আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

فصل فيما ورد في صفة خلق العرش والكرسي

পৃষ্ঠা - ১২

আর্‌শ ও কুরসী সৃষ্টির বিবরণ
আল্লাহ তা'আলা

অর্থাৎ তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী আরশের অধিপতি’ ৷ (৪ঃ১৫)


অর্থাৎ মহিমান্বিত আল্লাহ, যিনি প্রকৃত মালিক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷ সম্মানিত
আরশের তিনি অধিপতি ৷ (২৩০ঃ ১১৬)




অর্থাৎ তুমি জিজ্ঞেস কর, কে সাত আকাশ এবং মহা আরশের অধিপতি ? (২৩ঃ ৮৬)


অর্থাৎ তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়, আরশের অধিকারী ও সমানিত’ ৷ (৮৫ঃ ১৪ -১৫)

অর্থাৎ দয়াময়, আরশে সমাসীন ৷ ’ (২০ : ৫)


অর্থাৎ তারপর তিনি আরশে সমাসীন হন ৷ (১০ : ২)

এসব সুরা সহ কুরআনের আরো বহুস্থানে এ আয়াতটি রয়েছে ৷



অর্থাৎ “ যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা তার চারপাশ ঘিরে আছে, তারা তাদের
প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান
সর্বব্যাপী ৷ (৪০ : ৭) 


অর্থাৎ সে দিন আটজন ফেরেশতা তাদের প্রতিপালকের আরশকে তাদের উর্ধ্বে ধারণ করবে ৷ (৬৯ং : ১৭)


[فَصْلٌ فِيمَا وَرَدَ فِي صِفَةِ خَلْقِ الْعَرْشِ وَالْكُرْسِيِّ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {رَفِيعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ} [غافر: 15] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ} [المؤمنون: 116] . وَقَالَ اللَّهُ: {لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ} [النمل: 26] . وَقَالَ: {وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ ذُو الْعَرْشِ الْمَجِيدُ} [البروج: 14] . وَقَالَ تَعَالَى: {الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى} [طه: 5] . وَقَالَ: {ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ} [الأعراف: 54] . فِي غَيْرِ مَا آيَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ وَقَالَ تَعَالَى: {الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا} [غافر: 7] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ} [الحاقة: 17] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَتَرَى الْمَلَائِكَةَ حَافِّينَ مِنْ حَوْلِ الْعَرْشِ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَقِيلَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الزمر: 75] . وَفِي الدُّعَاءِ الْمَرْوِيِّ فِي الصَّحِيحِ فِي دُعَاءِ الْكَرْبِ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ عَمِّهِ شُعَيْبِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১৩


অর্থাৎ “আকাশ ও পৃথিবীর মাঝের দুরত্ব কতটুকু তা কি তোমরা জান : তারা বলল,
আমরা তো আমি না ৷ তিনি বললেন, উভয়ের মাঝে একাত্তর কিৎবা বাহাত্তর কিৎবা তিহড়াত্তর
বছরের দুরত্ব ৷ ১ অবশিষ্টগুলোর দুরত্ব অনুরুপ ৷

ইমাম আবু দাউদ (র) সাহাবী জুবড়ায়র ইবন মুতইম (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি

বলেছেন : জনৈক বেদুঈন একদা রাসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে এসে বলল :

অর্থাৎ-হে আল্লাহর রাসুল ৷ মানুষগুলাে সংকটে পড়ে গেছে, পরিবড়ার-পরিজন অনাহড়ারে
দিনপাত করছে এবং ধন-সম্পদ ও গবাদি পশুগুলাে ধ্বংস হয়ে গেছে ৷ অতএব, আপনি আল্লাহর
নিকট আমাদের জন্য বৃষ্টির দৃআ করুন ৷ আমরা আপনার উসিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট এবং
আল্লাহর উসিলা দিয়ে আপনার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন : ,প্রুন্নুও ৷৪ ৰু ;;ান্৷ এ , ধিক তোমাকে, তুমি কি বুঝতে পারছো, কী বলছষ্
এই বলে রাসুলুল্লাহ (সা) অনবরত আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকেন ৷ এমনকি
সাহাবীগণের মুখমণ্ডলে তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ৷ তারপর তিনি বললেন :

অর্থাৎ-ধিক তোমাকে ৷ আল্লাহর উসিলা দিয়ে তার সৃষ্টির কারো সাহায্য প্রার্থনা করা চলে
না ৷ আল্লাহর শান তার অনেক উরুর্ধ্ব ৷ ধিক তোমাকে! তোমার কি জানা আছে যে, আল্লাহর
আরশ তার আকাশসমুহের উপরে এভাবে আছে ৷ এ বলে তিনি তার অঙ্গুলিসমুহের দ্বারা ইশারা
করে গম্বুজের মত করে সেখান ৷ তারপর বললেন :
অর্থাৎ-বাহন তার আরোহীর ভাবে যেমন মচমচ করে উঠে আরশও তেমনি মচমচ করে
উঠে ৷ ইবন বাশৃশার (র)-এর বর্ণনায় রয়েছে :

অর্থাৎ-আল্লাহ আছেন তার আরশের উপর আর আরশ আছে তীর আকাশসমুহের উপর ৷

হাফিজ আবুল কাসিম ইবন আসাকির দামেশকী (র) এ হাদীসের বিরুদ্ধে “বায়ানুল ওহমি
ওয়াত তাখলীতিল ওয়াকিয়ি ফী হাদীসিল আতীত নামক একটি স্বতন্ত্র পুস্তিকা রচনা করেছেন



১ সংখ্যা সংক্রান্ত এ সন্দেহটি রাবীর ৷


خَالِدٍ، حَدَّثَنِي سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ: «كُنَّا جُلُوسًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَطْحَاءِ فَمَرَّتْ سَحَابَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتُدْرُونَ مَا هَذَا قَالَ قُلْنَا: السَّحَابُ قَالَ: وَالْمُزْنُ قَالَ: قُلْنَا: وَالْمُزْنُ قَالَ: وَالْعَنَانُ قَالَ: فَسَكَتْنَا فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ؟ قَالَ: قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ، وَمِنْ كُلِّ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ وَكِثَفُ كُلِّ سَمَاءٍ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ وَفَوْقَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلَاهُ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ رُكَبِهِنَّ وَأَظْلَافِهِنَّ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلَاهُ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ، وَلَيْسَ يَخْفَى عَلَيْهِ مِنْ أَعْمَالِ بَنِي آدَمَ شَيْءٌ» . هَذَا لَفْظُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سِمَاكٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ، وَرَوَى شَرِيكٌ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ سِمَاكٍ وَوَقَفَهُ. وَلَفْظُ أَبِي دَاوُدَ:
পৃষ্ঠা - ১৪


