আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل في منشئه عليه الصلاة والسلام ومرباه وكفاية الله له

পৃষ্ঠা - ১৫৩৭
[فَصْلٌ فِي مَنْشَئِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَمُرَبَّاهُ وَكِفَايَةِ اللَّهِ لَهُ] فَصْلٌ فِي مَنْشَئِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَمُرَبَّاهُ وَكِفَايَةِ اللَّهِ لَهُ وَحِيَاطَتِهِ وَكَيْفَ كَانَ يَتِيمًا فَآوَاهُ وَعَائِلًا فَأَغْنَاهُ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَشَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْلَؤُهُ اللَّهُ وَيَحْفَظُهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ أَقْذَارِ الْجَاهِلِيَّةِ، لِمَا يُرِيدُ مِنْ كَرَامَتِهِ، وَرِسَالَتِهِ حَتَّى بَلَغَ أَنْ كَانَ رَجُلًا أَفْضَلَ قَوْمِهِ مُرُوءَةً، وَأَحْسَنَهُمْ خُلُقًا، وَأَكْرَمَهُمْ حَسَبًا، وَأَحْسَنَهُمْ جِوَارًا، وَأَعْظَمَهُمْ حِلْمًا، وَأَصْدَقَهُمْ حَدِيثًا، وَأَعْظَمَهُمْ أَمَانَةً، وَأَبْعَدَهُمْ مِنَ الْفُحْشِ وَالْأَخْلَاقِ الَّتِي تُدَنِّسُ الرِّجَالَ; تَنَزُّهًا وَتَكَرُّمًا. حَتَّى مَا اسْمُهُ فِي قَوْمِهِ إِلَّا الْأَمِينُ لِمَا جَمَعَ اللَّهُ فِيهِ مِنَ الْأُمُورِ الصَّالِحَةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِيمَا ذُكِرَ لِي - يُحَدِّثُ عَمَّا كَانَ اللَّهُ يَحْفَظُهُ بِهِ فِي صِغَرِهِ، وَأَمْرِ جَاهِلِيَّتِهِ أَنَّهُ قَالَ «لِقَدْ رَأَيْتُنِي فِي غِلْمَانٍ مِنْ قُرَيْشٍ، نَنْقُلُ الْحِجَارَةَ لِبَعْضِ مَا يَلْعَبُ الْغِلْمَانُ، كُلُّنَا قَدْ تَعَرَّى وَأَخَذَ إِزَارَهُ وَجَعَلَهُ عَلَى رَقَبَتِهِ; يَحْمِلُ عَلَيْهِ الْحِجَارَةَ فَإِنِّي لَأُقْبِلُ مَعَهُمْ كَذَلِكَ، وَأُدْبِرُ إِذْ لَكَمَنِي لَاكَمٌ مَا أَرَاهُ لَكْمَةً
পৃষ্ঠা - ১৫৩৮
وَجِيعَةً، ثُمَّ قَالَ: شُدَّ عَلَيْكَ إِزَارَكَ قَالَ: فَأَخَذْتُهُ فَشَدَدْتُهُ عَلَيَّ، ثُمَّ جَعَلْتُ أَحْمِلُ الْحِجَارَةَ عَلَى رَقَبَتِي وَإِزَارِي عَلَيَّ، مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِي» وَهَذِهِ الْقِصَّةُ شَبِيهَةٌ بِمَا فِي الصَّحِيحِ عِنْدَ بِنَاءِ الْكَعْبَةِ حِينَ كَانَ يَنْقُلُ هُوَ وَعَمُّهُ الْعَبَّاسُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْهَا فَهِيَ مُتَقَدِّمَةٌ عَلَيْهَا كَالتَّوْطِئَةِ لَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ «لَمَّا بُنِيَتِ الْكَعْبَةُ ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ فَقَالَ الْعَبَّاسُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اجْعَلْ إِزَارَكَ عَلَى عَاتِقِكَ مِنَ الْحِجَارَةِ فَفَعَلَ فَخَرَّ إِلَى الْأَرْضِ، وَطَمَحَتْ عَيْنَاهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ: إِزَارِي فَشَدَّ عَلَيْهِ إِزَارَهُ» أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، وَأَخْرَجَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ عَنْ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو قَالَا: أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّاغَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بُكَيْرٍ الْحَضْرَمِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৫৩৯

