আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر أخبار العرب

পৃষ্ঠা - ১১৯৩
[ذِكْرُ أَخْبَارِ الْعَرَبِ] [نِسْبَةُ الْعَرَبِ إِلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ] قِيلَ: إِنَّ جَمِيعَ الْعَرَبِ يَنْتَسِبُونَ إِلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ ابْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَالتَّحِيَّةُ وَالْإِكْرَامُ. وَالصَّحِيحُ الْمَشْهُورُ أَنَّ الْعَرَبَ الْعَارِبَةَ قَبْلَ إِسْمَاعِيلَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ الْعَرَبَ الْعَارِبَةَ مِنْهُمْ عَادٌ وَثَمُودُ وَطَسْمٌ وَجَدِيسٌ وَأَمِيمٌ وَجُرْهُمٌ وَالْعَمَالِيقُ، وَأُمَمٌ آخَرُونَ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ. وَكُلُّ هَؤُلَاءِ كَانُوا قَبْلَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَفِي زَمَانِهِ أَيْضًا فَأَمَّا الْعَرَبُ الْمُسْتَعْرِبَةُ ; وَهُمْ عَرَبُ الْحِجَازِ فَمِنْ ذُرِّيَّةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ ابْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَأَمَّا عَرَبُ الْيَمَنِ ; وَهُمْ حِمْيَرُ فَالْمَشْهُورُ أَنَّهُمْ مِنْ قَحْطَانَ وَاسْمُهُ مُهَرِّمٌ. قَالَهُ ابْنُ مَاكُولَا. وَذَكَرُوا أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَةَ إِخْوَةٍ ; قَحْطَانُ وَقَاحِطٌ وَمِقْحَطٌ وَفَالِغٌ وَقَحْطَانُ بْنُ هُودٍ، وَقِيلَ: هُوَ هُودٌ، وَقِيلَ: هُودٌ أَخُوهُ، وَقِيلَ: مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَقِيلَ: إِنَّ قَحْطَانَ مِنْ سُلَالَةِ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ حَكَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ১১৯৪
ষ্ষ্


একদল-ভাষ্যকার উপরোক্ত হড়াদীসের ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) গোটা
আরব জাতির প্রতি ইঙ্গিত করে এ সম্বোধন করেহ্নে৷ ৷ অবশ্য এটি অসংগত ব্যাখ্যা ৷ কারণ
তা স্পষ্ট বর্ণনার বিপরীত ৷ আর এ ব্যলোঃর পেছনে কোন দসীল নেই ৷ অধিকাংশ গবেষকের
মতে ইয়ামানী আরবের কাহতানী আরবগণ ও অন্যরা হযরত ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর নন ৷
তাদের মতে সমগ্র আরবজাতি দুই ভাষার বিভক্ত ৷ ( ১ ) কাহতানী আরব ও (২) আদনানী
আরব ৷ কাহতানী আরবপণের শাখা দৃষ্কটা ৷ (১) সারা (২) ও হাদারা মাউত ৷ আদনানী
আরবদেরও দুটো শাখা ৷ ( ১ ) রবীয়া (২) ও মুযার ৷ এরা দুজন নেয়ার ইবন মাদ ইবন
আদনানের পুত্র ৷ আরবদ্যো ৫ম শাখা হল কুযাআ গোত্র ৷ এদের ব্যাপারে গবেষকগণ ভিন্ন ভিন্ন
মন্তব্য করেছেন ৷

কেউ বলেছেন, এরা আদনানী আরবভুক্ত ৷ ইবন আবদিল বার বলেন, অধিকাংশ গবেষক
এটি গ্রহণ করেছেন ৷ হযরত ইবন আব্বাস (রা) , ইবন উমর (রা) , জুবায়র ইৰ্ন ঘুতইম,
যুৰারর ইবন বকোর, মুযআব যুৰাইরী ও ইবনহিশাম প্রমুখ উপরোক্ত অভিমত সমর্থন করেন ৷
একটি বর্ণনার কুযাআ ইবন মা’দাৱ বলা হয়েছে ৷ এটি সঠিক নয় ৷

ইবন আবদিল বার প্রমুখ এরুপ বলেছেন ৷ বলা হয় যে , জাহিশী যুগে এবং ইসলামের
প্রাথমিক যুগে তারা নিজেদেরকে আদনানী বলে দাবী করত ৷ অতঃপর মুআৰিয়া (না)-এর
পৌত্র খাশিদ ইবন ইয়াষীদ-এর শাসনামলে তার৷ নিঙ্গেদেরকে কাহতানী আরব বলে দাবী
করতে শুরু করে ৷ তারা ছিল খাশিদের মাতুন গোত্র ৷ তাদের এ বংশ পরিবর্ত্যনর উল্লেখ করে
করি আশা ইবন ছালাবা নিম্নোক্ত কসীদা রচনা করেনঃ

াপ্রুও;; পেশু ৷
কুযাআ গোত্রকে চিঠি লিখে জানিয়ে দাও যে, তারা যদি আল্লাহ্র প্রিয় মানুষদের বংশধর
না হত তবে তারা মুক্তি পেত না ৷

কুযাআ গোত্র বলেছে, আমরা ইয়ামানী আরব ৷ অথচ আল্লাহ তাআলা জানেন যে, এ
বক্তব্যে তারা সত্যবাদী নয় ৷

হুদ্বুপুব্লুা

তারা এমন একজনকে তাদের পিতা বলে দাবী করছে, যে তাদের মাতাকে কোন দিন
কাছে পায়নি ৷ এ সত্য তারাও জানে বাট, জ্যি এটি তাদের মিপ্যাচার ৷

আবু উমর সুহাইশী কতগুলো আরবী কাসীদা উল্লেখ করেছেন, যেগুলােতে কুযাআ গোত্রের
ইয়ামানী আরব হওয়ার দাবীকে নতুন উদ্ভাবন বলে অভিহিত করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

দ্বিতীয় অভিমত হন, তারা কাহতানী আরব ৷ এটি ইবন ইসহাক, কালৰী ও একদল বুলন্সী
বিশারদ্যে৷ অভিমত ৷ তাদের বংশ তালিকা বর্ণনা করে ইৰ্ন ইসহাক বলেন, কুযাআ ইবন

আল-বিদারা ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৯-

وَغَيْرُهُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ قَحْطَانُ بْنُ الْهَمَيْسَعِ بْنِ تَيْمَنَ بْنِ قَيْذَرَ بْنِ نَبْتِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَقِيلَ: غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ إِلَى إِسْمَاعِيلَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَرْجَمَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ: بَابُ نِسْبَةِ الْيَمَنِ إِلَى إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَسْلَمَ يَتَنَاضَلُونَ بِالسُّوقِ فَقَالَ: ارْمُوا بَنِي إِسْمَاعِيلَ، وَأَنَا مَعَ بَنِي فُلَانٍ - لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ - فَأَمْسَكُوا بِأَيْدِيهِمْ فَقَالَ: مَا لَكُمْ؟ ! قَالُوا: وَكَيْفَ نَرْمِي وَأَنْتَ مَعَ بَنِي فُلَانٍ؟ فَقَالَ: ارْمُوا وَأَنَا مَعَكُمْ كُلِّكُمْ.» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَفِي بَعْضِ أَلْفَاظِهِ «ارْمُوا بَنِي إِسْمَاعِيلَ فَإِنَّ أَبَاكُمْ كَانَ رَامِيًا. ارْمُوا وَأَنَا مَعَ ابْنِ الْأَدْرَعِ فَأَمْسَكَ الْقَوْمُ فَقَالَ: ارْمُوا وَأَنَا مَعَكُمْ كُلِّكُمْ» قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَأَسْلَمُ بْنُ أَفْصَى بْنِ حَارِثَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ مِنْ خُزَاعَةَ يَعْنِي: وَخُزَاعَةُ فِرْقَةٌ مِمَّنْ كَانَ تَمَزَّقَ مِنْ قَبَائِلِ سَبَأٍ حِينَ أَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَكَانَتِ الْأَوْسُ وَالْخَزْرَجُ مِنْهُمْ. وَقَدْ قَالَ لَهُمْ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «ارْمُوا بَنِي إِسْمَاعِيلَ» فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ مِنْ سُلَالَتِهِ، وَتَأَوَّلَهُ آخَرُونَ عَلَى أَنَّ الْمُرَادَ بِذَلِكَ جِنْسُ الْعَرَبِ، لَكِنَّهُ تَأْوِيلٌ
পৃষ্ঠা - ১১৯৫
ষ্ষ্


মালিক ইবন হিময়ার ইবন সাবা ইবন ইয়াশজুব ইবন ইয়ারুব ইবন কাহতান ৷ তাদের জনৈক
করি উমর ইবন মুররা (বা) সাহাবী বলেন (ইনি দুটো হাদীসও বর্ণনা করেছেন) ৷


হে আহবানকারী ! আমাদেরকে আহ্বান করুন এবং সুসংবাদ দিন আপনি কুযা আ গোত্রের
সাথে সম্পৃক্ত হোন এদেরকে অল্প সংখ্যক মনে করবেন না ৷

৩ শ্

আমরা সুদর্শন ও সম্ভত ব্যক্তি কুযা আ ইবন মালিক ইবন হিময়ারের বংশধর ৷



আমাদের বংশ পরিচিতি সুপ্রসিদ্ধ, অখ্যাত ও অপরিচিত নয় , আমাদের বংশ তালিকা
মিম্বরের নীচে পাথরে খোদাই করা রয়েছে ৷

কতক বংশ বিশারদ বলেন, তিনি হলেন কুযাআ ইবন মালিক ইবন উমর মুররা ইবন
বায়দ ইবন হিময়ার ইবন লুহড়ায়আ উকবা ইবন আমির সুত্রে বলেন, তিনি বলেছেন, আমি
বলেছিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমরা কি না দ এর বং শধর নই? তিনি বললেন, না ৷ তখন
আমি বললাম, তাহলে আমরা কার ব ৎশধরা তিনি বললেন ং তোমরা কুযা আ ইবন মালিক
ইবন হিময়ার-এর বংশধর ৷

ইবন আবদিল বার বলেন, উকবা ইবন আমির আল জুহানী যে জুহায়না ইবন বায়দ
ইবন অসেওয়াদ ইবন আসলাম ইবন ইমরান ইবন ইলহাফ ইবন কৃযাআ যে জুহানীর গোত্রের
লোক, তাতে ঐতিহাসিকদের কোন দ্বিমত নেই ৷ এই হিসাবে বলা যায় যে, কুযাআ ইয়ামানী
আরব এবং হিময়ার ইবন সাবার বংশধর ৷

কতক বংশ শাস্ত্রবিশারদ উভয় অভিমতের মধ্যে যুবায়র ইবন বাক্কার প্রমুখের বক্তব্য
অনুযায়ী এভাবে সমন্বয় সাধন করেছেন যে, কুযা’আ হলেন জুরহুম গোত্রের জনৈকা মহিলা ৷
মালিক ইবন হিময়ার তাকে বিবাহ করেন ৷ কুযাআর গর্ভে মালিক ইবন হিময়ারের সন্তানের
জন্ম হয় ৷ এরপর মাদ ইবন আদনান কুযাআকে বিবাহ করেন ৷ তখনও পুর্বোল্লেখিত সস্তানটি
ছোট ছিল ৷ মতান্তরে মাদ ইবন আদনানের সাথে কুযাআর বিবাহকালে এ সন্তানঢি
কুযাআরৰু গর্ভে ছিল ৷ ফলে সে তার সংপিতার পুত্র রুপে পরিচিত হয় ৷ যেমনটি আরবের
অনেক লেকেই করে থাকে ৷

কুল্জী বিশারদ মুহাম্মাদ ইবন সালাম বখরী বলেন, আরব জাতি তিন বংশধড়ারা থেকে
উৎসারিতঃ আদনানী , কাহতানী ও কুষাআ ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হল যে, সংখ্যায় কারা বেশী
আদনানী, না কাহ্তানী? তিনি বললেন কুযায়ীগণ যাদের সাথে যোগ দেয় , তাদের সংখ্যা বেশী ৷
তারা যদি নিজেদেরকে ইয়ামানী বলে দাবী করে তবে কাহতানী আরবদের সংখ্যা বেশী ৷ আর
তারা যদি নিজেদেরকে আদনানী বলে দাবী করে তবে আদনানী আরবদের সংখ্যা বেশী, এতে


بِعِيدٌ ; إِذْ هُوَ خِلَافُ الظَّاهِرِ بِلَا دَلِيلٍ، لَكِنَّ الْجُمْهُورَ عَلَى أَنَّ الْعَرَبَ الْقَحْطَانِيَّةَ مِنْ عَرَبِ الْيَمَنِ وَغَيْرِهِمْ لَيْسُوا مِنْ سُلَالَةِ إِسْمَاعِيلَ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّ جَمِيعَ الْعَرَبِ يَنْقَسِمُونَ إِلَى قِسْمَيْنِ: قَحْطَانِيَّةٍ وَعَدْنَانِيَّةٍ فَالْقَحْطَانِيَّةُ شَعْبَانِ: سَبَأٌ وَحَضْرَمَوْتُ وَالْعَدْنَانِيَّةُ شَعْبَانِ أَيْضًا: رَبِيعَةُ وَمُضَرُ ابْنًا نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ، وَالشَّعْبُ الْخَامِسُ وَهُمْ قُضَاعَةُ مُخْتَلَفٌ فِيهِمْ فَقِيلَ: إِنَّهُمْ عَدْنَانِيُّونَ قَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: وَعَلَيْهِ الْأَكْثَرُونَ. وَيُرْوَى هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَجُبَيْرِ بْنِ مَطْعِمٍ، وَهُوَ اخْتِيَارُ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ وَعَمِّهِ مُصْعَبِ الزُّبَيْرِيِّ، وَابْنِ هِشَامٍ. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثِ " قُضَاعَةَ بْنِ مَعَدٍّ "، وَلَكِنْ لَا يَصِحُّ قَالَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ وَغَيْرُهُ، وَيُقَالَ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا فِي جَاهِلِيَّتِهِمْ، وَصَدْرٍ مِنَ الْإِسْلَامِ يَنْتَسِبُونَ إِلَى عَدْنَانَ فَلَمَّا كَانَ فِي زَمَنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ كَانُوا أَخْوَالَهُ انْتَسَبُوا إِلَى قَحْطَانَ فَقَالَ فِي ذَلِكَ أَعْشَى بْنُ ثَعْلَبَةَ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ. أَبْلِغْ قُضَاعَةَ فِي الْقِرْطَاسِ أَنَّهُمُ ... لَوْلَا خَلَائِفُ آلِ اللَّهِ مَا عُتِقُوا قَالَتْ قُضَاعَةُ إِنَّا مِنْ ذَوِي يُمْنٍ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا بَرُّوا وَمَا صَدَقُوا ...
পৃষ্ঠা - ১১৯৬
قَدِ ادَّعَوْا وَالِدًا مَا نَالَ أُمَّهُمُ قَدْ يَعْلَمُونَ وَلَكِنْ ذَلِكَ الْفَرَقُ وَقَدْ ذَكَرَ أَبُو عَمْرٍو السُّهَيْلِيُّ أَيْضًا مِنْ شِعْرِ الْعَرَبِ، مَا فِيهِ ابْدَاعٌ فِي تَفْسِيرِ قُضَاعَةَ فِي انْتِسَابِهِمْ إِلَى الْيَمَنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْقَوْلُ الثَّانِي: أَنَّهُمْ مِنْ قَحْطَانَ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ إِسْحَاقَ وَالْكَلْبِيِّ، وَطَائِفَةٍ مِنْ أَهْلِ النَّسَبِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ قُضَاعَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ حِمْيَرَ بْنِ سَبَأِ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ قَحْطَانَ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ شُعَرَائِهِمْ وَهُوَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ - صَحَابِيٌّ لَهُ حَدِيثَانِ - يَا أَيُّهَا الدَّاعِي ادْعُنَا وَأَبْشِرْ ... وَكُنْ قُضَاعِيًّا وَلَا تُنْزِرْ نَحْنُ بَنُو الشَّيْخِ الْهِجَانِ الْأَزْهَرِ قُضَاعَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ حِمْيَرِ ... النَّسَبُ الْمَعْرُوفُ غَيْرُ الْمُنْكَرِ فِي الْحَجَرِ الْمَنْقُوشِ تَحْتَ الْمِنْبَرِ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ النَّسَبِ هُوَ قُضَاعَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حِمْيَرَ، وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مَعْرُوفِ بْنِ سُوِيدٍ عَنْ أَبِي عُشَّانَةَ حَيِّ بْنِ يُومِنَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ «قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا نَحْنُ مِنْ مَعَدٍّ؟
পৃষ্ঠা - ১১৯৭
ষ্ষ্


প্রমাণিত হয় যে, বংশ পরিচিতি বর্ণনায় তারা সমালোচনা যোগ্য পথ অনুসরণ করে ৷ ইবন
নুহায় আর পুর্বোল্লেখিত হাদীছসটি যদি বিশুদ্ধ হয় তবে প্রমাণিত হবে যে, তারা মুলত কাহতানী
আরব ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আল্লাহ তাআল৷ বলেন-

শ্ শ্শ্ন্
ল্কিশ্ঢ়(ধ্দ্বষ্স্

ণ্র্ন্তএ)-ধ্’ৰু১ ৷ ৷ংএণ্ড্রএক্রো

“হে লোক সকল ৷ আমি তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছি; এক পুরুষ ও এক নারী হতে ৷ পরে

তােমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত

হতে পার ৷ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদা সম্পন্ন, যে অধিকতর মুত্তাকী ৷” (৪ ৯
হুজুরাত ১৩)

কুলজী বিশারদগণ বংশের স্তর ও পর্যড়ায়ক্রম সম্পর্কে ং:ব্লেন যে, প্রথমত ন্এ,দ্বু তারপর
৷ এ এবং তারপর প্রু;া১ তারপর
এওাৰু;এর এক বচন ওএ র্দু; ঘনিষ্ঠতম বংশগত আত্মীয় ৷ এর চাইতে নিকটতর আর
কোন স্তর নেই ৷
আমরা প্রথমে কাহতানী আরবদের কথা আলোচনা করব ৷ এরপর ইনশাআল্লাহ আলোচনা
করব হিজায়ী আরব তথা আদনানী আরব ও তাদের জাহিলী যুগের অবস্থাসমুহ, যাতে এটা
রাসুলুল্পাহ (না)-এর সীরাতের আলোচনার সাথে সংযুক্ত থাকে ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, কাহাতান-এর আলোচনা বিষয়ক পরিচ্ছেদ আব্দুল আযীয আবু
হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেনং : ৰু’এংন্ :;১ ই;া৷ ৷ হ্এদ্বু: ৰুা
ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না,
যতক্ষণ না কাহতান বংশ থেকে একটি লোক বেরিয়ে মানুষকে লাঠি দ্বারা হাকিয়ে না নিয়ে” ৷
ইমাম মুসলিম (র) কুতায়বা ছাওর ইবন যায়দ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সুহায়লী
বলেন, কাহতড়ানই প্রথম ব্যক্তি, যাকে বলা হয়েছিল, “আপনি অভিশাপ দিতে অস্বীকার
করেছেন এবং তার উদ্দেশ্যেই সর্বপ্রথম বলা হয়েছে, শুড সকাল’ ৷

ইমাম আহমদ যী ফজব (র) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন, এ
নেতৃত্ব হিমরারীদের মধ্যে ছিল ৷ আল্লাহ তাআলা এটি তাদের থেকে ছিনিয়ে কুরড়ায়শদের হন্তে
অর্পণ করেছেন ৷ অবশ্য অতি সত্ত্বর পুনরায় তাদের মধ্যে ফিরে আসবে ৷

সাৰা বাসীদের বর্ণনা
আল্লাহ তাআলা বলেন :


fl ৷ ’ ;



قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَمِمَّنْ نَحْنُ؟ قَالَ: أَنْتُمْ قُضَاعَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ حِمْيَرَ» قَالَ أَبُو عُمَرَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: وَلَا يَخْتَلِفُونَ أَنَّ جُهَيْنَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ سُودِ بْنِ أَسْلَمَ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ الْحَافَ بْنِ قُضَاعَةَ، قَبِيلَةُ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ ; فَعَلَى هَذَا قُضَاعَةُ فِي الْيَمَنِ فِي حِمْيَرَ بْنِ سَبَأٍ. وَقَدْ جَمَعَ بَعْضُهُمْ بَيْنَ هَذَيْنَ الْقَوْلَيْنِ بِمَا ذَكَرَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَغَيْرُهُ; مِنْ أَنَّ قُضَاعَةَ امْرَأَةٌ مِنْ جُرْهُمٍ تَزَوَّجَهَا مَالِكُ بْنُ حِمْيَرَ فَوَلَدَتْ لَهُ قُضَاعَةَ، ثُمَّ خَلَّفَ عَلَيْهَا مَعَدُّ بْنُ عَدْنَانَ - وَابْنُهَا صَغِيرٌ وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ كَانَ حَمْلًا - فَنُسِبَ إِلَى زَوْجِ أُمِّهِ، كَمَا كَانَتْ عَادَةُ كَثِيرٍ مِنْهُمْ يَنْسُبُونَ الرَّجُلَ إِلَى زَوْجِ أُمِّهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ الْبَصْرِيُّ النَّسَّابَةُ: الْعَرَبُ ثَلَاثَةُ جَرَاثِيمَ ; الْعَدْنَانِيَّةُ وَالْقَحْطَانِيَّةُ وَقُضَاعَةُ. قِيلَ لَهُ: فَأَيُّهُمَا أَكْثَرُ الْعَدْنَانِيَّةُ أَوِ الْقَحْطَانِيَّةُ؟ فَقَالَ: مَا شَاءَتْ قُضَاعَةُ إِنْ تَيَامَنَتْ فَالْقَحْطَانِيَّةُ أَكْثَرُ، وَإِنْ تَمَعْدَدَتْ فَالْعَدْنَانِيَّةُ أَكْثَرُ. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمْ يَتَلَوَّمُونَ فِي نَسَبِهِمْ،
পৃষ্ঠা - ১১৯৮
ষ্ষ্


১ওব্রা৷ গু৷ র্দু;১-ণ্-ট্ ১১১ :;-: ভ্রুৰুন্ ণ্,;,,বু,,; এও ,এে # পু£ন্ন্ ণ্

,;দ্বু১৷ ;াপ্রুট্র ছুৰু১ , ৷ ,,;১ বুা’হ্র ছুন্দ্বু,’,ট্টশ্ন্ষ্,;, ,::,;া;৷ র্দু,,া; ,, ঢু দ্বু,;,ব্লুট্৷ ৷ং,ঠুাব্রষ্,

গ্র

’,হ্র;;; শুণ্£ণ্ এওত্র
“সাবাবাসীদের জন্যে তাদের বাসভুমিতে ছিল এক নিদর্শন-দুটো উদব্রুড়ান, একটি ডান দিকে
অপরটি বাম দিকে ৷ ওদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের প্রর্ভিপালক প্রদত্ত রিষ্াক ভোগ
কর এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ উত্তম এই স্থান এবং ক্ষমাশীল তোমাদের
প্রতিপালক ৷ পরে তারা আদেশ অমান্য করল ৷ ফলে আমি তাদের উপর প্রবাহিত করলাম ব৷ ধ
ভাঙ্গ৷ বন্যা, এবং তাদের উদ্যান দুটোকে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দুটো উদ্যানে, যাতে
উৎপন্ন হয় বিস্বাদ ফলমুল, ঝাউপাছ এবং কিছু কুল গাছ ৷ আমি তাদেরকে এই শাস্তি
দিয়েছিলাম তাদের কুফ্রীর জন্যে ৷ আমি অকৃতজ্ঞ ব্যতীত আর কাউকে এমন শাস্তি দিই না ৷
ওদের এবং যে সব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম , সেগুলোর অন্তর্বর্তী স্থানে দৃশ্যমান
বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ
কর দিবস ও রজনীতে ৷ কিন্তু তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের সফরের
মনযিলের ব্যবধান বর্ধিত করুন ৷ এভাবে তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল ৷ ফলে আমি
ওদেরকে কাহিনীর বিষয়রন্তুতে পরিণত করলাম এবং ওদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলাম ৷ , এতে
প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ (৩৪ সারা : ১৫)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সহ কুলজী বিশারদগণ বলেছেন যে, সাবার নাম হল আব্দ শাম্স
ইবন ইয়াশজুব ইবন ইয়ারুব ইবন কাহতান ৷ তারা বলেন, এ ব্যক্তিই প্রথম আরব, যাকে বন্দী
করা হয়েছিল ৷ তাই তার নাম হল অর্থাৎ ক ৷রারুদ্ধ ৷ র্তাকে আররাইশ বা দাতা নামেও
ডাকা হত ৷ কারণ তিনি নিজের ধনসম্পদ থেকে মানুষকে অকাতরে দান করতেন ৷ সুহায়লী
বলেন, তিনিই সর্বপ্রথম মাথায় মুকুটু পরিধান করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তিনি মুসলমান
ছিলেন ৷ তার কতক কবিতা আছে সেগুলোতে তিনি প্রিয় নবী (না)-এর আবির্ভাবের সুসংবাদ
দিয়েছেন ৷ তার কতক এই :


আমাদের পরে একজন নবী বিশাল রাজত্বের অধিকারী হবেন ৷ তিনি কোন অন্যায় ও
হারাম কা জকে প্রশ্রয় দিবেন না ৷

; : ’



فَإِنْ صَحَّ حَدِيثُ ابْنِ لَهِيعَةَ الْمُقَدَّمُ فَهُوَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُمْ مِنَ الْقَحْطَانِيَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ} [الحجرات: 13] قَالَ عُلَمَاءُ النَّسَبِ: يُقَالَ شُعُوبٌ، ثُمَّ قَبَائِلُ، ثُمَّ عَمَائِرُ، ثُمَّ بُطُونٌ، ثُمَّ أَفْخَاذٌ، ثُمَّ فَصَائِلُ، ثُمَّ عَشَائِرُ وَالْعَشِيرَةُ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَى الرَّجُلِ، وَلَيْسَ بَعْدَهَا شَيْءٌ. وَلْنَبْدَأْ أَوَّلًا بِذِكْرِ الْقَحْطَانِيَّةِ، ثُمَّ نَذْكُرُ بَعْدَهُمْ عَرَبَ الْحِجَازِ وَهُمُ الْعَدْنَانِيَّةُ وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لِيَكُونَ ذَلِكَ مُتَّصِلًا بِسِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ ذِكْرِ قَحْطَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِي الْغَيْثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ رَجُلٌ مِنْ قَحْطَانَ يَسُوقُ النَّاسَ بِعَصَاهُ» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ قُتَيْبَةَ عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقَحْطَانُ أَوَّلُ مَنْ قِيلَ لَهُ: أَبَيْتَ اللَّعْنَ، وَأَوَّلُ مَنْ قِيلَ لَهُ: أَنْعِمْ صَبَاحًا.
পৃষ্ঠা - ১১৯৯
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ عَنْ حَرِيزٍ حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ الْمَقْرَائِيُّ عَنْ أَبِي حَيٍّ عَنْ ذِي مِخْبَرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ هَذَا الْأَمْرُ فِي حِمْيَرَ فَنَزْعَهُ اللَّهُ مِنْهُمْ فَجَعَلَهُ فِي قُرَيْشٍ (وس ي ع ود إ ل ي هـ م» قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَكَذَا كَانَ فِي كِتَابِ أَبِي مُقَطَّعٌ، وَحَيْثُ حَدَّثَنَا بِهِ تَكَلَّمَ بِهِ عَلَى الِاسْتِوَاءِ يَعْنِي: " وَسَيَعُودُ إِلَيْهِمْ ".
পৃষ্ঠা - ১২০০
ষ্ষ্


তীর পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্য থেকে অনেক রাজা আসবে ৷ তারা কোন অপরাধ ছাড়াই
মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করবে ৷

স্ :

ৰুাহুএদ্বুাএ এেপু ১ এট্রুট্রু৷ ৷ ;ৰুমোঃ ৷ এাপ্ টু ণ্প্রু১ৰুষ্ট্রুগ্ঠু এদ্বুশুঠু ড্রু

ওদের পর আমাদের বংশ থেকে কতক রাজা হবে ৷ তখন আমাদের মধ্যে রাজতৃ থাকবে
ভাগ্যাভাগির ভিত্তিতে ৷


ব্রট্রুাধু
কাহতানদের পরে একজন সৎ পুণ্যরান ও পবিত্র নবী রাজা হবেন, তিনি সর্বোত্তম মানব ৷

তার নাম হবে আহমদ ! হয়ে , ত ৷র নবুওত প্রাপ্তির পর আাম যদি অন্তত একটি বছর জীবিত
থাকতাম !

গু১
তাহলে আমি আমার সর্বণক্তি দিয়ে ত ৷কে সাহায্য করতাম এবং তাকে ভালবাসতাম


তিনি যখনই আবির্ভুত হন না কেন তোমরা তার সাহায্যক৷ ৷রী হয়ো, তার সাথে যার দেখা
হবে আমার সালাম র্তাকে জা ৷নিয়ে দিও ৷

ইবন দিহ্য়া৩ তার আততানভীর ফী মাওলিদিল বাশীরিন নাযীর’ গ্রন্থে এগুলো উল্লেখ
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ-আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন,
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সারা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল যে, সারা কি পুরুষ না মহিলা,
না কোন এলাকার নাম ? উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সারা একজন পুরুষ লোক ৷ তার
১০টি সন্তান ছিল ৷ তাদের ছয়জন ছিল ইয়ামানে আর চারজন সিরিয়াতে ৷ ইয়ামানে
বসবাসকারীগণ হল( ১ ) মযহাজ (২) কিন্দা (৩) আঘৃদ (৪) আশৃ আরি (৫) আনৃমার ও (৬)
হিময়ার ৷ সিরিয়ার বসবাসকারীগণ হল (১) লাখম (২) জুবাম (৩) আমিলা ও (৪ ) পাসৃসান ৷
তাফসীর গ্রন্থে আমরা উল্লেখ করেছি যে, এই প্রশ্নকারী ছিলেন ফারওয়া ইবন মিসসীক আল
গাতিকী ৷ আমরা এই হাদীছটি সমস্ত সনদ ও শব্দাবলী সেখানে উল্লেখ করেছি ৷

মুল কথা হল, সাবাই হচ্ছে এসব আরব গোত্রের আদি পুরুষ ৷ এদের মধ্যে তুব্বাগণও
অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ৷ তাবাবিআ (হু ঢু ;) শব্দের একবচন তৃব্বা (ব্লু ;:) ৷ তৃব্বা রাজাগণ
বিচারের সময় পারস্য সম্রাট কিসরাদের মত মুকুট পরিধান করতেন ৷ যে ব্যক্তি শাহ্র ও
হাদ্রামাউতসহ ইযামানের রাজা হতেন, তাকে আরবগণ তুব্বা নামে আখ্যায়িত করত ৷ যেমন
কোন লোক দ্বীপাঞ্চল সহ সিরিয়ার রাজা হতে পারলে তাকে কায়সার, পারস্যের রাজাকে
কিসরা মিসরের রাজাকে ফিরআওন, হাবশাব রাজাকে নাজাশী এবং ভারতবর্ষের রাজাকে
বাতলী মুসা বলা হত ৷ হিময়ারী রাজাদের মধ্যে ইয়ামান রাজে রাণী বিলকীসও ছিলেন ৷


[قِصَّةُ سَبَأٍ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {لَقَدْ كَانَ لِسَبَإٍ فِي مَسْكَنِهِمْ آيَةٌ جَنَّتَانِ عَنْ يَمِينٍ وَشِمَالٍ كُلُوا مِنْ رِزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوا لَهُ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَرَبٌّ غَفُورٌ - فَأَعْرَضُوا فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ وَبَدَّلْنَاهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَيْ أُكُلٍ خَمْطٍ وَأَثْلٍ وَشَيْءٍ مِنْ سِدْرٍ قَلِيلٍ - ذَلِكَ جَزَيْنَاهُمْ بِمَا كَفَرُوا وَهَلْ نُجَازِي إِلَّا الْكَفُورَ - وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَى الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا قُرًى ظَاهِرَةً وَقَدَّرْنَا فِيهَا السَّيْرَ سِيرُوا فِيهَا لَيَالِيَ وَأَيَّامًا آمِنِينَ - فَقَالُوا رَبَّنَا بَاعِدْ بَيْنَ أَسْفَارِنَا وَظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنَاهُمْ أَحَادِيثَ وَمَزَّقْنَاهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِ صَبَّارٍ شَكُورٍ} [سبأ: 15 - 19] . [سَبَأٍ: 15 - 19] قَالَ عُلَمَاءُ النَّسَبِ مِنْهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: اسْمُ سَبَأٍ ; عَبْدُ شَمْسِ بْنُ يَشْجُبَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ قَحْطَانَ، قَالُوا: وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَبَى فِي الْعَرَبِ فَسُمِّي سَبَأً لِذَلِكَ وَكَانَ يُقَالَ لَهُ: الرَّائِشُ ; لِأَنَّهُ كَانَ يُعْطِي النَّاسَ الْأَمْوَالَ مِنْ مَتَاعِهِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَيُقَالَ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَتَوَّجَ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ كَانَ مُسْلِمًا وَكَانَ لَهُ شِعْرٌ بَشَّرَ فِيهِ بِوُجُودِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ سَيَمْلِكُ بَعْدَنَا مُلْكًا عَظِيمًا ... نَبِيٌّ لَا يُرَخِّصُ فِي الْحَرَامِ
পৃষ্ঠা - ১২০১
ষ্ষ্


হযরত সুলায়মান (আ)-এর বর্ণনা প্রসঙ্গে আমরা বাণী বিলর্কীসের কথাও আলোচনা করেছি ৷

সাবা রাজ্যের অধিবাসীগণ পরম সুখ-শান্তিতে বসবাস করত ৷ তাদের সেখানে ছিল খাদ্য
দ্রব্য, ফলমুল ও শস্যক্ষেত্রের প্রাচুর্য ৷ এতদসত্বেও তারা সত্যনিষ্ঠা, সরল পথ ও হিদায়াতের
পথে জীবন যাপন করত ৷ অবশোষ তারা যখন আল্লাহ্র নিয়ামতের নাশোকরী করল, আল্লাহ্র
অনুগ্রহের প্রতিদানে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে ধ্বংসের মুখে
ঠেলে দিল ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহব ইবন মুনাব্বিহ থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ তাআলা তাদের
প্রতি তেব জন নবী প্রেরণ করেছিলেন ৷ সুদ্দী (র) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা বার হাজার নবী
তাদের নিকট প্রেরণ করেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷

রন্তুত তারা যখন ইিদায়াতের পথ ত্যাগ করে গোমরাহীর পথ ধরে এবং আল্পাহ্কে বাদ
দিয়ে সুর্যের উপাসনা শুরু করে ৷ সেটা রাণী ৰিলকীসের রাজতুকহ্ল এবং তার পুর্বর কথা ৷
পরেও তারা অনবরত সে পথে চলতে থাকে ৷ তখন আল্লাহ্ তাঅড়ালা তাদের উপর বী ধ ভাঙ্গা
প্লাবন প্রেরণ করেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

ধ্ব্লুএে
“পরে তারা আদেশ অমান্য করল, ফলে আমি তাদের উপর প্রবাহিত করলাম বাধ ডাঙ্গা
বন্যা এবং তাদের উদ্যান দুটোকে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দুটো উদ্যানে, যাতে উৎপন্ন হয়

বিস্বাদ ফলমুল ৷ ঝাউ গাছ এবং কিছু কুল গাছ ৷ আমি ওদেরকে এই শাস্তি দিয়েছিনাম ওদের
কুফরীর জন্যে ৷ আমি কৃতঘ্র ব্যতীত আর কাউকে এমন শাস্তি দিই না ৷” (৩৪ সাবা ১৬)

প্রাচীন ও আধুনিক বহু তাফসীরকার ও অন্যান্য উপামা-ই-কিরাম বলেছেন, আরিম বাধ
নির্মাণের পটভুমি এই যে, পর্বতের মধ্যখানে পানি প্রবাহিত হত ৷ বহু বছর আগে তারা পত্তি
দুটোর মধ্যখানে মজবুত করে একটি বীধ নির্মাণ করে ৷ এতে পানি উপরের দিকে উঠে আসে
এবং পর্বত দু’টির উপরিভাগে এসে পৌহায় ৷ তারপর তারা সেখানে ব্যাপক হারে বাগান তৈরী
করে, সুস্বড়াদু ফলমুলের গাছ লাগার এবং ক্ষেত খামারের ব্যবস্থা করো

কথিত আছে, সর্বপ্রথম সাবা ইবন ইয়ারুব এ বাধ নির্মাণ করেন ৷ প্রায় ৭০টি পাহাড়ী
উপত্যকাকে তিনি এ বাধের আওতায় নিয়ে আসেন ৷ তিনি র্বাধে ৩০টি ন্নুইস গেট তৈরী করেন
যাতে সেগুলো দিয়ে পানি বেরিয়ে যায় ৷ তিনি অবশ্য র্বড়াধের সকল কাজ সম্পন্ন করে যেতে
পারেন নি ৷ তার পরে রাজা হিম্য়ার বা ধ নির্মাণ প্রকল্পের সকল কাজ সুসম্পন্ন করেন ৷ এটির
ব্যাপ্তি প্রায় ৯ বর্গমাইল ছিল ৷ তারা পরম সুখ-স্বচ্ছেন্দ ও আরাম-আয়েশে জীবন যাপন
করছিল ৷

এ প্রসঙ্গে কাতাদা (র) প্রমুখ বলেন, যে যুগে তাদের ফলমুল এত বেশী ছিল যে, কোন
একজন মহিলা মাথায় খালি একটি সোয়ামনি বৃত্তি নিয়ে পথে বের হলে স্বাভাবিক নিয়মে ঝরে


وَيَمْلِكُ بَعْدَهُ مِنْهُمْ مُلُوكٌ يَدِينُونَ الْعِبَادَ بِغَيْرِ ذَامِ وَيَمْلِكُ بَعْدَهُمْ مِنَّا مُلُوكٌ ... يَصِيرُ الْمُلْكُ فِينَا بِاقْتِسَامِ وَيَمْلِكُ بَعْدَ قَحْطَانٍ نَبِيٌّ تَقِيٌّ خَبْتَةٌ خَيْرُ الْأَنَامِ ... يُسَمَّى أَحْمَدًا يَا لَيْتَ أَنِّي أُعَمَّرُ بَعْدَ مَبْعَثِهِ بِعَامِ ... فَأَعْضُدُهُ وَأَحْبُوهُ بِنَصْرِي بِكُلِّ مُدَجَّجٍ وَبِكُلِّ رَامِ ... مَتَى يَظْهَرْ فَكُونُوا نَاصِرِيهِ وَمَنْ يَلْقَاهُ يُبْلِغْهُ سَلَامِي حَكَاهُ ابْنُ دِحْيَةَ فِي كِتَابِهِ " التَّنْوِيرِ فِي مَوْلِدِ الْبَشِيرِ النَّذِيرِ ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْعَبَّاسِ يَقُولُ: «إِنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ سَبَأٍ مَا هُوَ؟ أَرْجُلٌ أَمِ امْرَأَةٌ أَمْ أَرْضٌ؟ قَالَ: بَلْ هُوَ رَجُلٌ وَلَدَ عَشَرَةً ; فَسَكَنَ الْيَمَنَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ، وَبِالشَّامِ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ فَأَمَّا الْيَمَانِيُّونَ ; فَمَذْحِجٌ وَكِنْدَةُ وَالْأَزْدُ وَالْأَشْعَرِيُّونَ وَأَنْمَارٌ وَحِمْيَرُ، وَأَمَّا الشَّامِيَّةُ ; فَلَخْمٌ وَجُذَامٌ وَعَامِلَةُ وَغَسَّانُ» . وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ১২০২
فَرْوَةَ بْنَ مُسَيْكٍ الْغُطَيْفِيَّ هُوَ السَّائِلُ عَنْ ذَلِكَ، كَمَا اسْتَقْصَيْنَا طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَأَلْفَاظَهُنَّ هُنَاكَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ سَبَأً يَجْمَعُ هَذِهِ الْقَبَائِلَ كُلَّهَا، وَقَدْ كَانَ فِيهِمُ التَّبَابِعَةُ بِأَرْضِ الْيَمَنِ وَاحِدُهُمْ تُبَّعٌ وَكَانَ لِمُلُوكِهِمْ تِيجَانٌ يَلْبَسُونَهَا وَقْتَ الْحُكْمِ، كَمَا كَانَتِ الْأَكَاسِرَةُ مُلُوكُ الْفُرْسِ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّي كُلَّ مَنْ مَلَكَ الْيَمَنَ مَعَ الشِّحْرِ وَحَضْرَمَوْتَ تُبَّعًا، كَمَا يُسَمُّونَ مَنْ مَلَكَ الشَّامَ مَعَ الْجَزِيرَةِ قَيْصَرَ، وَمَنْ مَلَكَ الْفُرْسَ كِسْرَى، وَمَنْ مَلَكَ مِصْرَ فِرْعَوْنَ، وَمَنْ مَلَكَ الْحَبَشَةَ النَّجَاشِيَّ، وَمَنْ مَلَكَ الْهِنْدَ بَطْلَيْمُوسَ، وَقَدْ كَانَ مِنْ جُمْلَةِ مُلُوكِ حِمْيَرَ بِأَرْضِ الْيَمَنِ بِلْقِيسُ، وَقَدْ قَدَّمْنَا قِصَّتَهَا مَعَ سُلَيْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ كَانُوا فِي غِبْطَةٍ عَظِيمَةٍ وَأَرْزَاقٍ دَارَّةٍ وَثِمَارٍ وَزُرُوعٍ كَثِيرَةٍ، وَكَانُوا مَعَ ذَلِكَ عَلَى الِاسْتِقَامَةِ وَالسَّدَادِ وَطَرِيقِ الرَّشَادِ فَلَمَّا بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا ; أَحَلُّوا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَرْسَلَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ ثَلَاثَةَ عَشَرَ نَبِيًّا، وَزَعَمَ السُّدِّيُّ أَنَّهُ أَرْسَلَ إِلَيْهِمُ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفَ نَبِيٍّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১২০৩
ষ্ষ্


পড়া পাকা ফলে তার ঝুড়ি ভর্তি হয়ে যেত ৷ সে দেশের আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ এমন
সুন্দর ও স্বান্থাসম্মত ছিল যে, সেখানে কোন মশা-মাছি ও বিষাক্ত জীবজন্তু ছিল না ৷ এ প্রসঙ্গে
আল্লাহ তা’আলা বলেন সাবা ৷বাসীদের জন্যে৩ তাদের বাসভুমিতে ছিল এক নিদর্শন৪ দৃটো
উদ্যান, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে ৷ তাদেরকে বলা হয়েছিল, “তোমরা তোমাদের
প্রতিপালকের প্রদত্ত রিযক ভোগ কর এবং তার প্রতি কৃ৩তত্তে৩ ৷ প্রকাশ কর ৷ উত্তম এ স্থান এবং
ক্ষমাশীল তোমাদের প্রতিপালক ৷”

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন-
এ এ ট্টস্লি ১ ৷ এ
স্মরণ কর, তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, ওে ৷মরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে
অবশ্যই অধিক দিবআর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর ৷ (১৪ ইব্রাহীম৪ ৭)

সাবা রাজেব্রর অধিবাসীপণঅ অতঃপর আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উপাসনা শুরু করে ৷ আল্লাহ্র
অনুগ্রহ পেয়েও তারা দর্প করে ৷ তাদের জনপদ সমু’-ব , অবস্থান ক ৷৷ছাক ৷ছি হওয়া, বাগবড়াগিচা
ও বৃক্ষরাজির কারণে পরিবেশ উন্নত হওয়া এবং যাত্রাপথ নিরাপদ থাকার পর তারা প্রা ৷র্থনা
জানায় যেন তাদের যাত্রা পথে দুরত্ব সৃষ্টি করে দেওয়া হয় এবং সফরকে কষ্টদায়ক ও কঠিন
করে দেয়া হয় ৷ যেমন বনী ইসরাঈলীরা মান্নড়া ও সালাওয়ার পরিবর্তে শাকসবৃজি, র্কাকড , গম
ভাল ও পেয়াজের জন্য আবদার করেছিল ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের শহর
নগরগুলােকে ধ্ব০ স করে তাদেরকে দুর-দুরান্তে বিক্ষিপ্ততাংব ছড়িয়ে দিয়ে ঐ মহা অনুগ্নহ ও
সার্বিক কল্যাণ প্রত্যাহার করে নিলেন ৷

এ প্রসংগে আল্লাহ তাআলা বলেন :

“তারা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ৷ ফলে আমি৩ তাদের প্রতি বাধ ভাঙ্গা প্লাবন প্রবাহিত
করে দিলাম” ৷

অনেক তাফসীরকার বলেন, আল্লাহ তাআলা এই বাধ ভেঙ্গে দেয়ার যখন ইচ্ছে করলেন
তখন এটির ভিত্তিমুলে দলে দলে ইদুর পাঠিয়ে দিলেন ৷ লোকজন যখন তা জানতে পারল
তখন তারা ইদুর দমনের জন্যে বাধ এলাকায় বহু সং থ্যক বিড়াল এনে ছেড়ে দিল ৷ কিন্তু তাতে
কোন কাজ হয়নি ৷ কারণ প্রবাদ আছে যে,“পাতিল গরম হয়ে গেলে তখন সতর্ক হয়ে কোন
লাভ নেই ৷” তখন বীচার কোন পথ থাকে না ৷ ইদৃরের আক্রমণে র্ধাধের ভিত্তিমুল ঝাজরা হয়ে
যায় এবং র্বাধ্ ভেঙ্গে যায় ৷ ফলে সকল নালা বিনষ্ট হয়ে পানি সমতল অঞ্চলের দিকে গড়িয়ে
যায় ৷ ফলমুল বাগ-বাগিচা, ক্ষেতখড়ামার সব বিধ্বস্ত হয়ে যায় ৷ মনােরম আবাসিক এলাকা
পরিণত হয় বিরান জনপদে ৷ এর পরিবর্তে জন্ম নেয় বিস্বড়াদ আজেবাজে পাছ-গাছালি ও


ফলমুল


وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمْ لَمَّا عَدَلُوا عَنِ الْهُدَى إِلَى الضَّلَالِ، وَسَجَدُوا لِلشَّمْسِ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَكَانَ ذَلِكَ فِي زَمَانِ بِلْقِيسَ وَقَبْلَهَا أَيْضًا، وَاسْتَمَرَّ ذَلِكَ فِيهِمْ حَتَّى أَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {فَأَعْرَضُوا فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ وَبَدَّلْنَاهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَيْ أُكُلٍ خَمْطٍ وَأَثْلٍ وَشَيْءٍ مِنْ سِدْرٍ قَلِيلٍ} [سبأ: 16] {ذَلِكَ جَزَيْنَاهُمْ بِمَا كَفَرُوا وَهَلْ نُجَازِي إِلَّا الْكَفُورَ} [سبأ: 17] . ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ وَغَيْرِهِمْ أَنَّ سَدَّ مَأْرِبَ كَانَ صَنْعَتَهُ ; أَنَّ الْمِيَاهَ تَجْرِي مِنْ بَيْنِ جَبَلَيْنِ فَعَمَدُوا فِي قَدِيمِ الزَّمَانِ فَسَدُّوا مَا بَيْنَهُمَا بِبَنَاءٍ مُحْكَمٍ جِدًّا حَتَّى ارْتَفَعَ الْمَاءُ فَحَكَمَ عَلَى أَعَالِي الْجَبَلَيْنِ، وَغَرَسُوا فِيهِمَا الْبَسَاتِينَ وَالْأَشْجَارَ الْمُثْمِرَةَ الْأَنِيقَةَ، وَزَرَعُوا الزُّرُوعَ الْكَثِيرَةَ. وَيُقَالَ كَانَ أَوَّلُ مَنْ بَنَاهُ سَبَأَ بْنَ يَعْرُبَ، وَسَلَّطَ إِلَيْهِ سَبْعِينَ وَادِيًا يَفِدُ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ لَهُ ثَلَاثِينَ فُرْضَةً يَخْرُجُ مِنْهَا الْمَاءُ، وَمَاتَ وَلَمْ يَكْمُلْ بِنَاؤُهُ فَكَمَّلَتْهُ حِمْيَرُ بَعْدَهُ وَكَانَ اتِّسَاعُهُ فَرْسَخًا فِي فَرْسَخٍ كَانُوا فِي غِبْطَةٍ عَظِيمَةٍ وَعَيْشٍ رَغِيدٍ وَأَيَّامٍ طَيِّبَةٍ حَتَّى ذَكَرَ قَتَادَةُ وَغَيْرُهُ أَنَّ الْمَرْأَةَ كَانَتْ تَمُرُّ بِالْمِكْتَلِ عَلَى رَأْسِهَا فَيَمْتَلِئُ مِنَ الثِّمَارِ مَا يَتَسَاقَطُ فِيهِ مِنْ نُضْجِهِ وَكَثْرَتِهِ، وَذَكَرُوا أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي بِلَادِهِمْ شَيْءٌ مِنَ الْبَرَاغِيثِ وَلَا الدَّوَابِّ الْمُؤْذِيَةِ لِصِحَّةِ هَوَائِهِمْ وَطِيبِ فِنَائِهِمْ كَمَا قَالَ تَعَالَى {لَقَدْ كَانَ لِسَبَأٍ فِي مَسْكَنِهِمْ آيَةٌ جَنَّتَانِ عَنْ يَمِينٍ وَشِمَالٍ كُلُوا مِنْ رِزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوا لَهُ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَرَبٌّ غَفُورٌ} [سبأ: 15] وَكَمَا قَالَ تَعَالَى {وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ} [إبراهيم: 7] . [إِبْرَاهِيمَ: 7]
পৃষ্ঠা - ১২০৪
ষ্ষ্


া ৷ এ এবং তাদের উদ্যান দুটো র পরিবর্তে দিলাম এমন দুটো উদ্যান, যাতে উৎপন্ন হয় বিস্বাদ
ফলমুল, ঝাউ পাহু ৷ ইবন আব্বাস (না) মুজাহিদ এবং অনেক ভাষ্যকার বলেছেন যে ৷ষ্ংপ্ষ্ট্র
শব্দ দ্বারা পিসু গাছ এবং তার ফন এবং া ৷ শব্দ দ্বারা ঝাউগড়াছ বুঝানো হয়েছে ৷ কেউ কেউ
বলেন, ঝাউপাহ জাতীয় এমন একটি গাছ বুঝানো হয়েছে, যা কাঠসর্ষস্ব , কোন ফল ধরে না ৷

এ ৷ , ৷হুট্রু এ£ ং ণ্ডাও এ এবং কতক কুল বৃক্ষ ৷ কারণ, জবণী কুন গাছে ফন হয় কম আর
তাতে কাটা বেশী ৷ ঐ কুস্ও তেমনি বিবাদ ৷ যেমন প্রবাদ আছে, “উটের গোশৃত নষ্ট হল উচু
পাহাড় চুড়ায়, এমন সমতল নয় যে, সেখানে সহজে উঠা যাবে আবার এমন নাদুস-নুদৃস নয়

০ :

যে, তা’ পৰিচ্ছন্ন থাকবে ৷” এ জন্যে আল্লাহ তা আলা বলেন : ৷ , ;:$ ৷ধ্ ণ্১ট্রুছু এা১

এটুবু ৷ ৰু৷ ৷ ট্রু ণ্প্রুন্ টু ট্রুা৷এ তাদের কুফরীর কারণে আমি তাদেরকে এইশ্ ৷স্তি দিয়েছি ৷
র্জকুতাঃ বার্তি ব্যতীত অন্য কাউকে আমি এমন শাস্তি দিই না ৷” অর্থাৎ আমি এমন কঠিন শাস্তি
শুধু তাদেশ্নৰেই সেই, যারা আমার প্রতি কুফয়ী করে, আমার রাসৃনস্তুদরকে প্রত্যাখ্যান করে
আমার নির্দোশর ৰিয়ােবিতা করে এবং আমার নািহুষধাজ্ঞা৩লাে অমান্য করে ৷ আল্লাহ তাআলা

বলেনঃ “ফলে আমি তাদেরকে উপাথ্যানে
পরিণত করলাম এবং তাদেরকে ছিন্নতিন্ন করে দিলাম ৷”

বন্তুত তাদের ধন-সস্পদ যখন ধ্বংস হয়ে গেল এবং শহর-নগর বিরান হয়ে পড়ল তখন
এলাকা পরিত্যাগ কার অন্যত্র চলে যেতে তারা বাধ্য হল ৷ তারা তখন ছত্রভঙ্গ ও বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত
হয়ে বিভিন্ন উচু ও নীচু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ৷ তাদের একদল চলে আসে হিজায তথা আরব
এলাকায় ৷ কুযাআ গোত্র মক্কার উপকষ্ঠে এসে বসতি স্থাপন করে ৷ তাদের বিবরণ পরে
আসবে ৷

তাদের কতক মদীনা মুনাওয়ারড়ায় এসে বসবাস করতে থাকে ৷ এরা মদীনায় আদি
বাসিন্দা ৷ এরপর বানু কারনুকা, ৰানু কুরড়ায়যা ও বনু নযীর এই তিন ইয়াহুদী গোত্র মদীনায়
তারা এসে আওস ও খাযরাজ গোত্রের সাথে মৈত্রী চুক্তি সশাদন করে এবং সেখানে বসবাস
করতে থাকে ৷

তাদের বিশদ বিবরণ আমরা পরে উল্লেখ করব ৷ সাবার অধিবাসীদের একদল সিরিয়ায়
অবতরণ করে ৷ তারাই পরবর্তীকালে থ্রিষ্ট ধর্মগ্রহণ করে ৷ এরা হল গাসসান, আমিলা, বাহ্রা,
লাখম, জুযাম তানুখ, তাগলিব প্রভৃতি গোত্র ৷ হযরত আবু বকর (না) ও হযরত উমর
(রা)-এর শাসনামলে সিরিয়া বিজয় সম্পর্কে আলোচনা করার সময় আমরা এ গােত্রগুলাে
সম্পর্কে আলোকপাত করব ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, আবু উবায়দা (বা) আমাকে বলেছেন যে, আ’শা ইবন কায়স
ইবন ছালাবা ওরফে মায়মুন ইবন কায়স বলেছেন :

৪ ৷

ণ্,শু৷ ৷


فَلَمَّا عَبَدُوا غَيْرَ اللَّهِ، وَبَطَرُوا نِعْمَتَهُ، وَسَأَلُوا بَعْدَ تَقَارُبِ مَا بَيْنَ قُرَاهُمْ، وَطِيبِ مَا بَيْنَهَا مِنَ الْبَسَاتِينِ، وَأَمْنِ الطُّرُقَاتِ سَأَلُوا أَنْ يُبَاعَدَ بَيْنَ أَسْفَارِهِمْ، وَأَنْ يَكُونَ سَفَرُهُمْ فِي مَشَاقٍّ وَتَعَبٍ، وَطَلَبُوا أَنْ يُبَدَّلُوا بِالْخَيْرِ شَرًّا، كَمَا سَأَلَ بَنُو إِسْرَائِيلَ بَدَلَ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى الْبُقُولَ ; وَالْقِثَّاءَ وَالْفُومَ وَالْعَدَسَ وَالْبَصَلَ فَسُلِبُوا تِلْكَ النِّعْمَةَ الْعَظِيمَةَ وَالْحَسَنَةَ الْعَمِيمَةَ بِتَخْرِيبِ الْبِلَادِ وَالشَّتَاتِ عَلَى وُجُوهِ الْعِبَادِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {فَأَعْرَضُوا فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ} [سبأ: 16] قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: أَرْسَلَ اللَّهُ عَلَى أَصْلِ السَّدِّ الْفَارَ وَهُوَ الْجُرَذُ، وَيُقَالَ: الْخُلْدُ. فَلَمَّا فَطِنُوا لِذَلِكَ أَرْصَدُوا عِنْدَهَا السَّنَانِيرَ فَلَمْ تُغْنِ شَيْئًا إِذْ قَدْ حُمَّ الْقَدَرُ، وَلَمْ يَنْفَعِ الْحَذَرُ كَلَّا لَا وَزَرَ فَلَمَّا تَحَكَّمَ فِي أَصْلِهِ الْفَسَادُ سَقَطَ وَانْهَارَ فَسَلَكَ الْمَاءُ الْقَرَارَ فَقُطِعَتْ تِلْكَ الْجَدَاوِلُ وَالْأَنْهَارُ، وَانْقَطَعَتْ تِلْكَ الثِّمَارُ، وَبَادَتْ تِلْكَ الزُّرُوعُ وَالْأَشْجَارُ، وَتَبَدَّلُوا بَعْدَهَا بِرَدِيءِ الْأَشْجَارِ وَالْأَثْمَارِ كَمَا قَالَ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ {وَبَدَّلْنَاهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَيْ أُكُلٍ خَمْطٍ وَأَثْلٍ} [سبأ: 16] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَمُجَاهِدٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: هُوَ الْأَرَاكُ وَثَمَرُهُ الْبَرِيرُ، وَأَثْلٍ وَهُوَ الطَّرْفَاءُ،
পৃষ্ঠা - ১২০৫
وَقِيلَ: يُشْبِهُهُ وَهُوَ حَطَبٌ لَا ثَمَرَ لَهُ {وَشَيْءٍ مِنْ سِدْرٍ قَلِيلٍ} [سبأ: 16] وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمَّا كَانَ يُثْمِرُ النَّبْقُ كَانَ قَلِيلًا مَعَ أَنَّهُ ذُو شَوْكٍ كَثِيرٍ، وَثَمَرُهُ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ كَمَا يُقَالَ فِي الْمَثَلِ: لَحْمُ جَمَلٍ غَثٍّ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ وَعْرٍ لَا سَهْلَ فَيُرْتَقَى وَلَا سَمِينَ فَيُنْتَقَى; وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى {ذَلِكَ جَزَيْنَاهُمْ بِمَا كَفَرُوا وَهَلْ نُجَازِي إِلَّا الْكَفُورَ} [سبأ: 17] أَيْ: إِنَّمَا نُعَاقِبُ هَذِهِ الْعُقُوبَةَ الشَّدِيدَةَ مَنْ كَفَرَ بِنَا وَكَذَّبَ رُسُلَنَا، وَخَالَفَ أَمْرَنَا، وَانْتَهَكَ مَحَارِمَنَا، وَقَالَ تَعَالَى {فَجَعَلْنَاهُمْ أَحَادِيثَ وَمَزَّقْنَاهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ} [سبأ: 19] وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمَّا هَلَكَتْ أَمْوَالُهُمْ، وَخَرِبَتْ بِلَادُهُمُ احْتَاجُوا أَنْ يَرْتَحِلُوا مِنْهَا، وَيَنْتَقِلُوا عَنْهَا فَتَفَرَّقُوا فِي غَوْرِ الْبِلَادِ وَنَجْدِهَا ; أَيْدِيَ سَبَأٍ شَذَرَ مَذَرَ فَنَزَلَتْ طَوَائِفُ مِنْهُمُ الْحِجَازَ، وَهُمْ خُزَاعَةُ نَزَلُوا ظَاهِرِ مَكَّةَ وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ، وَمِنْهُمُ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ الْيَوْمَ فَكَانُوا أَوَّلَ مَنْ سَكَنَهَا، ثُمَّ نَزَلَتْ عِنْدَهُمْ ثَلَاثُ قَبَائِلَ مِنَ الْيَهُودِ; بَنُو قَيْنُقَاعَ، وَبَنُو قُرَيْظَةَ، وَبَنُو النَّضِيرِ فَحَالَفُوا الْأَوْسَ وَالْخَزْرَجَ وَأَقَامُوا عِنْدَهُمْ وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ، وَنَزَلَتْ طَائِفَةٌ أُخْرَى مِنْهُمُ الشَّامَ، وَهُمُ الَّذِينَ تَنَصَّرُوا فِيمَا بَعْدُ، وَهُمْ غَسَّانُ وَعَامِلَةُ وَبَهْرَاءُ وَلَخْمٌ وَجُذَامٌ وَتَنُوخُ وَتَغْلِبُ وَغَيْرُهُمْ، وَسَنَذْكُرُهُمْ عِنْدَ ذِكْرِ فُتُوحِ الشَّامِ فِي زَمَنِ الشَّيْخَيْنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ قَالَ: قَالَ الْأَعْشَى بْنُ قَيْسِ
পৃষ্ঠা - ১২০৬
ষ্ষ্


আদর্শকামী ব্যক্তির জন্যে এর মধ্যে রয়েছে আদর্শ, বাধ ভাঙ্গা প্নড়াবন তো মারিম বীধকে
নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ৷

এটি একটি শ্বেত পাথরের তৈরী র্বাধ ৷ হিময়ার তাদের জন্যে এটি নির্মাণ করেছিলেন ৷
প্রচণ্ড পানির ঢেউ এলেও তা নষ্ট করতে পারভাে না ৷

ন্ঠুট্র ৷ট্রু৷ ট্রু’গু’দ্ভুা’ধ্প্রু ’ ং !£ ৷,;া;ছুা, ণ্টুঠুঠুপু৷ প্রুড়ুটুাট্র
এই পানি বন্টন করে নেয়ার পরও এটি যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষেত খামার ও সংশ্লিষ্ট এলাকা
সিঞ্চিত করে দিত ৷

০) , ,
অবশেষে তৰুরা ধ্বত্স হচ্য় গেল এমন হল যে, গ্রিশু ন্দ্র>ার মায়ের দুধ্ পান ছাড়ার পর
তাকে পানীয় দিতে পারছিল না ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে লিখেছেন, বীধ ভাঙ্গা প্লাবনের পুর্বে সর্বপ্রথম যিনি
ইয়ামন থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তিনি হলেন অমর ইবন আমির লাখমী ৷ লাখম হলেন
লাখম ইবন আদী ইবন হারিছ ইবন মুররা ইবন আয়দ ইবন যায়দ ইবন মাহ৷ আবৃন আমর ইবন
আবীর ইবন ইয়াশজুব ইবন যায়দ আবৃন কাহলান ইবন সাবা ৷ কেউ কেউ তার বংশ তালিকা
এরুপ বলেছেন, লাখম ইবন আদী ইবন আমর ইবন সাবা ৷ এটি ইবন হিশাম (র) এর বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমর ইবন আ’মিরের সাবা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের কারণ সম্পর্কে
আবু যায়দ আনসারী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, আমর একদিন দেখলেন যে, বীধ তাদের
জন্যে পানি ধরে রাখে এবং তারা প্রয়োজন মাফিক নিজ নিজ ইচ্ছানুযায়ী ওখান থেকে পানি
সরবরাহ করেন একটি জংলী ইদুর সেই ৰ্বাধের মধ্যে একটি গর্ত খুড়ছে ৷ এতে তিনি বুঝে
নিলেন যে, এই বাধ আর বেশী দিন টিকবেনা ৷ তাই তিনি ইয়ামন ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত
নিলেন ৷ কিন্তু তার সম্প্রদায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্থে লিপ্ত হয় এবং তাকে চলে যেতে বাধা দেয় ৷
তিনিও একটি কৌশল অবলম্বন করেন ৷ তিনি তার ছোট ছেলেকে বলেন যে, আমি তোমার
প্রতি রেগে গিয়ে তোমাকে চড় মারলে তৃমিও আমার মুখে চড় মারবে ৷ তার ছেলে
নিঃর্কানুযায়ী তাই করল ৷

এরপর আমর বললেন, যে শহরের এমন পরিবেশ যে , আমার ছোট ছেলে আমার মুখে চড়
মারতে পারল, আমি আর সেই শহরে থাকর না ৷ তিনি র্তার ধন-সম্পদ বেচে দেয়ার ঘোষণা
দিলেন ৷ সে শহরের সম্রাম্ভ লোকেরা বলল, আমরের রাপকে কাজে লাপাও , এ সুযোগে র্তার ধন
সম্পদ কিনে নাও ৷ অতঃপর আমর তার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাজ্জী সবাইকে নিয়ে নানা এলাকা
ত্যাপ করেন ৷ এটা দেখে আযদ গোত্রের লোকেরা বলল, আমর চলে গেলে আমরা এখানে
থাকর না ৷ তারাও নিজেদের ধন-সম্পদ বিক্রি করে দেয় এবং আমরের সাথে বেরিয়ে পড়ে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) : :ন্

بْنِ ثَعْلَبَةَ وَهُوَ مَيْمُونُ بْنُ قَيْسٍ وَفِي ذَاكَ لِلْمُؤْتَسِي أُسْوَةٌ ... وَمَأْرِبُ عَفَّى عَلَيْهَا الْعَرِمْ رُخَامٌ بَنَتْهُ لَهُمْ حِمْيَرُ إِذَا جَاءَ مَوَّارُهُ لَمْ يَرِمْ ... فَأَرْوَى الزُّرُوعَ وَأَعْنَابَهَا عَلَى سَعَةٍ مَاؤُهُمْ إِذْ قُسِمْ ... فَصَارُوا أَيَادِيَ لَا يَقْدِرُو نَ مِنْهُ عَلَى شُرْبِ طِفْلٍ فُطِمْ وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي كِتَابِ " السِّيرَةِ " أَنَّ أَوَّلَ مَنْ خَرَجَ مِنَ الْيَمَنِ قَبْلَ سَيْلِ الْعَرِمِ عَمْرُو بْنُ عَامِرٍ اللَّخْمِيُّ، وَلَخْمٌ هُوَ ابْنُ عَدِيِّ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ أُدَدَ بْنِ زَيْدِ بْنِ هَمَيْسَعِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَرِيبِ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانَ بْنِ سَبَأٍ، وَيُقَالُ: لَخْمُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَبَأٍ قَالَهُ ابْنُ هِشَامٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ سَبَبُ خُرُوجِهِ مِنَ الْيَمَنِ فِيمَا حَدَّثَنِي أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّهُ رَأَى جُرَذًا يَحْفِرُ فِي سَدِّ مَأْرِبَ الَّذِي كَانَ يَحْبِسُ
পৃষ্ঠা - ১২০৭
عَلَيْهِمُ الْمَاءَ فَيَصْرِفُونَهُ حَيْثُ شَاءُوا مِنْ أَرْضِهِمْ فَعَلِمَ أَنَّهُ لَا بَقَاءَ لِلسَّدِّ عَلَى ذَلِكَ فَاعْتَزَمَ عَلَى النَّقَلَةِ عَنِ الْيَمَنِ فَكَادَ قَوْمَهُ فَأَمَرَ أَصْغَرَ وَلَدِهِ إِذَا أَغْلَظَ عَلَيْهِ وَلَطَمَهُ، أَنْ يَقُومَ إِلَيْهِ فَيَلْطِمَهُ فَفَعَلَ ابْنُهُ مَا أَمَرَهُ بِهِ فَقَالَ عَمْرٌو: لَا أُقِيمُ بِبَلَدٍ لَطَمَ وَجْهِي فِيهِ أَصْغَرُ وَلَدِي، وَعَرَضَ أَمْوَالَهُ فَقَالَ أَشْرَافٌ مِنْ أَشْرَافِ الْيَمَنِ: اغْتَنِمُوا غَضْبَةَ عَمْرٍو فَاشْتَرُوا مِنْهُ أَمْوَالَهُ. وَانْتَقَلَ فِي وَلَدِهِ وَوَلَدِ وَلَدِهِ وَقَالَتِ الْأَزْدُ: لَا نَتَخَلَّفُ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ فَبَاعُوا أَمْوَالَهُمْ وَخَرَجُوا مَعَهُ فَسَارُوا حَتَّى نَزَلُوا بِلَادَ عَكٍّ مُجْتَازِينَ يَرْتَادُونَ الْبُلْدَانَ فَحَارَبَتْهُمْ عَكٌّ فَكَانَتْ حَرْبُهُمْ سِجَالًا فَفِي ذَلِكَ قَالَ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ وَعَكُّ بْنُ عَدْنَانَ الَّذِينَ تَلَعَّبُوا ... بِغَسَّانَ حَتَّى طُرِّدُوا كُلَّ مَطْرَدِ قَالَ: فَارْتَحَلُوا عَنْهُمْ فَتَفَرَّقُوا فِي الْبِلَادِ فَنَزَلَ آلُ جَفْنَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الشَّامَ، وَنَزَلَ الْأَوْسُ وَالْخَزْرَجُ يَثْرِبَ، وَنَزَلَتْ خُزَاعَةُ مَرًّا، وَنَزَلَتْ أَزْدُ السَّرَاةِ السَّرَاةَ، وَنَزَلَتْ أُزْدُ عُمَانَ عُمَانَ، ثُمَّ أَرْسَلَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى السَّدِّ السَّيْلَ فَهَدَمَهُ، وَفِي ذَلِكَ أَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الْآيَاتِ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ السُّدِّيِّ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ فِي رِوَايَةٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَامِرٍ كَانَ كَاهِنًا،
পৃষ্ঠা - ১২০৮
ষ্ষ্


যেতে যেতে তারা আক এর অঞ্চলে উপস্থিত হয় ৷ যে দেশ অতিক্রম করে যেতে চাইলে আক
গোত্রীয়রা তাদেরকে বাধা দেয় এবং যুদ্ধ শুরু করে ৷ যুদ্ধের ফলাফল কখন পক্ষে আবার কখনো
বিপক্ষে যায় ৷ এ প্রসংগে আব্বাস ইবন মিরদাস বলেনঃ
আক ইবন আদনান যুদ্ধ খেলা থেলেছ পাসসানী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ৷ শেষে তাদেরকে
সদল বলে বিতাড়িত করেছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন ,অতঃপর তারা আক এর এলাকা অতিক্রম করে বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে
পড়ে ৷ জাফনা ইবন আযর ইবন আমিরের পরিবার বসবাস করতে থাকে সিরিয়ার ৷ আউস ও
খাযরাজ গোত্র অবতরণ করেন ইয়াছরিবে (মদীনা শরীফে ) ৷ খুযা আ গোত্র পেল মুর আঞ্চলে ৷
আযদ গোত্রের লোকজন ভিন্ন ভিন্ন উপগােত্রে বিভক্ত হয়ে তাদের কেউ কেউ সারাতে এবং কেউ
কেউ ওমানে বসতি স্থাপন করে ৷ এরপর আল্লাহ তা’আলা মারিব র্বীধে সর্বনাশা প্নাবন প্রেরণ
করেলেন ৷ প্লাবনের তােড়ে ভেঙ্গে চুরে ধ্বংস হয় মারিব বীধ্ ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা
উপরোক্ত আয়াতগুলো নাযিল করেন ৷

তাফসীরকার সুদ্দী (র) থেকেও প্রায় এরকম বর্ণনা এসেছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের
একটি বর্ণনা এরুপ এসেছে যে, আযর ইবন আ ৷মির নিজে জ্যোতিষী ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন
আযর নিজে নয়, বরৎ৩ তার শ্রী তারিফা বিনৃত খায়র হিময়ারীই ৰুজ্যাতিষী ছিলেন ৷ তিনি
তাদেরকে জানিয়ে দিলেন যে, অতি ৩সত্ত্বর এ জনপদ ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ তারা যেন মারিব বাধে
ইদুরের ধ্বংস লীলা দেখতে পেয়েছিল ৷ তাই তারা যা করার তা করে ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷ ইবন আবী হাতিম তাফসীর গ্রন্থে ইকরামা থেকে এ ঘটনাটিও বিশদভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷

পরিচ্ছেদ

বীধ ভাঙ্গ৷ প্লাবনে আক্রান্ত হওয়ার পর সাবার সকল গোত্র ইয়ামন ছেড়ে চলে যায়নি ৷
তাদের অধিকাংশই সেখানে বসবাস করেছে ৷ এলাকায় অবস্থানকারী মারিবাসিগণ বিভিন্ন স্থানে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে গিয়েছিল ৷ ইতিপুর্বে বর্ণিত হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর হাদীসের মর্মও
এই যে, সাবার সকল গোত্র ইয়ামন ছেড়ে চলে যায়নি এবং তাদের চারটি গোত্র অন্যত্র চলে
যায় ইয়ামানেই থেকে যায় এবং ছয়টি গোত্র তারা হলো মুযহিজ, ফিন্দা, আনমার (আবু
খাসআম) আশঅড়ারী, বুজায়লা ও হিময়ার গোত্র ৷ সাবা সম্প্রদায়ের এই ছয়গােত্র ইয়ামনেই
বসবাস করতে থাকে ৷ বংশানুক্রমে তাদের মধ্যে রাজতু ও তুব্বা পদ চলে আসছিল ৷ অতঃপর
এ সময় ইথিওপিয়ার রাজা তার সেনাপতিদ্বয় আবরাহা ও আরইয়াত-এর নেতৃত্বে অভিযান
প্রেরণ করে ওদের হাত থেকে বছর রাজতু ইথিওপীয়দের হাতে থাকে ৷ অবশেষে সায়ফ ইবন
যী ইয়ামীন হিময়ারী ওদের হাত থেকে রাজতু পুনরুদ্ধার করে ৷ এই পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হয় প্রিয়
নবী (না)-এর আবির্ভাবের অল্প কিছু দিন পুর্বে ৷ এর বিস্তারিত বিবরণ ইনশাআল্পাহ্ পরে
আমরা উল্লেখ করব ৷


وَقَالَ غَيْرُهُ كَانَتِ امْرَأَتُهُ طَرِيفَةُ بِنْتُ الْخَيْرِ الْحِمْيَرِيَّةُ كَاهِنَةً فَأُخْبِرَتْ بِقُرْبِ هَلَاكِ بِلَادِهِمْ، وَكَأَنَّهُمْ رَأَوْا شَاهِدَ ذَلِكَ فِي الْفَأْرِ الَّذِي سُلِّطَ عَلَى سَدِّهِمْ فَفَعَلُوا مَا فَعَلُوا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْتُ قِصَّتَهُ مُطَوِّلَةً عَنْ عِكْرِمَةَ فِيمَا رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " التَّفْسِيرِ ".
পৃষ্ঠা - ১২০৯

পরবর্তীতে নবী করীম (সা) ইয়ামানের অধিাসীদের নিকট হযরত আলী (রা) ও হযরত
খালিদ ইবন ওলীদ (না)-কে প্রেরণ করেন ৷ তারও পরে তিনি আবু মুসা আশঅড়ারী ও মৃআয
ইবন জাবাল (রা)-কে সেখানে প্রেরণ করেন ৷ তারা লোকজনকে আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিতে
এবং তাওহীদী, ঈমান ও ইসলামের যুক্তি প্ৰমাণগুলো তাদের নিকট স্পষ্টভাবে তুলে ধরতেন ৷

এক সময় ভণ্ড নবী আসওয়াদ আনাসী ইয়ামানে প্রভাব সৃষ্টি ও প্রধান বিস্তার করে ৷ সে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতিনিধিকে সেখান থেকে বের করে দেয় ৷ আসওয়াদ আনসী নিহত
হওয়ার পর হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর খিলাফতকালে সেটি পুনরায় মুসলমানদের
কবজায় এসে যায় এবং ইসলামের বিজয় নিশান উড়তে শুরু করে ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সীরাত
ও ইতিহাস বর্ণনার পর আমরা ইয়ামানে ইসলামী বিজয়ের বিবরণ উল্লেখ করব ইমৃশা আল্লাহ ৷

রবীআ আবন নাসর লাখমীর বিবরণ

এই রবীআ পুর্বোল্পেখিত রবীআ লাখৃমী বলে ইবন ইসহাক বলেছেন ৷ সুহড়ায়লী বর্ণনা
করেন, ইয়ামানের বংশ বিশাৱদগণ বলেন, ইনি হলেন নাসর ইবন রবী’আ ইবন নাসর ইবন
হারিক ইবন নুমারা ইবন লাখম ৷ যবিয়ান ইবন ৰাক্কার বলেন, ইনি হলেন রষী’আ ইবন নাসর
ইবন মালিক ইবন শুউয ইবন মালিক ইবন আজম ইবন আমর ইবন নুমারা ইবন লাখৃম ৷
লাখম ছিলেন জুবায়ের ভাই ৷

