كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم
ذكر رضاعه عليه الصلاة والسلام من حليمة السعدية
পৃষ্ঠা - ১৫০১
[ذِكْرُ رَضَاعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ]
ذِكْرُ رَضَاعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ
مِنْ حَلِيمَةَ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ السَّعْدِيَّةِ،
وَمَا ظَهَرَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَرَكَةِ، وَآيَاتِ النُّبُوَّةِ
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتُرْضِعَ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَلِيمَةَ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ، وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ شِجْنَةَ بْنِ جَابِرِ بْنِ رِزَامِ بْنِ نَاصِرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ عِكْرِمَةَ بْنِ خَصَفَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ بْنِ مُضَرَ. قَالَ: وَاسْمُ أَبِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي أَرْضَعَهُ - يَعْنِي زَوْجَ حَلِيمَةَ - الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ رَفَاعَةِ بْنِ مَلَّانَ بْنِ نَاصِرَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ، وَإِخْوَتُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - يَعْنِي مِنَ الرَّضَاعَةِ - عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ، وَأُنَيْسَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، وَحُذَافَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ وَهِيَ الشَّيْمَاءُ، وَذَكَرُوا أَنَّهَا كَانَتْ تَحْضُنُ رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ১৫০২
যা হোক, অতি দুর্বল গাধীটির পিঠে সওয়ার হয়ে আমরা মক্কা এসে পৌছলাম ৷ দৃর্বলতার
কারণে গাধীটি আমাদেরকে যেন বহন করতে পারছিল না ৷ আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি,
আমাদের সব ক’জন মহিলার সম্মুখেই রাসুলুল্লাহ (না)-কে পেশ করা হয়েছিল ৷ কিংব্লু শিশুটি
এভীম শুনে কেউই তাকে গ্রহণ করতে সম্মত হল না ৷ আমরা বললাম এই এভীম শিশুর যা
আমাদের কি করতে পারবো আমরা তে তা শিশুর পিতার নিকট থেকে সুযোগ সুবিধা আশা ৷করি ৷
আর এই শিশুটির মাসে তো আমাদের কিছুই করতে পারবে না৷
যা হোক, আমি ছাড়া আমার সঙ্গী সব মহিলা একটি করে শিশু নিয়ে নেয় ৷ আমরা যখন
মুহাম্মদ ছাড়া আর কোন শিশুই পেলাম না এবং ফেরার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম; তখন আমার
স্বামী হারিছকে বললাম, আল্লাহর শপথ, শিশু সন্তান না নিয়ে এইভাবে শুন্য হাতে ফিরে যেতে
আমার খারাপ লাগছে ৷ আমি ওই এভীম শিশুটিকে অবশ্যই নিয়ে যাব ৷ স্বামী বললেন, ঠিক
আছে, তাই কর হতে পারে , আল্লাহ তার মধ্যে আমাদের জন্য বরকত রেখেছেন ৷ আমি গিয়ে
শিশুটিকে নিয়ে নিলাম ৷ আল্লাহর শপথ, আমি তো তাকে গ্রহ-শ্ করেছিলাম অন্য শিশু না ৷পেয়ে
নিতা ৷ম্ভ নিরুপায় হয়ে ৷ এভীম মুহ৷ ম্মদকে নিয়ে আমি আমার বাহণের কাছে গেলাম ৷ আমি লক্ষ্য
করলাম, আমার স্তনদ্বয় পর্যাপ্ত দৃধে পরিপুর্ণ ৷ শিশু মুহাম্মদ তৃপ্তির সাথে তা পান করে এবং৩ তার
দুধ ভাইও সেই দুধ পান করে তৃপ্ত হয় ৷ আমার স্বামী উটনীর নিকট গেলেন ৷ তিনি দেখতে
পান যে, তার স্তন দুধে পরিপুর্ণ ৷ উটনী থেকে তিনি দুধ দােহন করলেন ৷ নিজে পান করলেন,
আমিও তুপ্তি সহকারে পান করলাম ৷ আমরা শান্তিতে রাত কাটা ৷লাম ৷
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার স্বামী আমাকে বললেন, হালীমা৷ আল্লাহর শপথ, আমার
মনে হচ্ছে, তুমি একটি বরকতময় শিশুই নিয়েছ ৷ দেখলে না, ওকে আনার পর থেকে এই রাতে
আমরা কত কল্যাণ ও বরকত লাভ করলাম !’ এরপর থেকে আল্লাহ আমাদের জন্য এই কল্যাণ
আরও বৃদ্ধি করতে থাকেন ৷
এরপর আমরা সকলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম ৷ শপথ আল্লাহর! আমার পাধীটি
আমাদের নিয়ে এত ড্রুতপতিতে ছুটে চলে যে, সঙ্গের একটি পাধাও তার নাপাল পাচ্ছিল না ৷৩ তা
দেখে আমার সঙ্গীরা বলতে শুরু করে যে, আবু যুআইব-এর কন্যা ! ব্যা ৷পারট৷ কী? এই কি
ন্ তোমার সেই পাধী, যাতে করে তুমি আমাদের সঙ্গে এসেছিলে? আমি বললাম , হীা, এটিই
আমার সেই পাধী, যাতে চড়ে আমি তোমাদের সঙ্গে এসেছিলাম ৷ তারা বলল, আল্লাহর শপথ !
নিশ্চয় এর বিশেষ কোন রহস্য আছে ৷
এভাবে আমরা বনৃ সাদ-এর এলাকায় এসে পৌছলাম ৷ তখন এই ভুখণ্ড অপেক্ষা আল্লাহর
জমীনে অধিকতর অনুর্বর কোন ভুমি ছিল বলে আমার মনে হয় না ৷ আমার বকরীর পাল
সারাদিন চরে সন্ধ্যাবেলা তৃপ্ত পেটে স্তন ভর্তি দুধ নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করে ৷ আমরা
ইচ্ছামত দুধ দােহন করতে লাপলাম ৷ অথচ, আমাদের আশেপাঢ৷ তখন কারও বকরীই এক
ফৌটা দুধ দিচ্ছিল না ৷ প্রতিবেশীর বকরীগুলাে সারাদিন চরে সন্ধ্যাবেলা ক্ষুধার্ত (পটেই ফিরে
আসভাে ৷ তারা তাদের রাখালদের বলে দেয় যে, আবু যুআইব-এর কন্যার বকরী পাল যেখানে
চরে, আজ থেকে আমাদের বকরীগুলােও তোমরা সেখানেই চরাবে ৷ ফলে, তারা তাদের বকরী
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أُمِّهِ إِذْ كَانَ عِنْدَهُمْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي جَهْمُ بْنُ أَبِي جَهْمٍ مَوْلًى لِاِمْرَأَةٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ كَانَتْ عِنْدَ الْحَارِثِ بْنِ حَاطِبٍ، وَيُقَالَ لَهُ: مَوْلَى الْحَارِثِ بْنِ حَاطِبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: حُدِّثْتُ عَنْ حَلِيمَةَ ابْنَةِ الْحَارِثِ أَنَّهَا قَالَتْ: قَدِمْتُ مَكَّةَ فِي نِسْوَةٍ - وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادِهِ أَنَّهُنَّ كُنَّ عَشْرَ نِسْوَةٍ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ يَلْتَمِسْنَ بِهَا الرُّضَعَاءَ - مِنْ بَنِي سَعْدٍ نَلْتَمِسُ بِهَا الرُّضَعَاءَ، وَفِي سَنَةٍ شَهْبَاءَ فَقَدِمْتُ عَلَى أَتَانٍ لِي قَمْرَاءَ، كَانَتْ أَذَمَّتْ بِالرَّكْبِ، وَمَعِي صَبِيٌّ لَنَا، وَشَارِفٌ لَنَا وَاللَّهِ مَا تَبِضُّ بِقَطْرَةٍ وَمَا نَنَامُ لَيْلَتَنَا ذَلِكَ أَجْمَعَ مَعَ صَبِيِّنَا ذَاكَ، مَا نَجِدُّ فِي ثَدْيِي مَا يُغْنِيهِ وَلَا فِي شَارِفِنَا مَا يُغَذِّيهِ، وَلَكِنَّا كُنَّا نَرْجُو الْغَيْثَ وَالْفَرَجَ فَخَرَجْتُ عَلَى أَتَانِي تِلْكَ فَلَقَدْ أَذَمَّتْ بِالرَّكْبِ حَتَّى شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ ضَعْفًا وَعَجَفًا فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَوَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ مِنَّا امْرَأَةً إِلَّا
পৃষ্ঠা - ১৫০৩
