আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم

باب ذكر نسبه الشريف

পৃষ্ঠা - ১৪৪৬


রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র জীবনচরিত

আল্লাহ তাআলা বলেন :
ন্া;৷ হ্রা৷া
“আল্লাহ রিসালাতের ভার কার উপর অর্পণ করবেন তা তিনিই ভালো জানেন ৷ (৬৪ ১ ২৪ )
রোমান সম্রাট ইিরাক্লিয়াস আবু সৃফিয়ানকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পরিচয় সম্পর্কে যে ক’টি
প্রশ্ন করেছিলেন, তাতে তিনি একথাও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তোমাদের মাঝে তার বংশ
মর্যাদা কেমন? উত্তরে আবু সুফিয়ান বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে তিনি সম্রাম্ভ বংশীয় ৷ তখন
হিরাক্লিয়াস বলেছিলেন, এমনিভাবে সব রাসুলই নিজ নিজ সমাজের সম্রাভ বংশে প্রেরিত হয়ে
থাকেন ৷ অর্থাৎ রাসুলগণ বংশগতভাবে সকলের চাইতে সম্রাত আর তাদের বংশের জনসংথ্যাও
সর্বাধিক হয়ে থাকে ৷

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হলেন আদম সন্তানদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং ইহকাল-পরকালে তাদের
পর্বের ধন ৷ তার উপনাম আবুল কাসিম ও আবু ইবরাহীম ৷ তিনিই মুহাম্মদ, আহমাদ,
আলমাহী যীর মাধ্যমে কুফরের মুলোৎপাটিত হয় ৷ তিনিই আল-আকিব-যীর পরে আর কোন
নবী নেই ৷ আল-হাশির-যীর পদপ্রড়াম্ভে সকল মানুষকে সমবেত করা হবে ৷ তিনি আল-মুকফী ,
নবীউর রহমত, নবীউত তওবা, নবীউল মালহড়ামাহ, খাতামুন্নাবিয়িন, আল-ফাতিহ, ত্মাহা,
ইয়াসীন ও আবদুল্লাহ ৷

বায়হাকী বলেন, কোন কোন আলিম রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আরও অনেক নামের উল্লেখ
করেছেন ৷ কুরআনে আল্লাহ তাকে রাসুল, নবী, আসীন, শাহিদ, মুবাশৃশির , নাযীর , দাঈআন
ইলাল্লাহি বিইঘৃনিহী, সিরাজাম মুনীরা, রাউফুর রাহীম ও ঘুযাক্কির অভিধায় অভিহিত করেছেন ৷
আল্লাহ র্তাকে রহমত, নিয়ামত ও হড়াদী বানিয়েছেন ৷ সীরাত আলোচনার পর স্বতন্ত্র একটি
অধ্যায়ে আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর নাম সংক্রান্ত হাদীসসমুহ উদ্ধৃত করব ৷ এ বিষয়ে বহু
হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ বায়হড়াকী ও ইবন আসাকির সেগুলো সংকলন করেছেন ৷ তাছাড়া
স্বতস্ত্রভাবে অনেকে এ বিষয়ে বহু গ্রন্থও রচনা করেছেন ৷ এমনকি কেউ কেউ তো রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর এক হাজার নামের তালিকা সংকলনের কসরত পর্যন্ত করেছেন ৷ তিরমিযী শরীফের
ভাষকাের ইবনুল আরাবী আল-মালিকী তার আল আহওয়াযী গ্রন্থে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর
চৌষট্টিটি নামের উল্লেখ করেছেন ৷


[كِتَابُ سِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] [بَابُ ذِكْرِ نَسَبِهِ الشَّرِيفِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ سِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذِكْرُ أَيَّامِهِ وَغَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ وَالْوُفُودِ إِلَيْهِ وَشَمَائِلِهِ وَفَضَائِلِهِ وَدَلَائِلِهِ الدَّالَّةِ عَلَيْهِ، بَابُ ذِكْرِ نَسَبِهِ الشَّرِيفِ، وَطِيبِ أَصْلِهِ الْمُنِيفِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] وَلَمَّا سَأَلَ هِرَقْلُ مَلِكُ الرُّومِ أَبَا سُفْيَانَ تِلْكَ الْأَسْئِلَةَ عَنْ صِفَاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قَالَ: هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ. قَالَ: كَذَلِكَ الرُّسُلُ تَبْعَثُ فِي أَنْسَابِ قَوْمِهَا. يَعْنِي: فِي أَكْرَمِهَا أَحْسَابًا، وَأَكْثَرِهَا قَبِيلَةً صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَهُوَ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ وَفَخْرُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، أَبُو الْقَاسِمِ وَأَبُو إِبْرَاهِيمَ مُحَمَّدُ وَأَحْمَدُ وَالْمَاحِي الَّذِي يُمْحَى بِهِ الْكُفْرُ وَالْعَاقِبُ الَّذِي مَا بَعْدَهُ نَبِيٌّ وَالْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمَيْهِ وَالْمُقَفَّى وَنَبِيُّ الرَّحْمَةِ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৭


রাসুলুল্লাহ (সা) হলেন অবদুল্লাহর পুত্র ৷ আবদুল্লাহ ছিলেন তার পিতা আবদুল মুত্তালিবের
কনিষ্ঠ পুত্র ৷ এই আবদুল্লাহই ইতিহাসে দ্বির্তীয় যবীহ বলে খ্যাত, ইা৷র বদলে একশত উট
জবাই করা হয়েছিল ৷ পুর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷

যুহরী বলেন, আবদুল্লাহ ছিলেন কুরাইশের সবচাইতে সুশ্রী ব্যক্তি ৷ তার ভাইর৷ হচ্ছেন
হারিস, যুবায়র, হামযা, যিরার , আবু তালিব (যার আসল নাম আবদে মানাফ) , আবু লাহাব
(যার আসল নাম আব্দুল উয্ যা) মুকাওয়িম (যার আসল নাম আবদুল কাবা) ৷ কারও করেও
মতে মুকাওয়িম আর আব্দুল কাব৷ ভিন্ন ভিন্ন দুই ব্যক্তি ৷ হাজাল (যার আসল নাম
মুগীরা)-প্ৰখ্যাত দানশীল, গায়দাক (যার আসল নাম নওফল৷ কারও কারও মতে পায়দাক
আর হাজাল এক ও অভিন্ন ব্যক্তি ৷ এরা সকলেই ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর চাচা৷ তার ফুফী
ছিলেন ছয়জন ৷ তারা হলেন, আরওয়া, বাররা, উমায়মাহ্, সাফিয়্যাহ্, আতিকাহ্ ও উম্মে
হাকীম যার অপর নাম বায়য়৷ ৷ এদের প্রতেত্নাদুবর বম্পোরে পরে আলোচনা করব
ইনশাআল্লাহ ৷ এরা সকলে ছিলেন আবদুল ঘুত্তালিবের সম্ভান্ন্ আবদুল মৃত্তালিবের আসল নাম
ছিল শায়বাহ ৷৩ তার মাথায় কয়েকটি সাদা চুল ছিল বলে তাকে শায়বাহ বলা হতো ৷ আবার
তার বদান্যতার কারণে তাকে শায়বাতুল হামদও বলা হতো৷

তাকে আবদুল মুত্তালিব নামে আখ্যায়িত করার নেপথ্য কারণ এই যে, তার পিতা হাশিম
বাণিজেদ্রাপলক্ষে যখন মদীনায় পথে সিরিয়া অভিমুখে রওয়ান৷ হন, তখন একন্থানে আমর ইবনে
যায়েদ (ইবনে লাবীদ ইবনে হারাম ইবনে খিদাশ ইবনে খানদাফ ইবনে আদী ইবনে নাজ্জার
আল-খাজরাজী আননাজ্জারী)এর বাড়িতে যেহমান হন ৷ আমর ইবনে যায়েদ ছিলেন তার
সম্প্রদায়ের সরদার ৷ এ সময়ে তার সালম৷ নান্নী এক কন্যাকে দেখে হাশিম মুগ্ধ হন ৷ তিনি
তাকে বিবাহের জন্যত ৷র পিতার নিকট প্রস্তাব দেন ৷ আমার ইবন যায়েদ এই শর্তে মেয়েকে
তা তার নিকট বিয়ে দেন যে, মেয়ে পিত্রা লয়েই অবস্থান করবে ৷ কারো কারো মতে , বিবাহের শর্ত
এই ছিল যে, মদিনায় ছাড়া সালম৷ সন্তান প্ৰসব করতে পারবে না ৷ সিরিয়া থেকে ফিরে হাশিম
শ্রী সালমার সঙ্গে বাসর করেন এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে মক্কায় চলে আসেন ৷ পরে পুনরায় ব্যবসা
উপলক্ষে বের হলে ল্লীকেও তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যান ৷ শ্রী সালম৷ তখন গর্ভবতী ৷ ফলে তাকে
মদীনায় রেখে হাশিম সিরিয়া গমন করেন ৷ কিন্তু ঘটনাক্রমে পাজায় তার মৃত্যু ঘটে ৷ শ্রী সালমা
য়থাসময়ে একটি পুত্র সন্তান প্ৰসব করেন ৷ তিনি তার নাম রাখেন শায়ব৷ ৷ শায়ব৷ দীর্ঘ সাত
বছর তার মাতুলালয় আদী ইবন নাজ্জার গোত্রে অবস্থান করে ৷ এরপর চাচ৷ মুত্তালিব ইবনে
আব্দ মানাফ এসে একদিন শায়বাকে গোপনে মায়ের নিকট হতে নিয়ে মক্কায় চলে যান ৷
লোকেরা দেখে জিজ্ঞাসা করে , আপনার সঙ্গে এই বালকটি কে? উত্তরে মুত্তালিব বলেন, এো;
(অর্থাৎ আমার গোলাম) ৷ জনতা তাকে সাদরে বরণ করে নেয় এবং তাকে আবদুল মুত্তালিব বা
মুত্তালিবের গোলাম বলে ডাকতে শুরু করে এবং এই নামই প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ আবদুল মুত্তালিব
ধীরে ধীরে বড় হতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে কুরাইশ সমাজের নেতৃত্বের আসন লাভ করেন ৷
সকলের সেরা ব্যক্তি বলে পরিচিতি লাভ করেন ৷ আবদুল মুত্তালিব এখন সকলের মধ্যমণি ৷
হাজীদের পানি পান করানো (সিকায়া) এবং জনকল্যাণমুলক সব কাজ (রিফাদা)-এর ৫ তৃতু