এবং হাদীসের রাবী মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন বাশৃশার-এর সমালোচনার তিনি তার সর্বশক্তি
ব্যয় করেছেন এবং এ ব্যাপারে অনেকের মতামত উল্লেখ করেছেন ৷ কিত্তু মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
ব্যতীত অন্য রাবী থেকে ভিন্ন সুত্রেও হাদীসঢি বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন আবৃদ ইবন হুমায়দ ও
ইবন জারীর তাদের তাফসীরদ্বয়ে ইবন আবু জামিন ও তড়াবারানী তাদের কিতাবুস সুন্নাহয়,
বায্যার তার মুসনাদে এবং হাফিজ জিয়া আল মাকদেসী তার মুখতারাত গ্রন্থে উমর ইবন
খাত্তাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক মহিলা রাসুলুল্পাহ (সা ) — এর নিকট এসে
বলল, আল্লাহর কাছে আমার জন্য দৃআ করুন, যেন তিনি আমাকে জান্নড়াতে প্রবেশ করলে ৷
উমর (রা) বলেন, একথা শুনে তিনি আল্লাহ তাআলার মহিমা বর্ণনা করে বললেন :

অর্থাৎ-নিস্যেন্দহে তার কুরসী আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত এবং তা নতুন বাহন

বোঝার ভাবে শব্দ করার ন্যায় শব্দ করে ৷ ’

এ হাদীসের সনদ তেমন মশহুর নয় ৷ সহীহ বুখারীতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেনঃ
া১া


অর্থাৎ-যখন তোমরা আল্লাহর নিকট জান্নড়াত প্রার্থনা করবে তখন ফিরদাউস প্রার্থনা
করবে ৷ কারণ তা সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম জান্নাত ৷ আর তার উপরে হলো দয়াময়ের
আরশ ৷ <প্রু১ শব্দটি শুপ্রু৬ হিসেবে ফাত্হা দ্বারাও পড়া হয় এবং যাম্মা দ্বারাও পড়া হয় ৷
আমাদের শায়খ হাফিজ আল মুষী বলেন, যাম্মা দ্বারা পড়াই উত্তম ৷ তখন এই): <ব্রপ্রুও
অথর্টৎ তার উপরটা হলো
রাহমানের আর্শ ৷ কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, ফিরদাউসবাসীপণ আরশের শব্দ শুনে
থাকে ৷ আর তাহলাে তার তাসবীহ ও তাজীম ৷ র্তারা আরশের নিকটবর্তী বলেই এমনটি হয়ে
থাকে ৷

সহীহ বুখারীতে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

অর্থাৎ-সাদ ইবন মুআষের মৃত্যুতে রাহমানের আরশ কেপে উঠে ৷ ’

হাফিজ ইবন হাফিজ মুহাম্মদ ইবন উছমান ইবন আবু শায়বা সিকতৃল আরশ’ পুস্তকে
উল্লেখ করেছেন যে, “আরশ লাল ইয়াকুত দ্বারা তৈরি ৷ তার প্রাতদ্বয়ের দুরত্ব হচ্ছে পঞ্চাশ
হাজার বছরের পথ ৷ ’


«وَهَلْ تَدْرُونَ بُعْدَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ؟ قَالُوا: لَا نَدْرِي. قَالَ: بُعْدُ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ أَوِ اثْنَتَانِ أَوِ ثَلَاثَةٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً» . وَالْبَاقِي نَحْوُهُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الرِّبَاطِيُّ، قَالُوا: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنْ جَرِيرٍ قَالَ أَحْمَدُ: كَتَبْنَاهُ مِنْ نُسْخَتِهِ وَهَذَا لَفْظُهُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ جَهَدَتِ الْأَنْفُسُ، وَجَاعَتِ الْعِيَالُ، وَنَهَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَهَلَكَتِ الْأَنْعَامُ، فَاسْتَسْقِ اللَّهَ لَنَا، فَإِنَّا نَسْتَشْفِعُ بِكَ عَلَى اللَّهِ، وَنَسْتَشْفِعُ بِاللَّهِ عَلَيْكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا تَقُولُ؟ ! وَسَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا زَالَ يُسَبِّحُ حَتَّى عُرِفَ ذَلِكَ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ، ثُمَّ قَالَ وَيْحَكَ إِنَّهُ لَا يُسْتَشْفَعُ بِاللَّهِ عَلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِهِ، شَأْنُ اللَّهِ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ، وَيْحَكَ أَتَدْرِي مَا اللَّهُ؟ إِنَّ عَرْشَهُ عَلَى سَمَاوَاتِهِ لَهَكَذَا وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ مِثْلَ الْقُبَّةِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَيَئِطُّ بِهِ أَطِيطَ الرَّحْلِ بِالرَّاكِبِ» . قَالَ ابْنُ بَشَّارٍ فِي حَدِيثِهِ: " «إِنَّ اللَّهَ فَوْقَ عَرْشِهِ وَعَرْشُهُ فَوْقَ سَمَاوَاتِهِ» ". وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ عَبْدُ الْأَعْلَى، وَابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُقْبَةَ، وَجُبَيْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ১৫


আর অপর চার জনের তাসবীহ হলো :
ইমাম আহ্মদ (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে যে হাদীসটি বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা)
উমড়ায়্যা ইবন আবুসন্সাল্ত-এব কবিতার নিম্নোক্ত দৃ’টো পংক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন ৷
উমায়্যা যথার্থ বলেছে ৷ পংক্তি দদ্বুটি হলো :
অর্থাৎ-র্তার (আরশের) ডান পায়ের নিচে আছে একজন লোক ও একটি র্ষাড় ৷ আর অপর
পায়ের নিচে আছে একটি শকুন ও ওৎ পেতে থাকা একটি সিংহ ৷
একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : সে যথাত্ইি বলেছে ৷ তারপর উমায়্যা বলল :

ফো এ
১া১গু ষ্টুপ্রুদু;
অর্থাৎ-প্ৰতি রাতের শেষে লাল হয়ে সুর্য উদিত হয় যার উদয়ড়াচলের রঙ হলো পােলাপী ৷
আমাদের জন্য আত্মপ্রকাশ করতে সুর্য ইতস্তত করে থাকে ৷ অবশেষে আত্মপ্রকাশ করে
শাস্তিদানকারী রুপে এবং কশাঘাতকারী রুপে ৷
শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, যে যথার্থই বলেছে ৷ এ হাদীসের সনদ সহীহ এবং তার
বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য ৷ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, আবৃশ বহনকারীদের বর্তমান সংখ্যা
চারজন ৷ অতএব, পুর্বোক্ত হাদীসের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক ৷ এর জবাবে বলা যেতে পারে যে, এ
ধরনের এ চারজনের উল্পেখের দ্বারা বাকি চারজনের অস্তিত্বের অস্বীকৃতি বুঝায় না ৷ আল্লাহ
সম্যক অবগত ৷
আরশ সম্পর্কে উমায়্যা ইবনুস সাল্ত-এর আরো কয়েকটি পংক্তি আছে ৷ তাহলো :