وَقَدْ عُرِضَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَأْبَاهُ إِذَا قِيلَ: إِنَّهُ يَتِيمٌ تَرَكْنَاهُ، وَقُلْنَا: مَاذَا عَسَى أَنْ تَصْنَعَ إِلَيْنَا أُمُّهُ؟ إِنَّمَا نَرْجُو الْمَعْرُوفَ مِنْ أَبِي الْوَلَدِ فَأَمَّا أُمُّهُ فَمَاذَا عَسَى أَنْ تَصْنَعَ إِلَيْنَا؟ فَوَاللَّهِ مَا بَقِيَ مِنْ صَوَاحِبِي امْرَأَةٌ إِلَّا أَخَذَتْ رَضِيعًا غَيْرِي فَلَمَّا لَمْ نَجِدْ غَيْرَهُ،
وَأَجْمَعْنَا الِانْطِلَاقَ قُلْتُ لِزَوْجِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى: وَاللَّهِ وَإِنِّي لَأَكْرَهُ أَنْ أَرْجِعَ مِنْ بَيْنِ صَوَاحِبِي لَيْسَ مَعِيَ رَضِيعٌ، لَأَنْطَلِقَنَّ إِلَى ذَلِكَ الْيَتِيمِ فَلْآخُذَنَّهُ. فَقَالَ: لَا عَلَيْكِ أَنْ تَفْعَلِي فَعَسَى أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَنَا فِيهِ بَرَكَةً فَذَهَبْتُ فَأَخَذَتْهُ فَوَاللَّهِ مَا أَخَذْتُهُ إِلَّا أَنِّي لَمْ أَجِدْ غَيْرَهُ فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ أَخَذْتُهُ فَجِئْتُ بِهِ رَحْلِي فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ ثَدْيَايَ بِمَا شَاءَ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ حَتَّى رَوِيَ، وَشَرِبَ أَخُوهُ حَتَّى رَوِيَ، وَقَامَ صَاحِبِي إِلَى شَارِفِنَا تِلْكَ فَإِذَا إِنَّهَا لَحَافِلٌ فَحَلَبَ مَا شَرِبَ، وَشَرِبْتُ حَتَّى رَوِينَا فَبِتْنَا بِخَيْرِ لَيْلَةٍ فَقَالَ صَاحِبِي حِينَ أَصْبَحْنَا: يَا حَلِيمَةُ وَاللَّهِ إِنِّي لِأَرَاكِ قَدْ أَخَذْتِ نَسَمَةً مُبَارَكَةً; أَلَمْ تَرَيْ مَا بِتْنَا بِهِ اللَّيْلَةَ مِنَ الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ حِينَ أَخَذْنَاهُ! فَلَمْ يَزَلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَزِيدُنَا خَيْرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِنَا فَوَاللَّهِ لَقَطَعَتْ أَتَانِي بِالرَّكْبِ حَتَّى مَا يَتَعَلَّقُ بِهَا حِمَارٌ حَتَّى إِنَّ صَوَاحِبِي لَيَقُلْنَ: وَيْلَكِ يَا بِنْتَ أَبِي ذُؤَيْبٍ هَذِهِ أَتَانُكِ الَّتِي خَرَجْتِ عَلَيْهَا مَعَنَا؟ فَأَقُولُ: نَعَمْ وَاللَّهِ إِنَّهَا لَهِيَ فَيَقُلْنَ: وَاللَّهِ إِنَّ لَهَا لَشَأْنًا حَتَّى قَدِمْنَا أَرْضَ بَنِي سَعْدٍ وَمَا أَعْلَمُ أَرْضًا مِنْ أَرْضِ اللَّهِ أَجْدَبَ مِنْهَا فَإِنْ كَانَتْ غَنَمِي لَتَسْرَحُ، ثُمَّ تَرُوحُ شِبَاعًا لَبَنًا،
পৃষ্ঠা - ১৫০৪
আমার বকরী পালের সঙ্গে চরাতে শুরু করে ৷ কিভু তার পরও তাদের বকরী সেই দৃধৰিহীন
ক্ষুধা ৷র্ত অবস্থায় ফিরতো আ র আমার বকরী ফিরতে ৷তৃপ্তপেটে স্তন ভর্তি ৩দৃধ নিয়েই ৷ এইডা ৷বে
দৃ’দৃ’টি বছর পর্যন্ত আল্লাহ আমাদেরকে বরকত দান করতে থাকেন ৷
দুর্ভিক্ষের কারণে তখনকার পারিপার্শিক অবস্থা এই ছিল যে, পরিণত বয়সের একটি
যুরককে একটি কিশোরের সঙ্গে তুলনা করা মুশকিল ছিল ৷ কিত্তু আল্লাহর শ্ পথ দৃ ’টি বছর
অতিক্রাম্ভ হতে না হতে মুহাম্মদ একটি নাদৃস-নুদুস বালকে পরিণত হন ৷ আমরা তাকে তার
মায়ের নিকট নিয়ে গেলাম ৷ অথচ, তার বরকত থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় তাকে ফিরিয়ে
দিতে আমাদের মন সরছিল না ৷ যা হোক, তার মা তাকে দেখার পর আমি বললাম , আরও
একটি বছরের জন্য আপনার পুত্রকে আমার নিকট দিয়ে দিন ৷ আমি মক্কার মহামারীতে
ছেলেটির আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশংকা করছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি কথাটা বারবার বলার
শেষ পর্যন্ত তিনি সম্মত হয়ে বললেন, ঠিক আছে নিয়ে যাও!
তাকে সঙ্গে করে আমরা বাড়ি চলে গেলাম ৷ দুই কি তিন মাস কাটন্গেল ৷ একদিন তিনি
তার দুধ-শরীক এক ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের বাড়ির পেছনে বকরী রােতে যান ৷ হঠাৎ তার
ভাইটি দৌড়ে এসে বলল, আমাদের ঐ কুরাইশী ভাইকে সাদা পোশাক পরা দু’জন লোক এসে
তাকে শুইয়ে তার পেট চিরে ফেলেছে! খবর শুনে আমি ও তার দৃধ্ পিতা দৌড়ে তার নিকট
গিয়ে দেখতে পেলাম, বিবর্ণ অবন্থ য় তিনি দাড়িয়ে আছেন ৷৩ তার দুধ পিতা তাকে বুকে জড়িয়ে
ধরে জিজ্ঞাসা করেন, যারা! তোমার কী হয়েছে? জবাবে তিনি বললেন, সাদা পোশাক পরা
দু’জন লোক এসে আমাকে শুইয়ে ফেলে এবং আমার পেট চিরে পেটের ভেতর থেকে কী যেন
বের করে ফেলে দিল! তারপর আমার পেট আগে যেমন ছিল তেমনি করে দেয় ৷ হড়ালীমা
বলেন, আমরা তাকে ঘরে নিয়ে গেলাম ৷৩ তার দুধ পিতা বললেন, হালীমা! আশংকা হয় যে,
আমার এই সত্তানটিকে জিনে পেয়ে বস্যেছ ৷ চল, আমরা যা আশঙ্কা করছি, কিছু একটা ঘটে
যাওয়ার আগেইভ ৷লোয় ভালোয় আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আমি ৷
তাকে নিয়ে আমরা তার মায়ের কাছে চলে গেলাম ৷ দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যাপার
কী, হে স্নেহশীলা ধাত্রী? আমার পুত্রের প্রতি তোমাদের দৃজনের এত আগ্রহ থাকা সত্বেও
তোমরা একে ফিরিয়ে আমলে কেনঃ হালীম৷ ও তার স্বামী বললেন, আল্লাহর শপথ ! আল্লাহর
অনুগ্রহে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি ৷ এখন এর ব্যাপারে আমাদের মনে নানা
আপদ-ৰিপদের আশংকা হচ্ছে ৷ তাই আপনার পুত্রকে আপনার নিকট ফিরিয়ে দিতে
আসলাম ৷
তখন তিনি বলেন, তোমরা কিসের আশংকা করছ? কী ঘটেছে সত্যি করে আমাকে খুলে
বল আমরা তাকে ঘটনা ৷র বৃত্তান্ত শোনালাম ৷ শুনে তিনি বললেন, তে ৷মর৷ কি এর ব্যাপারে দুষ্ট
জিনের ভয় করছ? কখনো নয়, আল্লাহর শপথ! আমার এই পুত্রের উপর শয়তানের কোন হাত
থাকতে পারে না ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আমরা এই পুত্র ভবিষ্যতে বিরাট কিছু হবে ৷ আমি কি
তােমাদেরকে এর ঘটনা শোনার? আমার বললাম, জী হীা, গােনান ৷ তিনি বললেন ও যখন
আমার গর্ভে, তখন একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন আমার ভেতর থেকে এক ঝলক আলো
فَنَحْلِبُ مَا شِئْنَا وَمَا حَوَالَيْنَا أَوْ حَوْلَنَا أَحَدٌ تَبِضُّ لَهُ شَاةٌ بِقَطْرَةِ لَبَنٍ، وَإِنَّ أَغْنَامَهُمْ لَتَرُوحَ جِيَاعًا حَتَّى إِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ لِرُعَاتِهِمْ أَوْ لِرُعْيَانِهِمْ وَيْحَكُمُ انْظُرُوا حَيْثُ تَسْرَحُ غَنَمُ بِنْتِ أَبِي ذُؤَيْبٍ فَاسْرَحُوا مَعَهُمْ فَيَسَرَحُونَ مَعَ غَنَمِي حَيْثُ تَسْرَحُ فَتَرُوحُ أَغْنَامُهُمْ جِيَاعًا مَا فِيهَا قَطْرَةُ لَبَنٍ، وَتَرُوحُ أَغْنَامِي شِبَاعًا لَبَنًا نَحْلِبُ مَا شِئْنَا فَلَمْ يَزَلِ اللَّهُ يُرِينَا الْبَرَكَةَ نَتَعَرَّفُهَا حَتَّى بَلَغَ سَنَتَيْهِ فَكَانَ يَشِبُّ شَبَابًا لَا تَشِبُّهُ الْغِلْمَانُ فَوَاللَّهِ مَا بَلَغَ السَّنَتَيْنِ حَتَّى كَانَ غُلَامًا جَفْرًا فَقَدِمْنَا بِهِ عَلَى أُمِّهِ، وَنَحْنُ أَضَنُّ شَيْءٍ بِهِ مِمَّا رَأَيْنَا فِيهِ مِنَ الْبَرَكَةِ.
