আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر جماعة كانوا مشهورين في زمن الجاهلية

পৃষ্ঠা - ১৩৪১
[بَابُ ذِكْرِ جَمَاعَةٍ كَانُوا مَشْهُورِينَ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ] [خَبَرُ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ الْعَبْسِيِّ] بَابُ ذِكْرِ جَمَاعَةٍ كَانُوا مَشْهُورِينَ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ خَبَرُ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ الْعَبْسِيِّ الَّذِي كَانَ فِي زَمَنِ الْفَتْرَةِ وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ كَانَ نَبِيًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ زُهَيْرٍ التُّسْتَرِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُعَلَّى بْنِ مَنْصُورٍ الرَّازِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ عَنْ سَالِمٍ الْأَفْطَسِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «قَالَ جَاءَتْ بِنْتُ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَسَطَ لَهَا ثَوْبَهُ، وَقَالَ: بِنْتُ نَبِيٍّ ضَيَّعَهُ قَوْمُهُ» وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْمُعَلَّى بْنِ مَنْصُورٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّلْتِ عَنْ قَيْسٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ ذُكِرَ خَالِدُ بْنُ سِنَانٍ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ذَاكَ نَبِيٌّ ضَيَّعَهُ قَوْمُهُ ثُمَّ قَالَ وَلَا نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَكَانَ قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ ثِقَةً فِي نَفْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৩৪২
ষ্ষ্


“যাতে তুমি এমন এক জাতিকে সর্তক করতে পার” যাদের কাছে তোমার পুর্বে সতঘকািৰী
আসেনি ৷ (২৮ কাসাস ৪৬) একাধিক আলিম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইসমাঈল (আ)-এর
পর আরবাদঃ মধ্যে কোন নবী প্রেরণ করেননি; কেবল শেষ নবী মুহাম্মদ (না)-ব্যতীত ৷ কাবা
শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম (আ) তার জন্য দোয়া করেছিলেন ৷ কাবড়াকে আল্লাহ বিশ্ববাসীর
জন্য শরীয়ত সম্মত কিবলা করেছেন ৷ আর অন্যান্য নবীরা নিজ নিজ জাতিকে মহানবীর
আগমনের সুসংবড়াদ দান করেছেন ৷ সর্বশেষ যিনি এ সুসংৰাদ দিয়েছেন, তিনি হলেন ঈসা ইবন
মারয়াম (আ) ৷ আরবদের প্রতি প্রেরিত নবী ছিলেন বলে সুহায়লী প্রমুখ আলিমগণ যা
বলেছেন, এত তা রদ হয়ে যায় ৷ মাদয়ানরাসী সুয়ায়ব ইবন লু সিহ্যাম ইবন শুয়ায়ব ইবন
ছাফওয়ান, অনুরুপ ভাবে তাদের এ বক্তব্য রদ হয়ে যায় ৷ আরবে হানযালা ইবন সাফওয়ান
এরও নবীরুপে আগমন ঘটে এবং তাকে অস্বীকার করলে আল্লাহ তাদের উপর বুখৃত নসরকে
বিজয়ী করেছিলেন ৷ তিনি তাদের হত্যা আর বন্দী করেন ৷, যেমন ঘটেছিল বনী ইসরাঈলের
ক্ষেত্রে ৷ আর এটা ঘটে মাআদ ইবন আদমান এর স্ন্ব’সনামলে ৷ স্পষ্টত এরা ছিলেন নেককার
লোক, কল্যাণের দিকে তারা ভাকতেন ৷ আল্লাহ ভালো জানেন ৷ জরহুমের পর খুযাআদের
বৃত্তান্ত প্রসঙ্গে আমর ইবন লুহাই ইবন কিমআ ইবন খন্দফ সম্পর্কে ইতিপুর্বে আলোচনা করা
হয়েছে ৷

হাতিম ভাই : জাহিলী যুগের অন্যতম প্রধান দাতা

তিনি হাতিম ইবন আবদুল্লাহ (ইবন সাআদ ইবন হাশরাজ ইবন ইমরাউল কায়েস ইবন
আদী ইবন আহ্যাম ইবৃদ আবু আহযাম ) তার আসল নাম ছারুমা ইবন রবীআ ইবন জারওয়াল
ইবন সা’ল ইবন অড়াম্র ইবন গাওছ ইবন তাই আবু সড়াফফানা আত-তাঈ সাহাবী অড়াদী ইবন
হাতিম তারই পুত্র ৷ জাহিলী যুগে তিনি ছিলেন বিপুল প্রশংসিত বড়দাতা ৷ অনুরুপ ভাবে
ইসলামী যুগে তার পুত্রও ছিলেন একজন নামকরা দাতা ৷ হাতিমের বদান্যতার অনেক কিৎবদন্তী
ও চমকপ্রদ কাহিনী প্রচলিত আছে ৷ তবে সেসব দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি আর পরকালের মুক্তি ও
কল্যাণ তার কাম্য ছিল না ৷ সেসবের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল লোকজনের প্রশংসা কুড়ানাে ৷
হাফিজ আবু বকর আল-বাযযার তার মুসনাদ গ্রন্থে ইবন উমর সুত্রে বর্ণিত আছে যে , মহানবী
(স)-এর নিকট হাতিমের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন : তিনি যা চেয়েছিলেন তাই
পেয়েছেন ৷

আদী ইবন হাতিম সুত্রে বর্ণনা করেন : আমি রাসুলুল্পাহ (না)-কে বললাম : আমার পিতা
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতেন এবং নানা সৎ কাজ করতেন ৷ এজন্য তিনি কি পুণ্য লাভ
করবেনঃ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : তোমার পিতা যা চেয়েছিলেন, তাই পেয়েছেন ৷
আবু ইয়া’লা ও বাগাবী ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

সহীহ (ৰুখারীতে) উল্লিখিত হয়েছে যে, যে তিন ব্যক্তির জন্য জাহান্নামকে প্রজ্বলিত করা
হবে, তাদের মধ্যে একজন হয়ে যে ব্যক্তি, যে এজন্য দান করে, যেন তাকে দাতা বলা হয় ৷


إِلَّا أَنَّهُ كَانَ رَدِيءَ الْحِفْظِ وَكَانَ لَهُ ابْنٌ يُدْخِلُ فِي أَحَادِيثِهِ مَا لَيْسَ مِنْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْبَزَّارُ وَقَدْ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ سَالِمٍ الْأَفْطَسِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مُرْسَلًا، وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمُوصِلِيُّ: حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ مَهْدِيٍّ الْمَوْصِلِيُّ: قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي يُونُسَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ عَبْسٍ يُقَالَ لَهُ: خَالِدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ لِقَوْمِهِ: أَنَا أُطْفِئُ عَنْكُمْ نَارَ الْحَدَثَانِ. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ: وَاللَّهِ يَا خَالِدُ مَا قُلْتَ لَنَا قَطُّ إِلَّا حَقًّا فَمَا شَأْنُكَ، وَشَأْنُ نَارِ الْحَدَثَانِ تَزْعُمُ أَنَّكَ تُطْفِئُهَا؟ فَخَرَجَ خَالِدٌ وَمَعَهُ أُنَاسٌ مِنْ قَوْمِهِ فِيهِمْ عِمَارَةُ بْنُ زِيَادٍ فَأَتَوْهَا فَاذَا هِيَ تَخْرُجُ مِنْ شِقِّ جَبَلٍ فَخَطَّ لَهُمْ خَالِدٌ خُطَّةً فَأَجْلَسَهُمْ فِيهَا فَقَالَ: إِنْ أَبْطَأْتُ عَلَيْكُمْ فَلَا تَدْعُونِي بِاسْمِي فَخَرَجَتْ كَأَنَّهَا خَيْلٌ شُقْرٌ يَتْبَعُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَاسْتَقْبَلَهَا خَالِدٌ فَجَعَلَ يَضْرِبُهَا
পৃষ্ঠা - ১৩৪৩
ষ্ষ্


দুনিয়াংত ৩াকে দা তা বল ই হবেত তার প্রতিদা ৷ন ৷ অনুরুপভা যে একজন আলিম এবং মুজাহিদের
জন্যও জ ৷হান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে ৷

সহীহ (বুখারীতে) অপর এক হাদীসে আছে যে, সাহাবায়ে কিরাম রাসুলুল্লাহ (না)-কে
জিজ্ঞেস করেন, আবদুল্লাহ ইবন জাদ্আন ইবন অড়ামৃর ইবন কার ইবন সা’দ ইবন তায়ম ইবন
মুররা সম্পর্কে ৷ তারা বললেন ও তিনি অতিথি আপ্যায়ন করতেন, দাস মুক্ত করতেন এবং
দান খয়রাত করতেন ৷ এতে কি তার কোন কল্যাণ হবে? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন০ সে তাে
দীর্ঘ জীবনের মধ্যে একটা দিনও একথা বলেনি হে আমার পালনকর্তা! কিয়ামতে র দিন আমার
অপরাধ ক্ষমা করো ৷ অনুরুপভা বে অনেক খ্যাতনামা দাতা আছে, যার প্ ৷অভাব আর দুর্যোগের
সময় মানুষকে আহার করার (তাদের অবস্থাও এরুপই হবে) ৷ বায়হকী আলী ইবন আবু
তালিবের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন এভাবে : সুবহানাল্লাহ! কতো মানুষ কতই না পুণ্য কাজ করে ৷
অবাক লাগে সে ব্যক্তির জন্য, যার কাছে তার একজন মুসলিম তাই অভাবের সময় আসে
অথচ, সে নিজেকে কল্যাণ কর্মের জন্য উপযুক্ত মনে করে না ৷ সে সওয়াবের আশা আর শাস্তির
ভয় না করলেও সৎকাজে তো তার ছুটে যাওয়া উচিৎ ৷ কারণ তা-তাে মুক্তির পথেই চালিত
করে ৷ তখন জনৈক ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে এস বললাে : হে আমীরুল মুমিনীন ৷ আমার
পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন, আপনি কি আল্লাহ্র রাসুলের নিকট এমন কথা
শুনেছেনঃ তিনি বললেন, হাত তার চেয়েও উত্তম কথা হলো তার কবীলার বন্দী নারীদেরকে যখন
উপস্থিত করা হয়, তখন এক দ সী সামনে এলো, রক্তিম ওষ্ঠ ঘন-কালো লম্বা চুল, দীর্ঘ গর্দান,
ভীরের মতে ৷ ভীক্ষ্ণ নাক, অবয়ব মধ্যম স্তন সুডো ল, পায়ের গোছা মাং সল, চিকন কােমর , মরু
নিতম্ব ও নিটোল পিঠের অধিকড়ারিণী ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তাকে দেখেই আমি বিযুগ্ধ হই এবং
বলি, আমি অবশ্যই তাকে পাওয়ার দাবী নিয়ে রাসুলের নিকট গমন করবো এবং রাসুল (মা)
তাকে আমার গনীমতের মালের অন্তর্ভুক্ত করবেন ৷ তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি তার
সৌন্দর্যের কথা বিস্মৃত হই ৷ বিপুিত হই আমি তার কথা শুনে তার বাগ্নিতায় ৷ সে বললাে , হে
মুহাম্মদ! আপনি কি আমাকে মুক্ত করবেন? আরবের গোত্রদের ঠাট্ট৷ বিরুপ থেকে রক্ষা করবেনঃ
কারণ, আমি তো আমার গোত্রের সর্দার তনয়া ৷ আর আমার পিতা যাকে সাহায্য করা দরকার,
তাকে সাহায্য করতেন, যাকে রক্ষা করা দরকার, তাকে রক্ষা করতেন, তিনি রন্দীকে মুক্ত
করতেন, ক্ষুধাতৃরকে পেট পুরে খাওয়াতেন, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান করতেন, অতিথিংক আপ্যায়ন
করতেন, লোকজনকে আহার করাতেন, সালাতের বিস্তার ঘটাতেন ৷ তিনি কখনো অভাবীকে
বিমুখ করেন নি ৷ আমি হাতিম তাই’র কন্যা ৷ তখন নবী (স) বললেনঃ হে বালিকা
এগুলোতে৷ সত্যিকার মু’মিনের গুণাবলী ৷ তে তামার পিতা মু’মিন হয়ে থাকলে আমরা
অবশ্যই তার প্ৰতি সদয় হবে৷ ৷ তিনি তখনি আদেশ দিলেন : তোমরা তাকে মুক্ত করে
দাও ৷ কারণ, তার পিতা উত্তম চরিত্রকে ভালোবাসতেন ৷ আর আল্লাহ তা আলা উত্তম চরিত্রকে

ভালোবাসেন ৷ তখন আবু বুরদ৷ ইবন ইয়ানড়ার দাড়িয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ্র রাসুল! আল্লাহ
উত্তম চরিত্র ভ ৷লোবাসেনঃ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লা ল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে সভার
হাতে আমার জীবন নিহি তার শপথ করে বলছি, সুন্দর চরিত্র ছাড়া কেন ব্যক্তি জান্নাতে
,প্ৰবেশ করতে পারবে না ৷”


بِعَصَاهُ وَهُوَ يَقُولُ: بَدَا بَدَا كُلُّ هُدَى زَعَمَ ابْنُ رَاعِيَةِ الْمِعْزَى أَنِّي لَا أَخْرُجُ مِنْهَا وَثِيَابِي تَنْدَى حَتَّى دَخَلَ مَعَهَا الشَّقَّ فَأَبْطَأَ عَلَيْهِمْ. فَقَالَ لَهُمْ عُمَارَةُ بْنُ زِيَادٍ: وَاللَّهِ إِنَّ صَاحِبَكُمْ لَوْ كَانَ حَيًّا لَقَدْ خَرَجَ إِلَيْكُمْ بَعْدُ. قَالُوا: فَادْعُوهُ بِاسْمِهِ قَالَ: فَقَالُوا: إِنَّهُ قَدْ نَهَانَا أَنْ نَدْعُوَهُ بِاسْمِهِ. فَدَعَوْهُ بِاسْمِهِ فَخَرَجَ وَهُوَ آخِذٌ بِرَأْسِهِ فَقَالَ: أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَدْعُونِي بِاسْمِي فَقَدْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُونِي فَادْفِنُونِي فَاذَا مَرَّتْ بِكُمُ الْحُمُرُ فِيهَا حِمَارٌ أَبْتَرُ فَانْبِشُونِي فَإِنَّكُمْ تَجِدُونِي حَيًّا فَدَفَنُوهُ فَمَرَّتْ بِهِمُ الْحُمُرُ فِيهَا حِمَارٌ أَبْتَرُ فَقُلْنَا: انْبِشُوهُ فَإِنَّهُ أَمَرَنَا أَنْ نَنْبِشَهُ فَقَالَ لَهُمْ عُمَارَةُ: لَا تَنْبِشُوهُ، لَا وَاللَّهِ لَا تُحَدِّثُ مُضَرُ أَنَّا نَنْبُشُ مَوْتَانَا، وَقَدْ كَانَ قَالَ لَهُمْ خَالِدٌ: إِنَّ فِي عِكْمِ امْرَأَتِهِ لَوْحَيْنِ فَإِنْ أَشْكَلَ عَلَيْكُمْ أَمْرُّ فَانْظُرُوا فِيهِمَا فَإِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ مَا تَسْأَلُونَ عَنْهُ قَالَ: وَلَا يَمَسَّهُمَا حَائِضٌ فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَى امْرَأَتِهِ سَأَلُوهَا عَنْهُمَا فَأَخْرَجَتْهُمَا إِلَيْهِمْ، وَهِيَ حَائِضٌ فَذَهَبَ مَا كَانَ فِيهِمَا مِنْ عِلْمٍ. قَالَ أَبُو يُونُسَ: قَالَ سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ سُئِلَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ذَاكَ نَبِيٌّ أَضَاعَهُ قَوْمُهُ قَالَ أَبُو يُونُسَ: قَالَ سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ إِنَّ ابْنَ خَالِدِ بْنِ سِنَانٍ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَرْحَبًا بِابْنِ أَخِي
পৃষ্ঠা - ১৩৪৪
فَهَذَا السِّيَاقُ مَوْقُوفٌ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَيْسَ فِيهِ أَنَّهُ كَانَ نَبِيًّا وَالْمُرْسَلَاتُ الَّتِي فِيهَا أَنَّهُ نَبِيٌّ لَا يُحْتَجُّ بِهَا هَاهُنَا وَالْأَشْبَهُ أَنَّهُ كَانَ رَجُلًا صَالِحًا لَهُ أَحْوَالٌ وَكَرَامَاتٌ فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ فِي زَمَنِ الْفَتْرَةِ فَقَدْ ثَبَتَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ أَنَا» ; لِأَنَّهُ لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ وَإِنْ كَانَ قَبْلَهَا فَلَا يُمْكِنُ أَنْ يَكُونَ نَبِيًّا لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ {لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أَتَاهُمْ مِنْ نَذِيرٍ مِنْ قَبْلِكَ} [القصص: 46] الْقِصَصِ: 46] وَقَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمْ يَبْعَثْ بَعْدَ إِسْمَاعِيلَ نَبِيًّا فِي الْعَرَبِ، إِلَّا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمَ الْأَنْبِيَاءِ، الَّذِي دَعَا بِهِ ابْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ بَانِي الْكَعْبَةِ الْمُكَرَّمَةِ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ قِبْلَةً لِأَهْلِ الْأَرْضِ شَرْعًا، وَبَشَّرَتْ بِهِ الْأَنْبِيَاءُ لِقَوْمِهِمْ حَتَّى كَانَ آخِرَ مَنْ بَشَّرَ بِهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَبِهَذَا الْمَسْلَكِ بِعَيْنِهِ يُرَدُّ مَا ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ إِرْسَالِ نَبِيٍّ مِنَ الْعَرَبِ يُقَالَ لَهُ: شُعَيْبُ بْنُ ذِي مِهْذَمِ بْنِ شُعَيْبِ بْنِ صَفْوَانَ صَاحِبُ مَدْيَنَ، وَبُعِثَ إِلَى الْعَرَبِ أَيْضًا حَنْظَلَةُ بْنُ صَفْوَانَ فَكَذَّبُوهُمَا فَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَى الْعَرَبِ بُخْتُنَصَّرَ فَنَالَ مِنْهُمْ مِنَ الْقَتْلِ وَالسَّبْيِ نَحْوَ مَا نَالَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَذَلِكَ فِي زَمَنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَؤُلَاءِ كَانُوا قَوْمًا صَالِحِينَ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُ عَمْرِو بْنِ لُحَيِّ بْنِ قَمَعَةَ بْنِ خِنْدِفَ فِي أَخْبَارِ خُزَاعَةَ بَعْدَ جُرْهُمٍ.
পৃষ্ঠা - ১৩৪৫
ষ্ষ্


আদী ইবন হাতিম এর বৈপিত্রেয় ভাই এর বরাতে বলেন০ ং হাতিম এর শ্রী নাওয়াবকে বলা

হয় হাতিম সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু শুনাও ৷ তিনি বললেন, তার সব ব্যাপারই ছিল অবাক
হওয়ার মতো ৷ একবার আমরা দৃর্শিক্ষে আক্রান্ত হলাম ৷ তাতে সব কিছুই আক্র৷ ত হলো এর
ফলে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেল ৷ আকাশ ধুলাবালিতে ছেয়ে গেলো ৷ স্তন্য দ ত্রীদের দুধ
শুকিয়ে গেল ৷ উটগুলো এমনই দুর্বল কঙ্কালসার হয়ে পড়ে যে , এক ফোটা দুধও দিতে পারছিল
না ৷ অর্থ সম্পদ নিশ্চিহ্ন করে দেয় যে দৃর্ভিক্ষ ৷ আমরা এক শীতের রাতে এক নির্জন প্রাম্ভেরে
ছিলাম ৷ ক্ষুধার তীব্রতায় শিশুরা চিৎকার জুড়ে দেয়, চিৎকার জুড়ে দেয় আব্দুল্লাহ ৷ আদী এবং
সাফানা ৷ থােদার কসম , আমরা কোন কিছু পেলে তা দিয়ে তাদেরই ব্যবস্থা করতাম ৷ তিনি
একটি শিশুকে এবং আমি কন্যাটিকে কোলে তুলে নিলাম এবং প্রবোধ দিতে লাগলাম ৷
আল্পাহ্র কলম, বেশ কিছু রাত অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তারা নীরব হলো না ৷ অতঃপর
আমরা অপর পুত্রটির দিকে মনোনিবেশ করি ৷ তাভৈ?ণ্ক প্রবােধ দিলে অতিকা,ষ্ট তাকে চুপ করা
গেল ৷ অতঃপর আমরা শাম দেশীয় একটা মখমলের চাদব বিছাই এবং শিশুদেরকে তার
উপর শোয়াই ৷ তিনি আর আমি একটা কক্ষে ঘুমাই ৷ সন্তানরাও ছিল আমাদের মধ্যস্থলে ৷
এরপর তিনি আমার দিকে এগিয়ে এলেন আমাকে প্রবােধ দেয়ার জন্য যাতে আমি ঘুমাক্রুন্ন্
পারি ৷ আর তিনি যে কি চান, তা-ও আমি বুঝতে ৩পারি ৷ তখন আমি ঘুমেরভ তান ৷কবি ৷ আমাকে
বললেন, হলোটা কী? তুমি কি ঘুমিয়েছ গো? আমি চুপ করে রইলাম ৷ তখন, তিনি বললেন, সে
তো দেখছি ঘুমিয়েই পড়েছে ৷ অথচ আমার চোখে ঘুম ছিল না ৷ রাত্রি যখন তাদেরকে আচ্ছন্ন
করে নেয়, নক্ষত্র যখন অম্ভর্ধান করে চতুর্দিকের শব্দ আর কােলাহল থেমে গিয়ে যখন পুর্ণ
নিস্তব্ধত ৷ বিরাজ করে ৷

তখন র্তাবুটির কোন এককোণ কে একজন যেন উঠিয়ে দিল ৷ তখন তিনি বললেন, এখানে
কে? তখন সে ফিরে গেলো ৷ রাত ভোর হলে সে ফিরে আসে ৷ আবার তিনি বললেন : কে?
সে বললো-হে আদীর পিতা ৷ আমি তোমার অমুক প্ৰতিবেশিনী ৷ চিংকার করে রোদন করা আর
ডাকার জন্য তোমাকে ছাড়া আর কা ৷উকে আমি প৷ ৷ইনি ৷ আমার এমন সন্তানদের নিকট থেকে
তোমার কাছে এসেছি, যারা ক্ষুধায় নেকভ্রুড়র মতে ৷ চীৎকার দিচ্ছে ৷ তিনি বললেন দেরী না
করে এক্ষুণইতু তাদেরকে আমার কাছে নিয়ে এসে৷ ৷ নাওয়ার বললে? আমি ছুটে এসে
বললাম তুমি একি করেছ? শুয়ে পড়ো ৷ আল্লাহর কলম, তোমার সন্তানরা ক্ষুধায় ছটফট
করছে ৷ তাদেরকে প্ৰবােধ দেয়ার মতে৷ কিছু তুমি পাওনি ৷ কি হবে ঐ মহিলা আর তার
সন্তানদের নিয়ে? তিনি বলললেন৪ তুমি থাম ৷ ইন্শা আল্লাহ আমিও তামাকে তৃপ্ত করবো ৷ তিনি
বলেন, সে মহিলাটি এগিয়ে আসে, দু’জন শিশুকে সে বহন করছিল আর চারজন শিশু হেটে
চলছিল তার ডানে বারে ৷ যেন সে উটপাথী আর তার চাবিপার্শে বাচ্চাগুলো ৷ হাতিম আপন
ঘোড়ার দিকে এগিয়ে যান এবং তার বুকে বর্শা দিয়ে আঘাত করে তারপর চক্মকি পাথর ঘষে
আগুন জ্বালান ৷ এরপর ছোরা দিয়ে চামড়া ছিলে ফেলে তার শ্রী লোকদের হাতে তুলে দিয়ে
বললেন, তুমি নিয়ে যাও ৷ তিনি এবং তোমার সন্তানদেরকে পাঠ৷ ৷ও ৷ সেত তার শিশু সন্তানদের
পাঠায় ৷ এরপর তিনি বলেন : শরম শরম তোমরা কি চর্মসার লোকগুলােকে রেখে খাবে ৷


[ذِكْرُ حَاتِمٍ الطَّائِيِّ أَحَدِ أَجْوَادِ الْجَاهِلِيَّةِ] وَهُوَ حَاتِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ الْحَشْرَجِ بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ أَخْزَمَ بْنِ أَبِي أَخْزَمَ، وَاسْمُهُ هَزُومَةُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ جَرْوَلِ بْنِ تُعَلَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْغَوْثِ بْنِ طَيِّئٍ أَبُو سَفَّانَةَ الطَّائِيُّ وَالِدُ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ الصَّحَابِيِّ كَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَذَلِكَ كَانَ ابْنُهُ فِي الْإِسْلَامِ، وَكَانَتْ لِحَاتِمٍ مَآثِرُ وَأُمُورٌ عَجِيبَةٌ، وَأَخْبَارٌ مُسْتَغْرَبَةٌ فِي كَرَمِهِ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ يَقْصِدُ بِهَا وَجْهَ اللَّهِ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ قَصْدُهُ السُّمْعَةَ وَالذِّكْرَ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ وَاقَدٍ الْقَيْسِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو مُضَرَ هُوَ النَّاجِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ «ذُكِرَ حَاتِمٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ذَاكَ أَرَادَ أَمْرًا فَأَدْرَكَهُ» حَدِيثٌ غَرِيبٌ قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ عُبَيْدُ بْنُ وَاقَدٍ عَنْ أَبِي مُضَرَ النَّاجِيِّ، وَيُقَالُ: إِنَّ اسْمَهُ حَمَّادٌ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ فَرَّقَ
পৃষ্ঠা - ১৩৪৬
أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ بَيْنَ أَبِي مُضَرَ النَّاجِيِّ وَبَيْنَ أَبِي نَصْرٍ حَمَّادٍ وَلَمْ يُسَمِّ النَّاجِيَّ، وَوَقَعَ فِي بَعْضِ رِوَايَاتِ الْحَافِظِ ابْنِ عَسَاكِرَ عَنْ أَبِي نَضْرٍ شَيْبَةَ النَّاجِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ مُرَيِّ بْنِ قَطَرِيٍّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ «قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَبِي كَانَ يَصِلُ الرَّحِمَ وَيَفْعَلُ وَيَفْعَلُ فَهَلْ لَهُ فِي ذَلِكَ؟ يَعْنِي: مِنْ أَجْرٍ قَالَ: إِنَّ أَبَاكَ طَلَبَ شَيْئًا فَأَصَابَهُ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنِ الْقَوَارِيرِيِّ عَنْ غُنْدَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سِمَاكٍ بِهِ، وَقَالَ: «إِنَّ أَبَاكَ أَرَادَ أَمْرًا فَأَدْرَكَهُ يَعْنِي الذِّكْرَ» ، وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْجَعْدِ عَنْ شُعْبَةَ بِهِ سَوَاءً. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ فِي الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ تُسَعَّرُ بِهِمْ جَهَنَّمُ، مِنْهُمُ الرَّجُلُ الَّذِي يُنْفِقُ لِيُقَالَ: إِنَّهُ كَرِيمٌ فَيَكُونُ جَزَاؤُهُ أَنْ يُقَالَ ذَلِكَ فِي الدُّنْيَا، وَكَذَا فِي الْعَالَمِ وَالْمُجَاهِدِ، وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ فِي الصَّحِيحِ «أَنَّهُمْ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ১৩৪৭
ষ্ষ্


এরপর তিনি তাদের মধ্যে ঘুরতে শুরু করেন ৷ এক পর্যায়ে তাদের সংকোচ দুর হয় এবং তারা
তার কাছে ঘেষে এবং তার কাপড় জড়িয়ে ধরে ৷ এরপর তিনি কাত হয়ে এককােণে শুয়ে
পড়েন, আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন ৷ আল্লাহ্র কসম, তিনি এক র্টুকরা পােশত বা এক
ঢেকে পানিও স্পর্শ করলেন না ৷ অথচ তার প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশী ৷ এ অবস্থায় আমাদের
ভোর হল ৷ আর আমাদের কাছে ঘোড়াটির হাডিদ্র আর খুর ছাড়া আর কিছুই ছিল না ৷

দারা কুতনী বলেন : কাযী আবু আবদুল্লাহ আল মাহামিলী আমার নিকট বর্ণনা করে
বলেন : হাতিমের স্তী হড়াতিমকে বললেন, হে আবু সাফানা, আমি এবং ভুমি একাভে খাবার
যেতে চাই, যেখানে আর কেউই থাকবে না ৷ স্বামী ত্রীকে সে অনুমতি দিলেন ফলে তিনি তার
র্তাবু লোকালয় থেকে এক ক্রোশ দুরে সরিয়ে নিলেন এবং তাকে খাদ্য প্রন্তুতের নির্দেশ দান
করলেন এবং সে মতে খাদ্য প্রস্তুত করা হলো ৷ এসময় স্বামী স্তী উভয়ের জন্য পর্দা ঝুলড়ানাে
হল ৷ খাদ্য পাক সম্পন্ন হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে হাতিম মাথা বের করে বললেন :

ঠো
আমার উপর তোমার পর্দায় আড়াল রেখে পাকড়াবে না এমন হৰু:ল তুমি যা পাকায়ে, তা
আমার জন্য হারাম হবে ৷ কিন্তু তা পাকানাের সময় হলে পাক করবে, আগুন জ্বালারে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এর পর তিনি পর্দা উন্মেড়াচন করেন,খাদ্য সম্মুখে এগিয়ে দেন এবং
লোকজনকে ডাকলেন, তিনি এবং অন্যরা মিলে খাবার খেলেন ৷ তখন হাতিম তাই’র ত্রী
বললেন : আমাকে যা বলেছিলে , তা তো পুরণ করলে না ! তখন জবাবে তিনি বললেন : আমার
মন আমার নিকট অধিক সম্মানের পাত্র ৷ প্রসংসা পাওয়ার উর্ধে আমার মন ৷ আর আমার
বদান্যতা তো পুর্ব থেকেই খ্যাত ৷ অতঃপর তিনি বললেন :
১াএ
আমার প্ৰতিবেশিনী আমার সম্পর্কে এছাড়া কোন অভিযোগ করেন৷ যে, যখন তার স্বামী
দুরে থাকে আমি তাকে দেখতে যইি না ৷
আমার দান পৌছবে তার নিকট এবং ফিরে আসবে তার স্বামী অথচদ্ভ ভেদ ঘরা হবে
না তার পর্দা ৷
হাতিম তাই’র আরো কিছু কবিতার পংক্তি :
৫ইন্এন্ন্
আমি যখন রজনী যাপন করি প্রভাবিত করি আমার প্রতিবেশীর শ্ৰীকে, যাতে আধার ঢেকে
নেয় আমাকে, আমি আর গোপন থাকি না ৷

আমি লজ্জিত করবো আমার প্রতিবেশিনীকে আর বিশ্বাষ ঘাতঘতা করবো আমার
প্ৰতিবেশীর সঙ্গে ৷ না, আল্লাহ্র কসম, যতদিন বেচে থাকি, তা করতে পারিনা ৷


عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُدْعَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ فَقَالُوا لَهُ: كَانَ يَقْرِي الضَّيْفَ وَيَعْتِقُ وَيَتَصَدَّقُ فَهَلْ يَنْفَعُهُ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَقُلْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ رَبِّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ» هَذَا وَقَدْ كَانَ مِنَ الْأَجْوَادِ الْمَشْهُورِينَ أَيْضًا الْمُطْعِمِينِ فِي السِّنِينَ الْمُمْحِلَةِ وَالْأَوْقَاتِ الْمُرْمِلَةِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْعُمَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عُبَيْدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا ضِرَارُ بْنُ صُرَدَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُنْدُبٍ عَنْ كُمَيْلِ بْنِ زِيَادٍ النَّخَعِيِّ قَالَ «قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: يَا سُبْحَانَ اللَّهِ مَا أَزْهَدَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فِي خَيْرٍ، عَجَبًا لِرَجُلٍ يَجِيئُهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ فِي حَاجَةٍ فَلَا يَرَى نَفْسَهُ لِلْخَيْرِ أَهْلًا فَلَوْ كَانَ لَا يَرْجُو ثَوَابًا وَلَا يَخْشَى عِقَابًا لَكَانَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُسَارِعَ فِي مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ فَإِنَّهَا تَدُلُّ عَلَى سَبِيلِ النَّجَاحِ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ وَقَالَ: فِدَاكَ أَبِي وَأمِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَسَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ. وَمَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ لَمَّا أُتِيَ بِسَبَايَا طَيِّئٍ وَقَعَتْ جَارِيَةٌ حَمْرَاءُ لَعْسَاءُ ذَلْفَاءُ عَيْطَاءُ شَمَّاءُ الْأَنْفِ، مُعْتَدِلَةُ الْقَامَةِ وَالْهَامَةِ، دَرْمَاءُ الْكَعْبَيْنِ، خَدْلَةُ السَّاقَيْنَ، لَفَّاءُ الْفَخِذَيْنِ، خَمِيصَةُ الْخَصْرَيْنِ، ضَامِرَةُ الْكَشْحَيْنِ، مَصْقُولَةُ الْمَتْنَيْنِ قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهَا أُعْجِبْتُ بِهَا، وَقُلْتُ: لَأَطْلُبَنَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَجْعَلُهَا فِي فَيْئِي فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ১৩৪৮
تَكَلَّمْتُ أُنْسِيتُ جَمَالَهَا; لِمَا رَأَيْتُ مِنْ فَصَاحَتِهَا فَقَالَتْ: يَا مُحَمَّدُ إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُخَلِّيَ عَنِّي وَلَا تُشْمِتْ بِيَ أَحْيَاءَ الْعَرَبِ فَإِنِّي ابْنَةُ سَيِّدِ قَوْمِي، وَإِنَّ أَبِي كَانَ يَحْمِي الذِّمَارَ، وَيَفُكُّ الْعَانِيَ، وَيُشْبِعُ الْجَائِعَ، وَيَكْسُو الْعَارِيَ، وَيَقْرِي الضَّيْفَ، وَيُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَيُفْشِي السَّلَامَ، وَلَمْ يَرُدَّ طَالِبَ حَاجَةٍ قَطُّ، وَأَنَا ابْنَةُ حَاتِمِ طَيِّئٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا جَارِيَةُ هَذِهِ صِفَةُ الْمُؤْمِنِينَ حَقًّا لَوْ كَانَ أَبُوكِ مُؤْمِنًا لَتَرَحَّمْنَا عَلَيْهِ خَلُّوا عَنْهَا فَإِنَّ أَبَاهَا كَانَ يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ وَاللَّهُ تَعَالَى يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ فَقَامَ أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهُ يُحِبُّ مَكَارِمَ الْأَخْلَاقِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ أَحَدٌ إِلَّا بِحُسْنِ الْخُلُقِ» . وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ بَكْرٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِيِّ - هُوَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ - عَنْ مِلْحَانَ عَنْ عَرْكِيِّ بْنِ حَلْبَسٍ الطَّائِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ - وَكَانَ أَخَا عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ لِأُمِّهِ - قَالَ: قِيلَ لِنَوَارَ امْرَأَةِ حَاتِمٍ: حَدِّثِينَا عَنْ حَاتِمٍ قَالَتْ: كُلُّ أَمْرِهِ كَانَ عَجَبًا; أَصَابَتْنَا سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَيْءٍ فَاقْشَعَرَّتْ لَهَا الْأَرْضُ وَاغْبَرَّتْ لَهَا السَّمَاءُ، وَضَنَّتِ الْمَرَاضِعُ عَلَى أَوْلَادِهَا، وَرَاحَتِ الْإِبِلُ حَدْبَاءَ حَدَابِيرَ مَا تَبِضُّ بِقَطْرَةٍ،
পৃষ্ঠা - ১৩৪৯
ষ্ষ্


হাতিম তাইর আরো কিছু কাবতার পংক্তি :

চক্ষু মুদে নেই যখন বের হয় আমার প্রতিবেশিনী, এমনকি ঢেকে নেয় আমার
প্রতিবেশিনীকে পর্দা ৷

হাতিম ভাইয়ের আরো কিছু কবিতার পংক্তি :

অড়ামর স্বভাব নয় চাচাভাে ভাইকে পালি দেওয়া, যে আমার নিকট কিছু কামনা করে , আমি
তাকে নিরাশ করি না ৷


বিনা দােষে নিন্দুক আর হিংসুকের কথা , আমি ণ্ডান্ৰ বলি-চলে যাও আর আমাকে রক্ষা
কর ৷

তাদের নিন্দাবাদ আমাকে ক্লান্ত করে না এবং তা আমাকে ঘর্মাক্ত করে না ৷
মোঃএ এেএএ

আর মিলিত হয় আমার সঙ্গে ম্বিমুখী ব্যক্তি (মুনাফিক) হাসি-খুশী, তার অম্ভর্ধান আমাকে
ব্যথিত করে না ৷

ত্বেহুন্া১গ্লু

আমি জয় করে নেই তার ঘোষ এবং বিরত থাকি তার থেকে, আমার বংশ আর ধর্ম রক্ষা
করার কারণে ৷

তার আরো কিছু কবিতা থেকে
গ্লোট্রুণ্প্রু এেণ্াও :ওে ন্ধে১াওা

হে উম্মে মালিক, শীতার্ত বিপন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করো, যখন সে আসে আমার কাছে
আগুন আর জবাইখানার মাঝে ৷

কাযী আবুল ফারজল মুআফী আবু উবায়দার সুত্রে বলেন, করি যুতালম্মিস এর এ নিম্নোক্ত
উক্তি শুনে হাতিম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন-


সামান্য সম্পদ তার মালিকের কল্যাণ সাধন করে, আর তা দীর্ঘস্থায়ী হয়, আর বিপর্যয়ের
সঙ্গে রেশী সম্পদও দীর্ঘস্থায়ী হয় না ৷


وَحَلَقَ الْمَالُ، وَإِنَّا لَفِي لَيْلَةٍ صِنَّبْرٍ بَعِيدَةِ مَا بَيْنَ الطَّرَفَيْنِ، إِذْ تَضَاغَى الْأَصْبِيَةُ مِنَ الْجُوعِ; عَبْدُ اللَّهِ وَعَدِيٌّ وَسَفَّانَةُ فَوَاللَّهِ إِنْ وَجَدْنَا شَيْئًا نُعَلِّلُهُمْ بِهِ فَقَامَ إِلَى أَحَدِ الصَّبِيَّيْنِ فَحَمَلَهُ، وَقُمْتُ إِلَى الصَّبِيَّةِ فَعَلَّلْتُهَا فَوَاللَّهِ إِنْ سَكَتَا إِلَّا بَعْدَ هَدْأَةٍ مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ عُدْنَا إِلَى الصَّبِيِّ الْآخَرِ فَعَلَّلْنَاهُ حَتَّى سَكَتَ وَمَا كَادَ، ثُمَّ افْتَرَشْنَا قَطِيفَةً لَنَا شَامِيَّةً ذَاتَ خَمْلٍ فَأَضْجَعْنَا الصِّبْيَانَ عَلَيْهَا، وَنِمْتُ أَنَا وَهُوَ فِي حُجْرَةٍ وَالصِّبْيَانُ بَيْنَنَا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ يُعَلِّلُنِي لِأَنَامَ، وَعَرَفْتُ مَا يُرِيدُ فَتَنَاوَمْتُ. فَقَالَ مَالَكِ أَنِمْتِ؟ فَسَكَتُّ. فَقَالَ: مَا أُرَاهَا إِلَّا قَدْ نَامَتْ وَمَا بِيَ نَوْمٌ فَلَمَّا ادْلَهَمَّ اللَّيْلُ، وَتَهَوَّرَتِ النُّجُومُ، وَهَدَأَتِ الْأَصْوَاتُ، وَسَكَّنَتِ الرِّجْلُ إِذَا جَانَبُ الْبَيْتِ قَدْ رُفِعَ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَوَلَّى حَتَّى إِذَا قُلْتُ: قَدْ أَسْحَرْنَا أَوْ كِدْنَا عَادَ. فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَتْ: جَارَتُكَ فُلَانَةُ يَا أَبَا عَدِيٍّ مَا وَجَدْتُ عَلَى أَحَدٍ مُعَوَّلًا غَيْرَكَ، أَتَيْتُكَ مِنْ عِنْدِ أَصَبِيَّةٍ يَتَعَاوَوْنَ عُوَاءَ الذِّئْبِ مِنَ الْجُوعِ. قَالَ: أَعَجِلِيهِمْ عَلَيَّ قَالَتْ النَّوَارُ: فَوَثَبْتُ فَقُلْتُ: مَاذَا صَنَعْتَ؟ وَاللَّهِ لَقَدْ تَضَاغَى أَصَبِيَتُكَ فَمَا وَجَدْتَ مَا تُعَلِّلُهُمْ فَكَيْفَ بِهَذِهِ وَبِوَلَدِهَا؟ فَقَالَ: اسْكُتِي فَوَاللَّهِ لَأُشْبِعَنَّكِ وَإِيَّاهُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَتْ: فَأَقْبَلَتْ تَحْمِلُ اثْنَيْنِ وَتَمْشِي جَنْبَتَيْهَا أَرْبَعَةٌ كَأَنَّهَا نَعَامَةٌ حَوْلَهَا رِئَالُهَا فَقَامَ إِلَى فَرَسِهِ فَوَجَأَ بِحَرْبَتِهِ فِي لِبَتِّهِ، ثُمَّ قَدَحَ زِنْدَهُ، وَأَوْرَى نَارَهُ، ثُمَّ جَاءَ بِمُدْيَةٍ
পৃষ্ঠা - ১৩৫০
ষ্ষ্


ষ্ঠাংএ
আর সম্পদ উজাড় করার চেয়ে তা রক্ষা করা উত্তম, আর কোন রকম পুজি ছাড়া দেশ
ভ্রমণ ভ্রষ্টতারুপ ৷

এ কবিতা শুনে তিনি বলেন তার হয়েছে কী? আল্লাহ তার জিহ্বা ক৩ ’:; করুন তিনি
মানুষকে কৃপণতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন ৷ তিনি কেন বলেননি

এে
বদান্যতা সম্পদ বিনাশ করে না ধ্বংসের পুর্বে, আর কৃপণতা বৃদ্ধি সাধন করে না কৃপণের
সম্পদে ৷

১ধ্রুট্ট
অনটনে জীবন যাপনের জন্য সম্পদ কামনা করবে না, সকল ন৩ ভুন দিনের জন্য নতুন
জীবিকা আছে, যা আসরেই ৷


তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, সম্পদ সকালে আসে আর বিকালে চলে যায় , আর তোমাকে
যিনি দান করেন তিনি তোামােটেই দুরে নন ৷ কাযী আবুল ফারাজ বলেন হাতিম তাঈ কী
চমৎকার কথাই না বলেছেন, ওোমাকে যিনি দিয়ে থাকেন তিনি মোটেই দুরে নন ৷ তিনি যদি

ইসলাম গ্রহণ করতেন তাহলে পরকা সে তার মুক্তির আশা করা যেতো ৷ আল্লাহ তা আলা তার
কিভাবে বলেছেন :

ধ্ফুএে ট্রু,এে «fl ৷ ৷প্রুট্রুট্রু;ঠুা
তোমরা আল্লাহ্র নিকট তার অনুগ্রহ৩ ভিক্ষাকর ৷ (৪ নিসাং : ৩২)
আল্লাহ আরো বলেন :

;হ্রপ্রুপ্রুঙ্;া৷চ্াপ্রুগ্লু

আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞেস করলে (তুমি বলবে) আমি তো নিকটেই
আছি ৷ আহ্বানকারী যখন আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দেই ৷ ( ২ বাকারা : ১৮৬)

ওয়াযাহ্ ইবন মা বাদ আ ঈ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনং হাতিম তাঈ একদা নু’মান
ইবন মুনৃযির এর অতিথি হলে তিনি অতিথিকে সসম্মানে বরণ করে নেন, নিকটে বসান এবং
ফিরে যাওয়ার সময় তাকে দুই উট বোঝাইার্ণ-রৌপ্য দান করেন ৷ এ ছাড়াও তিনি অনেক
দেশীয় উপহার সামগ্রী দান করেন ৷ সে সব সামগ্রী নিয়ে তিনি প্রস্থান করেন ৷ তিনিাজনদের
নিকটবর্তী হলে তায় কবীলার বেদৃইনদের সঙ্গে তার সাক্ষাত ঘটে ৷ তারা বললো : হে হাতিম !
তুমি তো এসেছ বাদশাহের নিকট থেকে আর আমরা এসেছিাজনদের নিকট থেকে দারিদ্র্য
নিয়ে ৷ তখন হাতিম বললেন : এসো, আমার সম্মুখে যা কিছু আছে তা নিয়ে যাও ৷ তারা তার


فَكَشَطَ عَنْ جِلْدِهِ، ثُمَّ دَفَعَ الْمُدْيَةَ إِلَى الْمَرْأَةِ، ثُمَّ قَالَ: دُونَكِ، ثُمَّ قَالَ: ابْغِنِي صِبْيَانَكِ فَبَغَيْتُهُمْ، ثُمَّ قَالَ: سَوْأَةٌ أَتَأْكَلُونَ شَيْئًا دُونَ أَهْلِ الصِّرْمِ؟ فَجَعَلَ يُطَوِّفُ فِيهِمْ حَتَّى هَبُّوا وَأَقْبَلُوا عَلَيْهِ وَالْتَفَعَ فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ اضْطَجَعَ نَاحِيَةً يَنْظُرُ إِلَيْنَا، لَا وَاللَّهِ مَا ذَاقَ مِزْعَةً، وَإِنَّهُ لِأَحْوَجُهُمْ إِلَيْهِ فَأَصْبَحْنَا وَمَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْهُ إِلَّا عَظْمٌ أَوْ حَافِرٌ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدَّثَنِي الْقَاضِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَحَامِلِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ، وَحَدَّثَنَا غُنْمُ بْنُ ثَوَابَةَ بْنِ حُمَيْدٍ الطَّائِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَتِ امْرَأَةُ حَاتِمٍ لِحَاتِمٍ: يَا أَبَا سَفَّانَةَ أَشْتَهِي أَنْ آكُلَ أَنَا وَأَنْتَ طَعَامًا وَحْدَنَا لَيْسَ عَلَيْهِ أَحَدٌ فَأَمَرَهَا فَحَوَّلَتْ خَيْمَتَهَا مِنَ الْجَمَاعَةِ عَلَى فَرْسَخٍ، وَأَمَرَ بِالطَّعَامِ فَهُيِّئَ، وَهِيَ مُرْخَاةٌ سُتُورُهَا عَلَيْهِ وَعَلَيْهَا فَلَمَّا قَارَبَ نُضْجُ الطَّعَامِ كَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ: فَلَا تَطْبُخِي قِدْرِي وَسِتْرُكِ دُونَهَا ... عَلَيَّ إِذَنْ مَا تَطْبُخِينَ حَرَامُ
পৃষ্ঠা - ১৩৫১
وَلَكِنْ بِهَذَاكِ الْيَفَاعِ فَأَوْقِدِي بِجَزْلٍ إِذَا أَوْقَدْتِ لَا بِضِرَامِ قَالَ: ثُمَّ كَشَفَ السُّتُورَ وَقَدَّمَ الطَّعَامَ، وَدَعَا النَّاسَ فَأَكَلَ وَأَكَلُوا فَقَالَتْ: مَا أَتْمَمْتَ لِي مَا قُلْتَ فَأَجَابَهَا: فَإِنِّي لَا تُطَاوِعُنِي نَفْسِي وَنَفْسِي أَكْرَمُ عَلَيَّ مِنْ أَنْ يُثْنَى عَلَيَّ هَذَا وَقَدْ سَبَقَ لِيَ السَّخَاءُ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: أُمَارِسُ نَفْسَ الْجُودِ حَتَّى أُعِزُّهَا ... وَأَتْرُكُ نَفْسَ الْبُخْلِ مَا أَسْتَشِيرُهَا وَلَا تَشْتَكِينِي جَارَتِي غَيْرَ أَنَّهَا ... إِذَا غَابَ عَنْهَا بَعْلُهَا لَا أَزُورُهَا سَيَبْلُغُهَا خَيْرِي وَيَرْجِعُ بَعْلُهَا ... إِلَيْهَا وَلَمْ تُقْصَرْ عَلَيْهَا سُتُورُهَا وَمِنْ شِعْرِ حَاتِمٍ إِذَا مَا بِتُّ أَشْرَبُ فَوْقَ رِيِّي ... لِسُكْرٍ فِي الشَّرَابِ فَلَا رَوِيتُ إِذَا مَا بِتُّ أَخْتِلُ عِرْسَ جَارِي ... لِيُخْفِيَنِي الظَّلَامُ فَلَا خَفِيتُ أَأَفْضَحُ جَارَتِي وَأَخُونُ جَارِي ... فَلَا وَاللَّهِ أَفْعَلُ مَا حَيِيتُ
পৃষ্ঠা - ১৩৫২
ষ্ষ্


সম্মুখ থেকে ছোবল মেরে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই তাপ-বণ্টন করে নেয় ৷ এমনকি তার
সম্মুখ থেকে নুমানের প্রদত্ত সমস্ত বিশেষ উপটোকনও তারা বণ্টন করে ফেলে ৷ এসময়
হাতিমের দিকে এগিয়ে আসে তার দাসী তরীফা এবং বলে, আল্লাহ্কে ভয় কর এবং নিজের
জন্যও কিছু অবশিষ্ট রাখ ৷ এরা তো দেখছি দীনার-দিরহাম আর উটছাগলভেড়া কিছুই বাদ
দেবে না ৷ তখন তিনি বলেন :

ধ্ষ্শু৬ ;ন্এে

তরীফা বললো, থাকবেনা আমাদের একটা দিরহাম’ও আমাদের তো অপচয় করার বা দান
করার কিছুটা রইলাে না৷ ৷

আমাদের নিকট যা আছে তা ফুরিয়ে গেলেও আল্লাহ দেবেন আমাদেরকে জীবিকা, এমন

লোকদের নিকট থেকে, যারা আমাদের অন্তর্গত নয় ৷ আমরা তো নিজেরা নিজেদের জীবিকা
দাতা নই ৷

জোড়া লাপাতে পাবেনা আমাদের ক্ষরিষ্ণু দিরহাম আমাদের ছিন্ন বস্ত্রকে তবে কিনা তার
উপর দিয়ে বয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত চলে যায় ৷


কোন দিন যদি একত্র হয় আমাদের দিরহাম তাহলে আমরা এমন যে, আমাদের দিরহাম
প্রতিযোগিতায় প্ৰবৃত্ত হয়ে এগিয়ে যায় কল্যাণকর কাজে ৷

আবু বকর ইবন আইয়াশ বলেন : একদা হাতিম তাঈকে জিজ্ঞেস করা হয়, আরবে কি
আপন্যার চাইতে অধিকতর বদান্যশীল কেউ আছেন? জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি আরবই
আমার চেয়ে বড় দাতা ৷ অতঃপর তিনি বলতে শুরু করেন, এক রাত্রে আমি আরবের এক
এতীম বালকের অতিথি হলাম ৷ এতীম বালকটির ছিল একশ ছাগল ৷ সেখান থেকে সে আমার
জন্য একটা রকরী জৰাই করলো ৷ এবং তা (পাক করে) আমার নিকট উপস্থিত করলো ৷
বালকটি আমার নিকট বকরীর মগজ উপস্থিত করলে আমি তাকে বললাম-কতই না মজাদার এ
মগজ ৷ তিনি বলেন, এ ভাবে সে (এক এক করে বার বার) মগজ আনতে থাকে ৷ অবশেষে
যখন ভোর হলো যে একশ টা বকরীই জবাই করে ফেলেছে ৷ তার কাছে আর একটিও নেই ৷
হড়াতিমকে তখন জিজ্ঞেস করা হলো, তখন আপনি কী করলেন? তিনি বললেন ও সব কিছু
করেও কী করে আমি তার পুর্ণ শুকরিয়া আদায় করতে পড়ারতামঃ তিনি বললেন, যাই হোক
আমার উৎকৃষ্ট উক্ট্রগুলাের মধ্য থেকে তাকে আমি একশ উষ্ঠী দান করলাম ৷

মুহাম্মদ ইবন জা’ফর আল-থারাইতী তার মাকারিমুল আখলাক’ গ্রন্থে তাঈ গোত্রের জনৈক
বৃদ্ধার বরাতে বলেন, হাতিম তাই এর মাতা আনৃতারা বিনতি আফীফ ইবন আমৃর ইবন
ইমরাউল কায়েস বদান্যতা-দানশীলতার কোন কিছুই বাদ দিতেন না ৷ তার ভাইয়েরা তাকে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২য় খণ্ড) ৫২-

وَمِنْ شَعْرِهِ أَيْضًا: مَا ضَرَّ جَارًا لِي أُجَاوِرُهُ ... أَنْ لَا يَكُونَ لِبَابِهِ سِتْرُ أُغْضِي إِذَا مَا جَارَتِي بَرَزَتْ ... حَتَّى يُوَارِيَ جَارَتِي الْخِدْرُ وَمِنْ شِعْرِ حَاتِمٍ أَيْضًا وَمَا مِنْ شِيمَتِي شَتْمُ ابْنِ عَمِّي ... وَمَا أَنَا مُخْلِفٌ مَنْ يَرْتَجِينِي وَكَلْمَةَ حَاسِدٍ مِنْ غَيْرِ جُرْمٍ ... سَمِعْتُ وَقُلْتُ مُرِّي فَانْفُذِينِي وَعَابُوهَا عَلَيَّ فَلَمْ تَعِبْنِي ... وَلَمْ يَعْرَقْ لَهَا يَوْمًا جَبِينِي وَذِي وَجْهَيْنِ يَلْقَانِي طَلِيقًا ... وَلَيْسَ إِذَا تَغَيَّبَ يَأْتَسِينِي ظَفِرْتُ بِعَيْبِهِ فَكَفَفْتُ عَنْهُ ... مُحَافَظَةً عَلَى حَسَبِي وَدِينِي وَمِنْ شِعْرِهِ سَلِي الْبَائِسَ الْمَقْرُورَ يَا أُمَّ مَالِكٍ ... إِذَا مَا أَتَانِي بَيْنَ نَارِي وَمَجْزَرِي أَأَبْسُطُ وَجْهِي إِنَّهُ أَوَّلُ الْقِرَى ... وَأَبْذُلُ مَعْرُوفِي لَهُ دُونَ مُنْكَرِي وَقَالَ أَيْضًا
পৃষ্ঠা - ১৩৫৩
وَإِنَّكَ إِنْ أَعْطَيْتَ بَطْنَكَ سُؤْلَهُ ... وَفَرْجَكَ نَالَا مُنْتَهَى الذَّمِّ أَجْمَعَا وَقَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ الْجَرِيرِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْقَاسِمِ الْكَوْكَبِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْمُبَرِّدُ أَخْبَرَنِي الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ: لَمَّا بَلَغَ حَاتِمَ طَيِّئٍ قَوْلُ الْمُتَلَمِّسِ قَلِيلُ الْمَالِ تُصْلِحُهُ فَيَبْقَى ... وَلَا يَبْقَى الْكَثِيرُ عَلَى الْفَسَادِ وَحِفْظُ الْمَالِ خَيْرٌ مِنْ فَنَاهُ ... وَعَسْفٍ فِي الْبِلَادِ بِغَيْرِ زَادِ قَالَ: مَالَهُ قَطَعَ اللَّهُ لِسَانَهُ حَمَلَ النَّاسَ عَلَى الْبُخْلِ فَهَلَّا قَالَ: فَلَا الْجُودُ يُفْنِي الْمَالَ قَبْلَ فَنَائِهِ ... وَلَا الْبُخْلُ فِي مَالِ الشَّحِيحِ يَزِيدُ فَلَا تَلْتَمِسْ مَالًا بِعَيْشٍ مُقَتَّرٍ ... لِكُلِّ غَدٍ رِزْقٌ يَعُودُ جَدِيدُ أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْمَالَ غَادٍ وَرَائِحٌ ... وَأَنَّ الَّذِي يُعْطِيكَ غَيْرُ بَعِيدِ قَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ: وَلَقَدْ أَحْسَنَ فِي قَوْلِهِ: وَأَنَّ الَّذِي يُعْطِيكَ غَيْرُ بَعِيدِ وَلَوْ كَانَ مُسْلِمًا لَرُجِيَ لَهُ الْخَيْرُ فِي مَعَادِهِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ {وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ} [النساء: 32] وَقَالَ تَعَالَى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ} [البقرة: 186] وَعَنِ الْوَضَّاحِ بْنِ مَعْبَدٍ الطَّائِيِّ قَالَ: وَفَدَ حَاتِمٌ الطَّائِيُّ عَلَى النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ،
পৃষ্ঠা - ১৩৫৪
ষ্ষ্


বারণ করতো, তিনি তাদের বাধা মানতেন না ৷ আর তিনি ছিলেন ধনাচ্য মহিলা ৷ ফলে তার
লোকজন তাকে একটা ঘরে এক বছর বন্দী করে রাখে এবং সেখানে তাকে প্রাণে ৰীচড়ার
পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করে, যাতে তিনি তার বদান্যতা থােক বিরত থাকেন ৷ এক বছর পর
তারা তাকে সেখান থেকে বের করে আগে ৷ তাদের ধারণা ছিল হয়তো তিনি আগের অভ্যাস
ছেড়ে দিয়েছেন ৷ ফলে তার লোকজন তার সম্পদ থেকে একখণ্ড রৌপ্য মহিলার নিকট সমর্পণ
করে এবং বলে এগুলো ভোগ-ব্যবহার করবে ৷ একদা হাওরাযিন গোত্রের এক মহিলা তার
নিকট আগমন করে ৷ তিনি তখন নিজের সম্পদ লুকিয়ে রাখেন ৷ আগন্তুক মহিলাটি তার নিকট
যাড্ডা করে ৷ তখন তিনি বলেন, সম্পদের এই রৌপ্য খণ্ডটি তুমি নিয়ে যাও ৷ আল্লাহর কসম,
আমার এমন ক্ষুধার অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, কোন প্রার্থীকে বিমুখ করবে না বলে আমি শপথ
করেছি ৷ তখন তিনি আবৃত্তি করতে শুরু করেনঃ

এোৰু প্রুণ্ড্রএ ৷ ¢ ;, ৷ ১৷ ;, ৷ এ্ব্রে — গ্লু; প্রু১ ন্৷ ৷ ণ্ডাপুশুব্রু ৮ এে প্রুস্পে

আমার জীবনের শপথ; ক্ষুধা আমাকে এমনই আঘাত করেছে যে, আমি শপথ করেছি-
জীবনে কোন ক্ষুধাতুরকে বিমুখ করবো না ৷


তাই আজ তোমরা এই ভর্ন্তসনাকারীকে বলো আমাকে মাফ কর; আর তা না করলে
আঙ্গুল কামড়াও ৷

া১এে

তবে কি তোমরা বা তোমাদের মত নিবৃ কারীরা তোমাদের বোনকে ভ€সনা ছাড়া অন্য
কিছু বলবে বলে কি আশা করা যায় ?

৮১৮ ;এে ৷ র্দে ৷ গ্লু)প্রু ৷

আজ তোমরা যা দেখছ, তাতাে আমার স্বভাব ৷ তবে হে মোর মায়ের সন্তান ! কিরুপে আমি
আমার স্বভাব বিসর্জ্য দিতে পারিঃ হায়ছাম ইবন আদী আদীর বরাতে বলেন : আমি হাতিমের
নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি নিজেকে ভর্ন্তসনা করছিলেন ৷ আমাকে বললেন, বৎস ! আমি মনে
মনে তিনটি অত্যাসের প্রতিজ্ঞা করছি ৷ আল্লাহর কসম, আমি প্রতিবেশীর ত্রীর সঙ্গে কোন
সন্দেহজনক আচরণ করিনি কখনো ৷ আমার নিকট যে আমানত রাখা হয়েছে, তা অবশ্যই
ফেরৎ দান করেছি এবং আমি কোন দিন কারো মনে কষ্ট দেইনি ৷ আবু বকর আল-খারাইভী
বলেন : আলী ইবন হারব আবু হুরাইরড়ার আযাদকৃত গেলাম মুহাররার থেকে বর্ণনা করেনঃ
আবদুল কায়েস গোত্রের একদল লোক হাতিম তাঈর কবরের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময়
সেখানে অবতরণ করে ৷ ঐ দলের আবুল খায়বারী নামক এক ব্যক্তি দাড়িয়ে তার কবরে
প্যায়ের ঘেড়াচা দিয়ে বলেন ; হে আবু জাদ! আমাদের যেহমানদারী করুন ৷ তখন জনৈক সঙ্গী
র্তাকে বলে , তুমি কি হাডিদ্রর সঙ্গে কথা বলছ তড়াভাে পচে-পলে গেছে ৷ তারপর রাত হলে তারা
সকলে ঘুমিয়ে পড়লাে ৷ উক্ত আবুল খায়বারী ব্যাকুল হয়ে দীড়িয়ে বললেন হে আমার


فَأَكْرَمَهُ وَأَدْنَاهُ، ثُمَّ زَوَّدَهُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ حِمْلَيْنِ ذَهَبًا وَوَرِقًا، غَيْرَ مَا أَعْطَاهُ مِنْ طَرَائِفِ بَلَدِهِ فَرَحَلَ فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى أَهْلِهِ تَلَقَّتْهُ أَعَارِيبُ طَيِّئٍ فَقَالَتْ: يَا حَاتِمُ أَتَيْتَ مِنْ عِنْدِ الْمَلِكِ، وَأَتَيْنَا مِنْ عِنْدِ أَهَالِينَا بِالْفَقْرِ فَقَالَ حَاتِمٌ: هَلُمَّ فَخُذُوا مَا بَيْنَ يَدِيَّ فَتَوَزَّعُوهُ فَوَثَبُوا إِلَى مَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ حِبَاءِ النُّعْمَانِ فَاقْتَسَمُوهُ فَخَرَجَتْ إِلَى حَاتِمٍ طَرِيفَةُ جَارِيَتُهُ فَقَالَتْ لَهُ: اتَّقِ اللَّهَ وَأَبْقِ عَلَى نَفْسِكَ فَمَا يَدَعُ هَؤُلَاءِ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا فَأَنْشَأَ يَقُولُ: قَالَتْ طُرَيْفَةُ مَا تَبْقَى دَرَاهِمُنَا ... وَمَا بِنَا سَرَفٌ فِيهَا وَلَا خَرَقُ إِنْ يَفْنَ مَا عِنْدَنَا فَاللَّهُ يَرْزُقُنَا ... مِمَّنْ سِوَانَا وَلَسْنَا نَحْنُ نَرْتَزِقُ مَا يَأْلَفُ الدِّرْهَمُ الْكَارِيُّ خِرْقَتَنَا ... إِلَّا يَمُرُّ عَلَيْهَا ثُمَّ يَنْطَلِقُ إِنَّا إِذَا اجْتَمَعَتْ يَوْمًا دَرَاهِمُنَا ... ظَلَّتْ إِلَى سُبُلِ الْمَعْرُوفِ تَسْتَبِقُ وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ: قِيلَ لِحَاتِمٍ: هَلْ فِي الْعَرَبِ أَجْوَدُ مِنْكَ؟ فَقَالَ: كُلُّ الْعَرَبِ أَجْوَدُ مِنِّي. ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ قَالَ: نَزَلْتُ عَلَى غُلَامٍ مِنَ الْعَرَبِ يَتِيمٍ ذَاتَ لَيْلَةٍ، وَكَانَتْ لَهُ مِائَةٌ مِنَ الْغَنَمِ فَذَبَحَ لِي شَاةً مِنْهَا وَأَتَانِي بِهَا فَلَمَّا قَرَّبَ إِلَيَّ دِمَاغَهَا قُلْتُ: مَا أَطْيَبَ هَذَا الدِّمَاغَ قَالَ: فَذَهَبَ فَلَمْ يَزَلْ يَأْتِينِي
পৃষ্ঠা - ১৩৫৫
ষ্ষ্


সম্প্রদায়! নিজ নিজ সওয়ারী গ্রহণ কর ৷ কারণ, হাতিম স্বপ্নে আমার নিকট আগমন করে
আমাকে কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন ৷ আমি তা মুখস্থু করেছি ৷ তিনি বলেন :

হে আবুল খয়বরী! তুমি তো এমন এক ব্যক্তি যে স্বজনের প্রতি অবিচর করে ও
তাদেরকে গলমন্দ করে ৷


তুমি আগমন করেছ সঙ্গী সথী নিয়ে কামনা কর তুমি আতিথেতড়ায় কবরবসীর নিকট, যার
মাথার থুলিতে মারিচা ধরে গােছ ৷

তুমি কি কামনা কর আমার জন্য পাপ রাত্রি যম্পোনকারীর নিদ্র কালে ৷ অথচ তোমার নিকট
রয়েছে তঈ গোত্র আর তার পশুকুল ৷


আমরা অবশ্যই তৃপ্ত করবো আমাদের অতিথিদেরকে রজনীতে আগমন ঘটবে আমাদের
উষ্ঠীর এবং তা দােহন করবো ৷

বর্ণনাকরী বলেন, তখন হঠাৎ করে উক্তি ক বীর উষ্ঠী আহত হয়ে আগমন করলে তারা
তাকে যব ই করে এবং তৃপ্ত হয়ে খায় ৷ তারা বলে, আল্লাহর কসম , হ নিম জীবিত আর মৃত
অবস্থায় আমাদের রুমহমনদরী করেছেন ৷ বর্ণনকরী বলেন, ভোরে সম্প্রদায়ের লোকেরা
তাদের সঙ্গী-সাথী নিয়ে সওয়ার হয়ে গমন করে ৷ তখন জনৈক ব্যক্তি সওয়ার হয়ে অসছিল
এবং তাদেরকে উচু স্বরে আহ্বান করছিল আর তার সাথে ছিল আরেকটি উট ৷ তখন লেকটি
বলে, তোমাদের মধ্যে কে আবুল খায়বারী? তিনি বললেন, আমি ৷ লোকটি বললাে , হাতিম
রজনীতে স্বপ্নে আমার কাছে এসে বলেন যে, তিনি তোমার সঙ্গীদের তোমার উট দিয়ে
মেহমানদা রী করেছেন এবং তোমার নিকট এ উট নিয়ে আমার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷
এই হলো যে উট ৷৩ তা নাও এবং এই বলে তাকে উটটি দিয়ে দিল ৷

আবদৃল্ল ইবন জাদআন এর কিছু বৃত্তান্ত

তিনি আবদুল্লাহ ইবন জাদ্ আন ইবন আমৃর ইবন কা ব ইবন সা আদ ইবন তাইম ইবন
মুররহ, যিনি ছিলেন বনু৩ তাইমের নেতা এবং তিনি ছিলেন আবু বকর সিদ্দীক রদিয়াল্লাহ
অনহুর চাচাতাে ভাই ৷ তিনি ছিলেন জা হিলী যুগের অন্যতম দ৩৷ ও দয়ালু ৷ জাহিলী যুগে যারা
বয়স্কদেরকে খাদ্য দান করতে, তিনি ছিলেন তাদের অন্য৩ তম ৷ তার নিজের হাতে ছিল তার
ব্যাপার ৷ তিনি আহর্য দান করতেন তীব্র দারিদ্র্যক্লিষ্ট ফকীর ব্যক্তিকে ৷ তিনি এমনই দুষ্ট
প্রকৃতির লোক ছিলেন যে, অনেক অপরাধ সংগঠন করেন ৷ এর ফলে জাতি, বংশ-গােত্র পাড়া
প্রতিবেশী সকলেই তাকে ঘৃণা আর নিন্দর চোখে দেখতাে ৷ সকলের ঘৃণা-নিন্দা আর বর্জ্যনর


مِنْهُ حَتَّى قُلْتُ قَدِ اكْتَفَيْتُ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ إِذَا هُوَ قَدْ ذَبَحَ الْمِائَةَ شَاةٍ وَبَقِيَ لَا شَيْءَ لَهُ. فَقِيلَ: فَمَا صَنَعْتَ بِهِ؟ فَقَالَ: وَمَتَى أَبْلُغُ شُكْرَهُ وَلَوْ صَنَعْتُ بِهِ كُلَّ شَيْءٍ. قَالَ: عَلَى كُلِّ حَالٍ فَقَالَ أَعْطَيْتُهُ مِائَةَ نَاقَةٍ مِنْ خِيَارِ إِبِلِي. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِ مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ: حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْفَضْلِ الرَّبَعِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ ابْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي حَمَّادٌ الرَّاوِيَةُ وَمَشْيَخَةٌ مِنْ مَشْيَخَةِ طَيِّئٍ قَالُوا: كَانَتْ غَنِيَّةُ بِنْتُ عَفِيفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ أَمُّ حَاتِمِ طَيِّئٍ لَا تُمْسِكُ شَيْئًا سَخَاءً وَجُودًا وَكَانَ إِخْوَتُهَا يَمْنَعُونَهَا فَتَأْبَى، وَكَانَتِ امْرَأَةً مُوسِرَةً فَحَبَسُوهَا فِي بَيْتٍ سَنَةً يُطْعِمُونَهَا قُوتَهَا لَعَلَّهَا تَكُفُّ عَمَّا تَصْنَعُ، ثُمَّ أَخْرَجُوهَا بَعْدَ سَنَةٍ وَقَدْ ظَنُّوا أَنَّهَا قَدْ تَرَكَتْ ذَلِكَ الْخُلُقَ فَدَفَعُوا إِلَيْهَا صِرْمَةً مِنْ مَالِهَا، وَقَالُوا: اسْتَمْتِعِي بِهَا فَأَتَتْهَا امْرَأَةٌ مِنْ هَوَازِنَ وَكَانَتْ تَغْشَاهَا فَسَأَلَتْهَا فَقَالَتْ: دُونَكِ هَذِهِ الصِّرْمَةَ فَقَدْ وَاللَّهِ مَسَّنِي مِنَ الْجُوعِ مَا آلَيْتُ أَنْ لَا أَمْنَعَ سَائِلًا، ثُمَّ أَنْشَأَتْ تَقُولُ: لَعَمْرِي لَقِدْمًا عَضَّنِي الْجُوعُ عَضَّةً ... فَآلَيْتُ أَنْ لَا أَمْنَعَ الدَّهْرَ جَائِعًا فَقُولَا لِهَذَا اللَّائِمِي الْيَوْمَ أَعْفِنِي ... وَإِنْ أَنْتَ لَمْ تَفْعَلْ فَعَضَّ الْأَصَابِعَا فَمَاذَا عَسَاكُمْ أَنْ تَقُولُوا لِأُخْتِكُمْ ... سِوَى عَذْلِكُمْ أَوْ عَذَلِ مَنْ كَانَ مَانِعًا
পৃষ্ঠা - ১৩৫৬
.. وَمَاذَا تَرَوْنَ الْيَوْمَ إِلَّا طَبِيعَةً فَكَيْفَ بِتَرْكِي يَا ابْنَ أُمِّي الطَّبَائِعَا وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ عَنْ مِلْحَانَ بْنِ عَرْكِيِّ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: شَهِدْتُ حَاتِمًا يَكِيدُ بِنَفْسِهِ فَقَالَ لِي أَيْ بُنَيَّ إِنِّي أَعْهَدُ مِنْ نَفْسِي ثَلَاثَ خِصَالٍ: وَاللَّهِ مَا خَاتَلْتُ جَارَةً لِرِيبَةٍ قَطُّ وَلَا ائْتُمِنْتُ عَلَى أَمَانَةٍ إِلَّا أَدَّيْتُهَا وَلَا أُوتِيَ أَحَدٌ مِنْ قِبَلِي بِسُوءٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَحْيَى الْعَدَوِيُّ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِي مِسْكِينٍ - يَعْنِي جَعْفَرَ بْنَ الْمُحَرِّزِ بْنِ الْوَلِيدِ - عَنِ الْمُحَرَّرِ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَرَّ نَفَرٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِقَبْرِ حَاتِمِ طَيِّئٍ فَنَزَلُوا قَرِيبًا مِنْهُ فَقَامَ إِلَيْهِ بَعْضُهُمْ يُقَالَ لَهُ: أَبُو الْخَيْبَرِيِّ فَجَعَلَ يَرْكُضُ قَبْرَهُ بِرِجْلِهِ، وَيَقُولُ: يَا أَبَا الْجَعْرَاءِ أَقْرِنَا فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ مَا تُخَاطِبُ مِنْ رِمَّةٍ وَقَدْ بَلِيَتْ وَأَجَنَّهُمُ اللَّيْلُ فَنَامُوا فَقَامَ صَاحِبُ الْقَوْلِ فَزِعًا يَقُولُ: يَا قَوْمِ عَلَيْكُمْ بِمَطِيِّكُمْ فَإِنَّ حَاتِمًا أَتَانِي فِي النَّوْمِ، وَأَنْشَدَنِي شِعْرًا وَقَدْ حَفِظْتُهُ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৩৫৭
ষ্ষ্


মুখে একদিন তিনি ৰিচলিত হয়ে মক্কার গিরিপথে বেরিয়ে পড়েন ৷ পর্বতের মধ্যে একটা গর্ত
দেখে তিনি মনে করলেন, এতে ক্ষতিকর কিছু থাকতে পারে ৷ তিনি সেখানে গেলেন এই আশায়
যে, হয়তো সেখানে মারা গিয়ে জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন ৷ তিনি পর্ভের নিকট গমন
করলে একটা আযদাহা তার দিকে ছুটে আসে ৷ আযদাহড়াঢি তাকে দং শন করতে উদ্যত হয় ৷
তিনি তা থেকে দুরে সরে গিয়ে বরং তার উপর হামলা করতে উদ্যত হন ৷ কিন্তু তিনি
আযদাহড়াটির নিকট এসে দেখতে পেলেন যে, তা-তাে স্বর্ণের আর তার চক্ষু মুক্তার ৷ তিনি তা
ভেঙ্গে চুরে প-র্তে নিয়ে যান , গর্ভে প্রবেশ করে দেখেন যে সেখানে রয়েছে জুরহড়াম গোত্রের
শাসকদের কবর ৷ তাদের মধ্যে হারিস ইবন মুযাযও রয়েছেন, যিনি দীর্ঘ দিন অত্তর্ধানে ছিলেন ৷
ফলে তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন, কিছুই জানা যায় না ৷ তিনি তাদের মাথার দিকে একটা
ফলক দেখতে পান, যাতে তাদের মৃত্যুর তারিখ লেখা রয়েছে ৷ সে ফলকে তাদের রাজভৃকালও
লেখা আছে ৷ লাশ গুলোর নিকট রয়েছে মণি-মুক্তা সোনা-রপা অনেক কিছু ৷ তিনি সেখান
থেকে নিজের প্রয়োজন পরিমাণ গ্রহণ করে বেরিয়ে পড়েন ৷ গঃত্ন্থরি দরজা সম্পর্কেও তিনি জ্ঞান
লাভ করলেন ৷ জাতির লোকজনের নিকট ফিরে এসে তিনি তাদেরকে সে সব থেকে দান
করেন ৷ ফলে তারা তাকে ভালোবাসে নেতা রানায় আর তিনিও জাতির লোকজনকে আহার
করান ৷ হাতের সম্পদ ফুরিয়ে গেলে তিনি আবীর সে গর্ভে গমন করে প্রয়োজন পরিমাণ নিয়ে
আসতেন ৷ যাদের নিকট থেকে আমরা এ কাহিনী উল্লেখ করছি, তাদের মধ্যে আছেন আবদুল
মালিক ইবন হিশাম ৷ তিনি কিতাবুত র্তীজান-এ এ কাহিনী উল্লেখ করেছেন তার রচিত
কিতাবের নাম হচ্ছে :

তার একটা বড় পেয়ালা ছিল ৷ আরোহী ব্যক্তি সওয়ারীর পৃষ্ঠে বসে এ পেয়ালায়
আহার করতো ৷ পেয়ালাটা এমনই বড় ছিল যে, তাতে একজন ছোটখাট মানুষ পতিত
হলে ডুবে যেতো ৷

ইবন কুতাইবা প্রমুখ উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্পাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেছেন,
আবদুল্লাহ ইবন জাদআন-এর ডেগছির ছায়ায় আমি আশ্রয় নিতাম ৷ তা ছিল এক লিখিত
দলীল অর্থাৎ দৃপুরের সময় ৷ আবু জহল এর হত্যার হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (না) তার
সাহাবীদেরকে বলেনং নিহত ব্যক্তিদের লাশের মধ্যে তোমরা তাকে খুজবে ৷ হাটুতে
আঘাতের চিহ্ন দ্বারা তােমরা তাকে চিনতে পারবে ৷ কারণ, সে এবং আমি আবদুল্লাহ ইবন
জাদ আন এর দস্তরখানে মল্ল যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে সে পড়ে গিয়ে হীটুতে অ্যাঘাত পা এবং তা ভেঙ্গে
যায় ৷ তার হাটুতে এখনো সে চিহ্ন বর্তমান রয়েছে ৷ রাসুল (সা) যেমন বলেছেন, তাকে
তেমনই পাওয়া যায় ৷

ঐতিহাসিকরা উল্লেখ করে না যে, আবদুল্লাহ ইবন জাদআন খেজুর আর ছাভু থেতেন এবং
দুধ পান করতেন ৷ তিনি উমাইয়া ইবুন ল্লুাৰুছ ছালত এর এ উক্তি শ্রবণ করেন



أَبَا خَيْبَرِيِّ وَأَنْتَ امْرُؤٌ ... ظَلُومُ الْعَشِيرَةِ شَتَّامُهَا أَتَيْتَ بِصَحْبِكَ تَبْغِي الْقِرَى ... لَدَى حُفْرَةٍ صَخِبٍ هَامُهَا تُبَغِّي لِيَ الذَّنْبَ عِنْدَ الْمَبِيتِ ... وَحَوْلَكَ طَيٌّ وَأَنْعَامُهَا وَإِنَّا لَنُشْبِعُ أَضْيَافَنَا ... وَتَأْتِي الْمَطِيَّ فَنَعْتَامُهَا قَالَ: وَإِذَا نَاقَةُ صَاحِبِ الْقَوْلِ تَكُوسُ عَقِيرًا فَنَحَرُوهَا، وَقَامُوا يَشْتَوُونَ وَيَأْكُلُونَ، وَقَالُوا: وَاللَّهِ لَقَدْ أَضَافَنَا حَاتِمٌ حَيًّا وَمَيِّتًا. قَالَ: وَأَصْبَحَ الْقَوْمُ وَأَرْدَفُوا صَاحِبَهُمْ، وَسَارُوا فَاذَا رَجُلٌ يُنَوِّهُ بِهِمْ رَاكِبًا جَمَلًا وَيَقُودُ آخَرَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ أَبُو الْخَيْبَرِيِّ؟ قَالَ: أَنَا قَالَ: إِنَّ حَاتِمًا أَتَانِي فِي النَّوْمِ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ قَرَى أَصْحَابَكَ نَاقَتَكَ، وَأَمَرَنِي أَنْ أَحْمِلَكَ. وَهَذَا بَعِيرٌ فَخُذْهُ، وَدَفَعَهُ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ১৩৫৮
[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَخْبَارِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُدْعَانَ] هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُدْعَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ سَيِّدُ بَنِي تَيْمٍ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّ وَالِدِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَكَانَ مِنَ الْكُرَمَاءِ الْأَجْوَادِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ الْمُطْعِمِينَ لِلْمُسْنِتِينَ وَكَانَ فِي بَدْءِ أَمْرِهِ فَقِيرًا مُمْلِقًا وَكَانَ شِرِّيرًا يُكْثِرُ مِنَ الْجِنَايَاتِ حَتَّى أَبْغَضَهُ قَوْمُهُ وَعَشِيرَتُهُ وَأَهْلُهُ وَقَبِيلَتُهُ وَأَبْغَضُوهُ حَتَّى أَبُوهُ فَخَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ فِي شِعَابِ مَكَّةَ حَائِرًا بَائِرًا فَرَأَى شَقًّا فِي جَبَلٍ فَظَنَّ أَنْ يَكُونَ بِهِ شَيْءٌ يُؤْذِي فَقَصَدَهُ لَعَلَّهُ يَمُوتُ فَيَسْتَرِيحُ مِمَّا هُوَ فِيهِ فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهُ إِذَا ثُعْبَانٌ يَخْرُجُ إِلَيْهِ وَيَثِبُ عَلَيْهِ فَجَعَلَ يَحِيدُ عَنْهُ وَيَثِبُ فَلَا يُغْنِي شَيْئًا فَلَمَّا دَنَا مِنْهُ إِذَا هُوَ مِنْ ذَهَبٍ وَلَهُ عَيْنَانِ هُمَا يَاقُوتَتَانِ فَكَسَرَهُ وَأَخَذَهُ وَدَخَلَ الْغَارَ فَإِذَا فِيهِ قُبُورٌ لِرِجَالٍ مَنْ مُلُوكِ جُرْهُمٍ، وَمِنْهُمُ الْحَارِثُ بْنُ مُضَاضٍ، الَّذِي طَالَتْ غَيْبَتُهُ فَلَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَ، وَوَجَدَ عِنْدَ رُءُوسِهِمْ لَوْحًا مِنْ ذَهَبٍ فِيهِ تَارِيخُ وَفَاتِهِمْ وَمُدَدُ وِلَايَتِهِمْ، وَإِذَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْجَوَاهِرِ وَاللَّآلِئِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ شَيْءٌ كَثِيرٌ فَأَخَذَ مِنْهُ حَاجَتَهُ ثُمَّ خَرَجَ وَعَلَّمَ بَابَ الْغَارِ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى قَوْمِهِ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى أَحَبُّوهُ وَسَادَهُمْ، وَجَعَلَ يُطْعِمُ النَّاسَ، وَكُلَّمَا قَلَّ مَا فِي يَدِهِ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ الْغَارِ
পৃষ্ঠা - ১৩৫৯
ষ্ষ্


কথা আর তাদের কর্ম আমি দেখেছি, তাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত পেয়েছি আমি
বনু দাইয়্যানকে


“নেকী তোমায় জ্ঞানী করে তাদের খাদ্যে উপস্থিতি দ্বুারা, তদ্বারা নয়, বনু জাদআন যে
লানত করে ৷ ’অতঃপর জাদ আন পুত্র শাম দেশে দু হাজার উষ্ট্র বোঝাই গম, মধু এবং ঘী

প্রেরণ করে ৷ প্ৰড়ােকরাতেৰু একজন ঘোষণাকারী ক্৷ বার পৃষ্ঠ থেকে ঘোষণা দেয়, ইবন
জাদআন-এর ভোকর দিকে তোমরা ছুটে এসো ৷ এ প্রুসঙ্গে উমাইয়া৷ বলেন :

এে১ট্রু১ন্ ঞা এএএ
তার জন্য মক্কায় আছেন একজন আহ্বানকারী মশালবাহী, অপরজন আছেন কাবার ছাদে ,
যিনি আহ্বান করেন ৷ ,

আহ্বান জ ৷নায় দীর্ঘ সময় থােক কালো কাঠ নির্মিত পুর্ণ পাত্র পানে জ্ঞানের দ্বার পানে, যা
সাক্ষ্য দ্বারা তোমাকে জ্ঞানী করে ৷
এতসব কিছু সত্বেও সহীহ মুসলিমে উল্লেখিত আছে যে; আবেশা সিদ্দীকা (বা) বলেছেনঃ
হে অ ল্পা৷হ্র রাসুল, জাদ আন পুত্র আহা র করাতেন এবং অতিথির মেহমানদা ৷রী করতেন ৷ এতে

তার কো ন উপক৷ ৷র হবে? কিয়ামতের দিন এসব কি তা ৷র কোন কাজে আসবে? রাসুলুল্লাহ

(সা) বললেন, না সে তো কে ন দিন একথা রলেনি হে পালনকর্তা, কিয়ামতে র দিন আমার
অপরাধ ক্ষমা করে দেবে ৷


فَأَخَذَ حَاجَتَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَمِمَّنْ ذَكَرَ هَذَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ فِي كِتَابِ التِّيجَانِ، وَذَكَرَهُ أَحْمَدُ بْنُ عَمَّارٍ فِي كِتَابِ رِيِّ الْعَاطِشِ وَأُنْسِ الْوَاحِشِ. وَكَانَتْ لَهُ جَفْنَةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا الرَّاكِبُ عَلَى بَعِيرِهِ، وَوَقَعَ فِيهَا صَغِيرٌ فَغَرِقَ، وَذَكَرَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقَدْ كُنْتُ أَسْتَظِلُّ بِظِلِّ جَفْنَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُدْعَانَ، صَكَّةَ عُمَيٍّ أَيْ وَقْتَ الظَّهِيرَةِ» . «وَفِي حَدِيثِ مَقْتَلِ أَبِي جَهْلٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِأَصْحَابِهِ تَطَلَّبُوهُ بَيْنَ الْقَتْلَى، وَتَعَرَّفُوهُ بِشَجَّةٍ فِي رُكْبَتِهِ فَإِنِّي تَزَاحَمْتُ أَنَا وَهُوَ عَلَى مَأْدُبَةٍ لِابْنِ جُدْعَانَ فَدَفَعْتُهُ فَسَقَطَ عَلَى رُكْبَتِهِ فَانْهَشَمَتْ فَأَثَرُهَا بَاقٍ فِي رُكْبَتِهِ فَوَجَدُوهُ كَذَلِكَ» . وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يُطْعِمُ التَّمْرَ وَالسَّوِيقَ، وَيَسْقِي اللَّبَنَ حَتَّى سَمِعَ قَوْلَ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ وَلَقَدْ رَأَيْتُ الْفَاعِلِينَ وَفِعْلَهُمْ ... فَرَأَيْتُ أَكْرَمَهُمْ بَنِي الدَّيَّانِ الْبُرُّ يُلْبَكُ بِالشِّهَادِ طَعَامُهُمْ ... لَا مَا يُعَلِّلُنَا بَنُو جُدْعَانِ فَأَرْسَلَ ابْنُ جُدْعَانَ إِلَى الشَّامِ أَلْفَيْ بَعِيرٍ تَحْمِلُ الْبُرَّ وَالشَّهْدَ وَالسَّمْنَ، وَجَعَلَ مُنَادِيًا يُنَادِي كُلَّ لَيْلَةٍ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ، أَنْ هَلُمُّوا إِلَى جَفْنَةِ ابْنِ جُدْعَانَ فَقَالَ أُمَيَّةُ فِي ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ১৩৬০
لَهُ دَاعٍ بِمَكَّةَ مُشْمَعِلٌّ ... وَآخَرُ فَوْقَ كَعْبَتِهَا يُنَادِي إِلَى رُدُحٍ مِنَ الشِّيزَى مِلَاءٍ ... لُبَابُ الْبُرِّ يُلْبَكُ بِالشِّهَادِ وَمَعَ هَذَا كُلِّهِ فَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ لِمُسْلِمٍ، «أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَ جُدْعَانَ كَانَ يُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَيَقْرِي الضَّيْفَ فَهَلْ يَنْفَعُهُ ذَلِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ: لَا، إِنَّهُ لَمْ يَقُلْ يَوْمًا: رَبِّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ.»
পৃষ্ঠা - ১৩৬১
ষ্ষ্


জাহেলিয়াত আমলের কবিদের কাব্য সং কলন সাব যে মু অ ৷ল্লাকার ইমরুল কায়সের
অংশটুকু সর্বাধিক উন্নত ও প্রসিদ্ধ যার প্রথম পংক্তি হলো

এে
— দাড়াও, প্রিয়তমা ও তার বাসগৃহের বিরহে একটু কেদে র্ধনই ৷
ইমাম আহমদ (র) হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “ইমরুল কায়স জাহান্নড়ামপামী কবিদের পতাকাবাহী ৷ বিভিন্ন সুত্রে
হাদীসটি বর্ণিত হলেও এটির সনদ বিশুদ্ধ ৷

হাফিজ ইবনে আসাকির বলেছেন, ইক্রো কায়সের বংশ লতিকা হলো, ইমরুল কায়স
ইবন হাজার ইবন হারিছ ইবন আমর ইবন হুজ্বর ইবনে আমর ইবন মুআবিয়া ইবন হারিছ
ইবনে ইয়া’ রাব ইবন ছাওর ইবন মুর৩ তড়া ইবনে মু আবিয়া ইবন কিনৃদা ৷ উপনাম আবু ইয়াষীদ,
মতান্তরে আবু ওহাব ও আবুল হারিছ আল কিনদী ৷ তিনি দামেশক এলাকায় বাস করতেন ৷
তিনি তার কবিতায় ঐ এলাকার বিভিন্ন স্থানের উল্লেখ করেছেন ৷ তার দুটি পংক্তি নিম্নরুপঃ
ষ্ঠেগ্রা-১-ট্ট এ১ইশ্ছা এে

এএে ব্লু

— “তোমরা দীড়াও, এসো, আমরা প্রিয়তমা

ও তার বাসস্থানের বিরহে একটু কেদে নিই,

যে বাসস্থান বালির টিলার চুড়ায় দাথুল ও হাওমাল ,

তৃযিহ ও মাকরাত নামক স্থানের মাঝে অবস্থিত ,

উত্তর ও দক্ষিণের বায়ু প্রবাহ সত্বেও যার চিহ্ন মুছে যায়নি ৷”

এইগুলি হ্ররান অঞ্চলের প্রসিদ্ধ স্থান ৷

হাফিজ ইবনে আসাকির অন্য এক সুত্রে বর্ণনা করেন যে আফীফ ইবন মাদীকরব
বলেছেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট বসা ছিলাম ৷ সে সময়ে ইয়ামানের একটি
প্রতিনিধি দল এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইমরুল কায়সের কবিতার দু’টি পংক্তির উসিলায়
আল্লাহ্ আমাদের জীবন রক্ষা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তা কীভাবো তারা বলল,
আমরা আপনার সাথে সাক্ষড়াতের উদ্দেশ্যে আসছিলাম ৷ কিছুদুর এসে আমরা পথ হারিয়ে


[ذِكْرُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ حُجْرٍ الْكِنْدِيِّ صَاحِبِ إِحْدَى الْمُعَلَّقَاتِ] ذِكْرُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ حُجْرٍ الْكِنْدِيِّ صَاحِبِ إِحْدَى الْمُعَلَّقَاتِ وَهِيَ أَفْخَرُهُنَّ وَأَشْهَرُهُنَّ، الَّتِي أَوَّلُهَا قِفَا نَبْكِ مِنْ ذِكْرَى حَبِيبٍ وَمَنْزِلٍ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا أَبُو الْجَهْمِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «امْرُؤُ الْقَيْسِ صَاحِبُ لِوَاءِ الشُّعَرَاءِ إِلَى النَّارِ» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هُشَيْمٍ جَمَاعَةٌ كَثِيرُونَ مِنْهُمْ بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَارُونَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْمَأْمُونُ أَخُو الْأَمِينِ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَخْرَجَهُ ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ، وَرُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَا يَصِحُّ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ১৩৬২
ষ্ষ্


ফেলি, ফলে সেস্থানে আমাদের তিনদিন অবস্থান করতে হয় ৷ অথচ আশেপাশে কোথাও পানি
পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ অগত্যা গাছের ছায়ায় শুয়ে মৃত্যুবরণের উদ্দেশ্যে আমরা এক একজন এক
একটি খেজুর গাছ ও বাংলা গাছের নীচে চলে গেলাম ৷ আমাদের প্রাণ যায় যায় দশা হঠাৎ
দেখতে পেলাম, একজন উষ্ট্রড়ারােহী এগিয়ে তান্সেক্ষ্;ছ ৷ তাকে দেখে আমাদের একজন কবিতা
আবৃত্তি করল :;

৷ ৰু১ ৷ ছু;ন্া)৷ এ
শুধ্ণ্ণ্ণ্শুভ্রু শুঞে ’ # :া৷;৷ ৷ মোঃ ’ দু;ব্রু১ শ্ন্প্রুগু ; ংএ ১ন্এন্ ’ মোঃ টু
অর্থাৎ প্রিয়া যখন বুঝতে পারল যে, ঘাট-ই তার লক্ষ্যস্থল, আরো বুঝল যে, তার
পার্শ্বদেশ আর র্কাধের মধ্যস্থুলের গোশত হহ্বন্:চ শুভ্রতা বিচ্চুরিত হচ্ছে, তখন সে জারিজের
নিকটস্থ সেই কুপে যেতে মনন্থ করল, যে কুপ ছায়া ও কীটাদার বৃক্ষে পরিপুর্ণ ৷

পংক্তি দৃটো শুনে আরোহী বলল, এগুলো করে কবিতাঃ সে তো আমাদের দৃর্দশা দেখে
ফেলেছে ৷ আমরা বললাম , এগুলো ইমরুল কায়সের কবিতা ৷ আরোহী বলল, আল্লাহর শপথ,
সে একট্রুও মিথ্ঙ্কু৷ বলেনি ৷ তোমাদের পার্শ্ববর্তী এই জায়গাটিই জারিজ ৷ সত্যি সত্যি আমরা
তাকিয়ে দেখলাম যে, আমাদের ও কুপটির মাঝে দুরতু মাত্র পঞ্চাশ হাতের ৷ ফলে আমরা

হড়ামাগুড়ি দিয়ে সেখানে গেলাম ৷ দেখলাম, তা ইমরুল কায়সের বিবরণ অনুযায়ী হুবহু ছায়া ও
র্কাটাদার বৃক্ষবেষ্টিত একটি কুয়া ৷ এ কাহিনী শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,

ক্রোরু টুপ্রুঙ্১ৰু ৰুাঠুৰু) শুা৷১
এর্চু৷ ৷ এাদ্বু ন্টুগুঠুটুছুঠু ; ৷ স্পো ৷ ষ্টুাট্রু৷ গ্রা হ্রট্রুব্লুর্স্ট ৷ র্গে১ ট্রুাৰু ৷১
সােকটি দৃনিয়াতে বহুল আলোচিত, পরকালে কেউ তার কথা জিজ্ঞাসাও করবে না,

দৃনিয়াতে সে স্ন্থান্ত, পরকালে লাঞ্ছিত; তার হাতে কবিদের পতাকা থাকবে, তাদেরকে
জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করবে ৷

কালবী লিখেছেন, ইমরুল কায়স একবার পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পতাকা
উড়িয়ে বনু আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা হয় ৷ তাবালা নামক স্থানে ছিল যুল-খুলসা
নামক একটি মুর্তি ৷ আরবরা তার নিকট লটারী টানত ৷ ইমরুল কায়স সেন্থানে পৌছে লটারী
টানল ৷ কিন্তু লটারীতে নেতিবাচক তীর উঠে আসে ৷ ফলে সে আরও দু’বার লটারী টানে ৷
তাতেও ঐ একই ফল হয় ৷ ইমরুল কায়স ক্ষিপ্ত হয়ে ভীরগুলি ভেঙ্গে যুল খুলনার মুখের উপর
ছুড়ে যাবে এবং বলে যে, তোর বাবা যদি খুন হতো, তবে তুই আমার কাজে বাধ সাধতে না ৷
এই বলে সে বনু আসাদ গোত্রের উপর বাপিয়ে পড়ে এবং তাদের অনেককে হত্যা করে ৷

ইবৃপুল কালবী বলেন, এরপর ইসলামের অভ্যুদয় পর্যন্ত ইমরুল কায়স কখনো যুলশ্
থুলসার নিকট লটারী টানেনি ৷


وَقَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: هُوَ امْرُؤُ الْقَيْسِ بْنُ حُجْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُجْرٍ آكِلِ الْمُرَارِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ ثَوْرِ بْنِ مُرَتِّعِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ كِنْدَةَ أَبُو يَزِيدَ، وَيُقَالَ: أَبُو وَهْبٍ وَيُقَالُ: أَبُو الْحَارِثِ الْكِنْدِيُّ، كَانَ بِأَعْمَالِ دِمَشْقَ وَقَدْ ذَكَرَ مَوَاضِعَ مِنْهَا فِي شِعْرِهِ فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ قِفَا نَبْكِ مِنْ ذِكْرَى حَبِيبٍ وَمُنْزِلِ ... بِسِقْطِ اللِّوَى بَيْنَ الدَّخُولِ فَحَوْمَلِ فَتُوضِحَ فَالْمِقْرَاةِ لَمْ يَعْفُ رَسْمُهَا ... لِمَا نَسَجَتْهَا مِنْ جَنُوبٍ وَشَمْأَلِ قَالَ: وَهَذِهِ مَوَاضِعُ مَعْرُوفَةٌ بِحُورَانَ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ حَدَّثَنِي فَرْوَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَفِيفِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ «بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَقْبَلَ وَفْدٌ مِنَ الْيَمَنِ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَحْيَانَا اللَّهُ بِبَيْتَيْنِ مِنْ شِعْرِ امْرِئِ الْقَيْسِ قَالَ: وَكَيْفَ ذَاكَ؟ قَالُوا: أَقْبَلْنَا نُرِيدُكَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ أَخْطَأْنَا الطَّرِيقَ فَمَكَثْنَا ثَلَاثًا لَا نَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَتَفَرَّقْنَا إِلَى أُصُولِ طَلْحٍ وَسَمُرٍ ; لِيَمُوتَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا فِي ظِلِّ شَجَرَةٍ فَبَيْنَا نَحْنُ بِآخِرِ رَمَقٍ إِذَا رَاكِبٌ يُوضِعُ عَلَى بَعِيرٍ فَلَمَّا رَآهُ بَعْضُنَا - قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৩৬৩
وَالرَّاكِبُ يَسْمَعُ -: وَلَمَّا رَأَتْ أَنَّ الشَّرِيعَةَ هَمُّهَا ... وَأَنَّ الْبَيَاضَ مِنْ فَرَائِصِهَا دَامِي تَيَمَّمَتِ الْعَيْنَ الَّتِي عِنْدَ ضَارِجٍ ... يَفِيءُ عَلَيْهَا الظِّلُّ عَرْمَضُهَا طَامِي فَقَالَ الرَّاكِبُ: وَمَنْ يَقُولُ هَذَا الشِّعْرَ؟ - وَقَدْ رَأَى مَا بِنَا مِنَ الْجَهْدِ - قَالَ: قُلْنَا: امْرُؤُ الْقَيْسِ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: وَاللَّهِ مَا كَذَبَ هَذَا ضَارِجٌ عِنْدَكُمْ فَنَظَرْنَا فَاذَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمَاءِ نَحْوٌ مِنْ خَمْسِينَ ذِرَاعًا فَحَبَوْنَا إِلَيْهِ عَلَى الرُّكَبِ فَاذَا هُوَ كَمَا قَالَ امْرُؤُ الْقَيْسِ عَلَيْهِ الْعَرْمَضُ يَفِيءُ عَلَيْهِ الظِّلُّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ذَاكَ رَجُلٌ مَذْكُورٌ فِي الدُّنْيَا مَنْسِيٌّ فِي الْآخِرَةِ، شَرِيفٌ فِي الدُّنْيَا خَامِلٌ فِي الْآخِرَةِ، بِيَدِهِ لِوَاءُ الشُّعَرَاءِ يَقُودُهُمْ إِلَى النَّارِ» . وَذَكَرَ الْكَلْبِيُّ أَنَّ امْرَأَ الْقَيْسِ أَقْبَلَ بِرَايَاتِهِ، يُرِيدُ قِتَالَ بَنِي أَسَدٍ حِينَ قَتَلُوا أَبَاهُ فَمَرَّ بِتَبَالَةَ وَبِهَا ذُو الْخَلَصَةِ، وَهُوَ صَنَمٌ وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَسْتَقْسِمُ عِنْدَهُ فَاسْتَقْسَمَ فَخَرَجَ الْقَدَحُ النَّاهِي ثُمَّ الثَّانِيَةَ ثُمَّ الثَّالِثَةَ كَذَلِكَ فَكَسَرَ الْقِدَاحَ وَضَرَبَ بِهَا وَجْهَ ذِي الْخَلَصَةِ، وَقَالَ: عَضَضْتَ بِأَيْرِ أَبِيكَ لَوْ كَانَ أَبُوكَ الْمَقْتُولُ لَمَا عَوَّقْتَنِي، ثُمَّ أَغَارَ عَلَى بَنِي أَسَدٍ فَقَتَلَهُمْ قَتْلًا ذَرِيعًا. قَالَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ১৩৬৪
ষ্ষ্


কথিত আছে যে, ইমরুল কায়স কোনো এক যুদ্ধে রোমের বাদশা কায়সারের বিজয়ে তার
ভুয়সী প্রশংসামুলক কবিতা রচনা করে ৷ কিন্তু, কাজ্জিত পুরস্কার না পেয়ে পরে সে উল্টে৷ তার
নিন্দাসুচক কবিতা রচনা করে ৷ কথিত আছে, রোম সম্রাট বিষ থাইয়ে তাকে হত্যা করে ৷
আসীব নামক একটি পাহাড়ের সন্নিকটে জনৈক মহিলার কবরের পার্থে তাকে সমাধিস্ত করা
হয় ৷ পরে সেখানে নিম্নের পংক্তি দুটি লিখে রাখা হয়েছে-

মোঃহুশ্ঙা

— হে আমার প্রতিবেশিনী!নি ৪সন্দেহে আমাদের সাক্ষাতস্থুল নিকটেই ৷ আসীব পর্বত
যতদিন টিকে থাকবে, আমিও এখানে ততদিন অবস্থান করব ৷ হে প্রতিবেশিনী! তুমি আমি
দু জন-ই এখানে মুসাফির ৷ আর এক ঘুসাফির অপর মুসাফির-এর চ্যাত্মীয়েরই মত ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, সাতটি মুআল্লাকাই কা বা শরীফে ঝুলিং;; রাখা হয়েছিল ৷ তার
কারণ, আরবদের নিয়ম ছিল যে , তাদের কেউ কো ন কবিতা রচনা করলে যে তা কুরায়শদের
নিকট পেশ করত ৷ কুরায়শদের অনুমোদন পেলে সম্মানার্থে তা কাবার গায়ে ঝুলিয়ে রাখা হত ৷
এভাবে একত্রিত হতে হতে ৩এই সাত টি মুআল্লাকা একত্রিত হয়ে যায় ৷ত তার প্রথমটি হল ইমরুল
কায়স ইবন হজর এর রচিত, যার প্রথম প ন্ক্তিটি পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

দ্বিতীয় মুআল্লাকা নাবিগা যুবিয়ানীর রচিত, যার নাম ছিল যিয়াদ ইবন মুআবিয়া, মতান্তরে
যিয়াদ ইবন আমর ইবন মুআবিয়া ইবন যাবার ইবন জাবির ইবন ইয়ারবু ইবন গায়য ইবন
মুররা ইবন আউফ ইবন সাদ ইবন যুবৃইয়ান ইবন বাপীয ৷ তার প্রথম পংক্তি হলো :


— উলইয়া ও সানাদে অবস্থিত হে আমার প্রিয়ার গৃহ ৷ সে অতীত হয়ে গেছে আর তার

বিরহ অনেক দীর্ঘ হয়ে গেল ৷

তৃতীয় মুআল্লাকার রচয়িত ৷ যুহায়র ইবনে আবু সুলামী রবীয়া ইবনে বিয়াহ আল-মুযানী ৷
যার প্রথম পংক্তিং

৷ ৰু,প্রু ৷
— দাররাজ ও মুতাছাল্লামের কঠিন ভুখণ্ডে অবস্থিত এই নীরব ধ্বংস ভুপ-ই কি আমার
প্রিয়ত মা উম্মে আওফা র স্মৃতি?

চতুর্থ ঘুআল্লাকার রচয়িতা হলো, তারফ৷ ইবনুল আবৃদ ইবন সুফিয়ান ইবন সাদ ইবন
মালিক ইবন ষুবাইআ ইবন কায়স ইবন ছালাবা ইবন উকবাে ইবন সাব ইবন আলী ইবন
বকর ইবন ওয়ায়েল ৷ যার প্রথম পংক্তি৪

এেট্রা


الْكَلْبِيِّ: فَلَمْ يُسْتَقْسَمْ عِنْدَ ذِي الْخَلَصَةِ حَتَّى جَاءَ الْإِسْلَامُ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ امْتَدَحَ قَيْصَرَ مَلِكَ الرُّومِ يَسْتَنْجِدُهُ فِي بَعْضِ الْحُرُوبِ، وَيَسْتَرْفِدُهُ فَلَمْ يَجِدْ مَا يُؤَمِّلُهُ عِنْدَهُ فَهَجَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَيُقَالَ: إِنَّهُ سَقَاهُ سُمًّا فَقَتَلَهُ فَأَلْجَأَهُ الْمَوْتُ إِلَى جَنْبِ قَبْرِ امْرَأَةٍ عِنْدَ جَبَلٍ يُقَالَ لَهُ: عَسِيبٌ فَكَتَبَ هُنَالِكَ أَجَارَتَنَا إِنَّ الْمَزَارَ قَرِيبٌ ... وَإِنِّي مُقِيمٌ مَا أَقَامَ عَسِيبُ أَجَارَتَنَا إِنَّا غَرِيبَانِ هَاهُنَا ... وَكُلُّ غَرِيبٍ لِلْغَرِيبِ نَسِيبُ وَقَدْ ذَكَرُوا أَنَّ الْمُعَلَّقَاتِ السَّبْعَ كَانَتْ مُعَلَّقَةً بِالْكَعْبَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْعَرَبَ كَانُوا إِذَا عَمِلَ أَحَدُهُمْ قَصِيدَةً عَرَضَهَا عَلَى قُرَيْشٍ فَإِنْ أَجَازُوهَا عَلَّقُوهَا عَلَى الْكَعْبَةِ تَعْظِيمًا لِشَأْنِهَا فَاجْتَمَعَ مِنْ ذَلِكَ هَذِهِ الْمُعَلَّقَاتُ السَّبْعُ فَالْأُولَى لِامْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ حُجْرٍ الْكَنَدِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ وَأَوَّلُهَا قِفَا نَبْكِ مِنْ ذِكْرَى حَبِيبٍ وَمُنْزِلٍ ... بِسِقْطِ اللِّوَى بَيْنَ الدَّخُولِ فَحَوْمَلِ وَالثَّانِيَةُ لِلنَّابِغَةِ الذُّبْيَانِيِّ وَاسْمُهُ زِيَادُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَيُقَالَ: زِيَادُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ ضِبَابِ بْنِ جَابِرِ بْنِ يَرْبُوعَ بْنِ غَيْظِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ سَعْدِ بْنِ ذُبْيَانَ بْنِ بَغِيضٍ، وَأَوَّلُهَا
পৃষ্ঠা - ১৩৬৫
ষ্ষ্


ছাহমাদের পাথুরে অঞ্চলে আমার প্রিয়া খাওলার বাসগৃহে র স্মৃতি নারীদের মহিলাদের
হাতের অবশিষ্ট উলকি রেখার ন্যায় ঝলমল করছে বলে মনে হয় ৷

পঞ্চম মুআল্লাকার রচয়িতা অড়ানত বা ইবন শাদ্দাদ ইবন মুআবিয়া ইবন কুরাদ ইবন
মাখবুম ইবন রবীয়া ইবন মালিক ইবন পালিব ইবন ক্তায় আ ইবন “আবাস আল আবাসী ৷

তার প্রথম পংক্তি হলো০ :

আগেকার কবিরা এমন কোন অপুংতাি রেখে যাননি, যা পুরণ করা বাকী রয়েছে ৷
তােমাতে অনেক আন্দাজ অনুমানের পর তুমি তাে প্রিয়ার পৃহের সন্ধান পেয়েছ ৷

ষষ্ঠ মুআল্লাকার রচয়িতা বনী তামীমের আলকামা ইবন আবদা ইবন নু মান ইবন করেন ৷
তীর প্রথম পংক্তি হলো০ ং


া১াষ্

তােমাকে নিয়ে আমার সৌন্দর্য পিয়াসী প্রাণ উচ্ছসিত হলো যখন যৌবন বিগত প্রায়
এবং বার্ধক্য এসে হানা দিলো ৷

সপ্তম মুআল্লাকার রচয়িতা লাবীদ ইবন মালিক ইবন জাফর ইবন কিলাব ইবন রবীয়া
ইবন আমির ইবন সাসআে ইবন মুয়াবিয়া ইবন বকর ইবন হাওয়াযিন ইবন মনসুর ইবন
ইকরিমা ইবন খাসফা ইবন কায়স ইবন আয়লান ইবন মুযার ৷ এই সপ্তম মুঅড়াল্লাকাকে
আসাময়ী প্রমুখ পণ্ডিত সাত মুআল্লাকার অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকার করেন না ৷ তার প্রথম পংক্তি
হলো :


-মিনার যে গৃহে আমার প্রিয় কখনো তার সময় কখনো দীর্ঘ সময় অবন্থ ন করতো, তার
চলে যাওয়ার ফলে সব বিরান হয়ে গেছে ৷ মিনার গাওল ও রিজা ৷ম নামক স্থানও এখন সম্পুর্ণ
জনবসতি শুন্য ৷

আবুউবায়দা আসমায়ী ও মুবারবাদ প্রমুখ পণ্ডিতপণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, আরেকটি
কসীদা এমনও রয়েছে, যার রচয়িতা কে তা অজ্ঞাত ৷ তার প্রথম পংক্তিটি হলো৪

১প্এ ণ্জ্রন্ন্ ঞা এ১ ০ি এএাএ এৰুপ্শ্রোন্ এে
-টিলাণ্ডলোত প্রশ্নকারী কোন প্ৰতুত্তের প্রায়ঃ নাকি কথা না বলার ব্যাপারে প্রিয়ার কোন
শপথ রয়েছে? এটি একটি সুদীর্ঘ অনবদ্য কবিতা ৷ এই পংক্তিমালায় অনেক অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা
রয়েছে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫৩-

يَا دَارَ مَيَّةَ بِالْعَلْيَاءِ فَالسَّنَدِ ... أَقْوَتْ وَطَالَ عَلَيْهَا سَالِفُ الْأَبَدِ وَالثَّالِثَةُ لِزُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى رَبِيعَةَ بْنِ رِيَاحٍ الْمُزَنِيِّ، وَأَوَّلُهَا أَمِنْ أُمِّ أَوْفَى دِمْنَةٌ لَمْ تَكَلَّمِ ... بِحَوْمَانَةِ الدَّرَّاجِ فَالْمُتَثَلِّمِ وَالرَّابِعَةُ لِطَرَفَةَ بْنِ الْعَبْدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ سَعْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ ضُبَيْعَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عُكَابَةَ بْنِ صَعْبِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، وَأَوَّلُهَا لِخَوْلَةَ أَطْلَالٌ بِبُرْقَةَ ثَهْمَدِ ... تَلُوحُ كَبَاقِي الْوَشْمِ فِي ظَاهِرِ الْيَدِ وَالْخَامِسَةُ لِعَنْتَرَةَ بْنِ شَدَّادِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَادِ بْنِ مَخْزُومِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ غَالِبِ بْنِ قُطَيْعَةَ بْنِ عَبْسٍ الْعَبْسِيُّ، وَأَوَّلُهَا هَلْ غَادَرَ الشُّعَرَاءُ مِنْ مُتَرَدَّمِ ... أَمْ هَلْ عَرَفْتَ الدَّارَ بَعْدَ تَوَهُّمِ وَالسَّادِسَةُ لِعَلْقَمَةَ بْنِ عَبْدَةَ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ قَيْسٍ أَحَدِ بَنِي تَمِيمٍ، وَأَوَّلُهَا طَحَا بِكَ قَلْبٌ فِي الْحِسَانِ طَرُوبُ ... بُعَيْدَ الشَّبَابِ عَصْرَ حَانَ مَشِيبُ وَالسَّابِعَةُ - وَمِنْهُمْ مَنْ لَا يُثْبِتُهَا فِي الْمُعَلَّقَاتِ وَهُوَ قَوْلُ الْأَصْمَعِيِّ وَغَيْرِهِ -
পৃষ্ঠা - ১৩৬৬
وَهِيَ لِلَبِيدِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ كِلَابِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ عِكْرِمَةَ بْنِ خَصَفَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ بْنِ مُضَرَ، وَأَوَّلُهَا عَفَتِ الدِّيَارُ مَحَلُّهَا فَمُقَامُهَا ... بِمِنًى تَأَبَّدَ غَوْلُهَا فِرِجَامُهَا فَأَمَّا الْقَصِيدَةُ الَّتِي لَا يُعْرَفُ قَائِلُهَا فِيمَا ذَكَرَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ وَالْأَصْمَعِيُّ وَالْمُبَرِّدُ وَغَيْرُهُمْ فَهِيَ قَوْلُهُ هَلْ بِالطُّلُولِ لِسَائِلٍ رَدُّ ... أَمْ هَلْ لَهَا بِتَكَلُّمٍ عَهْدُ وَهِيَ مُطَوَّلَةٌ، وَفِيهَا مَعَانٍ حَسَنَةٌ كَثِيرَةٌ.
পৃষ্ঠা - ১৩৬৭
ষ্ষ্

উমাইয়া ইবন আবুস সাল্ত ছাকাফী

হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, উমাইয়া ইবন আবুসৃ স্যলত-এর বংশ লতিকা নিম্নরুপঃ
উমাইয়া ইবন আবুস সালত আব্দুল্লাহ ইবন আবী রবীয়া ইবন আওফ ইবন আক্দ ইবন আয্যা
ইবন আওফ ইবন ছাকীফ ইবন মুনাব্বিহ ইবন বাক্ব ইবন হড়াওয়াযিন আবু উছমান, তাকে
আবুল হাকাম ছাকাফী বলা হত ৷ তিনি জাহিলিয়তের যুগের একজন কবি ৷ ইসলামের পুর্বে
তিনি দামেশকে আগমন করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি সরল পথের অনুসারী এবং জীবনের
শুরু থেকেই ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৷ পরবর্তীতে তার ঈন্মস্টনবিচ্যুতি ঘটে ৷ পবিত্র
কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা তার কথাটি উল্লেখ করেহ্যেহু ! আয়াতটি হল :

র্চ;,ট্রুৰুর্পিষ্,এে ৷ প্লেৰু ট্রু,হুষ্
তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে শোনাও, যাকে আমি দিয়েছিলাম নিদর্শন,

তারপর যে তা বর্জন করে ও শয়তান তার পেছনে লাগে, আর সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত
হয় ৷ (৭ আরাফ : ১৭৫)

যুবাইব ইবনে বাক্কার বলেন, এর কন্যা হচ্ছে রুকাইয়া আবদ শাম্স ইবন আবদ মানড়াফ
করি উমাইয়া ইবন আবুস্ সাল্ত এর মা ৷ আবুসৃ সালত এর মুল নাম রবীয়া ইবন ওহ্ব
ইবন আল্লাজ ইবন আবু সালামা ইবনে ছাকীফ ৷

অন্যরা বলেন, উমাইয়ার পিতা ছিলেন তায়েফের বিখ্যাত কবিদের একজন ৷ উমাইয়া ছিল
এদের মধ্যে সর্বাধিক খ্যাতিমান ৷

আব্দুর রাঘৃযাক ছাওরী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবন আমর (বা) উপরোক্ত
আয়াতের ব্যাখ্যার বলেছেন, এই আয়াতে উমাইয়া ইবনে আবুস্ সাল্তের প্রতিই ইঙ্গিত করা
হয়েছে ৷

আবু বকর ইবনে মরদুইয়া নাফে’ ইবনে আসিম ইবনে মাসউদ হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেন, আমি একদিন এমন একটি মজলিসে উপস্থিত ছিলাম, যেখানে আব্দুল্লাহ ইবন
আমরও ছিলেন ৷ সেই মজলিসে এক ব্যক্তি সুরা আরাফের পুর্বোক্ত আয়াত পাঠ করলে
আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি জান, লোকটি কে? উত্তরে কেউ
বলল, লোকটি হচ্ছে সাইফী ইবন রাহিব ৷ কেউ বলল, বালআম নামক বনী ইসরাঈলের জনৈক
ব্যক্তি ৷ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বললেন, না ৷ প্রশ্ন করা হল, তবে লোকটি কে? তিনি


[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ أَخْبَارٍ أُمَيَّةَ ابْنِ أَبِي الصَّلْتِ الثَّقَفِيِّ] كَانَ مِنْ شُعَرَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ وَقَدْ أَدْرَكَ زَمَنَ الْإِسْلَامِ قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: هُوَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ عُقْدَةَ بْنِ غِيَرَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفِ بْنِ مُنَبِّهِ بْنِ بَكْرِ بْنِ هَوَازِنَ أَبُو عُثْمَانَ، وَيُقَالَ: أَبُو الْحَكَمِ الثَّقَفِيُّ شَاعِرٌ جَاهِلِيٌّ قَدِمَ دِمَشْقَ قَبْلَ الْإِسْلَامِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ مُسْتَقِيمًا، وَإِنَّهُ كَانَ فِي أَوَّلِ أَمْرِهِ عَلَى الْإِيمَانِ ثُمَّ زَاغَ عَنْهُ، وَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي أَرَادَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِقَوْلِهِ {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ} [الأعراف: 175] . قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ فَوَلَدَتْ رُقَيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ أُمَيَّةَ
পৃষ্ঠা - ১৩৬৮
ষ্ষ্


বললেন, সােকটি হচ্ছে উমাইয়া ইবন আবুসৃ সাল্ত ৷ আবু সালেহ্, কড়ালবী ও কাতাদা প্রমুখ
অনুরুপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷

তাবারড়ানী বর্ণনা করেন যে, আবু সুফিয়ান বলেন, আমি এবং উমাইয়া ইবন আবুস্ সাল্ত
ছাকাফী একবার বাণিজ্য উপলক্ষেদ্র সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই ৷ পথে কোথাও যাত্রা বিরতি
দিলে উমাইয়া আমাকে একটি লিপিকা পাঠ করে শুনাতো ৷ এইভাবে আমরা খৃষ্টানদের একটি
গ্রামে গিয়ে পৌছি ৷ তখন গ্রামের খৃষ্টানরা এসে উমাইয়াকে স্বাগত জানায় এবং উমাইয়া তাদের
সাথে তাদের বাড়ীতে যায় ৷ দুপুরে ফিরে এসে সে পরনের পোষাক খুলে ফেলে দুটি কালো
কাপড় পরে নেয় এবং পরে আমাকে বলল, আবু সুফিয়ানৰু এই অঞ্চলে একজন বিজ্ঞ খৃষ্টান
আলেম আছেন, আপনি ইচ্ছা করলে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন ৷ আমি বললাম , না,
আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ আল্লাহ্র শপথ! যদি ণ্ণ্ব্ আমাকে আমার মনঃপুত কোন কথা
বলে, তাতে আমি তার প্রতি আস্থা স্থাপন করতে পারব না ৷ আর যদি সে আমার দৃষ্টিতে
অপ্রীতিকর কোন কথা বলে , তা হলে আমি অবশ্যই তার প্ৰতি ক্ষুব্ধ হবো ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এর পর উমইিয়া চলে যায় এবং জনৈক প্রবীংল্কি খৃষ্টানের সাথে কথা
বলে ৷ আবার আমার নিকট ফিরে আসে ৷ এসে বলল, আচ্ছা এই প্রবীণ লোকটির নিকট যেতে
আপনার বাধা কোথায়ঃ আমি বললাম, আমি তো তার ধর্মের অনুসারী নই! উমাইয়া বলল, তা
সত্বেও তা থেকে কিছু বিস্ময়কর কথা তো শুনতে পারবেন এবং তাকে দেখতে পারবেন ৷

তারপর সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা আপনি কী ছাকীফ বংশীয়ঃ আমি বল্লাম , না ৷
বরং আমি কুরাইশী ৷ উমাইয়া বলল, তবে লোকটির কাছে যেতে আপনার অসুবিধাটা কোথায়?
আল্লাহর শপথ ৷ অবশ্যই তিনি আপনাদেরকে ভালােবাসেন ও আপনাদের মঙ্গল কামনা করেন ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এ কথা বলে উমাইয়া আমার নিকট থেকে চলে গিয়ে তাদের নিকট
রয়ে যায় ৷ পরে রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর এসে কাপড় ছেড়ে সে সটান
বিছানায় শুয়ে পড়ে ৷ আল্লাহর শপথ ! সারাটা রাত সে ঘুমায় নি বা উঠেও যায়নি ৷ ভোরে তাকে
ক্লান্ত শ্রান্ত ও চিস্তিত অবস্থায় দেখা যায় ৷ সারাদিন যে আমাদের সাথে কোন কথাও বলেনি,
আমরাও তার সাথে কোন কথা বললাম না ৷

অতঃপর সে বলল, এবার কি আমরা রওয়ানা হতে পারি? আমি বললাম, তোমার নিকট
বাহন আছে কি? যে বলল, ইভ্রা আছে ৷ আমরা রওয়ানা হলাম ৷ টানা দুই রাত পথ চললাম ৷
তৃতীয় রাতে উমাইয়া আমাকে বলল, আবু সুফিয়ান ! কথা বলছেন না যে ! আমি বললড়াম , তুমিই
তো কথাবার্তা ছেড়ে দিয়েছ ৷ আল্লাহর শপথ! আমি বললাম, তোমার আবার প্রত্যাবর্তন স্থল
আছে নাকি হো সেদিন তুমি তোমার বন্ধুর নিকট থেকে আসা অবধি আমি তোমাকে যেমন
দেখছি, তেমনটি তোমাকে আমি কখানাে দেখিনি ৷ উমাইয়া বলল, ব্যাপারটির হেতু আপনি
নন ৷ আমি আমার প্রত্যাবর্তন স্থল সম্পর্কে ভীত ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আমি একদিন মৃত্যুবরণ
করব ৷ তারপর আমাকে জীবিত করা হবে ৷ আমি বললাম, তুমি কি আমার আমানত গ্রহণ


الشَّاعِرَ ابْنَ أَبِي الصَّلْتِ، وَاسْمُ أَبِي الصَّلْتِ رَبِيعَةُ بْنُ وَهْبِ بْنِ عِلَاجِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ ثَقِيفٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ أَبُوهُ مِنَ الشُّعَرَاءِ الْمَشْهُورِينَ بِالطَّائِفِ وَكَانَ أُمَيَّةُ أَشْعَرُهُمْ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: قَالَ الثَّوْرِيُّ: أَخْبَرَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ} [الأعراف: 175] هُوَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ، وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ مَرْدَوَيْهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الشَّافِعِيِّ عَنْ مُعَاذِ بْنِ الْمُثَنَّى عَنْ مُسَدَّدٍ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: إِنِّي لَفِي حَلْقَةٍ فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو فَقَرَأَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ الْآيَةَ الَّتِي فِي الْأَعْرَافِ {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا} [الأعراف: 175] فَقَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَنْ هُوَ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ صَيْفِيُّ بْنُ الرَّاهِبِ، وَقَالَ آخَرُ: بَلْ هُوَ بَلْعَمٌ رَجُلٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالَ: لَا. قَالَ: فَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: هُوَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ. وَهَكَذَا قَالَ: أَبُو صَالِحٍ وَالْكَلْبِيُّ، وَحَكَاهُ قَتَادَةُ عَنْ بَعْضِهِمْ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَبِيبٍ
পৃষ্ঠা - ১৩৬৯
الرَّبَعِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الطَّرِيحِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجْتُ أَنَا وَأُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ الثَّقَفِيُّ تُجَّارًا إِلَى الشَّامِ فَكُلَّمَا نَزَلْنَا مَنْزِلًا أَخَذَ أُمَيَّةُ سِفْرًا لَهُ يَقْرَؤُهُ عَلَيْنَا. فَكُنَّا كَذَلِكَ حَتَّى نَزَلْنَا قَرْيَةً مِنْ قُرَى النَّصَارَى فَجَاؤُهُ وَأَكْرَمُوهُ وَأَهْدَوْا لَهُ، وَذَهَبَ مَعَهُمْ إِلَى بُيُوتِهِمْ ثُمَّ رَجَعَ فِي وَسَطِ النَّهَارِ فَطَرَحَ ثَوْبَيْهِ وَأَخَذَ ثَوْبَيْنِ لَهُ أَسْوَدَيْنِ فَلَبِسَهُمَا، وَقَالَ لِي: هَلْ لَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ فِي عَالِمٍ مِنْ عُلَمَاءَ النَّصَارَى إِلَيْهِ يَتَنَاهَى عِلْمُ الْكِتَابِ تَسْأَلُهُ؟ قُلْتُ: لَا أَرَبَ لِي فِيهِ وَاللَّهِ لَئِنْ حَدَّثَنِي بِمَا أُحِبُّ لَا أَثِقُ بِهِ، وَلَئِنْ حَدَّثَنِي بِمَا أَكْرَهُ لَأَوْجَلَنَّ مِنْهُ. قَالَ: فَذَهَبَ وَخَالَفَهُ شَيْخٌ مِنَ النَّصَارَى فَدَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَذْهَبَ إِلَى هَذَا الشَّيْخِ؟ قُلْتُ: لَسْتُ عَلَى دِينِهِ قَالَ: وَإِنْ فَإِنَّكَ تَسْمَعُ مِنْهُ عَجَبًا وَتَرَاهُ. ثُمَّ قَالَ لِي: أَثَقَفِيٌّ أَنْتَ؟ قُلْتُ: لَا، وَلَكِنْ قُرَشِيٌّ. قَالَ: فَمَا يَمْنَعُكَ مِنَ الشَّيْخِ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَيُحِبُّكُمْ وَيُوصِي بِكُمْ. قَالَ: فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِنَا، وَمَكَثَ أُمَيَّةُ عِنْدَهُمْ حَتَّى جَاءَنَا بَعْدَ هَدْأَةٍ مِنَ اللَّيْلِ فَطَرَحَ ثَوْبَيْهِ ثُمَّ انْجَدَلَ عَلَى فِرَاشِهِ فَوَاللَّهِ مَا نَامَ وَلَا قَامَ حَتَّى أَصْبَحَ كَئِيبًا حَزِينًا سَاقِطًا غَبُوقُهُ عَلَى صَبُوحِهِ، مَا يُكَلِّمُنَا وَلَا نُكَلِّمُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا تَرْحَلُ؟ قُلْتُ: وَهَلْ بِكَ مِنْ رَحِيلٍ؟ قَالَ: نَعَمْ
পৃষ্ঠা - ১৩৭০
ষ্ষ্


করতে পার? উমাইয়া বলল, কোন শর্তে আমি আপনার আমানত গ্রহণ করব? আমি বললাম,
এই শর্তে যে, পুনরায় উথিত করা হবে না এবং তোমার কোন হিসাব-নিকাশও নেওয়া হবে না ৷
এ কথা শুনে উমাইয়া হেসে দিল এবং বলল, আবু সুফিয়ান ! আমরা অবশ্যই পুনরুথিত হবো ৷
তারপর আমাদের হিসাব-বিকাশ নেওয়া হবে ৷ পরিশেষে একদল জান্নাতে প্রবেশ করবে আর
এক দল জাহান্নামে যাবে ৷ আমি বললাম, তা তুমি এই দুটার কােনটায় যাবে বলে তোমার
বন্ধুটি তোমাকে জানানো? উমাইয়া বলল, আমার বন্ধুর এ ব্যাপারে আদৌ কোন জ্ঞান নেই ৷
আমার ব্যাপারে তো নয়ই, তার নিজের ব্যাপারেও নয় ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এভাবে আমরা আরও দুই রাত ণ্কাটালাম ৷ সে আমাকে
আজব-আজব কথা শোনার আর আমি হেসে খুন হই ৷ এক সময়ে আমরা দামেশকের গােতা
অঞ্চলে এসে পৌছি ৷ এখানে আমরা আমাদের পণ্য সম্ভার বিক্রয় করি এবং দুই মাস অবস্থান
করি ৷ তারপর রওয়ানা হয়ে আমরা একটি খৃষ্টান পল্লীতে ণিদ্বুয় উপনীত হই ৷ সেখানকার
লোকেরা উমাইয়াকে দেখে এগিয়ে আসে এবং৩ তাকে উপচৌকনদ্দো দেয় ৷ উমাইয়া তাদের
সাথে তাদের গীর্জায় যায় এবং দুপুরের পরে ফিরে এসে কাপ্ ৷ড় পান্টিয়ে আবার চলে যায় ৷
এইবার সন্ধ্য৷ রাতে র পর ফিরে এসে কাপড় ছেড়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে আল্লাহর শপথ
সারাটা রাত্র সে একদণ্ড ঘুমাল না ৷ চিস্তিত ও ভারাক্রাম্ভ মনে এপাশ-ওপাশ করে ক টাল ৷
সে-ও আমাদের সাথে কোন কথা বলল না, আমরাও তার সাথে কথা বললাম না ৷

অতঃপর সে বলল, এবার আমরা রওয়ানা হই ৷ আমি বললাম, ইচ্ছা হলে চল ! আমরা
রওয়ানা হলাম ৷ কয়েক রাত কেটে গেল ৷ উমাইয়া তেমনি-ই দুঃখ ভারাক্রাম্ভ রয়ে গেল ৷ তার
পর সে বলল, আবু সুফিয়ান! আসুন, আমরা দ্রুত আঃসুর হয়ে সৎগীদের আগে চলে যাই ৷
আমি বললাম, কেন? কোন প্রয়োজন আছে নাকি? সে বললাে, আছে বৈ কি! তখন আমরা

দুইজন সৎগীদের পেছনে ফেলে খানিকটা সামনে এগিয়ে গেলাম ৷ এবার উমাইয়া বললাে,

আচ্ছা উতব৷ ইবনে রবীয়া সম্পর্কে বলুন৫ ৷,তিনি কি অন্যায় অবিচার এবং বৈধ অবৈধ
বিবেচনা করে চলেন?

আমি বললাম, ইা, আল্লাহর শপথ! উমাইয়া বলল, তিনি কি আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায়
রাখেন এবং বজায় রাখতে আদেশ করেন?

আমি বললাম, হীা, আল্লাহর শপথ ৷ উমাইয়া বলল, পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই কি
তিনি কুলীন-সমাজে শ্রদ্বেয় ব্যক্তি? আমি বললাম, ই৷ ৷

উমাইয়া বলল, আচ্ছা, আপনার জানামতে কুরাইশ বংশে তার চাতইয়ু ৩সম্রাম্ভ ব্যক্তি আর
কেউ আছেন কি ?

আমি বললাম, না, আল্লাহর শপথ তার চাইতে সক্সাম্ভ আর কেউ আছে বলে আমি
জা লি না ৷

উমাইয়া বলল, তিনি কি দরিদ্র? আমি বললাম, না ৷ বরং তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী ৷
উমাইয়া বলল, তার বয়স কত, বলতে পারেন?


فَرَحَلْنَا فَسِرْنَا بِذَلِكَ لَيْلَتَيْنِ مِنْ هَمِّهِ. ثُمَّ قَالَ فِي اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ: أَلَا تَحَدَّثُ يَا أَبَا سُفْيَانَ؟ قُلْتُ: وَهَلْ بِكَ مِنْ حَدِيثٍ؟ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَجَعْتَ بِهِ مِنْ عِنْدِ صَاحِبِكَ. قَالَ: أَمَا إِنَّ ذَلِكَ لِشَيْءٍ لَسْتَ فِيهِ إِنَّمَا ذَلِكَ لِشَيْءٍ وَجِلْتُ مِنْهُ مِنْ مُنْقَلَبِي. قُلْتُ: وَهَلْ لَكَ مِنْ مُنْقَلَبٍ قَالَ: أَيْ وَاللَّهِ لَأَمُوتَنَّ، ثُمَّ لَأُحْيَيَنَّ قَالَ: قُلْتُ: هَلْ أَنْتَ قَابِلٌ أَمَانَتِي؟ قَالَ: عَلَى مَاذَا؟ قُلْتُ: عَلَى أَنَّكَ لَا تُبْعَثُ وَلَا تُحَاسَبُ قَالَ: فَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: بَلَى وَاللَّهِ يَا أَبَا سُفْيَانَ لَنُبْعَثَنَّ ثُمَّ لَنُحَاسَبَنَّ، وَلَيَدْخُلَنَّ فَرِيقٌ الْجَنَّةَ وَفَرِيقٌ النَّارَ. قُلْتُ: فَفِي أَيِّهِمَا أَنْتَ أَخْبَرَكَ صَاحِبُكَ؟ قَالَ: لَا عِلْمَ لِصَاحِبِي بِذَلِكَ لَا فِيَّ وَلَا فِي نَفْسِهِ. قَالَ: فَكُنَّا فِي ذَلِكَ لَيْلَتَيْنِ يَعْجَبُ مِنِّي وَأَضْحَكُ مِنْهُ حَتَّى قَدِمْنَا غُوطَةَ دِمَشْقَ فَبِعْنَا مَتَاعَنَا، وَأَقَمْنَا بِهَا شَهْرَيْنِ فَارْتَحَلْنَا حَتَّى نَزَلْنَا قَرْيَةً مِنْ قُرَى النَّصَارَى. فَلَمَّا رَأَوْهُ جَاءُوهُ وَأَهْدَوْا لَهُ، وَذَهَبَ مَعَهُمْ إِلَى بَيْعَتِهِمْ فَمَا جَاءَ إِلَّا بَعْدَ مُنْتَصَفِ النَّهَارِ فَلَبِسَ ثَوْبَيْهِ، وَذَهَبَ إِلَيْهِمْ حَتَّى جَاءَ بَعْدَ هَدْأَةٍ مِنَ اللَّيْلِ فَطَرَحَ ثَوْبَيْهِ وَرَمَى بِنَفْسِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَوَاللَّهِ مَا نَامَ وَلَا قَامَ وَأَصْبَحَ حَزِينًا كَئِيبًا لَا يُكَلِّمُنَا وَلَا نُكَلِّمُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا تَرْحَلُ؟ قُلْتُ: بَلَى إِنْ شِئْتَ. فَرَحَلْنَا كَذَلِكَ مِنْ بَثِّهِ وَحُزْنِهِ لَيَالِيَ، ثُمَّ قَالَ لِي: يَا أَبَا سُفْيَانَ هَلْ لَكَ فِي الْمَسِيرِ لِنَتَقَدَّمَ أَصْحَابَنَا؟ قُلْتُ: هَلْ لَكَ فِيهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَسِرْنَا حَتَّى بَرَزْنَا مِنْ أَصْحَابِنَا سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: هَيَا
পৃষ্ঠা - ১৩৭১
ষ্ষ্


আমি বললাম, একশ’ পেরিয়ে গেছে ৷ উমাইয়া বলল, আচ্ছা বৎশ-মর্যাদা, সম্পদ এবং
বয়স কি র্তাকে বিপথগামী করেছে?

আমি বল্লাম , না, কেন এ সব র্তাকে বিপথগামী করবেঃ বরং এ সব তার কল্যাণ আরো
বৃদ্ধি করেছে ৷ উমাইয়া বলল, আ ই বটে ! এখন কি ঘুমাবেঃ আমি বললাম, ইক্ত৷ ৷ তারপর আমি
শয়ন করলাম আর উমাইয়া তার সড়ামান পত্রের নিকট চলে গেল ৷ কিছুক্ষণ ৰিশ্রামের পর
আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম ৷ কিছুদুর অগ্রসর হয়ে এক স্থানে অবতরণ করে রাত
কাটালাম ৷ তারপর আবার রওয়ানা হলাম ৷ আমরা দুইটি থােরাসানী উটনীতে সওয়ার হয়ে
চলতে লাগলাম ৷ আমরা একটি খোলা ময়দানে গিয়ে পৌছলাম ৷ তখন উমাইয়া বলল, উতবা
ইবনে রবীয়া সম্পর্কে বলুন, তিনি কি অবৈধ কাজ ও জুলুম-অত্যচাের পরিহার করে চলেনঃ
তিনি কি আত্মীয়তা বজায় রাখেন এবং তা বজায় রাখার জন্য আদেশ করেন?

আমি বললাম, হীড়া, আল্লাহর শপথ ! তিনি তা’ করেন ৷ উমাইয়া বলল, তিনি কি
সম্পদশালী ৷ উমাইয়া বলল, কুরাইশ গোত্রে তার চেয়ে ষ্ম্ভাম্ভ আর কেউ আছে বলে আপনি
জানেন কি? আমি বললাম , না ৷

উমাইয়া বলল, তার বয়স কত হবো আমি বললাম, একশ’র উপরে ৷ উমাইয়া বলল,
বয়স, বংশ-মর্যাদা এবং সম্পদ তাকে বিপথগামী করেছে কি? আমি বললাম, না, আল্লাহর
শপথ ! এইসব তাকে বিপথগামী করেনি ৷

আমি বললাম , তুমি যা বলতে চাচ্ছ, তা বলে ফেল ৷

উমাইয়া বলল, আমি যা বলছি তুমি তা’ কারো কাছে তা প্রকাশ করবে না ৷ উতব৷ ইবন
রবীয়ার ব্যাপারে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে ৷ তারপর সে বলল, আমি এ খৃষ্টান পণ্ডিতকে
কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম ৷ তার একটি ছিল এই যে, এই প্ৰডীক্ষিত নবী সম্পর্কে
আপনার অভিমত কি? বললেন, তিনি তো আরবের লোক হবেন ৷ আমি বললাম , তিনি যে
আরবের লোক হবেন তা তো আমি জানি ৷ আমার প্রশ্ন হল, তিনি আরবের কোন গোত্রের লোক
হবেন? ঐ খ্রীক্টান পণ্ডিত বললেন, তিনি আরবের হজ্জ তত্ত্বড়াবধানকারী পরিবারের লোক হবেন ৷
আমি বললাম, ইড়া, আমাদের এমন একটি ঘর আছে, যাকে কেন্দ্র করে আরবরা হজ্জ করে
থাকে ৷ এবার পণ্ডিত বললেন, তিনি হবেন কুরায়শ বংশের লোক ৷ এ কথাটি শোনার পর আমি
এমন ব্যথিত হয়ে পড়লাম, যেমনটি এর আগে কখনো হইনি ৷ যেন দুনিয়া ও আখিরাতের
তাবৎ সাফল্য হাতছাড়া হয়ে গেল ৷ আমি আশা করতাম যে, সেই প্রভীক্ষিত নবী আমিই হবো ৷

তারপর আমি বললাম, আমাকে লোকটির আরো কিছু বিবরণ দাও ! জবাবে সে বললাে :
যৌবন অতিক্রম করে যখন তিনি প্রোঢ়ত্বে পদাপর্ণ করবেন , তখন তার প্রথম কাজ হবে এই যে ,
তিনি অন্যড়ায়-অবিচার এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকবেন ৷ নিজে আত্মীয়তার বন্ধন বজায়
রাখবেন এবং অন্যদেরকেও তড়া’ বজায় রাখতে আদেশ করবেন ৷ তিনি হবেন পিতা-মাতা
উভয় কুল থেকে সস্ত্রাম্ভ, বিত্তহীন, সমাজে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র ৷ র্তার বাহিনীর অধিকাংশ
হবেন ফেরেশৃতা ৷


صَخْرُ قُلْتُ: مَا تَشَاءُ؟ قَالَ حَدِّثْنِي عَنْ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ أَيَجْتَنِبُ الْمَظَالِمَ وَالْمَحَارِمَ؟ قُلْتُ: إِي وَاللَّهِ. قَالَ: وَيَصِلُ الرَّحِمَ وَيَأْمُرُ بِصِلَتِهَا؟ قُلْتُ: إِي وَاللَّهِ. قَالَ: وَكَرِيمُ الطَّرَفَيْنِ وَسَطٌ فِي الْعَشِيرَةِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَهَلْ تَعْلَمُ قُرَشِيًّا أَشْرَفَ مِنْهُ؟ قُلْتُ: لَا وَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ. قَالَ أَمُحْوِجٌ هُوَ؟ قُلْتُ: لَا بَلْ هُوَ ذُو مَالٍ كَثِيرٍ. قَالَ: وَكَمْ أَتَى عَلَيْهِ مِنَ السِّنِّ؟ قُلْتُ: قَدْ زَادَ عَلَى الْمِائَةِ. قَالَ: فَالشَّرَفُ وَالسِّنُّ وَالْمَالُ أَزْرَيْنَ بِهِ؟ قُلْتُ: وَلِمَ ذَاكَ يُزْرِي بِهِ؟ لَا وَاللَّهِ بَلْ يَزِيدُهُ خَيْرًا قَالَ: هُوَ ذَاكَ. هَلْ لَكَ فِي الْمَبِيتِ؟ قُلْتُ: هَلْ لِي فِيهِ قَالَ: فَاضْطَجَعْنَا حَتَّى مَرَّ الثَّقَلُ. قَالَ: فَسِرْنَا حَتَّى نَزَلْنَا فِي الْمَنْزِلِ وَبِتْنَا بِهِ، ثُمَّ ارْتَحَلْنَا مِنْهُ فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ قَالَ لِي: يَا أَبَا سُفْيَانَ قُلْتُ مَا تَشَاءُ؟ قَالَ: هَلْ لَكَ فِي مِثْلِ الْبَارِحَةِ؟ قُلْتُ: هَلْ لِي فِيهِ. قَالَ: فَسِرْنَا عَلَى نَاقَتَيْنِ بُخْتِيَّتَيْنِ حَتَّى إِذَا بَرَزْنَا قَالَ: هَيَا صَخْرُ هِيهِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ. قَالَ: قُلْتُ هِيهًا فِيهِ قَالَ: أَيَجْتَنِبُ الْمَحَارِمَ وَالْمَظَالِمَ، وَيَصِلُ الرَّحِمَ وَيَأْمُرُ بِصِلَتِهَا؟ قُلْتُ: إِي وَاللَّهِ إِنَّهُ لَيَفْعَلُ. قَالَ: وَذُو مَالٍ؟ قُلْتُ: وَذُو مَالٍ. قَالَ أَتَعْلَمُ قُرَشِيًّا أَسْوَدَ مِنْهُ؟ قُلْتُ: لَا وَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ. قَالَ: كَمْ أَتَى لَهُ مِنَ السِّنِّ؟ قُلْتُ: قَدْ زَادَ عَلَى الْمِائَةِ. قَالَ: فَإِنَّ السِّنَّ وَالشَّرَفَ وَالْمَالَ أَزْرَيْنَ بِهِ؟ قُلْتُ: كَلَّا وَاللَّهِ مَا أَزْرَى بِهِ ذَلِكَ، وَأَنْتَ قَائِلٌ شَيْئًا فَقُلْهُ. قَالَ: لَا تَذْكُرْ حَدِيثِي حَتَّى يَأْتِيَ مِنْهُ مَا هُوَ آتٍ. ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১৩৭২
فَإِنَّ الَّذِي رَأَيْتَ أَصَابَنِي أَنِّي جِئْتُ هَذَا الْعَالِمَ فَسَأَلْتُهُ عَنْ أَشْيَاءَ، ثُمَّ قُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنْ هَذَا النَّبِيِّ الَّذِي يُنْتَظَرُ. قَالَ: هُوَ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ. قُلْتُ: قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ مِنَ الْعَرَبِ فَمِنْ أَيِّ الْعَرَبِ هُوَ؟ قَالَ: مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ تَحُجُّهُ الْعَرَبُ. قُلْتُ: وَفِينَا بَيْتٌ تَحُجُّهُ الْعَرَبُ. قَالَ: هُوَ مِنْ إِخْوَانِكُمْ مِنْ قُرَيْشٍ فَأَصَابَنِي وَاللَّهِ شَيْءٌ مَا أَصَابَنِي مِثْلُهُ قَطُّ، وَخَرَجَ مِنْ يَدِي فَوْزُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَكُنْتُ أَرْجُو أَنْ أَكُونَ إِيَّاهُ. قُلْتُ: فَإِذَا كَانَ مَا كَانَ فَصِفْهُ لِي. قَالَ: رَجُلٌ شَابٌّ حِينَ دَخَلَ فِي الْكُهُولَةِ بُدُوُّ أَمْرِهِ يَجْتَنِبُ الْمَظَالِمَ وَالْمَحَارِمَ، وَيَصِلُ الرَّحِمَ وَيَأْمُرُ بِصِلَتِهَا، وَهُوَ مُحْوِجٌ كَرِيمُ الطَّرَفَيْنِ مُتَوَسِّطٌ فِي الْعَشِيرَةِ، أَكْثَرُ جُنْدِهِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. قُلْتُ: وَمَا آيَةُ ذَلِكَ؟ قَالَ: قَدْ رَجَفَتِ الشَّامُ مُنْذُ هَلَكَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثَمَانِينَ رَجْفَةً كُلُّهَا فِيهَا مُصِيبَةٌ، وَبَقِيَتْ رَجْفَةٌ عَامَّةٌ فِيهَا مَصَائِبُ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَقُلْتُ: هَذَا وَاللَّهِ الْبَاطِلُ لَئِنْ بَعَثَ اللَّهُ رَسُولًا، لَا يَأْخُذُهُ إِلَّا مُسِنًّا شَرِيفًا. قَالَ أُمَيَّةُ: وَالَّذِي حَلَفْتَ بِهِ إِنَّ هَذَا لَهَكَذَا يَا أَبَا سُفْيَانَ ; تَقُولُ: إِنَّ قَوْلَ النَّصْرَانِيِّ حَقٌّ. هَلْ لَكَ فِي الْمَبِيتِ؟ قُلْتُ: هَلْ لِي فِيهِ. قَالَ: فَبِتْنَا حَتَّى جَاءَنَا الثَّقَلُ، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَكَّةَ لَيْلَتَانِ، أَدْرَكَنَا رَاكِبٌ مِنْ خَلْفِنَا فَسَأَلْنَاهُ فَإِذَا هُوَ
পৃষ্ঠা - ১৩৭৩
ষ্ষ্


আমি বললড়াম, তার লক্ষণ কিং তিনি বললেন, ঈসা ইবন মারয়াম (আ)-এর দুনিয়া
ত্যাগের পর থেকে সিরিয়ার এ পর্যন্ত আশিটি ভুমিকম্প ঘটেছে ৷ তার প্রতিটিতে একটি করে
বিপদ ছিল ৷ এখনো এমন একটি ব্যাপক ভুমিকম্প অবশিষ্ট আছে যাতে একাধিক বিপদ
থাকবে ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এই কথা শুনে আমি বললাম, আল্লাহর শপথ ! এটা মিথ্যা কথা ৷
আল্লাহ যদি একান্তই রাসুল পাঠান তাহলে বয়স্ক ও সস্রান্ত লোক ছাড়া কাউকেও রাসুল করে
পাঠাবেন না ৷ জবাবে উমাইয়া বলল, তুমি যার নামে শপথ করেছ, আমিও তারই নামে
শপথ করে বলছি যে, ঘটনাটি এরুপই হবে, হে আবু সুফিয়ান ! খৃষ্টান পণ্ডিতের কথা
নিঃসন্দেহে সত্য ৷

এই আলোচনার পর আমরা শুয়ে রাত কাটালাম ৷ অতঃপর ত তল্পা নিয়ে আবার যাত্রা
শুরু করলাম ৷ অগ্রসর হতে হতে যখন আমাদের এবং মক্কার মাঝে মাত্র দুই দিনের পথ বাকী
থাকলো, ঠিক এমন সময় পেছন থেকে এক আরোহী এসে অড়ামাদের সঙ্গে মিলিত হল ৷ পরিচয়
জিজ্ঞেস করতেই সে বলতে শুরু করল যে, আপনাদের চলে আসার পরক্ষ্যণই সিরিয়ার এক
ভুমিকম্প হয়ে সব তছনছ করে ফেল্যেছ, ফলে তার অধিবাসীদের উপর নানা রকম মহা বিপদ
নেমে এসেছে ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এ কথা শুনে উমাইয়া আমার কাছে এসে বলল, আবু সুফিয়ড়ান ! খৃষ্টান
পণ্ডিতের কথাটা তোমার এখন কেমন মনে হচ্ছে?