وَنَبِيُّ التَّوْبَةِ وَنَبِيُّ الْمَلْحَمَةِ وَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَالْفَاتِحُ وَطه وَيس وَعَبْدُ اللَّهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَزَادَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ فَقَالَ: سَمَّاهُ اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ رَسُولًا نَبِيًّا أُمِّيًّا شَاهِدًا مُبَشِّرًا نَذِيرًا، وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا، وَرَءُوفًا رَحِيمًا وَمُذَكِّرًا، وَجَعَلَهُ رَحْمَةً وَنِعْمَةً وَهَادِيًا. وَسَنُورِدُ الْأَحَادِيثَ الْمَرْوِيَّةَ فِي أَسْمَائِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي بَابٍ نَعْقِدُهُ بَعْدَ فَرَاغِ السِّيرَةِ فَإِنَّهُ قَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي ذَلِكَ، اعْتَنَى بِجَمْعِهَا الْحَافِظَانِ الْكَبِيرَانِ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، وَأَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَأَفْرَدَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ مُؤَلَّفَاتٍ حَتَّى رَامَ بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْمَعَ لَهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَلْفَ اسْمٍ. وَأَمَّا الْفَقِيهُ الْكَبِيرُ أَبُو بَكْرِ ابْنُ الْعَرَبِيِّ الْمَالِكِيُّ شَارِحُ التِّرْمِذِيِّ بِكِتَابِهِ الَّذِي سَمَّاهُ الْأَحْوَذِيَّ فَإِنَّهُ ذَكَرَ مِنْ ذَلِكَ أَرْبَعَةً وَسِتِّينَ اسْمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَكَانَ أَصْغَرَ وَلَدِ أَبِيهِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهُوَ الذَّبِيحُ الثَّانِي الْمَفْدِىُّ بِمِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَ أَجْمَلَ رِجَالِ قُرَيْشٍ، وَهُوَ أَخُو الْحَارِثِ وَالزُّبَيْرِ وَحَمْزَةَ وَضِرَارٍ وَأَبِي طَالِبٍ وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ وَأَبِي لَهَبٍ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْعُزَّى
পৃষ্ঠা - ১৪৪৮
وَالْمُقَوَّمِ وَاسْمُهُ عَبْدُ الْكَعْبَةِ، وَقِيلَ هُمَا اثْنَانِ، وَحَجْلٍ وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ وَالْغَيْدَاقِ وَهُوَ كَثِيرُ الْجُودِ، وَاسْمُهُ نَوْفَلٌ، وَيُقَالَ: إِنَّهُ حَجْلٌ وَالْعَبَّاسِ فَهَؤُلَاءِ أَعْمَامُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَعَمَّاتُهُ سِتٌّ; وَهُنَّ أَرْوَى وَبَرَّةُ وَأُمَيْمَةُ وَصَفِيَّةُ وَعَاتِكَةُ وَأُمُّ حَكِيمٍ وَهِيَ الْبَيْضَاءُ، وَسَنَتَكَلَّمُ عَلَى كُلٍّ مِنْهُمْ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَهَؤُلَاءِ أَوْلَادُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَاسْمُهُ شَيْبَةُ يُقَالَ: لِشَيْبَةٍ كَانَتْ فِي رَأْسِهِ، وَيُقَالَ لَهُ: شَيْبَةُ الْحَمْدِ لِجُودِهِ، وَإِنَّمَا قِيلَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلِبِ; لِأَنَّ أَبَاهُ هَاشِمًا لَمَّا مَرَّ بِالْمَدِينَةِ فِي تِجَارَتِهِ إِلَى الشَّامِ نَزَلَ عَلَى عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ لَبِيدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ خِدَاشِ بْنِ عَامِرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ الْخَزْرَجِيِّ النَّجَّارِيِّ وَكَانَ سَيِّدَ قَوْمِهِ فَأَعْجَبَتْهُ ابْنَتُهُ سَلْمَى فَخَطَبَهَا إِلَى أَبِيهَا فَزَوَّجَهَا مِنْهُ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ مُقَامَهَا عِنْدَهُ. وَقِيلَ: بَلِ اشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا تَلِدَ إِلَّا عِنْدَهُ بِالْمَدِينَةِ فَلَمَّا رَجَعَ مِنَ الشَّامِ بَنَى بِهَا وَأَخَذَهَا مَعَهُ إِلَى مَكَّةَ فَلَمَّا خَرَجَ فِي تِجَارَةٍ أَخَذَهَا مَعَهُ وَهِيَ حُبْلَى فَتَرَكَهَا بِالْمَدِينَةِ، وَدَخَلَ الشَّامَ فَمَاتَ بِغَزَّةَ، وَوَضَعَتْ سَلْمَى وَلَدَهَا فَسَمَّتْهُ شَيْبَةُ فَأَقَامَ عِنْدَ أَخْوَالِهِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ سَبْعَ سِنِينَ، ثُمَّ جَاءَ عَمُّهُ الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ فَأَخَذَهُ خُفْيَةً مِنْ أُمِّهِ فَذَهَبَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ فَلَمَّا رَآهُ النَّاسُ وَرَأَوْهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قَالُوا: مَنْ هَذَا مَعَكَ؟ فَقَالَ: عَبْدِي. ثُمَّ جَاءُوا فَهَنَّئُوهُ بِهِ وَجَعَلُوا يَقُولُونَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلِبِ لِذَلِكَ فَغَلَبَ عَلَيْهِ وَسَادَ
পৃষ্ঠা - ১৪৪৯


মুত্তালিবের পরে এখন তার হাতে ৷ জুরহুমের আমল থেকে পরিত্যক্ত হয়ে থাকা যমযম কুপ
তিনি পুনঃ খনন করেন ৷ যমযম খননকালে প্রাপ্ত সোনার হরিণ মুর্তিদ্বয়ের সোনা দ্বারা তিনিই
সর্বপ্রথম কাবার দরজায় প্ৰলেপ দেন ৷ আবদুল মুত্তালিবের ভাই-বোনেরা হচ্ছেন আসাদ,
ফুয্লা, আবু সাইফী, হড়ায়্যা, খালেদা, রুকাইয়া, শিক্ষা ও য’য়ীফা ৷ এরা সকলে হাশিমের
পুত্র-কন্যা ৷ হাশিমের আসল নাম আমর ৷ কোনো এক দুর্তিক্ষের বছর গোশতের সঙ্গে ছারীদ
তথা ঝোল মিশ্রিত রুটির টুকরা দুর্তিক্ষ কবলিত অসহায় লোকদের খাবার দিয়েছিলেন বলে
লোকেরা তাকে হাশিম নাম দেয় ৷ হাশিম শব্দের অর্থ মিশ্রণকারী ৷ হাশিম ছিলেন তার পিতার
ণ্জ্যষ্ঠ পুত্র ৷ ইবন জারীর বর্ণনা করেন যে, হাশিম ছিলেন তার ভাই আবদে শামস এর জমজ ৷
হাশিম যখন মায়ের পেট থেকে বের হন তখন তার পা আবদে শামস এর মাথার সঙ্গে আটকে
ছিল ৷ এতে দৃ’জনের শরীর থেকেই রক্তক্ষরণ হয় ৷ এতে লোকেরা মন্তব্য করে যে, এর ফলে
এই দৃ’ ভাইয়ের সন্তানদের মাঝে বিবাদ জন্ম নেবে ৷ কার্যত হয়ােছও তাই ৷ একশ তেত্রিশ
হিজয়ী সনে বসু আব্বাস ও বনু উমাইয়৷ ইবনে আবদে শামস-ধ্;ার মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত
অনুষ্ঠিত হয় ৷

হাশিমের তৃতীয় সহোদর হলেন মুত্তালিব ৷ মুত্তালিব ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান ৷ তার
মায়ের নাম আতিক৷ বিনতে মুররা ইবন হিলাল ৷ তার চতুর্থ ভাইয়ের নাম নওফল ৷ নওফল
আরেক মায়ের সন্তান ৷ তার নাম ওয়াকিদা বিনতে আমর আল মায়েনিয়াহ ৷ পিতার মৃত্যুর
পর এরা প্রত্যেকেই নেতৃত্বে আসীন হন ৷ সমাজের মানুষ তাদেরকে ত্রাণকর্তা বলে অভিহিত
করত ৷ কারণ তারা বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে কুর৷ ৷ইশদের
জন্য যে ণ্কাংনা দোশ ব্যবসা করতে যাওয়ার অবাধ নিরাপত্তা এনে দিয়েছিলেন ৷ হাশিম
সিরিয়া, রোম ও পাস্সান থেকে, আবদে শাম্স হাবশার রাজা বড় নাজাশী থেকে, নওফল
কিসরা থেকে এবং মুত্তালিব হিময়ার এর রাজ্যওলো থেকে নিরাপত্তা এনে দেন ৷ কবির ভাষায় :


- ওহে পরিভ্রমণকারী মুসাফিয়ৰু তুমি তো আবদে মানাফের বং শের লোকদের
আতিথেয়তা গ্রহণ না করে ছাড়নি

পিতার মৃত্যুর পর হাশিমের দায়িত্বে ছিল সিকড়ায়৷ তথা হাজীদের পানি পান করানো ও
ব্রিফাদা তথা জনকল্যাণমুলক কাজ ৷ আর হাশিম ও তার ভাই মুত্তালিবের যৌথ দায়িত্বে ছিল
আত্মীয় স্বজনের বংশ তালিকা সংরক্ষণ করা ৷ তারা সব ভাই জাহিলিয়াত ও ইসলামের উভয়
পরিবেশে একান্নডুক্ত ছিলেন, কখনো জ্যি হননি ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর বন্দী জীবনে তারাও
গিরিবর্তে তার সঙ্গে অবস্থান করেছিলেন ৷ সরে গিয়েছিল শুধু আবদে শামস ও নওফল ৷ এ
কারণে আবু তান্সিব তাদের সম্পর্কে বনডেন ং

#

র্চে;)১

-ত্মনতিবিলন্বে আল্লাহ যেন আবদে শামস ও নওফনকে শাস্তি দিয়ে তাদের অপকর্মের
বিচার করেন ৷