فَلَمَّا رَأَتْهُ أُمُّهُ قُلْنَا لَهَا: يَا ظِئْرُ دَعِينَا نَرْجِعُ بِابْنِنَا هَذِهِ السَّنَةَ الْأُخْرَى فَإِنَّا نَخْشَى عَلَيْهِ وَبَاءَ مَكَّةَ فَوَاللَّهِ مَا زِلْنَا بِهَا حَتَّى قَالَتْ: فَنَعَمْ فَسَرَّحَتْهُ مَعَنَا فَأَقَمْنَا بِهِ شَهْرَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً فَبَيْنَا هُوَ خَلْفَ بُيُوتِنَا مَعَ أَخٍ لَهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فِي بَهْمٍ لَنَا جَاءَنَا أَخُوهُ ذَلِكَ يَشْتَدُّ فَقَالَ: ذَاكَ أَخِي الْقُرَشِيُّ جَاءَهُ رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ فَأَضْجَعَاهُ فَشَقَّا بَطْنَهُ. فَخَرَجْتُ أَنَا وَأَبُوهُ نَشْتَدُّ نَحْوَهُ فَنَجِدُهُ قَائِمًا مُنْتَقِعًا لَوْنُهُ فَاعْتَنَقَهُ أَبُوهُ وَقَالَ يَا بُنَيَّ مَا شَأْنُكَ؟
পৃষ্ঠা - ১৫০৫
قَالَ: جَاءَنِي رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ أَضْجَعَانِي وَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا مِنْهُ شَيْئًا فَطَرَحَاهُ، ثُمَّ رَدَّاهُ كَمَا كَانَ. فَرَجَعْنَا بِهِ مَعَنَا فَقَالَ أَبُوهُ: يَا حَلِيمَةُ لِقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ ابْنِي قَدْ أُصِيبَ فَانْطَلِقِي بِنَا نَرُدُّهُ إِلَى أَهْلِهِ قَبْلَ أَنْ يَظْهَرَ بِهِ مَا نَتَخَوَّفُ قَالَتْ حَلِيمَةُ: فَاحْتَمَلْنَاهُ فَلَمْ تُرَعْ أُمُّهُ إِلَّا بِهِ فَقَدِمْنَا بِهِ عَلَيْهَا فَقَالَتْ: مَا رَدَّكُمَا بِهِ فَقَدْ كُنْتُمَا عَلَيْهِ حَرِيصَيْنِ؟ فَقَالَا: لَا وَاللَّهِ إِلَّا أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَدَّى عَنَّا، وَقَضَيْنَا الَّذِي عَلَيْنَا، وَقُلْنَا نَخْشَى الْإِتْلَافَ وَالْأَحْدَاثَ نَرُدُّهُ إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَتْ: مَا ذَاكَ بِكُمَا فَاصْدُقَانِي شَأْنَكُمَا فَلَمْ تَدَعْنَا حَتَّى أَخْبَرْنَاهَا خَبَرَهُ فَقَالَتْ: أَخَشِيتُمَا عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ؟ كَلَّا وَاللَّهِ مَا لِلشَّيْطَانِ عَلَيْهِ مِنْ سَبِيلٍ وَاللَّهِ إِنَّهُ لِكَائِنٌ لِابْنِي هَذَا شَأْنٌ أَلَا أُخْبِرُكُمَا خَبَرَهُ. قُلْنَا: بَلَى قَالَتْ: حَمَلْتُ بِهِ فَمَا حَمَلْتُ حَمْلَا قَطُّ أَخَفَّ مِنْهُ فَأُرِيتُ فِي النَّوْمِ حِينَ حَمَلْتُ بِهِ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنِّي نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، ثُمَّ وَقَعَ حِينَ وَلَدْتُهُ، وُقُوعًا مَا يَقَعُهُ الْمَوْلُودُ، مُعْتَمِدًا عَلَى يَدَيْهِ رَافِعًا رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَدَعَاهُ عَنْكُمَا. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ وَهُوَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَشْهُورَةِ الْمُتَدَاوَلَةِ بَيْنَ أَهْلِ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي.
পৃষ্ঠা - ১৫০৬
বের হয়ে তাতে সিরিয়ার সকল রাজপ্রাসাদ আলোকিত হয়ে গেছে ৷ আবার আমি যখন তাকে
প্রসব করি, তখন সে আকাশ পানে মাথা তুলে দু’হাতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে ভুমিষ্ঠ হয় ৷
সুতরাং তোমরা এ নিয়ে দুশ্চিভা করো না এ বর্ণনাটি আরও একাধিক সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷
সীরাত ও মাগড়াযী বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এটি একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনা ৷
ওয়াকিদীইবন আব্বাসের বরাতে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন, হালীমা একদিন নবী
করীম (না)-এর সন্ধানে বের হন ৷ খুজে খুজে একন্থানে তাকে তার বোনের সঙ্গে পান ৷ তখন
তাদের গানের পশুগুলো শুয়ে রয়েছিল ৷ দেখে হালীমা বললেন, তোমরা এই পরমের মধ্যে বসে
আছা জবাবে শিশু নবীর বোন বললেন, আম্মা ! আমার এ ভাইঢির তো গরম পাচ্ছে না ৷
দেখলাম, একখঃণ্ড মেঘ ওকে ছায়া দিচ্ছে ৷ ও থামলে মেঘও থােম যায়, ও চললে যেঘও ওর
সাথে সাথে চলতে শুরু করে ৷ এই অবস্থায়ই আমরা এই জায়গায় এসে পৌছেছি ৷
ইবন ইসহাক থালিদ ইবন মাদান সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন, কয়েকজন
সাহাবী একদিন রড়াসুলুল্লাহ (সা)-কে বললেন, আমাদেরকে আপন্ৰুশর নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন ৷
নবী করীম (সা) বললেন, ইা, বলছি; আমি আমার পিতা ইবরাহীমের দোয়া ও ঈসার
সুসংবাদ ৷ আর আমি গর্ভে থাকাবস্থায় আমার আশা স্বপ্নে দেখেন, তার ভেতর থেকে এক ঝলক
নুর বেরিয়ে আসে, যার আলোকে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদসমুহ আলোকিত হয়ে উঠে ৷ সাদ ইবন
বকর রুগাংত্র আমি লালিত-পালিত হই ৷ একদিন আমি আমাদের ছাগল-ভেড়া চরাচ্ছিলাম ৷ এমন
সময় সাদা পেশোক পরিহিত দু’জন লোক আমার নিকট আসে ৷ সঙ্গে তাদের বরফ ভর্তি একটি
সোনার তশতরী ৷ আমাকে তারা শুইয়ে ফেলে, আমার পেট চিরে ফেলে তারপর হৃৎপিও বের
করে তা চিরে ভিতর থেকে কালো রংয়ের একটি রক্তপিণ্ড বের করে ফেলে দেয় ৷ তারপর সাথে
আনা বরফ দ্বারা আমার হৃৎপিণ্ড ও পেট ধুয়ে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে ৷
তারপর তাদের একজন অপরজনকে বলে, একে তার দশজন উম্মতের সঙ্গে ওজন কর ৷
অপরজন আমাকে আমার দশজন উম্মতের সঙ্গে ওজন করে ৷ আমার পাল্লা ভারী হয় ৷ তারপর
বলে, এবার তাকে তার একশ’ উম্মতের সঙ্গে ওজন করা সে আমাকে একশ’ জনের সঙ্গে ওজন
করে ৷ এবারও আমার পাল্লা ভারী হয় ৷ আবার বলে, এবার তাকে তার উম্মতের এক হাজার
জনের সঙ্গে ওজন কর ৷ আমাকে এক হাজার জনের সঙ্গে ওজন করে ৷ এবারও আমার পাল্লা
ভারী হয় ৷ এইবার লোকটি বলে, হয়েছে, আর প্রয়োজন নেই ৷ একে তার সমস্ত উম্মতের
সঙ্গেও যদি ওজন করা হয়, তবু তার পাল্লাই ভারী হবে ৷ এ সনদটি উত্তম ৷
আবু নুআয়ম তার দালায়িল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, উতবা ইবন আবদুল্লাহ বলেন, এক
ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (না)-কে জিজ্ঞাসা করে, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার প্রথম জীবনের অবস্থা
কেমন ছিল? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন, যে মহিলা আমাকে দৃধ পান করাতেন, তিনি
ছিলেন বনু সড়াদ গোত্রীয় ৷ একদিন আমি আর তার এক পুত্র ভেড়া-বকরী চরানোর জন্য মাঠে
যাই ৷ যাওয়ার সময় সঙ্গে করে খাবার কিছু নিয়ে যাইনিঃ ৷ তাই আমি আমার দুধ ভাইকে
বললড়াম, তুমি গিয়ে আমার নিকট থেকে খাবার নিয়ে এস ৷ আমার ভাই চলে গেল আর আমি
পশুপালের নিকট রয়ে গেলাম ৷ হঠাৎ দেখি, শকুনের মত দুটি সাদা রংয়ের পাখি আমার দিকে
