আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

فصل وفاة أمه عليه السلام وما جاء في استغفاره لها بعد موتها

পৃষ্ঠা - ১৫১৬
[فَصْلُ وَفَاةِ أُمِّهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا جَاءَ فِي اسْتِغْفَارِهِ لَهَا بَعْدَ مَوْتِهَا] فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ ذِكْرِ رُجُوعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى أُمِّهِ آمِنَةَ بَعْدَ رَضَاعَةِ حَلِيمَةَ لَهُ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ وَجَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي كَلَاءَةِ اللَّهِ وَحِفْظِهِ، يُنْبِتُهُ اللَّهُ نَبَاتًا حَسَنًا لِمَا يُرِيدُ بِهِ مِنْ كَرَامَتِهِ فَلَمَّا بَلَغَ سِتَّ سِنِينَ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزَمٍ أَنَّ أُمَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آمِنَةَ، تُوُفِّيَتْ وَهُوَ ابْنُ سِتِّ سِنِينَ، بِالْأَبْوَاءِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ كَانَتْ قَدْ قَدِمَتْ بِهِ عَلَى أَخْوَالِهِ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ تُزِيرُهُ إِيَّاهُمْ فَمَاتَتْ وَهِيَ رَاجِعَةٌ بِهِ إِلَى مَكَّةَ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَتْ بِهِ أُمُّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَمَعَهُ أُمُّ أَيْمَنَ، وَلَهُ سِتُّ سِنِينَ فَزَارَتْ أَخْوَالَهُ قَالَتْ أُمُّ أَيْمَنَ: فَجَاءَنِي ذَاتَ يَوْمٍ رَجُلَانِ مِنْ يَهُودِ الْمَدِينَةِ فَقَالَا لِي: أَخْرِجِي إِلَيْنَا أَحْمَدَ نَنْظُرُ إِلَيْهِ فَنَظَرا إِلَيْهِ وَقَلَّبَاهُ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: هَذَا نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَهَذِهِ دَارُ هِجْرَتِهِ، وَسَيَكُونُ بِهَا مِنَ الْقَتْلِ وَالسَّبْيِ أَمْرٌ عَظِيمٌ فَلَمَّا سَمِعَتْ أُمُّهُ خَافَتْ وَانْصَرَفَتْ بِهِ فَمَاتَتْ بِالْأَبْوَاءِ وَهِيَ رَاجِعَةٌ.
পৃষ্ঠা - ১৫১৭

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায়ম
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)-এর বয়স যখন ছয় বছর, তখন তার মা আমিনা মক্কা ও
মদীনায় মধ্যবর্তী আবওয়া নামক স্থানে ইন্তিকাল করেন ৷ নবীজিকে সঙ্গে করে তিনি তার
মড়াতুলালয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৷ তারা ছিলেন আদী ইবন নাজ্জার গোত্রভুক্ত ৷ মক্কায়
প্রত্যাবর্ত্যনর পথে তার ইস্তিকাল হয় ৷

ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-কে সঙ্গে করে যা মদীনায় তার মাতুলালয়ে যান ৷ দাসী
উম্মে আয়মানও সঙ্গে ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর বয়স তখন ছয় বছর ৷

উম্মে আয়মান বলেন, এ সময়ে একদিন দু’জন ইহুদী আমার নিকট এসে বলল, আহমদকে
নিয়ে এস দেখি! আমরা তাকে দেখতে এসেছি ৷ তারা র্তাকে দেখে ফিরিয়ে দিয়ে একজন
অপরজনকে বলে, এ ছেলেই এই উন্মতের নবী ৷ আর এটাই হল তার হিজবত স্থল ৷ একে
কেন্দ্র করে অনেক যুদ্ধবিগ্রহের ঘটনা ঘটরে ৷ মা আমিনা এ সংবাদ শুনে ঘাবড়ে যান এবং
তাকে নিয়ে ফেরত রওয়ানা হন ৷ এই ফেরার পথেই আবওয়া নামক স্থানে তার ইন্তিকাল হয় ৷

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, বুরায়দা (রা) বলেন, একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
সঙ্গে বের হই ৷ ওয়াদ্দান নামক স্থানে উপনীত হলে নবী করীম (সা) বললেন, তােমরা এখানে
অবস্থান কর, আমি আসছি ৷ এই বলে তিনি চলে গেলেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি ভারাক্রাস্ত হৃদয়ে
ফিরে আসেন ৷ এসে বললেন :

আমি আমার আম্মার কবরের কাছে গিয়ে আমার রব-এর নিকট তার জন্য সুপারিশ করার
অনুমতি চাই ৷ কিন্তু তিনি আমাকে তা থেকে বারণ করলেন ৷ আর আমি তোমাদেরকে
ইতিপুর্বে যিয়ারত করতে বারণ করেছিলাম ৷ এখন থেকে তোমরা কবর যিয়ারত করবে ৷
তিনদিনের পর কুরবানীর পশুর গোশত থেতেও আমি তোমাদেরকে রাবণ করেছিলাম ৷ এখন
থেকে য়ে ক’দিন ইচ্ছা তা খেতে পারবে এবং মতদিন ইচ্ছা ধরে রাখতে পারবে ৷ তোমাদেরকে
আমি মদের পাত্রে পানি পান করতে নিষেধ করেছিলাম ৷ এখন থেকে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে
নিলাম ৷

বায়হষ্কর্কী বর্ণনা করেন যে, হযরত বুরায়দা (রা) বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) একটি
কবরের নিকট গিয়ে বসে পড়েন ৷ দেখাদেখি লোকেরাও তীর চতুস্পার্পে বসে পড়ে ৷ বসে নবী
করীম (সা) মাথা নাড়তে নাড়তে র্কাদতে লাপলেন ৷ উমর (বা) তার নিকটে এগিয়ে গিয়ে
জিজ্ঞেস করেন, আপনি র্কাদছেন কেন ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা)? নবী কৰীম (সা) বললেন, এটি
আমার আম্মা আমিনা বিনতে ওহব-এর কবর ৷ আমার রব-এর নিকট আমি তার এই কবরঢি
যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েস্থিলাম ৷ তিনি আমাকে অনুমতি দেন, কিস্তু তার মাগফিরড়াতের
আবেদন করার অনুমতি চাইলে তিনি তাতে সম্মতি দিলেন না ৷ মায়ের কথা ভেবে আমি
র্কাদছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সেইদািনর মত এত বেশি সময় ধরে র্কাদতে নবীজিকে কখনও
দেখা যায়নি ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِوَدَّانَ قَالَ: مَكَانَكُمْ حَتَّى آتِيَكُمْ فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَنَا وَهُوَ سَقِيمٌ فَقَالَ: إِنِّي أَتَيْتُ قَبْرَ أُمِّ مُحَمَّدٍ فَسَأَلْتُ رَبِّي الشَّفَاعَةَ - يَعْنِي لَهَا - فَمَنَعَنِيهَا، وَإِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا. وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِي بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فَكُلُوا وَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ. وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَشْرِبَةِ فِي هَذِهِ الْأَوْعِيَةِ فَاشْرَبُوا مَا بَدَا لَكُمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «انْتَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَسْمِ قَبْرٍ فَجَلَسَ وَجَلَسَ النَّاسُ حَوْلَهُ كَثِيرٌ فَجَعَلَ يُحَرِّكُ رَأْسَهُ كَالْمُخَاطِبِ ثُمَّ بَكَى فَاسْتَقْبَلَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: هَذَا قَبْرُ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي أَنْ أَزُورَ قَبْرَهَا فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَأَبَى عَلَيَّ، وَأَدْرَكَتْنِي رِقَّتُهَا فَبَكَيْتُ قَالَ: فَمَا
পৃষ্ঠা - ১৫১৮


আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)এর বরাতে বায়হড়াকী বংনাি করেন, ইবন মাসউদ (রা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এক দিন কব্রস্থড়ান যিয়ারত করতে বের হন ৷ আমরাও তার সঙ্গে বের
হলাম ৷ তার আদেশে আমরা এক জায়গায় বসে পড়লাম ৷ তিনি ঘুরে ঘুরে কবর দেখছেন ৷ এক
পর্যায়ে একটি কবরের নিকট গিয়ে তিনি দাড়িয়ে যান ৷ দীর্ঘক্ষণ পর্য৷ ন্ত নিম্নস্বরে কি যেন বলতে
থাকেন ৷ তারপর তিনি কেদে উঠেন ৷ তার ক ৷ন্ন৷ দেখে আমরাও কেদে ফেললাম ৷ অবশেষে
তিনি আমাদের কাছে ফিরে আসেন ৷ উমর ইবন খাত্তাব (বা) এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ (সা) ! আপনি কাদছেন কেন? আপনার কান্না তো আমাদেরকেও কাদিয়েছে এবং ভয়
পাইয়ে দিয়েছে৷ তিনি আমাদের নিকটে এসে বললেন এবং বললেন, “আমার কান্ন৷ বুঝি
তােমাদেরকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে?” আমরা বললাম, “জী হীা ৷ তিনি বললেন, যে কবরঢির
সামনে আমাকে তোমরা কথা বলতে দেখেছ, সেটি আমিনা বিনতে ওহব-এর কবর ৷ আমার
রব্-এর নিকট আমি তার যিয়ারত করার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলাম ৷ তিনি আমাকে অনুমতি
প্রদান করেন ৷ আবার তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার অনুমতিও চেয়েছিলাম , কিন্তু আমার বব সেই
অনুমতি দিলেন না এবং আমার প্ৰতি নাযিল করলেন :

১১
এবুষ্া

; ,





“আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের জন্য সং গত
নয় ৷ যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা জা ৷হান্নামী ৷ ইব্রাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে ৷ অতঃপর যখন তার নিকট এ কথা
সুস্পষ্ট হলো যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন ইব্রাহীম তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল ৷ ইব্রাহীম তো
কোমল-হৃদয় ও সহনশীল ৷ (তাওবা : ১ ১৩ ১ ১৪ )

ফলে মায়ের জন্য পুত্রের হৃদয় যেভাবে বিগলিত হয় আমার অবন্থাও ঠিক৩ ৷ই হলো ৷ এ
কারণেই আমি কেদেছি ৷ ” বর্ণনাঢি গরীব পর্যায়ের ৷ হাদীছের প্রসিদ্ধ ছয় কিভাবে তা ৷র উল্লেখ
নেই ৷ ইমাম মুসলিম হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) একদিন তার মায়ের কবর যিয়ারত করেন ৷ তখন তিনি নিজেও কান্নাকাটি করেন এবং
আশেপাশের লোকদেরও কাদান ৷ তারপর তিনি বলেন, “আমার রব্-এর নিকট আমি আমার
মায়ের কবর জিয়ারত করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি আমাকে অনুমতি দেন ৷ কিত্তু মায়ের
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চাইলে আমার রব্ আমাকে সেই অনুমতি দেননি ৷ এখন থেকে
তোমরা কবর যিয়ারত করবে, কবর তােমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে ৷ ” ইমাম
মুসলিম আনাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ
(সা) বলুন তো আমার আব্ব৷ কোথায়? নবী করীম (সা) বললেন, জাহান্নামে ৷ একথা শুনে


رَأَيْتُ سَاعَةً أَكْثَرَ بَاكِيًا مِنْ تِلْكَ السَّاعَةِ» . تَابَعَهُ مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ عَنْ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ بَحْرِ بْنِ نَصْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ هَانِئٍ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ فِي الْمَقَابِرِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ فَأَمَرَنَا فَجَلَسْنَا، ثُمَّ تَخَطَّى الْقُبُورَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَبْرٍ مِنْهَا فَنَاجَاهُ طَوِيلًا، ثُمَّ ارْتَفَعَ نَحِيبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاكِيًا فَبَكَيْنَا لِبُكَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَتَلَقَّاهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الَّذِي أَبْكَاكَ؟ لَقَدْ أَبْكَانَا وَأَفْزَعَنَا فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْنَا فَقَالَ: أَفْزَعَكُمْ بُكَائِي؟ قُلْنَا: نَعَمْ قَالَ: إِنَّ الْقَبْرَ الَّذِي رَأَيْتُمُونِي أُنَاجِي قَبْرَ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ، وَإِنِّي اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي زِيَارَتِهَا فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَلَمْ يَأْذَنْ لِي فِيهِ، وَنَزَلَ عَلَيَّ " {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ
পৃষ্ঠা - ১৫১৯
وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ} [التوبة: 113] " فَأَخَذَنِي مَا يَأْخُذُ الْوَلَدُ لِلْوَالِدَةِ مِنَ الرِّقَّةِ فَذَلِكَ الَّذِي أَبْكَانِي» غَرِيبٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «زَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَ أُمِّهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: اسْتَأْذَنْتُ رَبِّي فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّي فَأَذِنَ لِي، وَاسْتَأْذَنْتُهُ فِي الِاسْتِغْفَارِ لَهَا فَلَمْ يَأْذَنْ لِي فَزُورُوا الْقُبُورَ تُذَكِّرُكُمُ الْمَوْتَ» وَرَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ عَفَّانَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ أَبِي؟ قَالَ: فِي النَّارِ فَلَمَّا قَفَّى دَعَاهُ فَقَالَ: إِنَّ أَبِي وَأَبَاكَ فِي النَّارِ» . وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ أَبِي كَانَ يَصِلُ الرَّحِمَ وَكَانَ وَكَانَ فَأَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: فِي النَّارِ قَالَ: فَكَأَنَّ الْأَعْرَابِيَّ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৫২০

লোকটি ফিরে যেতে উদ্যত হলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, “আমার পিতা এবং তোমার পিতা
উভয়েই জাহান্নামে ৷”

বায়হাকী হযরত সাদ (বা) থেকে বনাি করেন যে, তিনি বলেন এক বেদুঈন নবী কবীম
(সা) এর নিকট এসে বলল, আমার আব্বা আত্মীয় বৎসল ছিলেন ৷ তার অমুক অমুক গুণ ছিল ৷
এখন তিনি কোথায় আছেনঃ জবাবে নবী করীম (সা) বললেন, জাহান্নামে’ ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
একথা শুনে বেদৃঈন অস্থির হয়ে পড়ে এবং বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) ! আপনার পিতা
কোথায়ঃ নবী কবীম (সা) বললেন, যখনই তুমি কোন কাফিরের কবর অতিক্রম করবে, তাকে
জাহান্নামের সংবাদ দেবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি মুসলমান হয়ে যায় ৷

পরে সে বলে, রাসুলুল্লাহ (সা) আমার উপর একটি কষ্টকর কাজ দিলেন ৷ এরপর থেকে
আমি যখনই যে কাফিরের কবরের নিকট দিয়ে অতিক্রম করোৰুষ্ট্র তাকেই জাহান্নড়ামের সংবাদে
দিয়েছি ৷ এটাও গরীব পর্যায়ের বর্ণনা, বিশুদ্ধ হাদীসসমুহে অনুক্ত ৷

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমর ৷রা) বলেছেন একদিন আমরা
রাসুলুলাহ (সা) এর সঙ্গে হীটছিলাম ৷ হঠাৎ একজন মহিলা দেখা গেল ৷ তাকে নবী করীম (সা)
চিন্যেছন বলে আমরা ধারণা করিনি ৷ রাস্তার মধ্যখানে এসে নবী করীম (সা) র্দাড়িয়ে যান ৷
মহিলাও নবীজির নিকটে এসে র্দাড়ান ৷ তখন দেখা গেল, তিনি রাসুলুলাহ (না)-এর কন্যা
ফাতিমা ৷ নবী করীম (সা) বললে, ফাতিমা! কিসে তোমাকে তোমার ঘর থেকে বের করে
আনলো? ফাতিমা (বা) বললেন, এই গৃহবাসীদের মৃতের আত্মার মাণফেরাত প্রার্থনা ও
সমবেদনা প্রকাংশর জন্য এখানে এসেছি ৷ নবী করীম (সা) বললেন, বোধহয় তু তাদের সঙ্গে
কবর পর্যন্ত গিয়েছিল্যে জবাবে তিনি বললেন : লোকদের সঙ্গে মৃতের কবর পর্যন্ত যাওয়া থেকে
আল্লাহ আমাকে রক্ষা করুন ৷ আমি তো এ বিষয়ে আপনি যা বলে থাকেন তা শুনেছি ৷ নবী
করীম (সা) বললেন, “যদি তু তাদের সঙ্গে কবর পর্যন্ত যেতে, তবে জান্নাত দেখতে পেতে
না, যতক্ষণ না তোমার বাপের দাদা তা প্রত্যক্ষ করতেন ৷” আহমদ আবু দাউদ, নাসায়ী ও
বায়হাকী প্রমুখ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর একজন রাবীকে অনেকে বিত ত
বলেছেন ৷ আবদুল মুত্তালিব জাহেলী দীনের অনুসারী রুপেই মারা যান ৷ তবে তার এবং আবু
তালিবের দীনের ব্যাপারে শিয়াদের তিন্নমর্ভ রয়েছে ৷ আবু তালিবের ওফাত অধ্যায়ে এ বিষয়ে
আলোকপাত করা হবে ৷

বায়হাকী তার দালায়লুন নুবুওয়াহ্’ গ্রন্থে এই হাদীসগুলো উল্লেখ করে মন্তব্য করেন যে,
রাসুলুল্পাহ (না)-এর পিতা-মাতা ও দাদার অবস্থা আখিরাতে কেন এরুপ হবে না? তারা তো
পৌত্তলিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ঈসা (আ)-এর দীনেরও র্তারা অনুসরণ করতেন
না ৷ তবে তাদের এই কুফরীতে রাসুলুল্লাহ (সা) এর বংশ পরিচয়ে কোন কলংক আসে না ৷
কারণ, কাফিরে কাফিরে বিবাহ শুদ্ধ ৷ এ কারণেই স্বামী ত্রী একত্রে ইসলাম গ্রহণ করলে বিবাহ
নবায়ন করতে হয় না না তাতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে হয় না ৷ উল্লেখ্য যে, একাধিক সুত্রে
বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, দুই নবীর মধ্যবর্তী সময়কার মানুষ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু, পাগল


فَأَيْنَ أَبُوكَ؟ قَالَ: حَيْثُمَا مَرَرْتَ بِقَبْرِ كَافِرٍ فَبَشِّرْهُ بِالنَّارِ قَالَ: فَأَسْلَمَ الْأَعْرَابِيُّ بَعْدُ فَقَالَ: لَقَدْ كَلَّفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعَبًا، مَا مَرَرْتُ بِقَبْرِ كَافِرٍ إِلَّا بَشَّرْتُهُ بِالنَّارِ» غَرِيبٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ سَيْفٍ الْمَعَافِرَيُّ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ «بَيْنَمَا نَحْنُ نَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ بَصُرَ بِاِمْرَأَةٍ لَا نَظُنُّ أَنَّهُ عَرَفَهَا فَلَمَّا تَوَسَّطَ الطَّرِيقَ وَقَفَ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَيْهِ فَإِذَا فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا أَخْرَجَكِ مِنْ بَيْتِكِ يَا فَاطِمَةُ؟ فَقَالَتْ: أَتَيْتُ أَهْلَ هَذَا الْبَيْتِ فَرَّحَمْتُ إِلَيْهِمْ مَيِّتَهُمْ، وَعَزَّيْتُهُمْ قَالَ: لَعَلَّكِ بَلَغْتِ مَعَهُمُ الْكُدَى. قَالَتْ: مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ أَكُونَ بَلَغْتُهَا مَعَهُمْ; وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَذْكُرُ فِي ذَلِكَ مَا تَذْكُرُ. قَالَ: لَوْ بَلَغْتِيهَا مَعَهُمْ مَا رَأَيْتِ الْجَنَّةَ حَتَّى يَرَاهَا جَدُّ أَبِيكِ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفِ بْنِ مَاتِعٍ الْمَعَافِرَيِّ الصُّنَّمِيِّ الْإِسْكَنْدَرِيِّ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ
পৃষ্ঠা - ১৫২১
الْبُخَارِيُّ: عِنْدَهُ مَنَاكِيرٌ، وَقَالَ النَّسَائِيُّ: لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، وَقَالَ مَرَّةً: صَدُوقٌ، وَفِي نُسْخَةٍ: ضَعِيفٌ، وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي الثِّقَاتِ، وَقَالَ: كَانَ يُخْطِئُ كَثِيرًا، وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: صَالِحٌ، وَقَالَ ابْنُ يُونُسَ فِي تَارِيخِ مِصْرَ: فِي حَدِيثِهِ مَنَاكِيرٌ تُوُفِّيَ قَرِيبًا مِنْ سَنَةِ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ وَالْمُرَادُ بِالْكُدَى: الْقُبُورُ، وَقِيلَ: النَّوْحُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ مَاتَ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ دِينِ الْجَاهِلِيَّةِ، خِلَافًا لِفِرْقَةِ الشِّيعَةِ فِيهِ وَفِي ابْنِهِ أَبِي طَالِبٍ عَلَى مَا سَيَأْتِي فِي وَفَاةِ أَبِي طَالِبٍ، وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ رِوَايَتِهِ هَذِهِ الْأَحَادِيثَ فِي كِتَابِهِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ: وَكَيْفَ لَا يَكُونُ أَبَوَاهُ وَجَدُّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بِهَذِهِ الصِّفَةِ فِي الْآخِرَةِ وَقَدْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْوَثَنَ حَتَّى مَاتُوا، وَلَمْ يَدِينُوا دِينَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكُفْرُهُمْ لَا يَقْدَحُ فِي نَسَبِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ; لِأَنَّ أَنْكِحَةَ الْكُفَّارِ صَحِيحَةٌ أَلَا تَرَاهُمْ يُسْلِمُونَ مَعَ زَوْجَاتِهِمْ فَلَا يَلْزَمُهُمْ تَجْدِيدُ الْعَقْدِ وَلَا مُفَارَقَتُهُنَّ إِذَا كَانَ مِثْلُهُ يَجُوزُ فِي الْإِسْلَامِ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ انْتَهَى كَلَامُهُ.
পৃষ্ঠা - ১৫২২


এবং বধিরদেরকে কিয়ামতের চতুরে পরীক্ষা করা হবে ৷ তখন তাদের কেউ জবাব দিতে
পারবে, কেউ পারবে না ৷ আমার মতে এই হাদীসের বক্তব্য আর নবী করীম (না)-এর
পিতা-মাতা ও দাদা সম্পর্কে জাহান্নামী হওয়ার সংবাদ প্রদানের মধ্যে কোন বিরোধ নেই ৷
কেননা, সে সময় এরাও ঐ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবেন, যারা জবাব দানে অক্ষম হবে ৷

; : শ্ : ঙ্কুপ্র

এই আঘাতের তাফসীরে আমি বিষয়টি বিস্তারিতভড়াবে আলোচনা করেছি ৷

সুহায়লী কর্তৃক বর্ণিত এক হাদীসে আছে যে , আয়েশা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দােয়ায় আল্লাহ তাআলা তার পিতা-মাতা দু’জনকেই জীবিত করেছিলেন ৷ জীবন পেয়ে তারা
নবীর প্রতি ঈমান আনয়ন করেন ৷ আল্লাহর কুদরতের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে এমনটি সম্ভবপর
হলেও প্রকৃত পক্ষে এই বর্ণনাটি একান্তই মুনকাব’ পর্যায়ের ৷ সহীহ হাদীসে এর বিপরীত বক্তব্য
রয়েছে ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মা আমিনা বিনতে ওহব-এর মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (সা) দাদা
আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম-এর তত্ত্বড়াবধানে থাকেন ৷ সে সময়ে কাবার ছায়ায় আবদুল
মুত্তালিরের জন্য বিছানা পাতা হত ৷ আবদুল মুত্তালিব তাতে বসতেন এবং তার সম্ভান-সম্ভতিরা
সেই বিছানার চারদিকে বসে পড়ত ৷ তার সম্মানার্থে কেউই বিছানার উপরে উঠে বসত না ৷
নাদুসনুদুস বালক নবী (না)-ও সেই মজলিসে আসতেন এবং আবদুল মুত্তালিবের বিছানার
ওপর বসে পড়তেন ৷ তা দেখে তার চাচারা র্তাকে ধরে সরিয়ে বসাবার চেষ্টা করতেন ৷ কিন্তু
আবদুল মুত্তালিব বলতেন, আমার এ নাতিটিকে তোমরা ছেড়ে দাও ৷ আল্লাহর শপথ ! ভবিষ্যতে
ও বিরাট কিছু হবে ৷ এই বলে আবদুল মুত্তালিব নবীজিকে নিজ হাতে ধরে নিজের বিছানার
বসিয়ে নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতেন এবং তিনি যা করতে চাইতেন, তাতে সহযোগিতা
করতেন ৷

ওয়াকিদী একাধিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে , রাসুলুল্লাহ (না) যা আমিনার কাছে থাকতেন ৷
মায়ের ইস্তিকাল হলে দাদা আবদুল মুত্তালিব তীর লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ আবদুল
মুত্তালিব তাকে নিজের ঔরসজাত সন্তানদের চাইতেও বেশি স্নেহ করতেন এবং সব সময় র্তাকে
কাছে কাছে রাখতেন ৷ শয়নে-স্বপনে সৰ্বাবস্থায় নবীজি দাদা আবদুল মৃত্তালিবের একাম্ভে যেতে
পারতেন ৷ দাদার বিছানার গিয়ে বসলে আবদুল মুত্তালিব বলতেন, একে তোমরা ছেড়ে দাও,
আমার এই সম্ভানটি কালে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে ৷

বনু মুদলাজ এর একদল লেকে আবদুল মুত্তালিবকে বলল, এই ছেলের প্রতি বিশেষভাবে
দৃষ্টি রাখবেন ৷ কারণ এর পায়ের আকৃক্কিমকােমে ইব্রাহীমের পায়ের আকৃতির সাথে অধিক
সাদৃশ্যপুর্ণ আর কোন পা আমরা মোঃ৷ এষ্কপা শুনে আবদুল মুত্তালিব আবু তালিবকে
বললেন, ণ্শান, এরা কী বলছে! সেই আন মোঃ আবু তালিব নবী কবীম (না)-কে বিশেষ


قُلْتُ: وَإِخْبَارُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَبَوَيْهِ وَجَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَنَّهُمْ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، لَا يُنَافِي الْحَدِيثَ الْوَارِدَ عَنْهُ مَنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ «أَنَّ أَهْلَ الْفَتْرَةِ وَالْأَطْفَالَ وَالْمَجَانِينَ وَالصُّمَّ يُمْتَحَنُونَ فِي الْعَرَصَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ،» كَمَا بَسَطْنَاهُ سَنَدًا وَمَتْنًا فِي تَفْسِيرِنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّى نَبْعَثَ رَسُولًا} [الإسراء: 15] فَيَكُونُ مِنْهُمْ مَنْ يُجِيبُ وَمِنْهُمْ مَنْ لَا يُجِيبُ فَيَكُونُ هَؤُلَاءِ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ لَا يُجِيبُ فَلَا مُنَافَاةَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ، وَذَكَرَ أَنَّ فِي إِسْنَادِهِ مَجْهُولَينِ إِلَى ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَ رَبَّهُ أَنْ يُحْيِيَ أَبَوَيْهِ فَأَحْيَاهُمَا وَآمَنَا بِهِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَإِنْ كَانَ مُمْكِنًا بِالنَّظَرِ إِلَى قُدْرَةِ اللَّهِ تَعَالَى لَكِنَّ الَّذِي ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ يُعَارِضُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَصْلٌ فِي كَفَالَةِ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ وَفَاةِ أُمِّهِ]
পৃষ্ঠা - ১৫২৩
فَصْلٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَعَ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ - يَعْنِي بَعْدَ مَوْتِ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ - فَكَانَ يُوضَعُ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِرَاشٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ وَكَانَ بَنُوهُ يَجْلِسُونَ حَوْلَ فِرَاشِهِ ذَلِكَ حَتَّى يَخْرُجَ إِلَيْهِ لَا يَجْلِسُ عَلَيْهِ أَحَدٌ مِنْ بَنِيهِ إِجْلَالًا لَهُ قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي وَهُوَ غُلَامٌ جَفْرٌ حَتَّى يَجْلِسَ عَلَيْهِ فَيَأْخُذُهُ أَعْمَامُهُ لِيُؤَخِّرُوهُ عَنْهُ فَيَقُولُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِذَا رَأَى ذَلِكَ مِنْهُمْ: دَعُوا ابْنِي فَوَاللَّهِ إِنَّ لَهُ لَشَأْنًا، ثُمَّ يُجْلِسُهُ مَعَهُ عَلَى فِرَاشِهِ وَيَمْسَحُ ظَهْرَهُ بِيَدِهِ، وَيَسُرُّهُ مَا يَرَاهُ يَصْنَعُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ عَاصِمٍ الْأَسْلَمِيُّ عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ جَهْمٍ، وَحَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ، وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحَيْمٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ - قَالُوا: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُونُ مَعَ أُمِّهِ آمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ قَبَضَهُ إِلَيْهِ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَضَمَّهُ وَرَقَّ عَلَيْهِ رِقَّةً لَمْ يَرِقَّهَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ১৫২৪


হেফাজতে রাখতে শুরু করেন ৷ আবদুল মুত্তালিব উম্মে আয়মানকে-যিনি নবীজিকে
(কালে-কাধে নিতেনশ্বলেছিলেন, বড়ারাকাহ! আমার এই নাতির ব্যাপারে উদাসীন হয়াে না ৷
আমি একে সিদরাতুল মুনতাহার নিকট বলেকদেব সঙ্গে দেখতে পেয়েছি, ৷ আর আহলে
কিতাবদের ধারণা আমার এই সভানটি এই উম্মতের নবী হবে উল্লেখ্য যে, আবদুল মুত্তালিব
যখনই থানা যেতেন বলতেন, আমার নড়াতিকে নিয়ে এস ৷ তখন নবীজিকে তার কাছে এসে
দেয়৷ হত ৷ মৃত্যুকালে আবদুল মুত্তালিব আবু তালিবকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর দেখাশুনা করার
জন্য অসিয়ত করে যান ৷ এই অসিয়তের পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং হাজুন নামক স্থানে
সমাধিস্থ হন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আট বছরে উপনীত হলে তার দাদা আবদুল মুত্তালিব
মৃত্যুবরণ করেন ৷ মৃত্যুর প্রাক্কালে তিনি তার কন্যাদের ডেকে তাদের বিলাপ করার আদেশ
দেন ৷ সেই মেয়েরা হলো, আরওয়া, উমাইয়া, বাররা, সাফিফ্যা, আতিকা ও উম্মে হাকীম
আল-বড়ায়যা ৷ তাদের পিতাকে শুনিয়ে তারা যে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ইবন ইসহাক সেগুলি
উদ্ধৃত করেন ৷ এগুলে৷ ছিল খুবই মর্মস্পশী বিলাপ ৷ ইবন ইসহাক এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করেছেন ৷ ইবন ইিশাম বলেন, এই কবিতাগুলো যে তাদেরই, তা যথার্থ বলে কোন
কাব্য বিশারদই স্বীকার করেন নি ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিমের মৃত্যুর পর যমযম ও পানি পান
করানো (সিকড়ায়া)-এর দায়িত্ব তীর পুত্র আব্বড়াসের ওপর অর্পিত হয় ৷ আব্বাস (রা) বয়সে তার
ভাইদের মধ্যে সকলের কনিষ্ঠ ৷ ইসলামের প্রতিষ্ঠা লাভ করা পর্যন্ত এই দায়িতৃ তারই হতে
থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-ও এই দায়িতু তারই হাতে বহাল রাখেন ৷ দাদা আবদুল মুত্তালিবের
মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল মুত্তালিবের ওসিয়ত অনুসারে চাচা আবু তালিব-এর
তত্ত্বড়াবধানে থাকতে শুরু করেন ৷ আবু তালিব ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা)-এর পিতা আবদুল্লাহর
সহােদর ৷ তাদের দৃ’জনেবই মা হলেন, ফাতিমা বিনতে আমর ইবন আয়িয ইবন ইমরান ইবন