আমি বললাম, এখন তো আমার মনে হচ্ছে যে, তোমার সৎগী তোমাকে যা বলেছিল,
সত্যই বলেছে ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, তারপর আমি মক্কা এসে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করে আবার
বাণিজ্য উপলক্ষে ইয়ড়ামানে চলে যাই ৷ সেখানে আমি পড়াচ মাস অবস্থান করি ৷ অতঃপর মক্কায়
ফিরে আসি ৷ মক্কায় আসার পর লোকেরা আমার ঘরে এসে প্রত্যেকে নিজ নিজ পণ্য সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করতে শুরু করল ৷ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহও আসলেন ৷ হিন্দ তখন আমার অদুরে
বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করছিল ৷ মুহড়ামদ এসে আমাকে সালাম দিলেন কুশলাদি জিজ্ঞেস
করলেন, এবং আমার সফরের খোজখবব নিলেন ৷ কিন্তু তার পণ্যসম্ভার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞেস
করলেন না ৷ তারপর উঠে চলে গেলেন ৷

আমি তখন হিন্দকে লক্ষ্য করে বললাম, আল্লাহর শপথ ! বিষয়টা আমার নিকট অদ্ভুত
ঠেকছে ৷ কুরায়শের য়ত লোকের আমার কাছে পণ্য আছে, তারা একে একে প্রত্যেকে নিজ নিজ
পণ্যের খোজখবর নিল ৷ কিন্তু মুহাম্মদ নিজের পণ্য সম্পর্কে একটি কথাও জিজ্ঞেস করলেন না ৷
জবাবে হিন্দ আমাকে বলল, আপনি কি তার ঘটনা জানেন না? আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জিজ্ঞেস
করলাম, কী ঘটনা? জবাবে হিন্দ বলল, যে দাবি করে যে, সে নাকি আল্লাহর রাসুল! সঙ্গে সঙ্গে
আমার খৃষ্টান পণ্ডিতের কথাটা মনে পড়ে গেল এবং আমার সমস্ত শরীর শিউরে উঠলো ৷ অবস্থা
দেখে হিন্দ আমাকে বলল, তোমার আবার কী হলো ? আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম এবং বললাম ,


يَقُولُ: أَصَابَتْ أَهْلَ الشَّامِ بَعْدَكُمْ رَجْفَةٌ دَمَّرَتْ أَهْلَهَا، وَأَصَابَتْهُمْ فِيهَا مَصَائِبُ عَظِيمَةٌ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَأَقْبَلَ عَلَيَّ أُمَيَّةُ فَقَالَ: كَيْفَ تَرَى قَوْلَ النَّصْرَانِيِّ يَا أَبَا سُفْيَانَ؟ قُلْتُ: أَرَى وَأَظُنُّ وَاللَّهِ أَنَّ مَا حَدَّثَكَ بِهِ صَاحِبُكَ حَقٌّ. قَالَ: فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَقَضَيْتُ مَا كَانَ مَعِي، ثُمَّ انْطَلَقْتُ حَتَّى جِئْتُ الْيَمَنَ تَاجِرًا فَكُنْتُ بِهَا خَمْسَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَبَيْنَا أَنَا فِي مَنْزِلِي جَاءَنِي النَّاسُ يُسَلِّمُونَ عَلَيَّ، وَيَسْأَلُونَ عَنْ بَضَائِعِهِمْ حَتَّى جَاءَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهِنْدٌ عِنْدِي تُلَاعِبُ صِبْيَانَهَا فَسَلَّمَ عَلَيَّ وَرَحَّبَ بِي، وَسَأَلَنِي عَنْ سَفَرِي وَمُقَامِي، وَلَمْ يَسْأَلْنِي عَنْ بِضَاعَتِهِ ثُمَّ قَامَ. فَقُلْتُ لِهِنْدٍ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَيُعْجِبُنِي مَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ قُرَيْشٍ لَهُ مَعِي بِضَاعَةٌ إِلَّا وَقَدْ سَأَلَنِي عَنْهَا وَمَا سَأَلَنِي هَذَا عَنْ بِضَاعَتِهِ! فَقَالَتْ لِي هِنْدٌ: وَمَا عَلِمْتَ شَأْنَهُ؟ فَقُلْتُ، وَفَزِعْتُ: مَا شَأْنُهُ؟ قَالَتْ: يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. فَوَقَذَتْنِي وَذَكَرْتُ قَوْلَ النَّصْرَانِيِّ فَوَجَمْتُ حَتَّى قَالَتْ لِي هِنْدٌ: مَالَكَ؟ فَانْتَبَهْتُ فَقُلْتُ: إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَاطِلُ! لَهُوَ أَعْقَلُ مِنْ أَنْ يَقُولَ هَذَا. قَالَتْ: بَلَى وَاللَّهِ إِنَّهُ لَيَقُولَنَّ ذَلِكَ وَيُوَاتَى عَلَيْهِ، وَإِنَّ لَهُ لِصَحَابَةٌ عَلَى دِينِهِ. قُلْتُ: هَذَا هُوَ الْبَاطِلُ قَالَ: وَخَرَجَتْ فَبَيْنَا أَنَا أَطُوفُ بِالْبَيْتِ لَقِيتُهُ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ بِضَاعَتَكَ قَدْ بَلَغَتْ كَذَا وَكَذَا وَكَانَ فِيهَا خَيْرٌ فَأَرْسِلْ فَخُذْهَا وَلَسْتُ آخُذُ مِنْكَ فِيهَا مَا آخُذُ مِنْ قَوْمِي فَأَبَى عَلَيَّ، وَقَالَ: إِذَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ১৩৭৪
ষ্ষ্


তুমি যা বললে ৷ সব মিথ্যা কথা ৷ মুহাম্মদ এত নির্বোধ নয় যে, এ রকম কথা বলবে ৷ হিন্দ
বলল, আল্লাহর শপথ, অবশ্যই মুহাম্মদ তা বলছে এবং একথা রীতিম ব্র :পচার করে বেড়াচ্ছো
এতদিনে তো এই মতের পক্ষে তার বেশ ক’জন সঙ্গী সাথীও জুটে পিংহ্ব্রছ ৷ আমি বললাম ,
এইসব বাজে কথা ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, অতঃপর আমি ঘর থেকে বের হয়ে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে শুরু
করলাম ৷ হঠাৎ মুহাম্মদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ৷ আমি বললাম, (তামার পণ্য (তা এত দামে
বিক্রয় হয়েছে ৷ তুমি বেশ লাভবান হয়েছ ৷ লোক পাঠিয়ে টাকাগুলো নিয়ে নও ৷ তবে অন্যদের
থেকে যে হারে আমি লভ্যাৎশ নিয়েছি, তোমার নিকট থেকে তা নেব ন: র্কিন্তু তিনি তাতে
রাজী হলেন না এবং বললেন, তাহলে আমি আমার অংশ গ্রহণই করব না ৷ মামি বললাম, ঠিক
আছে, আপনি লোক পাঠিয়ে দিন ৷ আমি অন্যদের নিকট থেকে যে হারে লাভ নিয়েছি, আপনার
থেকেও সে হারেই নেবাে ৷ এরপর মুহাম্মদ লোকানািয় তার টাকা নিয়ে নেন ৷ এবং আমিও
তার নিকট থেকে সেই হারে লাভ গ্রহণ করি, যে হারে অন্যদের নিকট থেকে নিয়েছি ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এই ঘটনার অল্প পরেই আমি ইয়ামানে যাই ৷ তারপর তায়েফ গিয়ে
উমাইয়া ইবনে আবুল সড়ালত-এর নিকট যাই ৷ উমাইয়া বলল, হে আবু সুফিয়ান ৷ খৃষ্টান
পণ্ডিতের কথাটা কি তোর মনে পড়ে? আমি বললাম, মনে পড়ে বৈ কিং সে ব্যাপারটি তো
বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে ৷ উমাইয়া জিজ্ঞেস করল, কে সেই লোকঃ আমি বললাম, আবদৃল্লাহর
পুত্র মুহাম্মদ ৷ উমাইয়া বলল, আবদুল মুত্তালিব-এর ছেলে আবদুল্লাহর পুত্র? আমি বললাম, ই৷ ,
তা-ই ৷ এই বলে আমি হিন্দের মুখে শ্রুত ঘটনাটি বিস্তারিত বিবৃত করলাম ৷ শুনে উমাইয়া
ঘর্মসিক্ত হয়ে গেল এবং বলল, আল্লাহই ভালো জানেন ৷ তারপর সে বলল, হে আবু সুফিয়ান
খৃষ্টান পন্ডিত যে বিবরণ দিয়েছিলেন, যতদুর মনে হয় মুহাম্মদের মধ্যে তার সবই বিদ্যমান ৷
আমার জীবদ্দশায় যদি মুহাম্মদ তার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান তাহলে তার সাহায্য না করার
জন্য আমি আল্লাহর নিকট ওযরখাহী করব ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, অতঃপর আমি পুনরায় ইয়ামান চলে গেলাম ৷ ইয়ামান পৌছামাত্র
জানতে পারলাম যে, মুহাম্মদের সংবাদ এখানেও পৌছে গেছে ৷ পুনরায় তব্বয়েফ গিয়ে
উমাইয়াকে বললাম, আবু উছমান ৷ মুহাম্মদের সংবাদ তো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এবার তু
কী করবে, সিদ্ধান্ত নাও ৷ উমাইয়া বলল, আল্লাহর শপথ! আমি ছাকীয় গোত্র ব্যতীত অন্য
গোত্রের নবীর প্রতি কিছুতেই ঈমান আনব না ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, অতঃপর আমি মক্কায় চলে আসি ৷ এসে দেখতে পেলাম যে ,
জনতার হাতে মুহাম্মদের সংগীরা প্রহৃত ও লাঞ্ছিত হচ্ছে ৷ তা দেখে আমি মনে মনে বলতে
লাগলাম, তার ফেরেশতা বাহিনী এখন কোথায় গেল? আমি মনে মনে পর্ব বো ধ করলাম ৷


آخُذُهَا. قُلْتُ: فَأَرْسِلْ فَخُذْهَا وَأَنَا آخُذُ مِنْكَ مِثْلَ مَا آخُذُ مِنْ قَوْمِي فَأَرْسَلَ إِلَى بِضَاعَتِهِ فَأَخَذَهَا وَأَخَذْتُ مِنْهُ مَا كُنْتُ آخُذُ مِنْ غَيْرِهِ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ خَرَجْتُ إِلَى الْيَمَنِ فَقَدِمْتُ الطَّائِفَ فَنَزَلْتُ عَلَى أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا عُثْمَانَ قَالَ: مَا تَشَاءُ؟ قُلْتُ: هَلْ تَذْكُرُ قَوْلَ النَّصْرَانِيِّ؟ فَقُلْتُ: أَذْكُرُهُ فَقُلْتُ: وَقَدْ كَانَ، قَالَ: وَمَنْ؟ قُلْتُ: مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ قُلْتُ: ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ثُمَّ قَصَصْتُ عَلَيْهِ خَبَرَ هِنْدٍ قَالَ: فَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَخَذَ يَتَصَبَّبُ عَرَقًا، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ يَا أَبَا سُفْيَانَ لَعَلَّهُ، إِنَّ صِفَتَهُ لَهِيَ وَلَئِنْ ظَهَرَ، وَأَنَا حَيٌّ لَأُبْلِيَنَّ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي نَصْرِهِ عُذْرًا. قَالَ: وَمَضَيْتُ إِلَى الْيَمَنِ فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ جَاءَنِي هُنَالِكَ اسْتِهْلَالُهُ، وَأَقْبَلْتُ حَتَّى نَزَلْتُ عَلَى أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ بِالطَّائِفِ فَقُلْتُ: يَا أَبَا عُثْمَانَ قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِ الرَّجُلِ مَا قَدْ بَلَغَكَ، وَسَمِعْتَهُ قَالَ: قَدْ كَانَ لَعَمْرِي. قُلْتُ: فَأَيْنَ أَنْتَ مِنْهُ يَا أَبَا عُثْمَانَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ لِأُومِنَ بِرَسُولٍ مِنْ غَيْرِ ثَقِيفٍ أَبَدًا. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَأَقْبَلْتُ إِلَى مَكَّةَ فَوَاللَّهِ مَا أَنَا بِبَعِيدٍ حَتَّى جِئْتُ مَكَّةَ فَوَجَدْتُ أَصْحَابَهُ يُضْرَبُونَ وَيُحْقَرُونَ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَجَعَلْتُ أَقُولُ: فَأَيْنَ
পৃষ্ঠা - ১৩৭৫
جُنْدُهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ؟ قَالَ: فَدَخَلَنِي مَا يَدْخُلُ النَّاسَ مِنَ النَّفَاسَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِ الدَّلَائِلِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ طَرِيحٍ بِهِ، وَلَكِنَّ سِيَاقَ الطَّبَرَانِيِّ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ أَتَمُّ، وَأَطْوَلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ مُقْبِلٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَبِيبٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَا مُجَاشِعُ بْنُ عَمْرٍو الْأَسَدِيُّ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ أَنَّ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ كَانَ بِغَزَّةَ أَوْ بِإِيلِيَاءَ فَلَمَّا قَفَلْنَا قَالَ لِي أُمَيَّةُ: يَا أَبَا سُفْيَانَ هَلْ لَكَ أَنْ تَتَقَدَّمَ عَلَى الرُّفْقَةِ فَنَتَحَدَّثَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَفَعَلْنَا فَقَالَ لِي: يَا أَبَا سُفْيَانَ إِيهِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ؟ قُلْتُ: كَرِيمُ الطَّرَفَيْنِ، وَيَجْتَنِبُ الْمَحَارِمَ وَالْمَظَالِمَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: وَشَرِيفٌ مُسِنٌّ؟ قُلْتُ: وَشَرِيفٌ مُسِنٌّ قَالَ: السِّنُّ وَالشَّرَفُ أَزْرَيَا بِهِ. فَقُلْتُ لَهُ: كَذَبْتَ مَا ازْدَادَ سِنًّا إِلَّا ازْدَادَ شَرَفًا. قَالَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ إِنَّهَا كَلِمَةٌ مَا سَمِعْتُ أَحَدًا يَقُولُهَا لِي مُنْذُ تَبَصَّرْتُ فَلَا تَعْجَلْ عَلَيَّ حَتَّى أُخْبِرَكَ. قَالَ: قُلْتُ: هَاتِ قَالَ: إِنِّي كُنْتُ أَجِدُ فِي كُتُبِي نَبِيًّا يُبْعَثُ مِنْ حَرَّتِنَا هَذِهِ فَكُنْتُ أَظُنُّ بَلْ كُنْتُ لَا أَشُكُّ أَنِّي أَنَا هُوَ فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ১৩৭৬
ষ্ষ্


অপেক্ষাকৃত সংক্ষেপে বর্ণনাটি বায়হাকীর কিতাবুদ দালাইলে’ও বর্ণিত হয়েছে,
তড়াবারানীর অন্য এক বর্ণনায় আবু সুফিয়ান ও উমাইয়া ইবনে আবুস্সালত-এর কথোপকথনে
অতিরিক্ত আছে :

উমাইয়া বলল, আমি আমার কাছে রক্ষিত বিভিন্ন কিভাবে পড়েছি যে, আমাদের এ
কঙ্করময় অঞ্চল থেকে একজন নবী প্রেরিত হবেন ৷ ফলে আমি ধারণা করতাম, বরং আমার
দৃঢ় বিশ্বাসই ছিল যে, আমিই হবো সেই ব্যক্তি ৷ কিন্তু পরে বিভিন্ন পণ্ডিতের সঙ্গে
আলাপ-আলোচনা করে জানতে পারলাম যে, তিনি হবেন আবদে মানাফের বংশের লোক ৷
চিন্তা-ভাবনা করে আমি আবদে মানাফের বংশে উতবা ইবনে রবীয়া ছাড়া আর কাউকে এর
উপযুক্ত বলে খুজে পেলাম না ৷ কিন্তু আপনার মুখে তার বয়সের কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে,
তিনিও সেই ব্যক্তি নন ৷ কারণ, তিনি অনেক আগেই চল্লিশ পেরিয়ে গেছেন, অথচ তার প্রতি
ওহী নাযিল হয়নি ৷

আবু সুফিয়ান বলেন, এর কিছুদিন পর বাসুলুল্লাহ (না)-এর প্ৰতি ওহী অবতীর্ণ হয় ৷ আমি
কুরাইশের এক বণিক কড়াফেলার সঙ্গে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম ৷ পথে উমাইয়ার
সাথে দেখা হলে উপহাস করে তাকে বললাম, উমাইয়া! তুমি যে নবীর কথা বলতে, তার
আবির্ভাব তো ঘটে গেছে ৷ উমাইয়া বলল, তিনি অবশ্যই সত্য নবী, তুমি তার অনুসারী হয়ে
যাও ! আমি বললাম, তার অনুগামী হতে তোমাকে কে বাধা দেয়? উমাইয়া বলল, আমাকে শুধু
ছার্কীফ গোত্রের নারীদের লজ্জা দেওয়ার ভয়ই বাধা দিচ্ছে ৷ আদর কাছে আমি বলে রেড়াতাম
যে, আমিই হবো সেই ব্যক্তি ৷ এখন যদি তারা আমাকে আবদে মানাফের গোত্রের এক নবীর
অনুসরণ করতে দেখে তবে তারা আমাকে লজ্জা দিবে ৷ উমাইয়া বলল : আমি যেন দিব্যি
দেখতে পাচ্ছি, হে আবু সুফিয়ান ! তুমি তার বিরোধিতা করছো ৷ তারপর ছাগল ছানার মত
রজ্জ্ববদ্ধ অবস্থায় তুমি তার নিকট নীত হচ্ছে৷ ৷ আর তিনি তোমার ব্যাপারে তার ইচ্ছামত
ফয়সালড়া দিচ্ছেন ৷

আবদুর রাযযাক কালবী থেকে বর্ণনা করেন যে, কালবী বলেন, উমাইয়া একদিন শুয়ে
ছিল ৷ সঙ্গে তার নিজের দুই কন্যা ৷ হঠাৎ তাদের একজন ভয়ে চীৎকার করে উঠল ৷ চীৎকার
শুনে উমাইয়া জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার, তোমার কি হয়েছে? কন্যাটি বলল, আমি দেখলাম,
দুটি শকুন ঘরের ছাদ ফীক করে ফেলল এবং একটি শকুন আপনার কাছে এসে আপনার পেট
চিরে ফেলল ৷ অপরটি ঘরের চালের ওপর দাড়িয়ে ছিল ৷ চালের উপরের শকুনটি নিচেরটিকে
ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করল, যে কি স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন? অপরটি বলল, হী৷ ৷ প্রথমটি আবার জিজ্ঞেস
করল, যে কি তীক্ষধী? অপরটি বলল, না ৷ এ ঘটনা শুনে উমাইয়া বলল, তোমাদের পিতার
কল্যাণই কামনা করা হয়েছে ৷


دَارَسْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ إِذَا هُوَ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ. فَنَظَرْتُ فِي بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يَصْلُحُ لِهَذَا الْأَمْرِ غَيْرَ عُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ فَلَمَّا أَخْبَرْتَنِي بِسِنِّهِ عَرَفْتُ أَنَّهُ لَيْسَ بِهِ حِينَ جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ، وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَضَرَبَ الدَّهْرُ مَنْ ضَرَبَهُ فَأُوحِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجْتُ فِي رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ أُرِيدُ الْيَمَنَ فِي تِجَارَةٍ فَمَرَرْتُ بِأُمَيَّةَ فَقُلْتُ لَهُ كَالْمُسْتَهْزِئِ بِهِ: يَا أُمَيَّةُ قَدْ خَرَجَ النَّبِيُّ الَّذِي كُنْتَ تَنْعَتُهُ. قَالَ: أَمَا إِنَّهُ حَقٌّ فَاتَّبِعْهُ قُلْتُ: مَا يَمْنَعُكَ مِنِ اتِّبَاعِهِ؟ قَالَ: مَا يَمْنَعُنِي إِلَّا الِاسْتِحْيَاءُ مِنْ نُسَيَّاتِ ثَقِيفٍ إِنِّي كُنْتُ أُحَدِّثُهُنَّ أَنِّي هُوَ، ثُمَّ يَرَيْنَنِي تَابِعًا لِغُلَامٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ! ثُمَّ قَالَ أُمَيَّةُ: وَكَأَنِّي بِكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ إِنْ خَالَفْتَهُ، قَدْ رُبِطْتَ كَمَا يُرْبَطُ الْجَدْيُ حَتَّى يُؤْتَى بِكَ إِلَيْهِ فَيَحْكُمَ فِيكَ بِمَا يُرِيدُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الْكَلْبِيِّ قَالَ: بَيْنَا أُمَيَّةُ رَاقِدٌ وَمَعَهُ ابْنَتَانِ لَهُ إِذْ فَزِعَتْ إِحْدَاهُمَا فَصَاحَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهَا: مَا شَأْنُكِ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُ نَسْرَيْنِ كَشَطَا سَقْفَ الْبَيْتِ فَنَزَلَ أَحَدُهُمَا إِلَيْكَ فَشَقَّ بَطْنَكَ وَالْآخَرُ وَاقِفٌ عَلَى ظَهْرِ الْبَيْتِ فَنَادَاهُ فَقَالَ: أَوَعَى؟ قَالَ: وَعَى. قَالَ: أَزَكَا قَالَ: لَا. فَقَالَ: ذَاكَ
পৃষ্ঠা - ১৩৭৭
ষ্ষ্


ইসহাক ইবনে বিশর সাঈদ ইবন মুসায়ব্রাব থেকেও বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ সাঈদ ইবনে
মুস্যায়াব (র) বলেন, মক্কা বিজয়ের পর উমাইয়৷ ইবন আ বুস সালত এর বোন ফারিআ একদিন
রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট আগমন করে ৷ ফারিআ ছিলেন অ৩ ম্ভে বুদ্ধিমভীও সুন্দরী ৷
রাসুলুল্লাহ (স ) তাকে খুব পছন্দ করতেন ৷ একদিন তিনি তাকে বললেন, ফারিআ! তোমার
ভাইয়ের কোনো কবিতা কি তোমার স্মরণ আছে? ফারিআ বললেন, জী হীা, আছে বৈকি ৷ তবে
আমার দেখা একটি ঘটনা তার চেয়েও বিস্ময়কর ৷ ষ্ন্থাটনাটি হলো এই যে, আমার ভাই একবার
সফরে গিয়েছিলেন ৷ সফর থেকে ফিরে এসে আমার কাছে আসেন এবং আমার খাটে শয়ন
করেন ৷ আমি তখন একটি চামড়ার পশম খসাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ দেখতে পেলাম যে, সাদা রঙের
দু’টি পাখি অথবা পাখির দু’টি প্রাণী এগিয়ে আসে এবং দুটির একটি জানালার ওপর বসল
আর অপরটি আমার ভাইয়ের পায়ে এসে পড়লাে ৷ এবং তার বুক থেকে শান্তির নিচ পর্যন্ত চিরে
ফেলল ৷ তারপর তার পেটে হাত ৩ঢুকিয়ে তার হৃৎগ্রিশ ন্ বের করে হাতে নিয়ে তার ঘ্রাণ নিল ৷
তখন অপরটি জিজ্ঞেস করল, ওকি স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন? জবাবে দ্বিতীয়টি বলল, ইড়া৷ ৷ আবার
জিজ্ঞেস করল, ওকি তীক্ষ্ণধী? বলল, না ৷ তারপর হৃৎপিণ্ডটি য়থান্থানে রেখে দিল ৷ পরক্ষণে
পলকের মধ্যে জখম শুকিয়ে গেল ৷ প্রাণী দু’টি চলে যাওয়ার পর আমি আমার ভাইয়ের কাছে
গিয়ে তাকে সাড়া দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি ব্যথা অনুভব করছেন?;৩ তিনি বললেন, না ৷
কেবল শ্ ৷রীরটা একটু দুর্বল লাগছে ৷ অথচ ঘটনা দেখেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ৷ তখন
ভাই বললেন, কি ব্যাপার, তুমি কাপছো কেন? ফারিআ বলেন, তখন আমি তাকে ঘটনাটি
বিবৃত করলাম ৷ শুনে ভাই বললেন, আমার কল্যাণই কামনা করা হয়েছে ৷৩ তারপর তিনি আমার
নিকট থেকে চলে গেলেন এবং নিম্বো ৷ক্ত পংক্তিগুলাে আবৃত্তি করেন ৷


১ষ্

(

খু


এে

০ :

’ ’ ’
শুম্বুঠুপুণ্ড্র

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫৪
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া

خَيْرٌ أُرِيدَ بِأَبِيكُمَا فَلَمْ يَقْبَلْهُ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِسِيَاقٍ آخَرَ فَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «قَدِمَتِ الْفَارِعَةُ أُخْتُ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ وَكَانَتْ ذَاتَ لُبٍّ وَعَقْلٍ وَجَمَالٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا مُعْجَبًا فَقَالَ لَهَا ذَاتَ يَوْمٍ: يَا فَارِعَةُ هَلْ تَحْفَظِينَ مِنْ شِعْرِ أَخِيكِ شَيْئًا؟» فَقَالَتْ: نَعَمْ، وَأَعْجَبُ مِنْهُ مَا قَدْ رَأَيْتُ. قَالَتْ: كَانَ أَخِي فِي سَفَرٍ فَلَمَّا انْصَرَفَ بَدَأَ بِي فَدَخَلَ عَلَيَّ فَرَقَدَ عَلَى سَرِيرِي وَأَنَا أَخْلُقُ أَدِيمًا فِي يَدِي، إِذْ أَقْبَلَ طَائِرَانِ أَبْيَضَانِ أَوْ كَالطَّيْرَيْنِ أَبْيَضَيْنِ فَوَقَعَ عَلَى الْكُوَّةِ أَحَدُهُمَا وَدَخَلَ الْآخَرُ فَوَقَعَ عَلَيْهِ فَشَقَّ الْوَاقِعُ عَلَيْهِ مَا بَيْنَ قَصِّهِ إِلَى عَانَتِهِ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي جَوْفِهِ فَأَخْرَجَ قَلْبَهُ فَوَضَعَهُ فِي كَفِّهِ ثُمَّ شَمَّهُ فَقَالَ لَهُ الطَّائِرُ الْآخَرُ: أَوَعَى؟ قَالَ: وَعَى. قَالَ: أَزَكَا؟ قَالَ: أَبَى. ثُمَّ رَدَّ الْقَلْبَ إِلَى مَكَانِهِ فَالْتَأَمَ الْجُرْحُ أَسْرَعَ مِنْ طَرْفَةِ عَيْنٍ ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১৩৭৮
ذَهَبَا فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ دَنَوْتُ مِنْهُ فَحَرَّكْتُهُ فَقُلْتُ: هَلْ تَجِدُ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا إِلَّا تَوْهِينًا فِي جَسَدِي - وَقَدْ كُنْتُ ارْتَعَبْتُ مِمَّا رَأَيْتُ - فَقَالَ: مَالِي أَرَاكِ مُرْتَاعَةً؟ قَالَتْ: فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَقَالَ: خَيْرٌ أُرِيدَ بِي ثُمَّ صُرِفَ عَنِّي، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: بَاتَتْ هُمُومِيَ تَسْرِي طَوَارِقُهَا ... أَكُفُّ عَيْنِي وَالدَّمْعُ سَابِقُهَا مِمَّا أَتَانِي مِنَ الْيَقِينِ وَلَمْ ... أُوتَ بِرَاةً يَقُصُّ نَاطِقُهَا أَمْ مَنْ تَلَظَّى عَلَيْهِ وَاقِدَةُ ... النَّارِ مُحِيطٌ بِهِمْ سُرَادِقُهَا أَمْ أَسْكُنُ الْجَنَّةَ الَّتِي وُعِدَ ... الْأَبْرَارُ مَصْفُوفَةٌ نَمَارِقُهَا لَا يَسْتَوِي الْمَنْزِلَانِ ثَمَّ وَلَا ... الْأَعْمَالُ لَا تَسْتَوِي طَرَائِقُهَا هُمَا فَرِيقَانِ فِرْقَةٌ تَدْخُلُ ... الْجَنَّةَ حَفَّتْ بِهِمْ حَدَائِقُهَا وَفِرْقَةٌ مِنْهُمُ قَدْ أُدْخِلَتِ ... النَّارَ فَسَاءَتْهُمْ مَرَافِقُهَا تَعَاهَدَتْ هَذِهِ الْقُلُوبُ إِذَا ... هَمَّتْ بِخَيْرٍ عَاقَتْ عَوَائِقُهَا وَصَدَّهَا لِلشَّقَاءِ عَنْ طَلَبِ ... الْجَنَّةِ دُنْيَا اللَّهُ مَاحِقُهَا عَبْدٌ دَعَا نَفْسَهُ فَعَاتَبَهَا ... يَعْلَمُ أَنَّ الْبَصِيرَ رَامِقُهَا مَا رَغْبَةُ النَّفْسِ فِي الْحَيَاةِ وَإِنْ ... تَحْيَا قَلِيلًا فَالْمَوْتُ لَاحِقُهَا
পৃষ্ঠা - ১৩৭৯
;াণ্ড্রট্রু;;া র্চুা১ৰুাট্রুশুন্ট্রু
াস্পে :ি
ঞোটু:শু ম্ভঢ়এ এএ শুপ্টুৰুম্ —
ত্যুঃ;১
— দৃশ্চিন্তা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে ৷ আমি আমার চক্ষুকে স বরণ করতে চেষ্টা
করি ঠিক, জ্যি অশ্রু তার আগেই ঝরে পড়ে ৷ কারণ, আমার নিকট মৃত্যুর পরোয়ানা এসে
গেছে ৷ অথচ, আমাকে এমন কোন মুক্তির ঘোষণা দেয়৷ হয়নি, যা ভাষ্যকার বর্ণনা করে
শোনাবে ৷

আমি অবগত নই যে, আমি কি ঐ ব্যক্তির মত হব, যার ওপর অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে
এবং আগুন তাকে বেষ্টন করে রাখার ৷

নাকি আমি সেই জান্নাতে স্থান পার, করে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সৎকর্মশীলদেরকে , যার
বালিশগুলো সাজানো থাকবে সারি সারি করে ৷

ঐ আবাস দুটো সমান নয়, এক নয় কর্মের ধারাও ৷৩ তারা দল হবে দু টি ৷ একটি প্রবেশ
করবে জান্নড়াতে, যা বেষ্টিত থাকবে বাগ ৷-বাপিচ৷ দ্বারা ৷ অপর দলকে প্রবেশ করানো হবে
জাহান্নামে ৷ তার সব সামগ্রী হয়ে তাদের জন্য অকল্যাণকর ৷

এই হৃদয়গুলাে যেন প্রতিশ্রতিবদ্ধ হয়েছে যে, যখনই এগুলো কোন কল্যাণের র্সৎকল্প
করবে, বিপদাপদ তার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে ৷ আর দুর্ভাগ্যবশত জ ন্নাতেব অনুসন্ধান
থেকে বিরত রাখবে সে দুনিয়া, যাকে আল্লাহ নিশ্চিহ্ন করে দেবেন ৷

এক ব্যক্তি নিজেকে ভর্ধসন৷ করেছে ৷ কারণ, সে আসে যে, সর্বদ্রষ্ট৷ (আল্লাহ) তাকে
অবলোকন করছেন ৷ সে নিজেকে আজীবন বেচে থাকার প্ৰতি উৎসাহিত করেনি ৷ অল্প ক’দিন
বেচে থাকলেও একদিন তাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতেই হবে ৷

যে ব্যক্তি মৃত্যু থেকে পলায়ন করবে, হঠাৎ একদিন মৃত্যু তার সামনে এসে র্দাড়াবেই ৷

যৌবনে মৃতু তা না হলে বার্ধকেব্রু হবে অবশ্যই ৷ মৃত্যু একটি পেয়ালা ৷ মানুষ তার স্বাদ
আস্বাদনক৷ রী ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেন, তারপর উম৷ ইয়৷ নিজ অঞ্চলে ফিরে যায় ৷

সংবাদ পেয়ে আমি তার নিকট গিয়ে দেখলাম, যে মৃত্যুশ্ ৷য্যায় শায়িত ৷ সমস্ত শরীর কাপড়
দিয়ে ঢাকা ৷ আমি তার কাছে গিয়ে বসলাম ৷ আমাকে দেখে সে কুাপয়ে কেদে উঠে এবং

বিম্ফারিত নয়নে ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে উচ্চশব্দে বলে উঠে৪


يُوشِكُ مَنْ فَرَّ مِنْ مَنِيَّتِهِ يَوْمًا عَلَى غِرَّةٍ يُوَافِقُهَا ... مَنْ لَمْ يَمُتْ عَبْطَةً يَمُتْ هَرَمًا لِلْمَوْتِ كَأْسٌ وَالْمَرْءُ ذَائِقُهَا قَالَتْ: ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى رَحْلِهِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى طُعِنَ فِي جِنَازَتِهِ فَأَتَانِي الْخَبَرُ فَانْصَرَفْتُ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُهُ مَنْعُوشًا قَدْ سُجِيَ عَلَيْهِ فَدَنَوْتُ مِنْهُ فَشَهِقَ شَهْقَةً وَشَقَّ بَصَرُهُ وَنَظَرَ نَحْوَ السَّقْفِ وَرَفَعَ صَوْتَهُ، وَقَالَ: لَبَّيْكُمَا لَبَّيْكُمَا ... هَا أَنَا ذَا لَدَيْكُمَا لَا ذُو مَالٍ فَيَفْدِينِي وَلَا ذُو أَهْلٍ فَتَحْمِينِي، ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ إِذْ شَهِقَ شَهْقَةً فَقُلْتُ: قَدْ هَلَكَ الرَّجُلُ فَشَقَّ بَصَرُهُ نَحْوَ السَّقْفِ فَرَفَعَ صَوْتَهُ فَقَالَ: لَبَّيْكُمَا لَبَّيْكُمَا ... هَا أَنَا ذَا لَدَيْكُمَا لَا ذُو بَرَاءَةٍ فَأَعْتَذِرُ وَلَا ذُو عَشِيرَةٍ فَأَنْتَصِرُ، ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ إِذْ شَهِقَ شَهْقَةً وَشَقَّ بَصَرُهُ وَنَظَرَ نَحْوَ السَّقْفِ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ১৩৮০
ষ্ষ্


আমি হাজির, আমিও আমাদের সামনে হাজির ৷ এমন কোন বিত্তবান নেই যে পণ দিয়ে
আমাকে মুক্ত করবে, আমার আপনজন কেউ নেই, যে আমাকে রক্ষা করবে!

-তারপর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ল ৷ কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে আবার কুপিয়ে র্কাদতে
শুরু করল ৷ অবস্থা দেখে আমি বললাম, লোকটি (তা শেষ হয়ে গেল ৷ তারপর সে আবার
বিক্ষারিত নয়নে ওপর দিকে তাকিয়ে উচ্চ৪স্বরে বলল হ;
ক্ষ হাজির, আমি ওে আমাদের সামনে হাজির ৷ ক্ষম করার কেউ নেই যে আমি তার কাছে
মাপ্রার্থনা করব, এমন কোন আত্মীয়-স্বজন নেই, যার সাহায্যে আমি আত্মরক্ষ৷ করতে পারিঃ

এই বলে আবার সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল ৷ কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে বিক্ষারিত নয়নে
ওপর দিকে দৃষ্টিপাত করে আবার বলল :



হাজির আমি, তোমাদের সামনে হাজির ৷ বিত্ত-বৈভব থাকলে মানুষ সেবা পায় ৷ আর
পাপের পরিণতিতে ধ্বংস হয় ৷

এরপর আবার সে বেহুশ হয়ে পড়ে ৷ ভুশ ফিরে পেয়ে বলল :

র্দুর্চুাট্রু —
াহুদ্বুৰু
হাজির আমি, তোমাদের সামনে হাজির! ক্ষমাই যদি কর আল্লাহ ! অপরাধই ক্ষমা করে
দাও ৷ তোমার কোন বান্দাই তো অপরাধযুক্ত নয় ৷ এই বলে আবার সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল ৷

কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এলে কুপিয়ে কেদে উঠে বলল;

চুাহ্র
সকল অড়ারাম-আয়েশ, ভোগ ৷গ-ৰিলাস তা যতই দীর্ঘস্থায়ী হোক, একদিন না একদিন তা
নিঃশেষ হরেই ৷


ৰুাটুঠু ট্রুদ্বু৷ ;১াএ্এোহুা>৷ও এ-ষ্া৷;ন্এেশুএন্প্হ্রতা


لَبَّيْكُمَا لَبَّيْكُمَا ... هَا أَنَا ذَا لَدَيْكُمَا بِالنِّعَمِ مَحْفُودٌ ... وَبِالذَّنْبِ مَحْصُودٌ ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ إِذْ شَهِقَ شَهْقَةً فَقَالَ: لَبَّيْكُمَا لَبَّيْكُمَا ... هَا أَنَا ذَا لَدَيْكُمَا إِنَّ تَغْفِرِ اللَّهُمَّ تَغْفِرْ جَمَّا ... وَأَيُّ عَبْدٍ لَكَ لَا أَلَمَّا ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ إِذْ شَهِقَ شَهْقَةً فَقَالَ: كُلُّ عَيْشٍ وَإِنْ تَطَاوَلَ دَهْرًا ... صَائِرٌ مَرَّةً إِلَى أَنْ يَزُولَا لَيْتَنِي كُنْتُ قَبْلَ مَا بَدَا لِي ... فِي قِلَالِ الْجِبَالِ أَرْعَى الْوُعُولَا قَالَتْ: ثُمَّ مَاتَ. «فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا فَارِعَةُ فَإِنَّ مَثَلَ أَخِيكِ كَمَثَلِ الَّذِي آتَاهُ اللَّهُ آيَاتِهِ " فَانْسَلَخَ مِنْهَا " الْآيَةَ» وَقَدْ تَكَلَّمَ الْخَطَّابِيُّ عَلَى غَرِيبِ هَذَا الْحَدِيثِ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ أُمَيَّةُ ابْنُ أَبِي الصَّلْتِ: أَلَا رَسُولٌ لَنَا مِنَّا يُخَبِّرُنَا ... مَا بَعْدَ غَايَتِنَا مِنْ رَأْسِ مَجْرَانَا
পৃষ্ঠা - ১৩৮১
قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ، وَتَنَبَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقَامَ أُمَيَّةُ بِالْبَحْرَيْنِ ثَمَانِيَ سِنِينَ، ثُمَّ قَدِمَ الطَّائِفَ فَقَالَ لَهُمْ: مَا يَقُولُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ؟ قَالُوا: يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ فَهُوَ الَّذِي كُنْتَ تَتَمَنَّى. قَالَ: فَخَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْهِ مَكَّةَ فَلَقِيَهُ فَقَالَ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ مَا هَذَا الَّذِي تَقُولُ؟ قَالَ: أَقُولُ: إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَأَنْ لَا الَهَ إِلَّا هُوَ. قَالَ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُكَلِّمَكَ فَعِدْنِي غَدًا. قَالَ: فَمَوْعِدُكَ غَدًا قَالَ: فَتُحِبُّ أَنْ آتِيَكَ، وَحْدِي أَوْ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِي، وَتَأْتِيَنِي وَحْدَكَ أَوْ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِكَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيَّ ذَلِكَ شِئْتَ قَالَ: فَإِنِّي آتِيكَ فِي جَمَاعَةٍ فَأْتِ فِي جَمَاعَةٍ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ غَدَا أُمَيَّةُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَ: وَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى جَلَسُوا فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ قَالَ: فَبَدَأَ أُمَيَّةُ فَخَطَبَ ثُمَّ سَجَعَ، ثُمَّ أَنْشَدَ الشِّعْرَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ الشِّعْرُ قَالَ: أَجِبْنِي يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {يس وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ} [يس: 1] حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهَا، وَثَبَ أُمَيَّةُ يَجُرُّ رِجْلَيْهِ قَالَ: فَتَبِعَتْهُ قُرَيْشٌ يَقُولُونَ: مَا تَقُولُ يَا أُمَيَّةُ؟ قَالَ: أَشْهَدُ أَنَّهُ عَلَى الْحَقِّ. فَقَالُوا: هَلْ تَتَّبِعُهُ؟ قَالَ: حَتَّى أَنْظُرَ فِي أَمْرِهِ. قَالَ: ثُمَّ خَرَجَ أُمَيَّةُ إِلَى الشَّامِ، وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَلَمَّا قُتِلَ أَهْلُ بَدْرٍ قَدِمَ أُمَيَّةُ مِنَ الشَّامِ حَتَّى نَزَلَ بَدْرًا، ثُمَّ تَرَحَّلَ يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ قَائِلٌ: يَا أَبَا الصَّلْتِ مَا تُرِيدُ؟ قَالَ: أُرِيدُ مُحَمَّدًا قَالَ: وَمَا تَصْنَعُ؟ قَالَ: أُومِنُ بِهِ وَأُلْقِي إِلَيْهِ مَقَالِيدَ هَذَا الْأَمْرِ. قَالَ: أَتَدْرِي مَنْ فِي الْقَلِيبِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فِيهِ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَهُمَا ابْنَا
পৃষ্ঠা - ১৩৮২
ষ্ষ্


হায়, আমার এই গােচনীয় অবস্থা সৃষ্টির আগে যদি আমি পাহাড় চুড়ায় গিয়ে ছাগল
চরাতাম !

ফারিআ বলেন, এরপর আমার ভাই মৃত্যুবরণ করেন ৷ ঘটনা ওপ্ন রাসুলুল্লাহ (স৷ )
বললেন :

-ফারিআ ! তোমার ভাইয়ের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির ন্যায়, যাকে আল্লাহ তার নিদশ্নি দিয়ে

দিয়েছেন; কিন্তু সেসব দেশে যে তা বর্জন করে ৷ খাত্তাবী এই বণনিড়াটিকে গরীব পর্যায়ের বলে
উল্লেখ করেছেন ৷

হাফিজ ইবনে আসাকির যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, যুহরী বলেন, উমাইয়া ইবনে
আবৃসৃসালত একবার বলেছিল :

১াঠুট্রু ;ছু ৰুা৷
আমাদেরই মধ্য হতে আমাদের এমন একজন রাসুল আছেন, যিনি আমাদেরকে
সবকিছুর আনুপুর্বিক সংবাদ প্রদান করেন ৷

তারপর উমাইয়া বাহরাইন চলে যায় ৷ এ সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) নবুওত প্রাপ্ত হন ৷
উমাইয়া বাহরাইনে আট বছর অবস্থান করে, তারপর সে তায়েফ চলে আসে ৷ এসে
তায়েফবাসীদেরকে জিজ্ঞেস করে যে, আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ কী বলে? লোকেরা বলল,
মুহম্মদ দ ৷বী করছে যে, সেই ন ৷কি সেই, যা হওয়ার কা মনা তুমি করতে ৷

যুহরী বলেন, এ কথা শুনে উমাইয়া মক্কায় চলে আসে এবং নবী করীম (সা ) এর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে বলে, হে আবদুল মুত্তালিবের পৌত্র ! এসব তুমি কী বলছ? নবী করীম (সা )
বললেন, আমি বলছি যে, আমি আল্লাহর রাসুল আর আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷ উমাইয়া
বলল, আমিতোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই, আগামী দিন সময় দাও ! জবাবে তিনি বললেন,
ঠিক আছে, আগামীকালই কথা হবে ৷ উমাইয়া বলল, হয়ত আমিও একা আসর, তুমিও একা
আসবে ৷ অথবা আমি আমার দলবল নিয়ে আসর, তুমিও তোমার দলবল নিয়ে আসবে; (কানৃটা
তোমার পছন্দ? নবী করীম (সা) বললেন, তোমার যেমন খুশী ৷ উমাইয়া বলল, ঠিক আছে,
আমি আমার দলবল নিয়েই আসর, তুমিও ওে তামার দলবল নিয়ে এসো

পরদিন উমাইয়া কুরায়শ বংশীয় একদল লোক নিয়ে এবং রাসুলুল্লাহ (সা)-ও কতিপয়
সাহড়াবা সঙ্গে নিয়ে সমবেত হন এবং সকলে কাবার ছায়ায় বসেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, প্রথমে উমাইয়া তার বক্তব্য পেশ করে এবং স্বরচিত কবিতা শুনায় ৷
আবৃত্তি শেষ করে সে বলল, হে আবদুল মুত্তালিবের পৌত্র ৷ এবার তুমি আমার জবাব দাও!
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন :


خَالِكَ - وَأُمُّهُ رَبِيعَةُ بِنْتُ عَبْدِ شَمْسٍ - قَالَ: فَجَدَعَ أُذُنَيْ نَاقَتِهِ، وَقَطَعَ ذَنَبَهَا ثُمَّ وَقَفَ عَلَى الْقَلِيبِ يَقُولُ: مَاذَا بِبَدْرٍ فَالْعَقَنْقَلُ ... مِنْ مَرَازِبَةٍ جَحَاجِحْ الْقَصِيدَةَ إِلَى آخِرِهَا كَمَا سَيَأْتِي ذِكْرُهَا بِتَمَامِهَا فِي قِصَّةِ بَدْرٍ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ وَالطَّائِفِ وَتَرَكَ الْإِسْلَامَ. ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الطَّيْرَيْنِ وَقِصَّةَ وَفَاتِهِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَأَنْشَدَ شِعْرَهُ عِنْدَ الْوَفَاةِ كُلُّ عَيْشٍ وَإِنْ تَطَاوَلَ دَهْرًا ... صَائِرٌ مَرَّةً إِلَى أَنْ يَزُولَا لَيْتَنِي كُنْتُ قَبْلَ مَا قَدْ بَدَا لِي ... فِي قِلَالِ الْجِبَالِ أَرْعَى الْوُعُولَا فَاجْعَلِ الْمَوْتَ نُصْبَ عَيْنَيْكَ وَاحْذَرْ ... غَوْلَةَ الدَّهْرِ إِنَّ لِلدَّهْرِ غُولَا نَائِلًا ظُفْرُهَا الْقَسَاوِرَ وَالصُّدْ ... عَانَ وَالطِّفْلَ فِي الْمَنَارِ الشَّكِيلَا وَبُغَاثَ النِّيَافِ وَالْيَعْفُرَ النَّافِرَ ... وَالْعَوْهَجَ الْبِرَامَ الضَّئِيلَا فَقَوْلُهُ: الْقَسَاوِرُ جَمْعُ قَسْوَرَةٍ وَهُوَ الْأَسَدُ، وَالصُّدْعَانُ: ثِيرَانُ الْوَحْشِ وَاحِدُهَا صَدَعٌ، وَالطِّفْلُ الشَّكِلُ: مِنْ حُمْرَةِ الْعَيْنِ، وَالْبُغَاثُ: الرَّخَمُ، وَالنِّيَافُ: الْجِبَالُ، وَالْيَعْفُرُ: الظَّبْيُ، وَالْعَوْهَجُ: وَلَدُ النَّعَامَةِ. يَعْنِي أَنَّ الْمَوْتَ لَا يَنْجُو مِنْهُ الْوُحُوشُ فِي الْبَرَارِي وَلَا الرَّخَمُ السَّاكِنَةُ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ،
পৃষ্ঠা - ১৩৮৩

তার তিলাওয়ড়াত শেষ হলে উম৷ ইয়াতার দু ’প৷ টেনে টেনে ছুটে পালাতে শুরু করল ৷ তার
সঙ্গী কুরাইশরাও তা ৷র অনুসরণ করল ৷ তারা জানতে ৷>৷ ৷ইল, উম ইয়া ! তোমার মতামত কী?
উম ৷ইয়া বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ন্৷ সঙ্গীরা জিজ্ঞাসা করল,
তবে কি তুমি তার অনুসারী হয়ে যা বে? উমইিয়া বলল, আমি একটু চিন্তা তা ৷বন৷ করে দেখি

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর উমইিয়া সিরিয়ার চলে যায় এবং রাসুলুল্লাহ (সা) মদীনায়
হিজরত করেন ৷ বদর যুদ্ধের পর উমইিয়া সিরিয়া থেকে ফিরে এসে বদর প্রান্তরে অবতরণ
করে ৷ পরে রাসুল (না)-এর নিবল্ট যেতে উদ্যত হলে একজন তাকে লক্ষ্য করে বলল, আবৃস
সালত তুমি কি করতে যাচ্ছো? উম৷ ইয়া বলল, যাচ্ছি মুহাম্মদের সঙ্গে দেখা করতে ৷ লোকঢি
জিজ্ঞা ৷স৷ করল, মুহাম্মদের কাছে তুমি কি করবেঃ উমইিয়া বলল, তার প্রতি আমি ঈমান আনেন
এবং সব ক্ষমতা তার হাতে ছেড়ে দিব ৷ ণ্লা ৷কটি বলল তুমি কি জানাে , বদরের এই কুপে যার;
আছে, তারা কারা? উমইিয়া বলল, না, তা তো বলতে পারি না ৷ লোকঢি বলল, তোমার দুই
মামাতে৷ ভাই উতব৷ ইবনে রবীয়া ও শায়বা ইবনে রবীয়া ৷ আর তাদের না রবীয়া বিনাত
আবদে শামস ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এ সংবাদ শো৷নাম ত্র উমইিয়া তার উদ্রীর উভয় কান ও লেজ কেটে
ফেলল ৷ তারপর কুপের পাড়ে দাড়িয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করল ৷ সঙ্গে সঙ্গে যে মক্কা
হয়ে তায়েফ চলে গেল এবং ইসলাম গ্রহণের পরিকল্পনা ত্যাগ করল ৷ সে কবিতাটির প্রথম
পংক্তিটি ছিল :

এট্টং

গোটা কবিতাটির বদর যুদ্ধের বর্ণনায় উল্লেখিত হবে ৷ ইমাম যুহরী অতঃপর দুই পাখির
ঘটনা, এবং উমাইয়ার মৃত্যুর কাহিনী বর্ণনা করেন, যা ইতিপুর্বেই বিবৃত হয়েছে ৷ মৃত্যুকালে
উম৷ ইয়৷ যে কবিতাগুলি আবৃত্তি করেছিল, তা ও তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ তাহলোং :

র্বু, !

ৰুাং,,ট্রং ;,৷ চে৷ ৷ ৰুন্,টু, ,;া — ৷,স্ঠ্ ট্রুা,া ট্রু,া, ,ষুট্রু ,াও

ৰুাং,ছু’,দ্বুা

সব আরাম আয়েশ-যতই তা দীর্ঘস্থায়ী হোক, একদিন না ৷একদিন নিং শেষ হবেই ৷ হায় ,
আমার এই দশা সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি আমি পর্বত চুড়ায় গিয়ে ছাগল চরাতাম ! অতঃএব


وَلَا يَتْرُكُ صَغِيرًا لِصِغَرِهِ وَلَا كَبِيرًا لِكِبَرِهِ، وَقَدْ تَكَلَّمَ الْخَطَّابِيُّ وَغَيْرُهُ عَلَى غَرِيبِ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ. وَقَدْ ذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ فِي كِتَابِهِ " التَّعْرِيفِ وَالْإِعْلَامِ " أَنَّ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ أَوَّلُ مَنْ قَالَ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ. وَذَكَرَ عِنْدَ ذَلِكَ قِصَّةً غَرِيبَةً، وَهُوَ أَنَّهُمْ خَرَجُوا فِي جَمَاعَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ فِي سَفَرٍ فِيهِمْ حَرْبُ بْنُ أُمَيَّةَ وَالِدُ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ: فَمَرُّوا فِي مَسِيرِهِمْ بِحَيَّةٍ فَقَتَلُوهَا فَلَمَّا أَمْسَوْا جَاءَتْهُمُ امْرَأَةٌ مِنَ الْجَانِّ فَعَاتَبَتْهُمْ فِي قَتْلِ تِلْكَ الْحَيَّةِ، وَمَعَهَا قَضِيبٌ فَضَرَبَتْ بِهِ الْأَرْضَ ضَرْبَةً نَفَّرَتِ الْإِبِلَ عَنْ آخِرِهَا فَذَهَبَتْ وَشَرَدَتْ كُلَّ مَذْهَبٍ، وَقَامُوا فَلَمْ يَزَالُوا فِي طَلَبِهَا حَتَّى رَدُّوهَا فَلَمَّا اجْتَمَعُوا جَاءَتْهُمْ أَيْضًا فَضَرَبَتِ الْأَرْضَ بِقَضِيبِهَا فَنَفَرَتِ الْإِبِلُ فَذَهَبُوا فِي طَلَبِهَا فَلَمَّا أَعْيَاهُمْ ذَلِكَ قَالُوا: وَاللَّهِ هَلْ عِنْدَكَ لِمَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ مَخْرَجٍ؟ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، وَلَكِنْ سَأَنْظُرُ فِي ذَلِكَ. قَالَ: فَسَارَ فِي تِلْكَ الْمَحَلَّةِ لَعَلَّهُ يَجِدُ أَحَدًا يَسْأَلُهُ عَمًّا قَدْ حَلَّ بِهِمْ مِنَ الْعَنَاءِ، إِذَا نَارٌ تَلُوحُ عَلَى بُعْدٍ فَجَاءَهَا فَإِذَا شَيْخٌ عَلَى بَابِ خَيْمَةٍ يُوقِدُ نَارًا، وَإِذَا هُوَ مِنَ الْجَانِّ فِي غَايَةِ الضَّآلَةِ وَالدَّمَامَةِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَأَلَهُمْ عَمَّا هُمْ فِيهِ فَقَالَ: إِذَا جَاءَتْكُمْ فَقُلْ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَإِنَّهَا تَهْرُبُ. فَلَمَّا اجْتَمَعُوا وَجَاءَتْهُمُ الثَّالِثَةَ وَالرَّابِعَةَ، قَالَ فِي وَجْهِهَا أُمَيَّةُ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَشَرَدَتْ وَلَمْ يَقَرَّ لَهَا قَرَارٌ،
পৃষ্ঠা - ১৩৮৪
لَكِنْ عَدَتِ الْجِنُّ عَلَى حَرْبِ ابْنِ أُمَيَّةَ فَقَتَلُوهُ بِتِلْكَ الْحَيَّةِ فَقَبَرَهُ أَصْحَابُهُ هُنَالِكَ حَيْثُ لَا جَارَ وَلَا دَارَ فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الْجَانُّ: وَقَبْرُ حَرْبٍ بِمَكَانٍ قَفْرٍ ... وَلَيْسَ قُرْبَ قَبْرِ حَرْبٍ قَبْرُ وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ كَانَ يَتَفَرَّسُ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ فِي لُغَاتِ الْحَيَوَانَاتِ فَكَانَ يَمُرُّ فِي السَّفَرِ عَلَى الطَّيْرِ فَيَقُولُ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ هَذَا يَقُولُ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُونَ: لَا نَعْلَمُ صِدْقَ مَا يَقُولُ حَتَّى مَرُّوا عَلَى قَطِيعِ غَنَمٍ قَدِ انْقَطَعَتْ مِنْهُ شَاةٌ، وَمَعَهَا وَلَدُهَا فَالْتَفَتَتْ إِلَيْهِ فَثَغَتْ كَأَنَّهَا تَسْتَحِثُّهُ فَقَالَ: أَتُدْرُونَ مَا تَقُولُ لَهُ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: إِنَّهَا تَقُولُ: أَسْرِعْ بِنَا لَا يَجِيءُ الذِّئْبُ فَيَأْكُلَكَ كَمَا أَكَلَ الذِّئْبُ أَخَاكَ عَامَ أَوَّلَ. فَأَسْرَعُوا حَتَّى سَأَلُوا الرَّاعِيَ: هَلْ أَكَلَ لَهُ الذِّئْبُ عَامَ أَوَّلَ حَمَلًا بِتِلْكَ الْبُقْعَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ قَالَ: وَمَرَّ يَوْمًا عَلَى بَعِيرٍ عَلَيْهِ امْرَأَةٌ رَاكِبَةٌ وَهُوَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَيْهَا وَيَرْغُو فَقَالَ: إِنَّهُ يَقُولُ لَهَا: إِنَّكِ رَحَّلْتِنِي، وَفِي الْحِدَاجَةِ مِخْيَطٌ. فَأَنْزَلُوا تِلْكَ الْمَرْأَةَ، وَحَلُّوا ذَلِكَ الرَّحْلَ فَاذَا فِيهِ مِخْيَطٌ كَمَا قَالَ. وَذَكَرَ ابْنُ السِّكِّيتِ أَنَّ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ بَيْنَمَا هُوَ يَشْرَبُ يَوْمًا إِذْ نَعَبَ غُرَابٌ. فَقَالَ لَهُ: بِفِيكَ التُّرَابُ مَرَّتَيْنِ. فَقِيلَ لَهُ: مَا يَقُولُ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১৩৮৫
ষ্ষ্


মৃত্যুই হোক তোমার দৃ’চোখের লক্ষ্য ৷ আর যুগের করাল গ্রাস থেকে তুমি নিজেকে রক্ষা করে
চল ৷ মনে রেখ, সিংহই হোক বা ষাড়ই হোক, পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থানকারী পাখিটি হোক
কিংবা হরিণই হোক, অথবা উটপাথীর শাবকটি হোক, ছোট বড় (কোনো কিছুই মৃত্যুর হাত
থেকে রক্ষা পড়ায় না ৷ ছোটকে ছোট বলে এবং বড়কে বড় বলেও মৃত্যু রেহ্াই দেয় না ৷ খাত্তাবী
এই বর্ণনাকে গরীব পর্যায়ের বলে উল্লেখ করেছেন ৷

সুহায়লী তার আত তা’রীফ ওয়াল ইলাম গ্রন্থে লিখেছেন যে, উমাইয়া ইবনে আবুল
সালত-ই প্রথম ব্যক্তি, যে (,ষ্াৰু ছুশ্ট্রু!ৰু) বলেছিল ৷

এ প্রসংগে তিনি একটি আশ্চর্য কাহিনী বর্ণনা করেন ৷ কাহিনীটি হলো, কুরাইশের একদল
লোকসহ উমাইয়া একবার সফরে বের হয় ৷ আবু সুফিয়ানের পিতা হারবৃ ইবন উমাইয়াও
তাদের সঙ্গে ছিল ৷ পথে এক জায়গায় একটি সাপ দেখতে পেয়ে সাপটিকে তারা মেরে ফেলে ৷
যখন সল্যা হলো, তখন একটি মহিলা জিন এসে সাপ হত্যা করার কারা’-শ্ তাদেরকে ভর্বৃসনা
করে ৷ তার হাতে ছিল একটি লাঠি ৷ লাঠিটি দ্বারা সে সজোরে মাটিতে একটি আঘাত করে ৷
ফলে, কাফেলার উটগুলাে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে শুরু করে ৷ জিনটি চলে যন্য় ৷
কাফেলার লোকেরা চতুর্দিব্ৰু খোজার্থোজি করে কোথাও মহিলাটিকে গেল না ৷ কিন্তু খানিক পরে
আবারো মহিলাঢি এসে পুনরায় লাঠি দ্বারা মাটিতে আঘাত করে সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যায় ৷
উটগুলাে এদিকওদিক ছুটাছুটি করতে শুরু করে ৷ এবার মহিলাকে খোজার্থোজি করে ক্লান্ত হয়ে
লোকেরা উমাইয়াকে জিজ্ঞাসা করে যে, এ বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার মত কোন বুদ্ধি কি
আপনার আছেঃ উমাইয়া বলল, আমি তো কোন বুদ্ধি দেখছি না ৷ তবে চিন্তা করে দেখি কী
করা যায় ৷

অতঃপর তারা যে মহল্লায় ঘুরে-ফিরে দেখল যে, এমন কাউকে পাওয়া যায় কি না যার
কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া যায় ৷ হঠাৎ তারা বেশ দুরে আগুন দেখতে পায় ৷ কাছে গিয়ে
দেখল, একটি র্তাবুর দবজায় এক বৃদ্ধ লোক আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে ৷ আরো কাছে গিয়ে
দেখতে পেল, আসলে সে ভয়ঙ্কর আকৃতির এক জিন ৷ তারা তাকে, সালাম করে তাদের
সমস্যার কথা জানানো ৷ জবাবে সে বলল, মহিলা জিনটি তোমাদের কাছে আবার আসলে
বলবে, (;¢ ’ ;াৰুা,) দেখবে সে পালিয়ে কুল পাবে না ৷ এরপর লোকেরা আবার একত্রিত
হলো ৷ মহিলা জিনটি তৃতীয়বার মতাম্ভরে চতুর্থবারের মত আবারো তাদের কাছে আসল ৷ সঙ্গে
সঙ্গে উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সাল্ত তার মুখের উপর বলে ফেলল, (ণ্গ্লুা’৷ ;াশুৰু) মহিলা
জ্বিনটি তখন সত্যি সত্যি ছুটে পালালো ৷ একটুও র্দাড়ালো না ৷ তবে জিনেরা সাপ হত্যার দায়ে
হারব ইবনে উমাইয়ার উপর চড়াও হয়ে তাকে হত্যা করে ফেলে, তার সঙ্গীরা জনমানবহীন সে
অঞ্চলেই তাকে কবর দিয়ে আসে ৷ এ প্রসঙ্গই জিনরা বলে রেড়াত :

×

এ —


)’fi


يَقُولُ: إِنَّكَ تَشْرَبُ هَذَا الْكَأْسَ الَّذِي فِي يَدِكَ، ثُمَّ تَتَّكِئُ فَتَمُوتُ. ثُمَّ نَعَبَ الْغُرَابُ فَقَالَ: إِنَّهُ يَقُولُ: وَآيَةُ ذَلِكَ أَنِّي أَنْزِلُ عَلَى هَذِهِ الْمَزْبَلَةِ فَآكُلُ مِنْهَا فَيَعْلَقُ عَظْمٌ فِي حَلْقِي فَأَمُوتُ. ثُمَّ نَزَلَ الْغُرَابُ عَلَى تِلْكَ الْمَزْبَلَةِ فَأَكَلَ شَيْئًا فَعَلَقَ فِي حَلْقِهِ عَظْمٌ فَمَاتَ. فَقَالَ أُمَيَّةُ: أَمَّا هَذَا فَقَدَ صَدَقَ فِي نَفْسِهِ، وَلَكِنْ سَأَنْظُرُ هَلْ صَدَقَ فِيَّ أَمْ لَا. ثُمَّ شَرِبَ ذَلِكَ الْكَأْسَ الَّذِي فِي يَدِهِ ثُمَّ اتَّكَأَ فَمَاتَ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَهْدِيٍّ عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَصْدَقَ كَلِمَةٍ قَالَهَا شَاعِرٌ كَلِمَةُ لَبِيدٍ أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلَا اللَّهَ بَاطِلُ وَكَادَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ أَنْ يُسْلِمَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا ابْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ يَقُولُ: قَالَ الشَّرِيدُ «: كُنْتُ رِدْفًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: أَمَعَكَ مِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ شَيْءٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَنْشِدْنِي. فَأَنْشَدْتُهُ بَيْتًا فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُ كُلَّمَا أَنْشَدْتُهُ
পৃষ্ঠা - ১৩৮৬
ষ্ষ্


“হারবের সমাধি জনমানবহীন এক মরুভুমিতে অবস্থিত ৷ হারবের কবরের কাছে আর
কোন কবর নেই ৷ ”

কেউ কেউ বলেন, উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালত মাঝে-মধ্যে পশু-পাখিদের ভাষা নিয়ে
গবেষণা করত ৷ চলার পথে কোন পাখির ডাক শুনতে পেলে সাথীদেরকে বলত, দেখ এই
পাখিটি এই এই বলছে ৷ সাথীরা বলত, হতে পারে; তবে আমরা এর সত্যাসত্য কিছু বুঝতে
পারছি না ৷ একদিন সে একটি বকরীর পালের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল ৷ পালের একটি
বকরী বাচ্চাসহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ৷ সেই বকরীটি তার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে র্ত্য৷ র্ডা৷ শব্দ
করল, যেন বকরীটি দ্রুত পালের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্য বাচ্চাকে উদ্বুদ্ধ করছে ৷ শুনে উমাইয়া
সাথীদেরকে বলল, তোমরা কি বুঝতে পারছ যে, বকরীটি কী বলছে? তারা বলল, না , আমরা
তো কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ উমাইয়া বলল, বকরীটি তার বাচ্চাকে বলছে, তুমি আমাদের
সঙ্গে দ্রুত দৌড়াও ৷ অনথোয় নেকড়ে এসে নির্ঘাত তোমাকে খেয়ে ফেলবে যেমনটি গত বছর
তোমার ভাইকে খেয়ে ফেলেছিল ৷

উমাইয়ার এ ব্যাখ্যা শুনে কাফেলার লোকেরা রাখালের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, গত
বছর কি কোন নেকড়ে অমুক জায়গায় তোমার কোন ছাগল ছানাকে থেয়েছিল? রাখাল
বলল , হী৷ ৷

বর্ণনাকারী বলেন, আরেকদিন উমাইয়া একটি উট দেখতে পেল ৷ উটের পিঠে সওয়ার
ছিল এক মহিলা ৷ উটটি মহিলার দিকে মাথা তুলে শব্দ করছিল ৷ শুনে উমাইয়া বলল, উটঢি
মহিলাকে বলছে যে, তুমি তো আমার পিঠে সওয়ার হয়েছ, কিন্তু তোমার হাওদায় একটি পুই
আছে ৷ ফলে উমাইয়ার সঙ্গীরা মহিলাকে উটের পিঠ থেকে নামিয়ে হাওদা খুলে দেখতে পেল ,
ঠিকই একটি পুই পড়ে আছে ৷

ইবনুসৃ সাকীত বলেন, উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালত একদিন পানি পান করছিল ৷ ঠিক এ
সময়ে একটি কাক এসে কা কা করে ডেকে উঠে ৷ শুনে উমাইয়া বলল, ভোর মুখে মাটি পড়ুক
কথাটি সে দৃ’বার বলল ৷ জিজ্ঞাসা করা হল, কেন , কাকটি কী বলছে ? উমাইয়া বলল , কাকটি
বলছে, তুমি তোমার হাতের পেয়ালার পানিটুকু পান করা মাত্রই মারা যাবে ৷ অতঃপর কাকটি
আবারো বা বা করে উঠল ৷ উমাইয়া বলল, কাকটি বলছে যে, এর প্রমাণ হলো, আমি এই
আবর্জ্যম্ব৷ তুপে নেমে সেখান থেকে কিছু যায়, আর গলায় হাডিদ্র আটকে যাবে ৷ ফলে আমি
মারা যার ৷ এই বলে কাকটি আবর্জ্য৷ ন্তুপে নেমে কিছু একটা থেল এবং গলায় হাডিদ্র আটকে
সত্যি সত্যি সঙ্গে সঙ্গে মারা গেল ৷ ঘটনা দেখে উমাইয়া বলল, কাকটি নিজের বেলায় যা
বলেছে, তা তাে সত্য বলে প্রমাণিত হলো ৷ এইবার দেখি, আমার ব্যাপারে যা বলেছে, তা সত্য
কিনা ৷ এই বলে সে হাতের পেয়ালার পানিটুকু যেয়ে ফেলে হেলড়ান দিয়ে বলল আর সত্যি সত্যি
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ৷


بَيْتًا إِيهِ حَتَّى أَنْشَدْتُهُ مِائَةَ بَيْتٍ. قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَكَتُّ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ بِهِ، وَمِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ: «فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِنْ كَادَ يُسْلِمُ» . وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ: حَدَّثَنَا ابْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ نَافِعٍ عَنِ الشَّرِيدِ الْهَمْدَانِيِّ - وَأَخْوَالُهُ ثَقِيفٌ - قَالَ «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي ذَاتَ يَوْمٍ إِذَا وَقْعُ نَاقَةٍ خَلْفِي فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الشَّرِيدُ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: أَلَا أَحْمِلُكَ؟ قُلْتُ: بَلَى وَمَا بِي مِنْ إِعْيَاءٍ وَلَا لُغُوبٍ، وَلَكِنِّي أَرَدْتُ الْبَرَكَةَ فِي رُكُوبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنَاخَ فَحَمَلَنِي. فَقَالَ: أَمَعَكَ مَنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: هَاتِ. فَأَنْشَدْتُهُ - قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৩৮৭
أَظُنُّهُ قَالَ - مِائَةَ بَيْتٍ فَقَالَ عِنْدَ اللَّهِ عِلْمُ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ» ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَاعِدٍ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. فَأَمَّا الَّذِي يُرْوَى «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي أُمَيَّةَ آمَنَ شِعْرُهُ وَكَفَرَ قَلْبُهُ» فَلَا أَعْرِفُهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ - هُوَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَّقَ أُمَيَّةَ فِي شَيْءٍ مِنْ شِعْرِهِ قَالَ رَجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ ... وَالنَّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ. وَقَالَ وَالشَّمْسُ تَبْدُو كُلَّ آخِرِ لَيْلَةٍ ... حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ تَأْبَى فَمَا تَطْلُعُ لَنَا فِي رِسْلِهَا ... إِلَّا مُعَذَّبَةً وَإِلَّا تُجْلَدُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ» . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ الْهُذَلِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ لَا تَطْلُعُ حَتَّى يَنْخُسَهَا سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَقُولُونَ لَهَا: اطْلُعِي اطْلُعِي فَتَقُولُ: لَا أَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ يَعْبُدُونَنِي
পৃষ্ঠা - ১৩৮৮
ষ্ষ্


বুখারী শরীফে হযরত আবু ছরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে ,রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

) এ


“কবিদের উক্তিসমুহের মধ্যে লাবীদের একটি উক্তিই সর্ব৷ ৷ধক সঠিক ৷ লাবীদ বলেছিল,
আল্লাহ ছাড়া যা কিছু আছে সবই মিথ্যা ৷ আর উমাইয়৷ ইবনে আবুল সালত মুসলমান হওয়ার
উপক্রম হয়েছিল ৷

ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে , শারীদ বলেন, আমি (একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
পেছনে সওয়ার ছিলাম ৷ এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি উমাইয়া
ইবনে আবুসৃ সালত তর কোন কবিতা ৷জান৷ আছে ? আমি বললাম, ইা৷, আছে ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, তা হলে তা আবৃত্তি কর ৷ আমি একে একে অন্ততঃ একাটি পংক্তি৩ তাকে আবৃত্তি
করে শুনালাম ৷ অবশেষে তিনি আর কিছু বললেন ন, ৷আমিও থেমে (ন্ ৷লাম ৷ ইমাম মুসলিমেরও
অনুরুপ একটি বর্ণনা রয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, উমাইয়ার কবিতা শুনে নবী করীম
(সা) বলতেন, আসলে তো সে ইসলাম গ্রহণের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল ৷

ইয়াহইয়৷ ইবনে মুহাম্মদ বর্ণনা করেন যে, শারীদ হামদানী যার মাতুলগণ ছাকীফ গোত্রীয়
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে আমরা বিদায় হরুজ্জর উদ্দেশ্যে রওয়ান৷ হলাম ৷
আমি হেটে অগ্রসর হচ্ছি ৷ হঠাৎ পেছনে উটের শব্দ শুনতে পেলাম ৷ তাকিয়ে দেখি রাসুলুল্লাহ্
(সা) আসছেন ৷ তিনি বললেন, কে, শারীদা আমি বললাম, জী ছুা৷ , আমি শারীদ ৷ নবী করীম
(সা) বললেন, আমি কি তোমাকে আমার উটের পিঠে তুলে নেবন্ আমি বললড়াম , জী হী৷ , তবে
ক্লাস্তির দরুন নয়, বরং রাসুলুল্লাহ্র সহ-আরােহী হওয়ার সৌভাগ্য লাভের উদ্দেশ্যে ৷ তখন
নবী করীম (সা) উট থামিয়ে আমাকে তুলে নিলেন ৷ কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার পর তিনি
আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা, তোমার কি উমাইয়৷ ইবনে আবৃস্ সালণ্ডে তর কোন কবিতা
জানা আছেঃ আমি বললাম, ত্মী হ্যা, আছে ৷ তিনি বললেন,ত তা হলে আবৃত্তি কর ৷ শারীদ
বলেন, মনে হয় যেন আমি একশ’র মতো পং ক্তি আবৃত্তি করে শোনালাম ৷ শুনে তিনি বললেন,
উমাইয়৷ ইবনে আবুসৃ সালত এর বিষয়টা আল্লাহ ই৩ ৷লো জানেন ৷ রাবী বলেন, এই
হাদীছটি গরীব’ পর্যায়ের ৷ আর যে বলা হয়ে থাকে- রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমাইয়৷ সম্পর্কে
বলেছিলেন, তার কবিতা ঈমানদা ৷র কিন্তু অন্তর কাফির এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই ৷
আল্লাহইভ ৷লো জানেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবনে আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনন্
রাসুলুল্লাহ (সা) উমাইয়ার কয়েকটি পংক্তির বক্তব্য যথার্থ বলে অভিহিত করেছেন ৷
সেগুলে৷ হলে৷ :

×

)


مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِذَا هَمَّتْ بِالطُّلُوعِ أَتَاهَا شَيْطَانٌ يُرِيدُ أَنْ يُثَبِّطَهَا فَتَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَيْهِ وَتَحْرِقُهُ فَإِذَا تَضَيَّفَتْ لِلْغُرُوبِ غَرَبَتْ عَلَى السُّجُودِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَيَأْتِيهَا شَيْطَانٌ يُرِيدُ أَنْ يُثَبِّطَهَا عَنِ السُّجُودِ فَتَغْرُبُ مِنْ قَرْنَيْهِ وَتَحْرِقُهُ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مُطَوَّلًا. وَمِنْ شِعْرِهِ فِي حَمَلَةِ الْعَرْشِ فَمِنْ حَامِلٍ إِحْدَى قَوَائِمِ عَرْشِهِ ... وَلَوْلَا إِلَهُ الْخَلْقِ كَلُّوا وَبَلَّدُوا قِيَامٌ عَلَى الْأَقْدَامِ عَانُونَ تَحْتَهُ ... فَرَائِصُهُمْ مِنْ شِدَّةِ الْخَوْفِ تُرْعَدُ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَرُوِيَ عَنِ الْأَصْمَعِيِّ أَنَّهُ كَانَ يُنْشِدُ مِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ: مَجِّدُوا اللَّهَ فَهُو لِلْمَجْدِ أَهْلٌ ... رَبُّنَا فِي السَّمَاءِ أَمْسَى كَبِيرًا بِالْبِنَاءِ الْأَعْلَى الَّذِي سَبَقَ النَّاسَ ... وَسَوَّى فَوْقَ السَّمَاءِ سَرِيرًا شَرْجَعًا لَا يَنَالُهُ بَصَرُ الْعَيْنِ ... تَرَى دُونَهُ الْمَلَائِكَ صُورًا ثُمَّ يَقُولُ الْأَصْمَعِيُّ: الْمَلَائِكُ جَمْعُ مَلَكٍ وَالصُّورُ جَمْعُ أَصْوَرَ وَهُوَ الْمَائِلُ
পৃষ্ঠা - ১৩৮৯
ষ্ষ্


ওও;ন্ওদুন্
অর্থাৎ তার ডান পায়ের নীচে আছে শনি গ্রহ ও বৃষরাশি আর অপর পায়ের নীচে আছে
একটি ঈগল ও ওত পেতে থাকা সিংহ ৷
প্রতি রাতে সুর্য রক্তিম বর্ণ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ৷ ক্রমশ সাল হতে থাকে রং ৷
সুর্য উদিত হতে অস্বীকৃতি জানায় ৷ তাকে বাধ্য করে উদিত করাতে হয় ৷
উমাইয়ার এই পংক্তি ক’টি শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, উমাইয়া যথার্থই বলেছে ৷

আবু বকর হুযালীর বর্ণনায় ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইবনে আব্বাস
(রা) বলেছেন : সত্তর হাজার ফেরেশতা উদ্বুদ্ধ না করা পর্যন্ত সুর্য উদিত হয় না ৷ ফেরেশতারা
সুর্যকে বলেন, “উদিত হও, উদিত হও!” সুর্য বলে , এমন জাতির জন্য আমি উদিত হয় না ,
যারা আল্লাহকে ছেড়ে আমার ইবাদর্ত করে ৷ অবশেষে উদয় হওয়ার উপক্রম হলে শয়তান
এসে সুর্যকে উদয় হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে ৷ কিত্তু সুর্য শয়তানের শিংদ্বয়ের মধ্য
দিয়ে উদিত হয়ে যায় এবং শয়তানকে পুড়িয়ে দেয় ৷ সন্ধ্যার সময় যখন সুর্যের অস্ত যাওয়ার
সময় হয় এবং আল্লাহর সত্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে অস্ত যেতে তা’ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়, শয়তান আবার
এসে সুর্যকে সিজদা দান হতে বিরত রাখার চেষ্টা করে ৷ ফলে সুর্য শয়তানের শিংদ্বয়ের ম ধ্যখান
দিয়ে অস্ত যায় এবং শয়তানকে পুড়িয়ে দেয় ৷ হ্বন আসাকির এর বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ৷

আরশ বহনকায়ী কােরশতাদের সম্পর্কে উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালতের দু’টি
পংক্তি নিম্নরুপ :

ট্রুশ্ট্রু


অর্থাৎ র্তারা আল্লাহর আরশের খুটি ধারণ করে আছেন ৷ সৃষ্টির কোন না বুদ না থাকলে
তারা ক্লাস্ত-শ্রাস্ত হয়ে পড়তেন ৷ আরশের নীচে তারা ঠায় দাড়িয়ে আছেন ৷ ভীতির আতিশয্যে
তাদের পার্শ্বদেশ ও র্কাধের মধ্যন্থল থরথর করে র্কাপে ৷ এটি ইবন আসাকিরের বর্ণনা ৷
আসমায়ী সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি উমাইয়ার নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো আবৃত্তি করতেন ৩

া;


আস-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খ্ণ্ড) ৫৫-
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া

الْعُنُقِ، وَهَؤُلَاءِ حَمَلَةُ الْعَرْشِ. وَمِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ يَمْدَحُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُدْعَانَ التَّيْمِيَّ: أَأَذْكُرُ حَاجَتِي أَمْ قَدْ كَفَانِي ... حَيَاؤُكَ إِنَّ شِيمَتَكَ الْحَيَاءُ وَعِلْمُكَ بِالْحُقُوقِ وَأَنْتَ فَرْعٌ ... لَكَ الْحَسَبُ الْمُهَذَّبُ وَالسَّنَاءُ كَرِيمٌ لَا يُغَيِّرُهُ صَبَاحٌ ... عَنِ الْخُلُقِ الْجَمِيلِ وَلَا مَسَاءُ يُبَارِي الرِّيحَ مَكْرُمَةً وَجُودًا ... إِذَا مَا الْكَلْبُ أَحْجَرَهُ الشِّتَاءُ وَأَرْضُكَ أَرْضُ مَكْرُمَةٍ بَنَتْهَا ... بَنُو تَيْمٍ وَأَنْتَ لَهَا سَمَاءُ إِذَا أَثْنَى عَلَيْكَ الْمَرْءُ يَوْمًا ... كَفَاهُ مِنْ تَعَرُّضِهِ الثَّنَاءُ وَلَهُ فِيهِ مَدَائِحُ أُخَرُ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُدْعَانَ هَذَا مِنَ الْكُرَمَاءِ الْأَجْوَادِ الْمُمَدَّحِينَ الْمَشْهُورِينَ وَكَانَ لَهُ جَفْنَةٌ يَأْكُلُ الرَّاكِبُ مِنْهَا وَهُوَ عَلَى بَعِيرِهِ ; مِنْ عِرَضِ حَافَّتِهَا وَكَثْرَةِ طَعَامِهَا وَكَانَ يَمْلَأُهَا لُبَابَ الْبُرِّ يُلَبَّكُ بِالشَّهْدِ وَالسَّمْنِ وَكَانَ يُعْتِقُ الرِّقَابَ، وَيُعِينُ عَلَى النَّوَائِبِ. وَقَدْ سَأَلَتْ عَائِشَةُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَنْفَعُهُ ذَلِكَ فَقَالَ: «إِنَّهُ لَمْ يَقُلْ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ رَبِّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ»
পৃষ্ঠা - ১৩৯০
وَمِنْ شَعْرِ أُمَيَّةَ الْبَدِيعِ لَا يَنْكُتُونَ الْأَرْضَ عِنْدَ سُؤَالِهِمْ ... كَتَطَلُّبِ الْعَلَّاتِ بِالْعِيدَانِ بَلْ يُسْفِرُونَ وُجُوهَهُمْ فَتَرَى لَهَا ... عِنْدَ السُّؤَالِ كَأَحْسَنِ الْأَلْوَانِ وَإِذَا الْمُقِلُّ أَقَامَ وَسْطَ رِحَالِهِمْ ... رَدُّوهُ رَبَّ صَوَاهِلٍ وَقِيَانِ وَإِذَا دَعَوْتَهُمُ لِكُلِّ مُلِمَّةٍ ... سَدُّوا شُعَاعَ الشَّمْسِ بِالْفُرْسَانِ آخِرُ تَرْجَمَةِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ
পৃষ্ঠা - ১৩৯১
ষ্ষ্


অর্থাৎ আল্লাহর মাহাত্ম্য বর্ণনা কর, তিনিই তো সাহায্যের অধিকারী ৷ সুউচ্চ আকাশে মহান
আমাদের প্রভু, মানুষের বহু উধের্ব আকাশে তার আসনে রয়েছেন ৷ চোখে দৃশ্যমান তার আরশ
নতশিরে যা ফেরেশতারা বহন করছেন ৷

আব্দুল্লাহ ইবনে জাদআন তায়যীর প্রশংসামুলক উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালত-এর
কয়েকটি পং :

ব্লু
;
) :

;ক্রোন্পুস্
;’,;;; ব্লু৷ ণ্ট্রু া,ন্নু


; শ্শ্ : ৷০

ন্শ্রো ’ শ্রুথ্রে১ঠেএা

অর্থাৎ আমি কি আমার প্রয়োজনের কথা উত্থাপন করব, নাকি আপনার নাজুকতাই আমার
জন্য যথেষ্ট? নিশ্চয় নাজুক৩ তাই আপনার বৈশিষ্ট্য ৷

সকলের অধিকার সম্পর্কে আপনি সম্যক অবহিত ৷ আপনি স্ম্রাম্ভ, কুলীন, ভদ্র ও
সৌন্দর্যের আ যায় ৷

আপনি এমন-ই সস্রাম্ভ যে, সকাল বা সন্ধ্যপািার সুন্দর চরিত্রের মাঝে কোন পরিবর্তস্ম সাধন
করতে পারে না ৷

আপনি এমন এক ব্যক্তি, যে উদারত৷ ও বদান্য৩ ৷য় তখনো বাতাসের সাথে প্রতিযোগিতা
করেন, যখন শৈত্য প্রবাহ কুকুরকে পর্যন্ত ঘরে আবদ্ধ করে রাখে ৷ আপনার বাসভুমি হল

দানশীল৩ ৷র ভুমি, যা’ প্রতিষ্ঠা করেছে বনু তায়ীম ৷ আপনি হলেন তার আকাশ ৷ আপনি কারো
ৎসার মুখাপেক্ষী নন ৷ আপনি স্বনাম ধন্য ৷

আব্দুল্লাহ ইবন জা ৷দআন তায়যীর প্রশংসামুলক উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালত এর আরো
কতগুলো কবিতা আছে ৷ এই আব্দুল্লাহ ইবনে জ ৷দআ ন একজন সজ্রাম্ভ ও দানশীল ব্যক্তিরুপে
বিখ্যাত ছিলেন ৷৩ তার একটি ডেগ ছিল, যা সব সময় মধু ও ঘি মাথা রুটিতে পরিপুর্ণ থাকত ৷
তা’ সকলের জন্য ছিল উম্মুক্ত ৷ যে কে ন আরোহী বাহনের উপর থেকেই তা থেকে আহার
করতে প৷ রাত ৷ তিনি গোলাম আযাদ করতে তেন ৷ বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তা করতেন ৷ হযরত
আয়েশা (রা) একদিন নবী করীম (সা) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে
জাদআ নের এসব মহৎ কর্ম কি তার কোন উপকারে আসবে ? জবাবে নবী করীম (সা)
বললেন, জীবনে একদিনও সে একথা বলেনি যে, হে আল্লাহ ! কিয়ামতের দিন তুমি আমার
পাপসমুহ ক্ষমা করে দিও ৷


[بَحِيرَى الرَّاهِبُ] الَّذِي تَوَسَّمَ فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّبُوَّةَ وَهُوَ مَعَ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، حِينَ قَدِمَ الشَّامَ فِي تُجَّارٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ اثْنَتَا عَشْرَةَ سَنَةً فَرَأَى الْغَمَامَةَ تُظِلُّهُ مِنْ بَيْنِهِمْ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا ضِيَافَةً، وَاسْتَدْعَاهُمْ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ. وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ فِي ذَلِكَ حَدِيثًا بَسَطْنَا الْكَلَامَ عَلَيْهِ هُنَالِكَ، وَقَدْ أَوْرَدَ لَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ شَوَاهِدَ وَسَائِغَاتٍ فِي تَرْجَمَةِ بَحِيرَى وَلَمْ يُورِدْ مَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَهَذَا عَجَبٌ، وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ بَحِيرَى كَانَ يَسْكُنُ قَرْيَةً يُقَالَ لَهَا: الْكَفْرُ، بَيْنَهَا وَبَيْنَ بُصْرَى سِتَّةُ أَمْيَالٍ، وَهِيَ الَّتِي يُقَالَ لَهَا: دَيْرُ بَحِيرَى. قَالَ: وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ يَسْكُنُ قَرْيَةً يُقَالَ لَهَا: مَنْفَعَةُ بِالْبَلْقَاءِ، وَرَاءَ زَيْرَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৩৯২
ষ্ষ্


পাদ্রী বাহীরা

যে মনীষী পুর্বাহ্নেই রাসুলুল্লাহ (সা)-এর মধ্যে নবী হওয়ার লক্ষণ ধরতে পেয়েছিলেন,
তিনি হচ্ছেন পাদ্রী বাহীরা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন মক্কার বনিক কাফেলাসহ চাচা আবু তালিবের
সঙ্গে সিরিয়া যাচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)-এর বয়স তখন বার বছর ৷ বাহীরা একটি মেঘখণ্ডকে
সকলের মধ্যে শুধু র্তাকেই ছায়া দিতে লক্ষ্য করেন ৷ তখন তিনি তাদের জন্য আহার্য প্রস্তুত
করে কাফেলার সকলকে দাওয়াত করেন ৷ সীরাত অধ্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা আসছে ৷ ইমাম
তিরমিযী এ বিষয়ে একটি হাদীছবর্ণনা করেছেন ৷ যথাস্থানে আমরা তার উপর বিশদ আলোচনা
করেছি ৷ হাফিজ ইবনে আসাকির বাহীরার জীবনী আঃ লাচনা প্রসঙ্গে উক্ত হড়াদীসের সমর্থনে

বেশ ক ’টি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু ইমাম তিরমিযী বর্ণিত হাদীছটি উদ্ধৃত করেননি ন্ এটি
আশ্বর্যজনক ব্যাপার বৈকি ?

ইবনে আসাকির লিখেছেন যে, বাহীরা কুফ্র নামে পরিচিত একটি গ্রামে বাস করতেন ৷ সে
গ্রাম থেকে বুসরাৱ দুরতু ছিল ছয় মাইল ৷ এটাই বাহীরার গীর্জা ( ৷ , ন্ ,ৰু১) সালে
বিখ্যাত ৷ কারো কারো মতে, বাহীরা যে গ্রামে বাস করতেন তার নাম মানফাআ ৷ যায়রার
অপর দিকে বালকা নামক স্থানে এটি অবস্থিত ৷ আল্লাহই সম্যক অবগত ৷

কাস্ ইবনে সাঈদা আল-ইয়াদী

হাফিজ আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে জাফর ইবনে সাহ্ল খারায়েতী র্তার হাওয়াতিফুল জান
গ্রন্থে উবাদা ইবনে সামিত (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন ইয়াদের একটি
প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট আগমন করলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা ৷করলেন,
কাসৃ ইবনে সাঈদ ইয়াদীর খবর কি? তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা)! তিনি তো মারা
গেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, উকাজের মেলায় একদিন অমি তাকে দেখেছিলাম ৷ একটি
লাল উটের পিঠে বসে তখন তিনি কিছু চমৎকার কথা বলছিলেন, এখন আমার তা স্মরণ নেই ৷
এমন সময় ঐ দলের পেছন থেকে জনৈক বেদৃঈন দাড়িয়ে বলল, আমার তা’ মনে আছে, হে
আল্লাহর রাসুল ! বর্ণনাকারী বলেন,এ কথা শুনে নবী করীম (সা) আনন্দিত হন ৷ বেদৃঈনটি

বলল, কাসৃ ইবনে সাঈদা আল-ইয়াদী উকাজ মেলায় সেদিন একটি লাল উটের পিঠে বসে
বলছিলেন :

০শ্ শ্ ; শ্ : ৷ প্ ; শ্ » : ,
গ্র

¢


প্রু, ৷ ৷ ,


[ذِكْرُ قُسِّ بْنِ سَاعِدَةَ الْإِيَادِيِّ] ِّ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَهْلٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ: حَدَّثَنَا دَاوُدُ الْقَنْطَرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَشْرِقِيُّ عَنْ أَبِي الْحَارِثِ الْوَرَّاقِ عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ مُوَرِّقٍ الْعِجْلِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ «لَمَّا قَدِمَ وَفْدُ إِيَادٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَا مَعْشَرَ وَفْدِ إِيَادٍ مَا فَعَلَ قُسُّ بْنُ سَاعِدَةَ الْإِيَادِيُّ؟ قَالُوا: هَلَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: لَقَدْ شَهِدْتُهُ يَوْمًا بِسُوقِ عُكَاظٍ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ، يَتَكَلَّمُ بِكَلَامٍ مُعْجِبٍ مُونِقٍ لَا أَجِدُنِي أَحْفَظُهُ فَقَامَ إِلَيْهِ أَعْرَابِيٌّ مِنْ أَقَاصِي الْقَوْمِ فَقَالَ: أَنَا أَحْفَظُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَسُّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ قَالَ: فَكَانَ بِسُوقِ عُكَاظٍ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ النَّاسِ اجْتَمِعُوا فَكُلُّ مَنْ فَاتَ فَاتَ، وَكُلُّ شَيْءٍ آتٍ آتٍ، لَيْلٌ دَاجٍ وَسَمَاءٌ ذَاتُ أَبْرَاجٍ، وَبَحْرٌ عَجَّاجٌ، نُجُومٌ تَزْهَرُ، وَجِبَالٌ مَرْسِيَّةٌ، وَأَنْهَارٌ مَجْرِيَّةٌ إِنَّ فِي السَّمَاءِ لَخَبَرًا، وَإِنَّ فِي الْأَرْضِ لَعِبَرًا. مَا لِي أَرَى النَّاسَ يَذْهَبُونَ فَلَا يَرْجِعُونَ أَرَضُوا بِالْإِقَامَةِ فَأَقَامُوا أَمْ تُرِكُوا فَنَامُوا؟ أَقْسَمَ قُسٌّ بِاللَّهِ قَسَمًا لَا رَيْبَ فِيهِ، إِنَّ لِلَّهِ دِينًا هُوَ أَرْضَى مِنْ دِينِكُمْ هَذَا، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৩৯৩
فِي الذَّاهِبِينَ الْأَوَّلِينَ ... مِنَ الْقُرُونِ لَنَا بَصَائِرْ لَمَّا رَأَيْتُ مَوَارِدًا لِلْمَوْتِ ... لَيْسَ لَهَا مَصَادِرْ وَرَأَيْتُ قَوْمِيَ نَحْوَهَا ... يَمْضِي الْأَصَاغِرُ وَالْأَكَابِرْ لَا مَنْ مَضَى يَأْتِي إِلَيْكَ ... وَلَا مِنَ الْبَاقِينَ غَابِرْ أَيْقَنْتُ أَنِّي لَا مَحَالَةَ ... حَيْثُ صَارَ الْقَوْمُ صَائِرْ » . وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ فِي كِتَابِهِ " الْمُعْجَمِ الْكَبِيرِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ السَّرِيِّ بْنِ مِهْرَانَ بْنِ النَّاقِدِ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ السَّمْتِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ عَنْ مُجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّكُمْ يَعْرِفُ الْقُسَّ بْنَ سَاعِدَةَ الْإِيَادِيَّ؟ قَالُوا: كُلُّنَا يَعْرِفُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَمَا فَعَلَ؟ قَالُوا: هَلَكَ. قَالَ: فَمَا أَنْسَاهُ بِعُكَاظٍ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ وَهُوَ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ، وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اجْتَمِعُوا وَاسْتَمِعُوا وَعُوا، مَنْ عَاشَ مَاتَ، وَمَنْ مَاتَ فَاتَ، وَكُلُّ مَا هُوَ آتٍ آتٍ، إِنَّ فِي السَّمَاءِ لَخَبَرًا، وَإِنَّ فِي الْأَرْضِ لَعِبَرًا، مِهَادٌ مَوْضُوعٌ، وَسَقْفٌ مَرْفُوعٌ، وَنُجُومٌ تَمُورُ، وَبِحَارٌ لَا تَغُورُ، وَأَقْسَمَ قُسٌّ قَسَمًا حَقًّا لَئِنْ كَانَ فِي الْأَمْرِ
পৃষ্ঠা - ১৩৯৪
ষ্ষ্


@ হু

০ :

ট্রু, এে

অর্থাৎ হে লোক সকল! তোমরা সমবেত হও ৷ শুনে ণ্রখ, যারা গত হওয়ার তারা গত হয়ে
গেছে ৷ যা আগমন করার, তা অবশ্যই আসবে ৷ অন্ধকার রাত, কক্ষবিশিষ্ট আকাশ, বিক্ষুব্ধ
সমুদ্র, উজ্জ্বল তারকারাজি, সুদৃঢ় পর্বত ও প্রবহমান নদ-নদী ৷ আকাশে সংবাদ আছে, আর
পৃথিবীতে আছে উপদেশ গ্রহণের উপকরণ ৷ ব্যাপার কি, মানুষ কেবল চলেই যাচ্ছে, ফিরে তো
আর আসছে না ৷ ওখানে রয়ে যাওয়াই কি তাদের পছন্দ, নাকি ত বা ঘৃমিয়ে পড়েছে ৷ কাস্
আল্লাহর নামে শপথ করে বলছে যে, আল্লাহর দেওয়া একটি র্দীন আছে, যা তোমাদের দীন
আপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় ৷ তারপর তিনি কবিতা আবৃত্তি করলেন শুষ্রু

১া

০ হু

)ত্রৈ

যারা আমাদের আগে অতীত হয়েছেন , তাদের মধ্যে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ৷
কারণ আমি দেখালাম যে, মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কারোরই কোন উপায় নেই ৷
আরো দেখালাম যে, আমার সম্প্রদায়েরও গত হয়ে যাচ্ছে-ছোট-বড় সকলে ৷

যারা গত হয়ে গেছে, তারা তোমার নিকট ফিরে আসার নয় ৷ আর যারা বেচে আছে
তারাও আজীবন বেচে থাকবার নয় ৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আরো দশজন লোকের ন্যায়
আমিও একদিন চলে যাব ৷ বর্ণনাটির সনদ গরীব’ পর্যায়ের ৷

তাবারানী তার মু’জামে কাবীর গ্রন্থে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, আব্দুল কায়স গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট আগমন
করলে রাসুলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তেড়ামাদের কেউ কি কাস্ ইবনে সায়িদ
আল-ইয়াদীকে চেনো” তারা বলল, আমরা তো সকলেই তাকে চিনি, হে আল্লাহ্র রাসুল ! নবী
করীম (সা) বললেন, “তার খবর কী? তারা বলল, তিনি তো মারা গেছেন ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, আমার মনে আছে যে, এক ম্হাররম মাসে উক৷ ৷জের মেলায় একটি লাল উটের পিঠে
বলে তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন :


رِضًى لَيَكُونَنَّ بَعْدَهُ سُخْطٌ، إِنَّ لِلَّهِ لَدِينًا هُوَ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ دِينِكُمُ الَّذِي أَنْتُمْ عَلَيْهِ، مَا لِي أَرَى النَّاسَ يَذْهَبُونَ وَلَا يَرْجِعُونَ أَرَضُوا بِالْمُقَامِ فَأَقَامُوا، أَمْ تُرِكُوا فَنَامُوا؟ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفَيَكِمُ مَنْ يَرْوِي شِعْرَهُ فَأَنْشَدَهُ بَعْضُهُمْ فِي الذَّاهِبِينَ الْأَوَّلِي ... نَ مِنَ الْقُرُونِ لَنَا بَصَائِرْ الَمَّا رَأَيْتُ مَوَارِدًا ... لِلْمَوْتِ لَيْسَ لَهَا مَصَادِرْ وَرأَيْتُ قَوْمِي نَحْوَهَا ... يَسْعَى الْأَصَاغِرُ وَالْأَكَابِرْ لَا يَرْجِعُ الْمَاضِي إِلَيَّ ... وَلَا مِنَ الْبَاقِينَ غَابِرْ أَيْقَنْتُ أَنِّي لَا مَحَالَةَ ... حَيْثُ صَارَ الْقَوْمُ صَائِرْ » وَهَكَذَا أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ حَسَّانَ السَّمْتِيِّ بِهِ، وَهَكَذَا رَوَيْنَاهُ فِي الْجُزْءِ الَّذِي جَمَعَهُ الْأُسْتَاذُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ دَرَسْتَوَيْهِ فِي أَخْبَارِ قُسٍّ; قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ الْهَيْثَمِ الدَّيْرُعَاقُولِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ شَبِيبٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْوَاسِطِيِّ نَزِيلِ بَغْدَادَ، وَيُعْرَفُ بِصَاحِبِ الْهَرِيسَةِ بِهِ وَقَدْ كَذَّبَهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ والدَّارَقُطْنِيُّ، وَاتَّهَمَهُ
পৃষ্ঠা - ১৩৯৫
ষ্ষ্


“লোক সকল! তোমরা সমবেত হও, কান দিয়ে শ্রবণ কর ও স্মরণ রাখ ৷ যে জীবন লাভ
করেছে, সে মরবেই ৷ যে মরবে সে গত হয়ে যাবে ৷ যা কিছু অগেমন করার, তা অবশ্য
আসবে ৷ আকাশে গুরুত্পুর্ণ খবর আছে, যমীনে আছে শিক্ষা গ্রহণের উপকরণ ৷ শয্যা প্রস্তুত ,
ছাদ সুউচ্চ, নক্ষত্ররাজি আবর্তনশীল, সমুদ্রের পাখি সম্ভার অফুরম্ভ ৷ কাস্ সত্য-সতা শপথ করে
বলছে, এখন যাতে সন্তোষ আছে, পরে অবশ্যই তাতে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে ৷ আল্লাহ্র এমন
একটি দীন আছে, যা তার নিকট তোমাদের দীন অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ৷ ব্যাপার কি আমি
দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ চলেই যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না! তবে কি তারা ওখানে রয়ে
যাওয়ইি শ্রেয় মনে করেছে? নাকি তারা ঘুমিয়ে পড়েছে?

তঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে৩ তার কবিতা
উদ্ধৃত করতে পারবো জবাবে একজন পুর্বোক্ত পংক্তি আবৃত্তি করে :

চুেপু,১৷ ৷ স্পোাএোর্দু,


’ : ব্লু

খু

অতীতে গত হওয়া লোকদের মধ্যে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ৷ আমি দেখতে
পেলাম যে, মৃত্যুর মুখে একবার যে পতিত হয়, তার আর সেখান থেকে ফিরে আসার উপায়
থাকে না ৷ আরো দেখলাম যে, আমার সম্প্রদায়ের ছোট-বড় সকলেই মৃত্যুর পানে ধাবিত
হচ্ছে ৷ যারা অতীত হয়ে গেছে, আমার কাছে তারা আর ফিরে আসবে না ৷হাফিজ বায়হাকী

তার কিতাব দালাইলু নুবুওত’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন হাসৃসান সুলামী থেকে বর্ণনাটি উদ্ধৃত
করেছেন

আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
বকর ইবনে ওয়ড়ায়েল গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট আগমন করলে
রাসুলুল্পাহ (সা) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, €তামাদের মিত্র কাস্ ইবনে সায়িদা
আল-অইয়াদীর খবর কি? এভাবে ইবনে আব্বাস (রা) ঘটনাটি আনুপুর্বিক বর্ণনা করেন ৷

আহমদ ইবনে আবু তড়ালিব হাসান ইবনে আবুল হাসান বসরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
হাসান ইবনে আবুল হাসান বলেন, জারুদ ইবনে মুআল্লা ইবনে হানাশ ইবনে মুআল্লা
আল-আবৃদী নামক একজন খৃষ্টান ব্যক্তি ছিলেন ৷ আসমানী কিতাব সমুহের ব্যাখ্যার তিনি
পারদর্শী ছিলেন ৷ তিনি দর্শন, চিকিৎসা ও আরবী সাহিত্যে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন ৷ সর্বোপরি
তিনি ছিলেন সুদর্শন ও বিত্তবান ৷ একদিন তিনি আব্দুল কায়সের বিচক্ষণ ও বাকপটু কয়েকজন


غَيْرُ وَاحِدٍ، مِنْهُمُ ابْنُ عَدِيٍّ بِوَضْعِ الْحَدِيثِ وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ، وَأَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ هَذَا، وَرَوَاهُ ابْنُ دَرَسْتَوَيْهِ، وَأَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهَذِهِ الطَّرِيقُ أَمْثَلُ مِنَ الَّتِي قَبْلَهَا، وَفِيهِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ هُوَ الَّذِي أَوْرَدَ الْقِصَّةَ بِكَمَالِهَا نَظْمَهَا، وَنَثْرَهَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ مُوسَى بْنِ إِسْحَاقَ الْحَطَمِيِّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيُّ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ، وَفْدُ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُمْ: مَا فَعَلَ حَلِيفٌ لَكُمْ يُقَالَ لَهُ: قُسُّ بْنُ سَاعِدَةَ الْأَيَادِيُّ؟ وَذَكَرَ الْقِصَّةَ مُطَوَّلَةً. وَأَخْبَرَنَا الشَّيْخُ الْمُسْنِدُ الرُّحْلَةُ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْحَجَّارُ إِجَازَةً إِنْ لَمْ يَكُنْ سَمَاعًا، قَالَ: أَجَازَ لَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْحَافِظُ أَبُو طَاهِرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ السِّلَفِيُّ سَمَاعًا، وَقَرَأْتُ عَلَى شَيْخِنَا الْحَافِظِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيِّ أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْخَلَّالُ سَمَاعًا، قَالَ: أَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَلِيٍّ سَمَاعًا قَالَ: أَنَا السِّلَفِيُّ سَمَاعًا، أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الرَّازِيُّ أَنَا أَبُو الْفَضْلِ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ
পৃষ্ঠা - ১৩৯৬
عِيسَى السَّعْدِيُّ أَنَا أَبُو الْقَاسِمِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ دَرَسْتَوَيْهِ النَّحْوِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَحْمَدَ السَّعْدِيُّ - قَاضِي فَارِسَ - حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفِ بْنِ يَحْيَى بْنِ دِرْهَمٍ الطَّائِيُّ مِنْ أَهْلِ حَرَّانَ حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو سَعِيدُ بْنُ بَزِيعٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْجَارُودُ بْنُ الْمُعَلَّى بْنِ حَنَشِ بْنِ مُعَلَّى الْعَبْدِيُّ نَصْرَانِيًّا حَسَنَ الْمَعْرِفَةِ بِتَفْسِيرِ الْكُتُبِ وَتَأْوِيلِهَا، عَالِمًا بِسِيَرِ الْفُرْسِ وَأَقَاوِيلِهَا، بَصِيرًا بِالْفَلْسَفَةِ وَالطِّبِّ، ظَاهِرَ الدَّهَاءِ وَالْأَدَبِ كَامِلَ الْجَمَالِ ذَا ثَرْوَةٍ وَمَالٍ، وَإِنَّهُ قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَافِدًا فِي رِجَالٍ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ ذَوِي آرَاءٍ وَأَسْنَانٍ وَفَصَاحَةٍ وَبَيَانٍ وَحُجَجٍ وَبُرْهَانٍ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَشَارَ إِلَيْهِ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ: يَا نَبِيَّ الْهُدَى أَتَتْكَ رِجَالٌ ... قَطَعَتْ فَدْفَدًا وَآلًا فَآلَا وَطَوَتْ نَحْوَكَ الصَّحَاصِحَ تَهْوِي ... لَا تَعُدُّ الْكَلَالَ فِيكَ كَلَالَا كلُّ بَهْمَاءَ قَصَّرَ الطَّرْفُ عَنْهَا ... أَرْقَلَتْهَا قِلَاصُنَا إِرْقَالَا وَطَوَتْهَا الْعِتَاقُ تَجْمَحُ فِيهَا ... بِكُمَاةٍ كَأَنْجُمٍ تَتَلَالَا تَبْتَغِي دَفْعَ بَأْسِ يَوْمٍ عَظِيمٍ ... هَائِلٍ أَوْجَعَ الْقُلُوبَ وَهَالَا وَمَزَادًا لِمَحْشَرِ الْخَلْقِ طُرًّا ... وَفِرَاقًا لِمَنْ تَمَادَى ضَلَالَا
পৃষ্ঠা - ১৩৯৭
ষ্ষ্


লোক নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট আগমন করেন ৷ এসে নবীজির সামনে বাস নবীজিকে
উদ্দেশ করে আবৃত্তি শুরু করেন :

ৰুঠোৰু
ৰুা$৷দ্বুপ্ ৷ ৷রুঠুট্রুঠুার্দুগ্লু
১এেগ্লুপ্রুাএাপ্রু,াএে ণ্ প্রুন্;ষ্ণেপ্রুাওটর্দু৯এ এ;;১
াট্রুাদ্বুশঃ
মোঃ ;এ৷ বম্হ্ওন্এন্ এর্টুএ; ;; এেএএএ্যা ;এৰুএএ১এ১১
র্টু,প্লু৷ ৷ঠু ৰুদুা৷ এই১১

“হে হিদায়াতের নবী ! আপনার নিকট কিছু লোক বিজন মরু প্রাম্ভর ও গোত্রের পর গোত্র

অতিক্রম করে এসেছে ৷৩ তারা বিস্তীর্ণ সমতল ভুমি অতিক্রম করে এসেছে আপনার সাক্ষাতের
আশায় ৷ এতে তারা ক্লান্তিকে ক্লাস্তি মনে করেনি ৷

প্রাণীকুল যে বিজন মরু ভুমি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমাদের উষ্ট্রগুলাে সেসব অতিক্রম
করে এসেছে ৷ শক্তিশালী দুঃসাহসী অশ্বগুলাে আরোহীদের নিয়ে উজ্জ্বল তারকার ন্যায় সে সব
অতিক্রম করে এসেছে ৷

এমন ভয়াবহ ও কঠিন দিনের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রত্যাশায় যেদিন আতঙ্ক হৃদয়কে
আচ্ছন্ন করে (ফলবে ৷ সকল সৃষ্টিকে সমবেত করার দিনের পাথেয় প্ৰত্যাশায় আর ঐ ব্যক্তির
ভয়ে, যে গোমরাহীর মাঝে ঘুরপাক থেয়েছে ৷ আমরা এসেছি আল্লাহর নুরের দিকে প্রমাণ
পুণ্য ও নিয়ামতের দিকে, তা অর্জন করার আশায় ৷

হে আমেনার সন্তান ! আল্লাহ আপনাকে এমন কল্যাণ দান করেছেন,যা আপনার নিকট
একের পর এক আসতে থাকবে ৷ হে আল্লাহ্র নিদর্শন! আপনার দ্বারা আল্লাহ আমাদেরকে
উপকৃত করুন,ঐ ব্যক্তিদের ন্যায় নয়, যারা পশ্চাতে রয়ে গেছে ৷

শুনে রাসুলুল্লাহ (না) তাকে নিজের কাছে এনে বসালেন এবং বললেন : হে জারুদ ! ভুমি
এবং তোমার সম্প্রদায় আমার নিকট আসতে বিলম্ব করে ফেলেছ ৷ জারুদ বললেন, আমার
পিতা-মড়াতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোন ! আপনার পথ ধরতে যে বিলম্ব করবে, সে হবে দৃর্তাগা ৷
তার পরিণামও হবে মর্মস্তুদ৷ যারা আপনাকে দেখে, আপনার কথা শুনে আপনাকে ত্যাগ করে


نَحْوَ نُورٍ مِنَ الْإِلَهِ وَبُرْهَا ... نٍ وَبِرٍّ وَنِعْمَةٍ أَنْ تَنَالَا خَصَّكَ اللَّهُ يَا ابْنَ آمِنَةَ الْخَيْ ... رِ بِهَا إِذْ أَتَتْ سِجَالًا سِجَالَا فَاجْعَلِ الْحَظَّ مِنْكَ يَا حُجَّةَ اللَّهِ ... جَزِيلًا لَا حَظَّ خُلْفٍ أَحَالَا قَالَ: فَأَدْنَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَّبَ مَجْلِسَهُ، وَقَالَ لَهُ: يَا جَارُودُ لَقَدْ تَأَخَّرَ الْمَوْعُودُ بِكَ وَبِقَوْمِكَ. فَقَالَ الْجَارُودُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي أَمَّا مَنْ تَأَخَّرَ عَنْكَ فَقَدْ فَاتَهُ حَظُّهُ، وَتِلْكَ أَعْظَمُ حُوبَةٍ وَأَغْلَظُ عُقُوبَةٍ وَمَا كُنْتَ فِيمَنْ رَآكَ أَوْ سَمِعَ بِكَ فَعَدَاكَ وَاتَّبَعَ سِوَاكَ، وَإِنِّي الْآنَ عَلَى دِينٍ قَدْ عَلِمْتُ بِهِ قَدْ جِئْتُكَ، وَهَا أَنَا تَارِكُهُ لِدِينِكَ، أَفَذَلِكَ مِمَّا يُمَحِّصُ الذُّنُوبَ وَالْمَآثِمَ وَالْحُوبَ؟ وَيُرْضِي الرَّبَّ عَنِ الْمَرْبُوبِ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا ضَامِنٌ لَكَ ذَلِكَ، وَأَخْلِصِ الْآنَ لِلَّهِ بِالْوَحْدَانِيَّةِ، وَدَعْ عَنْكَ دِينَ النَّصْرَانِيَّةِ. فَقَالَ الْجَارُودُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي مُدَّ يَدَكَ فَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّكَ مُحَمَّدٌ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. قَالَ: فَأَسْلَمَ وَأَسْلَمَ مَعَهُ أُنَاسٌ مِنْ قَوْمِهِ فَسُرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِسْلَامِهِمْ، وَأَظْهَرَ مِنْ إِكْرَامِهِمْ مَا سُرُّوا بِهِ وَابْتَهَجُوا بِهِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَفَيَكِمْ مَنْ يَعْرِفُ قُسَّ بْنَ سَاعِدَةَ الْإِيَادِيَّ؟ فَقَالَ الْجَارُودُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي كُلُّنَا نَعْرِفُهُ، وَإِنِّي مِنْ بَيْنِهِمْ لَعَالِمٌ بِخَبَرِهِ وَاقِفٌ عَلَى أَمْرِهِ، كَانَ قَسٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ سِبْطًا مِنْ أَسْبَاطِ الْعَرَبِ، عُمِّرَ سِتَّمِائَةِ سَنَةٍ تَقَفَّرَ مِنْهَا خَمْسَةَ أَعْمَارٍ فِي الْبَرَارِيِّ وَالْقِفَارِ يَضِجُّ بِالتَّسْبِيحِ عَلَى مِثَالِ الْمَسِيحِ لَا يُقِرُّهُ قَرَارٌ وَلَا تَكُنُّهُ دَارٌ وَلَا يَسْتَمْتِعُ بِهِ جَارٌ كَانَ يَلْبَسُ الْأَمْسَاحَ، وَيَفُوقُ
পৃষ্ঠা - ১৩৯৮
ষ্ষ্


অন্য পথ ধরেছে, আমি তাদের দলে নই ৷ আমি এতকাল যে ধর্মের অনুসরণ করতাম , তা ত্যাগ
করে আপনার ধর্ম গ্রহণ করতে যাচ্ছি ৷ এতে কি আমার পুর্বের যাবতীয় পাপ মোচন হবে না?
এতে কি আল্লাহ্ আমার প্রতি সস্তুষ্ট হবেন না ? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার সে
সব দায়-দায়িতু আমার, তুমি এক্ষুণি এক আল্লাহর প্র ত ঈমান আন এবং খৃষ্টধর্ম ত্যাগ কর ! ”
জারুদ বললেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই ৷ তিনি এক,
অদ্বিতীয় ৷ আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি মুহাম্মদ আল্লাহর বড়ান্দা ও তার রাসুল ধ্”

বর্ণনাকারী বলেন, এই বলে জারুদ মুসলমান হয়ে যান এবং তার সঙ্গে তার সম্প্রদায়ের
বেশ কিছু লোকও ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এতে বেশ আনন্দিত হন এবং
তাদেরকে সম্বর্ধিত করেন যাতে তারা যারপর নেই আনন্দিত হন ৷

তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে
কি , যে কাস্ ইবনে সড়ায়িদা আল ইয়াদিকে চিনে ; জারুদ বললেন, আমার বাপ-মা আপনার
জন্য কুরবান হোন ! আমরা প্রত্যেকেই তাকে চিনি ৷ আমি তো তাকে বেশ ভালো করেই জানি ৷
তিনি আরবেরই একটি গোত্রের লোক ছিলেন ৷ ছয়শ’ত বছর আযু পেয়েছিলেন ৷ এর মধ্যে পশ্বচ
প্রজন্মের আয়ুষ্কাল পর্যন্ত ঈসা (আ)-এর ন্যায় বনে-জঙ্গলে অতিবাহিত করেন ৷ এ সময় নির্দিষ্ট
স্থানে অবস্থান করতেন না এবং তার দ্বারা কেউ উপকৃতও হতে পারত না ময়লা কাপড়
পরিধান করতেন ৷ বৈরাগ্য অবলম্বনে তিনি কোন অশান্তি অনুভব করতেন না ৷ বন্য প্রাণীদের
সঙ্গে একত্রে বসবাস করতেন ৷ অন্ধকারে অবস্থান করা পছন্দ করতেন ৷ গভীর জ্ঞানের অধিকারী
ছিলেন তিনি ৷ এ কারণে তিনি এক অনন্য ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন ৷ তার প্রজ্ঞা দ্বারা
মানুষ উপমা পেশ করত এবং তার উসিলড়ায় বিপদাপদ দুর হত ৷

তিনিই আরবের প্রথম ব্যক্তি, যিনি এক আল্লাহর বিশ্বাস স্থাপন করেন ৷ ঈমান আনেন,
পুনরুথান ও হিসাব-কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন, জনগণকে অগুভ পরিণতি সম্পর্কে
সতর্ক করেন এবং ঘৃভ্যুর আগে আমল করে যাওয়ার আদেশ দেন ৷ মৃত্যু সম্পর্কে উপদেশ দেন
এবং তাকদীরের ৰুপ্রতি আত্মসমর্পণ করেন ; কবর যিয়ারত করেন, মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত
হওয়ার কথা প্রচার করেন ৷ কবিতা আবৃত্তি করেন, তাকদীর সম্পর্কে চিভা-ভাবনা করেন এবং
আকাশের সংবাদ সম্পকে অবহিত হন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম সমুদ্র ও পানির বিশদ বিবরণ দেন,
আরোহী অবস্থায় বক্তৃতা দেন, নসীহত করেন, বিপদাপদ ও আযড়াব-গজব থেকে সতর্ক করেন ৷

কুফরী ত্যাগ করে সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন এবং এক আল্লাহর

প্রতি আহ্বান করেন ৷ উকাজের বাজারে একদিন তিনি বললেন :

পুর্ব ও পশ্চিম, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, শান্তি ও যুদ্ধ, শুষ্ক ও আর্দ্র, সোনা ও মিষ্ট, সুর্য ও চন্দ্র
বায়ু ও বৃষ্টি, রাত ও দিন, নারী ও পুরুষ, স্থল ও সমুদ্র, বীজ ও শস্য, পিতা ও মাতা, সমবেত ও
বিক্ষিপ্ত, নিদর্শনের পর নিদর্শন, আলো ও অন্ধকার, স্বচ্ছতা ও সংকট, বর ও দেবতা, নিশ্চয়
মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে ৷


السُّيَّاحَ وَلَا يَفْتُرُ مِنْ رَهْبَانِيَّتِهِ يَتَحَسَّى فِي سِيَاحَتِهِ بَيْضَ النَّعَامِ، وَيَأْنَسُ بِالْهَوَامِّ، وَيَسْتَمْتِعُ بِالظَّلَامِ يُبْصِرُ فَيَعْتَبِرُ وَيُفَكِّرُ فَيَزْدَجِرُ فَصَارَ لِذَلِكَ وَاحِدًا تُضْرَبُ بِحِكْمَتِهِ الْأَمْثَالُ، وَتُكْشَفُ بِهِ الْأَهْوَالُ، أَدْرَكَ رَأْسَ الْحَوَارِيِّينَ سَمْعَانَ وَهُوَ أَوَّلُ رَجُلٍ تَأَلَّهَ مِنَ الَعَرَبِ وَوَحَّدَ وَأَقَرَّ وَتَعَبَّدَ، وَأَيْقَنَ بِالْبَعْثِ وَالْحِسَابِ، وَحَذِرَ سُوءَ الْمَآبِ، وَأَمَرَ بِالْعَمَلِ قَبْلَ الْفَوْتِ، وَوَعَظَ بِالْمَوْتِ، وَسَلَّمَ بالْقَضَا عَلَى السُّخْطِ وَالرِّضَا، وَزَارَ الْقُبُورَ وَذَكَرَ النُّشُورَ، وَنَدَبَ بِالْأَشْعَارِ وَفَكَّرَ فِي الْأَقْدَارِ، وَأَنْبَأَ عَنِ السَّمَاءِ وَالنَّمَاءِ وَذَكَرَ النُّجُومَ وَكَشَفَ الْمَاءَ وَوَصَفَ الْبِحَارَ وَعَرَفَ الْآثَارَ، وَخَطَبَ رَاكِبًا وَوَعَظَ دَائِبًا، وَحَذَّرَ مِنَ الَكَرْبِ وَمِنْ شَدَّةِ الْغَضَبِ، وَرَسَّلَ الرَّسَائِلَ، وَذَكَرَ كُلَّ هَائِلٍ، وَأَرْغَمَ فِي خُطَبِهِ وَبَيَّنَ فِي كُتُبِهِ، وَخَوَّفَ الدَّهْرَ، وَحَذَّرَ الْأَزْرَ، وَعَظَّمَ الْأَمْرَ، وَجَنَّبَ الْكُفْرَ، وَشَوَّقَ إِلَى الْحَنِيفِيَّةِ، وَدَعَا إِلَى اللَّاهُوتِيَّةِ وَهُوَ الْقَائِلُ فِي يَوْمِ عُكَاظٍ: شَرْقٌ وَغَرْبٌ، وَيُتْمٌ وَحِزْبٌ، وَسِلْمٌ وَحَرْبٌ، وَيَابِسٌ وَرَطْبٌ، وَأُجَاجٌ وَعَذْبٌ، وَشُمُوسٌ وَأَقْمَارٌ وَرِيَاحٌ وَأَمْطَارٌ، وَلَيْلٌ وَنَهَارٌ، وَإِنَاثٌ وَذُكُورٌ وَأَبْرَارٌ وَفُجُورٌ، وَحَبٌّ وَنَبَاتٌ وَآبَاءٌ وَأُمَّهَاتٌ وَجَمْعٌ وَأَشْتَاتٌ، وَآيَاتٌ فِي إِثْرِهَا آيَاتٌ، وَنُورٌ وَظَلَامٌ، وَيُسْرٌ وَإِعْدَامٌ، وَرَبٌّ وَأَصْنَامٌ، لَقَدْ ضَلَّ الْأَنَامُ، نُشُوءُ
পৃষ্ঠা - ১৩৯৯
مَوْلُودٍ وَوَأْدُ مَفْقُودٍ وَتَرْبِيَةُ مَحْصُودٍ، وَفَقِيرٌ وَغَنِيٌّ وَمُحْسِنٌ وَمُسِيءٌ، تَبًّا لِأَرْبَابِ الْغَفْلَةِ لَيُصْلِحَنَّ الْعَامِلُ عَمَلَهُ وَلَيَفْقِدَنَّ الْآمِلُ أَمَلَهُ، كَلَّا بَلْ هُوَ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَيْسَ بِمَوْلُودٍ وَلَا وَالِدٍ، أَعَادَ وَأَبْدَى وَأَمَاتَ وَأَحْيَا وَخَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى، رَبُّ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى، أَمَّا بَعْدُ فَيَا مَعْشَرَ إِيَادٍ أَيْنَ ثَمُودُ وَعَادٌ؟ وَأَيْنَ الْآبَاءُ وَالْأَجْدَادُ؟ وَأَيْنَ الْعَلِيلُ وَالْعُوَّادُ؟ كُلٌّ لَهُ مُعَادٌ يُقْسِمُ قُسٌّ بِرَبِّ الْعِبَادِ وَسَاطِحِ الْمِهَادِ، لَتُحْشَرُنَّ عَلَى الِانْفِرَادِ فِي يَوْمِ التَّنَادِ، إِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ وَنُقِرَ فِي النَّاقُورِ، وَأَشْرَقَتِ الْأَرْضُ، وَوَعَظَ الْوَاعِظُ فَانْتَبَذَ الْقَانِطُ وَأَبْصَرَ اللَّاحِظُ، فَوَيْلٌ لِمَنْ صَدَفَ عَنِ الْحَقِّ الْأَشْهَرِ وَالنُّورِ الْأَزْهَرِ وَالْعَرْضِ الْأَكْبَرِ فِي يَوْمِ الْفَصْلِ، وَمِيزَانِ الْعَدْلِ إِذَا حَكَمَ الْقَدِيرُ وَشَهِدَ النَّذِيرُ وَبَعُدَ النَّصِيرُ وَظَهَرَ التَّقْصِيرُ فَفَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ وَهُوَ الْقَائِلُ ذَكَّرَ الْقَلْبَ مِنْ جَوَاهُ ادِّكَارُ ... وَلَيَالٍ خَلَا لَهُنَّ نَهَارُ وَسِجَالٌ هَوَاطِلٌ مِنْ غَمَامٍ ... ثُرْنَ مَاءً وَفِي جَوَاهُنَّ نَارُ ضَوْءُهَا يَطْمِسُ الْعُيُونَ وَأَرْعَا ... دٌ شِدَادٌ فِي الْخَافِقَيْنَ تَطَارُ وَقُصُورٌ مُشَيَّدَةٌ حَوَتِ الْخَي ... رَ وَأُخْرَى خَلَتْ بِهِنَّ قِفَارُ وَجِبَالٌ شَوَامِخُ رَاسِيَاتٌ وَبِحَارٌ ... مِيَاهُهُنَّ غِزِارُ وَنُجُومٌ تُلُوحُ فِي ظُلَمِ اللَّيْ ... لِ نَرَاهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ تُدَارُ ثُمَّ شَمْسٌ يَحُثُّهَا قَمَرُ اللَّيْ ... لِ وَكُلٌّ مُتَابِعٌ مَوَّارُ
পৃষ্ঠা - ১৪০০
ষ্ষ্


নবজাতকের দৈহিক বৃদ্ধি, হারিয়ে যাওয়া, গোপন বন্তু, গরীব ও ধনী, সৎ ও অসৎ,
অলসতড়ায় বিভাের লোকদের জন্য ধ্বংস ৷ আমলকারীরা অবশ্যই তাদের আমল ঠিক করে
নিয়ে ৷ আমল না করেই যারা বুকে আশা নিয়ে বসে আছে, তারা অবশ্যই নিরাশ হবে ৷ মানুষ
বা বিশ্বাস করে বসে আছে, ঘটনা আসলে তা নয় বরং আল্লাহ এক ও একক ৷ তিনি কারো
সন্তান নন, পিতাও নন ৷ তিনি চিরঞ্জীব ৷ মৃত্যু ও জীবন দান করেন ৷ নয় ও নারী তিনিই সৃষ্টি
করেছেন ৷ তিনি পরজগত ও ইহজগতের বব ৷ শোন হে ইয়াদের সম্প্রদায় !

ছামুদ ও আদ জাতি এখন কোথায় ? কোথায় তোমাদের পুর্ব পুরুষগণ ? কোথায় বোপী ও
বোপী পরিদর্শনকারীরা? প্রত্যেকেই একদিন পুনরায় জীবিত হবে ৷ কাসৃ মানুষের বরের শপথ
করে বলছে যে, এক একজন করে তোমরা প্রতেদ্রকে একদিন পৃনরুজ্জিবিত হবে ৷ ভাকাডাকি
করার দিন, যখন শিংপায় ফুৎকার দেয়া হবে ও পৃথিবী আলোকােজ্জ্বল হবে ৷ সুতরাং ত্স
সেই ব্যক্তির, যে সুস্ষ্ষ্টি সত্য ও ঝলমলে আলোক হতে বিমুষ্খ হয়েছে ৷ মীমাংসার দিনে,
ন্যায় বিচারের দিনে যখন মহা ক্ষমতাধর বিচার করবেন ও সতককারীরা সাক্ষ্য প্রদান
করবেন, সাহায্যকারীরা দুরে সরে যাবে ও পরস্পর সষ্পর্কহীনতা প্রকাশ পাবে ৷ অবশেষে
একদল জান্নড়াতে আর একদল জাহান্নড়ামে স্থান পাবে ৷ তারপর তিনি কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি
করেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, শুনে রাসুলুল্লড়াহ (সা) বললেন, আমারও মনে আছে যে, একদিন তিনি
উকাজ বাজারে একটি লাল উর্টের পিঠের উপর দাড়িয়ে বক্তৃতা করছিল ৷ বলছিলেন :

“হে লোক সকল ! তোমরা সমবেত হও, শ্রবণ কর ৷ শুনে কথাগুলো মনে রেখ ৷ পরে
সেই অনুযায়ী কাজ করে নিজের উপকার সাধন করবে ৷ আর সত্য কথা বলবে ৷ যে লোক
জীবন লাভ করল, যে মৃত্যুবরণ করবে ৷ যে লোক জীবন লাভ করল, যে শেষ হয়ে গেল ৷ যা
আসৰার তা এসে গেছে ৷”

বৃষ্টি ও শস্য, জীবিত ও মৃত, অন্ধকার রাত, কক্ষবিশিষ্ট আকাশ, উজ্জ্বল নক্ষত্র, বিক্ষুব্ধ
সমুদ্র, আলো ও অন্ধকার, রাত ও দিন, পুণ্য ও পাপ ; নিশ্চয় আকাশে ৎবাদ আছে ৷ যমীনে
আছে শিক্ষার উপকরণ ৷ পাতানাে বিছানা, উচু ছাদ, দীপ্ত নক্ষত্র, ঠাণ্ডা সমুদ্র ও পাল্লার ওজন ৷
কাসৃ আল্লাহর নামে সত্য কসম করে বলছে, যাতে মিথ্যার লেশ মাত্র নেই; সংসারে যদি সন্তুষ্টি
বলতে কিছু থেকে থাকে তা হলে অসন্তষ্টিও আছে নিশ্চয়ই ৷

অতঃপর তিনি বললেন, লোক সকল ৷ নিশ্চয় আল্লাহ্র দেয়া এমন একটি দীন আছে,
যা তার নিকট তোমাদের এই দীন, ধর্ম অপেক্ষা প্রিয় ৷ সেই দীন আগমন করার সময়
ঘনিয়ে এসেছে ৷

অতঃপর তিনি বলিলেন ব্যাপার কি, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ কেবল চলেই
যাচ্ছে ফিরে কেউ আসছে না ৷ ওরা কি ওখানে থেকে যাওয়ইি মেনে নিয়েছে, নাকি ঘুমিয়ে
পড়েছে ৷


وَصَغِيرٌ وَأَشْمَطٌ وَكَبِيرٌ كُلُّهُمْ فِي الصَّعِيدِ يَوْمًا مُزَارُ ... كَثِيرٌ مِمَّا يُقَصِّرُ عَنْهُ حَدْسُهُ الْخَاطِرُ الَّذِي لَا يَحَارُ ... فَالَّذِي قَدْ ذَكَرْتُ دَلَّ عَلَى اللَّ هِ نُفُوسًا لَهَا هُدًى وَاعْتِبَارُ قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَهْمَا نَسِيتُ فَلَسْتُ أَنْسَاهُ بِسُوقِ عُكَاظٍ، وَاقِفًا عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ يَخْطُبُ النَّاسَ: اجْتَمِعُوا فَاسْمَعُوا وَإِذَا سَمِعْتُمْ فَعُوا وَإِذَا وَعَيْتُمْ فَانْتَفِعُوا وَقُولُوا وَإِذَا قُلْتُمْ فَاصْدُقُوا. مَنْ عَاشَ مَاتَ وَمَنْ مَاتَ فَاتَ وَكُلُّ مَا هُوَ آتٍ آتٍ، مَطَرٌ وَنَبَاتٌ وَأَحْيَاءٌ وَأَمْوَاتٌ، لَيْلٌ دَاجٍ وَسَمَاءٌ ذَاتُ أَبْرَاجٍ، وَنُجُومٌ تَزْهَرُ، وَبِحَارُ تَزْخَرُ وَضَوْءٌ وَظَلَامٌ، وَلَيْلٌ وَأَيَّامٌ وَبِرٌّ وَآثَامٌ، إِنَّ فِي السَّمَاءِ خَبَرًا، وَإِنَّ فِي الْأَرْضِ عِبَرًا، يَحَارُ فِيهِنَّ الْبُصَرَا، مِهَادٌ مَوْضُوعٌ، وَسَقْفٌ مَرْفُوعٌ، وَنُجُومٌ تَغُورُ، وَبِحَارٌ لَا تَفُورُ، وَمَنَايَا دَوَانٍ، وَدَهْرٌ خَوَّانٌ كَحَدِّ النِّسْطَاسِ وَوَزْنِ الْقِسْطَاسِ، أَقْسَمَ قُسٌّ قَسَمًا لَا كَاذِبًا فِيهِ وَلَا آثِمًا لَئِنْ كَانَ فِي هَذَا الْأَمْرِ رِضًى لَيَكُونَنَّ سَخَطٌ. ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ لِلَّهِ دِينًا هُوَ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ دِينِكُمْ هَذَا الَّذِي أَنْتُمْ عَلَيْهِ. وَهَذَا زَمَانُهُ وَأَوَانُهُ، ثُمَّ قَالَ: مَا لِي أَرَى النَّاسَ يَذْهَبُونَ فَلَا يَرْجِعُونَ، أَرَضُوا بِالْمُقَامِ فَأَقَامُوا أَمْ تُرِكُوا فَنَامُوا؟ وَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَرْوِي شِعْرَهُ لَنَا؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي أَنَا شَاهِدٌ لَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ حَيْثُ يَقُولُ: فِي الذَّاهِبِينَ الْأَوَّلِينَ ... مِنَ الْقُرُونِ لَنَا بَصَائِرْ
পৃষ্ঠা - ১৪০১
ষ্ষ্


অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) উপস্থিত সাহাবীদের প্রতি মুখ করে বললেন, তোমাদের কে
আমাকে কড়াস:এর কবিতা বর্ণনা করতে পারবো আবু বকর (বা) বললেন, আমার
পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন, সেইদিন আমি ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলাম ৷ কড়াস্
তখন বলছিলেন :

পুএ

১এ ১ ভ্রুণ্এ ছুএএংএ এণ্এর্দুএণ্এএ — ট্ট;াষ্ট্র;ণ্ ’এড্রুন্১ ৷“দ্বু
,া<ষ্া৷ট্রু টুণ্াৰু;১া৷র্দুস্ মোঃ (দ্বু-ছু ং র্ত্যট্রুন্ব্লুছু ঠুর্দুঠু
,াব্লু ১া

— যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের মধ্যে আমাদের শিক্ষা গ্রহণের অনেক উপকরণ
আছে ৷ কারণ, আমি দেখতে পেয়েছি যে, একবার যে মৃত্যুযুখে পতিত হয় সেখান থেকে আর
সে ফিরে আসে না ৷ আর আমার সম্প্রদায়কেও দেখেছি যে, ছোট বড় নির্বিশেষে এক এক করে
তারাও চলে যাচ্ছে ৷ তাতে আমার বিশ্বাস জন্মেছে যে, অন্য দশজনের মত আমিও একদিন
চলে যাব ৷

বংনািক৷ রী বলেন অতংপর আব্দুল কা য়স সম্প্রদায়ের বড় ম ৷৷থাওয়ল ৷দীর্ঘকায় এক প্রবীণ
ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এসে বললেন, আমার বাবা-ম৷ আপনার জন্য উৎসর্পিত হোন !
আমি কাস্ এর একটি বিস্ময়কর ঘটনা দেখেছি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, কী দেখেছ হে বনু
আব্দুল কায়স-এর ভাই ? সে বলল, যৌবন কালে আমি বসস্তের চারণভুমি থেকে আমার এক
অবাধ উটের সন্ধানে তার পিছু পিছু ছুটছিলাম , যা র্কাটাগুল্ম ও ছোট ছোট টিলায় ও মনােরম
উদ্ভিদে পরিপুর্ণ ৷ সেখানে অসংখ্য উটপাখি ও সাদা বনগরু নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৷ ছুটতে
ছুটতে আমি একটি উচু ও সমতল ভুমিতে গিয়ে পৌছলাম ৷ সেখানে সবুজ-শ্যামল পিলু গাছের
ছড়াছড়ি ৷ সেগুলোর ডাল-পালা নুয়ে আছে ৷ সেগুলোর ফল যেন গোলমরিচ ৷ হঠাৎ সেখানে
আমি পানি পড়া অবস্থায় একটি ঝর্ণা ও একটি সবুজ বাগান দেখতে পেলাম ৷

হঠাৎ দেখতে পেলাম, কাস্ ইবনে সায়িদ৷ একটি গাছের নীচে বসে আছেন ৷ তার হাতে
একটি লাঠি ৷ আমি তার কাছে পেলাম এবং বললাম, আপনার কল্যাণ হোক ! তিনি বললেন,
আপনারও কল্যাণ হোক ! তার সাথে আরো একজন লোক ৷ পার্শে একটি কুয়া ৷ বিপুল সংখ্যক
হিংস্র জন্তু সেই কুয়৷ থেকে পানি পান করছে এবং চলে যাচ্ছে ৷ এগুলোর কোনটি যদি কুয়া
থেকে অন্যাটিকে ডিঙ্গিয়ে পানি পান করতে চাইল ৷ কাস্ তাকে এই বলে হাতের লাঠি দ্বারা
আঘাত করতেন যে, থাম , তোমার আগেরটি আগে পানি পান করে নিক, তুমি পরে পান
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ৫৬-


لَمَّا رَأَيْتُ مَوَارِدًا لِلْمَوْتِ لَيْسَ لَهَا مَصَادِرْ ... وَرَأَيْتُ قَوْمِي نَحْوَهَا يَمْضِي الْأَصَاغِرُ وَالْأَكَابِرْ ... لَا يَرْجِعُ الْمَاضِي إِلَيَّ وَلَا مِنَ الْبَاقِينَ غَابِرْ ... أَيْقَنْتُ أَنِّي لَا مَحَالَةَ حَيْثُ صَارَ الْقَوْمُ صَائِرْ قَالَ: فَقَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، شَيْخٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ عَظِيمُ الْهَامَةِ طَوِيلُ الْقَامَةِ بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ فَقَالَ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي، وَأَنَا رَأَيْتُ مِنْ قُسٍّ عَجَبًا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا الَّذِي رَأَيْتَ يَا أَخَا بَنِي عَبْدِ الْقَيْسِ؟ فَقَالَ: خَرَجْتُ فِي شَبِيبَتِي أَرْبَعُ بَعِيرًا لِي فَفَرَّ مِنِّي فَذَهَبْتُ أَقْفُو أَثَرَهُ فِي تَنَائِفَ قَفَافٍ ذَاتِ ضَغَابِيسَ وَعَرَصَاتِ جَثْجَاثٍ، بَيْنَ صُدُورِ جُذْعَانَ، وَغَمِيرِ حَوْذَانٍ، وَمَهَمَهٍ ظَلْمَانِ، وَرَصِيعِ أَيْهُقَانِ فَبَيْنَا أَنَا فِي تِلْكَ الْفَلَوَاتِ أَجُولُ بِسَبْسَبِهَا
পৃষ্ঠা - ১৪০২
وَأَرْنُقُ فَدْفَدَهَا، إِذَا أَنَا بِهَضَبَةٍ فِي نَشَزَاتِهَا أَرَاكٌ كَبَاثٌ مُخْضَوْضِلَةٌ، وَأَغْصَانُهَا مُتَهَدِّلَةٌ كَأَنَّ بَرِيرَهَا حَبُّ الْفُلْفُلِ، وَبَوَاسِقُ أُقْحُوَانٍ، وَإِذَا بِعَيْنٍ خَرَّارَةٍ، وَرَوْضَةٍ مُدْهَامَّةٍ، وَشَجَرَةٍ عَارِمَةٍ، وَإِذَا أَنَا بِقُسِّ بْنِ سَاعِدَةَ فِي أَصْلِ تِلْكَ الشَّجَرَةِ وَبِيَدِهِ قَضِيبٌ فَدَنَوْتُ مِنْهُ، وَقُلْتُ لَهُ: أَنْعِمْ صَبَاحًا فَقَالَ: وَأَنْتَ فَنَعِمَ صَبَاحُكَ، وَقَدْ وَرَدَتِ الْعَيْنَ سِبَاعٌ كَثِيرَةٌ فَكَانَ كُلَّمَا ذَهَبَ سَبْعٌ مِنْهَا يَشْرَبُ مِنَ الَعَيْنِ قَبْلَ صَاحِبِهِ ضَرَبَهُ قُسُّ بِالْقَضِيبِ الَّذِي بِيَدِهِ، وَقَالَ: اصْبِرْ حَتَّى يَشْرَبَ الَّذِي قَبْلَكَ فَذُعِرْتُ مِنْ ذَلِكَ ذُعْرًا شَدِيدًا، وَنَظَرَ إِلَيَّ فَقَالَ: لَا تَخَفْ، وَإِذَا بِقَبْرَيْنِ بَيْنَهُمَا مَسْجِدٌ فَقُلْتُ: مَا هَذَانِ الْقَبْرَانِ؟ قَالَ: قَبْرَا أَخَوَيْنِ كَانَا يَعْبُدَانِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بِهَذَا الْمَوْضِعِ فَأَنَا مُقِيمٌ بَيْنَ قَبْرَيْهِمَا أَعْبُدُ اللَّهَ حَتَّى أَلْحَقَ بِهِمَا فَقُلْتُ لَهُ: أَفَلَا تَلْحَقُ بِقَوْمِكَ فَتَكُونَ مَعَهُمْ فِي خَيْرِهِمْ، وَتُبَايِنَهُمْ عَلَى شَرِّهِمْ فَقَالَ لِي: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ أَوَمَا عَلِمْتَ أَنَّ وَلَدَ إِسْمَاعِيلَ تَرَكُوا دِينَ أَبِيهِمْ، وَاتَّبَعُوا الْأَضْدَادَ، وَعَظَّمُوا الْأَنْدَادَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْقَبْرَيْنِ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ خَلِيلَيَّ هُبَّا طَالَمَا قَدْ رَقَدْتُمَا ... أَجِدَّكَمَا لَا تَقْضِيَانِ كَرَاكُمَا
পৃষ্ঠা - ১৪০৩
ষ্ষ্


করবে ৷ এ দৃশ্য দেখে আমি অত্যন্ত ভীত হলাম ৷ আমার প্রতি তাকিয়ে তিনি বললেন, “তোমার
ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই ৷ হঠাৎ দুইটি কবর দেখতে পেলাম ৷ কবর দুইটির মাঝে একটি
মসজিদ ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এগুলো কাদের কবর? বললেন দুই ভাইয়ের ৷ এই জায়গায়
তারা আল্লাহর ইবাদত করত ৷ আমি ৩াদের সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত এখানে অবস্থান করে
আল্লাহর ইবাদাত করব ৷ ’আমি বললাম, কেন নিজ সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে তাদের সৎকর্মে
সহযোগিতা এবং অন্যায় কাজে বাধা দান করবেন না ? ৷তিনি বললেন তোমার মায়ের অকল্যাণ
হোক, তুমি কি জানাে না যে, ইসমাঈলীদের বংশধর তাদের পিত ৷র দীন ধর্ম পরিত্যাগ করে

অসংখ্য দেব-দেবীর পুজা শুরু করেছে? এই বলে তিনি কবর দু টোর কাছে গিয়ে কয়েকটি
পংক্তি আবৃত্তি করেন ?,

£ৰুহ্রাএহ্র ;,ারুএ্যা ১৷ (& ১ ৰু৷ ঢ়ও১১, ংাহ্রন্ ঘুা৷ষ্ ৷পু ’এ এান্

প্রে এেৰু
ঢ়হ্া ’ এঢ়ট্রুএ৷ ;:“; প্রু১ট্ট ৷ ৰুপ্এএ ঢ়:াছু ;এঢ়াঢ়ন্ ’শ্ ণ্ংএষ্ট্র পুংএৰুাং পু,ংন্
ণ্৷ ৷

৩ )

ঢ়ও ৷

৷ ৷

ঢ়ঠু<ঢ়৷ ;ৰ্বাএএট্রু৷ ৷ এ ঢ়হ্রট্রু,াও
ওগাে বন্ধুদ্বয় ! তোমাদের ল্ডিং৷ তো অনেক দীর্ঘ হলো ৷ মনে হচ্ছে, তোমাদের এই নিদ্রা
কখনো শেষ হবে না ৷ তোমাদের চামড়া ও হাডিদ্রর মাঝের নিদ্রা দেখে আমার মনে হচ্ছে,
খেজুর বীথিতে পানি সিঞ্চনকা রীই (ত তামাদেরও পিপাসা নিবারণ করেছেন ৷ দীর্ঘ নিদ্রার কারণে ৷ই
কি তোমরা কোনো আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিচ্ছ না ? তোমরা কি জান না যে নাজরানে
আমি একা ৷ তোমবা দুজন ব্যতীত আমার কে ন বন্ধু নেই ? ৫৩ ৷মাদের কবরের পাশ্বেই এখন
আমার অবস্থান ৷ এখান থেকে সরকার আমার ইচ্ছা নেই ৷ আমি কি জীবন ভরই তোমাদের জন্য
ক্রন্দন করব? কেউ যদি কারো জন্য উৎসর্ণিত হতে পারে, তা হলে আমি আমাকে তোমাদের

জন্য উৎসর্গ করছি ৷ আমার আত্মা যেন তোমাদের কবরে, তোমাদের কাছে চলেই গিয়েছে ৷
মৃত্যু যেন আমার অতি নিকটে ৷

বর্ণনাকারী বলেন শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন “আল্লাহ কাসৃকে রহম করুন ৷
কিয়ামতের দিন একাই সে একটি উম্ম৩ রুপে উথি ৩ হবে ৷


أَرَى النَّوْمَ بَيْنَ الْجِلْدِ وَالْعَظْمِ مِنْكُمَا كَأَنَّ الَّذِي يَسْقِي الْعُقَارَ سَقَاكُمَا ... أَمِنْ طُولِ نَوْمٍ لَا تُجِيبَانِ دَاعِيًا كَأَنَّ الَّذِي يَسْقِي الْعُقَارَ سَقَاكُمَا ... أَلَمْ تَعْلَمَا أَنِّي بِنَجْرَانَ مُفْرَدًا وَمَا لِيَ فِيهِ مِنْ حَبِيبٍ سِوَاكُمَا ... مُقِيمٌ عَلَى قَبْرَيْكُمَا لَسْتُ بَارِحًا إِيَابَ اللَّيَالِي أَوْ يُجِيبَ صَدَاكُمَا ... أَأَبْكِيكُمَا طُولَ الْحَيَاةِ وَمَا الَّذِي يَرُدُّ عَلَى ذِي لَوْعَةٍ أَنْ بَكَاكُمَا ... فُلَوْ جُعِلَتْ نَفْسٌ لِنَفْسِ امْرِئٍ فِدًى لَجُدْتُ بِنَفْسِي أَنْ تَكُونَ فِدَاكُمَا ... كَأَنَّكُمَا وَالْمَوْتُ أَقْرَبُ غَايَةٍ بِرُوحِيَ فِي قَبْرَيْكُمَا قَدْ أَتَاكُمَا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ قُسًّا أَمَا إِنَّهُ سَيُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُمَّةً وَاحِدَةً» . وَهَذَا الْحَدِيثُ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَهُوَ مُرْسَلٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْحَسَنُ سَمِعَهُ مِنَ الْجَارُودِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَالْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الْقُرَشِيِّ الْأَخْبَارِيِّ ثَنَا أَبِي ثَنَا عَلِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَدِمَ الْجَارُودُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ
পৃষ্ঠা - ১৪০৪
ষ্ষ্


বর্ণনাঢি একান্তই গবীব পর্যায়ের এবং এটি মুবসালও বটে , যদি না হাসান তা স্বয়ং জারুদ
থেকে শুনে থাকেন ৷ রায়হড়াকী এবং ইবনে অড়াসাকিরও ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
তাতে এও আছে যে, যে লোকটির উট হারিয়ে গিয়েছিল, উটটি খুজতে খুজতে এক বিপদ
ৎকুল উপত্যকায় তার রাত হয়ে যায় ৷ রাত গভীর হলো , চতুর্দিক গাঢ় অন্ধকারে হেরে গেল ৷
লোকটি বলেন, ঠিক এমন সময় আমি শুনতে পেলাম, কে যেন বলছে ং

ণ্ঢু১া৷ এা১ধ্এা৷;ওঠু;প্ ণ্ন্ঞ্জোছুএ্যা এএ-ইহ্নিগ্যেশ্ণ্ডি

ম্পেৰুাএ ক্লে১£এ৷ ;ন্ণুন্১৷ দ্বু১ ণ্ঠুওদ্বুা, দুর্চুপ্ক্কু৷ ট্া১ ষ্ক১ন্ব্লু ৷র্দুণ্ ট্রু,ন্ব্লু
“ ওহে আ ধাব রাতে ঘুমম্ভ ব্যক্তি পবিত্র মক্কায় আল্লাহ মহা ড়ান হাশেমী বংশ থেকে
একজন নবী প্রেরণ করেছেন, র্ষার উসিলায় দুর ন্হ;£৷ থ্যাচ্ছ সব বিকট অন্ধকার ৷”
লোকটি বলেন, শব্দ শুনে চোখ তুলে তাকিয়ে আমি কিছুই দেখতে পেলাম না এবং আর
কোন সাড়া-শব্দও পেলাম না ৷ ফলে আমি নিজেই আবৃত্তি করতে শুরু করলাম :
ণ্পু ! এ্;৬ ;ৰু;ণ্ ট্রুাব্লু ৰুাণ্ঙ্কুট্রু ৰুগু ৷ — ণ্াপু এ্ ৷ ১ ৷৷ , ন্ব্র এ্ন্ ৷ছু;পু ৷ ৷ছু,পু৷ ;

০ ষ্


“ওহে সেই ব্যক্তি, যে ঘোর জধোয়ে কথা বলছ তোমায় স্বাগতম ৷ আল্লাহ তোমাকে
হিদায়াত দিন ৷ তুমি পরিষ্কার করে বল যার প্রতি তুমি আহ্বান করছ ৷ তা’ জানালে সাদরে
গৃহীত হবে ৷

লোকটি বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি শুনতে পেলাম, কে যেন বলছে, আলো উদ্ভাসিত
হয়েছে, মিথ্যার অবসান ঘটেছে, আল্লাহ মুহাম্মদকে প্রজ্ঞা সহ প্রেরণ করেছেন; যিনি অত্যন্ত
বিচক্ষণ বুদ্ধিমান, মুকুট ও শিরস্ত্রাণধারী, উজ্জ্বল মুখমণ্ডল , সুদর্শন ভ্রাযুগল ও আয়ত নেত্রের
অধিকারী, লা-ইলাহা ইল্লাহল্লাহ যার সাক্ষ্য ৷ তিনি হলেন মুহাম্মদ, সাদা-কালাে , শহর প্ৰতাম্ভ
এলাকার সকলের নিকট যীকে প্রেরণ করা হয়েছে ৷

অতঃপর সে কবিতা আবৃত্তি করল ং
ওও;৷ ৷

এ১১


أَوْ نَحْوَهُ مُطَوَّلًا بِزِيَادَاتٍ كَثِيرَةٍ فِي نَظْمِهِ وَنَثْرِهِ، وَفِيهِ مَا ذَكَرَهُ عَنِ الَّذِي ضَلَّ بِعِيرُهُ فَذَهَبَ فِي طَلَبِهِ قَالَ: فَبِتُّ فِي وَادٍ لَا آمَنُ فِيهِ حَتْفِي وَلَا أَرْكَنُ إِلَى غَيْرِ سَيْفِي فَبِتُّ أَرْقُبُ الْكَوْكَبَ، وَأَرْمُقُ الْغَيْهَبَ حَتَّى إِذَا اللَّيْلُ عَسْعَسَ، وَكَادَ الصُّبْحُ أَنْ يَتَنَفَّسَ هَتَفَ بِيَ هَاتِفٌ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا الرَّاقِدُ فِي اللَّيْلِ الْأَجَمْ ... قَدْ بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا فِي الْحَرَمْ مِنْ هَاشِمٍ أَهْلِ الْوَفَاءِ وَالْكَرَمْ ... يَجْلُو دُجُنَّاتِ الدَّيَاجِي وَالْبُهَمْ قَالَ: فَأَدَرْتُ طَرْفِي فَمَا رَأَيْتُ لَهُ شَخْصًا وَلَا سَمِعْتُ لَهُ فَحْصًا، قَالَ: فَأَنْشَأْتُ أَقُولُ: يا أَيُّهَا الْهَاتِفُ فِي دَاجِي الظُّلَمْ ... أَهْلًا وَسَهْلًا بِكَ مِنْ طَيْفٍ أَلَمْ بَيِّنْ هَدَاكَ اللَّهُ فِي لَحْنِ الْكَلِمْ ... مَاذَا الَّذِي تَدْعُو إِلَيْهِ يُغْتَنَمْ قَالَ: فَإِذَا أَنَا بِنَحْنَحَةٍ، وَقَائِلٍ يَقُولُ: ظَهَرَ النُّورُ وَبَطَلَ الزُّورُ، وَبَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا بِالْحُبُورِ صَاحِبَ النَّجِيبِ الْأَحْمَرِ وَالتَّاجِ وَالْمِغْفَرِ وَالْوَجْهِ الْأَزْهَرِ وَالْحَاجِبِ الْأَقْمَرِ وَالطَّرْفِ الْأَحْوَرِ، صَاحِبَ قَوْلِ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ،
পৃষ্ঠা - ১৪০৫
وَذَلِكَ مُحَمَّدٌ الْمَبْعُوثُ إِلَى الْأَسْوَدِ وَالْأَبْيَضِ، أَهْلِ الْمَدَرِ وَالْوَبَرِ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي ... لَمْ يَخْلُقِ الْخَلْقَ عَبَثْ لَمْ يُخْلِنَا يَوْمًا سُدًى ... مِنْ بَعْدِ عِيسى وَاكْتَرَثْ أَرْسَلَ فِينَا أَحْمَدًا ... خَيْرَ نَبِيٍّ قَدْ بُعِثْ صَلَّى عَلَيهِ اللَّهُ مَا ... حَجَّ لَهُ رَكْبٌ، وَحَثَّ وَفِيهِ مِنْ إِنْشَاءِ قُسِّ بْنِ سَاعِدَةَ: يَا نَاعِيَ الْمَوْتِ وَالْمَلْحُودُ فِي جَدَثٍ ... عَلَيْهِمُ مِنْ بَقَايَا قَوْلِهِمْ خِرَقُ دَعْهُمْ فَإِنَّ لَهُمْ يَوْمًا يُصَاحُ بِهِمْ ... فَهُمْ إِذَا انْتَبَهُوا مِنْ نَوْمِهِمْ أَرِقُوا حَتَّى يَعُودُوا بِحَالٍ غَيْرِ حَالِهِمُ ... خَلْقًا جَدِيدًا كَمَا مِنْ قَبْلِهِ خُلِقُوا مِنْهُمْ عُرَاةٌ وَمِنْهُمْ فِي ثِيَابِهِمُ ... مِنْهَا الْجَدِيدُ وَمِنْهَا الْمُنْهَجُ الْخَلَقُ ثُمَّ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْ أَبِي مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ أَحْمَدَ الْأَصْبَهَانِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ فَرْضَخٍ الْإِخْمِيمِيُّ بِمَكَّةَ ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَهْدِيٍّ ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَهْدِيٍّ ثَنَا أَبُو عُبَيْدِ اللَّهِ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ১৪০৬
ষ্ষ্


সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ্র, যিনি বিশ্বজপত অযথা সৃষ্টি করেননি ৷ যিনি ঈসা (আ)-এর
পরে এক দিনের জন্যও আমাদেরকে এমনি ছেড়ে দেননি ৷ আমাদের মাঝে তিনি আহমাদকে
প্রেরণ করেছেন, যিনি সকলের সেরা নবী ৷ আল্লাহ তার প্রতি রহমত বর্ষণ করুক, যতদিন পর্যন্ত
লোকজন তার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং অনুপ্রেরণা লাভ করবে ৷

এ প্রসঙ্গে কাস ইবনে সায়িদা নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেন





০ :


--হে মৃত্যুর ঘোষণাকারী ! সমাধিস্থ বাক্তি তাে সমাধিতে বিদ্যমান ৷ তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত
অবশিষ্ট কথাগুলো সব মিথ্যা ৷

তাদের কথা ছেড়ে দাও ৷ কারণ, একদিন তাদের জাগ্রত হওয়ার জন্য আহ্বান করা হবে ৷
তখন তারা তাদের ঢিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে তাদের ঘুম উড়ে যাবে ৷

তখন তারা অন্য অবস্থায় ফিরে যাবে ৷ য়েমনিভাবে তাদের পুর্বে সৃষ্টি করা হয়েছিল,
তেমনিভাবে তাদেরকে নতুন করে সৃষ্টি করা হবে ৷

তাদের কেউ হবে বিবস্ত্র ৷ কেউ থাকবে বস্ত্রাবৃত ৷ কিছু বস্ত্র হয়ে নতুন আর কিছু হবে
পুরাতন ও জীর্ণ ৷

বায্হড়াকী ইবনে আব্বাস (রা) সুত্রে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন এবং তাতে উক্ত পংক্তির
কথাও উল্লেখ করেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা তার শিয়রে একটি লিপি পেয়েছিল ৷
তাতে ঈষৎ শাব্দিক পরিবর্ত্যাসহ উক্ত পংক্তিগুলোই লিখিত ছিল ৷

শুনে রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, সেই সত্তার শপথ, যিনি আমাকে সতাসহ প্রেরণ করেছেন,
কাস অবশ্যই পুনরুথানে বিশ্বাসী ছিলেন ৷ বর্ণনার মুল বক্তব্য প্রসিদ্ধ ৷ তবে সনদগুলো দুর্বল
হলেও মুল ঘটনা প্ৰমাণে সহায়ক ৷

বায়হড়াকী (র) বর্ণনা করেন যে, হযরত আনাস ইবন মালিক (বা) বলেন, ইয়াদের একটি
প্রতিনিধিদল নবী কারীম (না)-এর নিকট আগমন করলে রাসুলুল্লাহ (না) জিজ্ঞাসা করলেন,
কাস ইবনে সায়িদড়ার খবর কী ? তারা বলল, সে তো মারা গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বললেন,
তার মুখ নিঃসৃত কয়েকটি কথা শুনেছিলড়াম, না এ মুহুর্তে আমি মনে করতে পারছি না ৷ শুনে


الْمَخْزُومِيُّ ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، وَذَكَرَ الْإِنْشَادَ قَالَ: فَوَجَدُوا عِنْدَ رَأْسِهِ صَحِيفَةً فِيهَا يَا نَاعِيَ الْمَوْتِ وَالْأَمْوَاتُ فِي جَدَثٍ ... عَلَيْهِمُ مِنْ بَقَايَا نَوْمِهِمْ خِرَقُ دَعْهُمْ فَإِنَّ لَهُمْ يَوْمًا يُصَاحُ بِهِمْ ... كَمَا يُنَبَّهُ مِنْ نَوْمَاتِهِ الصَّعِقُ مِنْهُمْ عُرَاةٌ وَمَوْتَى فِي ثِيَابِهِمُ ... مِنْهَا الْجَدِيدُ وَمِنْهَا الْأَزْرَقُ الْخَلَقُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ، لَقَدْ آمَنَ قُسٌّ بِالْبَعْثِ» وَأَصْلُهُ مَشْهُورٌ، وَهَذِهِ الطُّرُقُ عَلَى ضَعْفِهَا كَالْمُتَعَاضِدَةِ عَلَى إِثْبَاتِ أَصْلِ الْقِصَّةِ وَقَدْ تَكَلَّمَ أَبُو مُحَمَّدِ ابْنُ دَرَسْتَوَيْهِ عَلَى غَرِيبِ مَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو سَعْدِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ الشُّعَيْثِيُّ ثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ أَبِي طَاهِرٍ الْمُحَمَّدُآبَاذِيُّ لَفْظًا، ثَنَا أَبُو لُبَابَةَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمَهْدِيِّ الْإَبْيَوَرْدِيُّ ثَنَا أَبِي ثَنَا سَعِيدُ بْنُ هُبَيْرَةَ ثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ
পৃষ্ঠা - ১৪০৭
ষ্ষ্


উপস্থিত এক ব্যক্তি বলে উঠল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মনে আছে ৷ নবী করীম (সা) বললেন,
তা হলে তা’ শুনাও তো! লােকটি বলল, আমি উকাজের বাজারে দাড়িয়ে আছি ৷ এমন সময়ে
কাস ইবন সায়িদা বলল, ওহে লোক সকল ৷ কান পেতে শোন ও মনে রাখ , যে জীবন লাভ
করে, সে অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে ৷ আর যে মৃত্যুবরণ করেছে, সে শেষ হয়ে গেছে ৷ যা কিছু
আমবড়ার, তা এসে গেছে ৷ আধার রাত ৷ কক্ষ বিধিষ্টি আকাশ ৷ উজ্জ্বল নক্ষত্র ৷ বিক্ষুব্ধ সমুদ্র ৰু
সুদৃঢ় পর্বত ৷ প্রবহমান নদী ৷ নিশ্চয় আকাশে খবর আছে ৷ পৃথিবীতে আছে শিক্ষা গ্রহণের
উপকরণ ৷ আমি দেখছি যে, মানুষ মরে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে না ৷ তাহলে কি মানুষ

ওখানেই থেকে যাওয়া মেনে নিয়েছে, নাকি সব ত্যাগ করে ঘুমিয়ে পড়েছে? কাস্ আল্লাহর
শপথ করে বলছে, সত্য শপথ, নিশ্চয় আল্লাহর একটি দীন আছে যা তোমাদের রীতিনীতির
চেয়ে বহু উত্তম ৷ অতঃপর সে কবিতা আবৃত্তি করল ;;

ধ্;এ,
বিগত লেকাদের মধ্যে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছেঃ আমাকে একদিন চলে
যেতে হবে ৷


أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ «قَدِمَ وَفْدُ إِيَادٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا فَعَلَ قُسُّ بْنُ سَاعِدَةَ؟ قَالُوا: هَلَكَ. قَالَ: أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ مِنْهُ كَلَامًا أَرَى أَنِّي أَحْفَظُهُ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: نَحْنُ نَحْفَظُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: هَاتُوا فَقَالَ قَائِلُهُمْ: إِنِّي وَاقِفٌ بِسُوقِ عُكَاظٍ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اسْتَمِعُوا وَاسْمَعُوا وَعُوا، كُلُّ مَنْ عَاشَ مَاتَ، وَكُلُّ مَنْ مَاتَ فَاتَ، وَكُلُّ مَا هُوَ آتٍ آتٍ، لَيْلٌ دَاجٍ، وَسَمَاءٌ ذَاتُ أَبْرَاجٍ، وَنُجُومٌ تَزْهَرُ، وَبِحَارٌ تَزْخَرُ، وَجِبَالٌ مَرْسِيَّةٌ، وَأَنْهَارٌ مَجْرِيَّةٌ، إِنَّ فِي السَّمَاءِ لَخَبَرًا، وَإِنَّ فِي الْأَرْضِ لَعِبَرًا أَرَى النَّاسَ يَمُوتُونَ وَلَا يَرْجِعُونَ أَرَضُوا بِالْإِقَامَةِ فَأَقَامُوا أَمْ تُرِكُوا فَنَامُوا. أَقْسَمَ قُسٌّ قَسَمًا بِاللَّهِ لَا إِثْمَ فِيهِ إِنَّ لِلَّهِ دِينًا هُوَ أَرْضَى مِمَّا أَنْتُمْ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: فِي الذَّاهِبِينَ الْأَوَّلِي ... نَ مِنَ الْقُرُونِ لَنَا بَصَائِرْ لَمَّا رَأَيْتُ مَوَارِدًا ... لِلْمَوْتِ لَيْسَ لَهَا مَصَادِرْ وَرأَيْتُ قَوْمِي نَحْوَهَا ... يَسْعَى الْأَصَاغِرُ وَالْأَكَابِرْ أَيْقَنْتُ أَنِّي لَا مَحَالَةَ ... حَيْثُ صَارَ الْقَوْمُ صَائِرْ » ثُمَّ سَاقَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طُرُقٍ أُخَرَ قَدْ نَبَّهْنَا عَلَيْهَا فِيمَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ: وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الْكَلْبِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِزِيَادَةٍ، وَنُقْصَانٍ. وَرُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ مُنْقَطِعًا، وَرُوِيَ مُخْتَصَرًا مِنْ حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ قُلْتُ: وَعُبَادَةَ
পৃষ্ঠা - ১৪০৮
بْنِ الصَّامِتِ - كَمَا تَقَدَّمَ - وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ كَمَا رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ فِي كِتَابِ الدَّلَائِلِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ الْوَاسِطِيِّ عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ طَرِيفِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ مَوْلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالْمَوْصِلِ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيِّ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ فَذَكَرَهُ، وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ أَيْضًا حَدِيثَ عُبَادَةَ الْمُتَقَدِّمَ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَاصٍّ، ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَإِذَا رُوِىَ الْحَدِيثُ مَنْ أَوْجُهٍ أُخَرَ، وَإِنْ كَانَ بَعْضُهَا ضَعِيفًا دَلَّ عَلَى أَنَّ لِلْحَدِيثِ أَصْلًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৪০৯
ষ্ষ্

যায়দ ইবনে আমর ইবন নুফায়ল (রা)

পুর্ণ পরিচয় যায়দ ইবন আমর ইবনে নুফায়ল ইবন আব্দুল উয্যা ইবনে বিবাহ ইবনে কারয
ইবনে রিযাহ্ ইবন আদী ইবন কাব ইবনে লুওয়াই আল-কুরশী আল আদাবী ৷ উমর
(রা) এর পিতা খাত্তা ব ছিলত তার চাচা ও বৈপেত্রিয় ভাই ৷ কারণ পিতার মৃত্যুর পর আমর ইবনে
নুফায়ল তার বিমাতাকে বিবাহ করেছিলেন ৷৩ তারই গর্ভে ইতিপুর্বে পিতা নুফায়লের ঔরসে তার
ভাই খাত্তাবের জন্ম হয়েছিল ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এরুপ বলেছেন :

যায়দ ইবনে আমর শুরু জীবনেই মুর্তিপুজা ত্যাগ ও পৌত্তলিক ধম বন্লাগ করেছিলেন ৷ এক
আল্লাহ্র নাম নিয়ে যবাহ করা পশু ব্যতীত কোনো পশু তিনি যেতেন না ৷ আসৃমা বিনতে আবু
বকর বলেন, আমি একদিন যায়দ ইবনে আমরকে কাবার দেয়ালে হেলান দিয়ে বলা অবস্থায়
বলতে শুনেছি যে, হে করা ৷ইশ গো ত্র যার হাতে যা য়েদের জীবন, আমি তার শপথ করে বলছি
বর্তমানে আমি ব্যতীত তোমাদের আর কেউ ইবরাহীমের দীনের উপর বহাল নেই ৷ অতঃপর
তিনি বলেন, হে আল্লাহ ৷ তোমাকে পাওয়ার এর চেয়ে উত্তম পন্থা আছে বলে যদি আমি
জানতাম, তবে তা-ই করতাম ৷ কিত্তু অন্য কোনো পন্থা আমার জানা নেই ৷ এরুপ বলে
তিনি বাহনের উপরই সিজদড়ায় চলে যেতেন ৷ অন্য বর্ণনায় আছে যে, তিনি কাবার দিকে মুখ
করে নামায পড়তেন এবং বলতেন, ইবরাহীমের যিনি ইলাহ, তিনিই আমার ইলাহ ৷
ইবরাহীমের দীন যা আমার দীনও ত-৷ ই ৷ জীবন্ত কবর দেয়৷ মেয়েদের তিনি তাদের জীবন
বাচাতেন ৷ কেউ নিজের কন্যা সন্তানকে হত্যা করতে ৩চাইলে তিনি বলতেন, খুন না করে একে
তুমি আমার কাছে দিয়ে দাও ৷ আমি একে লালন-পালন করব ৷ বড় হলে ইচ্ছা করলে তুমি একে
নিয়েও নিতে পারবে আবার আমার কাছেই রেখেও দিতে পারবে ৷ নাসাঈ এ বর্ণনা উদ্ধৃত
করেছেন ৷

লাইছ হিশাম ইবনে উরওয়৷ সুত্রে এবং ইউনুস ইবনে বুকায়র মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, কুরাইশের তাওহীদবাদী বেশ কয়েকজন ছিলেনত ৷র৷ হচ্ছেন৪ যায়দ ইবনে
আমর ইবন নুফায়ল, ওয়ারাকা ইবনে নওফল ইবনে আসাদ ইবনে আব্দুল ওয্য়৷ ,উছমান ইবন
হুয়ায়রিছ ইবনে আসাদ ইবন আব্দুল ওযয়৷ ও আব্দুল্লাহ ইবন জাহ শ,আব্দুল মুত্তালিবের কন্যা
উমাইয়৷ ছিলেন তার মা ৷ উম্মুল মুমিনীন যয়নাব বিনতে জাহ্শ হলেন তার বোন ৷

একদা মক্কার কুরাইশ বা তাদের একটি প্ৰতিমার নিকট সমবেত হয় ৷ যে কোন উৎসবে
তারা ঐ প্রতিমার কাছে পংং বলি দিত ৷ এক পর্য যে তাদের কেউ কেউ বলাবলি করতে শুরু
করে যে, তোমরা পরস্পর সত্য কথা বলবে ৷ মনের কথা গোপন রাখবে না ৷ একজন বলল,

তোমরা তো অবশ্যই জা ন যে, ৫তামায়ুছুপ্রপুেস্রাট্রুছুণ্ডেসৃফ্লু০ি ণুড্রু)খৃশ্বানেই ৷ সরল সঠিক দীনে ইব্রাহীম

[زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ هُوَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ رِيَاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطِ بْنِ رَزَاحِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَدَوِيُّ وَكَانَ الْخَطَّابُ - وَالِدُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - عَمَّهُ وَأَخَاهُ لِأُمِّهِ، وَذَلِكَ لِأَنَّ عَمْرَو بْنَ نُفَيْلٍ كَانَ قَدْ خَلَفَ عَلَى امْرَأَةِ أَبِيهِ بَعْدَ أَبِيهِ وَكَانَ لَهَا مِنْ نُفَيْلٍ أَخُوهُ الْخَطَّابُ قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ ومُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ زَيْدُ بْنُ عَمْرٍو قَدْ تَرَكَ عِبَادَةَ الْأَوْثَانِ، وَفَارَقَ دِينَهُمْ وَكَانَ لَا يَأْكُلُ إِلَّا مَا ذُبِحَ عَلَى اسْمِ اللَّهِ وَحْدَهُ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ مُسْنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ وَالَّذِي نَفْسُ زَيْدٍ بِيَدِهِ مَا أَصْبَحَ أَحَدٌ مِنْكُمْ عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ غَيْرِي، ثُمَّ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَوْ أَعْلَمُ أَحَبَّ الْوُجُوهِ إِلَيْكَ عَبَدْتُكَ بِهِ، وَلَكِنِّي لَا أَعْلَمُ، ثُمَّ يَسْجُدُ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَكَذَا رَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ بِهِ، وَزَادَ وَكَانَ يُصَلِّي إِلَى الْكَعْبَةِ، وَيَقُولُ: إِلَهِي إِلَهُ إِبْرَاهِيمَ، وَدِينِي دِينُ إِبْرَاهِيمَ،
পৃষ্ঠা - ১৪১০
ষ্ষ্


ভুলে গিয়ে এখন তারা প্রতিমা পুজা করছে ৷ মুর্তিপুজড়া করার কী যুক্তি আছে? ওরা তো কারো
উপকার অপকার কিছুই করতে পারে না ৷ অতএব, তে ৷মরা সঠিক পথের সন্ধান কর ৷ ফলে

তারা সঠিক পথের সন্ধানে বের হলো ৷ ইহুদী, নাসারা এবং অন,া৷ন্য ধর্মের পণ্ডিতদের শরণাপন্ন
হলো ৷ সেকালে ইব্রড়াহীমী দীন হানীফিয়া ৷ ওয়ারাকা ইবন নওফল মনে-প্রড়াণে খৃষ্টান হয়ে যান
এবং প্রধান খৃষ্টানদের নিকট থেকে ধম্বীয়ি গ্রন্থ সধ্প্রহ করে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেন ৷

এদের মধ্যে যিনি হানীফিয়তের নীতিতে অটল থাকলেন, তিনি হলেন যায়দ ইবন আমর
ইবন নুফা য়ল ৷ প্রতিমা পুজা ইহুদী ও খৃষ্টা ন ধর্ম সবকিছু হতে তিনি নিজেকে মুক্ত রেখে দীনে
ইবরাহীমের উপর অটল থাকেন এবং আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করলেন ৷ নিজ সম্প্রদায়ের যবাই
ৰুকরা পশুও তিনি আহার করতেন না ৷ এ কারণে সমাজের মানুষ তাকে একঘরে করে
ব্লেখেছিল ৷

বর্ণনাকারী বলেন, খাত্তাব যায়দ ইবন আসর-এর ইটুন্পর সীমাহীন নির্যাতন চালায় ৷
খাত্তাবের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে তিনি লেড়াকালয় ত্যাগ করে মক্কার উচু অঞ্চলের
দিকে চলে যান ৷ খড়াত্তাব এলাকার বখাংট যুবকদেরকেত তার পেছনে লেলিয়ে দেয় এবং বলে
দেয়, ও যেন এলাকায় আর ঢুকতে না পারে ৷ ফলে তিনি একান্ত গোপনে ব্যতীত এলাকায়
ঢুকতেন না ৷ একদিন অতি গেড়াপনে এলাকায় প্রবেশ করলে লোকেরা টের পেয়ে যায় এবং
পাছে এলাকার লোকদের উপর কোন প্রভাব ফেলে বসে এই ভয়ে নির্যাতন করে তাকে এলাকা
থেকে বের করে দয় ৷

মুসা ইবন উকবা বলেন, আমি বিশ্বস্ত সুত্রে শুনেছি যে, যায়দ ইবন আমর নুফড়ায়ল
কুরাইশদের যবাই করা পশুর সমালোচনা করে বলতেন, বকরী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং
তিনিই এদের জন্য আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং মাটি থেকে তার খাদ্যের ব্যবস্থা
করেছেন ৷ তোমরা এদেরকে কেন যবাই করো?

ইউনুস (র) ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, দীনে ইবরাহীমের সন্ধানে যায়দ ইবন
আমর ইবন নুফায়ল একদিন মক্কা থেকে বেরােতে মনস্থ করেন ৷ তার শ্রী আফিয়্যা বিনতে
হাযরামীর অভ্যাস ছিল যে তার স্বামী যায়দ কোথাও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে সে খাত্তার
ইবন নুফায়লকে৩ তা বলে দিত ৷ যায়দ সিরিয়া গিয়ে আহ্লে কিতড়াবদের মধ্যে দীনে ইবরাহীম
সন্ধান করতে শুরু করলেন ৷ সুসেল জাযীরা সব চষে ফিরে এবার সিরিয়ার বালকা নামক
স্থানের একটি পীর্জার এমন এক যাজকের কাছে আসলেন, যিনি খৃষ্টীয় মতবাদে শীর্ষস্থানীয়
পণ্ডিতরুপে প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ যায়দ তাকে দীনে ইবরাহীম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি
বললেন, তুমি এমন একটি দীন সম্পর্কে জানতে চেয়েছ, যার সন্ধান দেওয়ার মত ৩কাউকে তুমি
পাবে না ৷ যারা এর সন্ধান দিতে পারত, তারা সকলেই এ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন ৷ তার
একজন নবীর আগমনে আসন্ন ৷ এটাই তার যুগ ৷ ইতিমধ্যেই যায়দ ইহুদী এবং খৃষ্ট ধর্মকে
যাচাই করে অপছন্দ করেছিলেন ৷ পাদ্রীর এসব কথা শুনে তিনি দ্রুত সেখানে থেকে বের হয়ে
মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ড়ানা হন ৷ লাখৃমীদের এলাকায় পৌছার পর দুর্বৃত্তরা তার উপর চড়াও হয়
এবং তাকে হত্যা করে ৷


وَكَانَ يُحْيِي الْمَوْءُودَةَ، وَيَقُولُ لِلرَّجُلِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقْتُلَ ابْنَتَهُ: لَا تَقْتُلْهَا ادْفَعْهَا إِلَيَّ أَكْفُلْهَا فَإِذَا تَرَعْرَعَتْ قَالَ: إِنْ شِئْتَ فَخُذْهَا، وَإِنْ شِئْتَ فَادْفَعْهَا أَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أُسَامَةَ، وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فَقَالَ: وَقَالَ اللَّيْثُ: كَتَبَ إِلَىَّ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ; زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَوَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَعُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشِ بْنِ رِئَابِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ صَبِرَةَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَبِيرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَأُمُّهُ أُمَيْمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَأُخْتُهُ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ - الَّتِي تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مَوْلَاهُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ - حَضَرُوا قُرَيْشًا عِنْدَ، وَثَنٍ لَهُمْ كَانُوا يَذْبَحُونَ عِنْدَهُ لِعِيدٍ مِنْ أَعْيَادِهِمْ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا خَلَا بَعْضُ أُولَئِكَ النَّفَرِ إِلَى بَعْضٍ، وَقَالُوا: تَصَادَقُوا، وَلْيَكْتُمْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ فَقَالَ قَائِلُهُمْ: تَعْلَمُنَّ وَاللَّهِ مَا قَوْمُكُمْ عَلَى شَيْءٍ، لَقَدْ أَخْطَئُوا دِينَ إِبْرَاهِيمَ وَخَالَفُوهُ مَا وَثَنٌ يُعْبَدُ لَا يَضُرُّ وَلَا يَنْفَعُ؟! فَابْتَغُوا لِأَنْفُسِكُمْ. فَخَرَجُوا يَطْلُبُونَ، وَيَسِيرُونَ فِي الْأَرْضِ يَلْتَمِسُونَ أَهْلَ كِتَابٍ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمِلَلِ كُلِّهَا،
পৃষ্ঠা - ১৪১১
يَسْأَلُونَهُمُ الْحَنِيفِيَّةَ دِينَ إِبْرَاهِيمَ. فَأَمَّا وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ فَتَنَصَّرَ، وَاسْتَحْكَمَ فِي النَّصْرَانِيَّةِ، وَابْتَغَى الْكُتُبَ مِنْ أَهْلِهَا حَتَّى عَلِمَ عِلْمًا كَثِيرًا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَمْ يَكُنْ فِيهِمْ أَعْدَلُ أَمْرًا، وَأَعْدَلُ شَأْنًا مِنْ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ اعْتَزَلَ الْأَوْثَانَ، وَفَارَقَ الْأَدْيَانَ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمِلَلِ كُلِّهَا، إِلَّا دِينَ الْحَنِيفِيَّةِ دِينَ إِبْرَاهِيمَ يُوَحِّدُ اللَّهَ، وَيَخْلَعُ مَنْ دُونَهُ وَلَا يَأْكُلُ ذَبَائِحَ قَوْمِهِ بَادَاهُمْ بِالْفِرَاقِ لِمَا هُمْ فِيهِ. قَالَ: وَكَانَ الْخَطَّابُ قَدْ آذَاهُ أَذًى كَثِيرًا حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ إِلَى أَعْلَى مَكَّةَ، وَوَكَّلَ بِهِ الْخَطَّابُ شَبَابًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَسُفَهَاءَ مِنْ سُفَهَائِهِمْ فَقَالَ: لَا تَتْرُكُوهُ يَدْخُلُ مَكَّةَ فَكَانَ لَا يَدْخُلُهَا إِلَّا سِرًّا مِنْهُمْ فَإِذَا عَلِمُوا بِهِ أَخْرَجُوهُ، وَآذَوْهُ كَرَاهِيَةَ أَنْ يُفْسِدَ عَلَيْهِمْ دِينَهُمْ أَوْ يُتَابِعَهُ أَحَدٌ إِلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ سَمِعْتُ مَنْ أَرْضَى يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ كَانَ يَعِيبُ عَلَى قُرَيْشٍ ذَبَائِحَهُمْ، وَيَقُولُ: الشَّاةُ خَلَقَهَا اللَّهُ، وَأَنْزَلَ لَهَا مِنَ الَسَّمَاءِ مَاءً، وَأَنْبَتَ لَهَا مِنَ الَأَرْضِ لِمَ تَذْبَحُوهَا عَلَى غَيْرِ اسْمِ اللَّهِ؟ إِنْكَارًا لِذَلِكَ وَإِعْظَامًا لَهُ. وَقَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ كَانَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ قَدْ عَزَمَ عَلَى الْخُرُوجِ مِنْ مَكَّةَ يَضْرِبُ فِي الْأَرْضِ يَطْلُبُ الْحَنِيفِيَّةَ دِينَ إِبْرَاهِيمَ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ الْحَضْرَمِيِّ كُلَّمَا أَبْصَرَتْهُ قَدْ نَهَضَ لِلْخُرُوجِ، وَأَرَادَهُ آذَنَتِ الْخَطَّابَ بْنَ نُفَيْلٍ فَخَرَجَ زَيْدٌ إِلَى الشَّامِ
পৃষ্ঠা - ১৪১২
ষ্ষ্

ওয়ারাকা ইবন নওফল তার গোকপড়াথায় বলেছিলেন :
া ৰুাটু১ প্লুাট্রু৷ ৷ ট্রু,,ষ্ ৷ৰুটুত্তু: র্দু; ’ ’াট্রুণ্ট্রু১া’এ হু ,ট্ন্ছু ৰু;র্মুঠু র্পে৷ ৰু;;ছুঠুট্রুাঠু ;ছু;;ঠু
এেএে পুন্এ্যা১াষ্৷ ৷



ষ্হে ইবন আমর ! তুমি সুপথ পেয়েছ ও কল্যাণ প্রাপ্ত হয়েছ ৷ আর এক অনুপম রবের

প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও প্রতিমা পুর্জা বর্জন করার ফলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করেছ, বছরের
পর বছর মাটির নীচে অবস্থান করলেও আল্লাহর রহমত মানুষের কাছে :পাছবেই ৷

মুহাম্মদ ইবন উসমান ইবন আবু শায়বা বর্ণনা করেন যে, যায়েদ ইবন আমর ইবন নুফায়ল
জাহিলী যুগে সত্য দীন অনুসন্ধান করে বেড়াতেন ৷ একদা এক ইহুদীর নিকট গিয়ে বললেন,
আমাকে তোমার ধর্মে দীক্ষা দান কর ! ইহুদীটি বলল, আমি ৫ত্ল্যাংণ্ধ্বকে আমার ধর্মে দীক্ষিত
করবো না, কেননা তাতে তুমি আল্লাহ্র রােষে পতিত হবে ৷ একথা শুনে তিনি বললেন তা হলে
আমি আল্লাহ্র বোষ থেকে পালাই ৷ অতঃপর তিনি এক খৃষ্টানের নিকট গিয়ে বললেন, আমি
চাই যে, আমাকে তুমি তোমার ধর্মে দীক্ষিত কর ৷ খৃষ্টান বলল না, আমি তাতে রাজি নই ৷
কেননা তাতে তুমি ভ্রান্তির শিকারে পরিণত হবে ৷ জবাবে তিনি বললেন, তা হলে ভ্রান্তি
থেকে পালাই ৷ এবার খৃষ্টান সােকটি তাকে বলল, তবে আমি তোমাকে এমন একটি দীনের
সন্ধান দিতে পারি, তুমি তার অনুসরণ করলে হিদায়াত পেয়ে যাবে ৷ যায়দ জিজ্ঞেস করলেন,
কোন সে দীন? খৃষ্টান বলল, তাহলাে ইবরাহীমের দীন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে যায়দ
বললেন, হে আল্লাহ! আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি ইবরাহীমের দীনের অনুসারী ৷
এ নিয়ে আমার জীবন এবং এ নিয়েই আমার মরণ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যায়দের এসব ঘটনা
শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন : “যায়দ ইবন আমর কিয়ামতের দিন একাই একটি উম্মতের
মর্যাদা পাবে ৷ ”

মুসা ইবন উক্বা (র) ইবন উমর (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আব্দুর রহমান (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবন আমর
ইবন নুফায়ল বলেছেন, আমি ইহুদী খৃষ্টান উভয় ধর্মকে যাচাই করে দেখেছি একটিও আমার
মনঃপুত হয়নি ৷ অতঃপর সিরিয়া গিয়ে সেখানকার এক পীর্জার পাদ্রীর সঙ্গে দেখা করলাম এবং
আমার সমাজ ত্যাগ করে আসা, মুর্তিপুজা, ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মের প্রতি অনীহার কথা জানালাম
আমার সব বৃত্তান্ত শুনে পাদ্রী বললেন, তুমি তো দেখছি, ইবরাহীমের দীন অনুসন্ধান করছ হে
মক্কার ভাই ! তুমি এমন একটি দীনের সন্ধান করছ বর্তমানে যার অনুসরণ করার মত একজন
মানুষও পাওয়া যাবে না ৷ তা হলো তোমার পিতা ইবরাহীমের দীন ৷ তিনি সরল সঠিক পথের
অনুসারী ছিলেন ৷ ইহুদী বা খৃষ্টান ছিলেন না ৷ তিনি নামায পড়তেন এবং তোমার শহরে
অবস্থিত সেই ঘরটির প্রতি মুখ করে সিজদা করতেন ৷ তুমি তোমার শহরে চলে যাও, ওখানেই


يَلْتَمِسُ وَيَطْلُبُ فِي أَهْلِ الْكِتَابِ الْأَوَّلِ دِينَ إِبْرَاهِيمَ، وَيَسْأَلُ عَنْهُ، وَلَمْ يَزَلْ فِي ذَلِكَ، - فِيمَا يَزْعُمُونَ - حَتَّى أَتَى الْمَوْصِلَ وَالْجَزِيرَةَ كُلَّهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى أَتَى الشَّامَ فَجَالَ فِيهَا حَتَّى أَتَى رَاهِبًا بِبَيْعَةٍ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ كَانَ يَنْتَهِي إِلَيْهِ عِلْمُ النَّصْرَانِيَّةِ، - فِيمَا يَزْعُمُونَ - فَسَأَلَهُ عَنِ الْحَنِيفِيَّةِ دِينِ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ: إِنَّكَ لَتَسْأَلُ عَنْ دِينٍ مَا أَنْتَ بِوَاجِدٍ مَنْ يَحْمِلُكُ عَلَيْهِ الْيَوْمَ لَقَدْ دَرَسَ مِنْ عَلِمَهُ، وَذَهَبَ مَنْ كَانَ يَعْرِفُهُ، وَلَكِنَّهُ قَدْ أَظَلَّكَ خُرُوجُ نَبِيٍّ. وَهَذَا زَمَانُهُ وَقَدْ كَانَ شَامَ الْيَهُودِيَّةَ وَالنَّصْرَانِيَّةَ فَلَمْ يَرْضَ شَيْئًا مِنْهَا فَخَرَجَ سَرِيعًا حِينَ قَالَ لَهُ الرَّاهِبُ مَا قَالَ يُرِيدُ مَكَّةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِأَرْضِ لَخْمٍ عَدَوْا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ. فَقَالَ وَرَقَةُ يَرْثِيهِ: رَشَدْتَ وأَنْعَمْتَ ابْنَ عَمْرٍو، وَإِنَّمَا ... تَجَنَّبْتَ تَنُّورًا مِنَ النَّارِ حَامِيًا بِدِينِكَ رَبًّا لَيْسَ رَبٌّ كَمِثْلِهِ ... وَتَرْكِكَ أَوْثَانَ الطَّوَاغِي كَمَا هِيَا وَقَدْ تُدْرِكُ الْإِنْسَانَ رَحْمَةُ رَبِّهِ ... وَلَوْ كَانَ تَحْتَ الْأَرْضِ سِتِّينَ وَادِيًا وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ طَارِقٍ الْوَابِشِيُّ ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ «عَنْ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ أَنَّهُ كَانَ يَتَأَلَّهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى رَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ فَقَالَ لَهُ: أُحِبُّ أَنْ تُدْخِلَنِي مَعَكَ فِي دِينِكَ فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ: لَا أُدْخِلُكَ فِي دِينِي حَتَّى تَبُوءَ بِنَصِيبِكَ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ فَقَالَ: مِنْ غَضَبِ اللَّهِ أَفِرُّ. فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى نَصْرَانِيًّا فَقَالَ لَهُ: أُحِبُّ أَنْ تُدْخِلَنِي مَعَكَ فِي دِينِكَ فَقَالَ: لَسْتُ أُدْخِلُكَ
পৃষ্ঠা - ১৪১৩
ষ্ষ্


অবস্থান কর ৷ আল্লাহ তোমার দেশে তোমার সম্প্রদায় থেকে এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ
করবেন, যিনি সরল সঠিক দীনে ইব্রাহীম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবেন ৷ আল্লাহর নিকট তিনি
হবেন সৃষ্টির সেরা মানুষ ৷

ইউনুস ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়ল এর
ৎশের জনৈক ব্যক্তি বলেছেন যে, যায়দ ইবন আমর যখনই কাবায় প্ৰরশ করতেন, তখন
বলতেন, আমি হাজির, আমি সত্যের অনুসারী, আমি এক আল্লাহর দাসত্বে বিশ্বাসী ৷ আমি
আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেমন আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন ইব্রাহীম (আ) এই স্থানে প্রার্থনা
করেছিলেন ৷ হে আল্লাহ ! আমার নাক তোমার জন্য ধুলড়ামলিন হোক, তুমি আমাকে যখন যেমন
বোঝা বহন করতে বলবে, আমি তাই বহন করব ৷ পুণ্যই আমি কামনা করি ৷

আবু দাউদ তায়ান্সিসী (র) সাঈদ ইবন যায়দ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
যায়দ ইবন আমর এবং ওরাকা ইবন নওফল দীনের সন্ধানে বের হন ৷ মওসেল নামক স্থানে
জনৈক পাদ্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাত হয় ৷ পাদ্রী যায়দ ইবন আমরকে জিজ্ঞেস করল, হে
উষ্ট্রড়ারােহী ! তুমি কোথা থেকে এসেহা যায়দ বললেন, আমি ইব্রাহীম (আ)-এর এলাকা থেকে
এসেছি ৷ পাদ্রী বলল, তা এখানে এসেহ কিসের সনাঃনা যায়দ বললেন, এসেছি দীনের
সন্ধান্থে ৷ পডীটি বলল, তা হলে তুমি ফিরে যাও ! তুমি যে দীনের সন্ধান করছ, তা তোমার
অঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করার সনাবনাই বেশী ৷ অবশেষে খৃষ্টান হতে চাইলে তিনি আমাকে ধারণ
করেন ৷ তখন যায়দ বলতে বলতে ফিরে আসেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, যায়দের পুত্র সাঈদ, যিনি জান্নাতের সৃসংৰাদ প্রাপ্ত দশজনের একজন
লোক ছিলেন, তা তাে আপনি দেখেছেন ও শুনেছেন ৷ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন ! রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন, হীড়া, করব ৷ তিনি তো কিয়ামতের দিন একা একটি উষ্মতরুপে উথিত হবেন ৷

একদিন যায়দ ইবন আমর রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন
যায়দ ইবন হড়ারিছাকে সঙ্গে নিয়ে একটি মাথা থেকে আহার করছিলেন ৷ যায়দ ইবন
আমরকে খেতে আহ্বান করা হলে তিনি বললেন, ভাতিজা! আমি দেবতার নামে বলি দেওয়া
পশু থাই না ৷ ” >

মুহাম্মদ ইবন সা’দ হিজ্বর ইবন আবু ইহার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হিজ্বর বলেন, যায়দ
ইবনআমর সিরিয়া থেকে ফিরে আসার পর একদিন আমি দেখতে পেলাম যে, তিনি সুর্যের
দিকেলক্ষ্য রাখছেন ৷ আমি তখন বুওয়ানা মুর্তির কাছে দীড়িয়ে ৷ সুর্য পশ্চিম দিকে চলে পড়লে
কিবলার দিকে মুখ করে তিনি দুন্সিজদায় এক রাকাত নামায আদায় করেন ৷ তারপর বলেন :
এই হলো ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের কিবলা ৷ আমি পাথরের পুজাও করি না এবং পাথরের
উদ্দেশ্যে নামাযও পড়ি না ৷ মুর্তির নামে বলি দেওয়া পশু পাই না, লটারীর মাধ্যমে ভাগ্য নির্ণয়
করি না ৷ মরণ পর্যন্ত আমি এই ঘরের দিকে মুখ করে নামায পড়ে যার ৷



১ সম্ভবত রসুলুল্লাহ (না)-যে দেবতার নামে যৰাইকৃত পশু গোশত আহার করতেন না , তা তার জানা ছিল না ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫ ৭-

فِي دِينِي حَتَّى تَبُوءَ بِنَصِيبِكَ مِنَ الَضَّلَالَةِ. فَقَالَ: مِنَ الَضَّلَالَةِ أَفِرُّ. قَالَ لَهُ النَّصْرَانِيُّ: فَإِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى دِينٍ إِنِ اتَّبَعْتَهُ اهْتَدَيْتَ قَالَ: أَيُّ دِينٍ؟ قَالَ: دِينُ إِبْرَاهِيمَ. قَالَ: فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ أَحْيَا وَعَلَيْهِ أَمُوتُ. قَالَ: فَذُكِرَ شَأْنُهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هُوَ أُمَّةٌ وَحْدَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَ هَذَا، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَيْفٍ الْقُرَشِيُّ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدٍ عَنْ مُجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: شَامَمْتُ الْيَهُودِيَّةَ وَالنَّصْرَانِيَّةَ فَكَرِهْتُهُمَا فَكُنْتُ بِالشَّامِ وَمَا وَالَاهُ حَتَّى أَتَيْتُ رَاهِبًا فِي صَوْمَعَةٍ فَذَكَرْتُ لَهُ اغْتِرَابِي عَنْ قَوْمِي، وَكَرَاهَتِي عِبَادَةَ الْأَوْثَانِ وَالْيَهُودِيَّةَ وَالنَّصْرَانِيَّةَ، فَقَالَ لِي: أَرَاكَ تُرِيدُ دَيْنَ إِبْرَاهِيمَ يَا أَخَا أَهْلِ مَكَّةَ إِنَّكَ لَتَطْلُبُ دِينًا مَا يُوجَدُ الْيَوْمَ أَحَدٌ يَدِينُ بِهِ، وَهُوَ دِينُ أَبِيكَ إِبْرَاهِيمَ كَانَ حَنِيفًا لَمْ يَكُنْ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا، كَانَ يُصَلِّي وَيَسْجُدُ إِلَى هَذَا الْبَيْتِ الَّذِي بِبِلَادِكَ،
পৃষ্ঠা - ১৪১৪
فَالْحَقْ بِبَلَدِكَ فَإِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مِنْ قَوْمِكَ فِي بَلَدِكَ مَنْ يَأْتِي بِدِينِ إِبْرَاهِيمَ الْحَنِيفِيَّةِ وَهُوَ أَكْرَمُ الْخَلْقِ عَلَى اللَّهِ. وقَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي بَعْضُ آلِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: إِنَّ زَيْدًا كَانَ إِذَا دَخَلَ الْكَعْبَةَ قَالَ: لَبَّيْكَ حَقًّا حَقًّا تَعَبُّدًا وَرِقًّا، عُذْتُ بِمَا عَاذَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ وَهُوَ قَائِمٌ إِذْ قَالَ: أَنْفِي لَكَ اللَّهُمَّ عَانٍ رَاغِمُ ... مَهْمَا تُجَشِّمْنِي فَإِنِّي جَاشِمُ الْبِرَّ أَبْغِي لَا الْخَالَ ... لَيْسَ مُهَجِّرٌ كَمَنْ قَالَ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ نُفَيْلِ بْنِ هِشَامِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرٍو، وَوَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلٍ خَرَجًا يَلْتَمِسَانِ الدِّينَ حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى رَاهِبٍ بِالْمَوْصِلِ فَقَالَ لِزَيْدِ بْنِ عَمْرٍو: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ يَا صَاحِبَ الْبَعِيرِ؟ فَقَالَ: مِنْ بَنِيَّةِ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ: وَمَا تَلْتَمِسُ؟ قَالَ: أَلْتَمِسُ الدِّينَ قَالَ: ارْجِعْ فَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يَظْهَرَ فِي أَرْضِكَ. قَالَ: فَأَمَّا وَرَقَةُ فَتَنَصَّرَ، وَأَمَّا أَنَا فَعَزَمْتُ عَلَى النَّصْرَانِيَّةِ فَلَمْ يُوَافِقْنِي فَرَجَعَ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১৪১৫
ষ্ষ্


যায়দ ইবন আমর হজ্জ করতেন এবং আরাফা য় অবস্থান করতেন ৷ তিনিও ৷লবিয়া পড়তেন
এবং তাতে বলতেন,“ তামার দরবারে আমি হাজির ৷ তোমার কে ৷নাে অং শীদ৷ ৷র সেই ৷ যেই
কোন সমকক্ষ ৷ অতঃপর লাব্বাইক বলতে বলতে পারে ৫হটে অ ৷বাফ থেকে ফিরে আসতেন ৷

ওয়াকিদী আমির ইবন রবীয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবন
আমরকে বলতে শুনেছি যে আমি ইসমাঈল ও আব্দুল মুত্তালিবের বংশ থেকে আগমনকাবী
একজন নবীর অপেক্ষায় আছি ৷ তবে র্তাকে পেয়ে আমি তার প্রতি ঈমান আনতে র্তার প্ৰতি
বিশ্বাস স্থাপন করতে এবং তাকে নবী বলে সাক্ষ্য দিতে পারব বলে মনে হয় না ৷ যদি তুমি
ততদিন পর্যন্ত বেচে থাক এবং তীর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হও, তাহলে র্তাকে আমার সালাম
জানারে ৷ তিনি কেমন হবেন, আমি তোমাকে তা বলে দেব, যার ফলে তাকে চিনতে তোমার
মোটেই বেগ থেকে হবে না ৷ আমি বললাম , তবে তা বলুন ! তিনি বললেন, তিনি না অধিক লম্বা
না বেশী খাট ৷ মাথার চুল বেশীও নয় কমও না ৷ লালিমা তার চোখের অবিচ্ছেদ্য অংশ, দুই
র্কাধের মাঝে থাকবে নবুওতের মহর ৷ নাম হবে আহমদ ৷ এই নগরী তার জন্মস্থান এবং
এখনেই তিনি নবুওত লাভ করবেন ৷ পরে তার সম্প্রদায় র্তাকে জন্ভুমি থেকে বের করে দিয়ে
বংর্তার দীনের বিরুদ্ধাচরণ করবে ৷ ফলে তিনি ইয়াসরিবে ইিজরত করবেন ৷ ওখানেই তিনি
প্রতিষ্ঠা লাভ করবেন ৷ সাবধান ! তুমি যেন তার ব্যাপারে প্রত৷ ৷রিত না হও ৷ আমি ইবরাহীমের
দীনের সন্ধানে দেশময় ঘুরে বেরিয়েছি ৷ ইহুদী খৃষ্টান মজুসী যাকেই এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা
করেছি, প্রতে দ্রকেই বলেছে যে, অচিরেই এ দীন আত্মপ্রকাশ করবে ৷ সেই নবী সম্পর্কে আমি
তোমাকে যে বিবরণ দিলাম, চারা সকলেই আমাকে এরুপই বলেছে ৷ তারা আরো বলেছে যে,
তিনি ব্যতীত আর কোন নবীর আগমন ঘটবে না ৷

আমির ইবন রবীয়া বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে যায়দ ইবন
আমরের এসব কথা জানিয়েছি এবং তার আমানতও পৌছিয়েছি ৷ নবী করীম (সা) তার
সালামের জবাব দেন এবং তার জন্য রহমতের দোয়া করেন এবং বলেন, আমি তাকে জান্নাতে
বেব্ক্ত৷ শান-শওকতে বিচরণ করতে দেখেছি ৷

ইমাম বুখারী (র) আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা)
বলেন, ওহী অব৩ রণ শুরু হওয়ার আগে একদিন৷ বা লদা হ-এর নিম্ন৷ ৷ঞ্চলে যায়দ ইবন আমর এর
সঙ্গে নবী করীম (না)-এর সাক্ষাত হয় ৷ আমি তার সামনে খাঞ্চা এগিয়ে দিই ৷ কিন্তু তিনি তা
খেতে অস্বীকার করেন ৷ তখন যায়দ বলে উঠলেন : আমিও তোমাদের দেবতার নামে
বলি দেওয়া পশু থাই না এবং সে পশুও আমি মুখে দেই না, যা তোমরা গাইরুল্লংাহ্ব নামে
যবাই কর ৷ উল্লেখ্য যে, যায়দ ইবন আমর যবাইর ব্যাপারে কুরাইশদের সমালোচনা করে
বলতেন : বকরী সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ ৷ আল্লাহই আকাশ থেকে পানি অবতারণ করে ঘাস
উৎপন্ন করে এর খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন ৷ আর কুরাইশের লোকেরা কিনা তা যবাই করে
পাইরুল্লাহর নামে !

মুসা ইবন উক্বা বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়ল একবার দীনের সন্ধানে
সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ পথে এক ইহুদী আলিমের সাক্ষাত পেয়ে তাকে তাদের দীন


لَبَّيْكَ حَقًّا حَقًّا ... تَعَبُّدًا وَرِقًّا الْبِرَّ أَبْغِي لَا حِلَالْ ... فَهَلْ مُهَجِّرٌ كَمَنْ قَالَ آمَنْتُ بِمَا آمَنَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ وَهُوَ يَقُولُ أَنْفِي لَكَ اللَّهُمَّ عَانٍ رَاغِمُ ... مَهْمَا تُجَشِّمْنِي فَإِنِّي جَاشِمُ ثُمَّ يَخِرُّ فَيَسْجُدُ. قَالَ: «وَجَاءَ ابْنُهُ - يَعْنِي سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ أَحَدَ الْعَشْرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي كَمَا رَأَيْتَ وَكَمَا بَلَغَكَ فَاسْتَغْفِرْ لَهُ. قَالَ نَعَمْ فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُمَّةً وَحْدَهُ» قَالَ: «وَأَتَى زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ زَيْدٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَهُمَا يَأْكُلَانِ مِنْ سُفْرَةٍ لَهُمَا فَدَعَوَاهُ لِطَعَامِهِمَا فَقَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرٍو: يَا ابْنَ أَخِي أَنَا لَا آكُلُ مِمَّا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ» . وقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ ابْنُ أَبِيِ سَبْرَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ حُجَيْرِ بْنِ أَبِيِ إِهَابٍ قَالَ: رَأَيْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرٍو، وَأَنَا عِنْدَ صَنَمِ بُوَانَةَ بَعْدَمَا رَجَعَ مِنَ الشَّامِ وَهُوَ يُرَاقِبُ الشَّمْسَ فَإِذَا زَالَتِ اسْتَقْبَلَ الْكَعْبَةَ فَصَلَّى رَكْعَةً سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ يَقُولُ: هَذِهِ قُبْلَةُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ، لَا أَعْبُدُ حَجَرًا وَلَا أُصَلِّي
পৃষ্ঠা - ১৪১৬
لَهُ وَلَا آكُلُ مَا ذُبِحَ لَهُ وَلَا أَسْتَقْسِمُ بِالْأَزْلَامِ، وَإِنَّمَا أُصَلِّي إِلَى هَذَا الْبَيْتِ حَتَّى أَمُوتَ وَكَانَ يَحُجُّ فَيَقِفُ بِعَرَفَةَ وَكَانَ يُلَبِّي فَيَقُولُ: لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ وَلَا نِدَّ لَكَ، ثُمَّ يَدْفَعُ مِنْ عَرَفَةَ مَاشِيًا وَهُوَ يَقُولُ: لَبَّيْكَ مُتَعَبِّدًا مَرْقُوقًا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْحَكَمِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ يَقُولُ: أَنَا أَنْتَظِرُ نَبِيًّا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، ثُمَّ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَلَا أَرَانِي أُدْرِكُهُ وَأَنَا أُؤْمِنُ بِهِ وَأُصَدِّقُهُ وَأَشْهَدُ أَنَّهُ نَبِيٌّ فَإِنْ طَالَتْ بِكَ مُدَّةٌ فَرَأَيْتَهُ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ، وَسَأُخْبِرُكَ مَا نَعْتُهُ حَتَّى لَا يَخْفَى عَلَيْكَ. قُلْتُ: هَلُمَّ قَالَ: هُوَ رَجُلٌ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ وَلَا بِكَثِيرِ الشَّعَرِ وَلَا بِقَلِيلِهِ، وَلَيْسَتْ تُفَارِقُ عَيْنَهُ حُمْرَةٌ، وَخَاتَمُ النُّبُوَّةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ. وَهَذَا الْبَلَدُ مَوْلِدُهُ وَمَبْعَثُهُ ثُمَّ يُخْرِجُهُ قَوْمُهُ مِنْهَا، وَيَكْرَهُونَ مَا جَاءَ بِهِ حَتَّى يُهَاجِرَ إِلَى يَثْرِبَ فَيَظْهَرُ أَمْرُهُ فَإِيَّاكَ أَنْ تُخْدَعَ عَنْهُ فَإِنِّي طُفْتُ الْبِلَادَ كُلَّهَا أَطْلُبُ دِينَ إِبْرَاهِيمَ فَكَانَ مَنْ أَسْأَلُ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ، يَقُولُونَ: هَذَا الدِّينُ وَرَاءَكَ، وَيَنْعَتُونَهُ مِثْلَ مَا نَعَتُّهُ لَكَ، وَيَقُولُونَ: لَمْ يَبْقَ نَبِيٌّ غَيْرُهُ. قَالَ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ: فَلَمَّا أَسْلَمْتُ أَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو، وَأَقْرَأْتُهُ مِنْهُ السَّلَامَ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ وَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: قَدْ رَأَيْتُهُ فِي الْجَنَّةِ يَسْحَبُ ذُيُولًا.
পৃষ্ঠা - ১৪১৭
ষ্ষ্


সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বলেন, আমি আপনাদের দীন গ্রহণ করতে আগ্রহী ৷ অতএব এ
সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন ৷ জবাবে তিনি বললেন আমাদের দীনে আসতে হলে তোমাকে
আল্লাহর গযবের তার মাথায় নিয়ে আসতে হবে ৷ এ কথা শুনে যায়দ বললেন, আমি তো
আল্লাহর গযব থেকেই পালিয়ে এসেছি আল্লাহ্র গযবের সসুমান্যও আমি বহন করতে পারব না,
সে সাধ্যও আমার সেই ৷ সম্ভব হলে আমাকে অন্য কোন দীনের সন্ধান দিন ৷ ইহুদী আলিম
বললেন, আমার বিবেচনায় তুমি হানীফ’ হতে পার ৷ যায়দ জিজ্ঞাসা করলেন, হানীফ’ আবার
কিং তিনি বললেন, হানীফ হলো ইব্রাহীম (আ)-এর দীন, যিনি ইহুদীও ছিলেন না, খৃষ্টানও
ছিলেন না ৷ তিনি আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করতেন না ৷ ইহুদী পণ্ডিতের বক্তব্য শুনে
যায়দ বেরিয়ে এলেন ৷ তারপর দৃহাত উপরে তুলে বলে উঠেন, “আল্লাহ ! তুমি সাক্ষী, আমি
ইবরাহীমের দীন গ্রহণ করলাম ৷”

লায়ছ বলেন, আসৃমা বিনতে আবু বকর (রা) বলাে:হছুন আমি একদিন দেখলাম যে, যায়দ
বাবার সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে বলছেন, “হে কুরইিণ ন্ন্হৃম্পুদড়ায়! তোমাদের মধ্যে একমাত্র
আমিই ইবরাহীমের দীনের অনুসারী ৷ ”
যায়দ শিশু কন্যাদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া থেকে রক্ষা করতেন ৷ কাউকে নিজ কন্যা
সন্তান জীবন্ত কবর দিতে দেখলে তিনি বলতেন, একে হত্যা করো না, আমাকে দিয়ে দাও,
আমি এর ব্যয় তার বহন করব ৷ লালন-পালন করার পর বড় হলে কন্যার পিতাকে বলতেন,
“ইচ্ছে হলে তোমার সন্তানকে এবার তুমি নিয়ে যেতে পার, আর যদি বল, এখনও আমি এর
ভরণ-পােষণ বহন করতে পারি ৷” এ বর্ণনড়াটি বুখারীর ৷ ইবন আসাকির ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷

আব্দুর রহমান ইবন আবু যিনাদ বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবু বকর (বা)
বলেছেন, আমি দেখেছি যে, যায়েদ ইবন আমর কাবার সঙ্গে হেলান দিয়ে বলছেন, “হে
কুরাইশ সম্প্রদায়! তোমরা ব্যভিচার থেকে দুরে থাক ৷ ব্যভিচার দারিদ্র্য ডেকে আনে ৷”

মুহাম্মদ ইবন উছমান ইবন আবু শায়বা জাবির (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেন , রাসুলুল্লাহ (সা) ণ্ক যায়দ ইবন আমর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, জাহিলী যুগে
তো তিনি কিবলার দিকে মুখ করে বলতেন, ইবরাহীমের যিনি ইলাহ, আমার ইলাহও তিনি ৷
ইবরাহীমের দীনই আমার দীন ৷ আবার তিনি সিজদাও করতেন ৷ তার কী হবো জবাবে নবী
করীম (সা) বললেন, আমার ও ঈসার মাঝখানে একা তাকে একটি উন্নত হিসাবে উথিত করা
হবে ৷ এ বর্ণনাটির সনদ উত্তম ও হাসান পর্যায়ের ৷

ওয়াকিদী খারিজা ইবন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
যায়দ ইবন আমর সম্পর্কে সাঈদ ইবন মুসায়িবে (রা)-ফে বলতে শুনেছি যে, রড়াসুলুল্লাহ
(না)-এর প্রতি ওহী অবতরণের পাচ বছর আগে যায়দ ইবন আমর যখন মারা যান, তখন
কুরাইশরা কাবা ঘর পুনঃনির্মাণ করছিল ৷ মৃত্যুর আগে প্রায়ই তিনি বলতেন, “আমি
ইবরাহীমের দীনের অনুসারী ৷” তার ছেলে সাঈদ ইবন যায়দ ইসলাম গ্রহণ করেন এবং
রাসুলুল্পাহ (না)-এর অনুসারী হন ৷ উমর ইবন পাতায় (বা) ও সাঈদ ইবন যায়দ (রা) একদিন


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي صَحِيحِهِ: ذِكْرُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ حَدَّثَنِي سَالِمٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَحْيُ فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلَ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنَصَابِكُمْ وَلَا آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ» وَإِنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرٍو كَانَ يَعِيبُ عَلَى قُرَيْشٍ ذَبَائِحَهُمْ، وَيَقُولُ: الشَّاةُ خَلَقَهَا اللَّهُ، وَأَنْزَلَ لَهَا مِنَ الَسَّمَاءِ مَاءً، وَأَنْبَتَ لَهَا مِنَ الَأَرْضِ، ثُمَّ يَذْبَحُونَهَا عَلَى غَيْرِ اسْمِ اللَّهِ إِنْكَارًا لِذَلِكَ، وَإِعْظَامًا لَهُ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَحَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا يُحَدِّثُ بِهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ - أَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ يَسْأَلُ عَنِ الدِّينِ، وَيَتْبَعُهُ فَلَقِيَ عَالِمًا مِنَ الْيَهُودِ فَسَأَلَهُ عَنْ دِينِهِمْ فَقَالَ: إِنِّي لَعَلِّي أَنْ أَدِينَ دِينَكُمْ فَأَخْبِرْنِي فَقَالَ: إِنَّكَ لَا تَكُونُ عَلَى دِينِنَا حَتَّى تَأْخُذَ نَصِيبَكَ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ قَالَ زَيْدٌ: وَمَا أَفِرُّ إِلَّا مِنْ غَضَبِ اللَّهِ تَعَالَى وَلَا أَحْمِلُ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ شَيْئًا وَلَا أَسْتَطِيعُهُ فَهَلْ تَدُلُّنِي عَلَى غَيْرِهِ؟ قَالَ: مَا أَعْلَمُهُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَنِيفًا قَالَ زَيْدٌ: وَمَا الْحَنِيفُ؟ قَالَ: دِينُ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمْ يَكُنْ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَا يَعْبُدُ إِلَّا اللَّهَ فَخَرَجَ زَيْدٌ فَلَقِيَ عَالِمًا مِنَ النَّصَارَى،
পৃষ্ঠা - ১৪১৮
ষ্ষ্


রাসুলুল্পাহ (সা) এর নিকট এসে যায়দ ইবন আমর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন
“আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ও তার প্রতি রহম করেছেন ৷ কারণ তিনি ইবরাহীমের
দীনের উপর ইস্তিকাল করেছেন ৷” বর্ণনাকারী বলেন, সেই থেকে ৷চােন মুসলমান ক্ষমাও

রহমতের দোয়া ছাড়া তার নাম উচ্চারণ করেন না ৷ এ বনািটির উল্লেখের পর সাঈদ ইবন

মুসায়িব্রব বলতেন :
ছুট্রুাট্রুঠুছুড়ু গ্লুা৷ ৷ ম্বু’;;)
মুহাম্মদ ইবন সা’দ বর্ণনা করেন যে ইয়াহ্ইয়া সাদী বলেছেন, দ্য্যায়দ ইবন আমর মক্কায়

মারা যান এবং হেরার পাদদেশে সমাহিত হন ৷ তবে আগে আমরা বলে এসেছি যে, সিরিয়ার

বালকা অঞ্চলের মায়কাআ নামক স্থানে বনু লাখমের একদল দৃর্বৃত্তের আক্রমণে তিনি নিহত
হন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷

বাগিনদী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন ট্রুআমি জান্নতে প্রবেশ করে যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়লের দুটি অট্টালিকা
দেখতে পেয়েছি ৷ ” এ সনদটি উত্তম, তবে কো ন কিভাবে এর উল্লেখ পাওয়া যায় না ৷

যায়দ ইবন আমর ইবন নুফা য়লের কিছু কবিতা আমরা সৃষ্টির সুচনা অধ্যায়ে উল্লেখ করে
এসেছি ৷ তার দু ”টি পংক্তি নিম্নরুপ০ ং

এেএিপুইে


-আমার সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত যিনি রাজা ৷ধিরাজ, যার উপর কোন ইলাহ
নেই এবং এমন কোন রবও নেই, যে তার সমকক্ষ হতে পারে ৷

তবে কারও কারও মতে এ পৎক্তি দুটো উমাইয়া ইবনে আবুসৃ সালত এর ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এবং যুবায়র ইবন বাক্কার প্রমুখ বর্ণিত যায়দ ইবন আমর-এর
তাওহীদ সং ক্রাস্ত কয়েকটি কবিতা নিম্নরুপ

ৰুং;গ্লু ছুট্রু;ট্রুা
ৰুাৰু)
ৰুাঢ় ৷ঠুট্রু াট্রু; এ্যা র্দু:;ছুা;াৰুঠো; হে মোঃ ’ &,’» ৷ট্রুা
ৰুা;; ৰু৷ ;
-আমি নিজেকে সপে দিলাম সেই মহান সত্তার হাতে, যার কাছে মাথা নত ৩কবে ভারী

পাথর বহনকারী পৃথিবী ৷ যাকে বিন্তুত করার পর যখন তা সমতল হয় তখন পাহাড় চাপা
দিয়ে তিনি তাকে প্রোথিত করেন ৷


فَذَكَرَ مِثْلَهُ; فَقَالَ: لَنْ تَكُونَ عَلَى دِينِنَا حَتَّى تَأْخُذَ بِنَصِيبِكَ مِنْ لَعْنَةِ اللَّهِ. قَالَ: مَا أَعْلَمُهُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَنِيفًا قَالَ: وَمَا الْحَنِيفُ؟ قَالَ: دِينُ إِبْرَاهِيمَ. لَمْ يَكُنْ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَا يَعْبُدُ إِلَّا اللَّهَ فَلَمَّا رَأَى زَيْدٌ قَوْلَهُمْ فِي إِبْرَاهِيمَ خَرَجَ فَلَمَّا بَرَزَ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: وَقَالَ اللَّيْثُ: كَتَبَ إِلَيَّ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: رَأَيْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ قَائِمًا، مُسْنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ وَاللَّهِ مَا مِنْكُمْ عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ غَيْرِي وَكَانَ يُحْيِي الْمَوْءُودَةَ يَقُولُ لِلرَّجُلِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقْتُلَ ابْنَتَهُ: لَا تَقْتُلْهَا أَنَا أَكْفِيكَ مُؤْنَتَهَا فَيَأْخُذُهَا فَإِذَا تَرَعْرَعَتْ قَالَ لِأَبِيهَا: إِنْ شِئْتَ دَفَعْتُهَا إِلَيْكَ، وَإِنْ شِئْتَ كَفَيْتُكَ مُؤْنَتَهَا انْتَهَى مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ. وَهَذَا الْحَدِيثُ الْأَخِيرُ قَدْ أَسْنَدَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ عَنْ عِيسَى بْنِ حَمَّادٍ عَنِ اللَّيْثِ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ: سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ يَقُولُ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إِيَّاكُمْ وَالزِّنَا فَإِنَّهُ يُورِثُ الْفَقْرَ. وَقَدْ سَاقَ ابْنُ عَسَاكِرَ هَاهُنَا أَحَادِيثَ غَرِيبَةً جِدًّا، وَفِي بَعْضِهَا نَكَارَةٌ
পৃষ্ঠা - ১৪১৯
شَدِيدَةٌ، ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ قَالَ: يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُمَّةً وَحْدَهُ» فَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ الصَّفَّارُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ عَنْ مُجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرٍ قَالَ «سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ أَنَّهُ كَانَ يَسْتَقْبِلُ الْقِبْلَةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَيَقُولُ: إِلَهِي إِلَهُ إِبْرَاهِيمَ، وَدِينِي دِينُ إِبْرَاهِيمَ، وَيَسْجُدُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُحْشَرُ ذَاكَ أُمَّةً وَحْدَهُ بَيْنِي وَبَيْنَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ حَسَنٌ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ شَيْبَةَ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَذْكُرُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فَقَالَ: تُوُفِّيَ، وَقُرَيْشٌ تَبْنِي الْكَعْبَةَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ الْوَحْيُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَمْسِ سِنِينَ، وَلَقَدْ نَزَلَ بِهِ، وَإِنَّهُ لَيَقُولُ: أَنَا عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ فَأَسْلَمَ ابْنُهُ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، وَاتَّبَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَتَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَسَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَاهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فَقَالَ: غَفَرَ اللَّهُ لَهُ وَرَحِمَهُ; فَإِنَّهُ مَاتَ عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ «. قَالَ: فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ، لَا يَذْكُرُهُ ذَاكِرٌ مِنْهُمْ إِلَّا تَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَاسْتَغْفَرَ لَهُ، ثُمَّ يَقُولُ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ رَحِمَهُ اللَّهُ وَغَفَرَ لَهُ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الْوَاقِدِيِّ حَدَّثَنِي زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى السَّعْدِيُّ
পৃষ্ঠা - ১৪২০
ষ্ষ্


আমি আত্মসমর্পণ করলাম, সেই সভার কাছে, সুমিষ্ট পানি বহনকারী চমঘমালা যার
অনুগত, যে মেঘের পানি দ্বারা সিক্ত গোটা পৃথিবী ৷

আমি আত্মসমপর্ণ করলাম সেই সভার কাছে, যার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বায়ু, যে বায়ু
এক সময় এক একভাবে প্রবাহিত হয় ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক হিশাম ইবন উরওয়৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
আমার আব্বা বলেছেন, যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়ল কাবড়াকাৰ্র বলেছিলেন :


,


এটুটু ১ণুষ্
১া,
স্পো৷ ওঞ;ত্তৰু; ণ্াত্ত্বনুষ্া৷ ;১; ;;মোঃ ;ধৃঙ্াট্ট৷ ;,;,’;;;; ;
’,,শ্;ন্ত৷ ৷ ণ্;,;,;এে ৰু ৷ব্র ৷ট্রুট্রুছু ৰুা৷নৃ>, ;;৷ ;:০ র্দুভ্রু৷ ৷ র্টু,া;

;,;,১ ৷ ;; ৷ ,


’ ;;;৷ ;,ন্নুা,

র্চশ্

এএঞা

এক বরের আনুগত্য করব না ৷কি হাজার বরের ? যদিও বিষয় বিভিন্ন ৷ আমি লাত উয্যা
সব ত্যাগ করেছি ৷ ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণু লোকেরা এমনই করে থাকে ৷

আমি উয্যাকে মানি না, মানি না তার দুই কন্যাকেও ৷ বনু আমর ও বনু আযওর এর দুই
প্রতিমাকেও না ৷

গুনমকেও আমি মানি না ৷ আমি বৃদ্ধিতে যখন অপরিপক্ক তখন থেকেই আমার রর
একজন ৷ আমি বিস্মিত হয়েছি ৷ বন্তুত রাত্রিকালে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে থাকে ৷ আর
বিচক্ষণ লোকেরা দিনের বেলা সেসব উপলব্ধি করতে সক্ষম হন ৷ বহু পাপাচারীকে আল্লাহ
ৎস করে দিয়েছেন আর সমাজের কিছু সাধু লোকদের রেখে দিয়েছেন, যাদের ছোট শিশুরা
আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে ৷


عَنْ أَبِيهِ قَالَ: مَاتَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِمَكَّةَ، وَدُفِنَ بِأَصْلِ حِرَاءَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ مَاتَ بِأَرْضِ الْبَلْقَاءِ مِنَ الشَّامِ لَمَّا عَدَا عَلَيْهِ قَوْمٌ مِنْ بَنِي لَخْمٍ فَقَتَلُوهُ بِمَكَانٍ يُقَالَ لَهُ: مَيْفَعَةُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبَاغَنْدِيُّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَرَأَيْتُ لِزَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ دَوْحَتَيْنِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلَيْسَ هُوَ فِي شَيْءٍ مِنَ الَكُتُبِ. وَمِنْ شِعْرِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ مَا قَدَّمْنَاهُ فِي بَدْءِ الْخَلْقِ مِنْ تِلْكَ الْقَصِيدَةِ إِلَى اللَّهِ أَهْدِي مِدْحَتِي وَثَنَائِيَا وَقَوْلًا رَضِيًّا لَا يَنِي الدَّهْرَ بَاقِيًا إِلَى الْمَلِكِ الْأَعْلَى الَّذِي لَيْسَ فَوْقَهُ إِلَهٌ وَلَا رَبٌّ يَكُونُ مُدَانِيَا وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهَا لِأُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْ شِعْرِهِ فِي التَّوْحِيدِ، مَا حَكَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَالزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَغَيْرُهُمَا: وَأَسْلَمْتُ وَجْهِي لِمَنْ أَسْلَمَتْ لَهُ الْأَرْضُ تَحْمِلُ صَخْرًا ثِقَالًا
পৃষ্ঠা - ১৪২১
ষ্ষ্


মানুষ যখন হোচট খায়, তখন একদিন তওবা করে যেমন সবুজ ডাল-পালা এক সময়
পল্লবিত হয় ৷

আমি আমার বব রহমানের ইবাদত করি ৷ এই আমার যে, ক্ষমড়াশীল রব আমার সব পাপ
মাফ করে দেবেন ৷

তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর প্রতি তাকওয়ড়া সংরক্ষণ কর ৷ যতক্ষণ তোমরা তা’ করবে,
ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে না ৷

পুন্যবানদের আবাস হবে জান্নাত ৷ আর কাফিরদের ঠিকানা জাহান্নাম ৷ পার্থিব জীবনে
তাদের জন্য আছে লাঞ্চুনা ৷ আর মৃত্যুর পরে যা পাবে , তাতে তাদের হৃদয় ৎকৃচিতই হবে ৷

আবুল কাসিম রগবী আসমা বিনতে আবু বকর (বা) থেকে ভিন্ন সুত্রে উক্ত পংক্তিগুলো
ঈষৎ পরিবর্ত্য সহ বর্ণনা করেছেন ৷

জিনদেবকে আমি আমার থেকে দুরে সরিয়ে ব্লেখেছি ৷ ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণু লোকেরা এমনই
করে থাকে ৷ আমি উয্যাকে মানি না, তার দুই কন্যাকেও না ৷ বন্ তসৃম এর প্ৰতিমার প্রতিও
আমার আস্থা নেই ৷

আমি গুনম এর আনুগ৩ করি না ৷ শৈশব থেকেই আমি এক রবের অনুসারী ৷ বিষয়
নানাবিধ হলেও আ ৷মি কি এক রব ছেড়ে হাজার রবের আনুগত্য করব ?

তোমার কি জানা নেই যে, আল্লাহ এমন বহু লোককে ধ্বংস করেছেন, যারা ছিল পাপিষ্ঠা
আর অবশিষ্ট রেখেছেন সাধু লোকদের, যাদের ছোট্ট শিশুরা এখন বড় হচ্ছে?

আসমা বিনতে আবু বকর (রা) বলেন, এসব শুনে ওয়ারাক৷ ইবন নওফল বলেছিলেন ও

শ্ ,

এপ্ট্রুপ্রুা







৩ fl

াট্রুারুটুওা

সুপথ পেয়ে গিয়েছ ও নিয়ামত লাভ করেছ হে ইবনে আমর এবং উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ড থেকে
তুমি বেচে গিয়েছ ৷ এক অনুপম রবের আনুগত্য করে এবং পাহাড়ের জিনদের বর্জন করে
অন্ধকার থেকে মুক্তি পােয় তুমি আলোর পথের সন্ধান পেয়েছ ৷


دَحَاهَا فَلَمَّا اسْتَوتْ شَدَّهَا سَوَاءً وَأَرْسَى عَلَيْهَا الْجِبَالَا وَأَسْلَمْتُ وَجْهِي لِمَنْ أَسْلَمَتْ لَهُ الْمُزْنُ تَحْمِلُ عَذْبًا زُلَالَا إِذَا هِيَ سِيقَتْ إِلَى بَلْدَةٍ أَطَاعَتْ فَصَبَّتْ عَلَيْهَا سِجَالَا وَأَسْلَمْتُ وَجْهِي لِمَنْ أَسْلَمَتْ لَهُ الرِّيحُ تُصْرَفُ حَالًا فَحَالَا وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ قَالَ: رَوَى أَبِي أَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرٍو قَالَ أَرَبًّا وَاحِدًا أَمْ أَلْفَ رَبٍّ أَدِينُ إِذَا تَقَسَّمَتِ الْأُمُورُ عَزَلْتُ اللَّاتَ وَالْعُزَّى جَمِيعًا كَذَلِكَ يَفْعَلُ الْجَلْدُ الصَّبُورُ فَلَا الْعُزَّى أَدِينُ وَلَا ابْنَتَيْهَا وَلَا صَنَمَيْ بَنِي عَمْرٍو أَزُورُ وَلَا هُبَلًا أَدِينُ وَكَانَ رَبًّا لَنَا فِي الدَّهْرِ إِذْ حِلْمِي يَسِيرُ عَجِبْتُ وَفِي اللَّيَالِي مُعْجِبَاتٌ وَفِي الْأَيَّامِ يَعْرِفُهَا الْبَصِيرُ بِأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَفْنَى رِجَالًا كَثِيرًا كَانَ شَأْنَهُمُ الْفُجُورُ وَأَبْقَى آخَرِينَ بِبِرِّ قَوْمٍ فَيَرْبِلُ مِنْهُمُ الطِّفْلُ الصَّغِيرُ
পৃষ্ঠা - ১৪২২
وَبَيْنَا الْمَرْءُ يَعْثُرُ ثَابَ يَوْمًا كَمَا يَتَرَوَّحُ الْغُصْنُ الْمَطِيرُ وَلَكِنْ أَعْبُدُ الرَّحْمَنَ رَبِّي لِيَغْفِرَ ذَنْبِيَ الرَّبُّ الْغَفُورُ فَتَقْوَى اللَّهِ رَبِّكُمُ احْفَظُوهَا مَتَى مَا تَحْفَظُوهَا لَا تَبُورُوا تَرَى الْأَبْرَارَ دَارُهُمُ جِنَانٌ وَلِلْكُفَّارِ حَامِيَةٌ سَعِيرُ وَخِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ وَإِنْ يَمُوتُوا يُلَاقُوا مَا تَضِيقُ بِهِ الصُّدُورُ هَذَا تَمَامُ مَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ مِنْ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ قَالَ: قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ: قَالَ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ: عَزَلْتُ الْجِنَّ وَالْجِنَّانَ عَنِّي ... كَذَلِكَ يَفْعَلُ الْجَلْدُ الصَّبُورُ فَلَا الْعُزَّى أَدِينُ وَلَا ابْنَتَيْهَا ... وَلَا صَنَمَيْ بَنِي طَسْمٍ أُدِيرُ وَلَا غُنْمًا أَدِينُ وَكَانَ رَبًّا لَنَا فِي الدَّهْرِ إِذْ حِلْمِي صَغِيرُ ... أَرَبًّا وَاحِدًا أَمْ أَلْفَ رَبٍّ أَدِينُ إِذَا تُقُسِّمَتِ الْأُمُورُ
পৃষ্ঠা - ১৪২৩
ষ্ষ্


কোনো ভয়াল জনপদে অবতরণ করলে আমি বলি, আমি তোমার দয়া চাই, শত্রুকে আমার
উপর বিজয়ী করো না ৷ তুমি আমার রব, তুমিই আমার আশা-ভরসা, হে আমার বব?

আল্লাহর রহমত মানুষের নাগাল পাবেই ৷ যদিও তারা সত্তর স্তর মাটির নীচে
অবস্থান করে ৷

আমি এমন রবকে মান্য কবি, যিনি ডাকে সাড়া দেন ৷ জীবনভর ডাকলেও যার সাড়া-শব্দ
পাওয়া যায় না, তাকে আমি মানি না ৷ যে কোনো উপাসনালয়ে ইবাদতকালে আমি বলি তুমি
মহান, তােমাকেই আমি পুনঃপুনঃ আহ্বান করি ৷

পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, যায়দ ইবন আমর দীনের সন্ধানে সিরিয়া :িায়েছিলেন ৷ তার সঙ্গে
ছিলেন ওয়ারাকা ইবন নওফল, উছমান ইবন হুয়াইরিছ ও উবাইদুল্লাহ্ ইবন জাহ্শ ৷ যায়দ
ব্যতীত অন্য তিনজন খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেন ৷ যায়দ নতুন করে কোন ধর্ম অবলম্বন না করে এক
লা-শারীক আল্পাহ্র ইবাদতেব উপরই অটল থেকে স্বভাবজাতভাবেই রুত্রতটুকু সম্ভব ইবরাহীমের
দীনের উপর থাকার চেষ্টা করেন ৷ ওয়ারাকা ইবন নওফলের বৃত্তান্ত পরে আসছে ৷ উছমান ইবন
হুয়াইরিছ সিরিয়ার বসবাস করেন এবং কায়সারের নৈকটো অবস্থান বসুর সে দেশেই মারা যান,
তার একটি বিস্ময়কর ঘটনা উমুবী বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷ সংক্ষেপে ঘটনাটি এরুপ :

কায়সারের নিকট গিয়ে উছমান নিজ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অনুযোপ করেন ৷ তা’ শুনে
কায়সার সিরিয়ার আরব অধ্যুষিত অঞ্চলের শাসক ইবন জাফনাকে কুরাইশের সঙ্গে যুদ্ধ করার
জন্য সৈন্য প্রেরণের আদেশ দেন ৷ শাসক সে মতে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন ৷ তখন সেখানকার
আরবরা তা থেকে ধারণ করে ৷ যুক্তি হিসাবে মক্কা শরীফের মাহাত্ম্য এবং আসহাবে ফীলেব
সঙ্গে আল্লাহ যে আচরণ করেন, তার কথা তারা উল্লেখ করে ৷ ইবন জাফনা উছমান ইবন
হুয়াইরিছকে বিষ মাথা একটি রঙিন পোশাক পরিয়ে দেয়, যার বিষক্রিয়ায় সে মারা যায় ৷ যায়দ
ইবন আমর ইবন নুফায়ল তার মৃত্যুর শোক প্রকাশ করে কয়েকটি পংক্তি রচনা করেন ৷ উমুবী
পংক্তিগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় আমরা তা উল্লেখ করলাম না ৷ উছমান
ইবন হুয়াইরিছের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল রাসুলুল্লাহ (না)-এর নবুওত প্রাপ্তির কমবেশী তিন
বছর আগে ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷


أَلَمْ تَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ أَفْنَى رِجَالًا ... كَانَ شَأْنَهُمُ الْفُجُورُ وَأَبْقَى آخَرِينَ بِبِرِّ قَوْمٍ ... فَيَرْبُو مِنْهُمُ الطِّفْلُ الصَّغِيرُ وَبَيْنَا الْمَرْءُ يَعْثُرُ ثَابَ يَوْمًا ... كَمَا يَتَرَوَّحُ الْغُصْنُ النَّضِيرُ قَالَتْ: فَقَالَ وَرَقَةُ بْنُ نُوفَلٍ:: رَشَدْتَ وَأَنْعَمْتَ ابْنَ عَمْرٍو وَإِنَّمَا ... تَجَنَّبْتَ تَنُّورًا مِنَ النَّارِ حَامِيًا لِدِينِكَ رَبًّا لَيْسَ رَبٌّ كَمِثْلِهِ ... وَتَرْكِكَ جِنَانَ الْجِبَالِ كَمَا هِيَا أَقُولُ إِذَا أُهْبِطْتُ أَرْضًا مَخُوفَةً ... حَنَانَيْكَ لَا تُظْهِرْ عَلَىَّ الْأَعَادِيَا حَنَانَيْكَ إِنَّ الْجِنَّ كَانَتْ رَجَاءَهُمْ ... وَأَنْتَ إِلَهِي رَبَّنَا وَرَجَائِيَا لَتَدَّرِكَنَّ الْمَرْءَ رَحْمَةُ رَبِّهِ ... وَإِنْ كَانَ تَحْتَ الْأَرْضِ سَبْعِينَ وَادِيًا أَدِينُ لِرَبٍّ يَسْتَجِيبُ وَلَا أَرَى ... أَدِينُ لِمَنْ لَا يَسْمَعُ الدَّهْرَ دَاعِيًا أَقُولُ إِذَا صَلَّيْتُ فِي كُلِّ بَيْعَةٍ ... تَبَارَكْتَ قَدْ أَكْثَرْتُ بِاسْمِكَ دَاعِيًا تَقَدَّمَ أَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، خَرَجَ إِلَى الشَّامِ هُوَ وَوَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ فَتَنَصَّرُوا إِلَّا زَيْدًا فَإِنَّهُ لَمْ يَدْخُلْ فِي شَيْءٍ مِنَ الَأَدْيَانِ، بَلْ بَقِيَ عَلَى فِطْرَتِهِ; مِنْ عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ
পৃষ্ঠা - ১৪২৪
لَا شَرِيكَ لَهُ مُتَّبِعًا مَا أَمْكَنَهُ مِنْ دِينِ إِبْرَاهِيمَ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ، وَأَمَّا وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ فَسَيَأْتِي خَبَرُهُ فِي أَوَّلِ الْمَبْعَثِ، وَأَمَّا عُثْمَانُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ فَأَقَامَ بِالشَّامِ حَتَّى مَاتَ فِيهَا عِنْدَ قَيْصَرَ، وَلَهُ خَبَرٌ عَجِيبٌ ذَكَرُهُ الْأُمَوِيُّ، وَمُخْتَصَرُهُ أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ عَلَى قَيْصَرَ فَشَكَى إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ كَتَبَ لَهُ إِلَى ابْنِ جَفْنَةَ مَلِكِ عَرَبِ الشَّامِ لِيُجَهِّزَ مَعَهُ جَيْشًا لِحَرْبِ قُرَيْشٍ فَعَزَمَ عَلَى ذَلِكَ فَكَتَبَتْ إِلَيْهِ الْأَعْرَابُ تَنْهَاهُ عَنْ ذَلِكَ لِمَا رَأَوْا مِنْ عَظَمَةِ مَكَّةَ، وَكَيْفَ فَعَلَ اللَّهُ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ فَكَسَاهُ ابْنُ جَفْنَةَ قَمِيصًا مَصْبُوغًا مَسْمُومًا فَمَاتَ مِنْ سُمِّهِ فَرَثَاهُ زَيْدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِشِعْرٍ، ذَكَرَهُ الْأُمَوِيُّ تَرَكْنَاهُ اخْتِصَارًا. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ قَبْلَ الْمَبْعَثِ بِثَلَاثِ سِنِينَ أَوْ نَحْوِهَا وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.