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: خَرَجَتْ حَلِيمَةُ تَطْلُبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ وَجَدَتِ الْبَهْمَ تَقِيلُ فَوَجَدَتْهُ مَعَ أُخْتِهِ فَقَالَتْ: فِي هَذَا الْحَرِّ! فَقَالَتْ أُخْتُهُ: يَا أُمَّهْ مَا وَجَدَ أَخِي حَرًّا رَأَيْتُ غَمَامَةً تَظَلُّ عَلَيْهِ إِذَا وَقَفَ وَقَفَتْ وَإِذَا سَارَ سَارَتْ حَتَّى انْتَهَى إِلَى هَذَا الْمَوْضِعِ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ «عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَالُوا لَهُ أَخْبِرْنَا عَنْ نَفْسِكَ قَالَ: نَعَمْ أَنَا دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَرَأَتْ أُمِّي حِينَ حَمَلَتْ بِي أَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ، وَاسْتُرْضِعْتُ فِي بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ فَبَيْنَا أَنَا فِي بَهْمٍ لَنَا أَتَانِي رَجُلَانِ عَلَيْهِمَا ثِيَابٌ بِيضٌ مَعَهُمَا طَسْتٌ مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءٌ ثَلْجًا فَأَضْجَعَانِي فَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا قَلْبِي فَشَقَّاهُ فَأَخْرَجَا مِنْهُ عَلَقَةً سَوْدَاءَ فَأَلْقَيَاهَا، ثُمَّ غَسَلَا قَلْبِي وَبَطْنِي بِذَلِكَ الثَّلْجِ حَتَّى إِذَا أَنْقَيَاهُ رَدَّاهُ كَمَا كَانَ، ثُمَّ قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: زِنْهُ بِعَشَرَةٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِعَشَرَةٍ فَوَزَنْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِمِائَةٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِمِائَةٍ فَوَزَنْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: زِنْهُ بِأَلْفٍ مِنْ أُمَّتِهِ فَوَزَنَنِي بِأَلْفٍ فَوَزَنْتُهُمْ فَقَالَ: دَعْهُ عَنْكَ فَلَوْ وَزَنْتَهُ بِأُمَّتِهِ لَوَزَنَهُمْ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ.
পৃষ্ঠা - ১৫০৭
খেয়ে আসছে ৷ এসে একটি অপরটিকে বলে, এই কি সেই লোকঃ অপরটি বলল, ইক্রা ৷ তারপর
তারা ল্লুত আমার একেবারে নিকটে এসে আমাকে চিৎ করে শুইয়ে আমার পেট চিরে ফেলে ৷
তারপর আমার হৃৎপিণ্ড বের করে তার মধ্য থেকে দুটি কালো রক্তপিণ্ড বের করে ৷ তারপর
বরফের পানি দিয়ে আমার পেট ধুয়ে নেয় ৷ তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আমার হৃদপিণ্ড ধোয় ৷
তারপর আমার হৃদয়ে প্রশাস্তি ঢেলে দেয় ৷ তারপর একজন অপরজনকে বলে, এবার সেলাই
করে দাও ৷ পেট সেলাই করে আমার ওপর নবুওতের মোহর অংকিত করে দেয় ৷ তারপর
একজন অপরজনকে বলে, একে র্দাড়ির এক পাল্লায় রেখে আর তার উষ্মতের এক হাজার
জনকে অপর পাল্লায় রেখে ওজন কর ৷ সে মতে আমাকে ওজন করা হল ৷ আমি দেখলাম, এক
হাজার জনের পাল্লা উপরে ওঠে গেল ৷ আমার ভয় হচ্ছিল, তাদের কেউ আমার পর হুমড়ি খেয়ে
পড়ে কিনা ৷ তখন একজন বলল, যদি এর সকল উম্মতের সঙ্গেও একে ওজন করা হয়, তবু এর
পাল্লা ভারী হবে ৷
তারপর তারা আমাকে ফেলে চলে যায় ৷ আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম ৷ তারপর মায়ের
নিকট গিয়ে ঘটনা খুলে বললাম ৷ শুনে তিনিও শংকিত হয়ে পড়েন: পাছে আমার কোন ক্ষতি
হয়ে যায় ৷ তাই তিনি বললেন, তোমার জন্য আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি ৷ সঙ্গে সঙ্গে
তিনি উটের পিঠে করে আমাকে আমার আমার নিকট নিয়ে পেলেন ৷ বললেন, আমি আমার
আমানত বুঝিয়ে দিলাম ও দায়িত্ব পালন করলাম ৷ এই বলে তিনি আমার সব ঘটনা খুলে
বললেন ৷ বিক্ষ্ম সব শুনেও আমার আম্মা বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না ৷ তিনি বললেন, আমি স্বপ্নে
দেখেছি, আমার ভেতর থেকে এক ঝলক নুর বের হয়, যার আলোকে সিরিয়ার
রাজ-প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে যায় ৷ এই বর্ণনায় এমন একজন নারী রয়েছেন যার জাল
হাদীস রটনার দৃর্নাম রয়েছে-যদ্দরুন হাফিজ ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, আবুযর পিফারী
(রা) বলেছেন, একদিন আমি বললাম, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ! আপনি কি করে জানলেন এবং কিভাবে
নিশ্চিত হলেন যে, আপনি নবী? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, শোন হে আবু মর ! আমি
মক্কার উপকষ্ঠে অবস্থান করছিলাম ৷ এই সময়ে দু’জন ফেরেশতা আমার নিকট আগমন করেন ৷
একজন মাটিতে অবতরণ করেন আর অপরজন আকাশ ও জমিনের মধ্যখানে অবস্থান করেন ৷
এক পর্যায়ে র্তাদের একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইনিই কি সেই লোকঃ অপরজন
বললেন হীশ্ব, ইনিই সেই লোক ৷ তখন প্রথমজন বললেন : একে একজন মানুষের সঙ্গে ওজন
কর ৷ ফেরেশতা আমাকে একজন মানুষের সঙ্গে ওজন করে ৷ ওজনে আমার পাল্লা ভারী হয় ৷
ইবন আসাকির সম্পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ এতে তিনি নবী করীম (সা)-এর
বক্ষবিদারণ , বক্ষ সেলাই ও দুই র্কাধের মাঝে সােহরে নবুওত স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেছেন ৷
এ বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে এরপর তারা চলে যান ৷ আমি যেন এখনো তা দিব্যি দেখতে
পাচ্ছি ৷
সহীহ মুসলিমে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, একদিন
শিশু নবীর নিকট জিবরীল (আ) আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা) তখন অন্য বালকদের সাথে
খেলা করছিলেন ৷ জিবরীল (আ) শিশু নবীকে ধরে মাটিতে শুইয়ে তার পেট চিরে তার হৃদপিণ্ড
وَقَدْ رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الْحَافِظُ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ الصُّبْحٍ وَهُوَ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ هَذِهِ الْقِصَّةَ مُطَوَّلَةً جِدًّا، وَلَكِنَّ عُمَرَ بْنَ صُبْحٍ هَذَا مَتْرُوكٌ كَذَّابٌ مُتَّهَمٌ بِالْوَضْعِ; فَلِهَذَا لَمْ نَذْكُرْ لَفْظَ الْحَدِيثِ إِذْ لَا يُفْرَحُ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: وَحَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ حَمْدَانَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ نُفَيْرٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السُّلَمِيِّ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ كَيْفَ كَانَ أَوَّلُ شَأْنِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «كَانَتْ حَاضِنَتِي مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَابْنٌ لَهَا فِي بَهْمٍ لَنَا، وَلَمْ نَأْخُذْ مَعَنَا زَادًا فَقُلْتُ: يَا أَخِي اذْهَبْ فَائْتِنَا بِزَادٍ مِنْ عِنْدِ أُمِّنَا فَانْطَلَقَ أَخِي وَمَكَثْتُ عِنْدَ الْبَهْمِ فَأَقْبَلَ طَائِرَانِ أَبْيَضَانِ كَأَنَّهُمَا نَسْرَانِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَهْوَ هُوَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. فَأَقْبَلَا يَبْتَدِرَانِي فَأَخَذَانِي فَبَطَحَانِي لِلْقَفَا فَشَقَّا بَطْنِي، ثُمَّ اسْتَخْرَجَا قَلْبِي فَشَقَّاهُ فَأَخْرَجَا مِنْهُ عَلْقَتَيْنِ سَوْدَاوَيْنِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: ائْتِنِي بِمَاءٍ ثَلْجٍ فَغَسَلَا بِهِ جَوْفِي، ثُمَّ قَالَ: ائْتِنِي بِمَاءٍ بَرَدٍ فَغَسَلَا بِهِ قَلْبِي، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১৫০৮