সায়ফ ইবন যী-ইয়াযান-এর বর্ণনা এবং
নবী করীম (সা) সম্পর্কে তার সুসংবাদ প্রদান

হাফিজ আবু বকর মুহাম্মদ ইবন জাফর ইবন সাহ্ল খারাইতি তার হড়াওয়াতিফুল জান’
নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, আলী ইবন হারব আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) সুত্রে বর্ণনা
করেন, সায়ফ ইবন ষী-ইয়াযান এক সময় হাবশার (ইথিওপিয়া)-এর শাসন ক্ষমতা লাভ
করেন ৷ ইবন মুনযিরের মতে সায়ফ ইবন যী-ইয়াযানের নাম নুমান ইবন কায়স ৷ এটি ছিল
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্মের দৃ’বছর পরের ঘটনা ৷

এ উপলক্ষে আরবের প্রতিনিধি ও কবিপণ র্তাকে অভিনন্দন জানাতে এবং তার
জনকল্যাণমুলক কর্যতৎপরতায় প্রশংসা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে তার নিকট হাজির হন ৷ কুরায়শ
বংশীয় প্রতিনিধি দলে অন্যান্য নেতার মধ্যে আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম, উমাইয়া ইবন আবদ
শামৃস আবু আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ্ ইবন জাদআন এবং খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ প্রমুখও ছিলেন ৷
তারা সানৃআয় গিয়ে সায়ফ-এর সাথে সাক্ষাত করেন ৷ তখন তিনি পামাদান পর্বতের চুড়ায়
নির্মিত রাজপ্রাসাদে অবস্থান করছিলেন ৷ করি উমাইয়া ইবন আবী সালুত তার নিম্নোক্ত কবিতায়
পামাদান পর্বতের কথা উল্লেখ করেছেন :

আপনি তৃপ্তি সহকারে পান করুন, আপনার মাথায় আছে সুউচ্চ মুকুট ৷ আপানার অবস্থান
হলো পামাদান পর্বতের চুড়ায় অবস্থিত রাজপ্রাসাদে ৷”

রাজপ্রহরী রাজার নিকট গিয়ে আগন্তুকদের অবস্থান সম্পর্কে র্তাকে অবহিত করলো ৷ রাজা
তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন ৷ তীর নিকটবর্তী হয়ে আব্দুল মুত্তালিব কথা বলার অনুমতি

চাইলেন ৷ রাজা বললেন, আপনি যদি আমার সম্মুখে দীড়িয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন তবে
আপনাকে অনুমতি দিলাম ৷ আপনি কথা বলুন ৷

আব্দুল মুত্তালিব বলতে শুরু করলেন, হে রাজন ৷ আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে এমন একটি
উচ্চ স্থানে বসিয়েছেন যা অর্জন ক্যাদৃৰ্ার, যা সুরক্ষিত এবং সুমহান ৷ তিনি আপনাকে এমন
বংশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন যার উৎস পবিত্র, মুল সুমিষ্ট, শিকড় সুদৃঢ় এবং যার শাখ প্রশাখা
বিন্তুত হয়েছে সর্বাধিক মর্যাদাবান স্থানে ও মোঃ ৷


