আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

تزويجه عليه الصلاة والسلام خديجة بنت خويلد

পৃষ্ঠা - ১৫৫৫
[تَزْوِيجُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ خَدِيجَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدٍ] تَزْوِيجُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ خَدِيجَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ امْرَأَةً تَاجِرَةً ذَاتَ شَرَفٍ وَمَالٍ تَسْتَأْجِرُ الرِّجَالَ عَلَى مَالِهَا مُضَارَبَةً فَلَمَّا بَلَغَهَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَلَغَهَا مِنْ صِدْقِ حَدِيثِهِ وَعِظَمِ أَمَانَتِهِ وَكَرَمِ أَخْلَاقِهِ بَعَثَتْ إِلَيْهِ فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ لَهَا فِي مَالِهَا تَاجِرًا إِلَى الشَّامِ، وَتُعْطِيهِ أَفْضَلَ مَا تُعْطِي غَيْرَهُ مِنَ التُّجَّارِ مَعَ غُلَامٍ لَهَا يُقَالَ لَهُ: مَيْسَرَةُ فَقَبِلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا، وَخَرَجَ فِي مَالِهَا ذَاكَ، وَخَرَجَ مَعَهُ غُلَامُهَا مَيْسَرَةُ حَتَّى نَزَلَ الشَّامَ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ظِلِّ شَجَرَةٍ قَرِيبًا مِنْ صَوْمَعَةِ رَاهِبٍ مِنَ الرُّهْبَانِ فَاطَّلَعَ الرَّاهِبُ إِلَى مَيْسَرَةَ فَقَالَ: مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي نَزَلَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ؟ فَقَالَ مَيْسَرَةُ: هَذَا رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ أَهْلِ الْحَرَمِ. فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ: مَا نَزَلْ تَحْتَ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا نَبِيٌّ. ثُمَّ بَاعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِلْعَتَهُ - يَعْنِي تِجَارَتَهُ - الَّتِي خَرَجَ بِهَا، وَاشْتَرَى مَا أَرَادَ أَنْ يَشْتَرِيَ، ثُمَّ أَقْبَلَ قَافِلًا إِلَى مَكَّةَ، وَمَعَهُ مَيْسَرَةُ فَكَانَ مَيْسَرَةُ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - إِذَا كَانَتِ الْهَاجِرَةُ وَاشْتَدَّ الْحَرُّ يَرَى
পৃষ্ঠা - ১৫৫৬
مَلَكَيْنِ يُظِلَّانِهِ مِنَ الشَّمْسِ وَهُوَ يَسِيرُ عَلَى بَعِيرِهِ. فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ عَلَى خَدِيجَةَ بِمَالِهَا، بَاعَتْ مَا جَاءَ بِهِ فَأَضْعَفَ أَوْ قَرِيبًا، وَحَدَّثَهَا مَيْسَرَةُ عَنْ قَوْلِ الرَّاهِبِ، وَعَمَّا كَانَ يَرَى مِنْ إِظْلَالِ الْمَلَكَيْنِ إِيَّاهُ، وَكَانَتْ خَدِيجَةُ امْرَأَةً حَازِمَةً شَرِيفَةً لَبِيبَةً مَعَ مَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَا مِنْ كَرَامَتِهَا فَلَمَّا أَخْبَرَهَا مَيْسَرَةُ مَا أَخْبَرَهَا بَعَثَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ لَهُ: - فِيمَا يَزْعُمُونَ - يَا ابْنَ عَمِّ إِنِّي قَدْ رَغِبْتُ فِيكَ; لِقَرَابَتِكَ وَسِطَتِكَ فِي قَوْمِكَ، وَأَمَانَتِكَ وَحُسْنِ خُلُقِكَ، وَصِدْقِ حَدِيثِكَ، ثُمَّ عَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ. وَكَانَتْ أَوْسَطَ نِسَاءِ قُرَيْشٍ نَسَبًا، وَأَعْظَمَهُنَّ شَرَفًا، وَأَكْثَرَهُنَّ مَالًا كُلُّ قَوْمِهَا كَانَ حَرِيصًا عَلَى ذَلِكَ مِنْهَا لَوْ يَقْدِرُ عَلَيْهِ فَلَمَّا قَالَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ ذَلِكَ لِأَعْمَامِهِ فَخَرَجَ مَعَهُ عَمُّهُ حَمْزَةُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ فَخَطَبَهَا إِلَيْهِ فَتَزَوَّجَهَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَأَصْدَقَهَا عِشْرِينَ بَكْرَةً، وَكَانَتْ أَوَّلَ امْرَأَةٍ تَزَوَّجَهَا، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا غَيْرَهَا حَتَّى مَاتَتْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَدَهُ كُلَّهُمْ - إِلَّا إِبْرَاهِيمَ -: الْقَاسِمَ وَكَانَ بِهِ يُكْنَى وَالطَّيِّبَ وَالطَّاهِرَ وَزَيْنَبَ وَرُقَيَّةَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ وَفَاطِمَةَ.
পৃষ্ঠা - ১৫৫৭