মাখযুম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চাচার সঙ্গে সঙ্গেই থাকতেন ৷

ওয়াকিদীর বর্ণনায় আরো আছে, আবু তালিবের সংসার ছিল অসচ্ছল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-কে
তিনি এত বেশি আদর করতেন যে, নিজের ঔরসজাত সন্তানদেরকে তত আদর করতেন না ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)-কে নিজের পার্শে না নিয়ে তিনি ঘুমাতেন না ৷ বাইরে কোথাও গেলে র্তাকেও
সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন ৷ তাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আহার করতেন ৷ তাকে ছাড়া আহার করলে
আবু তালিব এবং তার পরিবারের কারও আহারে তৃপ্তি আসত না ৷ সবাই খেতে বসলে আবু
তালিব বলতেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর, আমার অড়াদরের দৃলালটি এসে যাক ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এসে তাদের সঙ্গে আহার করলে তাদের আহার্য উদ্বুত্ত থাকতো ৷ এ ব্যাপারে আবু তালিব
বলতেন, তুমি বড় বরকতময় ৷ সকালে ঘুম থেকে উঠলে সবইিকে যেখানে মলিন ও আলুথালু
মনে হত, সেখানে রাসুলুল্লাহকে অনেক দীপ্তিময় ও লাবণ্যময় দেখাতে৷ ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬৫

وَلَدِهِ وَكَانَ يُقَرِّبُهُ مِنْهُ وَيُدْنِيهِ، وَيَدْخُلُ عَلَيْهِ إِذَا خَلَا وَإِذَا نَامَ وَكَانَ يَجْلِسُ عَلَى فِرَاشِهِ فَيَقُولُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِذَا رَأَى ذَلِكَ: دَعُوا ابْنِي إِنَّهُ لَيُؤْنِسُ مُلْكًا. وَقَالَ قَوْمٌ مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ: احْتَفِظْ بِهِ فَإِنَّا لَمْ نَرَ قَدَمًا أَشْبَهَ بِالْقَدَمِ الَّذِي فِي الْمَقَامِ مِنْهُ فَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِأَبِي طَالِبٍ: اسْمَعْ مَا يَقُولُ هَؤُلَاءِ! فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يَحْتَفِظُ بِهِ، وَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِأُمِّ أَيْمَنَ - وَكَانَتْ تَحْضُنُهُ -: يَا بَرَكَةُ لَا تَغْفُلِي عَنِ ابْنِي فَإِنِّي وَجَدْتُهُ مَعَ غِلْمَانٍ قَرِيبًا مِنَ السِّدْرَةِ، وَإِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يَزْعُمُونَ أَنَّ ابْنِي نَبِيُّ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَكَانَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لَا يَأْكُلُ طَعَامًا إِلَّا يَقُولُ عَلَيَّ بِابْنِي فَيُؤْتَى بِهِ إِلَيْهِ فَلَمَّا حَضَرَتْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ الْوَفَاةُ أَوْصَى أَبَا طَالِبٍ بِحِفْظِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِيَاطَتِهِ، ثُمَّ مَاتَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَدُفِنُ بِالْحَجُونِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِي سِنِينَ هَلَكَ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ، ثُمَّ ذَكَرَ جَمْعَهُ بَنَاتِهِ، وَأَمْرَهُ إِيَّاهُنَّ أَنْ يَرْثِينَهُ، وَهُنَّ أَرْوَى وَأُمَيْمَةُ وَبَرَّةُ وَصَفِيَّةُ وَعَاتِكَةُ وَأُمُّ حَكِيمٍ الْبَيْضَاءُ، وَذَكَرَ أَشْعَارَهُنَّ وَمَا قُلْنَ فِي رِثَاءِ أَبِيهِنَّ وَهُوَ يَسْمَعُ قَبْلَ مَوْتِهِ. وَهَذَا أَبْلَغُ النَّوْحِ، وَبَسَطَ الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ وَقَدْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَلَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يَعْرِفُ هَذَا الشِّعْرَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا هَلَكَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ هَاشِمٍ، وَلِيَ السِّقَايَةَ
পৃষ্ঠা - ১৫২৫
وَزَمْزَمَ بَعْدَهُ ابْنُهُ الْعَبَّاسُ وَهُوَ مِنْ أَحْدَثِ إِخْوَتِهِ سِنًّا فَلَمْ تَزَلْ إِلَيْهِ حَتَّى قَامَ الْإِسْلَامُ، وَأَقَرَّهَا فِي يَدِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ جَدِّهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ لِوَصِيَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَهُ بِهِ، وَلِأَنَّهُ كَانَ شَقِيقَ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ أُمُّهُمَا فَاطِمَةُ بِنْتُ عَمْرِو بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومٍ قَالَ: فَكَانَ أَبُو طَالِبٍ هُوَ الَّذِي يَلِي أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ إِلَيْهِ، وَمَعَهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، وَحَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي حَدِيثِ بَعْضٍ - قَالُوا: لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ قَبَضَ أَبُو طَالِبٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ يَكُونُ مَعَهُ وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ لَا مَالَ لَهُ وَكَانَ يُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا لَا يُحِبُّهُ وَلَدَهُ وَكَانَ لَا يَنَامُ إِلَّا إِلَى جَنْبِهِ وَيَخْرُجُ فَيَخْرُجُ مَعَهُ، وَصَبَّ بِهِ أَبُو طَالِبٍ صَبَابَةً لَمْ يَصَبَّ مِثْلَهَا بِشَيْءٍ قَطُّ وَكَانَ يَخُصُّهُ بِالطَّعَامِ وَكَانَ إِذَا أَكَلَ عِيَالُ أَبِي طَالِبٍ جَمِيعًا أَوْ فُرَادَى لَمْ يَشْبَعُوا، وَإِذَا أَكَلَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبِعُوا فَكَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُغَدِّيَهُمْ قَالَ: كَمَا أَنْتُمْ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ১৫২৬

হাসান ইবন আরাফা (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বলেছেন, ভোর

হলে আবু তালিব শিশুদের জন্য একপাত্রে খাওয়ার আয়োজন করতেন ৷ শিশুরা বসে কাড়াকাড়ি

করে যেতে শুরু করত ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ (স) সেই কাড়াকাড়িতে যোগ দিতেন না ৷ তিনি হাত
সরিয়ে নািতন ৷ দেখে চাচা আবু তালিব তার জন্য আলাদা পাত্রের ব্যবস্থা করেন ৷

ইবন ইসহাক রনাি করেন, লাহাব গোত্রের এক ব্যক্তি গণক ছিল ৷ লোকটি মক্কায় আসলে
কুরাইশের লোকেরা তাদের সম্ভানদেরকে তার কাছে নিয়ে যেত ৷ একবার রাসুলুল্লাহ (সা ) এর
ওপর গণকের চোখ পড়ে ৷ এক পর্যায়ে সে বলে, ওই ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে এসো ৷
তার অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে আবু তালিব তাকে সরিয়ে নিয়ে যান ৷ কিন্তু গণক বলতে থাকে ,
আরে এইমাত্র আমি যে ছেলেটিকে দেখলাম, ওকে একটু আমার কাছে নিয়ে এস ৷ আল্লাহর
শপথ, ভবিষ্যতে ও বিরাট কিছু হবে ৷ বংনািকারী বলেন, কিত্তু আবু তালিব নবীজিকে নিয়ে
সরে পড়েন ৷


يَأْتِيَ ابْنِي فَيَأْتِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَأْكُلُ مَعَهُمْ فَكَانُوا يُفْضِلُونَ مِنْ طَعَامِهِمْ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ لَمْ يَشْبَعُوا فَيَقُولُ أَبُو طَالِبٍ: إِنَّكَ لَمُبَارَكٌ. وَكَانَ الصِّبْيَانُ يُصْبِحُونَ رُمْصًا شُعْثًا، وَيُصْبِحُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَهِينًا كَحِيلًا. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَمْرٍو سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: كَانَ بَنُو أَبِي طَالِبٍ يُصْبِحُونَ غُمْصًا رُمْصًا، وَيُصْبِحُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَقِيلًا دَهِينًا وَكَانَ أَبُو طَالِبٍ يُقَرِّبُ إِلَى الصِّبْيَانِ صَفْحَتَهُمْ أَوَّلَ الْبُكْرَةِ فَيَجْلِسُونَ وَيَنْتَهِبُونَ، وَيَكُفُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ لَا يَنْتَهِبُ مَعَهُمْ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَمُّهُ عَزَلَ لَهُ طَعَامَهُ عَلَى حِدَةٍ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ لِهْبٍ كَانَ عَائِفًا فَكَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ أَتَاهُ رِجَالٌ مَنْ قُرَيْشٍ بِغِلْمَانِهِمْ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَيَعْتَافُ لَهُمْ فِيهِمْ قَالَ: فَأَتَى أَبُو طَالِبٍ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ غُلَامٌ مَعَ مَنْ يَأْتِيهِ قَالَ: فَنَظَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ شَغَلَهُ
পৃষ্ঠা - ১৫২৭
عَنْهُ شَيْءٌ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: الْغُلَامُ عَلِيَّ بِهِ فَلَمَّا رَأَى أَبُو طَالِبٍ حِرْصَهُ عَلَيْهِ غَيَّبَهُ عَنْهُ فَجَعَلَ يَقُولُ: وَيَلَكُمْ رُدُّوا عَلَيَّ الْغُلَامَ الَّذِي رَأَيْتُهُ آنِفًا فَوَاللَّهِ لَيَكُونَنَّ لَهُ شَأْنٌ قَالَ: وَانْطَلَقَ بِهِ أَبُو طَالِبٍ.