লাখম শব্দটির অর্থ হচ্ছে চপেটাঘাত করা ৷ আপন ভাইকে চপেটাঘাত করায় তার নাম
পড়ে দিয়েছিল লাখম ৷ আর চপেটাঘাতকারীর হাত কামড়ে ধরেছিল বলে অপর ভাইয়ের নাম
হল জুযাম ৷ জুযাম মানে দংশন করা ৷

রবীআ ছিলেন তুব্বা উপাধিধারী হিমইয়ারী সম্রাটদের অন্যতম ৷ শাক্ ও সাতীহ নামের
দুজন গণকও রাসুলুল্লাহ (না)-এর আগমন সম্পর্কে তাদের নিকট সতর্কবাগী উচ্চারণ
করেছিলেন ৷ ণণক সাতীহ এর নাম ও বংশ পরিচয় হল রাবী ইবন রাবী’আ ইবন মাস’উদ
ইবন মাযিন ইবন যি’ব ইবন আদী ইবন মাযিম গাসৃসান ৷ আর শাক্ এর বংশ পরিচয় হল;
শাক ইবন সাব ইবন ইয়াশকুর ইবন রুহ্ম ইবন আকরক ইবন কায়স ইবন আবকর ইবন
আনমার ইবন নেযার ৷ মত ৷ন্তরে আনমার ইবন আরাশ ইবন লিহয়ান ইবন আমর ইবন গাওছ
ইবন নাবিত ইবন মালিক ইবন যায়দ ইবন ক ৷হলান ইবন সারা ৷

কথিত আছে যে, সাভীহ লোকটির কোন অঙ্গ প্রত ত্যঙ্গ ছিল না ৷ সে ছিল ছাদের ন্যায়
সমান ৷ তার মুখমন্ডল হিল পিঠের উপর ৷ ৫ক্রাধ এলে সে ফুলে যেত এবং বসে যেত ৷ শাক্
ণ্লাকটি ছিল সাধারণ মানুষের অর্ধাৎশ ৷ বলা হয় যে, খালিদ ইবন আবদুল্লাহ বিননুল কাসরী
তারই অধংস্তন পুরুষ ৷

সুহড়ায়লী বলেন, ওরা দুজন একই দিন জন্মগ্রহণ করেছিল ৷ দিনটি ছিল তরীফা বিমৃত
খায়র হিমইয়ারীর মৃত্যু দিবস ৷ বর্ণিত আছে যে, তাদের জন্মের পর সে তাদের প্রত্যেকের মুখে
থুথু ছিঢিয়েছিল ৷ তাতে তারা তার জ্যোতিষ বিদ্যার উত্তরাধিকার পেয়েছিল ৷ তরীফা ছিল
পুর্বোল্পেখিত আমর ইবন আমিরের শ্রী ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


[فَصْلٌ] وَلَيْسَ جَمِيعُ سَبَأٍ خَرَجُوا مِنَ الْيَمَنِ لَمَّا أُصِيبُوا بِسَيْلِ الْعَرِمِ بَلْ أَقَامَ أَكْثَرُهُمْ بِهَا، وَذَهَبَ أَهْلُ مَأْرِبٍ الَّذِينَ كَانَ لَهُمُ السَّدُّ فَتَفَرَّقُوا فِي الْبِلَادِ وَهُوَ مُقْتَضَى الْحَدِيثِ الْمُتَقَدِّمِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ جَمِيعَ قَبَائِلِ سَبَأٍ لَمْ يَخْرُجُوا مِنَ الْيَمَنِ بَلْ إِنَّمَا تَشَاءَمَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ، وَبَقِيَ بِالْيَمَنِ سِتَّةٌ، وَهُمْ مَذْحِجٌ وَكِنْدَةُ وَأَنْمَارٌ وَالْأَشْعَرِيُّونَ، وَأَنْمَارٌ هُوَ أَبُو خَثْعَمٍ وَبَجِيلَةَ وَحِمْيَرُ فَهَؤُلَاءِ سِتُّ قَبَائِلَ مِنْ سَبَأٍ أَقَامُوا بِالْيَمَنِ، وَاسْتَمَرَّ فِيهِمُ الْمُلْكُ وَالتَّبَابِعَةُ حَتَّى سَلَبَهُمْ ذَلِكَ مَلِكُ الْحَبَشَةِ بِالْجَيْشِ الَّذِي بَعَثَهُ صُحْبَةَ أَمِيرَيْهِ أَبْرَهَةَ وَأَرْيَاطَ، نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ سَنَةً، ثُمَّ اسْتَرْجَعَهُ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ مَوْلِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَلِيلٍ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ مُفَصَّلًا قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. ثُمَّ أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ عَلِيًّا وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، ثُمَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ كَانُوا يَدْعُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، وَيُبَيِّنُونَ لَهُمُ الْحُجَجَ، ثُمَّ تَغَلَّبَ عَلَى الْيَمَنِ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ، وَأَخْرَجَ نُوَّابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا فَلَمَّا قُتِلَ الْأَسْوَدُ اسْتَقَرَّتِ الْيَدُ الْإِسْلَامِيَّةُ عَلَيْهَا فِي أَيَّامِ أَبِي بَكْرٍ الصَّدِيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا سَنُبَيِّنُ ذَلِكَ بَعْدَ الْبَعْثَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ১২১০
[قِصَّةُ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ] بْنِ أَبِي حَارِثَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهُ اللَّخْمِيُّ كَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَقَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَنُسَابُّ الْيَمَنِ تَقُولُ: نَصْرُ بْنُ رَبِيعَةَ وَهُوَ رَبِيعَةُ بْنُ نَصْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نُمَارَةَ بْنِ لَخْمٍ، وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: رَبِيعَةُ بْنُ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ شَعْوَذِ بْنِ مَالِكِ بْنِ عَجْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُمَارَةَ بْنِ لَخْمٍ، وَلَخْمٌ أَخُو جُذَامٍ، وَسُمِّي لَخْمًا ; لِأَنَّهُ لَخَمَ أَخَاهُ أَيْ: لَطَمَهُ فَعَضَّهُ الْآخَرُ فِي يَدِهِ فَجَذَمَهَا فَسُمِّيَ جُذَامًا وَكَانَ رَبِيعَةُ أَحَدَ مُلُوكِ حِمْيَرَ التَّبَابِعَةِ، وَخَبَرُهُ مَعَ شِقٍّ وَسَطِيحٍ الْكَاهِنَيْنِ، وَإِنْذَارُهُمَا بِوُجُودِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا سَطِيحٌ فَاسْمُهُ رَبِيعُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ مَازِنِ بْنِ ذِئْبِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ مَازِنِ بْنِ غَسَّانَ، وَأَمَّا شِقٌّ فَهُوَ ابْنُ صَعْبِ بْنِ يَشْكُرَ بْنِ رُهْمِ بْنِ أَفْرَكَ بْنِ قَسْرِ
পৃষ্ঠা - ১২১১
ষ্ষ্


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, রবী আ ইবন নাসর ছিলেন ইয়ামানের তুব্বা উপাধিধারী
সম্রাটদের অন্যতম ৷ একদা তিনি এক ভয়ংকরাপ্ন দেখে আতংকগ্নস্ত ও অস্থির হয়ে পড়েন ৷
অতঃপর তার রাজোর সকল জ্যোতিষী য়াদৃকর ও জ্যোতির্বিদকে তার দরবারে একত্রিত করে
বললেন, আমি এক ভয়ংকর,াপ্ন দেখেছি, যা আমাকে ডীত ওশাঙ্কত করে তৃলেছে ৷ আপনারা
আমাকোপ্ন ও তার তাৎপর্য বলে দিন ৷ তারা বলল, আপনিাপ্নড়া;ণ্ ’ আমাদেরকে বলুন; আমরা
তার ব্যাখ্যা বলে দিব ৷ সম্রাট বললেন, “না তা নয়, আমি যদিাপ্ন বলে দিই তারপর আপনারা
তার ব্যাখ্যা দেন, সেই ব্যাখ্যার আমি আস্থা রাখতে পারব না ৷ কারণ এাপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা
সেই ব্যক্তিই দিতে পারবে, আমার বলা ছাড়া যোপ্নট৷ জানতে পারবে ৷ একজন বলল, ঠিক
আছে, সম্রাট যদি তাই৷ চান তবে ব্যাখ্যার জন্যে শাক ও সাতীহের নিকট লোক পাঠিয়ে দেয়া
হোক ৷ এই শাম্ভেত ৷দের চেয়ে অভিজ্ঞ কেউ নেই ৷ তারাই সম্রাবট হ্৷ ইচ্ছা মুতাৰিক ব্যাখ্যা
বলতে পারবে ৷ লোক পাঠিয়ে তাদেরকে আনা হল ৷ শাকের পুর্বে সাতীহের সাথে কথা বললেন
সম্রাট ৷ তিনি বললেন, আমি এক ভয়ংকরাপ্ন দেখেছি, যা আমাকে বাতিব্যস্তও অস্থির করে
তৃলেছে ৷ আগে বল, সোপ্নটি কি? তুমি যদিাপ্নটি ঠিক ঠিক বলতে পার তবে তোমার
ব্যাখ্যাও সঠিক হবে ৷ সাতীহ বলল, ঠিক আছে, আমি তাই করছি ৷ আপনি একটি কালো বস্তু
দেখেছেন যা অন্ধকার থেকে বের হয়েছে ৷ অতঃপর সমৃদ্রউপকুলবর্তী নিচু ভুমিতে গিয়েছে
এবং যেখানে মাথা ভুমিতে গিয়েছে এবং সেখানে মাথা বিশিষ্ট বা পেয়েছে তার সব কিছু খেয়ে
ফেলেছে ৷ সম্রাট বললেন, সাতীহ ! তুমি একটুও ভুল বলনি ৷ এখন বল দেখি তোমার মতে এর
ব্যাখ্যা কী ?

সে বলল ;; দৃ’শিলা ভুমির মাঝে অবস্থিত সকল পশু-পাথীর শপথ করে বলছি, হাবশি
জাতি আপনাদের রাজে৷ অবতরণ করবে এবং আবয়ান থেকে জারশ পর্যন্ত এলাকায় রাজতু
করবে ৷ সম্রাট বললেন, সাতীহ ৷ এতো এক অনাকাৎখিত ও বেদনাদায়ক ব্যাপার, করে নাগাদ
তা ঘটবে; আমার রাজত্বকালে, না আরও পরে? সে বলল, আপনার পিতার শপথ, বরং
আপনার পরে আরো ৬০৭০ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ৷ সম্রাট বললেন,
তাদের রাজত্ব কি চিরস্থায়ী হবে ? না কি পতন ঘটবে ? সে বলল, ৭৩ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে
তাদের পতন ঘটবে ৷ তারপর তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে
যাবে ৷ তিনি বললেন, কে তাদেরকে হত্যা ও বিতাড়িত করবে? সে বলল, ইরামসী ইয়াযিন ৷
এডেন থেকে সে আসবে এবং ওদের কাউকে ইয়ামানে অবশিষ্ট রাখবে না ৷

সম্রাট বললেন, তার রাজতু কি চিরস্থায়ী হবে ? নাকি তার পতন ঘটবে ? সে বলল, বরং
পতন ঘটবে ৷ সম্রাট বললেন, কার হাতে তার পতন ঘটবে ? সে বলল, একজন পুণ্যবান নবীর
হাতে উর্ধাকাশ থেকে তার নিকট ওহী আসবে ৷ সম্রাট বললেন, নবী কোন ৷ বংশের সন্তান
হলে? সে বলল, গালিব ইবন ফিহর ইবন মালিক ইবন নজরের অণঃস্তন পুরুষ ৷ আখেরী যামানা
পর্যন্ত রাজত্ব তার সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকবে ৷ সম্রাট বললেন, যুগেরও কি আবার শেষ আছে? সে
বলল, হা৷ যুগের শেষ হল এমন একটি দিন, যেদিনে পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সবাইকে একত্রিত করা
হবে ৷ সৎকর্মশীলগণ হবে ভাগ্যবান আর পাপাচারীগণ হবে ভাগ্যাহত ৷ সম্রাট বললেন, তুমি যা
বলছ তা কি ঠিক? যে বলল, অস্তরাগ, অন্ধকার এবং উদ্ভাসিত প্রত্যুষের শপথ করে বলছি,
আমি আপনাকে যা জা ৷নিয়েছি তা অবশ্যই সত্য ৷


بْنِ عَبْقَرَ بْنِ أَنْمَارِ بْنِ نِزَارٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ أَنْمَارُ بْنُ أَرَاشِ بْنِ لَحْيَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْغَوْثِ بْنِ نَبْتِ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانَ بْنِ سَبَأٍ، وَيُقَالَ: إِنَّ سَطِيحًا كَانَ لَا أَعْضَاءَ لَهُ، وَإِنَّمَا كَانَ مِثْلَ السَّطِيحَةِ، وَوَجْهُهُ فِي صَدْرِهِ وَكَانَ إِذَا غَضِبَ انْتَفَخَ وَجَلَسَ وَكَانَ شِقٌّ نِصْفُ إِنْسَانٍ، وَيُقَالَ: إِنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَسْرِيِّ كَانَ سُلَالَتَهُ، وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُمَا وُلِدَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ مَاتَتْ طَرِيفَةُ بِنْتُ الْخَيْرِ الْحِمْيَرِيَّةُ، وَيُقَالَ: إِنَّهَا تَفَلَتْ فِي فَمِ كُلٍّ مِنْهُمَا فَوَرِثَ الْكِهَانَةَ عَنْهَا، وَهِيَ امْرَأَةُ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَبِيعَةُ بْنُ نَصْرٍ مَلِكَ الْيَمَنِ بَيْنَ أَضْعَافِ مُلُوكِ التَّبَابِعَةِ فَرَأَى رُؤْيَا هَالَتْهُ وَفَظِعَ بِهَا فَلَمْ يَدَعْ كَاهِنًا وَلَا سَاحِرًا وَلَا عَائِفًا وَلَا مُنَجِّمًا مِنْ أَهْلِ مَمْلَكَتِهِ إِلَّا جَمَعَهُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رُؤْيَا هَالَتْنِي، وَفَظِعْتُ بِهَا فَأَخْبَرُونِي بِهَا، وَبِتَأْوِيلِهَا فَقَالُوا: اقْصُصْهَا عَلَيْنَا نُخْبِرْكَ بِتَأْوِيلِهَا فَقَالَ: إِنِّي إِنْ أَخْبَرْتُكُمْ بِهَا لَمْ أَطْمَئِنَّ إِلَى خَبَرِكُمْ بِتَأْوِيلِهَا; لِأَنَّهُ لَا يَعْرِفُ تَأْوِيلَهَا إِلَّا مَنْ عَرَفَهَا قَبْلَ أَنْ أُخْبِرَهُ بِهَا فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ: فَإِنَّ كَانَ الْمَلِكُ يُرِيدُ هَذَا فَلْيَبْعَثْ إِلَى شِقٍّ وَسَطِيحٍ فَإِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ أَعْلَمَ مِنْهُمَا فَهُمَا يُخْبِرَانِهِ بِمَا سَأَلَ عَنْهُ فَبَعَثَ إِلَيْهِمَا فَقَدِمَ إِلَيْهِ سَطِيحٌ قَبْلَ شِقٍّ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رُؤْيَا هَالَتْنِي وَفَظِعْتُ بِهَا فَأَخْبِرْنِي بِهَا فَإِنَّكَ إِنْ أَصَبْتَهَا أَصَبْتَ
পৃষ্ঠা - ১২১২
ষ্ষ্


বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ওজ্যড়াতিষী শাক সম্রাটের নিকট আসল ৷ সাতীহকে যা
বলেছিলেন তিনি তাকেও তাই বললেন ৷ উভয়ের বক্তব্য একরুপ হয়, নাকি ভিন্ন ভিন্ন , তা
দেখার জন্যে সাভীহের বক্তব্য তিনি শাকের নিকট প্রকাশ করলেন না ৷ শাক বলল, আপনি
দেখেছেন একটি কালো বস্তু ৷ সেটি বেরিয়ে এসেছে অন্ধকার থেকে ৷ তারপর উদ্যান ও
ফলবাপানে গিয়ে পতিত হয়েছে ৷ অতঃপর সেখানে যত প্রাণী ছিল সব খেয়ে ফেলেছে ৷ এতটুকু
বলার পর সম্রাট বৃঝলেন যে, উভয়ের বক্তব্য অভিন্ন ৷ সম্রাট বললেন, হে শাক ! তুমি একটুও
ভুল বলনি ৷ এখন তোমাদের এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? সে বলল, দুশিলা ভুমির মাঝে অবস্থিত
মানব সম্প্রদায়ের শপথ করে বলছি, আপনাদের রাজ্যে অবশ্যই কৃষ্ণাঙ্গরা অবতরণ করবে ৷
সকল অধিবাসীর উপর তারা বিজয় লাভ করবে এবং আলড়ায়্যান থেকে নজরান পর্যন্ত তাদের
শাসনাধীন হবে ৷ সম্রাট বললেন, হে শাক ! তোমার পিতার শপথ, এটি তো আমাদের জন্যে
ক্ষোভ ও দুঃখের ব্যাপার ৷ তবে এটি কবে ঘটবে? আমার ন্মামলে , নাকি এর পরবর্তী যুগে? সে
বলল, না, বরং এর কিছুকাল পরে ৷

তারপর একজন প্রতাপশালী ব্যক্তি আপনাদেরকে ওদের হাত থেকে ক্ষুক্ত করবে এবং
ওদেরকে চরম অপমান ও লাঞ্ছিত করবে ৷ তিনি বললেন, ঐ প্ৰতাপশালী ব্যক্তিটি কােপ্ সে
বলল, একটি বালকশ্গামবাসীও নয়, শহ্রবাসীও নয় ৷ ষী ইয়াযান-এর বংশ থেকে বেরিয়ে সে
তাদের উপর আক্রমণ করবে ৷ তিনি বললেন, তার রাজত্ব কি চিরস্থায়ী হবে, নাকি তার পতন
ঘটবেঃ সে বলল, বরং তার রাজত্বের পতন ঘটবে জনৈক রাসুন্সের হাতে, যিনি দীনের প্রচারক
ও মর্ষাদাশীল হবেন এবং সত্য ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে আসবেন ৷ বিচার দিবস পর্যন্ত রাজত্
তার সম্প্রদায়ের হাতে থাকবে ৷

সম্রাট বললেন, বিচার দিবস আবার কী? যে বলল, যে দিবসে সকল কর্মের প্রতিদান দেয়া
হবে ৷ সেদিন আকাশ থেকে ঘোষণা দেয়া হবে ৷ জীবিত মৃত সবাই সে ঘোষণা শুনবে ৷ নির্দিষ্ট
স্থানে তখন লোকজন সমবেত হবে ৷ যারা তাকওয়া ও সংযম অবলম্বন করেছে, তারা তখন
সফলতা ও কল্যাণ লাভ করবে ৷ তিনি বললেন, তুমি যা বলছ, তা কি সত্যা সে বলল, হীা,
আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালকের শপথ এবং এ উভয়ের মাঝে উচু-নীচু যা কিছু আছে, তার
সবওলোর শপথ, আমি যা’ বলছি তা সত্য ৷ তাতে কোন বত্যেয় নেই ৷ ইবন ইসহাক বলেন,
সাতীহ শাক-এর বক্তব্য রড়াবীআ ইবন নাসরের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে ৷ তিনি তার
হেলে-যেয়ে ও পরিবার-পরিজনকে ইরাকে পাঠিয়ে দিলেন এবং সাবুর ইবন খারজাম নামের
জনৈক পারসিক রাজাকে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথা লিখে দিলেন ৷ সে তাদের হীরা
রাজ্যে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রবীআ ইবন নাসরের অধ৪স্তন
বংশধর হলেন নুমান ইবন মুনযির ইবন নুমান ইবন ঘুনযির ইবন আমর ইবন আদী ইবন
রবীআ ইবন নাসর ৷ এই নুমান পারস্য রাজ্যের প্রতিনিধিরুপে হীরা শাসন করতেন ৷ আরবগণ
তার নিকট যেত এবং তার প্রশংসা করত ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক যা বলেছেন যে, নুমান ইবন
মুনযির রবীআ ইবন নড়াসরের অখঃস্তন পুরুষ, অধিকাংশ ঐতিহাসিক তা সমর্থন করেছেন ৷


تَأْوِيلَهَا فَقَالَ: أَفْعَلُ. رَأَيْتَ حُمَمَةً خَرَجَتْ مِنْ ظُلْمَةٍ فَوَقَعَتْ بِأَرْضٍ تَهَمَةٍ فَأَكَلَتْ مِنْهَا كُلَّ ذَاتِ جُمْجُمَةٍ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: مَا أَخْطَأْتَ مِنْهَا شَيْئًا يَا سَطِيحُ فَمَا عِنْدَكَ فِي تَأْوِيلِهَا؟ قَالَ: أَحْلِفُ بِمَا بَيْنَ الْحَرَّتَيْنِ مِنْ حَنَشٍ لَتَهْبِطَنَّ أَرْضَكُمُ الْحَبَشُ فَلْيَمْلِكُنَّ مَا بَيْنَ أَبْيَنَ إِلَى جُرَشَ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: وَأَبِيكَ يَا سَطِيحُ إِنَّ هَذَا لَنَا لَغَائِظٌ مُوجِعٌ فَمَتَى هُوَ كَائِنٌ؟ أَفِي زَمَانِي أَمْ بَعْدَهُ؟ فَقَالَ: لَا بَلْ بَعْدَهُ بِحِينٍ أَكْثَرَ مِنْ سِتِّينَ أَوْ سَبْعَيْنَ يَمْضِينَ مِنَ السِّنِينَ قَالَ: أَفَيَدُومُ ذَلِكَ مِنْ سُلْطَانِهِمْ أَمْ يَنْقَطِعُ؟ قَالَ: بَلْ يَنْقَطِعُ لِبِضْعٍ وَسَبْعِينَ مِنَ السِّنِينَ، ثُمَّ يُقْتَلُونَ وَيَخْرُجُونَ مِنْهَا هَارِبِينَ قَالَ: وَمَنْ يَلِي ذَلِكَ مِنْ قَتْلِهِمْ وَإِخْرَاجِهِمْ. قَالَ: يَلِيَهُمْ إِرَمُ ذِي يَزَنَ يَخْرُجُ عَلَيْهِمْ مِنْ عَدَنٍ فَلَا يَتْرُكُ مِنْهُمْ أَحَدًا بِالْيَمَنِ قَالَ: أَفَيَدُومُ ذَلِكَ مِنْ سُلْطَانِهِ أَمْ يَنْقَطِعُ؟ قَالَ: بَلْ يَنْقَطِعُ قَالَ: وَمَنْ يَقْطَعُهُ قَالَ: نَبِيٌّ زَكِيٌّ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنْ قِبَلِ الْعَلِيِّ قَالَ: وَمِمَّنْ هَذَا النَّبِيُّ؟ قَالَ رَجُلٌ مِنْ وَلَدِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ يَكُونُ الْمُلْكُ فِي قَوْمِهِ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ قَالَ: وَهَلْ لِلدَّهْرِ مِنْ آخِرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ يَوْمَ يُجْمَعُ فِيهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخَرُونَ، يَسْعَدُ فِيهِ الْمُحْسِنُونَ، وَيَشْقَى فِيهِ الْمُسِيئُونَ. قَالَ: أَحَقٌّ مَا تُخْبِرُنِي؟ قَالَ: نَعَمْ وَالشَّفَقِ وَالْغَسَقِ وَالْفَلَقِ إِذَا
পৃষ্ঠা - ১২১৩
اتَّسَقَ إِنَّ مَا أَنْبَأْتُكَ بِهِ لَحَقٌّ. قَالَ: ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْهِ شِقٌّ فَقَالَ لَهُ كَقَوْلِهِ لِسَطِيحٍ، وَكَتَمَهُ مَا قَالَ سَطِيحٌ ; لِيَنْظُرَ أَيَتَّفِقَانِ أَمْ يَخْتَلِفَانِ، قَالَ: نَعَمْ رَأَيْتَ حُمَمَةً خَرَجَتْ مِنْ ظُلْمَةٍ فَوَقَعَتْ بَيْنَ رَوْضَةٍ وَأَكَمَةٍ فَأَكَلَتْ مِنْهَا كُلَّ ذَاتِ نَسَمَةٍ فَلَمَّا قَالَ لَهُ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُمَا قَدِ اتَّفَقَا، وَأَنَّ قَوْلَهُمَا وَاحِدٌ إِلَّا أَنَّ سَطِيحًا قَالَ وَقَعَتْ بِأَرْضٍ تَهَمَةٍ فَأَكَلَتْ مِنْهَا كُلَّ ذَاتِ جُمْجُمَةٍ، وَقَالَ شِقٌّ: وَقَعَتْ بَيْنَ رَوْضَةٍ وَأَكَمَةٍ فَأَكَلَتْ مِنْهَا كُلَّ ذَاتِ نَسَمَةٍ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: مَا أَخْطَأْتَ يَا شِقُّ مِنْهَا شَيْئًا فَمَا عِنْدَكَ فِي تَأْوِيلِهَا؟ فَقَالَ: أَحْلِفُ بِمَا بَيْنَ الْحَرَّتَيْنِ مِنْ إِنْسَانٍ، لَيَنْزِلَنَّ أَرْضِكُمُ السُّودَانُ فَلْيَغْلِبُنَّ عَلَى كُلِّ طَفْلَةِ الْبَنَانِ، وَلِيَمْلِكُنَّ مَا بَيْنَ أَبْيَنَ إِلَى نَجْرَانَ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: وَأَبِيكَ يَا شِقُّ إِنَّ هَذَا لَنَا لَغَائِظٌ مُوجِعٌ فَمَتَى هُوَ كَائِنٌ أَفِي زَمَانِي أَمْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: لَا بَلْ بَعْدَهُ بِزَمَانٍ، ثُمَّ يَسْتَنْقِذُكُمْ مِنْهُمْ عَظِيمٌ ذُو شَانٍ، وَيُذِيقُهُمْ أَشَدَّ الْهَوَانِ قَالَ: وَمَنْ هَذَا الْعَظِيمُ الشَّانِ؟ قَالَ: غُلَامٌ لَيْسَ بِدَنِيٍّ وَلَا مُدَنٍّ، يَخْرُجُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْتِ ذِي يَزَنَ قَالَ: أَفَيَدُومُ سُلْطَانُهُ أَمْ يَنْقَطِعُ؟ قَالَ: بَلْ يَنْقَطِعُ بِرَسُولٍ مُرْسَلٍ يَأْتِي بِالْحَقِّ وَالْعَدْلِ، مِنْ أَهْلِ الدِّينِ وَالْفَضْلِ يَكُونُ الْمُلْكُ فِي قَوْمِهِ إِلَى يَوْمِ الْفَصْلِ قَالَ: وَمَا يَوْمُ الْفَصْلِ؟ قَالَ: يَوْمَ تُجْزَى فِيهِ الْوُلَاةُ يُدْعَى فِيهِ مِنَ السَّمَاءِ بِدَعَوَاتٍ، يَسْمَعُ مِنْهَا الْأَحْيَاءُ وَالْأَمْوَاتُ، وَيُجْمَعُ النَّاسُ فِيهِ لِلْمِيقَاتِ، يَكُونُ فِيهِ لِمَنِ اتَّقَى الْفَوْزُ وَالْخَيْرَاتُ قَالَ: أَحَقٌّ مَا تَقُولُ؟ قَالَ: إِي وَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا
পৃষ্ঠা - ১২১৪
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, নুমান ইবন ঘুনযিরের তরবারী হযরত উমর ইবন খাত্তাবের
(রা) নিকট আনয়ন করা হলে তিনি জুবায়র ইবন মুতইম (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন যে, সে
কার বংশধরঃ জুবায়র (বা) বললেন, যে কানাস ইবন মাআদ ইবন আদনানের বংশধর ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, সে যে কোন বংশের ছিল তা’ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

মদীনা অধিবাসীদের সাথে তুলা সম্রাট আবু কুরাবের ঘটনা

বায়তুল্লাহ শরীফের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রয়াস এবং পরবতীচ্চিত সম্মানার্থে বড়ায়তুব্লাহ
শরীফে গিলাফ হড়ান প্রসঙ্গে

ইবন ইসহাক বললেন, রবীআ ইবন নাসরের মৃত্যুর পর সমগ্র ইয়ড়ামান হাস্সান ইবন
তৃব্বান আসআদ আবু কুরাবের করতলপত হয় ৷ তুব্বান আসআদ ছিলেন সর্বশেষ তুব্বা ৷ ইনি
ছিলেন কাসর্কীরের ইবন যায়দ,যায়দ ছিলেন সর্বপ্রথম তুব্বা তিনি ছিলেন আমর যিল আযআর
ইবন আবরাহা যিল মানার ইবন রাইশ ইবন আদী ইবন সায়ফী ইবন সবাে আল আসপর ইবন
কাব কাহকুয যুলাম ইবন জায়দ ইবন আহল ইবন আমর ইবন কুস্ ইবন মু’আবিয়া ইবন
জাসম ইবন আবদে শামস ইবন ওয়াইল ইবন পাওছ ইবন কুতান ইবন আরিব ইবন যুহায়র
ইবন আনাস ইবন হড়ামাইসি ইবন আরবাহাজ ৷ এই আরবাহাজ হচ্ছেন হিমইয়ার ইবন সাবা
আল আকবার ইবন ইয়ারুব ইবন ইয়াশজুয ইবন কাহতড়ান ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এই তুব্বাল
আসআদ আবু কুরাব সেই ব্যক্তি যে মদীনায় এসেছিলেন এবং দু’জন ইহ্রদী ধর্মযাজককে তার
সাথে ইয়ামানে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তিনি বায়তুল্লাহ শরীরুফ্যা সংস্কার সাধন ও তাতে সর্বপ্রথম
গিলাফ চড়িয়েছিলেন তার শাসন কাল ছিল রবীআ ইবন নাসরের শাসনকালেব পুর্বে ৷ পুর্ব
দেশীয় রাজ্যগুলো জয় করে তিনি মদীনা হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করছিলেন ৷ অভিযানের
শুরুতেও তিনি মদীনা হয়ে গিয়েছিলেন ৷ মদীনায় অধিবাসীদেরকে তিনি উচ্ছেদ করেন নি ৷ তার
এক পুত্রকে তিনি তাদের শাসকরুপে রেখে গিয়েছিলেন ৷ গুপ্তঘাতকের হাতে১ তার ওই পুত্র
সেখানে নিহত হন ৷ এ কারণে তিনি মদীনা ধ্বংস, তার অধিবাসীদেরকে উচ্ছেদ এবং
উদ্যানরাজি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য মদীনায় ফিরে আসল ৷ তাদের নেতৃত্বে ছিল নাজ্জার বংশীয়
আমর ইবন তাশহা ৷ তিনি বানু আমর ইবন মড়াববুলেরও একজন মাবয়ুলের নাম আমির ইবন
মালিক ইবন নাজ্জার ৷ নাজ্জারের নাম তায়মুল্লাহ ইবন ছালাবা ইবন আমর ইবন খাযরাজ ইবন
হারিছা ইবন ছালাবা ইবন আমির ৷

ইবন হিশাম বলেন, আমর ইবন তালহা ৷ আমর ইবন মুআৰিয়া ইবন আমর ইবন আমির
ইবন মালিক ইবন নাজ্জার ৷ তালহা তার মায়ের নাম ৷ তালহড়া ছিলে আমির ইবন যুরায়ক
খায়রাজি এর কন্যা ৷

ইবন ইসহাক বলেন বানু আদী ইবন নাজ্জার গোত্রের “আলমার নামে জনৈক ব্যক্তি
তৃব্বার দলের এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ করে বসে ৷ লােকটি আহমারের খেজুর গাছ থেকে
খেজুরকাটছিল ৷ কাচির আঘাতে আহমর তাকে হত্যা করেন এবং বলেন খেজুর সে পারে যে



১ অর্থ ৰিশ্বাসঘাতকতা ৷


مِنْ رَفْعٍ وَخَفْضٍ، إِنَّ مَا أَنْبَأْتُكَ بِهِ لَحَقٌّ مَا فِيهِ أَمْضٌ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَقَعَ فِي نَفْسِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ مَا قَالَا فَجَهَّزَ بَنِيهِ وَأَهْلَ بَيْتِهِ إِلَى الْعِرَاقِ، وَكَتَبَ لَهُمْ إِلَى مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ فَارِسَ يُقَالُ لَهُ: سَابُورُ بْنُ خُرَّزَاذَ فَأَسْكَنَهُمُ الْحِيرَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَمِنْ بَقِيَّةِ وَلَدِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ: النُّعْمَانُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَدِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ يَعْنِي الَّذِي كَانَ نَائِبًا عَلَى الْحِيرَةِ لِمُلُوكِ الْأَكَاسِرَةِ وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَفِدُ إِلَيْهِ، وَتَمْتَدِحُهُ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ مِنْ أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ مِنْ سُلَالَةِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ قَالَهُ أَكْثَرُ النَّاسِ، وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لَمَّا جِيءَ بِسَيْفِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ سَأَلَ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ عَنْهُ مِمَّنْ كَانَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَشْلَاءِ قُنُصِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ.
পৃষ্ঠা - ১২১৫
ষ্ষ্


তার যত্ন করে ৷ ’ এ ঘটনায় তৃব্বা তাদের প্রতি ভীষণ ক্ষুব্ধ হন ৷ ফলে উভয়পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয় ৷
আনসারগণের ধারণা তাদের পুর্বপুরুষরা দিনে তৃব্বা পক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন আর রাতে
তাদের মেহমানদারী করতেন ৷ তাদের আচরণে তুব্বা খুব খুশী হন এবং বলেন হায় ৷ আমাদের
সম্প্রদায় তো অলস ৷ আনসারদের সুত্রে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, তৃব্বা ক্ষেপে ছিলেন
ইহ্রদী জাতির বিরুদ্ধে ৷ কারণ তারা আনসারদের হয়ে তার বিরুদ্ধে লড়েছিল ৷

সুহারলী বলেন, কথিত আছে যে, তৃব্বা এসেছিলেন ইহুদীদের বিরুদ্ধে আনসারদেরকে
সাহায্য করতে ৷ আনসারপণ ছিলেন তার চাচার বংশধর ৷ ইহ্রদীগণ শর্ত সাপেক্ষে মদীনায়
বসবাসের অনুমতি পেয়েছিল ৷ পরে তারা শর্তগু লো পুরণ করেনি ৷ বরং আনসারদের বিরুদ্ধে
শক্তি প্রদর্শন করেছিল ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তুব্বা যখন যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন তখন রানু কুরায়যা গোত্রের দু’জন
ইহুদী ধর্যযাজক শ্র্তার নিকট আসেন ৷ তারা জেনেছিলেন যে , তৃব্বা মদীনা ধ্বংস ও
মদীনাবাসীদের মুলােৎপাটনের জন্যে এসেছেন ৷ তারা তাকে বললেন রাজনছু আপনি এরুপ
করবেন না ৷ এরপরও যদি আপনি আপনার পরিকল্পনা কার্যকর করতে চান তবে আপনি তাতে
ব্যর্থ হলে এবং আপনার উপর আল্পাহ্র ণযব নাযিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ তিনি বললেন,
কেন এরুপ হবো তারা বললেন, কারণ, এই মদীনা হল আখেরী যামানায় এই কুরায়শীয় হারাম
শরীফ থেকে আবির্ভুত নবীর হিজরত স্থল ৷ এটি হবে তার বাসস্থান ও অবস্থান স্থল ৷ এতে
তুব্বা যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত হলেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন যে, এই দু’জন গভীর জ্ঞানের অধিকারী ৷
তাদের কথা তার খুব ভাল লেগেছে ৷ ফলে, তিনি মদীনাবাসীদের ধর্মে হস্তক্ষেপ না করেই
মদীনা ত্যাগ করেন ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, তৃব্বার সম্প্রদায় মুর্তিপুজ্যরী ছিল ৷ তারা দেব দেবীর পুজা করত ৷
তৃব্বা মক্কার দিকে রওয়ানা হলেন ৷ এটা ছিল ইয়ামানের পথে ৷ উসফান ও আমাজের মধ্যবর্তী
স্থানে আসার পর হুযায়ল (ইবন মুদারিকা ইবন ইলিয়াছ ইবন মুযার ইবন নেযার ইবন মাদ
ইবন আদনান) গোত্রের একদল লোক তার নিকট এল ৷ তারা বলল, হে রাজন ৷ আমরা কি
আপনাকে একটি গৃহের সন্ধান দিব, যেটি পুরাতন হয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে ৷ আপনার
পুর্ববর্তী রাজা বাদশাহ্ ঐ গৃহ সম্বন্ধে ওয়াকিফহাল ছিলেন না ৷ সেখানে রয়েছে মনি-ম্যনিক্য,
স্বর্ণ-রৌপ্য ও মহামুল্য ইয়াকুত পাথর ৷ তিন বললেন, হ্যা ঠিক আছে ৷ তারা বলল, সেটি মক্কায়
অবস্থিত একটি গৃহ ৷ তার ভক্তবৃন্দ সেখানে ইবাদত করে এবং সেখানে প্রার্থনা করে ৷ ’ হুযায়ল
গোত্রীয়পণ এর দ্বারা তুব্বার ধ্বংসের চক্রাম্ভ করেছিল ৷ কারণ তারা জানত যে, কোন রাজা এ
গৃহে ধ্বংস করা কিংবা এটির নিকট ঔদ্ধতা সেখানে তার ধ্বংস অনিবার্য, তারা যা বলেছিল তা
করার সংকল্প করে তৃব্বা এ ব্যাপারে পরামর্শের জন্যে পুর্বোক্ত যাজকদ্বয়ের নিকট লোক
পাঠালেন ৷ তারা বললেন, এ লোকেরা আপনার নিজের ও আপনার সৈন্য-সামত্তের ধ্বংসই
চেয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে এই পবিত্র গৃহ ব্যতীত অন্য কোন গৃহকে নিজের জন্যে
নির্দিষ্ট রেখেছেন বলে আমাদের জানা নেই ৷ তারা আপনাকে যা করতে বলেছে, আপনি যদি তা
করেন তবে আপনিও ধ্বংস হবেন, আপনার সাথে যারা আছে তারাও ৷ তিনি বললেন, আমি


[قِصَّةُ تُبَّعٍ أَبِي كَرِبٍ] تُبَّانِ أَسْعَدَ مَلِكِ الْيَمَنِ مَعَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، وَكَيْفَ أَرَادَ غَزْوَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ، ثُمَّ شَرَّفَهُ وَعَظَّمَهُ وَكَسَاهُ الْحُلَلَ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ كَسَاهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا هَلَكَ رَبِيعَةُ بْنُ نَصْرٍ رَجَعَ مُلْكُ الْيَمَنِ كُلِّهِ إِلَى حَسَّانَ بْنِ تُبَّانِ أَسْعَدَ أَبِي كَرِبٍ، وَتُبَّانُ أَسْعَدَ تُبَّعٌ الْآخِرُ ابْنُ كُلْكِيكَرِبَ بْنِ زَيْدٍ، وَزَيْدٌ تُبَّعٌ الْأَوَّلُ ابْنُ عَمْرٍو ذِي الْأَذْعَارِ بْنِ أَبْرَهَةَ ذِي الْمَنَارِ بْنِ الرَّائِشِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ صَيْفِيِّ بْنِ سَبَأٍ الْأَصْغَرِ بْنِ كَعْبٍ - كَهْفِ الظُّلَمِ - بْنِ زَيْدِ بْنِ سَهْلِ بْنِ عَمْرِو بْنِ قَيْسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ جُشَمَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ وَائِلِ بْنِ الْغَوْثِ بْنِ قَطَنِ بْنِ عَرِيبِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ الْهَمَيْسَعِ بْنِ الْعَرَنْجَجِ وَالْعَرَنْجَجُ هُوَ حِمْيَرُ بْنُ سَبَأٍ الْأَكْبَرُ بْنُ يَعْرُبَ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ قَحْطَانَ. قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ: سَبَأُ بْنُ يَشْجُبُ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ قَحْطَانَ.
পৃষ্ঠা - ১২১৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَتُبَّانُ أَسْعَدَ أَبُو كَرِبٍ هُوَ الَّذِي قَدِمَ الْمَدِينَةَ، وَسَاقَ الْحَبْرَيْنِ مِنَ الْيَهُودِ إِلَى الْيَمَنِ، وَعَمَّرَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ، وَكَسَاهُ وَكَانَ مُلْكُهُ قَبْلَ مُلْكِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ وَكَانَ قَدْ جَعَلَ طَرِيقُهُ حِينَ رَجَعَ مِنْ غَزْوَةِ بِلَادِ الْمَشْرِقِ عَلَى الْمَدِينَةِ وَكَانَ قَدْ مَرَّ بِهَا فِي بُدَأَتِهِ فَلَمْ يُهِجْ أَهْلَهَا، وَخَلَّفَ بَيْنَ أَظْهُرِهِمُ ابْنًا لَهُ فَقُتِلَ غِيلَةً فَقَدِمَهَا وَهُوَ مُجْمِعٌ لِإِخْرَابِهَا، وَاسْتِئْصَالِ أَهْلِهَا، وَقَطْعِ نَخْلِهَا فَجَمَعَ لَهُ هَذَا الْحَيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَرَئِيسُهُمْ عَمْرُو بْنُ طَلَّةَ أَخُو بَنِي النَّجَّارِ، ثُمَّ أَحَدُ بَنِي عَمْرِو بْنِ مَبْذُولٍ، وَاسْمُ مَبْذُولٍ عَامِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، وَاسْمُ النَّجَّارِ تَيْمُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ عَمْرُو بْنُ طَلْحَةَ هُوَ عَمْرُو بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ، وَطَلَّةُ أُمُّهُ وَهِيَ بِنْتُ عَامِرِ بْنِ زُرَيْقٍ الْخَزْرَجِيَّةُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَدْ كَانَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ يُقَالَ لَهُ: أَحْمَرُ عَدَا عَلَى رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ تُبَّعٍ وَجَدَهُ يَجُدُّ عَذْقًا لَهُ فَضَرَبَهُ بِمِنْجَلِهِ فَقَتَلَهُ، وَقَالَ: إِنَّمَا التَّمْرُ لِمَنْ أَبَّرَهُ فَزَادَ ذَلِكَ تُبَّعًا حَنَقًا عَلَيْهِمْ فَاقْتَتَلُوا فَتَزْعُمُ
পৃষ্ঠা - ১২১৭
ষ্ষ্


গৃহের নিকট পৌছলে আপনারা আমাকে কী করতে পরামর্শ দিচ্ছেন? তারা বলল, আপনি তা-ই
করবেন যা ওখানকার লোকজন করে ৷ ঐ গৃহের তাওয়াফ করবেন, সেটির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা
নিবেদন করবেন ৷ সেখানে মাথা মুণ্ডন করবেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত
সেটির প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করতে থাকবেন ৷ তিনি বললেন, আপনারা তা করতে বাধা কোথায়?
তারা বলল, সেটি হল আমাদের পিতা ইবরাহীমের (আ) গৃহ ৷ এ গৃহ সেরুপই যা আমরা
আপনার নিকট বর্ণনা করেছি, কিণ্ডু ওখানকার লোকজন ঐ গৃহের আশে-পাশে প্রতিমা স্থাপন
করে এবং খুনাখুনি ও বক্তা ৷রক্তি করে আমাদের মাঝে এবং ঐংদু গৃদু হয় মাঝে অতরায় সৃষ্টি করে
ব্লেখেছে ৷ তারা শিরকবাদী, তারা অপৰিত্র ৷ তৃব্বা৩ তাদের উপদেশ উপলব্ধি করলেন এবং
তাদের কথায় সত্যতা অনুধাবন করলেন ৷ হুযায়ল গোত্রের কিছু লোক তার নিকটে এলে তিনি
তাদের হাত-পা কেটে দিলেন ৷ তারপর তিনি মক্কায় আসলেন ৷ বায়তৃল্লাহ শরীফের তাওয়াফ
করলেন, সেখানে পশু কুরবানী দিলেন, মাথা মুণ্ডন করলেন এবং মক্কায় ছয়দিন অবস্থান
করলেন ৷

কথিত আছে যে, এই সময়ে তিনি সেখানে পশু জবাই দিতেন এবং সেখানকার
লোকজনকে আখ্যায়িত করতেন এবং তাদেরকে মধু পান করাতেন ৷ তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে,
তিনি কাব৷ শরীফে গিলাফ চড়িয়ে দিচ্ছেন ৷ ফলে তিনি কাব৷ শরীফে মোটা কাপড়ের গিলাফ
চড়িয়ে দিলেন ৷ তারপর তিনি স্বপ্নে দেখলেন, যেন তিনি তার চেয়ে ভাল পিলাফ চড়ান, তখন
তিনি মুআফিরী বষ্কস্ত্র গিলাফ চড়ালেন ৷ আবার স্বপ্ন দেখলেন, যেন তার চাইতেও ভাল গিলাফ
চড়ান ৷ তখন তিনি মালা এবং নক্সাদার ইয়ামানী বঙ্গের গিলাফ্ চড়িয়ে দিলেন ৷ ঐতিহাসিকদের
ধারণা যে, তুব্বাই সর্বপ্রথম কাবা শরীফে গিলাফ চড়িয়ে ছিলেন ৷ তিনি জুরহুম গােত্রকে কাবা
শরীফের৩ তত্ত্বাবধান করা, সেটি পবিত্র রাখা, রক্ত, মৃত প্রাণী এবং ঋতৃস্রাবের বন্ত্রাদি থেকে
পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিলেন ৷ তিনি বা বা শরীফের একটি দরজা তৈরী করে তাতে
তালা-চাবির ব্যবস্থা করলেন ৷ তৃব্বার এ সকল খেদমত ও কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে
সুবাইআ ৰিনত আহাব তার পুত্র খালিদ ইবন আবদ মানাফ ইবঘুকবি ইবন কাব ইবন সাদ
ইবন তায়ম ইবন মুররা ইবন কাব ইবন লুআয় ইবন গালিব)-কে উপদেশ দিয়ে এবং মক্কায়
কোন প্রকারের সীমালংঘন ও বিদ্রোহ না করার নির্দেশ দিয়ে বলেহিল০ ং

১৷ ট্রুা

হে বৎস মক্কড়াতে ছোট-বড় কোন জুলুম বা পাপাচার করবে না ৷


)ষ্ত্নীধ্);
হে বৎস ! এর মর্যাদা রক্ষা করে৷ এবং এ ব্যাপারে কোন ধোকায় পড়াে না যেন ৷



এএফ্রাংা৷ ;,১বু, ট্রুা

হে বৎস, মক্কায় যে জন জুলুম করে, অকল্যাণ আর দৃর্তোগ তার জন্যে অবধারিত ৷




الْأَنْصَارُ أَنَّهُمْ كَانُوا يُقَاتِلُونَهُ بِالنَّهَارِ وَيُقْرُونَهُ بِاللَّيْلِ فَيُعْجِبُهُ ذَلِكَ مِنْهُمْ، وَيَقُولُ: وَاللَّهِ إِنَّ قَوْمَنَا لِكِرَامٌ، وَحَكَى ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الْأَنْصَارِ أَنَّ تُبَّعًا إِنَّمَا كَانَ حَنَقُهُ عَلَى الْيَهُودِ أَنَّهُمْ مَنَعُوهُمْ مِنْهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَيُقَالُ إِنَّهُ إِنَّمَا جَاءَ لِنُصْرَةِ الْأَنْصَارِ - أَبْنَاءِ عَمِّهِ - عَلَى الْيَهُودِ الَّذِينَ نَزَلُوا عِنْدَهُمْ فِي الْمَدِينَةِ عَلَى شُرُوطٍ فَلَمْ يَفُوا بِهَا، وَاسْتَطَالُوا عَلَيْهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَيْنَا تُبَّعُ عَلَى ذَلِكَ مِنْ قِتَالِهِمْ إِذْ جَاءَهُ حَبْرَانِ مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ عَالِمَانِ رَاسِخَانِ حِينَ سَمِعَا بِمَا يُرِيدُ مِنْ إِهْلَاكِ الْمَدِينَةِ وَأَهْلِهَا فَقَالُوا لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ لَا تَفْعَلْ فَإِنَّكَ إِنْ أَبَيْتَ إِلَّا مَا تُرِيدُ حِيَلَ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا، وَلَمْ نَأْمَنْ عَلَيْكَ عَاجِلَ الْعُقُوبَةِ فَقَالَ لَهُمَا: وَلِمَ ذَلِكَ؟ قَالَا: هِيَ مُهَاجَرُ نَبِيٍّ يَخْرُجُ مِنْ هَذَا الْحَرَمِ مِنْ قُرَيْشٍ فِي آخِرِ الزَّمَانِ تَكُونُ دَارَهُ وَقَرَارَهُ فَتَنَاهَى وَرَأَى أَنَّ لَهُمَا عِلْمًا، وَأَعْجَبَهُ مَا سَمِعَ مِنْهُمَا فَانْصَرَفَ عَنِ الْمَدِينَةِ، وَاتَّبَعَهُمَا عَلَى دِينِهِمَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ تُبَّعٌ وَقَوْمُهُ أَصْحَابَ أَوْثَانٍ يَعْبُدُونَهَا فَتَوَجَّهَ إِلَى مَكَّةَ، وَهِيَ طَرِيقُهُ إِلَى الْيَمَنِ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ عُسْفَانَ وَأَمَجٍ، أَتَاهُ نَفَرٌ مِنْ هُذَيْلِ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১২১৮
ষ্ষ্


হে বৎস ! মুখে আর গালে জানান্নামের আগুন আঘাত করবে

) ৩ ; শ্ ; : ; শ্ এ

হে বৎস ৷ আমার অভিজ্ঞতা যে , এখানে জুলুমকারী সুনািশ্চতভাবেই ধ্বংস হয় ৷

) :

এস্পে
আল্লাহ তা আলাই তার এবং তার প্রাঙ্গণস্থ দালা ৷ন কো ৷ঠার হেফাজতকারী ৷

া,
আল্লাহই এর পাখীগুলো এবং শ্বেত হরিণকে ছাবীর পর্বতে নিরড়াপদে রাখেন ৷
ঞা,
তুব্বা যুদ্ধ করতে আসল এবং কা বা গৃহে গিলাফ চড়ান ৷
র্দু১া,
আল্লাহ তাআলা তাকে থামিয়ে দেন তিনি তার মানত বুম্নো করেনা


তিনি নগ্ন পারে তার দিকে হেটে আসেন ৷ এবং তার প্রাঙ্গণে হাজারো উট কুরবানী
করেন ৷

ছোট বড় উটের গোশতের দ্বারা তিনি মক্কবাসীদের আখ্যায়িত করেন ৷

তিনি তাদেরকে খাটি মধু পান করান এবং৩ ভ ল রুটি আহার করান ৷

; ণ্ ৩ ) ণ্ )

া,
তাতে হাতী বাহিনী ধ্বংস হয়, তাদের প্রতি পাথর বর্ষিত হয় ৷

০ ’ :

া,
তার (আল্লাহর) কর্তৃতু সর্বস্থানে, আরবে আর অনারবে ৷



যখন কিছু বলা হয়, তখন তুমি তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং ভালভাবে বুঝে নিয়ে যে
শেষ পরিণতি কেমন হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন অতঃপর তৃব্বা তার সৈন্য সামন্ত ও ইহুদী ধর্ম যাজকদ্বয়কে সাথে নিয়ে
স্বদেশ ইয়ামানের দিকে যাত্রা করলেন ৷ সেখানে পৌছে তার সম্প্রদায়কে৩ তিনি তার নবদীক্ষিত
ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানালেন ৷ ইয়ামানে অবস্থিত বিশেষ অগ্নিকুণ্ডের মাধ্যমে ফয়সালা না
হওয়া ৷ব্যভীত৩ ৷ ৷রা নতুন ধর্ম গ্রহণে অস্বীকৃতিন জান ৷য় ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২য় খণ্ড) : ১-

نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ فَقَالُوا لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ أَلَا نَدُلُّكَ عَلَى بَيْتِ مَالٍ دَاثِرٍ أَغْفَلَتْهُ الْمُلُوكُ قَبْلَكَ فِيهِ اللُّؤْلُؤُ وَالزَّبَرْجَدُ وَالْيَاقُوتُ وَالذَّهَبُ وَالْفِضَّةُ؟ قَالَ: بَلَى قَالُوا بَيْتٌ بِمَكَّةَ ; يَعْبُدُهُ أَهْلُهُ وَيُصَلُّونَ عِنْدَهُ، وَإِنَّمَا أَرَادَ الْهُذَلِيُّونَ هَلَاكَهُ بِذَلِكَ لَمَّا عَرَفُوا مِنْ هَلَاكِ مَنْ أَرَادَهُ مِنَ الْمُلُوكِ وَبَغَا عِنْدَهُ فَلَمَّا أَجْمَعَ لِمَا قَالُوا أَرْسَلَ إِلَى الْحَبْرَيْنِ فَسَأَلَهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَا لَهُ مَا أَرَادَ الْقَوْمُ إِلَّا هَلَاكَكَ، وَهَلَاكَ جُنْدَكَ مَا نَعْلَمُ بَيْتًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَهُ فِي الْأَرْضِ لِنَفْسِهِ غَيْرَهُ، وَلَئِنْ فَعَلْتَ مَا دَعَوْكَ إِلَيْهِ لَتَهْلِكَنَّ، وَلَيَهْلِكَنَّ مَنْ مَعَكَ جَمِيعًا فَمَاذَا تَأْمُرَانِنِي أَنْ أَصْنَعَ إِذَا أَنَا قَدِمْتُ عَلَيْهِ؟ قَالَا: تَصْنَعُ عِنْدَهُ مَا يَصْنَعُ أَهْلُهُ تَطُوفُ بِهِ وَتُعَظِّمُهُ وَتُكْرِمُهُ، وَتَحْلِقُ رَأْسَكَ عِنْدَهُ، وَتَذِلُّ لَهُ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ: فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْتُمَا مِنْ ذَلِكَ؟ قَالَا: أَمَا وَاللَّهِ إِنَّهُ لَبَيْتُ أَبِينَا ابْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَإِنَّهُ لَكَمَا أَخْبَرْنَاكَ، وَلَكِنَّ أَهْلَهُ حَالُوا بَيْنَنَا، وَبَيْنَهُ بِالْأَوْثَانِ الَّتِي نَصَبُوهَا حَوْلَهُ، وَبِالدِّمَاءِ الَّتِي يُهْرِيقُونَ عِنْدَهُ، وَهُمْ نَجَسٌ أَهْلُ شِرْكٍ أَوْ كَمَا قَالَا لَهُ فَعَرَفَ نُصْحَهُمَا وَصِدْقَ حَدِيثِهِمَا، وَقَرَّبَ النَّفَرَ مِنْ هُذَيْلٍ فَقَطَعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، ثُمَّ مَضَى حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَنَحَرَ عِنْدَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ، وَأَقَامَ بِمَكَّةَ سِتَّةَ أَيَّامٍ فِيمَا يَذْكُرُونَ يَنْحَرُ بِهَا لِلنَّاسِ، وَيُطْعِمُ أَهْلَهَا، وَيَسْقِيَهُمُ الْعَسَلَ، وَأُرِيَ فِي الْمَنَامِ أَنْ يَكْسُوَ الْبَيْتَ فَكَسَاهُ الْخَصَفَ، ثُمَّ أُرِيَ فِي الْمَنَامِ أَنْ يَكْسُوَهُ أَحْسَنَ مِنْ ذَلِكَ فَكَسَاهُ الْمَعَافِرَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১২১৯
أُرِيَ أَنْ يَكْسُوَهُ أَحْسَنَ مِنْ ذَلِكَ فَكَسَاهُ الْمُلَاءَ وَالْوَصَائِلَ فَكَانَ تُبَّعٌ فِيمَا يَزْعُمُونَ أَوَّلَ مَنْ كَسَا الْبَيْتَ، وَأَوْصَى بِهِ وُلَاتَهُ مِنْ جُرْهُمٍ وَأَمَرَهُمْ بِتَطْهِيرِهِ، وَأَنْ لَا يُقَرِّبُوهُ دَمًا وَلَا مَيْتَةً وَلَا مِئْلَاةً وَهِيَ الْمَحَايِضُ، وَجَعَلَ لَهُ بَابًا، وَمِفْتَاحًا فَفِي ذَلِكَ قَالَتْ سُبَيْعَةُ بِنْتُ الْأَحَبِّ - تُذَكِّرُ ابْنَهَا خَالِدَ بْنَ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ، وَتَنْهَاهُ عَنِ الْبَغْيِ بِمَكَّةَ، وَتَذْكُرُ لَهُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ تُبَّعٍ فِيهَا -: أَبُنَيَّ لَا تَظْلِمْ بِمَكَّةَ لَا الصَّغِيرَ وَلَا الْكَبِيرْ وَاحْفَظْ مَحَارِمَهَا بُنَيَّ وَلَا يَغُرَّنَّكَ الْغَرُورْ أَبُنَيَّ مَنْ يَظْلِمْ بِمَكَّةَ يَلْقَ أَطْرَافَ الشُّرُورْ أَبُنَيَّ يُضْرَبُ وَجْهُهُ وَيَلُحْ بِخَدَّيْهِ السَّعِيرْ أَبُنَيَّ قَدْ جَرَّبْتُهَا فَوَجَدْتُ ظَالِمَهَا يَبُورْ اللَّهُ أَمَّنَهَا وَمَا بُنِيَتْ بِعَرْصَتِهَا قُصُورْ وَاللَّهُ أَمَّنَ طَيْرَهَا وَالْعُصْمُ تَأْمَنُ فِي ثَبِيرْ وَلَقَدْ غَزَاهَا تُبَّعٌ فَكَسَا بُنَيَّتَهَا الْحَبِيرْ وَأَذَلَّ رَبِّي مُلْكَهُ فِيهَا فَأَوْفَى بِالنُّذُورْ
পৃষ্ঠা - ১২২০
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বলেন, আবু মালিক ইবন ছালাবা ইবন আবী মালিক কুরাযী আমার নিকট
বর্ণনা করে বলেছেন যে, আমি ইবরা হীম ইবন মুহা ম্মদ ইবন৩ তালহা ইবন উবাইদৃল্লাহকে বলতে
শুনেছি যে,াদেশাপ্রত্যাবর্তনকালে তুব্বা যখন ইয়ামানের কাকাছি খ্ পীছলেন এবং ইয়ামানে
প্রবেশ করতে যাবেন তখন হিমইয়ারী গোত্রের লোকজন তাকে বাধা দিল এবং বলল, আপনি
এদেশে প্রবেশ করবেন না, আপনি আমাদের ধর্ম ত্যাগ করেছেনা তিনি তাদেরকে তার
নবদীক্ষিত ধর্মের দাওয়াত দিয়ে বললেন, এটি তোমাদের ধর্ম অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ধর্ম ৷ তারা বলল,
আমরা অগ্নিকুণ্ডের মাধ্যমে ফয়সালা করব ৷ তিনি বললেন হীা, তাই হোক ৷

ইয়ামানবাসীদেরা ধারণা যে, তাদের একটি অগ্নিকুণ্ড রয়েছো বিরে ধ্পুর্ণ বিষয়গুলোতে এই
অগ্নিকুগু তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয় ৷ অ৩াচারী টেনে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে আর
অত্যাচারিতে র কোন ক্ষতি করে না৷ লোকজন তাদের দেব দেবী এবং ধর্মমত অনুযায়ী
সুপারিশযোগ্য বন্তুগুলাে নিয়ে বের হল ৷ আর ধর্মযাজক দু’জন ন্ন্ালায় কিতাব ঝুলিয়ে রওয়ানা
হলেনা সেখান থেকে আগুন বের হচ্ছিল সেখানে গিয়ে সবাই যন্ণ্;ল, আগুন বেরিয়ে এলে
ইয়ামানবাসীদের দিকে যখন এগিয়ে আসতে লাগল, তখন তারা অন্যদিকে ভয়ে সরে যেতে
লাগল, উপস্থিত লোকজন তাদেরকে ধমক দেয়ায় এবং স্থির থাকতে নির্দেশ দেয়ায় তারা স্থির
থাকল ৷ অবশেষে আগুন এসে তাদেরকে ঢেকে ফেলল এবং তাদের দেব-দেবী এবং এতগুলো
বহনকারী হিমইয়ারী লোকজন সবাইকে গ্রাস করে ফেলল ৷ ধর্মযাজক দু’জন গলায় কিতাবসহ
াভাবিকভাবে বেরিয়ে আসলেনা তাদের কপালে ঘাম দেখা দিয়েছিল ৷ আগুন তাদের কোন
ক্ষতি করলো না, তখন হিমইয়ারী দৃঢ়ভাবে যাজকদ্বয়ের ধর্ম গ্রহণ করল ৷ তখন থেকে ইয়ামানে
ইহুদী ধর্মের সুচনা হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, র্জ্যনক শাস্ত্রবিশারদ আমাকে বলেছেন যে, যাজকদ্বয় এবং
হিমইয়ারীগণ আগুনকে তার উৎসন্থলে ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে আগুনের পেছনে-পেছনে ছুটলেনা
তারা বলেছিলেন যে, যে পক্ষ আগুনকে ফিরিয়ে দিতে পারবে সে পক্ষই সত্যপন্থীা হিমইয়াবর
লোকজন তাদের প্রতিমাসমুহ নিয়ে আগুনের নিকট এগিয়ে গেল তাদেরকে গ্রাস করার জন্যা
আগুন তাদের নিকট এগিয়ে এলত তারা পালিয়ে যেতে চ ইলা আগুনকে ফিরিয়ে দিতে পারল
না অতঃপর যাজকদ্বয় আগুনের নিকটবর্তী হলেনা৩ তারা অবিরাম তাওরাত পাঠ করছিলেন
আর আগুন ক্রমে ক্রমে তাদের থেকে দুরে সরে যাচ্ছিল ৷ শেষ পর্যন্ত আগুন যেখান থেকে উঠে
এসেছিল তারা তাকে সেখানেই ফিরিয়ে দিলেন ৷ তখন হিমইয়ারীগণ তাদের ধর্মে আস্থাশীল
হলা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাছাম নামে তাদের একটি উপাসনালয় ছিল ৷ তারা সেটিকে ভক্তি
করত ৷ সেখানে পশু কােরবানী করতো ঐ গৃহের মধ্যে কথাবার্তা বলত ৷ তখন তারা মুশরিক
ছিল ৷ যাজকদ্বয় তুব্বাকে বললেন, শয়তান এটি দ্বারা তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করছে ৷
আমাদেরকে অনুমতি দিন আমরা একটু দেখিা তুব্বা বললেন, আপনারা যা ইচ্ছা করুন ৷
ইয়ামানীদের ধারণা, তারা ঐ গৃহ থেকে একটি কালো কুকুর বের করে আগে এবং সেটি জবাই


يَمْشِي إِلَيْهَا حَافِيًا بِفِنَائِهَا أَلْفَا بَعِيرْ وَيَظَلُّ يُطْعِمُ أَهْلَهَا لْحَمَ الْمَهَارَى وَالْجَزُورْ يَسْقِيهُمُ الْعَسَلَ الْمُصَفَّى وَالرَّحِيضَ مِنَ الشَّعِيرْ وَالْفِيلُ أُهْلِكَ جَيْشُهُ يُرْمَوْنَ فِيهَا بِالصُّخُورْ وَالْمُلْكُ فِي أَقْصَى الْبِلَادِ وَفِي الْأَعَاجِمِ وَالْخَزِيرْ فَاسْمَعْ إِذَا حُدِّثْتَ وَافْهَمْ كَيْفَ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ تُبَّعٌ مُتَوَجِّهًا إِلَى الْيَمَنِ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ جُنُودِهِ، وَبِالْحَبْرَيْنِ حَتَّى إِذَا دَخَلَ الْيَمَنَ دَعَا قَوْمَهُ إِلَى الدُّخُولِ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ فَأَبَوْا عَلَيْهِ حَتَّى يُحَاكِمُوهُ إِلَى النَّارِ الَّتِي كَانَتْ بِالْيَمَنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي أَبُو مَالِكِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ أَنَّ تُبَّعًا لَمَّا دَنَا مِنَ الْيَمَنِ لِيَدْخُلَهَا حَالَتْ حِمْيَرُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ذَلِكَ، وَقَالُوا: لَا تَدْخُلْهَا عَلَيْنَا، وَقَدْ فَارَقْتَ دِينَنَا فَدَعَاهُمْ إِلَى دِينِهِ، وَقَالَ: إِنَّهُ خَيْرٌ مِنْ دِينِكُمْ قَالُوا: فَحَاكِمْنَا إِلَى النَّارِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: وَكَانَتْ بِالْيَمَنِ فِيمَا يَزْعُمُ أَهْلُ الْيَمَنِ نَارٌ تَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِيمَا يَخْتَلِفُونَ فِيهِ تَأْكُلُ الظَّالِمَ وَلَا تَضُرُّ الْمَظْلُومَ فَخَرَجَ قَوْمُهُ بِأَوْثَانِهِمْ وَمَا يَتَقَرَّبُونَ بِهِ فِي
পৃষ্ঠা - ১২২১
ষ্ষ্


করে দেয় ৷ তারপর উক্ত ঘর ভেঙ্গে ফেলে ৷ আমার জানা মতে, ঐ গৃহের পাশে বলিদানের রক্ত
চিহ্ন তখনও তার স্মৃতি বহন করছে ৷

নবী কৰীম (সা) থেকে বর্ণিতঃ ণ্াঠু ৷দ্বু ৰুাট্রুদ্ব৷ হুট্রু£ ৮ প্রুছু: ১৷ তােমরা তুব্বাকে
পালি দিও না, কারণ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ এ ভ্রচাফসীরগ্নন্থে এ হাদীসটির ব্যাখ্যার
আমরা উল্লেখ করেছি যে, সুহায়লী বলেছেন, বর্ণনাকা রী না যায় হ ম্মাম ইবন মুনাব্বিহ থেকে
এবং তিনি হযরত আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলাল্লাহ (সা ) বলেছেন :
৷ টুছুঠু;পুব্লুা
তোমরা আসআদ হিমইয়ারীকে পালি দিও না ৷ কারণ, তিনি সর্বপ্রথম কাব৷ শরীফে গিলাফ
চড়ান ৷

সুহায়লী বলেন, যাজকদ্বয় যখন তুব্বাকে রাসুলুল্লাহ (সা) সম্পর্কে অবহিত করলেন, তখন
তিনি কবিতার ছন্দে বলেন :

১১ড্রু,হু৷ ৷
সাক্ষ্য দিচ্ছি আমি আসআদ-সৃষ্টিকর্তার রাসুল আহমদ (সা )

শ্ , ষ্

৩৩দিন যদি বেচে থা ৷কতাম, তার উজীর ও না ৷থী হতাম ৷
ণ্ট্রু১ ট্রুাৰু
তরবারী দিয়ে শায়েস্তা করতাম, যতই হতো শত্রু তার
দুর করতাম দুঃখ যত জন্ম নিত বক্ষে তার ৷

বর্ণনাকাবী বলেন, বংশানুক্রমে এ কবিতা আনসারদের মধ্যে সুরক্ষিত ছিল ৷ তারা যতু
সহকারে এটি সংরক্ষণ করতেন ৷ সর্বশেষ প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু আইয়ুব আনসারী
(রা)-এর নিকট এটি সংরক্ষিত ছিল ৷

সুহায়লী বলেন, ইবন আবিদ দুনিয়া র্তার কিতাবুল কুবুরে উল্লেখ করেছেন যে, সানাআ
অঞ্চলে একটি কবর খননের পর তাতে দু’জন মহিলার লাশ পাওয়া যায় ৷৩ তাদের সাথে ছিল
একখণ্ড বৌপ্যলিপি ৷৩ তাতে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত ছিল এ হল তুব্বার দুই কন্যা লামীস ও হিব্বার
কবর ৷ তারা সাক্ষ্য দিত যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনি একক তার কোন
শরীক নেই, এ বিশ্বাস সহকারে তাদের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাদের পুর্ববর্তী নেককার লেড়াকগণ এ
বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৷

অতঃপর রাজতু এল তুব্বান আসআদের পুত্র হাস্সানের হাতে ৷ তিনি ছিলেন ইয়ামামা-ই
যুরাকা-এর ভাই ৷ জাও নগরীর প্রবেশ পথে ইয়ামামাকে শুলিতে চড়ানাে হয়েছিল ৷ সেদিন
থেকে শহরটির নাম পড়ে যায় আল-ইয়ামামা ৷


دِينِهِمْ، وَخَرَجَ الْحَبْرَانِ بِمَصَاحِفِهِمَا فِي أَعْنَاقِهِمَا مُتَقَلِّدِيهَا حَتَّى قَعَدُوا لِلنَّارِ عِنْدَ مَخْرَجِهَا الَّذِي تَخْرُجُ مِنْهُ فَخَرَجَتِ النَّارُ إِلَيْهِمْ فَلَمَّا أَقْبَلَتْ نَحْوَهُمْ حَادُوا عَنْهَا وَهَابُوهَا فَذَمَرَهُمْ مَنْ حَضَرَهُمْ مِنَ النَّاسِ، وَأَمَرُوهُمْ بِالصَّبْرِ لَهَا فَصَبَرُوا حَتَّى غَشِيَتْهُمْ فَأَكَلَتِ الْأَوْثَانَ وَمَا قَرَّبُوا مَعَهَا، وَمَنْ حَمَلَ ذَلِكَ مِنْ رِجَالِ حِمْيَرَ، وَخَرَجَ الْحَبْرَانِ بِمَصَاحِفِهِمَا فِي أَعْنَاقِهِمَا تَعْرَقُ جِبَاهُهُمَا وَلَمْ تَضُرَّهُمَا فَأَصْفَقَتْ عِنْدَ ذَلِكَ حِمْيَرُ عَلَى دِينِهِ فَمِنْ هُنَالِكَ وَعَنْ ذَلِكَ كَانَ أَصْلُ الْيَهُودِيَّةِ بِالْيَمَنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي مُحَدِّثٌ أَنَّ الْحَبْرَيْنِ، وَمَنْ خَرَجَ مِنْ حِمْيَرَ إِنَّمَا اتَّبَعُوا النَّارَ لِيَرُدُّوهَا، وَقَالُوا: مَنْ رَدَّهَا فَهُوَ أَوْلَى بِالْحَقِّ فَدَنَا مِنْهَا رِجَالُ حِمْيَرَ بِأَوْثَانِهِمْ لِيَرُدُّوهَا فَدَنَتْ مِنْهُمْ لِتَأْكُلَهُمْ فَحَادُوا عَنْهَا، وَلَمْ يَسْتَطِيعُوا رَدَّهَا، وَدَنَا مِنْهَا الْحَبْرَانِ بَعْدَ ذَلِكَ، وَجَعَلَا يَتْلُوَانِ التَّوْرَاةَ، وَتَنْكِصُ عَنْهُمَا حَتَّى رَدَّاهَا إِلَى مَخْرَجِهَا الَّذِي خَرَجَتْ مِنْهُ فَأَصْفَقَتْ عِنْدَ ذَلِكَ حِمْيَرُ عَلَى دِينِهِمَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رِئَامٌ بَيْتًا لَهُمْ يُعَظِّمُونَهُ، وَيَنْحَرُونَ عِنْدَهُ،
পৃষ্ঠা - ১২২২
وَيُكَلَّمُونَ فِيهِ إِذْ كَانُوا عَلَى شِرْكِهِمْ. فَقَالَ الْحَبْرَانِ لِتُّبَّعٍ: إِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ يَفْتِنُهُمْ بِذَلِكَ فَخَلِّ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ قَالَ: فَشَأْنُكُمَا بِهِ. فَاسْتَخْرَجَا مِنْهُ فِيمَا يَزْعُمُ أَهْلُ الْيَمَنِ كَلْبًا أَسْوَدَ فَذَبَحَاهُ، ثُمَّ هَدَمَا ذَلِكَ الْبَيْتَ فَبَقَايَاهُ الْيَوْمَ كَمَا ذُكِرَ لِي بِهَا آثَارُ الدِّمَاءِ الَّتِي كَانَتْ تُهْرَاقُ عَلَيْهِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " الْحَدِيثَ الَّذِي وَرَدَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ( «لَا تَسُبُّوا تُبَّعًا فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ أَسْلَمَ» . «. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَرَوَى مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:» لَا تَسُبُّوا أَسْعَدَ الْحِمْيَرِيَّ فَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ كَسَا الْكَعْبَةَ «.» . قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقَدْ قَالَ تُّبَّعٌ حِينَ أَخْبَرَهُ الْحَبْرَانِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِعْرًا: شَهِدْتُ عَلَى أَحْمَدَ أَنَّهُ رَسُولٌ مِنَ اللَّهِ بَارِي النَّسَمْ فَلَوْ مُدَّ عُمْرِي إِلَى عُمْرِهِ لَكُنْتُ وَزِيرًا لَهُ وَابْنَ عَمْ وَجَاهَدْتُ بِالسَّيْفِ أَعْدَاءَهُ وَفَرَّجْتُ عَنْ صَدْرِهِ كُلَّ هَمْ قَالَ: وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الشِّعْرُ تَتَوَارَثُهُ الْأَنْصَارُ وَيَحْفَظُونَهُ بَيْنَهُمْ وَكَانَ عِنْدَ أَبِي
পৃষ্ঠা - ১২২৩
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বলেন, আবু করার তুব্বান আসআদের পুত্র হাসসান সিংহাসনে বসে
ইয়ামানের অধিবাসীদেরকে নিয়ে আরব ও অনারব ভুমি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ ইরাক
পৌছে হিমইয়ার ও ইয়ামানের কতক গোত্র তার সাথে যেতে তন্সেম্মতি জানায় ৷ তারা স্বদেশে
নিজেদের পরিবারের নিকট ফিরে যেতে চাইল ৷ আমর নামে তার এক ভাইয়ের নিকট তার
নিজেদের ইচ্ছা জন ল ৷ সে কাফেলার সাথে ছিল ৷ তারা আমরকে বলল, আপনি আপনার ভাই
হাস্সানকে হত্যা করুন তাহলে আমরা আপনাকে রাজা বানাব ৷ আপনি আমাদেরকে নিয়ে
স্বদেশে ফিরে যাবেন ৷ সে তাদের আহবানে সাড়া দিল ৷ য়ু-রুআইন জনৈক হিমইয়াবী ছাড়া
তারা সবাই এ ষড়যম্ভে একমত হল ৷ সে য়ু-রুআইন আমরকে অপকর্মে বাধা দিয়েছিল যে তা
শোনেনি ৷ তখন সে আমরের উদ্দেশ্যে একটি চিরকুট লিখল ৷ তাতে নিম্নোক্ত পংক্তি দুটো
লিখিত ছিল ৷

০ শ্ শ্ : × :

চিদ্রা দিয়ে বিনিদ্র৷ কিনে কো নজন; ভ ৷স্বা৷বান সেইজন প্ৰশান্ত রজনী যে করে যাপন ৷
করেছে হিমইয়ারী গোত্র বিশ্বাসভঙ্গ ও পাদ্দারী
প্রকাশ করে ঘু-রুআঈন তার ব্যক্তিগত রেজারী ৷

তারপর চিরকুটটি সে আমরের নিকট জমা রাখল ৷ আপন ভাই হাসৃসানকে হত্যা করে
আমর দেশে ফেরার পর থেকে তার আর ঘুম হয় না ৷ রাতের পর রাত সে বিনিদ্র রজনী যাপন
করতে থাকে ৷ ডাক্তার, কবিরাজ, জোাতিষী-গণক এবং রেখাবিশেষজ্ঞদের নিকট যে এর কারণ
জানতে চাইল ৷ তাকে বলা হল যে, আল্লাহর কলম, কেউ যদি তার ভাই কিৎব৷ কোন ঘনিষ্ঠ
আত্মীয়কে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, তবে তা যে ঘুম হারাম হয়ে যায় এবং অনিদ্র৷ তার নিত্য সাথী
হয় ৷ যারা আমরকে ভ্রাতৃ হত্যার ইন্ধন যুপিয়েছিল, এবার সে একে একে তাদেরকে হত্যা
করতে শুরু করলো ৷ য়ু-রুআইনের পালা আসলে সে বলল, আপনার কাছে আমার একটি
মুক্তিসনদ আছে ৷ আমর বলল সেটি কি? য়ু রুআইন বলল, আপনাকে আমি যে চিরকুটটি
দিয়েছিলাম তা ৷ সে চিরকুটটি বের করল ৷ খুলে দেখল তাতে উক্ত পংক্তি লিখিত রয়েছে ৷
তখন সে য়ু-রুআইনকে মুক্তি দিল এবং আমর উপলব্ধি করতে পারল যে, য়ু-রুআইন তাকে
যথার্থ উপদেশ দিয়েছিল ৷ অবশেষে আমরের মৃত্যু হয় এবং হিমইয়ারীদের মধ্যে অনৈক্য১ ,
বিশৃত্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হয়ে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷

লাখনীআ হ ঘুশানাতির এর ইয়ামান আএ মণ

উপরোক্ত রাজা ২৭ বছর সেখানে রাজতৃ করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এরপর হিমইয়ার
গোত্রের এক ব্যক্তি ইয়ামানীদের উপর আক্রমণ চালায় ৷ সে মুলত রাজবংশীয় ছিলেন তার নাম
ছিল লাখনী আহ ইয়ানুফযু শানাতির ৷ ইয়ামড়ানের সন্ত্রাস্ত সােকদেরকে সে হত্যা করে এবং রাজ
পরিবারের অন্তঃপুরবাসীদেরকে নিয়ে রস কৌতুক করে ৷ তার সাথে ছিল একজন অসৎ লোক ৷


أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَرْضَاهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا فِي كِتَابِ " الْقُبُورِ " أَنَّ قَبْرًا حُفِرَ بِصَنْعَاءَ فَوُجِدَ فِيهِ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا لَوْحٌ مِنْ فِضَّةٍ مَكْتُوبٌ بِالذَّهَبِ، وَفِيهِ: هَذَا قَبْرُ لَمِيسٍ وَحُبَّى ابْنَتَيْ تُبَّعٍ، مَاتَا وَهُمَا تَشْهَدَانِ أَنْ لَا الَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَعَلَى ذَلِكَ مَاتَ الصَّالِحُونَ قَبْلَهُمَا. ثُمَّ صَارَ الْمُلْكُ فِيمَا بَعْدُ إِلَى حَسَّانَ بْنِ تُبَّانِ أَسْعَدَ ; وَهُوَ أَخُو الْيَمَامَةِ الزَّرْقَاءِ الَّتِي صُلِبَتْ عَلَى بَابِ مَدِينَةِ جَوٍّ فَسُمِّيَتْ مِنْ يَوْمِئِذٍ الْيَمَامَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا مَلَكَ ابْنُهُ حَسَّانُ بْنُ أَبِي كَرِبٍ تُبَّانُ أَسْعَدَ سَارَ بِأَهْلِ الْيَمَنِ يُرِيدُ أَنْ يَطَأَ بِهِمْ أَرْضَ الْعَرَبِ وَأَرْضَ الْأَعَاجِمِ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ أَرْضِ الْعِرَاقِ كَرِهَتْ حِمْيَرُ، وَقَبَائِلُ الْيَمَنِ السَّيْرَ مَعَهُ، وَأَرَادُوا الرَّجْعَةَ إِلَى بِلَادِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ فَكَلَّمُوا أَخًا لَهُ يُقَالَ لَهُ: عَمْرٌو - وَكَانَ مَعَهُ فِي جَيْشِهِ - فَقَالُوا لَهُ: اقْتُلْ أَخَاكَ حَسَّانَ، وَنُمَلِّكُكَ عَلَيْنَا وَتَرْجِعُ بِنَا إِلَى بِلَادِنَا فَأَجَابَهُمْ فَاجْتَمَعُوا عَلَى ذَلِكَ إِلَّا ذَا رُعَيْنٍ الْحِمْيَرِيُّ فَإِنَّهُ نَهَى عَمْرًا عَنْ ذَلِكَ فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ فَكَتَبَ ذُو رُعَيْنٍ رُقْعَةً فِيهَا هَذَانَ الْبَيْتَانِ أَلَا مَنْ يَشْتَرِي سَهَرًا بِنَوْمٍ سَعِيدٌ مَنْ يَبِيتُ قَرِيرَ عَيْنِ فَأَمَّا حِمْيَرٌ غَدَرَتْ وَخَانَتْ فَمَعْذِرَةُ الْإِلَهِ لِذِي رُعَيْنِ
পৃষ্ঠা - ১২২৪
ষ্ষ্


সে ছিল লুত সম্প্রদায়ের অপকর্য সমকামি৩ ৷য় অভ্যস্ত ৷ সে রাজ পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্ক
বালকদেরকে তুলে আনতে নির্দেশ দিত ৷ পরে ঐ ছেলেকে নিষ্কে ঘৃণিত সমকামিতা ৷সস্পাদনের
জন্যে নির্মিত একটি কক্ষে গিয়ে৩ তার অসদৃদ্দেশ্য চবি৩ ৷র্থ কর৩ ৷ যাতে রাজ পরিবারের কেউ
পরবত্মীত রাজা হতে না পারে ৷ অপকর্য €শ্ ৷ষে নিজের মুখে একটি দা তন গুজে দিয়ে সে তার
প্রহরী ও উপস্থিত সৈন্যদের দিকে তাকিয়ে দেখত, তখন ত ৷য়৷ বুঝে নিত যে, সে তার অপকর্য
শেষ করেছে ৷ শেষ পর্যন্ত যে লোক পাঠায় হাসৃসানের ভাই যুরআ ঘুনুওয়াস ইবন তুব্বান
আসআদকে ধরে নিতে ৷ তার ভাই হাসৃসান যখন নিহত হয় তখন সে ছিল ছোট্ট শিশু
পরবর্তীতে সে সুদর্শন, রুপবান ও ব্যক্তিতু সম্পন্ন যুবক হিসেবে বেড়ে উঠে ৷ পাপাচারী
লোকটির প্রতিনিধিকে দেখে যে ঐ ব্যক্তির কুমতলব আচ করতে পারে ৷ সে তখন পাতলা,
নতুন ও সুতীক্ষ্ণ একটি ছবি তার দু’পায়ের মাঝখানে জুভোর ভেতর লুকিয়ে রাখে এবং
পাপাচারীর নিকট উপস্থিত হয় ৷ এক সময় উভয়ে নিজন কক্ষে পৌছায় পর সে যুনুওয়াসকে
সাপটে ধরে ৷ সাথে সাথে যু নুওয়৷ স৩ তার লুকিয়ে রাখা ছবি নিয়ে তার উপর বাপিয়ে পড়ে এবং
আঘাতে আঘাতে তাকে হত্যা করে ৷ তারপর তার মাথা ণ্কটে ;নয়ে সেই বাতায়নে রাখে যেখান
দিয়ে সে বাহিরে তাকাত ৷ তার মুখের মধ্যে পুজে দেয় তার র্দাতন ৷ অতঃপর লোকজনের
নিকট বেরিয়ে আসে ৷

লোকজন বলল, হে যু নুওয়াস, ব্যাপার কি? তাজা না শুকনো; সে বলে ওকে জিজ্ঞেস
কর, কোন অসুবিধা ৷নেই ৷ তখন৩ ৷রা ঐ বাতায়নের দিকে ত কায তারা লাখনী আহ্ এর
কর্তিত মুণ্ড দেখতে পায় ৷ এরপর য়ু-নুওয়াসের খোজে তারা বের হয় ৷ শেষে তারা তাকে খুজে
পড়ায় ৷ য়ু-নুওয়াসকে আর বরুল আপনিই আমাদের রাজা হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি ৷ আপনিই সক্ষম
হয়েছেন আমাদেরকে এই ঘৃণ্য ব্যক্তি কবল থেকে উদ্ধার করতে ৷

তঃপর য়ু নুওয়াস তাদের রাজা হন ৷ হিমাইয়ারীদের সকল লোক এবং ইয়ামানী সকল

গোত্রঅ তার নেতৃত্ব মেনে নেয় ৷ সে সর্বশেষ হিমইয়৷ রী রাজা ৷৩ তাকে ইউসুফ নামে অতি ত করা

হয় ৷ দীর্ঘক ল তিনি ওখানে রাজতৃ করেন ৷ হযরত ঈসা (আ ) এর দীন অনুসারী আসমানী

কিতাব ইঞ্জিল আমলকারী ক৩ ক লোক তখন নাজরানে বসবাস করছিল ৷ তাদের জনৈক
ধর্মগুরু ছিল ৷ তার নাম আব্দুল্লাহ ইবন ছামুর ৷

অতঃপর ইবন ইসহাক (র) নাজরানবাসীগণ কিভাবে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করল, তার বর্ণনা
দেন ৷ তারা “ফাইমিউন নামের জনৈক খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী লোকের হাতে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করে ৷
তিনি একজন নিষ্ঠাবান ইবাদতকারী লোক ছিলেন ৷ সিরিয়ার কোন এক এলাকায় ছিল তার
আস্তানা ৷ তার দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হত ৷ সালিহ নামে এক লোক তার সাথী হয় ৷ রবিবারে
দু ’জনে ইৰাদতে মশগুল থাকতেন ৷ সপ্তা ৷হের অবশিষ্ট দিনগুলোতে ফাইমিউন নিজ ঘরের মধ্যে
আমল করতেন ৷ রোপী ও বিপদগ্রস্ত লোকদের জন্যে তিনি দোয়া করতেন ৷ তার দােয়ার
বরকতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সুস্থ ও বিপদ মুক্ত হত ৷

একদিন এক বেদুইন তাদের দু’জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় এবং নাজরান প্রদেশে নিয়ে
তাদেরকে বিক্রি করে দেয় ৷ যে ব্যক্তি ফাইমিউনকে খরিদ করেছিল যে লক্ষ্য করে যে


ثُمَّ اسْتَوْدَعَهَا عَمْرًا فَلَمَّا قَتَلَ عَمْرٌو أَخَاهُ حَسَّانَ، وَرَجَعَ إِلَى الْيَمَنِ مُنِعَ مِنْهُ النَّوْمُ، وَسُلِّطَ عَلَيْهِ السَّهَرُ فَسَأَلَ الْأَطِبَّاءَ وَالْحُزَاةَ مِنَ الْكُهَّانِ وَالْعَرَّافِينَ عَمَّا بِهِ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا قَتَلَ رَجُلٌ أَخَاهُ قَطُّ أَوْ ذَا رَحِمَهُ بَغْيًا إِلَّا ذَهَبَ نَوْمُهُ، وَسُلِّطَ عَلَيْهِ السَّهَرُ فَعِنْدَ ذَلِكَ جَعَلَ يَقْتُلُ كُلَّ مَنْ أَمَرَهُ بِقَتْلِ أَخِيهِ فَلَمَّا خَلُصَ إِلَى ذِي رُعَيْنٍ قَالَ لَهُ: إِنَّ لِي عِنْدَكَ بَرَاءَةً قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: الْكِتَابُ الَّذِي دَفَعْتُهُ الَيْكَ فَأَخْرَجَهُ فَاذَا فِيهِ الْبَيْتَانِ فَتَرَكَهُ، وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ نَصَحَهُ، وَهَلَكَ عَمْرٌو فَمَرَجَ أَمْرُ حِمْيَرَ عِنْدَ ذَلِكَ، وَتَفَرَّقُوا.
পৃষ্ঠা - ১২২৫
[وُثُوبُ لَخْنِيعَةَ ذِي شَنَاتِرَ عَلَى مُلْكِ الْيَمَنِ] وَقَدْ مَلَكَهَا سَبْعًا وَعِشْرِينَ سَنَةً قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَوَثَبَ عَلَيْهِمْ رَجُلٌ مِنْ حِمْيَرَ لَمْ يَكُنْ مِنْ بُيُوتِ الْمُلْكِ يُقَالَ لَهُ: لَخْنِيعَةُ يَنُوفُ ذُو شَنَاتِرَ فَقَتَلَ خِيَارَهُمْ، وَعَبَثَ بِبُيُوتِ أَهْلِ الْمَمْلَكَةِ مِنْهُمْ وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ امْرَأً فَاسِقًا يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَكَانَ يُرْسِلُ إِلَى الْغُلَامِ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ فَيَقَعُ عَلَيْهِ فِي مَشْرَبَةٍ لَهُ قَدْ صَنَعَهَا لِذَلِكَ لِئَلَّا يَمْلِكَ بَعْدَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَطَّلِعُ مِنْ مَشْرَبَتِهِ تِلْكَ إِلَى حَرَسِهِ، وَمَنْ حَضَرَ مِنْ جُنْدِهِ قَدْ أَخَذَ مِسْوَاكًا فَجَعَلَهُ فِي فِيهِ أَيْ: لِيُعْلِمَهُمْ أَنَّهُ قَدْ فَرَغَ مِنْهُ حَتَّى بَعَثَ إِلَى زُرْعَةَ ذِي نُوَاسِ بْنِ تُبَّانِ أَسْعَدَ أَخِي حَسَّانَ وَكَانَ صَبِيًّا صَغِيرًا حِينَ قُتِلَ أَخُوهُ حَسَّانُ، ثُمَّ شَبَّ غُلَامًا جَمِيلًا وَسِيمًا ذَا هَيْئَةٍ وَعَقْلٍ، فَلَمَّا أَتَاهُ رَسُولُهُ عَرَفَ مَا يُرِيدُ مِنْهُ فَأَخَذَ
পৃষ্ঠা - ১২২৬
ষ্ষ্


ফাইমিউন যে ঘরে নামায আদায় করে তার রাত্রিকালীন নামাযের সময় সমগ্র ঘর ণ্জা৷তিতে
জ্যোতির্ময় হয়ে উঠে ৷ এতে সে অবাক হয় ৷ সে যুগে নাজরানের লোকজন একটি সুদীর্ঘ খেজুর
গাছের পুজা করত ৷ মহিলাদের গহনা-পত্র এসে তারা ঐ গাছে ঝুলিয়ে দিত এবং ওখানে
অবস্থান করতো ৷

একদিন ফাইমিউন তার মালিককে বলেন, আমি যদি আল্লাহ তা আলার দরবারে এই গাছটি
ধ্বংসের জন্যে দোয়া করি এবং এটি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে কি আপনারা একথা মেনে নিবেন

যে, আপনারা যে মতবাদ পোষণ করেন তা বাতিল? মালিক বলল, অবশ্যই আমরা তা মেনে
নিব ৷

অতঃপর সে নাজরানবাসীদেবকে ফাইমিউনের নিকট একত্রিত করে ৷ ফাইমিউন নামায়ে
দীড়ান এবং খেজুর বৃক্ষ ধ্বংসের জন্যে আল্লাহর নিকট দােয়৷ করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা প্রচণ্ড
ঝড় প্রেরণ করেন ৷ প্রচণ্ড ঝঞা এসে গাছটি উপড়ে ফেলে দাে৷ ৷ এই প্রেক্ষিতে নাজরানের
অধিবাসীগণ থ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয় এবং তিনি তাদেরকে আস^ান্নী কিতাব ইনজীল ভিত্তিক
শরীয়ত পালনে উৎসাহিত করেন ৷ এভাবেই তারা খ্রিষ্টধর্ম পালন করে আসছিল ৷ অবশেষে
বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মে যে আনাচার প্রবেশ করে তাদের ক্ষেত্রেও তাই হয় ৷ উপরোক্ত প্রেক্ষাপটেই
আরব অঞ্চল নাজরানে খ্রিস্ট ধর্মের সুত্রপাত হয় ৷

এরপর ইবন ইসহাক (র) ফাইমিউনের হাতে ৩আন্দুল্লাহ্ ইবন ছামুরের খ্রিষ্টধর্য গ্রহণ এবং
ফাইমিউন ও তার অনুসারীদেরকে অপ্লিকুপে নিক্ষেপ করে রাজা ঘু নুওয়াস কিভাবে হত্যা করে
এসব বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, ওদের জন্যে যে অগ্নিকুপ খনন করা হয়েছিল সেটি ছিল আয়তকার
গর্তের ন্যায় ৷ ঐ গর্ভে আগুন জ্বালানাে হয়েছিল এবং ওদেরকে ঐ আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় ৷
অবশিষ্ট লোকদেরকে হত্যা করা হয় ৷ তখন প্রায় বিশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল ৷
ইসরাঈলীদের ঘটনা প্ৰসংগে আমরা তা উল্লেখ করেছি ৷ আমাদের তাফসীর গ্রন্থে সুরা বুরুজেও
তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷

ইয়ামানের রাজত্ব হিময়ার গোত্র থেকে সুদানী হাবশীদের
করলে আসা প্রসঙ্গ

পুর্বোল্লেখিত দুই ৫জ্যাতিষী শাক এবং সাভীহ যেমন বলেছিলেন তা ই ঘটলো ৷ বন্তুত
ঘু-নাওয়াসের আক্রমণে সকল নাজরানবাসী ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৷ মাত্র একজন লোক প্রাণে
বেচেছিল ৷ তা ৷র নাম দা ওস ঘুছ লা৷বা ন ৷ সে ছিল ঘোড়সওয়ার বালুকাময় রাস্তায় ঘোড়া ছুটিয়ে
সে পালিয়ে যায় ৷ শত্রুগণ তাকে ধরতে ব্যর্থ হয় ৷ সে ছুটতে ছুটতে রোমান সম্রাট কায়সারের
দরবড়ারেল্ গিয়ে উপস্থিত হয় ৷ ঘু নুওয়াস ও তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে সে তার কাছে সাহায্য কামনা
করে এবংত তাদের অত্যাচার নির্যাতনের বিবরণ প্রদান করে ৷

কায়সার ছিলেন তাদের মতই থ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী তিনি বললেন, আমার এখান থেকে তোমার
দেশ তো অনেক দুরে ৷ আচ্ছা, ঠিক আছে, আমি আবিসিনিয়ার রাজাকে তোমাকে সাহায্য করার


سِكِّينًا حَدِيدًا لَطِيفًا فَخَبَّأَهُ بَيْنَ قَدَمَيْهِ وَنَعْلِهِ، ثُمَّ أَتَاهُ فَلَمَّا خَلَا مَعَهُ وَثَبَ إِلَيْهِ فَوَاثَبَهُ ذُو نُوَاسٍ فَوَجَأَهُ حَتَّى قَتَلَهُ، ثُمَّ حَزَّ رَأْسَهُ فَوَضَعَهُ فِي الْكُوَّةِ الَّتِي كَانَ يُشْرِفُ مِنْهَا، وَوَضَعَ مِسْوَاكَهُ فِي فِيهِ، ثُمَّ خَرَجَ عَلَى النَّاسِ. فَقَالُوا لَهُ: ذَا نُوَاسٍ أَرَطْبٍ أَمْ يَبَاسٌ؟ فَقَالَ: سَلْ نَخْمَاسَ اسْتُرْطُبَانَ ذُو نُوَاسٍ اسْتُرْطُبَانَ لَا بَاسَ فَنَظَرُوا إِلَى الْكُوَّةِ فَاذَا رَأْسُ لَخْنِيعَةَ مَقْطُوعٌ فَخَرَجُوا فِي أَثَرِ ذِي نُوَاسٍ حَتَّى أَدْرَكُوهُ، فَقَالُوا: مَا يَنْبَغِي أَنْ يَمْلِكَنَا غَيْرُكَ إِذْ أَرَحْتَنَا مِنْ هَذَا الْخَبِيثِ فَمَلَّكُوهُ عَلَيْهِمْ، وَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ حِمْيَرُ وَقَبَائِلُ الْيَمَنِ فَكَانَ آخِرَ مُلُوكِ حِمْيَرَ، وَتَسَمَّى يُوسُفَ فَأَقَامَ فِي مُلْكِهِ زَمَانًا، وَبِنَجْرَانَ بَقَايَا مِنْ أَهْلِ دِينِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْإِنْجِيلِ أَهْلُ فَضْلٍ وَاسْتِقَامَةٍ مِنْ أَهْلِ دِينِهِمْ، لَهُمْ رَأْسٌ يُقَالَ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الثَّامِرِ، ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ سَبَبَ دُخُولِ أَهْلِ نَجْرَانَ فِي دِينِ النَّصَارَى، وَأَنَّ ذَلِكَ كَانَ عَلَى يَدَيْ رَجُلٍ يُقَالَ لَهُ: فَيْمَيُونُ كَانَ مِنْ عُبَّادِ النَّصَارَى بِأَطْرَافِ الشَّامِ وَكَانَ مُجَابَ الدَّعْوَةِ.
পৃষ্ঠা - ১২২৭
وَصَحِبَهُ رَجُلٌ يُقَالَ لَهُ: صَالِحٌ فَكَانَا يَتَعَبَّدَانِ يَوْمَ الْأَحَدِ، وَيَعْمَلُ فَيْمَيُونُ بَقِيَّةَ الْجُمُعَةِ فِي الْبِنَاءِ، وَكَانَ يَدْعُو لِلْمَرْضَى وَالزَّمْنَى وَأَهْلِ الْعَاهَاتِ فَيُشْفَوْنَ، ثُمَّ اسْتَأْسَرَهُ وَصَاحِبَهُ بَعْضُ الْأَعْرَابِ فَبَاعُوهُمَا بِنَجْرَانَ، فَكَانَ الَّذِي اشْتَرَى فَيْمَيُونَ يَرَاهُ إِذَا قَامَ فِي مُصَلَّاهُ بِالْبَيْتِ الَّذِي هُوَ فِيهِ - فِي اللَّيْلِ - يَمْتَلِئُ عَلَيْهِ الْبَيْتُ نُورًا فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِ، وَكَانَ أَهْلُ نَجْرَانَ يَعْبُدُونَ نَخْلَةً طَوِيلَةً يُعَلِّقُونَ عَلَيْهَا حُلِيَّ نِسَائِهِمْ، وَيَعْكُفُونَ عِنْدَهَا فَقَالَ فَيْمَيُونَ لِسَيِّدِهِ: أَرَأَيْتَ إِنْ دَعَوْتُ اللَّهَ عَلَى هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَهَلَكَتْ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ الَّذِي أَنْتُمْ عَلَيْهِ بَاطِلٌ؟ قَالَ: نَعَمْ فَجُمِعَ لَهُ أَهْلُ نَجْرَانَ، وَقَامَ فَيْمَيُونَ إِلَى مُصَلَّاهُ فَدَعَا اللَّهَ عَلَيْهَا فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهَا قَصْفًا فَجَعَفَهَا مِنْ أَصْلِهَا، وَرَمَاهَا إِلَى الْأَرْضِ فَاتَّبَعَهُ أَهْلُ نَجْرَانَ عَلَى دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، وَحَمَلَهُمْ عَلَى شَرِيعَةِ الْإِنْجِيلِ حَتَّى حَدَثَتْ فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ الَّتِي دَخَلَتْ عَلَى أَهْلِ دِينِهِمْ بِكُلِّ أَرْضٍ فَمِنْ هُنَالِكَ كَانَتِ النَّصْرَانِيَّةُ بِنَجْرَانَ مِنْ أَرْضِ الْعَرَبِ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الثَّامِرِ حِينَ تَنَصَّرُ عَلَى يَدَيْ فَيْمَيُونَ، وَكَيْفَ قَتَلَهُ وَأَصْحَابَهُ، ذُو نُوَاسٍ وَخَدَّ لَهُمُ الْأُخْدُودَ - وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَهُوَ الْحَفْرُ الْمُسْتَطِيلُ فِي الْأَرْضِ مِثْلُ الْخَنْدَقِ - وَأَجَّجَ فِيهِ النَّارَ وَحَرَّقَهُمْ بِهَا، وَقَتَلَ آخَرِينَ حَتَّى قَتَلَ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ أَلْفًا كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي أَخْبَارِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَمَا هُوَ مُسْتَقْصًى فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ {وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُرُوجِ} [البروج: 1] مِنْ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ১২২৮
ষ্ষ্


জন্যে লিখে দিচ্ছি ৷ সেও খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী এবং তার রাজ্য তোমার রাজ্যের কাছাকাছি ৷ অতঃপর
তিনি আবিসিনীয় রাজাকে দাওসকে সাহায্য করতে ঘু-নুওয়াসের অত্যাচারের প্ৰতিশোধ নিতে
নির্দেশ দিলেন ৷ রোমান সম্রাটের পত্র নিয়ে নাজাসীর নিকট উপস্থিত হলো ৷ তিনি তাকে সাহায্য
করার জন্যে ৭০,০০০ হাবশী সৈন্য প্রেরণ করলেন এবং আরয়াত নামের এক ব্যক্তিকে
সেনাধ্যক্ষ নিযুক্ত করলেন ৷ সেনাপতি সৈন্যদলের মধ্যে অবরাহ৷ আশরামও ছিল ৷ সেনাপতি
আরয়াত তার সেনাবাহিনী নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইয়ামানের সমুদ্রতীরে ঘীটি স্থাপন করে ৷

দাওস তার সাথেই ছিল ৷ ওদিক থেকে হিময়াবী (লাকজন ও ইয়ামানের অনুগত গোত্রগুলাে
নিয়ে মুক৷ ৷বিল৷ করা র জন্যে এগিয়ে আসে অত ব্রাচারী রাজা ঘু নুওয়াস ৷ উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ
হয় ৷ অবশেষে য়ু-নুওয়াস ও তার সৈন্যগণ পরাজিত হয় ৷

স্বপক্ষীয় সৈন্যদের এ শোচনীয় পরিণতি দেখে য়ু নুওয়াস সমুদ্রের দিকে তার ঘোড়া ইাকায়
এবং ঘোড়া কে চা বুক ৷ঘাত করে৩ তীব্র গতিতে এসে সমুদ্রে বা৷ ৷প দেয় ৷ সমুদ্রের খর স্রোত তাকে
তলদেশে ডুবিয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত এভাবেত তার মৃত্যু হয় ৷ সেনাপতি আরয়াত বিজয়ীবেশে
ইয়ামান প্রবেশ করে এবং রাজ্যত তর অধিকারী হয় ৷ স ন্া৷ময়িককালে স০ ঘটিত এসব
আশ্চর্যজনক ঘটনা সম্পর্কে রচিত আরবদের কতক কবিতা ইবন ইসহাক এ প্রসং গে উল্লেখ
করেছেন ৷ এগুলো যেমন বিশুদ্ধ ও অলংকার সমৃদ্ধ, তেমনি শ্রুতিমধুর ৷ আলোচনা দীর্ঘ হয়ে
যাবে এবং পাঠকগণ বিরক্তি বোধ করবেন এ আশংকায় আমরা সেগুলো উল্লেখ থেকে বিরত
বইলাম ৷

আরয়াতের বিরুদ্ধে আররাহ৷ অড়াশরামের বিদ্রোহ

ইবন ইসহাক বলেন, আরয়াত বেশ কয়েক বছর ইয়ামানে একচ্ছত্রভাবে রাজতৃ করে ৷
তারপর তার অধীনস্থ সৈনিক আবরাহাত তার বিরুদ্ধে বিদ্রে৷ ৷হ করে ৷ হাবশী সৈনিকগণ অতঃপর
দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ একদল আবরাহার পেছনে এবং অপর দল আবিয়াতের পেছনে
সমবেত হয় ৷ উভয় পক্ষ যুদ্ধের জন্যে অগ্রসর হয় ৷ উভয় দল যখন প্রায় মুখোমুখি তখন
আবরাহা এই বলে আরয়াত কে চিঠি লিখে যে, হাবশীদের এক দলকে অপর দলের বিরুদ্ধে
লেলিয়ে দিয়ে এবং যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে ক্রমান্বয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়৷ আপনার জন্যে
সমীচীন নয় ৷ বরং এক কাজ করুন ৷ আমরা দু’জনে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হই ৷ আমাদের মধ্যে যে
জয়ী হয়ে হাবশী সৈন্যরা তার প্ৰতি ৩আনুগতা প্রকাশ করবে ৷ উত্তরে আরয়াত বলে যে, তুমি
সঙ্গত কথা ৷ই বলেছ ৷ এরপর আবরাহ৷ যুদ্ধের ময়দানে বেরিয়ে আসে ৷ সে ছিল একজন খাটো
হৃষ্টপুষ্ট ও খ্রিষ্ট ধর্মানুসারী ব্যক্তি ৷ তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে এল আরয়াত ৷ সে ছিল সুদর্শন, দীর্ঘাঙ্গী
ও মোটা মানুষ ৷ তার হাতে ছিল একটি বর্শা ৷ আবরাহার পেছনে আতুদ৷ নামে এক যুবক ছিল
সে আবরাহার পেছনে দিক পাহারা দিত ৷ আরয়াত তার বর্শা নিক্ষেপ করে আবরাহার মাথার
খুলি লক্ষ্য করে ৷ সেটি গিয়ে পড়ে তার কপালে ৷ কেটে কেটে ক্ষতবিক্ষত হয় তার ভ্রা, চোখ,
নাক ও ঠোট ৷ এজন্যেই৩ ৷ ৷র আবরাহ৷ আশরাম তথা ঠে ট কাটা আবরাহ৷ নাম পড়ে যায় ৷

আবরাহার পশ্চাত দিক থেকে তার প্রহরী আতুদ৷ আরয়াতের উপর আক্রমণ চালায় এবং
তাকে হত্যা করে ৷ ফলে আরয়াতের অনুগামী সৈন্যরা আবরাহার দলে যোগ দেয় ৷ ইয়ামানে


[ذِكْرُ خُرُوجِ الْمُلْكِ بِالْيَمَنِ مِنْ حِمْيَرَ وَصَيْرُورَتِهِ إِلَى الْحَبَشَةِ] ذِكْرُ خُرُوجِ الْمُلْكِ بِالْيَمَنِ مِنْ حِمْيَرَ وَصَيْرُورَتِهِ إِلَى الْحَبَشَةِ السُّودَانِ كَمَا أَخْبَرَ بِذَلِكَ شِقٌّ وَسَطِيحٌ الْكَاهِنَانِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَنْجُ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ إِلَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ يُقَالَ لَهُ: دَوْسٌ ذُو ثُعْلُبَانِ عَلَى فَرَسٍ لَهُ، فَسَلَكَ الرَّمْلَ فَأَعْجَزَهُمْ فَمَضَى عَلَى وَجْهِهِ ذَلِكَ حَتَّى أَتَى قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ فَاسْتَنْصَرَهُ عَلَى ذِي نُوَاسٍ وَجُنُودِهِ، وَأَخْبَرَهُ بِمَا بَلَغَ مِنْهُمْ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ نَصْرَانِيٌّ عَلَى دِينِهِمْ فَقَالَ لَهُ: بَعُدَتْ بِلَادُكَ مِنَّا، وَلَكِنْ سَأَكْتُبُ لَكَ إِلَى مَلِكِ الْحَبَشَةِ فَإِنَّهُ عَلَى هَذَا الدِّينِ، وَهُوَ أَقْرَبُ إِلَى بِلَادِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ بِنَصْرِهِ وَالطَّلَبِ بِثَأْرِهِ فَقَدِمَ دَوْسٌ عَلَى النَّجَاشِيِّ بِكِتَابِ قَيْصَرَ فَبَعَثَ مَعَهُ سَبْعِينَ أَلْفًا مِنَ الْحَبَشَةِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا مِنْهُمْ يُقَالَ لَهُ: أَرْيَاطُ، وَمَعَهُ فِي جُنْدِهِ أَبْرَهَةُ الْأَشْرَمُ فَرَكِبَ أَرْيَاطُ الْبَحْرَ حَتَّى نَزَلَ بِسَاحِلِ الْيَمَنِ، وَمَعَهُ دَوْسٌ، وَسَارَ إِلَيْهِ ذُو نُوَاسٍ فِي حِمْيَرَ، وَمَنْ أَطَاعَهُ مِنْ قَبَائِلِ الْيَمَنِ فَلَمَّا الْتَقَوُا انْهَزَمَ ذُو نُوَاسٍ
পৃষ্ঠা - ১২২৯
ষ্ষ্


সকল হাবশী সৈন্য আবরাহার নেতৃত্বে ঐক্যৰদ্ধ হয় এবং আবরাহা আরয়াতের স্থলাভিষিক্ত হয় ৷
আবিসিনিয়ার রাজা নড়াজাশীর দরবারে এই সংবাদ পৌছে ৷ তিনি আবরহার উপর ভীষণ ক্ষুদ্ধ
হয় ৷ তিনি বলেন, “সে আমার নিযুক্ত সেনাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এবং আমার অনুমতি
ব্যতীত তাকে হত্যা করেছে ! তিনি শপথ করলেন যে, আররহোর রজে’া পদানত না করে এবং
তার মাথা ন্যাড়া না করে তিনি তাকে ছাড়বেন না ৷ নাজাশীর এই ক্রুদ্ধ মন্তব্য ও শপথের সংবাদ
পৌছে যায় আবরাহার নিকট ৷ সে নিজে তার মাথা ন্যাড়া করে ফেলে এবং এক থলে ভর্তি
ইয়ামানের মাটি নেয় ৷ তারপর তা নাজাশীর নিকট প্রেরণ করে ৷ সাথে এ মর্মে চিঠি লিখে যে,
মহারাজা সেনাপতি আরয়ড়াত আপনার আজ্ঞাবহ ছিল ৷ আমিও আপনার আজ্ঞাবহ ৷ আপনার
নির্দেশ শাসন করতে গিয়ে আমাদ্দের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় ৷ উভয়ের কর্ম তৎপরতা ছিল
আপনার প্ৰতি আনুগত্য নির্ভর ৷ তবে এখানকার হাবশীদের নেতৃত্বের জন্যে আমি তার চেয়ে
অধিকতর শক্তিশালী উপযুক্ত ও দক্ষ ৷

মহারাজের শপথের কথা শুনে আমি নিজে আমার মাথা ন্যাড়ৰু করে ফেলেছি এবং আমার
রাজ্যের এক থণে মাটি রাজদরৰারে প্রেরণ করেছি, যাতে তা আপনার পদতলে রাখতে
পারেন ৷ তাহলে আমার সম্বন্ধে মহারাজ যে শপথ করেছেন যে শপথ পুর্ণ হবে ৷

পত্রটি পেয়ে নাজ্জাশী আবরাহার প্রতি সন্তুষ্ট হন ৷ তিনি তার নিকট লিখে পাঠান যে, আমার
পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্বত তুমি ইয়ামান রাজ্যে রাজত্ব করে যাও ৷ এভাবে আরবাহা ইয়ামানের
শাসন ক্ষমতার অধিষ্ঠিত হয় ৷

কাৰা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে মক্কায় আবরাহার হাতি বাহিনী প্রেরণ
আল্লাহ তাআলা বলেন :

এট্টণ্ৰুঠু ছুএ
এ্র্দুপ্;দ্বু

“তুমি কি ৫দথনি, তোমার প্ৰতিপালক হড়াতিওয়ড়ালাদের প্রতি কী করেছিলেনঃ তিনি কি
ওদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননিঃ ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাকে ঝাকে পাখি প্রেরণ করেন ৷
সেগুলো ওদের উপর পাথুরে কংকর নিক্ষেপ করে ৷ অতঃপর তিনি ওদেরকে তক্ষিত খড়ের মত
করেন

কথিত আছে যে , যাহ্হাকের হত্যাকায়ী আফরীদুন ইবন আছফিয়ান সর্বপ্রথম হাতিকে পােষ
মানিয়েছিলেন ৷ তাবারী (র) এরুপ বলেছেন ৷ ঘোড়ার পিঠে র্জীনও তিনিই প্রবর্তন করেন ৷
অবশ্য সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি ঘোড়াকে পােষ মানায় এবং ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয় সে হল ফাতহা
মুরছ ৷ তিনি গোটা পৃথিবীতে রাজতুকারী তৃতীয় সম্রাট ৷ কারো কারো মতে, যে সর্বপ্রথম
ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেন হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্র ইসমাঈল (আ) ৷ এর ব্যাখ্যা
এমনও হতে পারে যে , আরবদের মধ্যে সর্বপ্রথম ঘোড়ার পিঠে আরোহণকারী ছিলেন ৷ হযরত
ইসমাঈল (আ) ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷


وَأَصْحَابُهُ فَلَمَّا رَأَى ذُو نُوَاسٍ مَا نَزَلْ بِهِ وَبِقَوْمِهِ وَجَّهَ فَرَسَهُ فِي الْبَحْرِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ فَدَخَلَ فِيهِ فَخَاضَ بِهِ ضَحْضَاحَ الْبَحْرِ حَتَّى أَفْضَى بِهِ إِلَى غَمْرَةٍ فَأَدْخَلَهُ فِيهَا فَكَانَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ، وَدَخَلَ أَرْيَاطُ الْيَمَنَ وَمَلَكَهَا. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَاهُنَا أَشْعَارًا لِلْعَرَبِ فِيمَا وَقَعَ مِنْ هَذِهِ الْكَائِنَةِ الْغَرِيبَةِ وَفِيهَا فَصَاحَةٌ وَحَلَاوَةٌ وَبَلَاغَةٌ وَطَلَاوَةٌ، وَلَكِنْ تَرْكَنَا إِيرَادَهَا خَشْيَةَ الْإِطَالَةِ، وَخَوْفَ الْمَلَالَةِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ১২৩০
[ذِكْرُ خُرُوجِ أَبْرَهَةَ الْأَشْرَمِ عَلَى أَرْيَاطَ وَاخْتِلَافِهِمَا] ذِكْرُ خُرُوجِ أَبْرَهَةَ الْأَشْرَمِ عَلَى أَرْيَاطَ وَاخْتِلَافِهِمَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ أَرْيَاطُ بِأَرْضِ الْيَمَنِ سِنِينَ فِي سُلْطَانِهِ ذَلِكَ، ثُمَّ نَازَعَهُ أَبْرَهَةُ حَتَّى تَفَرَّقَتِ الْحَبَشَةُ عَلَيْهِمَا فَانْحَازَ إِلَى كُلٍّ مِنْهُمَا طَائِفَةٌ، ثُمَّ سَارَ أَحَدُهُمَا إِلَى الْآخَرِ فَلَمَّا تَقَارَبَ النَّاسُ أَرْسَلَ أَبْرَهَةُ إِلَى أَرْيَاطَ: إِنَّكَ لَنْ تَصْنَعَ بِأَنْ تُلْقِيَ الْحَبَشَةَ بَعْضَهَا بِبَعْضٍ حَتَّى تُفْنِيَهَا شَيْئًا شَيْئًا فَابْرُزْ لِي وَأَبْرُزُ لَكَ فَأَيُّنَا أَصَابَ صَاحِبَهُ انْصَرَفَ إِلَيْهِ جُنْدُهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ أَرْيَاطُ أَنْصَفْتَ فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَبْرَهَةُ وَكَانَ رَجُلًا قَصِيرًا لَحِيمًا وَكَانَ ذَا دِينٍ فِي النَّصْرَانِيَّةِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ أَرْيَاطُ وَكَانَ رَجُلًا جَمِيلًا عَظِيمًا طَوِيلًا، وَفِي يَدِهِ حَرْبَةٌ لَهُ، وَخَلْفَ أَبْرَهَةَ غُلَامٌ يُقَالَ لَهُ: عَتُودَةَ يَمْنَعُ ظَهْرَهُ فَرَفَعَ أَرْيَاطُ الْحَرْبَةَ فَضَرَبَ أَبْرَهَةَ يُرِيدُ يَافُوخَهُ فَوَقَعَتِ الْحَرْبَةُ عَلَى جَبْهَةِ أَبْرَهَةَ فَشَرَمَتْ حَاجِبَهُ وَعَيْنَهُ وَأَنْفَهُ وَشَفَتَهُ فَبِذَلِكَ سُمِّيَ: أَبْرَهَةَ الْأَشْرَمَ، وَحَمَلَ عَتُودَةُ عَلَى أَرْيَاطَ مِنْ خَلْفِ أَبْرَهَةَ فَقَتَلَهُ، وَانْصَرَفَ جُنْدُ أَرْيَاطَ إِلَى أَبْرَهَةَ فَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْحَبَشَةُ بِالْيَمَنِ، وَوَدَى أَبْرَهَةُ أَرْيَاطَ فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ النَّجَاشِيَّ مَلِكَ الْحَبَشَةِ الَّذِي بَعَثَهُمْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ১২৩১
ষ্ষ্


কথিত আছে যে, হাতি বিশাল দেহী জভু হওয়া সত্বেও বিড়াল দেখে ভড়কে যায় ৷
ভারতীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে কতক সেনাপতি যুদ্ধের ময়দানে বিড়াল উপস্থিত
করেন ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধের সময় বিড়াল দেয়া হলে সেগুলোর ভয়ে হাতি বাহিনী ময়দান ছেড়ে
পালিয়ে যায় ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, অতঃপর আবরাহা সানআ নগরীতে কুলায়স নামে একটি গীর্জা
নির্মাণ করে ৷ ঐ যুগে এমন উন্নতমানের প্রাসাদ দ্বিতীয়টি ছিল না ৷ সে নাজ্জাশীর নিকট এ মর্মে
পত্র লিখে যে, আপনার জন্যে আমি একটি গীর্জা নির্মাণ করেছি ৷ আপনার পুর্বে কোন রজাের
জন্যে এমন প্রাসাদ নির্মিত হয়নি ৷ আরবদের হজ্জ এখানে স্থানান্তরিত না করা পর্যন্ত আমি ক্ষাম্ভ
হয় না ৷

সুহায়লী বলেন, এই ঘৃণ্য উপাসনালয় নির্মাপ করতে গিয়ে আবরাহা ইয়ামানের
অধিবাসীদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছে ৷ কেউ সুার্ঘদয়ের পুর্ব থেকে কাজ শুরু না করলে
সে তার হাত কেটে ফেলত ৷ বিলকীসের শাহী প্রাসাদ :’-রুকে শ্বেত পাথর, মর্মর ও অন্যান্য
অমুল্য রত্যুবলী খুলে এনে ঐ গীর্জায় সংযোজন করে ৷ তার মিম্বার ছিল পজদণ্ড ও আবলুস কাঠে
তৈরী ৷ এর ছাদ ছিল অনেক উচু আয়তন, বিশাল বিন্তুত ৷

আবরাহা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর হড়াবশীগণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ এরপর
কোন ব্যক্তি ঐ গীর্জার আসবাব পত্র কিৎবা ঘর দরজা খুলে নিতে চাইলে সে জিনদের
আক্রমণের শিকার হত ৷ কারণ ঐ পীর্জা নির্মিত হয়েছিল দৃ’টো প্ৰতিমার নামে ৷ প্ৰতিমাণ দুটি
ছিল আয়ব ও তার ত্রীর ৷ এ দুটো প্ৰতিমড়ার প্রত্যেকটির উচ্চতা ছিল ৬০ গজ করে ৷ অতঃপর
ইয়ামানবাসিগণ পীর্জাটিকে ঐ অবস্থায় রেখে দেয় ৷ প্রথম আব্বাসী খলীফা সাফ্ফাহ্র এর
সময় পর্যন্ত সেটি ঐ অবন্থায়ই ছিল ৷ সাফ্ফাহ একদল সাহসী, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী গুণী লোক
পাঠালেন ৷ তারা একে একে সকল পাথর খুলে নিয়ে সেটি ভেঙ্গে ফেলেন ৷ অতঃপর তা’
নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, নাজাশীর প্রতি প্রেরিত আবরাহার পত্র সম্পর্কে আরবদের মধ্যে
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ৷ কিনানা গোত্রের জনৈক লোক একথা শুনে ভীষণভাবে ক্ষেপে
যায় ৷ যারা যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাসগুলােকে যুদ্ধ সিদ্ধ মাসের দিকে ঠেলে দিতে এসেছিল, যে ঐ
দলভুক্ত ৷ ( আে ং :১ ৰুষ্টুাট্রু ) র্চেন্৷ ৷ ৷ ) এই যে, মাসকে পিছিয়ে দেয়া কেবল কুফরীই
বৃদ্ধি করে ’ (৯ তওবর্ট ৩ ৭ ) উক্ত আঘাতের ব্যখ্যিড়ায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ ইবন
ইসহাক (র) বলেন, অতঃপর কিনান বংশীয় ল্যেকটি পথে বের হয় ৷ সে এসে পৌছে
উপরোক্ত কুলায়স গীর্জায় ৷ যে সকলের আগােচরে গীর্জার ভেতরে মলত্যাগ করে ৷ এরপর বের
হয়ে সে নিজ দেশে ফিরে আসে ৷ এ সংবাদ আবরাহার কানে পৌছে ৷ কে এই অঘটন
ঘটিয়েছে সে জানতে চায় ৷ তাকে জানানো হয় যে, মক্কায় অবস্থিত কাব৷ গৃহের যারা হজ্জ করে
তাদের একজন এ কর্মটি করেছে ৷ আপনি আরবদের হজ্জাক ঐ ঘর থেকে ফিরিয়ে এ ঘরের
দিকে আসবেন শুনে সে রেগে এমনটি করেছে ৷ সে বুঝতে পেয়েছে যে, এ ঘরটি হজ্জ করার
উপযুক্ত নয় ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) : ২-

الْيَمَنِ غَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا عَلَى أَبْرَهَةَ، وَقَالَ: عَدَا عَلَى أَمِيرِي فَقَتَلَهُ بِغَيْرِ أَمْرِي، ثُمَّ حَلَفَ لَا يَدَعُ أَبْرَهَةَ حَتَّى يَطَأَ بِلَادَهُ، وَيَجُزَّ نَاصِيَتَهُ فَحَلَقَ أَبْرَهَةُ رَأْسَهُ، وَمَلَأَ جِرَابًا مِنْ تُرَابِ الْيَمَنِ، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى النَّجَاشِيِّ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ: أَيُّهَا الْمَلِكُ إِنَّمَا كَانَ أَرْيَاطُ عَبْدَكَ، وَأَنَا عَبْدُكَ فَاخْتَلَفْنَا فِي أَمْرِكَ، وَكُلٌّ طَاعَتُهُ لَكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أَقْوَى عَلَى أَمْرِ الْحَبَشَةِ، وَأَضْبَطَ لَهَا وَأَسْوَسَ مِنْهُ، وَقَدْ حَلَقْتُ رَأْسِي كُلَّهُ حِينَ بَلَغَنِي قَسَمُ الْمَلِكِ، وَبَعَثْتُ إِلَيْهِ بِجِرَابِ تُرَابٍ مِنْ أَرْضِي لِيَضَعَهُ تَحْتَ قَدَمِهِ فَيَبَرَّ قَسَمَهُ فِيَّ فَلَمَّا انْتَهَى ذَلِكَ إِلَى النَّجَاشِيِّ رَضِيَ عَنْهُ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنِ اثْبُتْ بِأَرْضِ الْيَمَنِ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي فَأَقَامَ أَبْرَهَةُ بِالْيَمَنِ.
পৃষ্ঠা - ১২৩২
ষ্ষ্


এ কথা শুনে আবরাহা ক্রোধে ফেটে পড়ে ৷ সে শপথ করে, মক্কা গিয়ে কা“বা গৃহ ধ্বংস
করবেই ৷ সে হাবশীদেরকে মক্কা পমনে প্রন্তুতির নির্দেশ দেয় ৷ হাতি বাহিনীসহ সে সদল বলে
মক্কা অভিমুখে রওয়ানা করে ৷ আরবগণ তার অগ্ৰাভিযান সম্পর্কে অবগত হয় ৷ তারা এটিকে
ভয়ানক বিপদ মনে করে এবং তাতে বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ আল্লাহর সম্মানিত ঘর কারা শরীফ
ধ্বংসের কথা শুনে তারা আবরাহার বিরুদ্ধে জিহাদ করা অনিবার্য জ্ঞান করে ৷

ইতিমধ্যে ইয়ামানবাসী রাজবংশীয় ও সন্থান্ত একলোক মক্কায় আগমন করে ৷ তার নাম ছিল
যুনর ৷ সে তার সম্প্রদায় ও আরবদেরকে আবরাহায় বিরুদ্ধে জিহড়াদে অংশ গ্রহণের আহবান
জানায় ৷ কারণ সে আল্লাহ্র ঘর ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ৷ যারা সাড়া দেবার তারা তার
তাকে সাড়া দেয় ৷ তারা আবরাহায় সম্মুখে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যায় ৷ যু-নফর
ও তার সাথীগণ পরাজিত হয় ৷ বন্দী অবস্থায় যু-নফরকে নেয়া হয় আবরাহার নিকট ৷ আবরাহা
যখন তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয় তখন সে বলে , “ মহারাজা আমাকে হত্যা করবেন না ৷
আমাকে হত্যা করার চেয়ে আমাকে জীবিত রাখা হযরত আপনার জানা অধিক কল্যাণকর
হবে ৷ ফলে সে হত্যা থেকে রেহাই পায় এবং কারারুর্দ্ধ থাকে ৷ আবরন্হব্লু ছিল অত্যন্ত ধৈর্যশীল
লোক ৷ অতঃপর সে তার উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষেদ্র সম্মুখে অগ্রসর হয় ৷ খাছআম এলাকায়
পৌছে সে বাধাপ্রাপ্ত হয় ৷ শাহরান ও নড়াহিস গোত্রদ্বয় এবং অনৃপামী আরবদেরকে নিয়ে তার
নুফারল ইবন হাবীব খাছআমী তার গতিরোধ করে ৷ সেখানে যুদ্ধ হয় ৷ আবরাহা তাকে
পরাজিত করে ৷ বন্দী অবস্থায় তাকে আবরাহার নিকট নিয়ে আসা হয় ৷ আবরাহা যখন তাকে
হত্যা করতে উদকুত হয় তখন সে বলে, “মহারাজা আমাকে হত্যা করবেন না ৷ আমি আপনাকে
আরবের পখগুলো চিনিয়ে দিব ৷ আপনার প্ৰতি আমার থাছআমী শাহরান ও নাহিস গোত্র
দ্বয়-এর আনুগত্যের প্রতীকরুপে এই আমি আমার দু’হাত আপনার সযীপে নিবেদন করছি ৷
রাজা তাকে মুক্তি দেয় এবং সে রাজাকে আরবের পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় ৷ তায়েফ
পৌছলে ছাকীফ গোত্রের একদল লোক নিয়ে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়, মাসউদ ইবন মুতাব
(ইবন মালিক কবি ইবন আমর ইবন সাদ ইবন আওফ ইবন ছাকীফ ) তারা বলে মহারাজ
আমরা আপনার গোলাম ৷ আপনার নির্দেশ পালনকড়ারী ও আনুগত্য প্রদর্শনকারী আমরা আপনার
বিরোধিতা করব না ৷

আপনি যে উপাসনালয় ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন সেটি আমাদের উপাসনালয় নয় ৷
অর্থাৎ সেটি লাত দেবীর উপাসনালয় নয় ৷ আপনি যাচ্ছেন মক্কায় অবস্থিত উপাসনালয় ধ্বংসের
উদ্দেশে ৷ আপনাকে ঐ উপাসনালয়ের পথ দেখড়াবার লোক আমরা আপনার সাথে দিচ্ছি ৷
অতঃপর সে তাদেরকে অতিক্রম করে এগিয়ে যায় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, লাত হল তায়েফে
অবস্থিত তাদের একটি উপাসনালয় ৷ তারা সেটিকে কাবাকে সম্মান করার ন্যায়ই সম্মান করত ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, অতঃপর তারা কা’বারই পথ দেখিয়ে দেয়ার জন্যে আবু রেগালকে তার
সাথে প্রেরণ করে ৷ আবু রেগালসহ আবরাহা বাহিনী সম্মুখের দিকে অগ্রসর হয়ে মাগমাস
নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করে ৷ সেখানে আবু রেপালের মৃত্যু হয় ৷


[ذِكْرُ سَبَبِ قَصْدِ أَبْرَهَةَ بِالْفِيلِ مَكَّةَ لِيُخَرِّبَ الْكَعْبَةَ] كَمَا قَالَ تَعَالَى {أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلٍ فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَأْكُولٍ} [الفيل: 1] . [الْفِيلِ: 1 - 5] قِيلَ: أَوَّلُ مَنْ ذَلَّلَ الْفِيَلَةَ أَفْرِيدُونُ بْنُ أَثْفِيَانَ الَّذِي قَتَلَ الضَّحَّاكَ قَالَهُ الطَّبَرِيُّ. وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ لِلْخَيْلِ السُّرُوجَ، وَأَمَّا أَوَّلُ مَنْ سَخَّرَ الْخَيْلَ وَرَكِبَهَا فَطَهْمُورَثُ وَهُوَ الْمَلِكُ الثَّالِثُ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا، وَيُقَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ رَكِبَهَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ ابْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَيُحْتَمَلُ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ رَكِبَهَا مِنَ الْعَرَبِ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ، وَيُقَالَ: إِنَّ الْفِيلَ مَعَ عَظَمَةِ خَلْقِهِ يَفْرَقُ مِنَ الْهِرِّ وَقَدِ احْتَالَ بَعْضُ أُمَرَاءِ الْحُرُوبِ فِي قِتَالِ الْهُنُودِ بِإِحْضَارِ سَنَانِيرَ إِلَى حَوْمَةِ الْوَغَى فَنَفَرَتِ الْفِيَلَةُ.
পৃষ্ঠা - ১২৩৩
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبْرَهَةَ بَنَى الْقُلَّيْسَ بِصَنْعَاءَ فَبَنَى كَنِيسَةً لَمْ يُرَ مِثْلُهَا - فِي زَمَانِهَا - بِشَيْءٍ مِنَ الْأَرْضِ، وَكَتَبَ إِلَى النَّجَاشِيِّ إِنِّي قَدْ بَنَيْتُ لَكَ كَنِيسَةً، لَمْ يُبْنَ مِثْلُهَا لِمَلِكٍ كَانَ قَبْلَكَ، وَلَسْتُ بِمُنْتَهٍ حَتَّى أَصْرِفَ إِلَيْهَا حَجَّ الْعَرَبِ. فَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ أَبْرَهَةَ اسْتَذَلَّ أَهْلَ الْيَمَنِ فِي بِنَاءِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ الْخَسِيسَةِ، وَسَخَّرَهُمْ فِيهَا أَنْوَاعًا مِنَ السُّخَرِ وَكَانَ مَنْ تَأَخَّرَ عَنِ الْعَمَلِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، يَقْطَعُ يَدَهُ لَا مَحَالَةَ، وَجَعَلَ يَنْقُلُ إِلَيْهَا مِنْ قَصْرِ بِلْقِيسَ رُخَامًا، وَأَحْجَارًا، وَأَمْتِعَةً عَظِيمَةً، وَرَكَّبَ فِيهَا صُلْبَانًا مِنْ ذَهَبٍ، وَفِضَّةٍ، وَجَعَلَ فِيهَا مَنَابِرَ مِنْ عَاجٍ، وَآبِنُوسَ، وَجَعَلَ ارْتِفَاعَهَا عَظِيمًا جِدًّا، وَاتِّسَاعَهَا بَاهِرًا فَلَمَّا هَلَكَ بَعْدَ ذَلِكَ أَبْرَهَةُ، وَتَفَرَّقَتِ الْحَبَشَةُ كَانَ مَنْ تَعَرَّضَ لِأَخْذِ شَيْءٍ مِنْ بِنَائِهَا، وَأَمْتِعَتِهَا أَصَابَتْهُ الْجِنُّ بِسُوءٍ، وَذَلِكَ لِأَنَّهَا كَانَتْ مَبْنِيَّةً عَلَى اسْمِ صَنَمَيْنِ كُعَيْبٍ وَامْرَأَتِهِ وَكَانَ طُولُ كُلٍّ مِنْهُمَا سِتُّونَ ذِرَاعًا فَتَرَكَهَا أَهْلُ الْيَمَنِ عَلَى حَالِهَا فَلَمْ تَزَلْ كَذَلِكَ إِلَى زَمَنِ السَّفَّاحِ أَوَّلِ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ فَبَعَثَ إِلَيْهَا جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعَزْمِ وَالْحَزْمِ وَالْعِلْمِ فَنَقَضُوهَا حَجَرًا حَجَرًا، وَدَرَسَتْ آثَارُهَا إِلَى يَوْمِنَا هَذَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا تَحَدَّثَتِ الْعَرَبُ بِكِتَابِ أَبْرَهَةَ إِلَى النَّجَاشِيِّ
পৃষ্ঠা - ১২৩৪
ষ্ষ্


আরবগণ আবু রেপালের কবরে পাথর ছুড়ে ৷ মাগমাসে যে কবরে পাথর নিক্ষেপ করা হয়
সেটি এই আবু রেপালের কবর ৷ ইতিপুর্বে ছামুদ সম্প্রদায়ের আলোচনায় এসেছে যে, আবু
রেগাল তাদের সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল ৷ সে হারাম শরীফে আশ্রয় গ্রহণ করে , নিজেকে রক্ষা করত ৷
একদিন সে হারাম শরীফ এলাকা ছেড়ে বের হয় ৷ তখনই একটি পাথর তাকে আঘাত করে
এবং তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবীদেরকে বলেছেন, “তার নিদর্শন হল
তার সাথে স্বর্ণের দৃ’টো কাঠি দাফন করা হয়েছে ৷ সাহাবীগণ ঐ কবর খনন করেন এবং
সেখানে স্বর্ণের দৃ’টো কাঠি পান ৷ তিনি বলেন, আবু রেপাল ছাকীফ গোত্রের আদি পুরুষ ৷

আমি বলি, এই বর্ণনা ও ইবন ইসহাকের বর্ণনার মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা যায় যে,
আবরাহার সাথী আবু রেগাল ছামুদ সম্প্রদায়ের আবু রেগাংলর অধ৪স্তন পুরুষ ৷ আলোচ্য আবু
রেপাল ও তার পুর্বপুরুষ আবু রেপালের নাম অভিন্ন; ৷ উভয় আবু রেপালের কবরেই লোকজন
পাথর ছুড়ে মারভাে ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷

করি জায়ীর বলেন :

র্টু,া৷হ্র) ট্রুর্দু৷ ,পু:স্র ণ্ৰুন্১,১ হৃ;,ঘু;:রু,াব্লু ’, দ্বুড়ুহুগ্লুন্“৷ ৷ গ্রা; ৷১া

ফরযদকের মৃত্যু পরে তার কবরে পাথর ছুড়ে মড়ারবে ৷

যেমনটি পাথর মেরেছিল আবু রেপালের কবরে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবরাহা মাগমাসে এসে আসওয়াদ ইবন মড়াকসুদ নামের জনৈক
হাবশী লোককে একদল অশ্বারোহীসহ মক্কায় প্রেরণ করে ৷ তারা মক্কায় আসে এবং
কুরড়ায়শদের তেহামা অঞ্চলে লুটপাট চালায় ৷ তারা সেখানকার কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রের
সমস্ত ধন সম্পদ নিয়ে আবরাহার নিকট পেশ করে ৷ লুষ্ঠিত মালামালের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিব
ইবন হাশিমের ২০০ উট ছিল ৷ তিনি ছিলেন কুরায়শদের দলপতি ৷ এতে কুরায়শ, কিনানা
হুযায়ল এবং হারাম শরীফে অবস্থানকারী অন্যান্য গোত্রের লোকজন আবরাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হওয়ায় সংকল্প করে ৷ পরে তার বিরুদ্ধে বিজয় লাভে সক্ষম হবে না বুঝতে পেরে তারা
এ পরিকল্পনা ত্যাগ করে ৷

এদিকে আবরাহা হিনাতা হিমায়ারী নামের এক লোককে মক্কায় প্রেরণ করে ৷ সে তাকে
বলে যে, তুমি মক্কায় গিয়ে উক্ত নগরীর নগরপত্যিক খুজে বের করবে এবং তাকে বলবে যে,
আমরা আপনাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি ৷ আমরা এসেছি ঐ উপাসনালয়টি ধ্বংস করার
জন্যে ৷ ঐ উপাসনালয় রক্ষাকল্পে আপনারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করেন, তবে
আপনাদের রক্তপাত আমাদের প্রয়োজন নেই ৷ তাদের সর্দার আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করতে
সম্মত হলে তাকে আমার নিকট নিয়ে আসবে ৷ হিনাতা মক্কায় এসে সেখানকার নগরপতিকে তা
জিজ্ঞেস করে ৷ তাকে জানানো হয় যে, আব্দুল মুত্তালিব এ নগরপতি ৷ সে আব্দুল মুত্তালিবের
সাথে সাক্ষাত করে এবং আবরাহা বা বলতে নির্দেশ দিয়েছিল তা বলে ৷ তখন আব্দুল মুত্তালিব
বলেন, আল্লাহ্র কসম আমরা আবরাহড়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আমাদের সেই শক্তি
নেই ৷ এটি আল্লাহর সম্মানিত গৃহ এবং আল্লাহর খলীল ইবরাহীম (আ)-এর গৃহ ৷ আব্দুল
মুত্তালিব এটা বা এ মর্মের কোন কথা তিনি বলেছিলেন ৷ আরও বলেন, আল্লাহ যদি আবরড়াহার


غَضِبَ رَجُلٌ مِنَ النَّسَأَةِ مِنْ كِنَانَةَ الَّذِينَ يَنْسَئُونَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ إِلَى الْحِلِّ بِمَكَّةَ أَيَّامَ الْمَوْسِمِ كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى {إِنَّمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ} [التوبة: 37] الْآيَةَ [التَّوْبَةِ: 37] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجَ الْكِنَانِيُّ حَتَّى أَتَى الْقُلَّيْسَ فَقَعَدَ فِيهِ أَيْ أَحْدَثَ حَيْثُ لَا يَرَاهُ أَحَدٌ، ثُمَّ خَرَجَ فَلَحِقَ بِأَرْضِهِ فَأُخْبِرَ أَبْرَهَةُ بِذَلِكَ فَقَالَ: مَنْ صَنَعَ هَذَا؟ فَقِيلَ لَهُ: صَنَعَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ هَذَا الْبَيْتِ الَّذِي تَحُجُّهُ الْعَرَبُ بِمَكَّةَ لَمَّا سَمِعَ بِقَوْلِكَ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَصْرِفَ حَجَّ الْعَرَبِ إِلَى بَيْتِكَ هَذَا فَغَضِبَ فَجَاءَ فَقَعَدَ فِيهَا أَيْ أَنَّهُ لَيْسَ لِذَلِكَ بِأَهْلٍ فَغَضِبَ أَبْرَهَةُ عِنْدَ ذَلِكَ، وَحَلَفَ لَيَسِيرَنَّ إِلَى الْبَيْتِ حَتَّى يَهْدِمَهُ، ثُمَّ أَمَرَ الْحَبَشَةَ فَتَهَيَّأَتْ وَتَجَهَّزَتْ ثُمَّ سَارَ، وَخَرَجَ مَعَهُ بِالْفِيلِ. وَسَمِعَتْ بِذَلِكَ الْعَرَبُ فَأَعْظَمُوهُ، وَفَظِعُوا بِهِ، وَرَأَوْا جِهَادَهُ حَقًّا عَلَيْهِمْ حِينَ سَمِعُوا بِأَنَّهُ يُرِيدُ هَدْمَ الْكَعْبَةِ بَيْتَ اللَّهِ الْحَرَامَ فَخَرَجَ إِلَيْهِ رَجُلٌ كَانَ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَمُلُوكِهِمْ يُقَالَ لَهُ: ذُو نَفَرٍ فَدَعَا قَوْمَهُ وَمَنْ أَجَابَهُ مِنْ سَائِرِ الْعَرَبِ إِلَى حَرْبِ أَبْرَهَةَ وَجِهَادِهِ عَنْ بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ وَمَا يُرِيدُهُ مِنْ هَدْمِهِ وَإِخْرَابِهِ فَأَجَابَهُ مَنْ أَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، ثُمَّ عَرَضَ لَهُ فَقَاتَلَهُ فَهُزِمَ ذُو نَفَرٍ وَأَصْحَابُهُ وَأُخِذَ لَهُ ذُو نَفَرٍ فَأُتِيَ بِهِ أَسِيرًا فَلَمَّا أَرَادَ قَتْلَهُ قَالَ لَهُ ذُو نَفَرٍ: يَا أَيُّهَا الْمَلِكُ لَا تَقْتُلْنِي ; فَإِنَّهُ عَسَى أَنْ يَكُونَ بَقَائِي مَعَكَ خَيْرًا لَكَ مِنَ الْقَتْلِ فَتَرَكَهُ مِنَ
পৃষ্ঠা - ১২৩৫
ষ্ষ্


হাত থেকে এ গৃহকে রক্ষা করেন, তবে তা তারই সম্মানিত স্থান ও গৃহ আর তিনি যদি
আবরাহাকে তা করতে দেন, তবে আল্লাহর কসম, তাকে বাধা দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই ৷

হিনা তা বলল, ঠিক আছে, আপনি আমার সাথে তার নিকট চলুন তিনি আপনাকে নিয়ে
যেতে বলেছেন ৷ হিনতো তার সাথে আব্দুল মুত্তালিব রওয়ানা হলেন ৷ তার কয়েকজন হেলেও তার
সাথে যায় ৷ তিনি আবরাহার সৈন্যবাহিনীর নিকট এসে ওদের কাছে যুনফর আছে কি-না
জানতে চান ৷ যুনফর ছিল আবদুল মুত্তালিবের বন্ধু ৷ অনুমতি নিয়ে আবদুল মুত্তালিব গিয়ে
যুনফরের বন্দীখানায় পৌছেন ৷ তিনি বললেন, যুনফর ! আমাদের উপর যে বিপদ এসেছে, তা
থেকে মুক্তি লাভের কোন পথ তোমার জানা আছে কি? যে বলল রাজার হাতে বন্দী
সকাল-সন্ধ্যড়ায় মৃত্যুর প্রতীক্ষারত একজন মানুষের কী-ই বা করার থাকাত পারে?

আপনাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার কোন ক্ষমতা আমার সেই ৷৩ তবে আনিস নামে
জনৈক ব্যক্তি আছে, সে হস্তি বাহিনীর পরিচালক এবং আমার বন্ধুও বটে ৷ আমি৩ ৷র নিকট
সংবাদ পাঠ৷ ৷ব এবং আপনাকে সাহায্য করার অনুরোধ জানার ৷ তার নিকট আপনার গুরুতৃ তুলে
ধ্রব ৷ আমি তাকে অনুরোধ করব, সে যেন আপনাকে রাজার নিকট নিয়ে যায় ৷ অতঃপর
আপনি সরাসরি রাজ ব সাথে কথা বলবেন ৷ সক্ষম হলে সে রাজার নিকট আপনার জন্যে
সুপারিশ করবে ৷ এটা শুনে আবদুল মুত্তালিব বলেন, এ৩ তটুকুই আমার জন্যে যথেষ্ট ৷ যুনফর
আনীসের নিকট এ বা৩ ৷ নিয়ে লোক পাঠায যে, আবদুল মুত্তালিব কুরায়শ বংশের নেতা এবং
মক্কার যমযম কুপের তত্ত্বাবধানকারী ৷ তিনি সমতলের লোকজন এবং পাহাড়ের পশুদেরকে
আহায দিয়ে থাকেন ৷ রাজা তার ২০ :টি উট ছিনিয়ে এন্যেছন ৷ রাজার সাথে দেখা করার জন্যে
তুমি তাকে অনুমতি নিয়ে দাও এবং যথাসম্ভব তা ৷র উপকার করে৷ ৷ আনীস বলল, ঠিক আছে
আমি তাই করব ৷

আনীস তখন আবরাহার সাথে আলাপ করে ৷ সে বলে, মহারাজা এই কুরায়শ প্রধান
আপনার দ্বারে উপস্থিত ৷ আপনার সাথে দেখা করার অনুমতি চাচ্ছেন ৷ তিনি মক্কার যমযম
কুপের তত্ত্বাবধাযক ৷ তিনি সমতলে লোকজনের এবং পাহাড়ে পশুদের আহার্যের ব্যবস্থা করে
থাকেন ৷ তাকে আপনার নিকট আসার অনুমতি দিন ৷ যাতে তিনি তার সমস্যার কথা আপনাকে
জানাতে পারেন ৷ আবরাহ৷ অনুমতি দিল ৷ আবদুল মৃত্তালিব ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ ৷

আবরাহ৷ তাকে দেখে তার অবস্থান ও মর্যাদা সম্পর্কে আচ করতে পারলাে এবং তাকে
যেঝেতে বসতে দিতে কুষ্ঠাবােধ্ করল ৷ অন্যদিকে আবদুল মুত্তালিবকে রাজ সিংহাসনে
বসিয়েছে হাবশীগণ এট৷ দেথুক৩ তাও তার মনপুত ছিল না ৷ ফলে আৰরাহাও তার সিংহাসন
থেকে নেমে বিছানায় বলে এবং আবদুল মুত্তালিবকে পাশে বসায় ৷ তারপর তার দোভাষীকে
বলে , তার সমস্যার কথা পেশ করতে বল ৷ দোভাষী আবদুল মুত্তালিবকে তার কথা পেশ করতে
বললে তিনি বলেন, আমার যে দু’শটি উট রাজার নিকট নিয়ে আসা হয়েছে সেগুলো ফেরত
দেয়া হোক ৷


الْقَتْلِ، وَحَبَسَهُ عِنْدَهُ فِي وَثَاقٍ وَكَانَ أَبْرَهَةُ رَجُلًا حَلِيمًا، ثُمَّ مَضَى أَبْرَهَةُ عَلَى وَجْهِهِ ذَلِكَ يُرِيدُ مَا خَرَجَ لَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ بِأَرْضِ خَثْعَمٍ عَرَضَ لَهُ نُفَيْلُ بْنُ حَبِيبٍ الْخَثْعَمِيُّ فِي قَبِيلَتَيْ خَثْعَمٍ، وَهُمَا: شَهْرَانُ وَنَاهِسٌ وَمَنْ تَبِعَهُ مِنْ قَبَائِلِ الْعَرَبِ فَقَاتَلَهُ فَهَزَمَهُ أَبْرَهَةُ وَأُخِذَ لَهُ نُفَيْلٌ أَسِيرًا فَأُتِيَ بِهِ فَلَمَّا هَمَّ بِقَتْلِهِ قَالَ لَهُ نُفَيْلٌ: أَيُّهَا الْمَلِكُ لَا تَقْتُلْنِي فَإِنِّي دَلِيلُكَ بِأَرْضِ الْعَرَبِ، وَهَاتَانِ يَدَايَ لَكَ عَلَى قَبِيلَتَيْ خَثْعَمٍ - شَهْرَانَ وَنَاهِسٍ - بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَخَلَّى سَبِيلَهُ، وَخَرَجَ بِهِ مَعَهُ يَدُلُّهُ حَتَّى إِذَا مَرَّ بِالطَّائِفِ خَرَجَ إِلَيْهِ مَسْعُودُ بْنُ مُعَتِّبِ بْنِ مَالِكِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ فِي رِجَالِ ثَقِيفٍ فَقَالُوا لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ إِنَّمَا نَحْنُ عَبِيدُكَ سَامِعُونَ لَكَ مُطِيعُونَ لَيْسَ عِنْدَنَا لَكَ خِلَافٌ، وَلَيْسَ بَيْتُنَا هَذَا الْبَيْتَ الَّذِي تُرِيدُ - يَعْنُونَ اللَّاتَ - إِنَّمَا تُرِيدُ الْبَيْتَ الَّذِي بِمَكَّةَ، وَنَحْنُ نَبْعَثُ مَعَكَ مَنْ يَدُلُّكَ عَلَيْهِ فَتَجَاوَزَ عَنْهُمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاللَّاتُ بَيْتٌ لَهُمْ بِالطَّائِفِ كَانُوا يُعَظِّمُونَهُ نَحْوَ تَعْظِيمِ الْكَعْبَةِ. قَالَ: فَبَعَثُوا مَعَهُ أَبَا رِغَالٍ يَدُلُّهُ عَلَى الطَّرِيقِ إِلَى مَكَّةَ فَخَرَجَ أَبْرَهَةُ، وَمَعَهُ أَبُو رِغَالٍ حَتَّى أَنْزَلَهُ بِالْمُغَمِّسِ فَلَمَّا أَنْزَلَهُ بِهِ مَاتَ أَبُو رِغَالٍ هُنَالِكَ فَرَجَمَتْ قَبْرَهُ الْعَرَبُ فَهُوَ الْقَبْرُ الَّذِي يَرْجُمُ النَّاسُ بِالْمُغَمِّسِ وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي قِصَّةِ ثَمُودَ «أَنَّ أَبَا رِغَالٍ كَانَ رَجُلًا مِنْهُمْ وَكَانَ يَمْتَنِعُ بِالْحَرَمِ فَلَمَّا خَرَجَ مِنْهُ
পৃষ্ঠা - ১২৩৬
أَصَابَهُ حَجَرٌ فَقَتَلَهُ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِأَصْحَابِهِ وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ دُفِنَ مَعَهُ غُصْنَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَحَفَرُوا فَوَجَدُوهُمَا قَالَ وَهُوَ أَبُو ثَقِيفٍ» . قُلْتُ: وَالْجَمْعُ بَيْنَ هَذَا وَبَيْنَ مَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَبَا رِغَالٍ هَذَا الْمُتَأَخِّرَ وَافَقَ اسْمُهُ اسْمَ جَدِّهِ الْأَعْلَى، وَرَجَمَهُ النَّاسُ كَمَا رَجَمُوا قَبْرَ الْأَوَّلِ. وَأَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ جَرِيرٌ إِذَا مَاتَ الْفَرَزْدَقُ فَارْجُمُوهُ كَرَجْمِكُمُ لِقَبْرِ أَبِي رِغَالِ الظَّاهِرُ أَنَّهُ الثَّانِي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا نَزَلَ أَبْرَهَةُ بِالْمُغَمِّسِ، بَعَثَ رَجُلًا مِنَ الْحَبَشَةِ يُقَالَ لَهُ: الْأَسْوَدُ بْنُ مَقْصُودٍ. عَلَى خَيْلٍ لَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَكَّةَ فَسَاقَ إِلَيْهِ أَمْوَالَ تِهَامَةَ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، وَأَصَابَ فِيهَا مِائَتَيْ بَعِيرٍ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ كَبِيرُ قُرَيْشٍ وَسَيِّدُهَا فَهَمَّتْ قُرَيْشٌ، وَكِنَانَةُ وَهُذَيْلٌ، وَمَنْ كَانَ بِذَلِكَ الْحَرَمِ بِقِتَالِهِ، ثُمَّ عَرَفُوا أَنَّهُ لَا طَاقَةَ لَهُمْ بِهِ فَتَرَكُوا ذَلِكَ، وَبَعَثَ أَبْرَهَةُ حُنَاطَةَ الْحِمْيَرِيَّ إِلَى مَكَّةَ، وَقَالَ لَهُ: سَلْ عَنْ سَيِّدِ أَهْلِ هَذَا
পৃষ্ঠা - ১২৩৭
ষ্ষ্


আবরাহা তার দোভাষীকে বলল, আমার এ বক্তব্য তাকে বল যে, আপনাকে দেখে আমি
খুব খুশী হয়েছিলাম কিন্তু আপনার কথা শুনে আমি হতাশ হয়েছি ৷ হায় ৷ আপনি আমার হাতে
আসা এই সামান্য দু’শোটি উটের কথা বলছেন অথচ আপনার নিজের ধর্মের প্রতীক এবং
আপনার পুর্ব-পুরুষের ধর্মের প্রতীক উপাসনালয়টি সম্পাট্টর্ক কিছুই বললেন না ৷ আমরা তো
সেটি ধ্বংস করতে এসেছি ৷ সেটি সম্পর্কে আপনি কি আমাকে কিছুই বলবেন না? আবদুল
মুত্তালিব বললেন, আমি তো কেবল উটেরই মালিক ৷ ঐ গৃহের একজন মালিক আছেন ৷ তিনিই
সেটি রক্ষা করবেন ৷ আবরাহা বলে, “তিনি তো আমার হাত থেকে সেটি রক্ষা করতে পারবেন
না ৷” আবদুল মুত্তালিব, বলেন, সেটি আপনার ও তার ব্যাপার ৷ তখন আবরাহা আবদুল
মুত্তালিহ্বর উটগুলো ফ্রেরত দিয়ে দেয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বর্ণিত আছে যে, আবদুল মুত্তালিবের সাথে বনী বকর গোত্রের প্রধান
ইয়ামার ইবন নাকাহু (ইবন আদী ইবন দায়ল ইবন বকর ইবন আবদ মানাত ইবন কিনানাহ্)
এবং হুযায়ল গোত্রের প্রধান কুওয়ালিদ ইবন ওয়াছিলা অববাহার নিকট গিয়েছিলেন ৷ গুহ্বরা
প্রস্তাব করেছিলেন যে, আবরাহা যদি তাদের এখান থেকে চলে যায় এবং আল্লাহর ঘর ধ্বংস না
করে তবে তারা তাকে তিহামাহ্ আঞ্চলের সমগ্র ধন সম্পদের এক তৃতীয়ড়াৎশ দিয়ে দিবেন ৷
আবরাহা তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৷ মুলত তা কতটুকু সত্য তা আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

আবরাহাব দরবার থেকে তাদের প্রত্যাবর্তনের পর আবদুল মুত্তালিব কুরায়শদের নিকট
উপস্থিত হন“ এবং সকল বিষয় তাদেরকে অবহিত করেন ৷ তিনি তাদেরকে মক্কা ছেড়ে পাহাড়ের
উপর নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণের নির্দেশ দেন ৷ এরপর আবদুল মুত্তালিব নিজে কুরায়শদের একটি
জামাতকে সাথে নিয়ে কাবা শরীফের দরজার কড়া ধরে দীড়ান এবং আল্লাহ্র নিকট দোয়া
করতে থাকেন ৷ তারা আবরাহা ও তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন ৷

কাবা শরীফের দরজা ধরে আবদুল মুত্তালিব বলেন :
৷ ৰুর্চু৷ ণ্ছু১ স্ট
“হে আল্লাহ ! বান্দা তার নিজের ঘরের হেফাজত করে সুতরাং আপনি আপনার ঘর রক্ষা
করুন ৷

এ ৷;;ৰু ,;হ্র ব্লু;দ্বু ৷;১’, র্গো ঠোা র
আগামী সকালে যেন তাদের ক্রুশ চিহ্ন কােনক্রযেই বিজয়ী না হয় ৷ আর আপনার গৃহের
উপর তাদের গৃহ প্রাধান্য না পায় ৷
আর আপনি যদি আমাদের কেবলাকে তাদের হাতে ছেড়েই দেন তরে আপনার মা ইচ্ছা

তাই করুন ৷ ইবন হিশাম বলেন, আবদুল মুত্তালিব এ কবিতাগুলো বলেছিলেন বলে বিশুদ্ধ
সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷


الْبَلَدِ وَشَرِيفِهِمْ، ثُمَّ قُلْ لَهُ: إِنَّ الْمَلِكَ يَقُولُ: إِنِّي لَمْ آتِ لِحَرْبِكُمْ إِنَّمَا جِئْتُ لِهَدْمِ هَذَا الْبَيْتِ فَإِنْ لَمْ تَعْرِضُوا لَنَا دُونَهُ بِحَرْبٍ فَلَا حَاجَةَ لِي بِدِمَائِكُمْ فَإِنْ هُوَ لَمْ يُرِدْ حَرْبِي فَأْتِنِي بِهِ. فَلَمَّا دَخَلَ حُنَاطَةُ مَكَّةَ سَأَلَ عَنْ سَيِّدِ قُرَيْشٍ، وَشَرِيفِهَا فَقِيلَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلَبِ بْنُ هَاشِمٍ فَجَاءَهُ فَقَالَ لَهُ مَا أَمَرَهُ بِهِ أَبْرَهَةُ فَقَالَ لَهُ: عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَاللَّهِ مَا نُرِيدُ حَرْبَهُ وَمَا لَنَا بِذَلِكَ مِنْ طَاقَةٍ، هَذَا بَيْتُ اللَّهِ الْحَرَامُ، وَبَيْتُ خَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ - أَوْ كَمَا قَالَ - فَإِنْ يَمْنَعْهُ مِنْهُ فَهُوَ حَرَمُهُ وَبَيْتُهُ، وَإِنْ يُخَلِّ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فَوَاللَّهِ مَا عِنْدَنَا دَفْعٌ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ حُنَاطَةُ: فَانْطَلِقْ مَعِي إِلَيْهِ فَإِنَّهُ قَدْ أَمَرَنِي أَنْ آتِيَهُ بِكَ فَانْطَلَقَ مَعَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ، وَمَعَهُ بَعْضُ بَنِيهِ حَتَّى أَتَى الْعَسْكَرَ فَسَأَلَ عَنْ ذِي نَفَرٍ وَكَانَ لَهُ صَدِيقًا حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي مَحْبِسِهِ فَقَالَ لَهُ: يَا ذَا نَفَرٍ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ غَنَاءٍ فِيمَا نَزَلَ بِنَا؟ فَقَالَ لَهُ ذُو نَفَرٍ: وَمَا غَنَاءُ رَجُلٍ أَسِيرٍ بِيَدَيْ مَلِكٍ يَنْتَظِرُ أَنْ يَقْتُلَهُ غُدُوًّا أَوْ عَشِيًّا مَا عِنْدِي غَنَاءٌ فِي شَيْءٍ مِمَّا نَزَلَ بِكَ إِلَّا أَنَّ أُنَيْسًا سَائِسَ الْفِيلِ صَدِيقٌ لِي فَسَأُرْسِلُ إِلَيْهِ، وَأُوصِيهِ بِكَ، وَأُعَظِّمُ عَلَيْهِ حَقَّكَ، وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَأْذِنَ لَكَ عَلَى الْمَلِكِ فَتُكَلِّمَهُ بِمَا بَدَا لَكَ، وَيَشْفَعَ لَكَ عِنْدَهُ بِخَيْرٍ إِنْ قَدَرَ عَلَى ذَلِكَ. فَقَالَ: حَسْبِي فَبَعَثَ ذُو نَفَرٍ إِلَى أُنَيْسٍ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ سَيِّدُ قُرَيْشٍ، وَصَاحِبُ عِيرِ مَكَّةَ يُطْعِمُ النَّاسَ بِالسَّهْلِ وَالْوُحُوشَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ وَقَدْ أَصَابَ لَهُ الْمَلِكُ مِائَتَيْ بَعِيرٍ فَاسْتَأْذِنْ لَهُ عَلَيْهِ، وَانْفَعْهُ عِنْدَهُ بِمَا
পৃষ্ঠা - ১২৩৮
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক বলেন, এরপর আবদুল মুত্তালিব কাবা শরীফের দরজার কড়া ছেড়ে দিয়ে
কুরাযশদেরকে নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় উঠে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং আববাহ৷ ও তার সৈন্যরা কী
করে, তা অবলােকন করতে থাকেন ৷

পরদিন সকালে আবরাহা মক্কা প্রবােশর প্রস্তুতি নেয় ৷ তার হাতি বাহিনীকে সজ্জিত করে
এবং সৈন্যদেরকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করে ৷ তার হাতির নাম ছিল মাহমুদ ৷ হাতিটিকে মক্কা
অভিমুথী করলে মুহুর্তে নুফায়ল ইবন হাবীব সেখানে উপস্থিত হয় ৷ সে হাতিটির পাশে এসে
দাড়ায় ৷ হাতির কান ধরে সে বলে, হে মাহমুদ! তুমি মাটিতে বসে যাও এবং যেদিক থেকে
এসেছে সোজা সে দিকে ফিরে যাও ৷ কারণ, তুমি আল্লাহ্র সম্মানিত শহশৃর এসেছে ৷ এই বলে
সে হাতিটির কান ছেড়ে দেয় ৷ হাতিটি ভুাটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়ে ৷ সুহায়লী বলেন হাতি
মাটিতে পড়ে যায় ৷ কারণ, হাতি ইাটু থেড়ে বসতে পারে না ৷ অবশ্য, কেউ কেউ বলেন যে,
এক প্রজাতির হাতি উটের ন্যায় হাটু গেড়ে বসতে পারে ৷

এ পরিস্থিতিতে নুফায়ল ইবন হাবীব দৌড়ে গিয়ে পাহাড়ে ওচুঠ ৷ আবরাহার সৈন্যরা
হাতিটিকে দাড় করানো জন্যে প্রহার করতে থাকে ৷ হাতি কোন মতেই উঠলাে ৷না, তারা তার
মাথায় কুঠারাঘাত করে ৷ তবুও সে উঠলাে না ৷ এরপর তারা তার চামড়ার বীক৷ আকশি ঢুকিয়ে
দেয় এবং চামড়া ছিড়ে ফেলে তারপরও সে উঠলাে না ৷ তারা এবার ইয়ামানের দিকে তার মুখ
ফিরিয়ে দেয় ৷ ক লবিলম্ব না করে হাতিটি দাড়িয়ে যায় এবং দ্রুত হ টতে শুরু করে ৷ এরপর
তারা তাকে সিরিয়ার দিকে মুখ করে দেয় ৷ যে ঐ দিকে দ্রুত হাটতে থাকে ৷ এরপর তারা
তাকে পুর্বমুথী করে দেয় ৷ সে একইভাবে দ্রুত সেদিকে হাটতে থাকে ৷ এবার তারা পুনরায়
তাকে মক্কা অভিমুথী করে দেয় ৷ সে পুনরায় মাটিতে বসে পড়ে ৷ আল্লাহ তাআলা সমুদ্রাঞ্চল
থেকে তাদের প্রতি এক ঝাক পাথী প্রেরণ করেন ৷ এগুলো ছিল এক প্রকার ছোট পাথী ৷ প্রতিটি
পাথী তিনটি করে কঙ্কর নিয়ে এসেছিল ৷ একটি ঠোটে আর দৃ’টো দৃ পায়ে ৷ কঙ্করগুলো ছিল
ছোলা ও মশুর ডালের ন্যায় ৷ যার উপর কঙ্কর পড়লো সে-ই ধ্বংস হয়ে গেল ৷

অবশ্য আবরাহার সকল সৈন্যের গায়ে কঙ্কর লাগেনি ৷ যাদের পারে তা পড়েনি তারা
পালিয়ে প্রাণে বেচে যায় ৷ যে পথে এসেছিল তারা যে পথেই ফিরে যেতে থাকে ৷ ইয়ামানের
পথ চিনিয়ে দেয়ার জন্যে তারা নুফায়ল ইবন হাবীবকে তালাশ করতে থাকে ৷ এ প্রসঙ্গে
নুফায়লবলেন৪ ;ষ্শ্ শ্ষ্ শ্শ্ ! শ্প্ শ্ ন্ষ্শ্শ্ শ্ ; “; ,
১া৷
তুমি কি আমাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন পাওনি হে রুদায়নাঃ আমরাতে৷ তােমাদেরকে
সাদর সম্ভাষণ জানিয়েছি ৷
হে রাদীন৷ মুহাসসাব অঞ্চলে আমরা যা দেখেছি তুমি যদি তা দেথতেত তবে তুমি যে দিকে
ফিরে ত ৷কাতে না ৷



(১) ইট্রু £ অর্থ বিশ্বাসঘাতকতা ৷


اسْتَطَعْتَ قَالَ: أَفْعَلُ فَكَلَّمَ أُنَيْسٌ أَبْرَهَةَ فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ هَذَا سَيِّدُ قُرَيْشٍ بِبَابِكَ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْكَ وَهُوَ صَاحِبُ عِيرِ مَكَّةَ وَهُوَ الَّذِي يُطْعِمُ النَّاسَ بِالسَّهْلِ وَالْوُحُوشَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَأْذَنْ لَهُ عَلَيْكَ فَلْيُكَلِّمْكَ فِي حَاجَتِهِ. فَأَذِنَ لَهُ أَبْرَهَةُ قَالَ: وَكَانَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ أَوْسَمَ النَّاسِ وَأَعْظَمَهُمْ وَأَجْمَلَهُمْ فَلَمَّا رَآهُ أَبْرَهَةُ أَجَلَّهُ، وَأَكْرَمَهُ عَنْ أَنْ يُجْلِسَهُ تَحْتَهُ، وَكَرِهَ أَنْ تَرَاهُ الْحَبَشَةُ يُجْلِسُهُ مَعَهُ عَلَى سَرِيرِ مُلْكِهِ فَنَزَلَ أَبْرَهَةُ عَنْ سَرِيرِهِ فَجَلَسَ عَلَى بِسَاطِهِ، وَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَيْهِ إِلَى جَانِبِهِ، ثُمَّ قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُ: حَاجَتُكَ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ التُّرْجُمَانُ فَقَالَ: حَاجَتِي أَنْ يَرُدَّ عَلَيَّ الْمَلِكُ مِائَتَيْ بَعِيرٍ أَصَابَهَا لِي فَلَمَّا قَالَ لَهُ ذَلِكَ قَالَ أَبْرَهَةُ لِتُرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُ: لَقَدْ كُنْتَ أَعْجَبْتَنِي حِينَ رَأَيْتُكَ، ثُمَّ قَدْ زَهِدْتُ فِيكَ حِينَ كَلَّمْتَنِي أَتُكَلِّمُنِي فِي مِائَتَيْ بَعِيرٍ أَصَبْتُهَا لَكَ، وَتَتْرُكُ بَيْتًا هُوَ دِينُكَ، وَدِينُ آبَائِكَ قَدْ جِئْتُ لِأَهْدِمَهُ لَا تُكَلِّمُنِي فِيهِ؟ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ: إِنِّي أَنَا رَبُّ الْإِبِلِ، وَإِنَّ لِلْبَيْتِ رَبًّا سَيَمْنَعُهُ. فَقَالَ: مَا كَانَ لِيَمْتَنِعَ مِنِّي قَالَ: أَنْتَ وَذَاكَ. فَرَدَّ عَلَى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِبِلَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ قَدْ دَخَلَ مَعَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى أَبْرَهَةَ يَعْمَرُ بْنُ نُفَاثَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الدُّئِلِ بْنِ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ سَيِّدُ بَنِي بَكْرٍ، وَخُوَيْلِدُ بْنُ وَاثِلَةَ سَيِّدُ هُذَيْلٍ فَعَرَضُوا عَلَى أَبْرَهَةَ ثُلُثَ أَمْوَالِ تِهَامَةَ عَلَى أَنْ يَرْجِعَ عَنْهُمْ وَلَا يَهْدِمَ الْبَيْتَ فَأَبَى عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَكَانَ ذَلِكَ أَمْ لَا. فَلَمَّا انْصَرَفُوا عَنْهُ انْصَرَفَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ إِلَى قُرَيْشٍ فَأَخْبَرَهُمُ الْخَبَرُ، وَأَمَرَهُمْ بِالْخُرُوجِ
পৃষ্ঠা - ১২৩৯
مِنْ مَكَّةَ وَالتَّحَرُّزِ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، ثُمَّ قَامَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَأَخَذَ بِحَلْقَةِ بَابِ الْكَعْبَةِ، وَقَامَ مَعَهُ نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ يَدْعُونَ اللَّهَ، وَيَسْتَنْصِرُونَهُ عَلَى أَبْرَهَةَ وَجُنْدِهِ، وَقَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ آخِذٌ بِحَلْقَةِ بَابِ الْكَعْبَةِ لَاهُمَّ إِنَّ الْعَبْدَ يَمْنَعُ رَحْلَهُ فَامْنَعْ حَلَالَكْ لَا يَغْلِبَنَّ صَلِيبُهُمْ وَمِحَالُهُمْ غَدْوًا مِحَالَكْ إِنْ كُنْتَ تَارِكَهُمْ وَقِبْلَتَنَا فَأَمْرٌ مَا بَدَا لَكَ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ هَذَا مَا صَحَّ لَهُ مِنْهَا، وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَرْسَلَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ حَلْقَةَ بَابِ الْكَعْبَةِ، وَانْطَلَقَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى شَعَفِ الْجِبَالِ يَتَحَرَّزُونَ فِيهَا يَنْتَظِرُونَ مَا أَبْرَهَةُ فَاعِلٌ فَلَمَّا أَصْبَحَ أَبْرَهَةُ تَهَيَّأَ لِدُخُولِ مَكَّةَ، وَهَيَّأَ فِيلَهُ وَعَبَّى جَيْشَهُ وَكَانَ اسْمُ الْفِيلِ مَحْمُودًا فَلَمَّا وَجَّهُوا الْفِيلَ إِلَى مَكَّةَ أَقْبَلَ نُفَيْلُ بْنُ حَبِيبٍ حَتَّى قَامَ إِلَى جَنْبِ الْفِيلِ، ثُمَّ أَخَذَ
পৃষ্ঠা - ১২৪০
ষ্ষ্

’, ৰু,;াঠুটুাছুএ্৷ ৷ টু ৷
তখন তুমি আমার ওযর গ্রহণ করতে এবং আমার কাজের প্রশংসা করতে ; যা হারিয়ে
গেছে তার জন্যে তুমি আক্ষেপ করতে না ৷



যখন আমি পক্ষীকুল দেখেছি তখন আমি তা ৷ল্লাহ্র প্ৰশং সা করেছি ৷ আবার আমাদের উপর
পাথর রর্ষিত হয় নাকি তার ভয়ও করেছি ৷

র্ড১ ১ ,১এেন্ “এর;
সবাই নুফায়লকে ঘেড়াজ করছে যেন আমার নিকট সকল হাবশী লোকের পাওনা রয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, অতঃপর আবরাহার সৈন্যরা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে যেদিকে পারে
পালিয়ে প্রাণ বাচাতে লাগল ৷ পক্ষীকুলের নিক্ষিপ্ত কঙ্কর অব্রাহার দেহেও বিদ্ধ হয় ৷ তারা
নিজেদের সাথে আররাহাকেও টেনে নিয়ে যায় ৷ কিন্তু কষ্কর বিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তার দেহ
থেকে ক্রমে ক্রমে এক আঙ্গুল এক আঙ্গুল করে খসে পড়তে শুরু করে ৷ একটি আঙ্গুলের পর
আরেকটি আঙ্গুল ঝরে পড়ছিল ৷ এভাবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয় ৷ এভাবে তার রক্ত ও
পুজ নিঃশেষিত হয়ে যায় ৷ তারা তাকে সানাআতে নিয়ে আসে ৷ তখন সে যেন একটি পাখির
ছানা ৷

কথিত আছে যে, তার মৃত্যুর সময় তার বুক ফেটে হৃৎপিণ্ড বের হয়ে পড়ে ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, ইয়াকুব ইবন উতবা আমাকে বলেছেন যে, জনশ্রুতি ছিল যে, আরব দেশে সর্বপ্রথম
হাম এবং রসস্তরোগ দেখা যায় সেই বছরই ৷ সেখানে তিক্ত বৃক্ষ হারমাল, হানযাল ও আশার
দেখা যায় সেই একই বছরে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত মুহাম্মদ (স) কে রাসুলরুপে প্রেরণ করার পর আল্লাহ
তা জানা কুরায়শদের প্রতি তার যে সকল নেয়ামত ও অনুগ্নহের কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর

অন্যতম হল তাদের অবস্থান ও অস্তিত্বের লক্ষে তাদের থেকে হাবশীদের আক্রমণ প্রতিহত
করা ৷

এ প্রসংগে আল্লাহ তা আলা বলেন :
১ও;ন্া৷

এট্র’হ্নগুণ্ এঞা<



তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক হা ৷তিওয়ালাদের প্রতি কী করেছিলেন? তিনি কি ওদের

কৌশল ব্যর্থ করে দেননিঃ ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাকে ঝাকে পাখী প্রেরণ করেন ৷ সেগুলো

ওদের উপর পাথুরে কঙ্কর নিক্ষেপ করে ৷ তারপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত খড়ের মত করেন ৷
(১০৫ ফীলু ১ ৫)


بِأُذُنِهِ فَقَالَ: ابْرُكْ مَحْمُودُ وَارْجِعْ رَاشِدًا مِنْ حَيْثُ أَتَيْتَ فَإِنَّكَ فِي بَلَدِ اللَّهِ الْحَرَامِ، وَأَرْسَلَ أُذُنَهُ فَبَرَكَ الْفِيلُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: أَيْ سَقَطَ إِلَى الْأَرْضِ، وَلَيْسَ مِنْ شَأْنِ الْفِيَلَةِ أَنَّ تَبْرُكَ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ مِنْهَا مَا يَبْرُكُ كَالْبَعِيرِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَخَرَجَ نُفَيْلُ بْنُ حَبِيبٍ يَشْتَدُّ حَتَّى أَصْعَدَ فِي الْجَبَلِ، وَضَرَبُوا الْفِيلَ لِيَقُومَ فَأَبَى فَضَرَبُوا رَأْسَهُ بِالطَّبَرْزِينِ لِيَقُومَ فَأَبَى فَأَدْخَلُوا مَحَاجِنَ لَهُمْ فِي مَرَاقِّهِ فَبَزَغُوهُ بِهَا لِيَقُومَ فَأَبَى فَوَجَّهُوهُ رَاجِعًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَامَ يُهَرْوِلُ، وَوَجَّهُوهُ إِلَى الشَّامِ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَوَجَّهُوهُ إِلَى الْمَشْرِقِ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَوَجَّهُوهُ إِلَى مَكَّةَ فَبَرَكَ، وَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ طَيْرًا مِنَ الْبَحْرِ أَمْثَالَ الْخَطَاطِيفِ وَالْبَلَسَانِ، مَعَ كُلِّ طَائِرٍ مِنْهَا ثَلَاثَةُ أَحْجَارٍ يَحْمِلُهَا; حَجَرٌ فِي مِنْقَارِهِ وَحَجَرَانِ فِي رِجْلَيْهِ أَمْثَالَ الْحِمَّصِ وَالْعَدَسِ لَا تُصِيبُ مِنْهُمْ أَحَدًا إِلَّا
পৃষ্ঠা - ১২৪১
ষ্ষ্


ইবন ইসহাক ও ইবন হিশাম অতঃপর এই সুরা ও তৎপরবর্তী সুরাগুলােরত তাফসীর শুরু
করেন ৷ আমার তাফসীর গ্রন্থে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ আগ্রহী ব্যক্তিদের
জন্যে তাই যথেষ্ট হবে ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার ৷

ইবন হিশাম বলেন, ট্রুাট্রু চু৷ শব্দের অর্থ বাক বা দল ৷ আমার জানা মতে আরবরা এ
শব্দের একবচন ব্যবহার করে না ৷ তিনি বলেন ৰু,াট্রু পুশ্ ৷ব্দ সম্পর্কে ব্যাকরণবিদ ইউনুস ও
আবু উবায়দা বলেছেন যে, এটি দ্বারা আরবগণ সুকঠির্ন অর্থ বুঝায় ৷ কোন কোন তাফসীরকার
বলেছেন যে, , ৰু শব্দটি মুলত ৩দুটো ফা ৷রসী শব্দের সমষ্টি ৷ আরবর৷ এটিকে এক শব্দরুপে
ব্যবহার করে ৷ ফারসী শব্দ দুটো হল এ্ এবং ,হ্র অর্থ পাথর এধু অর্থ কাদা ৷ তারা
বলেন যে, পাথর ও কাদ৷ র তৈ রী কঙ্কব ই ওদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷

ইবন হিশাম আরও বলেন যে, £প্ছু অর্থ উদ্ভিদ ও তৃণলতার পাতা ৷

কাসাই বলেন জনৈক ব্যাকরণবিদকে আমি বলতে গুনেছি যে, ,’া চু৷ এর একবচন ৰুট্রু ন্
প্রাচীনকালের অনেক ভাযাবিদ বলেন, আবাবীল হলো পাখি শাবষ্ণের বাক , যেগুলো এখানৈ
সেখানে একদল অন্য দলের পেছন পেছন ছুটে ৷

হযরত ইবন আব্বাস (বা) বলেন, আবরাহ৷ বাহিনীর উপর কঙ্কর নিক্ষেপকারী পাখীগুলাের
চঞ্চু ছিল সাধা৷রণ পাখির মত ৷ পাগুলো ছিল কুকুরের খাবার মত ৷ ইকরামা ( রা ) বলেন, যে
গুলোর মাথা ছিল হিংস্র প্রাণীর মাথার মত ৷ এগুলো সমুদ্র থেকে উড়ে এসেছিল এবং এগুলোর
রঙ ছিল সবুজ ৷ উবায়দ ইবন উমায়ব বলেন, সেগুলো ছিল সামুদ্রিক কাল পাখি ৷ সেগুলোর
চঞ্চু ও পায়ে করে কঙ্কর নিয়ে এসেছিল ৷

হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, পাখিগুলোর আকৃতি ৩ছিল কল্পনার আনক৷ পাখির
মত ৷ তিনি আরও বলেন যে, তাদের আনীত কঙ্করগুলোর ক্ষুদ্রত তম কঙ্কর ছিল মানুষের মাথার
সমান ৷ কতক ছিল উর্টের সমান ৷ ইবন ইসহাক থেকে ইউনুস ইবন বুকায়র এরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ঐ কঙ্করগুলো ছিল ক্ষুদ্রাকৃতির ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন
বিবরণগুলোর কোনটি যথার্থ ৷

ইবন আবী হাতিম উবায়দ ইবন উমায়ব সুত্রে বলেন, হাতি বাহিনীকে যখন আল্লাহ তাআলা

ৎস করার ইচ্ছা করলেন তখন ওগুলোর প্রতি পাখির বাক প্রেরণ করলে সেগুলো এসেছিল

ন্ সমুদ্র থেকে ৷ আকৃতি ছিল বাজ পাখির মত ৷ প্রতিটি পাখি তিনটি করে কঙ্কর নিয়ে এসেছিল ৷

দৃ’টো দু’পায়ে একটি চঞ্চুতে ৷ সেগুলো এসে আবরাহা বাহিনীর মাথার উপর সারিবদ্ধভাবে

অবস্থান নেয় ৷ তারপর বিকট আওয়াজ করে এবং পায়ের ও চঞ্চুর কঙ্করগুলো নিক্ষেপ করে ৷

যাবই মাথায় কঙ্কর পড়েছে তা তার মলদ্বার ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে ৷ যার দেহের একদিকে

পড়েছে তার অন্য দিক দিয়ে তা বেরিয়ে গিয়েছে ৷ আল্লাহ তা আলা তখন প্রচণ্ড বায়ু প্রেরণ

করেছিলেন ৷ সেটি কঙ্করগুলােকে আঘাত করে ৷ এতে কঙ্করগুলে৷ আরও প্ৰচগুভাবে তাদের
উপর নিক্ষিপ্ত হয় ৷ ফলে৩ ৷রা সবাই ধ্বংস হয়ে যায় ৷


هَلَكَ، وَلَيْسَ كُلُّهُمْ أَصَابَتْ، وَخَرَجُوا هَارِبِينَ يَبْتَدِرُونَ الطَّرِيقَ الَّتِي مِنْهَا جَاءُوا، وَيَسْأَلُونَ عَنْ نُفَيْلِ بْنِ حَبِيبٍ لِيَدُلَّهُمْ عَلَى الطَّرِيقِ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ نُفَيْلٌ فِي ذَلِكَ أَلَّا حُيِّيتِ عَنَّا يَا رُدَيْنَا نَعِمْنَاكُمْ مَعَ الْإِصْبَاحِ عَيْنَا رُدَيْنَةُ لَوْ رَأَيْتِ فَلَا تَرَيْهِ لَدَى جَنْبِ الْمُحَصَّبِ مَا رَأَيْنَا إِذًا لَعَذَرْتِنِي وَحَمِدْتِ أَمْرِي وَلَمْ تَأْسَيْ عَلَى مَا فَاتَ بَيْنَا حَمِدْتُ اللَّهَ إِذْ أَبْصَرْتُ طَيْرًا وَخِفْتُ حِجَارَةً تُلْقَى عَلَيْنَا وَكُلُّ الْقَوْمِ يَسْأَلُ عَنْ نُفَيْلٍ كَأَنَّ عَلَيَّ لِلْحُبْشَانِ دَيْنَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجُوا يَتَسَاقَطُونَ بِكُلِّ طَرِيقٍ، وَيَهْلِكُونَ بِكُلِّ مَهْلِكٍ عَلَى كُلِّ مَنْهَلٍ، وَأُصِيبَ أَبْرَهَةُ فِي جَسَدِهِ، وَخَرَجُوا بِهِ مَعَهُمْ يَسْقُطُ أُنْمُلَةً أُنْمُلَةً، كُلَّمَا سَقَطَتْ أُنْمُلَةٌ أَتْبَعَتْهَا مِنْهُ مِدَّةٌ تَمِثُّ قَيْحًا وَدَمًا حَتَّى قَدِمُوا بِهِ صَنْعَاءَ وَهُوَ مِثْلُ فَرْخِ الطَّائِرِ فَمَا مَاتَ حَتَّى انْصَدَعَ صَدْرُهُ عَنْ قَلْبِهِ فِيمَا يَزْعُمُونَ.
পৃষ্ঠা - ১২৪২
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ أَنَّهُ حَدَّثَ أَنَّ أَوَّلَ مَا رُئِيَتِ الْحَصْبَةُ وَالْجُدَرِيُّ بِأَرْضِ الْعَرَبِ ذَلِكَ الْعَامُ، وَأَنَّهُ أَوَّلُ مَا رُئِيَ بِهَا مَرَائِرُ الشَّجَرِ الْحَرْمَلِ وَالْحَنْظَلِ وَالْعُشَرِ ذَلِكَ الْعَامُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِمَّا يَعُدُّ اللَّهُ عَلَى قُرَيْشٍ مِنْ نِعْمَتِهِ عَلَيْهِمْ، وَفَضْلِهِ مَا رَدَّ عَنْهُمْ مِنْ أَمْرِ الْحَبَشَةِ لِبَقَاءِ أَمْرِهِمْ وَمُدَّتِهِمْ فَقَالَ تَعَالَى {أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلٍ فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَأْكُولٍ} [الفيل: 1] . [الْفِيلِ: 1 - 5] ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَابْنُ هِشَامٍ يَتَكَلَّمَانِ عَلَى تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ وَالَّتِي بَعْدَهَا وَقَدْ بَسَطْنَا الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَلَهُ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ الْأَبَابِيلُ الْجَمَاعَاتُ، وَلَمْ تَتَكَلَّمْ لَهَا الْعَرَبُ بِوَاحِدٍ عَلِمْنَاهُ. قَالَ: وَأَمَّا السِّجِّيلُ فَأَخْبَرَنِي يُونُسُ النَّحْوِيُّ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّهُ عِنْدَ الْعَرَبِ: الشَّدِيدُ الصُّلْبُ قَالَ: وَزَعَمَ بَعْضُ الْمُفَسِّرِينَ أَنَّهُمَا كَلِمَتَانِ
পৃষ্ঠা - ১২৪৩
ষ্ষ্


ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, ইবন ইসহাক বলেছেন, আবরাহা বাহিনীর সকলের
পায়ে পাথর লাগেনি ৷ বরং তাদের কতক লোক ইয়ামেনে ফিরে যেতে সক্ষম হয় ৷ তারা
সেখানে গিয়ে তাদের সাথীদের ধ্বংস ও ৰিপদের কথা ওখঃপ্নেকাব লোকদেরকে জানায় ৷ কতক
ঐতিহাসিক বলেন যে, আবরাহাও ফিরে এসেছিল ৷ তবে তার দেহ থেকে এক আঙ্গুল এক
অড়াঙ্গুল করে ঝরে পড়ছিল ৷ ইয়ামানে পৌছার পর তার বুক ফেটে যায় এবং তার মৃত্যু হয় ৷
তার প্রতি আল্লাহ্র লানত ৷

ইবন ইসহাক হযরত আয়েশা (রা) সুত্রে বলেন £



দু জনকেই আমি মক্কায় দেখেছি ৷ দৃ’জনই তখন অন্ধ এবং চলৎশক্তিহীন ৷ মানুষের নিকট
খাবার ভিক্ষা করছে ৷ উপরে বর্ণিত হয়েছে যে হ্যাট্ট ওব সহিসের নাম আনীস৷ বাহিনীর
পরিচালকের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায় না ৷ আল্লাহ্ই ভাল ণ্ডানেন ৷

তাফসীরকার নাক্কাশ তার তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, প্লাবন এসে তাদের মৃত
দেহ্গুলাে ভাসিয়ে নিয়ে সাগরে নিক্ষেপ করে ৷ সুহায়লী বলেন, হাতি বাহিনীর এ ঘটনা ঘটেছিল
যুল-কারনাইন বাদশড়াহের যুগ থেকে ৮৮৬ বছর পর, মুহাররম মাসের পয়লা তারিখে

আমি বলি, ঐ বছরই রাসুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম হয় ৷ এটিই প্রসিদ্ধ অভিমত ৷ কেউ কেউ
বলেন যে, এটি রাসুলুল্লাহ (র্সা)-এর জন্মের কয়েক বছর পুর্বের ঘটনা ৷ এ বিষয়ে আমরা
পরবর্তীতে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ ৷

এই ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপুর্ণ ঘটনা উপলক্ষে আরবদের রচিত কবি৩ গুলো ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন ৷ এ ঘটনায় অ ল্লাহ তা আশা তার সেই সম্মানিত পৃহকে রক্ষা করেছেন হযরত
মুহাম্মদ (না)-কে প্রেরণের মাধ্যমে ৷ তিনি যে গৃহকে মর্ষাদাময় ও পবিত্র করতে ইচ্ছে
করেছিলেন ৷ তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর জন্যে প্রথম এক সুদৃঢ় দীন ও ধর্ম নির্ধারণ
করেছেন যার অন্যতম রুকন হল সালাত ৷ বরং এই ধর্মের মুল স্তম্বই হচ্ছে সালাত ৷ এই ধর্মের
কিৰলা হিসেবে তিনি কাবা শরীককে নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করেছেন ৷ হাতি বাহিনীকে ধ্বংস
করার পেছনে মুলত কুরায়শদের সাহায্য অভীষ্ট ছিল না ৷ কারণ, ধ্বংস ও আমার আপতিত
হয়েছিল ন্থীষ্ট ধর্মাবলম্বী হাবশীদের উপর ৷ কুরায়শীয় মুশরিকদের তুলনায় হাবশীগণ তার
অধিকতর হকদার ছিল ৷ এই সাহায্য ছিল সম্মানিত গৃহের সাহড়ায্যার্থে এবং হযরত মুহাম্মদ
(না)-কে প্রেরণের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষো, এ প্রসংপে আবদুল্লাহ ইবন যাবআরী সাহ্সী
বলেন :

ন্
তারা ফিরে গিয়েছে মক্কা ভুমি থেকে শাস্তি পেয়ে শঙ্কিত মনে ৷ প্রাচীনকাল থেকেই এর
অধিবাসীদেরকে লাঞ্ছিত করার কথা কেউ ভাবতে পারতো না ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৪৩-

بِالْفَارِسِيَّةِ جَعَلَتْهُمَا الْعَرَبُ كَلِمَةً وَاحِدَةً، وَإِنَّهَا " سِنْجٌ " وَ " جِلٌّ " فَالسِّنْجُ: الْحَجَرُ وَالْجِلُّ: الطِّينُ يَقُولُ: الْحِجَارَةُ مِنْ هَذَيْنَ الْجِنْسَيْنِ الْحَجَرُ وَالطِّينُ قَالَ: وَالْعَصْفُ: وَرَقُ الزَّرْعِ الَّذِي لَمْ يُقْصَبْ، وَقَالَ الْكِسَائِيُّ: سَمِعْتُ بَعْضَ النَّحْوِيِّينَ يَقُولُ: وَاحِدُ الْأَبَابِيلِ إِبِّيلٌ، وَقَالَ كَثِيرُونَ مِنَ السَّلَفِ: الْأَبَابِيلُ الْفِرَقُ مِنَ الطَّيْرِ الَّتِي يَتْبَعُ بَعْضُهَا بَعْضًا مِنْ هَاهُنَا، وَهَاهُنَا، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ لَهَا خَرَاطِيمُ كَخَرَاطِيمِ الطَّيْرِ، وَأَكُفٌّ كَأَكُفِّ الْكِلَابِ، وَعَنْ عِكْرِمَةَ: كَانَتْ رُءُوسُهَا كَرُءُوسِ السِّبَاعِ خَرَجَتْ عَلَيْهِمْ مِنَ الْبَحْرِ وَكَانَتْ خُضْرًا، وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: كَانَتْ سُودًا بَحْرِيَّةً فِي مَنَاقِيرِهَا وَأَكُفِّهَا الْحِجَارَةُ، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَتْ أَشْكَالُهَا كَعَنْقَاءِ مُغْرِبٍ، وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ أَصْغَرُ حَجَرٍ مِنْهَا كَرَأْسِ الْإِنْسَانِ، وَمِنْهَا مَا هُوَ كَالْإِبِلِ، وَهَكَذَا ذَكَرَهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَقِيلَ كَانَتْ
পৃষ্ঠা - ১২৪৪
صِغَارًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يُهْلِكَ أَصْحَابَ الْفِيلِ بَعَثَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أُنْشِئَتْ مِنَ الْبَحْرِ أَمْثَالَ الْخَطَاطِيفِ كُلُّ طَيْرٍ مِنْهَا يَحْمِلُ ثَلَاثَةَ أَحْجَارٍ مُجَزَّعَةً، حَجَرَيْنِ فِي رِجْلَيْهِ، وَحَجَرًا فِي مِنْقَارِهِ قَالَ: فَجَاءَتْ حَتَّى صَفَّتْ عَلَى رُءُوسِهِمْ، ثُمَّ صَاحَتْ وَأَلْقَتْ مَا فِي رِجْلَيْهَا، وَمَنَاقِيرِهَا فَمَا يَقَعُ حَجَرٌ عَلَى رَأْسِ رَجُلٍ إِلَّا خَرَجَ مِنْ دُبُرِهِ وَلَا يَقَعُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ جَسَدِهِ إِلَّا خَرَجَ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَبَعَثَ اللَّهُ رِيحًا شَدِيدَةً فَضَرَبَتِ الْحِجَارَةَ فَزَادَتْهَا شِدَّةً فَأُهْلِكُوا جَمِيعًا. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ قَالَ: وَلَيْسَ كُلُّهُمْ أَصَابَتْهُ الْحِجَارَةُ يَعْنِي: بَلْ رَجَعَ مِنْهُمْ رَاجِعُونَ إِلَى الْيَمَنِ حَتَّى أَخْبَرُوا أَهْلَهُمْ بِمَا حَلَّ بِقَوْمِهِمْ مِنَ النَّكَالِ، وَذَكَرُوا أَنَّ أَبْرَهَةَ رَجَعَ وَهُوَ يَتَسَاقَطُ أُنْمُلَةً أُنْمُلَةً فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الْيَمَنِ انْصَدَعَ صَدْرُهُ فَمَاتَ لَعَنَهُ اللَّهُ. وَرَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي
পৃষ্ঠা - ১২৪৫
ষ্ষ্


