আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر بني إسماعيل وما كان من أمور الجاهلية إلى زمان البعثة

পৃষ্ঠা - ১২৭২
ষ্ষ্


তরবারীগুলো এবং অন্য কতক বন্তু কাব৷ শরীফ থেকে খুলে নিয়ে সবগুলো যমযম কুপের মধ্যে
পুতে ফেলে এবং যমযম কুপে একটি চিহ্ন স্থাপন করে ৷ অবশেষে নিজের সম্প্রদায়ের
লোকজনসহ সে ইয়ামানে ফিরে যায় ৷
এ উপলক্ষে দলনেত৷ আমর ইবন হ ৷রিছ ইবন মুদা দ বলেন ং
এ সব প্ৰত্যাবতনিঃকারী কাফেলা তাদের অশ্রুরাশি ৷দ্রুত গড়িয়ে পড়ছে ৷ এদিকে চোখের
অশ্রু ঝড়ি য়ে মক্কার হ তীম ও সম্মানিত ৩স্থানগুলােও পুর্বদিকে যাত্রা করেছে ৷
;fi ং;,াহ্নি
যেন সুদুর সাফা পর্বত পর্যন্ত পাহাড়ে পর্বতে তার কে ন বন্ধু ছিল না এবং ছিল না মক্কা
ভুমে রাত্রে একান্ত কথা বলার কো ন সুজন ৷

ঞ এ্যা

প্রিয়ভুমি মক্কার উদ্দেশ্যে আমি বললাম তখন আমার হৃদয় এমন অস্থির ছিল, যেমন থাকে
দু’ পাখা র মাঝখানে মাথা আছড়ানাে পাখি ৷

’ ং ’ ’ : ’ : ’ ’ ,ণ্ ’ ’ fl

হী৷ আমব ই তার উপযুক্ত অধিবাসী ছিলাম, অত ংপর যুগচক্র ও বদনসীবী আমাদেরকে
সেখান থেকেও ৷ড়িয়ে দিল ৷

৷ ১১া’, ঢ়ব্র,

নাবিতের পর আমরাই আল্লাহর পৃহের তত্ত্বাবধায়ক ছিলাম, সেই সুত্রে আমরা ঐ পৃহের
তাওয়াফ করতাম ৷ এতে কল্যাণ ও লাভ তো সুস্পষ্ট ৷

নাবিতের পর আমরা অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের সাথে ঐ পৃহের তত্ত্বাবধান করেছি ৷ ফলে
পরম ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিও আমাদের ন্যায় সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি ৷
,ব্লুাট্রুর্শ্ব ৷ট্রুর্চ র্চু,,ট্রু;ট্র মোঃ
আমরা রাজত্ব লাভ করেছি, আমরা সম্মানের অধিকারী হয়েছি আমাদের রাজতু ছিল পরম

গৌরবের ৷ সেখানে আমরা ব্যতীত অন্য কৈান গোত্র ও সম্প্রদায়ের জন্যে অহংকার প্রদর্শনের
অবকাশ ছিল না ৷


তোমরা কি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করনিঃ নিশ্চয়ই আমি তো তা
জা ৷নি ৷ সুতরাং সে ব্যক্তির ছেলেমেয়ে আমাদেরই রক্ত সম্পর্কিত এবং আমরা শ্বশুর গোষ্ঠী ৷

’,’১াষ্টুদ্বু;৷ ৷ ৷ট্রুরুপু ১, ৰুা৷শু ৷হ্;৷ ;,াট্রুর্ধ্ব এে;,


[بَابُ ذِكْرِ بَنِي إِسْمَاعِيلَ وَمَا كَانَ مِنْ أُمُورِ الْجَاهِلِيَّةِ إِلَى زَمَانِ الْبَعْثَةِ] [ذِكْرُ مَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُ الْعَرَبِ بَعْدَ وَفَاةِ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] بَابُ ذِكْرُ بَنِي إِسْمَاعِيلَ وَمَا كَانَ مِنْ أُمُورِ الْجَاهِلِيَّةِ إِلَى زَمَانِ الْبَعْثَةِ تَقَدَّمَ ذِكْرُ إِسْمَاعِيلَ نَفْسِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَعَ ذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ، وَكَيْفَ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ حِينَ احْتَمَلَهُ أَبُوهُ ابْرَاهِيمَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَعَ أُمِّهِ هَاجَرَ فَأَسْكَنَهَا بِوَادِي مَكَّةَ بَيْنَ جِبَالِ فَارَانَ حَيْثُ لَا أَنِيسَ بِهِ وَلَا حَسِيسَ وَكَانَ إِسْمَاعِيلُ رَضِيعًا، ثُمَّ ذَهَبَ وَتَرَكَهُمَا هُنَالِكَ عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ، لَيْسَ عِنْدَ أُمِّهِ سِوَى جِرَابٌ فِيهِ تَمْرٌ، وَوِكَاءٌ فِيهِ مَاءٌ فَلَمَّا نَفِدَ ذَلِكَ أَنْبَعَ اللَّهُ لِهَاجَرَ زَمْزَمَ الَّتِي هِيَ طَعَامُ طُعْمٍ، وَشِفَاءُ سُقْمٍ كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ الطَّوِيلِ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ، ثُمَّ نَزَلَتْ جُرْهُمٌ، وَهِيَ طَائِفَةٌ مِنَ الْعَرَبِ الْعَارِبَةِ مِنْ أُمَمِ الْعَرَبِ الْأَقْدَمِينَ عِنْدَ هَاجَرَ بِمَكَّةَ عَلَى أَنْ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْمَاءِ شَيْءٌ إِلَّا مَا يَشْرَبُونَ مِنْهُ، وَيَنْتَفِعُونَ بِهِ فَاسْتَأْنَسَتْ هَاجَرُ بِهِمْ، وَجَعَلَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُطَالِعُ أَمْرَهُمْ فِي كُلِّ حِينٍ يُقَالَ: إِنَّهُ كَانَ يَرْكَبُ الْبُرَاقَ مِنْ بِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فِي ذَهَابِهِ وَإِيَابِهِ، ثُمَّ لَمَّا تَرَعْرَعَ الْغُلَامُ وَشَبَّ، وَبَلَغَ مَعَ أَبِيهِ السَّعْيَ كَانَتْ قِصَّةُ الذَّبْحِ كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ
পৃষ্ঠা - ১২৭৩
إِسْمَاعِيلُ عَلَى الصَّحِيحِ. ثُمَّ لَمَّا كَبِرَ تَزَوَّجَ مِنْ جُرْهُمٍ امْرَأَةً ثُمَّ فَارَقَهَا وَتَزَوَّجَ غَيْرَهَا، وَتَزَوَّجَ بِالسَّيِّدَةِ بِنْتِ مُضَاضِ بْنِ عَمْرٍو الْجُرْهُمِيِّ، وَجَاءَتْهُ بِالْبَنِينَ الِاثْنَيْ عَشَرَ كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُمْ، وَهُمْ نَابِتٌ وَقَيْذَرُ وَمِيشَا وَمِسْمَعٌ وَمَاشَى وَدُمَا وَأُدَرُ وَيَطُورُ وَنَبِشٌ وَطِيمَا وَقَيْذُمَا، هَكَذَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ عَنْ كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَهُ ابْنَةٌ وَاحِدَةٌ اسْمُهَا نَسَمَةُ، وَهِيَ الَّتِي زَوَّجَهَا مِنِ ابْنِ أَخِيهِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ ابْرَاهِيمَ فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا الرُّومُ وَالْيُونَانُ وَالْأَشْبَانُ أَيْضًا فِي أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ. ثُمَّ جَمِيعُ عَرَبِ الْحِجَازِ عَلَى اخْتِلَافِ قَبَائِلِهِمْ يَرْجِعُونَ فِي أَنْسَابِهِمْ إِلَى وَلَدَيْهِ نَابِتٍ وَقَيْذَرَ وَكَانَ الرَّئِيسُ بَعْدَهُ وَالْقَائِمُ بِالْأُمُورِ الْحَاكِمُ فِي مَكَّةَ وَالنَّاظِرُ فِي أَمْرِ الْبَيْتِ وَزَمْزَمَ: نَابِتُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ ابْنُ أُخْتِ الْجُرْهُمِيِّينَ، ثُمَّ تَغَلَّبَتْ جُرْهُمٌ عَلَى الْبَيْتِ طَمَعًا فِي بَنِي أُخْتِهِمْ فَحَكَمُوا بِمَكَّةَ وَمَا وَالَاهَا عِوَضًا عَنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ مُدَّةً طَوِيلَةً فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ صَارَ إِلَيْهِ أَمْرُ الْبَيْتِ بَعْدَ نَابِتٍ مُضَاصَ بْنَ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ الرَّقِيبِ بْنِ هِينِ بْنِ نَبْتِ بْنِ جُرْهُمٍ، وَجُرْهُمُ بْنُ قَحْطَانَ، وَيُقَالُ: جُرْهُمُ بْنُ يَقْطُنَ بْنُ عَيْبَرِ بْنِ شَالَخَ بْنِ أَرْفَخْشَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ الْجُرْهُمِيُّ وَكَانَ نَازِلًا بِأَعْلَى مَكَّةَ بِقُعَيْقِعَانَ وَكَانَ السَّمَيْدَعُ سَيِّدُ قَطُورَاءَ نَازِلًا بِقَوْمِهِ فِي أَسْفَلِ
পৃষ্ঠা - ১২৭৪
ষ্ষ্


পৃথিবী যদি তার পুর্বাবস্থা সহকারে পুনরায় আমাদের নিকট ফিরে আসে তবে তখন তার
একটা স্মবণযােগ্য অবস্থা সৃষ্টি হবে এবং তাতে পরস্পর প্রতিদ্বন্দিতা ও মুক৷ ৷বিল৷ হবে ৷


মহান মালিক ও প্রভু আপন কুদরতে আমাদেরকে ওখান থেকে বের করে দিলেন ৷ হায়
ভাবেই মানুষের জন্যে অদৃষ্টের লিখন কার্যকর থাকে ৷

ব্লুশুা ন্ব্লু র্দুাব্লুষ্ট্রা
উদ্বেগ উৎকণ্ঠাহীন ব্যক্তিবর্গ যখন নিশ্চিস্তে ঘুমায় তখনও আমি ঘুমাই না , আমি জেগে
জেগে বলি, হায় আরশ যেন সুহায়ল ও আমিরকে বিতাড়িত না করে ৷

’ব্লুন্া১ঠু’ব্লু ’ব্লুৰুৰু ৷ৰুণ্ ধ্ান্ ৷প্ ৷ৰু ৷ ১৷ ৷ৰুৰুব্লু ৷ ৷হু;ৰুৰু ছুট্রুাঠুঠু ব্লু
শেষ পর্যন্ত আমার পরিবর্তে এমন কতক লোককে স্থান দেয়৷ হয় আমি যাদেরকে তা ৷লবাসি
না৷ তারা হল হিমযার ও ইউহাবির গো ত্র ৷

শ্ স্


অনম্ভর আমরা হয়ে গেলাম কাহিনীর বিষয়বস্তু ও ইতিহাসের উপাদান ৷ অথচ আমরা
ছিলাম অন্যের ঈষৰি কারণ ৷ অনাগতৃ কাল পরিক্রমা আমাদেরকে দৎশন করেছে ৷

০ : ,;

ব্লু;এেদ্বু ৷ ৷ৰুট্রু ১ব্লু
চোখে অশ্রু নির্গত হল অবিরাম, সেই শহরের জন্যে ক্রন্দনের কারণে যে শহরে রয়েছে
হারাম শরীফ এবং যেখানে রয়েছে কুদরতের নিদর্শনাবলী ৷

পু,ৰুর্দুট্রুব্লু
চক্ষু ক্রন্দন করছিল সেই মহান গৃহের জন্যে যেখানে কবু৩ তর কষ্ট পায় না ৷ বরং যেখানে
এসে নিরাপদে ছায়া ভোগ করে , যেখানে রয়েছে নিরুদ্বিগ্ন চড়ুই পাখির দল ৷
’ব্লুএ্াছুছু
সেখানে রয়ের্দুছ বন্য পশু পাখি; সেগুলোকে (পড়ায় মানানোর প্রয়াস চাওয়া হয় না সেগুলো
সেখান থেকে একবার বেরিয়ে গেলেও স্থায়ীভাবে সে স্থান ছেড়ে যায় না ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, জুরহুমীদের পরে মক্কার কৃর্তৃতু গ্রহণকারী বনু বকর ও গাবশান
গোত্রের কথা উল্লেখ করে আমর ইবন হারিছ ইবন মুদাদ আরও বলেছেন :


হে লোক সকল (বনু বকর ও গাবশান) ণ্তাযরা ভ্রমণ কর এ০িতৈয় যাও কারণ

তোমাদের শেষ সীমানা এ৩ তটুকু যে, এমন একদিন আসবে যখন তোমরা আর চলাচল করতে
পারবে না



ণ্ব্লুব্লুন্ণ্;ঞও£০ ৷ব্লুব্লুব্লুব্লু ,£ৰু৷ ৷ ট্রুাট্রু ট্র গ্লুণ্ ; ৷ ৷ব্লু ব্লু ৷ ব্লু ফ্লো ৰু৷ ৷ ৷ব্লু;’১


مَكَّةَ، وَكُلٌّ مِنْهُمَا يَعْشُرُ مَنْ مَرَّ بِهِ مُجْتَازًا إِلَى مَكَّةَ ثُمَّ وَقَعَ بَيْنَ جُرْهُمٍ، وَقَطُورَاءَ فَاقْتَتَلُوا فَقُتِلَ السَّمَيْدَعُ، وَاسْتَوْثَقَ الْأَمْرُ لِمُضَاضٍ وَهُوَ الْحَاكِمُ بِمَكَّةَ وَالْبَيْتِ لَا يُنَازِعُهُ فِي ذَلِكَ وَلَدُ إِسْمَاعِيلَ مَعَ كَثْرَتِهِمْ وَشَرَفِهِمْ، وَانْتِثَارِهِمْ بِمَكَّةَ وَبِغَيْرِهَا، وَذَلِكَ لِخُئُولَتِهِمْ لَهُ، وَلِعَظَمَةِ الْبَيْتِ الْحَرَامِ، ثُمَّ صَارَ الْمُلْكُ بَعْدَهُ إِلَى ابْنِهِ الْحَارِثِ، ثُمَّ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، ثُمَّ بَغَتْ جُرْهُمٌ بِمَكَّةَ، وَأَكْثَرَتْ فِيهَا الْفَسَادَ، وَأَلْحَدُوا بِالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ حَتَّى ذُكِرَ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ يُقَالَ: لَهُ إِسَافُ بْنُ بَغِيٍّ، وَامْرَأَةٌ يُقَالُ لَهَا: نَائِلَةُ بِنْتُ وَائِلٍ اجْتَمَعَا فِي الْكَعْبَةِ فَكَانَ مِنْهُ إِلَيْهَا الْفَاحِشَةُ فَمَسَخَهُمَا اللَّهُ حَجَرَيْنِ فَنَصَبَهُمَا النَّاسُ قَرِيبًا مِنَ الْبَيْتِ لِيَعْتَبِرُوا بِهِمَا فَلَمَّا طَالَ الْمَطَالُ بَعْدَ ذَلِكَ بِمُدَدٍ، عُبِدَا مِنْ دُونِ اللَّهِ فِي زَمَنِ خُزَاعَةَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ فَكَانَا صَنَمَيْنِ مَنْصُوبَيْنِ يُقَالُ لَهُمَا: إِسَافٌ وَنَائِلَةُ فَلَمَّا أَكْثَرَتْ جُرْهُمٌ الْبَغْيَ بِالْبَلَدِ الْحَرَامِ تَمَالَأَتْ عَلَيْهِمْ خُزَاعَةُ الَّذِينَ كَانُوا نَزَلُوا حَوْلَ الْحَرَمِ كَانُوا مِنْ ذُرِّيَّةِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الَّذِي خَرَجَ مِنَ الْيَمَنِ لِأَجْلِ مَا تَوَقَّعَ مِنْ سَيْلِ الْعَرِمِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَقِيلَ: إِنَّ خُزَاعَةَ مِنْ بَنِي إِسْمَاعِيلَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمُ اجْتَمَعُوا لِحَرْبِهِمْ وَآذَنُوهُمْ بِالْحَرْبِ وَاقْتَتَلُوا، وَاعْتَزَلَ بَنُو إِسْمَاعِيلَ كِلَا الْفَرِيقَيْنِ فَغَلَبَتْ خُزَاعَةُ، وَهُمْ بَنُو بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ وَغُبْشَانُ
পৃষ্ঠা - ১২৭৫
ষ্ষ্


উটকে উত্তেজিত কর, উদ্বেলিত কর এবং তার লাগাম শিথিল করে দাও মৃত্যু আমার পুর্বেই
এবং যা করতে চাও মৃত্যুর পুর্বেই তা করে না ও ৷

শ্ ষ্ ’ : ,,,,, : ’ : ’<

তোমরা এখন যেমন আমরাও একসময় তেমন ছিলাম ৷ কা লচক্র আমাদেরকে পরিবর্তিত ও
স্থানান্তরিত করে দিয়েছে ৷ আমরা যেরুপ হয়েছি আমাদের যে পরিণতি হয়েছে তােমরাও যেরুপ
হবে ৷

ইবন হিশাম্ (র) বলেন, আমর ইবন হারিছের কবিতাগুলাের মধ্যে এগুলোই আমরা বিশুদ্ধ
সুত্রে পেয়েছি কতক কবিতা বিশেষজ্ঞ আমাকে জানিয়েছেন যে, এগুলেইি আদি আরবী কবিতা ৷
ইয়ামড়ান দেশে পাথরে লিখিত অবস্থায় এগুলো পাওয়া গেছে ৷ এগুলো রনো করেছে কোন ব্যক্তি
তার অবশ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি ৷ সুহায়লী (র) এগুলোর সম পর্যায়ের অনুরুপ আরো কতক
কবিতা উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে এক অদ্ভুত ঘটনা ৷ও বর্ণনা করেছেন এগুলো অন্য ভাষা
থেকে আরবীতে রুপ৷ ৷ন্তরিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন ৷

তিনি বলেন, আবুল ওলীদ আযরাকী তার ফাযায়েলে মক্কা গ্রন্থে আমর ইবন হারিছের
উপরোল্পেখিত কবিতা ৷র সাথে নিম্বো ৷ক্ত কবিতাগুলো সংযোজন করেছেন ৷


কালচক্র আমাদেরকে আঘাত করেছে অত০পর আমাদের মধ্যে সত্যদ্রোহীতা ৷সৃষ্টি করে
আমাদেরকে ধ্বংস করেছে ৷ অথচ মানুষের মধ্যে সাহসী ও দক্ষ যোদ্ধা ৷ছিল আমাদের
লোকগুলাে ৷

: ৩ ’ ৩ ’ ণ্ : :

৷ এ
তোমাদের পুর্বে যায়৷ ছিল তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোজ খবর নাও, তবে জানতে পারবে
যে, আমাদের জন্যে সত্য পথ যেমন উন্মুক্ত হয়েছিল শেষ পর্যন্ত অপমান ও লাঞ্চুনাও তেমনি
এসেছে ৷


া১স্পি ণ্এ৷ ৷ ব্লুৰু১ং র্শে
তোমাদের পুর্বে দীর্ঘক৷ ৷ল আমরা মানুষের উপর রাজত্ব করেছি আল্লাহ তাআলার সম্মানিত
স্থান হ ৷রাম শরীফে বসবাস করেছি আমরা ৷ ৰু

খুযাআ গোত্র, আমর ইবন লুহাই এবং আরবদের মুর্তি পুজার সুচনা

ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু বকর ইবন আব্দ মানাতকে বাদ দিয়ে থুযাআ গোত্রের
পাবশান উপগােত্র কাবা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হয় ৷ আমর ইবন হারিছ পাবশানী উক্ত
উপগোত্রের দলপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে ৷ কুরায়শ গোত্র তখন পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও বনী কিনানার
বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল ৷


وَأَجْلَوْهُمْ عَنِ الْبَيْتِ فَعَمَدَ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ الْجُرْهُمِيُّ - وَهُوَ سَيِّدُهُمْ - إِلَى غَزَالَيِ الْكَعْبَةِ - وَهُمَا مِنْ ذَهَبٍ - وَحَجَرِ الرُّكْنِ - وَهُوَ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ - وَإِلَى سُيُوفٍ مُحَلَّاةٍ، وَأَشْيَاءَ أُخَرَ فَدَفَنَهَا فِي زَمْزَمَ وَعَلَّمَ زَمْزَمَ، وَارْتَحَلَ بِقَوْمِهِ فَرَجَعُوا إِلَى الْيَمَنِ، وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ وَقَائِلَةٍ وَالدَّمْعُ سَكْبٌ مُبَادِرٌ ... وَقَدْ شَرِقَتْ بِالدَّمْعِ مِنْهَا الْمَحَاجِرُ كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْحَجُونِ إِلَى الصَّفَا ... أَنِيسٌ وَلَمْ يَسْمَرْ بِمَكَّةَ سَامِرُ فَقُلْتُ لَهَا وَالْقَلْبُ مِنِّي كَأَنَّمَا ... يُلَجْلِجُهُ بَيْنَ الْجَنَاحَيْنِ طَائِرُ بَلَى نَحْنُ كُنَّا أَهْلَهَا فَأَزَالَنَا ... صُرُوفُ اللَّيَالِي وَالْجُدُودُ الْعَوَاثِرُ وَكُنَّا وُلَاةَ الْبَيْتِ مِنْ بَعْدِ نَابِتٍ ... نَطُوفُ بِذَاكَ الْبَيْتِ وَالْخَيْرُ ظَاهِرُ وَنَحْنُ وَلِينَا الْبَيْتَ مِنْ بَعْدِ نَابِتٍ ... بِعِزٍّ فَمَا يَحْظَى لَدَيْنَا الْمُكَاثِرُ مَلَكْنَا فَعَزَّزْنَا فَأَعْظِمْ بِمُلْكِنَا ... فَلَيْسَ لِحَيٍّ غَيْرِنَا ثَمَّ فَاخِرُ أَلَمْ تُنْكِحُوا مِنْ خَيْرِ شَخْصٍ عَلِمْتُهُ ... فَأَبْنَاؤُهُ مِنَّا وَنَحْنُ الْأَصَاهِرُ فَإِنْ تَنْثَنِ الدُّنْيَا عَلَيْنَا بِحَالِهَا ... فَإِنَّ لَهَا حَالًا وَفِيهَا التَّشَاجُرُ فَأَخْرَجَنَا مِنْهَا الْمَلِيكُ بِقُدْرَةٍ ... كَذَلِكَ يَا لَلنَّاسِ تَجْرِي الْمَقَادِرُ
পৃষ্ঠা - ১২৭৬
أَقُولُ إِذَا نَامَ الْخَلِيُّ وَلَمْ أَنَمْ أَذَا الْعَرْشِ لَا يَبْعُدْ سُهَيْلٌ وَعَامِرُ ... وَبُدِّلْتُ مِنْهَا أَوْجُهًا لَا أُحِبُّهَا قَبَائِلُ مِنْهَا حِمْيَرٌ وَيَحَابِرُ ... وَصِرْنَا أَحَادِيثًا وَكُنَّا بِغِبْطَةٍ بِذَلِكَ عَضَّتْنَا السُّنُونُ الْغَوَابِرُ ... فَسَحَّتْ دُمُوعُ الْعَيْنِ تَبْكِي لِبَلْدَةٍ بِهَا حَرَمٌ أَمْنٌ وَفِيهَا الْمَشَاعِرُ ... وَتَبْكِي لِبَيْتٍ لَيْسَ يُؤْذَى حَمَامُهُ يَظَلُّ بِهِ أَمْنًا وَفِيهِ الْعَصَافِرُ. وَفِيهِ وُحُوشٌ لَا تُرَامُ أَنِيسَةٌ ... إِذَا خَرَجَتْ مِنْهُ فَلَيْسَتْ تُغَادِرُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ - أَيْضًا - يَذْكُرُ بَنِي بَكْرٍ وَغُبْشَانَ الَّذِينَ خَلَفُوا بَعْدَهُمْ بِمَكَّةَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ سِيرُوا إِنَّ قَصْرَكُمْ ... أَنْ تُصْبِحُوا ذَاتَ يَوْمٍ لَا تَسِيرُونَا حُثُّوا الْمَطِيَّ وَأَرْخُوا مِنْ أَزِمَّتِهَا ... قَبْلَ الْمَمَاتِ وَقَضُّوا مَا تُقَضُّونَا كُنَّا أُنَاسًا كَمَا كُنْتُمْ فَغَيَّرَنَا ... دَهْرٌ فَأَنْتُمْ كَمَا صِرْنَا تَصِيرُونَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ هَذَا مَا صَحَّ لَهُ مِنْهَا، وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ أَنَّ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ أَوَّلُ شِعْرٍ قِيلَ فِي الْعَرَبِ، وَأَنَّهَا وُجِدَتْ مَكْتُوبَةً فِي حَجَرٍ بِالْيَمَنِ، وَلَمْ يُسَمَّ قَائِلُهَا، وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ لِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ إِخْوَةً وَحَكَى
পৃষ্ঠা - ১২৭৭
ষ্ষ্


ঐতিহড়াসিকগণ বলেন, ইয়ামান ত্যাগ করে লিবিয়া অভিমুখে যাত্রা কালে আমরা আমর
ইবন আমিরের বংশধরদের মধ্য থেকে ত রা বিচ্ছিন্ন ও পৃথক হয়ে যাওয়ার কারণে এদেরকে
খুযাআ (বিচ্ছিন্নত৷ দল) বলা হয়? মাররুয় মাহরান নামক স্থানে এসে তারা বসবাস করতে
থাকে ৷

আওন ইবন অ৷ ৷ইয়ুব আনসারী খায়রাজী (বা) এ প্রস্ ৎগে বলেন ং

এে
আমরা যখন মরু অঞ্চলে অবতরণ করি তখন খুযা আ ৰুা৷ত্র দলবদ্ধডাবে আমাদের থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷

৩ এ fl

৩ারা তিহাম৷ অঞ্চলের সকল উপত্যকা ৎরক্ষণ করেছে এবং সুকঠিন বর্শ৷ ও সুর্তীক্ষ্ণ ধার
তরবারী৷ দ্ব ৷রা নিজেদেরকে রক্ষ৷ করেছে

আবুল মুতাহ্হার ইসমাঈল ইবন রাফি আনসারী আওসী বলেন ৪-
ধ্াস্ক্রো ৷ ৮াহ্র ১৷ ৷ ৷ হু ই; ৷ )ছু — ঠু৷ &:<; র্দুট্রুপুণ্ন্ ৷ঠুাৰু ঠুগু এে
আমরা যখন মক্কার জমিতে অবতরণ করলাম তখন খুযাঅ৷ ঐ বৃক্ষ ভর্তি থেজুরের দেশের
প্ৰশ্৷ ৎস৷ করল ৷

৷ ;াত্রৈ ণ্
অতঃপর তারা দলবদ্ধভাবে সেখানে নেমে পড়ল আর ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে
নাজদের উচ্চ ভুমি ও সমুদ্র তীরের মধ্যবর্তী সকল গোত্রের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল ৷

) ষ্ fl ৷ষ্


তারা মক্কা ভুমি থেকে জুরুহুম গোত্রীয় লোকদেরকে বিতাড়িত করে এবং সুঠামদেহী
খুযা আ গো ৷ত্রীয় সম্মানের পােশাকত রা৷ পরিধান করেছে ৷

বন্তুত খুযাআ গোত্র তখন বায়তুল্লাহ শরীফের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হয় ৷ পুরুষানুক্রমে
একের পর এক তার৷ ঐ দায়িতৃ পালন করে ৷ এই পর্যায়ে তাদের শেষ ব্যক্তি ছিল খলীল ইবন
হাবিশিয়্যা ইবন সালুর্ল ইবন বা ব ইবন আমর ইবন রষী আ খুযাঈ ৷ কৃস ই ইবন কিলাব
খলীলের কন্যা হিরীকে বিবাহ করে ৷ এই শ্ৰীর ঘরে তিনি ৪টি পুত্র সন্তান লাভ করেন ৷ তারা
হল আবদুদ্দার, আবৃদ মানাফ, আবদুল উঘৃযা ও আবৃদ নামে অপর একজন ৷ অতঃপর
বায়তুল্লাহ শরীফের তত্ত্বাবধানের দায়িতৃ আসে কুসাই ইবন কিলাবের ৷তে ৷ এ বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা য়থাস্থানে আসবে ইনশাআল্লাহ ৷

খুযাআ গোত্র এক ধিক্রমে প্রায় ৩০০ বছর মতাম্ভার ৫০০ বছর বায়তুল্লাহ শরীফ দেখা
শোনা র দ ৷য়িতৃ পালন করে ৷ আল্পাহইভ ৷ল জানেন ৷ তাদের সময়কালে তারা জঘন্য অনাচারে


عِنْدَهَا حِكَايَةً مُعْجِبَةً، وَإِنْشَادَاتٍ مُعَرَّبَةً قَالَ: وَزَادَ أَبُو الْوَلِيدِ الْأَزْرَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " فَضَائِلِ مَكَّةَ " عَلَى هَذِهِ الْأَبْيَاتِ الْمَذْكُورَةِ الْمَنْسُوبَةِ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ قَدْ مَالَ دَهْرٌ عَلَيْنَا ثُمَّ أَهْلَكَنَا ... بِالْبَغْيِ فِينَا وَبَزَّ النَّاسَ نَاسُونَا إِنَّ التَّفَكُّرَ لَا يُجْدِي بِصَاحِبِهِ ... عِنْدَ الْبَدِيهَةِ فِي عِلْمٍ لَهُ دُونَا قَضُّوا أُمُورَكُمُ بِالْحَزْمِ إِنَّ لَهَا ... أُمُورَ رُشْدٍ رَشَدْتُمْ ثُمَّ مَسْنُونَا وَاسْتَخْبِرُوا فِي صَنِيعِ النَّاسِ قَبْلَكُمُ ... كَمَا اسْتَبَانَ طَرِيقٌ عِنْدَهُ الْهُونَا كُنَّا زَمَانًا مُلُوكَ النَّاسِ قَبْلَكُمُ ... بِمَسْكَنٍ فِي حَرَامِ اللَّهِ مَسْكُونَا
পৃষ্ঠা - ১২৭৮
[قِصَّةُ خُزَاعَةَ وَعَمْرِو بْنِ لُحَيٍّ وَعِبَادَةِ الْعَرَبِ لِلْأَصْنَامِ] قِصَّةُ خُزَاعَةَ وَعَمْرِو بْنِ لُحَيٍّ وَعِبَادَةِ الْعَرَبِ لِلْأَصْنَامِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ غُبْشَانَ مِنْ خُزَاعَةَ، وَلِيَتِ الْبَيْتَ دُونَ بَنِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ وَكَانَ الَّذِي يَلِيهِ مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ الْغُبْشَانِيُّ، وَقُرَيْشٌ إِذْ ذَاكَ حُلُولٌ، وَصِرْمٌ وَبُيُوتَاتٌ مُتَفَرِّقُونَ فِي قَوْمِهِمْ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ. قَالُوا: وَإِنَّمَا سُمِّيَتْ خُزَاعَةُ خُزَاعَةَ; لِأَنَّهُمْ تَخَزَّعُوا مِنْ وَلَدِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ حِينَ أَقْبَلُوا مِنَ الْيَمَنِ يُرِيدُونَ الشَّامَ فَنَزَلُوا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَأَقَامُوا بِهِ قَالَ عَوْنُ بْنُ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ، ثُمَّ الْخَزْرَجِيُّ فِي ذَلِكَ فَلَمَّا هَبَطْنَا بَطْنَ مَرٍّ تَخَزَّعَتْ ... خُزَاعَةُ مِنَّا فِي حُلُولٍ كَرَاكِرِ حَمَتْ كُلَّ وَادٍ مِنْ تِهَامَةَ وَاحْتَمَتْ ... بِصُمِّ الْقَنَا وَالْمُرْهَفَاتِ الْبَوَاتِرِ
পৃষ্ঠা - ১২৭৯
ষ্ষ্


লিপ্ত হয় ৷ কারণ তাদের শাসনামলেই হেজাযে সর্বপ্রথম মুর্তি পুজার প্রচলন ঘটে ৷ এ অপকর্মের
মুল হোতা ছিল তাদের নেতা আমর ইবন লুহ ই ৷ তার প্রতি ৩আল্লাহ্র লা’নত হোক কেননা
সেই সর্বপ্রথম তাদেরকে মুর্তি পুজার দিকে আহ্বান করে ৷ সে অপাধ ধন সম্পত্তির অধিকারী ৷
কথিত ৩আছে যে, যে ২০টি উটের চোখ বিদ্ধ করেছিল ৷ অর্থাৎ যে ২ ণ্) হাজার উটের মালিক
হয়েছিল ৷ আরব দেশে প্রথা ছিল যে, কেউ এক হাজার উটের মালিক হলে সে একটি উটের
চোখ বিদ্ধ করতো ৷ এটি দ্বারা তারা অবশিষ্ট উটগুলোর প্রতি রদনজর প্রতিরোধের ধারণা
পোষণ করত ৷ আযরকী এরুপ বলেছেন ৷

সুহায়লী বলেন, আমর ইবন লুহাই কোন কোন সময়ে হজ্জ উপলক্ষে দশ হাজার উট জবাই
করত, প্রতিবছর দশ হাজার জোড়া বস্ত্র দান করত ৷ আরবদের জন্যে ভোজের আয়োজন
করত ৷ ঘি , মধু এবং ছাত্র দিয়ে হালুয়া তৈরি করত ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, আরবদের মাঝে
তার কথা ও কাজ শরীয়তের মত অনুসরণ করতো ৷ এটি ছিল তার মর্যাদা, অবস্থান ও তাদের
প্রতি৩ ৷ ৷র অকা তর বদান্যতড়ার ফল ৷

ইবন হিশাম (র) বলেন, কতক বিত্তজন আমাকে জানিয়েছেন যে, একদা আমর ইবন
লুহাই কোন এক কাজে মক্কা থেকে সিরিয়া গমন করে ৷ বালকা অঞ্চলে মাআব নামক স্থানে
গিয়ে সে দেখতে পায় যে, সেখানকার লোকজন প্রতিমা পুজা করছে ৷ এ অঞ্চলে তখন বসবাস
করত আমালীক সম্প্রদায় ৷৩ তারা ইসলাক এর বংশধর ৷

কেউ কেউ বলেন, তারা হল আমালীক ইবন লাওয ইবন সাম ইবন নুহ (আ)-এর
ৎশধর ৷ প্রতিমা পুজায় লিপ্ত দেখে সে বলল, এগুলো কেমন প্রতিমা যে তোমরা এগুলোর
উপাসনা করছ? তারা বললেন, আমরা এ সকল প্ৰতিমার উপাসনা করি, অতঃপর আমরা
ওগুলাের নিকট বৃষ্টি চাইলে ওরা আমাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণ করে ৷ আমরা ওগুলোর নিকট
সাহায্য কামনা করলে ওরা আমাদেরকে সাহায্য করে ৷ আমর বলল, তোমরা কি আমাকে একটি
প্রতিমা দািব যে, আমি সেটি নিয়ে আরব অঞ্চলে যাব এবং আরবগণ এটির উপাসনা করবেঃ
ওরা তাকে হুবল নামের একটি প্রতিমা দান করে এবং লোকজনকে সেটির উপাসনা করার এবং
সেটির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দেয় ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, হযরত ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরদের মধ্যে সর্বপ্রথম মুর্তি
পুজা প্রচলনের সুচনা সম্পর্কে ঐতিহড়াসিকদের ধারণা এই যে, মক্কায় জনজীবন সংকুচিত ও
সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাদের কোন কাফেলা তা থেকে মুক্তিলাভ ও স্বচ্ছত৷ অর্জনের আশায়
অন্য এলাকায় সফর করত ৷ তখন তারা হারাম শরীফের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও বরকত লাভের
আশায় হারাম শরীফের এক একটি পাথর সাথে নিয়ে যেত ৷ তারা যেখানে র্তাবু ফেলত সেখানে
ঐ পাথর রাখত এবং বাবা শরীফের তাওয়াফের ন্যায় সেটির চারিদিকে তাওয়ড়াফ করত ৷
এভাবেই তাদের রীতি চলে আসছিল ৷ এক সময় তারা তাদের প্রিয় ও পছন্দের পাথর পেলেই
তারা উপাসনা শুরু করে দেয় ৷ অবশেষে আগমন ঘটে তাদের উত্তরসুরীদের ৷ এরা সরাসরি
মুর্তি পুজায় লিপ্ত হয় এবং সুচনা পর্বের রীতি ও উদ্দেশ্যের কথা ভুলে যায় ৷


وَقَالَ أَبُو الْمُطَهَّرِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ فَلَمَّا هَبَطْنَا بَطْنَ مَكَّةَ أَحْمَدَتْ ... خُزَاعَةُ دَارَ الْآكِلِ الْمُتَحَامِلِ فَحَلَّتْ أَكَارِيسًا وَشَتَّتْ قَنَابِلًا ... عَلَى كُلِّ حَيٍّ بَيْنَ نَجْدٍ وَسَاحِلِ نَفَوْا جُرْهُمًا عَنْ بَطْنِ مَكَّةَ وَاحْتَبَوْا ... بِعِزٍّ خُزَاعِيٍّ شَدِيدِ الْكَوَاهِلِ فَوَلِيَتْ خُزَاعَةُ الْبَيْتَ يَتَوَارَثُونَ ذَلِكَ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ حَتَّى كَانَ آخِرَهُمْ حُلَيْلُ بْنُ حُبْشِيَّةَ بْنِ سَلُولِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ رَبِيعَةَ الْخُزَاعِيُّ الَّذِي تَزَوَّجَ قُصَيُّ بْنُ كِلَابٍ ابْنَتَهُ حُبَّى فَوَلَدَتْ لَهُ بَنِيهِ الْأَرْبَعَةَ; عَبْدَ الدَّارِ وَعَبْدَ مَنَافٍ وَعَبْدَ الْعُزَّى وَعَبْدًا، ثُمَّ صَارَ أَمْرُ الْبَيْتِ إِلَيْهِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. وَاسْتَمَرَّتْ خُزَاعَةُ عَلَى وِلَايَةِ الْبَيْتِ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَقِيلَ: خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانُوا مَشْئُومِينَ فِي وِلَايَتِهِمْ; وَذَلِكَ لِأَنَّ فِي زَمَانِهِمْ كَانَ أَوَّلُ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ بِالْحِجَازِ; وَذَلِكَ بِسَبَبِ رَئِيسِهِمْ عَمْرِو بْنِ لُحَيٍّ - لَعَنَهُ اللَّهُ - فَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ دَعَاهُمْ إِلَى ذَلِكَ وَكَانَ ذَا مَالٍ جَزِيلٍ جِدًّا يُقَالَ: إِنَّهُ فَقَأَ أَعْيُنَ عِشْرِينَ بَعِيرًا، وَذَلِكَ عِبَارَةٌ عَنْ أَنَّهُ مَلَكَ عِشْرِينَ أَلْفَ بَعِيرٍ وَكَانَ مِنْ عَادَةِ الْعَرَبِ أَنَّ مَنْ مَلَكَ أَلْفَ
পৃষ্ঠা - ১২৮০
ষ্ষ্


আল সাহীহ গ্রন্থে আবু রাজা আ৩ ৷রদী থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, জাহেলী যুগে
,আমর৷ এমন ছিলাম যে, কোন পাথর না পেলে আমার মাটির দ্ভুগ তৈরি করতাম ৷ সেখানে
একটি বকরী এনে দুধ দােহন করে ঐ মাটিতে নজরান৷ দিতাম, অতঃপর সেটির চারিদিকে
তাওয়াফ করতড়াম ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, এভাবে তারা হযরত ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ)-এর দীন
বিকৃত করে প্রতিমা পুজায় লিপ্ত হয় এবং তাদের পুর্ববর্তী ণ্পুগামরাহ ও বিভ্রান্তি উম্মতদের ন্যায়
একই উম্মতে পরিণত হয় ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর দীনে ছিল না এমন বহু কিছু তার মধ্যে
সংযোজন করা সত্বেও তার দীনের কতক নিদশ্নি ও রীতিনীতি তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল ৷
তারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সেগুলো ধরে রেখেছিল ৷ যেমন বায় তুল্লাহ শরীফকে সম্ম ড়ান করা
সেটির তাওয়াফ করা ও ওমরাহ করা, আরাফাত ময়দান ও মুযদ লিফ তে অবস্থান করা উট
কুরবানী করা ৷ হজ্জ ও উমরাহ করার জন্যে ইহরাম রাধা৷

কিনান৷ ও কুরায়শ গোত্র ইহরাম বাধার সময় উচ্চস্বরে বলত :


হে আল্লাহ্র বান্দা হাজির বান্দা হাজির ৷ বান্দা হাজির হে আল্লাহ ! আপনার কোন শরীক
নেই, তবে একটি শরীক আছে যে আপনারই ৷ আপনি তার এবং তার মালিকানাধীন সবকিছুর
মালিক ৷ সে কোন কিছুর মালিক নয় ৷

তালবিয়্যা উচ্চারণে তারা প্রথম পর্যায়ে আল্লাহর একতবাদের স্বীকৃতি দেয় এরপর তার
সাথে তাদের মুর্তিগুলোর কথা উল্লেখ করে এবং সেগুলোর মালিকানা ৷আল্লাহ্র হাতে ন্যস্ত
করে ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন :

,টুছুন্র্দুণুর্দু১ ন্গুট্রু ৰুাশ্৷ এৰু৷ ৷; ন্গু , হ্র৷ ’,ন্ষ্ছু ৷ট্রুর্মু,
তাদের অধিকাৎশ আল্লাহকে স্বীকার করে কিন্তু তার শরীক করে ৷ (১২ ইউসুফ : ১০৬)
অর্থাৎ আমার যথাযথ পরিচিতি জানার প্রেক্ষাপটে তারা আমার একতবাদের ঘোষণা দেয় আর
সেই সাথে আমারই সৃষ্টি জগতের কাউকে আমার শরীক সাব্যস্ত করে ৷

সুহায়লী প্রমুখ বলেন, উপরোক্তত ৷লবিয়াহ সর্বপ্রথম পাঠ করেছে আমর ইবন লুহ ই ৷
একদিন একজন বুযুর্গ লোকের রুপ ধরে ইবলীস এসেত তার নিকট হাজির হয় ৷ ইবলীস উচ্চস্বরে
এই তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকে এবং আমর ইবন লুহাই তা শুনতে থাকে এবং অনুরুপ প ঠ
করতে থাকে ৷ অবশেষে মুশরিক আরবগণ আমর ইবন লুহাইর পাঠ অনুসরণে ণ্ন্ তালবিয়াহ
উচ্চারণ করে ৷ বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থে উদ্ধৃত রয়েছে যে :

চা



আল-বিদায়া ওয়ান নিহ্ায়৷ (২য় খণ্ড) ৪৬-

بَعِيرٍ فَقَأَ عَيْنَ وَاحِدٍ مِنْهَا; لِأَنَّهُ يَدْفَعُ بِذَلِكَ الْعَيْنَ عَنْهَا، وَمِمَّنْ ذَكَرَ ذَلِكَ الْأَزْرَقِيُّ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُ رُبَّمَا ذَبَحَ أَيَّامَ الْحَجِيجِ عَشَرَةَ آلَافِ بَدَنَةً، وَكَسَى عَشَرَةَ آلَافِ حُلَّةٍ فِي كُلِّ سَنَةٍ يُطْعِمُ الْعَرَبَ وَيَحِيسُ لَهُمُ الْحَيْسَ بِالسَّمْنِ وَالْعَسَلِ، وَيَلُتُّ لَهُمُ السَّوِيقَ قَالُوا: وَكَانَ قَوْلُهُ وَفِعْلُهُ فِيهِمْ كَالشَّرْعِ الْمُتَّبِعِ لِشَرَفِهِ فِيهِمْ وَمَحِلَّتِهِ عِنْدَهُمْ، وَكَرَمِهِ عَلَيْهِمْ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الشَّامِ فِي بَعْضِ أُمُورِهِ فَلَمَّا قَدِمَ مَآبَ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ، وَبِهَا يَوْمَئِذٍ الْعَمَالِيقُ، وَهُمْ وَلَدُ عِمْلَاقٍ وَيُقَالُ وَلَدُ عَمْلِيقِ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ رَآهُمْ يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ فَقَالَ لَهُمْ مَا هَذِهِ الْأَصْنَامُ الَّتِي أَرَاكُمْ تَعْبُدُونَ؟ قَالُوا لَهُ: هَذِهِ أَصْنَامٌ نَعْبُدُهَا فَنَسْتَمْطِرُهَا فَتُمْطِرُنَا وَنَسْتَنْصِرُهَا فَتَنْصُرُنَا فَقَالَ لَهُمْ: أَلَا تُعْطُونِي مِنْهَا صَنَمًا فَأَسِيرُ بِهِ إِلَى أَرْضِ الْعَرَبِ فَيَعْبُدُوهُ؟ فَأَعْطَوْهُ صَنَمًا يُقَالَ لَهُ: هُبَلُ فَقَدِمَ بِهِ مَكَّةَ فَنَصَبَهُ، وَأَمَرَ النَّاسَ بِعِبَادَتِهِ وَتَعْظِيمِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَيَزْعُمُونَ أَنَّ أَوَّلَ مَا كَانَتْ عِبَادَةُ الْحِجَارَةِ فِي بَنِي إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّهُ كَانَ لَا يَظْعَنُ مِنْ مَكَّةَ ظَاعِنٌ مِنْهُمْ حِينَ ضَاقَتْ عَلَيْهِمْ وَالْتَمَسُوا الْفُسَحَ فِي الْبِلَادِ إِلَّا حَمَلَ مَعَهُ حَجَرًا مِنْ حِجَارَةِ
পৃষ্ঠা - ১২৮১
الْحَرَمِ; تَعْظِيمًا لِلْحَرَمِ فَحَيْثُمَا نَزَلُوا وَضَعُوهُ فَطَافُوا بِهِ كَطَوَافِهِمْ بِالْكَعْبَةِ حَتَّى سَلَخَ ذَلِكَ بِهِمْ إِلَى أَنْ كَانُوا يَعْبُدُونَ مَا اسْتَحْسَنُوا مِنَ الْحِجَارَةِ، وَأَعْجَبَهُمْ حَتَّى خَلَفَتِ الْخُلُوفُ، وَنَسُوا مَا كَانُوا عَلَيْهِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ قَالَ: كُنَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا لَمْ نَجِدْ حَجَرًا جَمَعْنَا حَثْيَةً مِنَ التُّرَابِ، وَجِئْنَا بِالشَّاةِ فَحَلَبْنَاهَا عَلَيْهِ، ثُمَّ طُفْنَا بِهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتَبْدَلُوا بِدِينِ ابْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ غَيْرَهُ فَعَبَدُوا الْأَوْثَانَ وَصَارُوا إِلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ الْأُمَمُ قَبْلَهُمْ مِنَ الضَّلَالَاتِ وَفِيهِمْ عَلَى ذَلِكَ بَقَايَا مِنْ عَهْدِ ابْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَتَمَسَّكُونَ بِهَا مِنْ تَعْظِيمِ الْبَيْتِ وَالطَّوَافِ بِهِ وَالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ وَالْوُقُوفِ عَلَى عَرَفَاتٍ وَالْمُزْدَلِفَةِ وَهَدْيِ الْبُدْنِ وَالْإِهْلَالِ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ مَعَ إِدْخَالِهِمْ فِيهِ مَا لَيْسَ مِنْهُ فَكَانَتْ كِنَانَةُ وَقُرَيْشٌ إِذَا أَهَلُّوا قَالُوا: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ إِلَّا شَرِيكًا هُوَ لَكَ تَمْلِكُهُ وَمَا مَلَكَ فَيُوَحِّدُونَهُ بِالتَّلْبِيَةِ، ثُمَّ يُدْخِلُونَ مَعَهُ أَصْنَامَهُمْ، وَيَجْعَلُونَ مِلْكَهَا بِيَدِهِ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ} [يوسف: 106] أَيْ مَا يُوَحِّدُونَنِي لِمَعْرِفَةِ حَقِّي إِلَّا جَعَلُوا مَعِي شَرِيكًا مِنْ خَلْقِي.
পৃষ্ঠা - ১২৮২
ষ্ষ্


অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (স) যখন তাদের তালৰিয়াহ পাঠ শুনতেন এবং যখন তারা ৷ ১ ১
এ এট্রু,ছু;১৷ (বান্দা ৷হাজির আপনার কোন শরীক নেই) পর্যন্ত পাঠ করত তখন রাসুলুল্লাহ
(স) বলতেন, থাম , থাম , যথেষ্ট হয়েছে ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, যে নবী করীম (সা)
বলেছেন :

) : : শ্

ন্ন্ন্ন্ন্

, )



সর্বপ্রথম দেবতার নামে পশু উৎসর্গ করেছে এবং মুর্তি পুজা চালু করেছে আবু খুযাআ

আমর ইবন আমির ৷ আমি তাকে দেখেছি যে, জ্বাহান্নামে সে৩ তার নাড়িভুড়ি হেচড়িয়ে নিয়ে

যাচ্ছে ৷” আলোচ্য বর্ণনা দ্ব ৷রা বুঝা যায় যে, আমর ইবন লুহ ই হল রুপটি খুযাআ গোত্রের আদি
পুরুষ ৷ তার নাম অনুসারেই খুযাআ গোত্রের নামকরণ করা হয় ৷

ইবন ইসহাক ও অন্যান্যদের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, কতবণ্ বংশ বিশারদ এরুপ
বলেছেনও বটে ৷ আমরা যদি এতটুকুতেই সীমিত থাকি তবে এটি একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে
চিহ্নিত হয় ৷ কিন্তু কোন কোন বর্ণনা এর বিপরীত এসেছে ৷

যেমন ইমাম বুখারী (র) সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রা ) সুত্রে বলেছেন, “বাহীরা হল সেই প্রাণী
যার স্তনকে তাগুত বা দেবতার জন্যে সংরক্ষিত রাখা হয় ৷ অতঃপর কেউই তার দুধ দােহন
করে না ৷ ” সাইবা হল সেই প্রাণী যা তারা তাদের দেবতার নামে ছেড়ে দেয়, অতঃপর তার
পিঠে কিছুই চড়াপানাে হয় না ৷

ইমাম বুখারী (র) আরো বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
ফরমান :
র্টুর্চুএ ট্রুর্টু৷ ট্রু,াদ্বু এাট্রু৷ ৷ এ


আমি আমর ইবন আমির খুযাঈকে দেখেছি জাহান্নড়ামে সে৩ তার নাড়িভুড়ি হেচড়িয়ে পথ
চলছে ৷ সেই সর্বপ্রথম স ঈবা প্রাণী ছেড়ে দেয়ার রেওয়াজ চালু করে ৷ ইমাম মুসলিম (র)-ও
ভিন্ন সুত্রে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

সর্বপ্রথম ইমাম আহমদের এ সছুক্রাম্ভ বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে বাহীরা প্রাণী রেওয়াজও সেই
চ ৷লু করেছে ৷

উপরোক্ত বর্ণনড়াসমুহে উল্লিখিত ৩“থুযাই” শব্দ দ্বারা বুঝা যায় যে, আমর ইবন আমির খুযাআ
গোত্রের আদি ব্যক্তি নয় বরং সেও ঐ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সে বর্ণনায়
তাকে আবু খুযাআ বলা হয়েছে সেটি বর্ণনাকারীর ভ্রমপ্ৰমাদ হতে পারে যে, তিনি আবু খুযাআ
বলতে গিয়ে আবু খুযাআ বলে ফেলেছেন ৷ অথবা এমন ও হতে পারে যে, সে মুলত খুযাআ


وَقَدْ ذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ لَبَّى هَذِهِ التَّلْبِيَةَ عَمْرُو بْنُ لُحَيٍّ، وَأَنَّ ابْلِيسَ تَبَدَّى لَهُ فِي صُورَةِ شَيْخٍ فَجَعَلَ يُلَقِّنُهُ ذَلِكَ فَيَسْمَعُ مِنْهُ وَيَقُولُ كَمَا يَقُولُ، وَاتَّبَعَهُ الْعَرَبُ فِي ذَلِكَ، وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا سَمِعَهُمْ يَقُولُونَ: لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ يَقُولُ: قَدْ قَدْ أَيْ: حَسْبُ حَسْبُ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ ثنا إِسْحَاقُ بْنُ ابْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثنا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عَمْرُو بْنُ لُحَيِّ بْنِ قَمَعَةَ بْنِ خِنْدِفَ أَبُو خُزَاعَةَ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: قَرَأْتُ عَلَى أَبِي حَدَّثَكَ عَمْرُو بْنُ مُجَمِّعٍ حَدَّثَنَا ابْرَاهِيمُ الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ، وَعَبَدَ الْأَصْنَامَ أَبُو خُزَاعَةَ عَمْرُو بْنُ عَامِرٍ، وَإِنِّي رَأَيْتُهُ يَجُرُّ أَمْعَاءَهُ فِي النَّارِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ১২৮৩
ষ্ষ্


গোত্রের একজন ছিল এবং তার উপনাম ছিল আবু থুয আ ৷ এবং তাকে থুযাআ গোত্রের মুল
ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়৷ ঐ বর্ণনায় উদ্দিষ্ট ছিল না ৷ আল্লাহই৩াল জা নেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম হযরত আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি তিনি আকছাম ইবন জাওন খুবাইকে উদ্দেশ্য
করে বলছিলেন “হে আকছাম ৷ আমি আমর ইবন লুহাই ইবন কামআ ইবন খিনদাককে দেখেছি
জাহান্নামে সে তার নাড়িভুড়ি হেচড়িয়ে চলছে ৷ তারসাছু£য তোমার যে সদৃশ এবং তোমার
সাথে তার যে সাদৃশ্য এমন আমি অন্য কাউকে দেখিনি ৷ তখন আক্ছাম বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ
(না)! তার সাথে আমার যে সাদৃশ্য তাতে আমার কি কোন ক্ষতি হবো রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, না, কোন ক্ষতি হবে না ৷ করণ তুমি ঈমানদার আর (স কাফির ৷ সেই সর্বপ্রথম
ইসমাঈল (আ)-এর ধর্মের বিকৃতি সাধন করেছে, মুর্তি ণ্প্রতিমা ,ন্থাপন করেছে, বাহীরা স ইবা,
ওসীলা প্রাণী হামী ’ প্রাণীকে দেবতার জন্যে সং রক্ষিত রা হা৷র রেওয়া জ চ ৷লু করেছে ৷

অবশ্য বিশুদ্ধ কিতাবসমুহে এরুপে বর্ণনাটি নেই ; ববং ইবন জারীর (র) আবু হুরায়রা
(রা)-এর সনদে এরুপ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুখারী তাবারানী (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রাসুলুল্লাহ (সা ) থেকে প্রায় একই মর্মের হাদীস উদ্ধৃত
করেছেন ৷

বন্তুত আমর ইবন লুহাই আরবদের জন্যে ধর্মের মধ্যে কতক নতুন বিষয়ের প্রচলন
ঘটিয়েছে যা দ্বারা সে দীন-ই ইবরাহীমকে বিকৃত করে দিয়েছে ৷ এসব বিষয়ে আরবগণ তার
অনুসরণ করেছে ৷ ফলে তারা ন্যক্কারজনক জঘন্যভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছো আল্লাহ তাআলা
কুরআন করীমের একাধিক আয়াতে এর নিন্দা করেছেন ৷ আল্লাহ তাআলা বলেছেন ৪

ন্৷ ৷টুপুটুছুছুৰুাড়ু
তোমাদের জিহ্বা মিথ্যা আরোপ করে বলে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করার জন্যে
তোমরা বলো না এটি৷ হ লাল এবং এটি হ রাম ৷ আল্লাহ তা আলা অন্যত্র বলেন ও
র্টু০
ট্রু,প্রু,ব্লুন্নুঠু ৷ , )শুৰু
“বাহীরা, সাইবা, ওসীলা, ও স্থান আল্লাহ স্থির করেন নি ৷ কিন্তু কাফিরর৷ আল্লাহর প্রতি
মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদের অধিকাংশই উপলর্কিং করে না ৷ (৫ মায়িদা : ১০৩)

বাহীরা ও অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং এ নামের
প্রাণীগুলোর ব্যাখ্যা সম্পর্কে তাফসীবকারদের বিভিন্ন অভিমত বর্ণনা করে এসেছি ৷


يَقْتَضِي: أَنَّ عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ هُوَ أَبُو خُزَاعَةَ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ الْقَبِيلَةُ بِكَمَالِهَا كَمَا زَعَمَهُ بَعْضُهُمْ مِنْ أَهْلِ النَّسَبِ فِيمَا حَكَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ. وَلَوْ تَرَكْنَا مُجَرَّدَ هَذَا لَكَانَ ظَاهِرًا فِي ذَلِكَ بَلْ كَالنَّصِّ، وَلَكِنْ قَدْ جَاءَ مَا يُخَالِفُهُ مِنْ بَعْضِ الْوُجُوهِ فَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو الْيَمَانِ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ: الْبَحِيرَةُ الَّتِي يُمْنَعُ دَرُّهَا لِلطَّوَاغِيتِ فَلَا يَحْلِبُهَا أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ وَالسَّائِبَةُ الَّتِي كَانُوا يَسُيِّبُونَهَا لِآلِهَتِهِمْ لَا يُحْمَلُ عَلَيْهَا شَيْءٌ قَالَ: وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ الْخُزَاعِيَّ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ كَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ صَالِحِ بْنِ كِيسَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَرَوَاهُ ابْنُ الْهَادِ عَنِ الزُّهْرِيِّ. قَالَ الْحَاكِمُ: أَرَادَ الْبُخَارِيُّ: رَوَاهُ ابْنُ الْهَادِ عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ بُخْتٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ كَذَا قَالَ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ الْخُزَاعِيِّ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ
পৃষ্ঠা - ১২৮৪
يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ وَبَحَّرَ الْبَحِيرَةَ» وَلَمْ يَذْكُرْ بَيْنَهُمَا عَبْدَ الْوَهَّابِ بْنَ بُخْتٍ كَمَا قَالَ الْحَاكِمُ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّازِقِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( «رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ الْخُزَاعِيَّ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ» . وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالصَّحِيحُ: الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدٍ عَنْهُ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَوْلُهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَالَّذِي قَبْلَهُ الْخُزَاعِيُّ، يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ وَالِدَ الْقَبِيلَةِ بَلْ مُنْتَسِبٌ إِلَيْهَا فَلَعَلَّ مَا وَقَعَ فِي الرِّوَايَةِ مِنْ قَوْلِهِ: أَبُو خُزَاعَةَ تَصْحِيفٌ مِنَ الرَّاوِي مِنْ: أَخِي خُزَاعَةَ أَوْ أَنَّهُ كَانَ يُكَنَّى بِأَبِي خُزَاعَةَ وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ مِنْ بَابِ الْإِخْبَارِ بِأَنَّهُ أَبُو خُزَاعَةَ كُلِّهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ ابْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ أَنَّ أَبَا صَالِحٍ السَّمَّانَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِأَكْثَمَ بْنِ الْجَوْنِ الْخُزَاعِيِّ يَا أَكْثَمُ، رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ لُحَيِّ بْنِ قَمَعَةَ بْنِ خِنْدِفَ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ فَمَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَشْبَهَ بِرَجُلٍ مِنْكَ بِهِ وَلَا بِكَ مِنْهُ فَقَالَ أَكْثَمُ: عَسَى أَنْ يَضُرَّنِي شُبَهُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: لَا إِنَّكَ
পৃষ্ঠা - ১২৮৫
ষ্ষ্


আল্লাহ তাআলা বলেন ং


, : ; : ,



আমি ওদেরকে যে রিযক দান করি তারা ত র একাৎশ্ ৷নির্ধারিত করে তাদের জন্যে যাদের
সম্বন্ধে ওরা কিছুই জানে না ৷ (১৬ নাহলং ৫৬)

আল্লাহ যে শস্য ও গবাদিপণ্ড সৃষ্টি করেছেন তা থেকে তারা আল্লাহর জন্যে এক অংশ
নির্ধারিত করে এবং নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বলে, “এটি আল্লাহর জন্যে এবং এটি আমাদের
দেবতাদের জন্যে যা তাদের দেবতাদের অংশ তা আল্লাহর কাছে পৌছয না এবং যা আল্লাহ্র
অংশ তা তাদের দেবতার কাছে পৌছায় তারা য ৷মীমংসা করে তা নিকৃষ্ট ৷

এভাবে তাদের দেবতারা বহু মুশরিকের দৃষ্টিতে সন্তান হত্যাকে শে ড়াভন করেছে তাদের
ধ্বংস সাধনের জন্যে এবং তাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির জান্য ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে
তারা তা করত না ৷ সুতরাং তাদেরকে তাদের মিথ্যা নিয়ে থাকতে দাও ৷ (৬ আনআয :
১৩৬ ১৩ ৭)

আল্লাহ তাআলার ঘোষণা : ¢fi§ ণ্ষ্টুষ্টু৷ ৰুাএ১ ৷টুপু ব্লিট্রু

“তারা তাদের ধারণা অনুসারে বলে, এসব গবা ৷দিপংম্ন ও শস্য ক্ষেত্র নিষিদ্ধ ৷ আমরা যাকে
ইচ্ছা করি যে ব্যতীত কেউ এসব আহার করতে পারবে না এবং কতক গবাদি পশুর পৃষ্ঠে
আরোহণ ৷নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কত ক পশু জবাই করার সময় তারা আল্লাহর নাম নেয় না ৷
এ সকলই তারা আল্লাহ সমন্ধে মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে বলে, তা ৷দের এই মিথ্যা রচনার প্রতিফল
তিনি অবশ্যই তাদেরকে দিবেন ৷ (৬ আন আমং : ১৩৮)

এেএটুহ্রপ্রু এে ৷ৰুৰুাট্রুৰু,

তারা আরও বলে, এ সব গবাদি পশুর পর্ভে যা আছে তা আমাদের পুরুষদের জন্যে নির্দিষ্ট
এবং এটি আমাদের ত্রীদের জন্যে অবৈধ আর সেটি যদি মৃত হয়, তবে নারী-পুরুষ সকলে
সেটিতে অংশীদার ৷ তাদের এরুপ বলার প্রতিফল তিনি তাদেরকে দেবে ৷ তিনি প্ৰজ্ঞাময়,
সর্বজ্ঞ ৷ যায়৷ নির্বৃদ্ধিতার দরুন ও অজ্ঞানতাবশত নিজেদের সত্তানদেরহৃণ্ন্হ হত্যা করে এবং
আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকাকে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করার উদ্দেশ্য নিষিদ্ধ গণ্য করে তারা তো
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তারা অবশ্যই ৰিপথগামী হয়েছে এবং তারা সৎপথ প্রাপ্ত ছিল না ৷ (৬ আন
আয ১৩৮-৩৯)

আরবদের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার

আবু নুমান ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বলেন, “তুমি যদি আরবদের অজ্ঞতা সম্পর্কে
জানতে চাও তবে সুরা আলআনামের ১৩০ ’ নং আয়াংতর পরবর্তী আয়াতগুলো পাঠ কর


مُؤْمِنٌ وَهُوَ كَافِرٌ إِنَّهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ غَيَّرَ دِينَ إِسْمَاعِيلَ ; فَنَصَبَ الْأَوْثَانَ، وَبَحَّرَ الْبَحِيرَةَ، وَسَيَّبَ السَّائِبَةَ، وَوَصَّلَ الْوَصِيلَةَ، وَحَمَى الْحَامِيَ» لَيْسَ فِي الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ هَنَّادِ بْنِ عَبْدَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ أَوْ مِثْلَهُ، وَلَيْسَ فِي الْكُتُبِ أَيْضًا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْكِرْمَانِيُّ حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ ابْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَرَأَيْتُ عَمْرًا يَجُرُّ قُصْبَهُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا فِي ذَلِكَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ لَعَنَهُ اللَّهُ كَانَ قَدِ ابْتَدَعَ لَهُمْ أَشْيَاءَ فِي الدِّينِ غَيَّرَ بِهَا دِينَ الْخَلِيلِ فَاتَّبَعَهُ الْعَرَبُ فِي ذَلِكَ فَضَلُّوا بِذَلِكَ ضَلَالًا بَعِيدًا بَيِّنًا فَظِيعًا شَنِيعًا وَقَدْ أَنْكَرَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِمْ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ فِي غَيْرِ مَا آيَةٍ مِنْهُ فَقَالَ تَعَالَى {وَلَا تَقُولُوا لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَذَا حَلَالٌ وَهَذَا حَرَامٌ لِتَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ} [النحل: 116] الْآيَةَ [النَّحْلِ: 116] وَقَالَ تَعَالَى
পৃষ্ঠা - ১২৮৬
ষ্ষ্


ছুদু৷ ৷ ন্ছু,টুদ্বট্রুঠুর্চু
;,ট্রু;ট্রুছুছু ৷টুট্রুাব্র ৷পু০শু, ৷র্দু,”া১ ংাট্রুব্র «fl ৷ ঘে-ং ণ্ ৷ব্লুছুর্দু৯ ৷
“যারা নির্বুদ্ধিতার দরুন ও অজ্ঞানতা বশত নিজেদের সভানদেরকে হত্যা করে এবং আল্লাহ
প্রদত্ত জীবিকাকে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ গণ্য করে তারা তাে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তারা অবশ্যই বিপথপামী হয়েছে এবং তারা সৎপথ প্রাপ্তও ছিল না ৷ (৬
আনআম ১৪০)

আমরা এ আঘাতের ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি এবং তার যে অসত্য ও বাতিল দীন চালু
করেছে তাও উল্লেখ করে এসেছি ৷ তাদের গুরু আমর ইবন লুহাই অবশ্য এটিকে পশু প্রাণীর
প্রতি দয়া প্রদর্শন ও কল্যাণ সাধন বলে ধারণা করত এটা নিছক তার মিথ্যাচার ৷ তার এ
মুর্থতা ও ভ্রান্তি সত্বেও আরবের নির্বোধ লোকেরা তার অনুসরণ করে ৷ (১) (সুরা আনআম
আয়াত ১৪০ ) তাতে বরং তার চাইতেও জঘন্য-এর কাজেও তারা তার অনুসরণ করেছে ৷
আর তা হল আল্লাহর সাথে প্রতিমাদের পুজা করা ৷ আল্লাহ তাআলা শিরক ও অংশীবাদ হারায
করে এককভাবে তারই ইবাদতের নির্দেশ দিয়ে যে সরল পথও সুদৃঢ় ধর্ম সহকারে হযরত
ইব্রাহীম (আ) এ প্রেরণ করেছিলেন তারা তা পরিবর্তিত করে ফেলেছিল এবং সরল-দুর্বল (তা
দুরের কথা, এমনকি কোন দুর্বল দলীল প্রমাণ ব্যতীত দীনের বৈশিষ্ট্যসমুহ ও হরুজ্জর
নিদর্শনমুলক বিধানসমুহ বিকৃত করে ফেলেছিল ৷ তারা তাদের পুর্ববর্তী অংশীবাদী উম্মতসমুহের
পথ অনুসরণ করেছিল এবং নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়ের মত হয়ে গিয়েছিল ৷ বন্তুত নুহ (আ) এর
সম্প্রদায়ই সর্বপ্রথম আল্লাহ্র সাথে শিরকের প্রথা চালু করেছিল এবং মুর্তি পুজায় লিপ্ত হয়েছিল ৷
এ জন্যে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি হযরত নুহ (আ)-ফে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
সর্বপ্রথম প্রেরিত রাসুল যিনি লোকদেরকে মুর্তিপুজা থেকে নিষেধ করতেন ৷ হযরত নুহ
(আ)-এর আলোচনায় তা বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে ৷
া,পু;, ;,,;ট্রুপ্রু, ;,পু,ত্তঠুৰুা’, ( ৷ট্রু,হুৰুা, ৷ৰুষ্, ন্;,,ব্লুও স্ব, ন্হ্র;;,৷ ক্ট বু,,হু;’>৷ ৷,ত্র ত,

৷,ব্লু ৷র্টুাহুর্মু৷ ংাট্রুব্লড়ু

এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনও পরিত্যাগ করো না তোর্মাদের দেব-দেবীকে,
পরিত্যাগ করো না ওয়াদ, সুওয়া, ইয়াপুছ, ইয়াউক ও নাসরকে ৷ তারা অনেককে বিভ্রান্ত
করেছে ৷ (৭১ নুহ ২৩) হযরত ইবন আব্বাস বলেন, ওয়াদ, সুওয়া ইয়াপুছ, ইয়াউক এরা
ছিলেন নুহ (আ)-এর সম্প্রদায়ের সৎকর্মশীল লোক ৷ এদের মৃত্যুর পর লোকজন এদের কবরে
অবস্থান করতো ৷ এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর লোকজন এদের পুজা শুরু করে
দেয় ৷ এদের এই উপাসনার রীতিনীতি সম্পর্কে আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা করে এসেছি ৷
এখানে তা পুনরুল্লেখের প্রয়োজন নেই ৷

ইবন ইসহাক (র) ও অন্যরা বলেন, আরবের লোকেরা যখন হযরত ইসমাঈল (আ ) এর
দীনকে পরিবর্তিত করে ফেলল তখন উপরোল্লেখিত মুর্তিগুলো আরবদের উপাস্যতে পরিণত


{مَا جَعَلَ اللَّهُ مِنْ بَحِيرَةٍ وَلَا سَائِبَةٍ وَلَا وَصِيلَةٍ وَلَا حَامٍ وَلَكِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ} [المائدة: 103] وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا كُلِّهِ مَبْسُوطًا، وَبَيَّنَّا اخْتِلَافَ السَّلَفِ فِي تَفْسِيرِ ذَلِكَ فَمَنْ أَرَادَ فَلْيَأْخُذْهُ مِنْ ثَمَّ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ تَعَالَى {وَيَجْعَلُونَ لِمَا لَا يَعْلَمُونَ نَصِيبًا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ تَاللَّهِ لَتُسْأَلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَفْتَرُونَ} [النحل: 56] وَقَالَ تَعَالَى {وَجَعَلُوا لِلَّهِ مِمَّا ذَرَأَ مِنَ الْحَرْثِ وَالْأَنْعَامِ نَصِيبًا فَقَالُوا هَذَا لِلَّهِ بِزَعْمِهِمْ. وَهَذَا لِشُرَكَائِنَا فَمَا كَانَ لِشُرَكَائِهِمْ فَلَا يَصِلُ إِلَى اللَّهِ وَمَا كَانَ لِلَّهِ فَهُوَ يَصِلُ إِلَى شُرَكَائِهِمْ سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ - وَكَذَلِكَ زَيَّنَ لِكَثِيرٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَتْلَ أَوْلَادِهِمْ شُرَكَاؤُهُمْ لِيُرْدُوهُمْ وَلِيَلْبِسُوا عَلَيْهِمْ دِينَهُمْ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا فَعَلُوهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ - وَقَالُوا هَذِهِ أَنْعَامٌ وَحَرْثٌ حِجْرٌ لَا يَطْعَمُهَا إِلَّا مَنْ نَشَاءُ بِزَعْمِهِمْ وَأَنْعَامٌ حُرِّمَتْ ظُهُورُهَا وَأَنْعَامٌ لَا يَذْكُرُونَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا افْتِرَاءً عَلَيْهِ سَيَجْزِيهِمْ بِمَا كَانُوا يَفْتَرُونَ - وَقَالُوا مَا فِي بُطُونِ هَذِهِ الْأَنْعَامِ خَالِصَةٌ لِذُكُورِنَا وَمُحَرَّمٌ عَلَى أَزْوَاجِنَا وَإِنْ يَكُنْ مَيْتَةً فَهُمْ فِيهِ شُرَكَاءُ سَيَجْزِيهِمْ وَصْفَهُمْ إِنَّهُ حَكِيمٌ عَلِيمٌ - قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُوا أَوْلَادَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُوا مَا رَزَقَهُمُ اللَّهُ افْتِرَاءً عَلَى اللَّهِ قَدْ ضَلُّوا وَمَا كَانُوا مُهْتَدِينَ} [الأنعام: 136 - 140] . [الْأَنْعَامِ: 136 - 140]
পৃষ্ঠা - ১২৮৭
قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي صَحِيحِهِ: بَابُ جَهْلِ الْعَرَبِ: حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِذَا سَرَّكَ أَنْ تَعْلَمَ جَهْلَ الْعَرَبِ فَاقْرَأْ مَا فَوْقَ الثَّلَاثِينَ وَمِائَةٍ فِي سُورَةِ الْأَنْعَامِ {قَدْ خَسِرَ الَّذِينَ قَتَلُوا أَوْلَادَهُمْ سَفَهًا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُوا مَا رَزَقَهُمُ اللَّهُ افْتِرَاءً عَلَى اللَّهِ قَدْ ضَلُّوا وَمَا كَانُوا مُهْتَدِينَ} [الأنعام: 140] وَقَدْ ذَكَرْنَا تَفْسِيرَ هَذِهِ الْآيَةِ وَمَا كَانُوا ابْتَدَعُوهُ مِنَ الشَّرَائِعِ الْبَاطِلَةِ الْفَاسِدَةِ الَّتِي ظَنَّهَا كَبِيرُهُمْ عَمْرُو بْنُ لُحَيٍّ - قَبَّحَهُ اللَّهُ - مَصْلَحَةً وَرَحْمَةً بِالدَّوَابِّ وَالْبَهَائِمِ وَهُوَ كَاذِبٌ مُفْتَرٍ فِي ذَلِكَ، وَمَعَ هَذَا الْجَهْلِ وَالضَّلَالِ اتَّبَعَهُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ الطَّغَامُ فِيهِ بَلْ قَدْ تَابَعُوهُ فِيمَا هُوَ أَطَمُّ مِنْ ذَلِكَ وَأَعْظَمُ بِكَثِيرٍ وَهُوَ عِبَادَةُ الْأَوْثَانِ مَعَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَبَدَّلُوا مَا كَانَ اللَّهُ بَعَثَ بِهِ ابْرَاهِيمَ خَلِيلَهُ مِنَ الدِّينِ الْقَوِيمِ وَالصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ مِنْ تَوْحِيدِ عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَتَحْرِيمِ الشِّرْكِ، وَغَيَّرُوا شَعَائِرَ الْحَجِّ، وَمَعَالِمَ الدِّينِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا بُرْهَانٍ وَلَا دَلِيلٍ صَحِيحٍ وَلَا ضَعِيفٍ، وَاتَّبَعُوا فِي ذَلِكَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُمْ مِنَ الْأُمَمِ الْمُشْرِكِينَ، وَشَابَهُوا قَوْمَ نُوحٍ كَانُوا أَوَّلَ مَنْ أَشْرَكَ بِاللَّهِ، وَعَبَدَ الْأَصْنَامَ، وَلِهَذَا بَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ نُوحًا وَكَانَ أَوَّلَ رَسُولٍ بُعِثَ يَنْهَى عَنْ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ فِي قِصَّةِ نُوحٍ {وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا وَقَدْ أَضَلُّوا كَثِيرًا} [نوح: 23] [نُوحٍ: 23، 24] الْآيَةَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَانَ هَؤُلَاءِ قَوْمًا صَالِحِينَ فِي
পৃষ্ঠা - ১২৮৮
ষ্ষ্


হল ৷ তখন ওয়াদ প্রতিমা থাকল বনী ক৷ লব (ইবন মুররাহ ইবন তাগলিব ইবন হালওয়ান ইবন
ইমরান ইবন ইলহাফ ইবন কুযা আ) গোত্রের জন্যে ৷ এটি স্থাপিত ছিল দৃমাতৃল জ ৷ন্দাল নামক
স্থানে ৷ সুওয়া প্রতিমা জ্জি বনী হুযায়ল (ইবন ইলিয়াস ইবন ঘুদরিকাহ্ ইবন মুগরি ) গোত্রের
জন্যে ৷ এটি অবস্থিত ছিল রাহাত নামক স্থানে ইয়াণ্ডছ ছিল এই বংশের বনী আনউম ও
মিযহাজ বংশের জন্য এটি অবস্থিত জারশ এলাকায় ৷ ইয়াউক প্রতিমা ছিল ইয়ামানের হামদান
অঞ্চলে ৷ এটি ছিল হামদানের একটি উপগােত্র বনী খায়ওয়ান-এর তত্ত্বাবধানে ৷ নাসর প্রতিমা
স্থাপিত ছিল হিমইয়ার অঞ্চলে ৷ মুল কিলা গোত্র ছিল এর উপাসক ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, নিজেদের এলাকায় খাওলান গোত্রের একটি মুর্তি ছিল ৷ সেটির
নাম ছিল “আম্মে আনাস” (আনাসের চাচা) ৷ তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী চতৃস্পদ জন্তুও ফল
ফসল তার মাঝে ও আল্লাহ্র মাঝে বণ্টন করত ৷ বণ্টন আল্লাহর জন্যে নির্ধারিত কোন অংশ
যদি আগে আনাসের’ ভাগে পড়ত, তবে তা তারা সেখানে রেখে দিত ৷ পক্ষান্তরে আগে
আমাদের জন্যে নির্ধারিত কোন অংশ যদি আল্লাহ্র ভাগে পড়ে যেত তবে তা সেখান থেকে
নিয়ে ঐ প্রতিমা ৷র ভাগে দিয়ে দিত ৷ তাদের এ অপকর্মে সম্পর্কে আল্লাহ তা আলা নাযিল করেনং
আল্লাহ যে শস্য ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, তা থেকে তারা আল্পাহ্র জন্যে এক অংশ

নির্দিষ্ট করে এবং নিজেদের ধারণানুযাযী বলে, এটি আল্লাহ্র জন্যে এবং এটি আমাদের
দেবতাদের জনে ৷ (আনআম ১৩৬)

ইবন ইসহাক বলেন, বনী মলাকান ইবন কিনানা ইবন খুযায়ম৷ ইবন মুদরিক৷ গোত্রের
একটি প্রতিমা ছিল ৷ তার নাম সাদ সাখরাহ’ ৷ এক উন্মুক্ত ও বিন্তুত প্রান্তরে ছিল এটির
অবস্থান ৷ এক ব্যক্তি তার উটের পাল নিয়ে এসেছিল এ উদ্দেশ্যে যে, উটণ্ডলেন্কে ওখানে দাড়
করিয়ে তার ধারণা অনুযায়ী ঐ প্রতিমার আর্শীবাদ নেবে ৷ আরােহীবিহীন ঐ উটণ্ডলে৷ ঘাস
থেতে-থেতে রক্তমাখ৷ প্রতিমা দেখে ভী৩ ত-সন্ত্রস্ত হয়ে যেটি যেদিক পেয়েছে ছুটে পালায় ৷ এতে
উটের মালিক ক্ষেপে যায় এবং একটি পাথর নিয়ে প্রতিমার দিকে ছুড়ে মারে ৷ সে বলে, আল্লাহ্
তােমাতে যেন বরকত ও আশীৰ্বাদ না দেন ৷ তুমি আমার উটণ্ডলােকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছ ৷
অতঃপর সে তার উট খুজতে বের হয় ৷ উটগুলে৷ একত্রিত করার পর সে বলে০ ং

) :

আমরা এসেছিলাম সা দ এর নিকট এ মকসুদ নিয়ে যে, যে আমাদের অবস্থা সংহত করে

দিয়ে ৷ কিন্তু সে আমাদেরকে আরও বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছে ৷ ফলে আমরা কোন কল্যাণ লাভে
সমর্থ হইনি ৷ সুতরাং আমরা তার কেউ নই ৷

)

াপু;১, ১া, ৰু,ব্লুএ্ টুছুট্টঠু ১৷ ৮,হ্রন্,১৷ ৷ ট্রু,ৰু ম্বুট্রু,£প্রু ১,ৰু১;ং ১৷ ৷ ঠুষ্ট্র ট্রুএ,
সাদ তো ধু ধু মরু প্রাম্ভরে অবস্থিত একটি পাথর বৈ অন্য কিছু নয় ৷ সে ভাল বা মন্দ
কিছুর জন্যেই প্রার্থনা জানাতে পারে না ৷