قَالَ: ائْتِنِي بِالسَّكِينَةِ فَذَرَّهَا فِي قَلْبِي، ثُمَّ قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: حُصْهُ فَحَاصَهُ، وَخَتَمَ عَلَى قَلْبِي بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: اجْعَلْهُ فِي كِفَّةٍ، وَاجْعَلْ أَلْفًا مِنْ أُمَّتِهِ فِي كِفَّةٍ فَإِذَا أَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْأَلْفِ فَوْقِي أُشْفِقُ أَنْ يَخِرَّ عَلَيِّ بَعْضُهُمْ فَقَالَ: لَوْ أَنَّ أُمَّتَهُ وُزِنَتْ بِهِ لَمَالَ بِهِمْ، ثُمَّ انْطَلَقَا فَتَرَكَانِي، وَفَرِقْتُ فَرَقًا شَدِيدًا، ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى أُمِّي فَأَخْبَرْتُهَا بِالَّذِي لَقِيتُ فَأَشْفَقَتْ أَنْ يَكُونَ قَدِ الْتُبِسَ بِي.
فَقَالَتْ: أُعِيذُكَ بِاللَّهِ فَرَحَّلَتْ بَعِيرًا لَهَا، وَحَمَلَتْنِي عَلَى الرَّحْلِ، وَرَكِبَتْ خَلَفِي حَتَّى بَلَغْنَا إِلَى أُمِّي فَقَالَتْ أَدَّيْتُ أَمَانَتِي وَذِمَّتِي، وَحَدَّثَتْهَا بِالَّذِي لَقِيتْ فَلَمْ يَرُعْهَا، وَقَالَتْ: إِنِّي رَأَيْتُ خَرَجَ مِنِّي نُورٌ أَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُورُ الشَّامِ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَغَيْرُهُ عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ «سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ عَلِمْتَ أَنَّكَ
পৃষ্ঠা - ১৫০৯
বের করে আনেন ৷ তারপর হৃৎপিণ্ড থেকে একটি কালো রক্তপিণ্ড বের করেন এবং বলেন, এটি
শয়তানের অংশ ৷ তারপর সোনার একটি পাত্রে যমযমের পানি দ্বারা হৃদপিণ্ডটি ধুয়ে নেন ৷
অতঃপর তা যথাস্থড়ানে স্থাপন করে দেন ৷
ঘটনা দেখে বালকরা দৌড়ে নবীজির দুধ-মায়ের নিকট এসে বলে, মুহাম্মদকে খুন করা
হয়েছে ৷ শুনে সকলে তার নিকট দৌড়ে আসে ৷ তখন তার মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে ৷ আনাস (রা )
বলেন, আমি তার বুকে সেই সেলাইয়ের দাগ দেখতে পেতাম ৷
ইবন আসাকির আনাস (রা) সুত্রে আরও বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নামায মদীনায়
ফরয হয় ৷ দুইজন ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এসে তাকে যমযমের কাছে নিয়ে
যান ৷ তারপর তার পেট চিরে নাড়িভুড়ি বের করে একটি সোনার পেয়ালায় নিয়ে যমযমের
পানি দ্বারা তা ধুয়ে দেন ৷ তারপর তার উদবকে প্রজ্ঞা ও ইলম দ্বরা ভরে দেন ৷
অন্য সুত্রে আনাস (রা) থেকে আরও বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেছেন, পরপর তিন রাত
রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট কয়েকজন ফেরেশতা আগমন করেন ৷ তাদের একজন অন্যদেরকে
বলেন, মানুষের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং তাদের নেতাকে নিয়ে চল ৷ ফেরেশতারা তাকে যমযমের
নিকট নিয়ে যান এবং তার পেট বিদীর্ণ করেন ৷ তারপর একটি সোনার পাত্র এনে শিশু নবীর
পেটকে ধুয়ে তা প্ৰজ্ঞাও ঈমান দ্বারা ভরে দেন ৷
উল্লেখ্য যে, সহীহ বুখারী ও যুসলিমে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত মিরাজের হাদীসেও উক্ত রাতে
নবীজির বক্ষবিদারণ এবং যমযমের পানি দ্বুারা তা ধৌত করার ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে ৷ তবে
এতে কোনও বৈপরীতা নেই ৷ কারণ, হতে পারে একই ঘটনা নবী করীম (না)-এর জীবনে
দু’ৰার ঘটেছে ৷ একবার তার শৈশবে আর একবার মিরাজের রাতে, তাকে উর্ধ্বজগতে
আরোহণ এবং আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার উপযাের্গীর জন্য প্রন্তুতি করার লক্ষে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবীগণকে বলতেন, “আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ
আরবী, আমি কুরাইশী এবং দুধপান করেছি আমি সাদ ইবন বকর গোত্রে ৷ ”
ইবন ইসহাক আরো বলেন, দুধ ছাড়ানাের পর হালীমা শিশু নবীকে তার মায়ের নিকট
ফিরিয়ে দিতে যাওয়ার পথে একদিন তিনি নবীজ্যিক নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন ৷ পথে নাসারাদের
একটি কাফেলার সঙ্গে তাদের সাক্ষাত হয় ৷ দেখে কাফেলার লোকেরা শিশু নবীর দিকে এগিয়ে
এসে র্তাকে চুমাে খায় এবং বলে, এই বালকটিকে অবশ্যই আমরা আমাদের রাজার নিকট নিয়ে
যাব ৷ কারণ, ছেলেটি ভবিষ্যতে বিরাট কিছু হবে ৷ হালীমা বড় কষ্টে পুত্রকে তাদের হাত থেকে
ছাড়িয়ে আনেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, উক্ত কাফেলার হাত থেকে মুক্ত করে তাকে নিয়ে যখন
হালীমা মক্কার নিকটে চলে আসেন, তখন হঠাৎ শিশু নবী (সা) হারিয়ে যান ৷ অনেক খোজাখুজি
করে হালীমা আর তাকে পেলেন না ৷ সংবাদ পেয়ে দাদা আবদুল ঘুত্তালিব নিজে এবং আরও
একদল লোক তার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন ৷ খুজতে খুজতে ওয়ারাকা ইবন নওফল ও অপর এক
ব্যক্তি তার সন্ধান পান ৷ পেয়ে তাকে তারা দাদা আবদুল মুত্তালিবের নিকট নিয়ে যান ৷ আবদুল
মুত্তালিব শিশু নবীজিকে কাধে তুলে নিয়ে বায়তুল্পাহয় চলে যান এবং তাওয়াফে শিশু নবীজির
নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেন ৷ অতঃপর তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২র খণ্ড) ৬৪-
نَبِيٌّ حِينَ عَلِمْتَ ذَلِكَ، وَاسْتَيْقَنْتَ أَنَّكَ نَبِيٌّ؟ قَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَتَانِي مَلَكَانِ، وَأَنَا بِبَعْضِ بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَوَقَعَ أَحَدُهُمَا عَلَى الْأَرْضِ وَكَانَ الْآخَرُ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: أَهْوَ هُوَ؟ قَالَ: هُوَ هُوَ. قَالَ: فَزِنْهُ بِرَجُلٍ فَوُزِنْتُ بِرَجُلٍ فَرَجَحْتُهُ» . وَذَكَرَ تَمَامَهُ وَذَكَرَ شَقَّ صَدْرِهُ وَخِيَاطَتَهُ، وَجَعْلَ الْخَاتَمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ وَلَّيَا عَنِّي فَكَأَنَّمَا أُعَايِنُ الْأَمْرَ مُعَايَنَةً. ثُمَّ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ بِنَحْوِ ذَلِكَ، وَمِنْ حَدِيثِ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ بِأَبْسَطَ مِنْ ذَلِكَ.