৮পঠেন্ট্রুা

অর্থাৎ-তোমরা আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর ৷ তিনি মহিমময় , আমাদের প্রতিপালক
আকাশে, তিনি মহীয়ান পরীয়ান ৷ যে এমন এক সুউচ্চ ছাদ যা মানুষকে বিম্ময় বিমুঢ় করে
দেয় ৷ আর আকাশের উপরে তিনি স্থাপন করে রেখেছেন এমন সুউচ্চ এক সিংহাসন, চর্ম চক্ষু
যার নাগাল পড়ায় না আর তার আশে-পাশে তুমি দেখতে পাবে ঘাড় উচিয়ে রাখা
ফেরেশতাগণ ৷ fl“, এেং৷ এর বহুবচন ৷ এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি উপরের দিকে তাকিয়ে


جَدِّهِ. وَالْحَدِيثُ بِإِسْنَادِ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ، هُوَ الصَّحِيحُ، وَافَقَهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ ; يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ. وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ كَمَا قَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا، وَكَانَ سَمَاعُ عَبْدِ الْأَعْلَى، وَابْنِ الْمُثَنَّى، وَابْنِ بَشَّارٍ مِنْ نُسْخَةٍ وَاحِدَةٍ فِيمَا بَلَغَنِي. تَفَرَّدَ بِإِخْرَاجِهَا أَبُو دَاوُدَ. وَقَدْ صَنَّفَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ الدِّمَشْقِيُّ جُزْءًا فِي الرَّدِّ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ سَمَّاهُ بِ (بَيَانِ الْوَهْمِ وَالتَّخْلِيطِ الْوَاقِعِ فِي حَدِيثِ الْأَطِيطِ) وَاسْتَفْرَغَ وُسْعَهُ فِي الطَّعْنِ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ رَاوِيهِ، وَذَكَرَ كَلَامَ النَّاسِ فِيهِ، وَلَكِنْ قَدْ رُوِيَ هَذَا اللَّفْظُ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ غَيْرِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، فَرَوَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَابْنُ جَرِيرٍ فِي تَفْسِيرَيْهِمَا، وَابْنُ أَبِي عَاصِمٍ، وَالطَّبَرَانِيُّ فِي كِتَابَيِ السُّنَّةِ لَهُمَا، وَالْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ، وَالْحَافِظُ الضِّيَاءُ الْمَقْدِسِيُّ فِي مُخْتَارَاتِهِ مِنْ طَرِيقِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «أَتَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُدْخِلَنِي الْجَنَّةَ. قَالَ: فَعَظَّمَ الرَّبَّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَقَالَ: إِنَّ كُرْسِيَّهُ وَسِعَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَإِنَّ لَهُ أَطِيطًا كَأَطِيطِ الرَّحْلِ الْجَدِيدِ مِنْ ثِقَلِهِ» . عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَلِيفَةَ هَذَا لَيْسَ بِذَاكَ الْمَشْهُورِ، وَفِي سَمَاعِهِ مِنْ عُمَرَ نَظَرٌ، ثُمَّ مِنْهُمْ مَنْ يَرْوِيهِ مَوْقُوفًا وَمُرْسَلًا، وَمِنْهُمْ مَنْ يَزِيدُ فِيهِ زِيَادَةً غَرِيبَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১৬


থাকার দরুন যার ঘাড় বীকা হয়ে আছে ৷ গ্লুৰু)দ্বুপু ৷ অর্থ অত্যন্ত উচু ৷ ):৩এ অর্থ হলো
সিংহাসন ৷

আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর কয়েকটি পংক্তি; যিনি শ্রী কর্তৃক দাসীর সঙ্গে যৌন
মিলনের অপবাদের মুখে কুরআন পাঠের পরিবর্তে নিম্নোক্ত পংক্তিগুলো আবৃত্তি করেন

ট্রুশুঠোট্টপ্রে

অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিলাম যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং জাহান্নাম হলো কাফিরদের
ঠিকানা ৷

আর আরশ পানির উপর ভাসমান এবং আরশের উপর রয়েছেন বিশ্বজগতের প্রতিপালক ৷
যে আরশ বহন করেন সম্মানিত এবং আল্লাহর চিহ্নিত ফেরেশতাপণ ৷

ইবন আবদুল বার (র) প্রমুখ ইমাম তা বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ (র) জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :


অর্থাৎ “আমাকে আল্লাহর আরশ বহনকারী আল্লাহর ফেয়েশতাদের একজনের বিবরণ
দেয়৷ ব অনুমতি দেয়া হয়েছে ৷ তার কানের লতি ও র্কাধের মাঝে সড়াতশ বছরের পথ ৷ ”

ইবন আবু আসিমও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷৩াব পাঠ হলো ং


কুরসী

ইবন জারীর (র) বলেন : হাসান বসরী (র) বলতেন, কুরসী আর আরশ একই কিন্তু এ
তথ্যটি সঠিক নয়, হাসান এমন কথা বলেননি ৷ বরং সঠিক কথা হলো, হাসান (র ) সহ সাহাবা
ও তাবেয়ীগণের অভিমত হলো এই যে, কুরসী আর আরশ দুটি আলাদা ৷

পক্ষাস্তরে ইবন আব্বাস (বা) ও সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) সম্পর্কে বর্ণিত যে, র্তা ৷বা ব্লুঠুঠু
অর্থাৎ
আল্লাহর ইলম কিন্তু ইবন আব্বাস (রা) এর প্রকৃত অভিমত ৩হলো এই যে, কুরসী হচ্ছে আল্লাহর

কুদরতী কদমদ্বয়ের হল এবং আরশের সঠিক পরিমাপ অ ল্লা৷হ ব্যতীত কারো জ্ঞাত নেই ৷


وَثَبَتَ فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ الْجَنَّةَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ; فَإِنَّهُ أَعْلَى الْجَنَّةِ وَأَوْسَطُ الْجَنَّةِ، وَفَوْقَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ» . يُرْوَى: وَفَوْقَهُ بِالْفَتْحِ عَلَى الظَّرْفِيَّةِ، وَبِالضَّمِّ قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الْمِزِّيُّ: وَهُوَ أَحْسَنُ. أَيْ: وَأَعْلَاهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَقَدْ جَاءَ فِي بَعْضِ الْآثَارِ: أَنَّ أَهْلَ الْفِرْدَوْسِ يَسْمَعُونَ أَطِيطَ الْعَرْشِ، وَهُوَ تَسْبِيحُهُ وَتَعْظِيمُهُ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِقُرْبِهِمْ مِنْهُ، وَفِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقَدِ اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» . وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ الْحَافِظِ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ فِي كِتَابِ صِفَةِ الْعَرْشِ عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ: أَنَّ الْعَرْشَ مَخْلُوقٌ مِنْ يَاقُوتَةٍ حَمْرَاءَ، بُعْدُ مَا بَيْنَ قُطْرَيْهِ مَسِيرَةُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ. وَذَكَرْنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ} [المعارج: 4] . أَنَّهُ بُعْدُ مَا بَيْنَ الْعَرْشِ إِلَى الْأَرْضِ السَّابِعَةِ مَسِيرَةُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ، وَأَنَّ اتِّسَاعَهُ خَمْسُونَ أَلْفَ سَنَةٍ. وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْكَلَامِ إِلَى أَنَّ الْعَرْشَ فَلَكٌ مُسْتَدِيرٌ مِنْ جَمِيعِ جَوَانِبِهِ مُحِيطٌ بِالْعَالَمِ مِنْ كُلِّ جِهَةٍ، وَرُبَّمَا سَمَّوْهُ الْفَلَكَ التَّاسِعَ وَالْفَلَكَ الْأَطْلَسَ وَالْأَثِيرَ. وَهَذَا لَيْسَ بِجَيِّدٍ لِأَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي الشَّرْعِ
পৃষ্ঠা - ১৭