فِي قُرَيْشٍ سِيَادَةً عَظِيمَةً، وَذَهَبَ بِشَرَفِهِمْ وَرِئَاسَتِهِمْ فَكَانَ جِمَاعُ أَمْرِهِمْ عَلَيْهِ، وَكَانَتْ إِلَيْهِ السِّقَايَةُ وَالرِّفَادَةُ بَعْدَ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ الَّذِي جَدَّدَ حَفْرَ زَمْزَمَ بَعْدَمَا كَانَتْ مَطْمُومَةً مَنْ عَهْدِ جُرْهُمٍ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ حَلَّى الْكَعْبَةَ بِذَهَبٍ فِي أَبْوَابِهَا مِنْ تَيْنَكَ الْغَزَالَتَيْنِ اللَّتَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ وَجَدَهُمَا فِي زَمْزَمَ مَعَ تِلْكَ الْأَسْيَافِ الْقَلْعِيَّةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَعَبْدُ الْمُطَّلِبِ أَخُو أَسَدٍ وَنَضْلَةَ وَأَبِي صَيْفِيٍّ وَحَيَّةَ وَخَالِدَةَ وَرُقَيَّةَ وَالشِّفَاءِ وَضَعِيفَةَ، كُلُّهُمْ أَوْلَادُ هَاشِمٍ وَاسْمُهُ عَمْرٌو وَإِنَّمَا سُمِّيَ هَاشِمًا; لَهَشْمِهِ الثَّرِيدَ مَعَ اللَّحْمِ لِقَوْمِهِ فِي سِنِي الْمَحْلِ، كَمَا قَالَ مَطْرُودُ بْنُ كَعْبٍ الْخُزَاعِيُّ فِي قَصِيدَتِهِ، وَقِيلَ: هِيَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزِّبَعْرَى: عَمْرُو الَّذِي هَشَمَ الثَّرِيدَ لِقَوْمِهِ ... قَوْمٍ بمَكَّةَ مُسْنِتِينَ عِجَافِ سُنَّتْ إِلَيْهِ الرِّحْلَتَانِ كِلَاهُمَا سَفَرُ الشِّتَاءِ وَرِحْلَةُ الْأَصْيَافِ وَذَلِكَ; لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ رِحْلَتَيِ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَحَكَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ كَانَ تَوءَمَ أَخِيهِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَأَنَّ هَاشِمًا خَرَجَ وَرِجْلُهُ
পৃষ্ঠা - ১৪৫০
مُلْتَصِقَةٌ بِرَأْسِ عَبْدِ شَمْسٍ فَمَا تَخَلَّصَتْ حَتَّى سَالَ بَيْنَهُمَا دَمٌ فَقَالَ النَّاسُ: بِذَلِكَ يَكُونُ بَيْنَ أَوْلَادِهِمَا حُرُوبٌ فَكَانَتْ وَقْعَةُ بَنِي الْعَبَّاسِ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَشَقِيقُهُمُ الثَّالِثُ الْمُطَّلِبُ وَكَانَ الْمُطَّلِبُ أَصْغَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَأُمُّهُمْ عَاتِكَةُ بِنْتُ مُرَّةَ بْنِ هِلَالٍ، وَرَابِعُهُمْ نَوْفَلٌ مِنْ أُمٍّ أُخْرَى، وَهِيَ وَاقِدَةُ بِنْتُ عَمْرٍو الْمَازِنِيَّةُ كَانُوا قَدْ سَادُوا قَوْمَهُمْ بَعْدَ أَبِيهِمْ، وَصَارَتْ إِلَيْهِمُ الرِّيَاسَةُ وَكَانَ يُقَالَ لَهُمْ: الْمُجِيرُونَ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ أَخَذُوا لِقَوْمِهِمْ قُرَيْشٍ الْأَمَانَ مِنْ مُلُوكِ الْأَقَالِيمِ; لِيَدْخُلُوا فِي التِّجَارَاتِ إِلَى بِلَادِهِمْ فَكَانَ هَاشِمٌ قَدْ أَخَذَ أَمَانًا مِنْ مُلُوكِ الشَّامِ وَالرُّومِ وَغَسَّانَ وَأَخْذَ لَهُمْ عَبْدُ شَمْسٍ مِنَ النَّجَاشِيِّ الْأَكْبَرِ مَلِكِ الْحَبَشَةِ وَأَخَذَ لَهُمْ نَوْفَلٌ مِنَ الْأَكَاسِرَةِ وَأَخْذَ لَهُمُ الْمُطَّلِبُ أَمَانًا مِنْ مُلُوكِ حِمْيَرَ، وَلَهُمْ يَقُولُ الشَّاعِرُ: يَا أَيُّهَا الرَّجُلُ الْمُحَوِّلُ رَحْلَهُ ألَّا نَزَلْتَ بَآلِ عِبْدِ مَنَافِ وَكَانَ إِلَى هَاشِمٍ السِّقَايَةُ وَالرِّفَادَةُ بَعْدَ أَبِيهِ، وَإِلَيْهِ وَإِلَى أَخِيهِ الْمُطَّلِبِ نَسَبُ ذَوِي الْقُرْبَى، وَقَدْ كَانُوا شَيْئًا وَاحِدًا فِي حَالَتِيِ الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ لَمْ يَفْتَرِقُوا، وَدَخَلُوا مَعَهُمْ فِي الشِّعْبِ، وَانْخَذَلَ عَنْهُمْ بَنُو عَبْدِ شَمْسٍ وَنَوْفَلٍ، وَلِهَذَا يَقُولُ أَبُو طَالِبٍ فِي قَصِيدَتِهِ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا عُقُوبَةَ شَرٍّ عَاجِلًا غَيْرَ آجَلٍ وَلَا يُعْرَفُ بَنُو أَبٍ تَبَايَنُوا فِي الْوَفَاةِ مِثْلُهُمْ فَإِنَّ هَاشِمًا مَاتَ بِغَزَّةَ مِنْ أَرْضِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫১


আবু তালিবের ,পুত্রগণ এক একজন এক এক স্থানে মারা যান ৷ অন্য কোন পিতার
সন্তানদের সাধারণত এভাবে মৃত্যুবরণ করতে দেখা যায় না ৷ যেমনঃ হাশিম জেরুজালেমের
গাজ৷ উপত্যকায় মৃত্যুবরণ করেন, আবদে শামস মারা যায় মক্কায়, নওফল ইরাকের সালামান
নামক স্থানে আর মুত্তালিবের মৃত্যু হয় ইয়েমেনের রায়মান নমক জায়গায় ৷ অনুপম রুপের
কারণে মৃত্তালিবকে কামরও (চন্দ্র) বলা হতো ৷ হাশিম, আবদে শামস, নওফল ও মুত্তালিব এই
চর ৷ভাইই সর্বজন পরিচিত ৷ এদের আরেকজন অথ্যাত ভাই ছিলেন, তার নাম ছিল আবু আমর
বা আবদ ৷ তবে তার আসল নাম আবদে কুসাই ৷ এই অখ্যাতির কারণে মানুষ তাকে তাদের
আপন তাই বলে গণ্য করত না ৷ এরপর তাদের আর কোনো ভাই ছিলেন না ৷ যুবায়র ইবনে
বাক্কার প্রমুখ একথা বলেছেন ৷

মুত্তালিবের ছয় বোন ছিলেন ৷ তাদের নাম ছিল তামাযুব, হায়্যা, রীতা, কিলাবা, উম্মুল
আখসা ও উম্মে সুফিয়ান ৷ এরা সকলে আবদে মান৷ ফের সন্তান ছিলেন ৷ মানাফ একটি মুতিঃ
নাম ৷ আবদে মানাফের প্রকৃত নাম ছিল মুপীরা ৷ পিতার ন্সীবদ্দশাতেই তিনি সমাজের ৫নতৃন্
দিতেন ৷ সকলের কাছে তিনি একজন শ্রদ্ধাভাজন ও মাননীহৃ৷ ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন ৷
আবদে মানাফ ছিলেন আবদৃদ্দার এর৬ ভাই ৷ আবদুদ্দার ছিলেন পিতার বড় সন্তান ৷ মৃত্যুকালে
পিতা তাবেইি নিজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ওসিয়ত করে যান ৷ আবদুল উযয৷ , আবৃদ , বাররাহ্
এবং তাখাম্মুরও আবদে মানাফের তাই ৷ এদের মায়ের নাম ছিল হয়৷ ৷ই বিনতে হালীল ৷ হয়৷ ৷ই
এর পিতা হালীল ছিলেন খুযায়৷ গোত্রের সর্বশেষ শাসনকর্তা ৷ তারা সকলেই কুসাই এর সন্তান
ছিলেন ৷ কুসাই-এর আসল নাম যায়েদ ৷ কুসাই নামকরণের কারণ হলো, পিতার মৃত্যুর পর
তার মা পুনরায় রবীয়৷ ইবন হিযাম ইবন আযরা এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ৷ বিবাহের
পর রবীয়৷ ত্রীকে নিয়ে নিজ দেশে রওয়ান৷ হন ৷ শিশু যয়েদও তখন মায়ের সঙ্গে ছিলেন ৷ সেই
থেকে তিনি কুসাই নামে অভিহিত হন ৷ কুসাই শব্দের অর্থ হচ্ছে দুরদেশী ৷ অতঃপর বড় হয়ে
তিনি মক্কায় ফিরে আসেন ৷ কুরায়শরা এদিক-সেদিক বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ার পর কুসাই বিভিন্ন
এলাকা থেকে খুজে এনে আবার তাদেরকে মক্কায় প্রতিষ্ঠিত করেন ৷ বায়তুল্লাহর দখল থেকে
বনি খুযাআকে উৎখাত করে তাদেরকে মক্কা থেকে বের করে দেন ৷ সত্য স্ব-ন্থানে প্রতিষ্ঠিত
এবং কুস ই এককভাবে কুরাইশের নেতৃৰছুর আসনে অধিষ্ঠিত হন ৷ দৌত্যকর্ম, যমযম কুপ
থেকে হাজীদের পান করানো, বায়তুল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণ, যুদ্ধের সময় পতাকা বহন এবং দারুন
নাদওয়া ইত্যাদি সবকিছুই তার মা ৷য়িত্বে ছিল ৷ বিখ্যাত দারুন-নাদওয়া তার ঘরেই ছিল ৷৩ তাই
কবি বলেন, :


-আমার জীবলের শপথ ! কুসাই ছিলেন সকলের মিলন সাধনকারী ৷ তার মাধ্যমে আল্লাহ
ফিহর এর সব কটি গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ৷

কুসাই ছিলেন যাহরার৬ ভাই ৷৩ দু জন ছিলেন কিলাবের পুত্র ৷৩ তাইম ও ইয়াকয৷ আবু
মাখয়ুমের ভাই ৷৩ র বাতিনজনই ছিলেন মুররা-এর পুত্র ৷ মুররার ভাই ছিলেন আদী ও হাসীস ৷
আলবিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৬০-

الشَّامِ، وَعَبْدَ شَمْسٍ مَاتَ بِمَكَّةَ، وَنَوْفَلًا مَاتَ بِسَلْمَانَ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ، وَمَاتَ الْمُطَّلِبُ - وَكَانَ يُقَالَ لَهُ: الْقَمَرُ لِحُسْنِهِ - بِرَدْمَانَ مِنْ طَرِيقِ الْيَمَنِ فَهَؤُلَاءِ الْإِخْوَةُ الْأَرْبَعَةُ الْمَشَاهِيرُ وَهُمْ; هَاشِمٌ وَعَبْدُ شَمْسٍ وَنَوْفَلٌ وَالْمُطَّلِبُ، وَلَهُمْ أَخٌ خَامِسٌ لَيْسَ بِمَشْهُورٍ وَهُوَ أَبُو عَمْرٍو وَاسْمُهُ عَبْدٌ، وَأَصْلُ اسْمِهِ عَبْدُ قُصَيٍّ فَقَالَ النَّاسُ: عَبْدُ بْنُ قُصَيٍّ دَرَجَ وَلَا عَقِبَ لَهُ. قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَغَيْرُهُ. وَأَخَوَاتٌ سِتٌّ وَهُنَّ; تُمَاضِرُ وَحَيَّةُ وَرَيْطَةُ وَقِلَابَةُ وَأُمُّ الْأَخْثَمِ وَأُمُّ سُفْيَانَ، كُلُّ هَؤُلَاءِ أَوْلَادُ عَبْدِ مَنَافٍ، وَمُنَافٌ اسْمُ صَنَمٍ، وَأَصْلُ اسْمِ عَبْدِ مَنَافٍ الْمُغِيرَةُ وَكَانَ قَدْ رَأَسَ فِي زَمَنِ وَالِدِهِ، وَذَهَبَ بِهِ الشَّرَفُ كُلَّ مَذْهَبٍ، وَهُوَ أَخُو عَبْدِ الدَّارِ الَّذِي كَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، وَإِلَيْهِ أَوْصَى بِالْمَنَاصِبِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَعَبْدِ الْعُزَّى وَعَبْدٍ وَبَرَّةَ وَتَخْمُرَ، وَأُمُّهُمْ كُلِّهِمْ حُبَّى بَنَتُ حَلِيلِ بْنِ حَبْشِيَّةَ بْنِ سَلُولِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو الْخُزَاعِيِّ، وَأَبُوهَا آخِرُ مُلُوكِ خُزَاعَةَ وَوُلَاةُ الْبَيْتِ مِنْهُمْ، وَكُلُّهُمْ أَوْلَادُ قُصَيٍّ وَاسْمُهُ زَيْدٌ، وَإِنَّمَا سُمِّيَ بِذَلِكَ; لِأَنَّ أُمَّهُ تَزَوَّجَتْ بَعْدَ أَبِيهِ بِرَبِيعَةَ بْنِ حَرَامِ بْنِ عُذْرَةَ فَسَافَرَ بِهَا إِلَى بِلَادِهِ وَابْنُهَا صَغِيرٌ فَسُمِّيَ قُصَيًّا لِذَلِكَ، ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ وَهُوَ كَبِيرٌ، وَلَمَّ شَعَثَ قُرَيْشٍ وَجَمَعَهَا مِنْ مُتَفَرِّقَاتِ الْبِلَادِ، وَأَزَاحَ يَدَ خُزَاعَةَ عَنِ الْبَيْتِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫২