وَثَبَتَ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَأَخَذَهُ فَصَرَعَهُ فَشَقَّ عَنْ قَلْبِهِ فَاسْتَخْرَجَ الْقَلْبَ وَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ عَلَقَةً فَقَالَ: هَذَا حَظُّ الشَّيْطَانِ مِنْكَ، ثُمَّ غَسَلَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ لَأَمَهُ ثُمَّ أَعَادَهُ فِي مَكَانِهِ، وَجَاءَ الْغِلْمَانُ يَسْعَوْنَ إِلَى أُمِّهِ - يَعْنِي ظِئْرَهَ - فَقَالُوا: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ قُتِلَ فَاسْتَقْبَلُوهُ وَهُوَ مُنْتَقِعُ اللَّوْنِ. قَالَ أَنَسٌ: وَقَدْ كُنْتُ أَرَى
পৃষ্ঠা - ১৫১০
أَثَرَ ذَلِكَ الْمِخْيَطِ فِي صَدْرِهِ» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ الصَّلَاةَ فُرِضَتْ بِالْمَدِينَةِ، وَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَا بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشَقَّا بَطْنَهُ فَأَخْرَجَا حَشْوَتَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغَسَلَاهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ كَبَسَا جَوْفَهُ حِكْمَةً وَعِلْمًا» . .
وَمِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ أَيْضًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَنَسٍ «قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ لَيَالٍ قَالَ: خُذُوا خَيْرَهُمْ وَسَيِّدَهُمْ فَأَخَذُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعُمِدَ بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشُقَّ جَوْفُهُ، ثُمَّ أُتِيَ بِتَوْرٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغُسِلَ جَوْفُهُ، ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا» وَثَبَتَ مِنْ رِوَايَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ، وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ طَرِيقِ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ أَنَسٍ، وَعَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَقَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ عَنِ
পৃষ্ঠা - ১৫১১
উমাবী বর্ণনা করেন যে, আবদুল মুত্তালিব পুত্র আবদুল্লাহকে আদেশ করেন, যেন তিনি শিশু
নবীজিকে সঙ্গে করে নিয়ে আরবের বিভিন্ন গোত্রে ঘুরে তার জন্য একজন দাই-মা ঠিক করে
নেন ৷ আবদুল্লাহ শিশু নবীকে দুধ পান করানোর জন্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হালীযাকে ঠিক
করেন ৷
বর্ণিত আছে যে, শিশু নবী হালীমার নিকট ছয় বছর অবস্থান করেন ৷ এই সময়ে তার দাদা
বছরে একবার তাকে দেখতে যেতেন ৷ বক্ষবিদারণের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হালীমা শিশু
নবীকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে যান ৷ তিনি যখন আট বছরের বালক তখন মা আমিনা
মৃত্যুবরণ করেন ৷ এবার দাদা আবদুল মুত্তালিব তার লালন-পালনের দায়িত্ব নেন ৷ তার দশ
বছর বয়সের সময় দাদা আবদুল মুত্তালিবও মারা যান ৷ তখন নবীজির লালন-পালনের দায়িতু
হাতে নেন, তবে দুই আপন চাচা যুবায়র ও আবু তালিব ৷ তের বছর বয়সে তিনি চাচা
ষুবায়র-এর সঙ্গে ইয়ামান গমন করেন ৷ এই সফরে তার কয়েকন্টি আলৌকিক ঘটনা প্রকাশ
পায় ৷ তার একটি হলো, চলার পথে একটি উট তাকে দেখেই বসে পড়ে ৷ এমনকি তার বুক
মাটি স্পর্শ করে ৷ নবীজি (না) তাতে চড়ে বসেন ৷ আরেকটি ঘটনা হলো , ইয়ামানের একন্থানে
তখন র্বাধভাঙ্গা প্লাবন হচ্ছিল ৷ নবীজির উসিলায় আল্লাহ তাআলা বন্যার পানি শুকিয়ে দেন ৷
কাফেলার সকলে অনায়াসে পথ অতিক্রম করে ৷ তারপর চাচা যুবায়র নবীজির চৌদ্দ বছর
বয়সে মারা যান ৷ এইবার চাচা আবু তালিব একাই নবীজি (সা) কে লালনপালন করতে শুরু
করেন ৷ এ বর্ণনায় একজন দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷
যােটকথা , রাসুলুল্লাহ (না)-এর শৈশবেই হড়ালীমা সাদিয়া ও তার পরিবার-পরিজনের ওপর
তার বরকত প্রকাশ পায় ৷ তারপর সেই বরকত হাওয়াযিন গোত্রের সকলের ওপর ছড়িয়ে পড়ে;
পরবর্তীকালে যখন তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নবী করীম (সা) তাদেরকে বন্দী করেন তখন
তারা সেই দুধপানের দােহইি দিয়ে তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে
মুক্তিদান করেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন ৷ এটি মক্কা বিজয়ের একমাস পরের
ঘটনা ৷ পরে যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসবে, ইনৃশাআল্পাহ ৷
হাওয়াযিন-এর ঘটনা সম্পর্কে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আমর ইবনে শুয়াইব এর
দাদা বলেছেন, হুনড়ায়নে আমরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তিনি তাদের থেকে প্রাপ্ত
গনীমতের মান ও বন্দীদের নিয়ে রওয়ানা হলে হাওয়াযিন-এর একটি প্রতিনিধি দল
জিয়িররানা নামক স্থানে তার সঙ্গে সাক্ষাত করে ৷ তারা তখন ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেছে ৷
এসে তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার আপনজন ও আত্মীয় ৷ আমরা যে বিপদে
পড়েছি তা আপনার অজানা নয় ৷ আপনি আমাদের প্রতি দয়া করুন, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া
করবেন ৷ যুহায়র ইবন সরদ নামক তাদের একজন বক্তা দাড়িয়ে বলে , ইয়া রাসুলাল্লাহ! বন্দী
মহিলাদের মধ্যে আপনার ঐসব খালা আর বোনরাও আছে, যারা আপনাকে কােলে-র্কাহ্বধ নিয়ে
লালন পালন করেছিল ৷ এখন যদি আমরা শিমর এর পুত্র কিংবা নুমান ইবন মুনযির এর পুত্রকে
النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ كَمَا سَيَأْتِي قِصَّةُ شَرْحِ الصَّدْرِ لَيْلَتَئِذٍ، وَأَنَّهُ غُسِلَ بِمَاءِ زَمْزَمَ وَلَا مُنَافَاةَ; لِاحْتِمَالِ وُقُوعِ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ; مَرَّةً وَهُوَ صَغِيرٌ، وَمَرَّةً لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ لِيَتَأَهَّبَ لِلْوُفُودِ إِلَى الْمَلَأِ الْأَعْلَى، وَلِمُنَاجَاةِ الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ وَالْمُثُولِ بَيْنَ يَدَيْهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ «أَنَا أَعْرَبُكُمْ أَنَا قُرَشِيٌّ، وَاسْتُرْضِعْتُ فِي بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ» وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ حَلِيمَةَ لَمَّا أَرْجَعَتْهُ إِلَى أُمِّهِ بَعْدَ فِطَامِهِ، مَرَّتْ بِهِ عَلَى رَكْبٍ مِنَ النَّصَارَى فَقَامُوا إِلَيْهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فَقَلَّبُوهُ، وَقَالُوا: إِنَّا سَنَذْهَبُ بِهَذَا الْغُلَامِ إِلَى مَلِكِنَا فَإِنَّهُ كَائِنٌ لَهُ شَأْنٌ فَلَمْ تَكَدْ تَنْفَلِتُ مِنْهُمْ إِلَّا بَعْدَ جَهْدٍ. وَذَكَرَ أَنَّهَا لَمَّا رَدَّتْهُ حِينَ تَخَوَّفَتْ عَلَيْهِ أَنْ يَكُونَ أَصَابَهُ عَارِضٌ فَلَمَّا قَرُبَتْ مِنْ مَكَّةَ افْتَقَدَتْهُ فَلَمْ تَجِدْهُ فَجَاءَتْ جَدَّهُ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ فَخَرَجَ هُوَ وَجَمَاعَةٌ فِي طَلَبِهِ فَوَجَدَهُ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، وَرَجُلٌ آخَرُ مِنْ قُرَيْشٍ فَأَتَيَا بِهِ جَدَّهُ فَأَخَذَهُ عَلَى عَاتِقِهِ وَذَهَبَ فَطَافَ بِهِ يُعَوِّذُهُ وَيَدْعُو لَهُ، ثُمَّ رَدَّهُ إِلَى أُمِّهِ آمِنَةَ.