হযরত উমর (বা) যে লোকটিকে ডেকে এনেছিলেন তার নাম সাওয়াদ ইবন কারিব আল
আযদী ৷ কেউ কেউ বলেন তিনি বালক পর্বতের পাহাড়ী উপত্যকার অধিবাসী ও সাদুস বংশীয়
লোক ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সঙ্গ পেয়েছেন এবং ৩;এ ৷;প্ৰরিত প্রতিনিধিদলের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে ছিলেন ৷ আবু হাতিম এবং ইবন মানদ৷ বলেন, সাঈদ ইবন জুবায়র ও আবু জাফর
মুহাম্মদ ইবন আলী প্রমুখ তার বরাতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র ) বলেছেন, উক্ত
ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ আহমদ ইবন রাওহ আল বারযাঈ দারা
কুতনী প্রমুখ সাহাবীর নামের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করেছেন ৷ হাফি জ আবদুল স্ব ৷ণী ইবন
সাঈদ আল মিসরী বলেছেন, উক্ত ব্যক্তির নাম ওয়াও বর্ণে তাশদীদ বিহীন সাওয়াদ ইবন
কারিব ৷ মুহাম্মদ ইবন ক ৷ব আল কুরাযী সুত্রে উছমান আল ওয়ক্টবহুকাসী বলেছেন, উক্ত ব্যক্তি
ইয়ামানের সঘ্রাম্ভ লোকদের একজন ছিলেন ৷ আবু নুআয়ম আদ দালাইল গ্রন্থে বর্ণনা
করেছেন ৷ উপরোক্ত হাদীস অন্যান্য সনদে ইমাম বুখারীর বর্ণনা অপেক্ষা দীর্ঘতরও
বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, হযরত উমর (রা) একদিন
মসজিদে নবৰীতে লোকজনের সমাবেশে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তখন ণ্ণকজন আরব হযরত উমর
(রা) এর খোজে মসজিদে প্রবেশ করে ৷ লোকটির দিকে তাকিয়ে উমর (রা) বললেন এই
লোকটি হয়তো মাত্র কিছুদিন আগে শিরক্ তাগ করেছে নতুবা জাহেলী যুগে সে গণক ছিল ৷
লোকটি তাকে সালাম দিল এবং সেখানে বসে পড়ল ৷ উমর (রা)ত তাকে বললেন “আপনি কি
ইসলাম গ্রহণ করেছেন ? হে আমীরুল মুমিনীন! হ্যা, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি , ঐ ব্যক্তি
উত্তর দিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনি কী জাহেলী যুগে গণক ছিলেন? লোকটি বলল,
সুবহানাল্পাহ! হে আমীরুল মুযিনীন ! আপনি আমার ব্যাপারে এমন একটি ধারণা পোষণ
করেছেন এবং আমাকে এমন একটি প্রশ্নের সম্মুখীন করেছেন আমার মনে হয় শাসনভার গ্রহণ
করার পর কোন ণ্লাককেই আপনি এমন প্রশ্ন করেন নি ৷

হযরত উমর (রা) বললেন, হে আল্লাহ ! ক্ষমা করুন, আমরা তো জাহেলী যুগে এর চেয়ে
অনেক মন্দ কাজে লিপ্ত ছিলাম ৷ আমরা মুর্তিপুজা করতাম এবং প্রতিমার সাথে কােলাকুলি
করতাম ৷ অবশ্যেষ আল্লাহ তাআলা র্তার রাসুল ও ইসলাম দ্বারা আমাদেরকে সম্মানিত
করেছেন ৷ ঐ ব্যক্তিটি বললেন, ইা৷, আমীরুল মুমিনীন! জাহেলী যুগে আমি গণক ছিলাম ৷
হযরত উমর (রা) বললেন, তা হলে বলুন দেখি আপনার সাথীশ ৷য়৩ তান আপনাকে কি সং বাদ

দিয়েছে ? তিনি বললেন, ইসলামের আ ৷বির্ভাবের মাসখা ৷নেক কিত্বা তারও কম সময় পুর্বে আমার
সাথীশ্ ৷য়তান আমার নিকট এসে বলল,

আপনি জিন জাতিকে এবং তাদের সৈয়শোকে দেখেছেন কী ? এবং আপনি কি দেখেছেন

তাদের উপুড় হয়ে পড়ে যাওয়ার পরদীনশ্লো তাদের হতাশা ? এও কি দেখেছেন যে, তারা
উষ্টীর নিকট গিয়ে উশ্ৰীকে সফরের জন্যে প্রদুত করছে?


قَالَ ابْنُ هِشَامٍ أَكْبَرُهُمُ الْقَاسِمُ ثُمَّ الطَّيِّبُ ثُمَّ الطَّاهِرُ، وَأَكْبَرُ بَنَاتِهِ رُقَيَّةُ ثُمَّ زَيْنَبُ ثُمَّ أُمُّ كُلْثُومٍ ثُمَّ فَاطِمَةُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ: قَرَأْتُ بِخَطِّ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: أَكْبَرُ وَلَدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ الْقَاسِمُ ثُمَّ زَيْنَبُ ثُمَّ عَبْدُ اللَّهِ ثُمَّ أُمُّ كُلْثُومٍ ثُمَّ فَاطِمَةُ ثُمَّ رُقَيَّةُ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ مَاتَ مِنْ وَلَدِهِ الْقَاسِمُ ثُمَّ عَبْدُ اللَّهِ، وَبَلَغَتْ خَدِيجَةُ خَمْسًا وَسِتِّينَ سَنَةً، وَيُقَالَ: خَمْسِينَ وَهُوَ أَصَحُّ، وَقَالَ غَيْرُهُ: بَلَغَ الْقَاسِمُ أَنْ يَرْكَبَ الدَّابَّةَ وَالنَّجِيبَةَ ثُمَّ مَاتَ بَعْدَ النُّبُوَّةِ، وَقِيلَ: مَاتَ وَهُوَ رَضِيعٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لَهُ مُرْضِعًا فِي الْجَنَّةِ يَسْتَكْمِلُ رَضَاعَهُ» وَالْمَعْرُوفُ أَنَّ هَذَا فِي حَقِّ إِبْرَاهِيمَ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَلَدَتْ خَدِيجَةُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُلَامَيْنِ وَأَرْبَعَ نِسْوَةٍ; الْقَاسِمَ وَعَبْدَ اللَّهِ وَفَاطِمَةَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ وَزَيْنَبَ وَرُقَيَّةَ، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১৫৫৮
الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَبْدُ اللَّهِ هُوَ الطَّيِّبُ وَهُوَ الطَّاهِرُ سُمِّي بِذَلِكَ لِأَنَّهُ وُلِدَ بَعْدَ النُّبُوَّةِ فَمَاتُوا قَبْلَ الْبِعْثَةِ، وَأَمَّا بَنَاتُهُ فَأَدْرَكْنَ الْبِعْثَةَ وَدَخَلْنَ فِي الْإِسْلَامِ، وَهَاجَرْنَ مَعَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ابْنُ هِشَامٍ، وَأَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَمِنْ مَارِيَةَ الْقِبْطِيَّةِ الَّتِي أَهْدَاهَا لَهُ الْمُقَوْقِسُ صَاحِبُ إِسْكَنْدَرِيَّةَ مِنْ حَفْنٍ مِنْ كُورَةِ أَنْصِنَا، وَسَنَتَكَلَّمُ عَلَى أَزْوَاجِهِ وَأَوْلَادِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي بَابٍ مُفْرَدٍ لِذَلِكَ فِي آخِرِ السِّيرَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ عُمُرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تَزَوَّجَ خَدِيجَةَ خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً فِيمَا حَدَّثَنِي غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ أَبُو عَمْرٍو الْمَدَنِيُّ، وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: كَتَبْتُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمَوْصِلِيُّ حَدَّثَنِي غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَسَدٍ زَوَّجَ خَدِيجَةَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُمُرُهُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَقُرَيْشٌ تَبْنِي
পৃষ্ঠা - ১৫৫৯


০০

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫২৯

ইবন ইসহাক বলেন, উপরোক্ত বক্তব্য ছন্দোবদ্ধ গদ্য বটে , কবিতা নয়, তখন হযরত উমার
(রা) সােকজনকে উদ্দেশ করে বললেন, আল্লাহ্র কসম, আমি জ্যা;হলী যুগে একদিন কুরায়শ
বংশীয় কতক লোকের সাথে এক প্ৰতিমার নিকট ছিলাম ৷ জনৈক আরব ওই প্রতিমার উদ্দেশে
একটি বাছুর জবইি করল ৷ আমরা অপেক্ষায় ছিলাম যে, সেটির গেণ্যেতর একটা অশে
আমাদেরকে দেয়া হবে ৷ হঠাৎ ওই বাছুরের গেট থেকে আমি একটা বিকট চিৎকার শুনতে
পাই, তেমন বিকট চিৎকার আমি ইতিপুর্বে কােনদিন শুনিনি ৷ এটি ইসলামের আবির্ডাবের মাস
খানেক কিৎবা তারও কম সময়ের পুর্বের ঘটনা ৷ ঐ শব্দ ছিল, “ ;হ বীর ও সাহসী ব্যক্তি ৷
সফলতার পথ এসে গেছে ৷ প্রাঞ্জলতাষী লোক ডেকে ডেকে বলছেন, “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলড়াহ নেই ৷ ইবন হিশামের বর্ণনায় এসেছে “আবির্ভুত হয়েছেন
একজন লোক যিনি প্রাঞ্জল ভাষায় উচ্চ স্বরে ডেকে ডেকে বলণ্:ছন-শু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ৷
ইবন হিশাম বলেন, কেউ কেউ আমার নিকট কবিতা আকারে এভাধে পাঠ করেছেন :


জিনদেরকে দেখে, তাদের হতাশা দেখে এবং সফরের উদ্দেশ্যে উদ্রীর পিঠে আসন প্রস্তুত
দেখে আমি অবাক হয়েছি ৷

তারা মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করছে হেদায়াতের অম্বেষণে ঈমানদার জিনগণ তাদের নাপাক
বেঈমানদারদের মত নয় ৷

হাফিজ আবু ইয়ালা মুসিলী মুহাম্মদ ইবন কাব আল-কুরাযী সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
একদিন উমর ইবন খাত্তাব (রা) বসা ছিলেন, তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এক লোক ৷ একজন
বলল, হে আমীরুল মুমিনীন৷ আপনি কি এ লোকটিকে চেনেন ? তিনি বললেন, ঐ লোক কে ?
লোকজন বলল, সে তো সাওয়াদ ইবন কারিব ৷ তার জিন সহচর তার নিকট রাসুলুল্লাহ
(না)-এর আবির্ডাবের সংবাদ নিয়ে এসেছিল ৷ উমর (না) তাকে ডেকে পাঠালেন ৷ আর তিনি
বললেন, আপনি কি সাওয়াদ ইবন কারিব ? তিনি বললেন, হ্যা ৷ হযরত উমর (রা) বললেন
আপনি কি এখনও আপনার গণক পেশায় নিয়োজিত আছেন ? এতে ঐ ব্যক্তি রেগে যান এবং
বলেন, “হে আমীরুল মুমিনীন! আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ আমাকে এরুপ
অপমানজনক কথা বলেনি ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, সুবহানাল্লাহ্৷ তাতে কি ; আমাদের
শিরকবাদী জীবনে আমরা আপনার গণক পেশার চেয়ে অধিক মন্দ কাজে লিপ্ত ছিলাম ৷ যা হোক
রাসুলুল্লাহ (না)-এর অবির্তাব সম্পর্কে আপনার জিন সহচর আপনাকে কি বলেছিল তা
আমাদেরকে একটু বলুন ৷

তিনি বললেন, “আমীরুল মুমিনীন! একরড়াতে আমি কিছুটা নিদা ও কিছুটা সজাগ এমন
অবস্থায় ছিলাম ৷ আমাকে পদাঘাত করে তখন আমার জিন সহচর বলল, সাওয়াদ ইবন কারিব ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৭-

الْكَعْبَةَ، وَهَكَذَا نَقَلَ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ أَنَّهُ كَانَ عُمُرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تَزَوَّجَ خَدِيجَةَ خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً وَكَانَ عُمُرُهَا إِذْ ذَاكَ خَمْسًا وَثَلَاثِينَ، وَقِيلَ خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: بَابُ مَا كَانَ يَشْتَغِلُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يَتَزَوَّجَ خَدِيجَةَ. أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقُرَشِيُّ عَنْ جَدِّهِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا رَاعِيَ غَنَمٍ. فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: وَأَنَا رَعَيْتُهَا لِأَهْلِ مَكَّةَ بِالْقَرَارِيطِ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَكِّيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بِهِ، ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الرَّبِيعِ بْنِ بَدْرٍ وَهُوَ ضَعِيفٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «آجَرْتُ نَفْسِي مِنْ خَدِيجَةَ سَفْرَتَيْنِ بِقَلُوصٍ» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا خَدِيجَةَ زَوَّجَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ - أَظُنُّهُ قَالَ - سَكْرَانُ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ:
পৃষ্ঠা - ১৫৬০
أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمَوْصِلِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مِقْسَمِ بْنِ أَبِي الْقَاسِمِ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ أَنَّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ كَانَ إِذَا سَمِعَ مَا يَتَحَدَّثُ بِهِ النَّاسُ عَنْ تَزْوِيجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيجَةَ وَمَا يُكْثِرُونَ فِيهِ يَقُولُ: أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا إِنِّي كُنْتُ لَهُ تِرْبًا وَكُنْتُ لَهُ إِلْفًا وَخِدْنًا، وَإِنِّي خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْحَزْوَرَةِ أَجَزْنَا عَلَى أُخْتِ خَدِيجَةَ، وَهِيَ جَالِسَةٌ عَلَى أَدَمٍ تَبِيعُهَا فَنَادَتْنِي فَانْصَرَفْتُ إِلَيْهَا، وَوَقَفَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: أَمَا بِصَاحِبِكَ هَذَا مِنْ حَاجَةٍ فِي تَزْوِيجِ خَدِيجَةَ؟ قَالَ عَمَّارٌ: فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: بَلْ لَعَمْرِي فَذَكَرْتُ لَهَا قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: اغْدُوَا عَلَيْنَا إِذَا أَصْبَحْنَا. فَغَدَوْنَا عَلَيْهِمْ فَوَجَدْنَاهُمْ قَدْ ذَبَحُوا بَقَرَةً، وَأَلْبَسُوا أَبَا خَدِيجَةَ حُلَّةً، وَصُفِّرِتْ لِحْيَتُهُ، وَكَلَّمَتْ أَخَاهَا فَكَلَّمَ أَبَاهُ وَقَدْ سُقِيَ خَمْرًا فَذُكِرَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ১৫৬১


ওঠ ওঠ আমি যা বলি তা গোন এবং বিবেক থাকলে তা বুঝে নাও ৷ লুওয়াই ইবন গালিবের
বংশধর থেকে একজন রাসুল প্রেরিত হয়েছেন ৷ তিনি মানুষকে আল্লাহ্র প্ৰতি এবং আল্লাহ্র
ইৰাদভ্রুত র প্রতি ডাকছেন ৷৩ তারপর সে এই কবিতা পাঠ করে০ ং

জিনদেরকে দেশে ও তাদের অম্বেষণ প্রক্রিয়া দেখে এবং উষ্টীর পিঠে আসন লাগিয়ে তাদের
সফর প্রস্তুতি দেখে আমি অবাক হয়েছি ৷

তারা যাত্রা করছে মক্কার উদ্দেশে হেদায়ত অম্বেষণে সত্য প্রাণ জিন তাদের মধ্যকার
মিথুকেদের ন্যায় নয় ৷

অতএব, তুমি বনী হাশিম গোত্রের ঐ বিশিষ্ট পুত পবিত্র মানুষঢির ৷নকট যাও ৷ জিনদের
অগ্রবর্তী দল তাদের পশ্চাৎবর্তীদলের মত নয় ৷ তখন আমি বললাম, রেখে দা ও তোমার ওসব ,
আমাকে একটু ঘুমােতে দাও ! সন্ধ্যড়া থেকেই আমার ঘুম পেয়েছে ৷ অতঃপর দ্বিতীয় রাতেও সে
আমার নিকট আসে এবং আমাকে পদাঘাত করে পুর্বোল্লিখিত কথাগুলো বলে এবং ঐ কবিতার
পংক্তিগুলো আবৃত্তি করে পদাঘাত করে ৷

আমি বললাম, ছাড় ছাড় আমাকে ঘুমােতে দাও ৷ সন্ধ্য৷ থেকেই আমার ঘুম পেয়েছে ৷

তৃতীয় রাতে ও সে আমার নিকট আসে এবং আমাকে পদাঘাত করে পুর্বের কথাগুলো ও
কবিতার পুনরাবৃত্তি করে ৷