তারা তিনজন ছিলেন কা’ব এর পুত্র ৷ কা’ব প্ৰতি জুমাবারে তার সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ
দিতেন এবং তাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সা )-এর আগমনের সুসৎবাদ গোনাতেন এবং এ সংক্রান্ত
নানা রকম কবিতা আবৃত্তি করে গােনাতেন ৷ যেমন আমরা পুর্বে বলে এসেছি ৷ কাব ছিলেন
আয়ের, সামাহ, খুযায়মাহ, সাদ, হারিছ ও আওফ-এর ভাই ৷ তার৷ সাতজন ছিলেন
লুওয়াই-এর পুত্র, আল আদরাম-এর ভাই ৷ লুওয়াই ছিলেন তাইম-এর ভাই আবু তাইম
আল-আদরাম ছিলেন পালিব এর পুত্র ৷ হারিছ ও গালিবের ভাই ছিলেন মুহাবিব ৷ এরা তিনজন
ছিলেন ফিহর এর সন্তান ৷ ফিহর ছিল হারিছ-এর ভাই ৷ তাদের পিত ৷ ছিলেন মালিক ৷ মালিক
ছিলেন সালত ইয়াখলুদের ভাই ৷ এরা তিনজন ছিলেন নড়াযর এর পুত্র ৷ বিশুদ্ধ বর্ণনা মত ৩, এই
নড়াযর ই ছিলেন কুরায়শ বংশের স্থপতি ৷ আমরা পুর্বে এর প্রমাণও পেশ করে এসেছি ৷ নড়াযর
ছিলেন মালিক, ম ৷লকান ও আবদে ম ৷নাত ৩প্রমুখের ভাই ৷৩ তারা সকলে ছিলেন কিনানার পুত্র ৷
আসাদ, আসদাহ ও হাওন ছিলেন কিনানা রে ভাই ৷ এরা সকলেই ছিলেন খুযায়মার পুত্র ৷ খুযায়মা
ছিলেন হুযায়লের ভাই ৷ থুযায়ম৷ ও হুযায়ল ছিলেন মুদরিকাহ্র পুত্র ৷ মুদরিকার আসল নাম
ছিল আমর ৷ তার ভাই ছিলেন তাবিখা, যার আসল ছিল নাম আমির ৷ মুদরিকা, তাবিখা , ও
কামআ তিন জনই ছিলেন ইলিয়াসের পুত্র ৷ ইলিয়াসের এক ভাই ছিলেন গায়লান ৷ পায়লান
ছিলেন কায়স গোত্রের পিত৷ ৷ এই ইলিয়াস ও গায়লান দুইজন ছিলেন রবীয়ার ভাই মুযার
এর সন্তান ৷ মুযার ও রবীয়াকে সরাসরি ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর বলে দাবি করা হয় ৷
আনমার ও ইয়াদ তায়ামুনা নামে এদের আরও দুই ভাই ছিলেন ৷ এই চার ভাই ছিলেন কুযাআর
ভাই নেবার-এর সন্তান ৷ এই অভিমত তাদের, হারা মনে করেন যে, কুযাআ হিজাযী ও
আদনানী বংশোদ্ভুত ৷ উপরে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ নেযার ও কুয়াঅ৷ মাআদ ইবনে
আদনান এর সন্তান ৷

আরবদের যে বৎশনাম৷ আমরা বর্ণনা করলাম এ ব্যাপারে আলিমগভ্রুণর কোনো দ্বিমত
নেই ৷ এই বৎশত ৷লিকায় প্রমাণিত হয় যে, আরবের সকল গোত্রের বৎশ পরম্পরা এই পর্যন্ত
গিয়ে পৌছে ৷ এ কার ৷বণেই হযরত ইবনে আব্বাস (রা) প্রমুখ


গ্লুএো

বল, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট থেকে আত্মীয়ের সৌহার্দা ব্যতীত অন্য কোন
প্রতিদান চাই না ৷ (৪ ২৪২৩) এই আঘাতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, কুরায়শের যত গোত্র আছে
তাতে এমন কোনো গোত্র নেই, যাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) এর বংশ সম্পৃক্ত নয় ৷ ইবনে
আব্বাস (রা) যথাংইি বলেছেন ৷ আমিতে ৷-এ ও বলতে চাই যে, আরবের সকল আদনানী গোত্র
পিতৃকুলের দিক থেকে রাসুল (সা) পর্যন্তষ্ গিয়ে পৌছে ৷ অনেক গোত্র মাত ট্রুকুলের দিক থেকেও
এর সাথে সম্পর্কিত ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক প্রমুখ এরুপই বলেছেন ৷ হাফিজ ইবনে
আসাকির এর অভিমত ও অনুরুপ ৷ আদনানের জীবন চরিতে আমরা তার বা শনাম৷ এবং সে
সম্পর্কিত মতভেদের উল্লেখ করেছি ৷ আর এও বলেছি যে, আদনান নিশ্চিতরুপে ইসমাঈল
(আ)-এর বংশধর ৷ যদিও তাদের দুজনের মধ্যে কত পুরুষের ব্যবধান, তাতে মতবিরোধ


وَأَجْلَاهُمْ عَنْ مَكَّةَ، وَرَجَعَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ، وَصَارَ رَئِيسَ قُرَيْشٍ عَلَى الْإِطْلَاقِ، وَكَانَتْ إِلَيْهِ الرِّفَادَةُ وَهُوَ سَنَّهَا وَالسِّقَايَةُ وَالسَّدَانَةُ وَالْحِجَابَةُ وَاللِّوَاءُ، وَدَارُهُ دَارُ النَّدْوَةِ كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ كُلِّهُ، وَلِهَذَا قَالَ الشَّاعِرُ: قُصَيٌّ لَعَمْرِي كَانَ يُدْعَى مُجَمِّعًا بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ مِنْ فِهْرٍ وَهُوَ أَخُو زُهْرَةَ كِلَاهُمَا ابْنَا كِلَابٍ أَخِي تَيْمٍ، وَيَقَظَةَ أَبِي مَخْزُومٍ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ مُرَّةَ أَخِي عَدِيٍّ وَهُصَيْصٍ، وَهُمْ أَبْنَاءُ كَعْبٍ وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَخْطُبُ قَوْمَهُ كُلَّ جُمُعَةٍ، وَيُبَشِّرُهُمْ بِمَبْعَثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُنْشِدُ فِي ذَلِكَ أَشْعَارًا كَمَا قَدَّمَنَا وَهُوَ أَخُو عَامِرٍ وَسَامَةَ وَخُزَيْمَةَ وَسَعْدٍ وَالْحَارِثِ وَعَوْفٍ، سَبْعَتُهُمْ أَبْنَاءُ لُؤَيٍّ أَخِي تَيْمٍ الْأَدْرَمِ، وَهُمَا أَبْنَاءُ غَالِبٍ أَخِي الْحَارِثِ، وَمُحَارِبٍ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ فِهْرٍ، وَهُوَ أَخُو الْحَارِثِ، وَكِلَاهُمَا ابْنُ مَالِكٍ وَهُوَ أَخُو الصَّلْتِ وَيَخْلُدَ، وَهُمْ بَنُو النَّضْرِ الَّذِي إِلَيْهِ جِمَاعُ قُرَيْشٍ عَلَى الصَّحِيحِ كَمَا قَدَّمْنَا الدَّلِيلَ عَلَيْهِ وَهُوَ أَخُو مَالِكٍ وَمِلْكَانَ وَعَبْدِ مَنَاةَ، وَغَيْرِهِمْ، كُلُّهُمْ أَوْلَادُ كِنَانَةَ أَخِي أَسَدٍ وَأَسَدَةَ وَالْهَوْنِ أَوْلَادِ خُزَيْمَةَ، وَهُوَ أَخُو هُذَيْلٍ، وَهُمَا ابْنَا مُدْرِكَةَ - وَاسْمُهُ عَمْرٌو أَخُو طَابِخَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৩
- وَاسْمُهُ عَامِرٌ - وَقَمَعَةَ ثَلَاثَتُهُمْ أَبْنَاءُ إِلْيَاسَ، وَأَخُو إِلْيَاسَ هُوَ عَيْلَانُ وَالِدُ قَيْسٍ كُلِّهَا وَهُمَا وَلَدَا مُضَرَ أَخِي رَبِيعَةَ، وَيُقَالَ لَهُمَا: الصَّرِيحَانِ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، وَأَخَوَاهُمَا أَنْمَارٌ وَإِيَادٌ تَيَامَنَا، أَرْبَعَتُهُمْ أَبْنَاءُ نِزَارٍ أَخِي قُضَاعَةَ - فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ مِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ قُضَاعَةَ حِجَازِيَّةٌ عَدْنَانِيَّةٌ - وَقَدْ تَقَدَّمَ بَيَانُهُ، كِلَاهُمَا أَبْنَاءُ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ. وَهَذَا النَّسَبُ بِهَذِهِ الصِّفَةِ لَا خِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ فَجَمِيعُ قَبَائِلِ عَرَبِ الْحِجَازِ يَنْتَهُونَ إِلَى هَذَا النَّسَبِ، وَلِهَذَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {ذَلِكَ الَّذِي يُبَشِّرُ اللَّهُ عِبَادَهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى وَمَنْ يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَزِدْ لَهُ فِيهَا حُسْنَى إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ شَكُورٌ} [الشورى: 23] لَمْ يَكُنْ بَطْنٌ مِنْ بُطُونِ قُرَيْشٍ، إِلَّا وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَسَبٌ يَتَّصِلُ بِهِمْ. وَصَدَقَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِيمَا قَالَ، وَأَزْيَدَ مِمَّا قَالَ; وَذَلِكَ أَنَّ جَمِيعَ قَبَائِلِ الْعَرَبِ الْعَدْنَانِيَّةِ تَنْتَهِي إِلَيْهِ بِالْآبَاءِ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ بِالْأُمَّهَاتِ أَيْضًا، كَمَا ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ فِي أُمَّهَاتِهِ وَأُمَّهَاتِ آبَائِهِ وَأُمَّهَاتِهِمْ، مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُ. وَقَدْ حَرَّرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ وَالْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ عَدْنَانَ، نَسَبَهُ وَمَا قِيلَ فِيهِ، وَأَنَّهُ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ لَا مَحَالَةَ، وَإِنِ اخْتُلِفَ فِي كَمْ بَيْنَهُمَا أَبًا؟ عَلَى أَقْوَالٍ قَدْ بَسَطْنَاهَا
পৃষ্ঠা - ১৪৫৪

