আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

ذكر حواضنه ومراضعه عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ১৪৯৯
[ذِكْرُ حَوَاضِنِهِ وَمَرَاضِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] ذِكْرُ حَوَاضِنِهِ، وَمَرَاضِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَتْ أُمُّ أَيْمَنَ، وَاسْمُهَا بَرَكَةُ تَحْضُنُهُ وَكَانَ قَدْ وَرِثَهَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ أَبِيهِ فَلَمَّا كَبِرَ أَعْتَقَهَا وَزَوَّجَهَا مَوْلَاهُ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فَوَلَدَتْ لَهُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَأَرْضَعَتْهُ مَعَ أُمِّهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مَوْلَاةُ عَمِّهِ أَبِي لَهَبٍ ثُوَيْبَةُ قَبْلَ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ. أَخْرَجَ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِمَا مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ «أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، وَلِمُسْلِمٍ: عَزَّةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوَتُحِبِّينَ ذَلِكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأُحِبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي خَيْرِ أُخْتِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ لِي قَالَتْ: فَإِنَّا نُحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، وَفِي رِوَايَةٍ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: بِنْتُ أُمِّ سَلَمَةَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: إِنَّهَا لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حِجْرِي مَا حَلَّتْ لِي; إِنَّهَا لَابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي، وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلَا تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلَا أَخَوَاتِكُنَّ» زَادَ الْبُخَارِيُّ
পৃষ্ঠা - ১৫০০


কাছে তোমাদের কন্যা ও বোনদের কোন প্রস্তাব নিয়ে এস না ৷ বুখারীর বর্ণনায় এও আছে যে,
উরওয়া (র) বলেন, ছুওয়াইবা হচ্ছেন আবু লাহাবের আযাদকৃতা দাসী ৷ মুক্তি পাওয়ার পর
তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-কে দুধ পান করিয়ে ছিলেন ৷ আবু লাহাব এর মৃত্যুর পর তারই
পরিবারের কেউ একজন তাকে অত্যন্ত বিমর্য অবস্থায় স্বপ্নে দেখেন ৷ তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস
করেন, আপনি এখন কি হালে আছেন? আবু লাহাব বলল, তোমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর
এ পর্যন্ত আমি কোন কল্যাণ চোখে দেখিনি ৷ তবে ছুওয়াইবাকে মৃকুক্ত করে দেয়ার বদৌলতে
আমি এই পর্যায়ে উপনীত হয়েছি ৷ এই বলে সে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তজ্জীয় মধ্যবর্তী স্থানে
অবস্থিত একটি ছিদ্রের প্রতি ইংগিত করে ৷

সুহায়লী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন, আবু লাহাবকে যিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন, তিনি তারই ভাই
আব্বাস (রা) ৷ ঘটনাটি ঘটেছিল আবু লাহড়ারের মৃত্যুর এক বছর পর, বদর যুদ্ধের পরে ৷ সেই
স্বপ্নের বিবরণে একথাও উল্লেখ আছে যে, আবু লাহাব আব্বম্পাক বলেছিল যে, সোমবার
দিবসে আমার শাস্তি লঘু করা হয় ৷ অভিজ্ঞ মহল বলেন, তার কারণ এই ছিল যে, ছুওয়াইবা
যখন আবু লাহাবকে তার ভাতিজা মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহর জন্মের সুসংবাদ প্রদান করে,
তক্ষণাৎ সে ছুওয়াইরাকে আযড়াদ করে দিয়েছিল ৷ এটা তারই পুরস্কার স্বরুপ ৷

হলীেমার ঘরে রড়াসুলুল্লাহ (সা)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন; অতঃপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য হালীমা বিনতে আবী
যুওয়াইব-এর দুধপানের ব্যবস্থা করা হয় ৷ হালীমার পিতা আবু যুওয়াইব-এর পুরো নাম
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ ৷ তার বংশলতিকা হচ্ছে এরুপ ৷ আবদুল্লাহ ইবন শাজনাহ ইবন জাৰির
ইবন বিযাম ইবন নাসিরা ইবন সাদ ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন ইবনে মনসুর ইবন ইকরিমা
ইবন হাফসা ইবন কায়স আইলান ইবন মুযার ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আর রাসুলুল্লাহ
(না)-এর দৃধপিতা-তথা হালীমার স্বামীর নাম হারিছ ইবন আবদুল উযযা ইবন রিফাআ ইবন
মিলান ইবন নাসিরা ইবন সাদ ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন ৷ নবী করীম (না)-এর দুধ ভাই
বোনদের নাম যথাক্রমে আবদুল্লাহ ইবন হারিছ, আনীসা বিনতে হারিছ ও হুযাফা বিনতে
হারিছ ৷ হুযাফার অপর নাম শায়মা ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, এই শায়মাই তার মায়ের সঙ্গে
রাসুলুল্লাহ (সা)-কে তাদের বাড়িতে তার অবস্থানকালে লালন পালন করতেন ৷

ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইবন আবু তালিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, আমি হালিমা বিনতে হারিছ সম্পর্কে শুনেছি যে , তিনি বলেছেন : কোন এক দুর্তিক্ষের
বছর দৃগ্ধপোষ্য শিশু সঞ্চাহের জন্য বনু সাদের কয়েকজন মহিলার সঙ্গে আমি মক্কায় যাই ৷
( ওয়াকেদী তার সনদে উল্লেখ করেছেন যে, দুন্ধ্যপায্য শিশু অম্বেষণকারী মহিলাদের সংখ্যা ছিল
দশ) ৷ দুর্বল একটি গাধীতে সওয়ার হয়ে আমি মক্কায় পৌছি ৷ আমার সঙ্গে ছিল আমারই একটি
শিশু সন্তান আর একটি বুড়ো উটনী ৷ আল্লাহর শপথ ! উটনীটি আমার এক ফৌটা দৃধও দিচ্ছিল
না ৷ আর শিশুটির যন্ত্রণায় আমরা সেই রাতে একবিন্দুও ঘুমাতে পারিনি ৷ কারণ তাকে
খাওয়াবার মত না পেয়েছি আমার স্তনে এক কেটিড়া দুধ, না পেয়েছি তাকে পান করাবার মত
উটনীর সামান্য দুধ ৷ তবে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠে স্বচ্ছলতা লাভে আশাবাদী ছিলাম ৷


قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لِأَبِي لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ خَيْبَةٍ فَقَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ خَيْرًا غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا مِنَ الْأَصَابِعِ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّ الرَّائِيَ لَهُ هُوَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ سَنَةٍ مِنْ وَفَاةِ أَبِي لَهَبٍ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، وَفِيهِ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: إِنَّهُ لَيُخَفَّفُ عَلَيَّ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالُوا: لِأَنَّهُ لَمَّا بَشَّرَتْهُ ثُوَيْبَةُ بِمِيلَادِ ابْنِ أَخِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَعْتَقَهَا مِنْ سَاعَتِهِ فَجُوزِيَ بِذَلِكَ لِذَلِكَ.