عَبْدِ اللَّهِ الدَّشْتَكِيُّ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَنْقُلُ الْحِجَارَةَ إِلَى الْبَيْتِ، حِينَ بَنَتْ قُرَيْشٌ الْبَيْتَ قَالَ وَأَفْرَدَتْ قُرَيْشٌ رَجُلَيْنِ رَجُلَيْنِ، الرِّجَالُ يَنْقُلُونَ الْحِجَارَةَ، وَكَانَتِ النِّسَاءُ تَنْقُلُ الشَّيْدَ. قَالَ: فَكُنْتُ أَنَا وَابْنُ أَخِي وَكُنَّا نَحْمِلُ عَلَى رِقَابِنَا، وَأُزُرُنَا تَحْتَ الْحِجَارَةِ فَإِذَا غَشِيَنَا النَّاسُ ائْتَزَرْنَا فَبَيْنَمَا أَنَا أَمْشِي وَمُحَمَّدٌ أَمَامِي قَالَ: فَخَرَّ وَانْبَطَحَ عَلَى وَجْهِهِ فَجِئْتُ أَسْعَى وَأَلْقَيْتُ حَجَرِي وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ فَقَامَ وَأَخَذَ إِزَارَهُ قَالَ: إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَمْشِيَ عُرْيَانًا. قَالَ، وَكُنْتُ أَكْتُمُهَا مِنَ النَّاسِ مَخَافَةَ أَنْ يَقُولُوا مَجْنُونٌ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا هَمَمْتُ بِشَيْءٍ مِمَّا كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَهُمُّونَ بِهِ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا لَيْلَتَيْنِ كِلْتَاهُمَا عَصَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِمَا قُلْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ فِتْيَانِ مَكَّةَ - وَنَحْنُ فِي رِعَاءِ غَنَمِ أَهْلِهَا - فَقُلْتُ لِصَاحِبِي: أَبْصِرْ لِي غَنَمِي حَتَّى أَدْخَلَ مَكَّةَ أَسْمُرُ فِيهَا كَمَا يَسْمُرُ الْفِتْيَانُ فَقَالَ: بَلَى قَالَ: فَدَخَلْتُ حَتَّى جِئْتُ أَوَّلَ دَارٍ مِنْ دُورِ مَكَّةَ سَمِعْتُ عَزْفًا بِالْغَرَابِيلِ وَالْمَزَامِيرِ،
পৃষ্ঠা - ১৫৪০
فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: تَزَوَّجَ فُلَانٌ فُلَانَةً فَجَلَسْتُ أَنْظُرُ، وَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِي فَوَاللَّهِ مَا أَيْقَظَنِي إِلَّا مَسُّ الشَّمْسَ فَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَقَالَ: مَا فَعَلْتَ؟ فَقُلْتُ: مَا فَعَلْتُ شَيْئًا، ثُمَّ أَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي رَأَيْتُ، ثُمَّ قُلْتُ لَهُ لَيْلَةً أُخْرَى: أَبْصِرْ لِي غَنَمِي حَتَّى أَسْمُرَ فَفَعَلَ فَدَخَلْتُ فَلَمَّا جِئْتُ مَكَّةَ سَمِعْتُ مِثْلَ الَّذِي سَمِعْتُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَسَأَلْتُ فَقِيلَ: نَكَحَ فُلَانٌ فُلَانَةً فَجَلَسْتُ أَنْظُرُ، وَضَرَبَ اللَّهُ عَلَى أُذُنِي فَوَاللَّهِ مَا أَيْقَظَنِي إِلَّا مَسُّ الشَّمْسِ فَرَجَعْتُ إِلَى صَاحِبِي فَقَالَ: مَا فَعَلْتَ؟ فَقُلْتُ: لَا شَيْءَ ثُمَّ أَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَوَاللَّهِ مَا هَمَمْتُ وَلَا عُدْتُ بَعْدَهُمَا لِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى أَكْرَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِنُبُوَّتِهِ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَقَدْ يَكُونُ عَنْ عَلِيٍّ نَفْسِهِ، وَيَكُونُ قَوْلُهُ فِي آخِرِهِ حَتَّى أَكْرَمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِنُبُوَّتِهِ مُقْحَمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَشَيْخُ ابْنِ إِسْحَاقَ هَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي الثِّقَاتِ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ الصَّحِيحِ قَالَ شَيْخُنَا فِي تَهْذِيبِهِ: وَلَمْ أَقِفْ عَلَى ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَفَّانَ الْعَامِرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو
পৃষ্ঠা - ১৫৪১


হে রাজন ! আপনি আরবের রাজা এবং তাদের বসন্ত কাল স্বরুপ যার দ্বারা জনপদগুলো
সবুজ-শ্যামল হয়েছে ৷ আপনি আরবদের শীর্ষতম ব্যক্তি, আপনার প্রতি মাথা নত করে আরবের
শহর-নপরগুলাে ৷ আপনি তাদের স্তম্ভ যার উপর তারা নির্ভর করে ৷ আপনি তাদের আশ্রয়স্থল
যেখানে এসে লোকজন আশ্রয় লাভ করে ৷ আপনার পুর্বপুরুষগণ ছিলেন অত্যন্ত স্ল্লাম্ভ ৷
আমাদের জন্যে আপনি৩াদের উত্তম উত্তরাধিকারী ৷ তারা যা র পর্বপুরুষ৩ তিনি কখনো নিম্পুভ
হতে পারেন না এবং আপনি যাদের উত্তর পুরুষ তারা কখনো ধ্বংস হতে পারেন না