রয়েছে ৷ উপরে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি ৷ আদনান থেকে আদম
(আ) পর্যন্ত বংশধারাও উল্লেখ করেছি এবং এ সম্পর্কিত আবুল আব্বাস এর একটি কবিতাও
উদ্ধৃত করেছি ৷ হিজাযী আরবের ইতিহাসে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ ইমাম আবু জাফর
ইবনে জারীর তার তারীখ’ গ্রন্থের প্রথম দিকে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মনােজ্ঞ আলোচনা
করেছেন ৷

বায়হাকী--- আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী কবীম (সা )এর
নিকট সংবাদ এলো যে, কিনদাহ গোত্রের কতিপয় লোক মনে করে যে, তারা আর নবী করীম
(সা) একই বংশোদ্ভুত ৷ এ সংবাদ শুনে নবী করীম (সা) প্বাললেন : আব্বাস এবং আবু
সুফিয়ান ইবনে হড়ারবও এরুপ বলত এবং নিরাপত্তা লাভ করত ৷ আর আমরা নিজেদের
বংশধারা অস্বীকার করি না ৷ আমরা নাযর ইবনে কিনানা এর বংশধর ৷ ’ এ বর্ণনার সনদে সন্দেহ
আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর নবী করীম (সা) খুতবা দান করেন ৷ তাতে তিনি বলেন :

আমি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবন আবদে মানাফ
ইবনে কুসাই ইবনে কিলড়াব ইবনে মুররা ইবন কাব ইবন লুওয়াই ইবন গালিব ইবন ফিহর
ইবন মালিক ইবন নাযর ইবন কিনানাহ ইবন খুযায়মা ইবন মুদরিকা ইবন ইলিয়াস ইবন মুযার
ইবন নিযাব ৷ মানুষের গোত্র যেখানেই বিভক্ত হয়েছে সেখানেই আল্লাহ আমাকে উত্তম ভাগে
স্থান দিয়েছেন ৷ যেমন : আমি পিতা-মাতা থেকে বৈধভাবে জন্মলাভ করেছি, জাহিলিয়াতের
ব্যভিচার আমার বংশলতিকাকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ আমার জন্ম বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে,
অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয় ৷ এই পবিত্রতার ধারা আদম থেকে আমার আব্বা-আম্মা পর্যন্ত
অব্যাহতভাবে চলে এসেছে ৷ অতএব ব্যক্তির দিক থেকেও আমি তোমাদের মধ্যে সেরা ; বংশের
দিক থেকেও ৷ এ সনদটি অত্যন্ত গরীব’ পর্যায়ের ৷ এতে কুদামী নামক একজন দুর্বল রাবীর
একক বর্ণনা রয়েছে ৷ তবে এর সমর্থনে অন্যান্য বর্ণনা পরে আসছে ৷ আবদুর রাজ্জাক বর্ণনা
করেন যে, আবু জাফর আল বাকির পবিত্র কুরআনের ংণ্ছুট্রুর্দু৷ :, ৰুটুশুঠু ণ্ব্লু ঢ় এ্গ্া
এই আঘাতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে র্জাহিলী যুগের সন্তান জন্মের কোন
অবৈধ উপায় স্পর্শ করেনি ৷ তিনি আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) নিজে বলেছেন :

(ত্মি ট্রুগ্লুর্দুষ্দ্বু

আবধ সম্পর্ক থেকে নয়-আমি বৈবাহিক বন্ধন থেকে জন্মলাভ করেছি ৷ এটি একটি

উত্তম মুরসাল রিওয়ায়ত ৷

বায়হাকী মুহাম্মদ (র)-এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে বৈবাহিক বন্ধন থেকে নির্গত করেছেন-অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয় ৷ উমর
(রা) আলী ইবনে আবু তালিব থেকে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :


দ্
ষ্দ্বু


فِيمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا بَقِيَّةَ النَّسَبِ مَنْ عَدْنَانَ إِلَى آدَمَ، وَأَوْرَدْنَا قَصِيدَةَ أَبِي الْعَبَّاسِ النَّاشِئِ الْمُتَضَمِّنَةَ ذَلِكَ، كُلُّ ذَلِكَ فِي أَخْبَارِ عَرَبِ الْحِجَازِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ تَكَلَّمَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي أَوَّلِ تَارِيخِهِ عَلَى ذَلِكَ كَلَامًا مَبْسُوطًا جَيِّدًا مُحَرَّرًا نَافِعًا. وَقَدْ وَرَدَ حَدِيثٌ فِي انْتِسَابِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى عَدْنَانَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَلَكِنِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ كَمَا قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الْمُقْرِئُ بِبَغْدَادَ حَدَّثَنَا أَبُو عِيسَى بَكَّارُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُوسَى بْنِ سَعِيدٍ إِمْلَاءً سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَمِائَتَيْنِ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ الْقَلَانِسِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ الْقُدَامِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ، وَعَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ قَالَ: بَلَغَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رِجَالًا مِنْ كِنْدَةَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ مِنْهُ وَأَنَّهُ مِنْهُمْ فَقَالَ: إِنَّمَا كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ الْعَبَّاسُ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ لِيَأْمَنَا بِذَلِكَ، وَإِنَّا لَنْ نَنْتَفِيَ مِنْ آبَائِنَا نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ قَالَ: «وَخَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৫
بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضِرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارٍ وَمَا افْتَرَقَ النَّاسُ فِرْقَتَيْنِ إِلَّا جَعَلَنِي اللَّهُ فِي خَيْرِهَا فَأُخْرِجْتُ مِنْ بَيْنِ أَبَوِيَّ فَلَمْ يُصِبْنِي شَيْءٌ مِنْ عُهْرِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَخَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ، مِنْ لَدُنْ آدَمَ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى أَبِي وَأُمِّي فَأَنَا خَيْرُكُمْ نَفْسًا وَخَيْرَكُمْ أَبًا» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ تَفَرَّدَ بِهِ الْقُدَامِىُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ. وَلَكِنْ سَنَذْكُرُ لَهُ شَوَاهِدَ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ; فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ «خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ لَا مِنْ سِفَاحٍ» قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ} [التوبة: 128] قَالَ: لَمْ يُصِبْهُ شَيْءٌ مِنْ وِلَادَةِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ: «وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ، وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ» «. وَهَذَا مُرْسَلٌ جَيِّدٌ. وَهَكَذَا رَوَاهُ» الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৬


অবৈধ সম্পর্ক থেকে নয়, বৈবাহিক সম্বন্ধ থেকে আমি নির্গত হয়েছি ৷ আদম থেকে আমার
আব্বা-আম্মা আমাকে জন্ম দেওয়া পর্যন্ত আমার বংশধারায় এই পবিত্রতা অব্যাহত ছিল ৷ আমার
জন্যে জাহিলিয়াতের কোন অপকর্ম আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ বর্ণনাটি বিশুদ্ধ হওয়ার
ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে ৷

ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
ৰু১১ষ্টুাট্রু ধ্রু০

জাহিলী যুগের লোকদের কেড়ান বিবাহ আমাকে জন্ম দেয়নি ৷ যে বিবাহ থেকে আমার
জন্ম তা ইসলামের বিবাহ ৷ এ বর্ণনাটিও গরিব পর্যায়ের ৷ মুহাম্মদ ংইরন সাদ বর্ণনা করেন,
হযরত আয়েশা (রা)এর বরাতে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আসাকির ইবনে
আব্বাস (বা) সুত্রে ঠুর্দু াহু৷ ! ষ্ঙ্কু ;া ট্রুা;শু (সিজদাকাবীদের সঙ্গে তোমার উঠা-বসা
দেখেন ৷ ২৬ : ২১৯) এইআয়াতের র্ব্যাখ্যায় বলেছেন : অর্থাৎ স্রক নবীর পরে আরেক নবী
আসেন ৷ এক পর্যায়ে আমিও নবীরুপে আবির্ভুত হয়েছি ৷ ইবন সা’দ মুহাম্মদ কালবীর পিতার
সুত্রে বলেন, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর মায়ের বংশধারার পাচশত মহিলার
তালিকা সংকলন করেছি ৷৩ তাদের কেড়ান একজনকে না ব্যাভিচারী পেয়েছি না জাহিলিয়াতের
কোন অনাচারে সম্পৃক্ত পেয়েছি ৷ বুখারী শরীফে আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ?

(
)


— মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা উত্তম যুগে আমি প্রেরিত হয়েছি ৷ এক এক করে বহু যুগ
অতিক্রাম্ভ হওয়ার পর এই যুগে এসে আমার আবির্ভাব হয়েছে, ৷

সহীহ ঘুসলিমে ওয়াছিলা ইবন আসকা থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
আল্লাহ ইবরাহীমের বংশ থেকে ইসমাঈলকে, ইসমাঈলের বংশ থেকে বনু কিনানাকে, বনু
কিনানা থেকে কুরায়শকে এবং কুরায়শ থেকে বনু হাশিমকে নির্বাচিত করেছেন ৷ আর আমাকে
নির্বাচিত করেছেন হাশিম থেকে ৷

ইমাম আহমদ---মুত্তালিব ইবন আবু ওয়াদাআহ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ,
তিনি বলেছেন,একদা লোকেরা কানা ঘুষ৷ শুরু করলে সে খবর রাসুলুল্লাহ (না)-এর কানে
আসে ৷ ফলে তিনি মিম্বরে উঠে বললেন : আমি কােণ্’ জনতা জবাব দিল, আপনি আল্লাহর
রাসুল (সা) ৷ নবী করীম (সা) বললেন : “আমি আবদুল মুত্তালিব এর পুত্র আবদৃল্লাহর সন্তান
মুহাম্মদ ৷ আল্লাহ জগত সৃষ্টি করে আমাকে সৃষ্টির সেরা বানিয়েছেন ৷ সকল মানুষকে দুইটি দলে
বিভক্ত করে আমাকে শ্রেষ্ঠ দলে স্থান দিয়েছেন ৷ আবার বিভিন্ন গোত্র সৃষ্টি করে আমাকে সেরা
গোত্রে রেখেছেন ৷ অতঃপর সব গো ৷ত্রকে বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত করে আমাকে তাদের শ্রেষ্ঠ


الصَّاغَانِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ أَخْرَجَنِي مِنَ النِّكَاحِ، وَلَمْ يُخْرِجْنِي مِنَ السِّفَاحِ» . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ مَوْصُولًا فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَمْرٍو الْعَدَنِيُّ الْمَكِّيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: أَشْهَدُ عَلَى أَبِي حَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَرَجْتُ مِنْ نِكَاحٍ، وَلَمْ أَخْرُجْ مِنْ سِفَاحٍ مِنْ لَدُنْ آدَمَ إِلَى أَنْ وَلَدَنِي أَبِي وَأُمِّي، وَلَمْ يُصِبْنِي مِنْ سِفَاحِ الْجَاهِلِيَّةِ شَيْءٌ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَا يَكَادُ يَصِحُّ. وَقَالَ هُشَيْمٌ: حَدَّثَنَا الْمَدِينِيُّ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا «وَلَدَنِي مِنْ نِكَاحِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ شَيْءٌ، مَا وَلَدَنِي إِلَّا نِكَاحٌ كَنِكَاحِ الْإِسْلَامِ» . وَهَذَا أَيْضًا غَرِيبٌ أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، ثُمَّ أَسْنَدَهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৫৭

পরিবারের সদস্য করেছেন ৷ ফলে আমি পরিবারের দিক থেকেও তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং
ব্যক্তিগত দিক থেকেও তোমাদের মধ্যে সেরা ৷ ”

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ---আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি একদিন বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! কুরাইশরা যখন নিজেরা পরস্পরে মিলিত
হয়, তখন হাসিমুখে মিলিত হয় ৷ আর আমাদের সঙ্গে সাক্ষত হলে তাদের চেহারায় বৈরীভাব
ফুটে ওঠে ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হলেন ৷ তারপর বললেন :




“যার মুঠোয় মুহাম্মদের জীবন, আ ৷মি তার শপথ করে বলছি, ততক্ষণ পর্যন্ত কো ন মানুষের
হৃদয়ে ঈমান প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তার রাসুলেব সত্মষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে
তোমাদের ভালোবাসার ৷ ” আব্বাস (বা) বলেন, একথা শুনে আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহা
কুরাইশরা একদিন বলে তাদের বংশধারা নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হলো ৷ তাতে আপনাকে
তারা কোন এক উষর ভুমিতে অবস্থিত খেজুর গাছের সঙ্গে তুলনা করল ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন : “আল্লাহ বিশ্বজগত সৃষ্টি করে আমাকে সৃষ্টির সেরা দলের অন্তর্ভুক্ত করলেন ৷ অতঃপর
সৃষ্টির সব মানুষকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করলেন, তাতে গোত্র হিসেবেও আমাকে সকলের
শ্রেষ্ঠ গোত্রে রাখলেন ৷ অতঃপর যখন মানুষগুলােকে বিজ্যি পরিবারে বিভক্ত করলেন, তখনও
পরিবারের দিক থেকেও আমাকে সকলের শ্রেষ্ঠ পরিবারভুক্ত করলেন ৷ অতএব আমি ব্যক্তি
হিসাবেও সৃষ্টির সেরা পরিবার হিসাবেও সকলের শ্রেষ্ঠ ৷
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুলাহ (সা) বলেছেন :
“আল্লাহ সৃষ্টির সকল মানুষকে দু’ভাগে বিভক্ত করেন ৷ তাতে দু’ত৷ পের মধ্যে যেভ্রাগ শ্রেষ্ঠ,
আমাকে তার অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ কুরআনের আয়াত ৷ এ
৷ তথা ডানের লোকদের
অন্তর্ভুক্ত ৷ আবার আমি স্পেপু ৷ ,া হু ৷ এর সকলের সেরা ৷ এই দুই ভ ৷গকে আবার
তিনভা ৷গে তাপ করেন ৷ আমাকে তার মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ভাগে রাখেন ৷ পবিত্র কুরআনের আয়াত
একথাই বলা হয়েছে ৷ আমি
এই ট্রু ,টুব্লুৰু££ বা ংত্াগ্রগ্ামীর্দেয় ৫সরা ৷ অতঃপর এই তিন দলকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত
করেছেন ৷ আমাকে বানিয়েছেন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ গোত্রের মানুষ০ ং

: ) ’ :



(আমি তােমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে
চিনতে পার ৷ তোমাদের যে যত মুত্তাকী, আল্লাহর নিকট সে তত মর্যাদাবান ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞানী


وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَمِّهِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وُلِدْتُ مِنْ نِكَاحٍ غَيْرِ سِفَاحٍ» . ثُمَّ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ عَنْ شَبِيبٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ} [الشعراء: 219] قَالَ: «مِنْ نَبِيٍّ إِلَى نَبِيٍّ حَتَّى أُخْرِجْتُ نَبِيًّا،» وَرَوَاهُ عَنْ عَطَاءٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَتَبْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَمِائَةِ أَمٍّ فَمَا وَجَدْتُ فِيهِنَّ سِفَاحًا وَلَا شَيْئًا مِمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ. وَثَبَتَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى بُعِثْتُ مِنَ الْقَرْنِ الَّذِي كُنْتُ فِيهِ» وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ، وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৮
قُرَيْشًا، وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» . . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ قَالَ: قَالَ الْعَبَّاسُ ( «بَلَغَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالُوا: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ: أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ خَلْقِهِ، وَجَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ فِرْقَةٍ، وَخَلَقَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِ قَبِيلَةٍ، وَجَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَأَنَا خَيْرُكُمْ بَيْتًا، وَخَيْرُكُمْ نَفْسًا» . صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا أَبَدًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا إِذَا الْتَقَوْا لَقِيَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا بِالْبَشَاشَةِ، وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِوُجُوهٍ لَا نَعْرِفُهَا فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الْإِيمَانُ حَتَّى يُحِبَّكُمْ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا جَلَسُوا فَتَذَاكَرُوا أَحْسَابَهُمْ فَجَعَلُوا مَثَلَكَ كَمَثَلِ نَخْلَةٍ فِي كَبْوَةٍ مِنَ الْأَرْضِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ يَوْمَ خَلَقَ الْخَلْقَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ، ثُمَّ لَمَّا فَرَّقَهُمْ قَبَائِلَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً، ثُمَّ حِينَ جَعَلَ الْبُيُوتَ جَعَلَنِي فِي خَيْرِ
পৃষ্ঠা - ১৪৫৯


ও সর্বজ্ঞাত৷ ৷ ৪৯ : ১৩) আয়াতের এটাই অর্থ ৷ আমি আদমের সন্তানদের সর্বাপেক্ষা মুত্তাকী
এবং আল্লাহর নিকট সবচাইতে মর্যাদাসম্পন্ন ৷ কথাটা গর্ব নয় ৷ অতঃপর গোত্রগুলোকে বিভিন্ন
পরিবারে বিভক্ত করেন এবং আমাকে শ্রেষ্ঠ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ আল্লাহর বাণী৪



ার্গো ৷
(হে আহলে বায়ত ! ) আল্লাহ তোমাদের থেকে পঙ্কিলতা দুর করে তােমাদেরকে
সর্বোতভাবে পবিত্র করতে চান ৷) আয়াতে এ দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ ফলে আমি ও
আমার পরিবার যাবতীয় পাপ পঙ্কিল৩ ৷ থেকে পবিত্র ৷ বর্ণনাটি ণ্া রবৈ ও মুনকার পর্যায়ের ৷
হাকিম ও বায়হড়াকী ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা একদিন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর ঘরের আঙ্গিনড়ায় বসা ছিলাম ৷ এ সময় এক মহিলা সে স্থান দিয়ে অতিক্রম
করেন ৷ দেখে একজন বলল, ইনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কন্যা ৷ ঠিক তখন আবু সৃফিয়ান বলল,
হাশিম গোত্রে মুহাম্মদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে গােবরে পদ্মফুলের মতো ৷ মহিলাটি চলে গেলেন এবং
কথাটা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কানে দিলেন ৷ শুনে রাসুলুল্লাহ (সা৷ আমাদের নিকট আসলেন ৷
তার চেহারায় তখন অসন্তোষ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল ৷ এসে তিনি বললেন : “ব্যাপার কি, আমি কী
সব কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি? আল্লাহ সাত আক শ সৃষ্টি করে তার উর্ধ্বলোকে যাদেরকে ইচ্ছা
স্থান দিলেন ৷ অতঃপর তার সৃষ্টির মধ্যে বনী আদমকে মনোনীত করলেন ৷ বনী আদমের মধ্য
থেকে মনোনীত করলেন আরবদেরকে আর আরবদের মধ্য থেকে মনোনীত করলেন মুয়ারকে ৷
মুযার-এর থেকে মনোনীত করলেন কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনু হাশিমকে , আর বনু হাশিম
থেকে আমাকে ৷ অতএব আমি সেবার সেরা ৷ ফলে যে ব্যক্তি আরবদেরকে ভালোবাসল, সে
আমার খাতিরেই তাদেরকে ভালোবাসল ৷ আর যে ব্যক্তি আরবদের সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করল,
আমার সঙ্গে বিদ্বেষ থাকার কারণেই তাদের সঙ্গে যে বিদ্বেষ পোষণ করল ৷”

তবে সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
,পু;;গু ৰুাদ্বু ভ্রুণ্ এে ৷ ব্লু,ট্রুন্ ;; ৷ এ’, ’; ’ ঢৰুা
“আমি কিয়ামতের দিন আদম সন্তানদের সরদার রুপে থাকবাে ৷ এটা আমার পর্ব নয় ৷”

হাকিম ও বায়হাকী আয়েশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : “জিবরাঈল আমাকে বললেন যে, আমি পৃথিবীট৷ পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত তন্ন
তন্ন করে দেখলাম, মুহাম্মদ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাউকে পেলাম না ৷ আবার পৃথিবীট৷ পুর্ব থেকে
পশ্চিম পর্যন্ত উলট পালট করলাম, কিত্তু হাশিমের গোত্র অপেক্ষা ৷উত্তম কোন গোত্রের খোজ
পেলাম না ৷ বায়হাকী মন্তব্য করেন যে, বর্ণনাগুলোতে দুর্বল৩ ৷ থাকলেও একটি অপরটির
সমর্থক হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷

ঠিক এই মর্মে আবু তালিব নবী করীম (সা) এর প্রশংসায় বলতেন :
াটু৷ ৷
গ্রত্রৈ


بُيُوتِهِمْ فَأَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَخَيْرُهُمْ بَيْتًا» وَرَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: بَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، وَلَمْ يَذْكُرِ الْعَبَّاسَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ الْخَلْقَ قِسْمَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمَا قِسْمًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ {وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ} [الواقعة: 27] {وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ} [الواقعة: 41] فَأَنَا مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ، وَأَنَا خَيْرُ أَصْحَابِ الْيَمِينِ، ثُمَّ جَعَلَ الْقِسْمَيْنِ أَثْلَاثًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا ثُلُثًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ {أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ} [الواقعة: 8] {وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ} [الواقعة: 10] فَأَنَا مِنَ السَّابِقِينَ وَأَنَا خَيْرُ السَّابِقِينَ، ثُمَّ جَعَلَ الْأَثْلَاثَ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا قَبِيلَةً فَذَلِكَ قَوْلُهُ {وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ} [الحجرات: 13] وَأَنَا أَتْقَى وَلَدِ آدَمَ وَأَكْرَمُهُمْ عَلَى اللَّهِ وَلَا فَخْرَ، ثُمَّ جَعَلَ الْقَبَائِلَ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهَا بَيْتًا، وَذَلِكَ قَوْلُهُ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » [الْأَحْزَابِ: 33] فَأَنَا وَأَهْلُ بَيْتِي مُطَهَّرُونَ مِنَ الذُّنُوبِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ غَرَابَةٌ، وَنَكَارَةٌ. وَرَوَى الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ ذَكْوَانَ خَالِ وَلَدِ حَمَّادِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৪৬০
زَيْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ «إِنَّا لَقُعُودٌ بِفِنَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ مَرَّتْ بِهِ امْرَأَةٌ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: هَذِهِ ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَثَلُ مُحَمَّدٍ فِي بَنِي هَاشِمٍ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ فِي وَسَطِ النَّتَنِ فَانْطَلَقَتِ الْمَرْأَةُ فَأَخْبَرَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ فَقَالَ: مَا بَالُ أَقْوَالٍ تَبْلُغُنِي عَنْ أَقْوَامٍ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ سَبْعًا فَاخْتَارَ الْعَلْيَاءَ مِنْهَا فَأَسْكَنَهَا مَنْ شَاءَ مَنْ خَلْقِهِ، ثُمَّ خَلَقَ الْخَلْقَ فَاخْتَارَ مِنَ الْخَلْقِ بَنِي آدَمَ، وَاخْتَارَ مِنْ بَنِي آدَمَ الْعَرَبَ، وَاخْتَارَ مِنَ الْعَرَبِ مُضَرَ، وَاخْتَارَ مِنْ مُضَرَ قُرَيْشًا، وَاخْتَارَ مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ، وَاخْتَارَنِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ فَأَنَا خِيَارٌ مِنْ خِيَارٍ فَمَنْ أَحَبَّ الْعَرَبَ فَبِحُبِّي أَحَبَّهُمْ، وَمَنْ أَبْغَضَ الْعَرَبَ فَبِبُغْضِي أَبْغَضَهُمْ» . وَهَذَا أَيْضًا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرَ» وَرَوَى الْحَاكِمُ وَالْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ - أَوْ أَبِي سَلَمَةَ - عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ لِي جِبْرِيلُ: قَلَبْتُ الْأَرْضَ مِنْ مَشَارِقِهَا وَمَغَارِبِهَا فَلَمْ أَجِدْ رَجُلًا أَفْضَلَ مِنْ مُحَمَّدٍ وَقَلَبْتُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬১

¢ ৷ ;, , ;

াব্লুৰুট্রু,ব্লুড়ু ;,াড়ু

এেএ
)

ন্ণ্ এএএৰুা

ব্লু


কুরায়শ যদি কখনো গৌরব করার জন্য সমবেত হয়, তো আবদে মানাফ-ই সেই মহান
ব্যক্তি, যাকে নিয়ে কুরাইশ পর্ব করতে পারে ৷ আবার আবদে মানড়াফের সম্রান্ত ও অভিজাত
ব্যক্তিদের খুজে পেতে চাইলে তাদেরকে হাশিম গোত্রেই খুজতে হবে ৷
তারা যদি আরো গৌরব করতে চায়, তাহলে মুহাম্মদকে ণ্ায়েই তা করতে হবে ৷ কেননা
মুহাষ্মদই হলেন তাদের মধ্যে মহান ব্যক্তিদের বাছাই করা ব্যক্তি ৷
কুরাইশের শীর্ণ মোটা সকলে আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে চেয়েছিল ৷ কিত্তু তাতে তারা সফল
হয়নি এবং তাদের বৃদ্ধির বিভ্রাট ঘটেছে ৷
অতীতে আমরা অত্যাচার স্বীকার কর৩ ৷ম না ৷ লোকে অবজ্ঞা ভরে মুখ ফিরিয়ে নিলে
আমরা তা সোজা করে দি৩ ৷ম ৷ যে কোন দুর্দিনে আমরা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতাম আর
বিরুদ্ধবাদীদের প্রতিরাে ৷ধ্ করতাম ৷ আমাদের উসিলায় নেতিয়ে পড়া ৷কাঠ সোজা হয়ে র্দাড়াত
বংআমাদের এই সহযােগি৩ যে তা সজীব হতো এবং বৃদ্ধি লাভ করত ৷
আবুস সাক৷ ন খারীম ইবনে আউস সুত্রে বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) তাবুক থেকে ফিরে আসা
কালে আমি তার দরবারে হাজির হলাম , তখন আমি ইসলাম গ্রহণ ৷করি ৷ তখন শুনতে পেলাম,
আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব বলছেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার প্রশংসা করতে
চাই ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আচ্ছা বল, আল্লাহ তোমার মুখে ফুল চন্দনঃ ফুটানা
অনুমতি পেয়ে বলতে শুরু করলেন :

া১

ণ্উ


ৰুব্লু


الْأَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا فَلَمْ أَجِدْ بَنِي أَبٍ أَفْضَلَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» . قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ، وَإِنْ كَانَ فِي رُوَاتِهَا مَنْ لَا يُحْتَجُّ بِهِ فَبَعْضُهَا يُؤَكِّدُ بَعْضًا، وَمَعْنَى جَمِيعِهَا يَرْجِعُ إِلَى حَدِيثِ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَفِي هَذَا الْمَعْنَى يَقُولُ أَبُو طَالِبٍ يَمْتَدِحُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا اجْتَمَعَتْ يَوْمًا قُرَيْشٌ لِمَفْخَرٍ فَعَبْدُ مَنَافٍ سِرُّهَا وَصَمِيمُهَا ... فَإِنْ حُصِّلَتْ أَشْرَافُ عَبْدِ مَنَافِهَا فَفِي هَاشِمٍ أَشْرَافُهَا وَقَدِيمُهَا وَإِنْ فَخَرَتْ يَوْمًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا هُوَ الْمُصْطَفَى مِنْ سِرِّهَا ... وَكَرِيمُهَا تَدَاعَتْ قُرَيْشٌ غَثُّهَا وَسَمِينُهَا عَلَيْنَا فَلَمْ تَظْفَرْ وَطَاشَتْ حُلُومُهَا وَكُنَّا قَدِيمًا لَا نُقِرُّ ظُلَامَةً ... إِذَا مَا ثَنَوْا صُعْرَ الْخُدُودِ نُقِيمُهَا وَنَحْمِي حِمَاهَا كُلَّ يَوْمٍ كَرِيهَةٍ وَنَضْرِبُ عَنْ أَجْحَارِهَا مَنْ يَرُومُهَا ... بِنَا انْتَعَشَ الْعُودُ الذَّوَاءُ وَإِنَّمَا بِأَكْنَافِنَا تَنْدَى وَتَنْمَى أُرُومُهَا وَقَالَ أَبُو السُّكَيْنِ زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى الطَّائِيُّ فِي الْجُزْءِ الْمَنْسُوبِ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ১৪৬২


এক সময়ে আপনি অবস্থান করেছেন, ছায়াময় এবং সংরক্ষিত স্থানে ৷ তারপর আপনি ধরায়
অবতরণ করলেন ৷ তখন আপনি না পুর্ণাঙ্গ মানব, না গোশতের টুকরা, না রক্তপিণ্ড ৷ বরং এক
ফৌটা বীর্য কিশত্যিত আরোহণ করে আসলেন ৷ অথচ, তখনকার সব জনপদ ভেসে গিয়েছিল
প্রাবনের পানিতে ৷ তারপর আপনি পিতার মেরুদণ্ড থেকে মায়ের গর্ভে স্থানান্তরিত হলেন এবং
ধীরে ধীরে একজন পুর্ণাঙ্গ মানবের রুপ ধারণ করলেন ৷ নিজ ঘরের শোভা হয়ে এক সময়ে
ভুমিষ্ঠ হলেন পৃথিবীতে ৷ আপনি যখন জন্মগ্রহণ করলেন, তখন আপনার আলোতে আলোকিত

হল সমগ্র পৃথিবী ৷ এখন সেই আলোতে আমরা পথ চলি ৷

এই কৰিতড়াগুলো হড়াস্সান ইবনে সাবিত (রা)-এর নামেও বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন : ইবন
আসাকির ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার আব্বা-আমা আপনার জন্য কুরবান হোন ৷ বলুন
তো, আদম (আ) যখন জান্নড়াতে, আপনি তখন কোথায় ছিলেলঃ ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
আমার এ প্রশ্ন শুনে নবী কবীম (সা) হেসে উঠলেন ৷ এমনকি তার নামনের ক’টি র্দাত দেখা
গেল ৷ তারপর তিনি বললেন : আমি আদমের যেরুদণ্ডে ছিলাম ৷ আমার পিতৃপুরুষ নুহ (আ)
তার মেরুদণ্ডে করে আমাকে নিয়ে কিশতিতে আরোহণ করেন ৷ তারপর আমাকে আমার
পিতৃপুরুষ ইবরড়াহীমের মেরুদণ্ডে করে (অগ্নিকুণ্ডে) নিক্ষেপ করা হয় ৷ আমার বংশ লতিকার
কোন পিতা-মাতাই জীবনে কখনো ব্যভিচারে সম্পৃক্ত হননি ৷ আল্লাহ আমাকে কৃলীন যেরুদণ্ড
থেকে পুত-পবিত্র জরায়ুতে স্থানান্তরিত করতে থাকেন ৷ আমার পরিচয় হেদায়াতের উপর
প্রতিষ্ঠিত ৷ যখনই মানুষ ভালো-মন্দ দৃ’দলে বিভক্ত হয়, আমি ভালো ও শ্রেষ্ঠ দলে থাকি ৷
আল্লাহ নবুওত দ্বারা আমার অঙ্গীকার এবং ইসলাম দ্বারা আমার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন ৷ তাওরাত
ও ইনজীলে আমার সুসংবাদ প্রকাশ করেছেন এবং প্রত্যেক নবীকে আমার বিস্তারিত পরিচয়
জানিয়েছেন ৷ আমার নুরে বিশ্বজগত এবং আমার মুখমণ্ডলে যেঘমালা আলোকিত হয় ৷ আল্লাহ
আমাকে তার কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন এবং তার নামে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন ৷ আল্লাহ
তার নিজের নাম থেকে বের করে আমার নাম রেখেছেন ৷ ফলে আরশের অধিপতি হলেন
মাহমুদ আর আমি হলাম মুহাম্মদ ও আহমদ ৷ আল্লাহ আমাকে হাউযে কাওছার দিয়ে ধন্য করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আমাকে সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বপ্রথম সুপারিশ মঞ্জুরকৃত
ব্যক্তিরুপে মনোনীত করেছেন ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ যুগে
আমার আবির্ভাব ঘটিয়েছেন ৷ আমার উম্মত অত্যধিক প্রশংসাকারী ৷ তারা সৎকাজের আদেশ
করে এবং অন্যায় কাজ থেকে বারণ করে ৷ ’

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, তখন হাসৃসান ইবন সাবিত নবী কবীম (না)-এর শানে পুর্বোক্ত
পৎক্তিগুলো আবৃত্তি করেন যাতে বলা হয়েছে



২ ২ ২ ২২


الْمَشْهُورِ: حَدَّثَنِي عَمُّ أَبِي زَحْرُ بْنُ حِصْنٍ عَنْ جَدِّهِ حُمَيْدِ بْنِ مُنْهِبٍ قَالَ قَالَ جَدِّي خُرَيْمُ بْنُ أَوْسٍ: هَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ مُنْصَرَفَهُ مِنْ تَبُوكَ فَأَسْلَمْتُ فَسَمِعْتُ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَمْتَدِحَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُلْ لَا يَفْضُضِ اللَّهُ فَاكَ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: مِنْ قَبْلِهَا طِبْتَ فِي الظِّلَالِ وَفِي مُسْتَوْدَعٍ حَيْثُ يُخْصَفُ الْوَرَقُ ثُمَّ هَبَطْتَ الْبِلَادَ لَا بَشَرٌ أَنْتَ وَلَا مُضْغَةٌ وَلَا عَلَقُ ... بَلْ نُطْفَةٌ تَرْكَبُ السَّفِينَ وَقَدْ أَلْجَمَ نَسْرَا وَأَهْلَهُ الْغَرَقُ تُنْقَلُ مِنْ صَالِبٍ إِلَى رَحَمٍ إِذَا مَضَى عَالَمٌ بَدَا طَبَقُ ... حَتَّى احْتَوَى بَيْتُكَ الْمُهَيْمِنُ مِنْ خِنْدَفَ عَلْيَاءَ تَحْتَهَا النُّطُقُ وَأَنْتَ لَمَّا وُلِدْتَ أَشْرَقَتِ الْأَرْضُ وَضَاءَتْ بِنُورِكَ الْأُفُقُ ... فَنَحْنُ فِي ذَلِكَ الضِّيَاءِ وَفِي ال نُّورِ وَسُبْلِ الرَّشَادِ نَخْتَرِقُ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الشِّعْرُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৩
عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَدِيدِ أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي نَصْرٍ أَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو حُصَيْنٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزَّاهِدُ الْخُرَاسَانِيُّ حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بُنَانٍ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمَانَ أَبُو الْعَبَّاسِ الْمَكْفُوفُ الْمَدَائِنِيُّ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ، وَمُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي أَيْنَ كُنْتَ، وَآدَمُ فِي الْجَنَّةِ؟ قَالَ: فَتَبَسَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ، ثُمَّ قَالَ: كُنْتُ فِي صُلْبِهِ، وَرُكِبَ بِيَ السَّفِينَةُ فِي صُلْبِ أَبِي نُوحٍ، وَقُذِفَ بِيَ فِي صُلْبِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَلْتَقِ أَبَوَايَ عَلَى سِفَاحٍ قَطُّ، لَمْ يَزَلِ اللَّهُ يَنْقُلُنِي مِنَ الْأَصْلَابِ الْحَسِيبَةِ إِلَى الْأَرْحَامِ الطَّاهِرَةِ، صِفَتِي مَهْدِيٌّ لَا يَنْشَعِبُ شُعْبَتَانِ إِلَّا كُنْتُ فِي خَيْرِهِمَا وَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ بِالنُّبُوَّةِ مِيثَاقِي، وَبِالْإِسْلَامِ عَهَدِي، وَبَشَّرَ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ ذِكْرِي وَبَيَّنَ كُلُّ نَبِيٍّ صِفَتِي تُشْرِقُ الْأَرْضُ بِنُورِي وَالْغَمَامُ لِوَجْهِي، وَعَلَّمَنِي كِتَابَهُ وَرَوَى بِي سَحَابَهُ، وَشَقَّ لِيَ اسْمًا مَنْ
পৃষ্ঠা - ১৪৬৪

শুনে নবী করীম (সা) বললেন, আল্লাহ হাসৃসানের প্রতি রহমত করুন ৷ তৎক্ষণাং আলী
ইবন আবু তালিব বলে উঠলেন, কাবার প্রভুর শপথ, হাস্সানের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে
গেছে ৷ ইবন আসাকির এ বর্ণনাটিকে গরীব বলেছেন ৷ আমার মতে এগুলো মুনকারও বটে ৷

কাজী ইয়ায তার আশ-শিফা গ্রন্থে বলেছেন, বিভিন্ন আসমানী কিভাবে যে আহমদের
কথা বলা হয়েছে এবং ব্রিজ্যিন্ব্রীক্লে স্টুফ্লোত্মোঃছ তার নামে যেন কারও
নামকরণ করা না হয় এবং তার অ্যার্বভারৈর আর্পেকেশুষ্টেযর্দা নীিইজকে আহমদ বলে দাবি না
করে , কৌশলে আল্লাহ তার পথ রুদ্ধ করে দেন ৷ যাতে দৃর্বলমনা লোকদের মধ্যে কোন রকম
চুমোঃল্পঃ ল্লট্যাংছোষ্টৱফ্তে নঃহ্ন্মেরেদচজােরুিসৌং ৰুৰীমৰু চুমাশ্লেন্নদঅজ্যিব্লে পুর্বে
দ্বহৃক্ষ্মলোঃ১অরক্কোহ্মক্ষারম্নর্তমুহক্ষোন্মোফোণাদ্যোক্তহক্ষষি ;প্রুম্নেচ্ট্টমুহলোঃনাঃমৱ ফ্তেক্রাদ্রাৰীর
ৰু-ল্পেজ্যো ন্থবে’গ্ৰুমোঃ রম্পেকাজ্যোলেল্ডেক্যেন্তোন্ধা আরঘেরস্তুমোঃষ্ক মোঃঢভাপের
ছেলেদের মুহাম্মদ নামে নামকরণ কিরুচ্ছেঈন্থির্হিজ্জাশ্যেয়সৌং স্রন্থচ্ছির্কীইর্দো লোঃইিস্ট্রলোঃর্দদ্ব ৷
লোঃ লোঃ শ্লোলোঃন্জৈ লিংফ্তেট্যাং জ়লোঃঅ্যাংস্কেলীে;স্লোখ্যাঃ ,ইলোঃস্ফোস্ফোসারী,
ণ্ল্যাংষ্মদ্রুস্টুবম্রামোঃপ্লো ,অ্যাংষ্মদ্ ঞ্জীচ্চচ্চুণিঢোক্টোজ্যেন্ধুজশ্রিডুপুদ্মুহাদ্যো ইয়্যা;দ্ভাদ্যোন
চল্দোজ্জীঙ্গীচ্যামোঃষ্ক ১খুন্নল্টিন্সেলোঃষ্হীংশৃঅ্যাংল্লদ্দৌগ্ন ক্ষোক্রোম্রাজি-ম্নেজ্যামে
চ্চসৌংমোঃলোঃতানোংষ্কমোঃ মোঃ স্কোপজ্যোঅ্যাংছুশ্:স্তেফ্লোদ্ব ল্লুহান্সদ
চুভুন্মাব্রুন্ধুপ্লিন্সে ইিঢোৰুণ্ মুভুকুট্রুশ্রিণ্ মোঃশ্নোম্ত্নে চাসাযষ্কনঃআঃ প্লোইতো জ্জিষ্হমুন্নহীঙ্কোই
লীেমোঃমোঃ দ্র্যক্তি রু,ন্বুজ্যিল্যাং ব্লঅ্যান্নহুজ্যোচাৰুজ্যোহুদণুত্বিন্অ্যাংন্ অেল্যাংসৌংঢুম্ভাদ্যোক
দ্যোষীন্>ক্রো ঙ্গীক্লক্ষেক্ষোন্হ্বফ্লিন্ঢোজ্যোকােম ল্যাং মোঃট্রমোঃ পঞ্জোন্ৰুখ্যাঃয়িন্বুত্ত
ঢ় স্ফোখন্মারুহ্ত্ত্বরু


أَسْمَائِهِ فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَأَنَا مُحَمَّدٌ، وَوَعَدَنِي أَنْ يَحْبُوَنِي بِالْحَوْضِ وَالْكَوْثَرِ، وَأَنْ يَجْعَلَنِي أَوَّلَ شَافِعٍ وَأَوَّلَ مُشَفَّعٍ، ثُمَّ أَخْرَجَنِي مِنْ خَيْرِ قَرْنٍ لِأُمَّتِي، وَهُمُ الْحَمَّادُونَ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ» . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ قَبْلِهَا طِبْتَ فِي الظِّلَالِ وَفِي مُسْتَوْدَعٍ يَوْمَ يُخْصَفُ الْوَرَقُ ... ثُمَّ سَكَنْتَ الْبِلَادَ لَا بَشَرٌ أَنْتَ وَلَا نُطْفَةٌ وَلَا عَلَقُ مُطَهَّرٌ تَرْكَبُ السَّفِينَ وَقَدْ أَلْجَمَ نَسْرًا وَأَهْلَهُ الْغَرَقُ ... تُنْقَلُ مِنْ أَصْلُبٍ إِلَى رَحِمٍ إِذَا مَضَى طَبَقٌ بَدَا طَبَقُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَرْحَمُ اللَّهُ حَسَانَ» فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَجَبَتِ الْجَنَّةُ لِحَسَّانَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. ثُمَّ قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا قُلْتُ: بَلْ مُنْكَرٌ جِدًّا. قَالَ: وَالْمَحْفُوظُ أَنَّ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ لِلْعَبَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ أَوْرَدَهَا مِنْ حَدِيثِ أَبِي السَّكَنِ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى الطَّائِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ قُلْتُ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهَا لِلْعَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيِّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪৬৫
تَنْبِيهٌ: قَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ فِي كِتَابِهِ الشِّفَاءِ: وَأَمَّا أَحْمَدُ الَّذِي أَتَى فِي الْكُتُبِ، وَبَشَّرَتْ بِهِ الْأَنْبِيَاءُ فَمَنَعَ اللَّهُ بِحِكْمَتِهِ أَنْ يُسَمَّى بِهِ أَحَدٌ غَيْرُهُ وَلَا يُدْعَى بِهِ مَدْعُوٌّ قَبْلَهُ حَتَّى لَا يَدْخُلَ لَبْسٌ عَلَى ضَعِيفِ الْقَلْبِ أَوْ شَكٌّ، وَكَذَلِكَ مُحَمَّدٌ لَمْ يُسَمَّ بِهِ أَحَدٌ مِنَ الْعَرَبِ وَلَا غَيْرِهِمْ، إِلَى أَنْ شَاعَ قَبْلَ وُجُودِهِ وَمِيلَادِهِ، أَنَّ نَبِيًّا يُبْعَثُ اسْمُهُ مُحَمَّدٌ فَسَمَّى قَوْمٌ قَلِيلٌ مِنَ الْعَرَبِ أَبْنَاءَهُمْ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ أَحَدُهُمْ هُوَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَاتَهُ وَهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ أُحَيْحَةَ بْنِ الْجُلَاحِ الْأَوْسِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْبَرَاءِ الْكِنْدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حُمْرَانَ الْجُعْفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَاعِيٍّ السُّلَمِيُّ لَا سَابِعَ لَهُمْ، وَيُقَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سُمِّيَ مُحَمَّدًا مُحَمَّدُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ مُجَاشِعٍ وَالْيَمَنُ تَقُولُ: بَلْ مُحَمَّدُ بْنُ الْيَحْمُدِ مِنَ الْأَزْدِ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ حَمَى كُلَّ مَنْ تَسَمَّى بِهِ أَنْ يَدَّعِيَ النُّبُوَّةَ أَوْ يَدَّعِيَهَا لَهُ أَحَدٌ أَوْ يَظْهَرَ عَلَيْهِ سَبَبٌ يُشَكِّكُ أَحَدًا فِي أَمْرِهِ حَتَّى تَحَقَّقَتِ السِّمَتَانِ لَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَازَعْ فِيهِمَا. هَذَا لَفْظُهُ.