كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
قصة بحيرى
পৃষ্ঠা - ১৫৩৬
মুহাম্মদ ইবন সালিহ সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, বাসুলুল্লাহ (সা ) এর বয়স যখন
বার বছর, তখন তিনি চাচা আবু তালিব এর সাথে একটি বণিক কাফেলার সাথে সিরিয়া সফর
করেন ৷ পথে তারা পাদ্রী বাহীরার যেহমান হন ৷ তখন বাহীরা আবু তড়ালিবের কানে কানে কী
যেন বললেন ৷ নবীজি (না)-এর প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার জনটু৷ বলেন ৷ ফলে আবু তালিব
র্তাকে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷
মহান আল্লাহর হেফাজতে আবু তালিবের নিকট থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) যৌবনপ্রাপ্ত হন ৷
এ সময়ে আল্লাহ তাকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় যাবতীয় জাহিলী কর্মকাণ্ড ও দোষ-ক্রটি থেকে মুক্ত
রাখেন ৷ ফলে তিনি সমাজে ব্যক্তিত্বে সকলের শ্রেষ্ঠ, চরিত্রে সর্বোত্তম, আলাপে-ব্যবহাবে,
উঠার-বসার সবচাইতে ড্ড, সহনশীলতা-বিশ্বস্ততায় সবচাইতে মহান, কথাবার্তায় সত্যবাদী,
সমস্ত অশ্লীলতা ও নােৎরামী থেকে মুক্ত ৷ কখনো ভীকে নিন্দাবাদ করতে বা কারো সাথে
কলহ-বিবাদ করতে দেখা যায়নি ৷ সব দেখে তীর স্বজা ত তার নাম দেয় আল-আমীন’ ৷
আল্লাহ প্রদত্ত এসব গুণাবলি দেখে আবু তালিব নিজের এৰু পর্যন্ত তার রক্ষণাবেক্ষণ ও
সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ আবু মুজলিয থেকে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ’র মৃত্যুর পর আবু
তালিব মুহাম্মদ (না)-এর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হন ৷ নবীজি (না)-কে সঙ্গে না নিয়ে তিনি
সফর করতেন না ৷ একবার (নবীজিকে সঙ্গে নিয়ে) তিনি সিরিয়ার অভিমুখে রওয়ানা হন ৷
পথে এক স্থানে যাত্রা বিরতি দেন ৷ এক পাদ্রী সেখানে এসে বলেন, তোমাদের মধ্যে একজন
পুণ্যবান ব্যক্তি আছেন ৷ অতঃপর বললেন, এই বালকের পিতা কােথড়ায়ঃ জবাবে আবু তালিব
বললেন, এই (তা আমিই তার অ ভভাবক ৷ পাদ্রী বললেন, এই বালকের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য
রাখবেন ৷ একে নিয়ে সিরিয়া যাবেন না ৷ ইহুদীরা বড় হিংসাপরায়ণ ৷ সুযোগ পেলে তারা এর
ক্ষতি করবে বলে আমি আশংকা করছি ৷ আবু তালিব বললেন, একথা শুধু আপনিই বলছেন না,
এটা অড়াল্লাহরও কথা ৷ অতঃপর আবু তালিব র্তাকে মক্কা ফেরতে পাঠান এবং বলেন, হে
আল্লাহ! মুহাম্মদকে আমি তোমার হাতে সােপর্দ করলাম ৷ আবু তালিব মৃত্যু পর্যন্ত মুহাম্মদ
(না)-এর দেখাংন্যে করেন ৷
বাহীরার কাহিনী
সুহায়লী যুহরীর সীরাত গ্রন্থ থেকে বর্ণনা করেন যে, বাহীরা একজন ইহুদী পণ্ডিত ছিলেন ৷
আমার মতে, উপরের কাহিনী থেকে যা বুঝা যায়, তা হলো, বাহীরা ছিলেন খৃষ্টান পাদ্রী ৷
আল্লাহই সম্যক অবহিত ৷ মাসউদী থেকে বর্ণিত বাহীরা আবদুল কায়স গোত্রের লোক ছিলেন ৷
তীর আসল নাম ছিল জারজীস ৷
ইবন কুতায়বার মাআবিফ’ কিভাবে আছে, ইসলামের সামান্য পুর্বে জাহেলী যুগে এক
ব্যক্তি শুনতে পেয়েছিলেন যে, কে যেন বলছে, পৃথিবীর সেরা মানুষ তিনজন ৷ বাহীরা, রিআব
ইবন বারা আশ-শান্নী এবং তৃডীয়জনের আগমন এখনও ঘটেনি ৷ সেই তৃতীয়জন ছিলেন
প্রভীক্ষিত রাসুলুল্লাহ (সা) ৷ ইবন কুতায়বা বলেন, এই ঘোষণা শ্রবণের পর বিআব ইবন শান্নী
এবং তার পিতার করবে অবিরাম হালকা বৃষ্টিপাত হতে দেখা গিয়েছিল ৷
[قِصَّةُ بَحِيرَى]
حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ سِيَرِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ بَحِيرَى كَانَ حَبْرًا مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ قُلْتُ: وَالَّذِي يَظْهَرُ مِنْ سِيَاقِ الْقِصَّةِ أَنَّهُ كَانَ رَاهِبًا نَصْرَانِيًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَعَنِ الْمَسْعُودِيِّ أَنَّهُ كَانَ مَنْ عَبْدِ الْقَيْسِ وَكَانَ اسْمُهُ سَرْجِسَ، وَفِي كِتَابِ الْمَعَارِفِ لِابْنِ قُتَيْبَةَ سُمِعَ هَاتِفٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَبْلَ الْإِسْلَامِ بِقَلِيلٍ يَهْتِفُ، وَيَقُولُ: أَلَا إِنَّ خَيْرَ أَهْلِ الْأَرْضِ ثَلَاثَةٌ بَحِيرَى، وَرِئَابٌ الشَّنِّيُّ وَالثَّالِثُ الْمُنْتَظَرُ وَكَانَ الثَّالِثُ الْمُنْتَظَرُ هُوَ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ابْنُ قُتَيْبَةَ: وَكَانَ قَبْرُ رِئَابٍ الشَّنِّيُّ، وَقَبْرُ وَلَدِهِ مِنْ بَعْدِهِ لَا يَزَالُ يُرَى عِنْدَهَا طَشٌّ وَهُوَ الْمَطَرُ الْخَفِيفُ.