মহারাজা আমরা মহান আল্লাহর হারাম শরীফের অধিবাসী এবং তার পবিত্র ঘরের
তত্ত্বাবধায়ক ৷ আপনার যে বিপদ আমাদের বেদনাহত করে রেখেছিল বিপদ থেকে মুক্তি লাভের
মহাউৎসবে আপনাকে অভিনন্দন জানানোর তাপিদে আমরা আপনার নিকট এসেছি ৷ আমরা
অভিবাদন জ্ঞাপনকারী দল ৷ দীর্ঘদিন অবস্থান করে আপনার বোঝা হয়ে থাকার দল নই ৷

রাজা বললেন, হে সুবক্তা ! আপনার পরিচয় কি ? তিনি বললেন, আমি হাশ্যিমর পুত্র আব্দুল
মুত্তালিব ৷ রাজ বললেন, আমাদের ভাগে ? ইা, তিনি উত্তর দিলেন ৷ রাজা বললেন “নিকটে
আসুন ৷ ” অতঃপর তিনি তাকে কাছে টেনে নিলেন ৷ তাকে এবং তার সাথীদেরকে সামনে নিয়ে
তিনি বললেন, “মারহাবা স্বাগতম” আপনারা এসেছেন মিত্রদেশে , এসেছেন প্রচুর দানশীল
রাজার নিকট, তিনি আপনাদেরকে প্রচুর পরিমাণে দান করবেন ৷

রাজা আপনাদের বক্তব্য শুনেছেন, আপনাদের আত্মীয়৩ ৷র পরিচয় পেয়েছেন ৷ তিনি
আপনাদের পবিত্র উসিলাও গ্রহণ করেছেন ৷ আপনাদের জন্যে সার্বক্ষগি ৷ক মেহমানদারীর ব্যবস্থা
রয়েছে ৷ যতদিন মন চায় আপনারা এখানে অবস্থান করুন! আপনাদের জন্যে আতিথ্য ও
সম্মানের সুব্যবস্থা রয়েছে ৷ বিদায়ক্ষগে আপনাদের জন্যে উপহারের ব্যবস্থা থাকবে ৷ এরপর
তারা যেহমানখান৷ ও সম্মানিত অতিথিদের বিশ্রামাপারে গমন করেন ৷ তারা একমাস সেখানে
অবস্থান করেন ৷

ইতিমধ্যে তারাও রাজার সাথে সাক্ষাত করেন নি আর রাজাও তাদের বিদায়ের অনুমতি
দেন নি ৷ একদিন তাদের কথা রাজার স্মরণ হলো ৷ লোক মারফত তিনি আব্দুল মুত্তালিবকে
ডেকে পাঠালেন ৷ অতঃপর একান্ত সান্নিধ্যে এসে তাকে বললেন, হে আব্দুল মুত্তালিবা
আমার জানা কিছু গোপন তত্ত্ব আমি আপনাকে আমার ৷ আপনার স্থানে অন্য কেউ হলে
কিন্তু তাকে আমি তা জানাতাম না৷ আমি আপনাকে দুরদর্শিত৷ ও বিচক্ষণ৩ ৷র খনিরুপে
দেখতে পাচ্ছি ৷ তাই আপনার নিকট তা ব্যক্ত করছি ৷ আল্লাহ্৩ ৷ আল৷ যতদিন এ সংবাদ
প্রকাশের অনুমতি ৩না ৷দিবেন ততদিন যেন এটি গোপন থাকে ৷ আল্লাহ্ তা আলা নিশ্চয়ই তার
ইচ্ছ ৷ চ্ছপুরণ করবেন ৷

আমি আমার নিজের পছন্দের গোপন কিতাব ও লুক্কায়িত অভিজ্ঞতার একটি গুরুতৃপুর্ণ
সংবাদ ও সুমহান বিষয় পেয়েছি যাতে সাধারণভাবে সকল মানুষের জন্যে এবং বিশেষভাবে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ৬৬

أُسَامَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَيَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ قَالَ «كَانَ صَنَمٌ مِنْ نُحَاسٍ يُقَالَ لَهُ: إِسَافٌ أَوْ نَائِلَةُ يَتَمَسَّحُ بِهِ الْمُشْرِكُونَ إِذَا طَافُوا فَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَطَفْتُ مَعَهُ فَلَمَّا مَرَرْتُ مَسَحْتُ بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَمَسَّهُ قَالَ زَيْدٌ: فَطُفْنَا فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: لَأَمَسَّنَّهُ حَتَّى أَنْظُرَ مَا يَكُونُ فَمَسَحْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَمْ تُنْهَ؟» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ زَادَ غَيْرُهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو بِإِسْنَادِهِ قَالَ زَيْدٌ: فَوَالَّذِي أَكْرَمَهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ مَا اسْتَلَمَ صَنَمًا قَطُّ حَتَّى أَكْرَمَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِالَّذِي أَكْرَمَهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ. وَتَقَدَّمَ قَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَبَحِيرَى حِينَ سَأَلَهُ بِاللَّاتِ وَالْعُزَّى «لَا تَسْأَلْنِي بِهِمَا فَوَاللَّهِ مَا أَبْغَضْتُ شَيْئًا بُغْضَهُمَا» فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو سَعْدٍ الْمَالِينِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو أَحْمَدَ ابْنُ عَدِيٍّ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَسْبَاطٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْهَدُ مَعَ الْمُشْرِكِينَ مَشَاهِدَهُمْ قَالَ: فَسَمِعَ مَلَكَيْنِ خَلْفَهُ وَأَحَدُهُمَا يَقُولُ لِصَاحِبِهِ: اذْهَبْ بِنَا
পৃষ্ঠা - ১৫৪২
حَتَّى نَقُومَ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَيْفَ نَقُومُ خَلْفَهُ، وَإِنَّمَا عَهْدُهُ بِاسْتِلَامِ الْأَصْنَامِ قُبَيْلُ؟ قَالَ: فَلَمْ يَعُدْ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ يَشْهَدَ مَعَ الْمُشْرِكِينَ مَشَاهِدَهُمْ» . . فَهُوَ حَدِيثٌ أَنْكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَتَّى قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِيهِ: لَمْ يَكُنْ أَخُوهُ يَتَلَفَّظُ بِشَيْءٍ مِنْ هَذَا وَقَدْ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّ مَعْنَاهُ أَنَّهُ شَهِدَ مَعَ مَنْ يَسْتَلِمُ الْأَصْنَامَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَنَّهُ اعْتَزَلَ شُهُودَ مَشَاهِدِ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ، وَثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقِفُ بِالْمُزْدَلِفَةِ لَيْلَةَ عَرَفَةَ بَلْ كَانَ يَقِفُ مَعَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ كَمَا قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عَمِّهِ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ جُبَيْرٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ وَهُوَ يَقِفُ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ بِعَرَفَاتٍ مِنْ بَيْنِ قَوْمِهِ حَتَّى يَدْفَعَ مَعَهُمْ تَوْفِيقًا مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: مَعْنَى قَوْلِهِ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ، مَا كَانَ بَقِيَ مِنْ إِرْثِ إِبْرَاهِيمَ، وَإِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَلَمْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ قَطُّ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا.
পৃষ্ঠা - ১৫৪৩

আপনার সম্প্রদায় ও আপনার নিজের জন্যে মর্যাদার জীবন ও পরিপুর্ণ সম্মানের পুর্বাভাস
রয়েছে ৷ আব্দুল ঘুত্তালিব বললেন, আপনার মত ল্যেকেরাই চিরসুখী ও পুণ্যময় জীবনের
অধিকারী হয়ে থাকেন ৷ পশু সম্পদের মালিক মরুবাসী দলে দলে আপনার জন্যে কােররানী
হউক ৷ বলুন তো ঐ বিষয়টি কি ? রাজা বললেন, তেহাম৷ অঞ্চলে একটি শিশুর জন্ম হবে ৷ তার
দু’ র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে মােহর অংকিত থাকবে ৷ সেতৃতৃ তারই হবে ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তারই
বদৌলতে আপনাদের নেতৃতু প্রতিষ্ঠিত থাকবে ৷

আব্দুল মুত্তা ৷লির বললেন, আল্লাহ অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন একটি প্রতিনিধিদল যত অধিক
কল্যাণ নিয়ে দেশে ফিরে যায় তার চাইতে অধিক কল্যাণ নিয়ে আমরা স্বদেশে ফিরছি ৷
মহারাজের পক্ষ থেকে অভয় পেলে আমি আমার সুসংবাদ বিষয়ে এমন আরও কিছু বিষয়
জিজ্ঞেস করতাম যা দ্বারা আমার আনন্দ আরো বৃদ্ধি পেত ৷ ইবন যী-ইয়াযান বললেন, এটিই
তার আবির্তাবের সময় ৷ এমনও হতে পারে যে, ইতিমধ্যে তার জন হয়ে গেছে ৷ তার নাম
মুহাম্মদ ৷ তার পিতা-মাত৷ দুজনেরই মৃত্যু হবে ৷ দাদা ও চাচা ত;ব্র লালন-পালন করবেন ৷
আল্লাহ তাকে প্রকাশ্যে প্রেরণ করবেন ৷ আমাদের মধ্য থেকে তার সাহায্যকারী নির্ধারিত
করবেন ৷ এসব সাহায্যকারী দ্বারা তিনি তার বন্ধুদেরকে, বিজয় দিবেন এবং তার শত্রুদেরকে
লাঞ্ছিত করবেন ৷ তাদের দ্বারা মানুষের সস্তুম রক্ষা করবেন ৷ তাদের মাধ্যমে সেরা ভুখণ্ডগুলাে
জয় করাবেন, মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলবেন পুজা অর্চনার অগ্নিকুণ্ড নিভিয়ে দিবেন, দয়াময়
আল্লাহ্র ইবাদত চালু হবে এবং শয়তান বিতাড়িত হবে ৷ তার বক্তব্য হবে সুস্পষ্ট বিচার
মীমা০ সায় তিনি হবেন ন্যায়পরায়ণ ৷ তিনি সৎকাজের আদেশ দিবেন এবং নিজে তা আমল
করবেন ৷ অসৎকাজে বারণ করবেন এবং নিজে তা বর্জন করবেন ৷

আব্দুল মুত্তালিব বললেন, মহারাজা আপনি সৌভাগ্যবান হউন, আপনার উন্নতি হোক,
আপনার রাজতৃ দীর্ঘস্থায়ী হোক এবং আপনি দীর্ঘজীবী হউন ৷ আমি এট্রুকু বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি
যে, মহারাজ কি আমাকে গোপনে আরো একটু বিস্তারিত জানাবেন ? তিনি তো ইতিমধ্যে আমার
নিকট অনেকটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ৷

তখন ইবন যী ইয়ায ন বললেন গিলাফ আচ্ছাদিত বায় তুল্লাহ্ শরীফের কসম কাধের
চিহ্ন দ্বারা এটা আমার কাছে নিশ্চিত যে, হে আব্দুল ঘুত্তালিব ৷ আপনিই তার পিতামহ ৷
তাতে এতটুকু মিথ্যা নেই ৷ একথা শুনে আব্দুল মুত্তালিব সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন ৷ রাজা
বললেন, মাথা তুলুন ৷ আপনার হৃদয় প্রশাস্তি লাভ করুক ৷ আপনার মর্যাদা সুউচ্চ হোক ৷
আমি যা বলেছি তা থেকে আপনি কি কিছুটা অনুমান করতে পেয়েছেন ? আব্দুল মুত্তালিব
বললেন, মহারাজ ৷ আমার এক পুত্র ছিল ৷ সে ছিল আমার পরম স্নেহের ৷ নিজ বংশের ওহব
তনয়া আমিনা নামের এক স্ন্তুাম্ভ মহিলার সাথে আ ৷মি তার বিবাহ দিয়েছিলাম ৷ তা যে গর্ভে জন্ম
নেয় একপুত্র সন্তান ৷ আমি তার নাম রেখেছি মুহাম্মদ ৷ সে মাতৃগর্ভে থাকা ৷অবস্থায় তার পিতা
মারা যায় ৷ শৈশ্াবে সে তার মাকে হারায় ৷ আমি নিজে এবং তার চাচা দু দান তার

লালন-পালনের ভ ৷র নিয়েছি ৷


قُلْتُ: وَيُفْهَمُ مِنْ قَوْلِهِ هَذَا أَيْضًا أَنَّهُ كَانَ يَقِفُ بِعَرَفَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُوحَى إِلَيْهِ. وَهَذَا تَوْفِيقٌ مِنَ اللَّهِ لَهُ، وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَعْقُوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ، وَلَفْظُهُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُنَزَّلَ عَلَيْهِ، وَإِنَّهُ لَوَاقِفٌ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ مَعَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ حَتَّى يَدْفَعَ مَعَهُمْ تَوْفِيقًا مِنَ اللَّهِ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَضْلَلْتُ بَعِيرًا لِي بِعَرَفَةَ فَذَهَبْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاقِفٌ فَقُلْتُ: إِنَّ هَذَا مِنَ الْحُمْسِ، مَا شَأْنُهُ هَاهُنَا؟ وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ.