كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
فصل في تجديد قريش بناء الكعبة قبل المبعث بخمس سنين
পৃষ্ঠা - ১৫৬৮
মাতুল গোত্র ৷ তার মায়ের নাম যায়নাব বিনত আন্দুল্লাহ্ ইবন রবী’আ ইবন খুওয়াইস ৷
খুওয়াইস হলো বানু নারানের অন্তর্ভুক্ত ৷
মাযিন বলেন, একদিনের ঘটনা ৷ আমরা বলি ও মুর্তিব উদ্দেশে আমরা একটি পশু বলি
, দেই ৷ তখন মুর্ডিং৷ ভেতর থেকে আমি একটি শব্দ শুনতে পাই ৷ সে বলছিল, হে মাযিন! আমি
যা বলি তা শোন তাহলে তুমি খুশিই হতে ৷ কল্যাণ এসে গেছে ৷ অকল্যাণ বিলুপ্ত হয়েছে ;
মুদার গোত্র হতে একজন নবী প্রেরিত হয়েছেন মহান আল্লাহর দীন নিয়ে ৷ সুতরাং তুমি
পাথরের তৈরি মুর্তি পরিত্যাগ কর ৷ তাহলে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে ৷
মাযিন বললেন, এতে আ ৷মি ভীষণ বিচলিত ৩হয়ে পড়ি ৷ কয়েক দিন পর আমরা ওই ঘুর্তিব্
উদ্দেশে আরেকটি পশু বলি দেই ৷ তখন পুনরায় আমি ওই মুর্তিটিকে বলতে শুনি, সে
বলছিল তুমি আমার নিকট আস, আমার নিকট আস, আমি যা বলি তা শোন অগ্রাহ্য করো
না ৷ ইনি প্রেরিত নবী ও রাসুল ৷ আসমানী সত্য নিয়ে তিনি ন্হা৷বিভুত হয়েছেন ৷ তুমি তার প্রতি
ঈমান আন,৩ তাহলে লেলিহান শিরাময় আগুন থেকে রক্ষা প্যা,<৷ ৷ ওই আগুনের জ্বালানি হবে
বড় বড় পাথর ৷
মাযিন বলেন, আমি তখন মনে মনে বললাম , এটি তো নিশ্চয়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার ৷ এটি
তাে আমার জন্যে কল্যাণকর ৷ এ সময়ে আরব অঞ্চল থেকে একজন লোক আমাদের নিকট
আসে ৷ আমি বললাম, ওখানকার সংবাদ কী? সে বলল, সেখানে আহমদ নামে একজন লোক
আবির্ভুত তহয়েছেন ৷ যারা তার নিকট আসে তিনি তাদেরকে বলেন, “তোমরা আল্লাহর প্ৰতি
আহবানকারীর ডাকে সাড়া দাও ৷ অমি বললাম,এঢি তো আমি যা গুনেছি তার বাস্তব রুপ ৷
অতঃপর আমি মুর্তিঢির উপর বাপিয়ে পড়ি এবং সেটি ভেঙে চুরমার করে ফেলি ৷ এরপর আমি
সওয়ারীতে আরোহণ করি এবং সরাসরি রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট গিয়ে উপস্থিত হই ৷ আল্লাহ
তাআলা আমার বক্ষকে ইসলাম গ্রহণের জন্যে প্রশস্ত করে দেন ৷ আমি ইসলাম গ্রহণ করি ৷
তখন আমি বলি :
’
আমি বাজির মুর্তিকে ভেঙে খান খান করে ফেলেছি ৷ অথচ এক সময় সেটি আমাদের
উপাস্য ছিল ৷ আমরা চরম গোমরাহী ও ভ্রান্তিহেতু সেটির চারদিকে তাওয়াফ করতাম ৷
হাশেম বংশীয় লোক মুহাম্মদ (সা) আমাদেরকে গোমরাহী থেকে বের করে এনে ৫হদায়ত
দিয়েছেন তার দীন ধর্ম আ র তা কখনও আমার কল্পনায়ও ছিল না ৷
দুৰুহ্রা;ন্ ৰু,,’;, :,:; ;াএ পু>ণ্,এ ;,ৰু:;৷ — ৰুহ্নণ্হ্নট্ররুন্ট্ট ণ্;,ন্’ণ্ ৰুৰুর্পং ৰুণ্
হে আরােহী পথিক আমরও তার সম্প্রদা য়কে জানিয়ে দাও, যে ব্যক্তি বলবে আমার প্রভু
বাজির মুর্তি, আমি তার শত্রু ৷
[فَصْلٌ فِي تَجْدِيدِ قُرَيْشٍ بِنَاءَ الْكَعْبَةِ قَبْلَ الْمَبْعَثِ بِخَمْسِ سِنِينَ]
ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ فِي بِنَاءِ الْكَعْبَةِ، قَبْلَ تَزْوِيجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ خَدِيجَةَ وَالْمَشْهُورُ أَنَّ بِنَاءَ قُرَيْشٍ الْكَعْبَةَ بَعْدَ تَزْوِيجِ خَدِيجَةَ كَمَا ذَكَرْنَاهُ بِعَشْرِ سِنِينَ، ثُمَّ شَرَعَ الْبَيْهَقِيُّ فِي ذِكْرِ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ فِي زَمَنِ إِبْرَاهِيمَ كَمَا قَدَّمْنَاهُ فِي قِصَّتِهِ، وَأَوْرَدَ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ الْمُتَقَدِّمَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، وَذَكَرَ مَا وَرَدَ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ فِي بِنَائِهِ فِي زَمَنِ آدَمَ وَلَا يَصِحُّ ذَلِكَ فَإِنَّ ظَاهِرَ الْقُرْآنِ يَقْتَضِي أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَوَّلُ مَنْ بَنَاهُ مُبْتَدِئًا، وَأَوَّلُ مَنْ أَسَّسَهُ، وَكَانَتْ بُقْعَتُهُ مُعَظَّمَةً قَبْلَ ذَلِكَ مُعْتَنًى بِهَا مُشَرَّفَةً فِي سَائِرِ الْأَعْصَارِ وَالْأَوْقَاتِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةٍ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا} [آل عمران: 96] وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلُ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১৫৬৯
أَرْبَعُونَ سَنَةً» وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا فِيمَا تَقَدَّمَ، وَأَنَّ الْمَسْجِدَ الْأَقْصَى أَسَّسَهُ إِسْرَائِيلُ وَهُوَ يَعْقُوبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَفِي الصَّحِيحَيْنِ «أَنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الصَّفَّارُ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مِهْرَانَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي يَحْيَى عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: كَانَ الْبَيْتُ قَبْلَ الْأَرْضِ بِأَلْفَيْ سَنَةٍ {وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ} [الانشقاق: 3] قَالَ: مِنْ تَحْتِهِ مَدًّا قَالَ: وَقَدْ تَابَعَهُ مَنْصُورٌ عَنْ مُجَاهِدٍ.
قُلْتُ: وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا وكَأَنَّهُ مِنَ الزَّامِلَتَيْنِ اللَّتَيْنِ أَصَابَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو يَوْمَ الْيَرْمُوكِ وَكَانَ فِيهِمَا إِسْرَائِيلِيَّاتٌ يُحَدِّثُ مِنْهُمَا وَفِيهِمَا مُنْكَرَاتٌ وَغَرَائِبُ.
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ حَدَّثَنَا أَبُو
পৃষ্ঠা - ১৫৭০
এখানে তিনি আমার দ্ব রা সামিতকে এবং তার গোত্রের দ্বারা হুতামা পােত্রকে বুঝিয়েছেন ৷
মাযিন বলেন, অতপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললাম, ইয়া রাসুল ল্লাহ্! আমিণ্ডে একজন
আনন্দপিয়াসী এবং নারীসঙ্গ ও সুরাপানে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপকারী মানুষ ৷ সময়ের
বিবর্তন আমাকে পর্বুদস্ত করেছে এবং তা আমাদের ধ্নসষ্পদ বিনষ্ট করে দিয়েছে ৷ আমার
ক্রীতদাসীদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে ৷ আমার কোন সন্তান-সন্ততি নেই ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) !
আপনি আল্লাহ্র নিকট দোয়া করুন, আমার সমস্যাগুলো তিনি যেন দুর করে দেন, আমাকে
যেন বদ্দাবােধ দান করেন এবং আমাকে একটি সন্তান প্রদান করেন ৷ তখন রাসুলুক্সাহ্ (সা)
বললেন, হে আল্লাহ্৷ তাকে আনন্দ পিরড়াসের পরিবর্তে কুরআন পাঠের আগ্রহ, হড়ারামের
পরিবর্তে হাসান, পাপচােরিতা ও ব্যডিচান্নের পাৰিবর্তে পবিত্রতা দান করুন আপনি তাকে
লক্ষাবােধ এবং সন্তান দান করুন ৷
মাযিন বলেন, অতঃপর আল্লাহ তাঅড়ানা আমার বিপদগুঙ্গো দুর করে দিলেন ৷ ওমান
অঞ্চল উর্বর ও টংপাপনশীন হয়ে ওঠে ৷ আমি ৪জন মহিদাকে বিয়ে করি ৷ কুরআন মর্জীদের
অর্থাংশ মুখস্থু করে ফেলি এবং আল্লাহ্ তাআদা আমারে একটি পুত্র সমান দান করেন ৷ তার
নাম রাখি হাইয়নে ইবন মাযিন ৷ অতপর মাযিন এই কবিতাটি আবৃত্তি ক্ষারন :
হে আল্লাহ্র রাসুল আমার সওয়া ড়ারী আপনার নিকটস্থ এসেছে ৷ বহু মরু যিয়াবান অতিক্রম
করে ওমান থেকে সে আরজে এসেছে ৷
হে পৃথিবী পৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিতু , যেন আপনি আমার জন্যে সুপারিশ করেন ৷
ফলশ্রুতিতে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমাকরে দেন এবং আমি সফলকাম হয়ে ফিরে যাই ৷
০ : ষ্
আমি ফিরে যাব এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্যে আমি যাদের
ধর্মের বিরোধিতা করছি ৷ সুতরাং তাদের মতবাদ আমার মতবাদ নয় এবং তাদের অবস্থান
আমার অবস্থানের মত নয় ৷
আমার যৌবনকড়ালে আমি সুরা ও নারী সন্তোপে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলাম ৷ এক সময় আমার
শরীর দৃর্বলতা ও শক্তিহীনতার জানান দেয় ৷
া, এেত্রুথ্
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা আমাকে মদ্য পানের পরিবর্তে খােদাভীতি দান করলেন ৷ আর
ব্যভিচারের পরিবর্তে দিলেন পবিত্রতা ৷ অনত্তর তিনি আমার মৌনাংগকে অবৈধ ব্যবহার থেকে
পবিত্র রাখলেন ৷
صَالِحٍ الْجُهَنِيُّ حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَعَثَ اللَّهُ جِبْرِيلَ إِلَى آدَمَ وَحَوَّاءَ فَقَالَ لَهُمَا: ابْنِيَا لِي بَيْتًا فَخَطَّ لَهُمَا جِبْرِيلُ فَجَعَلَ آدَمُ يَحْفِرُ وَحَوَّاءُ تَنْقُلُ حَتَّى أَجَابَهُ الْمَاءُ نُودِيَ مِنْ تَحْتِهِ: حَسْبُكَ يَا آدَمُ. فَلَمَّا بَنَيَاهُ أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَيْهِ أَنْ يَطُوفَ بِهِ، وَقِيلَ لَهُ: أَنْتَ أَوَّلُ النَّاسِ، وَهَذَا أَوَّلُ بَيْتٍ. ثُمَّ تَنَاسَخَتِ الْقُرُونُ حَتَّى حَجَّهُ نُوحٌ، ثُمَّ تَنَاسَخَتِ الْقُرُونُ حَتَّى رَفَعَ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنْهُ» .
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ ابْنُ لَهِيعَةَ هَكَذَا مَرْفُوعًا قُلْتُ: وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَوَقْفُهُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَقْوَى، وَأَثْبَتُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الرَّبِيعُ: أَنْبَأَنَا الشَّافِعِيُّ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ عَنِ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ: حَجَّ آدَمُ فَلَقِيَتْهُ الْمَلَائِكَةُ فَقَالُوا: بُرَّ نُسُكُكَ يَا آدَمُ لَقَدْ حَجَجْنَا قَبْلَكَ بِأَلْفَيْ عَامٍ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي بَقِيَّةُ أَوْ قَالَ ثِقَةٌ مَنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ قَالَ: مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ حَجَّ الْبَيْتَ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ هُودٍ وَصَالِحٍ.
পৃষ্ঠা - ১৫৭১
قُلْتُ: وَقَدْ قَدَّمْنَا حَجَّهُمَا إِلَيْهِ وَالْمَقْصُودُ الْحَجُّ إِلَى مَحَلِّهِ، وَبُقْعَتِهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ثَمَّ بِنَاءٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ الْمُتَقَدِّمَ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِطُولِهِ، وَتَمَامِهِ وَهُوَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَرْعَرَةَ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ عَلِيًّا عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] أَهْوَ أَوَّلُ بَيْتٍ بُنِيَ فِي الْأَرْضِ قَالَ: لَا، وَلَكِنَّهُ أَوَّلُ بَيْتٍ وُضِعَ فِيهِ الْبَرَكَةُ لِلنَّاسِ وَالْهُدَى، وَمَقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمِنْ دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا، وَإِنْ شِئْتَ نَبَّأْتُكَ كَيْفَ بِنَاؤُهُ; إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَوْحَى إِلَى إِبْرَاهِيمَ: أَنِ ابْنِ لِي بَيْتًا فِي الْأَرْضِ فَضَاقَ بِهِ ذَرْعًا فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ السَّكِينَةَ، وَهِيَ رِيحٌ خَجُوجٌ لَهَا رَأْسٌ فَاتَّبَعَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ حَتَّى انْتَهَتْ، ثُمَّ تَطَوَّقَتْ فِي مَوْضِعِ الْبَيْتِ تَطَوُّقَ الْحَيَّةِ فَبَنَى إِبْرَاهِيمُ حَتَّى بَلَغَ مَكَانَ الْحَجَرِ قَالَ لِابْنِهِ: أَبْغِنِي حَجَرًا. فَالْتَمَسَ حَجَرًا حَتَّى أَتَاهُ بِهِ فَوَجَدَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ قَدْ رُكِّبَ فَقَالَ لِأَبِيهِ مِنْ أَيْنَ لَكَ هَذَا؟ قَالَ: جَاءَ بِهِ مَنْ لَا يَتَّكِلُ عَلَى بِنَائِكَ، جَاءَ بِهِ جِبْرِيلُ مِنَ السَّمَاءِ فَأَتَمَّهُ. قَالَ: فَمَرَّ عَلَيْهِ الدَّهْرُ فَانْهَدَمَ فَبَنَتْهُ الْعَمَالِقَةُ، ثُمَّ انْهَدَمَ فَبَنَتْهُ جُرْهُمٌ، ثُمَّ انْهَدَمَ فَبَنَتْهُ قُرَيْشٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ رَجُلٌ شَابٌّ فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَرْفَعُوا الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ اخْتَصَمُوا فِيهِ فَقَالُوا: يَحْكُمُ بَيْنَنَا أَوَّلُ رَجُلٍ يَخْرُجُ مِنْ هَذِهِ السِّكَّةِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ مَنْ خَرَجَ عَلَيْهِمْ،
পৃষ্ঠা - ১৫৭২
ষ্কেহৃ প্র১শ্১ঢ়াং
অতঃপর আমার মন-মানসিকত৷ ও ইচ্ছা অনুভুতি জিহাদমুখী হয়ে পড়ে ৷ সুতরাং আমার
রোযা ও হজ্জ একমাত্র আল্লাহ্র উদ্দেশেই নিবেদিত ৷
মাযিন বলেন, আমি আমার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে এসে তারা আমাকে দুরে তাড়িয়ে
একঘরে করে দিল এবং আমাকে গালমন্দ করল ৷ তারা তাদের জনৈক কবিকে আমার প্রতি
নিন্দাবাদ বর্ষণের জন্যে বলল ৷ সে আমার নিন্দাবাদ করল ৷ আমি বললাম, আমি যদি তার
জবাব দিতে যাই তবে তা হবে নিজেরই নিন্দাবাদ ৷ অতঃপর আমি ওদেরকে ছেড়ে চলে আসি ৷
তাদের মধ্য থেকে বহু লোকের একটি দল আমার সাথে সাক্ষাত করে ৷ ইতিপুর্বে আমি তাদের
দেখাশোনা ও তত্ত্বাবধান করতাম ৷ তারা বলল, চাচাত ভাই! আমরা আপনার প্রতি অন্যায়
আচরণ করেছি ৷ এখন সেজন্যে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি ৷ আপনি যদি আপনার নতুন
ধর্মত্যাগে অস্বীকৃতি জানান তবে তা আপনার ব্যাপর ৷ এখন আপনি আমাদের সাথে ফিরে চলুন
এবং আমাদেরকে দেখাশোনা ও তত্ত্বাবধানের কাজ করুন ৷ আপনার ব্যাপার আপনার নিজেরই
এখতিয়ারে থাকবে ৷ তখন আ ৷মি তাদের সাথে ফিরে যাই এবং বলি :
ষ্াএ
আমাদের প্রতি তোমাদের বিদ্বেষকে আমরা তিক্ত জ্ঞান করি ৷ আর তোমাদের প্রতি
আমাদের বিদ্বেষকে হে আমার সম্প্রদায় তোমরা দুধ সম জ্ঞান কর ৷
)ট্রুএে ৷ ষ্াষ্ ১া
আমি যখন তোমাদের দোষ বর্ণনা করি তখন আমি চালাক ও কুশলী বলে বিবেচিত হই না
কিন্তু তোমরা যখন আমাদের দো ষ বর্ণনা কর তখন তা’ চাতুর্য বলে বিবেচিত হয় ৷
তোমাদের নিন্দাবাদে আমাদের করি থাকে নীরব আর তোমাদের করি আমাদেরকে
গালাট্রুা৷ল দিয়ে ঘ৷ ড় বীকা করে দিতে সিদ্ধহস্ত ৷ আমাদেরকে গালমন্দ করতে সে বাকপটু ৷
মনে রেখো, আমাদের অস্তরে তোমাদের প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষ নেই ৷ অথচ তোমাদের
মন্থন্ রয়েছে ব্যিদ্বষ ও গোপন শত্রুত৷ ৷
মাযিন বলেন, অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাদের সকলকে হেদায়ত দান করেন এবং তাদের
সকলেই ইসলাম গ্রহণ করে ৷
হাফিজ আবু লুআয়ম হযরত জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর আবির্ভাবের সং বাদ সর্বপ্রথম মদীনায় পৌছে এভাবে যে , মদীনায় জনৈকা
মহিলার অনুগত একটি জিন ছিল ৷ একদিন সাদা পাখির আকৃতি নিয়ে সে মহিলার নিকট আসে
এবং একটি দেয়ালের ওপর বসে থাকে ৷ মহিলা বলে, তুমি নেমে আমাদের নিকটে আসছ না
فَقَضَى بَيْنَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِي مِرْطٍ، ثُمَّ تَرْفَعَهُ جَمِيعُ الْقَبَائِلِ كُلُّهُمْ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَقَيْسٌ وَسَلَّامٌ كُلُّهُمْ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَرْعَرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: لَمَّا انْهَدَمَ الْبَيْتُ بَعْدَ جُرْهُمٍ بَنَتْهُ قُرَيْشٌ فَلَمَّا أَرَادُوا وَضْعَ الْحَجَرِ تَشَاجَرُوا مَنْ يَضَعُهُ؟ فَاتَّفَقُوا أَنْ يَضَعَهُ أَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ مِنْ هَذَا الْبَابِ فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ فَأَمَرَ بِثَوْبٍ فَوَضَعَ الْحَجَرَ فِي وَسَطِهِ، وَأَمَرَ كُلَّ فَخْذٍ أَنْ يَأْخُذُوا بِطَائِفَةٍ مِنَ الثَّوْبِ فَرَفَعُوهُ وَأَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ.
قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: أَخْبَرَنِي أَصْبُغُ بْنُ فَرَجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحُلُمَ جَمَّرَتِ امْرَأَةٌ الْكَعْبَةَ فَطَارَتْ شَرَارَةٌ مِنْ مَجْمَرِهَا فِي ثِيَابِ الْكَعْبَةِ فَاحْتَرَقَتْ فَهَدَمُوهَا حَتَّى إِذَا بَنَوْهَا فَبَلَغُوا مَوْضِعَ الرُّكْنِ اخْتَصَمَتْ قُرَيْشٌ فِي الرُّكْنِ أَيُّ الْقَبَائِلِ تَلِي رَفْعَهُ؟ فَقَالُوا: تَعَالَوْا نُحَكِّمْ أَوَّلَ مَنْ يَطْلُعُ عَلَيْنَا فَطَلَعَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ غُلَامٌ عَلَيْهِ وِشَاحُ نَمِرَةٍ فَحَكَّمُوهُ فَأَمَرَ بِالرُّكْنِ فَوُضِعَ فِي ثَوْبٍ، ثُمَّ أَخْرَجَ سَيِّدَ كُلِّ قَبِيلَةٍ فَأَعْطَاهُ نَاحِيَةً مِنَ الثَّوْبِ، ثُمَّ ارْتَقَى هُوَ فَرَفَعُوا إِلَيْهِ الرُّكْنَ فَكَانَ هُوَ يَضَعُهُ فَكَانَ لَا يَزْدَادُ عَلَى السِّنِّ إِلَّا رِضًا حَتَّى دَعَوْهُ الْأَمِينَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ فَطَفِقُوا لَا يَنْحَرُونَ جَزُورًا; إِلَّا الْتَمَسُوهُ
পৃষ্ঠা - ১৫৭৩
فَيَدْعُو لَهُمْ فِيهَا.
وَهَذَا سِيَاقٌ حَسُنٌ وَهُوَ مِنْ سِيَرِ الزُّهْرِيِّ، وَفِيهِ مِنَ الْغَرَابَةِ قَوْلُهُ: فَلَمَّا بَلَغَ الْحُلُمَ وَالْمَشْهُورُ أَنَّ هَذَا كَانَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمُرُهُ خَمْسٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً، وَهُوَ الَّذِي نَصَّ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَ بِنَاءُ الْكَعْبَةِ قَبْلَ الْمَبْعَثِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَهَكَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ وَعُرْوَةُ وَمُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَغَيْرُهُمْ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَ بَيْنَ الْفِجَارِ وَبَيْنَ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً قُلْتُ: وَكَانَ الْفِجَارُ، وَحِلْفُ الْفُضُولِ فِي سَنَةٍ وَاحِدَةٍ إِذْ كَانَ عُمُرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِشْرُونَ سَنَةً. وَهَذَا يُؤَيِّدُ مَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَإِنَّمَا حَمَلَ قُرَيْشًا عَلَى بِنَائِهَا أَنَّ السُّيُولَ كَانَتْ تَأْتِي مِنْ فَوْقِهَا مِنْ فَوْقِ الرَّدْمِ الَّذِي صَنَعُوهُ فَخَرَّ بِهِ فَخَافُوا أَنْ يَدْخُلَهَا الْمَاءُ وَكَانَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُلَيْحٌ سَرَقَ طِيبَ الْكَعْبَةِ فَأَرَادُوا أَنْ يَشِيدُوا
পৃষ্ঠা - ১৫৭৪
بُنْيَانَهَا، وَأَنْ يَرْفَعُوا بَابَهَا حَتَّى لَا يَدْخُلَهَا إِلَّا مَنْ شَاءُوا فَأَعَدُّوا لِذَلِكَ نَفَقَةً وَعُمَّالًا، ثُمَّ غَدَوْا إِلَيْهَا لِيَهْدِمُوهَا عَلَى شَفَقٍ، وَحَذَرٍ أَنْ يَمْنَعَهُمُ اللَّهُ الَّذِي أَرَادُوا فَكَانَ أَوَّلَ رَجُلٍ طَلَعَهَا وَهَدَمَ مِنْهَا شَيْئًا الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ فَلَمَّا رَأَوُا الَّذِي فَعَلَ الْوَلِيدُ، تَتَابَعُوا فَوَضَعُوهَا فَأَعْجَبَهُمْ ذَلِكَ فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَأْخُذُوا فِي بُنْيَانِهَا أَحْضَرُوا عُمَّالَهُمْ فَلَمْ يَقْدِرْ رَجُلٌ مِنْهُمْ أَنْ يَمْضِيَ أَمَامَهُ مَوْضِعَ قَدَمٍ.
فَزَعَمُوا أَنَّهُمْ رَأَوْا حَيَّةً قَدْ أَحَاطَتْ بِالْبَيْتِ رَأْسُهَا عِنْدَ ذَنَبِهَا فَأَشْفَقُوا مِنْهَا شَفَقَةً شَدِيدَةً، وَخَشَوْا أَنْ يَكُونُوا قَدْ وَقَعُوا مِمَّا عَمِلُوا فِي هَلَكَةٍ. وَكَانَتِ الْكَعْبَةُ حِرْزَهُمْ وَمَنَعَتَهُمْ مِنَ النَّاسِ، وَشَرَفًا لَهُمْ فَلَمَّا سُقِطَ فِي أَيْدِيهِمْ وَالْتَبَسَ عَلَيْهِمْ أَمْرُهُمْ، قَامَ فِيهِمُ الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَخْزُومٍ فَذَكَرَ مَا كَانَ مِنْ نُصْحِهِ لَهُمْ، وَأَمْرِهِ إِيَّاهُمْ أَنْ لَا يَتَشَاجَرُوا وَلَا يَتَحَاسَدُوا فِي بِنَائِهَا، وَأَنْ يَقْتَسِمُوهَا أَرْبَاعًا، وَأَنْ لَا يُدْخِلُوا فِي بِنَائِهَا مَالًا حَرَامًا. وَذَكَرَ أَنَّهُمْ لَمَّا عَزَمُوا عَلَى ذَلِكَ ذَهَبَتِ الْحَيَّةُ فِي السَّمَاءِ وَتَغَيَّبَتْ عَنْهُمْ، وَرَأَوْا أَنَّ ذَلِكَ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: وَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ: إِنَّهُ اخْتَطَفَهَا طَائِرٌ، وَأَلْقَاهَا نَحْوَ أَجْيَادٍ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ: فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً اجْتَمَعَتْ قُرَيْشٌ لِبُنْيَانِ الْكَعْبَةِ كَانُوا يَهُمُّونَ بِذَلِكَ;
পৃষ্ঠা - ১৫৭৫
কেন? আস, আমরা পরস্পরে কথার্বতো বলি এবং সংবাদ আদান-প্রদান করি ৷ জবাবে জিনটি
বলল, “মক্কায় একজন নবী প্রেরিত হয়েছেন ৷ তিনি ব্যভিচার নিষিদ্ধ করেছেন এবং আমাদের
মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছেন ৷
ওয়াকিদী বলেন আলী ইবন হুসায়ন সুত্রে বলেন, রাস্ফুল্লোহ (সা) সম্পর্কে মদীনায়
প্রথম সংবাদ আসে এভাবে যে, সেখানে ফাতিমা নাম্বী এক মহিলা ছিল ৷ তার ছিল একটি
অনুগত জিন ৷ একদিন জিনটি তার নিকট এল এবং দেয়ালের ওপর দাড়িয়ে রইল ৷ সে বলল,
তুমি নেমে আসছ না কেনঃ জিনটি বলল, না, নামবাে না ৷ কারণ একজন রাসুল প্রেরিত
হয়েছেন, তিনি ব্যভিচার হারাম করে দিয়েছেন ৷
অন্য এক তাবেঈ মুরসালভাবে এ হাদীসটি বংনাি করেছেন এবং বলেছেন যে, ওই জিনটির
নাম ছিল ইবন লড়াওযান ৷ তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, দীর্ঘদিন যাবত জিনটি মহিলার নিকট
অনুপস্থিত ছিল ৷ পরে যখন জিনটি আসে তখন সে জিনঢিকে গড়ালমন্দ করে ৷ তখন জিনটি
বলল, আমি ওই প্রেরিত রাসুলের নিকট গিয়েছিলাম ৷ আমি তাকে ব্যতিচার হারাম ঘোষণা
করতে শুনেছি ৷ সুতরাং তোমার প্রতি সালাম ৷ তোমার নিকট থেকে ঘান্নিক্তয় বিদায় ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুহাম্মদ ইবন সালিহ উসমান ইবন আফ্ফান (রা) সুত্রে বলেছেন,
একসময় একটি ব্যবসায়ী কাফেলার সদস্যরুপে আমরা সিরিয়া যাত্রা করি ৷ এটি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর আবির্ভাবের পুর্বের ঘটনা ৷ আমরা যখন সিরিয়ার প্ৰবেশদ্বারে পৌছি, তখন সেখানকার
জনৈক গণক মহিলা আমাদের নিকট এলো ৷ সে বলল, আমার জিন সাথী আমার নিকট এসে
দেয়ালের ওপর অবস্থান নিল ৷ আমি বললাম ভেতরে আসছ না কেনা সে বলল, এখন আমার
জন্যে সে পথ খোলা নেই ৷ আহমদ নামের একজন নবী আবির্ভুত হয়েছেন ৷ তিনি এমন একটি
বিষয় নিয়ে এসেছেন যার বিরোধিতা করার ক্ষমতা আমাদের নেই ৷ হযরত উসমান (রা ) বলেন ,
এরপর আমি মক্কায় ফিরে আসি ৷ সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে পেলাম যে, তিনি রাসুলরুপে
আবির্ভুত হয়েছেন এবং মানুষকে আল্লাহর প্রতি ডাকছেন ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ যুহরী বলেছেন, পুর্বযুগে ওহী বিষয়ক আলোচনা
শোনা যেত ৷ জিনরা তা শুনতে পেত ৷ ইসলামের যখন আগমন ঘটল তখন জিনদেবকে ওহী
শোনার পথ রুদ্ধ করে দেয়া হলো ৷ রানু আসাদ গোত্রে সাঈরা নামে এক মহিলার একটি
অনুগত জিন ছিল ৷ যখন দেখা গেল যে, ওহী শোনা আর সম্ভব হচ্ছে না তখন জিনটি মহিলার
নিকট উপস্থিত হয় এবং তার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে ৷ এরপর সে একটি চিৎকার দেয় যে, ওই
মহিলা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ৷ তার বুকের মধ্য থেকে জিনটি বলতে শুরু করে কঠােরত৷ কার্যকর
করা হয়েছে, দলে দলে জিনদের উর্ধ্বাকাশে গমন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৷ সাধ্যাতীত নির্দেশ
জারি করা হয়েছে ৷ আর আহমদ (সা) ব্যভিচার হারাম ঘোষণা করেছেন ৷
হাফিজ আবু বকর খারইিডী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ বালডী মিরদাস ইবন
কায়স সাদুসী সুত্রে বর্ণনা করেন-আমি একসময় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাজির হই ৷
তখন র্তার সম্মুখে গণক পেশা সম্পর্কে এবং তীর আবির্তাবের ফলে কীভাবে ওই গণক পেশা
لِيَسْقِفُوهَا وَيَهَابُونَ هَدْمَهَا، وَإِنَّمَا كَانَتْ رَضْمًا فَوْقَ الْقَامَةِ فَأَرَادُوا رَفْعَهَا وَتَسْقِيفَهَا; وَذَلِكَ أَنَّ نَفَرًا سَرَقُوا كَنْزَ الْكَعْبَةِ، وَإِنَّمَا كَانَ فِي بِئْرٍ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ وَكَانَ الَّذِي وُجِدَ عِنْدَهُ الْكَنْزُ دُوَيْكًا مَوْلًى لِبَنِي مُلَيْحِ بْنِ عَمْرِو بْنِ خُزَاعَةَ فَقَطَعَتْ قُرَيْشٌ يَدَهُ، وَتَزْعُمُ قُرَيْشٌ أَنَّ الَّذِينَ سَرَقُوهُ وَضَعُوهُ عِنْدَ دُوَيْكٍ. وَكَانَ الْبَحْرُ قَدْ رَمَى بِسَفِينَةٍ إِلَى جُدَّةَ لِرَجُلٍ مِنْ تُجَّارِ الرُّومِ فَتَحَطَّمَتْ فَأَخَذُوا خَشَبَهَا فَأَعَدُّوهُ لِتَسْقِيفِهَا. قَالَ الْأُمَوِيُّ: كَانَتْ هَذِهِ السَّفِينَةُ لِقَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ تَحْمِلُ آلَاتِ الْبِنَاءِ مِنَ الرُّخَامِ وَالْخَشَبِ وَالْحَدِيدِ، سَرَّحَهَا قَيْصَرُ مَعَ بَاقُومَ الرُّومِيِّ إِلَى الْكَنِيسَةِ الَّتِي أَحْرَقَهَا الْفُرْسُ لِلْحَبَشَةِ فَلَمَّا بَلَغَتْ مَرْسَاهَا مِنْ جُدَّةَ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهَا رِيحًا فَحَطَّمَتْهَا.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ بِمَكَّةَ رَجُلٌ قِبْطِيٌّ نَجَّارٌ فَتَهَيَّأَ لَهُمْ فِي أَنْفُسِهِمْ بَعْضُ مَا يُصْلِحُهَا. وَكَانَتْ حَيَّةٌ تَخْرُجُ مِنْ بِئْرِ الْكَعْبَةِ - الَّتِي كَانَتْ يُطْرَحُ فِيهَا مَا يُهْدَى إِلَيْهَا كُلَّ يَوْمٍ - فَتَتَشَرَّقُ عَلَى جِدَارِ الْكَعْبَةِ، وَكَانَتْ مِمَّا يَهَابُونَ، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ لَا يَدْنُو مِنْهَا أَحَدٌ إِلَّا احْزَأَلَّتْ وَكَشَّتْ وَفَتَحَتْ فَاهَا فَكَانُوا يَهَابُونَهَا فَبَيْنَمَا هِيَ يَوْمًا تُشْرِفُ عَلَى جِدَارِ الْكَعْبَةِ كَمَا كَانَتْ تَصْنَعُ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهَا طَائِرًا فَاخْتَطَفَهَا فَذَهَبَ بِهَا فَقَالَتْ قُرَيْشٌ: إِنَّا لَنَرْجُو أَنْ يَكُونَ
পৃষ্ঠা - ১৫৭৬
اللَّهُ تَعَالَى قَدْ رَضِيَ مَا أَرَدْنَا، عِنْدَنَا عَامِلٌ رَقِيقٌ، وَعِنْدَنَا خَشَبٌ، وَقَدْ كَفَانَا اللَّهُ الْحَيَّةَ.
وَحَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ رَزِينٍ: أَنَّ سَارِقًا دَخَلَ الْكَعْبَةَ فِي أَيَّامِ جُرْهُمٍ لِيَسْرِقَ كَنْزَهَا فَانْهَارَ الْبِئْرُ عَلَيْهِ حَتَّى جَاءُوا فَأَخْرَجُوهُ وَأَخَذُوا مِنْهُ مَا كَانَ أَخَذَهُ، ثُمَّ سَكَنَتْ هَذَا الْبِئْرَ حَيَّةٌ رَأْسُهَا كَرَأْسِ الْجَدْيِ وَبَطْنُهَا أَبْيَضُ وَظَهْرُهَا أَسْوَدُ فَأَقَامَتْ فِيهَا خَمْسَمِائَةِ عَامٍ، وَهِيَ الَّتِي ذَكَرَهَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ لِهَدْمِهَا وَبُنْيَانِهَا، قَامَ أَبُو وَهْبٍ عَمْرُو بْنُ عَائِذِ بْنِ عَبْدِ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومٍ - وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: عَائِذُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومٍ - فَتَنَاوَلَ مِنَ الْكَعْبَةِ حَجَرًا فَوَثَبَ مِنْ يَدِهِ حَتَّى رَجَعَ إِلَى مَوْضِعِهِ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَا تُدْخِلُوا فِي بُنْيَانِهَا مِنْ كَسْبِكُمْ إِلَّا طَيِّبًا; لَا يَدْخُلُ فِيهَا مَهْرُ بَغِيٍّ وَلَا بَيْعُ رِبًا وَلَا مَظْلَمَةُ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ وَالنَّاسُ يَنْحَلُونَ هَذَا الْكَلَامَ الْوَلِيدَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، ثُمَّ رَجَّحَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ قَائِلَ ذَلِكَ أَبُو وَهْبِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: وَكَانَ خَالَ أَبِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ شَرِيفًا مُمَدَّحًا.
পৃষ্ঠা - ১৫৭৭
পর্বুদস্ত হয়ে পড়ে সে সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল ৷ আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা)৷ এ
বিষয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে ৷ আমি তা আপনার সম্মুখে ব্যক্ত করছি ৷ আমাদের একজন
ক্রীতদাসী ছিল , তার নাম খালাসাহ্ ৷ তার সম্পর্কে, ভাল ছাড়া খারাপ ধারণা আমরা কােনদিন
পোষণ করিনি ৷ একদিনের ঘটনা, ,সে আমাদের নিকট এসে রলে, ,,াহ দাওস সম্প্রদায় ৷ আশ্চর্য,
আমার ওপর যা ঘটে গেল তা ভীয়ণ আশ্চর্যের ব,া৷পাব ৷ আপনারা কি আমার ব্যাপারে ভাল
ছাড়া অন্য কোন ধারণা পোষণ করেনঃ আমরা বললাম, ব্যা পর কী? ;স বলল, আমি আমার
বকরী গানের মধ্যে ছিলাম ৷ হঠাৎ একটি অন্ধকার এসে আমাকে ঢেকে ফেলে, এরই মধ্যে
আমি না ৷রী পুরুষের যৌন সঙ্গম অনুভব করি ৷ এখন তাে আমি আশংকা করছি যে হয়ত আমি
গর্ভবভী হয়ে পড়েছি ৷ মুলত৩ তাই হলো ৷ তার প্ৰসবকালীন সময় ঘনিয়ে এলো ৷ সে একটি
চ্যাপ্টা ও ঝুলন্ত কান বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে ৷৩ তার কান দুব্রট৷ ছিল কুকুরের কানের মতো৷
যে আমাদের মধ্যে কিছুদিন থাকার পরই অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা শুরু করে ৷ হঠাৎ সে
লাফিয়ে উঠে এবং নিজের পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলে উচ্চস্বরে ৷টুচৎকার করে বলতে থাকে, হায়
দৃর্ডোগ! হায় দুর্ভোগ! হায় ক্রন্দন! হায় ক্রন্দন! গানাম গোত্রের দ ন্পুা৷ দুর্ডোগ ৷ ফাহ্ম গোত্রের
জন্যে দুর্ভোগ ৷ খায়ল ভুমিতে আগুন প্রজ্বলনকারীর জন্যে দৃভােগ ৷ আকাবার অধিবাসীদের
সাথে আল্লাহ আছেন ৷ , ওদের মধ্যে কতক সৃদর্শন সাহসী উত্তম যুবক রয়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা সওক্রীরীতে আরোহণ করলাম এবং অস্ত্রশত্রে সজ্জিত
হলাম ৷ এরপর আমরা বললাম, ধুত্তরি, এখন তুমি কী করতে বল? সে বলে , কোন ঋতুমতি
মহিলা সংগ্রহ করা যাবো আমরা বললাম, আমাদের মধ্য থেকে কে তার দায়িত্ব শেষে? যে
বলল, আমাদের মধ্য থেকে একজন বৃদ্ধ লোক তার দ যিহু নেবে ৷ তবে আল্লাহর কলম, ওই
মহিলা আমার নিকট একজন সতী সাধবী মা বটে ৷ আমরা বললাম, ঠিক আছে ওকে তাড়াতাড়ি
নিয়ে এসো ৷ মহিলাটিকে নিয়ে আসা হলো ৷ ওই শিশু একটি পাহাড়ে ট্টঠল ৷ মহিলাটিকে সে
বলল, আপনার জামা-কাপড় খুলে ফেলে দিন এবং আপনি ওদের সম্মুখে বের হন ৷ উপস্থিত
সোকজনকে সে বলল, তোমরা তার পেছনে পেছনে যাও ৷ আমাদের মধ্যে এক লোকের নাম
ছিল আহমদ ইবন হাবিস ৷ সে বলল, হে আহমদ ইবন হাবিস৷ আপনি বিপক্ষদলের প্রথম
অশ্বারোহীকে ঠেকাবেন ৷ আহমদ আক্রমণ করলেন ৷ ওদের প্রথম অশ্বারােহীকে তিনি বর্শাঘাত
করলেন ৷ সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৷ অন্য সবাই পালিয়ে গেল ৷ আমরা ওদের ফেলে যাওয়া
মালামাল লুটে নিলাম ৷ সেখানে আমরা একটি গৃহ নির্মাণ করি ৷ সেটির নাম দেই যুল
খালাসাহ্ ৷ ওই শিশুটি আমাদেরকে যা যা বলত , বাস্তবে তা-ই ঘটত ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) !
অবশেষে যখন আপনার অবির্তাবের সময় হলো তখন একদিন সে আমাদেরকে বলল, হে দাওস
সম্প্রদায় বা নু হাবিছ ইবন কাব হামলা করেছে ৷ তখন আমরা সওয়াৰীতে আরোহণ করলাম
সে আমাদেরকে বলল, আপনারা ৷থুব দ্রুত ঘোড়া ছোটাবেন ৷৩ তাদের চোখে মুখে মাটি নিক্ষেপ
করবেন ৷ সকাল বেলা ওদেরকে দেশান্তর করবেন ৷ সন্ধ্যাবেলা আপনারা মদপান করবেন ৷ তার
নির্দেশমত আমরা ওদের মুখোমুখি হলাম ৷ কিন্তু তারা আমাদেরকে পরাজিত করে এবং
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৮-
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ قُرَيْشًا تَجَزَّأَتِ الْكَعْبَةَ; فَكَانَ شِقُّ الْبَابِ لِبَنِي عَبْدِ مَنَافٍ وَزُهْرَةَ وَمَا بَيْنَ الرُّكْنِ الْأَسْوَدِ وَالرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ لِبَنِي مَخْزُومٍ، وَقَبَائِلَ مِنْ قُرَيْشٍ انْضَمُّوا إِلَيْهِمْ وَكَانَ ظَهْرُ الْكَعْبَةِ لِبَنِي جُمَحَ وَسَهْمٍ وَكَانَ شِقُّ الْحِجْرِ لِبَنِي عَبْدِ الدَّارِ بْنِ قُصَيٍّ، وَلِبَنِي أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَلِبَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ وَهُوَ الْحَطِيمُ، ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ هَابُوا هَدْمَهَا وَفَرِقُوا مِنْهُ فَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ أَنَا أَبْدَؤُكُمْ فِي هَدْمِهَا فَأَخَذَ الْمِعْوَلَ ثُمَّ قَامَ عَلَيْهَا وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ لَمْ تُرَعِ اللَّهُمَّ إِنَّا لَا نُرِيدُ إِلَّا الْخَيْرَ، ثُمَّ هَدَمَ مِنْ نَاحِيَةِ الرُّكْنَيْنِ فَتَرَبَّصَ النَّاسُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَقَالُوا: نَنْظُرُ فَإِنْ أُصِيبَ لَمْ نَهْدِمْ مِنْهَا شَيْئًا، وَرَدَدْنَاهَا كَمَا كَانَتْ، وَإِنْ لَمْ يُصِبْهُ شَيْءٌ فَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ مَا صَنَعْنَا مِنْ هَدْمِهَا فَأَصْبَحَ الْوَلِيدُ غَادِيًا عَلَى عَمَلِهِ فَهَدَمَ وَهَدَمَ النَّاسُ مَعَهُ حَتَّى إِذَا انْتَهَى الْهَدْمُ بِهِمْ إِلَى الْأَسَاسِ - أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ - أَفْضَوْا إِلَى حِجَارَةٍ خُضْرٍ كَالْأَسِنَّةِ آخِذٍ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَوَقَعَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ: كَأَسْنِمَةِ الْإِبِلِ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَأَرَى رِوَايَةَ السِّيرَةِ كَالْأَلْسِنَةِ وَهْمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ يَرْوِي الْحَدِيثَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ
পৃষ্ঠা - ১৫৭৮
مِمَّنْ كَانَ يَهْدِمُهَا أَدْخَلَ عَتَلَةً بَيْنَ حَجَرَيْنِ مِنْهَا لِيَقْلَعَ بِهَا أَحَدَهُمَا فَلَمَّا تَحَرَّكَ الْحَجَرُ تَنَقَّضَتْ مَكَّةُ بِأَسْرِهَا فَانْتَهَوْا عَنْ ذَلِكَ الْأَسَاسِ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَزَعَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ أَوَّلِيَّةَ قُرَيْشٍ كَانُوا يُحَدِّثُونَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ لَمَّا اجْتَمَعُوا لِيَنْزِعُوا الْحِجَارَةَ، وَانْتَهَوْا إِلَى تَأْسِيسِ إِبْرَاهِيمَ، وَإِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ عَمَدَ رَجُلٌ مِنْهُمْ إِلَى حَجَرٍ مِنَ الْأَسَاسِ الْأَوَّلِ فَرَفَعَهُ وَهُوَ لَا يَدْرِي أَنَّهُ مِنَ الْأَسَاسِ الْأَوَّلِ فَأَبْصَرَ الْقَوْمُ بَرْقَةً تَحْتَ الْحَجَرِ كَادَتْ تَلْتَمِعُ بَصَرَ الرَّجُلِ، وَنَزَا الْحَجَرُ مِنْ يَدِهِ فَوَقَعَ فِي مَوْضِعِهِ، وَفَزِعَ الرَّجُلُ وَالْبُنَاةُ فَلَمَّا سَتَرَ الْحَجَرُ عَنْهُمْ مَا تَحْتَهُ إِلَى مَكَانِهِ عَادُوا إِلَى بُنْيَانِهِمْ، وَقَالُوا: لَا تُحَرِّكُوا هَذَا الْحَجَرَ وَلَا شَيْئًا بِحِذَائِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحُدِّثْتُ أَنَّ قُرَيْشًا وَجَدُوا فِي الرُّكْنِ كِتَابًا بِالسُّرْيَانِيَّةِ فَلَمْ يَدْرُوا مَا هُوَ حَتَّى قَرَأَهُ لَهُمْ رَجُلٌ مِنْ يَهُودَ فَإِذَا هُوَ: أَنَا اللَّهُ ذُو بَكَّةَ خَلَقْتُهَا يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَصَوَّرْتُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ، وَحَفَفْتُهَا بِسَبْعَةِ أَمْلَاكٍ حُنَفَاءَ لَا تَزُولُ حَتَّى يَزُولَ أَخْشَبَاهَا - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يَعْنِي جَبَلَاهَا - مُبَارَكٌ لِأَهْلِهَا فِي الْمَاءِ وَاللَّبَنِ.
পৃষ্ঠা - ১৫৭৯
আমাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে ৷ এরপর আমরা তার নিকট ফিরে এসে বলি , তোমার কী
অবস্থা ? যে আমাদের দিকে তাকাল ৷ চোখ দুটো তার রক্তিম ৷ কান দুটো ফোল৷ ফোলা ৷
রাগে সে যেন ফেটে পডবে ৷ সে উঠে দাড়ায় ৷ আমরা সওয়ারীতে উঠে বসি ৷ কিছু সময় আমরা
তার নিকট থেকে দুরে সরে থাকি ৷ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করাব্লু পর যে আমাদেরকে ডাকে এবং
বলে, আপনারা কি এমন কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণে ৷আগ্রহী আছেন যে যুদ্ধ আপনাদের জন্যে
সম্মান, গৌরব, শক্তিশালী রাজ্য এবং আপনাদের হাতে ধন সম্পদ এনে দেবে? আমরা বললড়াম,
তা তো আমাদের খুবই প্রয়োজন ৷ সে বলল, আপনারা সওয়ারীতে আরোহণ করুন আমরা
সওয়াক্লীতে উঠলাম ৷ এবার কী নির্দেশ? আমরা বললড়াম ৷ সে বলল, বানৃ হারিছ ইবন
মাসলামাহ্ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চলুন ৷ এরপর বলল, একটু ণ্থামুন ৷ আমরা থামলাম ৷
সে বলল, বরং ফাহম গোত্রের বিরুদ্ধে যুর্দ্ধ করতে এগিয়ে যান ৷ এরপর বলল, না, ওদেরকে
তো আপনারা ধ্বংস করতে পারবেন না ৷ আপনারা বরং মুদার রুপুপাত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রসর
হউন ৷ ওদের প্রচুর পশু ও ধন সম্পদ রয়েছে ৷ এরপর বলল, না, ওদািক নয় বরং দুরায়দ ইবন
সুষ্মা-এৱ গোত্রের দিকে অগ্রসর হউন ৷ ওরা সংখ্যায়ও কম, শক্তিতােন্ দুর্বল ৷ এরপর সে বলল,
না, আপনারা বরং কা ব ইবন রর্বীআ গোত্রের বিরুদ্ধে অগ্রসর হউন ৷ আমির ইবন
সা’সাআ-এর স্বামী পরিত্যক্তা ত্রীরা ওদেরকে বসবাস করার স্থান দিয়েছে ৷ সুতরাং যুদ্ধ তাদের
বিরুদ্ধে হোক ৷ তার নির্দেশনায় আমরা কা’ব ইৰ্ন রৰীআ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করি ৷
কিন্তু ওরা আমাদেরকে পরাজিত করে এবং পর্বুদস্ত ও লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দেয় ৷ আমরা ফিরে
আসি ৷ আমরা তাকে বললড়াম, দুর্ভো গ তোমার ৷ আমাদেরকে নিয়ে ভুমি কী কাণ্ড শুরু করে
দিয়েছ? সে বলল, আমি নিজেই তো এর রহস্য খুজে পাচ্ছি না ৷ আমার গোপন সহচর ইতিপুর্বে
আমার সাথে সত্য কথা বলত ৷ এখন দেখি সে মিথ্যা বলছে ৷ আপনারা এক কাজ করুন ৷
একা ধারে তিনদিন আপনারা আমাকে আমার ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখুন ৷ এরপর আপনারা
আমার নিকট আসবেন ৷ তার কথামত আমরা তাকে বন্দী করে রাখি ৷ তিনদিন পর দরজা খুলে
আমরা তার নিকট যাই ৷ তখন তাকে দেখাচ্ছিল সে যেন একটি জ্বলন্ত পাথর ৷ সে বলল, হে
দাওস সম্প্রদায় ! আকাশকে স০ রক্ষিত করে রাখা হয়েছে এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী আগমন করেছেন ৷
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় ? সে বলল, মক্কায় ৷ আরো শুনে নিন, অচিরেই আমার মৃত্যু
হবে ৷ আপনারা তখন আমাকে পাহাড়ের চুড়ায় দাফন করবেন ৷ কারণ অবিলম্বে আমি আগুন
রুপে জ্বলে উঠব ৷ আপনারা যদি আমাকে রেখে দেন তবে আমি আপনাদের লাঞ্চুনার কারণ
হবে৷ ৷ আপনারা যখন লক্ষ্য করবেন যে, আমি জ্বলে উঠেছি এবং শিখাময় হয়ে গিয়েছি তখন
আমার প্রতি তিনটি পাথর নিক্ষেপ করবেন ৷
প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের সময় বলবেন, হে আল্পাহ্৷ আপনার নাম নিয়ে এ পাথর নিক্ষেপ
করছি ৷ তাহলে আমি প্ৰশমিত হবে৷ ও নির্বাপিত হবো ৷ যথাসময়ে তার মৃত্যু হয় এবং সে
শিখাময় আগুনে পরিণত হয় ৷ তার নির্দেশ মোতাবেক আমরা সব কিছুর ব্যবস্থা করি ৷ “হে
আল্লাহ্ ! আপনার নাম নিয়ে নিক্ষেপ করছি বলে আমরা তিনটি পাথর নিক্ষেপ করি ৷ ফলে সে
প্রশমিত হয় ও নিতে যায় ৷ এরপর আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি ৷ অতঃপর আমাদের এলাকার
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحُدِّثْتُ أَنَّهُمْ وَجَدُوا فِي الْمَقَامِ كِتَابًا فِيهِ: مَكَّةُ اللَّهِ الْحَرَامُ، يَأْتِيهَا رِزْقُهَا مِنْ ثَلَاثَةِ سُبُلٍ لَا يَحِلُّهَا أَوَّلُ مِنْ أَهْلِهَا. قَالَ: وَزَعَمَ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ أَنَّهُمْ وَجَدُوا فِي الْكَعْبَةِ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَرْبَعِينَ سَنَةً - إِنْ كَانَ مَا ذُكِرَ حَقًّا - مَكْتُوبًا فِيهِ: مَنْ يَزْرَعْ خَيْرًا يَحْصُدْ غِبْطَةً، وَمَنْ يَزْرَعْ شَرًّا يَحْصُدْ نَدَامَةً، تَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ وَتُجْزَوْنَ الْحَسَنَاتِ! أَجَلْ كَمَا يُجْتَنَى مِنَ الشَّوْكِ الْعِنَبُ.
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنَا مُعَمَّرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّقِّيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بِشْرٍ الزُّهْرِيِّ يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وُجِدَ فِي الْمَقَامِ ثَلَاثَةُ أَصْفُحٍ; فِي الصَّفْحِ الْأَوَّلِ: إِنِّي أَنَا اللَّهُ ذُو بَكَّةَ صَنَعْتُهَا يَوْمَ صَنَعْتُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ، وَحَفَفْتُهَا بِسَبْعَةِ أَمْلَاكٍ حُنَفَاءَ، وَبَارَكْتُ لِأَهْلِهَا فِي اللَّحْمِ وَاللَّبَنِ. وَفِي الصَّفْحِ الثَّانِي: إِنِّي أَنَا اللَّهُ ذُو بَكَّةَ خَلَقْتُ الرَّحِمَ، وَشَقَقْتُ لَهَا مِنِ اسْمِي فَمَنْ وَصَلَهَا وَصَلْتُهُ وَمَنْ قَطَعَهَا بَتَتُّهُ. وَفِي الصَّفْحِ الثَّالِثِ: إِنِّي أَنَا اللَّهُ ذُو بَكَّةَ خَلَقْتُ الْخَيْرَ وَالشَّرَّ وَقَدَّرْتُهُ فَطُوبَى لِمَنْ أَجْرَيْتُ الْخَيْرَ عَلَى يَدَيْهِ، وَوَيْلٌ لِمَنْ أُجْرَيْتُ الشَّرَّ عَلَى يَدَيْهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ الْقَبَائِلَ مِنْ قُرَيْشٍ جَمَعَتِ الْحِجَارَةَ لِبِنَائِهَا كُلُّ
পৃষ্ঠা - ১৫৮০
قَبِيلَةٍ تَجْمَعُ عَلَى حِدَةٍ، ثُمَّ بَنَوْهَا حَتَّى بَلَغَ الْبُنْيَانُ مَوْضِعَ الرُّكْنِ فَاخْتَصَمُوا فِيهِ كُلُّ قَبِيلَةٍ تُرِيدُ أَنْ تَرْفَعَهُ إِلَى مَوْضِعِهِ دُونَ الْأُخْرَى حَتَّى تَحَاوَزُوا وَتَحَالَفُوا وَأَعَدُّوا لِلْقِتَالِ فَقَرَّبَتْ بَنُو عَبْدِ الدَّارِ جَفْنَةً مَمْلُوءَةً دَمًا، ثُمَّ تَعَاقَدُوا هُمْ وَبَنُو عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ عَلَى الْمَوْتِ، وَأَدْخَلُوا أَيْدِيَهُمْ فِي ذَلِكَ الدَّمِ فِي تِلْكَ الْجَفْنَةِ فَسُمُّوا لَعْقَةَ الدَّمِ فَمَكَثَتْ قُرَيْشٌ عَلَى ذَلِكَ أَرْبَعَ لَيَالٍ أَوْ خَمْسًا، ثُمَّ إِنَّهُمُ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ فَتَشَاوَرُوا وَتَنَاصَفُوا فَزَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الرِّوَايَةِ أَنَّ أَبَا أُمَيَّةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ - وَكَانَ عَامَئِذٍ أَسَنَّ قُرَيْشٍ كُلِّهَا - قَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ اجْعَلُوا بَيْنَكُمْ فِيمَا تَخْتَلِفُونَ فِيهِ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ مِنْ بَابِ هَذَا الْمَسْجِدِ يَقْضِي بَيْنَكُمْ فِيهِ فَفَعَلُوا فَكَانَ أَوَّلَ دَاخِلٍ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: هَذَا الْأَمِينُ رَضِينَا هَذَا مُحَمَّدٌ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ وَأَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلُمُّوا إِلَيَّ ثَوْبًا فَأُتِيَ بِهِ وَأَخَذَ الرُّكْنَ فَوَضَعَهُ فِيهِ بِيَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: لِتَأْخُذْ كُلُّ قَبِيلَةٍ بِنَاحِيَةٍ مِنَ الثَّوْبِ، ثُمَّ ارْفَعُوهُ جَمِيعًا فَفَعَلُوا حَتَّى إِذَا بَلَغُوا بِهِ مَوْضِعَهُ، وَضَعَهُ هُوَ بِيَدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ بَنَى عَلَيْهِ وَكَانَتْ قُرَيْشٌ تُسَمِّي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَمِينَ.