وَذَكَرَ الْأُمَوِيُّ مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَقَّاصِيِّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ - عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قِصَّةَ مَوْلِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَرَضَاعِهِ مِنْ حَلِيمَةَ عَلَى غَيْرِ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَذَكَرَ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ أَمَرَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ أَنْ يَأْخُذَهُ فَيَطُوفَ بِهِ فِي أَحْيَاءِ الْعَرَبِ لِيَجِدَ لَهُ مُرْضِعَةً فَطَافَ حَتَّى اسْتَأْجَرَ حَلِيمَةَ عَلَى رَضَاعِهِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ أَقَامَ عِنْدَهَا سِتَّ سِنِينَ
পৃষ্ঠা - ১৫১২
تُزِيرُهُ جَدَّهُ فِي كُلِّ عَامٍ فَلَمَّا كَانَ مِنْ شَقِّ صَدْرِهِ عِنْدَهُمْ مَا كَانَ رَدَّتْهُ إِلَيْهِمْ فَأَقَامَ عِنْدَ أُمِّهِ حَتَّى كَانَ عُمُرُهُ ثَمَانِي سِنِينَ مَاتَتْ فَكَفَلَهُ جَدُّهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَمَاتَ وَلَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَشْرُ سِنِينَ فَكَفَلَهُ عَمَّاهُ شَقِيقَا أَبِيهِ الزُّبَيْرُ، وَأَبُو طَالِبٍ فَلَمَّا كَانَ لَهُ بِضْعَ عَشْرَةَ سَنَةً خَرَجَ مَعَ عَمِّهِ الزُّبَيْرِ إِلَى الْيَمَنِ فَذَكَرَ أَنَّهُمْ رَأَوْا مِنْهُ آيَاتٍ فِي تِلْكَ السَّفْرَةِ مِنْهَا; أَنَّ فَحْلًا مِنَ الْإِبِلِ كَانَ قَدْ قَطَعَ بَعْضَ الطَّرِيقِ فِي وَادٍ، مَمَرُّهُمْ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرَكَ حَتَّى حَكَّ بِكَلْكَلِهِ الْأَرْضَ فَرَكِبَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَمِنْهَا أَنَّهُ خَاضَ بِهِمْ سَيْلًا عَرَمْرَمًا فَأَيْبَسَهُ اللَّهُ تَعَالَى حَتَّى جَاوَزُوهُ، ثُمَّ مَاتَ عَمُّهُ الزُّبَيْرُ، وَلَهُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَانْفَرَدَ بِهِ أَبُو طَالِبٍ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ بَرَكَتَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ حَلَّتْ عَلَى حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ وَأَهْلِهَا وَهُوَ صَغِيرٌ، ثُمَّ عَادَتْ عَلَى هَوَازِنَ بِكَمَالِهِمْ فَوَاضِلُهُ حِينَ أَسَرَهُمْ بَعْدَ وَقْعَتِهِمْ وَذَلِكَ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ بِشَهْرٍ فَمَتُّوا إِلَيْهِ بِرَضَاعِهِ فَأَعْتَقَهُمْ، وَتَحَنَنَّ عَلَيْهِمْ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ، كَمَا سَيَأْتِي مُفُصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فِي وَقْعَةِ هَوَازِنَ: عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحُنَيْنٍ فَلَمَّا أَصَابَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৫১৩
দুধপান করিয়ে থাকত!ম এবং পরে যদি তাদের পক্ষ থেকেও আমাদের প্রতি সেইরুপ বিপদ
আসতাে, যেমন এসেছে, আপনার পক্ষ থেকে তাহলে তো আমরা তাদের অনুগ্রহ প্রত্যাশা
করত!ম ৷ অথচ, আপনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ অভিভ!বক ৷ এই বলে সে কবিতার কয়েকটি পংক্তি
আবৃত্তি করে :
টুটুছুট্রু! ৷এ
০ণ্বুট্রু!ফু
)র্চুৰুট্রু৷ মোঃ
শ্ ষ্ ! : ধ্হু
এগ্রি১
-হে আল্লাহর রসুল ! মহ!নুভবতা দ্বার! আপনি আমাদের প্রতি ৩অনুগ্রহ করুন ৷ আপনিই
আমাদের প্রত্যাশিত ও নির্বাচিত ব্যক্তি ৷
আপনি এমন রমণীর প্রতি ৩অনুযহ করুন, ভ!গ্য যাকে (তার স্বগােত্রের কাছে ফিরে যাওয়া
থেকে) বিরত রেখেছে, যার জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং তার জীবন ধারায় এসেছে
পরিবর্তা ৷
যে আমাদের যুগকে বানিয়ে রেখেছে দুঃখে আর্তনাদক!রী ৷ ঐ সকল লোক যাদের রয়েছে
সীমাহীন মর্মবেদনা ও দুঃখের প্রচণ্ড চাপ ৷
যদি না আপনার পক্ষ থেকে সম্প্রসারিত বরকতময় হাত তার ক্ষতিপুরণ করে ৷ হে শ্রেষ্ঠ
সহনশীল মানব যার সহনশীল৩ ! প্রকাশ পায় যখন তাকে পরীক্ষা কর! হয় ৷
আপনি সেই মহিলাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন, যাদের দুধ আপনি পান করেছেন ৷ যখন
আপনার সুখ তাদের দৃধেপুর্ণ থাকতে! ! অনুগ্রহ করুন সেই সব মহিলাদের প্রতি তখন আপনার
জন্য শোভনীয় হত , আপনি য! করতেন এবং যা করতেন ন! সবই ৷
আপনি আমাদের ঐ ব্যক্তির ন্যায় করবেন না, যে মৃত্যুবরণ করেছে ৷ আপনি আমাদেরকে
বীচিয়ে রাখুন ৷ কেননা, আমরা একটি সঘুজ্জ্বল সম্প্রদায় ৷
নিশ্চয় আমরা নিয়ামতের শোকর আদায় করে থাকি যদিও অন্যত্র৩ আর না শোকরী করা
হয় ৷ আমাদের এ কৃতজ্ঞতা আজকের দিনের পরও বহাল থাকবে ৷
أَمْوَالِهِمْ وَسَبَايَاهُمْ، أَدْرَكَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ بِالْجِعْرَانَةِ وَقَدْ أَسْلَمُوا فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَصْلٌ وَعَشِيرَةٌ، وَقَدْ أَصَابَنَا مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ، وَقَامَ خَطِيبُهُمْ زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مَا فِي الْحَظَائِرِ مِنَ السَّبَايَا خَالَاتُكَ، وَحَوَاضِنُكَ اللَّاتِي كُنَّ يَكْفُلْنَكَ فَلَوْ أَنَّا مَلَحْنَا ابْنَ أَبِي شَمِرٍ أَوِ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ، ثُمَّ أَصَابَنَا مِنْهُمَا مِثْلَ الَّذِي أَصَابَنَا مِنْكَ رَجَوْنَا عَائِدَتَهُمَا، وَعَطْفَهُمَا، وَأَنْتَ خَيْرُ الْمَكْفُولِينَ. ثُمَّ أَنْشَدَ:
امْنُنْ عَلَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَرَمٍ ... فَإِنَّكَ الْمَرْءُ نَرْجُوهُ وَنَدَّخِرُ
امْنُنْ عَلَى بَيْضَةٍ قَدْ عَاقَهَا قَدَرٌ ... مُمَزَّقٌ شَمْلُهَا فِي دَهْرِهَا غِيَرُ
أَبْقَتْ لَنَا الدَّهْرَ هُتَّافًا عَلَى حَزَنٍ ... عَلَى قُلُوبِهُمُ الْغَمَّاءُ وَالْغُمَرُ
إِنْ لَمْ تَدَارَكْهَا نَعْمَاءُ تَنْشُرُهَا ... يَا أَرْجَحَ النَّاسِ حِلْمًا حِينَ يُخْتَبَرُ
امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... إِذْ فُوكَ يَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا دِرَرُ