বলেন, হায়কাল আকাশমণ্ডলীর চতুষ্পার্শ্বস্থু একটি বস্তু বিশেষ যা আসমানের প্রান্ত থেকে র্তড়াবুর
লম্বা রশির ন্যায় যমীনসমুহ ও সমুদ্রসমুহকে ঘিরে রেখেছে ৷

জ্যেড়াতির্বিজ্ঞানীদের কারো কারো ধারণা, কুরসী হলো অষ্টম আকাশ, যাকে স্থির গ্রহরাজির
কক্ষ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে ৷ কিন্তু তাদের এ ধারণা যথার্থ নয় ৷ কারণ পুর্বেই এ কথা
প্রমাণিত হয়েছে যে, কুরসী সাত আকাশ অপেক্ষা অনেক অনেকগুণ বড় ৷ তাছাড়া একটু আগে
উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, কুরসীর তুলনায় আকাশ বিশাল প্রাত্তরে বিক্ষিপ্ত একটি কড়ার
ন্যায় ৷ কিন্তু এক আকাশের তুলনায় আরেক আকাশ তো এরুপ নয় ৷

যদি এরপরও তাদের কেউ একথা বলে যে, আমরা তা স্বীকার করি , কিন্তু তা সত্বেও তাকে
ফালাক বা আসমান নামে অভিহিত করি ৷ তাহলে আমরা বলব, অভিধানে কুরসী আর
ফালাক-এর অর্থ এক নয় ৷ বন্তুত প্রাচীন যুগের একাধিক আলিমের মতে, কুরসী আরশের সম্মুখে
অবস্থিত তাতে আরােহণের সিড়ির মত একটি বন্তু বিশেষ ৷ আর এরুপ বস্তু ফালাক হতে পারে
না ৷ তাদের আরো ধারণা যে, স্থির নক্ষত্রসমুহকে তাতেই স্থাপন করে রাখা হয়েছে ৷ কিন্তু এর
স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই ৷ উপরভু, এ ব্যাপারে তাদের নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে ৷

লাওহে মাহফুজ
ইবন আব্বাস (বা ) সুত্রে আবুল কাসিম তা ৷বারানী (র) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
নবী করীম (সা) বলেন০ ং
পে-ন্ এ্যা ৷ এ
স্টো

অর্থাৎ-“আল্লাহ শুভ্র মুক্ত৷ দ্বারা লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন ৷ তার পাতাগুলো লাল
ইয়াকুতের তৈরি ৷ আল্লাহ তাআলার কলমও নুর এবং কিতাবও নুর ৷ প্রতি দিন তার তিনশ
ষাটটি ক্ষণ আছে ৷ তিনি সৃষ্টি করেন, জীবিকা দান করেন ৷ মৃত্যু দেন, জীবন দেন, সম্মানিত
করেন, অপমানিত করেন এবং যা খুশী তা-ই করেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) আরও বলেন, লাওহে মাহফুযের ঠিক মাঝখানে লিখিত আছে :

৷ ১া
অর্থাৎ “এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷ তার মনোনীত দীন হলো ইসলাম এবং
মুহাম্মদ তার বান্দা ও তার রাসুল ৷”

অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহতে ঈমান আনবে, তার প্রতিশ্রুতিকে সত্য বলে স্বীকার করবে
এবং তার রাসুলের  করবে; র্তাকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) আরো বলেন, লাওহে মাহফুজ শুভ্র মুক্ত৷ দ্বারা তৈরি একটি ফলক
বিশেষ ৷ তার দৈর্ঘ আসমান ও যমীনের মধ্যকার দুরত্বের সমান ৷ আর তার প্রস্থ পৃথিবীর পুর্ব ও


أَنَّ لَهُ قَوَائِمَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ، وَالْفَلَكُ لَا يَكُونُ لَهُ قَوَائِمُ وَلَا يُحْمَلُ، وَأَيْضًا فَإِنَّهُ فَوْقَ الْجَنَّةِ، وَالْجَنَّةُ فَوْقَ السَّمَاوَاتِ، وَفِيهَا مِائَةُ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ فَالْبُعْدُ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكُرْسِيِّ لَيْسَ هُوَ نِسْبَةُ فَلَكٍ إِلَى فَلَكٍ، وَأَيْضًا فَإِنَّ الْعَرْشَ فِي اللُّغَةِ عِبَارَةٌ عَنِ السَّرِيرِ الَّذِي لِلْمَلِكِ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَهَا عَرْشٌ عَظِيمٌ} [النمل: 23] . وَلَيْسَ هُوَ فَلَكًا، وَلَا تَفْهَمُ مِنْهُ الْعَرَبُ ذَلِكَ، وَالْقُرْآنُ إِنَّمَا نَزَلَ بِلُغَةِ الْعَرَبِ فَهُوَ سَرِيرٌ ذُو قَوَائِمَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ، وَهُوَ كَالْقُبَّةِ عَلَى الْعَالَمِ وَهُوَ سَقْفُ الْمَخْلُوقَاتِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا} [غافر: 7] . وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ الْأَوْعَالِ أَنَّهُمْ ثَمَانِيَةٌ، وَفَوْقَ ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ، وَقَالَ تَعَالَى: {وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ} [الحاقة: 17] . وَقَالَ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ: حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثَمَانِيَةٌ: أَرْبَعَةٌ مِنْهُمْ يَقُولُونَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، لَكَ الْحَمْدُ عَلَى حِلْمِكَ بَعْدَ عِلْمِكَ، وَأَرْبَعَةٌ يَقُولُونَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، لَكَ الْحَمْدُ عَلَى عَفْوِكَ بَعْدَ قُدْرَتِكَ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَّقَ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ فِي شَيْءٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১৮


পশ্চিমের মাঝখানের দুরত্বের সমান ৷৩ তার পরিবেষ্টনকা রী হলো মুক্তা ও ইয়াকুত এবংপ্র প্রাস্তদেশ
হলো লাল ইয়াকুতের ৷ তার কলম হলো নুর এবং তার বাণী আরশের সঙ্গে গ্রন্থিবদ্ধ ও তার
গোড়া হলো এক ফেরেশতার কোলে ৷