قَوْمِ نُوحٍ فَلَمَّا مَاتُوا عَكَفُوا عَلَى قُبُورِهِمْ فَلَمَّا طَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ عَبَدُوهُمْ وَقَدْ بَيَّنَّا كَيْفِيَّةَ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ فِي عِبَادَتِهِمْ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: ثُمَّ صَارَتْ هَذِهِ الْأَصْنَامُ فِي الْعَرَبِ بَعْدَ تَبْدِيلِهِمْ دِينَ إِسْمَاعِيلَ فَكَانَ وَدُّ لِبَنِي كَلْبِ بْنِ وَبْرَةَ بْنِ تَغَلِبَ بْنِ حُلْوَانَ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ وَكَانَ مَنْصُوبًا بِدَوْمَةِ الْجَنْدَلِ وَكَانَ سُوَاعٌ لِبَنِي هُذَيْلِ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ وَكَانَ مَنْصُوبًا بِمَكَانٍ يُقَالَ لَهُ: رُهَاطٌ. وَكَانَ يَغُوثُ لِبَنِي أَنْعَمَ مِنْ طَيِّئٍ، وَلِأَهْلِ جُرَشٍ مِنْ مَذْحِجٍ وَكَانَ مَنْصُوبًا بِجُرَشَ وَكَانَ يَعُوقُ مَنْصُوبًا بِأَرْضِ هَمْدَانَ مِنَ الْيَمَنِ لِبَنِي خَيْوَانَ بَطْنٍ مِنْ هَمَدَانَ وَكَانَ نَسْرٌ مَنْصُوبًا بِأَرْضِ حِمْيَرَ لِقَبِيلَةٍ يُقَالَ لَهُمْ ذُو الْكُلَاعِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ لِخَوْلَانَ بِأَرْضِهِمْ صَنَمٌ يُقَالَ لَهُ: عُمْيَانِسُ يَقْسِمُونَ لَهُ مِنْ أَنْعَامِهِمْ، وَحُرُوثِهِمْ قَسْمًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ فِيمَا يَزْعُمُونَ فَمَا دَخَلَ فِي حَقِّ عُمْيَانِسَ مِنْ حَقِّ اللَّهِ الَّذِي قَسَمُوهُ لَهُ تَرَكُوهُ لَهُ وَمَا دَخَلَ فِي حَقِّ اللَّهِ مَنْ حَقِّ عُمْيَانِسَ رَدُّوهُ عَلَيْهِ أَنْزَلَ اللَّهُ {وَجَعَلُوا لِلَّهِ مِمَّا ذَرَأَ مِنَ الْحَرْثِ وَالْأَنْعَامِ نَصِيبًا} [الأنعام: 136]
পৃষ্ঠা - ১২৮৯
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বলেন, দাওস গোত্রের আমর ইবন হামামা দাওসীর একটি প্রতিমা ছিল ৷
কুরায়শরা কাবা শরীফের অভ্যন্তরে একটি কুপের মধ্যে একটি প্রতিমা রেখেছিল ৷ সেটির নাম

হুবল ৷ ইতিপুর্বে ইবন হিশাম (র)-এর বর্ণনায় এসেছে যে, এটি প্রথম প্রতিমা আমর ইবন লুহাই
স্থাপিত প্রথম প্রতিমা ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তারা আসাফ ও নাইলা নামের দুটো প্রতিমা যমযমের স্থানে স্থাপন
করেছিল ৷ ওগুলাের সম্মুখে তারা পশু কুরবানী দিত ৷ এ প্রসংগে পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷ কা“রা
শরীফের অভ্যন্তরে ব্যভিচড়ারে লিপ্ত হওয়ায় আল্লাহ্ তা’অজ্যো তাদের উভয়কে পাথরে রুপান্তরিত
করে দিয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর হযরত আয়েশা (রা) সুত্রে
বলেন, আমরা বরড়াবরই শুনে এসেছি যে, আসাফ ও নইিলা ছিল একজন পুরুষ লোক ও একজন
মহিলা ৷ তারা জুরহুম দ্বে ড়াশ্বত্রভুক্ত ৷ দৃজনে অশ্লীল কাজ করেছিল কাবা শরীফের অভ্যন্তরে ৷
অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের দৃজনকে পাথরে পরিণত করে দেন ৷

কথিত আছে যে, আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ঐ অপকর্ম করার অবকাশ দেননি বরং তার
পুর্বেই পাথরে পরিণত করে দেন ৷ এরপরে লোকজন এ দুটোকে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে
নিয়ে স্থাপন করে ৷ এরপর আমর ইবন লুহাইর সময়ে সেগুলোকে সেখান থেকে তুলে এনে
যমযম কুপের স্থানে স্থাপন করে এবং লোকজন এ দৃ’টোর তাওয়াফ করতে শুরু করে ৷

এ প্রসংগে আবু তালিব বলেন ং

, :

যেখানে আশ আরী গোত্রের লোকজন তাদের সওয়ারী থামায় সেই প্লারনের প্রবাহ পথে
আসা ফ ও নাইলা রয়েছে ৷

ওয়াকিদী বলেন, মক্কা বিজয়ের দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন নাইলা মুর্তিটি ভেঙ্গে ফেলার
নির্দেশ দেন, তখন দেখা যায় যে, সেটি থেকে জনৈকা সাদা কালো চুল বিশিষ্ট কুচকুচে কালো
মহিলা হায়রে দুঃখ, হায়রে ধ্বংস বলে বলে বিলাপ করত করতে মুখে খামচি মেরে মেরে
বেরিয়ে আসল ৷

সুহায়লী উল্লেখ করেছেন যে, অজাে ও সালমা হলো হেজাযের দুটো পাহাড় ৷ আজা নামের
একজন পুরক্ষ্ম এবং সালমা নামের একজন মহিলার নামে এ দুটো পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে ৷
আজা ইবন আবদুল হাই নামের পুরুষ সােকটি সালমা বিনৃত হাম নামের মহিলাটির সাথে
পাপচারে লিপ্ত হয়েছিল ৷ তাদের দৃজনকেই এ দৃটো পাহাড়ের শুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল ৷
অতঃপর তাদের নামানুসারে পাহাড় দৃটো পরিচিত ৩হয় ৷ তিনি বলেন, আজা এবং সালমা এ
দৃটোর মধ্যখাংন৩ ইি গোত্রের কুলস নামক একটি প্রতিমা ছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তখন প্রত্যেক গোত্রের পৃথক পৃথক প্রতিমা ছিল ৷ গোত্র তুক্ত সকল
লোক সেটির পুজা-অর্চনা করত ৷ তাদের কেউ সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করলে সওয়ারীতে
আরোহণ করার সময় ঐ প্রতিমার পায়ে হাত বুলিয়ে যেত ৷ যাত্রা প্রস্তুতির এটি ছিল শেষ ধাপ ৷


قَالَ: وَكَانَ لِبَنِي مِلْكَانَ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ صَنَمٌ يُقَالَ لَهُ: سَعْدٌ، صَخْرَةٌ بِفَلَاةٍ مِنْ أَرْضِهِمْ طَوِيلَةٍ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْهُمْ بِإِبِلٍ لَهُ مُؤَبَّلَةٍ لِيَقِفَهَا عَلَيْهِ الْتِمَاسَ بَرَكَتِهِ فِيمَا يَزْعُمُ فَلَمَّا رَأَتْهُ الْإِبِلُ وَكَانَتْ مَرْعِيَّةً لَا تُرْكَبُ وَكَانَ الصَّنَمُ يُهْرَاقُ عَلَيْهِ الدِّمَاءُ نَفَرَتْ مِنْهُ فَذَهَبَتْ فِي كُلِّ وَجْهٍ، وَغَضِبَ رَبُّهَا وَأَخَذَ حَجَرًا فَرَمَاهُ بِهِ، ثُمَّ قَالَ: لَا بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ نَفَرْتَ عَلَيَّ إِبِلِي، ثُمَّ خَرَجَ فِي طَلَبِهَا فَلَمَّا اجْتَمَعَتْ لَهُ قَالَ: أَتَيْنَا إِلَى سَعْدٍ لِيَجْمَعَ شَمْلَنَا ... فَشَتَّتَنَا سَعْدٌ فَلَا نَحْنُ مِنْ سَعْدِ وَهَلْ سَعْدٌ إِلَّا صَخْرَةٌ بِتَنُوفَةٍ مِنَ ... الْأَرْضِ لَا يَدْعُو لِغَيٍّ وَلَا رُشْدِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فِي دَوْسٍ صَنَمٌ لِعَمْرِو بْنِ حُمَمَةَ الدَّوْسِيِّ قَالَ: وَكَانَتْ قُرَيْشٌ قَدِ اتَّخَذَتْ صَنَمًا عَلَى بِئْرٍ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ يُقَالَ لَهُ: هُبَلُ وَقَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّهُ أَوَّلُ صَنَمٍ نَصَبَهُ عَمْرُو بْنُ لُحَيٍّ لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاتَّخَذُوا إِسَافًا وَنَائِلَةَ عَلَى مَوْضِعِ زَمْزَمَ يَنْحَرُونَ
পৃষ্ঠা - ১২৯০
عِنْدَهُمَا، ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُمَا كَانَا رَجُلًا، وَامْرَأَةً فَوَقَعَ عَلَيْهَا فِي الْكَعْبَةِ فَمَسَخَهُمَا اللَّهُ حَجَرَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَمْرَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: مَا زِلْنَا نَسْمَعُ أَنَّ إِسَافًا وَنَائِلَةَ كَانَا رَجُلًا وَامْرَأَةً مِنْ جُرْهُمٍ أَحْدَثَا فِي الْكَعْبَةِ فَمَسَخَهُمَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَجَرَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قِيلَ إِنَّ اللَّهَ لَمْ يُمْهِلْهُمَا حَتَّى فَجَرَا فِيهَا بَلْ مَسَخَهُمَا قَبْلَ ذَلِكَ فَعِنْدَ ذَلِكَ نُصِبَا عِنْدَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا كَانَ عَمْرُو بْنُ لُحَيٍّ نَقَلَهُمَا فَوَضَعَهُمَا عَلَى زَمْزَمَ، وَطَافَ النَّاسُ بِهِمَا، وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ أَبُو طَالِبٍ وَحَيْثُ يُنِيخُ الْأَشْعَرُونَ رِكَابَهُمْ ... بِمُفْضَى السُّيُولِ مِنْ إِسَافٍ وَنَائِلِ وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَمَرَ بِكَسْرِ نَائِلَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ خَرَجَتْ مِنْهَا سَوْدَاءُ شَمْطَاءُ تَخْمِشُ وَجْهَهَا وَتَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ. وَقَدْ ذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ: أَنَّ أَجَأً وَسَلْمَى وَهُمَا جَبَلَانِ بِأَرْضِ الْحِجَازِ إِنَّمَا سُمِّيَا بِاسْمِ رَجُلٍ اسْمُهُ أَجَأُ بْنُ عَبْدِ الْحَيِّ فَجَرَ بِسَلْمَى بِنْتِ حَامٍ فَصُلِبَا فِي هَذَيْنِ الْجَبَلَيْنِ فَعُرِفَا بِهِمَا قَالَ: وَكَانَ بَيْنَ أَجَأٍ، وَسَلْمَى صَنَمٌ لِطَيَّئٍ يُقَالَ لَهُ: فِلْسٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاتَّخَذَ أَهْلُ كُلِّ دَارٍ فِي دَارِهِمْ صَنَمًا يَعْبُدُونَهُ فَإِذَا
পৃষ্ঠা - ১২৯১
ষ্ষ্


মুর্তি প্রতিমা ছুয়েই সে যাত্রা শুরু করত ৷ সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে সে পুনরায় সেটির পায়ে
হাত বুলিয়ে দিত ৷ সফর শেষে গৃহে প্রবেশের পুর্বে প্রতিমা স্পর্শ করা হতো তার প্রথম কাজ ৷
অতঃপর আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা)-কৃক যখন তাওহীকৃদর বাণী সহকারে প্রেরণ
করলেন তখন তারা বলে উকৃঠছিল :



া; ব্লু,£র্চু৷ ৷টুাছুশু ৰুপ্লু৷ ৷;১ান্এ ট্রুা৷ ৰুৰুপুম্রন্৷ ট্রুট্রুছুা
“সে কি বহু ইলাকৃহর পরিবর্তে এক ইলাহ বা ৷নিকৃয় নিকৃয়ছ? এঢিকৃত৷ এক অতাশ্চর্য ব্যাপার ”

ইবন ইসহাক বলেন, আরবর৷ কাব৷ শরীফের সমান্তরালে আরও বহু পুজামওপ ও আশ্রম
প্রতিষ্ঠা করেছিল ৷ এ পুজামওপ হল কতগুলো গৃহ, তারা সেগুলোকে কাবা শরীফের ন্যায়
সম্মান করত ৷ ঐ গৃহগুলোর জন্যে নির্দিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক এবং খাদিম ছিল ৷ কাব৷ শরীফের
উদ্দেশ্যে যেমন কুরবানীর পশু প্রেরণ করা হত, ঐ পুজামওপগুলোর উ দ্দেশ্যেও কৃসরব্প পশু
প্রেরণ করা হত এবং বাবা শরীফের তড়াওয়াফের ন্যায় ঐ গুলোর চরি দিকৃকও তড়াওয়াফ করা
হত এবংণ্ সেগুলোর সম্মুখে পশু যবাই করা হত ৷ত৷ সকৃত্ত্বও ঐ গৃহওলোর উপর কা বা শরীফের
অধিকতর সম্মান ও মর্যাদা ছিল সর্বজনস্বীকৃত ৷ কারণ সেটি ছিল হযরত ইবরাহীম (আ) এর
তৈরী এবং তীর মসজিদ ৷

কুরায়শ ও বনী কিনানা এর নির্ধারিত প্রতিমা ছিল নাখলা’কৃত অবস্থিত উযয৷ প্রতিমা ৷
সেটিরত তত্ত্বড়াবধায়ক ও খাদিম ছিল বনী হাশিম গোত্রের মিত্র সুলায়ম গোত্রের উপগােত্র বানু
শায়বান ৷ মক্কা বিজয়ের সময় হযরত খালিদ ইবন ওলীদ (বা) ঐ প্রতিমাটি ভেঙ্গে দিলে যেমন
রুপে আসছে বনু ছাফীক কৃগাত্রের নির্ধারিত প্রতিমা ছিল লাত ৷ এটির আবস্থান ছিল তাকৃয়ফে ৷
ছাকীফ গোত্রের বানু মুতার উপগােত্র ছিল ঐ পুজামণ্ডকৃপর তত্ত্বাবধায়ক ও খাদিম ৷
তড়াকৃয়ফবাসীকৃদর নিকট আগমনের পর আবু সুফিয়ান ও মুগীরা ইবন শুব৷ (বা) ঐ প্রতিমাঢি
ভেঙ্গে দিলেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷

তিনি বলেন, আওস ও খাযরাজ গোত্র এবং তাদের সাথে মতাদকৃর্শর অনুসারী মদীনাবাসী
যারা ছিল, তাদের জন্যে নির্ধারিত প্রতিমা ছিল মানাত’ ৷ কাদীদ অঞ্চলের মুশাল্লিল নামক
স্থানের পাশে ৷সমুদ্র তীরে এটি অবস্থিত ৷ এটিও ধ্বংস করে ছিলেন হযরত আবু সুফিয়ান (রা) ৷
মতম্ভেকৃর আলী ইবন আবী তালিব (বা) ৷ দাওস খাছআম বুজায়লা এবং এতদঞ্চকৃলর আরবকৃদর
মুর্তি ছিল যুলখুলাসাহ্ ৷ এটি ছিল তাবালা নামক স্থানে ৷ এটাকে কা বা-ই-ইয়ামানিয়্যা বা
ইয়ামাকৃনর কাব৷ বলা হতো আর মক্কা শরীফের কাবাকে বলা হত ৷ কাবায়ে শামীয়া বা শামী
কারা ৷ জা ৷রীর ইবন আবদুল্লাহ বাজ৷ ৷লী (রা) কর্তৃক যুলখুলাসার উপরোক্ত মুর্তিটি ধ্বংস করেন ৷
তাঈ গোত্র এবং তাঈ অঞ্চলের আজ৷ ও সালমা পাহাড়ের আশে পাশে যারা ছিল তাদের প্রতিমা
ছিল কুলসৃ ৷ এটির অবন্থ ন ছিল আজা ও সালমা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে ৷ এ দু টো মশহুর
পাহাড়ের কথা ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাআম ছিল হিমইয়ার গোত্র ও
ইয়ামান বাসীকৃদর উপাসনালয় ৷ হিমইয়ারী রাজা তুব্বার আলোচনা প্রসংকৃগ এর উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, দৃ’ জন ইয়াহুদী ধর্মযাজক ঐ গৃহ ধ্বংস করেছে এবং


أَرَادَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ سَفَرًا تَمَسَّحَ بِهِ حِينَ يَرْكَبُ فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ مَا يَصْنَعُ حِينَ يَتَوَجَّهُ إِلَى سَفَرِهِ، وَإِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرِهِ تَمَسَّحَ بِهِ فَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ مَا يَبْدَأُ بِهِ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَى أَهْلِهِ قَالَ: فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالتَّوْحِيدِ قَالَتْ قُرَيْشٌ {أَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ} [ص: 5] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَدْ كَانَتِ الْعَرَبُ اتَّخَذَتْ مَعَ الْكَعْبَةِ طَوَاغِيتَ، وَهِيَ بُيُوتٌ تُعَظِّمُهَا كَتَعْظِيمِ الْكَعْبَةِ، لَهَا سَدَنَةٌ وَحُجَّابٌ، وَتُهْدِي لَهَا كَمَا تُهْدِي لِلْكَعْبَةِ، وَتَطُوفُ بِهَا كَطَوَافِهَا بِهَا، وَتَنْحَرُ عِنْدَهَا، وَهِيَ مَعَ ذَلِكَ تَعْرِفُ فَضْلَ الْكَعْبَةِ عَلَيْهَا; لِأَنَّهَا بِنَاءُ ابْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَسْجِدُهُ، فَكَانَتْ لِقُرَيْشٍ وَبَنِي كِنَانَةَ الْعُزَّى بِنَخْلَةَ، وَكَانَتْ سَدَنَتُهَا وَحُجَّابُهَا بَنِي شَيْبَانَ مِنْ سُلَيْمٍ حُلَفَاءِ بَنِي هَاشِمٍ وَقَدْ خَرَّبَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ زَمَنَ الْفَتْحِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ: وَكَانَتِ اللَّاتُ لِثَقِيفٍ بِالطَّائِفِ وَكَانَتْ سَدَنَتُهَا، وَحُجَّابُهَا بَنِي مُعَتِّبٍ مِنْ ثَقِيفٍ، وَخَرَّبَهَا أَبُو سُفْيَانَ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ بَعْدَ مَجِيءِ أَهْلِ الطَّائِفِ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ: وَكَانَتْ مَنَاةُ لِلْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، وَمَنْ دَانَ بِدِينِهِمْ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ مِنْ نَاحِيَةِ الْمُشَلَّلِ بِقُدَيْدٍ وَقَدْ خَرَّبَهَا أَبُو سُفْيَانَ أَيْضًا، وَقِيلَ: عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ كَمَا سَيَأْتِي.
পৃষ্ঠা - ১২৯২
ষ্ষ্


সেটি থেকে বেরিয়ে আসা একটি কালো কুকুর হও ত্যা করেছে বিয়া’ নামের উপাসনালয়টি ছিল
বনী রবী’ আ ইবন কার ইবন সাদ ইবন যায়দ মানাত ইবন তামীম গোত্রের ৷ ঐ উপাসনালয়
সম্পর্কে আর ইবন রাবীঅ৷ ইবন কাব ওরফে মুসত৷ ৷ওগির বন্সেন০ :

আমি প্রচণ্ড আক্রমণ করেছি রিযা’ পুজা মওপে, অতঃপর সেটিকে আমি সম৩ তল ভুমিতে
কালো ও শুন্য তিটেরুপে রেখে এসেছি ৷

এটি ঘৃণিত করতে আবদুল্লাহ সাহায্য করেছেন ৷ আবদুল্লাহর মতই আমি ঐ নিষিদ্ধ বস্তুকে
আচ্ছাদিত করে দিয়েছি ৷

কথিত আছে যে, উপরোল্লেখিত পংজ্যি রচয়ি ল্ক৷ মুসতাওপির ৩৩০ বছর কাল জীবিত
ছিলেন ৷ তিনি মুযার গোত্রের সবচাইতে দীর্ঘজীবি লোক ছিলেন ৷ তিনি আরও বলেছেন০ :



,
আমি সুদীর্ঘ জীবন কান্সেয় কষ্ট ডে ৷প করেছি এবং কয়েক শত৷ ৷ব্দীর আয়ু পেয়েছিা

ষ্ এ ’ :

একশত বছরের পর দু শো বছর এবং অতিরিক্ত আরো কয়েক বছর ৷


আমরা যে যুগ অতিক্রম করে এসেছি, যে রাত দিনের পৌণ পৌণিক আগমন, পরবর্তী যুগ
কি তদপেক্ষা ব্যতিক্রম অন্য কিছু?

ইবন হিশাম বলেন, এ পংক্তিগুলাে যুহায়র ইবন জানার ইবন হুবল-এর রচিত বলেও কেউ
কেউ বলেছেন ৷

সুহায়লী বলেন, দুশ তিন বছরের অধিক আযু যারা পেয়েছিলেন, আলোচ্য ঘু ৷য়র ছিলেন
তাদের অন্যতম ৷ উবায়দ ইবন শিরবাহ্, বংশ তালিকা বিশারর্দদাগফাল ইবন হানযালা , রাবী
ইবন দাবা কােযারী, যুল ইসৰা উদওয়ানী নাসর ইবন দাহমান ইবন আশাজ৷ ইবন রাবাছ ইবন
গা তফান প্রমুখ ব্যক্তিও এরুপ দীর্ঘাযু প্রাপ্ত লোক ছিলেন ৷ নাসর ইবন দাহ দাহমানের এবং তার
পিঠ কুজাে হওয়ার পর পুনরায় সোজা ৷হয়েছিল ৷

যুল কা বাত ছিল বকর, তাগলিব ইবন ওয়াইল ও আইয়াদ গোত্রের উপাসনালয় ৷ এটি
ছিল সিনদ৷ ৷ন অঞ্চলে ৷ এ সম্পর্কে করি আশা ইবন কায়স ইবন ছা ৷লাব৷ বলেন :


খাওরানাক, সাদীর বারিক ও সিনদাদে অবস্থিত সম্মানিত গৃহের মধ্যবর্তী স্থানে ৷ এ
পংক্তিমাল৷ ৷র আগে আরো কত প০ ক্তি রয়েছে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) : ৭-
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া

قَالَ: وَكَانَ ذُو الْخَلَصَةِ لِدَوْسٍ وَخَثْعَمٍ وَبَجِيلَةَ وَمَنْ كَانَ بِبِلَادِهِمْ مِنَ الْعَرَبِ بِتَبَالَةَ وَكَانَ يُقَالَ لَهُ الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ، وَلِبَيْتِ مَكَّةَ الْكَعْبَةُ الشَّامِيَّةُ وَقَدْ خَرَّبَهُ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ: وَكَانَ فِلْسٌ لِطَيِّئٍ وَمَنْ يَلِيهَا بِجَبَلَيْ طَيِّئٍ بَيْنَ أَجَأٍ وَسَلْمَى، وَهُمَا جَبَلَانِ مَشْهُورَانِ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ: وَكَانَ رِئَامٌ بَيْتًا لِحِمْيَرَ، وَأَهْلِ الْيَمَنِ كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ فِي قِصَّةِ تُبَّعٍ أَحَدِ مُلُوكِ حِمْيَرَ، وَقِصَّةُ الْحَبْرَيْنِ حِينَ خَرَّبَاهُ، وَقَتَلَا مِنْهُ كَلْبًا أَسْوَدَ قَالَ: وَكَانَتْ رُضَاءُ بَيْتًا لِبَنِي رَبِيعَةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمٍ وَلَهَا يَقُولُ الْمُسْتَوْغِرُ، وَاسْمُهُ كَعْبُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ كَعْبٍ وَلَقَدْ شَدَدْتُ عَلَى رُضَاءٍ شَدَّةً ... فَتَرَكْتُهَا قَفْرًا بِقَاعٍ أَسْحَمَا وَأَعَانَ عَبْدُ اللَّهِ فِي مَكْرُوهِهَا ... وَبِمِثْلِ عَبْدِ اللَّهِ أَغْشَى الْمَحْرَمَا وَيُقَالَ: إِنَّ الْمُسْتَوْغِرَ هَذَا عَاشَ ثَلَاثَمِائَةِ سَنَةٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً وَكَانَ أَطْوَلَ مُضَرَ كُلِّهَا عُمْرًا وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ১২৯৩
وَلَقَدْ سَئِمْتُ مِنَ الْحَيَاةِ وَطُولِهَا ... وَعُمِرْتُ مِنْ عَدَدِ السِّنِينَ مِئِينَا مِائَةً حَدَتْهَا بَعَدْهَا مِائَتَانِ لِي ... وَازْدَدْتُ مِنْ عَدَدِ الشُّهُورِ سِنِينَا هَلْ مَا بَقِي إِلَّا كَمَا قَدْ فَاتَنَا ... يَوْمٌ يَمُرُّ وَلَيْلَةٌ تَحْدُونَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُرْوَى لِزُهَيْرِ بْنِ جَنَابِ بْنِ هُبَلَ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَمِنَ الْمُعَمَّرِينَ الَّذِينَ جَاوَزُوا الْمِائَتَيْنِ وَالثَّلَاثَمِائَةٍ زُهَيْرٌ هَذَا، وَعُبَيْدُ بْنُ شَرِيَّةَ، وَدَغْفَلُ بْنُ حَنْظَلَةَ النَّسَّابَةُ وَالرَّبِيعُ بْنُ ضُبَعَ الْفَزَارِيُّ، وَذُو الْأُصْبُعِ الْعَدْوَانِيُّ، وَنَصْرُ بْنُ دُهْمَانَ بْنِ أَشْجَعَ بْنِ رَيْثِ بْنِ غَطَفَانَ وَكَانَ قَدِ اسْوَدَّ شَعْرُهُ بَعْدَ ابْيِضَاضِهِ، وَتَقَوَّمَ ظَهْرُهُ بَعْدَ اعْوِجَاجِهِ قَالَ: وَكَانَ ذُو الْكَعَبَاتِ لِبَكْرٍ وَتَغْلِبَ ابْنَيْ وَائِلٍ، وَإِيَادٍ بِسَنْدَادَ، وَلَهُ يَقُولُ أَعْشَى بْنُ قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بَيْنَ الْخَوَرْنَقِ وَالسَّدِيرِ وَبَارِقٍ ... وَالْبَيْتِ ذِي الشُّرُفَاتِ مِنْ سَنْدَادِ وَأَوَّلُ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ وَلَقَدْ عَلِمْتُ وَإِنْ تَطَاوَلَ بِي الْمَدَى ... أَنَّ السَّبِيلَ سَبِيلُ ذِي الْأَعْوَادِ مَاذَا أُؤَمِّلُ بَعْدَ آلِ مُحَرِّقٍ ... تَرَكُوا مَنَازِلَهُمْ وَبَعْدَ إِيَادِ
পৃষ্ঠা - ১২৯৪
ষ্ষ্


সুহায়লী বলেন, খাওরানাক হল একটি নয়নাভিরাম প্রাসাদ ৷ নুমা:ন-ই আকবর এটি সম্রাট
সাবুরের জন্যে ভৈ৩ রী করেছিলেন ৷ সিনুেমার নামক একজন প্রকৌশলী দীর্ঘ ২০ বছর পরিশ্রম
করে এটি নির্মাণ করেন ৷ এর চাইতে সুন্দর কোন প্রাসাদ তখনকার দিনে দেখা যেত না ৷
সিনুেমার অন্য কোন ব্যক্তির জন্যে এরুপ প্রাসাদ যেন নির্মাণ করতে না পারেন, যে জন্যে
নুমানকে ঐ প্রাসাদের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে ৷ এ উদাহরণ উল্লেখ করে করি
বলেনঃ


আল্লাহ্ তাকে নিকৃষ্টতম শাস্তি দান করুন যে আমাকে প্রতিদ৷ ৷ন দিয়েছে সিনুেমারের
প্রতিদা ৷নের ন্যায় ৷ মুলত সিনুেমারের কো ন দোষ ছিল না ৷


’ মোঃ) এস্পো

তার একটি মাত্র অপরাধ ছিল বিশ বছর ধরে যে ঐ প্রান্ছুাদ নির্তোণ্৷ করেছে ৷ পাথর কুচি
মােজাইক ও পানি ঢেলে ঢেলে অত্যন্ত যত্ন সহকারে যে এটি তৈ ৷ হৃ৯বেছিল ৷

@ )

ৰু ৷ ট্রুট্রুপুরু
এ্যা

অবশেষে একদিন যখন সেটির নির্মাণ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছল এবং সুউচ্চ ও সুবিশাল টিলার
ন্যায় সেটি সুদৃঢ় ও মজবুত হল ৷


তখন সে ফেলে দিল সির্দুন্নমারকে ঐ প্রাসাদের চুড়৷ থেকে ৷ আল্লাহর কসম এটিব্লে জঘন্যতম
কাজ ৷

সুহায়লী বলেন, প্রখ্যাত৩ ৷ষাবিদ জা ৷হিয এই কবিতাটি আল মাইওয়ান ওয়ান সিমার মিন
আসমা ৷ইল কামার’ নামক গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন ৷

মুল কথা হল পুর্বোক্ত সকল প্রতিমা পুজার রুকন্দ্রগুলো ধ্বং স ও ৰিনষ্ট করে দেয়৷ হয় ৷
ইসলামের আবির্ভাবের পর র৷ ৷সুলুল্লাহ্ (সা) উপরােল্লেখিত প্রকৃ৩ ব্লকটি পুজামণ্ডপ ও প্রতিমা ধ্বংস
করার জন্যে লোক প্রেরণ করেন ৷ তারা ৷ঐ সবগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে দেন ৷ শেষ পর্যন্ত

কাবা শরীফের প্রতিদ্বন্সী কে ন পৃহ্ই অবশিষ্ট থাকল না ৷ আর তখন ইবাদত নিবেদিত হতে
থাকল একক লা শরীক আল্ল ল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ৷


نَزَلُوا بِأَنْقَرَةَ يَسِيلُ عَلَيْهِمُ مَاءُ الْفُرَاتِ يَجِيءُ مِنْ أَطْوَادِ ... أَرْضُ الْخَوَرْنَقِ وَالسَّدِيرِ وَبَارِقٍ وَالْبَيْتِ ذِي الْكَعَبَاتِ مِنْ سَنْدَادِ ... جَرَتِ الرِّيَاحُ عَلَى مَحَلِّ دِيَارِهِمْ فَكَأَنَّمَا كَانُوا عَلَى مِيعَادِ ... وَأَرَى النَّعِيمَ وَكُلَّمَا يُلْهَى بِهِ يَوْمًا يَصِيرُ إِلَى بِلًى وَنَفَادِ قَالَ السُّهَيْلُ: الْخَوَرْنَقُ قَصْرٌ بَنَاهُ النُّعْمَانُ الْأَكْبَرُ لِسَابُورَ; لِيَكُونَ وَلَدُهُ فِيهِ عِنْدَهُ، وَبَنَاهُ رَجُلٌ يُقَالَ لَهُ: سِنِمَّارُ فِي عِشْرِينَ، وَلَمْ يُرَ بِنَاءٌ أَعْجَبُ مِنْهُ فَخَشِيَ النُّعْمَانُ أَنْ يَبْنِيَ لِغَيْرِهِ مِثْلَهُ فَأَلْقَاهُ مِنْ أَعْلَاهُ فَقَتَلَهُ فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الشَّاعِرُ جَزَانِي جَزَاهُ اللَّهُ شَرَّ جَزَائِهِ ... جَزَاءَ سِنِمَّارَ وَمَا كَانَ ذَا ذَنْبِ سِوَى رَصْفِهِ الْبُنْيَانَ عِشْرِينَ حَجَّةً ... يَعُدُّ عَلَيْهِ بِالْقَرَامِدِ وَالسَّكْبِ فَلَمَّا انْتَهَى الْبُنْيَانُ يَوْمًا تَمَامَهُ ... وَآضَ كَمِثْلِ الطَّوْدِ وَالْبَاذِخِ الصَّعْبِ رَمَى بِسِنِمَّارَ عَلَى حُقِّ رَأْسِهِ ... وَذَاكَ لَعَمْرُ اللَّهِ مِنْ أَقْبَحِ الْخَطْبِ
পৃষ্ঠা - ১২৯৫
قَالَ السُّهَيْلِيُّ: أَنْشَدَهُ الْجَاحِظُ فِي كِتَابِ الْحَيَوَانِ وَالسِّنِمَّارُ مِنْ أَسْمَاءِ الْقَمَرِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذِهِ الْبُيُوتَ كُلَّهَا هُدِمَتْ لَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ، جَهَّزَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى كُلِّ بَيْتٍ مِنْ هَذِهِ سَرَايَا تُخَرِّبُهُ، وَإِلَى تِلْكَ الْأَصْنَامِ مَنْ كَسَرَهَا حَتَّى لَمْ يَبْقَ لِلْكَعْبَةِ مَا يُضَاهِيهَا، وَعُبِدَ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوَاضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ.
পৃষ্ঠা - ১২৯৬
ষ্ষ্

হিজাযী আরবদের উর্ধ্বতন পুরুষ আদনান-এর বৃত্তান্ত

আদনান যে ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম-এর বংশধর, সে
সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই ৷ তবে তার এবং ইসমাঈলের মধ্যন্থলে কত পুরুষের ব্যবধান সে
বিষয়ে বহু মততেদ রয়েছে ৷ কথিত সর্বোচ্চ ব্যবধান হচ্ছে চল্লিশ পুরুষের ৷ আহলি কিতাবদের
মধ্যে এই উক্তিই প্রচলিত ৷ আরমিয়া ইবন হলিকিয়া এর লিপিকার রাখিরার লিপি থেকে আহলি
কিতাবরা এ মত গ্রহণ করেছে ৷ এ সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করবো ৷ মতাতরে উভয়ের
মধ্যকার এ ব্যবধান ৩০, ২০ , ১ ৫ , ১ : , ৯, অথবা : পুরুষের ৷ মুসা ইবন ইয়া’কুব এ ব্যাপারে
উম্মু সালামা এর বরাতে বলেন যে, নবী করীম (সা) বগােছন, মাআদ ইবন আদনান ইবন
উদাদ ইবন যান্দ ইবনুল বারী ইবন আরাফ আস্-ছারা ৷ উম্মু সালামা (রড়া)-বলেন : যান্দ হচ্ছেন
হড়ামড়ায়সা আর নারী হচ্ছেন নাবিক , আর আ’রাত আস ছারা হচ্ছেন ইসমাঈল , আর ইসমাঈল
হচ্ছেন ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্র ৷ আর আগুন ইব্রাহীম (আ)-কে দহ্ন করেনি, যেমন আগুন
দহ্ন করে না মাটিকে ৷ ছারা কুত্নী বলেন ৪ এ বর্ণনা ছাড়া (অন্য কোথাও) আমরা মন্দে
সম্পর্কে জানতে পারি না ৷ আর মান্দ ইবনুল জওন হচ্ছেন করি আবু দালামা ৷

হাফিজ আবুল কাসিম সুহাইলী প্রমুখ ইমাম বলেন : আদনান থেকে ইসমাঈল (আ) পর্যন্ত
সময়কাল : পুরুষ থেকে ১০ পুরুষ বা ২০ পুরুষের চেয়েও বেশী ৷ আর এটা এজন্য যে, বৃখৃত
নসরের শাসনকালে মাআদ ইবন আদনান এর বয়স ছিল ১২ বছর ৷ আবু জাফর তাবারী প্রমুখ
উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ তাআলা এ সময়ে আরমিয়া ইবনু হালকিয়ার নিকট এ মর্মে ওহী
প্রেরণ করেন যে, তুমি বুখৃত নসর এর নিকট গিয়ে তাকে জানিয়ে দাও যে, আমি তাকে
আরবদের উপর শাসনকর্তা করেছি ৷ আর আল্লাহ তাআলা আরমিয়াকে নির্দেশ দান করেন যে
তিনি যেন তার সঙ্গে মাআদ ইবনু আদনানকেও বুরাকে আরোহন করিয়ে নিয়ে যান , যাতে
তাদের মধ্যে তাকে কোন কষ্ট পেতে না হয় ৷ কারণ, তীর বংশে আমি একজন মহান নবীর
আবির্ভাব ঘটাবাে র্যার মাধ্যমে আমি রিসালতের ধারার পরিসমড়াপ্তি ঘটাবাে ৷ আরমিয়া সে মতে
কাজ করেন এবং মাআদকে নিজের সঙ্গে বুরাকে আরোহণ করিয়ে শাম দেশ পর্যন্ত নিয়ে যান ৷
রায়তৃল মুকাদ্দাস ধ্বংসের পর সেখানে যেসব বনী ইসরাঈল অবশিষ্ট ছিল-তিনি তাদের মধ্যে
প্রতিপালিত হয়ে বেড়ে উঠেন ৷ স্বদেশ ভুমিতে ফিরে আসার পুর্বে তিনি সেখানে বহু দুর ইবনু
জুরহুম বংশে মুআনা বিনত জওশন নাসের এক মহিলাকে বিবাহ করেন ৷ আরব দেশে অশান্তি
দুর হয়ে শান্তি ফিরে এলে তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ আরমিয়ার লিপিকার সচিব রাখইয়া
তার নিকট রক্ষিত একটা লিপিতে তার বংশধারা লিপিবদ্ধ করে রাখেন, যাতে তা আরমিয়ার


[خَبَرُ عَدْنَانَ جَدِّ عَرَبِ الْحِجَازِ] لَا خِلَافَ أَنَّ عَدْنَانَ مِنْ سُلَالَةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ ابْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَاخْتَلَفُوا فِي عِدَّةِ الْآبَاءِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ إِسْمَاعِيلَ عَلَى أَقْوَالٍ كَثِيرَةٍ فَأَكْثَرُ مَا قِيلَ: أَرْبَعُونَ أَبًا وَهُوَ الْمَوْجُودُ عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَخَذُوهُ مِنْ كِتَابِ رِخْيَا كَاتِبِ أَرَمِيَا بْنِ حَلْقِيَا عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ وَقِيلَ: بَيْنَهُمَا ثَلَاثُونَ وَقِيلَ: عِشْرُونَ وَقِيلَ: خَمْسَةَ عَشَرَ وَقِيلَ: عَشَرَةٌ وَقِيلَ: تِسْعَةٌ وَقِيلَ: سَبْعَةٌ وَقِيلَ: إِنَّ أَقَلَّ مَا قِيلَ فِي ذَلِكَ أَرْبَعَةٌ; لِمَا رَوَاهُ مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ الزَّمْعِيِّ عَنْ عَمَّتِهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «مَعَدُّ بْنُ عَدْنَانَ بْنِ أُدَدَ بْنِ زَنْدِ بْنِ يَرَى بْنِ أَعْرَاقِ الثَّرَى» قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَزَنْدٌ هُوَ الْهَمَيْسَعُ وَالْيَرَى هُوَ نَبْتٌ، وَأَعْرَاقُ الثَّرَى هُوَ إِسْمَاعِيلُ; لِأَنَّهُ ابْنُ ابْرَاهِيمَ، وَإِبْرَاهِيمُ لَمْ تَأْكُلْهُ النَّارُ كَمَا أَنَّ النَّارَ لَا تَأْكُلُ الثَّرَى قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: لَا نَعْرِفُ زَنْدًا إِلَّا فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَزَنْدُ بْنُ الْجَوْنِ وَهُوَ أَبُو دُلَامَةَ الشَّاعِرُ
পৃষ্ঠা - ১২৯৭
ষ্ষ্


ভাণ্ডারে রক্ষিত থাকে ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷ এ কারণে মালিক (র) আদনান এর উপরের
বংশধারা বর্ণনা করা পছন্দ করতেন না ৷

সুহাইলী বলেন : এ বংশধারা উভ্রুর্ধ্ব নিয়ে যাওয়া নিয়ে আমরা ন্অ্যাংলাচন৷ করেছি সেসব
মনীষীদের মত অনুযায়ী ৷ যারা এটাকে বৈধ মনে করেন (এবং এটাকে নাপছন্দ করেন না, যথা
ইবন্ ইসহাক, বুখারী, যুৰাইর ইবন বাক্কার তাবারী প্রমুখ ৷ তবে ইমাম মালিক (র)-কে এমন
এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে সে বংশধারা আদম (আ) পর্যন্ত পৌছার, তখন তিনি
এটাকে নাপছন্দ করে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন সে এটা কোথা থেকে জানতে পেরেছেঃ
ইসমাঈল (আ) পর্যন্ত বংশধারা পৌছালে তিনি তা-ও নাপছন্দ করেন ৷ এ সস্পর্কেও তিনি বলেন
যে, কে তাকে তা বলেছেঃ এমনকি তিনি নবীগণের বংশধারা আরো উপরে নিয়ে যাওয়া, যেমন
বলা ইবরাহীম অমুকের পুত্র অমুক তাও অপছন্দ করেছেন ৷ আল-মুঈভী তার গ্রন্থে এরুপই
উল্লেখ করেছেন ৷

তিনি বলেন : মালিক (র)-এর এ উক্তি উরওয়া ইবন যুবড়ায়ব (রা-এর মতের অনুরুপ ৷
তিনি বলেছেন আদনান ও ইসমাঈল (আ) এর মধ্যবর্তী বংশধারা সম্পর্কে জানে, এমন কারৌ
সম্পর্কে আমাদের জানা নেই ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আদনান
আর ইসমাঈল (আ) এর মধ্যকার ত্রিশ পুরুষ সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না ৷ ইবন আব্বাস (বা)
থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, বংশধারা আদনান পর্যন্ত পৌছার পর তিনি দৃ’বার বা তিনবার
বলতেন বংশধারা বর্ণনড়াকারীরা মিথ্যা বলে ৷ বিশুদ্ধ মতে ইবন মাসউদ (রা) থেকেও অনুরুপ
বর্ণনা রয়েছে ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলতেন : আদনান পর্যন্ত বংশধারা পৌছানাে যায় ৷ ’
আবু উমর ইবন আব্দুল বার তীর গ্রন্থ আল-ইস্বাহ ফী মারিফাতে কাবাইলিররুয়াত এ বলেন :
ইবন লাহীয়া’ আবুল আস্ওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উরওয়া ইবন যুবায়রকে বলতে
শ্যুনছেন যে, আদনান বা কাহ্তান এরপর বংশধারা সম্পর্কে কেউ জানে বলে আমাদের জানা
নেই ৷ কেউ এমন দাবী করলে তা হবে একান্তই অনুমান নির্ভর ও অসতা ৷ আর আবুল
আসওয়াদ বলেন : কুরাইশদের কাজগামা আর বংশধারা সম্পর্কে অন্যতম বিশেষজ্ঞ আবু বকর
ইবন সৃলায়মান ইবন আবু খড়ায়সামাকে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, মাআদ ইবন
আদনান-এর উচর্ধ্ব কোন কবির কবিতা বা কোন জ্ঞানী ব্যক্তির জ্ঞানের কথা কেউ জানে এমন
লোকের সন্ধান আমরা পাইনি ৷

আবু উমর বলেন অতীত মনীষীদের মধ্যে এক দল ছিলেন, যাদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন
আব্দুল্লাহ ইবন মাসৃউদ’ আমর ইবন মায়মুন আল-আয্দী এবং মুহাম্মদ ইবন কা ব আল-কুরাযী
নিম্নোক্ত আয়াতটি তিলাত্তয়াত করার পর বলতেন বংশধারা বর্ণনাকারীরা মিথ্যা বলেছে ৷

(ণ্
(তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসেনি তোমাদের পুর্ববর্তীদের নুহ আর ও সামুদ

জাতির) এবং তাদের পুর্ববর্তীদেরঃ তাদের বিষয় আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না (১৪
ইব্রাহীম : ৯) ৷


قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ: مُدَّةُ مَا بَيْنَ عَدْنَانَ إِلَى زَمَنِ إِسْمَاعِيلَ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يَكُونَ بَيْنَهُمَا أَرْبَعَةُ أَبَاءٍ أَوْ عَشَرَةٌ أَوْ عِشْرُونَ; وَذَلِكَ أَنَّ مَعَدَّ بْنَ عَدْنَانَ كَانَ عُمْرُهُ زَمَنَ بُخْتُنَصَّرَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو جَعْفَرٍ الطَّبَرِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَوْحَى فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ إِلَى أَرْمِيَاءَ بْنِ حَلْقِيَا: أَنِ اذْهَبْ إِلَى بُخْتُنَصَّرَ فَأَعْلِمْهُ أَنِّي قَدْ سَلَّطْتُهُ عَلَى الْعَرَبِ، وَأَمَرَ اللَّهُ أَرْمِيَا أَنْ يَحْمِلَ مَعَهُ مَعَدَّ بْنَ عَدْنَانَ عَلَى الْبُرَاقِ كَيْ لَا تُصِيبَهُ النِّقْمَةُ فِيهِمْ فَإِنِّي مُسْتَخْرِجٌ مِنْ صُلْبِهِ نَبِيًّا كَرِيمًا أَخْتِمُ بِهِ الرُّسُلَ فَفَعَلَ أَرْمِيَا ذَلِكَ، وَاحْتَمَلَ مَعَدًّا عَلَى الْبُرَاقِ إِلَى أَرْضِ الشَّامِ فَنَشَأَ مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِمَّنْ بَقِيَ مِنْهُمْ بَعْدَ خَرَابِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَتَزَوَّجَ هُنَاكَ امْرَأَةً اسْمُهَا مُعَانَةُ بِنْتُ جَوْشَنَ مِنْ بَنِي دُبِّ بْنِ جُرْهُمٍ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى بِلَادِهِ، ثُمَّ عَادَ بَعْدَ أَنْ هَدَأَتِ الْفِتَنُ، وَتَمَحَّضَتْ جَزِيرَةُ الْعَرَبِ وَكَانَ رِخْيَا كَاتِبُ أَرْمِيَاءَ قَدْ كَتَبَ نَسَبَهُ فِي كِتَابٍ عِنْدَهُ لِيَكُونَ فِي خِزَانَةِ أَرْمِيَاءَ فَيَحْفَظُ نَسَبَ مَعَدٍّ كَذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلِهَذَا كَرِهَ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ رَفْعَ النِّسَبِ إِلَى مَا بَعْدَ عَدْنَانَ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَإِنَّمَا تَكَلَّمْنَا فِي رَفْعِ هَذِهِ الْأَنْسَابِ عَلَى مَذْهَبِ مَنْ يَرَى ذَلِكَ، وَلَمْ يَكْرَهْهُ كَابْنِ إِسْحَاقَ وَالْبُخَارِيِّ وَالزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ وَالطَّبَرِيِّ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَأَمَّا مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ فَقَدْ سُئِلَ عَنِ الرَّجُلِ يَرْفَعُ نَسَبَهُ إِلَى آدَمَ فَكَرِهَ ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ: مِنْ أَيْنَ لَهُ عِلْمُ ذَلِكَ؟ فَقِيلَ لَهُ: فَإِلَى
পৃষ্ঠা - ১২৯৮
ষ্ষ্


আবু উমর (র) বলেন ? এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে ভিন্নতর ৷ আমাদের মতে এর
মানে হচ্ছে আদম (আ)-এর বংশধারা সম্পুর্ণ জানে বলে যারা দাবী করে তাদের প্রতিই উক্ত
মিথ্যাচারের উক্তিটি প্রযোজ্য ৷ জানেন কেবল এক আল্লাহ যিনি তাদের পয়দা করেছেন ৷ আর
আরবদের বংশধারা এবং তাদের ইতিহাস ও বংশ বৃত্তান্ত সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তিরা অনেক কিছু
সংরক্ষণ করেছেন ৷ জ্ঞানীরা তাদের সাধারণ মানুষ এবং বড় বড় কবীলা সম্পর্কে অনেক কিছু
তত্ত্ব ও তথ্য সংরক্ষণ করেছেন ৷ তবে এর কোন কোন খুটিনাটি বিবরণ সম্পর্কে তাদের ভিন্ন
ভিন্ন মত রয়েছে ৷

আবু উমর বলেন দ্বুআদনান-এর বংশধারা বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের ইমামগণ বলেন £
আদনান ইবন উদাদ মুকাব্বিস ইবন নাহুর ইবন তায়রাহ ইবন ইয়ারুব ইবন ইয়াশজুর ইবন
নাবিত ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
তার সীরাত গ্রন্থে এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷

ইবন হিশাম উক্ত বংশতালিকা সম্পর্কে বলেন যে, কারো কারো মতে তা হচ্ছে আদনান উদ
ইবন উদাদ ৷ অতঃপর আবু উমর অবশিষ্ট বংশধারা আদম (আ) পর্যন্ত পৌছিয়েছেন ৷ যেমন
আমরা ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর আলোচনার পুর্বেই উল্লেখ করে এসেছি ৷ অবশ্য আদনানঃ
পর্যন্ত আরবের সকল কবীলার নসবনামা সংরক্ষিত এবং এতই খ্যাত ও সুসংরক্ষিত যে, সে
বিষয়ে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই ৷ আদনান পর্যন্ত মহানবী (সা)-এর বংশধারা ভোরের
আলোর মতই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ৷ এ বিষয়ে মড়ারফু’ হাদীস উক্ত হয়েছে, যা আরবের কবীলা
প্রসঙ্গে যথান্থানে আমরা উল্লেখ করবো ৷ মহানবী (না)-এর পবিত্র বংশধারা ও উৎস সম্পর্কে
আলোচনাকালে আমরা এ বিষয়ে আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ ৷ র্তারই প্রতি রয়েছে
আমাদের আস্থা ও ভরসা ৷ প্রবল পরাক্রমশালী ও কুশলী আল্লাহ ভিন্ন কোন ক্ষমতা নেই ৷ নেই
কোনই শক্তি-সামর্থ্য ৷ ইমাম আবু আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আন-নাশীর রচিত মহানবী’ বলে
কথিত একটা প্রসিদ্ধ কাসীদায় নবী করীম (সা)-এর বংশধারার কী চমৎকার বর্ণনাই না রয়েছে ৷
যাতে তিনি বলেন :

ন্১১১০

আমি আল্লাহর রাসুলের প্রশংসা করছি আর তার প্রশংসা দ্বারা আমি তার অনুগ্রহভাজন
হওয়ার আথাক্ষো পোষণ করি ৷


আমি এমন এক ব্যক্তির নিরংকুশ প্রুণৎসা করি , প্রশংসা ভাজন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যার স্থান
সকলের শীর্ষে আর গুণপনায় যিনি নিকটবর্তী আর দুরবর্তী সকলের উপরে ৷


إِسْمَاعِيلَ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ أَيْضًا، وَقَالَ: وَمَنْ يُخْبِرُهُ بِهِ؟ وَكَرِهَ أَيْضًا أَنْ يُرْفَعَ فِي نَسَبِ الْأَنْبِيَاءِ مِثْلَ أَنْ يُقَالَ: ابْرَاهِيمُ بْنُ فَلَانِ بْنِ فُلَانٍ هَكَذَا ذَكَرَهُ الْمُعَيْطِيُّ فِي كِتَابِهِ. قَالَ: وَقَوْلُ مَالِكٍ هَذَا نَحْوٌ مِمَّا رُوِيَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ قَالَ: مَا وَجَدْنَا أَحَدًا يَعْرِفُ مَا بَيْنَ عَدْنَانَ وَإِسْمَاعِيلَ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: بَيْنَ عَدْنَانَ وَإِسْمَاعِيلَ ثَلَاثُونَ أَبَا لَا يُعْرَفُونَ. وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا أَنَّهُ كَانَ إِذَا بَلَغَ عَدْنَانَ يَقُولُ: كَذَبَ النَّسَّابُونَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. وَالْأَصَحُّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ مِثْلُهُ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنَّمَا نَنْتَسِبُ إِلَى عَدْنَانَ، وَقَالَ أَبُو عُمَرَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي كِتَابِهِ " الْإِنْبَاهِ فِي مَعْرِفَةِ قَبَائِلِ الرُّوَاةِ " رَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ: مَا وَجَدْنَا أَحَدًا يَعْرِفُ مَا وَرَاءَ عَدْنَانَ وَلَا مَا وَرَاءَ قَحْطَانَ إِلَّا تَخَرُّصًا. وَقَالَ أَبُو الْأَسْوَدِ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ - وَكَانَ مِنْ أَعْلَمِ قُرَيْشٍ بِأَشْعَارِهِمْ وَأَنْسَابِهِمْ - يَقُولُ: مَا وَجَدْنَا أَحَدًا يَعْرِفُ مَا وَرَاءَ مَعَدِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১২৯৯
ষ্ষ্


(আমি (প্রুশংসা করি) এমন এক নবীর প্রাচ্য দেশে যার নুরের স্থান অত্যুশ্চে ৷ ফলে
পাশ্চাত্যবাসীদের নিকট তার হিদায়াতকারীরা উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেন ৷



তার আগমনের পুর্বেই আগমণবার্তা পৌছেছে আমাদের কাছে ৷ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে
খবর তার আগমণের ৷

পনক আর ভবিষ্যবক্তারা তার নাম উচ্চারণ করতে শুরু করে ৷ আন্দাজ-অনুমান করে
মিথ্যাবাদীরা তাকে অস্বীকার করে ৷

ন্ন্ম্ৰু’ষ্-ৰুষ্ এট্ট-শু (,৮এ

প্ৰতিমাগুলাে এমন কথা উচ্চারণ করে, যার দ্বারা তারা মিথ্যাবাদীদের কথা থেকে সম্পর্ক
হীনতা ঘোষণা করে এবং অড়াল্লাহ্র দিকে তারা রুজু করে ৷

প্রতিমাগুলো কুফরীর অনুসারীদেরকে স্পষ্ট বলে দেয়, তোমাদের নিকট একজন নবী
এসেছেন লুয়াই ইবন পালিব এর বংশ থেকে ৷

জিনরা চুরি করে আড়ি পেতে শোনার প্রয়াস পেলে নক্ষত্ররাজি নিক্ষেপ দ্বারা তাদেরকে
বিতাড়িত করে দেয়া হয় ৷

তিনি আমাদেরকে এমন পথ প্রদর্শন করেন, যে ণথের দিশা পাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব
ছিল না ৷ কারণ, স্পষ্ট ধর্ম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছিল দীর্ঘ দিনের ৷


তিনি নিয়ে আসেন এমন সব নিদর্শন, যদ্বারা প্রমাণ হয় যে, সেণ্ডালা হচ্ছে এমন এক সভায়
প্রমাণ, যিনি দুর্দাস্ত পরাক্রমশালী, পুরস্কারদাতা ও শাস্তিদাতা ৷

সেসব প্রমাণের অন্যতম হচ্ছে চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়া এমন এক সময়ে, যখন তার আলোরছটা
উর্ধ্বাৎশ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল ৷


عَدْنَانَ فِي شِعْرِ شَاعِرٍ وَلَا عِلْمِ عَالِمٍ. قَالَ أَبُو عُمَرَ: وَكَانَ قَوْمٌ مِنَ السَّلَفِ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، وَعَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ الْأَوْدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ إِذَا تَلَوْا {وَالَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ} [إبراهيم: 9] قَالُوا كَذَبَ النَّسَّابُونَ. قَالَ أَبُو عُمَرَ رَحِمَهُ اللَّهُ: وَالْمَعْنَى عِنْدَنَا فِي هَذَا غَيْرُ مَا ذَهَبُوا وَالْمُرَادُ أَنَّ مَنِ ادَّعَى إِحْصَاءَ بَنِي آدَمَ; فَإِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ الَّذِي خَلَقَهُمْ، وَأَمَّا أَنْسَابُ الْعَرَبِ فَإِنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ بِأَيَّامِهَا وَأَنْسَابِهَا قَدْ وَعَوْا وَحَفِظُوا جَمَاهِيرَهَا، وَأُمَّهَاتِ قَبَائِلِهَا، وَاخْتَلَفُوا فِي بَعْضِ فُرُوعِ ذَلِكَ. قَالَ أَبُو عُمَرَ: وَالَّذِي عَلَيْهِ أَئِمَّةُ هَذَا الشَّأْنِ فِي نَسَبِ عَدْنَانَ قَالُوا: عَدْنَانُ بْنُ أُدَدَ بْنِ مُقَوَّمِ بْنِ نَاحُورَ بْنِ تَيْرَحَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ نَابِتِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَهَكَذَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارَ فِي السِّيرَةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ عَدْنَانُ بْنُ أُدٍّ يَعْنِي: عَدْنَانَ بْنِ أُدِّ بْنِ أُدَدَ، ثُمَّ سَاقَ أَبُو عُمَرَ بَقِيَّةَ النَّسَبِ إِلَى آدَمَ كَمَا قَدَّمْنَاهُ فِي قِصَّةِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ১৩০০
ষ্ষ্


তন্মধ্যে আরো একটা প্রমাণ হচ্ছে তার অঙ্গুলীর অগ্রভাগ থেকে পানি উৎসারিত হওয়া,
অথচ তখন পানির সন্ধানে আগন্তুকরা পানির ধারে কাছেও ছিল না ৷


সে পানি দ্বারা পবিত ট্রুপ্ত করা হয় এক বিরাট দলকে এবং পাপাচা ৷রীদের হড়াতসমুহ গর্দানসহ
স্বেচ্ছায় মত হয়ে পড়ে ৷


তার তীব্রের পাশে অনেক কুপন্ থেকে পানি প্রবাহিত হয়, অথচ ইতিপুর্বে তাতে কোন পানি
পানকারী এক ফৌটা পানির স্বাদ গ্রহণ করেনি ৷


এমন অনেক ওলান, যা ছিল শুকনো তা দৃধে ভর্তি হ্যয় গেল ৷ অথচ তাতে এমন দুধ ছিল
না, যা দুগ্ধ দোহনকারীর হস্তকে আকর্ষণ করে ৷

সুস্পষ্ট বচন ফুটে উঠে স্পষ্টভাষী বাহু থেকে, দুশমনের প্রতারণা সম্পর্কে যার প্রতারণা
ছিল তীব্র ৷
অনেক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পুর্বেই তার যে বিষয়ে খবর দেওয়া এবং সুচনাতে
পরিণতি কি হবে তা বলে দেয়া ৷

;শ্^ৰুস্

সে সবের মধ্যে এমন কিছু আয়াত যা ওহী হয়েছে ৷ তিনি সে সব নিয়ে এসেছেন ৷
কিয়ামতের নিকটবর্তী এবং বিস্ময়ের বিপুল সমাহার ৷

তার চিন্তাধারা এতই উন্নত যে তা হৃদয়ঙ্গম করতে সাধারণ মানুষ অক্ষম ৷ ফলে
তিনি আনুণত্য করেননি কোন বাশ্মীর এবং কোন বাশ্মীয় অস্তয়ে তার অনুরুর্প চিন্তা
উদিতও হয়নি ৷
সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান তিনি আরও করেছেন ৷ এবং সফলকাম হয় না সর্বদা
প্রতারণাকারী ব্যক্তি ৷


السَّلَامُ. وَأَمَّا الْأَنْسَابُ إِلَى عَدْنَانَ مِنْ سَائِرِ قَبَائِلِ الْعَرَبِ فَمَحْفُوظَةٌ شَهِيرَةٌ جِدًّا لَا يَتَمَارَى فِيهَا اثْنَانِ وَالنَّسَبُ النَّبَوِيُّ إِلَيْهِ أَظْهَرُ وَأَوْضَحُ مِنْ فَلَقِ الصُّبْحِ. وَقَدْ وَرَدَ حَدِيثٌ مَرْفُوعٌ بِالنَّصِّ عَلَيْهِ كَمَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ بَعْدَ الْكَلَامِ عَلَى قَبَائِلِ الْعَرَبِ، وَذِكْرِ أَنْسَابِهَا وَانْتِظَامِهَا فِي سِلْكِ النَّسَبِ الشَّرِيفِ وَالْأَصْلِ الْمُنِيفِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ. وَمَا أَحْسَنَ مَا نَظَمَ النَّسَبَ النَّبَوِيَّ الْإِمَامُ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاشِئُ فِي قَصِيدَتِهِ الْمَشْهُورَةِ الْمَنْسُوبَةِ إِلَيْهِ وَهِيَ قَوْلُهُ مَدَحْتُ رَسُولَ اللَّهِ أَبْغِي بِمَدْحِهِ ... وُفُورَ حُظُوظِي مِنْ كَرِيمِ الْمَآرِبِ مَدَحْتُ امْرَأً فَاقَ الْمَدِيحَ ... مُوَحَّدًا بِأَوْصَافِهِ عَنْ مُبْعِدٍ وَمُقَارِبِ نِبِيًّا تَسَامَى فِي الْمَشَارِقِ نُورُهُ ... فَلَاحَتْ هَوَادِيهِ لِأَهْلِ الْمَغَارِبِ أَتَتْنَا بِهِ الْأَنْبَاءُ قَبْلَ مَجِيئِهِ ... وَشَاعَتْ بِهِ الْأَخْبَارُ فِي كُلِّ جَانِبِ وَأَصْبَحَتِ الْكُهَّانُ تَهْتِفُ بِاسْمِهِ ... وَتَنْفِي بِهِ رَجْمَ الظُّنُونِ الْكَوَاذِبِ وَأُنْطِقَتِ الْأَصْنَامُ نُطْقًا تَبَرَّأَتْ إِلَى اللَّهِ فِيهِ مِنْ مَقَالِ الْأَكَاذِبِ ... وَقَالَتْ لِأَهْلِ الْكُفْرِ قَوْلًا مُبَيَّنًا أَتَاكُمْ نَبِيٌّ مِنْ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ ... وَرَامَ اسْتِرَاقَ السَّمْعِ جِنٌّ فَزَيَّلَتْ مَقَاعِدَهُمْ مِنْهَا رُجُومُ الْكَوَاكِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০১
ষ্ষ্


আমাদের নিকট তা নিয়ে এসেছেন সন্দেহবাদীর চিন্তা-কল্পনা থেকে নয়, লিখিত পুস্তক
আর লেখকের লেখকসুলভ গুণ থেকেও নয় ৷


কখনো তিনি উপস্থাপন করেন কোন প্রশ্নকর্তার জবাবে; আবার কখনো ফতোয়া প্রার্থীব
জবাবে ৷ কখনও খর্তীবরুপে ওয়াউ হিসাবে ৷


নিয়ে আসেন তিনি দশীল-প্ৰমাণ, শরীয়তের বিধি-বিধান বর্ণনা করেন ঘটনাবলী এবং
বর্ণনা করেন লক্ষ্য উদ্দেশ্য দ্ব্যর্থহীনভাবে ৷

দৃষ্টান্ত বর্ণনায় প্রমাণ উপন্থাপনে অস্বীকারকারীর পরিচয় দানে মিথ্যাবড়াদীর স্বরুপ
উদ্ঘটিনে ৷
ৰু
এবং কোন প্রকাশ্য জনসমাবেশে ও প্রকাশ্য রণাঙ্গণে এবং কোন তীব্র সংকটকালে তিনি
দেখা দেন বিস্ময়কৱডাবে ৷


ফলে তুমি যেমনটি চড়াও তিনি তেমনি নিয়ে আসেন দ্ব্যর্থহীনরুপেৰু স্বভাবগতভাবে
তিনি দানশীল ৷

গ্রস্
তার কতক অংশ অনুমোদন করে কতককে, যেন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তার অর্থ ও তাৎপর্য
পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি নিয়ে ৷

তার মোকাবিলা করতে সমগ্র বিষ্টুগ্ন, যে অক্ষম, যা আমরা পুর্বে বর্ণনা করেছি, তা দীর্ঘ
অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত ৷



هَدَانَا إِلَى مَا لَمْ نَكُنْ نَهْتَدِي ... لَهُ لِطُولِ الْعَمَى مِنْ وَاضِحَاتِ الْمَذَاهِبِ وَجَاءَ بِآيَاتٍ تُبَيِّنُ أَنَّهَا ... دَلَائِلُ جَبَّارٍ مُثِيبٍ مُعَاقِبِ فَمِنْهَا انْشِقَاقُ الْبَدْرِ حِينَ تَعَمَّمَتْ ... شُعُوبُ الضِّيَا مِنْهُ رُءُوسَ الْأَخَاشِبِ وَمِنْهَا نُبُوعُ الْمَاءِ بَيْنَ بَنَانِهِ ... وَقَدْ عَدِمَ الْوُرَّادُ قُرْبَ الْمَشَارِبِ فَرَّوَى بِهِ جَمًّا غَفِيرًا وَأَسْهَلَتْ ... بِأَعْنَاقِهِ طَوْعًا أَكُفُّ الْمَذَانِبِ وَبِئْرٌ طَغَتْ بِالْمَاءِ مِنْ مَسِّ سَهْمِهِ ... وَمِنْ قَبْلُ لَمْ تَسْمَحْ بِمَذْقَةِ شَارِبِ وَضَرْعٌ مَرَاهُ فَاسْتَدَرَّ وَلَمْ يَكُنْ ... بِهِ دَرَّةٌ تُصْغِي إِلَى كَفِّ حَالِبِ وَنُطْقٌ فَصِيحٌ مِنْ ذِرَاعٍ مُبِينَةٍ ... لِكَيْدِ عَدُوٍّ لِلْعَدَاوَةِ نَاصِبِ وَأَخْبَارُهُ بِالْأَمْرِ مِنْ قَبْلِ كَوْنِهِ ... وَعِنْدَ بَوَادِيهِ بِمَا فِي الْعَوَاقِبِ وَمِنْ تِلْكُمُ الْآيَاتِ وَحْيٌّ أَتَى ... بِهِ قَرِيبُ الْمَآتِي مُسْتَجِمُّ الْعَجَائِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০২
ষ্ষ্


আমার পিতা উৎসর্গ হোন তার পিতা আব্দুল্লাহর প্রতি, যিনি সর্বাধিক সম্মানিত পিতা, ঘীর
থেকে প্রকাশ পেয়েছে সম্মান আর মর্যাদা, যিনি উপযুক্ত সম্মানের পাত্র ৷

শায়বা (আবদুল মুত্তান্সিব) প্রশংসার অধিকারী, যার জন্য তার বংশ কুরাইশ গর্বিত সকল
মর্যাদা ও পদের অধিকারীদের তুলনায় ৷



;)ন্থে ড্রু)ংক্ট্র

আর তিনি এমন যে তার চেহাব রে ওসীলায় বৃষ্টি কামনা করা হতো এবং ৰিপদাপদে তার
মতামত চাওয়া হতো ৷


আর হড়াশিম, যিনি প্রতিষ্ঠা৩ ৷, যার পর্বের ভিত মজবুত তার কম প্রচেষ্টার ঔজ্জ্বলা এবং
বদান্যতার কারণে ৷

আর আবদে মানাক, যিনি তার সম্প্রদায়ের লোকজনকে শিক্ষা দান করেন, আর তাদেরকে
আশা-আখাক্ষেড়া, উৎসাহ-উদ্দীপনায় উজ্জীবিত করেন ৷


বা বন্াকুস ইিতো হচ্ছেন সম্মানিত উৎসের ব্যক্তিত্, তিনি এমন এক উৎসে অবস্থান করেন,
কর্তনকারীর হস্তত তার নিকটেও আসতে পারে না ৷
তার দ্বারা আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন গোত্রকে একত্রিত করেন, ছিনতাইকারী হস্তগুলো তা
ছিন্ন-ভিন্ন করার পর ৷
সম্মানিত বংশ থেকে কিলাব’-এর উদ্ভব হয় ৷ দুরের আর নিকটের সকল ব্যক্তিই অক্ষম ও
অপারগ তার নিকটে পৌছতে ৷

এবং মুররা, যীর অভিপ্রায়ের দৃঢ়তা অতিক্রম করতে পারেনি কোন নির্বোধের নির্বুদ্ধিতা বা
কোন পাপীর পাপ ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৪৮-

تَقَاصَرَتِ الْأَفْكَارُ عَنْهُ فَلَمْ. يُطِعْ ... بَلِيغًا وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ خَاطِبِ حَوَى كُلَّ عِلْمٍ وَاحْتَوَى كُلَّ حِكْمَةٍ ... وَفَاتَ مَرَامَ الْمُسْتَمِرِّ الْمُوَارِبِ أَتَانَا بِهِ لَا عَنْ رَوِيَّةِ مُرْتَئٍ ... وَلَا صُحْفِ مُسْتَمْلٍ وَلَا وَصْفِ كَاتِبِ يُوَاتِيهِ طَوْرًا فِي إِجَابَةِ سَائِلٍ ... وَإِفْتَاءِ مُسْتَفْتٍ وَوَعْظِ مُخَاطِبِ وَإِتْيَانِ بُرْهَانٍ وَفَرْضِ شَرَائِعٍ ... وَقَصِّ أَحَادِيثَ وَنَصِّ مَآرِبِ وَتَصْرِيفِ أَمْثَالٍ وَتَثْبِيتِ حُجَّةٍ ... وَتَعْرِيفِ ذِي جَحْدٍ وَتَوْقِيفِ كَاذِبِ وَفِي مَجْمَعِ النَّادِي وَفِي حَوْمَةِ الْوَغَى ... وَعِنْدَ حُدُوثِ الْمُعْضِلَاتِ الْغَرَائِبِ فَيَأْتِي عَلَى مَا شِئْتَ مِنْ طُرُقَاتِهِ ... قَوِيمَ الْمَعَانِي مُسْتَدِرَّ الضَّرَائِبِ يُصَدِّقُ مِنْهُ الْبَعْضُ بَعْضًا كَأَنَّمَا ... يُلَاحَظُ مَعْنَاهُ بِعَيْنِ الْمُرَاقِبِ وَعَجْزُ الْوَرَى عَنْ أَنْ يَجِيئُوا بِمِثْلِ مَا ... وَصَفْنَاهُ مَعْلُومٌ بِطُولِ التَّجَارِبِ تَأَبَّى بِعَبْدِ اللَّهِ أَكْرَمِ وَالِدٍ ... تَبَلَّجَ مِنْهُ عَنْ كَرِيمِ الْمَنَاسِبِ وَشَيْبَةَ ذِي الْحَمْدِ الَّذِي فَخِرَتْ ... بِهِ قُرَيْشٌ عَلَى أَهْلِ الْعُلَا وَالْمَنَاصِبِ وَمَنْ كَانَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... وَيَصْدُرُ عَنْ آرَائِهِ فِي النَّوَائِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০৩
ষ্ষ্



এবং কাব উরুর্ধ্ব উঠেছে র্যড়ার গোড়ালী, মর্যাদা কামীর উধের্ব ৷ ফলে তিনি লাভ করেছেন
সামান্যতম চেষ্টায় উচ্চতম মর্যাদা ৷

আর লুয়াই পেচিয়ে নেন ঔদ্ধত্য পরায়ণদেরকে, ফলে তার অনুগত হতে বাধ্য হয় উচু নাক
বিশিষ্ট প্রবলরাও ৷


আর ণালিব, তার মধ্যে রয়েছে শক্তিমত্তা যুদ্ধ তাকে ছড়াে অপরকে (গ্রহণ করতে)
অস্বীকার করে, প্রবল জাতিসমুহ ও তাদের নেতারা তাদের পক্ষ থেকে প্ৰতিরাে ধ গড়ে তোলে ৷


আর কুরইিশ বংশে ফিহ্র এর জন্য ছিল বাশ্মীতা, তিনি যখন উদ্দীপ্ত উত্তেজিত হতেন তখন
তারা তার আশ্রয় কামনা করতো ৷


আর তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মালিক আর মালিক ছিলেন উত্তম, আর তিনি ছিলেন
উত্তম সহ্চরবৃন্দ পরিবেষ্টিত ও উত্তম সঙ্গী ৷

ণ্স্পো

আর নয্র এর জন্য ছিল এমন দৈর্ঘ্য, চোখ যার নাগাল পেতে৷ না ৷ যেমন উজ্জ্বল
নক্ষত্রমালার আলো চোখে অল্পই ধরা পড়ে ৷

আমার জীবনের শপথ, কিনড়ানা’ তার মধ্যে প্রকাশিত হয় এমন গুণাবলী , কোন বিজয়ীর
কাছে মাথা নত করতে অস্বীকার করে ৷

তার পুর্বে খৃযায়মা অবশিষ্ট রেখে গিয়েছিলেন ৷ তার প্রশংসা, উত্তরাধিকাবের সম্পত্তি ও
নিকটাত্মীয়দের প্রশংসা ছাড়াও ৷

আর ঘুদরিকা, মানুষ দেখেনি তার অনুরুপ পুত-পবিত্র ও উন্নত, হীন-নীচ উপার্জন
থেকে ৷


وَهَاشِمٍ الْبَانِي مَشِيدَ افْتِخَارِهِ ... بِغُرِّ الْمَسَاعِي وَامْتِنَانِ الْمَوَاهِبِ وَعَبْدِ مَنَافٍ وَهُوَ عَلَّمَ قَوْمَهُ ... اشْتِطَاطَ الْأَمَانِي وَاحْتِكَامَ الرَّغَائِبِ وَإِنَّ قُصَيًّا مِنْ كَرِيمٍ غِرَاسُهُ ... لَفِي مَنْهَلٍ لَمْ يَدْنُ مِنْ كَفِّ قَاضِبِ بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ بَعْدَ مَا ... تَقَسَّمَهَا نَهْبُ الْأَكُفِّ السَّوَالِبِ وَحَلَّ كِلَابٌ مِنْ ذُرَى الْمَجْدِ مَعْقِلًا ... تَقَاصَرَ عَنْهُ كُلُّ دَانٍ وَغَائِبِ وَمُرَّةُ لَمْ يَحْلُلْ مَرِيرَةَ عَزْمِهِ ... سِفَاهُ سَفِيهٍ أَوْ مَحُوبَةُ حَائِبِ وَكَعْبٌ عَلَا عَنْ طَالِبِ الْمَجْدِ كَعْبُهُ ... فَنَالَ بِأَدْنَى السَّعْيِ أَعْلَى الْمَرَاتِبِ. وَأَلْوَى لُؤَيٌّ بِالْعَدَاةِ فَطُوِّعَتْ لَهُ ... هِمَمُ الشُّمِّ الْأُنُوفِ الْأَغَالِبِ وَفِي غَالِبٍ بَأْسُ أَبِي الْبَأْسِ دُونَهُمْ ... يُدَافِعُ عَنْهُمْ كُلَّ قِرْنٍ مُغَالِبِ وَكَانَتْ لِفِهْرٍ فِي قُرَيْشٍ خَطَابَةٌ ... يَعُوذُ بِهَا عِنْدَ اشْتِجَارِ الْمَخَاطِبِ وَمَا زَالَ مِنْهُمْ مَالِكٌ خَيْرَ مَالِكٍ ... وَأَكْرَمَ مَصْحُوبٍ وَأَكْرَمَ صَاحِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০৪
ষ্ষ্

আর ইল্য়াস, হতাশা ছিল তীর দৃশমনদের সঙ্গী তীর সৈন্যবড়াহিনী প্রস্তুত করার পুর্বেই ৷

আর সুরার-এর মধ্যে সমাবেশ ঘটতো সকল অহমিকার, যখন যুদ্ধে লিপ্ত হয় ত্রিশোর্ধ্ব
ত্খ্যক অশ্বরাজি ৷

এ১এ

আর নিযার অবস্থান করেন তার পরিজনের কর্তৃৎ থেকে এমন উধের্য এক স্থানে, যা
পর্য্যবক্ষকদেব্ দৃষ্টির উর্ধে ৷

আর মাআদ ছিলেন সদা প্রস্তুত তার বন্ধুদের ণ্ডন্য, যখন সে শঙ্কিত হতো যুদ্ধবাজ
দৃশমনের চক্রাম্ভে ৷

এ ৷ ১ ৷শ্যে
আর আদনান ছিলেন এমন যে, যখন ব্উার গুণ শুমার করা হয় তখন তিনি থাকেন
সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে একক ৷



আর উদ্ যার মহিমা প্রকাশ পায় চুড়ান্ত পর্যায়ে আর এমন উত্তরাধিকার, যা তাকে অন্যান্য
সর্দারদের থেকে নিরাপদে রাখে ৷

আর উদাদ-এর মধ্যে বলেছে ধৈর্য-ভৈস্থর্য যা ভুষিত জ্ঞান দ্বারা, যখন ধৈর্যহারা হয়ে যায়
বড় বড় নেতারা ৷


আর হামায়সা, সর্বদা তিনি উর্ধ্ব গমন অব্যাহত রাখেন, আর অনুণমন করেন দুরবর্তী
আগ্রহীদের উচ্চাকাংক্ষোর ৷


আর নাবিত র্তাকে বানিয়েছে মর্যাদার বিশাল বৃক্ষ, আর তিনি তৈরী করেছেন তার দুর্গ
বৃষ্টিবহুল এলাকায় ৷


وَلِلنَّضْرِ طَوْلٌ يَقْصُرُ الطَّرْفُ دُونَهُ ... بِحَيْثُ الْتَقَى ضَوْءُ النُّجُومِ الثَّوَاقِبِ لَعَمْرِي لَقَدْ أَبْدَى كِنَانَةَ قَبْلَهُ ... مَحَاسِنَ تَأْبَى أَنْ تَطُوعَ لِغَالِبِ وَمِنْ قَبْلِهِ أَبْقَى خُزَيْمَةُ حَمْدَهُ ... تَلِيدَ تُرَاثٍ عَنْ حَمِيدِ الْأَقَارِبِ وَمُدْرِكَةٌ لَمْ يُدْرِكِ النَّاسُ مِثْلَهُ ... أَعَفَّ وَأَعْلَى عَنْ دَنِيِّ الْمَكَاسِبِ وَإِلْيَاسُ كَانَ الْيَأْسُ مِنْهُ ... مُقَارِنًا لِأَعْدَائِهِ قَبْلَ اعْتِدَادِ الْكَتَائِبِ وَفِي مُضَرَ يَسْتَجْمِعُ الْفَخْرَ كُلَّهُ ... إِذَا اعْتَرَكَتْ يَوْمًا زُحُوفُ الْمَقَانِبِ وَحَلَّ نِزَارٌ مِنْ رِيَاسَةِ أَهْلِهِ ... مَحَلًّا تَسَامَى عَنْ عُيُونٍ الرَّوَاقِبِ وَكَانَ مَعَدٌّ عُدَّةً لِوَلِيِّهِ إِذَا ... خَافَ مِنْ كَيْدِ الْعَدُوِّ الْمُحَارِبِ وَمَازَالَ عَدْنَانُ إِذَا عُدَّ فَضْلُهُ ... تَوَحَّدَ فِيهِ عَنْ قَرِينٍ وَصَاحِبِ وَأُدٌّ تَأَدَّى الْفَضْلُ مِنْهُ بِغَايَةٍ ... وَارْثٌ حَوَاهُ عَنْ قُرُومٍ أَشَايِبِ وَفِي أُدَدٍ حِلْمٌ تَزَيَّنَ بِالْحِجَا ... إِذَا الْحِلْمُ أَزْهَاهُ قُطُوبُ الْحَوَاجِبِ وَمَازَالَ يَسْتَعْلِي هَمَيْسَعُ بِالْعُلَى ... وَيَتْبَعُ آمَالَ الْبَعِيدِ الْمُرَاغِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০৫
ষ্ষ্


আর কীদার তার জন্যে পুঞ্জীভুত করা হয়েছে হাতিম ভাইয়ের বদান্যতা, লুকমানের প্ৰজ্ঞা
ও শাশ্ৰীর সাহসিকতা ৷
ষ্ঠাং স্পে
তারা হচ্ছেন ইসমাঈলের বংশধর, যিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী ৷ তার পরে
গর্বকারীর গর্বের আর কিছুই নেই ৷
৷ পুন্া১ ড্রুাহ্রগ্লু
আর ইব্রাহীম ছিলেন আল্পাহ্র বন্ধু, পৃথিবীর বক্ষে পদচারণাকারী ও অশ্বারোহী সকলের
মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত ৷

আর তারিহ সৎ স্বভাব ভীকে সদা আনন্দ দান করতো, বিশাল র্তাহু৷ থেকে প্রকাশ পেতো
তার প্রশংসা ৷

আর নাহুর, তিনি তো দুশমনদের বিনম্পেকারী, তার জন্য সংরক্ষিত থাকে স্মৃতিচিহ্ন,
গণনাকারী যখন তা গণনা করে ৷

ধ্ ন্১াপ্রুম্বু৷ ৷ ৷ ,
আর আশরাগ যুদ্ধ-বিগ্রহে তিনি ছিলেন বনের সিংহের মত ৷ বিনাশী অস্ত্র দ্বারা তিনি বিদীর্ণ
করেন গর্দান ৷

আর আরগু-যুদ্ধে তিনি গর্জন করেন, বিজয় লোভী ব্যক্তির ব্যাপারে তিনি কৃপণ ৷
<ণ্প্রুদ্বু ;ঠো মোঃ ষ্দ্বু ব্লুএএে ৷শ্যে
আর ফালিগ-তার জাতির পেছনে তার মর্যাদা বিনাশকারী কেউ নেই, মর্যাদায়ত্ত তাদের
মধ্যে কেউ নেই তাকে অতিক্রমকারী ৷

এবং শালিখ, আরফাখশায ও নাম, উন্নত করে তাদেরকে এমন সব স্বভাব, যাদেরকে
সমর্থন করে যে কোন সাক্ষাৎপ্রাথী ও অনুপস্থিত ব্যক্তি ৷

আর নুহ সর্বদাই ছিলেন আরশের অধিপতির নিকট গুণীজন, তিনি তাকে বাছাইকৃত
ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করেন ৷


وَنَبْتٌ بَنَتْهُ دَوْحَةُ الْعِزِّ وَابْتَنَى ... مَعَاقِلَهُ فِي مُشْمَخِرِّ الْأَهَاضِبِ وَحِيزَتْ لِقَيْدَارٍ سَمَاحَةُ حَاتِمٍ ... وَحِكْمَةُ لُقْمَانٍ وَهِمَّةُ حَاجِبِ هُمُو نَسْلُ إِسْمَاعِيلَ صَادِقِ وَعْدِهِ ... فَمَا بَعْدَهُ فِي الْفَخْرِ مَسْعًى لِذَاهِبِ وَكَانَ خَلِيلُ اللَّهِ أَكْرَمَ مَنْ عَنَتْ ... لَهُ الْأَرْضُ مِنْ مَاشٍ عَلَيْهَا وَرَاكِبِ وَتَارَحُ مَازَالَتْ لَهُ أَرْيَحِيَّةٌ ... تُبَيِّنُ مِنْهُ عَنْ حَمِيدِ الْمَضَارِبِ وَنَاحُورُ نَحَّارُ الْعِدَى حُفِظَتْ لَهُ ... مَآثِرُ لَمَّا يُحْصِهَا عَدُّ حَاسِبِ وَأَشْرَعُ فِي الْهَيْجَاءِ ضَيْغَمُ غَابَةٍ ... يَقُدُّ الطُّلَى بِالْمُرْهَفَاتِ الْقَوَاضِبِ وَأَرْغَوُ نَابٌ فِي الْحُرُوبِ مُحَكَّمٌ ... ضَنِينٌ عَلَى نَفْسِ الْمُشِحِّ الْمُغَالِبِ وَمَا فَالِغٌ فِي فَضْلِهِ تِلْوَ قَوْمِهِ ... وَلَا عَابِرٌ مِنْ دُونِهِمْ فِي الْمَرَاتِبِ وَشَالِخْ وَأَرْفَخْشَذْ وَسَامٌ سَمَتْ ... بِهِمْ سَجَايَا حَمَتْهُمْ كُلَّ زَارٍ وَعَائِبِ وَمَا زَالَ نُوحٌ عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ فَاضِلًا ... يُعَدِّدُهُ فِي الْمُصْطَفَيْنِ الْأَطَايِبِ وَلَمْكٌ أَبُوهُ كَانَ فِي الرَّوْعِ رَائِعًا ... جَرِيئًا عَلَى نَفْسِ الْكَمِيِّ الْمُضَارِبِ
পৃষ্ঠা - ১৩০৬
ষ্ষ্


আর তার পিতা লেমক, প্রতাপ প্রতিপত্তির ক্ষেত্রে: ছিলেন সেরা, তিনি ছিলেন বর্মধারী
বীরের বিরুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা ৷

;,গ্র
আর লেমক এর পুর্বে ছিলেন মতৃশেলখ দুশন হটাতেন তিনি দুর্বল হাডিদ্রসার
বাহন নিয়ে ৷

আর ইদ্রীস নবীর জন্য ছিল আল্লাহ্ র নিকট উচ্চ মর্যাদা, কোন উচ্চাভিলা সী র আকাক্ষে৷ যার
নাপাল পড়ায় না ৷

আর ইয়ারিদ (থেৱদ) ছিলেন একটা সমুদ্র তার বংশের সেরা ব্যক্তিদের নিকট, অপমানকে
প্রভ্যাথ্যানকারী আকাক্ষো পুরণকংয়ী ৷ ণ্

১ঞা ৬-ন্থেএ

আর মাহলাঈলের জন্য ছিল শ্রেষ্ঠত্বের অনুভুতি যা ছিল পরিশীলিত ও অশ্লীল দোষ-ত্রুটি
থেকে মুক্ত ৷

গ্রন্ন্থে)
আর ইতিপুর্বে ছিলেন কাইনান-তিনি ধারণ করেন স্বজাতিংত্পু৷ মর্যাদা, মর্যাদার প্রতিযোগিতায়
তিনি দ্রুত অগ্রগামী ৷
আর আনুশ ছিলেন প্রবৃত্তির তাড়না থেকে আত্মসম্বরণকারী এবং তার প্রবৃত্তিকে তিনি পবিত্র
রাখেন ৰিপুর বিধ্বংশী তাড়না থেকে ৷
আর শীছ ছিলেন মর্যাদার শ্রেষ্ঠ, তিনি ছিলেন স্ন্নান্ত, যুক্ত ছিলেন নিন্দনীয়
দােষ-ত্রুটি থেকে ৷

আর তাদের সকলেই আহরণ করেন আদমের নুর থেকে আলো, আর র্তার বৃক্ষ থেকে
আহরণ করেন মর্যাদার ফল ৷


وَمِنْ قَبْلِ لَمْكٍ لَمْ يَزَلْ مُتَوَشْلِخٌ ... يَذُودُ الْعِدَى بِالْذَائِدَاتِ الشَّوَارِبِ وَكَانَتْ لِإِدْرِيسَ النَّبِيِّ مَنَازِلٌ ... مِنَ اللَّهِ لَمْ تُقْرَنْ بِهِمَّةِ رَاغِبِ وَيَارَدُ بَحْرٌ عِنْدَ آلِ سَرَاتِهِ ... أَبِيُّ الْخَزَايَا مُسْتَدِقُّ الْمَآرِبِ وَكَانَتْ لِمِهْلَايِيلَ فَهْمُ فَضَائِلٍ ... مُهَذَّبَةٍ مِنْ فَاحِشَاتِ الْمَثَالِبِ وَقَيْنَانُ مِنْ قَبْلُ اقْتَنَى مَجْدَ قَوْمِهِ ... وَفَاتَ بِشَأْوِ الْفَضْلِ وَخْدَ الرَّكَائِبِ وَكَانَ أَنُوشٌ نَاشَ لِلْمَجْدِ نَفْسَهُ ... وَنَزَّهَهَا عَنْ مُرْدِيَاتِ الْمَطَالِبِ وَمَازَالَ شِيثٌ بِالْفَضَائِلِ فَاضِلًا ... شَرِيفًا بَرِيئًا مِنْ ذَمِيمِ الْمَعَائِبِ وَكُلُّهُمُ مِنْ نُورِ آدَمَ أَقْبَسُوا ... وَعَنْ عُودِهِ أَجْنَوْا ثِمَارَ الْمَنَاقِبِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ أَكْرَمَ مُنْجَبٍ ... جَرَى فِي ظُهُورِ الطَّيِّبِينَ الْمَنَاجِبِ. مُقَابَلَةً آبَاؤُهُ أُمَّهَاتِهِ ... مُبَرَّأَةٌ مِنْ فَاضِحَاتِ الْمَثَالِبِ عَلَيْهِ سَلَامُ اللَّهِ فِي كُلِّ شَارِقٍ ... أَلَاحَ لَنَا ضَوْءًا وَفِي كُلِّ غَارِبِ هَكَذَا أَوْرَدَ الْقَصِيدَةَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ ابْنِ عَبْدِ الْبَرِّ، وَشَيْخُنَا الْحَافِظُ
পৃষ্ঠা - ১৩০৭
ষ্ষ্


আর আল্লাহ্র রাসুল ছিলেন সকল মর্যাদাবানের চাইতে বেশী মর্যাদা সম্পন্ন, পুত-পবিত্র
বংশধারা আদি থেকে চলে এসেছে ৷

তার মায়ের বংশধারা ও পিতার বংশধারা সমান্তরালভাবে চলে এসেছে ৷ তারা সকলেই
ছিলেন দোষ-ত্রুটি মুক্ত ৷

তার উপর আল্লাহ্র তরফ থেকে শান্তি বর্নিত হোক উদয়ড়াচলে ও অন্তাচলে ৷

শায়খঃ আবু উমর ইবন আব্দুল বার কাসীদাটি এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷ আমাদের শায়খ
আবুল হাজ্জাজ আল-মড়াজী তার তাহযীব গ্রন্থে উস্তাদ আবুল আব্বাস আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ
আল-নগশী, যিনি ইবন শারশীর নামে পরিচিত, তার কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে এটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷ মুলত তিনি ছিলেন আম্বার অঞ্চলের অধিবাসী ৷ তিনি বাগদাদে আগমণ করে পরে
মিশরে গমন করেন এবং হিজরী ২৯৩ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত মিশরেই অবস্থান করেন ৷ তিনি
ছিলেন মুতাজিলা দর্শনে বিশ্বাসী একজন ধর্মতত্ত্ববিদ ৷ শায়খ আবুল হাসান আল-আশৃআরী
তার আল-মাকালাত’ গ্রন্থে মুতাজিলাদের আলোচনা প্রসঙ্গে ইবন শারশী এর উল্লেখ
করেছেন ৷ তিনি ছিলেন একজন স্বভাব কবি ৷ কবিতায় তার এমনই দখল ছিল যে, তিনি বিভিন্ন
কবির কবিতার প্যারােডী লিখতেন ৷ আর তাদের বিরোধিতায় তিনি পদ্য রচনা করতেন এবং
এগুলোতে তিনি এমন সব অতিন্-ব্ শব্দের ঝৎকার আর তারের দাোতনা সৃষ্টি করতেন, যার
সাধ্য অন্য কবিদের ছিল না ৷ এমনকি কেউ কেউ তাকে প্রবৃত্তি পুজারী এবং ভোগবাদী বলে
আখ্যায়িত করেছেন ৷ খতীব বাগদাদী উল্লেখ করেছেন যে, তার অভিন্ন ছন্দ বিশিষ্ট একটা
অনবদ্য কাসীদা আছে, যার পংক্তি সংখ্যা প্রায় : হাজার ৷ ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আন-নাজিম এ কসীদাটির উল্লেখ করেছেন এবং তার ওফাতের তারিখও কবিতায় নির্ণয়
করেছেন ৷

আমি বনিঃ এই কসীদাটি তার গ্রেষ্ঠতৃ , বাপািতা, ভাষা জ্ঞান, শন্দালংকার, প্রজ্ঞা,
বিচক্ষণতা, ধীশক্তি, শব্দ প্রয়োগে দক্ষতা, তত্ত্ব ও তথ্য সম্পর্কে তার জ্ঞান এবং মহানবী
(সা) এর পবিত্র বংশধারা কবিতার ছন্দে প্রকাশ করার অসাধারণ ক্ষমতা প্রমাণ করে ৷ এসব
হচ্ছে তার তার সমুদ্র থেকে আহরিত উৎকৃষ্ট মুক্তামালা ৷ আল্লাহ তার প্রতি সদর হোন র্তাকে
ছওয়াব দান করুন এবং তার পরকালকে কল্যাণময় করুন ৷


أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي تَهْذِيبِهِ مِنْ شِعْرِ الْأُسْتَاذِ أَبِي الْعَبَّاسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ النَّاشِئِ الْمَعْرُوفِ بِابْنِ شِرْشِيرٍ، أَصْلُهُ مِنَ الْأَنْبَارِ وَرَدَ بَغْدَادَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ إِلَى مِصْرَ فَأَقَامَ بِهَا حَتَّى مَاتَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَتَيْنِ. وَكَانَ مُتَكَلِّمًا مُعْتَزِلِيًّا يَحْكِي عَنْهُ الشَّيْخُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ فِي كِتَابِهِ الْمَقَالَاتِ فِيمَا يَحْكِي عَنِ الْمُعْتَزِلَةِ وَكَانَ شَاعِرًا مُطَبِّقًا حَتَّى أَنَّ مِنْ جُمْلَةِ اقْتِدَارِهِ عَلَى الشِّعْرِ كَانَ يُعَاكِسُ الشُّعَرَاءَ فِي الْمَعَانِي فَيَنْظِمُ فِي مُخَالَفَتِهِمْ، وَيَبْتَكِرُ مَا لَا يُطِيقُونَهُ مِنَ الْمَعَانِي الْبَدِيعَةِ وَالْأَلْفَاظِ الْبَلِيغَةِ حَتَّى نَسَبَهُ بَعْضُهُمْ إِلَى التَّهَوُّسِ وَالِاخْتِلَاطِ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ لَهُ قَصِيدَةً عَلَى قَافِيَةٍ وَاحِدَةٍ قَرِيبًا مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافِ بَيْتٍ ذَكَرَهَا النَّاجِمُ وَأَرَّخَ وَفَاتَهُ كَمَا ذَكَرْنَا. قُلْتُ: وَهَذِهِ الْقَصِيدَةُ تَدُلُّ عَلَى فَضِيلَتِهِ وَبَرَاعَتِهِ وَفَصَاحَتِهِ وَبَلَاغَتِهِ وَعِلْمِهِ وَفَهْمِهِ وَحِفْظِهِ وَحُسْنِ لَفْظِهِ وَاطِّلَاعِهِ وَاضْطِلَاعِهِ وَاقْتِدَارِهِ عَلَى نَظْمِ هَذَا النَّسَبِ الشَّرِيفِ فِي سِلْكِ شِعْرِهِ، وَغَوْصِهِ عَلَى هَذِهِ الْمَعَانِي الَّتِي هِيَ جَوَاهِرُ نَفِيسَةٌ مِنْ قَامُوسِ بَحْرِهِ فَرَحِمَهُ اللَّهُ وَأَثَابَهُ وَأَحْسَنَ مَصِيرَهُ وَإِيَابَهُ.
পৃষ্ঠা - ১৩০৮
ষ্ষ্

আদনান পর্যন্ত হিজাষের আরবদের উর্ধ্বতন
বংশ ধারা

আদনান-এর দুইজন পুত্র ছিলেন ( ১) সাদ (২) আক সুহায়লী বলেন : আর আদনানের
আরো দুইজন সন্তান ছিলেন একজনের নাম হারিছ এবং অপরজনকে বলা হতো মযহব ৷ তিনি
বলেন, তার সন্তানদের মধ্যে যাহ্হাক নামের আরেক জ্যনর উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আবার কারো
কারো মতে যাহ্হাক ছিলেন সাদ-এর পুত্র, আদনান-এর নন ৷ তিনি বলেন : কেউ কেউ
বলেছেন যে, আদন-যার নামে আদন বা এডেন নগরীর নামকরণ করা হয়েছে এবং আবইয়ান
ও আদ্নান-এর অপর দৃইপুত্র ছিলেন ৷ এটি তাৰারীর বর্ণনা ৷

আর তাকে আশাআরির বংশে বিবাহ করেন এবং ইয়ামানে তাদের জনপদে বসবাস করেন
ফলে তারা একই ভাষাভাষী হয়ে যান এবং এর ফলে কোন কোন ইয়ামানবাসী ধারণা করেন
র্তারাও ঐ বংশের লোক ৷ ফলে তারা বলে তাকে ইবন আদনান ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুল আয্দ্
ইবন ইয়াগুছ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আক্ ইবন আদ্নান ইবন যাইব (মতান্তরে রাইস)
ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আসাদ ৷ আর বিশুদ্ধ কথা হলো আমরা যা উল্লেখ করেছি যে, তারা আসলে
আদ্নান এর বংশধর ৷ এ প্রসঙ্গে করি আব্বাস ইবন মিরদাস বলেন €


আক ইবন আদনান, যারা পাসসান গোত্রের সঙ্গে ক্রীড়া-কৌতৃক করতো, যতদিন পর্যন্ত না
তাদেরকে সম্পুর্ণরুপে বিতাড়িত করে দেয়া হয় ৷

আর সাদ এর ছিলেন৷ চার পুত্র নিযার, কুযাআ, কুন্ছ ও ইয়াদ ৷ আর কুযাআ ছিলেন
যা দের ভৈজ্যষ্ঠ সন্তান এজন্য তাকে আবু কুযা আ নামে অভিহিত করা হতো ৷ কুযা আ ৷সস্পর্কে
ইতিপুর্বে আমরা ভিন্ন মতের উল্লেখ করেছি ৷ কিভু ইবন ইসহাক প্রমুখের নিকট এটাই বিশুদ্ধ ৷
আল্লাহই ভালো জানেন ৷

আর কুনৃছ সম্পর্কে বলা হয় যে, তার বং শধারা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের কেউই আর বেচে
নেই ৷ তবে অতীত ইতিহাস বেত্তাদের এক দলিলের মতে নু মান ইবন মুনযির যিনি ছিলেন
হীরায় কিসৃরার প্রতিনিধি, তিনি ছিলেন কুনৃছ-এর বংশধর ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

ভিন্ন মতে তিনি ছিলেন হিময়া ৷র বং শের লোক ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷

[ذِكْرُ أُصُولِ أَنْسَابِ عَرَبِ الْحِجَازِ إِلَى عَدْنَانَ] ذِكْرُ أُصُولِ أَنْسَابِ عَرَبِ الْحِجَازِ إِلَى عَدْنَانَ وَذَلِكَ; لِأَنَّ عَدْنَانَ وُلِدَ لَهُ وَلَدَانِ; مَعَدٌّ وَعَكٌّ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَلِعَدْنَانَ أَيْضًا ابْنٌ اسْمُهُ الْحَارِثُ وَآخَرُ يُقَالَ لَهُ: الْمُذْهَبُ قَالَ وَقَدْ ذُكِرَ أَيْضًا فِي بَنِيهِ الضَّحَّاكُ، وَقِيلَ: إِنَّ الضَّحَّاكَ ابْنٌ لِمَعَدٍّ لَا ابْنُ عَدْنَانَ قَالَ: وَقِيلَ: إِنَّ عَدَنَ الَّذِي تُعْرَفُ بِهِ مَدِينَةُ عَدَنَ، وَكَذَلِكَ أَبْيَنُ كَانَا ابْنَيْنِ لِعَدْنَانَ. حَكَاهُ الطَّبَرِيُّ فَتَزَوَّجَ عَكٌّ فِي الْأَشْعَرِيِّينَ، وَسَكَنَ فِي بِلَادِهِمْ مِنَ الْيَمَنِ فَصَارَتْ لُغَتُهُمْ وَاحِدَةً فَزَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الْيَمَنِ أَنَّهُمْ مِنْهُمْ فَيَقُولُونَ: عَكُّ بْنُ عَدْنَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَزْدِ بْنِ يَغُوثَ، وَيُقَالُ: عَكُّ بْنُ
পৃষ্ঠা - ১৩০৯
ষ্ষ্


আর নেবার-এর তিনপুত্র ছিলেন রবীআ, মুযার এবং আনসার ৷ ইবন হিশাম বলেন :
ইয়াদ নামক নেযার অপর এক পুত্র ছিলেন ৷ যেমন করি বলেন :


আর এমন অনেক যুবক আছে, যাদের চেহারা সুন্দর, তারা হচ্ছে ইয়াদ ইবন নিযার ইবন
মাদ এর সন্তান ৷

ইবন হিশাম বলেন : ইয়াদ ও মুযার ছিলেন সহোদর ভাই, র্তাদের ম৷ সাওদা ছিলেন আক
ইবন আদনানের কন্যা ৷ আর রবীআ ও আনসার-এর মা ছিলেন আক ইবন আদনান-এর অপর
কন্যা শাকীকা, মত তবে জুমআ বিনতঅ আক ৷ ইবন ইসহাক বলেন০ ং আনসার হচ্ছেন খাছআম
ও বাজীলার পি৩ ৷ ৷ জরীর ইবন আব্দুল্লাহ আল-বাজা লী এই বাজীলারই অধস্তন বংশধর ৷ তিনি
বলেন : আনসার ইয়ামাংন আগমন করে ইয়ামানীদের সঙ্গে ৷মলেমৈশে সেখানেই বসবাস
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন : ইয়ামানবাসীরা বলে যে, আনৃসাব ইবন আরাশ ইবন লাহ্ইয়ান
ইবন আমর ইবনুল গাওছ ইবন নাব্তৃ ইবন মালেক ইবন যায়ছ ইবন কাহলান ইবন সাবা ৷
আমি বলিং ইতিপুর্বে সাব৷ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে ৷৩ তা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় ৷ আল্লাহ
ভালো জানেন ৷ ঐতিহাসিকরা বলেনং : মুযার হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যিনি হুদী গান গেয়ে গেয়ে উট
ইাকানাের প্রবর্তক ৷ কা ৷রণ, র্ত৷ ৷র কন্ঠস্বর ছিল সুমধুর ৷ একদিন উটের পিঠ থেকে পড়ে যান ;
মাটিতে পড়ে তার হাত ৫৩ সে গেলে তিনি বলে উঠেনং হায় আমার হাত ৷ হায় আমার হাত ৷ এ
থেকেই উটের দ্রুতগতির প্রচলন হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন : মুযার ইবন নিযারের দুই পুত্র
ছিলেন, ইলিয়াছ ও আইলান আর ইলিয়াসের ছিলেন তিন পুত্র মুদ্রিক৷ , তাবিখা এবং কুমআ ৷
আর এদের মতো ছিলেন খানদাফ বিনৃত ইমরান ইবন ইলহড়াফ ইবন কুযাআ ৷ ইবন ইসহাক
বলেন : মুদরিকার নাম ছিল আমের আর তাবিখার নাম ছিল উমর ৷ তবে তারা দু’জনে মিলে
একটা শিকার করেন ৷ তারা উভয়ে যখন তা রান্না করছিলেন, তখন ভয়ে উটটি পালিয়ে যায় ৷
আমের উটের খোজে বের হন এবং শেষ পর্যন্ত তা খুজে পান ৷ অপরজন রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন ৷
উভয়ে পিতার নিকট এসে তাকে এ কাহিনী শুনালে তিনি আমেরকে বললেনং : তুমি হলে
মুদরিকা (পাকড়াওকা রী) আর আমরকে বললেনং তুমি হলে তাৰিখ৷ (রন্ধনকারী) ৷ তিনি আরো
বলেনং মুদাবের বং শধারা সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিদের ধারণা যে, খুযাঅ হাচ্ছেন আমর ইবন
লুহাই ইবন কুম আ ইবন ইলিয়াস এর বংশধর ৷ আমি বলিং এটা স্প্ষ্টি যে, তিনি তাদের বংশের
লোক, কিন্তু তাদের পিত তপুরুষ নন ৷ আর তারা যে হিমৃয়ার গোত্রের লোক, সে কথা আগেই
বলা হয়েছে ৷ আল্লাহই ভালো জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : মুদ্রিকার দুই ছেলে খুযায়ম৷ ও হুযাইল আর এদের উভয়ের মা
হচ্ছেন কুযাআ গোত্রের এক মহিলা ৷ আর খুযায়মার সন্তান ছিলেন কিনানা, আসাদ, উসদা
ও হাওন ৷ আবু জাফর তাবারী কিনানার সন্তানদের ব্যাপারে এ চারজনের অতিরিক্ত


عَدْنَانَ بْنِ الذِّيبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَسَدِ، وَيُقَالَ: الرَّيْثُ بَدَلَ الذِّيبِ وَالصَّحِيحُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ أَنَّهُمْ مِنْ عَدْنَانَ. قَالَ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ وَعَكُّ بْنُ عَدْنَانَ الَّذِينَ تَلَقَّبُوا ... بِغَسَّانَ حَتَّى طُرِّدُوا كُلَّ مَطْرَدِ وَأَمَّا مَعَدٌّ فَوُلِدَ لَهُ أَرْبَعَةٌ: نِزَارٌ وَقُضَاعَةُ وَقَنَصٌ وَإِيَادٌ وَكَانَ قُضَاعَةُ بِكْرَهُ وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، وَقَدْ قَدَّمْنَا الْخِلَافَ فِي قُضَاعَةَ، وَلَكِنَّ هَذَا هُوَ الصَّحِيحُ عِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا قَنَصٌ فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ هَلَكُوا، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ بَقِيَّةٌ إِلَّا أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ الَّذِي كَانَ نَائِبًا لِكِسْرَى عَلَى الْحِيرَةِ كَانَ مِنْ سُلَالَتِهِ عَلَى قَوْلِ طَائِفَةٍ مِنَ السَّلَفِ، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ مِنْ حِمْيَرَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا نِزَارٌ فَوُلِدَ لَهُ رَبِيعَةُ وَمُضَرُ وَأَنْمَارٌ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَإِيَادُ بْنُ نِزَارٍ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ وَفُتُوٌّ حَسَنٌ أَوْجُهُهُمْ ... مِنْ إِيَادِ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ
পৃষ্ঠা - ১৩১০
قَالَ: وَإِيَادُ وَمُضَرُ شَقِيقَانِ أُمُّهُمَا سَوْدَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ، وَأُمُّ رَبِيعَةَ وَأَنْمَارٍ شُقَيْقَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ، وَيُقَالُ: جُمْعَةُ بِنْتُ عَكِّ بْنِ عَدْنَانَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَمَّا أَنْمَارٌ فَهُوَ وَالِدُ خَثْعَمٍ وَبَجِيلَةَ قَبِيلَةِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ قَالَ: وَقَدْ تَيَامَنَتْ فَلَحِقَتْ بِالْيَمَنِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَهْلُ الْيَمَنِ يَقُولُونَ أَنْمَارُ بْنُ أَرَاشِ بْنِ لَحْيَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْغَوْثِ بْنِ نَبْتِ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانَ بْنِ سَبَأٍ قُلْتُ: وَالْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ فِي ذِكْرِ سَبَأٍ يَدُلُّ عَلَى هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالُوا: وَكَانَ مُضَرُ أَوَّلَ مَنْ حَدَا; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ حَسَنَ الصَّوْتِ فَسَقَطَ يَوْمًا عَنْ بَعِيرِهِ فَوَثَبَتْ يَدُهُ فَجَعَلَ يَقُولُ: وَا يَدَيَّاهُ وَا يَدَيَّاهُ فَأَعْنَقَتِ الْإِبِلُ لِذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ مُضَرُ بْنُ نِزَارٍ رَجُلَيْنِ إِلْيَاسَ وَعَيْلَانَ، وَوُلِدَ لِإِلْيَاسَ مُدْرِكَةُ وَطَابِخَةُ وَقَمَعَةُ، وَأُمُّهُمْ خِنْدِفُ بِنْتُ عِمْرَانَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ اسْمُ مُدْرِكَةَ عَامِرًا، وَاسْمُ طَابِخَةَ عَمْرًا، وَلَكِنِ اصْطَادَ صَيْدًا فَبَيْنَا هُمَا يَطْبُخَانِهِ إِذْ نَفَرَتِ الْإِبِلُ فَذَهَبَ عَامِرٌ فِي طَلَبِهَا حَتَّى أَدْرَكَهَا وَجَلَسَ الْآخَرُ يَطْبُخُ فَلَمَّا رَاحَا عَلَى أَبِيهِمَا ذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ১৩১১
ষ্ষ্


আমের হারিছ, নাযীর, খানাম, সাদ আওযা, জারওয়াল, হিদাল এবং পায্ওয়ান এর
নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন : আর কিনানার সন্তান ছিলেন নযর , মালিক, আবদ
মানাত এবং মালকান ৷

কুরায়শ তথা বনু নযর ইবন কিনানা-এর বংশধারা ও শ্রেষ্ঠত্ব

ইবন ইসহাক বলেন : নযর-এর মা বাবা ছিলেন সুর ইবন উদ্ ইবন তাবিখার কন্যা ৷ আর
তার সমস্ত সত্তানৰা তার অন্য ত্রীর গর্ভজাত ৷ এ মতের ব্যিরাধিভা করেন ইবন হিশাম ৷ তার
মতে বাররা ৰিনৃত মুর হচ্ছেন নয্র, মালিক ও মাসুকান-এর মা ৷ আর আবৃদে মানতে-এর মা
হশ্নেন আয্দ সানুআ গোত্রের হানা বিনৃত সুয়াইদ ইবন গিতরীফ ৷ ইবন হিশাম বলেন : নঘৃরই
হচ্ছেন কুরাইশ আর তার সন্তানরাই কুরায়শী নামে পরিচিত হন ৷ তিনি এও বলেন যে, কারো
কারো মতে ফিহ্র ইবন মালিক হচ্ছেন কুরায়শ, আর ন্শুার সম্ভানরা কুরড়ায়শী ৷ যারা তার সন্তান
নয়, তারা কুরায়শী একাধিক কুলজিবিশারদ যথা শায়খ আবু উমর ইবন আব্দুল বার, যুবায়র
ইবন বাক্কার এবং মুহুআব প্রমুখ এ দুটি উক্তির উল্লেখ করেছেন ৷ আবু উবায়দ এবং ইবন
আব্দুল বাবু বলেন : আসআদ ইবন কারন-এর উক্তি মতে অধিকাত্শ ঐতিহাসিক এ মত
পোষণ করেন যে, কুরায়শ হচ্ছেন নযর ইবন কিনানা ৷

আমি বলবো : হিশাম ইবন মুহাম্মদ ইবন সাইব আল-কানবী এবং আবু উবায়দা মাযার
ইবন মুসান্ন৷ এ মতের সমর্থনে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন ৷ আর তিনি শাফিঈ মাযহড়াবের প্রসারে
অবদান রাখেন ৷ পক্ষান্তরে আবু উমর এ মত পোষণ করেন যে, কুরায়শ হচ্ছেন ফিহ্র ইবন
মালিক ৷ এ মতের সমর্থনে তিনি প্রমাণ উপস্থিত করে বলেন যে, বর্তমানে এমন কেউ নেই, যে
নিজেকে কুরড়ায়শী বলে দাবী করে অথচ সে ফিহ্র ইবন মালিক-এর বংশধর নয় ৷ অতঃপর
তিনি এ উক্তির পক্ষে যুবড়ায়র ইবন বাক্কার মুসআর ইবন যুবড়ায়র ৷ এবং আলী ইবন
কায়সান-এর নাম উল্লেখ করে বলেন : এ ব্যাপারেইত এরাই হচ্ছেন সর্বজন স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ৷
আর যুবড়ায়র ইবন বাক্কার বলেন : কুরায়শ ও অন্যান্য বংশধারা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা একমত
যে ফিহ্র ইবন মালিকই হচ্ছেন কুরড়ায়শদের আদি পুরুষ ৷ ইবন মালিক-এর উর্ধ্বতন পুরুষদের
কেউই কুরায়শ নামে অভিহিত হননি ৷ অতঃপর এ বক্তব্যের সমর্থনে তিনি অনেক প্রমাণ দেন ৷
কুলায়ব ইবন ওয়ায়েল-এর সুত্রে বুখারী বর্ণনা করেন যে, আমি নবীব্জীর ঘরে লালিত যয়নবকে
বললাম, আমাকে জানান যে, নবী করীম (সা) কি মুযার গোত্রের লোক ছিলেলঃ তিনি
বললেনঃ তিনি নযর ইবন কিনানা গোত্রের মুযার গোত্রেরই ছিলেন ৷ আর তাবারানী জাশীশ
আল কিন্দীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, রাসুল (না)-এর নিকট কিন্দা থেকে একদল লোক
আগমন করে বললাে৪ আপনি তো আমাদের বংশের লোক ৷ তখন তিনি বললেন, না, বরং
আমরা নসর ইবন কিনানা গোত্রের দোক ৷ আমরা আমাদের মাতৃপক্ষ সম্পর্কে কোন সন্দেহ
পোষণ করি না এবং আমাদের উর্ধ্বতন পিতৃ পুরুষ আমরা অস্বীকার করি না ৷

আশ-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৪৯-

لِعَامِرٍ: أَنْتَ مُدْرِكَةُ، وَقَالَ لِعَمْرٍو: أَنْتَ طَابِخَةُ قَالَ: وَأَمَّا قَمْعَةُ فَيَزْعُمُ نُسَّابُ مُضَرَ أَنَّ خُزَاعَةَ مِنْ وَلَدِ عَمْرِو بْنِ لُحَيِّ بْنِ قَمَعَةَ بْنِ إِلْيَاسَ قُلْتُ: وَالْأَظْهَرُ أَنَّهُ مِنْهُمْ لَا وَالِدُهُمْ وَأَنَّهُمْ مِنْ حِمْيَرَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ مُدْرِكَةُ خُزَيْمَةَ وَهُذَيْلًا، وَأُمُّهُمَا امْرَأَةٌ مِنْ قُضَاعَةَ، وَوَلَدَ خُزَيْمَةُ كِنَانَةَ وَأَسَدًا وَأَسَدَةَ وَالْهُونَ، قَالَ: وَوَلَدَ كِنَانَةُ النَّضْرَ وَمَالِكًا وَعَبْدَ مَنَاةَ وَمِلْكَانَ. وَزَادَ أَبُو جَعْفَرٍ الطَّبَرِيُّ فِي أَبْنَاءِ كِنَانَةَ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةِ عَامِرًا وَالْحَارِثَ وَالنُّضَيْرَ وَغَنْمًا وَسَعْدًا وَعَوْفًا وَجَرْوَلًا وَالْحُدَالَ وَغَزْوَانَ.
পৃষ্ঠা - ১৩১২
[الْكَلَامُ عَلَى قُرَيْشٍ نَسَبًا وَاشْتِقَاقًا وَفَضْلًا] الْكَلَامُ عَلَى قُرَيْشٍ نَسَبًا وَاشْتِقَاقًا وَفَضْلًا وَهُمْ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُمُّ النَّضْرِ بَرَّةُ بِنْتُ مُرِّ بْنِ أَدِّ بْنِ طَابِخَةَ، وَسَائِرُ بَنِيهِ لِامْرَأَةٍ أُخْرَى، وَخَالَفَهُ ابْنُ هِشَامٍ فَجَعَلَ بَرَّةَ بِنْتَ مُرٍّ أُمَّ النَّضْرِ وَمَالِكٍ وَمِلْكَانَ، وَأُمَّ عَبْدِ مَنَاةَ هَالَةَ بِنْتَ سُوَيْدِ بْنِ الْغِطْرِيفِ، مِنْ أَزْدِ شَنُوءَةَ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: النَّضْرُ هُوَ قُرَيْشٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ وَلَدِهِ فَهُوَ قُرَشِيٌّ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ وَلَدِهِ فَلَيْسَ بِقُرَشِيٍّ، وَقَالَ: وَيُقَالَ: فِهْرُ بْنُ مَالِكٍ هُوَ قُرَيْشٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ وَلَدِهِ فَهُوَ قُرَشِيٌّ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ وَلَدِهِ فَلَيْسَ بِقُرَشِيٍّ، وَهَذَانَ الْقَوْلَانِ قَدْ حَكَاهُمَا غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةِ النَّسَبِ كَالشَّيْخِ أَبِي عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْبَرِّ وَالزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ وَمُصْعَبٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ، قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ وَابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: وَالَّذِي عَلَيْهِ الْأَكْثَرُونَ أَنَّهُ النَّضْرُ بْنُ كِنَانَةَ ; لِحَدِيثِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ قُلْتُ: وَهُوَ الَّذِي نَصَّ عَلَيْهِ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ
পৃষ্ঠা - ১৩১৩
ষ্ষ্


আর ইমাম আবু উসমান সাইদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, শিন্দা গোত্র থেকে জাশীস নামক জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (না)-এর নিকট আগমন
করে বলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা মনে করি আবদ মানাফ আম্যাদর বংশের লোক ৷ নবী
করীম (সা) মুখ ফিরড়ায়ে নিলেন ৷ লোকটি ফিরে এসে অনুরুপ বললে তিনি তার থেকে পুনরায়
মুখ ফিরালেন ৷ লোকটি আবারও ফিরে এসে অনুরুপ কথা বললে তিনি বললেন : আমরা নসর
ইবন কিনানার বংশধর ৷ আমাদের মড়াতৃকুল সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করি না আর আমাদের
উর্ধ্বতন পিতৃ পুরুষকে অস্বীকার করি না ৷ তখন রাবী বললেন : আপনি প্রাথম দফায়ই চুপ
করে রইলেন না কেন? এইভাবে আল্লাহ তার নবীর পবিত্র মুখে তাদের দাবী নাকচ করে দেন ৷

এ সনদে হড়াদীসটি গরীব পর্যায়ের উপরন্তু কালবী হচ্ছেন একজন দুর্বল রানী ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

ইমাম আহমদ আশঅড়াছ ইবন কায়েস সুত্রে বলেন যে, কিন্দার প্রতিনিধি দলে আমিও নবী
করীম (সা)ষ্-এর নিকট আগমন করি ৷ তখন আমি বললাম : ইয়া রালুলাল্লাহ! আমাদের ধারণা ,
আপনি আমাদের বংশেরই লোক ৷ তখন নবী করীম পুর্বোল্লেখিত হাদীসের অনুরুপ জবাব
দেন ৷ এ বর্ণনার শেযাংশে আছে, অড়াশআস ইবন কায়েস বলেন, আল্লাহর কসম , কুরাইশরা যে
নযর ইবন কিনানার বংশধর, একথা কাউকে অস্বীকার করতে ওনলে শবীয়তের দণ্ডবিধি
অনুযায়ী তাকে বেত্রাঘাত করবো ৷ ইবন মাজাহ্ও এ হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ এ
হচ্ছে এ বিষয়ে শেষ কথা ৷ সুতরাং যে তার বিরুদ্ধাচরণ করে, তার কথার প্ৰতি ভ্রাক্ষেপ করা
যাবে না ৷ জারীর ইবন আতিয়া তামীমী হিশাম ইবন আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর
প্রশংসায় বলেন :

৷ ণ্১৷ ৷ এে

যে মা কুরাইশকে জন্ম দিয়েছেন তার বংশে কোন কলংক নেই এবং তিনি বন্ধ্যাও নন,
কোন নেতা তোমাদের পিতৃপুরুষের চাইতে অধিকতর সস্রান্ত নয়, আর কোন মামা তামীম
গোত্রের চাইতে অধিক সম্মানিত নয় ৷

ইবন হিশাম বলেন : এ উক্তিটি নযর ইবন কিনানার মা সম্পর্কে ৷ আর তিনি হলেন তামীম
ইবন মুর-এর বোন বা,র্বা বিনৃত মুর ৷ কুরায়াশ শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে কথিত আছে যে,
তাকাররুশ ( এ; );:) শব্দ থেকে-এর উৎপত্তি যার অর্থ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর একত্র হওয়া ৷ আর
এটা হয়েছে কুসাই ইবন কিলাব-এর যমানায় ৷ তারা ছিল বিচ্ছিন্ন ৷ তিনি তাদেরকে হেরেম
শরীফে একত্র করেন ৷ পরে এর বিবরণ আসছে ৷ হুযাফা ইবন পানিম আলআদবী বলেন :

তোমাদের পিতা কুসাই সমবেতক্ড়ারী নামে অভিহিত হতেন ৷ তারই মাধ্যমে আল্লাহ
সমবেত করেছেন ফিহ্রের কবীলাকে ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক বলেন : কুসাইকে বলা হতো


ابْنُ الْمُثَنَّى وَهُوَ جَادَّةُ مَذْهَبِ الشَّافِعِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ اخْتَارَ أَبُو عُمَرَ أَنَّهُ فِهْرُ بْنُ مَالِكٍ، وَاحْتَجَّ بِأَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ الْيَوْمَ مِمَّنْ يَنْتَسِبُ إِلَى قُرَيْشٍ إِلَّا وَهُوَ يَرْجِعُ فِي نَسَبِهِ إِلَى فِهْرِ بْنِ مَالِكٍ، ثُمَّ حَكَى اخْتِيَارَ هَذَا الْقَوْلِ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، وَمُصْعَبٍ الزُّبَيْرِيِّ، وَعَلِيِّ بْنِ كَيْسَانَ قَالَ: وَإِلَيْهِمُ الْمَرْجِعُ فِي هَذَا الشَّأْنِ وَقَدْ قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَقَدْ أَجْمَعَ نُسَّابُ قُرَيْشٍ وَغَيْرُهُمْ أَنَّ قُرَيْشًا إِنَّمَا تَفَرَّقَتْ مِنْ فِهْرِ بْنِ مَالِكٍ وَالَّذِي عَلَيْهِ مَنْ أَدْرَكْتُ مِنْ نُسَّابِ قُرَيْشٍ أَنَّ وَلَدَ فِهْرِ بْنِ مَالِكٍ قُرَشِيٌّ، وَأَنَّ مَنْ جَاوَزَ فِهْرَ بْنَ مَالِكٍ بِنَسَبِهِ فَلَيْسَ مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ نَصَرَ هَذَا الْقَوْلَ نَصْرًا عَزِيزًا، وَتَحَامَى لَهُ بِأَنَّهُ وَنَحْوَهُ أَعْلَمُ بِأَنْسَابِ قَوْمِهِمْ، وَأَحْفَظُ لِمَآثِرِهِمْ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ قَالَ: «قَلْتُ لِرَبِيبَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي زَيْنَبَ فِي حَدِيثٍ ذَكَرَهُ -: أَخْبِرِينِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَانَ مِنْ مُضَرَ؟ قَالَتْ: فَمِمَّنْ كَانَ إِلَّا مِنْ مُضَرَ؟ مِنْ بَنِي النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ.» وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَائِلَةَ الْأَصْبَهَانِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ ثنا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْجُفْشِيشِ الْكِنْدِيِّ قَالَ: «جَاءَ قَوْمٌ مِنْ كِنْدَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: أَنْتَ مِنَّا وَادَّعَوْهُ،
পৃষ্ঠা - ১৩১৪
ষ্ষ্


কুরাইশ, যার অর্থ একত্র করা ৷ আর তাকাররুশ অর্থও একত্র করা ৷ যেমন আবু খালদা আল
ইয়ড়াশকারী বলেন :


তাইয়েরা আমাদের বিরুদ্ধে জড়ো করেছে অপরাধের অভিযোগ, আমাদের যুগের এবং
প্রাচীন যুগের কাহিনীতে ৷

আবার কেউ কেউ বলেন, কুরাইশ নামকরণ করা হয়েছে তাকড়াররুশ ( এ )ও;; ) থেকে :
যার অর্থ উপার্জ্য৷ করা, ব্যবসা করা ৷ ইবন হিশাম এটি উল্লেখ করেন ৷ অভিধানবেত্তা জাওহারী
বলেন : কুরাইশ (এই এ) অর্থ উপার্জ্য করা, জড়ো করা আর ব্যাকরণবিদ ফাররা বলেন
এ নামেই কুরাইশ কবীলার নামকরণ করা হয়েছে ৷ তাদের পুর্বপুরুষ হচ্ছেন নযর ইবন
কিনানা ৷ তার সন্তানগণই কুরড়ায়শী-উর্ধতনরা নন ৷ আবার কারো কারো মতে, কুরাইশ নামকরণ
হয়েছে তাক্তীশ শব্দ থেকে ৷ হিশাম ইবন কালবী বলেন, নযর ইবন ল্কিনানার নাম রাখা হয়
কুরাইশ ৷ কারণ, তিনি মানুষের আভার-অনটনের খোজ খবর নিতেন এবং নিজের অর্থ দ্বারা
তাদের অভাব পুরণ করতেন ৷ আর তাকরীশ ( এণ্; এম্বু; ) অর্থ হম্মে তাফ্তীশ (এর্ট;ন্;ও) তথা
অনুসন্ধান ৷ আর র্তার সম্ভানরা মওসুমের সময়ে লোকজনের অভাব-অনটনের খোজ নিতেন ৷
যাতে লোকেরা দেশে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা তারা করতেন ৷ একারণে তাদের নামকরণ
করা হয় কুরাইশ ৷ এ নাম তাদের এ কাজের জন্য ৷ এই ,;: অর্থ যে তাফতীশ তথা অনুসন্ধান,
এ অর্থে করি হড়ারিস ইবন হিল্লিযা বলেনঃ

হে আমাদের সম্পর্কে অনুসন্ধানী বক্তা ! আম্র-এর নিকট, তার কি কোন স্থিতি আছেঃ এটি
যুরায়র ইবন বাক্কারের বর্ণনা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, কৃরায়শ শব্দটা কিংংণ ( এ এও)
শব্দের তাসপীর তথা ক্ষুদ্রতা জ্ঞাপক শব্দ ৷ আর এ এও অর্থ সমুদ্রে ৰিচরণকারী প্রাণী ৷ কোন
করি বলেন :

আর কুরায়শ হ্রুচ্ছ সমুদ্রে বসবাস করা প্রাণী, যে কারণে কুরায়শকে কুরায়শ নামে
আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷

আবু রুকানা আল-আমিরী সুত্রে বলেন যে, মুআবিয়া (রা) ইবন আব্বাস (রা)-কে
জিজ্ঞাসা করলেন, কুরায়শের এরুপ নামকরণের কারণ কী? তিনি বললেন : একটি
সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে, যা কিনা সমুদ্রের সর্ববৃহৎ প্রাণী ৷ তাকে বলা হয় কিরশ ৷ ক্ষুদ্র-
বৃহৎ যার নিকট দিয়ে এ প্রাণী অতিক্রম করে, তাকেই গ্রাস করে ৷ তিনি বললেন, এ প্রসঙ্গে
আমাকে কোন কবিতা আবৃত্তি করে শুনান ৷ তিনি আমাকে করি জুমাহীর কবিতা শুনালেন,
যাতে তিনি বলেন :


فَقَالَ: لَا نَقْفُو أُمَّنَا وَلَا نَنْتَفِي مِنْ أَبِينَا، نَحْنُ وَلَدُ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَبُو عُثْمَانَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: ثنا أَبِي ثنا الْكَلْبِيُّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «جَاءَ رَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ يُقَالُ لَهُ: الْجُفْشِيشُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَزْعُمُ أَنَّ عَبْدَ مَنَافٍ مِنَّا فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ عَادَ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ عَادَ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، لَا نَقْفُو أُمَّنَا وَلَا نَنْتَفِي مِنْ أَبِينَا» فَقَالَ الْأَشْعَثُ: أَلَا كُنْتَ سَكَتَّ مِنَ الْمَرَّةِ الْأُولَى فَأَبْطَلَ ذَلِكَ قَوْلَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا غَرِيبٌ أَيْضًا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْكَلْبِيُّ ضَعِيفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ وَعَفَّانُ قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: ثني عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، وَقَالَ عَفَّانُ: عَقِيلُ بْنُ طَلْحَةَ السُّلَمِيُّ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ الْهَيْصَمِ عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ أَنَّهُ قَالَ «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ كِنْدَةَ قَالَ عَفَّانُ: لَا يَرَوْنِي أَفْضَلَهُمْ قَالَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَزْعُمُ أَنَّكُمْ مِنَّا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَحْنُ بَنُو النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، لَا نَقْفُو
পৃষ্ঠা - ১৩১৫
أُمَّنَا وَلَا نَنْتَفِي مِنْ أَبِينَا» قَالَ: فَقَالَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ: فَوَاللَّهِ لَا أَسْمَعُ أَحَدًا نَفَى قُرَيْشًا مِنَ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ إِلَّا جَلَدْتُهُ الْحَدَّ، وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ وَهُوَ فَيْصَلٌ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ فَلَا الْتِفَاتَ إِلَى قَوْلِ مَنْ خَالَفَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ جَرِيرُ بْنُ عَطِيَّةَ التَّمِيمِيُّ يَمْدَحُ هِشَامَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَمَا الْأُمُّ الَّتِي وَلَدَتْ قُرَيْشًا ... بِمُقْرِفَةِ النِّجَارِ وَلَا عَقِيمِ وَمَا قَرْمٌ بِأَنْجَبَ مِنْ أَبِيكُمْ ... وَلَا خَالٌ بِأَكْرَمَ مِنْ تَمِيمِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يَعْنِي أَمَّ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، وَهِيَ بَرَّةُ بِنْتُ مُرٍّ أُخْتُ تَمِيمِ بْنِ مُرٍّ. وَأَمَّا اشْتِقَاقُ قُرَيْشٍ فَقِيلَ: مِنَ التَّقَرُّشِ وَهُوَ التَّجَمُّعُ بَعْدَ التَّفَرُّقِ، وَذَلِكَ فِي زَمَنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ فَإِنَّهُمْ كَانُوا مُتَفَرِّقِينَ فَجَمَعَهُمْ بِالْحَرَمِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَقَدْ قَالَ حُذَافَةُ بْنُ غَانِمٍ الْعَدَوِيُّ أَبُوكُمْ قُصَيٌّ كَانَ يُدْعَى مُجَمِّعًا ... بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ مِنْ فِهْرٍ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ قُصَيٌّ يُقَالَ لَهُ: قُرَيْشٌ، قِيلَ: مِنَ التَّجَمُّعِ.
পৃষ্ঠা - ১৩১৬
ষ্ষ্


এ্যাইন্হী)এ ষ্
আর কুরায়শ সে প্রাণী, যে বাস করে সমুদ্রে, এ কারণে কুরায়শের নাম করণ করা
হয় কুরায়শ ৷

সে ক্ষুদ্র-বৃহৎ সবই গ্রাস করে নেয়, ছাড়ে না কোন পাখ৷ ওযালার পাখনা ৷

আে % ৷ ৷ ও১ ৷ ১বু;া৷
এভাবেই জনপদে কুরায়শ গোত্র, গ্রাস করে জনপদকে প্রচণ্ড ভাবে

ণ্র্পেঙু

আখেরী য়মানায় কুরায়শদের একজন নবী হবেন, যিনি তাদের অনেকের হত্যার ও যখমের
কারণ হবেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, কুরায়শ ইবনুল হারিছ ইবন ইয়াখলাদ ইবন ফিনানার
নামানুসারে কুরায়শ নামকরণ করা হয়েছে ৷ আর তিনি ছিলেন বনু নম্বর-এর নেতা এবং তাদের
সঞ্চিত সম্পদের রক্ষক ৷ আরবরা ৰলতো, কুরায়শের দল এসেছে ৷ ঐতিহাসিকরা বলেন, ইবন
বল্ম ইবন কুরায়শ ছিলেন ঐ ব্যক্তি, যিনি ঐতিহাসিক বদর কুপ খনন করান, কুরআন মজীদে
এ যুদ্ধকে ইয়াওমুল ফুরকান তথা পার্থক্যের দিন এবং দুটি দলের মুখোমুখি হওয়ার দিন বলে
উল্লেখিত হয়েছে৷ আল্লাহ্ই ভালো জানেন ৷ কুরাইশের দিকে সম্পৃক্ত করে কারশী এবং কুরায়শী
বলা হয় ৷ জাওহারী বলেন, এটাই যুক্তি সঙ্গত ৷ করি বলেনঃ

ণ্স্পে এেএট্রু৬হাধ্);প্ জো
সকল কুরড়ায়শী চেহারায় রয়েছে পাম্বীর্যের ছাপ ৷ দ্রুত ছুটে যায় সে বদানতো ও
সম্মানের দিকে ৷

অতিধানবেত্তা জাওহারী বলেন, কুরায়শ শব্দটি যদি শাখাগােত্র অর্থে ব্যবহৃত হয় ৷ তবে
তা হবে এ্,; আর যদি গোত্র অর্থে ব্যবহৃত হয় তবে তা হবে এ্,;ঞ্জুৰু এ
প্রসঙ্গে জনৈক করি বলেন ৷

সমস্যার মুকাবিলার কুরায়শরা যথেষ্ট তাতে তারা নেতৃত্ব দেয় ৷১ আর মুসলিম তার সহীহ
গ্রন্থে ওয়াছিলা ইবনুল আসকা’ সুত্রে বলেন, ৰাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তাআলা
ইসমাঈলের বংশধরদের মধ্য থেকে ফিনানাকে মনোনীত করেছেন, আর কুরড়ায়শকে মনোনীত
করেছেন ফিনানার সন্তানদের মধ্য থেকে এবং হাশিমকে মনোনীত করেছেন কুরায়শ থেকে



টীকা ১ এটি আদী ইবন রুফা এর কবিতার অংশ বিশেষ ৷ এতে তিনি লীেদ ইবন আব্দুস মালিকএব প্রশংসা করেন ৷
কবিতার প্রথমাংশ এই


وَالتَّقَرُّشُ: التَّجَمُّعُ كَمَا قَالَ أَبُو خَلْدَةَ الْيَشْكُرِيُّ إِخْوَةٌ قَرَشُوا الذُّنُوبَ عَلَيْنَا ... فِي حَدِيثٍ مِنْ دَهْرِنَا وَقَدِيمِ وَقِيلَ: سُمِّيَتْ قُرَيْشٌ مِنَ التَّقَرُّشِ وَهُوَ التَّكَسُّبُ وَالتِّجَارَةُ، حَكَاهُ ابْنُ هِشَامٍ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَالَ الْجَوْهَرِيُّ: الْقِرْشُ الْكَسْبُ وَالْجَمْعُ، وَقَدْ قَرَشَ يَقْرِشُ قَالَ الْفَرَّاءُ: وَبِهِ سُمِّيَتْ قُرَيْشٌ وَهِيَ قَبِيلَةٌ، وَأَبُوهُمُ النَّضْرُ بْنُ كِنَانَةَ فَكُلُّ مَنْ كَانَ مِنْ وَلَدِهِ فَهُوَ قُرَشِيٌّ دُونَ وَلَدِ كِنَانَةَ فَمَا فَوْقَهُ، وَقِيلَ: مِنَ التَّفْتِيشِ قَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ: كَانَ النَّضْرُ بْنُ كِنَانَةَ تَسَمَّى قُرَيْشًا; لِأَنَّهُ كَانَ يَقْرُشُ عَنْ خَلَّةِ النَّاسِ، وَحَاجَتِهِمْ فَيَسُدُّهَا بِمَالِهِ وَالتَّقَرُّشِ هُوَ التَّفْتِيشُ وَكَانَ بَنُوهُ يَقْرُشُونَ أَهْلَ الْمَوْسِمِ عَنِ الْحَاجَّةِ فَيَرْفِدُونَهُمْ بِمَا يُبَلِّغُهُمْ بِلَادَهُمْ فَسُمُّوا بِذَلِكَ مِنْ فِعْلِهِمْ وَقَرْشِهِمْ قُرَيْشًا، وَقَدْ قَالَ الْحَارِثُ بْنُ حِلِّزَةَ فِي بَيَانِ أَنَّ التَّقَرُّشَ التَّفْتِيشُ أَيُّهَا النَّاطِقُ الْمُقَرِّشُ عَنَّا ... عِنْدَ عَمْرٍو فَهَلْ لَهُ إِبْقَاءُ حَكَى ذَلِكَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ، وَقِيلَ: قُرَيْشٌ تَصْغِيرُ قِرْشٍ، وَهُوَ دَابَّةٌ فِي الْبَحْرِ. قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ
পৃষ্ঠা - ১৩১৭
وَقُرَيْشٌ هِي الَّتِي تَسْكُنُ الْبَحْرَ ... بِهَا سُمِّيَتْ قُرَيْشٌ قُرَيْشَا قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ ثنا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْمَالِينِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنُ الْخَلِيلِ النَّسَوِيُّ أَنَّ أَبَا كُرَيْبٍ حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي رُكَانَةَ الْعَامِرِيِّ أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: فَلِمَ سُمِّيَتْ قُرَيْشٌ قُرَيْشًا؟ فَقَالَ: لِدَابَّةٍ تَكُونُ فِي الْبَحْرِ تَكُونُ أَعْظَمَ دَوَابِّهِ فَيُقَالَ لَهَا: الْقِرْشُ لَا تَمُرُّ بِشَيْءٍ مِنَ الْغَثِّ وَالسَّمِينِ إِلَّا أَكَلَتْهُ. قَالَ: فَأَنْشِدْنِي فِي ذَلِكَ شَيْئًا فَأَنْشَدَهُ شِعْرَ الْجُمَحِيِّ إِذْ يَقُولُ وَقُرَيْشٌ هِيَ الَّتِي تَسْكُنُ الْبَحْرَ ... بِهَا سُمِّيَتْ قُرَيْشٌ قُرَيْشَا تَأْكُلُ الْغَثَّ وَالسَّمِينَ وَلَا ... تَتْرُكُ لِذِي الْجَنَاحَيْنِ رِيشَا هَكَذَا فِي الْبِلَادِ حَيُّ قُرَيْشٍ ... يَأْكُلُونَ الْبِلَادَ أَكْلًا كَمِيشَا وَلَهُمْ آخِرَ الزَّمَانِ نَبِيٌّ ... يُكْثِرُ الْقَتْلَ فِيهِمْ وَالْخُمُوشَا وَقِيلَ: سُمُّوا بِقُرَيْشِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ يَخْلُدَ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ وَكَانَ دَلِيلَ بَنِي النَّضْرِ، وَصَاحِبِ مِيرَتِهِمْ فَكَانَتِ الْعَرَبُ تَقُولُ: قَدْ جَاءَتْ عِيرُ قُرَيْشٍ، قَالُوا: وَابْنُ بَدْرِ بْنِ قُرَيْشٍ هُوَ الَّذِي حَفَرَ الْبِئْرَ الْمَنْسُوبَةَ إِلَيْهِ، الَّتِي كَانَتْ عِنْدَهَا الْوَقْعَةُ الْعُظْمَى يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৩১৮
ষ্ষ্


এবং আমাকে মনোনীত করেছেন বনু হাশিম থেকে ৷ আবু উমর ইবন আব্দুল বার বরেন ;; বনু
আব্দুল মুত্তান্সিবকে বলা হয় রাসুলুল্লাহ্র পরিজন (এ প্) ৷ বনু হাশিম শাখা গোত্র ( ১ব্র)
বনু অব্দে মানাফ তার উপগোত্র (; ) এবং কুরায়শ তার গোত্র ( ও ) ঘুণ্; ) এবং বনু কিনানা
তার কবীল ড়া ( ৰুাস্) এবং মুযার তার কওম (এ্যা) ৷ কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তার প্রতি
আল্পাহ্র পক্ষ থেকে সর্বদা দরুদ ও সালাম বর্ধিত হোক ৷ ইবন ইসহাক ৰ্লোঃ নযর ইবন
কিনানার সন্তান হচ্ছেন মালিক এবং মুখাল্লাদ ৷ ইবন হিশাম সাল্ত নামের তার আরেক
সন্তানের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ এবং তাদের সকলের মা হচ্ছেন সা’দ ইবন যারব আল-
উদওয়ানী ৷ কান্থীর ইবন আব্দুর রহমান, যিনি খুযাআ গোত্রের অন্যতম সম্মড়ানীত ব্যক্তি এবং বনু
মুলাইহ্ ইবন আমর এর অন্তর্ভুক্ত ৷ ইবন হিশাম বলেন : বনু মুলায়হ্ ইবন আমর সালুৎ ইবন
নযর এর পুত্র হচ্ছেন ফিহ্র ৷ এই ফিহরের মা ছিলেন জন্দলা বিনতৃ হারিছ ইবন মুযায আল
আসগর ৷ আর ফিহ্র এর সন্তানরা হচ্ছেন পালিব, মুহারিব, হারিছ এবং আসাদ আর এদের যা
লায়লা বিনত সাআছ ইবন হুযাইল ইবন মুদৃরিক৷ ৷

ইবন হিশাম বলেনঃ জন্দলা বিনত ফিহ্র তাদের বৈমাত্রেয় বোন ৷ ইবন ইসহাক বলেনঃ
পালিব ইবন ফিহ্র এর সন্তান হচ্ছেন লুয়াই এবং তায়ম ৷ এদেরকে বলা হয় বনুল আদৃরাম আর
তাদের মা হচ্ছেন সালমা বিনৃতে আমর আল-খুযায়ী ৷ আর ইবন হিশাম বলেন ও কায়স ছিলেন
গালিবের অন্য এক সন্তান আর তার মা ছিলেন সালমা বিনত কাব ইবন আম্র আল খুযায়ী
আর ইনি হলেন লুয়াই-এর মা ৷ ইবন ইসহাক বলেনঃ লুয়াই ইবন পান্সিব-এর চার পুত্র কাব
আমির, সাদা এবং আওফ ৷

ইবন হিশাম বলেনঃ এমনও বলা হয় যে, তিনি জন্ম দেন হারিসকে, আর তারা হচ্ছে জসম
ইবনুল হারিস রবীআর হুযান গোত্রে এবং সায়াদ ইবন লুয়াইকে ৷ আর তারা হচ্ছে শাইবান ইবন
সালাবার বিনড়ানা গোত্র আর এরা হচ্ছে তাদের প্রতিপালনকারী ৷ আর থুযাইমা ইবন লুয়াই, যারা
শারবাম ইবন সা’লাবা গোত্রে আশ্রয় গ্রহণকারী ৷

অতপর ইবন ইসহাক সামা ইবন লুয়াই এর বর্ণনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, সামা ওমানে
চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করেন ৷ আর তিনি এটা করেন তার ভাই আমির-এয় সঙ্গে
শক্রতা আর বিদ্বেষের কারণে ৷ ভাই আমির তাকে ভয় দেখাংল তিনি তাতে ভীত হয়ে ওমানে
পলায়ন করেন এ ৎ সেখানেই মির্জা নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান ৷ আর তার কারণ এই হয়েছিল
যে, তিনি আপন উটনী ছেড়ে দিলে একটা সাপ এসে উটনীটির ঠোট জড়িয়ে ধরে ৷ তখন
উটনীঢি কাত হয়ে পড়ে যায় এবং সাপটি সামড়াকে দংশন করে ৷ ফলে তার মৃত্যু হয় ৷ কথিত
আছে যে, মৃত্যুর পুর্বে তিনি অঙ্গুলি দ্বারা মাটির উপর কয়েকটি পংক্তি লিখে যানঃ

ষ্ন্নুপ্রু ঢু প্রু;


وَيُقَالُ فِي النِّسْبَةِ إِلَى قُرَيْشٍ: قُرَشِيُّ وَقُرَيْشِيُّ، قَالَ الْجَوْهَرِيُّ: وَهُوَ الْقِيَاسُ قَالَ الشَّاعِرُ لِكُلِّ قُرَيْشِيٍّ عَلَيْهِ مَهَابَةٌ ... سَرِيعٌ إِلَى دَاعِي النَّدَا وَالتَّكَرُّمِ قَالَ: فَاذَا أَرَدْتَ بِقُرَيْشٍ الْحَيَّ صَرَفْتَهُ، وَإِنْ أَرَدْتَ الْقَبِيلَةَ مَنَعْتَهُ، قَالَ الشَّاعِرُ فِي تَرْكِ الصَّرْفِ: وَكَفَى قُرَيْشَ الْمُعْضِلَاتِ وَسَادَهَا وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُمَرَ وَالْأَوْزَاعِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ حَدَّثَنِي وَاثِلَةُ بْنُ الْأَسْقَعِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ، وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمَ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» قَالَ أَبُو عُمَرَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: يُقَالَ: بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَصِيلَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَنُو هَاشِمٍ فَخِذُهُ، وَبَنُو عَبْدِ مَنَافٍ بَطْنُهُ، وَقُرَيْشٌ عِمَارَتُهُ، وَبَنُو كِنَانَةَ قَبِيلَتُهُ، وَمُضَرُ شِعْبُهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ.
পৃষ্ঠা - ১৩১৯
ষ্ষ্


চক্ষু! বোদন কর মামা ইবন লুয়াইর তরে, ঝুলে রয়েছিল তার সাথে যে ঝুলম্ভ বস্তু

ওওএেৰু

হে ইবন লুয়াই, তুমি চেয়েছিলে মৃত্যু ঠেকাতে, মৃত্যু যাকে গ্রাস করতে চায়, তার তো
ঠেকাবার ক্ষমতা নেই ৷

ইবন হিশাম বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, তার কোন এক সন্তান রাসুলুল্লাহ (সা) এর
নিকট আগমন করে মামা ইবন লুয়াইর সঙ্গে নিজের বং শর সম্পৃক্ততা ব্যক্ত করলে রাসুলুল্লাহ
(সা) তাকে বলেনঃ কবি মামা? তখন জনৈক সাহাবী তাকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল,
আপনি যেন তার পংক্তিটির দিকে ইঙ্গিত করছেন :

কতো পানপাত্র প্রবাহিত করেছ হে ইবন লুয়াই, মৃত্যু ডান, তুমি তো ছিলে না তা
প্রবাহিত করার ৷

তখন রাসুলুল্লাহ (মা) বললেনঃ হী৷ ৷ আর সুহায়লী বলেনঃ কারো কারো মতে, মামা কোন
সন্তান রেখে যাননি ৷

যুবায়র বলেন, মামা ইবন লুয়াইর গড়ালিব নাকীত এবং হারিছ নামের তিন পুত্র ছিল ৷
ঐতিহাসিকরা বলেন যে, মামা ইবন লুয়াইর সত্তানরা ছিল ইরাকে, যারা হযরত আলী (রা ) এর
সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করতেড়া ৷ তাদের মধ্যে একজন ছিল আলী ইবনল জাদ, যে তার আলী
নামকরণের জন্য আপন পিতাকে পালিগালাজ করতো ৷ বনু মামা ইবন লুয়াইর অন্যতম অধ্স্তন
পুরুষ আরআরা ইবনুল ইয়াযীদ ছিলেন ইমাম বুখারীর অন্যতম উস্তাদ ৷

ইবন ইসহাক বলেনঃ আওফ ইবন লুয়াই সম্পর্কে কথিত আছে যে, তিনি কুরায়শের
একদল অশ্বারােহী সঙ্গে বহির্গত হন ৷ পাতফান ইবন মাদ ইবন কায়স ইবন আয়লান-এর
জনপদে পৌছলে তিনি সেখানে রয়ে যান এবং তার সঙ্গীরা চলে যায় ৷ তখন তার নিকট
আগমন করেন ছালাবা ইবন সাদ ৷ তিনি বনু লুবৃইয়ানের জ্ঞাতি ভাই ছিলেন ৷ ছা’লাবা তাকে
এবং তার ত্রীকে সেখানে রেখেছেন এবং তার সঙ্গে ভ্রাতৃবন্ধন স্থাপন করার ফ্লে বনু লুবইয়ান
এবাং ছালাৰা গোত্রের মধ্যে তার বংশ বিস্তার ঘটে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : উমর ইবনল খাত্তাব (রা) বলেছেন : আমি যদি আরবের কোন
গোত্রের দাবীদার হতাম, অথবা তিনি বলেন যে, আমি যদি তাদেরকে আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত
বরেতড়াম তাহলে আমি বনু মুররা ইবন আওফের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবী করতাম ৷ আমরা তাদের
মত লোকদেরকে চিনি, অথচ আমরা যে ব্যজ্যি অবস্থান স্থল সম্পর্কে জানি না , এই বলে তিনি



টীকা মুল আরবী গ্রন্থে মামা স্থলে উসামা মুদ্রিত হয়েছে ৷


ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ النَّضْرُ بْنُ كِنَانَةَ مَالِكًا وَيَخْلُدَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَالصَّلْتَ، وَأُمُّهُمْ جَمِيعًا بِنْتُ سَعْدِ بْنِ الظَّرِبِ الْعَدْوَانِيِّ قَالَ كُثَيِّرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ أَحَدُ بَنِي مُلَيْحِ بْنِ عَمْرٍو مِنْ خُزَاعَةَ: أَلَيْسَ أَبِي بِالصَّلْتِ أَمْ لَيْسَ إِخْوَتِي ... لِكُلِّ هِجَانٍ مِنْ بَنِي النَّضْرِ أَزْهَرَا رَأَيْتُ ثِيَابَ الْعَصْبِ مُخْتَلِطَ السَّدَى ... بِنَا وَبِهِمْ وَالْحَضْرَمِيَّ الْمُخَصَّرَا فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا مِنْ بَنِي النَّضْرِ فَاتْرُكُوا ... أَرَاكًا بِأَذْنَابِ الْفَوَائِجِ أَخْضَرَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَنُو مَلِيحِ بْنِ عَمْرٍو يُعْزَوْنَ إِلَى الصَّلْتِ بْنِ النَّضْرِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ مَالِكُ بْنُ النَّضْرِ فِهْرَ بْنَ مَالِكٍ، وَأُمُّهُ جَنْدَلَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ الْأَصْغَرُ، وَوَلَدَ فِهْرٌ غَالِبًا وَمُحَارِبًا وَالْحَارِثَ وَأَسَدًا، وَأُمُّهُمْ لَيْلَى بِنْتُ سَعْدِ بْنِ هُذَيْلِ بْنِ مُدْرِكَةَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأُخْتُهُمْ لِأَبَوَيْهِمْ جَنْدَلَةُ بِنْتُ فِهْرٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ غَالِبُ بْنُ فِهْرٍ لُؤَيَّ بْنَ غَالِبٍ وَتَيْمَ بْنَ غَالِبٍ وَهُمُ الَّذِينَ
পৃষ্ঠা - ১৩২০
يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو الْأَدْرَمِ، وَأُمُّهُمَا سَلْمَى بِنْتُ عَمْرٍو الْخُزَاعِيِّ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَيْسُ بْنُ غَالِبٍ، وَأُمُّهُ سَلْمَى بِنْتُ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو الْخُزَاعِيِّ، وَهِيَ أَمُّ لُؤَيٍّ وَتَيَّمٍ ابْنَيْ غَالِبٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ لُؤَيُّ بْنُ غَالِبٍ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ كَعْبًا وَعَامِرًا وَسَامَةَ وَعَوْفًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: وَالْحَارِثَ وَهُمْ جُشَمُ بْنُ الْحَارِثِ فِي هِزَّانَ مِنْ رَبِيعَةَ، وَسَعْدَ بْنَ لُؤَيٍّ، وَهُمْ بُنَانَةُ فِي شَيْبَانَ بْنِ ثَعْلَبَةَ، وَبُنَانَةُ حَاضِنَةٌ لَهُمْ، وَخُزَيْمَةَ بْنَ لُؤَيٍّ، وَهُمْ عَائِذَةُ فِي شَيْبَانَ بْنِ ثَعْلَبَةَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ خَبَرَ سَامَةَ بْنِ لُؤَيٍّ، وَأَنَّهُ خَرَجَ إِلَى عَمَّانَ فَكَانَ بِهَا; وَذَلِكَ لِشَنَآنٍ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ عَامِرَ فَأَخَافُهُ عَامِرٌ فَخَرَجَ عَنْهُ هَارِبًا إِلَى عُمَانَ، وَأَنَّهُ مَاتَ بِهَا غَرِيبًا، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَرْعَى نَاقَتَهُ فَعَلِقَتْ حَيَّةٌ بِمِشْفَرِهَا فَوَقَعَتْ لِشِقِّهَا، ثُمَّ نَهَشَتِ الْحَيَّةُ سَامَةَ حَتَّى قَتَلَتْهُ فَيُقَالَ: إِنَّهُ كَتَبَ بِأُصْبُعِهِ عَلَى الْأَرْضِ عَيْنُ فَابْكِي لِسَامَةَ بْنِ لُؤَيٍّ ... عَلِقَتْ مَا بِسَامَةَ الْعِلَّاقَهْ لَا أَرَى مِثْلَ سَامَةَ بْنِ لُؤَيٍّ ... يَوْمَ حَلُّوا بِهِ قَتِيلًا لِنَاقَهْ
পৃষ্ঠা - ১৩২১
ষ্ষ্


আওফ ইবন লুয়াইর দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আমি অভিযুক্ত করতে পারি
না এমন ব্যক্তি আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, উমর ইবন খাত্তাব (বা) কতিপয় ব্যক্তিকে
বলেন, তাদের মধ্যে বনু মৃররার লোকও ছিল ৷ তোমরা যদি নিজেদের বংশের দিকে ফিরে
যেতে চাও তবে যে দিকে ফিরে যাও ৷ ইবন ইসহাক বলেনঃ আর এরা ছিলেন গাতফান বংশের
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ৷ তারা ছিলেন গাতফান কায়েস বংন্শ্৷ সকলের মধ্যে সেরা ৷ তারা তাদের
সেই পরিচয় নিয়ে সেখানেই রয়ে যান ৷ ঐতিহাসিকরা বলেনঃ ওরা বলতে৷ যখন তাদের নিকট
ৎশের কথা বলা হতো, আমরা তা অস্বীকার করছি না, আমরা ত ৷র বিরোধিতা ৷ও করছি না৷
আর তা ই হচ্ছে আমাদের নিকট সবচেয়ে প্রিয় বংশধারা ৷ অতঃপর লুয়াই র সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
প্রসঙ্গে তিনি তাদের কবিতার উল্লেখ করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এবং তাদের মধ্যে বুসল (নিষিদ্ধ) নামে একটা প্রথা চালু ছিল ৷ আর
সে প্রথাট৷ হচ্ছে আরবদের মধ্যে বছরের আট মম্সকে হারাম বা নিষিদ্ধ জ্ঞান করা ৷ আর
আরবরা তাদের এ প্রথা সম্পর্কে অবগত ছিল এবং ঐ সময়ে তারা তাদেরকে নিরাপত্তা দান
করতে৷ আর নিজেরাও নিরাপদ বোধ করতো ৷ আমি বলি, রবীআ এবং মৃযার গোত্রও বছরে
চারটি মাসকে নিষিদ্ধ জ্ঞান করতো ৷ সে মাসগুলাে হলো যুলকাদা যুলহিজ্জা, মুহররম ৷ চতুর্থ
মাস সম্পর্কে রবীআ আর মুযার এর মধ্যে মতভেদ রয়েছে মৃযার গোত্র বলে৪ সে মাসটি
হচ্ছে জুমাদ৷ ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস অর্থাৎ রজব ৷ পক্ষাস্তরে রবীআ গোত্রের মতে সে
মাসটি হচ্ছে শা’বান ও শাওয়ালের মধ্যবর্তী মাস অর্থাৎ রমযান মাস ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ
যুসলিমে আবু বকর৷ থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা ) বিদায় হরুজ্জর ভাষণে
বলেছেনঃ আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন আল্লাহ তা যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, যে অবন্থায়ত ৩াফিরে
এসেছে ৷ বছর হচ্ছে ১২ মাসে ৷ সেগুলোর মধ্যে চারটি হচ্ছে হারাম মাস তিনটি মাস পরপর
৪ যুলকদা মুল হজ্জ ও ঘুহররম এবং মুযার-এর রজব, বা হচ্ছে জুমাদ৷ ও শাবান মাসের
মধ্যবর্তী মাস ৷ এ থেকে রবীআ নয়, বরং মুযার-এর উক্তির বিশুদ্ধত৷ প্রমাণিত হয় ৷ আল্লাহ
তা’আলা বলেন :


(র্যঙ্গ
আল্লাহর নিকট মাসের পণনা তার কি৩ ৷বে ১২ মাস, যেদিন তিনি আসমান যমীন সুষ্টি
করেছেন, তার মধ্যে চারটি হচ্ছে হারাম মাস ৷ (৯ তা ৷ওবা ং ৩৬)

বনু আওফ ইবন লুয়াই যে, আটটি মাসকে হারাম গণ্য করে, উক্ত আয়াত দ্বারা ত৷ খণ্ডিত
হয়ে যায় ৷ আর তারা আল্লাহ্র বিধানে অতিরিক্ত সংযোজন করেছে এবং যা হারাম নয়, তাকে
হারামের অন্তর্ভুক্ত করেছে ৷ আর হাদীসে যে বলা হয়েছে৩ তিনটি মাস পরপর : এটা নাসী
পন্থীদের মতে তর খণ্ডন; যারা মুহররমের হুরমতকে সফর মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দিত ৷ মহানবীর
বাণী মুযার এর রজব মাস এ কথায় খণ্ডিত হয়েছে রবী’ আ গো ৷ত্রের মতা


بَلِّغَا عَامِرًا وَكَعْبًا رَسُولًا ... أَنَّ نَفْسِي إِلَيْهِمَا مُشْتَاقَهْ إِنْ تَكُنْ فِي عُمَانَ دَارِي فَإِنِّي ... غَالِبِيٌّ خَرَجْتُ مِنْ غَيْرِ فَاقَهْ رُبَّ كَأْسٍ هَرَقْتَ يَا ابْنَ لُؤَيٍّ ... حَذَرَ الْمَوْتِ لَمْ تَكُنْ مُهْرَاقَهْ رُمْتَ دَفْعَ الْحُتُوفِ يَا ابْنَ لُؤَيٍّ ... مَا لِمَنْ رَامَ ذَاكَ بِالْحَتْفِ طَاقَهْ وَخُرُوسَ السُّرَى تَرَكْتَ رَذِيًّا ... بَعْدَ جِدٍّ وَجِدَّةٍ وَرَشَاقَهْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَبَلَغَنِي أَنَّ بَعْضَ وَلَدِهِ، «أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْتَسَبَ إِلَى سَامَةَ بْنِ لُؤَيٍّ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آلشَّاعِرُ؟ فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: كَأَنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَدْتَ قَوْلَهُ رُبَّ كَأْسٍ هَرَقْتَ يَا ابْنَ لُؤَيٍّ ... حَذَرَ الْمَوْتِ لَمْ تَكُنْ مُهْرَاقَهْ فَقَالَ أَجَلْ.» وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ لَمْ يُعْقِبْ، وَقَالَ الزُّبَيْرُ: وَلَدَ سَامَةُ بْنُ لُؤَيٍّ غَالِبًا وَالنَّبِيتَ وَالْحَارِثَ، قَالُوا: وَكَانَتْ لَهُ ذُرِّيَّةٌ بِالْعِرَاقِ يُبْغِضُونَ عَلِيًّا، وَمِنْهُمْ عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ كَانَ يَشْتُمُ أَبَاهُ لِكَوْنِهِ سَمَّاهُ عَلِيًّا، وَمِنْ بَنِي سَامَةَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৩২২
لُؤَيٍّ مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ بْنِ الْيَزِيدَ شَيْخُ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا عَوْفُ بْنُ لُؤَيٍّ فَإِنَّهُ خَرَجَ - فِيمَا يَزْعُمُونَ - فِي رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ حَتَّى إِذَا كَانَ بِأَرْضِ غَطَفَانَ بْنِ سَعْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ أُبْطِئَ بِهِ فَانْطَلَقَ مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ فَأَتَاهُ ثَعْلَبَةُ بْنُ سَعْدٍ وَهُوَ أَخُوهُ فِي نَسَبِ بَنِي ذُبْيَانَ فَحَبَسَهُ وَزَوَّجَهُ وَالْتَاطَهُ وَآخَاهُ فَشَاعَ نَسَبُهُ فِي ذُبْيَانَ وَثَعْلَبَةَ فِيمَا يَزْعُمُونَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَوْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: لَوْ كُنْتُ مُدَّعِيًا حَيًّا مِنَ الْعَرَبِ أَوْ مُلْحِقَهُمْ بِنَا لَادَّعَيْتُ بَنِي مُرَّةَ بْنِ عَوْفٍ إِنَّا لَنَعْرِفُ فِيهِمُ الْأَشْبَاهَ مَعَ مَا نَعْرِفُ مِنْ مَوْقِعِ ذَلِكَ الرَّجُلِ حَيْثُ وَقَعَ يَعْنِي عَوْفَ بْنَ لُؤَيٍّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لِرِجَالٍ مِنْهُمْ مِنْ بَنِي مُرَّةَ: إِنْ شِئْتُمْ أَنْ تَرْجِعُوا إِلَى نَسَبِكُمْ فَارْجِعُوا إِلَيْهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الْقَوْمُ أَشْرَافًا فِي غَطَفَانَ هُمْ سَادَتُهُمْ، وَقَادَتُهُمْ قَوْمٌ لَهُمْ صِيتٌ فِي غَطَفَانَ وَقَيْسٍ كُلِّهَا فَأَقَامُوا عَلَى نَسَبِهِمْ، قَالَ: وَكَانُوا
পৃষ্ঠা - ১৩২৩
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বলেন : কা’ব ইবনু লুয়াইর তিনজন পুত্র ছিলেন মুররা , আলী ও হাসীস ৷ এবং
মুররারও তিন সন্তান ছিলেন : কিলাব তায়ম এবং ইযাক্যা ৷ এদের প্রত্যেকের মা ভিন্ন ভিন্ন ৷
তিনি বলেন : কিদাবেরও দু’জন পুত্র ছিলেন : কুসাই এবং সহ্রা ৷ এ দুজনের মা হলেন
ফাতিমা বিনাত সদি ইবনু সায়্যা ৷ ইয়ামানের জা’সা আমাদের গোত্রের অন্যতম জুদারা ৷ এরা
ছিলেন বনু সায়প্স ইবন বকর (ইবন আরফ সানাত ইবনু কিনানাটুা-এর মিত্র ৷ এই ফাতিমার
পিতৃপুরুষ সম্পর্কে করি বলেন :

ষ্ঠাং ৰু)ৰুাখো ৮০

মানুষের মধ্যে আমরা দেখি না একজন মানুষকেও যাদেরকে আমরা জানি ৷ সাদ ইবন
সায়ল-এর মতো ৷

সুহায়লী বলেন : সংখ্যা এর নাম হচ্ছে কামর ইবনু জামালা ৷ আর তিনি হলেন সর্বপ্রথম
ব্যক্তি, যার তরবারীকে স্বর্ণ ও রৌপ্য খচিত করা হয় ৷

ইবনু ইসহাক বলেন : তাদেরকে জুদারা বলা হতো এ জন্য যে, আমির ইবন অড়ামর ইবন
খুযায়মা ইবন জাসড়ামা হারিছ ইবন মুসাম আল-জুরহুমীর কন্যাকে বিবাহ করেন ৷ তখন জুরহুম
গোত্র হিল বড়ায়তুল্পাহ্র সেবায়েত ৷ তিনি আনার জন্য প্রাচীর নির্মাণ করান ৷ এ কারণে আমর
এর নামকরণ হয় জাদীর তথা প্রাচীর নির্মাতা ৷ এ কারণে তার সন্তানদেরকে জুদারা বলা হয়ে
যাকে ৷

ফুসইি ইবন কিশাবের বৃত্তান্ত বড়ায়তুস্নাহ্র সেৰায়েতের দায়িত্ব কুরাইশের হাতে ফেরত
আনা এবং খুযআের নিকট থেকে তা মিলিয়ে সেরা :

কুসাইয়ের পিতা কিলাবের মৃত্যুর পর তার মাতা আয্রা গোত্রের রবীআ ইবন হারাযকে
বিবাহ করেন ৷ কুসাই তার মা এবং সৎ পিতাকে নিয়ে নিজ দেশে রওয়ানা হন ৷ অতঃপর কুসাই
যৌবনে মক্কায় ফিরে এসে খুযা’আ গোত্রের সর্দার হুলায়ল ইবন হুবৃশিয়ার কন্যা হুরায়কে বিবাহ
করেন ৷ থুযায়ীদের ধারণা এই যে, পুত্র পক্ষে বংশ ধারা বৃদ্ধি দেখে হুলায়ল কুসাইকে
বায়তুল্পাহ্র দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ওসিয়ত করেন ৷ তিনি একথাও বলেন যে, এ দায়িতু পালনের
জন্য তুমি আমার চেয়ে বেশী যোগ্য ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ কথা তাদের কাছে ছাড়া অন্য
কারো কাছে আমরা শুনিনি ৷ আর অন্যদের ধারণা এই যে, কুসাই তার বৈমাত্রেয় ভাইদের
সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ মক্কার আশ-পাশের কুয়াইশ প্রমুখ, বনু কিনানা, বনু কুযা’আ এবং তার
ভাইদের দলপতি ছিলেন রাযাহ্ ইবন রৰী’আ ৷ তিনি বনু থুযাআকে নির্বাসিত করে নিজে
এককভাবে বয়েতৃল্লাহ্ব কর্তৃতু গ্রহণ করেন ৷ কারণ হাজীদের অনুমতি দানের কর্তৃতু ছিল
সুফা’দের হাতে ৷ আর সুফা বলা হতো পাওস ইবন মুর (ইবন উদ্দ ইবন তাবিখা ইবন ইলিয়াস
ইবন মুযার)-এর বংশধ্রদেরকে ৷ তারা কংকর নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত অন্যরা যাত্রা নিক্ষেপ
করতো না এবং মিনা থেকে তারা যাত্রা না করা পর্যন্ত অন্যরা যাত্রা করতো না ৷ তাদের বংশ


يَقُولُونَ إِذَا ذُكِرَ لَهُمْ نَسَبُهُمْ: مَا نُنْكِرُهُ وَمَا نَجْحَدُهُ، وَإِنَّهُ لَأَحَبُّ النَّسَبِ إِلَيْنَا، ثُمَّ ذَكَرَ أَشْعَارَهُمْ فِي انْتِمَائِهِمْ إِلَى لُؤَيٍّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَفِيهِمْ كَانَ الْبَسْلُ وَهُوَ تَحْرِيمُ ثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ لَهُمْ مِنْ كُلِّ سَنَةٍ مِنْ بَيْنِ الْعَرَبِ وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَعْرِفُ لَهُمْ ذَلِكَ، وَيَأْمَنُونَهُمْ فِيهَا وَيُؤَمِّنُونَهُمْ أَيْضًا. قُلْتُ: وَكَانَتْ رَبِيعَةُ وَمُضَرُ إِنَّمَا يُحَرِّمُونَ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ مِنَ السَّنَةِ وَهِيَ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَاخْتَلَفَتْ رَبِيعَةُ وَمُضَرُ فِي الرَّابِعِ وَهُوَ رَجَبٌ فَقَالَتْ مُضَرُ: هُوَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ، وَقَالَتْ رَبِيعَةُ: هُوَ الَّذِي بَيْنَ شَعْبَانَ وَشَوَّالٍ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ فِي خُطْبَةِ حِجَّةِ الْوَدَاعِ: «إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلَاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ، الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ.» فَنَصَّ عَلَى تَرْجِيحِ قَوْلِ مُضَرَ لَا رَبِيعَةَ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ {إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ} [التوبة: 36] فَهَذَا رَدٌّ عَلَى بَنِي عَوْفِ بْنِ لُؤَيٍّ فِي جَعْلِهِمُ الْأَشْهُرَ الْحُرُمَ ثَمَانِيَةً فَزَادُوا عَلَى حُكْمِ اللَّهِ، وَأَدْخَلُوا فِيهِ مَا لَيْسَ مِنْهُ، وَقَوْلُهُ فِي الْحَدِيثِ ثَلَاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ، رَدٌّ عَلَى أَهْلِ النَّسِيءِ الَّذِينَ كَانُوا يُؤَخِّرُونَ تَحْرِيمَ الْمُحَرَّمِ إِلَى صَفَرَ، وَقَوْلُهُ فِيهِ: وَرَجَبُ مُضَرَ رَدٌّ عَلَى رَبِيعَةَ.
পৃষ্ঠা - ১৩২৪
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ كَعْبُ بْنُ لُؤَيٍّ ثَلَاثَةً ; مُرَّةَ وَعَدِيًّا وَهُصَيْصًا، وَوَلَدَ مُرَّةُ ثَلَاثَةً أَيْضًا; كِلَابَ بْنَ مُرَّةَ وَتَيْمَ بْنَ مُرَّةَ وَيَقَظَةَ بْنَ مُرَّةَ، مِنْ أُمَّهَاتٍ ثَلَاثٍ قَالَ: وَوَلَدَ كِلَابٌ رَجُلَيْنِ قُصَيَّ بْنَ كِلَابٍ وَزُهْرَةَ بْنَ كِلَابٍ، وَأُمُّهُمَا فَاطِمَةُ بِنْتُ سَعْدِ بْنِ سَيَلٍ أَحَدِ الْجَدَرَةِ مِنْ جُعْثُمَةَ الْأَسَدِ مِنَ الْيَمَنِ حُلَفَاءِ بَنِي الدُّئِلِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ، وَفِي أَبِيهَا يَقُولُ الشَّاعِرُ مَا نَرَى فِي النَّاسِ شَخْصًا وَاحِدًا ... مَنْ عَلِمْنَاهُ كَسَعْدِ بْنِ سَيَلْ فَارِسًا أَضْبَطَ فِيهِ عُسْرَةٌ ... وَإِذَا مَا وَاقَفَ الْقِرْنَ نَزَلْ فَارِسًا يَسْتَدْرِجُ الْخَيْلَ كَمَا ... اسْتَدْرَجَ الْحُرُّ الْقَطَامِيُّ الْحَجَلْ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: سَيَلُ اسْمُهُ خَيْرُ بْنُ حَمَالَةَ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ طُلِيَتْ لَهُ السُّيُوفُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَإِنَّمَا سُمُّوا الْجَدَرَةَ ; لِأَنَّ عَامِرَ بْنَ عَمْرِو بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৩২৫
ষ্ষ্


নিঃশোষিত হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত এ ভাবেই চলে আসছিল ৷ অতঃপর বনু সা’দ ইবন যায়দ মানাত
ইবন তার্মীম তাদের উত্তরাধীকারী হন ৷ তাদের প্রথম ব্যক্তি ছিলেন সাফওয়ান ইবনুল
হারিস ইবন শিজনা ইবন উতারিদ ইবন আওফ ইবন কা’ব ইবন সাদ ইবন যায়দ মানাত
ইবন তামীম ৷ আর এ দায়িতৃ তারই বংশে রয়ে যায় এবং তাদের শেষ ব্যক্তি কুরব ইবন
সাফওয়ানের আমলে ইসলামের অভ্যুদয় ঘটে ৷ আর মুযদান্সিফা থেকে যাত্রার অনুমতি
দানের কর্তৃত্ব ছিল আদওয়ান গোাত্রের হাতে এবং তাদের শেষ ব্যক্তি আবু সাইয়্যারা
আমীলা মতাম্ভরে আম ইবনুল আযালের আমলে ইসলাম কায়েম না হওয়া পর্যন্ত এ
ধারা অব্যাহত ছিল ৷ কারো কারো মতে, আযাল-এর নাম ছিল থড়ালিদ এবং তিনি তার কানা
গাধীর পৃষ্ঠে সওয়ার হয়ে লোকদেরকে অনুমতি দিতেন ৷ এভাবে চল্লিশ বছর অতিবাহিত
হয় ৷ তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি রক্তপণ একশ উট সাব্যস্ত করেন আর তিনিই ছিলেন
প্রথম ব্যক্তি যিনি বলেনং : এ-^-ই ৷< ,: ;; ¢,;;- ২ টি সুহায়লীর বর্ণনা, অর্থাৎ ছবীর পর্বত
দেখা যাচ্ছে উট হীকাও !

আর আমির ইবনুল যারব আদওয়ালী এমন এক অবস্থানে ছিলেন যে আরবদের মধ্যে কোন
চরম বিরোধ দেখা দিলে সকলে ফয়সালার জন্য তার শরণাপন্ন হতো এবং তিনি যে সিদ্ধান্ত
দিতেন, তাতে সকলেই সত্তুষ্টি হতো ৷ একবার এক হিজড়ার উত্তরাধিকার নিয়ে তাদের মধ্যে
চরম বিরোধ দেখা দেয় ৷ এ নিয়ে চিন্তা করতে করতে তিনি বিনিদ্র রজনী যাপন করেন ৷ তার
এক দাসী তাকে এ অবস্থায় দেখতে পায় ৷ এ দাসী তার মেষপাল চড়াতাে ৷ তার নাম ছিল
সাথীলা ৷ সে রললো, কি হল আপনারা বিনিদ্র রজনী যাপন করতে দেখছি যে আপনাকে? কি
বিষয়ে চিন্তা করছেন, তাকে তিনি তা জানালেন ৷ তিনি মনে মনে একথাও বললেন যে,
হয়তো এ ব্যাপারে তার কাছে কোন সমাধান থাকতেও পারে ৷ দাসীটি তাকে বললো ?
তার প্রস্রাবের রাস্তা দেখে ফয়সালা করুন ! তিনি বললেন : আল্লাহর কসম সাথীলা , তুমি
তো সমস্যাটির সমাধান করে দিলে ৷ এবং তিনি সে অনুযায়ী ফয়সালা দিলেন সুহায়ালী
বলেন : এটা ছিল লক্ষণ বিচারে ফয়সালা দানের একটি দৃষ্টান্ত ৷ শরীয়তে এর ভিত্তি রয়েছে
আল্লাহ তাআলা বলেন :

“তারা তার জামা নিয়ে আসে মিথ্যা রক্তসহ” (ইউসুফ : ১৮৯) ৷

অথচ, তাতে বাঘের নখের কোন লক্ষণ ছিল না আল্লাহ তাআলা আরো বলেন :

§ :

é)
“তার জামা যদি সামনে থেকে ছেড়া হয় তবে সে নারী সত্য বলেছে আর সে (ইউসুফ)
মিথ্যাৰাদী, আর যদি তার জামা সামনে থেকে ছেড়া হয়, তবে সে নারী মিথ্যা বলেছে এবং সে


جُعْثُمَةَ تَزَوَّجَ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ مُضَاضٍ الْجُرْهُمِيِّ، وَكَانَتْ جُرْهُمٌ إِذْ ذَاكَ وُلَاةَ الْبَيْتِ فَبَنَى لِلْكَعْبَةِ جِدَارًا فَسُمِّيَ عَامِرٌ بِذَلِكَ الْجَادِرُ فَقِيلَ لِوَلَدِهِ: الْجَدَرَةُ لِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ১৩২৬
ষ্ষ্


পুরুষ সত্যবাদী ৷ (১২ ইউসুফ : ২৬) ৷ আর হাদীসে আছে : তোমরা নারীটির দিকে লক্ষ্য
করবে ৷ সে যদি ধুসর বর্ণের কেড়াকড়ানাে চুল বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তা হলে তার বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ সত্য ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বনু ফকীম ইবন আদী (ইবন আমির ইবন ছালাবা ইবন হারিস ইবন
মালিক ইবন কিনানা ইবন থুযায়মা ইবন ইবন মুদরিয়া ইবন ইলিয়াস) ইবন মুযার গোত্রে
নাসী’ প্ৰথায় প্রচলন ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন : সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি আরবদের মধ্যে নড়াসী
প্রথার প্রচলন ঘটান তিনি ছিলেন আল কালাম্মাস’ আর তিনিই ছিলেন হুষড়াফা ইবন আব্দ ইবনু
ফড়াকীম ইবনু আদী ৷ তার পর তার পুত্র আব্বাদ তার পর তার পুত্র কালা তারপর উমাইয়া ইবন
কালা তারপর আওফ ইবন উমাইয়া ৷ এরপর ছিল তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি আবু সামামা জানাদা
ইবন আওফ ইবন কালা ইবন অড়াব্বড়াদইবন হুযায়ফ৷ ৷ আর তিনিই হচ্ছে আল-কালাম্মাস ৷ এই
আবু সামামার কালেই ইসলামের আবির্ভাব ঘটে ৷ আর আরবরা হজ্জ শেষে তার কাছে এসে
একত্র হতো ৷ তিনি তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতেন ৷ এ ভাষণে তিনি হারাম মাসের ঘোষণা
জারী করতেন ৷ সেসব হারাম মাসগুলোর মধ্যে কোন মড়াসকে হালাল করতে চাইলে মৃহররমকে
হালাল করতেন এবং তদন্থলে রাখতেন সফর মড়াসকে, যাতে আল্লাহ যেগুলো হারাম করেছেন,
সেগুলোর সংখ্যা পুর্ণ করতে পারে ৷ তখন তারা বলতে৷ : হে আল্লাহ ! আমি দুটি সফর মাসের
একটিকে হালাল করেছি আর অপরটি পিছিয়ে রেখেছি আগামী বছরের জন্য ৷ আর এ ক্ষেত্রে
আরবরা র্তারই অনুসরণ করতো ৷ এ ব্যাপারে উমায়র ইবন কায়স, যিনি ছিলেন বনু ফিরাস
ইবন গনম ইবন মালিক ইবন কিনানা’র অন্তর্ভুক্ত আর এই উমায়র ইবন কায়স জাদলুত্
তা’অ্যান নামে পরিচিত ছিলেন ৷ তিনি বলেন :

এেপ্রুহ্র fl; ;, ৷ গোাএ্৷ ৷ ণ্ ৷ ,$ ;ণ্গ্রাদ্বু ষ্ৰুষ্ং মোঃ ১এে
মাআদ গোত্র নিশ্চিত আসে যে, আমার সম্প্রদায় সকল মানুষের মধ্যে সম্মানিত ৷ সম্মান
রয়েছে তাদের তরে ৷

তবে কোন মানুষ, নিয়ে এসো আমাদের কাছে, তাদের কোন একজনকে, আর এমন কোন
লোক আছে, যার লাগান আমরা করে বীধিনিঃ


আমরা কি নই মায়দ গোত্রের উপর নাসী’ কারী ? হালাল মাসকে আমরা করি হারাম ৷

আর কুসাই ছিলেন তার জাতির নেতা ৷ সকলে র্তার নেতৃতু মেনে চলতে এবং তাকে সম্মান
করতো ৷ মোদ্দাকথা, তিনি জাযিরাতুল আরবের নানা স্থান থেকে এসে কুরায়শদেরকে এক
জায়গায় একত্র করেন এবং আরবের গােত্রসমুহের মধ্যে যারা তার আনুগত্য করে, তাদের


[خَبَرُ قُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ] وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي ارْتِجَاعِهِ وِلَايَةَ الْبَيْتِ إِلَى قُرَيْشٍ، وَانْتِزَاعِهِ ذَلِكَ مِنْ خُزَاعَةَ، وَاجْتِمَاعِ قُرَيْشٍ إِلَى الْحَرَمِ الَّذِي جَعَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى أَمْنًا لِلْعِبَادِ، بَعْدَ تَفَرُّقِهَا فِي الْبِلَادِ، وَتَمَزُّقِهَا فِي الْجِبَالِ وَالْمِهَادِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا مَاتَ أَبُوهُ كِلَابٌ تَزَوَّجَ أُمَّهُ رَبِيعَةُ بْنُ حَرَامٍ مِنْ عُذْرَةَ، وَخَرَجَ بِهَا وَبِهِ إِلَى بِلَادِهِ، ثُمَّ قَدِمَ قُصَيٌّ مَكَّةَ وَهُوَ شَابٌّ فَتَزَوَّجَ حُبَّى ابْنَةَ رَئِيسِ خُزَاعَةَ حُلَيْلِ بْنِ حُبْشِيَّةَ فَأَمَّا خُزَاعَةُ فَتَزْعُمُ أَنَّ حَلِيلًا أَوْصَى إِلَى قُصَيٍّ بِوِلَايَةِ الْبَيْتِ، لِمَا رَأَى مِنْ كَثْرَةِ نَسْلِهِ مِنِ ابْنَتِهِ، وَقَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِّي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ نَسْمَعْ ذَلِكَ إِلَّا مِنْهُمْ. وَأَمَّا غَيْرُهُمْ فَإِنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ اسْتَجَاشَ بِإِخْوَتِهِ مِنْ أُمِّهِ - وَكَانَ رَئِيسُهُمْ رِزَاحَ بْنَ رَبِيعَةَ - وَإِخْوَةِ إِخْوَتِهِ، وَبَنِي كِنَانَةَ وَقُضَاعَةَ، وَمَنْ حَوْلَ مَكَّةَ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ فَأَجْلَاهُمْ عَنِ الْبَيْتِ، وَاسْتَقَلَّ هُوَ بِوِلَايَةِ الْبَيْتِ; إِلَّا أَنَّ إِجَازَةَ الْحَجِيجِ كَانَتْ إِلَى صُوفَةَ، وَهُمْ بَنُو الْغَوْثِ بْنِ مُرِّ بْنِ أُدِّ بْنِ طَابِخَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ فَكَانَ النَّاسُ لَا يَرْمُونَ الْجِمَارَ حَتَّى يَرْمُوا وَلَا يَنْفِرُونَ مِنْ مِنًى
পৃষ্ঠা - ১৩২৭
حَتَّى يَنْفِرُوا فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ فِيهِمْ حَتَّى انْقَرَضُوا فَوَرِثَهُمْ ذَلِكَ بَالْقُعْدَدِ بَنُو سَعْدِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمٍ فَكَانَ أَوَّلُهُمْ صَفْوَانُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ شِجْنَةَ بْنِ عُطَارِدَ بْنِ عَوْفِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ تَمِيمٍ وَكَانَ ذَلِكَ فِي بَيْتِهِ حَتَّى قَامَ عَلَى آخِرِهِمُ الْإِسْلَامُ وَهُوَ كَرِبُ بْنِ صَفْوَانَ، وَكَانَتِ الْإِجَازَةُ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ فِي عَدْوَانَ حَتَّى قَامَ الْإِسْلَامُ عَلَى آخِرِهِمْ وَهُوَ أَبُو سَيَّارَةَ عُمَيْلَةُ بْنُ الْأَعْزَلِ، وَقِيلَ اسْمُهُ الْعَاصُ بْنُ خَالِدٍ وَكَانَ يُجِيزُ بِالنَّاسِ عَلَى أَتَانٍ لَهُ عَوْرَاءَ مَكَثَ يَدْفَعُ عَلَيْهَا فِي الْمَوْقِفِ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ جَعَلَ الدِّيَةَ مِائَةً، وَأَوَّلُ مَنْ كَانَ يَقُولُ: أَشْرِقْ ثَبِيرُ كَيْمَا نُغِيرُ حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ. وَكَانَ عَامِرُ بْنُ الظَّرِبِ الْعَدْوَانِيُّ، لَا يَكُونُ بَيْنَ الْعَرَبِ نَائِرَةٌ إِلَّا تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ فَيَرْضَوْنَ بِمَا يَقْضِي بِهِ فَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ مَرَّةً فِي مِيرَاثِ خُنْثَى فَبَاتَ لَيْلَتَهُ سَاهِرًا يَتَرَوَّى مَاذَا يَحْكُمُ بِهِ فَرَأَتْهُ جَارِيَةٌ لَهُ كَانَتْ تَرْعَى عَلَيْهِ غَنَمَهُ اسْمُهَا سُخَيْلَةُ فَقَالَتْ لَهُ: مَا لَكَ - لَا أَبَالَكَ - اللَّيْلَةَ سَاهِرًا؟ فَذَكَرَ لَهَا مَا هُوَ مُفَكِّرٌ فِيهِ، وَقَالَ: لَعَلَّهَا يَكُونُ عِنْدَهَا فِي ذَلِكَ شَيْءٌ فَقَالَتْ: أَتْبِعِ الْقَضَاءَ الْمَبَالَ. فَقَالَ: فَرَّجْتِهَا وَاللَّهِ يَا سُخَيْلَةُ. وَحَكَمَ بِذَلِكَ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَهَذَا الْحُكْمُ مِنْ بَابِ الِاسْتِدْلَالِ بِالْأَمَارَاتِ
পৃষ্ঠা - ১৩২৮
ষ্ষ্


সাহায্য নেন খুযাঅড়ার যুদ্ধে এবং তাদেরকে বায়তৃল্লাহ থেকে নির্বাসিত করেন ৷ ফলে সকলে
বায়তৃল্লাহর দ যিতু তার হাতে অর্পণ করে ৷ এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক যুদ্ধ হয় ৷ অনেক
তাজা রক্ত ঝরে ৷ অতঃপর সকলেই আপোষ রফার দাবী জানায় ৷ সকলে ফয়সালার ভ ৷র অর্পণ
করে ইয়ামার ইবন আওফ ইবন কা ’ব ইবন আমির ইবন লায়ছ ইবন বকর ইবন আবদ মানাত
ইবন কিনানা’র উপর ৷ তিনি ফয়সলা করেন যে, বায়ভুল্লাহ্র তত্ত্বাবধানে খুযা’অড়ার চেয়ে কুসাই
আধিকতর যোগ্য ব্যক্তি ৷ তাতে এ সিদ্ধান্ত ও গৃহীত হয় যে, কুসাই খুষাআ এবং বনু বকর-এর
যে রক্তপাত করেছেন, তা রহিত এবং পদত তলে নিম্পেযি৩ কিস্তু খুযা’অ৷ ও বনু বকর কুয়ায়শ
কিনানা এবং কুয৷ অ৷ গোত্রের যে রক্তপাত ঘটিয়েছে, সে জন্য তাদেরকে রক্তপণ আদায় করতে
হবে ৷ এ সিদ্ধ ন্তও গৃহীত হয় যে, মক্কা ও কা বার ক ৩ভৈ লর ব্যাপারে কেউ বাধ সাধতে পারবে
না ৷ তখন থেকে ইয়ামা র এর নাম করা করা হা শাদাখ ৷

ইবন ইসহ৷ ৷ক বলেন৪ ফলে কুসাই বায়তুল্লাহভ্ক্ট হং মক্কার কর্তৃত্বের অধিকারী হন এবং তার
সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিজেদের মনযিল থেকে মক্কায় এনে একত্র করেন এবং তার সম্প্রদায়
আর মক্কাবাসীরা তার কর্তৃত্ব মেনে নিলে তারা সকলে ব্ৰুন্বাকে বাদশাহ বলে স্বীকার করে নেয় ৷
তিনি আরবদের ব্যাপারে একটা বিষয় মেনে নেন যে, তারা যা মেনে চলতো, তা মেনে চলবে ৷
কারণ তিনি এটাকেই নিজের দীন মনে করতেন ৷ যার পরিবর্তন অনুচিত ৷ ফলে সাফওয়ান
আদওয়ান, নাসয়৷ এবং মুরর৷ ইবন আওভ্রুফ্যা লোকজন এটা মেনে নেয় যে, তারা পুর্বে যে রীতি
মেনে চলতো, তা ই মেনে চলবে ৷ এ অবস্থায় ইসলামের আগমন ঘটলে আল্লাহ ইসলাম দ্বারা
সেসব রীতি-নীতির মুলোৎপাটন ঘটান সম্পুর্ণ রুপে ৷ কুসা ৷ই ছিলেন বনু কা বের প্রথম ব্যক্তি ,
যিনি বাদশাহ হন এবং তার জাতির লোকেরা তা মেনে নেয় ৷ ফলে বায়তুল্লাহ্র সেবা-যতু
হাজীদের পানি পান করানো তাদের আপ্যায়ন করা ৷পরামর্শ সভার ব্যবস্থাপনা এবং পতাকা
ধারণ করা তা ৷র দায়িত্বে ন্যস্ত হয় ৷ ফলে মক্কার মর্যাদা রক্ষা করার পুর্ণ কত হুতিনি লাভ করেন
এবং তিনি মক্কাকে তার লোকজনের মধ্যে কয়েক ভাগে বিভক্ত করলে কুযায়শের সকলে নিজ
নিজ মনযিলে এসে বসবাস শুরু করেন ৷

আমি বলি : ফলে সত্য তার স্ব-ন্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুবিচার লোপ পাওয়ার পর পুনঃ
প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ এবং কুরায়শরা৩ তাদের নিজেদের আবাসভুমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ খুযা’আ
গোত্রেকে বিতাড়নের ব্যাপারে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয় ৷ প্রাচীন পবিত্র গৃহ (বায়তুল্লাহ)
তাদের হাতে ফেরৎ আসে ৷ কিন্তু খুযা’ আ গোত্রের উদ্ভাবিত মুর্তি পৃজাক ৷বার চতুষ্পার্থে মুর্তি
স্থাপন, মুর্তির উদ্দেশ্যে কুরবানী, মুর্তির নিকট আবেদন নিবেদন আর কা৩ র প্রার্থনা ও সাহায্য
কামনা মুর্তির নিকট জীবিকা ভিক্ষ৷ করার কুপ্রথ৷ সমুহ অব্যাহত থাকে ৷ কুসাই কুরাইশের
কতক গােত্রকে মক্কার কেন্দ্রস্থলে অন্যকতক পােত্রকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করে মক্কার উপকষ্ঠে ৷
আবাদ করায় কুরাইশের কিছু গোত্রকে আর এ কারণে কুরাইশকে কুরায়শে বিতাহ এবং
কুরায়শে যাওযাহর নামে দৃ’ভাগে বিভক্ত করা হয় ৷ ফলে কুসাই ইবন কিলাব বায়তুল্লাহ্র


وَالْعَلَامَاتِ، وَلَهُ أَصْلٌ فِي الشَّرْعِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَجَاءُوا عَلَى قَمِيصِهِ بِدَمٍ كَذِبٍ} [يوسف: 18] حَيْثُ لَا أَثَرَ لِأَنْيَابِ الذِّئْبِ فِيهِ، وَقَالَ تَعَالَى {إِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ قُبُلٍ فَصَدَقَتْ وَهُوَ مِنَ الْكَاذِبِينَ وَإِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ فَكَذَبَتْ وَهُوَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [يوسف: 26] وَفِي الْحَدِيثِ «أَنِظْرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَوْرَقَ جَعْدًا جُمَالِيًّا فَهُوَ الَّذِي رُمِيَتْ بِهِ» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ النَّسِيءُ فِي بَنِي فُقَيْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَامِرِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ نَسَأَ الشُّهُورَ عَلَى الْعَرَبِ الْقَلَمَّسُ، وَهُوَ حُذَيْفَةُ بْنُ عَبْدِ بْنِ فُقَيْمِ بْنِ عَدِيٍّ، ثُمَّ قَامَ بَعْدَهُ ابْنُهُ عَبَّادٌ، ثُمَّ قَلَعُ بْنُ عَبَّادٍ، ثُمَّ أُمَيَّةُ بْنُ قَلَعٍ، ثُمَّ عَوْفُ بْنُ أُمَيَّةَ، ثُمَّ كَانَ آخِرَهُمْ أَبُو ثُمَامَةَ جُنَادَةُ بْنُ عَوْفِ بْنِ قَلَعِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُذَيْفَةَ وَهُوَ الْقَلَمَّسُ فَعَلَى أَبِي ثُمَامَةَ قَامَ الْإِسْلَامُ. وَكَانَتِ الْعَرَبُ إِذَا فَرَغَتْ مِنْ حَجِّهَا اجْتَمَعَتْ إِلَيْهِ فَخَطَبَهُمْ فَحَرَّمَ الْأَشْهُرَ الْحُرُمَ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُحِلَّ مِنْهَا شَيْئًا أَحَلَّ الْمُحَرَّمَ، وَجَعَلَ مَكَانَهُ صَفَرًا ; لِيُوَاطِئُوا عِدَّةَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ فَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَحْلَلْتُ أَحَدَ الصَّفَرَيْنِ الصَّفَرَ الْأَوَّلَ، وَأَنْسَأْتُ الْآخَرَ لِلْعَامِ الْمُقْبِلِ فَتَتَّبِعُهُ الْعَرَبُ فِي ذَلِكَ فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ قَيْسٍ أَحَدُ بَنِي
পৃষ্ঠা - ১৩২৯
فِرَاسِ بْنِ غَنْمِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كِنَانَةَ، وَيُعْرَفُ عُمَيْرُ بْنُ قَيْسٍ هَذَا بِجَذِلِ الطِّعَانِ لَقَدْ عَلِمَتْ مَعَدٌّ أَنَّ قَوْمِي ... كِرَامُ النَّاسِ أَنَّ لَهُمْ كِرَامَا فَأَيُّ النَّاسِ فَاتُونَا بِوِتْرٍ ... وَأَيُّ النَّاسِ لَمْ نَعْلِكْ لِجَامَا أَلَسْنَا النَّاسِئِينَ عَلَى مَعَدٍّ ... شُهُورَ الْحِلِّ نَجْعَلُهَا حَرَامَا وَكَانَ قُصَيٌّ فِي قَوْمِهِ سَيِّدًا رَئِيسًا مُطَاعًا مُعَظَّمًا وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ جَمَعَ قُرَيْشًا مِنْ مُتَفَرِّقَاتِ مَوَاضِعِهِمْ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَاسْتَعَانَ بِمَنْ أَطَاعَهُ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ عَلَى حَرْبِ خُزَاعَةَ، وَإِجْلَائِهِمْ عَنِ الْبَيْتِ، وَتَسْلِيمِهِ إِلَى قُصَيٍّ فَكَانَ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ كَثِيرٌ، وَدِمَاءٌ غَزِيرَةٌ، ثُمَّ تَدَاعَوْا إِلَى التَّحْكِيمِ فَتَحَاكَمُوا إِلَى يَعْمَرَ بْنِ عَوْفِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لَيْثِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ فَحَكَمَ بِأَنَّ قُصَيًّا أَوْلَى بِالْبَيْتِ مِنْ خُزَاعَةَ، وَأَنَّ كُلَّ دَمٍ أَصَابَهُ قُصَيٌّ مِنْ خُزَاعَةَ، وَبَنِي بَكْرٍ مَوْضُوعٌ يَشْدَخُهُ تَحْتَ قَدَمَيْهِ، وَأَنَّ مَا أَصَابَتْهُ خُزَاعَةُ وَبَنُو بَكْرٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَكِنَانَةَ وَقُضَاعَةَ فَفِيهِ الدِّيَةُ مُؤَدَّاةٌ، وَأَنْ يُخَلَّى بَيْنَ قُصَيٍّ وَبَيْنَ مَكَّةَ وَالْكَعْبَةِ فَسُمِّيَ يَعْمَرُ يَوْمَئِذٍ الشَّدَّاخَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلِيَ قُصَيٌّ الْبَيْتَ، وَأَمْرَ مَكَّةَ، وَجَمَعَ قَوْمَهُ مِنْ مَنَازِلِهِمْ
পৃষ্ঠা - ১৩৩০
ষ্ষ্


রক্ষণাবেক্ষণ, সেবা-যতু এবং পতাকা বহনের পুর্ণ কর্তৃতু লাভ করেন ৷ আবিচার দুর করা আর
বিরোধ নিস্পত্তির নিমিত্ত তিনি একটা ভবন নির্মাণ করে তার নাম লেন দারুন নাদওয়া তথা
মস্ত্রণালয়’ ৷ কোন তীব্র সংকট দেখা দিলে সমস্ত গোত্র প্রধানরা একত্র হয়ে পরামর্শ করতেন
এবং সমস্যার সমাধান করতেন ৷ দারুন নাদওয়ার সিদ্ধান্ত ছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হতো না
এবং কোন বিয়ে শাদীও সংঘটিত হতো না ৷ দারুন নাদওয়ার সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন দাসী কামিজ
পরিধান করতে পারতো না ৷ দারুন নাদওয়ার দরজা ছিল মসজিদে হারামের দিকে ৷ বনু
আবদৃদ দার এরপর দারুন নাদওয়ার দায়িতৃ পান হার্কীম ইবন হিযাম ৷ তিনি মুয়াবিয়া (রা)-এর
শাসনামলে তা’ এক লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় করলে মুয়াৰিয়া (রা ) সে জন্য তাকে
তিরস্কার করেন ৷ তিনি বলেন-এক লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে তুমি নিজ জাতির মর্যাদা বিক্রয়
করে দিলে? জবাবে তিনি বলেন, এখনতো মর্যাদা কেবল তাকওয়ার সঙ্গে যুক্ত ৷ আল্লাহর
কসম, জাহিলী যুগে আমি তা ক্রয় করেছিলন এক মশক মদের বিনিময়ে; আর এখন তা বিক্রয়
করছি এক লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে ৷ আমি তােমাদেরকে সাক্ষ্য ঢ: চ্ণ্’ধ্ বলছি যে, তার মুল্য
আমি আল্লাহর রাস্তায় সড়াদাকা করে দিলাম ৷ তাহলে আমাদের মধ্যে ণ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলো? দারা
কুত্নী মুয়াত্তার আসমাউর রিজাল প্রসঙ্গে এ ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ হাজীদেরকে পানি পান
করানোর দায়িত্বও ছিল তার ৷ ফলে তার কুয়াের পানি ছাড়া তারা পানি করতে পারতো না ৷
জুরহুমের যমানা থেকে তখন পর্যন্ত যমযম কুপ নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছিল ৷ ফলে দীর্ঘ কাল থেকে
লোকেরা যমযম কুপের কথা ভৃলেই বসেছিল ৷ তা কোথায় ছিল সে কথাও তাদের জানা ছিল
না ৷ ওয়াকিদী বলেন : কুসাই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মুয্দালিফড়ায় অগ্নিপ্রজ্বলিত করেন ৷ যাতে
আরাফাত থেকে আগত ব্যক্তি মুয্দালিফার সন্ধান পেতে পারে ৷ আর রিফাদা হচ্ছে নিজগৃহে
ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত হাজীদের খাওয়া-দাওয়াব ব্যবস্থা করা ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এটা এ জন্য যে, কুসাই হাজীদের খাওয়া দাওয়াব আয়োজন করা
কুরইিশদের উপর অবশ্য পালনীয় করে দেন ৷ তিনি কুরাইশদের উদ্দেশ করে বলেন : তোমরা
আল্লাহর প্রতিবেশী মক্কা আর হেরেমের বাসিন্দা ৷ আর হাজীরা আল্লাহর মেহমান এবং তার ঘর
যিয়ারতকারী ৷ তারাই যেহমানদারীর অধিকতর হকদার ৷ সুতরাং হজ্ঞেদ্বর সময় তোমরা তাদের
জন্যে পানাহারের আয়োজন করবে, যতক্ষণ না তারা ফিরে যায় ৷ কুরাইশের লোকেরা তার কথা
মতো কাজ করে ৷ এজন্য তারা প্রতি বছর নিজেদের সম্পদ থেকে এবল্টা অংশ বের করতো
এবং তা তার নিকট অর্পণ করতো ৷ তিনি হাজীদের মিনায় অবস্থানের দিনগুলোতে তা দ্বারা
খাবারের আয়োজন করতেন ৷ ইসলামের প্রতিষ্ঠা লাভের পুর্ব পর্যন্ত এ ধারা চালু ছিল এবং
পরেও সে ধারা চালু থাকে ৷ হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুলতান এখনো প্রতি বছর মিনায়
ভোজের আয়োজন করেন ৷

আমি বলি : ইবন ইসহাকেব পর সুলতানের আপ্যায়নের এধারার অবসান ঘটে ৷ তারপর
পর বায়তুলমাল থেকে হরুজ্জর উদ্দেশ্যে গমনকারী পথচারীদের জন্য পাথেয় এবং পানীয়


إِلَى مَكَّةَ، وَتَمَلَّكَ عَلَى قَوْمِهِ، وَأَهْلِ مَكَّةَ فَمَلَّكُوهُ إِلَّا أَنَّهُ أَقَرَّ الْعَرَبَ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ ; لِأَنَّهُ يَرَى ذَلِكَ دِينًا فِي نَفْسِهِ، لَا يَنْبَغِي تَغْيِيرُهُ فَأَقَرَّ آلَ صَفْوَانَ وَعَدْوَانَ وَالنَّسَأَةَ وَمُرَّةَ بْنَ عَوْفٍ عَلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ حَتَّى جَاءَ الْإِسْلَامُ فَهَدَمَ اللَّهُ بِهِ ذَلِكَ كُلَّهُ. قَالَ: فَكَانَ قُصَيٌّ أَوَّلَ بَنِي كَعْبٍ أَصَابَ مُلْكًا أَطَاعَ لَهُ بِهِ قَوْمُهُ، فَكَانَتْ إِلَيْهِ الْحِجَابَةُ وَالسِّقَايَةُ وَالرِّفَادَةُ وَالنَّدْوَةُ وَاللِّوَاءُ فَحَازَ شَرَفَ مَكَّةَ كُلَّهُ، وَقَطَّعَ مَكَّةَ رِبَاعًا بَيْنَ قَوْمِهِ فَأَنْزَلَ كُلَّ قَوْمٍ مِنْ قُرَيْشٍ مَنَازِلَهُمْ مِنْ مَكَّةَ. قُلْتُ: فَرَجَعَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ وَرُدَّ شَارِدُ الْعَدْلِ بَعْدَ إِيَابِهِ، وَاسْتَقَرَّتْ بِقُرَيْشٍ الدَّارُ، وَقَضَتْ مِنْ خُزَاعَةَ الْمُرَادَ وَالْأَوْطَارَ، وَتَسَلَّمَتْ بَيْتَهُمُ الْعَتِيقَ الْقَدِيمَ، لَكِنْ بِمَا أَحْدَثَتْ خُزَاعَةُ مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، وَنَصْبِهَا إِيَّاهَا حَوْلَ الْكَعْبَةِ، وَنَحْرِهِمْ لَهَا، وَتَضَرُّعِهِمْ عِنْدَهَا، وَاسْتِنْصَارِهِمْ بِهَا، وَطَلَبِهِمُ الرِّزْقَ مِنْهَا، وَأَنْزَلَ قُصَيٌّ قَبَائِلَ قُرَيْشٍ أَبَاطِحَ مَكَّةَ، وَأَنْزَلَ طَائِفَةً مِنْهُمْ ظَوَاهِرَهَا فَكَانَ يُقَالَ: قُرَيْشُ الْبِطَاحِ، وَقُرَيْشُ الظَّوَاهِرِ فَكَانَتْ لِقُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ جَمِيعُ الرِّئَاسَةِ ; مِنْ حِجَابَةِ الْبَيْتِ وَسِدَانَتِهِ وَاللِّوَاءِ، وَبَنَى دَارًا لِإِزَاحَةِ الظُّلُمَاتِ، وَفَصْلِ الْخُصُومَاتِ سَمَّاهَا دَارَ النَّدْوَةِ إِذَا أَعْضَلَتْ قَضِيَّةٌ، اجْتَمَعَ الرُّؤَسَاءُ مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ فَاشْتَوَرُوا فِيهَا وَفَصَلُوهَا وَلَا يُعْقَدُ عَقْدُ لِوَاءٍ وَلَا عَقْدُ نِكَاحٍ إِلَّا بِهَا،
পৃষ্ঠা - ১৩৩১
ষ্ষ্


সরবরাহের ব্যবস্থা চালু হয় ৷ অনেক দিক থেকে এটা উত্তম কাজ ৷ তবে নির্ভেজাল বায়তুল
মালের সবচেয়ে হালাল অর্থ এতে ব্যয় করা উচিত ৷ আর সর্বোত্তম যাদের যিম্মায় হজ্জ ফরয
হয়েছে, তাদের থেকে পর্যায়ক্রমে হজ্জ করিয়ে নেওয়া কারণ সাধারণত তারা কা বা গৃহের
হজ্জ করেন৷ ৷ সে চাই ইহুদী বা খৃষ্টান হিসাবে মৃত্যুবরণ্ক্ষ্ করুক ৷ তাতে কিছু আসে যায় না ৷

কুসাইয়ের প্রশংসা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে তার মর্যাদার বর্ণনায় কবি বলেন ও
পৌট্ট

আমার জীবনের শপথ, কুসাইকে বলতে হয় সমবেতকারী, আল্লাহ তার মাধ্যমে ফিহরের
অনেক গোত্রকে একত্র করেছেন ৷

ট্রুষুৰু ৷ স্পো
তারা তার তোলে বাত্হাকে মর্যাদা আর নেতৃত্বে প্ আর তারা তাড়িয়ে দেয় আমাদের পক্ষ
থেকে পথভ্রষ্ট বনু বকর গােত্রকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন : যুদ্ধ শেষে কুসাইর ভাই রেযাহ ইবন রবীআ সদলবলে স্বদেশে ফিরে
যায় এবং সঙ্গে নিয়ে যায় তার তিন বৈমাত্রেয় ভাইকে, তারা হলো : হান মাহ্মুদ এবং
জালহামা ৷ রেযাহ্ কুসাইয়ের আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে বলেন ৷

যখন আসে কুসাইর পক্ষ থেকে দুত ,
দুত এসে বললো, বন্ধুর ডাকে সাড়া দাও ৷
শ্রো এ;ঠো ম্পো-ই

আমরা ছুটে যাই তার পানে, পরিচালিত করি উত্তম অশ্বদল ৷ আর বোড়ে ফেলি আমাদের
থেকে অবসাদ ও ক্লাস্তি ৷

খুযাআকে আমরা বধ করেছি তাদের গৃহে, বধ করেছি বনু বকরকে অতঃপর প্রজন্মের পর
প্রজন্মকে ৷


বিতাড়িত করেছি আমরা তাদেরকে মালিকের দেশ থেকে, সমতুমিতে তারা আর পদচারণা
করতে পারবে না ৷

তাদের বন্দীরা হয় লোহার শেকলে আবদ্ধ আমরা সকল গোত্রের মনােকষ্ট দুর করি ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রেযাহ স্বদেশে ফিরে পেলে আল্লাহ তার ভাই হানার বংশ বৃদ্ধি
করেন ৷ তারাই আজ পর্যন্ত আমরা গোত্রদ্বয় রুপে পরিচিত ৷


وَلَا تَبْلُغُ جَارِيَةٌ أَنْ تَدَّرِعَ فَتَدَّرِعَ إِلَّا بِهَا وَكَانَ بَابُ هَذِهِ الدَّارِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، ثُمَّ صَارَتْ هَذِهِ الدَّارُ فِيمَا بَعْدُ، إِلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ بَعْدَ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ فَبَاعَهَا فِي زَمَنِ مُعَاوِيَةَ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ فَلَامَهُ عَلَى بَيْعِهَا مُعَاوِيَةُ، وَقَالَ: بِعْتَ مَكْرُمَةَ قَوْمِكَ، وَشَرَفَهُمْ بِمِائَةِ أَلْفٍ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا الشَّرَفُ الْيَوْمَ بِالتَّقْوَى وَاللَّهِ لَقَدِ ابْتَعْتُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِزِقِّ خَمْرٍ، وَهَا أَنَا قَدْ بِعْتُهَا بِمِائَةِ أَلْفٍ، وَأُشْهِدُكُمْ أَنَّ ثَمَنَهَا صَدَقَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَيُّنَا الْمَغْبُونُ؟ ذَكَرَهُ الدَّارَقُطْنِيُّ فِي أَسْمَاءِ رِجَالِ الْمُوَطَّأِ. وَكَانَتْ إِلَى قُصَيٍّ سِقَايَةُ الْحَجِيجِ فَلَا يَشْرَبُونَ إِلَّا مِنْ مَاءِ حِيَاضِهِ، وَكَانَتْ زَمْزَمُ إِذْ ذَاكَ مَطْمُوسَةً مِنْ زَمَنِ جُرْهُمٍ قَدْ تَنَاسَوْا أَمْرَهَا مِنْ تَقَادُمِ عَهْدِهَا وَلَا يَهْتَدُونَ إِلَى مَوْضِعِهَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ قُصَيٌّ أَوَّلَ مَنْ أَحْدَثَ وَقِيدَ النَّارِ بِالْمُزْدَلِفَةِ; لِيَهْتَدِيَ إِلَيْهَا مَنْ يَأْتِي مِنْ عَرَفَاتٍ، وَأَوَّلَ مَنْ أَحْدَثَ الرِّفَادَةَ، وَهِيَ إِطْعَامُ الْحَجِيجِ أَيَّامَ الْمَوْسِمِ، إِلَى أَنْ يَخْرُجُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَلِكَ أَنَّ قُصَيًّا فَرَضَهُ عَلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ لَهُمْ: يَا
পৃষ্ঠা - ১৩৩২
مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إِنَّكُمْ جِيرَانُ اللَّهِ وَأَهْلُ مَكَّةَ، وَأَهْلُ الْحَرَمِ، وَإِنَّ الْحَاجَّ ضَيْفُ اللَّهِ، وَزُوَّارُ بَيْتِهِ، وَهُمْ أَحَقُّ بِالضِّيَافَةِ فَاجْعَلُوا لَهُمْ طَعَامًا وَشَرَابًا أَيَّامَ الْحَجِّ حَتَّى يَصْدُرُوا عَنْكُمْ فَفَعَلُوا فَكَانُوا يُخْرِجُونَ لِذَلِكَ فِي كُلِّ عَامٍ مِنْ أَمْوَالِهِمْ خَرْجًا فَيَدْفَعُونَهُ إِلَيْهِ فَيَصْنَعُهُ طَعَامًا لِلنَّاسِ أَيَّامَ مِنًى فَجَرَى ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ حَتَّى قَامَ الْإِسْلَامُ، ثُمَّ جَرَى فِي الْإِسْلَامِ إِلَى يَوْمِكَ هَذَا فَهُوَ الطَّعَامُ الَّذِي يَصْنَعُهُ السُّلْطَانُ كُلَّ عَامٍ بِمِنًى لِلنَّاسِ حَتَّى يَنْقَضِيَ الْحَجُّ. قُلْتُ: ثُمَّ انْقَطَعَ هَذَا بَعْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ، ثُمَّ أمَرَ بِاخْرَاجِ طَائِفَةٍ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ فَيُصْرَفُ فِي حَمْلِ زَادٍ وَمَاءٍ لِأَبْنَاءِ السَّبِيلِ الْقَاصِدِينَ إِلَى الْحَجِّ. وَهَذَا صَنِيعٌ حَسَنٌ مِنْ وُجُوهٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَلَكِنَّ الْوَاجِبَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مِنْ خَالِصِ بَيْتِ الْمَالِ مِنْ أَجْلِ مَا فِيهِ وَالْأَوْلَى أَنْ يَكُونَ مِنْ جَوَّالِي الذِّمَّةَ ; لِأَنَّهُمْ لَا يَحُجُّونَ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ وَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ «مَنِ اسْتَطَاعَ الْحَجَّ فَلَمْ يَحُجَّ فَلْيَمُتْ إِنْ شَاءَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا» . . وَقَالَ قَائِلُهُمْ فِي مَدْحِ قُصَيٍّ، وَشَرَفِهِ فِي قَوْمِهِ قُصَيٌّ لَعَمْرِي كَانَ يُدْعَى مُجْمِّعًا ... بِهِ جَمَعَ اللَّهُ الْقَبَائِلَ مِنْ فِهْرِ هُمُو مَلَئُوا الْبَطْحَاءَ مَجْدًا وَسُؤْدَدًا ... وَهُمْ طَرَدُوا عَنَّا غُوَاةَ بَنِي بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ১৩৩৩
ষ্ষ্

ইবন ইসহাক বলেন : এ প্রসঙ্গে কুসাই ইবন কিলাব বলেন :

আমি হলাম বনু লুয়াই বংশের রক্ষাকারীদের পুত্র ৷ মক্কায় আমার অবস্থান স্থল, সেখানেই
আমি প্ৰতিপালিত হই ৷

;ঞা ৷ ণ্ডা৷ ৷
বাত্হ৷ পর্যন্ত ৷ মাআদ গোত্র তে৷ নিশ্চিত জানে ৷ তাদের বীরত্বে আমি মুগ্ধ ৷

আমি গালিবের কেউ নই যদি না কীদার আর নাবীত এর সন্তানদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত
করতে না পারি ৷

€ ৷ ) ১

রেযাহ আমার সহায়ক তাকে নিয়ে আমি মর্যাদার আসনে উন্নীত হই ৷ সুতরাং ভয় করিনা
আমি জুলুমকে, যতে ৷ দিন আমি বেচে থা কবো৷

উমবী উল্লেখ করেছেন : কুসাই থুযা’অ৷ গোত্রকে নির্বাসিত করার পরই রেযাহ্র
আগমন ঘটেছিল ৷

অধ্যায়

কুস ই বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হলে কুরাইশদের নে৩ ট্রু,তু রিফাদ৷ সিকায়া, হিজায়া, লিওবণ্ ,
মাদওয়৷ প্রভৃতি যে সব দায়িৎ তার উপর ন্যস্ত ছিল সে সব দায়িত্ব তিনি ন্যস্ত করেন পুত্র
আব্দুদ্দ৷ র এর উপর ৷ আর ইনি ছিলেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ৷ তিনি জ্যেষ্ঠ পুত্রকে মনোনীত করেন
এজন্য যে, তার অন্যান্য ভাই আবৃদ মানাফ আবৃদ শামৃস এবং আবৃদ-এরা প্রতে দ্রকেই পিতার
জীবদ্দশায়ই প্রভুত মর্যাদা ও শক্তি-সামর্থোর অধিকারী হয়ে গিয়েছিলেন ৷ ফলে কুসাই তাদের
সঙ্গে অ ৷ব্দুদদারকে নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট করতে চেয়েছিলেন ৷ ত ই তিনি তাকে এ সব দায়িত্ব অর্পণ
করলেন ৷ ফলে ত ব ভাইয়েরা তার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে প্ৰবৃত্ত হননি ৷ অবশ্য তাদের আমল
শেষে তাদের সন্তানরা এ ব্যাপারে বিরোধে প্রবৃত্ত হয় ৷ তারা বলে কুস ই এ জন্য
অড়াবদৃদ্দারকে মনোনীত করেছিলেন যাতে ভাইদের সঙ্গে তাকে যুক্ত করতে পারেন ৷ সুতরাং
আমাদের পুর্ব পুরুষ যে সব ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, তাতে আমাদেরও অধিকার রয়েছে ৷
আর আবদৃদ্দার এর সন্তানর৷ বললাে, কুসাই এ কাজটা আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন,
সুতরাং আমরাই এর সবচেয়ে বড় হকদার ৷ এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড বিরোধ দেখা দেয় ৷
কুরাইশ বংশীয়র৷ দৃ’দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ একজন আবদুদ্দার এর নিকট আনুপতোর শপথ


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا فَرَغَ قُصَيٌّ مِنْ حَرْبِهِ، انْصَرَفَ أَخُوهُ رِزَاحُ بْنُ رَبِيعَةَ إِلَى بِلَادِهِ بِمَنْ مَعَهُ، وَإِخْوَتِهِ مِنْ أَبِيهِ الثَّلَاثَةِ، وَهُمْ حُنٌّ وَمَحْمُودٌ وَجُلْهُمَةُ، قَالَ رِزَاحٌ فِي إِجَابَتِهِ قُصَيًّا وَلَمَّا أَتَى مِنْ قُصَيٍّ رَسُولٌ ... فَقَالَ الرَّسُولُ أَجِيبُوا الْخَلِيلَا نَهَضْنَا إِلَيْهِ نَقُودُ الْجِيَادَ ... وَنَطْرَحُ عَنَّا الْمَلُولَ الثَّقِيلَا نَسِيرُ بِهَا اللَّيْلَ حَتَّى الصَّبَاحِ ... وَنَكْمِي النَّهَارَ لِئَلَّا نَزُولَا فَهُنَّ سِرَاعٌ كَوِرْدِ الْقَطَا ... يُجِبْنَ بِنَا مِنْ قُصَيٍّ رَسُولًا جَمَعْنَا مِنَ السِّرِّ مِنْ أَشْمِذَيْنِ وَمِنْ كُلِّ حَيٍّ جَمَعْنَا قَبِيلَا ... فَيَالَكِ حُلْبَةُ مَا لَيْلَةٌ تَزِيدُ عَلَى الْأَلْفِ سَيْبًا رَسِيلًا ... فَلَمَّا مَرَرْنَ عَلَى عَسْجَرٍ وَأَسْهَلْنَ مِنْ مُسْتَنَاخٍ سَبِيلًا وَجَاوَزْنَ بِالرُّكْنِ مِنْ وَرِقَانَ وَجَاوَزْنَ بِالْعَرْجِ حَيًّا حُلُولًا
পৃষ্ঠা - ১৩৩৪
مَرَرْنَ عَلَى الْحِلِّ مَا ذُقْنَهُ ... وَعَالَجْنَ مَنْ مَرَّ لَيْلًا طَوِيلًا نُدَنِّي مِنَ الْعُوذِ أَفْلَاءَهَا ... إِرَادَةَ أَنْ يَسْتَرِقْنَ الصَّهِيلَا فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى مَكَّةَ أَبَحْنَا الرِّجَالَ قَبِيلًا قَبِيلًا ... نُعَاوِرُهُمْ ثَمَّ حَدَّ السُّيُوفِ وَفِي كُلِّ أَوْبٍ خَلَسْنَا الْعُقُولَا ... نُخَبِّزُهُمْ بِصِلَابِ النُّسُورِ خَبْزَ الْقَوِيِّ الْعَزِيزِ الذَّلِيلَا ... قَتَلْنَا خُزَاعَةَ فِي دَارِهَا وَبَكْرًا قَتَلْنَا، وَجِيلًا فَجِيلَا ... نَفَيْنَاهُمْ مِنْ بِلَادِ الْمَلِيكِ كَمَا لَا يَحِلُّونَ أَرْضًا سُهُولَا ... فَأَصْبَحَ سَيْبُهُمْ فِي الْحَدِيدِ وَمِنْ كُلِّ حَيٍّ شَفَيْنَا الْغَلِيلَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا رَجَعَ رِزَاحُ إِلَى بِلَادِهِ نَشَرَهُ اللَّهُ، وَنَشَرَ حُنًّا فَهُمَا قَبِيلَا عُذْرَةَ إِلَى الْيَوْمِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ قُصَيُّ بْنُ كِلَابٍ فِي ذَلِكَ: أَنَا ابْنُ الْعَاصِمِينَ بَنِي لُؤَيٍّ بِمَكَّةَ مَنْزِلِي وَبِهَا رَبِيتُ إِلَى الْبَطْحَاءِ قَدْ عَلِمَتْ مَعَدُّ ... وَمَرْوَتُهَا رَضِيتُ بِهَا رَضِيتُ
পৃষ্ঠা - ১৩৩৫
ষ্ষ্


নেয় এবং তাদের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করে ৷ আর অপর দল বনু আব্দমানাফ এর হাতে ৷ এ
ব্যাপারে তারা শপথও করে এবং শপথকালে তারা একটা সুগন্ধিপুর্ণ পাত্রে হাত রাখে ৷ সেখান
থেকে উঠে গিয়ে তারা কাবার দেয়ালে হাত মুছে ৷ এ কারাণ তারা হিল্ফুল মুতইিব্যিবীনঃ তথা
সুগন্ধধারীদের শপথ নামে পরিচিত হয় ৷ তাদের মধ্যে ছিল কুরাইশদের অন্যতম গোত্র বনু
আসাদ ইবন আবদুল ওঘৃযা ইবন কুসাই, বনু যুহ্রা, বনু তায়ম, বনু হারিছ ইবনফিহ্র, আর
বনু আন্দুদ্দারের সঙ্গে ছিল বনু মখৃযুম , বনু সহম, রনু জুমুহ্ এবং বনু,আদী ৷ এ বিরোধ আর
বিবাদ বিসংবাদ থেকে দুরে ছিল বনু আমির ইবন লুয়াই এবং মুহারির ইবন ফিহ্র ৷ এরা উক্ত
দু’টি দলের কারো সঙ্গে ছিল না ৷ অতঃপর তারা ঐক্যমতে পৌছে এবং একটা পরিভাষা গড়ে
তোলে যে, রিফদাে তথা হাজীদের যেহমানদারী আর সিকায়া তথা হাজীদের পানি পান করাবার
দায়িত্ব থাকবে বনু আবৃদ মানাফের হাতে আর হিজাবা তথা রক্ষণাবেক্ষণ, লি ওয়া তথা পতাকা
বহন এবং নাদৃওয়া তথা পরামর্শ সভার দায়িতু থাকবে রন; আব্দুদ্দার এর হাতে ৷ এ সিদ্ধান্ত
অটল থাকে এবং এ ধারাই অব্যাহত থাকে ৷

উমাবী আবু উবায়দা সুত্রে বর্ণনা করেন : থুযাআর কিছু লোক মনে করে যে, কুসাই যখন
হুবাই বিনৃত হুলাযলকে বিবাহ করে এবং হুলাযলকে বায়তুল্লাহ্র তত্ত্বড়াবধান থেকে অপসারণ
করা হয় ৷ তখন তার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়, কন্যা হুবাই-এর উপর এবং তার প্রতিনিধি করা হয়
আবু গাবশান সলীম ইবন অড়ামৃর ইবন লুয়ইি ইবন মালকান ইবন কুসাই ইবন হাবিছা ইবন
আমর ইবন আমিরকে ৷ তখন কুসাই এক মশক মদ আর একটা উষ্ট্র শাবকের বিনিময়ে তার
নিকট থেকে বায়তৃল্লাহ্র কর্তৃতু ক্রয় করে নেন ৷ তখন থেকে একটা প্ৰবাদবাক্য চালু হয়ে
আছে : অর্থাৎ আবুগাবৃশানের ক্রয়-বিক্রয়ের চেয়েও
সােকসান জনক ৷ খুযা’আ গোত্র এটা দেখে কুসাইর সঙ্গে কঠোর বিরোধিতায় লিপ্ত হয় ৷ এতে
তিনি আপন ভাইয়ের সাহায্য কামনা করেন, তাই তার সঙ্গী-সাথীদেরকে নিয়ে এগিয়ে আসেন
এবং যা ঘটবার ছিল তাই ঘটলাে ৷ অতঃপর কুসাই তার উপর ন্যস্ত সিদানা, হিজাবা প্রভৃতি
দায়িত্বসমুহ তার পুত্র আন্দুদ্দারের উপর ন্যস্ত করেন ৷ এ সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে এবং বিষয়টা আরো স্পষ্ট করা হবে ৷ মুয্দালিফা থেকে ফেরার অনুমতি দেয়ার কর্তৃত্
দানের কর্তৃতু আসে ফাকীম এর হাতে ৷ এভাবে অনুমতি আসে সুফার একটি দলের হাতে ৷ এ
সব বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে এবং তার আগে এ সব দায়িতৃ কাদের হাতে ছিল,

তা-ও সেখানে বলা হয়েছে

ইবন ইসহাক বলেন ;; কুসইি এর চার পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তান ছিল ৷ তারা হলেন
আব্দমড়ানাফ, আব্দুদ্দার, আব্দুল ওয়যা অব্দে এবং তখোরযুর ও বারর৷ ৷ আর এদের সকলের মাতা
ছিলেন হুবাই বিনৃত হুলায়ল ইবন হুব শিয়া ইবন সাললি ইবন কা’ব ইবন আমর আল-খিযায়ী ৷
ইনি ছিলেন বনু খুযাআর বংশীয় বায়তুল্লাহ্র সর্বশেষ তত্ত্বারধায়ক ৷ তার হাত থেকে


فَلَسْتُ لِغَالِبٍ إِنْ لَمْ تَأَثَّلْ ... بِهَا أَوْلَادُ قَيْدَرَ وَالنَّبِيتُ رِزَاحٌ نَاصِرِي وَبِهِ أُسَامِي ... فَلَسْتُ أَخَافُ ضَيْمًا مَا حَيِيتُ وَقَدْ ذَكَرَ الْأُمَوِيُّ عَنِ الْأَشْرَمِ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَفْصٍ أَنَّ رِزَاحًا إِنَّمَا قَدِمَ بَعْدَمَا نَفَى قُصَيٌّ خُزَاعَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৩৩৬
فَصْلٌ ثُمَّ لَمَّا كَبِرَ قُصَيٌّ فَوَّضَ أَمْرَ هَذِهِ الْوَظَائِفِ الَّتِي كَانَتْ إِلَيْهِ مِنْ رِئَاسَاتِ قُرَيْشٍ وَشَرَفِهَا، مِنَ الرِّفَادَةِ وَالسِّقَايَةِ وَالْحِجَابَةِ وَاللِّوَاءِ وَالنَّدْوَةِ إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ الدَّارِ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِهِ، وَإِنَّمَا خَصَّصَهُ بِهَا كُلِّهَا; لِأَنَّ بَقِيَّةَ إِخْوَتِهِ عَبْدَ مَنَافٍ وَعَبْدَ الْعُزَّى وَعَبْدًا، كَانُوا قَدْ شَرُفُوا فِي زَمَنِ أَبِيهِمْ، وَبَلَغُوا فِي قُوَّتِهِمْ شَرَفًا كَبِيرًا فَأَحَبَّ قُصَيٌّ أَنْ يُلْحِقَ بِهِمْ عَبْدَ الدَّارِ فِي السُّؤْدُدِ فَخَصَّصَهُ بِذَلِكَ فَكَانَ إِخْوَتُهُ لَا يُنَازِعُونَهُ فِي ذَلِكَ فَلَمَّا انْقَرَضُوا تَشَاجَرَ ابْنَاؤُهُمْ فِي ذَلِكَ، وَقَالُوا: إِنَّمَا خَصَّصَ قُصَيٌّ عَبْدَ الدَّارِ بِذَلِكَ; لِيُلْحِقَهُ بِإِخْوَتِهِ فَنَحْنُ نَسْتَحِقُّ مَا كَانَ آبَاؤُنَا يَسْتَحِقُّونَهُ. وَقَالَ بَنُو عَبْدِ الدَّارِ: هَذَا أَمْرٌ جَعَلَهُ لَنَا قُصَيٌّ فَنَحْنُ أَحَقُّ بِهِ، وَاخْتَلَفُوا اخْتِلَافًا كَثِيرًا. وَانْقَسَمَتْ بُطُونُ قُرَيْشٍ فِرْقَتَيْنِ فَفِرْقَةٌ بَايَعَتْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ وَحَالَفَتْهُمْ، وَفِرْقَةٌ بَايَعَتْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ وَحَالَفَتْهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَوَضَعُوا أَيْدِيَهُمْ عِنْدَ الْحِلْفِ فِي جَفْنَةٍ فِيهَا طِيبٌ، ثُمَّ لَمَّا قَامُوا مَسَحُوا أَيْدِيَهُمْ بِأَرْكَانِ الْكَعْبَةِ فَسُمُّوا حِلْفَ الْمُطَيَّبِينَ وَكَانَ مِنْهُمْ مَنْ قَبَائِلِ قُرَيْشٍ، بَنُو أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، وَبَنُو زُهْرَةَ، وَبَنُو تَيْمٍ، وَبَنُو الْحَارِثِ بْنِ فِهْرٍ وَكَانَ مَعَ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، بَنُو مَخْزُومٍ، وَبَنُو سَهْمٍ، وَبَنُو جُمَحَ،
পৃষ্ঠা - ১৩৩৭
ষ্ষ্


বায়তুল্লাহ্র দায়িতৃ গ্রহণ করেন কুসাই ইবন কিলাব ৷ ইবন হিশাম বলেন : কুসাই পুত্র আব্দ
মানাফের চারজন পুত্র সন্তান ছিলেন এদের মধ্যে হাশিম, আব্দ, শাম্স এবং ঘুত্তালিবের মাতা
ছিলেন আতিকা বিনৃত যুররা ইবন হিলাল ৷ আর চতুর্থ সন্তান নওফলের মা ছিলেন ওয়াকিদা ৷
আবৃদে মানাফের আরো কয়েকজন সন্তান ছিলেন, যাদের নাম ছিল আবু আয্ৱ, তামাযুর,
কালাবা, হায়্যা রীতা উম্মল আপনার এবং উম্মে সুফিন ইবন হিশাম বলেন : হড়াশিমের চার পুত্র
এবং পড়াচ কন্যা সন্তান ছিলেন ৷ তারা হলেন আব্দুল ঘুত্তালিব, আসাদ, আবু ছাইফী, নায্লা,
শিফা, খালিদা, যয়ীফা, রুকাইয়া এবং হায়্যা আবদুল ঘুত্তালিব রুকাইয়্যার মা সালমা বিনত
আমুর ইবন যাযদ (ইবন লবীদ ইবন খাদাশ ইবন আমির ইবন গানাম ইবন আদী ইবন নাজ্জার)
ছিলেন মদীনাবাসী ৷ তিনি অন্যদের মায়ের বিষয়ও উলেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন : আব্দুল
মুত্তালিবের দশ পুত্র ও ৬ কন্যা ছিলেন আব্বাস, হামৃযা, আব্দুল্ল-হৃপু আবু তালিব (তার আসল
নাম ছিল আব্দ মানাফ, ইমরান নয়) ঘুবড়ায়র, হুরিছ ৷ তিনি ছিলেন পিতার জ্যেড়াষ্ঠ সন্তান ৷
এজন্যেই তার নামেই তার পিতার কুনিয়ড়াত বা উপনাম হয়, জহস , (মতাস্তরের হজল ) তার
ধন-সষ্পদের আধিক্যের কারণে তার লকব হয় গীদাক ৷ মুকাওয়েম, যিরার, আবু লাহাব, (তার
নাম ছিল আবদুল ইস্যা সফিয়্যা, উম্মে হাকীম আল বায়দা আতিকা, উমায়ম৷ , আরওয়৷ , যারা ৷
তিনি এদের মাদেরও নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন : আবদুল্লাহ আবু তালিব , যুবাইর এবং
সফিয়্যা ছাড়া অবশিষ্ট কন্যাদের মাতা ছিলেন ফতিমা বিনৃত আমৃর ( ইবন অইিয ইবন ইমরান
ইবন মাখৃযুম ইবন ইয়াক্যা ইবন মুররা ইবন ইমরান ইবন মাখযুম ইবন ইয়াক্যা ইবন মন্সিক
ইবন নয্র ইবন কিনানা ইবন থুযাযমা ইবন মুদ্রিকা ইবন ইলইয়াস ইবন মুযার ইবন নিযার
মুয়াদ্দ ইবন আদনান) ৷ আবদুল্লাহ পুত্র মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ামাল্লাম যিনি
হচ্ছেন আদম সন্তানদের সর্দার ৷ তার যা ছিলেন আমিনা ৰিনতে ওহব ইবন আব্দ মানড়াফ ইবন
যুহ্রা ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কা’ব ইবন লুয়াই ৷ তারপর তিনি তাদের সকলের মায়ের
বিস্তরিতভাবে উল্লেখ করেন ৷ তারপর তিনি বলেন : বংশ পরম্পরা আর বৈবাহিক সুত্রের
আত্মীয়তার বিবেচনায় বনী আদমের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে মর্ষাদাবান সন্তান ৷ পিতা মাতা
উভয় ফুলের বিবেচনায় তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ৷ তার উপর দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর
পক্ষ থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ৷

ওয়াসিলা ইবন আসকা’ সুত্রে শাদ্দাদ ইবন আবু আমার থেকে বর্ণিত ৷ আওয়ায়ী বর্ণিত
এমর্মের হাদীস ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা
ইসৃমাঈলের সন্তানদের মধ্য থেকে কিনানা’ থেকে মনোনীত করেছেন কুরাইশকে, কুরইিশ
থেকে মনোনীত করেছেন হাশিমকে আর আমাকে মনোনীত করেছেন বনু হাশিম থেকে ৷
(মুসলিম) পরে নবী করীম (সা) এর মুৰারক জন্মবৃত্তাত আলোচনা করা হবে এবং এতদসক্রোন্ত
ধ্ হাদীস আর মনীষীদের উক্তিসমুহ উল্লেখ করা হবে ইনশা আল্লাহ ৷


وَبَنُو عَدِيٍّ، وَاعْتَزَلَتْ بَنُو عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَمُحَارِبُ بْنُ فِهْرٍ الْجَمِيعَ فَلَمْ يَكُونُوا مَعَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا، ثُمَّ اصْطَلَحُوا وَاتَّفَقُوا عَلَى أَنْ تَكُونَ الرِّفَادَةُ وَالسِّقَايَةُ لِبَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، وَأَنْ تَسْتَقِرَّ الْحِجَابَةُ وَاللِّوَاءُ وَالنَّدْوَةُ فِي بَنِي عَبْدِ الدَّارِ فَانْبَرَمَ الْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ وَاسْتَمَرَّ. وَحَكَى الْأُمَوِيُّ عَنِ الْأَثْرَمِ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ: وَزَعَمَ قَوْمٌ مِنْ خُزَاعَةَ أَنَّ قُصَيًّا لَمَّا تَزَوَّجَ حُبَّى بِنْتَ حُلَيْلٍ، وَثَقُلَ حُلَيْلٌ عَنْ وِلَايَةِ الْبَيْتِ جَعَلَهَا إِلَى ابْنَتِهِ حُبَّى، وَاسْتَنَابَ عَنْهَا أَبَا غُبْشَانَ سُلَيْمَ بْنَ عَمْرِو بْنَ بُوَيِّ بْنِ مِلْكَانَ بْنِ أَفْصَى بْنِ حَارِثَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ فَاشْتَرَى قُصَيُّ وِلَايَةَ الْبَيْتِ مِنْهُ بِزِقِّ خَمْرٍ وَقَعُودٍ فَكَانَ يُقَالَ: أَخْسَرُ مِنْ صَفْقَةِ أَبِي غُبْشَانَ، وَلَمَّا رَأَتْ خُزَاعَةُ ذَلِكَ، اشْتَدُّوا عَلَى قُصَيٍّ فَاسْتَنْصَرَ أَخَاهُ فَقَدِمَ بِمَنْ مَعَهُ وَكَانَ مَا كَانَ، ثُمَّ فَوَّضَ قُصَيٌّ هَذِهِ الْجِهَاتِ الَّتِي كَانَتْ إِلَيْهِ مِنَ السِّدَانَةِ وَالْحِجَابَةِ وَاللِّوَاءِ وَالنَّدْوَةِ وَالرِّفَادَةِ وَالسِّقَايَةِ، إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ الدَّارِ - كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ، وَإِيضَاحُهُ - وَأَقَرَّ الْإِجَازَةَ مِنْ مُزْدَلِفَةَ فِي بَنِي عَدْوَانَ، وَأَقَرَّ النَّسِيءَ فِي فُقَيْمٍ، وَأَقَرَّ الْإِجَازَةَ - وَهُوَ النَّفْرُ - فِي صُوفَةَ كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ ذَلِكَ كُلِّهُ مِمَّا كَانَ بِأَيْدِيهِمْ قَبْلَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ১৩৩৮

জড়াহিলি যুব্শর কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত আলোচনা

বনু ইসমাঈলের নিকট থেকে জুরহুম গোত্রের বায়তুল্পাহ্র দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে ইতিপুর্বে
আলোচনা করা হয়েছে ৷ এতে তারা আগ্রহী ছিল এজন্য যে, তারা ছিল কন্যা পক্ষের সন্তান
খুযাআ গোত্র জুরহুমদের উপর হামলা করে তাদের নিকট থেকে বায়তৃল্পাহ্র দায়িতু ছিনিয়ে
নেয়ার বিষয়ও সেখানে উল্লিখিত হয়েছে ৷ অতঃপর কুসাই এবং তার সন্তানদের নিকট তা’
ফিরে আসার কাহিনীও বর্ণিত হয়েছে ৷ রসুলুল্লাহ্ (না)-এর আবির্ভাবের পুর্ব পর্যন্ত তাদের হাতে
বায়তুল্লাহ্র সেবায়ােতর দায়িতু ছিল অব্যাহত ধারায় ৷ নবী করীম (সা) তা বহাল রাখেন ৷

জাহিলী যুগের কতিপয় প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব
খাশিদ ইবন সিনান আল-আৰাসী

তিনি ছিলেন হযরত ঈসা (আ) ও মহানবীর মধ্যবর্তী কালের লোক ৷ কারো কারো ধারণা
তিনি একজন নবী ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভালো জানেন ৷

তাবারানী বলেন : আহমদ ইবন যুহায়র আত-তসেতাহুন্৷ আমাদের নিকট সাঈদ ইবন
জুবায়র এর বরাতে ইবন আব্বাস (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করে বলেন : খালিদ ইবন সিনানের
কন্যা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট আগমন করলে তিনি তার জন্য নািজঃৰ্ চাদর বিছিয়ে দেন
এবং বলেন : এেদ্ৰ ফ্তে ষ্ণ্শুশ্ম্ ; এ হচ্ছে এমন এক নবীর কন্যা, যাকে তার সম্প্রদায়
ধ্বংস করেছে ৷ বাজ্জারও ন্ডিন্নসুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, খালিদ ইবন
সিনানের উল্লেখ রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট করা হলে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন এমন এক
নবী, যাকে তার সম্প্রদায় ধ্বংস করেছে ৷ অতঃপর তিনি বলেন : এ সুত্র ছাড়া হাদীসটি মারকু’
পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷ আর এসুত্রের একজন রাবী কায়েস ইবন
রবী বিশ্বস্ত হলেও তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছিল ৷ তিনি হাদীসে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতেন, যা
আসল হাদীস নয় ৷ আল্লাহ্ই ভালো জানেন ৷

বায্যার বলেন : সাঈদ ইবন জুবাঈর থেকে মুরসালরুপে হাদীসটি বর্ণিত ৷ আর হাফিজ
আবু ইয়ালা আল-মুছিলী ইবন আব্বাসের বরাতে বলেন, আব্বাস গোত্রের খালিদ ইবন
সিনান নামক জনৈক ব্যক্তি তার সম্প্রদায়কে বলেন : আমি তোমাদের উপর আসন্ন
কঙ্করময় উচ্চ ভুমির আগুন নিতিয়ে দেবাে ৷ তখন তার সম্প্রদায়ের জনৈক, ব্যক্তি তাকে
বললো, আল্লাহর কসম, হে খাপুিদ, তুমি তো সত্য ছাড়া আমাদের সঙ্গে কখনো কোন কথা
বলনি ৷ তবে তোমার এ বক্তব্যের অর্থ কী? তখন খালিদ তার জাতির কিছু লোক দিয়ে বের
হলেন ৷ তাদের মধ্যে অস্ফোরা ইবন যিয়াদও ছিল ৷ তিনি সেখানে আগমন করলে সে আগুন
পাহাড়ের ফীক থেকে বেরিয়ে আসছে দেখেন ৷ তখন খালিদ তাদের জন্য রেখা টড়ানলেন এবং
তাতে তাদেরকে বসালেন এবং বললেন : আমি তোমাদের নিকট আসতে হলে তোমরা আমার
নাম ধরে ডাকবে না ৷ তখন আগুন এমনভাবে বের হয়ে আসছিল যেন লাল রঙের অশ্বদল
একের পর এক ছুটে আসছে ৷ তখন খান্সিদ অগ্রসর হয়ে আপন লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত
করছিলেন আর বলছিলেন :

আল-যিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৫১

قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ قُصَيٌّ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ ; عَبْدَ مَنَافٍ وَعَبْدَ الدَّارِ وَعَبْدَ الْعُزَّى وَعَبْدًا وَتَخْمُرَ وَبَرَّةَ، وَأُمُّهُمْ كُلُّهُمْ حُبَّى بِنْتُ حُلَيْلِ بْنِ حُبْشِيَّةَ بْنِ سَلُولِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو الْخُزَاعِيُّ وَهُوَ آخِرُ مَنْ وَلِيَ الْبَيْتَ مِنْ خُزَاعَةَ، وَمِنْ يَدِهِ أَخَذَ الْبَيْتَ قُصَيُّ بْنُ كِلَابٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَلَدَ عَبْدُ مَنَافِ بْنُ قُصَيٍّ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ ; هَاشِمًا وَعَبْدَ شَمْسٍ وَالْمُطَّلِبَ، - وَأُمُّهُمْ عَاتِكَةُ بِنْتُ مُرَّةَ بْنِ هِلَالٍ - وَنَوْفَلَ بْنَ عَبْدِ مَنَافٍ وَأُمُّهُ وَاقِدَةُ بِنْتُ عَمْرٍو الْمَازِنِيَّةُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَوُلِدَ لِعَبْدِ مَنَافٍ أَيْضًا أَبُو عَمْرٍو وَتُمَاضِرُ وَقِلَابَةُ وَحَيَّةُ وَرَيْطَةُ وَأُمُّ الْأَخْثَمِ وَأُمُّ سُفْيَانَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَوَلَدَ هَاشِمُ بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَخَمْسَ نِسْوَةٍ، عَبْدَ الْمُطَّلِبِ وَأَسَدًا وَأَبَا صَيْفِيٍّ وَنَضْلَةَ وَالشِّفَاءَ وَخَالِدَةَ وَضَعِيفَةَ وَرُقَيَّةَ وَحَيَّةَ فَأُمُّ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَرُقَيَّةَ سَلْمَى بِنْتُ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ بْنِ لَبِيدِ بْنِ خِدَاشِ بْنِ عَامِرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ مِنَ الْمَدِينَةِ. وَذَكَرَ أُمَّهَاتِ الْبَاقِينَ قَالَ: وَوَلَدَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَشَرَةَ نَفَرٍ وَسِتَّ نِسْوَةٍ وَهُمُ ; الْعَبَّاسُ وَحَمْزَةُ وَعَبْدُ اللَّهِ وَأَبُو طَالِبٍ - وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ لَا عِمْرَانَ - وَالزُّبَيْرُ وَالْحَارِثُ - وَكَانَ بِكْرَ أَبِيهِ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى - وَجَحْلٌ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: حَجْلٌ وَكَانَ يُلَقَّبُ
পৃষ্ঠা - ১৩৩৯
بِالْغَيْدَاقِ لِكَثْرَةِ خَيْرِهِ وَالْمُقَوِّمُ وَضِرَارٌ وَأَبُو لَهَبٍ - وَاسْمُهُ عَبْدُ الْعُزَّى - وَصْفِيَّةُ وَأُمُّ حَكِيمٍ الْبَيْضَاءُ وَعَاتِكَةُ وَأُمَيْمَةُ وَأَرْوَى وَبَرَّةُ، وَذَكَرَ أُمَّهَاتِهِمْ إِلَى أَنْ قَالَ: وَأُمُّ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرِ وَجَمِيعِ النِّسَاءِ إِلَّا صَفِيَّةَ فَاطِمَةُ بِنْتُ عَمْرِو بْنِ عَائِذِ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ مَخْزُومِ بْنِ يَقَظَةَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ قَالَ: فَوَلَدَ عَبْدُ اللَّهِ مُحَمَّدًا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدَ وَلَدِ آدَمَ، وَأُمُّهُ آمِنَةُ بِنْتُ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، ثُمَّ ذَكَرَ أُمَّهَاتِهَا فَأَغْرَقُ إِلَى أَنْ قَالَ: فَهُوَ أَشْرَفُ وَلَدِ آدَمَ حَسَبًا، وَأَفْضَلُهُمْ نَسَبًا، مِنْ قِبَلِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ حَدِيثُ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ، وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ، وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ، وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَسَيَأْتِي بَيَانُ مَوْلِدِهِ الْكَرِيمِ وَمَا وَرَدَ فِيهِ مِنَ الْأَخْبَارِ وَالْآثَارِ، وَسَنُورِدُ عِنْدَ سَرْدِ النَّسَبِ الشَّرِيفِ فَوَائِدَ أُخَرَ لَيْسَتْ هَاهُنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.