امْنُنْ عَلَى نِسْوةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... وَإِذْ يُرِينَكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ
পৃষ্ঠা - ১৫১৪
لَا تَجْعَلَنَّا كَمَنْ شَالَتْ نَعَامَتُهُ
وَاسْتَبْقِ مِنَّا فَإِنَّا مَعْشَرٌ زُهُرُ ... إِنَّا لَنَشْكُرُ لِلنُّعْمَى وَإِنْ كُفِرَتْ
وَعِنْدَنَا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مُدَّخَرُ
وَقَدْ رُوِيَتُ هَذِهِ الْقِصَّةُ مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ رُمَاحِسٍ الْكَلْبِيِّ الرَّمْلِيِّ عَنْ زِيَادِ بْنِ طَارِقٍ الْجُشَمِيِّ عَنْ أَبِي صُرَدٍ زُهَيْرِ بْنِ جَرْوَلٍ - وَكَانَ رَئِيسَ قَوْمِهِ - قَالَ: لَمَّا أَسَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَبَيْنَا هُوَ يُمَيِّزُ بَيْنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَثَبَتَ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَسْمَعْتُهُ شِعْرًا أَذْكُرُهُ حِينَ شَبَّ، وَنَشَأَ فِي هَوَازِنَ حَيْثُ أَرْضَعُوهُ:
امْنُنْ عَلَيْنِا رَسُولَ اللَّهِ فِي دَعَةٍ ... فَإِنَّكَ الْمَرْءُ نَرْجُوهُ وَنَنْتَظِرُ
امْنُنْ عَلَى بَيْضَةٍ قَدْ عَاقَهَا قَدَرٌ ... مُمَزَّقٍ شَمْلُهَا فِي دَهْرِهَا غِيَرُ
أَبْقَتْ لَنَا الْحَرْبُ هُتَّافًا عَلَى حَزَنٍ ... عَلَى قُلُوبِهُمُ الْغَمَّاءُ وَالْغُمَرُ
إِنْ لَمْ تَدَارَكْهَا نَعْمَاءُ تَنْشُرُهَا ... يَا أَرْجَحَ النَّاسِ حِلْمًا حِينَ يُخْتَبَرُ
امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... إِذْ فُوكَ تَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا الدِّرَرُ
إِذْ أَنْتَ طِفْلٌ صَغِيرٌ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... وَإِذْ يُرِينَكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ
পৃষ্ঠা - ১৫১৫
উল্লেখ্য যে, যুহায়র ইবন সরদ ছিলেন তার গোত্রের নেতা ৷ তিনি বলেন, হুনায়নের দিন
আমাদেরকে বন্দী করে রাসুলুল্লাহ (সা) যখন আমাদের নবী পুরুষদের আলাদা করছিলেন,
তখন হঠাৎ আমি তার সম্মুখে গিয়ে দাড়িয়ে য ই এবং কবিতার ছন্দে তার হা ওয়াযিন গোত্রে
প্রতিপালিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ৫ইে ৷ অন্য বর্ণনায় এ পংামোঃলোতে ঈষৎ শাব্দিক
পরিবর্তন সহ বর্ধিত আরো কয়েকটি চরণ আছে, যা নিম্নরুপ ৷
এেএে ;এ ৷ ৷ ৷১; ,ব্রা;এে
-৫হ আল্লাহর রাসুল ! স্বাচ্ছন্দা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন ৷
আপনিই আমাদের কাজ্জিত ও প্রত্যাশিত ব্যক্তি ৷
সুতরাং আপনি আপনার যে মায়ের দুধ পান করতেন, তাকে আপনি ক্ষমার পোশাক পরিয়ে
দিন ৷ ক্ষমা খ্যাতি প্রসারের হেতু হয়ে থাকে ৷
আমরা আপনার নিকট ক্ষমার প্ৰও ব্রাশা করি, যা দ্বারা আপনি এই কয়েকটি প্রাণীকে
আচ্ছড়াদিত করবেন ৷
অতএব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন ! আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি থেকে কিয়ামতের দিন
আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন ৷ যখন আপনাকে সফলতা প্রদান করা হবে ৷
সবকিছু শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এই গনীমত ও বন্দীদের মধ্যকার যারা আমার ও
বনু আবদুল মুত্তালিবের ভাগে আসবে, তা আমি আল্লাহর ওয়ান্তে তােমাদেরকে দান করে
দিলাম ৷ ’
একথা শুনে আনসারপণ বললেন, তাহলে যা আমাদের ভাগে আসবে, আমরাও তা আল্লাহ
ও তার রাসুলের খাতিরে দান করলাম ৷
এই সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) নারী ও শিশুসহ ছয় হাজার লোককে মুক্তি দান করেছিলেন
এবং তাদেরকে বিপুল সংখ্যক পশু ও দাস-দাসী প্রদান করেন ৷ আবুল হুসায়ন ইবন ফারিস
মন্তব্য করেন যে, সেই দিন নবী জ্জীম (সা) যে সম্পদ ফিরিয়ে দেন এবং যেসব বন্দীদের মুক্ত
করে দেন, তার মুল্য ছিল পঞ্চাশ কোটি দ্যোহাম ৷ আর এইসব ছিল তাদের জীবনে পাওয়া
নবীজির নগদ বরকত ৷ যারা দুনিয়ার ন্ধীননে নবী করীম (না)-এর অনুসরণ করবে, আখিরাতে
তারা তার যে কি পরিমাণ বরকত লাভ ঙ্কাৰে তা সহজেই অনুমেয় ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, হালীমার খ্যাঃ প্লো পর্ব শেষে ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহর
হেফাজতে মা আমিনা ও পরে দাদা অ্যাংঅ্যাং এর সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন ৷
আল্লাহ ওাকে উত্তমরুপে লালন পালন ম্মেখ্যাঃ ৷ তার বয়স ছয় বছরে উপনীত হলে মা
আমিনা ইস্তিকাল করেন ৷
لَا تَجْعَلَنَّا كَمَنْ شَالَتْ نَعَامَتُهُ
وَاسْتَبْقِ مِنَّا فَإِنَّا مَعْشَرٌ زُهُرُ ... إِنَّا لَنَشْكُرُ لِلنُّعْمَى وَإِنْ كُفِرَتْ
وَعِنْدَنَا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مُدَّخَرُ ... فَأَلْبِسِ الْعَفْوَ مَنْ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهُ
مِنْ أُمَّهَاتِكَ إِنَّ الْعَفْوَ مُشْتَهَرُ ... إِنَّا نُؤَمِّلُ عَفْوًا مِنْكَ تُلْبِسُهُ
هَذِي الْبَرِيَّةَ إِذْ تَعْفُو وَتَنْتَصِرُ ... فَاغْفِرْ عَفَا اللَّهُ عَمَّا أَنْتَ رَاهِبُهُ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِذْ يُهْدَى لَكَ الظَّفَرُ
قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لِلَّهِ وَلَكُمْ» . فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: وَمَا كَانَ لَنَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَسَيَأْتِي أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَطْلَقَ لَهُمُ الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَتْ سِتَّةَ آلَافٍ مَا بَيْنَ صَبِيٍّ وَاِمْرَأَةٍ، وَأَعْطَاهُمْ أَنْعَامًا وَأَنَاسِيَّ كَثِيرًا حَتَّى قَالَ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ فَارِسَ: فَكَانَ قِيمَةَ مَا أَطْلَقَ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ خَمْسَمِائَةِ أَلْفِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَهَذَا كُلُّهُ مِنْ بَرَكَتِهِ الْعَاجِلَةِ فِي الدُّنْيَا فَكَيْفَ بِبَرَكَتِهِ عَلَى مَنِ اتَّبَعَهُ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ.