي الْجَنَّةِ الَّتِي أُسْكِنَاهَا يَعْنِي آدَمَ وَحَوَّاءَ عَلَى قَوْلَيْنِ ; أَحَدُهُمَا: أَنَّهَا جَنَّةُ الْخُلْدِ. الثَّانِي: جَنَّةٌ أَعَدَّهَا اللَّهُ لَهُمَا، وَجَعَلَهَا دَارَ ابْتِلَاءٍ، وَلَيْسَتْ جَنَّةَ الْخُلْدِ الَّتِي جَعَلَهَا دَارَ جَزَاءٍ. وَمَنْ قَالَ: بِهَذَا اخْتَلَفُوا عَلَى قَوْلَيْنِ ; أَحَدُهُمَا: أَنَّهَا فِي السَّمَاءِ، لِأَنَّهُ أَهْبَطَهُمَا مِنْهَا. وَهَذَا قَوْلُ الْحَسَنِ، وَالثَّانِي:
পৃষ্ঠা - ১৭৫
অর্থাৎ-হে মানব জাতি ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তােমাদেরকে এক ব্যক্তি
থেকে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেন এবং তাদের দুজন থেকে বহু
নর-নারী ছড়িয়ে দেন ৷ (৪ : ১)
ন্ ষ্
অর্থাৎ-তিনিই তােমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার সঙ্গিনী
সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার নিকট শাস্তি পায় ৷ তারপর যখন সে তার সঙ্গে সংপত হয় তখন সে
এক লঘু পর্ভধারণ করে এবং তা নিয়ে সে অনায়াসে চলাফেরা করে ৷ ( ৭ : ১৮৯)
এ বিষয়ে ইনশাআল্লাহ্ পরে আরো আলোচনা করব ৷
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : “মহিলাদের ব্যাপারে তোমরা আমার সদুপদেশ গ্রহণ কর ৷ কেননা, নারীদেরকে
পজেরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ আর পাজরের উপরের অংশর্টুকুই সর্বাধিক বীকা ৷ যদি
তুমি তা সোজা করতে যাও তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে এবং আপন অবস্থায় ছেড়ে দিলে তা বীকাই
থেকে যাবে ৷ অতএব, মহিলাদের ব্যাপারে তোমরা আমার সদৃপদেশ গ্রহণ কর ৷ পাঠটি ইমাম
বুখারী (র ) এর ৷
’:;,’’§$ ৷ ১১ই১ !র্মুর্মুহ্ব;র্দু ’¥§ এ আঘাতের ব্যাখ্যার মুফাসসিরগণের মতভেদ রয়েছে ৷
কেউ বলেন, গড়াছটিছিল আঙুরের ৷ ইবন আব্বাস (রা), সাঈদ ইবন জুবড়ায়র , শাবী , জাদা ইবন
হুরায়রা, মুহাম্মদ ইবন কায়স ও সুদ্দী (র) থেকে এরুপ বর্ণিত আছে ৷ ইবন আব্বাস, ইবন
মাসউদ (বা) এবং আরো কতিপয় সাহারা থেকে এক বংনািয় আছে যে, ইহুদীদের ধারণা হলো
গাছটি ছিল গমের ৷ ইবন আব্বাস (বা) , হাসান বসরী (র) , ওহাব ইবন মুনাব্বিহ, অতিয়্যা
আওফী, আবু মালিক, মুহারি ইবন দিছার ও আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা থেকেও এ কথা
বর্ণিত আছে ৷ ওহাব (র) বলেন, তার দানাগুলো ছিল মাখন অপেক্ষা নরম আর মধু অপেক্ষা
ৰু মিষ্ট ৷ ছাওরী আবু হাসীন ও আবু মালিক (র) সুত্রে বলেন : ৰুা ;;;$ এ আয়াতে যে
বৃক্ষের কথা বলা হয়েছে তাহলাে , খেজুর গাছ ৷ ইবন জুরায়জ মুজার্হিদ (র) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তাহলাে ডুমুর গাছ ৷ কাতাদা এবং ইবন জুরায়জও এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ আবুল
আলিয়া বলেন, তা এমন একটি গাছ ছিল যে, তার ফল থেলেই পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যেতে ৷ কিন্তু
জান্নড়াতে পবিত্রতা নষ্ট হওয়া অনুচিত ৷
তবে এ মতভেদগুলাে পরস্পর কাছাকাছি ৷ কিন্তু লক্ষণীয় হলো এই যে, আল্লাহ তাআলা
নির্দিষ্ট করে এর নাম উল্লেখ করেননি ৷ যদি এর উল্লেখ করার মধ্যে আমাদের কোন উপকার
নিহিত থাকত; তাহলে আল্লাহ্ তাআলা অবশ্যই নির্দিষ্ট করে তার উল্লেখ করে দিতেন ৷ পবিত্র
কুরআনের আরো বহু ক্ষেত্রে এরুপ অস্পষ্ট রাখার নজীর রয়েছে ৷
তবে আদম (আ) যে জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন, তার অবস্থান আসমানে না যমীনে; এ
ব্যাপারে যে মতভেদ রয়েছে, তা বিস্তারিত আলোচনা ও নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ৷ জমহুর
أَنَّهَا فِي الْأَرْضِ، لِأَنَّهُ امْتَحَنَهُمَا فِيهَا بِالنَّهْيِ عَنِ الشَّجَرَةِ الَّتِي نَهَيَا عَنْهَا دُونَ غَيْرِهَا مِنَ الثِّمَارِ. وَهَكَذَا قَوْلُ ابْنِ جُبَيْرٍ، وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ أَنْ أَمَرَ إِبْلِيسَ بِالسُّجُودِ لِآدَمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ مِنْ ذَلِكَ، هَذَا كَلَامُهُ.
فَقَدْ تَضَمَّنَ كَلَامُهُ حِكَايَةَ أَقْوَالٍ ثَلَاثَةٍ، وَأَشْعَرَ كَلَامُهُ أَنَّهُ مُتَوَقِّفٌ فِي الْمَسْأَلَةِ، وَلِهَذَا حَكَى أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ أَرْبَعَةَ أَقْوَالٍ، هَذِهِ الثَّلَاثَةُ الَّتِي أَوْرَدَهَا الْمَاوَرْدِيُّ وَرَابِعُهَا: الْوَقْفُ. وَرَجَّحَ الْقَوْلَ الْأَوَّلَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَحَكَى الْقَوْلَ بِأَنَّهَا فِي السَّمَاءِ وَلَيْسَتْ جَنَّةَ الْمَأْوَى عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْجُبَّائِيِّ.
وَقَدْ أَوْرَدَ أَصْحَابُ الْقَوْلِ الثَّانِي سُؤَالًا يَحْتَاجُ مِثْلُهُ إِلَى جَوَابٍ فَقَالُوا: لَا شَكَّ أَنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى طَرَدَ إِبْلِيسَ حِينَ امْتَنَعَ مِنَ السُّجُودِ عَنِ الْحَضْرَةِ الْإِلَهِيَّةِ، وَأَمَرَهُ بِالْخُرُوجِ عَنْهَا وَالْهُبُوطِ مِنْهَا، وَهَذَا الْأَمْرُ لَيْسَ مِنَ الْأَوَامِرِ الشَّرْعِيَّةِ بِحَيْثُ يُمْكِنُ مُخَالَفَتُهُ، وَإِنَّمَا هُوَ أَمْرٌ قَدَرِيٌّ لَا يُخَالَفُ وَلَا يُمَانَعُ، وَلِهَذَا قَالَ: {اخْرُجْ مِنْهَا مَذْءُومًا مَدْحُورًا} [الأعراف: 18] . وَقَالَ: {اهْبِطْ مِنْهَا فَمَا يَكُونُ لَكَ أَنْ تَتَكَبَّرَ فِيهَا} [الأعراف: 13] . وَقَالَ: {اخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ} [الحجر: 34] . وَالضَّمِيرُ عَائِدٌ إِلَى الْجَنَّةِ أَوِ السَّمَاءِ أَوِ الْمَنْزِلَةِ، وَأَيًّا مَا كَانَ، فَمَعْلُومٌ أَنَّهُ لَيْسَ لَهُ الْكَوْنُ بَعْدَ هَذَا فِي الْمَكَانِ الَّذِي طُرِدَ عَنْهُ، وَأَبْعَدُ مِنْهُ لَا عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِقْرَارِ، وَلَا عَلَى سَبِيلِ الْمُرُورِ وَالِاجْتِيَازِ. قَالُوا: وَمَعْلُومٌ مِنْ ظَاهِرِ سِيَاقَاتِ الْقُرْآنِ أَنَّهُ وَسْوَسَ
পৃষ্ঠা - ১৭৬
উলামা র মতে তা হচ্ছে আসমানে অবিন্থত জ ৷ন্নাতু ল মাওয়া ৷ কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং
বিভিন্ন হাদীসে৷ যা র ইঙ্গিত রয়েছে ৷ যেমন এক আয়াতে অ ৷ল্লাহ্ তা আলা বলেনং :
— ৷ ৷ৰুএে,
অর্থাৎ আমি বললাম, হে আদম ভুমি এবং তোমার সঙ্গিনী জ ৷ন্নাতে বসবাস কর ৷
এ আয়াতে ধ্;৷ ৷ এর আলিফ-লাম ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি বরং তদ্দার৷ সুনির্দিষ্ট
একটি জান্নাতকে বুঝানো হয়েছে ৷ তাহলো জান্নাতৃল মাওয়া ৷ আবার যেমন মুসা (আ) আদম
(আ)-কে বলেছিলেন : কেন আপনি আমাদেরকে এবং নিজেকে জান্নাত থেকে বের করলেন?
এটি একটি হাদীসের অংশ, এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে ৷
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, আবু হুরায়রা (বা) ও হুযায়ফ৷ (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন : “আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সমবেত করবেন ৷ ফলে মুযিনগণ এমন
সময়ে উঠে দীড়াবে, যখন জান্নাত তাদের নিকটে এসে যাবে ৷ তারা আদম (আ )-এর কাছে
এসে বলবেন, হে আমাদের পিতা আমাদের জন্য আপনি জ ৷ন্নাত খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন!
তখন তিনি বলবেন, তোমাদের পিতার অপরাধই তো তােমাদেরকে জ ন্নাত থেকে বের করে
দিয়েছিল! এ হাদীসাংশ শক্তভাবে প্রমাণ করে যে, আদম (আ) যে জান্নাতে বসবাস
করেছিলেন, তা হলো জান্নাতৃল মাওয়৷ ৷ কিন্তু এ যুক্তিটিও বিতর্কের উহ্রর্ধ্ব নয় ৷
অন্যরা বলেন, আল্লাহ তাআলা আদম (আ) কে যে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছিলেন,
তা জান্নাতুল খুলদ তথা অনন্ত জান্নাত ছিল না ৷ কারণ নির্দিষ্ট একটি গাছের ফল থেতে নিষেধ
করে সেখানেও তার উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ৷ তিনি সেখানে নিদ্রাও যান,
সেখান থেকে তাকে বহিষ্ক৷ ৷রও করা হয় এবং ইবলীসও সেখানে তার নিকটে উপস্থিত হয় ৷ এ
সব কটি বিষয়ই তা যে জান্নাতৃল মাওয়৷ ছিল না তাই নির্দেশ করে ৷ এ অভিমতটি উব৷ ই ইবন
কার, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) , ওহাব ইবন মুনাব্বিহ ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ (বা)
থেকে বর্ণিত ৷ ইবন কুতায়ব৷ তার আ মাআরিফ’ গ্রন্থে এবং কাযী মুনৃযির ইবন সাঈদ
আল-বালুতী তার তাফসীরে এ অভিমত টির সমর্থন করেছেন ৷ তিনি এ ব্যাপারে একটি স্বতন্ত্র
পুস্তকও রচনা করেছেন ৷ ইমাম আবু হানীফা (র) এবং তার বিশিষ্ট শিষ্যবৃন্দ থেকেও এরুপ
অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷ আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন উমর আর-রাযী ইবন খতীব আর-রাই
(র) তার তাফসীর গ্রন্থে আবুল কাসিম আল-বলখী ও আবু মুসলিম ইস্পাহানী (র) থেকে এবং
কুরতৃবী ভী ৷র তাফসীরে মুতাযিল৷ ও কাদরিয়্যা থেকে এ অভিমতটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ আহলে
কিতাদের হ্বাস্থিত তাওরাতের পাঠেও এর স্পষ্ট উল্লেখ পা ৷ওয়া যায় ৷ আবু মুহাম্মদ ইবন হায়ম
আল-মিল৷ ৷ল ও আননিহল’ গ্রন্থে এবং আবু মুহাম্মদ ইবন আতিয়্যা ও আবু ঈসা রুম্মানী আপন
আপন তাফসীরে এ বিষয়টির মতভেদের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
জমহুর উলামার বর্ণনায় প্রথম অভিমভের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ কাযী মাওয়ারদী (র ) তার
তাফসীরে বলেন, আদম (আ) ও হাওয়া (আ) যে জান্নাতে বসবাস করেন, তার ব্যাপারে দু’টি
অভিমত রয়েছে ৷ প্রথমত, তা জান্নাতৃল খুল্দ ৷ দ্বিতীয় অভিমত হলো, তা স্বতন্ত্র এক জান্নাত যা
لِآدَمَ وَخَاطَبَهُ بِقَوْلِهِ لَهُ: {هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَا يَبْلَى} [طه: 120] . وَبِقَوْلِهِ: {مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ وَقَاسَمَهُمَا إِنِّي لَكُمَا لَمِنَ النَّاصِحِينَ فَدَلَّاهُمَا بِغُرُورٍ} [الأعراف: 20]
[الْأَعْرَافِ: 20 21] . الْآيَةَ، وَهَذَا ظَاهِرٌ فِي اجْتِمَاعِهِ مَعَهُمَا فِي جَنَّتِهِمَا، وَقَدْ أُجِيبُوا عَنْ هَذَا بِأَنَّهُ لَا يَمْتَنِعُ أَنْ يَجْتَمِعَ بِهِمَا فِي الْجَنَّةِ عَلَى سَبِيلِ الْمُرُورِ فِيهَا لَا عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِقْرَارِ بِهَا، أَوْ أَنَّهُ وَسْوَسَ لَهُمَا وَهُوَ عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ، أَوْ مِنْ تَحْتِ السَّمَاءِ. وَفِي الثَّلَاثَةِ نَظَرٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَمِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَصْحَابُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ مَا رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ فِي الزِّيَادَاتِ عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عُتَيٍّ هُوَ ابْنُ ضَمْرَةَ السَّعْدِيُّ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: إِنَّ آدَمَ لَمَّا احْتُضِرَ اشْتَهَى قِطْفًا مِنْ عِنَبِ الْجَنَّةِ، فَانْطَلَقَ بَنُوهُ لِيَطْلُبُوهُ لَهُ، فَلَقِيَتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ فَقَالُوا: أَيْنَ تُرِيدُونَ يَا بَنِي آدَمَ؟ فَقَالُوا: إِنَّ أَبَانَا اشْتَهَى قِطْفًا مِنْ عِنَبِ الْجَنَّةِ. فَقَالُوا لَهُمْ: ارْجِعُوا فَقَدْ كُفِيتُمُوهُ فَانْتَهَوْا إِلَيْهِ فَقَبَضُوا رُوحَهُ، وَغَسَّلُوهُ، وَحَنَّطُوهُ، وَكَفَّنُوهُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ جِبْرِيلُ وَبَنُوهُ خَلْفَ الْمَلَائِكَةِ، وَدَفَنُوهُ. وَقَالُوا: هَذِهِ سُنَّتُكُمْ فِي مَوْتَاكُمْ. وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِسَنَدِهِ، وَتَمَامُ لَفْظِهِ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاةِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالُوا: فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ الْوُصُولُ إِلَى الْجَنَّةِ الَّتِي كَانَ فِيهَا آدَمُ الَّتِي اشْتَهَى مِنْهَا الْقِطْفُ مُمْكِنًا لَمَا ذَهَبُوا يَطْلُبُونَ ذَلِكَ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهَا فِي الْأَرْضِ لَا فِي السَّمَاءِ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
قَالُوا: وَالِاحْتِجَاجُ بِأَنَّ الْأَلِفَ وَاللَّامَ فِي قَوْلِهِ: {وَيَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ} [الأعراف: 19] .
পৃষ্ঠা - ১৭৭
আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য পরীক্ষা স্থল হিসাবে তৈরি করেন ৷ এটা যে জান্নাতুল খুলদ নয়,
যা আল্লাহ তাআলা পুরস্কারের স্থান হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন ৷
এ দ্বিতীয় অভিমতের সমর্থকদের মধ্যে আবার মতভেদ রয়েছে ৷ একদল বলেন, তার
অবস্থান আসমানে ৷ কারণ, আল্লাহ্ তাআল৷ আদম (আ) ও হাওয়া (আ)-কে জান্নাত থেকে
নামিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এটা হাসানের অভিমত ৷ অপর দল বলেন, তার অবস্থান ছিল পৃথিবীতে ৷
কেননা, আল্লাহ তাআলা সে জান্নাতে বহু ফলফলাদির মাঝে বিশেষ একটি গাছ সম্পর্কে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলেন ৷ ইবন য়াহ্য়া-এর অভিমতও অনুরুপ ৷
উল্লেখ্য যে, এ ঘটনাটি ঘটেছিল ইবলীসকে আদম (আ)এর প্রতি সিজদাবনত হওয়ার আদেশ
দেওয়ার পর ৷ তবে এসব অভিমতের কোনটা সঠিক তা মহান আল্লাহ্ই ভালো জানেন ৷
এ হলো কাযী মাওয়ারদির বক্তব্য ৷ এতে তিনি তিনটি অভিমত উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার এ
বক্তব্য থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, মাসআলড়াটিতে তিনি নিজের কোন সিদ্ধান্ত প্রদান থেকে
বিরত রয়েছেন ৷ আবু আবদুল্লাহ রাযী (র)৩ তার তাফসীরে এ যা ন আল৷ সম্পর্কে চারটি অভিমত
বর্ণনা করেছেন ৷ কাযী মাওয়ারদির উপস্থাপিত তিনটি আর চতুর্থটি হলো এ ব্যাপারে কোন
সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকা ৷ তাছাড়া তিনি আবু আলী জুবায়ী (র) থেকে এ অভিমত বর্ণনা
করেন যে, আদম (আ) যে জান্নাতে বসবাস করেন, তার অবস্থান আসমানে ৷ তবে তা
জান্নাতৃল মাওয়৷ নয় ৷
দ্বিতীয় অভিমতে র সমর্থকগণ একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, যার জবাব দেওয়া আবশ্যক ৷
৩ারা বলেন, এটা নিঃসন্দেহ যে, সিজদা করা থেকে বিরত থাকার দরুন আল্লাহ তা আলা
ইবলীসকে আপন সান্নিধ্য থেকে বিতাড়িত করে দেন এবং তাকে সেখান থেকে বের হয়ে
যাওয়ার ও নেমে যাওয়ার আদেশ প্রদান করেন ৷ আর এ আদেশটি কো ন শরয়ী আদেশ ছিল না
যে, তার ৰিরুদ্ধাচরণের অবকাশ থাকবে বরং তা ছিল এমন অখণ্ডনীয় তকদীর সং ক্রান্ত নির্দেশ
যার বিরুদ্ধাচরণ বা প্রতিরোধের কোন অবকাশই থাকে না ৷
তাই আল্লাহ্তাআলা বলেন০ ংাঠুদ্বুৰু>“াদ্বু ৷র্চু£টুকু;া ৷ষ্০ ৰুষ্ট্রছু! অর্থাৎ-এখান থেকে
তুমি ধিক্কৃত ও বিতাড়িত অবস্থায় বের হয়ে যাও ৷ (৭ ১৮) গুটুই র্বৃ এোর্দ্র; ৷০া১এে
@
াগ্লু ১ হ্র ;গ্লু, এ৷ অর্থাৎ-এ স্থান থেকে ভুমি নেমে যাও, এখানে থেকে তুমি অহংকার
করবে, এ হতে পারে না ৷ (৭ : ১৩) অর্থাৎ-তুমি এখান
থেকে বের হয়ে যাও, কারণ তুমি অভিশপ্ত ৷ (১৫ ৩৪ )
এ আয়াতণ্ডাল্যাত গ্লু০ এর সর্বনামটি দ্বারা য়ু;১ ! (জান্নাত) কিৎবা ; £৷ ৷ (আসমান)
অথবা ড়ুাড্রু৷ ! (আবাস স্থল) বুঝানো হয়েছে ৷ তা যাই হোক, এটা জানা কথা যে,
ইবলীসকে যে স্থান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, সেখানে সামান্যতম সময়ের জন্যেও তার
অবস্থান থাকার কথা নয়--ন্থায়িভাবে বসবাস রুপেই হোক, আর কেবল পথ অতিক্রম রুপেই
হোক ৷ র্তার৷ বলেন যে, কুরআনের বাহ্যিক বর্ণনাতঙ্গী থেকে এটাও প্রমাণিত যে, ইবলীস আদম
(আ) কে এই বলে কুমন্ত্রণ৷ দিয়েছিল যে :
لَمْ يَتَقَدَّمْ عَهْدٌ يُعُودُ عَلَيْهِ، فَهُوَ الْمَعْهُودُ الذِّهْنِيُّ مُسَلَّمٌ، وَلَكِنْ هُوَ مَا دَلَّ عَلَيْهِ سِيَاقُ الْكَلَامِ فَإِنَّ آدَمَ خُلِقَ مِنَ الْأَرْضِ، وَلَمْ يُنْقَلْ أَنَّهُ رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ. وَخُلِقَ لِيَكُونَ فِي الْأَرْضِ، وَبِهَذَا أَعْلَمَ الرَّبُّ الْمَلَائِكَةَ حَيْثُ قَالَ: {إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً} [البقرة: 30] .
قَالُوا: وَهَذَا كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّا بَلَوْنَاهُمْ كَمَا بَلَوْنَا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ} [القلم: 17] . فَالْأَلِفُ وَاللَّامُ لَيْسَ لِلْعُمُومِ، وَلَمْ يَتَقَدَّمْ مَعْهُودٌ لَفْظِيٌّ، وَإِنَّمَا هِيَ لِلْمَعْهُودِ الذِّهْنِيِّ الَّذِي دَلَّ عَلَيْهِ السِّيَاقُ وَهُوَ الْبُسْتَانُ.
قَالُوا: وَذِكْرُ الْهُبُوطِ لَا يَدُلُّ عَلَى النُّزُولِ مِنَ السَّمَاءِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {قِيلَ يَا نُوحُ اهْبِطْ بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِمَّنْ مَعَكَ} [هود: 48] . الْآيَةَ. وَإِنَّمَا كَانَ فِي السَّفِينَةِ حِينَ اسْتَقَرَّ عَلَى الْجُودِيِّ وَنَضَبَ الْمَاءُ عَنْ وَجْهِ الْأَرْضِ، أُمِرَ أَنْ يَهْبِطَ إِلَيْهَا هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مُبَارَكًا عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {اهْبِطُوا مِصْرًا فَإِنَّ لَكُمْ مَا سَأَلْتُمْ} [البقرة: 61] . الْآيَةَ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ} [البقرة: 74] . الْآيَةَ. وَفِي الْأَحَادِيثِ وَاللُّغَةِ مِنْ هَذَا كَثِيرٌ.
قَالُوا: وَلَا مَانِعَ، بَلْ هُوَ الْوَاقِعُ، أَنَّ الْجَنَّةَ الَّتِي أُسْكِنَهَا آدَمُ كَانَتْ مُرْتَفِعَةً عَنْ سَائِرِ بِقَاعِ الْأَرْضِ ذَاتِ أَشْجَارٍ، وَثِمَارٍ، وَظِلَالٍ، وَنَعِيمٍ، وَنَضْرَةٍ، وَسُرُورٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى} [طه: 118] . أَيْ لَا يُذَلُّ بَاطِنُكَ بِالْجُوعِ، وَلَا ظَاهِرُكَ بِالْعُرْيِ: {وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَى} [طه: 119] . أَيْ لَا يَمَسُّ بَاطِنَكَ حَرُّ الظَّمَأِ، وَلَا ظَاهِرَكَ حَرُّ الشَّمْسِ، وَلِهَذَا قَرَنَ بَيْنَ هَذَا وَهَذَا، وَبَيْنَ هَذَا وَهَذَا لِمَا بَيْنَهُمَا مِنَ الْمُقَابَلَةِ. فَلَمَّا كَانَ مِنْهُ مَا كَانَ مِنْ أَكْلِهِ مِنَ الشَّجَرَةِ الَّتِي نُهِيَ عَنْهَا أُهْبِطَ
পৃষ্ঠা - ১৭৮
া
এএএ্ ট্টো
অর্থাৎ-হে আদম ! আমি কি তোমাকে বলে দেব অনন্ত জীবনপ্রদ বৃক্ষের কথা এবং অক্ষয়
রাজ্যের কথা? (২০৪ ১২০)
১
’“ এেকুাপ্লুদ্বুা;ৰুব্রেপ্লু
, ,
র্চু, স্থুব্লুন্ র্দুট্রুণ্পুদ্বু ৷ ;,ব্লু
অর্থাৎ-আর সে বলল, পাছে তোমরা উভয়ে ফেরেশ৩ ৷ হয়ে যাও কিংবা তে ৷মর৷ স্থায়ী হও
এ জন্যই তোমাদের প্রতিপালক এ বৃক্ষ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন ৷ সে তাদের
উভয়ের নিকট শপথ করে বলল, আমি তোমাদের হিতাকাক্তফীদ্দের একজন ৷ এভাবে সে
তাদেরকে প্রবঞ্চনা দ্বারা অধ৪পতিত করল ৷ (৭ : ২০২২)
এ আয়াতগুলো স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, আদম (আ) ও হাওয়ার সঙ্গে তাদের জান্নাতে
ইবলীস-এর সাক্ষাৎ ঘটেছিল ৷ তাদের এ প্রশ্নের জবাবে বলা হস্থ;য়ছে যে, নিয়মিত বসবাসের
ভিত্তিতে না হলেও যাতায়াত ও আনাগােনার সুবাদে জান্নাতে আদম (আ) ও হাওয়া (আ )-এর
সঙ্গে ইবলীস এর একত্রিত হওয়া বিচিত্র নয় ৷ কিৎব৷ এও হতে পারে যে, জান্নাতের দরজায়
দাড়িয়ে বা আকাশের নিচে থেকে ইবলীস তাদেরকে কুমন্ত্রণ৷ দিয়েছিল ৷ তবে তিনটি জবারের
কােনটিই সন্দেহমুক্ত নয় ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷
আদম (আ) যে জান্নাতে বসবাস করেন, তার অবস্থান পৃথিবীতে হওয়ার সপক্ষে যারা
মতপোষণ করেন, তার দলিল নিম্নের হাদীস তা হলো :
উবাই ইবন কাব (বা) সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমদ যিরাদাতে বর্ণনা করেন যে,
উবাই ইবন কাব (বা) বলেছেন, মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তে আদম (আ)-এর জান্নাতের আঙ্গুর খাওয়ার
আকাভক্ষা হলে তার সন্তানরা আঙ্গুরের সন্ধানে বের হন ৷ পথে তাদের সঙ্গে ফেরেশতাগণের
সাক্ষাৎ ঘটে ৷৩ তারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আদমের সন্তানরা! তোমরা যাচ্ছ কােথায়ঃ তারা
বললেন, আমাদের পিতা জান্নাতের এক ছড়া আঙ্গুর খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৷
ফেরেশতাগণ বললেন, “তোমরা ফিরে যাও, তোমরা তার জন্য যথেষ্ট করেছ, আর দরকার
নেই ৷” অপত্যা তারা আদম (আ) এর নিকট ফিরে গেলেন ৷ ফেরেশতাগণ আদম (আ) এর
রুহ্ কবয্ করে গোসল দিয়ে সুগন্ধি মাখিয়ে তাকে কাফন পরান ৷ তারপর অন্যান্য ফেরেশতাকে
নিয়ে জিবরাঈল (আ)ত তার জানাযার নামায আদায় করে তাকে দাফন করেন ৷ এরপর তারা
বলল, এ হলো তোমাদের মৃতদের ব্যাপারে তোমাদের করণীয় সুন্নত ৷ সনদসহ হাদীসটি পরে
আসছে এবং আদম (আ) এর ওফাতের আলোচনায় পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করা হবে ৷
এ হাদীসের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অভিমতে র সমর্থকগণ বলেন৪ আদম (আ) যে জান্নাতে
বসবাস করেছিলেন, তাতে ণ্;পীছানাে যদি সম্ভব না হতো, তাহলে আদম (আ) এর সন্তানরা
তার অনুসন্ধানে বেরইরু হ তন না ৷ অতএব, প্রমাণিত হলো যে, সে জ ৷ন্নাত ছিল পৃথিবীতে-
আসমানে নয় ৷ আ ৷ল্পাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷
তারা আরো বলেন ?, থ্রে ৷ ৷ বলতে
আসমানের জান্নাত বুঝানো হয়নি বরং আদম (আ) আসমানে বক্তব্যের পুর্বাপর দৃষ্টে প্রতীয়মান
৷ , স্
إِلَى أَرْضِ الشَّقَاءِ، وَالتَّعَبِ، وَالنَّصَبِ، وَالْكَدَرِ، وَالسَّعْيِ، وَالنَّكَدِ، وَالِابْتِلَاءِ، وَالِاخْتِبَارِ، وَالِامْتِحَانِ، وَاخْتِلَافِ السُّكَّانِ ; دِينًا، وَأَخْلَاقًا، وَأَعْمَالًا، وَقُصُودًا، وَإِرَادَاتٍ، وَأَقْوَالًا، وَأَفْعَالًا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [البقرة: 36] . وَلَا يَلْزَمُ مِنْ هَذَا أَنَّهُمْ كَانُوا فِي السَّمَاءِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقُلْنَا مِنْ بَعْدِهِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ اسْكُنُوا الْأَرْضَ فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ الْآخِرَةِ جِئْنَا بِكُمْ لَفِيفًا} [الإسراء: 104] . وَمَعْلُومٌ أَنَّهُمْ كَانُوا فِيهَا لَمْ يَكُونُوا فِي السَّمَاءِ.
قَالُوا: وَلَيْسَ هَذَا الْقَوْلُ مُفَرَّعًا عَلَى قَوْلِ مَنْ يُنْكِرُ وُجُودَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ الْيَوْمَ، وَلَا تَلَازُمَ بَيْنَهُمَا، فَكُلُّ مَنْ حُكِيَ عَنْهُ هَذَا الْقَوْلُ مِنَ السَّلَفِ، وَأَكْثَرِ الْخَلَفِ مِمَّنْ يُثْبِتُ وُجُودَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ الْيَوْمَ، كَمَا دَلَّتْ عَلَيْهِ الْآيَاتُ، وَالْأَحَادِيثُ الصِّحَاحُ، كَمَا سَيَأْتِي إِيرَادُهَا فِي مَوْضِعِهَا، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَأَزَلَّهُمَا الشَّيْطَانُ عَنْهَا} [البقرة: 36] . أَيْ: عَنِ الْجَنَّةِ: {فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ} [البقرة: 36] . أَيْ: مِنَ النَّعِيمِ وَالنَّضْرَةِ وَالسُّرُورِ إِلَى دَارِ التَّعَبِ وَالْكَدِّ وَالنَّكَدِ، وَذَلِكَ بِمَا وَسْوَسَ لَهُمَا وَزَيَّنَهُ فِي صُدُورِهِمَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُورِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْآتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ} [الأعراف: 20] . يَقُولُ: مَا نَهَاكُمَا عَنْ أَكْلِ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنَّ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ. أَيْ: وَلَوْ أَكَلْتُمَا مِنْهَا لَصِرْتُمَا كَذَلِكَ: {وَقَاسَمَهُمَا} [الأعراف: 21] . أَيْ: حَلَفَ لَهُمَا عَلَى ذَلِكَ: {إِنِّي لَكُمَا لَمِنَ النَّاصِحِينَ} [الأعراف: 21] .
পৃষ্ঠা - ১৭৯
হয় যে, তা ছিল দৃনিয়াতে অবস্থিত ৷ কেননা, আদম (আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৷
আর কোথাও এ কথার উল্লেখ পাওয়া যায় না যে, র্তীকে আসমানে তুলে নেয়া হয়েছিল ৷
তাছাড়া র্তাকে সৃষ্টিই করা হয়েছে পৃথিবীতে থাকার জন্য ৷
আর আল্লাহ্ তাআলা ফেরেশতাগণকে এ বলে তা জানিয়েও দিয়েছিলে যে,
ধ্হ্ন এ্; এহ্র০ ^,১া৷ফ্লে দ্বুহুা;৷ধু ^ ণ্ডু ১৷ অর্থাৎ “পৃথিবীতে আমি প্রতিনিধি বানাচ্ছি ৷ এর
সমর্থ্যন র্তা ৷রা আ ৷রেকটি ফ্লেনজীর হিসাবে নিম্নে৷ ৷ক্ত আয়া৩ টি পেশ করেন ৷
ধ্১া৷ :ঠুণুছুহু০৷ £১দ্বুপু পু (;< ৰু০ব্রুচুদ্বুাট্রু শ্রা
অর্থাৎ আমি তাদেরকে পরীক্ষ৷ করেছি যেভাবে পরীক্ষা করেছিলাম উদ্যান
ওয়ালাদেরকে ৷’ (৬৮০ : ১৭) এ আয়াতেও ণ্া১৷ ৷ বলতে সকল উদ্যানকে বুঝানো হয়নি বরং
তা এক বিশেষ উদ্যান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷
তারা আরো বলেন, অবতরণ করার উল্লেখ আদম (আ) এর আসমান থেকে নেমে আমার
প্রমাণ বহন করে না ৷ যেমন আল্লাহ তাআ ৷লা বলেন :
, ,
অর্থাত্ “বলা হলো, হে নুহ! তুমি নেমে এসো আমার প্রদত্ত শান্তিসহ এবং তোমার প্ৰতি
ও যে সমস্ত সম্প্রদায় তোমার সাথে আছে তাদের প্ৰতি কল্যাণসহ ৷” ( ১ ১ : ১৮)
এখানে লক্ষণীয় যে, যখন ভুপৃষ্ঠ থেকে পানি শুকিয়ে যায় এবং নৌকাটি জুদী পর্বতে গিয়ে
স্থির হয়, তখন নুহ (আ) ও তার অনুসারীদেরকে সেখান থেকে নেমে আমার আদেশ করা হয় ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা আলা বলেন০ : ন্দ্বুএাপুট্রুা ণ্<গ্লু, ও ৷দ্বু^;০ ৷স্পো ৷
অর্থাৎ তোমরা নগরে অবতরণ কর, তোমরা যা চাও তা সেখানে আছে ৷ (২০ ৬১)
আরেক আয়াতে আল্লাহ্ তা জানা বলেন০ : ৷ ,
অর্থাত্ কতক পাথর এমনও আছে যা আল্লাহর ভয়ে ধসে পড়ে ৷ (২০০ ৭৪) হাদীস ও
অভিধানে এর অসংখ্য নজীর রয়েছে ৷
তারা আরো বলেন : এতে অসুবিধার কিছু নেই বরং এটাই বাস্তব যে, আল্লাহ তাআলা
আদম (আ) কে যে জান্নাতে থাকতে দিয়েছিলেন, তা ছিল সমগ্র ভুখণ্ড থেকে উচু বৃক্ষরাজি,
ফল-ফলা ৷দি, ছায়া, ভোগ-সামগ্রী ও সুখ সমৃদ্ধ একটি মনােরম উদ্যান ৷ যেমন আল্লাহ্ তা জানা
বলেন০ : ৷র্মু;ার্চুক্ট্র
অর্থাৎ সেখানে তোমার অভ্যন্তর ক্ষুধার জ্ব ৷লায় এবং বহির্দেহ রৌদ্রের দাহনে ক্লিষ্ট হবে
না ৷ (২০০ : ১১৮) ¢;;;;: ১াদ্বু এে১ ৷হ্রহ্ন হুর্দু র্বু৷ @; ৷ ,
অর্থাত্ তথায় তোমার ভেতরাৎশ পিপাসার উষ্ণতা এবং বহিরাৎশ সুর্যের তাপ স্পর্শ করবে
না ৷ (২০ : ১১৯)
পরস্পর সাযুজ্য থাকা র কা বণে আল্লাহ্ তাআলা ৷এ দৃআয়াতে ক্ষুধা ও বিবস্ত্রতাকে একসাথে
এবং পিপাসার উষ্ণতা ও সুর্যের দাহনকে একসাথে উল্লেখ করেছেন ৷
كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَاآدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَا يَبْلَى} [طه: 120] . أَيْ: هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى الشَّجَرَةِ الَّتِي إِذَا أَكَلْتَ مِنْهَا حَصَلَ لَكَ الْخُلْدُ فِيمَا أَنْتَ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ، وَاسْتَمْرَرْتَ فِي مُلْكٍ لَا يَبِيدُ وَلَا يَنْقَضِي؟ وَهَذَا مِنَ التَّغْرِيرِ وَالتَّزْوِيرِ وَالْإِخْبَارِ بِخِلَافِ الْوَاقِعِ وَالْمَقْصُودُ أَنَّ قَوْلَهُ: {شَجَرَةِ الْخُلْدِ} [طه: 120] . الَّتِي إِذَا أَكَلْتَ مِنْهَا خَلَّدْتَ.
وَقَدْ تَكُونُ هِيَ الشَّجَرَةُ الَّتِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الضَّحَّاكِ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لَا يَقْطَعُهَا ; شَجَرَةُ الْخُلْدِ» . وَكَذَا رَوَاهُ أَيْضًا عَنْ غُنْدَرٍ، وَحَجَّاجٍ، عَنْ شُعْبَةَ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي مُسْنَدِهِ، عَنْ شُعْبَةَ أَيْضًا بِهِ.
قَالَ غُنْدَرٌ: قُلْتُ لِشُعْبَةَ: هِيَ شَجَرَةُ الْخُلْدِ. قَالَ: لَيْسَ فِيهَا هِيَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ.
وَقَوْلُهُ: {فَدَلَّاهُمَا بِغُرُورٍ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ} [الأعراف: 22] . كَمَا قَالَ فِي طه: {فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ} [طه: 121] . وَكَانَتْ حَوَّاءُ أَكَلَتْ مِنَ الشَّجَرَةِ قَبِلَ آدَمَ، وَهِيَ الَّتِي حَدَتْهُ عَلَى أَكْلِهَا،
পৃষ্ঠা - ১৮০
তারপর নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করে ফেললে আল্লাহ তদুআলদু আদম (আ) কে
,দুংখ-কষ্ট, পং কিল৩ দু, শ্রম সাধনা, ৰিপদদুপদ; পরীক্ষা, অধিবাসীদের দীন ধর্ম, স্বভ ব চরিত্র
কার্যকলাপ, কদুমনা-বদুসনা ও উচ্চ দুরণ আচছুণগত ৩বৈপরিত্যপুর্ণ পৃথিবীপুষ্ঠে নামিয়ে দেন ৷ যেমন
আল্লশৃহ্ তত্ত্ব আলক্ষু ণ্র্চু
অর্থাৎ পৃথিবীতে কিছুকদুলের জন্য ৫তদুমাদেব বসবাস ও জীবিকা দুরয়েছে ৷ (২ং : ৩৬)
এতে একথা প্রমাণিত ৩হয় না যে, তদুরা আগে আসমানে ছিল ৷ যেমন এক আয়াতে আল্লাহ্
তদুআলদু বলেনং :
াহ্রদুদ্বুদ্বু
’ < ?
অর্থাৎ এরপর আমি বনী ইসরদুঈলকে বললদুম , তোমরা তুপৃষ্ঠে বসবাস কর ৷ এবং যখন
কিয়দুমতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে, তখন তোমাদের সকলকে আমি একত্র করে উপস্থিত
করব ৷ (১ ৭ : ১০৪ )
কিন্তু এটদু সর্বজনবিদিত যে, বনী ইসরদুঈলের বসবাস এ পৃথিবীতেই ছিল আসমানে
নয় ৷ তারা আরো বলেন, যারা বর্তমানে জদুন্নদুত ও জদুহদুন্নদুমের অস্তিতু অস্বীকদু দুর করে, আমরা
তাদের সে বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করছি না ৷৩ তাদের বক্তব্য ও আমাদের এ অডিমতের মধ্যে কোন
সম্পর্ক নেই ৷ এ জন্যই এ দ্বিতীয় মত পােষণকদুরী প্রাচীন কালের সকল অদুলিম এবং পরবর্তী
যুগের অধিকাত্শ আন্সিমের অভিমত বর্ণিত হয়েছে; তারা বর্তমানেও জান্নদুত-জাহদুন্নদুমের
অস্তিত্ব রয়েছে বলে স্বীকার করেন ৷ যেমন কুরআনের বিভিন্ন অদুয়দুত ও বহু বিশুদ্ধ হাদীস তার
প্রমাণ বহন করে ৷ যথান্থদুনে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হবে ৷ অদুল্লাহ্ সর্বজ্ঞ ৷
; ;fi
অর্থাৎ কিন্তু শয়তান তা থেকে তাদেরকে পদস্থালন ঘটদুল (অর্থাৎ বেহেশত থেকে) এবং
তদুরদু যেখানে ছিল সেখান থেকে তাদেরকে বহিষ্কৃত করল ৷ (২৪ ৩৬)
;
অর্থাৎ-জান্নদুত থেকে এবং তদুরদু যে সুখ-সস্তোগ ও অদুমেদুদ-আহলাদে ছিলেন তা থেকে
বের করে অশাস্তি ও দুর্দশার জগতে নিয়ে অদুসলো ৷ তাদেরকে কুমন্ত্রণদু দিয়ে এবং মােহে ফেলে
শয়তান তাদের দুর্দশা ঘটায় ৷ যেমন অদুল্লাহ্ তদুআলদু বলেন :
এত্রৈ হ্র
;,;
৷ র্বু,ৰুর্বৃ;£;ব্রেদ্বুদ্বু; ণ্ড্র;দুছু৷ ৷
অর্থাৎ-তা দুরপর তাদের লজ্জান্থ ন যদু গোপন রদুখদু হয়েছিল তা তাদের কাছে প্রকাশ করার
জন্য শয়তান তাদেরকে কুমস্ত্রণদু দিল এবং বলল, পাছে তোমরা উভয়ে ফেরেশতা হয়ে যদুও
কিংবদু তোমরা স্থায়ী হও এ জন্যই তোমাদের প্রতিপদুলক এ বৃক্ষ সম্বন্ধে তােমদুদেরকে নিষেধ
করেছেন ৷ সে তাদের উভয়ের কাছে শপথ করে বলল, আমি তোমাদের হিতদুকদুঙক্ষীদের
একজন ৷ (৭ : ২০-২১)
وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَعَلَيْهِ يُحْمَلُ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا بَنُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَخْنَزِ اللَّحْمُ، وَلَوْلَا حَوَّاءُ لَمْ تَخُنْ أُنْثَى زَوْجَهَا» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَأَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، وَمُسْلِمٌ، عَنْ هَارُونَ بْنِ مَعْرُوفٍ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حَارِثٍ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
وَفِي كِتَابِ التَّوْرَاةِ الَّتِي بَيْنَ أَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ الَّذِي دَلَّ حَوَّاءَ عَلَى الْأَكْلِ مِنَ الشَّجَرَةِ هِيَ الْحَيَّةُ، وَكَانَتْ مِنْ أَحْسَنِ الْأَشْكَالِ، وَأَعْظَمِهَا فَأَكَلَتْ حَوَّاءُ عَنْ قَوْلِهَا، وَأَطْعَمَتْ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَلَيْسَ فِيهَا ذِكْرٌ لِإِبْلِيسَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ انْفَتَحَتْ أَعْيُنُهُمَا، وَعَلِمَا أَنَّهُمَا عُرْيَانَانِ فَوَصَلَا مِنْ، وَرَقِ التِّينِ، وَعَمِلَا مَآزِرَ، وَفِيهَا أَنَّهُمَا كَانَا عُرْيَانَيْنِ، وَكَذَا قَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ كَانَ لِبَاسُهُمَا نُورًا عَلَى فَرْجِهِ وَفَرْجِهَا.
وَهَذَا الَّذِي فِي هَذِهِ التَّوْرَاةِ الَّتِي بِأَيْدِيهِمْ غَلَطٌ مِنْهُمْ وَتَحْرِيفٌ وَخَطَأٌ فِي التَّعْرِيبِ، فَإِنَّ نَقْلَ الْكَلَامِ مِنْ لُغَةٍ إِلَى لُغَةٍ لَا يَكَادُ يَتَيَسَّرُ لِكُلِّ أَحَدٍ، وَلَا سِيَّمَا
পৃষ্ঠা - ১৮১
অর্থাৎ শয়তান তাদেরকে বলল যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের এ বৃক্ষের ফল খেতে
নিষেধ করার কারণ হলো তা খেলে তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাবে কিৎবা চিরস্থায়ী হয়ে যাবে ৷
আর তাদেরকে এ ব্যাপারে শপথ করে বলল যে, নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের হিতকাংক্ষীদের
একজন ৷ যেমন অন্য আঘাতের আল্লাহ্ তাআল৷ বলেনং :
১া
অর্থাৎ তারপর শয়তান তাকে কুমস্ত্রণা দিল; সে বলল, হে আদম! আমি কি তোমাকে
বলে দেব অনন্ত জীবনপ্রদ বৃক্ষের কথা ও অক্ষয় রাজ্যের কথাঃ (২০ : ১২০)
অর্থাৎ আমি কি তোমাকে এমন বৃক্ষের সন্ধান দেব, যার ফল খেলে তুমি স্থায়ী জীবন লাভ
করবে, তুমি এখন যে সুখ-সম্বোগ ও শান্তিতে আছ; চিরজীবন তা ভোগ করতে পারবে এবং
তুমি এমন রাজত্ব লাভ করবে, যার কখনো বিনাশ ঘটবে না ৷ ইবলীসের এ বক্তব্য ছিল সম্পুর্ণ
প্রতারণামুলক এবংব বাস্তবতা বিবর্জিত ৷
আলোচ্য আয়াতো৷ ওপ্রুন্,ক্ষু এর মর্ম হচ্ছে যে, এর ফল ভক্ষণ করলে তুমি অনন্ত
জীবন লাভ করবে ৷ আবার তদ্দারা সে বৃক্ষত্ত উদ্দেশ্য হতে পারে, নিম্নোক্ত হাদীসে যার উল্লেখ
রয়েছে ৷ তাহলােং :
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবুছুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ও
“জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যে, আরােহী তার ছায়ায় একশ বছর ভ্রমণ করেও তা
অতিক্রম করতে পারবে না ৷ তাহলো শাজারাতৃল খুলদ ৷ হাদীসটি অন্যন্য সুত্রেও বর্ণিত আছে
এবং ইমাম আবু দাউদ তায়ালিসীও তার মুসনাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ গুনদুর বলেন,
আমি ও বাকে জিজ্ঞেস করলাম, এটি কি সেই শাজারাতৃল খুলদ ? তিনি বললেন, না বর্ণনায়
তাহলো’ বাক্যাৎশ ৷টি নেই ৷
র্চ,ধ্র্শা
অর্থাৎ এভাবে সে৩ তাদেরকে প্রবঞ্চন৷ দ্বারা অধ৪পতিত করল ৷ তারপর যখন তারা যে
বৃক্ষ-ফলের আস্বাদ গ্রহণ করল, তখন তাদের লজ্জান্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং
উদ্যানপত্র দ্বারা তারা তাদেরকে আবৃত করতে লাগল ৷ (৭ : ২২)
যেমন সুরা তা-হায় আল্লাহ্ তাআলা বলেন ং
ঞ; ষ্টু ড্রু,া; ১াত্এে
’
অর্থাৎ তারপর তারা তা থেকে ভক্ষণ করল; তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট
প্রকাশ হয়ে পড়ল ৷ (২০ : ১২১)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ম খণ্ডপ্ষ্ট্রগ্যে২৫-
مِمَّنْ لَا يَعْرِفُ كَلَامَ الْعَرَبِ جَيِّدًا، وَلَا يُحِيطُ عِلْمًا بِفَهْمِ كِتَابِهِ أَيْضًا، فَلِهَذَا وَقَعَ فِي تَعْرِيبِهِمْ لَهَا خَطَأٌ كَثِيرٌ لَفْظًا وَمَعْنَى، وَقَدْ دَلَّ الْقُرْآنُ الْعَظِيمُ عَلَى أَنَّهُ كَانَ عَلَيْهِمَا لِبَاسٌ فِي قَوْلِهِ: {يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْآتِهِمَا} [الأعراف: 27] . فَهَذَا لَا يَرُدُّ لِغَيْرِهِ مِنَ الْكَلَامِ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنُ إِشْكَابٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ رَجُلًا طِوَالًا كَثِيرَ شَعْرِ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ نَخْلَةٌ سَحُوقٌ، فَلَمَّا ذَاقَ الشَّجَرَةَ سَقَطَ عَنْهُ لِبَاسُهُ، فَأَوَّلُ مَا بَدَا مِنْهُ عَوْرَتُهُ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى عَوْرَتِهِ جَعَلَ يَشْتَدُّ فِي الْجَنَّةِ، فَأَخَذَتْ شَعْرَهُ شَجَرَةٌ فَنَازَعَهَا، فَنَادَاهُ الرَّحْمَنُ عَزَّ وَجَلَّ: يَا آدَمُ مِنِّي تَفِرُّ. فَلَمَّا سَمِعَ كَلَامَ الرَّحْمَنِ قَالَ: يَا رَبِّ لَا، وَلَكِنِ اسْتِحْيَاءً» . وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: {وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ} [الأعراف: 22] . قَالَ: وَرَقِ التِّينِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَيْهِ، وَكَأَنَّهُ مَأْخُوذٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَظَاهِرُ الْآيَةِ يَقْتَضِي أَعَمُّ مِنْ ذَلِكَ، وَبِتَقْدِيرِ تَسْلِيمِهِ فَلَا يَضُرُّ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَسَنِ
পৃষ্ঠা - ১৮২
আদম (আ)-এর আগেই হাওয়া (আ) বৃক্ষ-ফল ভক্ষণ করেছিলেন এবং তিনিই আদম
(আ)-কে তা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন ৷ আল্পাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷ বুখারীর নিম্নোক্ত হাদীসটি
এ অর্থেই নেওয়া হয়ে থাকে ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ং
“বনী ইসরাঈলরা না হলে গোশত পচা তা না আর হাওয়া না হলে কোন নারী তা ৷র স্বামীর সঙ্গে
,থেয়ড়ানত করত না ৷ ” বুখারী ও মুসলিম , আহমদ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
আহলে কিতাবদের হাতে রক্ষিত তাওরাতে আছে যে, হাওয়া (আ )-কে বৃক্ষ-ফল খাওয়ার
পথ দেখিয়েছিল একটি সাপ ৷ সাপটি ছিল অত্যন্ত সুদর্শন ও বৃহদাকার ৷ তার কথায় হাওয়া
(আ) নিজেও তা খান এবং আদম (আ)-কেও তা খাওয়ান ৷ এ প্রসঙ্গে ইবলীসের উল্লেখ নেই ৷
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখ খুলে যায় এবং তারা দৃজনে আচ করতে পারেন যে, তারা
দুজন বিবস্ত্র ৷ ফলে তারা ডুমুরের পাতা গায়ে জড়িয়ে নেন ৷ তাওরাতে এও আছে যে তারা
বিবস্ত্রই ছিলেন ৷ ওহাব ইবন মুনাব্বিহ (র) বলেন, আদম (আ)ও ওহাওয়া (আ)-এর পোশাক
ছিল তাদের উভয়ের লজ্জান্থানের উপর একটি জ্যোতির আবরণ ৷
উল্লেখ্য যে, আহলে কিতাবদের হাতে রক্ষিত বর্তমান তাওরাতে একথাটি ভুল এবং বিকৃত
এবং আরবী ভাষাম্ভরের প্রমাদ বিশেষ ৷ কারণ, তাষাতর কর্মটি যার-তার পক্ষে সহজসাধ্য নয় ৷
বিশেষ করে আরবী ভাষায় যার ভালো দক্ষতা নেই এবং মুল কিতাবেব ভাব উদ্ধারে যিনি পটু
নন, তার পক্ষে (তা এ কাজটি অত্যন্ত দুরুহ ৷ এজন্যই আহলে কিতাবদের তাওরাত
আরবীকরণে শব্দ ও মর্মগত যথেষ্ট ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে ৷ কুরআনে করীমের নিম্নোক্ত বর্ণনার দ্বারা
প্রতীয়মান হয় যে, আদম ও হাওয়া (আ) এর দেহে বস্ত্র ছিল ৷
অৰুল্লৰুহ্তর্ধ্বঅন্লন্
অর্থাৎ-শ শয়তান তাদেরকে তাদের লজ্জান্থান দেখাবার জন্য বিবস্ত্র করে ৷ ( ৭ ২ ৭)
কুরআনের এ বক্তব্য তো আর অন্য কারো কথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ অ ৷ল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷
ইবন আবু হাতিম (র) বর্ণনা করেন যে, উৰাই ইবন কাব (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন : আল্লাহ তাআলা আদম (আ)-কে দীর্ঘকায় এবং ঘন কেশবিশিষ্ট পুরুষরুপে সৃষ্টি
করেন, যেন তিনি ছিলেন দীর্ঘ এক খেজুর গাছ ৷ তারপর যখন তিনি বৃক্ষ-ফল আস্বাদন করেন,
তখন দেহ থেকে তার পোশাক খসে পড়ে ৷ তখন সর্বপ্রথম তার যে অঙ্গটি প্রকাশ পেয়েছিল
তাহলো র্তা ৷র লজ্জান্থান ৷ নিজের লজ্জাস্থান দেখে তিনি জান্নাতের মধ্যে দৌড়াতে শুরু করেন ৷
এক পর্যায়ে তার চুল একটি বৃক্ষে আটকে যায় ৷ ফলে তিনি তা টেনে নেন ৷ তখন আল্লাহ্
তা আলা তাকে লক্ষ্য করে বললেন, আদম তুমি কি আমার থেকে পালিয়ে যাচ্ছা আল্লাহ্র কথা
শুনে আদম (আ) বললেন, পা ৷চ্ছি না হে আমার বব লজ্জা য় এমনটি করছি ৷
ছাওরী (র) ৷র্দুপুশু এর ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস (বা)
বলেনং এখানে জান্নাতের যে বৃক্ষ পত্রের কথা বলা হয়েছে তা ছিল ডুমুর বৃক্ষের পাতা ৷ এটা ই
সহীহ সনদ ৷ সম্ভবত তা আহলি কিতাবদের বর্ণনা থেকে নেওয়া হয়েছে ৷ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে
কে ন নির্দিষ্ট পাতায় কথা বলা হয়নি ৷ আর এটা মেনে নিলেও কে ন ক্ষতি নেই ৷ আল্লাহ্ই
সবজ্ঞ ৷
بْنِ ذَكْوَانَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَبَاكُمْ آدَمَ كَانَ كَالنَّخْلَةِ السَّحُوقِ سِتِّينَ ذِرَاعًا، كَثِيرَ الشَّعْرِ، مُوَارَى الْعَوْرَةِ، فَلَمَّا أَصَابَ الْخَطِيئَةَ فِي الْجَنَّةِ بَدَتْ لَهُ سَوْءَتُهُ، فَخَرَجَ مِنَ الْجَنَّةِ فَلَقِيَتْهُ شَجَرَةٌ فَأَخَذَتْ بِنَاصِيَتِهِ، فَنَادَاهُ رَبُّهُ: أَفِرَارًا مِنِّي يَا آدَمُ. قَالَ: بَلْ حَيَاءً مِنْكَ وَاللَّهِ يَا رَبِّ مِمَّا جِئْتُ بِهِ» . ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُتَيِّ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَهَذَا أَصَحُّ، فَإِنَّ الْحَسَنَ لَمْ يُدْرِكْ أُبَيًّا. ثُمَّ أَوْرَدَهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ خَيْثَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ الطَّرَابُلْسِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْوَهَّابِ أَبِي قِرْصَافَةَ الْعَسْقَلَانِيِّ، عَنْ آدَمَ بْنِ أَبِي إِيَاسٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ.
{وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُلْ لَكُمَا إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُبِينٌ قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الأعراف: 22]
[الْأَعْرَافِ: 22 - 23] . وَهَذَا اعْتِرَافٌ، وَرُجُوعٌ إِلَى الْإِنَابَةِ، وَتَذَلُّلٌ وَخُضُوعٌ، وَاسْتِكَانَةٌ وَافْتِقَارٌ إِلَيْهِ تَعَالَى فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ. وَهَذَا السِّرُّ مَا سَرَى فِي أَحَدٍ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ إِلَّا كَانَتْ عَاقِبَتُهُ إِلَى خَيْرٍ فِي دُنْيَاهُ وَأُخْرَاهُ.
{قَالَ اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [الأعراف: 24] . وَهَذَا خِطَابٌ لِآدَمَ وَحَوَّاءَ وَإِبْلِيسَ.
পৃষ্ঠা - ১৮৩
হাফিজ ইবন আসাকির (র) উবা ই ইবন কাব (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন : তোমাদের পিতা আদম (আ) লম্বা খেজুর গাছের ন্যায় ষাট হাত দীর্ঘ ঘন
কেশবিশিষ্ট ছিলেন এবং গোপনাঙ্গ আবৃত ছিল ৷ তারপর জান্নাতে অপরাধ করে বসলে তার
গোপনাঙ্গ প্রকাশ হয়ে পড়ে ৷ ফলে তাকে জান্নাত থেকে বের হতে হয় ৷ তখন একটি বৃক্ষের
মুখোমুখি হলে বৃক্ষটিও তার মাথার সম্মুখ ভাগের কেশগুচ্ছ ধরে ফেলে ৷ এদিকে আল্লাহ্ তা জানা
তাকে ডেকে বললেন, আমার নিকট থেকে পালাতে চাও হে আদম ন্ আদম (আ) বললেন,
আল্লাহ্র শপথ আপনার লজ্জায় নিজ কৃতকর্মের জন্যে এমনটি করছি, হে আমার বব
অন্যান্য সুত্রে বিশুদ্ধ৩ র সনদে রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে অনুরুপ একটি রিওয়ায়ত রয়েছে০ ং
,
ও
অর্থাৎ তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সম্বোধন করে বললেন, আমি কি তােমাদেরকে
এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হতে বারণ করিনিন্ এবং আমি কি তােমাদেরকে বলিনি যে, শয়তান
তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক আমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছি, যদি তুমি
আমাদেরকে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তবে অবশ্য আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব ৷
( ৭ : ২২ ২৩)
এ হলো অপরাধের স্বীকারোক্তি, তাওবার শরণাপন্ন হওয়া এবং উপস্থিত মুহুর্তে আল্লাহ্র
নিকট নিজের হীনতা, বিনয় ও অসহায়ত্নের অভিব্যক্তি ৷ বলা বাহুল্য যে, আদমের সন্তানদের
যে ই অপরাধ স্বীক৷ ৷র করে এরুপ৩ তাওবা করবে ইহকাল ও পরকালে তার পরিণাম মঙ্গলজনকই
হবে৷ ,
এঠা
অর্থাৎ আল্লাহ্ বললেন, তোমরা নেমে যাও, তোমরা একে অপরের শত্রু এবং পৃথিবীতে
তোমাদের কিছুকাল বসবাস ও জীবিকা রয়েছে ৷ ( ৭ £ ২৪)
আদম (আ), হাওয়া (আ) ও ইবলীসকে সম্বোধন করে এ আদেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ কারো
কারো মতে, তাদের সঙ্গে সাপটিও এ আদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ সীমালংঘন করার অপরাধে
তাদেরকে জান্নাত থেকে নােম যাওয়ার এ আদেশ দেওয়া হয় ৷
আদম ও হাওয়া (আ)-এর সাথে সাপের উল্লেখের সপক্ষে রাসুলুল্লাহ (না)-এর একটি
হাদীস পেশ করা হয়ে থাকে ৷ তাহলো- রাসুলুল্লাহ (সা) সাপ হত্যার আদেশ দিয়ে বলেন,
যেদিনণ্ওগুলাের সাথে আমরা লড়াই করেছি, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ওগুলাের সাথে আর
আমরা সন্ধি করিনি ৷ ’ সুরা তা-হায় আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
قِيلَ: وَالْحَيَّةُ مَعَهُمْ. أُمِرُوا أَنْ يَهْبِطُوا مِنَ الْجَنَّةِ فِي حَالِ كَوْنِهِمْ مُتَعَادِينَ مُتَحَارِبِينَ، وَقَدْ يُسْتَشْهَدُ لِذِكْرِ الْحَيَّةِ مَعَهُمَا بِمَا ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِقَتْلِ الْحَيَّاتِ. وَقَالَ «مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ حَارَبْنَاهُنَّ» .
وَقَوْلُهُ فِي سُورَةِ طه: {قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيعًا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ} [طه: 123] . هُوَ أَمْرٌ لِآدَمَ وَإِبْلِيسَ وَمَا تَنَاسَلَ مِنْهُمَا عَدَاوَةٌ مُسْتَمِرَّةٌ، وَاسْتَتْبَعَ آدَمَ حَوَّاءُ، وَإِبْلِيسَ الْحَيَّةُ. وَقِيلَ: هُوَ أَمْرٌ لَهُمْ بِصِيغَةِ التَّثْنِيَةِ. كَمَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَدَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِي الْحَرْثِ إِذْ نَفَشَتْ فِيهِ غَنَمُ الْقَوْمِ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِينَ} [الأنبياء: 78] . وَالصَّحِيحُ أَنَّ هَذَا لَمَّا كَانَ الْحَاكِمُ لَا يَحْكُمُ إِلَّا بَيْنَ اثْنَيْنِ مُدَّعٍ وَمُدَّعَى عَلَيْهِ. قَالَ: وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِينَ. وَأَمَّا تَكْرِيرُهُ الْإِهْبَاطَ فِي سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي قَوْلِهِ: {وَقُلْنَا اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ - فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ - قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ - وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ} [البقرة: 36 - 39]
[الْبَقَرَةِ: 36 39] . فَقَالَ بَعْضُ الْمُفَسِّرِينَ: الْمُرَادُ بِالْإِهْبَاطِ
পৃষ্ঠা - ১৮৪
৷ এ fl
অর্খাৎ ৫৩ আমরা দৃ’জনে একই সঙ্গে জ ৷ন্নাত থেকে নেমে যাও ৷ তােমর৷ পরস্পর পরস্পরের
শত্রু ৷ (২০ং : ১২৩)
এই আদেশ হলো আদম (আ) ও ইবলীসের প্রতি ৷ আর হাওয়া আদমের এবং সাপ
দ্বারা একত্রে সকলকেই আদেশ করা হয়েছে যেমন একস্থানে >fi§:§ তা আলা বলেন ং
এেএ
অর্থাৎ এবং স্মরণ কর দ ৷উদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করছিল শস্য ক্ষেত্র
সম্পকে; তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কে ন সম্প্রদায়ের মেয; আমি প্র৩ বৃক্ষ করছিলাম
তাদের বিচার ৷ (২১ং : ৭৮) ৷
সঠিক কথা হলো-এ আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা বহুবচন শব্দ দ্বারা দু’ব্যক্তিকে বৃঝিয়েছেন ৷
কেননা, বিচারক দৃ’ব্যক্তির মাঝে বিচার করে থাকেন ৷ একজন বাদী অপরজন বিবাদী ৷ অথচ
আল্লাহ্ তা অড়ালা বলেন, ট্রু ন্ পুা ৷১ ন্ণ্,;ব্লু;পু fi< , আমি তাদের বিচার প্রত্যক্ষ করছিলাম’ ৷
সুরা বাক্য রায় (৩৬ ৩৯) আল্লাহ্ তা আলা বলেন ং
ন্নে৷ ৷ ,
া
আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা দৃ’বার ৷ স্পো ৷ বলে অবতরণের আদেশ করেছেন ৷ এর ব্যাখ্যা
প্রসঙ্গে কোন কোন মুফাসৃসির বলেন, প্রথম অবতরণ দ্বারা জান্নাত থেকে পৃথিবীর নিকটবর্তী
আসমানে নেমে আসা আর দ্বিতীয়টি দ্বারা নিকটবর্তী আসমান থেকে দৃনিয়াতে নেমে আসা
বুঝানো হয়েছে ৷ এ ব্যাখ্যাটি দুর্বল ৷ কারণ আল্লাহ্ তা অড়ালা প্রথম আদেশে বলেছেন০ :
ছু
) ৰু
এ
অর্থাৎ--“আমি বললাম,৫ তামরা একে অন্যের শত্রুরুপে নেমে যাও ৷ পৃথিবীতে ৩কিছু কালের
জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল” ৷ এ আয়াত প্রমাণ করে যে, প্রথমবারেই তাদেরকে
পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়৷ হয়েছে ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
الْأَوَّلِ الْهُبُوطُ مِنَ الْجَنَّةِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَبِالثَّانِي مِنَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا إِلَى الْأَرْضِ. وَهَذَا ضَعِيفٌ لِقَوْلِهِ فِي الْأَوَّلِ: {وَقُلْنَا اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [البقرة: 36] . فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ أُهْبِطُوا إِلَى الْأَرْضِ بِالْإِهْبَاطِ الْأَوَّلِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَرَّرَهُ لَفْظًا، وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا، وَنَاطَ مَعَ كُلِّ مَرَّةٍ حُكْمًا ; فَنَاطَ بِالْأَوَّلِ: عَدَاوَتَهُمْ فِيمَا بَيْنَهُمْ، وَبِالثَّانِي: الِاشْتِرَاطَ عَلَيْهِمْ أَنَّ مَنْ تَبِعَ هُدَاهُ الَّذِي يُنَزِّلُهُ عَلَيْهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ هُوَ السَّعِيدُ، وَمَنْ خَالَفَهُ فَهُوَ الشَّقِيُّ، وَهَذَا الْأُسْلُوبُ فِي الْكَلَامِ لَهُ نَظَائِرُ فِي الْقُرْآنِ الْحَكِيمِ.
وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: أَمَرَ اللَّهُ مَلَكَيْنِ أَنْ يُخْرِجَا آدَمَ وَحَوَّاءَ مِنْ جِوَارِهِ، فَنَزَعَ جِبْرِيلُ التَّاجَ عَنْ رَأْسِهِ، وَحَلَّ مِيكَائِيلُ الْإِكْلِيلَ عَنْ جَبِينِهِ، وَتَعَلَّقَ بِهِ غُصْنٌ فَظَنَّ آدَمُ أَنَّهُ قَدْ عُوجِلَ بِالْعُقُوبَةِ فَنَكَّسَ رَأْسَهُ يَقُولُ: الْعَفْوَ الْعَفْوَ، فَقَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ: فِرَارًا مِنِّي يَا آدَمُ. قَالَ: بَلْ حَيَاءً مِنْكَ يَا سَيِّدِي. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ هُوَ ابْنُ عَطِيَّةَ: مَكَثَ آدَمُ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ عَامٍ، وَفِي رِوَايَةٍ سِتِّينَ عَامًا، وَبَكَى عَلَى الْجَنَّةِ سَبْعِينَ عَامًا، وَعَلَى خَطِيئَتِهِ سَبْعِينَ عَامًا، وَعَلَى وَلَدِهِ حِينَ قُتِلَ أَرْبَعِينَ عَامًا. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أُهْبِطَ آدَمُ
পৃষ্ঠা - ১৮৫
সঠিক কথা হলো- বিষয়বস্তু এক হওয়া সত্বেও আল্লাহ্ তাআলা শব্দগতভাবে কথাটি
দৃ’বার উল্লেখ করেছেন এবং প্ৰতিবারের সাথে একটি করে অবশ্যম্ভাবী বিধান জুড়ে দিয়েছেন ৷
প্রথমটির সাথে জুড়ে দিয়েছেন তাদের পারস্পরিক শত্রুতা এবং দ্বিতীয়টির সাথে জুড়ে দিয়েছেন
যে, পরবর্তীতে তাদের উপর যে হিদায়ত নাযিল করা হবে, যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে সে
হবে ভাগ্যবান , আর যে তার বিরুদ্ধাচরণ করবে, সে হবে ভাগ্যাহত ৷ বলা বাহুল্য যে, কুরআনে
করীমে এ ধরনের ভাবভঙ্গির বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে ৷
হাফিজ ইবন আসাকির (র) মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আল্লাহ
তাআলা আদম (আ) ও হাওয়া (আ)-কে তার নৈবল্টা থেকে বের করে দেয়ার জন্য দুজন
ফেরেশতাকে আদেশ দেন ৷ ফলে জিবরাঈল (আ) তীর মাথা থেকে মুকুট উঠিয়ে নেন এবং
যীকাঈল (আ) তার কপাল থেকে মুকুট খুলে ফেলেন এবং একটি বৃক্ষশাখা,তাকে জড়িয়ে
ধরে ৷ তখন আদম (আ) ধারণা করলেন যে, এটা তার তাৎক্ষণিক শাস্তি ৷ তাই তিনি মাথা নিচু
করে বলতে লাগলেন-ক্ষমা চাই, ক্ষমা চাই ৷ তখন আল্লাহ্ তা“আলা বললেন, তুমি কি আমার
নিকট থেকে পালাংচ্ছা? আদম (আ) বললেন, বরং আপনার লজ্জায় এমনটি করছি, হে আমার
মনিব
আওযায়ী (র) হাস্সান ইবন আতিয়্যা (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আদম (আ) জান্নড়াতে
একশ বছরকাল অবস্থান করেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় ষাট বছরের উল্লেখ রয়েছে ৷ তিনি জান্নড়াত
হারানাের দুঃখে সত্তর বছর, অন্যায়ের অনুতাপে সত্তর বছর এবং নিহত পুত্রের গােকে চল্লিশ
বছর ক্রন্দন করেন ৷ ইবন আসাকির (র) এটি বর্ণনা করেন ৷
ইবন আবু হাতিম (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আদম (আ) কে মক্কা ও
তায়িফের মধ্যবর্তী দাহনা নামক স্থানে নামিয়ে দেয়া হয় ৷ হাসান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, আদম (আ) কে ভারতে, হাওয়া (আ) কে জিদ্দায় এবং ইবলীসকে বসরা থেকে মাইল
কয়েক দুরে দস্তমীসান নামক স্থানে নামিয়ে দেয়া হয় আর সর্পটিকে নামানাে হয় ইস্পাহানে ৷
সুদ্দী (ব) বলেন, আদম (আ) ভারতে অবতরণ করেন ৷ আসার সময় তিনি হাজরে
আসওয়াদ ও জান্নড়াতের এক মুঠো পাতা নিয়ে আসেন এবং এ পাতাগুলো ভারতের বিভিন্নন্থানে
ছড়িয়ে দেন ৷ ফলে সে দেশে সুগন্ধির গাছ উৎপন্ন হয় ৷ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি
বলেন, আদম (আ)-কে সাফায় এবং হাওয়া (আ)-কে মারওয়ায় নামিয়ে দেওয়া হয় ৷ ইবন
আবুহাতিম এ তথ্যটিও বর্ণনা করেছেন ৷
আব্দুর রায্যাক (র) আবু মুসা আশআরী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আল্লাহ
তড়াআলা আদম (আ)-কে জাস্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়ার সময় যাবতীয় বস্তুর প্রস্তুত
প্রণালী শিখিয়ে দেন এবং জান্নাতের ফল-ফলাদি থেকে তার আহার্যের ব্যবস্থা করে দেন ৷
সুতরাং তোমাদের এ ফল-মুল জান্নাতের ফল-মুল থেকেই এসেছে ৷ পার্থক্য শুধু এতটুকু যে,
এগুলোতে বিকৃতি আসে আর ওগুলাের কোন বিকৃতি সেই ৷
হাকিম (র) তার মুস্তাদরড়াকে বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা ) বলেন : আদম (আ ) কে
জান্নাতে শুধুমাত্র আসর থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকু থাকতে দেয়া হয়েছিল ৷ হাকিম (র)
বলেন, হাদীসটি বুখারী , মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ, তবে তারা হাদীসটি বর্ণনা করেন নি ৷
عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى أَرْضٍ يُقَالُ لَهَا دَحْنَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ. وَعَنِ الْحَسَنِ قَالَ: أُهْبِطَ آدَمُ بِالْهِنْدِ، وَحَوَّاءُ بِجُدَّةَ، وَإِبْلِيسُ بِدَسْتِمَيْسَانَ مِنَ الْبَصْرَةِ عَلَى أَمْيَالٍ، وَأُهْبِطَتِ الْحَيَّةُ بِأَصْبَهَانَ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَيْضًا. وَقَالَ السُّدِّيُّ: نَزَلَ آدَمُ بِالْهِنْدِ، وَنَزَلَ مَعَهُ بِالْحَجَرِ الْأَسْوَدِ وَبِقَبْضَةٍ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ، فَبَثَّهُ فِي الْهِنْدِ فَنَبَتَتْ شَجَرَةُ الطِّيبِ هُنَاكَ. وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: أُهْبِطَ آدَمُ بِالصَّفَا، وَحَوَّاءُ بِالْمَرْوَةِ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَيْضًا.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: قَالَ مَعْمَرٌ: أَخْبَرَنِي عَوْفٌ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ حِينَ أَهْبَطَ آدَمَ مِنَ الْجَنَّةِ إِلَى الْأَرْضِ عَلَّمَهُ صَنْعَةَ كُلِّ شَيْءٍ، وَزَوَّدَهُ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ. فَثِمَارُكُمْ هَذِهِ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ غَيْرَ أَنَّ هَذِهِ تَتَغَيَّرُ، وَتِلْكَ لَا تَتَغَيَّرُ. وَقَالَ الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ: أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ بَالُوَيْهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ النَّضْرِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي مُعَاوِيَةَ الْبَجَلِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَا أُسْكِنَ آدَمُ الْجَنَّةَ إِلَّا مَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ» . ثُمَّ قَالَ: صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ.
وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ১৮৬
সহীহ মুসলিমে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : “দিনসমুহের মধ্যে জুমুআর দিন হলো সর্বোত্তম ৷ এ দিনে আদম (আ)-কে সৃষ্টি
করা হয়, এদিনেই তাকে জান্নাতে ৩প্রবেশ করানো হয়, এ দিন তাকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা
হয় ৷” সহীহ বুখারীতে অন্য এক সুত্রে আছে যে, “এ দিলেই কিয়ামত স ঘটিত হবে ৷ ”
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
দিবসসমুহের মধ্যে জুমুআর দিন হলো সর্বোত্তম ৷ এদিনে আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়,
এদিনে তাকে জ ৷ন্নাতে প্রবেশ করানো হয়, এ দিনে তাকে জ ৷ন্নাত ;থকে বের করা হয় এবং এ
দিলেই কিয়ামত সং ঘটিত হবে ৷ বর্ণনাটি মুসলিমের শর্ভে উত্তীর্ণ ৷
ইবন আসাকির (র) বর্ণনা করেন যে, আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
আদম (আ) ও হাওয়া (আ)-কে ৰিবস্ত্র অবস্থায় একত্রে নামিয়ে দেওয়া হয় ৷ তখন তাদের দেহে
জান্নাতের পাতা জড়ানাে ছিল ৷ তখন আদম (আ) অসহ্য গরম অনুভব করেন ৷ এমনকি তিনি
বসে কান্নকােটি করতে শুরু করেন এবং হাওয়াকে লক্ষ্য করে বলেন যে, হাওয়া ! গরমে আমার
খুব কষ্ট হচ্ছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, তারপর জিবরাঈল (আ) তার কাছে কিছু তৃলাে নিয়ে
আসেন এবং হাওয়াকে সুতা কাটার আদেশ দিয়ে তাকে তা শিখিয়ে দেন ৷ আর আদম (আ ) কে
কাপড় বুননের আদেশ দেন এবং তাকে বুনন কার্য শিক্ষা দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আদম
(আ) জান্নাতে তার ত্রীর সংগে সহবাস করেননি; ইতিমধ্যেই বৃক্ষ-ফল খাওয়ার অপরাধে
তাদেরকে জান্নাত থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ৷ তিনি বলেন, তারা উভয়ে আলাদা শয়ন
করতেন ৷ একজন বাতহায় এবং অপরজন অন্য প্রান্তে শয়ন করতেন ৷ একদিন জিবরাঈল (আ)
এসে তাকে সহবাসের আদেশ দেন এবং তার পদ্ধতিও শিখিয়ে দেন ৷ তারপর যখন আদম
(আ) ত্রী সঙ্গম করলেন, তখন জিবরাঈল (আ) এসেত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনি
অপেনার শ্রীকে কেমন পেয়েছেন? আদম (আ) বললেন, সতী সাঃঘী পেয়েছি ৷ ইবন আসাকির
(র) বর্ণিত এ হাদীসটি গরীব’ পর্যায়ভুক্ত এবং এটি মারকু হওয়া অত্যন্ত মুনকার’ ৷ কোন কোন
পুর্বসুরি আলিম সাঈদ ইবন মায়সারা সম্পর্কে বলেন, ইনিই আবুযুঃইমরান বিকরী আল-বসরী ৷
ইমাম বুখারী (র)এ লোকটিকে মুনকারুল হাদীস বলে অভিহিত করেছেন ৷ ইবন হিব্বান
বলেন, এ লোকটি যতসব জাল হাদীস বর্ণনা করে ৷ ইবন আদী (র) বলেন, লোকটি একা ৷ম্ভই
অজ্ঞাত পর্যায়ের ৷
মোঃ
অর্থাৎ তারপর আদম তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কিছু বাণী প্রাপ্ত হলো ৷ ফলে আল্লাহ
তার প্রতি ক্ষমা পরবশ হলেন ৷ তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ৷ (২ : ৩৭)
কেউ কেউ বলেন, আদম (আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বাণী প্রাপ্ত হয়েছিলেন তাহলোং :
;,শুটু দ্বু;ও;হ্রদ্বুদ্বু
অর্থাৎ হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি ৷ আপনি যদি
আমাদেরকে ক্ষমা না করেন ও দয়া না করেন তাহলে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত
হবো ৷
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ; فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا» . وَفِي الصَّحِيحِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ: «وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ ; فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا، وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ» . وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ الْبَغَوِيِّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْوَرْكَانِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَبَطَ آدَمُ وَحَوَّاءُ عُرْيَانَيْنِ جَمِيعًا عَلَيْهِمَا وَرَقُ الْجَنَّةِ، فَأَصَابَهُ الْحَرُّ حَتَّى قَعَدَ يَبْكِي، وَيَقُولُ لَهَا: يَا حَوَّاءُ قَدْ أَذَانِي الْحَرُّ " قَالَ: " فَجَاءَهُ جِبْرِيلُ بِقُطْنٍ، وَأَمَرَهَا أَنْ تَغْزِلَ، وَعَلَّمَهَا، وَأَمَرَ آدَمَ بِالْحِيَاكَةِ، وَعَلَّمَهُ أَنْ يَنْسِجَ. وَقَالَ: كَانَ آدَمُ لَمْ يُجَامِعِ امْرَأَتَهُ فِي الْجَنَّةِ حَتَّى هَبَطَ مِنْهَا لِلْخَطِيئَةِ الَّتِي أَصَابَتْهُمَا بِأَكْلِهِمَا مِنَ الشَّجَرَةِ " قَالَ: " وَكَانَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يَنَامُ عَلَى حِدَةٍ يَنَامُ أَحَدُهُمَا فِي الْبَطْحَاءِ، وَالْآخَرُ مِنْ نَاحِيَةٍ أُخْرَى حَتَّى أَتَاهُ جِبْرِيلُ فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ " قَالَ: " وَعَلَّمَهُ كَيْفَ يَأْتِيهَا، فَلِمَا أَتَاهَا جَاءَهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ: كَيْفَ وَجَدْتَ امْرَأَتَكَ؟ قَالَ: صَالِحَةً» . فَإِنَّهُ حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَرَفْعُهُ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَقَدْ يَكُونُ مِنْ كَلَامِ بَعْضِ السَّلَفِ. وَسَعِيدُ بْنُ مَيْسَرَةَ هَذَا هُوَ أَبُو عِمْرَانَ الْبَكْرِيُّ الْبَصْرِيُّ. قَالَ فِيهِ الْبُخَارِيُّ:
পৃষ্ঠা - ১৮৭
মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র , আবুল আলিয়া, রবী ইবন আনাস, হাসান, কাতাদ৷ , মুহাম্মদ
ইবন কাব, খালিদ ইবন মাদান, আত৷ আল-থুরাসানী (র) ও আবদুর রহমান ইবন যায়দ (র)
থেকে এ অভিমত বর্ণিত আছে ৷
ইবন আবু হাতিম (র) বর্ণনা করেন যে, উবাই ইবন কাব (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেনং আদম (আ) বললেন, হে আমার বব! আমি যদিত ৷ওব৷ কবি ও ফিরে আসি; তাহলে
আমি কি আবার জ ন্নাতে যেতে পারব? আল্লাহ বললেন, হ্যা ৷ এটাই সে বাণী যার কথা-
ব্লুপু ৷ ণ্এ্৷ ৩ংাণ্ এ আয়াতে বলা হয়েছে ৷ এ সুত্রে হাদীসটি গরীব’ এবং এতে ইনকিতা তথা
বিচ্ছিন্নত৷ রয়েছে ৷
ইবন আবু নাজীহ (র) মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ঐ বাণীগুলাে
হলো :
@ ৷ ১৷ ৷ ;>ণ্ন্া৬ প্রু; ৷
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কো ন ইলাহ নেই ৷ আমি তােমা ৷র পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা
কবি ৷ হে আমার বব ! নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্ৰতি অত্যাচার করেছি ৷ অতএব, তুমি আমার
ক্ষমা করে দাও ৷ নিশ্চয় তুমি ক্ষমাকারীদের সর্বোত্তম ৷
হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কে ন ইলাহ নেই ৷ আমি তোমার পবিত্রত৷ বর্ণনা কবি ও প্রশংসা
করি ৷ হে আমার বব নিশ্চয় আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি ৷ আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও
নিশ্চয় তুমি দয় ৷লুদের সর্বোত্তম ৷
হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কো ন ইলাহ নেই ৷ আমি তোমার পবিত্রত৷ বর্ণনা কবি ও প্রশং সা
করি ৷ হে আমার বব! আমি নিজের প্রতি অন্যায় করেছি ৷ আমার প্রতি তুমি ক্ষমা পরবশ হও ৷
নিশ্চয় তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল , পরম দয় ৷লু ৷
হাকিম (র) বর্ণনা ৷করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) দ্বুর্দ্র;ষ্ ন্র্চুপ্!ও ৰু পুদ্বু গ্লু)প্লু ণ্এ্ ৷ ড্রুঘ্রাণ্ড্র
<“£é এর ব্যাখ্যার বলেন৪ আদম (আ ) বললেন, হে আমার বব! আপনি কি আমাকে আপনার
নিজ কুদরতী হাতে সৃষ্টি করেননি? বলা হলো, হ্যা ৷ তখন তিনি বললেন, আপনি কি আমার
দেহে আপনার রুহ সঞ্চার করেননি ? বলা হলো, ই৷ ৷ তখন তিনি পুনরায় বললেন, আমি হাচি
দিলে আপনি কি ৰুা৷ ৷ এং১ )ৰু৷ (আল্লাহ তোমাকে রহম করুন) বলেননি? এবং আপনার
বহমত কি আপনার গযবের উপর প্রবল নয়? বলা হলো, ই৷ ৷ পুনরায় তিনি বললেন : আপনি
কি একথা নির্ধারণ করে রাখেননি যে, আমি এ কাজ করব? বলা হলো, হী৷ ৷ এবার আদম (আ)
বললেন, আচ্ছা, আমি যদি তাওবা করি; তাহলে আপনি পুনরায় আমাকে জান্নড়াতে ফিরিয়ে
مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: يَرْوِي الْمَوْضُوعَاتِ. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: مُظْلِمُ الْأَمْرِ.
وَقَوْلُهُ: {فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ} [البقرة: 37] . قِيلَ: هِيَ قَوْلُهُ: {رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الأعراف: 23] . رُوِيَ هَذَا عَنْ مُجَاهِدٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَأَبِي الْعَالِيَةِ، وَالرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، وَالْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، وَمُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَخَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، وَعَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنُ إِشْكَابٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: أَرَأَيْتَ يَا رَبِّ إِنْ تُبْتُ وَرَجَعْتُ أَعَائِدِي إِلَى الْجَنَّةِ. قَالَ: نَعَمْ» . فَذَلِكَ قَوْلُهُ: {فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ} [البقرة: 37] . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ: عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: الْكَلِمَاتُ: اللَّهُمَّ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّكَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ، اللَّهُمَّ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّكَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، اللَّهُمَّ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ. وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي
পৃষ্ঠা - ১৮৮
নেবেন কি? আল্লাহ বললেন, হীড়া ৷ হাকিম বলেন, এর সনদ সহীহ কিন্তু ইমাম বুখড়ারী ও মুসলিম
(র) হাদীসটি বর্ণনা করেননি ৷
হাকিম, বায়হড়াকী ও ইবন আসাকির (র) উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “আদম (আ) যখন ভুল করে বসলেন তখন বললেন ,
হে আমার রব ! মুহাম্মদের উসিলা দিয়ে আমি আপনার দরবারে প্রার্থনা করছি যে, আপনি
আমাকে ক্ষমা করে দিন! তখন আল্লাহ্ তাআলা বললেন, তুমি ঘুহাম্মদকে চিনলে কি করে অথচ
এখনও র্তাকে আমি সৃষ্টি ই করিনিঃ আদম (আ) বললেন, হে আমার রব যখন আপনি আমাকে
আপনার নিজ হাতে সৃষ্টি করলেন এবং আমার মধ্যে আপনার রুহ্ সঞ্চার করলেন তখন আমি
মাথা তুলে আরশের স্তষ্সমুহে এ fl;£:; পুৰুর্দ্ধর্মুহু এ র্দু৷ ণ্াত্র ১’ লিখিত দেখতে পাই ৷
তাতে আমি বুঝতে পারলাম যে, আপনার পবিত্র নামের সাথে আপনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার
সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো নাম যে গ করেননি ৷ তখন আল্লাহ তা আলা বললেন,
তুমি যথার্থই বলেছ, হে আদম ! নিশ্চয় তিনি সৃষ্টির মধ্যে আমার প্রিয়তম ৷ তার উসিলায় যখন
তুমি আমার কাছে প্রার্থনা করেই ফেলেছ, তখন আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম ৷ আর
মুহাম্মদ (সা) কে সৃষ্টি না করলে তোমাকে আমি সৃষ্টিই করতড়াম না ৷
বায়হাকী বলেন, এ সুত্রে আবদুর রহমান ইবন যায়দ ন্ইবন আসলাম-ই হাদীসটি এককভাবে
বর্ণনা করেছেন ৷ আর তিনি হলেন দুর্বল রাবী ৷ আল্পাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷ উল্লেখ্য যে, এ আয়াতটি
নিম্নের আয়াতটির অনুরুপং :
’ ’
ৰুব্লুৰু১র্দুঠু এ; এএে এেগ্লু ১ ৷ ৩ছুণ্১ঠুট্রু
অর্থাৎ আদম তার প্ৰতিপালকের হুকুম অমান্য করল, ফলে সে ভ্রমে পতিত হলো ৷ এরপর
তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হলেন ও তাকে পথ নির্দেশ
করলেন ৷ (২০ : ১২১-১২২)
مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ. قَالَ: قَالَ: آدَمُ يَا رَبِّ أَلَمْ تَخْلُقْنِي بِيَدِكَ. قِيلَ لَهُ: بَلَى. وَنَفَخْتَ فِيَّ مَنْ رُوحِكَ. قِيلَ لَهُ: بَلَى. وَعَطَسْتُ، فَقُلْتَ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، وَسَبَقَتْ رَحْمَتُكَ غَضَبَكَ. قِيلَ لَهُ: بَلَى. وَكَتَبْتَ عَلَيَّ أَنْ أَعْمَلَ هَذَا. قِيلَ لَهُ: بَلَى. قَالَ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ تُبْتُ هَلْ أَنْتَ رَاجِعِي إِلَى الْجَنَّةِ؟ . قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ.
وَرَوَى الْحَاكِمُ أَيْضًا، والْبَيْهَقِيُّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا اقْتَرَفَ آدَمُ الْخَطِيئَةَ قَالَ: يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ إِلَّا غَفَرْتَ لِي. فَقَالَ اللَّهُ: فَكَيْفَ عَرَفْتَ مُحَمَّدًا وَلَمْ أَخْلُقْهُ بَعْدُ. فَقَالَ: يَا رَبِّ لِأَنَّكَ لَمَّا خَلَقْتَنِي بِيَدِكَ، وَنَفَخْتَ فِيَّ مَنْ رُوحِكَ رَفَعْتُ رَأْسِي فَرَأَيْتُ عَلَى قَوَائِمِ الْعَرْشِ مَكْتُوبًا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. فَعَلِمْتُ أَنَّكَ لَمْ تُضِفْ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ. فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ إِنَّهُ لَأَحَبُّ الْخَلْقِ إِلَيَّ، وَإِذْ سَأَلْتَنِي بِحَقِّهِ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ، وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذِهِ الْآيَةُ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى ثُمَّ اجْتَبَاهُ رَبُّهُ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَى} [طه: 121]
[طه: 21 22] .
পৃষ্ঠা - ১৮৯
আদম (আ) ও মুসা (আ)-এর বাদানুবাদ
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“মুসা (আ) আদম (আ)-এব সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ তিনি তাঁকে বলেন, আপনি-ই তো
মানুষকে আপনার অপরাধ দ্বারা জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে দুর্বিপাকে
ফেলেছেন ৷” আদম (আ) বললেন, হে মুসা! আপনি তো যে ব্যক্তি যে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে আপনাকে বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন ; আপনি কি আমাকে এমন একটি
কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমাকে সৃষ্টি করার পুর্বেই আল্লাহ আমার নামে লিপিবদ্ধ
করে রেখেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এতে আদম (আ) তর্কে মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ
করেন ৷
মুসলিম, নাসাঈ ও আহমদ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আদম (আ) ও মুসা
(আ) বাদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ মুসা (আ) আদম (আ)-কে বলল যে, আপনি যে আদম যে
আপনার ত্রুটি আপনাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে ৷ উত্তরে আদম (আ) র্তাকে বললেন,
আর আপনি তো সে মুসা , যাকে আল্লাহ্ তাআলা তার রিসালাত ও কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
করেছেন ৷ আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমার সৃষ্টির পুর্বেই
স্থির করে রাখা হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এভাবে আদম (আ) যুক্তি প্রমাণে মুসা
(আ)-এব উপর জয়লাভ করেন ৷ একথাটি তিনি দুবার বলেছেন ৷
ইমাম বুখারী এবং মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “আদম (আ) ও
মুসা (আ) বিতর্কে লিপ্ত হন ৷ মুসা বললেন, যে আদম (আ) ! আপনি যে ব্যক্তি যে, আল্লাহ
তাআলা আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ও আপনার মধ্যে তার রুহ্ সঞ্চার করেছেন ৷ আর
আপনি লোকদেরকে ভ্রমে নিপতিত করলেন ও তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করিয়ে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এর উত্তরে আদম (আ) বললেন, আর আপনি সেই মুসা (আ) যে,
আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে তীর কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন ৷ আমার এমন একটি
কৃতকর্মের জন্য আপনি আমাকে তিরস্কার করছেন, যা আসমানসমুহ ও যমীন সৃষ্টি করার পুর্বেই
আল্লাহ্ তাআলা আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ফলে
যুক্তিতে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷
ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিযী (র ) বলেন,
হাদীসটি গরীব’ পর্যায়ের ৷ বাযযারও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র )
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খণ্ড) ২৬-
[ذِكْرُ احْتِجَاجِ آدَمَ وَمُوسَى عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ النَّجَّارِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حَاجَّ مُوسَى آدَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ الَّذِي أَخْرَجْتَ النَّاسَ بِذَنْبِكَ مِنَ الْجَنَّةِ وَأَشْقَيْتَهُمْ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي، أَوْ قَدَّرَهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ النَّجَّارِ بِهِ. قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الدِّمَشْقِيُّ: وَلَمْ يُخَرِّجَا عَنْهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ سِوَاهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৯০
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ لَهُ مُوسَى: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي أَخْرَجَتْكَ خَطِيئَتُكَ مِنَ الْجَنَّةِ! فَقَالَ لَهُ آدَمُ: وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ! تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قُدِّرَ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . مَرَّتَيْنِ قُلْتُ: وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ: مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ، وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ! قَالَ: فَقَالَ آدَمُ: وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ! تَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ أَعْمَلُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ! قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهُوَ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. قُلْتُ: هَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৯১
আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “আদম (আ) ও মুসা
(আ) বড়াদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আদম (আ) ! আপনি আমাদের পিতা ৷
আপনি আমাদের সর্বনাশ করেছেন এবং আমাদের জান্নড়াত থেকে বের করিয়ে দিয়েছেন ৷ উত্তরে
আদম (আ) র্তাকে বললেন, আপনি তো সে মুসা যে, আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে তার কালাম
দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন ৷ কখনো বলেছেন, র্তার রিসালাতের জন্য এবং তিনি নিজ হাতে
আপনাকে মনোনীত করেছেন ৷ আপনি কি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন,
যা আমাকে সৃষ্টির চল্লিশ বছর পুর্বেই আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন : যুক্তি-তর্কে আদম (আ) মুসার উপর জয়লাভ করেন ৷ আদম (আ) মুসার উপর
জয়লাভ করেন, আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷
ইবন মাজাহ্ (র) ব্যতীত সিহাহ সিত্তার সংকলকগণের অবশিষ্ট পাচজনই হাদীসটি দশটি
ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (বা)
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “মুসা (আ ) এর সংগে আদম (আ ) এর সাক্ষাৎ হলে মুসা
(আ) র্তাকে বললেন, আপনি যে আদম (আ) যে, আল্লাহ তাআলা আপনাকে তার নিজ হাতে
সৃষ্টি করেন, তার ফেরেশতাদেরকে আপনার সামনে সিজদাবনত করান এবং আপনাকে জান্নাতে
স্থান দেন ৷ তারপর আপনি একটি কাজ করে বলেন ৷ আদম (আ) বললেন, আপনি তো সে
মুসা (আ) যে, আল্লাহ তাআলা আপনার সাথে কথা বলেছেন, তার রিসালতের জন্যে
আপনাকে মনোনীত করেছেন এবং আপনার উপর তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন ৷ আচ্ছা, আপনি
বলুনতো আমার সৃষ্টি আগে হয়েছে নাকি আমার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে? মুসা (আ)
বললেন, না বরং আপনার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে ৷ এভাবে আদম (আ) মুসা (আ )-এর
উপর জয়লাভ করেন ৷”
ইবন আবু হাতিম (র) বর্ণিত এ হাদীসের শেবাংশে আদম (আ)-এর উক্তিসহ অতিরিক্ত
এরুপ বর্ণনা আছে : আল্লাহ আপনাকে এমন কয়েকটি ফলক দান করেছেন, যাতে যাবতীয়
বিষয়ের সুস্পষ্ট বিবরণ রয়েছে এবং একান্তে ভৈনকট্য দান করেছেন ৷ এবার আপনি বলুন, আল্লাহ্
তাআলা তাওরাত কখন লিপিবদ্ধ করেছিলেন? মুসা (আ ) বললেন, সৃষ্টির চল্লিশ বছর পুর্বে ৷
আদম (আ) বললেন, তাতে কি আপনি এেটুর্চুর্দ্ধ র্দুর্দু § ণ্; ৷ £¢;§ কথাটি পাননিঃ মুসা (আ)
বললেন, জী ইড়া ৷ আদম (আ) বললেন, তবে কি আপনি আমাকে আমার এমন একটি
কৃতকর্মের জন্য তিরস্কার করছেন যা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর আগেই আল্লাহ্ তাআলা
লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, আমি তা করব ? বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও
এভাবে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত এ সংক্রান্ত বর্ণনা মুসা (আ)-এর বক্তব্যে অতিরিক্ত একথাটিও
আছে : “আপনি আপনার সম্ভানদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন ৷” তবে এ অংশটি
হাদীসের অংশ কিনা তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷
হাফিজ আবু ইয়ালা আল-মুসিলী তার মুসনাদে আমীরুল মুমিনীন উমর ইবন খাত্তাব (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “মুসা (আ) বললেন, হে আমার রব ! আপনি
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُثَنَّى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ أَسَدٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَرَوَاهُ الْبَزَّارُ أَيْضًا، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ طَاوُسًا، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا، وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ!» . وَقَالَ مَرَّةً «بِرِسَالَتِهِ، وَخَطَّ لَكَ بِيَدِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً!» . قَالَ: «حَجَّ آدَمُ مُوسَى، حَجَّ آدَمُ مُوسَى، حَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، حَدَّثَنَا عَنْ سُفْيَانَ قَالَ: حَفِظْنَاهُ مِنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا، وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ وَخَطَّ لَكَ بِيَدِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً! فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . هَكَذَا ثَلَاثًا.
قَالَ سُفْيَانُ: حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ عَشْرِ طُرُقٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ১৯২
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَأَسْكَنَكَ الْجَنَّةَ، ثُمَّ فَعَلْتَ! فَقَالَ: أَنْتَ مُوسَى الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ، وَاصْطَفَاكَ بِرِسَالَتِهِ، وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ التَّوْرَاةَ! أَنَا أَقْدَمُ أَمِ الذِّكْرُ؟ قَالَ: لَا بَلِ الذِّكْرُ. فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» قَالَ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: حَمَّادٌ أَظُنُّهُ جُنْدَبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى» . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ هُوَ ابْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ هُوَ ابْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْكَنَكَ جَنَّتَهُ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، ثُمَّ صَنَعْتَ مَا صَنَعْتَ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ التَّوْرَاةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَهَلْ تَجِدُهُ مَكْتُوبًا عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَكَذَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
পৃষ্ঠা - ১৯৩
আমাকে সে আদম (আ)-কে একটু দেখান, যিনি আমাদেরকে এবং তার নিজেকে জান্নাত থেকে
বের করিয়ে দেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা র্তাকে আদম (আ)-কে দেখালেন ৷ দেখে মুসা (আ)
বললেন, আপনিই আদম (আ)? তিনি বললেন, হী৷ ৷ মুসা (আ) বললেন, আপনি যে ব্যক্তি যার ধ্
মধ্যে আল্লাহ তাআলা তার রুহ্ সঞ্চার করেছেন, বীর সামনে তার ফেরেশতাদেরকে
সিজদাবনত করিয়েছেন এবং যীকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, হী৷ ৷
মুসা (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদেরকে এবং আপনার নিজেকে জান্নড়াত থেকে বের করে
দিতে কিসে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল ? উত্তরে আদম (আ) বললেন, আপনি কো তিনি বললেন,
আমি মুসা (আ) ৷ আদম (আ) বললেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের নবী মুসা যে, আল্লাহ
তাআলা পর্দার আড়াল থেকে আপনার সাথে এমনভাবে কথা বলেছেন যে, আপনার ও তার
মধ্যে কোন দুত ছিল না ? মুসা (আ) বললেন, জী হী৷ ৷ এবার আদম (আ) বললেন : আপনি
আমাকে এমন একটি বিষয়ে তিরস্কার করছেন, যা পুর্ব থেকেই আল্লাহ্ তাআলা নির্ধারণ করে
রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এভাবে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন,
এভাবে আদম (আ) মুসা (আ ) এর উপর জয়যুক্ত হন ৷
আবু দাউদ (র) ও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু ইয়ালা (র) ঈষৎ
পরিবর্তনসহ ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
উল্লেখ্য যে, এ হাদীসের ব্যাপারে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায় ৷ কাদরিয়া সম্প্রদায়ের একটি
দল এ হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ কারণ এ হড়াদীসে পুর্ব সিদ্ধান্ত তথা তাকদীরের প্রমাণ
রয়েছে ৷ জাবরিয়্যা সম্প্রদায়ের একটি দল এ হাদীস দ্বারা তাদের মতের সপক্ষে প্রমাণ পেশ
করেছে ৷ আর বাহ্যিক দৃষ্টিতে তা প্রমাণিত হয়ও ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : পুর্ব
সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন ৷ এর জবাব পরে
দেওয়া হবে ৷ অন্য একদল আলিম বলেন, আদম (আ) মুসা (আ)-এর মতের বিপরীতে এ জন্য
যুক্তি প্রদর্শন করেছেন যে, মুসা (আ) তাকে এমন একটি অপরাধের জন্য তিরস্কার করেছেন, যা
থেকে তিনি তাওবা করে নিয়েছিলেন ৷ আর অপরাধ থেকে তাওবাকারী ঠিক যে ব্যক্তির ন্যায়,
যার কোন অপরাধ নেই ৷
কারো কারো মতে, এ জয়লাভের কারণ হলো, আদম (আ) হলেন মুসা (আ)-এর চাইতে
বয়ােজেষ্ঠে ও প্রবীণ ৷ কেউ কেউ বলেন, এর কারণ হলো, আদম (আ) হলেন তার আদি
পিতা ৷ কারো কারো মতে এর কারণ, র্তারা দু’জন ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন শরীয়তের ধারক ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, এর কারণ তারা দৃজনই ছিলেন আলমে-বরযখে ৷ > আর তাদের ধারণার সে
জগতে শরীয়তের বিধান প্রযোজ্য নয় ৷
সঠিক কথা হলো এই যে, এ হাদীসটি বহু পাঠে বর্ণিত হয়েছে ৷ তার কতক বর্ণিত হয়েছে
অর্থগতরুপে ৷ কিংন্থ তা সন্দেহযুক্ত নয় ৷ সহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবের বেশির
ভাগ বক্তব্যের সারকথা হলো, মুসা (আ) আদম (আ)-কে তার নিজেকে ও সম্ভানদেরকে
১ বা এ জগতের বা পরকালের ব্যাপার নয়, বরং মধ্যবর্তী অন্রেক জগতের ব্যম্পোঘ্নে
رَفَعَهُ.
وَكَذَا رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ خَالِدٍ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، وَهَذَا عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى عِنْدَ رَبِّهِمَا، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ; قَالَ مُوسَى: أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَأَسْكَنَكَ جَنَّتَهُ، ثُمَّ أَهْبَطْتَ النَّاسَ إِلَى الْأَرْضِ بِخَطِيئَتِكَ! قَالَ آدَمُ: أَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ وَكَلَامِهِ، وَأَعْطَاكَ الْأَلْوَاحَ فِيهَا تِبْيَانُ كُلِّ شَيْءٍ، وَقَرَّبَكَ نَجِيًّا فَبِكَمْ وَجَدْتَ اللَّهَ كَتَبَ التَّوْرَاةَ؟ قَالَ مُوسَى: بِأَرْبَعِينَ عَامًا. قَالَ آدَمُ: فَهَلْ وَجَدْتَ فِيهَا " وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَفَتَلُومُنِي عَلَى أَنْ عَمِلْتُ عَمَلًا كَتَبَ اللَّهُ عَلَيَّ أَنْ أَعْمَلَهُ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً! قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» .
قَالَ الْحَارِثُ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ بِذَلِكَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مُوسَى الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، وَالْأَعْرَجِ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى،
পৃষ্ঠা - ১৯৪
فَقَالَ مُوسَى لِآدَمَ: يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي أَدْخَلْتَ ذُرِّيَّتَكَ النَّارَ! فَقَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ، وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ التَّوْرَاةَ، فَهَلْ وَجَدْتَ أَنِّي أَهْبِطُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَحَجَّهُ آدَمُ» . وَهَذَا عَلَى شَرْطِهِمَا، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَفِي قَوْلِهِ: " أَدْخَلْتَ ذُرِّيَّتَكَ النَّارَ " نَكَارَةٌ.
فَهَذِهِ طُرُقُ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. رَوَاهُ عَنْهُ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَذَكْوَانُ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ، وَطَاوُسُ بْنُ كَيْسَانَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الْأَعْرَجُ، وَعَمَّارُ بْنُ أَبِي عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، وَهَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَيَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ.
وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ فِي مُسْنَدِهِ مِنْ حَدِيثِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَالَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا رَبِّ أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ. فَأَرَاهُ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ! فَقَالَ لَهُ آدَمُ: نَعَمْ. قَالَ: أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا، وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ؟ فَقَالَ لَهُ آدَمُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى. قَالَ: أَنْتَ مُوسَى نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَنْتَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ فَلَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولًا مِنْ خَلْقِهِ! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْقَضَاءُ بِهِ قَبْلُ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৯৫
জান্নাত থেকে বের করিয়ে দেয়ার জন্য দোষারোপ করেছিলেন ৷৩ তাই উত্তরে আদম (আ ) র্তাকে
বলেছিলেন, আপনাদেরকে আ ৷মি বের করিনি ৷ বের করেছেন সেই সত্তা ৷যিনি আমার বৃক্ষ-ফল
খাওয়ার সাথে বহিষ্কারকে সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন; আর যিনি তা সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন
আমার সৃষ্টির পুর্বেই এবং তা লিপিবদ্ধ ও নির্ধারণ করে রেখেছিলেন, তিনি হলেন মহান
তা ল্লআ৷হ্ ৷ সুতরাং আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য দোষারোপ করছেন, যার সাথে
আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ বড় জোর এ৩ টুকু বলা যায় যে, আমাকে বৃক্ষ ফল খেতে নিষেধ
করা হয়েছিল, কিভৃ অমি তা খেয়ে ফেলি ৷ এর সাথে বহিষ্কারের সৎশ্লিষ্টতা আমার কর্ম নয় ৷
সুতরাৎঅ ৷পনাদেরকে এবং আমার নিজেকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার আমি করিনি ৷ তা ছিল
সম্পুর্ণ আল্লাহ তাআলার কুদররু৩ তর লীলাখেলা! অবশ্য ৩াতে আল্লাহর হিকমত রয়েছে
অতএব, এ কারণে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হয়েছিলেন ৷
পক্ষাম্ভরে যারা এ হাদীসকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তারা আসলে একশুয়ে ৷ কেননা,
হাদীসটি আবু হুরায়রা (বা) থেকে যুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর বিশ্বাসয়োপ্যতা ও
স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে আবু হুরায়রা (বা) এর মর্যাদা প্ৰশ্নাডীত ৷ তাছাড়া আরো কতিপয় সাহারা
থেকেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যা আমরা উপরে উল্লেখ করে এসেছি ৷ আর একটু আগে
হাদীসটির যেসব ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা হাদীসের শব্দ ও মর্ম উভয়ের সাথেই
স০গদিপুর্ণ ৷ তাদের মধ্যে অবস্থানের যৌক্তিকত৷ জ ববিয্যা সম্প্রদায়ের চাইতে বেশি আর
কারোরই নেই ৷ কিন্তু কয়েক দিক থেকে ৷চ৩ ও আপত্তি রয়েছে০
প্রথমত, মুসা (আ) এমন কাজের জন্য দোষারোপ করতে পারেন না, যে কাজের
জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাওব৷ করে নিয়েছেন ৷ দ্বিতীয়ত, মুসা (আ) নিজেও আদিষ্ট না
হয়েও এক ব্যক্তিকে হত্যা করে আল্লাহ তাঅড়ালার নিকট এ বলে প্রার্থনা করেছিলেন
যে, §fi;飧 ত্াদ্বু;এে ^^এ দ্বুর্দ্রর্চু ট্রু,শুড্রু র্চুহে আমার রবৰু আমি নিজের উপর
অত্যাচার করেছি ৷ অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও ৷ ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে
দেন ৷ (২৮ং ১৬)
৩র্জীয়ত, আদম (আ) যদি পুর্ব লিখিত তকদীর৷ দ্বার বাঅপরাধের জন্য দােষারোপের জবাব
দিয়ে থাকেন,৩ ৩াহলে কৃতকর্মে তিরস্কৃত ৩সকলের জন্যই এ পথ খুলে যেতে৷ এবং সকলেই পুর্ব
নির্ধারিত তকদীরের দােহাই দিয়ে প্রমাণ পেশ করতে পারতে ৷ ৷ এভাবে কিস স ও হুদুদ তথা
শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তিসমুহের বিধানের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যেতে৷ ৷৩ ৩কদীরকেই যদি দলীল রুপে
পেশ করা যেতো, তাহলে যে কেউ ছোট-বড় সকল কৃত অপরাধের জন্য৩ তার দ্বারা দলীল পেশ
করতে পারত ৷ আর এটা ভয়াবহ পরিণতির দিকেই নিয়ে যেতে তা ৷ এ জন্যই কোন কোন আলিম
বলেনং : আদম (আ) তকদীর৷ দ্ব ৷রা দুর্তোগের ব্যাপারে দলীল পেশ করেছিলেন আল্লাহর আদেশ
অমান্যের সপক্ষের যুক্তি হিসাবে নয় ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷
أَبُو يَعْلَى: وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنِ الرُّدَيْنِيِّ بْنِ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ قَالَ: أَبُو مُحَمَّدٍ أَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ رَفَعَهُ قَالَ: «الْتَقَى آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ مُوسَى لِآدَمَ: أَنْتَ أَبُو النَّاسِ أَسْكَنَكَ اللَّهُ جَنَّتَهُ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَمَا تَجِدُهُ عَلَيَّ مَكْتُوبًا! قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ أَيْضًا لَا بَأْسَ بِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَةُ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى لِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَرِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ لَهُ ; عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ رَجُلٍ. قَالَ حَمَّادٌ: أَظُنُّهُ جُنْدُبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى» . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ.
وَقَدِ اخْتَلَفَتْ مَسَالِكُ النَّاسِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ; فَرَدَّهُ قَوْمٌ مِنَ الْقَدَرِيَّةِ لِمَا تَضَمَّنَ مِنْ إِثْبَاتِ الْقَدَرِ السَّابِقِ. وَاحْتَجَّ بِهِ قَوْمٌ مِنَ الْجَبْرِيَّةِ، وَهُوَ ظَاهِرٌ لَهُمْ بَادِيَ الرَّأْيِ ; حَيْثُ قَالَ: «فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . لَمَّا احْتَجَّ عَلَيْهِ بِتَقْدِيمِ كِتَابِهِ، وَسَيَأْتِي الْجَوَابُ، عَنْ هَذَا. وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّمَا حَجَّهُ لِأَنَّهُ لَامَهُ عَلَى ذَنْبٍ قَدْ تَابَ مِنْهُ، وَالتَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ. وَقِيلَ: إِنَّمَا حَجَّهُ لِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১৯৬
أَكْبَرُ مِنْهُ وَأَقْدَمُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ أَبُوهُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُمَا فِي شَرِيعَتَيْنِ مُتَغَايِرَتَيْنِ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُمَا فِي دَارِ الْبَرْزَخِ، وَقَدِ انْقَطَعَ التَّكْلِيفُ فِيمَا يَزْعُمُونَهُ.
وَالتَّحْقِيقُ: إِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ رُوِيَ بِأَلْفَاظٍ كَثِيرَةٍ بَعْضُهَا مَرْوِيٌّ بِالْمَعْنَى وَفِيهِ نَظَرٌ، وَمَدَارُ مُعْظَمِهَا فِي الصَّحِيحَيْنِ، وَغَيْرِهِمَا عَلَى أَنَّهُ لَامَهُ عَلَى إِخْرَاجِهِ نَفْسَهُ وَذُرِّيَّتَهُ مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: أَنَا لَمْ أُخْرِجْكُمْ، وَإِنَّمَا أَخْرَجَكُمُ الَّذِي رَتَّبَ الْإِخْرَاجَ عَلَى أَكْلِي مِنَ الشَّجَرَةِ، وَالَّذِي رَتَّبَ ذَلِكَ، وَقَدَّرَهُ وَكَتَبَهُ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ هُوَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَنْتَ تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ لَيْسَ لَهُ نِسْبَةٌ إِلَيَّ أَكْثَرَ مَا أَنِّي نُهِيتُ عَنِ الْأَكْلِ مِنَ الشَّجَرَةِ فَأَكَلْتُ مِنْهَا، وَكَوْنُ الْإِخْرَاجِ مُتَرَتِّبًا عَلَى ذَلِكَ لَيْسَ مِنْ فِعْلِي، فَأَنَا لَمْ أُخْرِجْكُمْ وَلَا نَفْسِي مِنَ الْجَنَّةِ، وَإِنَّمَا كَانَ هَذَا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ وَصُنْعِهِ، وَلَهُ الْحِكْمَةُ فِي ذَلِكَ فَلِهَذَا حَجَّ آدَمُ مُوسَى.
وَمَنْ كَذَّبَ بِهَذَا الْحَدِيثِ فَمُعَانِدٌ ; لِأَنَّهُ مُتَوَاتِرٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَنَاهِيكَ بِهِ عَدَالَةً وَحِفْظًا وَإِتْقَانًا، ثُمَّ هُوَ مَرْوِيٌّ عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ، كَمَا ذَكَرْنَا. وَمَنْ تَأَوَّلَهُ بِتِلْكَ التَّأْوِيلَاتِ الْمَذْكُورَةِ آنِفًا فَهُوَ بَعِيدٌ مِنَ اللَّفْظِ وَالْمَعْنَى، وَمَا فِيهِمْ مَنْ هُوَ أَقْوَى مَسْلَكًا مِنَ الْجَبْرِيَّةِ. وَفِيمَا قَالُوهُ نَظَرٌ مِنْ وُجُوهٍ ; أَحَدُهَا: أَنَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا يَلُومُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ تَابَ مِنْهُ فَاعِلُهُ. الثَّانِي: أَنَّهُ قَدْ قَتَلَ نَفْسًا لَمْ يُؤْمَرْ بِقَتْلِهَا، وَقَدْ سَأَلَ اللَّهَ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِهِ: {رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ} [القصص: 16] . الْآيَةَ، الثَّالِثُ: أَنَّهُ لَوْ كَانَ الْجَوَابُ عَنِ اللَّوْمِ عَلَى الذَّنْبِ بِالْقَدَرِ الْمُتَقَدِّمِ كِتَابَتُهُ عَلَى الْعَبْدِ لَانْفَتَحَ هَذَا لِكُلِّ مَنْ لِيمَ عَلَى أَمْرٍ قَدْ فَعَلَهُ، فَيَحْتَجُّ بِالْقَدَرِ السَّابِقِ،
পৃষ্ঠা - ১৯৭
فَيَنْسَدُّ بَابُ الْقِصَاصِ وَالْحُدُودِ، وَلَوْ كَانَ الْقَدَرُ حُجَّةً لَاحْتَجَّ بِهِ كُلُّ أَحَدٍ عَلَى الْأَمْرِ الَّذِي ارْتَكَبَهُ فِي الْأُمُورِ الْكِبَارِ وَالصِّغَارِ، وَهَذَا يُفْضِي إِلَى لَوَازِمَ فَظِيعَةٍ. فَلِهَذَا قَالَ مَنْ قَالَ مِنَ الْعُلَمَاءِ بِأَنَّ جَوَابَ آدَمَ إِنَّمَا كَانَ احْتِجَاجًا بِالْقَدَرِ عَلَى الْمُصِيبَةِ لَا الْمَعْصِيَةِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ، وَهُوَ حَسْبِي وَنِعْمَ الْوَكِيلُ.
পৃষ্ঠা - ১৯৮
হড়াদীসে আদম (আ)-এর সৃষ্টি প্রসঙ্গ
আবু মুসা আশআরী (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহ্ তাআলা আদম
(আ)-কে সমগ্র পৃথিবী থেকে সংগৃহীত এক ঘুঠো মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেন ৷ তাই মাটি অনুপাতে
আদমের সন্তানদের কেউ হয় সাদা, কেউ হয় গৌরবর্ণ, কেউ হয় কালো, কেউ মাঝামাঝি
বর্ণের ৷ আবার কেউ হয় নােং রা, কেউ হয় পরিচ্ছন্ন, কেউ হয় কোমল, কেউ হয় পাষাণ ৷,কেউ
বা এগুলোর মাঝামাঝি ৷ ঈষৎ শাব্দিক পার্থক্যসহ তিনি ভিন্ন সুত্রে উক্ত হাদীসঢি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আবু দাউদ, তিরমিযী এবং ইবন হিব্বান (র) আবু মুসা আশআরী (রা) যীর আসল
নাম আবদৃল্পাহ্ ইবন কায়েস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি
হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
সুদ্দী (র) ইবন আব্বাস ও ইবন মাসউদ (না)-সহ কতিপয় সাহারা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তারা বলেন : আল্লাহ্ তাআলা কিছু কাদামাটি নেয়ার জন্য জিবরাঈল (আ)-কে যমীনে প্রেরণ
করেন ৷ তিনি এসে মাটি নিতে চাইলে যমীন বলল, তুমি আমার অঙ্গহানি করবে যা আঘাতে
ত সৃষ্টি করবে; এ ব্যাপারে তোমার নিকট থেকে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই ৷ ফলে
জিবরাঈল (আ) মাটি না নিয়ে ফিরে গিয়ে বললেন, হে আমার রব! যমীন তোমার আশ্রয়
প্রার্থনা করায় আমি তাকে ছেড়ে এসেছি ৷
এবার অ ৷ল্লাহ্ তা অ ৷লা মীকাঈল (আ) কে প্রেরণ করেন ৷ যমীন তার নিকট থেকেও আশ্রয়
প্রার্থনা করে বসে ৷ তাই তিনিও ফিরে গিয়ে জিবরাঈল (আ)-এর মতই বর্ণনা দেন ৷ এবার
আল্লাহ্ তাআলা মালাকুল মউত (আ) বা মৃত্যুর ফেরেশতাকে প্রেরণ করেন ৷ যমীন তার কাছ
থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি র্কীলেন, আর আমিও আল্লাহ্তাআলার আদেশ বাস্তবায়ন
না করে শুন্য হাতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তার পানাহ্ চাই ৷ এ কথা বলে তিনি পৃথিবীর
বিভিন্ন স্থান থেকে সাদা, লাল ও কালো রঙের কিছু মাটি সংগ্রহ করে মিশিয়ে নিয়ে চলে যান ৷
এ কারণেই আদম (আ)-এর সন্তানদের এক একজনের রঙ এক এক রকম হয়ে থাকে ৷
আজরাঈল (আ) মাটি নিয়ে উপস্থিত হলে আল্লাহ তাআলা মাটিগুলো ভিজ্যিয় নেন ৷ এতে
তা আটালো হয়ে যায় ৷ তারপর ফেরেশতাদের উদ্দেশে তিনি ঘোষণা দেন :
[ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي خَلْقِ آدَمَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنِي قَسَامَةُ بْنُ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الْأَرْضِ، فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الْأَرْضِ ; فَجَاءَ مِنْهُمُ الْأَبْيَضُ، وَالْأَحْمَرُ، وَالْأَسْوَدُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَالْخَبِيثُ، وَالطَّيِّبُ، وَالسَّهْلُ، وَالْحَزْنُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ» .
وَرَوَاهُ أَيْضًا عَنْ هَوْذَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ سَمِعْتُ الْأَشْعَرِيَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الْأَرْضِ، فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الْأَرْضِ ; فَجَاءَ مِنْهُمُ الْأَبْيَضُ، وَالْأَحْمَرُ، وَالْأَسْوَدُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَالسَّهْلُ، وَالْحَزْنُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَالْخَبِيثُ، وَالطَّيِّبُ، وَبَيْنَ ذَلِكَ» . وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ مِنْ حَدِيثِ عَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ الْمَازِنِيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَدْ ذَكَرَ السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، وَأَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: «فَبَعَثَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ جِبْرِيلَ فِي الْأَرْضِ لِيَأْتِيَهُ بِطِينٍ مِنْهَا، فَقَالَتِ الْأَرْضُ: أَعُوذُ
পৃষ্ঠা - ১৯৯
অর্থাৎ কাদামাটি দ্বারা আমি মানুষ সৃষ্টি করতে ৩যাচ্ছি ৷ যখন আমি তাকে সুঠাম করব
এবং তাতে আমার রুহ্ সঞ্চার করব; তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হয়ো ৷ ( ১ ৫ : ২৮)
তারপর আল্লাহ তাআল৷ আদম (আ)-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেন, যাতে ইবলীস তার
ব্যাপারে অহংকার করতে না পারে ৷ তারপর মাটির তৈরি এ মানব দেহটি থেকে চল্লিশ বছর
পর্যন্ত যা জুমআর দিনের অংশ বিশেষ ছিল১ একইভাবে পড়ে থাকে ৷ তা দেখে ফেরেশতাগণ
ঘাবড়ে যান ৷ সবচাইতে বেশি ভয় পায় ইবলীস ৷ সেত তার পাশ দিয়ে আনাগােনা করত এবং
তাকে আঘাত করত ৷ ফলে দেহটি ঠনঠনে পােড়া মাটির ন্যায় শব্দ করত ৷ এ কা ৷বণেই মানব
সৃষ্টির উপাদানকে এাষ্া৷ৎ ৰুমোঃ তথা পোড়ামাটির ন্যায় ঠনঠনে মাটি বলে অভিহিত
করা হয়েছে ৷ আর ইবলীস তাকে বলত, তুমি একটি বিশ্বে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্ট হয়েছ ৷
এক পর্যায়ে ইবলীস তার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে পেছন দিয়ে বের হয়ে এসে
ফেরেশতাগণকে বলল, একে তোমাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই ৷ কেননা তোমাদের
বব হলেন সামাদ তথা অমুখাপেক্ষী আর এটি একটি শুন্যগর্ভ বন্তুমাত্র কাছে পেলে আমি একে
ৎস করেই৷ ছা ড়ব ৷
এরপর তার মধ্যে রুহ্ সঞ্চার করার সময় হয়ে এলে আল্লাহ তাআল৷ ফেরেশতাগণকে
বললেন : আমি যখন এর মধ্যে রুহ সঞ্চার করব; তখন তার প্রতি তোমরা সিজদাবনত হয়ো ৷
যথাসময়ে আল্লাহ্ তাআলা তার মধ্যে রুহ্ সঞ্চার করলেন যখন রুহ্ তার মাথায় প্রবেশ করে,
তখন তিনি ইাচি দেন ৷ ফেরেশতাগণ বললেন, আপনি আল-হামদুলিল্লাহ্ বলুন ৷ তিনি
আলা-হামদুলিল্লাহ্’ বললেন ৷ জবাবে আল্লাহ তাআলা বললেন : প্র ন্র্চু (ণ্াহু১১ (তোমার বব
তোমাকে রহম করুন!) তারপর রুহ্ তার দুচোখে প্রবেশ করলে তিনি জান্নাতের ফল-ফলাদির
প্রতি ৩দৃষ্টিপাত করেন ৷ এবার রুহ্ তার পেটে প্রবেশ করলে তার মনে খাওয়ার আকাডক্ষা জাগে ৷
ফলে রুহ্ পা পর্যন্ত পৌছানের আগেই তড়িঘরি করে তিনি জান্নাতের ফল-ফলাদির প্রতি ছুটে
যান ৷ এ কারণেই আল্লাহ তা আলা বলেন৪ ষ্; ব্লুটু০ ষ্া১৷ ৷ এপুর্দু মানুষ সৃষ্টিপতভাবেই
তৃরাপ্রবণ ৷’ (২১০ : ৩৭)
এ্যা
অথাত্ তখন ইবলীস ব্যতীত ফেরেশত ৷রা সকলেই সিজদা করল ৷ সে সিজদাক৷ রীদের
অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার করল ৷ ( ১ ৫ : ৩০)
সুদ্দী (র) এভাবে কাহিনীটি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন ৷ এ কাহিনীর সমর্থনে আরো বেশ
কটি হাদীস পাওয়া যায় ৷ তবে তার বেশির ভাগই ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গৃহীত
১ উর্ধ জগতের একদিন পৃথিবীর হাজার বছরের, বর্ণনাম্ভরে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান বলে কুরআনের বর্ণনায় পাওয়া
যায় ৷ (রিঃদ্ৰ৪ ২২ : ৪৭ ও ৭০ : ৪)
بِاللَّهِ مِنْكَ أَنْ تَنْقُصَ مِنِّي أَوْ تَشِينَنِي. فَرَجَعَ وَلَمْ يَأْخُذْ. وَقَالَ: رَبِّ إِنَّهَا عَاذَتْ بِكَ فَأَعَذْتُهَا. فَبَعَثَ مِيكَائِيلَ، فَعَاذَتْ مِنْهُ، فَأَعَاذَهَا، فَرَجَعَ، فَقَالَ كَمَا قَالَ جِبْرِيلُ. فَبَعَثَ مَلَكَ الْمَوْتِ، فَعَاذَتْ مِنْهُ، فَقَالَ: وَأَنَا أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَرْجِعَ وَلَمْ أُنَفِّذْ أَمْرَهُ، فَأَخَذَ مِنْ وَجْهِ الْأَرْضِ وَخَلَطَهُ، وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْ مَكَانٍ وَاحِدٍ، وَأَخَذَ مِنْ تُرْبَةٍ بَيْضَاءَ، وَحَمْرَاءَ، وَسَوْدَاءَ، فَلِذَلِكَ خَرَجَ بَنُو آدَمَ مُخْتَلِفِينَ، فَصَعِدَ بِهِ فَبَلَّ التُّرَابَ حَتَّى عَادَ طِينًا لَازِبًا، وَاللَّازِبُ: هُوَ الَّذِي يَلْزَقُ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ، ثُمَّ قَالَ لِلْمَلَائِكَةِ: {إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ طِينٍ فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ} [ص: 71]
[الرَّحْمَنِ: 14] . وَيَقُولُ: لِأَمْرٍ مَا خُلِقْتَ، وَدَخَلَ مِنْ فِيهِ وَخَرَجَ مِنْ دُبُرِهِ. وَقَالَ لِلْمَلَائِكَةِ: لَا تَرْهَبُوا مِنْ هَذَا فَإِنَّ رَبَّكُمْ صَمَدٌ، وَهَذَا أَجْوَفُ لَئِنْ سُلِّطْتُ عَلَيْهِ لَأُهْلِكَنَّهُ. فَلَمَّا بَلَغَ الْحِينَ الَّذِي يُرِيدُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَنْفُخَ فِيهِ الرُّوحَ قَالَ لِلْمَلَائِكَةِ: إِذَا نَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَاسْجُدُوا لَهُ، فَلَمَّا نَفَخَ فِيهِ الرُّوحَ فَدَخَلَ الرُّوحُ فِي رَأْسِهِ عَطَسَ، فَقَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ. فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. فَقَالَ لَهُ اللَّهُ: رَحِمَكَ رَبُّكَ. فَلَمَّا دَخَلَتِ الرُّوحُ فِي عَيْنَيْهِ نَظَرَ إِلَى ثِمَارِ الْجَنَّةِ، فَلَمَّا دَخَلَتِ الرُّوحُ فِي جَوْفِهِ اشْتَهَى الطَّعَامَ فَوَثَبَ قَبْلَ أَنْ تَبْلُغَ الرُّوحُ إِلَى رَجْلَيْهِ عَجْلَانَ إِلَى ثِمَارِ الْجَنَّةِ، وَذَلِكَ حِينَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: {خُلِقَ الْإِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ} [الأنبياء: 37] . {فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى أَنْ يَكُونَ مَعَ السَّاجِدِينَ} [الحجر: 30] .»
পৃষ্ঠা - ২০০
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আনাস (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“আল্লাহ্ তাআলা আদম (আ) কে সৃষ্টি করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী কিছুদিন তাকে ফেলে রাখেন ৷
এ সুযোগে ইবলীস ৩ড়ার চতুষ্পড়াভৈর্শ্ব চক্কর দিতে শুরু করে ৷ অবশেষে তাকে শুন্যগর্ভ দেখতে
পেয়ে সে আচ করতে পারল যে, এটাতো এমন একটি সৃষ্টি যার সৎযম ক্ষমতা থাকবে না ৷”
ইবন হিব্বান (র)ত তার সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন ং “আদম (আ) এর মধ্যে রুহ্ সঞ্চাবিত হওয়ার পর রুহ্৩ তার মাথায় পৌছুলে তিনি
হীচি দেন এবং আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বলেন ৷ উত্তরে আল্লাহ তা জানা
বললেন : ইয়ারহামুকাল্লাহ’ ৷ ঈষৎ শাব্দিক পার্থক্যসহ হাফিজ আবু বকর বায্যার (র) (য়াহয়া
ইবন মুহাম্মদ ইবন সাকান)-ও হড়াদীসটি বর্ণনা করেন ৷
উমর ইবন আব্দুল আযীয (ব) বলেন, “আদম (আ)-কে সিজদা করার জন্য
ফেরেশতাগণকে আদেশ করা হলে সর্বপ্রথম হযরত ইসরাফীল (আ) সিজদড়াবনত হন ৷ এর
পুরস্কারস্বরুপ আল্লাহ্ তাআলা তীর ললড়াটে কুরআন অঙ্কিত করে দেন ৷ ইবনে আসাকিব এ
উক্তিটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
হাফিজ আবু ইয়ালা (র) বর্ণনা করেন যে, আনাস (বা) বলেন, রাসুল (সা) বলেছেন :
আল্লাহ্ তাআলা হযরত আদম (আ)-কে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেন ৷ প্রথমে মাটিগুলোকে তিজিয়ে
অটিড়ালো করে কিছু দিন রেখে দেন ৷ এতে তা ছুড়াচে ঢড়ালা মাটিতে পরিণত হলে আদম
(আ) এর আকৃতি সৃষ্টি করে কিছুদিন এ অবস্থায় রেখে দেন ৷ এবার তা পোড়া মাটির মত
শুকনো ঠনঠনে মাটিতে রুপান্তরিত হয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, ইবলীস তখন তার কাছে গিয়ে
বলতে শুরু করে যে, তুমি এক মহান উদ্দেশ্যে সৃষ্ট হয়েছ ৷ তারপর আল্লাহ তাআলা তার মধ্যে
রুহ্ সঞ্চার করেন ৷ রুহ্ সর্বপ্রথম তার চোখ ও নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করলে তিনি হাচি দেন ৷
হীচি শুনে আল্লাহ্ বললেন : (fi; flfi-é;; তোমার বব তোমার প্রতি বহমত বর্যণ করুন
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বললেন, হে আদম তুমি ঐ ফেরেশ্ তো দলের কাছে গিয়ে দেখ
তারা কী বলে? তখন তিনি ফেরেশত ৷ দলের কাছেগ্ গিয়ে তাদেরকে সালাম দেন ৷ আর তারা
বলে উত্তর দেন ৷ তখন আল্লাহ বললেন, হে
আদম এটা তোমার এবং তোমরা বংশধরের অভিবাদন ৷ আদম (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, হে
আমার বব! আমার বংশধর আবার কি? আল্লাহ বললেনহ্র; আদম তুমি আমার দৃ হাতের যে
কোন একটি পছন্দ কর ৷ আদম (আ) বললেন, আমি আমার বরের ডান হাত পছন্দ করলাম ৷
আমার বর-এর উভয় হাতই তো ভাল হাত বরকতময় ৷
এবার আল্লাহ্ তাঅড়ালা নিজের হাতেরত তালু প্রসারিত ৩করলে আদম (আ) কিয়ামত পর্যন্ত
আগমনকারী তার সকল সন্তানকে আল্পাহ্র হাতের তালুতে দেখেতে পান ৷ তন্মধ্যে
কিছুসংখ্যকেব মুখমণ্ডল ছিল নুরে সমুজ্জ্বল ৷ সহসা তাদের মধ্যে একজনের নুরে অধিক বিমুগ্ধ
হয়ে আদম (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আমার বর! ইনি কে? আল্লাহ্ বললেন, ইনি তোমার
সন্তান দউিদ ৷ জিজ্ঞাসা করলেন, এর আবু কত নির্ধারণ করেছেন? আল্লাহ বললেন, ষাট বছর ৷
আদম (আ) বললেন, আমার থেকে নিয়ে এর আযু পুর্ণ একশ বছর করে দিন ৷ আল্লাহ তার
وَذَكَرَ تَمَامَ الْقِصَّةِ.
وَلِبَعْضِ هَذَا السِّيَاقِ شَاهِدٌ مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَإِنْ كَانَ كَثِيرٌ مِنْهُ مُتَلَقَّى مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ تَرَكَهُ مَا شَاءَ أَنْ يَدَعَهُ، فَجَعَلَ إِبْلِيسُ يُطِيفُ بِهِ فَلَمَّا رَآهُ أَجْوَفَ عَرَفَ أَنَّهُ خَلْقٌ لَا يَتَمَالَكُ» . وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا نُفِخَ فِي آدَمَ فَبَلَغَ الرُّوحُ رَأْسَهُ عَطَسَ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ. فَقَالَ لَهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: يَرْحَمُكَ اللَّهُ» .
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ حَفْصٍ هُوَ ابْنُ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَفَعَهُ قَالَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ عَطَسَ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ فَقَالَ لَهُ رَبُّهُ: رَحِمَكَ رَبُّكَ يَا آدَمُ» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ لَا بَأْسَ بِهِ. وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: لَمَّا أُمِرَتِ الْمَلَائِكَةُ بِالسُّجُودِ كَانَ أَوَّلَ مَنْ سَجَدَ مِنْهُمْ إِسْرَافِيلُ، فَأَثَابَهُ اللَّهُ أَنْ كَتَبَ الْقُرْآنَ فِي جَبْهَتِهِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
পৃষ্ঠা - ২০১
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَافِعٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ تُرَابٍ، ثُمَّ جَعَلَهُ طِينًا، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ حَمَأً مَسْنُونًا خَلَقَهُ اللَّهُ وَصَوَّرَهُ، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ صَلْصَالًا كَالْفَخَّارِ قَالَ: فَكَانَ إِبْلِيسُ يَمُرُّ بِهِ فَيَقُولُ: لَقَدْ خُلِقْتَ لِأَمْرٍ عَظِيمٍ. ثُمَّ نَفَخَ اللَّهُ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ فَكَانَ أَوَّلَ مَا جَرَى فِيهِ الرُّوحُ بَصَرُهُ وَخَيَاشِيمُهُ فَعَطَسَ، فَلَقَّاهُ اللَّهُ رَحْمَةَ رَبِّهِ فَقَالَ اللَّهُ: يَرْحَمُكَ رَبُّكَ. ثُمَّ قَالَ اللَّهُ: يَا آدَمُ اذْهَبْ إِلَى هَؤُلَاءِ النَّفَرِ فَقُلْ لَهُمْ، فَانْظُرْ مَاذَا يَقُولُونَ، فَجَاءَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، فَقَالُوا: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. فَقَالَ: يَا آدَمُ هَذَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ. قَالَ: يَا رَبِّ وَمَا ذُرِّيَّتِي. قَالَ: اخْتَرْ يَدَيَّ يَا آدَمُ. قَالَ: اخْتَارُ يَمِينَ رَبِّي، وَكِلْتَا يَدَيْ رَبِّي يَمِينٌ. وَبَسَطَ كَفَّهُ فَإِذَا مَنْ هُوَ كَائِنٌ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ، فَإِذَا رِجَالٌ مِنْهُمْ أَفْوَاهُهُمُ النُّورُ فَإِذَا رَجُلٌ يُعْجِبُ آدَمَ نُورُهُ قَالَ: يَا رَبِّ مِنْ هَذَا؟ . قَالَ: ابْنُكَ دَاوُدُ. قَالَ: يَا رَبِّ فَكَمْ جَعَلْتَ لَهُ مِنَ الْعُمُرِ. قَالَ: جَعَلْتُ لَهُ سِتِّينَ. قَالَ: يَا رَبِّ فَأَتِمَّ لَهُ مِنْ عُمُرِي حَتَّى يَكُونَ لَهُ مِنَ الْعُمُرِ مِائَةُ سَنَةٍ. فَفَعَلَ اللَّهُ ذَلِكَ، وَأُشْهِدَ عَلَى ذَلِكَ فَلَمَّا نَفِدَ عُمُرُ آدَمَ، بَعَثَ اللَّهُ مَلَكَ الْمَوْتِ، فَقَالَ آدَمُ: أَوَلَمَ يَبْقَ مِنْ عُمُرِي أَرْبَعُونَ سَنَةً. قَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَوَلَمَ تُعْطِهَا ابْنَكَ دَاوُدَ. فَجَحَدَ ذَلِكَ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ، وَنَسِيَ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ مِنْ حَدِيثِ صَفْوَانَ بْنِ عِيسَى، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২০২
আবদার মঞ্জুর করেন এবং এ ব্যাপারে ৫ফরেশতাগণকে সাক্ষী রাখেন ৷ তারপর যখন আদম
(আ)-এর আযু শেষ হয়ে আসলাে তখন তার রুহ্ কবয করার জন্য আল্লাহ তাআলা আযরাঈল
(আ) কে প্রেরণ করেন ৷ তখন আদম (আ) বললেন, কেন, আমার আর তো আরো চল্লিশ বছর
বাকি আছে ৫ফরেশত ৷ বললেন, আপনি না আপনার আযুর চল্লিশ বছর আপনার সন্তান দাউদ
(আ)-কে দিয়ে দিয়েছিলেন! কিন্তু আদম (আ)৩ ত ৷অস্বীকার করে বলেন এবং পুর্বের কথা তুলে
যান ৷ ফলে তার সন্তানদের মধ্যে অস্বীকৃতি ও বিস্মৃতির প্রবণতা সৃষ্টি হয় ৷ হাফিজ আবু বকর
বাবৃযার (র) তিরমিষী ও নাসাঈ (র) তার ইয়াওম ওয়াল লাইলা’ কিতাবে আবু হুরায়রা সুত্রে
এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিষী (র) হাদীসটি হাসান গরীব পর্যায়ের এবং ইমাম নাসাঈ
(র) ঘুনকার’ তথা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ৷
তিরমিষী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তা আলা তার পিঠে হাত ৩বৃলান ৷ সাথে সাথে কিয়ড়ামত
পর্যন্ত আগমনকারী তার সবক টি সন্তান তার পিঠ থেকে ঝরে পড়ে ৷ আর আল্লাহ্ তা আলা
তাদের প্রত্যেকের দু’ চোখের মাঝে একটি করে নুরের দীপ্তি স্থাপন করে দিয়ে তাদেরকে আদম
(আ)-এর সামনে ৫পশ করেন ৷ তখন আদম (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আমার রব! এরা
কারা? আল্লাহ্ বললেন, এরা তোমার সন্তান-সন্ততি ৷ তখন তাদের একজনের দুচােখের মাঝে
দীপ্তিতে বিমুগ্ধ হয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার রব! ইনি কে? আল্লাহ বললেন, যে
তোমার ভবিষ্যত বংশধরের দাউদ নামক এক ব্যক্তি ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এর আযু
কত নির্ধারণ করেছন? আল্লাহ বললেন : ষাট বছর ৷ আদম (আ) বললেন, হে আমার রব ৷
আমার আয়ু থেকে নিয়ে এর আযু আরো চল্লিশ বছর বৃদ্ধি করে দিন ৷ তারপর যখন আদম
(আ)-এর আয়ু শেষ হয়ে যায়; তখন জান কবয করার জন্য আযরাঈল (আ) তার কাছে
আগমন করেন ৷ তখন তিনি বললেন, আমার আযু না আরো চল্লিশ বছর বাকি আছে?
আযরাঈল (আ) বললেন, কেন আপনি না তা আপনার সন্তান দাউদ (আ)-কে দিয়ে
দিয়েছিলেন? কিন্ত আদম (আ) তা অস্বীকার করে বলেন ৷ এ কারণে তার সন্তানদের মধ্যে
অস্বীকৃতির প্রবণতা রয়েছে ৷ তিনি পুর্বের কথা তুলে যান ৷ ফলে তার সন্তানদের মধ্যেও
বিস্মৃতির প্রবণতা রয়েছে ৷ আদম (আ) ত্রুটি করেন, তাই তার সন্তানরাও ত্রুটি করে থাকে ৷
ইমাম তিরমিষী (র) হাদীসটি হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ আবু হুরায়রা (রা)
থেকে আরো একাধিক সুত্রে হ্াদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ হাকিম (র) তীর মুস্তাদরাকে আবু নুআয়ম
(ফযল ইবনে দুকায়ন)-এর সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন, ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী
হাদীসটি সহীহ ৷ তবে ইমাম বুখারী ও মুসলিমের কেউই হাদীসটি বর্ণনা করেননি ৷ আর ইবনে
আবু হড়াতিম (র) হড়াদীসটির যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে এও আছে যে আল্লাহ্ তাআলা আদম
(আ)-এর বংশধরকে তার সামনে পেশ করে বললেন, ৫হ আদম ! এরা তোমার সন্তান-সন্ততি ৷
তখন আদম (আ) তাদের মধ্যে কুষ্ঠ ও ৫শ্বভী ৫রাপী, অন্ধ এবং আরো নানা প্রকার ব্যাধিগ্নস্ত
লোক দেখতে পেয়ে বললেন, হে আমার বব ! আমার সন্তানদের আপনি এ দশা করলেন কেন ?
আল্লাহ বললেন, করেছি এ জন্য যাতে আমার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয় ৷ এর পরে
বর্ণনঢিতে দাউদ (আ)-এর প্রসঙ্গও রয়েছে-যা ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে পরে আসছে ৷
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ. وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَوْلَهُ.
وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو حَاتِمٍ، وَابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ فَقَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَنَفَخَ فِيهِ الرُّوحَ عَطَسَ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. فَحَمِدَ اللَّهَ بِإِذْنِ اللَّهِ. فَقَالَ لَهُ رَبُّهُ: يَرْحَمُكَ رَبُّكَ يَا آدَمُ، اذْهَبْ إِلَى أُولَئِكَ الْمَلَائِكَةِ إِلَى مَلَأٍ مِنْهُمْ جُلُوسٍ فَسَلِّمْ عَلَيْهِمْ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَبِّهِ، فَقَالَ: هَذِهِ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ بَنِيكَ بَيْنَهُمْ. وَقَالَ اللَّهُ وَيَدَاهُ مَقْبُوضَتَانِ: اخْتَرْ أَيَّهُمَا شِئْتَ. فَقَالَ: اخْتَرْتُ يَمِينَ رَبِّي، وَكِلْتَا يَدَيْ رَبِّي يَمِينٌ مُبَارَكَةٌ، ثُمَّ بَسَطَهُمَا فَإِذَا فِيهِمَا آدَمُ وَذُرِّيَّتُهُ فَقَالَ: أَيْ رَبِّ مَا هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ ذَرِّيَّتُكَ. وَإِذَا كَلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مَكْتُوبٌ عُمُرُهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَإِذَا فِيهِمْ رَجُلٌ أَضْوَؤُهُمْ أَوْ مِنْ أَضْوَئِهِمْ لَمْ يُكْتَبْ لَهُ إِلَّا أَرْبَعُونَ سَنَةً، قَالَ: يَا رَبِّ مَا هَذَا؟ قَالَ: هَذَا ابْنُكَ دَاوُدُ. وَقَدْ كَتَبَ اللَّهُ عُمُرَهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، قَالَ: أَيْ رَبِّ زِدْ فِي عُمُرِهِ. فَقَالَ: ذَاكَ الَّذِي كُتِبَ
পৃষ্ঠা - ২০৩
ইমাম আহমদ (র) তার মুসনাদে বর্ণনা করেন যে, আবুদ্ দড়ারদা (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ
(সা) বলেছেন : যথা সময়ে অল্লোহ্ তাআলা আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে তার ডান কাধে
আঘাত করে মুক্তার ন্যায় ধবধবে সাদা তার একদল সন্তানকে বের করেন ৷ আবার তার বাম
কাধে আঘাত করে কয়লার ন্যায় মিশমিশে কালো একদল সন্তানকে বের করে আনেন ৷ তারপর
ডান পাশের গুলোকে বললেন, তোমরা জান্নড়াতপামী, আমি কারো পরোয়া করি না ৷ আর বাম
র্কাধের গুলোকে বললেন, তোমরা জাহান্নামগড়ামী , আমি কারো পরোয়া করি না ৷
ইবনে আবুদ্ দুনিয়া (র) বর্ণনা করেন যে, হাসান (ব) বলেন, “আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে
আল্লাহ তাআলা তার ডান পার্শ্বদেশ থেকে জান্নাতীদের আর বাম পার্শ্বদেশ থেকে জাহান্নড়ামীদের
বের করে এনে তাদেরকে যমীনে নিক্ষেপ করেন ৷ এদের মধ্যে কিছু লোককে অন্ধ, বধির ও
অন্যান্য রোগে আক্রান্ত দেখে আদম (আ) বললেন, হে আমার রব! আমার সন্তানদের সকলকে
এক সমান করে সৃষ্টি যে করলেন না তার হেতৃ কি ? আল্লাহ বললেন, “আমি চাই যে , আমার
শুকরিয়া আদায় হোক ৷ আব্দুর রাঘৃযাক অনুরুপ রিওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন হিব্বানের এ সংক্রান্ত বর্ণনার শেষ দিকে আছে আল্পাহ্র মর্জি মোতাবেক আদম
(আ) কিছুকাল জান্নাতে বসবাস করেন ৷ তারপর সেখান থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন ৷
অবশেষে এক সময় আযরড়াঈল (আ) তার নিবটি আগমন করলে তিনি বললেন, আমার আযু
তাে এক হাজার বছর ৷ আপনি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসে পড়েছেন ৷ আযরাঈল (আ)
বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন ৷ কিন্তু আপনি না আপনার আবু থেকে চল্লিশ বছর আপনার
সন্তান দাউদকে দিয়ে দিয়েছিলেন ৷ বিক্ষ্ম আদম (আ) তা অস্বীকার করে বলেন ৷ ফলে তার
সন্তানদের মধ্যেও অস্বীকার করার প্রবণতা সৃষ্টি হয় ৷ তিনি পুর্বের কথা ভুলে যান ৷ ফলে তার
সন্তানদের মধ্যে বিস্মৃতির প্রবণতা দেখা দেয় ৷ সেদিন থেকেই পারস্পরিক লেন-দেন লিপিবদ্ধ
করে রাখার এবং সাক্ষী রাখার আদেশ জারি হয় ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“আল্লড়াহ্ তাআলা হযরত আদম (আ)-কে ষাট হাত দীর্ঘ করে সৃষ্টি করেন ৷ তারপর বললেন,
ঐ ফেরেশতা দলের কাছে গিয়ে তুমি তাদের সালাম কর এবং লক্ষ্য করে শোন, তারা তোমাকে
কি উত্তর দেয় ৷ কারণ এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তান-সস্ততির অভিবড়াদন ৷ আদেশ
মত্হু ¢$£;<:fi§fi$fi§?fifi§ গিয়ে তিনি ন্হ্র ণুপুণ্ ’হ্রাট্রুএে ৷ বলে সালাম করেন, আর তারা
বলে উত্তর দেন ৷ উল্লেখ্য যে, আদমের সন্তানদের যারইি
জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারা সকলেই আদম (আ) এর আকৃতিসম্পন্ন হবে ৷ ধীরে ধীরে হ্রাস
পেতে পেতে মানুষের উচ্চতা এখন এ পর্যায়ে এসে পৌছেছে ৷
অনুরুপ ইমাম বুখারী (র) কিতাবুল ইস্তিয়ানে’ আর ইমাম মুসলিম (র) তার গ্রন্থে ভিন্ন
ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে , আবু হুরায়রা (বা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আদম (আ)-এর উচ্চতা ছিল ষাট হাত আর প্রস্থ সাত হাত ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, বকেয়া লেন দেন লিপিবদ্ধ
করে রাখার আদেশ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সর্বপ্রথম যিনি
আল বিদড়ায়া ওয়ান নিহড়ায়া ( ১ম খণ্ড)প্তেমোঃা-
لَهُ. قَالَ: فَإِنِّي قَدْ جَعَلْتُ لَهُ مِنْ عُمُرِي سِتِّينَ سَنَةً. قَالَ: أَنْتَ وَذَاكَ، اسْكُنِ الْجَنَّةَ. فَسَكَنَ الْجَنَّةَ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ هَبَطَ مِنْهَا، وَكَانَ آدَمُ يَعُدُّ لِنَفْسِهِ، فَأَتَاهُ مَلَكُ الْمَوْتِ، فَقَالَ لَهُ آدَمُ: قَدْ عَجِلْتَ قَدْ كُتِبَ لِي أَلْفُ سَنَةٍ. قَالَ: بَلَى، وَلَكِنَّكَ جَعَلْتَ لِابْنِكَ دَاوُدَ مِنْهَا سِتِّينَ سَنَةً. فَجَحَدَ آدَمُ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ، وَنَسِيَ فَنَسِيَتْ ذَرِّيَّتُهُ، فَيَوْمَئِذٍ أُمِرَ بِالْكِتَابِ وَالشُّهُودِ.» هَذَا لَفْظُهُ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَسَقَطَ مِنْ ظَهْرِهِ كُلُّ نَسَمَةٍ هُوَ خَالِقُهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَجَعَلَ بَيْنَ عَيْنَيْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ وَبِيصًا مِنْ نُورٍ، ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى آدَمَ فَقَالَ: أَيْ رَبِّ مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ ذُرِّيَّتُكَ. فَرَأَى رَجُلًا مِنْهُمْ فَأَعْجَبَهُ وَبِيصَ مَا بَيْنَ عَيْنَيْهِ فَقَالَ: أَيْ رَبِّ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا رَجُلٌ مِنْ آخِرِ الْأُمَمِ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ يُقَالُ لَهُ: دَاوُدُ. قَالَ: رَبِّ وَكَمْ جَعَلْتَ عُمُرَهُ؟ قَالَ: سِتِّينَ سَنَةً. قَالَ: أَيْ رَبِّ زِدْهُ مِنْ عُمُرِي أَرْبَعِينَ سَنَةً. فَلَمَّا انْقَضَى عُمُرُ آدَمَ جَاءَهُ مَلَكُ الْمَوْتِ، قَالَ: أَوَلَمَ يَبْقَ مِنْ عُمُرِي أَرْبَعُونَ سَنَةً؟ قَالَ: أَوَلَمَ تُعْطِهَا ابْنَكَ دَاوُدَ! قَالَ: فَجَحَدَ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ، وَنَسِيَ آدَمُ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ، وَخَطِئَ آدَمُ فَخَطِئَتْ ذُرِّيَّتُهُ.» ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ. وَقَالَ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২০৪
أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا فَذَكَرَهُ، وَفِيهِ: «ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى آدَمَ، فَقَالَ: يَا آدَمُ هَؤُلَاءِ ذَرِّيَّتُكَ، وَإِذَا فِيهِمُ الْأَجْذَمُ، وَالْأَبْرَصُ، وَالْأَعْمَى، وَأَنْوَاعُ الْأَسْقَامِ، فَقَالَ آدَمُ: يَا رَبِّ لِمَ فَعَلْتَ هَذَا بِذَرِّيَّتِي. قَالَ: كَيْ تَشْكُرَ نِعْمَتِي» . ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ دَاوُدَ، وَسَتَأْتِي مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي مُسْنَدِهِ: حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ حِينَ خَلَقَهُ فَضَرَبَ كَتِفَهُ الْيُمْنَى فَأَخْرَجَ ذُرِّيَّةً بَيْضَاءَ كَأَنَّهُمُ الدُّرُّ، وَضَرَبَ كَتِفَهُ الْيُسْرَى فَأَخْرَجَ ذُرِّيَّةً سَوْدَاءَ كَأَنَّهُمُ الْحُمَمُ، فَقَالَ لِلَّذِي فِي يَمِينِهِ: إِلَى الْجَنَّةِ وَلَا أُبَالِي. وَقَالَ لِلَّذِي فِي كَتِفِهِ الْيُسْرَى: إِلَى النَّارِ وَلَا أُبَالِي» .
وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ سِنَانٍ، عَنْ حَوْشَبٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ حِينَ خَلَقَهُ، فَأَخْرَجَ أَهْلَ الْجَنَّةِ مِنْ صَفْحَتِهِ الْيُمْنَى، وَأَخْرَجَ أَهْلَ النَّارِ مِنْ صَفْحَتِهِ الْيُسْرَى، فَأُلْقُوا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِنْهُمُ الْأَعْمَى، وَالْأَصَمُّ، وَالْمُبْتَلَى، فَقَالَ آدَمُ: يَا رَبِّ أَلَا سَوَّيْتَ بَيْنَ وَلَدِي. قَالَ: يَا آدَمُ إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أُشْكَرَ. وَهَكَذَا رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بِنَحْوِهِ.
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ
পৃষ্ঠা - ২০৫
অস্বীকার করেন; তিনি হলেন আদম (আ), সর্বপ্রথম যিনি অস্বীকার করেন, তিনি হলেন আদম
(আ), সর্বপ্রথম যিনি অস্বীকার করেন, তিনি হলেন আদম (আ) ৷ ঘটনা হলো-আল্লাহ্
তাআলা আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে তার পৃষ্ঠদেশে হাত বুলিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী
সকল মানুষকে বের করে এনে তাদের তার সামনে পেশ করেন ৷ তাদের মধ্যে তিনি উজ্জ্বল
এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে বললেন, হে আমার বব! ইনি কে? আল্লাহ বলেন, যে তোমার
সন্তান দাউদ ৷ আদম (আ) জিজ্ঞেস করলেন, এর আযু কত? আল্লাহ বললেন, ষাট বছর ৷
আদম (আ) বললেন, এর আবু আরো বাড়িয়ে দিন ৷ আল্লাহ্ বলেন না তা হবে না ৷ তবে
তোমার আযু থেকে কর্তন করে বাড়াতে পারি ৷ উল্লেখ্য যে, আদম (আ)এর আযু ছিল এক
হাজার বছর ৷ তার থেকে কর্তা করে আল্লাহ্ তাআলা দাউদ-এর আবু চল্লিশ বছর বৃদ্ধি
করেন ৷
এ ব্যাপারে চুক্তিনামা লিপিবদ্ধ করে নেন এবং ফেরেশতাদের সাক্ষী রাখেন ৷ অবশেষে
আদম (আ)-এর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে তার জান কবয করার জন্য একদিন আযরাইল
(আ) তার কাছে আগমন করেন ৷ তখন তিনি বললেন, আমার আযুর তো আরো চল্লিশ বছর
বাকি আছে ৷ উত্তরে বলা হলো, কেন আপনি না তা আপনার সন্তান দাউদকে দিয়ে দিয়েছিলেন!
আদম (আ) তা অস্বীকার করে বললেন, আমি তো এমনটি করিনি৷ তখন প্রমাণস্বরুপ আল্লাহ
তাআলা পুর্বের লিখিত চুক্তিনামা তার সামনে তুলে ধরেন এবং ফেরেশতাগণ এ ব্যাপারে সাক্ষ্য
প্রদান করেন ৷”
ইমাম আহমদের অনুরুপ আরেকটি বর্ণনার শেবাংশে আছে : “অবশেষে আল্লাহ দাউদের
বয়স একশ বছর আর আদম (আ)-এর এক হাজার বছর পুর্ণ করে দেন ৷ ” তাবারানী (র)ও
অনুরুপ একটি রিওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম মালিক ইবনে আনাস (র) বর্ণনা করেন যে, মুসলিম ইবনে য়াসার (র) বলেন, উমর
ইবনে খাত্তাব (রা)-কে ব্লু৷ ৷ প্রপুর্চু পুর্ষী ^১)দ্বু এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি
বললেন, এ আয়াত সস্পবিতি এক প্রশ্নের জবাবে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি যে,
তিনি বলেন : আল্লাহ তাআলা আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে তার পিঠে নিজের ডান হাত বুলিয়ে
তার সন্তানদের একদল বের করে এনে বললেন, এদেরকে আমি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করলাম ৷
এরা জান্নাভীদের আমলই করবে ৷ তারপর পুনরায় হাত বুলিয়ে আরেক দল সন্তানকে বের করে
এনে বললেন, এদের আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি ৷ এরা জাহান্নড়ামীদেরই আমল করবে ৷
এ কথা শুনে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাহলে আমল করার প্রয়োজন
কি? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আল্লাহ যাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তার থেকে
তিনি জান্নাতীদেরই আমল করান ৷ আমৃত্যু জান্নড়াতীদের আমল করতে করতেই শের পর্যন্ত যে
জান্নড়াতে চলে যাবে ৷ পক্ষাম্ভার যাকে তিনি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন; তার দ্বারা তিনি
জাহড়ান্নামীদের আমলই করান ৷ আমৃত্যু জাহান্নামীদের আমল করতে করতেই শেষ পর্যন্ত যে
জ্বাহান্নামে পৌছেযাবে ৷” ৰু ন্
أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذَرِّيَّتِكَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا: السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَزَادُوهُ " وَرَحْمَةُ اللَّهِ " فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الِاسْتِئْذَانِ عَنْ يَحْيَى بْنِ جَعْفَرٍ، وَمُسْلِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ طُولُ آدَمَ سِتِّينَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِ أَذْرُعٍ عَرْضًا» . انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ «ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ آيَةُ الدَّيْنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَحَدَ آدَمُ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَحَدَ آدَمُ، إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَحَدَ آدَمُ، إِنِ اللَّهَ لَمَّا خَلَقَ آدَمَ وَمَسَحَ ظَهْرَهُ فَأَخْرَجَ مِنْهُ مَا هُوَ ذَارِئٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، فَجَعَلَ يَعْرِضُ ذُرِّيَّتَهُ عَلَيْهِ، فَرَأَى فِيهِمْ رَجُلًا يَزْهَرُ، قَالَ: أَيْ رَبِّ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا ابْنُكَ دَاوُدُ. قَالَ: أَيْ رَبِّ كَمْ عُمُرُهُ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২০৬
ইমাম আহমদ আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে জারীর ও ইবনে আবু হাতিম ও আবু
হাতিম ইবন হিব্বান (ব) বিভিন্ন সুত্রে ইমাম মড়ালেক (ব) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তবে উমর (রা) নিকট
থেকে মুসলিম ইবন ইয়াসার (র) সরাসরি হাদীসটি শুনেননি ৷ আবু হাতিম ও আবু যুরআ (র)
এ অভিমত পেশ করেছেন ৷ আবু হাতিম (র) আরো বলেছেন যে, এ দুজনের মাঝে আরেক
রাবী নুয়ায়ম ইবনে রবীয়া রয়েছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ হড়াদীসটির সুত্রে ইবনে যায়েদ ইবনে
খাত্তাব, মধ্যবর্তী রাবী নুয়ায়ম ইবন রবীয়ার নামও উল্লেখ করেছেন ৷ দারা কুতনী বলেন,
“উপরোক্ত সব কটি হাদীস এ কথা প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্ তাআলা আদম (আ)-এর
সন্তানদের তারই পিঠ থেকে ছোট ছোট পিপড়ার মত বের করে এসেছেন এবং তাদেরকে ডান
ও বাম এ দৃ’দলে বিভক্ত করে ডান দলকে বলেছেন, তোমরা জান্নাতী, আমি কাউকে পরোয়া
করি না ৷ আর বাম দলকে বলেছেন, তোমরা জাহান্নড়ামী, আমার কারো পরোয়া নেই ৷”
পক্ষাস্তরে তাদের নিকট থেকে সাক্ষ্য এবং আল্লাহর একতু সম্পর্কে তাদের থেকে স্বীকারোক্তি
নেয়ার কথা প্রামাণ্য কোন হাদীস পাওয়া যায় না ৷ সুরা আরাফের একটি আয়াতকে এ অর্থে
প্রয়োগ করার ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে ৷ যথান্থানে এ বিষয়ে আমি সবিস্তার আলোচনা করেছি ৷
তবে এ মর্মে ইমাম আহমদ (র) কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদীস আছে ৷ ইমাম মুসলিমের
শর্তানুযায়ী যার সনদ উত্তম ও শক্তিশালী ৷ হাদীসটি হলো :
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তাআলা জিলহভ্রুজ্জর নয়
তারিখে নু’মান নামক স্থানে আদম (আ)-এব পিঠ থেকে অঙ্গীকার নেন ৷ তারপর তার যেরুদণ্ড
থেকে (কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী) তার সকল সন্তানকে বের করে এসে তার সম্মুখে ছড়িয়ে
দেন ৷ তারপর তাদের সাথে সামনা-সামনি কথা বলেন ৷ তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি
তোমাদের বব নই? তারা বলল, নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষী থাকলাম ৷ এ স্বীকৃতি গ্রহণ এ জন্য যে,
তোমরা যেন কিয়ামতের দিন বলতে না পারো আমরা তো এ ব্যাপারে অনবহিত ছিলাম ৷ কিংবা
তোমরা যেন বলতে না পায় যে, আমাদের পুর্ব-পুরুষগংইি তো আমাদের পুর্বে শিবক করে ৷
আর আমরা তো তাদের পরবর্তী বংশধর, তবে কি পথভ্রষ্টদের কৃত-কর্মের জন্য তুমি আমাদের
ধ্বংস করবে ? (৭ : ১৭২ ১৭৩) ’
ইমাম নাসাঈ, ইবন জারীর ও হাকিম (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাকিম (র)
হাদীসটির সনদ সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ প্রামাণ্য কথা হলো , বর্ণিত হাদীসটি আসলে ইবন
আব্বাস (রা)-এর উক্তি ৷ আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকেও মওকুফ, মরকু উভয় সুত্রেই
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে মওফুক সুত্রটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ ৷ তবে অধিকাৎশ আলিমেব
মতে, সেদিন আদম (আ)-এর সন্তানদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে ৷ তাদের দলীল
হলো, ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীসটি ৷ যাতে আছে
আনড়াস (রা) বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “কিয়ামতের দিন কোন এক জাহান্নামীকে
বলা হবে আচ্ছা, যদি তুমি পৃথিবীর সমুদয় বন্তু-স্যারের মালিক হতে; তাহলে এখন
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তার সমস্ত কিছু ঘুক্তিপণ রুপে দিতে প্রস্তুত থাকতে ? উত্তরে
سِتُّونَ عَامًا. قَالَ: أَيْ رَبِّ زِدْ فِي عُمُرِهِ. قَالَ: لَا إِلَّا أَنْ أَزِيدَهُ مِنْ عُمُرِكَ. وَكَانَ عُمُرُ آدَمَ أَلْفَ عَامٍ فَزَادَهُ أَرْبَعِينَ عَامًا، فَكَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِذَلِكَ كِتَابًا، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةَ، فَلَمَّا احْتُضِرَ آدَمُ أَتَتْهُ الْمَلَائِكَةُ لِتَقْبِضَهُ، قَالَ: إِنَّهُ قَدْ بَقِيَ مِنْ عُمُرِي أَرْبَعُونَ عَامًا. فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ قَدْ وَهَبْتَهَا لِابْنِكَ دَاوُدَ. قَالَ: مَا فَعَلْتُ. وَأَبْرَزَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَشَهِدَتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَحَدَ آدَمُ قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ إِنِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا خَلَقَهُ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَأَخْرَجَ ذُرِّيَّتَهُ فَعَرَضَهُمْ عَلَيْهِ فَرَأَى فِيهِمْ رَجُلًا يَزْهَرُ، فَقَالَ: أَيْ رَبِّ زِدْ فِي عُمُرِهِ. قَالَ: لَا إِلَّا أَنْ تَزِيدَهُ أَنْتَ مِنْ عُمُرِكَ. فَزَادَهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ فَكَتَبَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ كِتَابًا وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةَ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَقْبِضَ رُوحَهُ، قَالَ: إِنَّهُ بَقِيَ مِنْ أَجَلِي أَرْبَعُونَ سَنَةً. فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ قَدْ جَعَلْتَهَا لِابْنِكَ دَاوُدَ. قَالَ: فَجَحَدَ. قَالَ: فَأَخْرَجَ اللَّهُ الْكِتَابَ، وَأَقَامَ عَلَيْهِ الْبَيِّنَةَ فَأَتَمَّهَا لِدَاوُدَ مِائَةَ سَنَةٍ، وَأَتَمَّ لِآدَمَ عُمُرَهُ أَلْفَ سَنَةً» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ فِي حَدِيثِهِ نَكَارَةٌ. وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مِنْهَالٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ آيَةُ الدَّيْنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَحَدَ آدَمُ» . ثَلَاثًا. وَذَكَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ২০৭
وَقَالَ الْإِمَامُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ فِي مُوَطَئِهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى} [الأعراف: 172] . الْآيَةَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُ عَنْهَا فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً، قَالَ: خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ، وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ. ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً، قَالَ: خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلنَّارِ، وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَلَقَ اللَّهُ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ، وَإِذَا خَلَقَ اللَّهُ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُ بِهِ النَّارَ» .
وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَأَبُو حَاتِمِ بْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَمُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عُمَرَ. وَكَذَا قَالَ أَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ زَادَ أَبُو حَاتِمٍ: وَبَيْنَهُمَا نُعَيْمُ بْنُ رَبِيعَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُصَفَّى، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ جُعْثُمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২০৮
সে বলবে, জী হী৷ ৷ তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তো তোমার নিকট থেকে এর চাইতে আরো
সহজটাই চেয়েছিলাম ৷ আদম (আ)-এর পিঠে থাকা অবস্থায় আমি তোমার নিকট থেকে
অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, আমার সাথে তুমি কাউকে শরীক করবে না ৷ কিত্তু তা প্রত্যাখ্যান
করে তুমি শরীক না করে ছাড়ােনি ৷ শুবার বরাতে বুখারী (র) এবং মুসলিম (র) হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷
, ,
আবু জ ফব রাযী (র) বর্ণনা করেন যে উবাই ইবন কাব (বা) ;ৰু৷ ! প্ৰ ন্, ১! ১ ৷ এ
আয়াত এবং এর পরবর্তী আয়াতে তর ব্যাখ্যার বলেন কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মানুষ
সৃষ্টি করে আল্লাহ্ ত৷ আলা তাদের এক স্থানে সমবেত করেন ৷ তারপর তাদের সাথে কথা
বলেন ও তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন এবং তাদের নিজেদেরকেই তাদের
সাক্ষীরুপে রেখে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “আমি কি তোমাদের রব নই? র্তারা বলল, জী হী৷ ৷
আল্লাহ্ বললেন, এ ব্যাপারে আমি সাত আসমান, সাত যমীন এবং তোমাদের পিতা আদমকে
সাক্ষী রাখলাম, যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা এ কথা বলতে না পার যে, এ ব্যাপারে তো
আমরা কিছুই জানতাম না ৷ তোমরা জেনে রাখ যে, আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই , আমি ব্যতীত
কোন বব নেই ৷ আর আমার সাথে তোমরা কাউকে শরীক করে৷ না ৷ তোমাদের নিকট
পর্যায়ক্রমে আমি রাসুল পাঠাব, তারা তোমাদেৱকে আমার এ অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে
সতর্ক করবেন ৷ আর তোমাদের কাছে আমি আমার কিতাব নাযিল করব ৷” তারা বলল, আমরা
সাক্ষ্য দিলাম যে, আপনি আমাদের বর ও ইলাহ ৷ আপনি ব্যতীত আমাদের কোন বর বা ইলাহ
নেই ৷ মােটকথা, সেদিন তারা আল্লাহর আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছিল ৷
এরপর উপর থেকে দৃষ্টিপাত করে আদম (আ) তাদের মধ্যে ধনী-পরীব ও সুশ্রী-ক্শ্ৰী
সকল ধরনের লোক দেখতে পেয়ে বললেন, হে আমার বব! আপনার বান্দাদের সকলকে যদি
সমান করে সৃষ্টি করতে ন আল্পাহ্ বললেন, আমি চাই আমার শুকরিয়৷ আদায় করা হোক ৷
এরপর আদম (আ) নবীগণকে তাদের মধ্যে প্রদীপের ন্যায় দীপ্তিমান দেখতে পান ৷ আল্লাহ
তা আল৷ তাদের নিকট থেকে বিসালাত ও নবুওতের বিশেষ অঙ্গীকার গ্রহণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গেই
আল্লাহ তাআলা বলেন
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন আমি নবীগণের নিকট থেকে অঙ্গীকা ৷র গ্রহণ করেছিলাম এবং
তোমার নিকট থেকেও এবং নুহ, ইব্রাহীম, মুসা ও মারয়াম তনয় ঈসার নিকট থেকে-এদের
নিকট থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার ৷ (৩৩০ ৭)
ন্ওর্দুর্মু
ধ্র্টু ৷ ণ্ঠো১া
অর্থাৎ-তুমি একনিষ্ঠ হয়ে নিজেকে দীনে প্রতিষ্ঠিত কর ৷ আল্লাহর প্রকৃতির অনুসরণ কর,
যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন ৷ আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই ৷
(৩০ং : ৩০ )
عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَدْ سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ الْحَافِظُ الدَّارَقُطْنِيُّ: وَقَدْ تَابَعَ عُمَرَ بْنَ جُعْثُمٍ أَبُو فَرْوَةَ يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الرَّهَاوِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ قَالَ: وَقَوْلُهُمَا أَوْلَى بِالصَّوَابِ مِنْ قَوْلِ مَالِكٍ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ كُلُّهَا دَالَّةٌ عَلَى اسْتِخْرَاجِهِ تَعَالَى ذُرِّيَّةَ آدَمَ مِنْ ظَهْرِهِ كَالذَّرِّ، وَقِسْمَتِهِمْ قِسْمَيْنِ ; أَهْلِ الْيَمِينِ، وَأَهْلِ الشَّمَالِ. وَقَالَ: هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ وَلَا أُبَالِي، وَهَؤُلَاءِ لِلنَّارِ وَلَا أُبَالِي. فَأَمَّا الْإِشْهَادُ عَلَيْهِمْ، وَاسْتِنْطَاقُهُمْ بِالْإِقْرَارِ بِالْوَحْدَانِيَّةِ فَلَمْ يَجِئْ فِي الْأَحَادِيثِ الثَّابِتَةِ، وَتَفْسِيرُ الْآيَةِ الَّتِي فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ، وَحَمْلُهَا عَلَى هَذَا فِيهِ نَظَرٌ، كَمَا بَيَّنَّاهُ هُنَاكَ، وَذَكَرْنَا الْأَحَادِيثَ وَالْآثَارَ مُسْتَقْصَاةً بِأَسَانِيدِهَا وَأَلْفَاظِ مُتُونِهَا فَمَنْ أَرَادَ تَحْرِيرَهُ فَلْيُرَاجِعْهُ ثَمَّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ، عَنْ كُلْثُومِ بْنِ جَبْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ أَخَذَ الْمِيثَاقَ مِنْ ظَهْرِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِنُعْمَانَ يَوْمَ عَرَفَةَ فَأَخْرَجَ مِنْ صُلْبِهِ كُلَّ ذُرِّيَّةٍ ذَرَأَهَا فَنَثَرَهَا
পৃষ্ঠা - ২০৯
ষ্এএৰু অর্থাৎ-অতীতের সতককারীদের ন্যায় এ নবীও একজন
সতবকিারী ৷ (৫৩ : ৫৭)
’
অর্থাৎ আমি তাদের অধিকাৎশকে প্রতিশ্রুতি পালনকারী পাইনি বরং তাদের
অধিকাংশকে তো সত্যত্যাগী পেয়েছি ৷ (৭ : ১০২)
ইমাম আব্দুল্লাহ্ ইবন আহমদ, ইবন আবু হাতিম, ইবন জারীর ও ইবন মারদুওয়েহ্ (র)
র্তাদের নিজ নিজ তাফসীর গ্রন্থে আবু জাফর (র) সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ মুজাহিদ,
ইকরিমা, সাঈদ ইবন জুবায়র, হাসান বসরী, কাতাদা ও সুদ্দী (র) প্রমুখ পুর্বসুরি আলিম
থেকেও এসব হাদীসের সমর্থনে বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ আর পুর্বে আমরা এ কথাটি উল্লেখ করে
এসেছি যে, ফেরেশতাগণ আদম (আ)-কে সিজদা করার জন্যে আদিষ্ট হলে ইবলীস ব্যতীত
সকলেই সে থােদায়ী ফরমান পালন করেন ৷ ইবলীস হিংসা ও শত্রুতাবশত সিজদা করা থেকে
বিরত থাকে ৷ ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে আপন সান্নিধ্য থেকে বিতাড়িত করে অভিশপ্ত
শয়তান বানিয়ে পৃথিবীতে নিৰ্বাসন দেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে , আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
“আদমের সন্তানরা সিজদার আয়াত পাঠ করে যখন সিজদা করে; ইবলীস তখন একদিকে সরে
গিয়ে র্কাদতে শুরু করে এবং বলে, হায় কপাল ! আল্লাহর আদেশ পালনড়ার্থে সিজদা করে আদম
সন্তান জান্নাতী হলো আর সিজদার আদেশ অমান্য করে আমি হলাম জাহান্নড়ামী ৷” ইমাম
মুসলিমও হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
যাহোক, আদম (আ) ও তার সহধর্মিনী হাওয়া (আ) জান্নাতে তা অড়াসমানেরই হোক,
বা যমীনেরই কোন উদ্যান হোক যে মতভেদের কথা পুর্বেই বিবৃত হয়েছে কিছুকাল
বসবাস করেন এবং অবাধে ও স্বচ্ছন্দে সেখানে আহারাদি করতে থাকেন ৷ অবশেষে নিষিদ্ধ
বৃক্ষের ফল আহার করার তাদের পরিধানের পোশাক ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং তাদেরকে
পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয় ৷ অবতরণের ক্ষেত্র সম্পর্কে মতভেদের কথা পুর্বেই উল্লেখ করা
হয়েছে ৷
জান্নাতে আদম (আ)-এর অবস্থানকাল সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ কারো মতে দুনিয়ার
হিসাবের একদিনের কিছু অংশ ৷ আবু হুরায়রা (রা) থেকে মরকু সুত্রে ইমাম মুসলিম (র) কর্তৃক
বর্ণিত একটি হাদীস উপরে উল্লেখ করে এসেছি যে, আদম (আ)-কে জুমআর দিনের শেষ
প্রহরে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ আরেক বংনািয় এও আছে যে, জুমআর দিন আদম (আ) কে সৃষ্টি
করা হয় আর এদিনেই তাকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ সুতরাং যদি এমন হয়ে থাকে
যে, যেদিন আদম (আ)-এর সৃষ্টি হয় ঠিক সেদিনই জান্নাত থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন, তাহলে
একথা বলা যায় যে, তিনি একদিনের মাত্র কিছু অংশ জান্নাতে অবস্থান করেছিলেন ৷ তবে এ
বক্তব্যটি বিতর্কের উর্ধে নয় ৷ পক্ষান্তরে যদি তার বহিষ্কার সৃষ্টির দিন থেকে ভিন্ন কোন দিনে
হয়ে থাকে কিৎবা ঐ ছয় দিনের সময়ের পরিমাণ ছয় হাজার বছর হয়ে থাকলে সেখানে তিনি
بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ كَلَّمَهُمْ قُبُلًا، قَالَ: {أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنَّ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ أَوْ تَقُولُوا إِلَى قَوْلِهِ: الْمُبْطِلُونَ} [الأعراف: 172] .» فَهُوَ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ قَوِيٍّ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، وابْنُ جَرِيرٍ، وَالْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ حَدِيثِ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْحَاكِمُ: صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ، إِلَّا أَنَّهُ اخْتَلَفَ فِيهِ عَلَى كُلْثُومِ بْنِ جَبْرٍ ; فَرَوَى عَنْهُ مَرْفُوعًا، وَمَوْقُوفًا. وَكَذَا رَوَى عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْعَوْفِيُّ، وَالْوَالِبِيُّ، وَالضَّحَّاكُ، وَأَبُو جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلَهُ. وَهَذَا أَكْثَرُ وَأَثْبَتُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا رَوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو مَوْقُوفًا وَمَرْفُوعًا. وَالْمَوْقُوفُ أَصَحُّ.
وَاسْتَأْنَسَ الْقَائِلُونَ بِهَذَا الْقَوْلِ ; وَهُوَ أَخْذُ الْمِيثَاقِ عَلَى الذُّرِّيَّةِ وَهُمُ الْجُمْهُورُ بِمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يُقَالُ لِلرَّجُلِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: لَوْ كَانَ لَكَ مَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ أَكُنْتَ مُفْتَدِيًا بِهِ. قَالَ: فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيَقُولُ: قَدْ أَرَدْتُ مِنْكَ مَا هُوَ أَهْوَنُ مِنْ ذَلِكَ، قَدْ أَخَذْتُ عَلَيْكَ فِي ظَهْرِ آدَمَ أَنْ لَا تُشْرِكَ بِي شَيْئًا فَأَبَيْتَ إِلَّا أَنْ تُشْرِكَ
পৃষ্ঠা - ২১০
بِي» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ.
وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ: عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ} [الأعراف: 172] . الْآيَةَ وَالَّتِي بَعْدَهَا قَالَ: فَجَمَعَهُمْ لَهُ يَوْمَئِذٍ جَمِيعًا مَا هُوَ كَائِنٌ مِنْهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَخَلَقَهُمْ، ثُمَّ صَوَّرَهُمْ، ثُمَّ اسْتَنْطَقَهُمْ فَتَكَلَّمُوا، وَأَخَذَ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِمْ أَنْفُسَهُمْ: أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى. الْآيَةَ قَالَ: فَإِنِّي أُشْهِدُ عَلَيْكُمُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ، وَأُشْهِدُ عَلَيْكُمْ أَبَاكُمْ آدَمَ، أَنْ لَا تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ: لَمْ نَعْلَمْ بِهَذَا. اعْلَمُوا أَنَّهُ لَا إِلَهَ غَيْرِي، وَلَا رَبَّ غَيْرِي، وَلَا تُشْرِكُوا بِي شَيْئًا، وَإِنِّي سَأُرْسِلُ إِلَيْكُمْ رُسُلًا يُنْذِرُونَكُمْ عَهْدِي وَمِيثَاقِي، وَأُنْزِلُ عَلَيْكُمْ كِتَابِي. قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّكَ رَبُّنَا، وَإِلَهُنَا لَا رَبَّ لَنَا غَيْرُكَ، وَلَا إِلَهَ لَنَا غَيْرُكَ. فَأَقَرُّوا لَهُ يَوْمَئِذٍ بِالطَّاعَةِ، وَرَفَعَ أَبَاهُمْ آدَمَ فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ، فَرَأَى فِيهِمُ الْغَنِيَّ وَالْفَقِيرَ، وَحَسَنَ الصُّورَةِ وَدُونَ ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا رَبِّ لَوْ سَوَّيْتَ بَيْنَ عِبَادِكَ. فَقَالَ: إِنِّي أَحْبَبْتُ أَنْ أُشْكَرَ، وَرَأَى فِيهِمُ الْأَنْبِيَاءَ مِثْلَ السُّرُّجِ عَلَيْهِمُ النُّورُ، وَخُصُّوا بِمِيثَاقٍ آخَرَ مِنَ الرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ فَهُوَ الَّذِي يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا} [الأحزاب: 7] . وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ: {فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ} [الروم: 30] . وَفِي ذَلِكَ قَالَ: {هَذَا نَذِيرٌ مِنَ النُّذُرِ الْأُولَى} [النجم: 56] . وَفِي ذَلِكَ قَالَ: {وَمَا وَجَدْنَا لِأَكْثَرِهِمْ مِنْ عَهْدٍ وَإِنْ وَجَدْنَا أَكْثَرَهُمْ لَفَاسِقِينَ} [الأعراف: 102] . رَوَاهُ الْأَئِمَّةُ ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ مَرْدَوَيْهِ فِي تَفَاسِيرِهِمْ مِنْ طَرِيقِ
পৃষ্ঠা - ২১১
সুদীর্ঘ সময়ই অবস্থান করে থাকবেন ৷ যেমন ইবন আব্বাস (রা), মুজাহিদ ও যাহ্হাক (র)
থেকে বর্ণিত এবং ইবন জারীর (র) কর্তৃক সমর্থিত হয়েছে বলে পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷
ইবনে জারীর (র) বলেন, এটা জানা কথা যে, আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে জুমআ
দিবসের শেষ প্রহরে ৷ আর তথাকার এক প্রহর দুনিয়ার তিরাশি বছর চার মাসের সমান ৷ এতে
প্রমাণিত হয় যে, রুহ সঞ্চারের পুর্বে মাটির মুর্তিরুপে আদম (আ) চল্লিশ বছর এমনিতেই পড়ে
রয়েছিলেন ৷ আর পৃথিবীতে অবতরণের পুর্বে জান্নাতে অবস্থান করেছেন তেতাল্লিশ বছর চার
মাস কাল ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
আবদুর রায্যাক (র) বর্ণনা করেন যে, ’আতা ইবনে আবু রাবাহ (র) বলেন, আদম
(আ)-এর পদদ্বয় যখন পৃথিবী স্পর্শ করে তখনো তার মাথা ছিল আকাশে ৷ তারপর আল্লাহ তার
দৈর্ঘ্য ষটি হাতে কমিয়ে আনেন ৷ ইবন আ ব্বাস (রা) সুত্রেও এরুপ একটি বর্ণনা আছে ৷ তবে এ
তথ্যটি আপত্তিকর ৷ কারণ ইতিপুর্বে আবু হুরায়রা (রা) কতুকি সর্বজন স্বীকৃত বিশুদ্ধ হাদীস
উদ্ধৃত করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা আদম (অড়া)-কে ষাট হাত
দীর্ঘ করে সৃষ্টি করেন ৷ এরপর তার সন্তানদের উচ্চতা কমতে কমতে এখন এ পর্যন্ত এসে
পৌছেছে ৷ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আদম (আ)-কে সৃষ্টিই করা হয়েছে ষাট হাত দৈর্ঘ্য
দিয়ে তার বেশি নয় ৷ আর তার সন্তানদের উচ্চতড়াহ্রড়াস পেতে পেতে এখন এ পর্যায়ে এসে
উপনীত হয়েছে ৷
ইবনে জারীর (র) ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , আল্লাহ তাআলা বলেন, হে
আদম ! আমার আরশ বরাবর পৃথিবীতে আমার একটি সম্মানিত স্থান আছে ৷ তুমি গিয়ে তথায়
আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে তা তড়াওয়াফ কর, যেমনটি ফেরেশতারা আমার আরশ
তড়াওয়াফ করে ৷ অতঃপর আল্পাহ্ তাআলড়া তার কাছে একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন ৷ তিনি
আদম (আ)-কে জায়গাটি দেখিয়ে দেন এবং তাকে হরুজ্জর করণীয় কাজসমুহ শিখিয়ে দেন ৷
ইবনে জারীর (র) আরো উল্লেখ করেন যে, দুনিয়ার যেখানে সেখানে আদম (আ)-এর
পদচারণা হয়, পরবর্তীতে সেখানেই এক একটি জনবসতি গড়ে ওঠে ৷
ইবনে আব্বাস (রা) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, পৃথিবীত আদম (আ)-এর প্রথম খাদ্য
ছিল গম ৷ জিবরাঈল (আ) তার কাছে সাতটি গমের বীজ নিয়ে উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন, এগুলো কি? জিবরাঈল (আ) বললেন, এই তো আপনার সেই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল,
যা আপনি থেয়েছিলেন ৷ আদম (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো আমি কি করব? জিবরাঈল
(আ) বললেন, যমীনে বপন করবেন ৷ উল্লেখ্য যে, তার প্রতিটি বীজের ওজন ছিল দুনিয়ার এক
লক্ষ দানা অপেক্ষা বেশি ৷ বীজগুলো বোপণ করার পর ফসল উৎপন্ন হলে আদম (আ) তা
কেটে মাড়িয়ে পিষে আটা বানিয়ে খড়ামির করে রুটি বানিয়ে বহু ক্লেশ ও শ্রমের পর তা আহার
করেন ৷ এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ্ তাআলা বলেন : প্লুপু প্রোপ্রুহু র্দু র্বু!ৰু সুতরাং সে যেন
তোমাদের কিছুতেই জান্নাত থেকে বের করে না দেয় ৷ দিলে তোমরা দুঃখ পাবে ৷ ’ ( ২০ ১ ১ ৭ )
أَبِي جَعْفَرٍ. وَرَوَى عَنْ مُجَاهِدٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَقَتَادَةَ، وَالسُّدِّيِّ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ بِسِيَاقَاتٍ تُوَافِقُ هَذِهِ الْأَحَادِيثَ. وَتَقَدَّمَ أَنَّهُ تَعَالَى لَمَّا أَمَرَ الْمَلَائِكَةَ بِالسُّجُودِ لِآدَمَ امْتَثَلُوا كُلُّهُمُ الْأَمْرَ الْإِلَهِيَّ، وَامْتَنَعَ إِبْلِيسُ مِنَ السُّجُودِ لَهُ حَسَدًا، وَعَدَاوَةً لَهُ فَطَرَدَهُ اللَّهُ وَأَبْعَدَهُ، وَأَخْرَجَهُ مِنَ الْحَضْرَةِ الْإِلَهِيَّةِ وَنَفَاهُ عَنْهَا، وَأَهْبَطَهُ إِلَى الْأَرْضِ طَرِيدًا مَلْعُونًا شَيْطَانًا رَجِيمًا.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَيَعْلَى، وَمُحَمَّدٌ ابْنَا عُبَيْدٍ قَالُوا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَرَأَ ابْنُ آدَمَ السَّجْدَةَ فَسَجَدَ اعْتَزَلَ الشَّيْطَانُ يَبْكِي يَقُولُ: يَا وَيْلَهُ أُمِرَ ابْنُ آدَمَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ فَلَهُ الْجَنَّةُ، وَأُمِرْتُ بِالسُّجُودِ فَعَصَيْتُ فَلِيَ النَّارُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ، وَأَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ.
ثُمَّ لَمَّا أُسْكِنَ آدَمُ الْجَنَّةَ الَّتِي أُسْكِنَهَا سَوَاءٌ كَانَتْ فِي السَّمَاءِ أَوْ فِي الْأَرْضِ عَلَى مَا تَقَدَّمَ مِنَ الْخِلَافِ فِيهِ أَقَامَ بِهَا هُوَ وَزَوْجَتُهُ حَوَّاءُ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ يَأْكُلَانِ مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شَاءَا، فَلَمَّا أَكَلَا مِنَ الشَّجَرَةِ الَّتِي نُهِيَا عَنْهَا سُلِبَا مَا كَانَا فِيهِ مِنَ اللِّبَاسِ، وَأُهْبِطَا إِلَى الْأَرْضِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا الِاخْتِلَافَ فِي مَوَاضِعَ
পৃষ্ঠা - ২১২
আদম ও হাওয়া (আ) সর্বপ্রথম যে পেশোক পরিধান করেন, তা ছিল ভেড়ার পশমের
তৈরি ৷ প্রথমে চামড়া থেকে পশমগুলাে খসিয়ে তা দিয়ে সুতা তৈরি করেন ৷ তারপর আদম
(আ) নিজের জন্য একটি জুব্বা আর হাওয়ার জন্য একটি কামীজ ও একটি ওড়না তৈরি করে
নেন ৷
জান্নাতে থাকাবন্থায় তাদের কোন সন্তানাদি জন্যেছিল কিনা এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে ৷
কারো কারো মতে, পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও র্তাদের কোন সন্তান জন্মেনি ৷ কেউ বলেন,
জন্মেছে ৷ কাবীল ও তার বোনের জন্ম জান্নড়াতেই হয়েছিল ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
উল্লেখ্য যে, প্রতি দফায় আদম (আ)-এর এক সঙ্গে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা
, সন্তান জন্ম নিত ৷ আর এক গর্ভের পুত্রের সঙ্গে পরবর্তী গর্ডের কন্যার ও কন্যার সঙ্গে
পুত্রের বিবাহ দেওয়ার বিধান দেওয়া হয় ৷ পরবর্তীতে একই গর্তো৷ দৃভাই-ণ্বানের বিবাহ
নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷
هُبُوطِهِ مِنْهَا، وَاخْتَلَفُوا فِي مِقْدَارِ مَقَامِهِ فِي الْجَنَّةِ ; فَقِيلَ: بَعْضُ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا. وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا «وَخُلِقَ آدَمُ فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ» . وَتَقَدَّمَ أَيْضًا حَدِيثُهُ عَنْهُ: «وَفِيهِ يَعْنِي يَوْمَ الْجُمُعَةِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا» . فَإِنْ كَانَ الْيَوْمَ الَّذِي خُلِقَ فِيهِ، فِيهِ أُخْرِجَ، وَقُلْنَا: إِنَّ الْأَيَّامَ السِّتَّةَ كَهَذِهِ الْأَيَّامِ، فَقَدْ لَبِثَ بَعْضَ يَوْمٍ مِنْ هَذِهِ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَإِنْ كَانَ إِخْرَاجُهُ فِي غَيْرِ الْيَوْمِ الَّذِي خُلِقَ فِيهِ أَوْ قُلْنَا: بِأَنَّ تِلْكَ الْأَيَّامَ مِقْدَارُهَا سِتَّةُ آلَافِ سَنَةٍ، كَمَا تَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَالضَّحَّاكِ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، فَقَدْ لَبِثَ هُنَاكَ مُدَّةً طَوِيلَةً. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَمَعْلُومٌ أَنَّهُ خُلِقَ فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ، وَالسَّاعَةُ مِنْهُ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً وَأَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ، فَمَكَثَ مُصَوَّرًا طِينًا قَبْلَ أَنْ يُنْفَخَ فِيهِ الرُّوحُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَأَقَامَ فِي الْجَنَّةِ قَبْلَ أَنْ يَهْبِطَ ثَلَاثًا وَأَرْبَعِينَ سَنَةً وَأَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ سَوَّارٍ خَبَرَ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ كَانَ لَمَّا أُهْبِطَ، رِجْلَاهُ فِي الْأَرْضِ وَرَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ فَحَطَّهُ اللَّهُ إِلَى سِتِّينَ ذِرَاعًا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ ; لِمَا تَقَدَّمَ مِنَ الْحَدِيثِ الْمُتَّفِقِ عَلَى صِحَّتِهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا،
পৃষ্ঠা - ২১৩
فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ، وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ خُلِقَ كَذَلِكَ لَا أَطْوَلَ مِنْ سِتِّينَ ذِرَاعًا، وَأَنَّ ذُرِّيَّتَهُ لَمْ يَزَالُوا يَتَنَاقَصُ خَلْقُهُمْ حَتَّى الْآنَ» .
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ اللَّهَ قَالَ: يَا آدَمُ إِنَّ لِي حَرَمًا بِحِيَالِ عَرْشِي، فَانْطَلِقْ فَابْنِ لِي فِيهِ بَيْتًا فَطُفْ بِهِ. كَمَا تَطُوفُ مَلَائِكَتِي بِعَرْشِي. وَأَرْسَلَ اللَّهُ لَهُ مَلَكًا فَعَرَّفَهُ مَكَانَهُ، وَعَلَّمَهُ الْمَنَاسِكَ، وَذَكَرَ أَنَّ مَوْضِعَ كُلِّ خَطْوَةٍ خَطَاهَا آدَمُ صَارَتْ قَرْيَةً بَعْدَ ذَلِكَ.
وَعَنْهُ أَنَّ أَوَّلَ طَعَامٍ أَكَلَهُ آدَمُ فِي الْأَرْضِ أَنْ جَاءَهُ جِبْرِيلُ بِسَبْعِ حَبَّاتٍ مِنْ حِنْطَةٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالَ: هَذَا مِنَ الشَّجَرَةِ الَّتِي نُهِيتَ عَنْهَا فَأَكَلْتَ مِنْهَا. فَقَالَ: وَمَا أَصْنَعُ بِهَذَا؟ قَالَ: ابْذُرْهُ فِي الْأَرْضِ. فَبَذَرَهُ، وَكَانَ كُلُّ حَبَّةٍ مِنْهَا زِنَتُهَا أَزْيَدُ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ، فَنَبَتَتْ، فَحَصَدَهُ، ثُمَّ دَرَسَهُ، ثُمَّ ذَرَاهُ، ثُمَّ طَحَنَهُ، ثُمَّ عَجَنَهُ، ثُمَّ خَبَزَهُ، فَأَكَلَهُ بَعْدَ جَهْدٍ عَظِيمٍ، وَتَعَبٍ، وَنَكَدٍ. وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى {فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى} [طه: 117] . وَكَانَ أَوَّلُ كُسْوَتِهِمَا مِنْ شَعْرِ الضَّأْنِ جَزَّاهُ، ثُمَّ غَزَلَاهُ فَنَسَجَ آدَمُ لَهُ جُبَّةً، وَلِحَوَّاءَ دِرْعًا وَخِمَارًا.
وَاخْتَلَفُوا هَلْ وُلِدَ لَهُمَا بِالْجَنَّةِ شَيْءٌ مِنَ الْأَوْلَادِ؟ فَقِيلَ: لَمْ يُولَدْ لَهُمَا إِلَّا فِي الْأَرْضِ. وَقِيلَ: بَلْ وُلِدَ لَهُمَا فِيهَا. فَكَانَ قَابِيلُ وَأُخْتُهُ مِمَّنْ وُلِدَ بِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يُولَدُ لَهُ فِي كُلِّ بَطْنٍ ذَكَرٌ وَأُنْثَى، وَأُمِرَ أَنْ يُزَوِّجَ كُلَّ ابْنِ أُخْتِ أَخِيهِ الَّتِي وُلِدَتْ مَعَهُ، وَالْآخَرُ بِالْأُخْرَى، وَهَلُمَّ جَرًّا، وَلَمْ يَكُنْ تَحِلُّ أُخْتٌ لِأَخِيهَا الَّذِي، وُلِدَتْ مَعَهُ.
পৃষ্ঠা - ২১৪
কাৰীল ও হাবীলের কাহিনী
আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
;
, ( ,
? (
ঞে
’ (
অর্থাৎ আদমের দৃ’ পুত্রের বৃত্তান্ত তুমি তাদেরকে যথাযথভাবে শোনাও , যখন তারা উভয়ে
কুরবানী করেছিল তখন একজনের কুরবানী কবুল হলো, অন্য জনের কবুল হলো না ৷ তাদের
একজন বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব-ই ৷ অপরজন বলল, আল্লাহ মুত্তাকীদের কুরবানী
কবুল করেন ৷
আমাকে হত্যা করার জন্য আমার প্রতি তুমি হাত বাড়ালেও তোমাকে হত্যা করার জন্য
আমি হাত বাড়ার না ৷ আমি তো জগতসমুহের রব আল্লাহকে ভয় করি ৷ আমি চাই যে, তুমি
আমার ও তোমার পাপের ভার বহন করে জাহান্নামী হও এবং এটা জালিমদের কর্মফল ৷
তারপর তার প্ৰর্বৃত্তি তাকে তার ভাইকে হত্যায় প্ৰরোচিত করল এবং সে তাকে হত্যা করল,
ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো ৷
তারপর আল্লাহ্ তাআলা একটি কাক পাঠালেন যে তার ভাই-এর লাশ কিভাবে গোপন
করা যায় তা দেখাবার জন্য মাটি খুড়তে লাগল ৷ সে বলল, হায় ! আমি কি এ কাকের মতও
হতে পারলাম না যাতে আমার ভাই-এর লাশ গোপন করতে পারি? তারপর সে অনুতপ্ত
হলো
তাফসীর গ্রন্থে আমরা সুরা মায়িদার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে এ কাহিনী সম্পর্কে যথেষ্ট আলোচনা
করেছি ৷ এখানে শুধু পুর্বসুরি ইমামগণ এ বিষয়ে যা বলেছেন তার সারাংশ উল্লেখ করব ৷
[ذِكْرُ قِصَّةِ ابْنَيْ آدَمَ قَابِيلَ وَهَابِيلَ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ بِالْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ لَئِنْ بَسَطْتَ إِلَيَّ يَدَكَ لِتَقْتُلَنِي مَا أَنَا بِبَاسِطٍ يَدِيَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ فَطَوَّعَتْ لَهُ نَفْسُهُ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ فَبَعَثَ اللَّهُ غُرَابًا يَبْحَثُ فِي الْأَرْضِ لِيُرِيَهُ كَيْفَ يُوَارِي سَوْأَةَ أَخِيهِ قَالَ يَاوَيْلَتَا أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَذَا الْغُرَابِ فَأُوَارِيَ سَوْأَةَ أَخِي فَأَصْبَحَ مِنَ النَّادِمِينَ} [المائدة: 27]
[الْمَائِدَةِ: 27 - 31] . قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْقِصَّةِ فِي سُورَةِ الْمَائِدَةِ فِي التَّفْسِيرِ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَلْنَذْكُرْ هُنَا مُلَخَّصَ مَا ذَكَرَهُ أَئِمَّةُ السَّلَفِ فِي ذَلِكَ، فَذَكَرَ السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، وَأَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ نَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، أَنَّ آدَمَ كَانَ يُزَوِّجُ ذَكَرَ كُلِّ بَطْنٍ بِأُنْثَى الْأُخْرَى، وَأَنَّ هَابِيلَ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ بِأُخْتِ قَابِيلَ، وَكَانَ أَكْبَرَ مِنْ هَابِيلَ، وَأُخْتُ قَابِيلَ أَحْسَنُ فَأَرَادَ قَابِيلُ أَنْ يَسْتَأْثِرَ بِهَا عَلَى أَخِيهِ، وَأَمَرَهُ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يُزَوِّجَهُ إِيَّاهَا فَأَبَى، فَأَمَرَهُمَا أَنْ يُقَرِّبَا قُرْبَانًا، وَذَهَبَ آدَمُ لِيَحُجَّ
পৃষ্ঠা - ২১৫
সুদ্দী (র) ইবন আব্বাস ও ইবন মাসউদ (রা)-সহ কতিপয় সাহাবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
আদম (আ) এক গর্ভের পুত্র সন্তানের সঙ্গে অন্য গর্ভের কন্যা সম্ভানকে বিয়ে দিতেন ৷ হাবীল
সে মতে কাবীলের যমজ বোনকে বিয়ে করতে মনস্থ করেন ৷ কাবীল বয়সে হাবীলের চাইতে
বড় ছিল ৷ আর তার বোন ছিল অত্যধিক রুপসী ৷ >
তাই কাবীল ভাইকে না দিয়ে নিজেই আপন বোনকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইল
এবং আদম (আ) হাবীলের সাথে তাকে বিবাহ দেয়ার আদেশ করলে সে তা অগাহ্য করল ৷
ফলে আদম (আ) তাদের দৃ’জনকে কুরৰানী করার আদেশ দিয়ে নিজে হজ্জ করার জন্য মক্কায়
চলে যান ৷ যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি আসমানসমুহকে তার সন্তানদের দেখাশুনার দায়িত্ব দিতে
চান কিন্তু তারা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় ৷ যমীন এবং পাহাড় পর্বতসমুহকে তা নিতে বললে
তারাও অস্বীকৃতি জানায় ৷ অবশেষে কাবীল এ দায়িত্বভার গ্রহণ করে ৷
তারপর আদম (আ) চলে গেলে তারা তাদের কুরৰানী করে ৷ হাবীল একটি মােটা-তাজা
বকরী কুরৰানী করেন ৷ তার অনেক বকরী ছিল ৷ আর কাবীল কুরৰানী দেয় নিজের উৎপাদিত
নিম্নমানের এক বোঝা শস্য ৷
তারপর আগুন হাবীলের কুরৰানী গ্রাস করে নেয় আর কাবীলের কুরৰানী অগাহ্য করে ৷
এতে কাবীল ক্ষেপে গিয়ে বলল, তোমাকে আমি হত্যা করেই ছাড়ব ৷ যাতে করে তুমি আমার
বোনকে বিয়ে করতে না পড়ার ৷ উত্তরে হাবীল বললেন, আল্লাহ্ তাআলা কেবল মুত্তার্কীদের
কুরৰানী-ই কবুল করে থাকেন ৷
ইবন আব্বাস (বা) থেকে আরো একাধিক সুত্রে এবং আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকেও
এটা বর্ণিত আছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন অড়ামর (রা) বলেন, আল্লাহর কসম ৷ তাদের দুজনের মধ্যে
নিহত সােকটি-ই অধিকতর শক্তিশালী ছিল ৷ বিক্ষ্ম নিদোর্ষ থাকার প্রবণতা তাকে হভ্যাকারীর
প্রতি হাত বাড়ানো থেকে বিরত রাখে ৷
আবু জাফর আল-বাকির (র) বলেন, আদম (আ) হাবীল ও কাবীলের কুরৰানী করার এবং
হাবীলের কুরৰানী কবুল হওয়ার আর কাবীলের কুরৰানী কবুল না হওয়ার প্রতক্ষেদর্শী ছিলেন ৷
তখন কাবীল বলল, ওর জন্য আপনি দুআ করেছিলেন বিধায় তার কুরৰানী কবুল হয়েছে আর
আমার জন্য আপনি দৃআই করেননি ৷ সাথে সাথে সে ভাইকে হুমকি প্রদান করে ৷
এর কিছুদিন পর একরাতে হাবীল পশুপাল নিয়ে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব করেন ৷ ফলে আদম
(আ) তার ভাই কাবীলকে বললেন, দেখতাে ওর আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন? কাবীল গিয়ে
হাবীলকে চারণ ভুমিতে দেখতে পেয়ে তাকে বলল, তোমার কুরৰানী কবুল হলো আর
আমারটা হয়নি ৷ হাবীল বললেন, আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের কুরৰানী-ই কবুল করে থাকেন ৷ এ
কথা শুনে চটে গিয়ে কাবীল সাথে থাকা একটি লোহার টুকরো দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা
করে ৷
১ মুল আরবীতে সম্ভবত ভুলবশত কাবীল স্থলে হাবীল ছাপা হয়েছে ৷ সম্পাদকদ্বয়
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খমোঃগ্যেষ্ট্র৮-শ্
إِلَى مَكَّةَ، وَاسْتَحْفَظَ السَّمَاوَاتِ عَلَى بَنِيهِ فَأَبَيْنَ، وَالْأَرَضِينَ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ، فَتَقَبَّلَ قَابِيلُ بِحِفْظِ ذَلِكَ، فَلَمَّا ذَهَبَ قَرَّبَا قُرْبَانَهُمَا، فَقَرَّبَ هَابِيلُ جَذَعَةً سَمِينَةً، وَكَانَ صَاحِبَ غَنَمٍ، وَقَرَّبَ قَابِيلُ حِزْمَةً مِنْ زَرْعٍ مِنْ رَدِيءِ زَرْعِهِ، فَنَزَلَتْ نَارٌ فَأَكَلَتْ قُرْبَانَ هَابِيلَ، وَتَرَكَتْ قُرْبَانَ قَابِيلَ فَغَضِبَ. وَقَالَ: لِأَقْتُلَنَّكَ حَتَّى لَا تَنْكِحَ أُخْتِي. فَقَالَ: إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ. وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ الْمَقْتُولُ لَأَشَدَّ الرَّجُلَيْنِ، وَلَكِنْ مَنْعَهُ التَّحَرُّجُ أَنْ يَبْسُطَ إِلَيْهِ يَدَهُ.
وَذَكَرَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ: أَنَّ آدَمَ كَانَ مُبَاشِرًا لِتَقَرُّبِهِمَا الْقُرْبَانَ، وَالتَّقَبُّلُ مِنْ هَابِيلَ دُونَ قَابِيلَ، فَقَالَ: قَابِيلُ لِآدَمَ: إِنَّمَا تَقُبِّلَ مِنْهُ لِأَنَّكَ دَعَوْتَ لَهُ، وَلَمْ تَدْعُ لِي. وَتَوَعَّدَ أَخَاهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ، فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ أَبْطَأَ هَابِيلُ فِي الرَّعْيِ، فَبَعَثَ آدَمُ أَخَاهُ قَابِيلَ لِيَنْظُرَ مَا أَبْطَأَ بِهِ، فَلَمَّا ذَهَبَ إِذَا هُوَ بِهِ فَقَالَ لَهُ: تُقُبِّلَ مِنْكَ، وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنِّي. فَقَالَ: إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ. فَغَضِبَ قَابِيلُ عِنْدَهَا، وَضَرَبَهُ بِحَدِيدَةٍ كَانَتْ مَعَهُ فَقَتَلَهُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا قَتَلَهُ بِصَخْرَةٍ رَمَاهَا عَلَى رَأْسِهِ وَهُوَ نَائِمٌ فَشَدَخَتْهُ. وَقِيلَ: بَلْ خَنَقَهُ خَنْقًا شَدِيدًا وَعَضًّا، كَمَا تَفْعَلُ السِّبَاعُ فَمَاتَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَوْلُهُ لَهُ لَمَّا تَوَعَّدَهُ بِالْقَتْلِ: {لَئِنْ بَسَطْتَ إِلَيَّ يَدَكَ لِتَقْتُلَنِي مَا أَنَا بِبَاسِطٍ يَدِيَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 28] . دَلَّ عَلَى خُلُقٍ حَسَنٍ، وَخَوْفٍ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، وَخَشْيَةٍ مِنْهُ، وَتَوَرُّعٍ أَنْ يُقَابِلَ أَخَاهُ بِالسُّوءِ الَّذِي أَرَادَ مِنْهُ أَخُوهُ مِثْلُهُ، وَلِهَذَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ،
পৃষ্ঠা - ২১৬
عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ: «إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ» . وَقَوْلُهُ: {إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ} [المائدة: 29] . أَيْ: إِنِّي أُرِيدُ تَرْكَ مُقَاتَلَتِكَ، وَإِنْ كُنْتُ أَشَدَّ مِنْكَ، وَأَقْوَى إِذْ قَدْ عَزَمْتَ عَلَى مَا عَزَمْتَ عَلَيْهِ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ. أَيْ: تَتَحَمَّلُ إِثْمَ قَتْلِي مَعَ مَا لَكَ مِنَ الْآثَامِ الْمُتَقَدِّمَةِ قَبْلَ ذَلِكَ. قَالَهُ مُجَاهِدٌ، وَالسُّدِّيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ أَنَّ آثَامَ الْمَقْتُولِ تَتَحَوَّلُ بِمُجَرَّدِ قَتْلِهِ إِلَى الْقَاتِلِ، كَمَا قَدْ تَوَهَّمَهُ بَعْضُ النَّاسِ، فَإِنَّ ابْنَ جَرِيرٍ حَكَى الْإِجْمَاعَ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ.
وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي يُورِدُهُ بَعْضُ مَنْ لَا يَعْلَمُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا تَرَكَ الْقَاتِلُ عَلَى الْمَقْتُولِ مِنْ ذَنْبٍ» . فَلَا أَصْلَ لَهُ، وَلَا يُعْرَفُ فِي شَيْءٍ مِنْ كُتُبِ الْحَدِيثِ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ وَلَا حَسَنٍ وَلَا ضَعِيفٍ أَيْضًا، وَلَكِنْ قَدْ يَتَّفِقُ فِي بَعْضِ الْأَشْخَاصِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُطَالِبُ الْمَقْتُولُ الْقَاتِلَ، فَتَكُونُ حَسَنَاتُ الْقَاتِلِ لَا تَفِي بِهَذِهِ الظُّلْمَةِ فَتُحَوَّلُ مِنْ سَيِّئَاتِ الْمَقْتُولِ إِلَى الْقَاتِلِ، كَمَا ثَبَتَ بِهِ الْحَدِيثُ الصَّحِيحُ فِي سَائِرِ الْمَظَالِمِ، وَالْقَتْلُ مَنْ أَعْظَمِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ حَرَّرْنَا هَذَا كُلَّهُ فِي التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২১৭
কেউ কেউ বলেন কাবীল ঘুমন্ত অবস্থায় হাবীলকে একটি পাথর খণ্ড নিক্ষেপে তার মাথা
চুর্ণ বিচুর্ণ করে দেয় ৷ কেউ কেউ বলেন, কাবীল সজােরে হাবীলের গলা টিপে ধরে এবং ইিৎস্র
পশুর ন্যায় তাকে কামড় দেয়াতেই তিনি মারা য়ান ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
স্পোণ্
ণ্
মোঃ ৷ দ্বুর্মু৷ ৷ র্মুব্রাছুা
অর্থাৎ আমাকে খুন করার জন্য তুমি আমার প্রতি হাত বাড়ালেও তোমাকে খুন করার
জন্য আমি তোমার প্রতি হাত বাড়াবার নই ৷ (৫ : ২৮)
কাবীলের হত্যার হুমকির জবাবে হাবীলের এ বক্তব্য তার উত্তম চরিত্র, খােদাভীতি এবং
ভাই তার ক্ষতি সাধন করার যে সংকল্প ব্যক্ত করেছিল তার প্ৰতিশোধ নেয়া থেকে তার বিরত
থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় ৷
এ প্রসঙ্গেই সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন :
তরবারি উচিয়ে দু’ মুসলিম মুখোমুখি হলে হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি দৃ’জনেই জাহান্নামে
যাবে ৷ একথা শুনে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! হত্যাকারী জাহান্নামে
যাওয়ার কারণটা তো বুঝলাম, কিন্তু নিহত ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে তার কারণ? উত্তরে
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন৪ এর কারণ সেও তার সঙ্গীকে হত্যার জন্য লালায়িত ছিল ৷
এএশু
া৷হ্র৷ ৷ ৷দ্বু ৷ ,;
অর্থাৎ আমিণ্ তামার সাথে লড়াই করা পরিহার করতে ৩চাই ৷ যদিও আমি তোমার চেয়ে
বেশি শক্তিশালী ৷ কারণ আমি এ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছি যে, তুমি আমার ও তোমার পাপের তার
বহন করবে ৷ অর্থাৎ তোমার পুর্ববর্তী পাপসমুহের সাথে আমাকে হত্যা করার পাপের বোঝাও
তুমি বহন করবে, আমি এটাই চাই ৷ মুজাহিদ সুদ্দী ও ইবন জারীর (র) প্রমুখ আলোচ্য
আঘাতের এ অর্থ করেছেন ৷ এ আঘাতের উদ্দেশ্য এটা নয় যে, নিছক হত্যার কারণে নিহত
ব্যক্তির যাবতীয় পাপ হত্যাকারীর ঘাড়ে গিয়ে চাপে, যেমনটি কেউ কেউ ধারণা করে থাকেন ৷
কেননা, ইবন জারীর এ মতের বিপরীত মতকে সর্ববড়াদী সম্মত মত বলে বর্ণনা করেছেন ৷
অজ্ঞাত নামা কেউ কেউ এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন : হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির যিম্মায় কোন পাপ অবশিষ্ট রাখে না ৷ কিন্তু এর কোন ভিত্তি
নেই এবং হাদীসের কোন কিভাবে সহীহ; হাসান বা যয়ীফ কোন সনদে এর প্রমাণ পাওয়া যায়
না ৷ তবে কারো কারো ব্যাপারে কিয়ামতের দিন এমনটি ঘটবে যে, নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীর
নিকট ক্ষতিপুরণ দাবি করবে ৷ কিন্তু হত্যাকারীর লেক আমলসমুহ তা পুরণ করতে পারবে না ৷
ফলে নিহত ব্যক্তির পড়াপকর্মহত্যাকারীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে ৷ যেমনটি সর্বপ্রকার
অত্যাচা ৷বা-অবিচ ৷রের ব্যাপারে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ৷ আর হত্যা হলো, সব জুলুমের বড়
জুলুম ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷৩ তাফসীবে আমরা এসব আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছি ৷ সকল প্রশংসা
আল্লাহরই প্রাপ্য ৷
أَبِي وَقَّاصٍّ أَنَّهُ قَالَ عِنْدَ فِتْنَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ: أَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي» . قَالَ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ دَخَلَ عَلَيَّ بَيْتِي فَبَسَطَ يَدَهُ إِلَيَّ لِيَقْتُلَنِي. قَالَ: «كُنْ كَابْنِ آدَمَ» . وَرَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ مَرْفُوعًا. وَقَالَ «كُنْ كَخَيْرِ ابْنَيْ آدَمَ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ، وَأَهْلُ السُّنَنِ إِلَّا النَّسَائِيَّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ نَحْوَ هَذَا.
وَأَمَّا الْآخَرُ فَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ قَالَا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الْأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا ; لِأَنَّهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ» . وَرَوَاهُ الْجَمَاعَةُ سِوَى أَبِي دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ أَنَّهُمَا قَالَا مِثْلَ هَذَا سَوَاءً.
وَبِجَبَلِ قَاسِيُونَ شَمَالِيَّ دِمَشْقَ مَغَارَةٌ يُقَالُ لَهَا: مَغَارَةُ الدَّمِ. مَشْهُورَةٌ بِأَنَّهَا الْمَكَانُ الَّذِي قَتَلَ قَابِيلُ أَخَاهُ هَابِيلَ عِنْدَهَا. وَذَلِكَ مِمَّا تَلَقَّوْهُ عَنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّةِ ذَلِكَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ بْنِ كَثِيرٍ. وَقَالَ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الصَّالِحِينَ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمْرَ، وَهَابِيلَ، وَأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ২১৮
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিষী (র) সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি উছমান ইবন আফ্ফান (রা)ণ্এর পােলযোগের সময় বলেছিলেন, আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “অদুর ভবিষ্যতে এমন একটি গোলযােগ হবে যে, সে
সময়ে বসে থাকা ব্যক্তি দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চাইতে, দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলন্ত ব্যক্তির চাইতে
এবং চলন্ত ব্যক্তি ধাবমান ব্যক্তির চাইতে উত্তম হবে ৷ ” এ কথা শুনে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(বা) বললেন, আচ্ছা, কেউ যদি আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে হত্যা করার জন্য হাত বাড়ায়
তখন আমি কি করব? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : “তখন তুমি আদমের পুত্রের ন্যায় হয়ো ৷”
হুযায়ফা ইবন য়ামান (রা) থেকে ইবন মারদুয়েহ মারকু স্যুত্র এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
তাতে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “তখন তুমি আদমের দৃ’পুত্রের উত্তমজনের ন্যায় হয়ো ৷ ”
মুসলিম এবং একমাত্র নাসাঈ ব্যতীত সুনান সংকলকগণ আবু যর (যা) থেকে এরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷
আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
“অন্যায়ভাবে যে ব্যক্তিই নিহত হয় তার খুনের একটি দায় আদমের প্রথম পুত্রের ঘাড়ে চাপে ৷
কারণ সে-ই সর্বপ্রথম হত্যার রেওয়াজ প্রবর্তন করে ৷”
আবু দাউদ (র) ব্যতীত সিহাহ সিত্তাহ্র সংক কলকগণ এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ড্ডাপ
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন অসে (রা) ও ইবরাহীম নাখয়ী (র) থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা
এতটুকু বলার পর আরো বলেছেন যে, দামেশৃকের উত্তর সীমান্তে কাসিউন পাহাড়ের সন্নিকটে
একটি বধ্যভুমি আছে বলে কথিত আছে ৷ এ স্থানটিকে মাগারাতৃদ দাম বলা হয়ে থাকে ৷
কেননা সেখানেই কাবীল তার ভাই হাবীলকে খুন করেছিল বলে কথিত আছে ৷ এ তথ্যটি
আহলে কিতাবদের থেকে সংগৃহীত ৷ তাই এর যথার্থত৷ সম্পর্কে আল্লাহ-ই ভালো জানেন ৷
হাফিজ ইবন আসাকির (র)৩ তার গ্রন্থে আহমদ ইবন কাসীর (র) এর জীবনী প্রসঙ্গে উল্লেখ
করেছেন যে, তিনি একজন পুণ্যবান লোক ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (সা), আবু বকর (বা) ,
উমর (রা) ও হাবীলকে স্বপ্ন দেখেন ৷ তিনি হাবীলকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করেন যে, এখানেই
তার রক্তপাত করা হয়েছে কি না ৷ তিনি শপথ করে তা স্বীকার করেন এবং বলেন যে, তিনি
আল্লাহর নিকট দু’আ করেছিলেন, যেন তিনি এ স্থানটিকে সব দুআ কবুল হওয়ার স্থান করে
দেন ৷ আল্লাহ তাআল৷ তার দৃআ কবুল করেন ৷ আর রড়াসুলুল্লাহ (সা) এ ব্যাপারে র্তাকে
সমর্থন দান করে বলেন : আবু বকর (রা) ও উমর (রা) প্রতি বৃহস্পতিবার এ স্থানটির যিয়ারত
করেন ৷ এটি একটি স্বপ্ন মাত্র ৷ ঘটনাটি সত্যি সত্যি আহমদ ইবন কালীর-এর হলেও এর উপর
শরয়ী বিধান ক৷ ৷র্যকর হবে না ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
৷ এ্যা
অর্থাৎ তারপর আল্লাহ এক কাক পাঠালেন, যে তার ভইি-এর শব কিভ৷ ৷বে গোপন করা
যায় তা দেখাবার জন্য মাটি খনন করতে লাগল ৷ সে বলল, হায় ! আমি কি এ কাকের মতও
اسْتَحْلَفَ هَابِيلَ أَنَّ هَذَا دَمُهُ فَحَلَفَ لَهُ، وَذَكَرَ أَنَّهُ سَأَلَ اللَّهَ تَعَالَى أَنْ يَجْعَلَ هَذَا الْمَكَانَ يُسْتَجَابُ عِنْدَهُ الدُّعَاءُ فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، وَصَدَّقَهُ فِي ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ: إِنَّهُ، وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمْرَ يَزُورُونَ هَذَا الْمَكَانَ فِي كُلِّ يَوْمِ خَمِيسٍ. وَهَذَا مَنَامٌ لَوْ صَحَّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ كَثِيرٍ هَذَا لَمْ يَتَرَتَّبْ عَلَيْهِ حُكْمٌ شَرْعِيٌّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَبَعَثَ اللَّهُ غُرَابًا يَبْحَثُ فِي الْأَرْضِ لِيُرِيَهُ كَيْفَ يُوَارِي سَوْءَةَ أَخِيهِ قَالَ يَا وَيْلَتَا أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَذَا الْغُرَابِ فَأُوَارِيَ سَوْأَةَ أَخِي فَأَصْبَحَ مِنَ النَّادِمِينَ} [المائدة: 31] . ذَكَرَ بَعْضُهُمْ: أَنَّهُ لَمَّا قَتَلَهُ حَمَلَهُ عَلَى ظَهْرِهِ سَنَةً. وَقَالَ آخَرُونَ: حَمَلَهُ مِائَةَ سَنَةٍ. وَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ غُرَابَيْنِ. قَالَ السُّدِّيُّ: بِإِسْنَادِهِ عَنِ الصَّحَابَةِ: أَخَوَيْنِ فَتَقَاتَلَا فَقَتَلَ أَحَدُهُمَا الْآخَرَ، فَلَمَّا قَتَلَهُ عَمَدَ إِلَى الْأَرْضِ فَحَفَرَ لَهُ فِيهَا، ثُمَّ أَلْقَاهُ وَدَفَنَهُ وَوَارَاهُ. فَلَمَّا رَآهُ يَصْنَعُ ذَلِكَ، قَالَ: {يَا وَيْلَتَا أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَذَا الْغُرَابِ فَأُوَارِيَ سَوْءَةَ أَخِي} [المائدة: 31] . فَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْغُرَابُ فَوَارَاهُ، وَدَفَنَهُ.
وَذَكَرَ أَهْلُ التَّوَارِيخِ وَالسِّيَرِ أَنَّ آدَمَ حَزِنَ عَلَى ابْنِهِ هَابِيلَ حُزْنًا شَدِيدًا، وَأَنَّهُ قَالَ فِي ذَلِكَ شِعْرًا، وَهُوَ قَوْلُهُ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنِ ابْنِ حُمَيْدٍ.
تَغَيَّرَتِ اَلْبِلَادُ وَمَنْ عَلَيْهَا ... فَوَجْهُ اَلْأَرْضِ مُغْبَرٌّ قَبِيحُ
تَغَيَّرَ كُلُّ ذِي طَعْمٍ وَلَوْنٍ ... وَقَلَّ بَشَاشَةً اَلْوَجْهُ اَلْمَلِيحُ
পৃষ্ঠা - ২১৯
فَأُجِيبَ
آدَمُ.
أَبَا هَابِيلَ قَدْ قُتِلَا جَمِيعًا
وَصَارَ اَلْحَيُّ كَالْمَيْتِ اَلذَّبِيحِ ... وَجَاءَ بَشَرَّةٍ قَدْ كَانَ مِنْهَا
عَلَى خَوْفٍ فَجَاءَ بِهَا يَصِيحُ
وَهَذَا الشِّعْرُ فِيهِ نَظَرٌ. وَقَدْ يَكُونُ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ كَلَامًا يَتَحَزَّنُ بِهِ بِلُغَتِهِ فَأَلَّفَهُ بَعْضُهُمْ إِلَى هَذَا وَفِيهِ أَقْوَالٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ مُجَاهِدٌ: أَنَّ قَابِيلَ عُوجِلَ بِالْعُقُوبَةِ يَوْمَ قُتِلَ أَخَاهُ، فَعُلِّقَتْ سَاقُهُ إِلَى فَخِذِهِ، وَجُعِلَ وَجْهُهُ إِلَى الشَّمْسِ كَيْفَمَا دَارَتْ تَنْكِيلًا بِهِ وَتَعْجِيلًا لِذَنْبِهِ وَبَغْيِهِ وَحَسَدِهِ لِأَخِيهِ لِأَبَوَيْهِ. وَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا مِنْ ذَنْبٍ أَجْدَرُ أَنْ يُعَجِّلَ اللَّهُ عُقُوبَتَهُ فِي الدُّنْيَا مَعَ مَا يَدَّخِرُ لِصَاحِبِهِ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْبَغْيِ وَقَطِيعَةِ الرَّحِمِ» .
وَالَّذِي رَأَيْتُهُ فِي الْكِتَابِ الَّذِي بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ التَّوْرَاةُ: أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَجَّلَهُ وَأَنْظَرَهُ، وَأَنَّهُ سَكَنَ فِي أَرْضِ نُودٍ فِي شَرْقِيِّ عَدَنٍ، وَهُمْ يُسَمُّونَهُ قَيْنًا، وَأَنَّهُ وُلِدَ لَهُ خَنُوخُ، وَلِخَنُوخَ عُنْدَرُ،
পৃষ্ঠা - ২২০
হতে পারলাম না, যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি? তারপর সে অনুতপ্ত
হলো ৷ (৫ : ৩১)
কেউ কেউ উল্লেখ করেন যে, কা ৷বীল হাবীলকে হত্যা করে এক বছর পর্যন্ত; অন্যদের মতে
একশত বছর পর্যন্ত তাকে নিজের পিঠে করে রাখে ৷ এরপর আল্লাহ্ তা আল৷ দু’টি কা ক প্রেরণ
করেন ৷ সুদ্দী (র) সনদসহ কতিপয় সাহাবীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, দৃ৩ তাই (ভাই সম্পফীয়ি
দু’টি কাক) পরস্পর ঝগড়া করে একজন অপরজনকে হত্যা করে ফেলে ৷ তারপর মাটি খুড়ে
তাকে দাফন করে রাখে ৷ তখন কাবীল এ দৃশ্য দেখে বলল, $§;’;: ড্রেপুড্রু প্র এরপর
সে কাকের ন্যায় হাবীলকে দাফন করে ৷
ইতিহাস ও সীরাত বিশারদগণ বলেন যে, আদম (আ) তার পুত্র হাবীলের জন্য অত্যন্ত
শোকাহত হয়ে পড়েন এবং এ বিষয়ে কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করেন ৷ ইবন জারীর (র) ইৰ্ন
হুমায়দ থেকে তা উল্লেখ করেন ৷ তাহলো০ ং
অর্থাৎ জনপদ ও জনগণ সব উলট পালট হয়ে গেছে ৷ ফলে পৃথিবীর চেহারা এখন
ধুলি ধুসর ও মলিন রুপ ধারণ করেছে ৷ কো ন কিছুৱই রং রুপস্বাদগহ্ম এখন আর আগের মত
নেই ৷ লাবণ্যময় চেহারার উজ্জ্বলতাও আগের চেয়ে কমে গেছে ৷
এর জবাবে আদম (আ)-এর উদ্দেশে বলা হলো :
অর্থাৎ হে হাবীলের পিতা ওরা দৃ’জনই নিহত হয়েছে এবং বেচে থাকা লোকটিও
যবাইকৃত মৃতে তর ন্যায় হয়ে গেছে ৷ যে এমন একটি অপকর্ম করলো যে, তার ফলে সে
ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে আর্তনাদ করতে করতে ছুটতে লাগলো ৷
পৎক্তিগুলোও সন্দেহমুক্ত নয় ৷ এমনও হতে পারে যে, আদম (আ) পুত্রগােকে নিজের
ভাষায় কোন কথা বলেছিলেন, পরবর্তীতে কেউ তা এভাবে কবিতায় রুপ দেয় ৷ এ ব্যাপারে
মতভেদ রয়েছে ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷
মুজাহিদ (র) উল্লেখ করেন যে, কাবীল যেদিন তার ভাইকে হত ত্যা করেছিল সেদিনই নগদ
নগদ তাকে এর শাস্তি প্রদান করা হয় ৷ মাতা পিতার অবাধ্যতা, ভাইয়ের প্ৰতি হিৎসা এবং
পাপের শ স্তিস্বরুপ তার পায়ের গোছাকে উরুর সাথে ঝুলিয়ে এবং মুখমণ্ডলকে সুর্যমুখী করে
রাখা হয়েছিল ৷ হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনং : পবকালের জন্য শাস্তি সঞ্চিত
রাখার সাথে সাথে আল্লাহ্ তাআলা দৃনিয়াতেওতার নগদ শাস্তি প্রদান করেন ৷ শাসকের
বিরুদ্ধাচরণ ও আত্মীয়ত৷ ছিন্ন করার মত এমন জঘন্য অপরাধ আর নেই ৷
وَلِعُنْدَرَ مَحْوَاوِيلُ، وَلِمَحْوَاوِيلَ مَتُّوشِيلُ، وَلِمَتُّوشِيلَ لَامَكُ، وَتَزَوَّجَ هَذَا امْرَأَتَيْنِ عَدَّا وَصَلَا، فَوَلَدَتْ عَدَّا وَلَدًا اسْمُهُ أَبُلُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَكَنَ الْقِبَابَ وَاقْتَنَى الْمَالَ، وَوَلَدَتْ أَيْضًا تَوْبَلَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ أَخَذَ فِي ضَرْبِ الْوَنَجِ وَالصَّنْجِ، وَوَلَدَتْ صَلَا وَلَدًا اسْمُهُ تُوبَلْقِينُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ صَنَعَ النُّحَاسَ وَالْحَدِيدَ، وَبِنْتًا اسْمُهَا نُعْمَى. وَفِيهَا أَيْضًا أَنَّ آدَمَ طَافَ عَلَى امْرَأَتِهِ فَوَلَدَتْ غُلَامًا وَدَعَتِ اسْمَهُ شِيثَ، وَقَالَتْ: مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ قَدْ وُهِبَ لِي خَلَفًا مِنْ هَابِيلَ الَّذِي قَتَلَهُ قَابِيلُ. وَوُلِدَ لِشِيثَ أَنُوشُ. قَالُوا: وَكَانَ عُمُرُ آدَمَ يَوْمَ وُلِدَ لَهُ شِيثُ مِائَةً وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ، وَكَانَ عُمُرُ شِيثَ يَوْمَ وُلِدَ لَهُ أَنُوشُ مِائَةً وَخَمْسًا وَسِتِّينَ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ وَسَبْعِ سِنِينَ، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ غَيْرُ أَنُوشَ، فَوُلِدَ لِأَنُوشَ قَيْنَانُ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ تِسْعُونَ سَنَةً،
পৃষ্ঠা - ২২১
আহ্লে কিতাবদের হাতে রক্ষিত তথাকথিত তাওরাতে আমি দেখেছি যে, আল্লাহ তাআলা
কাবীলকে অবকাশ দিয়েছিলেন ৷ সে এডেনের পুর্বদিকে অবস্থিত নুদ অঞ্চলের কিন্নীন নামক
স্থানে কিছুকাল বসবাস করেছিল এবং খানুখ নামক তার একটি সন্তানও জন্ম হয়েছিল ৷ তারপর
খানুকের ঔরসে উনদুর, উনদৃরের ঔরসে মড়াহ্ওয়াবীল, মড়াহওয়াবীলের ঔরসে মুতাওয়াশীল
এবং মুতাওয়ড়াশীলের ঔরসে লামাকের জন্ম হয় ৷ এই লামাক দু’ মহিলাকে বিবাহ করে ৷
একজন হলো আদা আর অপর জন সালা ৷ আদা ইবিল নামক একটি সন্তান প্ৰসব করেন ৷ এ
ইবিলই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি গম্বুজাকৃতির তীবুতে বসবাস করেন এবং সম্পদ আহরণ করেন ৷ ঐ
আদায় গর্ভে নওবিল নামক আরেকটি সন্তান জন্ম হয় এবং ঐ ব্যক্তিই সর্বপ্রথম বাদ্যযন্ত্র এবং
করতাল ব্যবহার করে ৷
আর সালা তৃবলাকীন নামক একটি সন্তান প্রসব করেন ৷ এ তৃবলাকীনই সর্বপ্রথম তামা ও
লোহা ব্যবহার করেন ৷ সালা একটি কন্যা সন্তানও প্রসব করেন, তার নাম ছিল নামা ৷
কথিত তাওরাতে এও আছে যে, আদম (আ) একদা শ্রী সহবড়াস করলে তার একটি পুত্র
সন্তান জন্মলাভ করে ৷ শ্রী তার নাম শীছ রেখে বললেন, কাবীল কর্তৃক নিহত হাবীলের
পরিবর্তে আমাকে এ সন্তান দান করা হয়েছে বলে এর এ নাম রাখা হলো ৷ এ শীছের ঔরসে
আনুশ-এর জন্ম হয় ৷
কথিত আছে যে, শীছ-এর যেদিন জন্ম হয় সেদিন আদম (আ)-এর বয়স ছিল একশ ত্রিশ
বছর ৷ এরপর তিনি আরো অটিশ বছর বেচেছিলেন ৷ আনুশের জন্মের দিন শীছ-এর বয়স ছিল
একশ পয়ষট্টি বছর ৷ এরপর তিনি আরো আটশ’ সাত বছর বেচেছিলেন ৷ আনুশ ছাড়া তার
আরো কয়েকটি ছেলে-যেয়ে ভুমিষ্ঠ হন ৷ আনুশের বয়স যখন নব্বই বছর, তখন তার পুত্র
কীনান-এর জন্ম হয় ৷ এরপর তিনি আরো আটশ’ পরের বছর বেচেছিলেন ৷ এ সময়ে তার
আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ের জন্ম হয় ৷ তারপর যখন কীনানের বয়স সত্তর বছরে উপনীত হয়,
তখন তার ঔরসে মাহলইিল-এর জন্ম হয় ৷ এরপর তিনি আরো আটশ চল্লিশ বছর আযু পান ৷
এ সময়ে তার আরো কিছু ছেলে-যেয়ের জন্ম হয় ৷ তারপর মড়াহলাইল পয়ষট্টি বছর বয়সে
উপনীত হলে তার পুত্র য়ারদ-এর জন্ম হয় ৷ এরপর তিনি আরো অটিশ ত্রিশ বছর বেচে
ছিলেন ৷ এ সময়ে তার আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ে জন্ম হয় ৷ তারপর য়ারদ একশ বাষট্টি
বছর বয়সে পৌছুলে তার পুত্র খড়ানুখ-এর জন্ম হয় ৷ এরপর তিনি আরো আটশ’ বছর বেচে
থাকেন ৷ এ সময়ে তার আরো কয়েকটি পুত্র-কন্যার জন্ম হয় ৷ তারপর খানুখের বয়স পয়ষট্টি
বছর হলে তার পুত্র মুতাওয়ড়াশৃশালিহ-এর জন্ম হয় ৷ এরপর তিনি আরো আটশ’ বছর
বেচেছিলেন ৷ এ সময়ে তার আরো কয়েকটি ছেলেযেয়ে জন্ম নেয় ৷ তারপর যখন
মুতাওয়াশৃশালিহ একশ সাতাশি বছর বয়সে উপনীত হন, তখন তার পুত্র লামাক-এর জন্ম হয় ৷
এরপর তিনি আরো সাতশ বিরাশি বছর হড়ায়াত পান ৷ এ সময়ে তার আরো কয়েকটি
ছেলে-মেয়ে জন্মলাত করে ৷ লামাক এর বয়স একশ’ বিরাশি বছর হলে তার ঔরসে নুহ
(আ)-এর জন্ম হয় ৷ এর পর তিনি আরো পড়াচশ’ পচানব্বই বছর বেচে থাকেন ৷ এ সময়ে তার
আরো কয়েকটি ছেলে-যেয়ের জন্ম হয় ৷ তারপর নুহ (আ)-এর বয়স পড়াচশ বছর হলে তার
ঔরসে নাম, হাম ও য়াফিছ-এর জন্ম হয় ৷ এ হলো আহলি কিতাবদের গ্রন্থের সুস্পষ্ট বর্ণনা ৷
وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ وَخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ، فَلَمَّا كَانَ عُمْرُ قَيْنَانَ سَبْعِينَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ مَهْلَائِيلُ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ، فَلَمَّا كَانَ لِمَهْلَائِيلَ مِنَ الْعُمُرِ خَمْسٌ وَسِتُّونَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ يَرْدُ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ فَلَمَّا كَانَ لِيَرْدَ مِائَةُ سَنَةٍ وَاثْنَتَانِ وَسِتُّونَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ خَنُوخُ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ فَلَمَّا كَانَ لِخَنُوخَ خَمْسٌ وَسِتُّونَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ مَتُّوشَلَخُ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِمِائَةِ سَنَةٍ، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ فَلَمَّا كَانَ لِمَتُّوشَلَخَ مِائَةٌ وَسَبْعٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ لَامَكُ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ سَبْعَمِائَةٍ وَاثْنَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ، فَلَمَّا كَانَ لِلَامَكَ مِنَ الْعُمُرِ مِائَةٌ وَاثْنَتَانِ وَثَمَانُونَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ نُوحٌ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ خَمْسَمِائَةٍ، وَخَمْسًا وَتِسْعِينَ سَنَةً، وَوُلِدَ لَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ، فَلَمَّا كَانَ لِنُوحَ خَمْسُمِائَةِ سَنَةٍ وُلِدَ لَهُ بِنُونَ ; سَامٌ، وَحَامٌ، وَيَافِثُ. هَذَا مَضْمُونُ مَا فِي كِتَابِهِمْ صَرِيحًا.
وَفِي كَوْنِ هَذِهِ التَّوَارِيخِ مَحْفُوظَةً فِيمَا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ نَظَرٌ، كَمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ طَاعِنِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهَا مُقْحَمَةٌ فِيهَا. ذَكَرَهَا
পৃষ্ঠা - ২২২
بَعْضُهُمْ عَلَى سَبِيلِ الزِّيَادَةِ وَالتَّفْسِيرِ. وَفِيهَا غَلَطٌ كَثِيرٌ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوَاضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَدْ ذَكَرَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي تَارِيخِهِ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّ حَوَّاءَ وَلَدَتْ لِآدَمَ أَرْبَعِينَ وَلَدًا فِي عِشْرِينَ بَطْنًا. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَسَمَّاهُمْ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَقِيلَ: مِائَةً وَعِشْرِينَ بَطْنًا فِي كُلِّ وَاحِدٍ ذَكَرٌ وَأُنْثَى، أَوَّلُهُمْ قَابِيلُ وَأُخْتُهُ قِلِيمَا، وَآخِرُهُمْ عَبْدُ الْمُغِيثِ وَأُخْتُهُ أَمَةُ الْمُغِيثِ، ثُمَّ انْتَشَرَ النَّاسُ بَعْدَ ذَلِكَ، وَكَثُرُوا وَامْتَدُّوا فِي الْأَرْضِ وَنَمَوْا، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً} [النساء: 1] . الْآيَةَ.
وَقَدْ ذَكَرَ أَهْلُ التَّارِيخِ أَنَّ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمْ يَمُتْ حَتَّى رَأَى مِنْ ذُرِّيَّتِهِ مِنْ أَوْلَادِهِ وَأَوْلَادِ أَوْلَادِهِ أَرْبَعِينَ أَلْفَ نَسَمَةٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ فَلَمَّا آتَاهُمَا صَالِحًا جَعَلَا لَهُ شُرَكَاءَ فِيمَا آتَاهُمَا فَتَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ} [الأعراف: 189]
[الْأَعْرَافِ: 189 - 190] .
পৃষ্ঠা - ২২৩
উক্ত ঘটনাপঞ্জি আসমানী কিতাবের বর্ণনা কি না এ ব্যাপারে যথাযথ সন্দেহের অবকাশ
রয়েছে ৷ বহু আলিম এ অভিমত ব্যক্ত করে এ ব্যাপারে আহ্লি কিতাবদের বক্তব্যের সমালোচনা
করেছেন ৷ উক্ত বর্ণনায় যে অবিবেচনা প্রসুত অতিকথন রয়েছে তা বলাই বাহুল্য ৷ অনেকে এ
বর্ণনাটিতে ব্যাখ্যাস্বরুপ অনেক সংযোজন করেছেন এবং তাতে যথেষ্ট ভুল রয়েছে ৷ যথাস্থানে
আমি বিষয়টি আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ্ ৷
ইমাম আবু জাফর ইবন আবীর তার ইতিহাস গ্রন্থে কতিপয় আহ্লি কিতড়াবের বরড়াতে
উল্লেখ করেছেন যে, আদম (আ) এর ঔরসে হাওয়া (আ) এর বিশ গর্ভে চল্লিশটি সন্তান প্রসব
করেন ৷ ইবন ইসহাক এ বক্তব্য দিয়ে তাদের নামও উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
কেউ কেউ বলেন, হাওয়া (আ) প্রতি গর্ভে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান করে একশ’
বিশ জোড়া সন্তানের জন্ম দেন ৷ এদের সর্বপ্রথম হলো, কাবীল ও তার বোন কালীমা আর
সর্বশেষ হলো আবদুল মুগীছ ও তার বোন উম্মুল মুগীছ ৷ এরপর মানুষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং
ৎখ্যায় তারা অনেক হয়ে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে বিস্তার লাভ করে দ্
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন০ ং
াম্বুব্লুদ্বুপু
অর্থাৎ হে মানব জাতি ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর যিনি তােমাদেরকে
এক ব্যক্তি হত্রুআ সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তার থেকে তার সৎগিনী সৃষ্টি করেন এবং যিনি তাদের
দু’জন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন ৷ (৪ : ১)
ঐতিহাসিকগণ বলেন, আদম (আ) তার নিজের ঔরসজাত সন্তান এবং তাদের সন্তানদের
ৎখ্যা চার লক্ষে উপনীত হওয়ার পরই ইন্তিকাল করেন ৷
আল্লাহ তাআলা বলেন০ ং
’
” ঠোর্দুৰুব্লুর্দু এে
অর্থাৎ তিনিই তােমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তা থেকে তার সংগিনী
সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার নিকট শান্তি পায় ৷ তারপর যখন সে তার সাথে স০ গত হয়, তখন
সে এক লঘৃ গর্ত ধারণ করে এবং তা নিংয় সে অনায়াসে চলাফেরা করে; গর্ত যখন গুরুভার হয়
তখন তারা উভয়ে তাদের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে যদি তুমি আমাদেরকে
এক পুর্ণাঙ্গ সন্তান দাও, তবে তো আমরা কৃতজ্ঞ থাকবই ৷ তারপর যখন তিনি তাদেরকে এক
পুর্ণাঙ্গ সন্তান দান করেন, তখন তারা তাদেরকে যা দান করা হয় সে সম্বন্ধে আল্লাহর শরীক
করে, কিন্তু তারা যাকে শরীক করে আল্পাহ্ তা অপেক্ষা অনেক উর্ধে ৷ (৭ : ১৮৯)
الْآيَاتِ. فَهَذَا تَنْبِيهٌ أَوَّلًا بِذِكْرِ آدَمَ، ثُمَّ اسْتَطْرَدَ إِلَى الْجِنْسِ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِهَذَا ذِكْرَ آدَمَ وَحَوَّاءَ بَلْ لَمَّا جَرَى ذِكْرُ الشَّخْصِ اسْتَطْرَدَ إِلَى الْجِنْسِ، كَمَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ سُلَالَةٍ مِنْ طِينٍ ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَكِينٍ} [المؤمنون: 12]
[الْمُلْكِ: 5] . وَمَعْلُومٌ أَنَّ رُجُومَ الشَّيَاطِينِ لَيْسَتْ هِيَ أَعْيَانَ مَصَابِيحِ السَّمَاءِ، وَإِنَّمَا اسْتَطْرَدَ مِنْ شَخْصِهَا إِلَى جِنْسِهَا.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «لَمَّا، وَلَدَتْ حَوَّاءُ طَافَ بِهَا إِبْلِيسُ، وَكَانَ لَا يَعِيشُ لَهَا وَلَدٌ، فَقَالَ: سَمِّيهِ عَبْدَ الْحَارِثِ فَإِنَّهُ يَعِيشُ. فَسَمَّتْهُ عَبْدَ الْحَارِثِ فَعَاشَ، وَكَانَ ذَلِكَ مِنْ وَحْيِ الشَّيْطَانِ وَأَمْرِهِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَابْنُ مَرْدَوَيْهِ فِي تَفَاسِيرِهِمْ عِنْدَ هَذِهِ الْآيَةِ مِنْ سُورَةِ الْأَعْرَافِ. وَأَخْرَجَهُ الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ، كُلُّهُمْ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ بِهِ. وَقَالَ الْحَاكِمُ: صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ. وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ، وَلَمْ يَرْفَعْهُ فَهَذِهِ عِلَّةٌ قَادِحَةٌ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ رُوِيَ مَوْقُوفًا
পৃষ্ঠা - ২২৪
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম আদম (আ)-এর কথা উল্লেখ করে পরে জিন তথা
মানব জাতির আলোচনায় চলে গেছেন ৷ এর দ্বারা আদম (আ) ও হাওয়া (আ)-কে বুঝানো
হয়নি বরং ব্যক্তি উল্লেখের দ্বারা মানব জাতিকে বুঝানােই আসল উদ্দেশ্য ৷
যেমন এক স্থানে আল্লাহ তাআলা বলেন০ ং
, ৷ ,; এ্যা,
;হ্রছু
অর্থাৎ আমি মানুষকে মৃত্তিকার উপাসান থেকে সৃষ্টি করেছি ৷ তারপর আমি তাকে শুক্র
বিন্দুরুপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে ৷ (২০ : ১ ২ ১৩)
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
;এে,
অর্থাৎ আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাদেরকে
করেছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ ৷ (৬৭ং : ৫)
এখানে একথা সকলেরই জানা যে, শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ সত্যি সত্যি
আকাশের নক্ষত্ররাজি নয় ৷ আয়াতে নক্ষত্র শব্দ উল্লেখ করে নক্ষত্র শ্রেণী বুঝানো হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, সামুরা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
হাওয়ার সন্তান জন্মগ্রহণ করে ৰ্বাচত না ৷ একবার তার একটি সন্তান জন্ম হলে ইবলীস তার
কাছে গমন করে বলল, তুমি এর নাম আবদুল হারিছ রেখে দাও, তবে সে ৰীচবে ৷ হাওয়া তার
নাম আবদুল হারিছ রেখে দিলে সে বেচে যায় ৷ তা ছিল শয়তানের ইংগিত ও নির্দেশে ৷
ইমাম তিরমিযী, ইবন জারীর, ইবন আবু হাতিম ও ইবন মারদুয়েহ (র) এ আয়াতের
ব্যাখ্যার আপন আপন তাফসীরে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর হাকিম বর্ণনা করেছেন তার
মুসতড়াদরাকে ৷ এরা সকলেই আবদুস সামাদ ইবন আবদুল ওয়ারিছ-এর হাদীস থেকে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷ হাকিম বলেছেন, এর সনদ সহীহ ৷ তবে বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তা বর্ণনা
করেননি ৷ আর তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব ৷ উমর ইবন ইবরাহীম-এর
হাদীস ব্যতীত অন্য কোনভাবে আমি এর সন্ধান পইিনি ৷ কেউ কেউ আবদুস সামাদ থেকে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে মারকু সুত্রে নয় ৷ এ সাহাবী পর্যন্ত মওকুফ সুত্রে বর্ণিত হওয়াই
হাদীসটি ক্রটিযুক্ত হওয়ার কারণ ৷ এটিই যুক্তিসঙ্গত কথা ৷ স্পষ্টতই বর্ণনাটি ইসরাঈলিয়াত
থেকে সংগৃহীত ৷ অনুরুপভাবে ইবন আব্বাস (বা) থেকেও মওকুফ রুপে হাদীসটি বর্ণিত
হয়েছে ৷ স্পষ্টতই এটা কাব আহবার সুত্রে প্রাপ্ত হাসান বসরী (র) এ আয়াতগুলোব এর
বিপরীত ব্যাখ্যা করেছেন ৷ তার নিকট যদি সামুরা (রা) থেকে মারফু সুত্রে হাদীসটি প্রমাণিত
হতো, তাহলে তিনি তিন্নমত পোষণ করতেন না ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
তাছাড়া আল্লাহ তাআলা আদম ও হাওয়া (আ)-কে এ জন্য সৃষ্টি করেছেন যে, তারা মানব
জাতির উৎসমুল হবেন এবং তাদের থেকে তিনি বহু নর-নারী বিস্তার করবেন ৷ সুতরাং
উপরোক্ত হাদীসে যা উল্লেখ করা হয়েছে যদি তা যথার্থ হয়ে থাকে, তাহলে হাওয়া (আ)-এর
عَلَى الصَّحَابِيِّ، وَهَذَا أَشْبَهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ تَلَقَّاهُ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ. وَهَكَذَا رُوِيَ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا مُتَلَقًّى عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَمَنْ دُونَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ فَسَّرَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ رَاوِي الْحَدِيثِ هَذِهِ الْآيَةَ بِخِلَافِ هَذَا، فَلَوْ كَانَ عِنْدَهُ عَنْ سَمُرَةَ مَرْفُوعًا لَمَا عَدَلَ عَنْهُ إِلَى غَيْرِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَيْضًا فَاللَّهُ تَعَالَى إِنَّمَا خَلَقَ آدَمَ وَحَوَّاءَ لِيَكُونَا أَصْلَ الْبَشَرِ، وَلِيَبُثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً فَكَيْفَ كَانَتْ حَوَّاءُ لَا يَعِيشُ لَهَا وَلَدٌ، كَمَا ذَكَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِنْ كَانَ مَحْفُوظًا. وَالْمَظْنُونُ بَلِ الْمَقْطُوعُ بِهِ أَنَّ رَفْعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَأٌ. وَالصَّوَابُ وَقْفُهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ حَرَّرْنَا هَذَا فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. ثُمَّ قَدْ كَانَ آدَمُ وَحَوَّاءُ أَتْقَى لِلَّهِ مِمَّا ذُكِرَ عَنْهُمَا فِي هَذَا فَإِنَّ آدَمَ أَبُو الْبَشَرِ الَّذِي خَلَقَهُ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَهُ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ، وَأَسْكَنَهُ جَنَّتَهُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمِ الْأَنْبِيَاءُ؟ قَالَ: " مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا ". قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمِ الرُّسُلُ مِنْهُمْ؟ قَالَ: " ثَلَاثُمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ، جَمٌّ غَفِيرٌ ". قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كَانَ أَوَّلَهُمْ؟ قَالَ: " آدَمُ ". قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ؟ قَالَ: " نَعَمْ. خَلَقَهُ اللَّهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ نَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، ثُمَّ سَوَّاهُ قُبُلًا ".»
পৃষ্ঠা - ২২৫
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَائِلَةَ الْأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ هُرْمُزَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِأَفْضَلِ الْمَلَائِكَةِ جِبْرِيلُ، وَأَفْضَلُ النَّبِيِّينَ آدَمُ وَأَفْضَلُ الْأَيَّامِ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَأَفْضَلُ الشُّهُورِ شَهْرُ رَمَضَانَ، وَأَفْضَلُ اللَّيَالِي لَيْلَةُ الْقَدْرِ، وَأَفْضَلُ النِّسَاءِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ، فَإِنَّ نَافِعًا أَبَا هُرْمُزَ كَذَّبَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ، وَأَبُو زُرْعَةَ، وَأَبُو حَاتِمٍ، وَابْنُ حِبَّانَ، وَغَيْرُهُمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَيْسَ أَحَدٌ فِي الْجَنَّةِ لَهُ لِحْيَةٌ إِلَّا آدَمَ لِحْيَتُهُ سَوْدَاءُ إِلَى سُرَّتِهِ، وَلَيْسَ أَحَدٌ يُكْنَى فِي الْجَنَّةِ إِلَّا آدَمُ كُنْيَتُهُ فِي الدُّنْيَا أَبُو الْبَشَرِ، وَفِي الْجَنَّةِ أَبُو مُحَمَّدٍ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ طَرِيقِ شَيْخِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَرْفُوعًا «. أَهْلُ الْجَنَّةِ يُدْعَوْنَ بِأَسْمَائِهِمْ إِلَّا آدَمَ فَإِنَّهُ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ» . وَرَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ ضَعِيفٌ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَفِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ الَّذِي فِي الصَّحِيحَيْنِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَمَّا
পৃষ্ঠা - ২২৬
সভানাদি না বীচার কী যুক্তি থাকতে পারে? নিশ্চিত হলো এই যে, একে মারফু আখ্যা দেয়া
ভুল ৷ মওকুফ হওয়ইি যথার্থ ৷ আমি আমার তাফসীরের কিভাবে বিষয়টি আলোচনা করেছি ৷
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ৷
উল্লেখ যে, আদম ও হাওয়া (আ) অত্যন্ত মুত্তাকী ছিলেন ৷ কেননা আদম (আ) হলেন
মানব জাতির পিতা ৷ আল্লাহ তড়াআলা তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেন, তার মধ্যে নিজের রুহ্
সঞ্চার করে তার ফেরেশতাদেরকে তার সম্মুখে সিজদাবনত করান, তাকে যাবতীয় বস্তুর নাম
শিক্ষা দেন ও তাকে জান্নড়াতে বসবাস করতে দেন ৷
ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ গ্রন্থে আবু যর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি
বললাম, হে আল্লাহর রাসুল ! নবীর সংখ্যা কত? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : এক লক্ষ চব্বিশ
হাজার ৷ আমি বললাম , হে আল্লাহর রাসুল ! তাদের মধ্যে রাসুলেৱ সংখ্যা কত? রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন : তিনশ তেরজনের বিরাট একদল ৷ আমি বললাম , তাদের প্রথম কে ছিলেন ?
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : আদম (আ) ৷ আমি বললাম , হে আল্লাহর রাসুল তিনি কি প্রেরিত
নবী? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ই৷ ৷ আল্লাহ তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেন ৷ তারপর তার মধ্যে
তার রুহ্ সঞ্চার করেন ৷ তারপর তাকে নিজেই সুঠাম করেন ৷
তাবারানী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুন্নাহ (যা) বলেছেন :
“শুনে রেখ, ফোরশতাদের সেরা হলেন জিবরাঈল (আ) ৷ নবীদের সেরা হলেন আদম (আ) ৷
দিবসের সেরা হলো জুম্আর দিন, মাসের সেরা হলো রমযান, রাতের সেরা হলো লাইলাতুল
কদর এবং নারীদের সেরা হলেন ইমরান তনয়া মারয়াম ৷”
এটি দুর্বল সনদ ৷ কারণ, রাবী আবু হুরমুয নাফিকে ইবন মাঈন মিথুক্লক সাব্যস্ত করেছেন ৷
আর আহমদ, আবু যুরআ, আবু হাতিম , ইবন হিব্বান (র) প্রমুখ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন ৷
আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
কাব আল-আহবার বলেন, জান্নাতে কারো দাড়ি থাকবে না ৷ কেবল আদম (আ)-এর নাতি
পর্যন্ত দীর্ঘ কালো দাড়ি থাকবে ৷ আর জান্নড়াতে কাউকে উপনাম ধরে ডাকা হবে না ৷ শুধুমাত্র
আদম (আ)-কেই উপনাম ধরে ডাকা হবে ৷ দৃনিয়াতে তার উপনাম হলো আবুল বাশার আর
জান্নাতে হবে আবু মুহাম্মদ ৷
ইবন আদী জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে মারকু সুত্রে বর্ণনা করেন যে, “আদম (আ)
ব্যতীত সকল জান্নড়াতীকেই স্বনামে ডাকা হবে ৷ আদম (আ)-কে ডাকা হবে আবু মুহাম্মদ
উপনামে ৷” ইবন আবু আদী আলী (রা) ইবন আবু তালিব-এর হাদীস থেকেও এ হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তা সর্বদিক থেকেই দুর্বল ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত মিরাজ সংক্রান্ত হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন
নিম্ন আকাশে আদম (আ)-এর নিকট গমন করেন; তখন আদম (আ) তাকে বলেছিলেন,
পুণ্যবান পুত্র ও পুণ্যবান নবীকে স্বাগতম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তার ভানে একদল এবং বামে
একদল লোক দেখতে পান ৷ আদম (আ) ডানদিকে দৃষ্টিপাত করে হেসে দেন ও বামদিকে
দৃষ্টিপাত করে কেদে পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন : আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, জিবরাঈল
مَرَّ بِآدَمَ وَهُوَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ لَهُ: مَرْحَبًا بِالِابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ. قَالَ: وَإِذَا عَنْ يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ، وَعَنْ يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ، فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ عَنْ شِمَالِهِ بَكَى، فَقُلْتُ: يَا جِبْرِيلُ مَا هَذَا؟ . قَالَ: هَذَا آدَمُ وَهَؤُلَاءِ نَسَمُ بَنِيهِ فَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ أَهْلِ الْيَمِينِ، وَهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ أَهْلِ الشِّمَالِ، وَهُمْ أَهْلُ النَّارِ بَكَى» . هَذَا مَعْنَى الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: كَانَ عَقْلُ آدَمَ مِثْلَ عَقْلِ جَمِيعِ وَلَدِهِ.
وَقَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ فِي قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَرَرْتُ بِيُوسُفَ وَإِذَا هُوَ قَدْ أُعْطِيَ شَطْرَ الْحُسْنِ» . قَالُوا: مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ عَلَى النِّصْفِ مِنْ حُسْنِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهَذَا مُنَاسِبٌ فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ وَصَوَّرَهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ فَمَا كَانَ لِيَخْلُقَ إِلَّا أَحْسَنَ الْأَشْيَاءِ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَابْنِ عَمْرٍو أَيْضًا مَوْقُوفًا وَمَرْفُوعًا: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمَّا خَلَقَ الْجَنَّةَ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَا رَبَّنَا اجْعَلْ لَنَا هَذِهِ فَإِنَّكَ خَلَقْتَ لِبَنِي آدَمَ الدُّنْيَا يَأْكُلُونَ فِيهَا وَيَشْرَبُونَ، فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا أَجْعَلُ صَالِحَ ذُرِّيَّةِ مَنْ خَلَقْتُ بِيَدِيَّ كَمَنَ قُلْتُ لَهُ كُنْ فَكَانَ» . وَقَدْ وَرَدَ الْحَدِيثَ الْمَرْوِيَّ فِي الصَّحِيحَيْنِ، وَغَيْرِهِمَا مِنْ طُرُقٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২২৭
এসব কী? উত্তরে জিবরাঈল (আ) বললেন, ইনি আদম এবং এরা তার বংশধর ৷ ডান দিকের
লোকগুলাে হলো জান্নড়ার্তী ৷ তাই সেদিকে দৃষ্টিপাত করে তিনি হেসে দেন আর বামদিকের
লোকগুলাে হলো জাহান্নামী ৷ তাই ওদের দিকে দৃষ্টিপাত ৩করে তিনি কেদে ফেলেন ৷ আবুল
বায্যার বর্ণনা করেন যে, হাসান (র) বলেন যে, আদম (আ) এর জ্ঞান-বুদ্ধি তার সমস্ত
সন্তানের জ্ঞান-বুদ্ধির সমান ছিল ৷
রাসুলুল্লাহ (না) ঐ হাদীসে আরও বলেন : তারপর আমি ইউসুফ (আ)-এর নিকট গমন
করি ৷ দেখতে পেলাম, তাকে অর্ধেক রুপ দেয়া হয়েছে ৷ আন্সিমগণ এর অর্থ করতে গিয়ে
বলেন, ইউসুফ (আ) আদম (আ)-এর রুপের অর্ধেকের অধিকারী ছিলেন ৷ এ কথাটা
যুক্তিসঙ্গত ৷ কারণ, আল্লাহ তাআলা আদম (আ) কে নিজের পবিত্র হাতে সৃষ্টি করেছেন ও
আকৃতি দান করেছেন এবং তার মধ্যে নিজের রুহ্ সঞ্চার করেছেন ৷ অতএব, এমন সােকটি
অন্যদের তুলনায় অধিক সুন্দর হবেন এটাই স্বাভাবিক ৷
আমরা আব্দুল্লাহ ইবন উমর (বা) এবং ইবন আমর (বা) থেকেও মওকুফ ও মারকু রুপে
বর্ণনা করেছি যে, আল্লাহ তাআলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করেন; তখন ফেরেশতাগণ বলেছিল যে,
হে আমাদের বব! এটি আপনি আমাদেরকে দিয়ে দিন ৷ কারণ, আদম (আ)-এর সন্তানদের
জন্যে তো দুনিয়া-ই সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যাতে তারা সেখানে পানাহার করতে পারে ৷ উত্তরে
আল্লাহ তাআলা বললেন : আমার সম্মান ও মহিমার শপথ! যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি
করলাম, তার সন্তানদেরকে আমি তাদের সমান করবো না যাদেরকে আমি কুন (হও)
বলতেই হয়ে গেছে ৷
সহীহ বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদিতে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত একটি হাদীস আছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : “আল্লাহ তাআলা আদম (আ)-কে তার আকৃতিতে সৃষ্টি করেন ৷” এ হাদীসের
ব্যাখ্যার অনেকে অনেক অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ তার বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ নেই ৷
আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷
আদম (আ) এর ওফাত ও আপন পুত্র শীছ (আ)-এর প্রতি তার ওসীয়ত
শীছ অর্থ আল্লাহর দান ৷ হাবীলের নিহত হওয়ার পর তিনি এ সন্তান লাভ করেছিলেন বলে
আদম ও হাওয়া (আ) তার এ নাম রেখেছিলেন ৷
আবু বর (বা) রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলা
একশ’ চারখানা সহীফা (পুস্তিকা) নাযিল করেন ৷ তন্মধ্যে পঞ্চাশটি নাযিল করেন শীছ-এর
উপর ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে আদম (আ)৩ তার পুত্র শীছ
(আ) কে ওসীয়ত করেন, তাকে রাত ও দিবসের ক্ষণসমুহ এবং সেসব ক্ষণের ইবাদতসমুহ
শিখিয়ে যান ও ভবিষ্যতে ঘটিতব্য তৃফান সম্পর্কে অবহিত করে যান ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) বলেন, আজকের সকল আদম সন্তানের বংশধারা শীছ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়ে যায় এবং
শীছ ব্যতীত আদম (আ) এর অপর সব ক টি ব :শধারাই বিলুপ্ত হয়ে যায় ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (১ম খণ্ড) ২৯-
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ» . وَفِي غَيْرِ الصَّحِيحَيْنِ «. إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَى صُورَةِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَدْ تَكَلَّمَ الْعُلَمَاءُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَذَكَرُوا فِيهِ مَسَالِكَ كَثِيرَةً لَيْسَ هَذَا مَوْضِعَ بَسْطِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২২৮
[ذِكْرُ وَفَاةِ آدَمَ وَوَصِيَّتِهِ إِلَى ابْنِهِ شِيثَ]
وَمَعْنَى شِيثَ: هِبَةُ اللَّهِ، وَسَمَّيَاهُ بِذَلِكَ لِأَنَّهُمَا رُزِقَاهُ بَعْدَ أَنْ قُتِلَ هَابِيلُ. قَالَ أَبُو ذَرٍّ فِي حَدِيثِهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ مِائَةَ صَحِيفَةٍ وَأَرْبَعَ صُحُفٍ عَلَى شِيثَ خَمْسِينَ صَحِيفَةً» . قَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا حَضَرَتْ آدَمَ الْوَفَاةُ عَهِدَ إِلَى ابْنِهِ شِيثَ، وَعَلَّمَهُ سَاعَاتِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَعَلَّمَهُ عِبَادَاتِ تِلْكَ السَّاعَاتِ، وَأَعْلَمَهُ بِوُقُوعِ الطُّوفَانِ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ: وَيُقَالُ إِنَّ أَنْسَابَ بَنِي آدَمَ الْيَوْمَ كُلُّهَا تَنْتَهِي إِلَى شِيثَ، وَسَائِرُ أَوْلَادِ آدَمَ غَيْرَهُ انْقَرَضُوا وَبَادُوا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَلِمَا تُوُفِّيَ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ جَاءَتْهُ الْمَلَائِكَةُ بِحَنُوطٍ، وَكَفَنٍ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنَ الْجَنَّةِ، وَعَزُّوا فِيهِ ابْنَهُ، وَوَصِيَّهُ شِيثَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَكَسَفَتِ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ بِلَيَالِيهِنَّ. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُتَيٍّ هُوَ ابْنُ ضَمْرَةَ السَّعْدِيُّ قَالَ: رَأَيْتُ شَيْخًا بِالْمَدِينَةِ يَتَكَلَّمُ فَسَأَلْتُ عَنْهُ. فَقَالُوا: هَذَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ. فَقَالَ: إِنَّ آدَمَ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: أَيْ بَنِيَّ إِنِّي أَشْتَهِي مِنْ ثِمَارِ
পৃষ্ঠা - ২২৯
কোন এক জুঘু’আর দিনে আদম (আ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে ফেরেশতাগণ আল্লাহর
পক্ষ হতে জান্নাত থেকে কিছু সুগন্ধি ও কাফন নিয়ে তার নিকট আগমন করেন এবং তার পুত্র
এবং স্থলাভিষিক্ত শীছ (আ)-কে সান্তুনা দান করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আর
সাত দিন ও সাতরাত পর্যন্ত চন্দ্র ও সুর্যের গ্রহণ লেগে থাকে ৷
ইমাম আহমদের পুত্র আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, য়াহয়া ইবন যামরা সাদী বলেন, মদীনায়
আমি এক প্রবীণ ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখতে পেয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে লোকেরা
বলল, ইনি উবইি ইবন কাব ৷ তখন তিনি বলছিলেন যে, “আদম (আ)-এর মৃত্যুর সময়
ঘনিয়ে এলে তিনি তার পুত্রদেরকে বললেন, আমার জান্নড়াতের ফল খেতে ইচ্ছে হয় ৷ ফলে তারা
ফলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন ৷ পথে তাদের সঙ্গে কতিপয় ফেরেশতার সাক্ষাৎ ঘটে ৷ তাদের
সাথে আদম (আ)-এর কাফন, সুগন্ধি, কয়েকটি কুঠার, কােদাল ও থলে ছিল ৷ ফেরেশতাগণ
তাদেরকে বললেন, হে আদম-পুএগণ ৷ তোমরা কী চাও এবং কী খুজছো ? কিংবা বললেন,
তোমরা কি উদ্দেশ্যে এবং কোথায় যাল্দো ? উত্তরে তারা বললেন, আমাদের পিতা অসুস্থ ৷ তিনি
জান্নাতের ফল খাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন ৷ এ কথা শুনে ফেরেশতাগণ বললেন : তোমরা
ফিরে যাও ৷ তোমাদের পিতার ইস্তিকালের সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷ য়া হোক, ফেরেশতাগণ
আদম (আ)-এর নিকট আসলে হাওয়া (আ) তাদের চিনে ফেলেন এবং আদম (আ)-কে
জড়িয়ে ধরেন ৷ তখন আদম (আ) বললেন, আমাকে ছেড়ে দিয়ে তুমি সরে যাও ৷ কারণ
তোমার আগেই আমার ডাক পড়ে গেছে ৷ অতএব, আমি ও আমার মহান রব-এর
ফেরেশতাগণের মধ্য থেকে তুমি সরে র্দাড়াও ৷ তারপর ফেরেশতাগণ তার জানকবয করে
নিয়ে গোসল দেন, কাফন পরান, সুগন্ধি মাখিয়ে দেন এবং তার জন্য বগলী কবর খুড়ে
জানাযাব নামায আদায় করেন ৷ তারপর তাকে কবরে রেখে দাফন করেন ৷ তারপর তারা
বললেন, হে আদমের সন্তানগণ ! এ হলো তোমাদের দাফনের নিয়ম ৷ এর সনদ সহীহ ৷
ইবন আসাকির (ব) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : ফেরেশতাগণ আদম (আ)-এব জানাযায় চারবার, আবু বকর (রা) ফাতিমা
(রা)-এর জানাযায় চারবার, উমর (রা) আবু বকর (রা)-এর জানাযায় চারবার এবং সুহায়ব
(রা)-র উমর (রা)-এর জানাযায় চারবার তাকবীর পাঠ করেন ৷১ ইবন আসাকির বলেন,
শায়বান ব্যতীত অন্যান্য রাবী মাইমুন সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে হড়াদীসটি বর্ণনা করেন ৷
আদম (আ)-কে কোথায় দাফন করা হয়েছে, এ ব্যাপারে মতভেদ আছে ৷ প্রসিদ্ধ মত
হলো, তাকে সে পাহাড়ের নিকটে দাফন করা হয়েছে, যে পাহাড় থেকে তাকে ভারতবর্ষে
নামিয়ে দেয়া হয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, মক্কার আবুকুবায়স পাহাড়ে তাকে দাফন করা হয় ৷
কেউ কেউ বলেন, মহা প্লাবনের সময় হযরত নুহ (আ) আদম ও হাওয়া (আ)-এর লাশ একটি
সিন্দুকে ভরে বড়ায়তৃল মুকাদ্দাসে দাফন করেন ৷ ইবন জারীর এ তথ্য বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
আসাকির কারো কারো সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আদম (আ)-এর মাথা হলো
মসজিদে ইব্রাহীম (আ)-এর নিকট আর পা দু’থানা হলো বায়তুল মুকাদ্দাস-এর সাখরা নামক
বিখ্যাত পাথর খণ্ডের নিকট ৷ উল্লেখ্য যে, আদম (আ)-এব ওফাতের এক বছর পরই হাওয়া
(আ)-এর মৃত্যু হয় ৷
১ হাদীসটি বিশুদ্ধ হয়ে থাকলে এটাকে রহুজ্যোপ্হহেমোঃন্ষুৰুনাঃকদ্বুন্ত্নৰিষষ্দ্বাণী বলে বিবেচনা করতে হবে ৷ সম্পাদক
الْجَنَّةِ. قَالَ: فَذَهَبُوا يَطْلُبُونَ لَهُ فَاسْتَقْبَلَتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَمَعَهُمْ أَكْفَانُهُ وَحَنُوطُهُ، وَمَعَهُمُ الْفُئُوسُ وَالْمَسَاحِي وَالْمَكَاتِلُ، فَقَالُوا لَهُمْ: يَا بَنِي آدَمَ مَا تُرِيدُونَ وَمَا تَطْلُبُونَ؟ أَوْ مَا تُرِيدُونَ وَأَيْنَ تَطْلُبُونَ؟ قَالُوا: أَبُونَا مَرِيضٌ، وَاشْتَهَى مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ. فَقَالُوا لَهُمْ: ارْجِعُوا فَقَدْ قُضِيَ أَبُوكُمْ، فَجَاءُوا، فَلَمَّا رَأَتْهُمْ حَوَّاءُ عَرَفَتْهُمْ فَلَاذَتْ بِآدَمَ، فَقَالَ: إِلَيْكِ عَنِّي، فَإِنِّي إِنَّمَا أُتِيتُ مِنْ قِبَلِكِ فَخَلِّي بَيْنِي وَبَيْنَ مَلَائِكَةِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَقَبَضُوهُ، وَغَسَّلُوهُ، وَكَفَّنُوهُ، وَحَنَّطُوهُ، وَحَفَرُوا لَهُ، وَأَلْحَدُوهُ، وَصَلَّوْا عَلَيْهِ، ثُمَّ دَخَلُوا قَبْرَهُ فَوَضَعُوهُ فِي قَبْرِهِ، ثُمَّ حَثَوْا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالُوا: يَا بَنِي آدَمَ هَذِهِ سُنَّتُكُمْ. إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَيْهِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ مَيْمُونٍ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَبَّرَتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَى آدَمَ أَرْبَعًا» . وَكَبَّرَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى فَاطِمَةَ أَرْبَعًا، وَكَبَّرَ عُمَرُ عَلَى أَبِي بَكْرٍ أَرْبَعًا، وَكَبَّرَ صُهَيْبٌ عَلَى عُمَرَ أَرْبَعًا. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ مَيْمُونٍ فَقَالَ: عَنِ ابْنِ عُمَرَ.
وَاخْتَلَفُوا فِي مَوْضِعِ دَفْنِهِ ; فَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ دُفِنَ عِنْدَ الْجَبَلِ الَّذِي أُهْبِطَ عَلَيْهِ فِي الْهِنْدِ. وَقِيلَ: بِجَبَلِ أَبِي قُبَيْسٍ بِمَكَّةَ، وَيُقَالُ إِنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا كَانَ زَمَنُ الطُّوفَانِ حَمَلَهُ هُوَ وَحَوَّاءُ فِي تَابُوتٍ فَدَفَنَهُمَا بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ حَكَى ذَلِكَ ابْنُ جَرِيرٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ قَالَ: رَأْسُهُ عِنْدَ مَسْجِدِ إِبْرَاهِيمَ، وَرِجْلَاهُ عِنْدَ صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ২৩০
আদম (আ)-এর আবু কত ছিল এ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ ইবন আব্বাস (রা) ও আবু
হুরায়রা (রা) থেকে মারফু সুত্রে বর্ণিত হাদীসে আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, আদম
(আ)-এর আবু লাওহে মাহফুজে এক হাজার বছর লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ আদম (আ)
ন’শ ত্রিশ বছর জীবন লাভ করেছিলেন বলে তাওরাতে যে তথ্য আছে, তার সঙ্গে এর কোন
বিরোধ নেই ৷ কারণ ইহুদীদের এ বক্তব্য আপত্তিকর এবং আমাদের হাতে যে সংরক্ষিত সঠিক
তথ্য রয়েছে; তার সঙ্গে সাংঘর্ষির্কহওয়ার কারণে তা প্রত্যাখ্যাত ৷ তাছাড়া ইহুদীদের বক্তব্য ও
হাদীসের তথ্যের মাংঝ সমন্বয় সাধন করাও সম্ভব ৷ কারণ তাওরাতের তথ্য যদি সংরক্ষিত হয়;
তা হলে তা অবতরণের পর পৃথিবীতে অবস্থান করার মেয়াদের উপর প্রয়োগ হবে ৷ আর
তাহলো সৌর হিসাবে নশ ত্রিশ বছর আর চান্দ্র হিসাবে নয় শ সাতান্ন বছর ৷ এর সঙ্গে যোগ
হবে ইবন আবীর-এর বর্ণনানুযায়ী অবতরণের পুর্বে জান্নাতে অবস্থানের মেয়াদকাল তেতাল্লিশ
বছর ৷ সর্বসাকুল্যে এক হাজার বছর ৷
আতা খুরাসানী বলেন, আদম (আ)-এ ইস্তিকাল হলে গেটি৷ সৃষ্টিজগত সাতদিন পর্যন্ত
ত্রুন্দন করে ৷ ইবন আসাকির ছুর) এ তথ্য বর্ণনা করেন ৷ তার মৃত্যুর পর তার পুত্র শীছ (আ)
তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ তিনি সে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী নবী ছিলেন যা ইবন হিব্বান তার
সহীহ-এ আবু যর (রা) থেকে মারফু সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, শীহ (আ)-এর উপর পঞ্চাশটি ন্
সহীফা নাযিল হয় ৷ এরপর তার মৃত্যু ঘনিয়ে আসলে তার ওসীয়ত অনুসারে তার পুত্র আনুশ,
তারপর তার পুত্র কীনন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ তারপর তিনিও মৃত্যুবরণ করলে তার ছেলে
মাহলাঈল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ পারসিকদের ধারণা মতে, এ মাহলাঈল সপ্তরাজ্যের তথা
গোটা পৃথিবীর রাজা ছিলেন ৷ তিনি-ই সর্ব প্রথম গাছপালা কেটে শহর, নগর ও বড় বড় দুর্গ
নির্মাণ করেন ৷ বাবেল ও সুস আল-আকসা’ নগরী তিনিই নির্মাণ করেন ৷ তিনিই ইবলীস ও
তার সাঙ্গপড়াঙ্গদেরকে পরাজিত করে তাদেরকে পৃথিবী সীমান্তবর্তী অঞ্চলসমুহ এবং বিভিন্ন
পাহাড়ী উপত্যকায় তাড়িয়ে দেন ৷ আর তিনিই একদল অৰাধ্য জািভুতকে হত্যা করেন ৷ তার
একটি বড় মুকুট ছিল ৷ তিনি লোকজনের উদ্দেশে বক্তৃতা প্রদান করতেন ৷ তার রাজত্ব চল্লিশ
বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷ তার মৃত্যুর পর তার পুত্র য়ারদ তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷
এরপর র্তারও মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি আপন পুত্র খানুখকে ওসীয়ত করে যান ৷ প্রসিদ্ধ
মত অনুযায়ী এ খানুখ-ই হলেন ইদরীস (আ) ৷
مَاتَتْ حَوَّاءُ بَعْدَهُ بِسَنَةٍ وَاحِدَةٍ.
وَاخْتُلِفَ فِي مِقْدَارِ عُمُرِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ ; فَقَدَّمْنَا فِي الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا: أَنَّ عُمُرَهُ اكْتَتَبَ فِي اللَّوْحِ الْمَحْفُوظِ أَلْفَ سَنَةٍ. وَهَذَا لَا يُعَارِضُهُ مَا فِي التَّوْرَاةِ مِنْ أَنَّهُ عَاشَ تِسْعَمِائَةٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً ; لِأَنَّ قَوْلَهُمْ هَذَا مَطْعُونٌ فِيهِ مَرْدُودٌ إِذَا خَالَفَ الْحَقَّ الَّذِي بِأَيْدِينَا مِمَّا هُوَ الْمَحْفُوظُ عَنِ الْمَعْصُومِ، وَأَيْضًا فَإِنَّ قَوْلَهُمْ هَذَا يُمْكِنُ الْجَمْعُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَا فِي الْحَدِيثِ فَإِنَّ مَا فِي التَّوْرَاةِ إِنْ كَانَ مَحْفُوظًا مَحْمُولٌ عَلَى مُدَّةِ مُقَامِهِ فِي الْأَرْضِ بَعْدَ الْإِهْبَاطِ، وَذَلِكَ تِسْعُمِائَةٍ وَثَلَاثُونَ سَنَةً شَمْسِيَّةً، وَهِيَ بِالْقَمَرِيَّةِ تِسْعُمِائَةٍ وَسَبْعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً، وَيُضَافُ إِلَى ذَلِكَ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً مُدَّةَ مُقَامِهِ فِي الْجَنَّةِ قَبْلَ الْإِهْبَاطِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُهُ فَيَكُونُ الْجَمِيعُ أَلْفَ سَنَةٍ.
وَقَالَ عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ: لَمَّا مَاتَ آدَمُ بَكَتِ الْخَلَائِقُ عَلَيْهِ سَبْعَةَ أَيَّامٍ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، فَلَمَّا مَاتَ آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَامَ بِأَعْبَاءِ الْأَمْرِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ شِيثُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ نَبِيًّا بِنَصِّ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ مَرْفُوعًا: أَنَّهُ أُنْزِلَ عَلَيْهِ خَمْسُونَ صَحِيفَةً، فَلَمَّا حَانَتْ وَفَاتُهُ أَوْصَى إِلَى ابْنِهِ أَنُوشَ فَقَامَ بِالْأَمْرِ بَعْدَهُ، ثُمَّ بَعْدَهُ وَلَدُهُ قَيْنَنُ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ ابْنُهُ مَهْلَائِيلُ، وَهُوَ الَّذِي تَزْعُمُ الْأَعَاجِمُ مِنَ الْفُرْسِ أَنَّهُ مَلَكَ الْأَقَالِيمَ السَّبْعَةَ، وَأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ قَطَعَ الْأَشْجَارَ وَبَنَى الْمَدَائِنَ
পৃষ্ঠা - ২৩১
وَالْحُصُونَ الْكِبَارَ، وَأَنَّهُ هُوَ الَّذِي بَنَى مَدِينَةَ بَابِلَ، وَمَدِينَةَ السُّوسِ الْأَقْصَى، وَأَنَّهُ قَهَرَ إِبْلِيسَ وَجُنُودَهُ، وَشَرَّدَهُمْ عَنِ الْأَرْضِ إِلَى أَطْرَافِهَا، وَشِعَابِ جِبَالِهَا، وَأَنَّهُ قَتَلَ خَلْقًا مِنْ مَرَدَةِ الْجِنِّ وَالْغِيلَانَ، وَكَانَ لَهُ تَاجٌ عَظِيمٌ، وَكَانَ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَدَامَتْ دَوْلَتُهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَلَمَّا مَاتَ قَامَ بِالْأَمْرِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ يَرْدُ، فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَى إِلَى وَلَدِهِ خَنُوخَ، وَهُوَ إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.