আনাস ইবন মালিক প্রমুখ বলেন, লাওহে মাহফুজ ইসরাফীল (আ )-এর ললাটে অবস্থিত ৷
মুকাতিল বলেন, তার অবস্থান আরশের ডান পার্গে ৷

আকাশসমুহ পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যকার বস্তু নিচয়েৱ সৃষ্টি
আল্লাহ ত৷ আলা বলেন০ ং

€ )গ্র
টুর্দু৷ ৷ র্চু ঞষ্পুাণ্হ্র ৷ ,ান্;ঠু এ; ঠুষ্৷ ৷র্চু দ্বুএ্£৷ ৷ র্চু,াছু প্রু;এ ৷ ;এ৷ পুহু১র্দু৷ ৷


প্রশং সা আল্লাহরই যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর উৎপত্তি ঘটিয়েছেন অন্ধকার

ও আলোর ৷ এতদসত্বেও কা ৷ফিরগণ তাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ র্দাড় করার ৷ (৬৪ ১ )

অর্থাৎ-তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছ’দিনে (ছয়টি সময়কালে) সৃষ্টি করেছেন ৷
(ও ১ : ৭)

এ ধরনের বর্ণনা অন্যান্য বহু আয়াতে রয়েছে ৷ এ ছদিনের পরিমাণ নির্ণয়ে
মুফাসসিরগণের দু’টি অভিমত ৩রয়েছে ৷ জমহুর এর অভিমত হলো তা আমাদের এ দিবসেরই
ন্যায় ৷ আর ইবন আব্বাস (রা)), মুজ৷ ৷হিদ, যাহহাক ও কা ব আহবার (রা) থেকে বর্ণিত, র্তারা
বলেন,৩ তার প্রতিটি দিন আমাদের হিসাবের হাজার বছরের সমান ৷ এটা হচ্ছে ইবন জারীর ও
ইবন আবু হাতিম-এর বর্ণনা ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) তার জাহমিয়্যাদের বিরুদ্ধে
লিখিত কিভাবে এবং ইবন জারীর ও পরবর্তী একদল আলিম দ্বিতীয় মতটি সমর্থন করেছেন ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷ এ অভিমতের পক্ষের দলীল পরে আসছে ৷

ইবন জারীর যাহ্হড়াক ইবন মুযাহিম (র) প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন যে, দিবস ছ’টির নাম
হলো-আবজাদ; হাও, য়ায, ’হুত্তী কালমান, সাফাস, কারশাত ৷

ইবন জারীর (র) এদিনগুলাের প্রথম দিন সম্পর্কে তিনটি অভিমত বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওরাত পন্থীদের অভিমত হলো,
আল্লাহ তাআলা রবিবার দিন সৃষ্টি শুরু করেছিলেন ৷ ইনজীল পন্থীগণ বলেন, আল্লাহ সৃষ্টি শুরু
করেছিলেন সােমবা র দিন আর আমরা মুসলমানগণ রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী
বলি যে, আল্লাহ৩ তা আলা সৃষ্টি শুরু করেছিলেন শনিবার দিন ৷ ইবন ইসহাক (র) কতৃক বর্ণিত
এ অভিমতের প্রতি শাফেঈ মাযহাবের একদল ফর্কীহ ও অন্যান্য আলিমের সমর্থন রয়েছে ৷ এ
বিষয়ে আল্লাহ শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেছেন মর্মে আবু হুরায়র৷ (বা) বর্ণিত হাদীসটি পরে
আসছে ৷



شِعْرِهِ فَقَالَ: رُجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ ... وَالنِّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ فَقَالَ: وَالشَّمْسُ تَطْلُعُ كُلَّ آخِرِ لَيْلَةٍ ... حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ لَيْسَتْ بِطَالِعَةٍ لَهُمْ فِي رِسْلِهَا ... إِلَّا مُعَذَّبَةً وَإِلَّا تُجْلَدُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ. فَإِنَّهُ حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ رِجَالُهُ ثِقَاتٌ، وَهُوَ يَقْتَضِي أَنَّ حَمَلَةَ الْعَرْشِ الْيَوْمَ أَرْبَعَةٌ، فَيُعَارِضُهُ حَدِيثُ الْأَوْعَالِ اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: إِنَّ إِثْبَاتَ هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةِ عَلَى هَذِهِ الصِّفَاتِ لَا يَنْفِي مَا عَدَاهُمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ فِي الْعَرْشِ قَوْلُهُ: مَجِّدُوا اللَّهَ فَهُوَ لِلْمَجْدِ أَهْلٌ ... رَبُّنَا فِي السَّمَاءِ أَمْسَى كَبِيرَا بِالْبِنَاءِ الْعَالِي الَّذِي بَهَرَ النَّاسَ ... وَسَوَّى فَوْقَ السَّمَاءِ سَرِيرَا شَرْجَعًا لَا يَنَالُهُ بَصَرُ الْعَيْنِ ... تَرَى حَوْلَهُ الْمَلَائِكُ صُورَا
পৃষ্ঠা - ১৯


আর ইবন জারীর রবিবার সংক্রান্ত অভিমতটি বর্ণনা করেছেন আবু মালিক , ইবন আব্বাস,
ইবন মাসউদ (বা) এবং আরো একদল সাহারা থেকে ৷ আবদুল্লাহ ইবন সালাম থেকেও তিনি
তা বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন জারীর নিজেও এ অভিমতটি পোষণ করেন ৷ আর তা তা ওরাতেরই
ভাষ্য ৷ একদল ফকীহও এ অভিমত পোষণ করেন ৷ বলা বাহুল্য যে, রবিবার দিনকে ইয়াওমুল
আহাদ বা প্রথম দিন নামকরণ অধিক যুক্তিসঙ্গত ৷ আর এ জন্যই সৃষ্টি কার্য ছ’দিনে সম্পন্ন
হয়েছে এবং তার শেষ দিন হলো শুক্রবার ৷ ফলে মুসলমানগণ একে তাদের সাপ্তাহিক উৎসবের
দিন রুপে ধার্য করে নিয়েছে ৷ আর এদিনটিই সেদিন, আল্লাহ যা থেকে আমাদের পুর্বের আহলি
কিতাবদেরকে বিচ্যুত করে দিয়েছিলেন ৷ পরে এর আলোচনা আসবে ইনশাঅল্লোহ ৷

আল্লাহ তাআলা বলেনং :
ষ্ষ্



অর্থাৎ-তিনি পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আকাশের
দিকে মনােসংরু যাপ করেন এবং তাকে সপ্তাকাশে বিন্যস্ত করেন, তিনি সর্ববিষয়ে সৰিশেষ
অবহিত ৷ (২ং ২৯)


৷ এ


ঠু£ শুওএে; ঢু^ন্ন্৷ এেঢ এে,ব্লুপ্রু৷ ৷প্রুাছু র্ভুৰুএ৷ ধ্,; ,১এেদ্বু র্জু৷ ,এে ষ্র্দুণ্পু র্মুৰুণ্ড্রঠু


এে

)


অর্থাৎ-বল, তোমরা কি তাকে অস্বীকার করবে যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দৃ’দিনে এবং
তোমরা তার সমকক্ষ দাড় করাতে চাও? তিনি তো জগতসমুহের প্রতিপালক ৷ তিনি স্থাপন
করেছেন অটল পর্বতমালা ভুপুষ্ঠে এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চারদিনের মধ্যে তাতে
ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের, সমতাবে যাচনাকারীদের জন্য ৷

তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ ৷ অনস্তর তিনি
তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে এসো ইচ্ছার অথবা অনিচ্ছায় ৷ তারা বলল, আমরা
আসলাম অনুগত হয়ে ৷

তারপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দৃদিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রতি আকাশে তার
বিধান ব্যক্ত করলেন, এবং আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং
করলাম সুরক্ষিত ৷ এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা ৷ (৪ ১ : ৯ ১ ২)


صُورٌ جَمْعُ أَصْوَرَ، وَهُوَ الْمَائِلُ الْعُنُقِ لِنَظَرِهِ إِلَى الْعُلُوِّ، وَالشَّرْجَعُ هُوَ الْعَالِي الْمُنِيفُ، وَالسَّرِيرُ هُوَ الْعَرْشُ فِي اللُّغَةِ، وَمِنْ شِعْرِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ الَّذِي عَرَّضَ بِهِ عَنِ الْقِرَاءَةِ لِامْرَأَتِهِ حِينَ اتَّهَمَتْهُ بِجَارِيَتِهِ: شَهِدْتُ بِأَنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ ... وَأَنَّ النَّارَ مَثْوَى الْكَافِرِينَا وَأَنَّ الْعَرْشَ فَوْقَ الْمَاءِ طَافٍ ... وَفَوْقَ الْعَرْشِ رَبُّ الْعَالَمِينَا وَتَحْمِلُهُ مَلَائِكَةٌ كِرَامٌ ... مَلَائِكَةُ الْإِلَهِ مُسَوِّمِينَا ذَكَرَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبِي، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُذِنَ لِي أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ مَلَكٍ مِنْ مَلَائِكَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ حَمَلَةِ الْعَرْشِ أَنَّ مَا بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةُ سَبْعِمِائَةِ عَامٍ» . وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَلَفْظُهُ مَخْفِقُ الطَّيْرِ سَبْعُمِائَةِ عَامٍ.
পৃষ্ঠা - ২০

)ষ্র্চুএ


অর্থাৎ-আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে অনেক নিদর্শন রয়েছে; তারা এ সকল প্রত্যক্ষ করে,

বিন্দু তারা এ সকলের প্রতি উদাসীন ৷ তাদের অধিকাৎশ আল্লাহে বিশ্বাস করে না; কিন্তু তার
শরীক করে ৷ (১২ ং ১০৫ ১০৬)



অর্থাৎ-তােমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আকাশ সৃষ্টি ? তিনিই তা নির্মাণ করেছেন ৷
তিনি একে সুউচ্চ ও সুবিন্যস্ত করেছেন, তিনি রাতকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং প্রকাশ
করেছেন সুর্যড়ালোক এবং পৃথিবীকে এরপর বিন্তুত করেছেন ৷ তিনি তা থেকে নির্গত ৩করেছেন

তার পানি ও তৃণ এবং পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভ ভাবে প্রোথিত করেছেন; এ সমস্ত তােমাদেরও
তোমাদের গবাদি পশুর ভোগের জন্য ৷ (৭৯ : ২৭-৩৩)

এ আয়াত দ্বারা কেউ কেউ পৃথিবী সৃষ্টির পুর্বে আকাশ সৃষ্টির প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ কিন্তু
এতে তারা পুর্ববর্তী আয়াতদ্বয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন এবং এ্ আয়াতের মর্ম
উপলব্ধি করতে পারেন নি ৷ কারণ এ আয়াতের মর্ম হলো, পৃথিবীর বিস্তার এবং বাস্তবে তা
থেকে পানি ও তৃণ নির্গত করা আকাশ সৃষ্টির পরে হয়েছে ৷ অন্যথায় এসব পুর্ব থেকেই নির্ধারণ
করা ছিল ৷ যেমন : আল্লাহ তাআলা বলেন : ,

এ এগ্রিএ

এবং তাতে (পৃথিবীতে) রেখেছেন কল্যাণ এবং তাতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন ৷ (৪ ১ং : ১০)

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা ফসলের ক্ষেত্র এবং ব্যবসা ও নদী-নালার স্থানসমুহ প্রস্তুত করে
রেখেছেন ৷ তারপর যখন নিম্নজগত ও উর্ধ্ব জগতের আকার সৃষ্টি করেন, তখন পৃথিবীকে
বিন্তুত করে তা থেকে তার মধ্যে রক্ষিত বন্তুসমুহ বের করেন ৷ ফলে ঝরনাসমুহ বের হয়ে
আসে, নদী-নালা প্রবাহিত হয় এবং শস্য ও ফল-ফলাদি উৎপন্ন হয় ৷ এ জন্যই তো ষ্ষ্টুর্চু ষ্কে
পানি ও তৃণ বের করা এবং পর্বতকে প্রোথিত করা দ্বারা ব্যাখ্যা করে আল্লাহ্ তাআলা
বলেছেন৪
ওেএ১া৷এ
অর্থাৎ-তারপর তিনি পৃথিবীকে বিন্তুত করেন (অর্থাৎ) তা থেকে পানি ও তৃণ নির্গত
করেন ৷ তিনি পর্বতসমুহকে যথাস্থানে স্থাপন করে সেগুলোকে দৃঢ় ও মজবুত করে দিয়েছেন ৷
( ৭৯ : ৩০ ৩ ২)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৯-


وَأَمَّا الْكُرْسِيُّ: فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ جُوَيْبِرٍ وَهُوَ ضَعِيفٌ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: الْكُرْسِيُّ هُوَ الْعَرْشُ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ عَنِ الْحَسَنِ بَلِ الصَّحِيحُ عَنْهُ وَعَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعِينَ أَنَّ الْكُرْسِيَّ غَيْرُ الْعَرْشِ، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُمَا قَالَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ} [البقرة: 255] . أَيْ عِلْمُهُ، وَالْمَحْفُوظُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَمَا رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ، وَقَالَ: إِنَّهُ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: الْكُرْسِيُّ مَوْضِعُ الْقَدَمَيْنِ، وَالْعَرْشُ لَا يُقَدِّرُ قَدْرَهُ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ رَوَاهُ شُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ الْفَلَّاسُ فِي تَفْسِيرِهِ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ فَجَعَلَهُ مَرْفُوعًا، وَالصَّوَابُ أَنَّهُ مَوْقُوفٌ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَحَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، وَالضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّدِّيِّ الْكَبِيرِ، وَمُسْلِمٍ الْبَطِينِ، وَقَالَ السُّدِّيُّ عَنْ أَبِي مَالِكٍ: الْكُرْسِيُّ تَحْتَ الْعَرْشِ، وَقَالَ السُّدِّيُّ: السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ فِي جَوْفِ الْكُرْسِيِّ، وَالْكُرْسِيُّ بَيْنَ يَدَيِ
পৃষ্ঠা - ২১





অখাৎ আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই

মহা-সম্প্রসারণকারী এবং আমি ভুমিকে বিছিয়ে দিয়েছি, আমি এটা কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি ৷

আমি প্রতিটি বস্তু সৃষ্টি করেছি ণ্জাড়ায়-জোড়ায় , যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর ৷ (৫১

৪ : ৭ ৪৯)

াটুা অর্থ ষ্কৃদ্বুগু অর্থাৎ ক্ষমতা বলে ৷ আর আকাশ সম্প্রসারণ করার তাৎপর্য হলো, যা

উচু তাই প্রশস্ত ৷ সুতরাং প্রতিটি আকাশ তার নিচেরটির চেয়ে উচ্চতর বিধায় নিচেরটি অপেক্ষা

তাপ্রশস্ততর ৷ আর এ জন্যই তাে কুরসী আকাশসমুহ থেকে উচু বিধায় ত সব ক ’টি আকাশ
অন্পক্ষা অধিকতর প্রশস্ত ৷ আর আরশ এর সব ক ’টি থেকে অনেক বড় ৷

এরপরাপু;ট্র প্রুঠু )১১১৷ এ অর্থ আমি পৃথিবীকে বিছিয়ে বিন্তুত করে স্থির অটল
করে দিয়েছি; ফলে তা আর তোমাদেরকে নিয়ে নড়ে না ৷ এ জন্যই আল্লাহ্ তা জানা
বলেছেনং : ৰুড্রুঠুা১র্দু০ ৷ ৷ ণ্প্ণ্ব্র অর্থাৎ আমি এটা কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি ৷ উল্লেখ্য যে, এ
আয়াতগুলোতে প্রতিটি বাকেরে মাঝে যে এ ৷ এ (যার অর্থ, এবং) ব্যবহার করা হয়েছে তা
বিষয়গুলো সৎঘটনে ধারাবাহিকতা নির্দেশক নয় ৷ নিছক সংবাদ প্ৰদানই এর উদ্দেশ্য ৷ আল্লাহ্ই
সম্যক অবহিত ৷ ইমান বুথারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) বলেছেন, আমি
একদিন নবীকরীম (সা) এর দরবারে উপস্থিত হই এবং আমার উটনীটি দরজার সৎঙ্গে বেধে

রাখি ৷ এ সময়ে তার নিকট বনুত তাযীমের কিছু লোক আগমন করলে তিনি বললেন০ ং


অর্থাৎ-সুসংৰাদ নাও হে বসু তামীম ৷ জবাবে তারা বলল, সুসংৰাদ তাে দিলেন,
আমাদেরকে কিছু দান করুন৷ কথাটি তারা দু’বার বলল ৷ তারপরই ইয়ামানের একদল
লোকের আগমন ঘটলে তিনি বললেন : বনু তামীম যখন গ্রহণ করেনি তখন হে ইয়ামানবাসী
তোমরা সুসংৰাদ গ্রহণ কর ৷ জবাবে তারা বলল আমরা গ্রহণ করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা
বলল, আপনার নিকট আমরা এ সৃষ্টির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে এসেছি ৷ নবী করীম (সা)
বললেনং :

অর্থাৎ “অ ল্লআ৷হ ছিলেন, তিনি ব্যতীত অপর কিছুই ছিল না ৷ তীর আরশ ছিল পানির
উপর ৷ লিপিতে তিনি সব কিছু লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন এবং আকাশসমুহ ও পৃথবী সৃষ্টি

করেছেন ৷” এমন সময় কে একজন ডেকে বলল, হে হুসায়নের পুত্র ! তোমার উটনী তো চলে
গেল ৷ উঠে গিয়ে দেখতে পেলাম যে, উটনীটি মরিচীকার দিকে চলে যাচ্ছে ৷ আল্লাহর শপথ !

পরে আমার আফসােস হলাে-হায়, যদি আমি উটনীটির পিছে না পড়তাম !


الْعَرْشِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: لَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ بُسِطْنَ، ثُمَّ وُصِلْنَ بَعْضُهُنَّ إِلَى بَعْضٍ مَا كُنَّ فِي سَعَةِ الْكُرْسِيِّ إِلَّا بِمَنْزِلَةِ الْحَلْقَةِ فِي الْمَفَازَةِ، وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ زَيْدٍ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ فِي الْكُرْسِيِّ إِلَّا كَدَرَاهِمَ سَبْعَةٍ أُلْقِيَتْ فِي تُرْسٍ. قَالَ: وَقَالَ أَبُو ذَرٍّ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا الْكُرْسِيُّ فِي الْعَرْشِ إِلَّا كَحَلْقَةٍ مِنْ حَدِيدٍ أُلْقِيَتْ بَيْنَ ظَهْرَيْ فَلَاةٍ مِنَ الْأَرْضِ» . أَوَّلُ الْحَدِيثِ مُرْسَلٌ. وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ مُنْقَطِعٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى مَوْصُولًا، فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ مَرْدَوَيْهِ فِي تَفْسِيرِهِ: أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الطَّبَرَانِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وُهَيْبٍ الْغَزِّيُّ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي السَّرِيِّ، أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّمِيمِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ ; أَنَّهُ «سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْكُرْسِيِّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرَضُونَ السَّبْعُ عِنْدَ الْكُرْسِيِّ إِلَّا كَحَلْقَةٍ مُلْقَاةٍ بِأَرْضٍ فَلَاةٍ، وَإِنَّ فَضْلَ الْعَرْشِ عَلَى الْكُرْسِيِّ
পৃষ্ঠা - ২২


থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং রসুলুল্লাহ (সা) আবু হুরায়রার হাত চেপে ধরেছেন বলে
উল্লেখ করেছেন ৷

আবার এর পাঠেও ভীষণ দুর্বলত৷ রয়েছে ৷ তন্মধ্যে একটি হলো এই যে, তাতে আকাশ
মণ্ডলী সৃষ্টির উল্লেখ নেই, আছে শুধু সাতদিনে পৃথিবী ও তার অন্তর্বর্তী বন্তুসমুহের সৃষ্টির
উল্লেখ ৷ আর এটা কুরআনের বর্ণনার পরিপন্থী ৷ কেননা পৃথিবীকে চার দিনে সৃষ্টি করে
তারপর দু’দিনে দৃখান থেকে আকাশসমুহকে সৃষ্টি করা হয়েছে৷ দুখান হলো, পানি থেকে
উথিত সে বাষ্প যা পানি তরঙ্গায়িত হওয়ার সময় উপরে উঠেছিল , যে পানি মহান কুদরতের
দ্বারা যমীনের থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল ৷ যেমন আবু মালিক, ইবন আব্বাস (রা) ও ইবন
মাসউদ (বা) এবং আরো কয়েকজন সাহাবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা)

ধ্,শো ৷ ,,,


এ আঘাতের ব্যাখ্যায় বলেছেন : আল্লাহর আরশ ছিল পানির উপর ৷ পানির আগে তিনি
কিছুই সৃষ্টি করেননি ৷ তারপর যখন তিনি মাখলুক সৃষ্টি করতে মনস্থ করেন তখন পানি থেকে
ধোয়া আকারে বাষ্প বের করেন ৷ ফলে তা পানির উপরে উঠে যায় ৷ এই ওঠাকে আরবীতে
; ৷ বলা হয়ে থাকে ৷ তাই এ উপরে ওঠার কারণেই আকাশকে ; ৷ বলে নামকরণ করা
হয় ৷
তারপর পানি শুকিয়ে একটি যমীনে রুপান্তরিত করেন ৷ তারপর তা পৃথক পৃথক করে
দু ’দিনে (রবি ও সোমবার দিন) সাত যমীনে পরিণত করেন ৷ পৃথিবীকে আল্লাহ তা আসা একটি
মাছের উপর সৃষ্টি করেন ৷ এ সেই ষ্ট্রু;ৰু যার কথা আল্লাহ তা আলা ; ণ্া ৷ ৷ , ’;;’;
ড্রুঠুঠু৬ট্রুর্চু আয়াতে উল্লেখ করেছেন ৷ (৬৮ং ১) মাছ হলো পানিতে আর পানি হলো
সিফাতের উপর আর সিফাত হলো এক ফেরেশতার পিঠের উপর, ফেরেশত৷ হলেন একখও
পাথরের উপর আর পাথর হলো মহাশুন্যে ৷ এ সেই পাথর যার কথা লুকমান (আ) উল্লেখ
করেছেন, যা আকাশেও নয় পৃথিবীতেও নয় ৷ মাছটি নড়ে উঠলে পৃথিবী প্রকস্পিত হয়ে ওঠে ৷
তাই আল্লাহ তাআলা তার উপর দৃঢ়ভাবে পর্বতমালা প্রোথিত করে দেন, ফলে তা স্থির হয়ে
যায় ৷ আল্লাহ তাআলা মঙ্গলবার দিন পাহাড়-পর্বত ও তার উপকারিতা, বুধবার দিন গাছপালা,
পানি, শহর-বন্দর এবং আবাদ ও বিনাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পরস্পর ওতগ্রোতভাবে মিশে থাকা
আকাশকে পৃথক পৃথক করেছেন ৷ বৃহস্পতি ও শুক্র এ দু’দিনে তিনি সাত আকাশে পরিণত
করেন ৷ উল্লেখ্য যে, জুমআর দিনকে জুমঅ৷ বলে এ জন্য নামকরণ করা হয়েছে যে, এ দিনে
আকাশসমুহ ও পৃথিবী সৃষ্টির সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল এবং প্রত্যেক আকাশে তার বিধানের
প্রত্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল ৷
তারপর তিনি প্রত্যেক আকাশে ফেরেশতা, পাহাড়-পবর্ত, সাগরমালা, তুষার পর্বত ও এমন
বন্তু সৃষ্টি করেন, যা তিনি ব্যতীত অন্য কেউ জ্ঞাত নয় ৷ তারপর আকাশকে নক্ষত্ররাজি দ্বারা


كَفَضْلِ الْفَلَاةِ عَلَى تِلْكَ الْحَلْقَةِ» . وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي تَارِيخِهِ حَدَّثَنَا ابْنُ وَكِيعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ} [هود: 7] . عَلَى أَيِّ شَيْءٍ كَانَ الْمَاءُ؟ قَالَ: عَلَى مَتْنِ الرِّيحِ قَالَ: وَالسَّمَاوَاتُ وَالْأَرَضُونَ وَكُلُّ مَا فِيهِنَّ مِنْ شَيْءٍ تُحِيطُ بِهَا الْبِحَارُ، وَيُحِيطُ بِذَلِكَ كُلِّهِ الْهَيْكَلُ، وَيُحِيطُ بِالْهَيْكَلِ فِيمَا قِيلَ الْكُرْسِيُّ. وَرَوَى عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ نَحْوَهُ، وَفَسَّرَ وَهْبٌ الْهَيْكَلَ فَقَالَ: شَيْءٌ مِنْ أَطْرَافِ السَّمَاوَاتِ مُحْدِقٌ بِالْأَرَضِينَ وَالْبِحَارِ كَأَطْنَابِ الْفُسْطَاطِ. وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُ مَنْ يَنْتَسِبُ إِلَى عِلْمِ الْهَيْئَةِ أَنَّ الْكُرْسِيَّ عِبَارَةٌ عَنِ الْفَلَكِ الثَّامِنِ الَّذِي يُسَمُّونَهُ فَلَكَ الْكَوَاكِبِ الثَّوَابِتِ، وَفِيمَا زَعَمُوهُ نَظَرٌ ; لِأَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ أَعْظَمُ مِنَ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ بِشَيْءٍ كَثِيرٍ، كَمَا وَرَدَ بِهِ الْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ أَنَّ نِسْبَتَهَا إِلَيْهِ كَنِسْبَةِ حَلْقَةٍ مُلْقَاةٍ بِأَرْضٍ فَلَاةٍ، وَهَذَا لَيْسَ نِسْبَةَ فَلَكٍ إِلَى فَلَكٍ، فَإِنْ قَالَ قَائِلُهُمْ: نَحْنُ نَعْتَرِفُ بِذَلِكَ وَنُسَمِّيهِ مَعَ ذَلِكَ فَلَكًا فَنَقُولُ الْكُرْسِيُّ لَيْسَ فِي اللُّغَةِ عِبَارَةً عَنِ الْفَلَكِ، وَإِنَّمَا هُوَ كَمَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ: إِنَّ الْكُرْسِيَّ بَيْنَ يَدَيِ الْعَرْشِ كَالْمِرَقَاةِ إِلَيْهِ. وَمِثْلُ هَذَا لَا يَكُونُ فَلَكًا. وَمَنْ زَعَمَ مِنْهُمْ أَنَّ الْكَوَاكِبَ الثَّوَابِتَ مُرَصَّعَةٌ فِيهِ فَقَدْ قَالَ مَا لَا يَعْلَمُ، وَلَا دَلِيلَ لَهُمْ عَلَيْهِ هَذَا مَعَ اخْتِلَافِهِمْ فِي ذَلِكَ أَيْضًا كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي كُتُبِهِمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.