পৃষ্ঠা - ১৫৮১
হভ্রুজ্জ গমনকারী লোকেরা হজ্জ থেকে ফিরে আসে ৷ ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! তারা এসে আমাদেরকে
আপনার আবির্ডাবের সংবাদ দেয় ৷ উল্লেখ্য যে, হাদীস শাস্ত্রবিশারদদের মতে এটি নিতাম্ভই
গরীব পর্যায়ের হাদীস ৷
আল ওয়াকিদী নাদর ইবন সুফয়ান হুযালী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেছেন, আমাদের এক ব্যবসায়ী কাফেল৷ নিয়ে একবার আমরা সিরিয়া যাত্রা করি ৷ যারকা ও
মা’আন নামক স্থানের মাঝে যাত্রা বিরতি করে আমরা রাত্রি যাপন করছিলাম ৷, হঠাৎ আমরা
দেখতে পাই এক অশ্বারােহীকে ৷ আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে দাড়িয়ে সে বলছে, “হে নিঃদ্রামপ্ন
ব্যক্তিপণ৷ জেগে ওঠ, অেপে ওঠ ৷ এখন ঘুমড়ানাের সময় নয় ৷ নবী আহমদ (সা) আবির্ভুত
হয়েছেন ৷ ফলে জিনদেরকে চুড়াতডাবে বিতাড়িত করা হয়েছে ৷ একথা শুনে আমরা বিচলিত
হয়ে পড়ি ৷ আমরা সবাই ছিলাম তরুণ সহযাত্রী, আমরা সকলেই ওই ঘোষণা শুনেছি ৷ এ
অবস্থায় আমরা নিজ নিজ পরিবারপরিজনের নিকট ফিরে আসি ৷ আমরা এসে শুনতে পাই যে,
আমাদের দেশে কুরড়ায়শ বংশীয় লোকদের মতো পার্থকে,াহু৷ কথা আলোচনা হচ্ছে যে, বানু
আবদাি৷ মুত্তালিব গোত্র থেকে আবির্ভুত এক নবী নিয়ে কুরায়াগ মতডেদ করছিল ৷ ওই নবীর
নাম আহমদ ৷ এ বর্ণনাটি আবু নুআয়মের ৷ খারাইতী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ বনডী
ইয়াহ্য়৷ ইবন উরওয়া তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ওয়ারাক৷ ইবন নাওফল, যায়দ
ইবন আমর ইবন নুফায়ল , আব্দুল্লাহ ইবন জাহ্শ এবং উছমান ইবন হুওয়াইরিছ প্রমুখ ব্যক্তিসহ
একদল কুরায়শী লোক একদিন তাদের একটি প্রতিমার নিকট ছিলো ৷ প্রতি বছর ওই দিনটিকে
তারা উৎসবের দিনরুপে নির্ধারিত করেছিল ৷ তারা ওই প্রতিমাঢি শ্রদ্ধা করত এবং সেটির
উদ্দেশ্যে পশু বলি দিত ৷ তারপর ধুমধামের সাথে খাওয়া-দাওয়৷ ও মদপান করত ৷ ত রা৷ সেটির
নিকট অবস্থান এবং৩ তা প্রদক্ষিণ করতো, ওইদিন তারা রাত্রি বেলা প্রতিমার নিকট যায় ৷ তারা
সেটিকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখে ৷ তাতে তারা ব্যথিত হয় ৷ তারা মুর্তিটিকে যথাস্থানে
পুন৪ন্থাপন করে ৷ সেটি অবিলম্বে দু৪খজনকভাবে উস্টে পড়ে যায় ৷ তারা আবার সেটিকে
য়থান্থানে স্থাপন করে ৷ সেটি আবার পড়ে যায় ৷ এ অবস্থা দেখে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে
এবং এটিকে একটি গুরুতর বিষয়রুপে গণ্য করে ৷ উছমান ইবন হুওয়৷ ৷ইরিছ বললেন, মুর্তিটির
হলো কি ? বারবার পড়ে যাচ্ছে, নিশ্চয়ই কোন গুরুতর ঘটনা ঘটেছে ৷ মুলত এ ঘটনা ঘটেছিল
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর জন্মগ্নহণের রাতে ৷ অতঃপর উছমান আবৃত্তি করেন :
০ ,ন্ :
হে উৎসব পালনের মুর্তি ! য র চতুর্দিকে উপস্থিত হয়েছে কাছের ও দুরের প্রতিনিধি
দলের নেতৃবর্গ ৷
০ শ্
তুমি তাে উপুড় হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে পিয়েছ ৷ আমাদেরকে তুমি বলে দাও, কোন নিবাে ধ
ব্যক্তিণ্ডু তোমাকে কষ্ট দিয়েছে কি ? না তুমি রাগান্বিত হয়ে পড়ে রয়েছ ৷
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ - يَعْنِي أَبَا زَيْدٍ - حَدَّثَنَا هِلَالٌ - يَعْنِي ابْنَ خَبَّابٍ - عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ مَوْلَاهُ - وَهُوَ السَّائِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ بَنَى الْكَعْبَةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، قَالَ: وَكَانَ لِي حَجَرٌ أَنَا نَحَتُّهُ، أَعْبُدُهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ: وَكُنْتُ أَجِيءُ بِاللَّبَنِ الْخَاثِرِ الَّذِي آنَفُهُ عَلَى نَفْسِي فَأَصُبُّهُ عَلَيْهِ فَيَجِيءُ الْكَلْبُ فَيَلْحَسُهُ، ثُمَّ يَشْغَرُ فَيَبُولُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَبَنَيْنَا حَتَّى بَلَغْنَا مَوْضِعَ الْحَجَرِ وَلَا يَرَى الْحَجَرَ أَحَدٌ فَإِذَا هُوَ وَسْطَ أَحْجَارِنَا مِثْلُ رَأْسِ الرَّجُلِ يَكَادُ يَتَرَايَا مِنْهُ وَجْهُ الرَّجُلِ فَقَالَ بَطْنٌ مِنْ قُرَيْشٍ: نَحْنُ نَضَعُهُ، وَقَالَ آخَرُونَ: نَحْنُ نَضَعُهُ فَقَالُوا: اجْعَلُوا بَيْنَكُمْ حَكَمًا فَقَالُوا: أَوَّلُ رَجُلٍ يَطْلُعُ مِنَ الْفَجِّ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: أَتَاكُمُ الْأَمِينُ فَقَالُوا لَهُ فَوَضَعَهُ فِي ثَوْبٍ، ثُمَّ دَعَا بُطُونَهُمْ فَرَفَعُوا نَوَاحِيَهُ فَوَضَعَهُ هُوَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتِ الْكَعْبَةُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ ذِرَاعًا، وَكَانَتْ تُكْسَى الْقَبَاطِيَّ، ثُمَّ كُسِيَتْ بَعْدُ الْبُرُودَ، وَأَوَّلُ مَنْ
পৃষ্ঠা - ১৫৮২
كَسَاهَا الدِّيبَاجَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ.
قُلْتُ: وَقَدْ كَانُوا أَخْرَجُوا مِنْهَا الْحِجْرَ وَهُوَ سِتَّةُ أَذْرُعٍ أَوْ سَبْعَةُ أَذْرُعٍ مِنْ نَاحِيَةِ الشَّامِ - وَذَلِكَ لَمَّا قَصَرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ أَيْ لَمْ يَتَمَكَّنُوا أَنْ يَبْنُوهُ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ، وَجَعَلُوا لِلْكَعْبَةِ بَابًا وَاحِدًا مِنْ نَاحِيَةِ الشَّرْقِ، وَجَعَلُوهُ مُرْتَفِعًا لِئَلَّا يَدْخُلَ إِلَيْهَا كُلُّ أَحَدٍ فَيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا، وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا.
وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلَمْ تَرَيْ أَنَّ قَوْمَكِ قَصَرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ، وَلَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِكُفْرٍ لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ، وَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا شَرْقِيًّا وَبَابًا غَرْبِيًّا، وَأَدْخَلْتُ فِيهَا الْحِجْرَ» وَلِهَذَا لَمَّا تَمَكَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بَنَاهَا عَلَى مَا أَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَاءَتْ فِي غَايَةِ الْبَهَاءِ وَالْحُسْنِ وَالسَّنَاءِ كَامِلَةً عَلَى قَوَاعِدِ الْخَلِيلِ لَهَا بَابَانِ مُلْتَصِقَانِ بِالْأَرْضِ شَرْقِيًّا، وَغَرْبِيًّا يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْ هَذَا، وَيَخْرُجُونَ مِنَ الْآخَرِ فَلَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَهُوَ الْخَلِيفَةُ يَوْمَئِذٍ فِيمَا صَنَعَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ، وَاعْتَقَدُوا أَنَّهُ فَعَلَ ذَلِكَ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ فَأَمَرَ بِإِعَادَتِهَا إِلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فَعَمَدُوا إِلَى الْحَائِطِ الشَّامِيِّ فَحَصُّوهُ، وَأَخْرَجُوا مِنْهُ الْحِجْرَ، وَرَصُّوا حِجَارَتَهُ فِي أَرْضِ الْكَعْبَةِ فَارْتَفَعَ بَابُهَا، وَسَدُّوا الْغَرْبِيَّ، وَاسْتَمَرَّ الشَّرْقِيُّ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ فَلَمَّا كَانَ فِي زَمَنِ
পৃষ্ঠা - ১৫৮৩
الْمَهْدِيِّ أَوْ أَبِيهِ الْمَنْصُورِ اسْتَشَارَ مَالِكًا فِي إِعَادَتِهَا عَلَى مَا كَانَ صَنَعَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَتَّخِذَهَا الْمُلُوكُ مَلْعَبَةً فَتَرَكَهَا عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ فَهِيَ إِلَى الْآنِ كَذَلِكَ.
وَأَمَّا الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ فَأَوَّلُ مَنْ أَخَّرَ الْبُيُوتَ مِنْ حَوْلِ الْكَعْبَةِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ اشْتَرَاهَا مَنْ أَهْلِهَا وَهَدَمَهَا فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ اشْتَرَى دُورًا وَزَادَهَا فِيهِ فَلَمَّا وَلِيَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَحْكَمَ بُنْيَانَهُ وَحَسَّنَ جُدْرَانَهُ وَأَكْثَرَ أَبْوَابَهُ، وَلَمْ يُوَسِّعْهُ شَيْئًا آخَرَ فَلَمَّا اسْتَبَدَّ بِالْأَمْرِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ زَادَ فِي ارْتِفَاعِ جُدْرَانِهِ، وَأَمَرَ بِالْكَعْبَةِ فَكُسِيَتِ الدِّيبَاجَ وَكَانَ الَّذِي تَوَلَّى ذَلِكَ بِأَمْرِهِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ وَقَدْ ذَكَرْنَا قِصَّةَ بِنَاءِ الْبَيْتِ وَالْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ عِنْدَ قَوْلِهِ {وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ} [البقرة: 127] .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغُوا مِنَ الْبُنْيَانِ وَبَنَوْهَا عَلَى مَا أَرَادُوا، قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْحَيَّةِ الَّتِي كَانَتْ قُرَيْشٌ تَهَابُ بُنْيَانَ الْكَعْبَةِ لَهَا:
عَجِبْتُ لِمَا تَصَوَّبَتِ الْعُقَابُ ... إِلَى الثُّعْبَانِ وَهِيَ لَهَا اضْطِرَابُ
পৃষ্ঠা - ১৫৮৪
যদি আমরা কোন অপরাধ করে থাকি তবে আমরা সেই অপরাধ স্বীকার করব এবং ওই
অপরা ধ থেকে ফিরে আসর ৷
০ :
এএ ৷ ট্রুএান্ণ্ এগ্লুখু ৷ ১ ছু;ট্রু৷ এে ৷ষ্টু;;া;ৰু ং;;ঠুদ্বুপ্রু ৷ট্রু র্টুাট্টট্রু এএ ৷ড়ু
আর তুমি যদি পরাজিত হয়ে থাক এবং লাঞ্ছিত ও অপমানিত ৩হয়ে মুখ থুরড়ে পড়ে গিয়ে
থাক তবে তো নিশ্চতভ্যবে তুমি প্রতিমাগুলাের নেতা ও গ্রেষ্ঠতম নও ৷
এরপর তারা মুর্তিটিকে ধরে যথা স্থানে পুনঃস্থাপন করে দেয় ৷ যথাযথভাবে স্থাপিত
হওয়ার পর সেটির ভেতর থেকে এক অদৃশ্য ঘোষকশ্ চিৎকার করে তাদের উদ্দেশে বলতে
শুরু করে :
০ ) : শ্
সে তো ধ্বংস হয়েছে এক নব জাতকের কারণে ৷ যার জোাতাি ত পুর্বে পশ্চিমে সমগ্র বিশ্ব
আলোকিত হয়ে উঠেছে ৷
০
এ;ট্রুা৷া দ্ট্রুন্া৷ এ র্দুন্ঠুষ্ট্রট্রু
তার আবির্তাবে মুগ্ধ হয়ে সকল প্রতিমা মাথা ৷নত করেছে ৷ আর তার তার বিশ্বের সকল
রাজা-বাদশাহর অন্তর কেপে উঠেছে ৷
অগ্নিপুজক সকল পারস্যবাসীর আগুন নিতে গিয়েছে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে ৷
পারস্যের প্রতাপশ ৷লী সম্রাট প্রচণ্ড অস্বস্তির মধ্যে রাত্রি যাপন করেছে ৷
৷ ;,; এ্যাট্রু
গণকদের জিনগুলাে তাদের নিকট অদৃশ্যের সংবাদ আনয়নে বাধাগ্রস্ত হয়েছে ৷ সৃতরাৎ
তাদের নিকট সতা-মিথ্যা কোন প্রকার সং বাদ আনয়নের কেউ থাকল ন৷ ৷
সুতরাং হে কুসাই বংশভুক্ত লোকজন ৷ তোমরা তোমাদের গােমরাহী থেকে ফিরে আস ৷
আর ইসলাম ও বিশাল প্রাঙ্গণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাও ৷
এ শব্দ শুনে তারা নির্জান গিয়ে পরামর্শ করে পরস্পরে বলাবলি করল ৷ আসুন আমরা
সবাই একমত হই যে, এ বিষয়টি আমরা সম্পুর্ণরুপে গোপন রেখে দেই ৷ কাউকেই জানতে
দেব না ৷ সবাই একথায় রাজী হলো ৷ তবে ওয়ারাকা ইবন নওফল বললেন, আল্লাহর কসম ৷
তোমরা তো জান যে, তোমাদের সম্প্রদায় প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় ৷ তারা
সঠিক ও যুক্তিসম্মত পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে ৷ এবং ইব্রাহীম (আ) এর দীন ছেড়ে দিয়েছে ৷
তোমরা পাথরের তৈরি যে মুর্তির৩ তাওয়াফ করছ সেটি তো কিছুই শুনতে পায় না ৷ কিছুই
দেখতে পায় না ৷ কোন কল্যাণও করতে পারে না, অকল্যাণও নয় ৷ হে আমার সম্প্রদায়!
وَقَدْ كَانَتْ تَكُونُ لَهَا كَشِيشٌ
وَأَحْيَانًا يَكُونُ لَهَا وِثَابُ ... إِذَا قُمْنَا إِلَى التَّأْسِيسِ شَدَّتْ
تُهَيِّبُنَا الْبِنَاءَ وَقَدْ نَهَابُ ... فَلَمَّا أَنْ خَشِينَا الرِّجْزَ جَاءَتْ
عُقَابٌ تَتْلَئِبُّ لَهَا انْصِبَابُ ... فَضَمَّتْهَا إِلَيْهَا، ثُمَّ خَلَّتْ
لَنَا الْبُنْيَانَ لَيْسَ لَهَا حِجَابُ ... فَقُمْنَا حَاشِدِينَ إِلَى بِنَاءٍ
لَنَا مِنْهُ الْقَوَاعِدُ وَالتُّرَابُ ... غَدَاةَ نُرَفِّعُ التَّأْسِيسَ مِنْهُ
وَلَيْسَ عَلَى مُسَاوِينَا ثِيَابُ ... أَعَزَّ بِهِ الْمَلِيكُ بَنِي لُؤَيٍّ
فَلَيْسَ لِأَصْلِهِ مِنْهُمْ ذَهَابُ ... وَقَدْ حَشَدَتْ هُنَاكَ بَنُو عَدِيٍّ
وَمُرَّةُ قَدْ تَقَدَّمَهَا كِلَابُ ... فَبَوَّأَنَا الْمَلِيكُ بِذَاكَ عِزًّا
وَعِنْدِ اللَّهِ يُلْتَمَسُ الثَّوَابُ
وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي فَصْلٍ; مَا كَانَ اللَّهُ يَحُوطُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَقْذَارِ الْجَاهِلِيَّةِ، أَنَّهُ كَانَ هُوَ وَالْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَنْقُلَانِ الْحِجَارَةَ، وَأَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ
পৃষ্ঠা - ১৫৮৫
وَالسَّلَامُ لَمَّا وَضَعَ إِزَارَهُ تَحْتَ الْحِجَارَةِ عَلَى كَتِفِهِ نُهِيَ عَنْ خَلْعِ إِزَارِهِ فَأَعَادَهُ إِلَى سِيرَتِهِ الْأُولَى.