লোকটি বলল, এবার আমি উঠে দীড়ালাম এবং বললাম , আল্লাহ তাআলা আমাকে
পরীক্ষা করছেন ৷

আমি আমার উদ্রীতে সওয়ার হয়ে শহরে অর্থাং মক্কায় এলাম ৷ সেখানে পৌছে
রাসুলুল্লাহ (সা) ও তার সড়াহ্ড়াবীদেরকে দেখলাম ৷ আমি তার নিকটবর্তী হলাম এবং বললাম
ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) ! আমার কথা শুনুন ৷ তিনি বললেন, বল ! তখন আমি এই কবিতা
পাঠ করলাম০ ং


বিশ্রাম গ্রহণ ও শয়নের পর আমার গোপন সহচর উপস্থিত হয়েছে আমার নিকট ৷ আমি যা
বলছি তা মোটেই মিথ্যা নয়

া৷ব্লু ১ট্রু ঠু;ট্রএ টুষ্ন্ণ্ এঠুটু এাহ্রশ্৷ হুএ পুও এটুউ,এঢুএ হ্১১ত্রুট্ট
সে এসেছে একে একে তিন রাত ৷ প্রতিরড়াতে তার বক্তব্য ছিল লুওয়াই ইবন গালিবের বংশ
থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসুল এসেছেন ৷


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَكَانُهُ وَسَأَلَهُ أَنْ يُزَوِّجَهُ فَزَوَّجَهُ خَدِيجَةَ. وَصَنَعُوا مِنَ الْبَقَرَةِ طَعَامًا فَأَكَلْنَا مِنْهُ، وَنَامَ أَبُوهَا ثُمَّ اسْتَيْقَظَ صَاحِيًا فَقَالَ مَا هَذِهِ الْحُلَّةُ وَمَا هَذِهِ الصُّفْرَةُ. وَهَذَا الطَّعَامُ؟ فَقَالَتْ لَهُ ابْنَتُهُ الَّتِي كَانَتْ قَدْ كَلَّمَتْ عَمَّارًا: هَذِهِ حُلَّةٌ كَسَاكَهَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ خَتَنُكَ، وَبَقَرَةٌ أَهْدَاهَا لَكَ فَذَبَحْنَاهَا حِينَ زَوَّجْتَهُ خَدِيجَةَ. فَأَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ زَوَّجَهُ، وَخَرَجَ يَصِيحُ حَتَّى جَاءَ الْحِجْرَ، وَخَرَجَ بَنُو هَاشِمٍ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءُوهُ فَكَلَّمُوهُ فَقَالَ: أَيْنَ صَاحِبُكُمُ الَّذِي تَزْعُمُونَ أَنِّي زَوَّجْتُهُ خَدِيجَةَ؟ فَبَرَزَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ قَالَ إِنْ كُنْتُ زَوَّجْتُهُ فَسَبِيلُ ذَاكَ، وَإِنْ لَمْ أَكُنْ فَعَلْتُ فَقَدْ زَوَّجْتُهُ. وَقَدْ ذَكَرَ الزُّهْرِيُّ فِي سِيَرِهِ أَنَّ أَبَاهَا زَوَّجَهَا مِنْهُ وَهُوَ سَكْرَانُ، وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ قَالَ الْمَوْصِلِيُّ: الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ أَنَّ عَمَّهَا عَمْرَو بْنَ أَسَدٍ هُوَ الَّذِي زَوَّجَهَا مِنْهُ. وَهَذَا هُوَ الَّذِي رَجَّحَهُ السُّهَيْلِيُّ، وَحَكَاهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَائِشَةَ قَالَتْ: وَكَانَ خُوَيْلِدٌ مَاتَ قَبْلَ الْفِجَارِ
পৃষ্ঠা - ১৫৬২
وَهُوَ الَّذِي نَازَعَ تُبَّعًا حِينَ أَرَادَ أَخْذَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ إِلَى الْيَمَنِ فَقَامَ فِي ذَلِكَ خُوَيْلِدٌ، وَقَامَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ رَأَى تُبَّعٌ فِي مَنَامِهِ مَا رَوَّعَهُ فَنَزَعَ عَنْ ذَلِكَ، وَتَرَكَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ مَكَانَهُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي آخِرِ السِّيرَةِ: أَنَّ أَخَاهَا عَمْرَو بْنَ خُوَيْلِدٍ هُوَ الَّذِي زَوَّجَهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.