’ প্

শু৩১১১
যে সময়ে উক্ত এলাকাকে হারাম শরীফ তথা সম্মানিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে সে

সময়ে শিরা নক্ষত্র সৃষ্টি করা হয়নি ৷ কোন প্রতাপশালী ব্যক্তিই উক্ত স্থানের মর্যাদা বিনষ্টের
অপপ্রয়াস চালাতে পারে না ৷ কারণ কোন প্রতাপশালী ব্যক্তিই এটির মানহানির চেষ্টা করত না ৷


সেনাধ্যক্ষাকে জিজ্ঞেস করুন যে কী দেখেছে এ ঘটনা সম্পর্কে ৷ ওদের মধ্যে যার অবগতি
আছে সে অবগতিহীন ব্যক্তিদেরকে জানিয়ে দিবে ৷

তাদের ষ৷ ট হ জোর লোক পুনরায় নিজেদের বাস ভুমিতে ফিরে মো ত পারেনি ৷
অসুস্থ দু একজন ফিরে গেলেও অতঃপর তারা জীবিত থাকেনি ৷


মোঃ এৰুগ্ন্থে
তাদের পুর্বে সেখানে বসবাস করেছিল আদ ও জুবহুম গোত্র, সকল বান্দার উপরে থােদ
আল্লাহ তা আলা সেটিকে কায়েম রাখেন ৷

এ প্রসংগে আবু কায়স ইবন আসৃলত আনসারী আল মাদানী বলেন :

)ঠুণ্ ঠুড়ু
তার (আল্লাহ তা আলার) কুদরতের একটি নিদর্শন হল হাবশীদের হাতি বাহিনী প্রেরণের
দিবসের ঘটনা,যখনই তারা হাতি পাঠানোর চেষ্টা করেছিল তখনই সে আর্ত-চীৎকার করেছিল ৷

০ ) )


তাদের লোহার আকলী তার পেটের চামড়ার নীচে তার ঢুকিয়ে দিয়েছিলত তবার নাকটি
চিরে দিয়েছিল ফলে তা বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷


ণ্াও এেষ্টু প্রু১ন্১ ৷ ১ ৷ ৰুাঠুট্রু;ঠু রুা টুন্ধু ৷ট্রু;;-রু ং১ঠুম্ভড়ু
তাদের চাবুকের মাথায় তারা লোহার পেরেক জুড়ে দিয়েছিল হাতির ঘাড়ে আঘাতের সাথে
সাথে তা ক্ষত সৃষ্টি করে দিয়েছিল ৷

ত্র১১
অবশেষে তারা পিছু হটে গিয়েছিল সে পথে, যে পথে তারা এসেছিল এবং সেখানে যারা
ছিল তারা অন্যায় ও অপরাধের শাস্তি পেয়েছিল ৷


عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَقَدْ رَأَيْتُ قَائِدَ الْفِيلِ، وَسَائِسَهُ بِمَكَّةَ أَعْمَيَيْنِ مُقْعَدَيْنِ يَسْتَطْعِمَانِ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ سَائِسَ الْفِيلِ كَانَ اسْمُهُ أُنَيْسًا فَأَمَّا قَائِدُهُ فَلَمْ يُسَمَّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ النَّقَّاشُ فِي " تَفْسِيرِهِ " أَنَّ السَّيْلَ احْتَمَلَ جُثَثَهُمْ فَأَلْقَاهَا فِي الْبَحْرِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَتْ قِصَّةُ الْفِيلِ أَوَّلَ الْمُحَرَّمِ مِنْ سَنَةِ سِتٍّ وَثَمَانِينَ وَثَمَانِمِائَةٍ مِنْ تَارِيخِ ذِي الْقَرْنَيْنِ قُلْتُ: وَفِي عَامِهَا وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: كَانَ قَبْلَ مَوْلِدِهِ بِسِنِينَ، كَمَا سَنَذْكُرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَا قَالَتْهُ الْعَرَبُ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي هَذِهِ الْكَائِنَةِ الْعَظِيمَةِ الَّتِي نَصَرَ اللَّهُ فِيهَا بَيْتَهُ الْحَرَامَ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يُشَرِّفَهُ وَيُعَظِّمَهُ وَيُطَهِّرَهُ، وَيُوَقِّرَهُ بِبَعْثَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا يُشْرَعُ لَهُ مِنَ الدِّينِ الْقَوِيمِ الَّذِي أَحَدُ أَرْكَانِهِ الصَّلَاةُ
পৃষ্ঠা - ১২৪৬
ষ্ষ্


০ fl

তাদের উপরওয়াল৷ আল্লাহ তা জানা তাদের প্রতি কস্কর ৰুপ্ররণ করেছিলেন এবং তাদের
লাশগুলোকে থরে থরে ফেলে ব্লেখেছিলেন ভীরু ণ্লাকদের লাশের ন্তুপের ন্যায় ৷

-ট্রট্রুট্রুএ ৷
তাদের ধর্মযাজকপণ তাদেরকে ধৈর্যধাবণে উৎসাহিত করছিল ৷ অথচতারা ভীত সন্ত্রস্ত
বকরী পালের ন্যায় তা৷ ভ্যা করছিল ৷

এ প্রসংপে আবু সালত রাবীআ ইবন আবী রাবীআ ওয়াহব ইবন ইলাজ ছাকাকীর
কবিতাগুলো প্রণিধানযোগ্য ৷ ইবন হিশাম বলেন, এ কবিতাগুলাে উমাইয়া ইবন আবী সালত
এর বলেও কেউ কেউ বলেছেন ৷ সেগুলো ছিল এরুপ :


আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাদি সুস্পষ্ট ও সমুজ্জ্বল ৷ কা ৷ফির ব্যতীত অন্য কেউ এগুলোর
ব্যাপারে সন্দেহ্ পোষণ করে না ৷

তিনি সৃজন করেছেন দিবস ও রাত্রিকে ৷ এর প্ৰত ৷কটি সুস্পষ্ট এগুলোর হিসাব সুনির্দিষ্ট ৷
এ এ-ন্নীশ্ৰুৰুন

এরপর দয়াময় প্রভু দিবসকে আলোকময় করেন বিশাল বিন্তুত পৃথিবী জুড়ে ৷ সেটির
আলো ও কিরণ ছড়িয়ে পড়ে ৷

তিনি রুখে দিয়েছেন হাতিকে মুগাম্মাস নামক স্থানে ৷ এরপর সেটি ঘোড়৷ ও আহত পশুর
ন্যায় হাত পা গুটিয়ে ওখানে বসে পড়ে ৷
খু

যেন হাতিটি তার গর্দানের অ্যাভাগ গুটিয়ে রেখেছিল ৷ যেন সেটি পর্বতচুড়ার প্রস্তররাশি
থেকে বিচ্ছিন্ন নীচের দিকে গড়িয়ে পড়া একখগু পাথর ৷



তার চতুষ্পার্শে রয়েছে কিন্দা গোত্রের উৎসাহ দানকারী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যুদ্ধে যারা
বা জ পাখির ন্যায় দৃর্ধর্ষ আক্রমণকারী ৷

;ণ্০ষ্০শ্
১র্গো


بَلْ عِمَادُ دِينِهِ، وَسَيَجْعَلُ قِبْلَتَهُ إِلَى هَذِهِ الْكَعْبَةِ الْمُطَهَّرَةِ، وَلَمْ يَكُنْ مَا فَعَلَهُ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ نُصْرَةً لِقُرَيْشٍ إِذْ ذَاكَ عَلَى النَّصَارَى الَّذِينَ هُمُ الْحَبَشَةُ فَإِنَّ الْحَبَشَةَ إِذْ ذَاكَ كَانُوا أَقْرَبَ لَهَا مِنْ مُشْرِكِي قُرَيْشٍ، وَإِنَّمَا كَانَ النَّصْرُ لِلْبَيْتِ الْحَرَامِ، وَإِرْهَاصًا وَتَوْطِئَةً لِبَعْثَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمِنْ ذَلِكَ مَا قَالَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ فَتَنَكَّلُوا عَنْ بَطْنِ مَكَّةَ إِنَّهَا كَانَتْ قَدِيمَا لَا يُرَامُ حَرِيمُهَا لَمْ تُخْلَقِ الشِّعْرَى لَيَالِيَ حُرِّمَتْ إِذْ لَا عَزِيزَ مِنَ الْأَنَامِ يَرُومُهَا سَائِلْ أَمِيَرَ الْجَيْشِ عَنْهَا مَا رَأَى فَلَسَوْفَ يُنْبِي الْجَاهِلِينَ عَلِيمُهَا سِتُّونَ أَلْفًا لَمْ يَئُوبُوا أَرْضَهُمْ بَلْ لَمْ يَعِشْ بَعْدَ الْإِيَابِ سَقِيمُهَا
পৃষ্ঠা - ১২৪৭
كَانَتْ بِهَا عَادٌ وَجُرْهُمُ قَبْلَهُمْ وَاللَّهُ مِنْ فَوْقِ الْعِبَادِ يُقِيمُهَا وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ أَبِي قَيْسِ بْنِ الْأَسْلَتِ الْأَنْصَارِيِّ الْمَدَنِيِّ وَمِنْ صُنْعِهِ يَوْمَ فِيلِ الْحُبُو شِ إِذْ كُلَّمَا بَعَثُوهُ رَزَمْ مَحَاجِنُهُمْ تَحْتَ أَقْرَابِهِ وَقَدْ شَرَمُوا أَنْفَهُ فَانْخَرَمْ وَقَدْ جَعَلُوا سَوْطَهُ مِغْوَلًا إِذَا يَمَّمُوهُ قَفَاهُ كُلِمْ فَوَلَّى وَأَدْبَرَ أَدْرَاجَهُ وَقَدْ بَاءَ بِالظُّلْمِ مَنْ كَانَ ثَمَّ فَأَرْسَلَ مِنْ فَوْقِهِمْ حَاصِبًا فَلَفَّهُمُ مِثْلَ لَفِّ الْقُزُمْ تَحُضُّ عَلَى الصَّبْرِ أَحْبَارُهُمْ وَقَدْ ثَأَجُوا كَثُؤَاجِ الْغَنَمْ. وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ أَبِي الصَّلْتِ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ وَهْبِ بْنِ عِلَاجٍ الثَّقَفِيِّ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُرْوَى لِأُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ إِنَّ آيَاتِ رَبِّنَا ثَاقِبَاتٌ مَا يُمَارِي فِيهِنَّ إِلَّا الْكَفُورُ خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ فَكُلٌّ مُسْتَبِينٌ حِسَابُهُ مَقْدُورُ ثُمَّ يَجْلُو النَّهَارَ رَبٌّ رَحِيمٌ بِمَهَاةٍ شُعَاعُهَا مَنْشُورُ
পৃষ্ঠা - ১২৪৮
ষ্ষ্


তারা সকলে হাতিকে পেছনে ছেড়ে এসেছে ৷ তারপর ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সবাই পলায়ন করেছে ৷
পালিয়েছে বোড়াতে খোড়াতে যেন প্রত্যেকের পায়ের নলা ভাঙ্গা ৷




কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্র নিকট একমাত্র দীন হানীফ তথ৷ দীন ই ইসলাম ব্যতীত অন্য
সকল দীন বিলুপ্ত হয়ে ৷ এ প্রসংগে আবু কায়স ইবন আসলাত বলেন :

০ : ) ,

এ্যা১খু

উঠো, তোমাদের প্ৰতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পর্বত সমুহের মাঝে
অবস্থিত এই ঘরের বরকতময় রুকন সমুহ স্পর্শ কর ৷


কারণ তার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সত্যিই একটি পরীক্ষা এসেছিল ৷ সেটি ছিল
সেনাপতি আবু ইয়াকসুমের (আবরাহার) অভিযান পরিচালনা দিবসে ৷
মোঃও

তার ঘোড় সওয়ারগণ সমতল পথে হেটে চলেছে আর তার পদাতিক বাহিনী অবস্থান
নিয়েছে পর্বত শৃঙ্গে ৷


এ্যা১১ এে

তোমাদের প্রতি যা এসেছে তা হল আরশ অধিপতির সাহায্য ৷ পরম পরাক্রমশীল মহান
মালিকের (আল্লাহ তাআলা) সেনাবাহিনী প্রচণ্ড বায়ু ও কঙ্কর নিয়ে এসে ওদেরকে তাড়িয়ে
দিয়েছে ৷



৷ প্রু৷ ,১
অতঃপর তারা দ্রুত পলায়ন করল ৷ হাবশীদের মাত্র কয়েকদল লোক ছাড়া অন্য কেউ
নিজ নিজ পরিবারের নিকট ফিরে যেতে পারেনি ৷

কারা শরীফ ধ্বংসের অপচেষ্টার হাত থেকে সেটিকে রক্ষা করা এবং বাবা শরীফের মান
মর্যাদা সম্পর্কে উবায়দৃল্লাহ ইবন কায়স যে কবিতা রচনা করেছে তাও এ প্রসংগে উল্লেখ করা
যায় :


ণ্ড্রু১শুধ্ মোঃ স্

হাতি বাহিনী নিয়ে আসা ব্যক্তির আশরাম এই পবিত্র গৃহ সম্পর্কে ষড়যন্ত্র করেছিল ৷
অতঃপর যে পেছনের দিকে পালিয়ে গেল, তার সৈন্যরাও হল পরাজিত ৷

) : ) ;>

ণ্এ১এ,এ


حُبِسَ الْفِيلُ بِالْمُغَمِّسِ حَتَّى صَارَ يَحْبُو كَأَنَّهُ مَعْقُورُ لَازِمًا حَلْقَةَ الْجِرَانِ كَمَا قَطَ رَ مِنْ صَخْرِ كَبْكَبٍ مَحْدُورُ حَوْلَهُ مِنْ مُلُوكِ كِنْدَةَ أَبْطَالٌ مَلَاوِيثٌ فِي الْحُرُوبِ صُقُورُ خَلَّفُوهُ ثُمَّ ابْذَعَرُّوا جَمِيعًا كُلُّهُمْ عَظْمُ سَاقِهِ مَكْسُورُ كُلُّ دِينٍ يَوْمَ الْقِيامَةِ عِنْدَ اللَّهِ إِلَّا دِينَ الْحَنِيفِةِ بُورُ. وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ أَبِي قَيْسِ بْنِ الْأَسْلَتِ أَيْضًا فَقُومُوا فَصَلُّوا رَبَّكُمْ وَتَمَسَّحُوا بِأَرْكَانِ هَذَا الْبَيْتِ بَيْنَ الْأَخَاشِبِ فَعِنْدَكُمُ مِنْهُ بَلَاءٌ مُصَدَّقٌ غَدَاةَ أَبِي يَكْسُومَ هَادِي الْكَتَائِبِ
পৃষ্ঠা - ১২৪৯
ষ্ষ্


বড় বড় পাথর নিয়ে পাখি বাহিনী তাদের উপর জমায়েত হল ৷ অবশেষে সেই আশরাম হল
পাথর নিক্ষেপে জর্জরিত ও ক্ষতবিক্ষত

০ ’ :

এটি এজন্যে হল যে, যে ব্যক্তিই এ পৃহের বিরুদ্ধে ড়েতে ৩যাবে সে নিশ্চিতভারে ফিরে
যাবে এমতাবস্থায় যে, সে পরাজিত সৈনিক এবং নিন্দিত ৷

ইবন ইসহাক ও অন্যরা বলেন যে, আবরাহার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়ড়াকসুম রাজা হয় ৷
তারপর আসে তার ভইি মাসরুক ইবন আবরাহা ৷ সে ছিল তাদের বংশের শেষ রাজা ৷ পারস্য
সম্রাট নওশেরাওয়ী-এর প্রেরিত সৈনক্যেহিনী নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সায়ক ইবন
ইয়ড়াযনে হিময়ারী মড়াসরুকের হাত থেকেই রাজত্ব ছিনিয়ে নেয় ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে ৷

হাতি বাহিনীর এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল রোমান ইতিহাস খ্যাত সম্রাট দ্বিতীয় ইসকান্দার
ইবন ফিলিপস মড়াকদৃনী ওরফে সম্রাট যুলকারনাইনের যুগ থেকে ৮৮৬ তম বছরের মুহাররাম
মাসে ৷

আবরাহা ও তার দুপুত্রের মৃত্যু এবং হড়াবশা থেকে রাজত্ব ইয়ামানে স্থানান্তরিত হওয়ার পর
আবরাহার নির্মিত উপাসনালয় কুলায়স পরিত্যক্ত গৃহে পরিণত হয় ৷ অতঃপর তার আর কোন
উক্ত অনুরক্ত থাকল না ৷ অথচ নির্বুদ্ধিতা ও মুর্থতার কারণে আবরাহা সেটিকে তৈরী করেছিল
আরবদের হজ্জকে কাবা শরীফ থেকে ঐ কৃলায়সে সরিয়ে আনার জন্যে ৷

আবরাহা সেটি তৈরী করেছিল দৃ’টো মুর্ডিং উপর ৷ মুর্তি দৃ’টো হল কুআয়ব ও তার শ্ৰীর ৷
এ দু’টো ছিল কাঠের তৈরী ৷ প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য উচ্চতায় ৬০ গজ ৷ এগুলো মুলত দৃ’টো নিজের
প্রতিকৃতি ৷ এ জন্যেই কেউ কুলায়স গীর্জায় কোন সম্পদ খুলে নিতে চেষ্টা করলে জিনেরা তাকে
আক্রমণ করত ৷ অতঃপর এটি প্রথম আব্বাসী খলীফা সাফ্ফাহ-এ খিলোফতকাল পর্যন্ত
এভাবেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে ৷ তাকে কুলায়স তার মধ্যে রক্ষিত ধনসম্পদ ও বহুমুল্য
শ্বেতপাথর সম্পর্কে জানানো হয় ৷ এগুলো আবরাহা রাণী বিলকীসের প্রাসাদ থেকে এনে
কুলায়সে স্থাপন করেছিল ৷

অতঃপর খলীফা সাফ্ফাহ এটি ভাঙ্গার জন্যে লোক প্রেরণ করলেন ৷ তারা একটি একটি
করে সকল পাথর খুলে নেয় এবং তার সকল ধনসম্পদ নিয়ে আসে ৷ সুহায়লী এরুপই উল্লেখ
করেছেন ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

হাবশীদের হাত থেকে রাজত্ব সায়ফ্ ইৰ্ন ষুইয়াযীনের
হাতে রাজত্ব স্থানান্তর

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আবরাহার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়ড়াকসুম রাজত্ব লাভ
করে ৷ ইয়ড়াকসুমের দিকে সম্পৃক্ত করে আবরাহড়াকে আবু ইয়াকসুম বলা হয় ৷ ইয়ড়াকসুমের মৃত্যুর
পর তার তইি মাসরুক হাবশী ইয়ামানের রাজত্ব গ্রহণ করেন ৷


كَتِيبَتُهُ بِالسُّهْلِ تَمْشِي وَرَجْلُهُ عَلَى الْقَاذِفَاتِ فِي رُءُوسِ الْمَنَاقِبِ فَلَمَّا أَتَاكُمْ نَصْرُ ذِي الْعَرْشِ رَدَّهُمْ جُنُودُ الْمَلِيكِ بَيْنَ سَافٍ وَحَاصِبِ فَوَلَّوْا سِرَاعًا هَارِبِينَ وَلَمْ يَؤُبْ إِلَى أَهْلِهِ مِلْحَبْشِ غَيْرُ عَصَائِبِ وَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ الرُّقَيَّاتِ فِي عَظَمَةِ الْبَيْتِ وَحِمَايَتِهِ بِهَلَاكِ مَنْ أَرَادَهُ بِسُوءٍ. كَادَهُ الْأَشْرَمُ الَّذِي جَاءَ بِالْفِي لِ فَوَلَّى وَجَيْشُهُ مَهْزُومُ وَاسْتَهَلَّتْ عَلَيْهِمُ الطَّيْرُ بِالْجَنْ دَلِ حَتَّى كَأَنَّهُ مَرْجُومُ ذَاكَ مَنْ يَغْزُهُ مِنَ النَّاسِ يَرْجِعُ وَهُوَ فَلٌّ مِنَ الْجُيُوشِ ذَمِيمُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: فَلَمَّا هَلَكَ أَبْرَهَةُ، مَلَكَ الْحَبَشَةَ بَعْدَهُ ابْنُهُ
পৃষ্ঠা - ১২৫০
يَكْسُومُ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ أَخُوهُ مَسْرُوقُ بُنُ أَبْرَهَةَ، وَهُوَ آخِرُ مُلُوكِهِمْ وَهُوَ الَّذِي انْتَزَعَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ الْمُلْكَ مِنْ يَدِهِ، بِالْجَيْشِ الَّذِينَ قَدِمَ بِهِمْ مِنْ عِنْدِ كِسْرَى أَنُوشِرْوَانَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَكَانَتْ قِصَّةُ الْفِيلِ فِي الْمُحَرَّمِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ وَثَمَانِمِائَةٍ مِنْ تَارِيخِ ذِي الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ الثَّانِي إِسْكَنْدَرُ بْنُ فِلِبْسَ الْمَقْدُونِيُّ، الَّذِي يُؤَرِّخُ لَهُ الرُّومُ. وَلَمَّا هَلَكَ أَبْرَهَةُ وَابْنَاهُ، وَزَالَ مُلْكُ الْحَبَشَةِ عَنِ الْيَمَنِ، هُجِرَ الْقُلَّيْسَ الَّذِي كَانَ بِنَاهُ أَبْرَهَةُ، وَأَرَادَ صَرْفَ حَجِّ الْعَرَبِ إِلَيْهِ لِجَهْلِهِ وَقِلَّةِ عَقْلِهِ، وَأَصْبَحَ يَبَابًا لَا أَنِيسَ لَهُ وَكَانَ قَدْ بَنَاهُ عَلَى صَنَمَيْنِ وَهُمَا كُعَيْبٌ وَامْرَأَتُهُ كَانَا مِنْ خَشَبٍ طُولُ كُلٍّ مِنْهُمَا سِتُّونَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ كَانَا مَصْحُوبَيْنِ مِنَ الْجَانِّ، وَلِهَذَا كَانَ لَا يَتَعَرَّضُ أَحَدٌ إِلَى أَخْذِ شَيْءٍ مِنْ بِنَاءِ الْقُلَّيْسِ، وَأَمْتِعَتِهِ إِلَّا أَصَابُوهُ بِسُوءٍ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ إِلَى أَيَّامِ السَّفَّاحِ أَوَّلِ خُلَفَاءِ بَنِي الْعَبَّاسِ فَذَكَرَ لَهُ أَمْرَهُ وَمَا فِيهِ مِنَ الْأَمْتِعَةِ وَالرُّخَامِ الَّذِي كَانَ أَبْرَهَةُ نَقْلَهُ إِلَيْهِ مِنْ صَرْحِ بِلْقِيسَ الَّذِي كَانَ بِالْيَمَنِ فَبَعَثَ إِلَيْهِ مَنْ خَرَّبَهُ حَجَرًا حَجَرًا وَأَخْذَ جَمِيعَ مَا فِيهِ مِنَ الْأَمْتِعَةِ وَالْحَوَاصِلِ هَكَذَا ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১২৫১
ষ্ষ্


ইয়ামামাবাসীদের উপর যখন নির্যাতন দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকে তখন সায়ফ ইবন যু-উয়াযান
হিময়ারী আবির্ভুত হন ৷ ইনি হলেন সায়ফ ইবন যুআযীন (ইবন যীইসৃবাহ ইবন মালিক ইবন
যায়দ ইবন সাহ্ল ইবন আমর ইবন কায়স ইবন মু’আবিয়া ইবন জাশম ইবন আবন ওয়ায়েল
ইবন গাওছ ইবন কুতুন ইবনআরদ শামস ইবন আযমান ইবন হুমড়ায়সা ইবন আবীর ইবন
যুহায়ব ইবন আযমান ইবন হুমায়সা ইবন আরবাহাজ আরবাহাজ হচ্ছে সাবার পুত্র ৷ হিময়ায়ের
সাঙ্গ ৷ সায়ফ এর উপনাম ছিল আবু মুররা ৷

সায়ফ রোমান সম্রাট কায়সারের নিকট গিয়ে নিজেদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে তার
সাহায্য কামনা করেন ৷ তিনি প্রস্তাব করেন যেন কায়সার তিনি নিজে বা অন্য কাউকে পাঠিয়ে
আবিসিনীয়দেরকে তাড়িয়ে দিয়ে ইয়ামান বাসীদেরকে তার শাসনাধীনে নিয়ে নেন ৷ কিন্তু রোম
সম্রাট তার প্রস্তাবে সাড়া দিলেন না ৷

সায়ফ সেখান থেকে বেরিয়ে নুমড়ান ইবন মুনযিরের দরবারে পৌছেন ৷ নুমান তখন পারস্য
সম্রাটের পক্ষ থেকে হীরা ও তৎসংলগ্ন ইরাকী অঞ্চলের প্রশাসক তিনি হাবশীদের অত্যাচার
নির্যাতনের কথা নুমানকে অবহিত করেন ৷ নুমান বলেন, বছরে ণ্াকবার করে আমি একটি
প্রতিনিধি দল নিয়ে পারস্য সম্রাট কিসরার দরবারে হাজির হয়ে থাকি ৷ আপনি যে সময় পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন ৷ সায়ফ তা-ই করেন ৷ যথাসময়ে তাকে নিয়ে নুমান কিসরার দরবারে হাজির
হন ৷ দরবারের যেখানে রাজমুকুট স্থাপিত কিসরা সেখানেই স্নান গ্রহণ করতেন ৷ তার মুকুট
ছিল বৃহদাকার পাত্রের ন্যায় ৷ সেটি ছিল মনি-মুক্তা, ইয়াকুত ও স্বর্ণ-রৌপ্য খচিত ৷ সেটি
থাকত তার সিংহড়াসনের উপরে স্বর্ণের শিকল দ্বারা একটি তাকের সাথে ঝুলম্ভ ৷ সেটি এত
ভারী ছিল যে, রাজার ঘাড় তা বহন করতে পারত না ৷ আসন গ্রহণের সময় তার চারিদিকে
কাপড়ের বেষ্টনী তৈরী করা হত ৷ ণ্লাকচক্ষুর অস্তরালে তিনি ঐ আসনে বসতেন এবং ঝুলম্ভ
মুকুটে মাথা ঢুকিয়ে দিতেন ৷ যথাযথভাবে আসন গ্রহণ করার পর কাপড়ের বেষ্টনী তুলে নেয়া
হত ৷ অতঃপর ইতিপুর্বে তাকে দেখেনি এমন কেউ তার এ পাম্বীর্যপুর্ণ অবস্থান দেখলে ভয়ে
উপুড় হয়ে পড়ে যেত ৷

সায়ফ যখন রাজার দরবারে প্রবেশ করেন তখন তিনি ও মাথা অবনত করে ফেলেন ৷
সম্রাট বলেলেন, এই নির্বোধটি এত উচু দরজা দিয়ে আমার নিকট প্রবেশ করার সময়ও
নিজের মাথা নুইয়ে রাখছে কেন? সম্রাটের এ মন্তব্য সড়ায়ফকে জানানো হয় ৷ উত্তরে তিনি
বলেন, আমার দুশ্চিন্তার কারণে আমি এরুপ করেছি ৷ কারণ আমার দুশ্চিন্তার সম্মুখে সব কিছুই
সংর্কীর্ণ মনে হয় ৷ এরপর তিনি বললেন : মহারাজা পশ্চিমা বিদেশীরা আমার দেশ দখল করে
রেখেছে ৷ কিসরা প্রশ্ন করেন, কারা সেই বিদেশী ৷ হাবশীরা, নাকি সিন্ধীরা ? তিনি বললেন :
বরং হাবশীরা আমি আপনার নিকট এসেছি সাহায্যপ্রাথী হয়ে ৷ অতঃপর আপনি বিজয়ী হলে
আমাদের দেশ আপনার অধীন হবে ৷ সম্রাট বললেন, তোমাদের দেশ তো অনেক দুরে ৷
তদুপরি তাতে কোন সম্পদ নেই আমি সেই দুর দুরাস্তের আরব দেশে আমার পারসিক সৈন্য


[ذِكْرُ خُرُوجِ الْمُلْكِ عَنِ الْحَبَشَةِ وَرُجُوعِهِ إِلَى سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ] ذِكْرُ خُرُوجِ الْمُلْكِ عَنِ الْحَبَشَةِ وَرُجُوعِهِ إِلَى سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: فَلَمَّا هَلَكَ أَبْرَهَةُ، مَلِكُ الْحَبَشَةِ يَكْسُومُ بْنُ أَبْرَهَةَ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى فَلَمَّا هَلَكَ يَكْسُومُ، مَلَكَ الْيَمَنَ مِنَ الْحَبَشَةِ أَخُوهُ مَسْرُوقُ بْنُ أَبْرَهَةَ. قَالَ: فَلَمَّا طَالَ الْبَلَاءُ عَلَى أَهْلِ الْيَمَنِ خَرَجَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ - وَهُوَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ بْنِ ذِي أَصْبَحَ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ سَهْلِ بْنِ عَمْرِو بْنِ قَيْسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ جُشَمِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ وَائِلِ بْنِ الْغَوْثِ بْنِ قَطَنِ بْنِ عَرِيبِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ أَيْمَنَ بْنِ الْهَمَيْسَعِ بْنِ الْعَرَنْجَجِ وَهُوَ حِمْيَرُ بْنُ سَبَأٍ وَكَانَ سَيْفٌ يُكَنَّى أَبَا مُرَّةَ - حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ فَشَكَى إِلَيْهِ مَا هُوَ فِيهِ، وَسَأَلَهُ أَنْ يُخْرِجَهُمْ عَنْهُ، وَيَلِيَهُمْ هُوَ، وَيُخْرِجَ إِلَيْهِمْ مَنْ شَاءَ مِنَ الرُّومِ فَيَكُونُ لَهُ مُلْكُ الْيَمَنِ فَلَمْ يُشْكِهِ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ وَهُوَ عَامِلُ كِسْرَى عَلَى الْحِيرَةِ وَمَا يَلِيَهَا مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ. فَشَكَا إِلَيْهِ أَمْرَ الْحَبَشَةِ فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ: إِنَّ لِي عَلَى كِسْرَى، وِفَادَةً فِي كُلِّ عَامٍ فَأَقِمْ عِنْدِي حَتَّى يَكُونَ ذَلِكَ فَفَعَلَ، ثُمَّ خَرَجَ مَعَهُ فَأَدْخَلَهُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ১২৫২
ষ্ষ্


প্রেরণ করতে আগ্রহী নই ৷ ঐ দেশটির অধীনে আনার আমার কোন প্রয়োজনও সেই ৷ সম্রাট
তাকে দশ হাজার দিরহড়ামের আর্থিক অনুদান এবং চমৎকার একজােড়া পোশাক দান করেন ৷
অনুদান গ্রহণ করে সায়ফ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ঐ অর্থ লোকজনকে অকাতরে
বিলিয়ে দেন ৷ এ সংবাদ সম্রাটের পােচরীভুত হয় ৷

সম্রাট বলেন, এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন রহস্য আছে ৷ তিনি তাকে ডেকে পাঠান ৷ তারপর
বলেন, তুমি সম্রাটের দেয়া অনুদান লোকজনকে বিলিয়ে দিচ্ছ৪ ব্যাপার কী ? জবাবে তিনি
বলেনঃ আপনার অনুদান দিয়ে আমি কী করব ? আমার যে দেশ থেকে আমি এসেছি তার
পাহাড় পর্বত তো পুরোটাই স্বর্ণ রৌপে ভরপুর ৷ এটার প্রতিই মানুষ আসক্ত হয় ৷ একথা শুনে
সম্রাট তার অমাত্যেদেরকে ডেকে এ লোকের ব্যাপারে তাদের অভিমত জানতে চাইলেন ৷
একজন বলল, মহারাজা আপনার বন্দীখানায় কতক বন্দী লোক আছে যাদেরকে হত্যা করার
জন্যে আপনি আটকিয়ে রেখেছেন ৷ তাদেরকে যদি আপনি এ লোকের সাথে পাঠিয়ে দেন এবং
সেখানে যুদ্ধ করে তারা যদি মারা যায় ৷ তবে তাদেরস্থ:ক হত্যা করার আপনার যে ইচ্ছা ছিল তা
পুর্ণ হবে ৷ আর তারা যদি যুদ্ধে জয়লাভ করে তবে একটি অতিরিক্ত রাজ্য আপনার অধীনে
আসবে ৷ প্রস্তাবটি রাজার মনঃপুত হয় এবং কারারুদ্ধ ৮০০ ব্যক্তিকে তিনি সায়ফের সাথে
প্রেরণ করেন ৷ ওয়াহ্রিজ নামের একজনকে তিনি সেনাপতি নিযুক্ত করে দেন ৷ ওয়াহ্রিজ ছিল
তাদের মধ্যে বয়েড়াবৃদ্ধ এবং সর্বাধিক অভিজাত বংশীয় ৷ ৮টি নৌকায় তারা যাত্রা করে ৷ দৃ’টো
নৌকা ডুবে যায় এবং অবশিষ্ট ৬টি নৌকা এডেন উপকুলে গিয়ে পৌছে ৷ অতঃপর যথাসাধ্য
চেষ্টা চালিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের বহু লোককে সায়ফ এনে ওয়াহ্রিজের নেতৃত্বে দেন ৷
ওয়াহ্রিজের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সড়ায়ফ বলেন, সর্বক্ষণ আমার বাহিনী আপনার সাথে
থাকবে যতক্ষণ আমাদের সবার মৃত্যু হয় কিৎবা যতক্ষণ না আমরা সবাই বিজয় লাভ করি ৷
ওয়াহ্রিজ বললেন, আপনি ন্যায়ানুগ কথা বলেছেন ৷

এ দিকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ইয়ামানের রাজ্য মাসরুক ইবন আবরাহা বেরিয়ে
আসে এবং সৈন্য সমাবেশ ঘটায় ৷ ওদের যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রথমত
ওয়াহ্রিজ তার পুত্রকে যুদ্ধার্থে পাঠান ৷ যুদ্ধে তার পুত্রটি নিহত হয় ৷ এতে ওয়াহ্রিজ ওদের
প্রতি আরও ক্রুদ্ধ হন ৷ সৈন্যগণ যখন নিজ নিজ সারিতে সড়ারিবদ্ধ তখন ওয়াহ্রিজ বলেন যে,
ওদের রাজা কোন ব্যক্তি তা আমাকে দেখিয়ে দাও ! সৈন্যগণ বলল, ঐ যে ব্যক্তিটি হাতির পিঠে
অবস্থান করছে তার মাথায় মুকুট এবং দৃচক্ষুর মধ্যখানে রক্তিম ইয়াকুত পাথর রয়েছে তাকে
কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন ৷ তিনি বললেন, “ইক্তা, দেখতে পাচ্ছি ৷ লোকজন বলল, সে ব্যক্তিই
ওদের রাজা ৷ ওকে আমার জন্যে ছেড়ে দাও ৷ আমি দেখছি ৷ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি
আবার বললেন,এখন ঐ রাজা কিসে সওয়ার আহাে তারা বলল, সে এখন ঘোড়ার পিঠে
সওয়ার আছে ৷ তিনি বললেন, ঠিক আছে তোমরা ওকে থাকতে দাও ৷ আমি তাকে দেখছি ৷
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ওয়াহ্রিজ আবার বললেন : এখন যে কিসের উপর সওয়ার আছে ?
তারা বললেড়া, এখন যে এক মাদী খচ্চরের পিঠে উপবিষ্ট আছে ৷ ওয়াহ্রিজ বললেন : পাবার


كِسْرَى وَكَانَ كِسْرَى يَجْلِسُ فِي إِيوَانِ مَجْلِسِهِ الَّذِي فِيهِ تَاجُهُ وَكَانَ تَاجُهُ مِثْلَ الْقُنْقُلِ الْعَظِيمِ فِيمَا يَزْعُمُونَ، يُضْرَبُ فِيهِ الْيَاقُوتُ وَالزَّبَرْجَدُ اللُّؤْلُؤُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مُعَلَّقًا بِسِلْسِلَةٍ مِنْ ذَهَبٍ فِي رَأْسِ طَاقَةٍ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ، وَكَانَتْ عُنُقُهُ لَا تَحْمِلُ تَاجَهُ إِنَّمَا يَسْتُرُ عَلَيْهِ بِالثِّيَابِ حَتَّى يَجْلِسَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ، ثُمَّ يُدْخِلُ رَأْسَهُ فِي تَاجِهِ فَاذَا اسْتَوَى فِي مَجْلِسِهِ كَشَفَ عَنْهُ الثِّيَابَ فَلَا يَرَاهُ أَحَدٌ لَمْ يَرَهُ قَبْلَ ذَلِكَ إِلَّا بَرَكَ هَيْبَةً لَهُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ طَأْطَأَ رَأْسَهُ فَقَالَ الْمَلِكُ: إِنَّ هَذَا الْأَحْمَقَ يَدْخُلُ عَلَيَّ مِنْ هَذَا الْبَابِ الطَّوِيلِ، ثُمَّ يُطَأْطِئُ رَأْسَهُ فَقِيلَ ذَلِكَ لِسَيْفٍ فَقَالَ: إِنَّمَا فَعَلْتُ هَذَا لِهَمِّي لِأَنَّهُ يَضِيقُ عَنْهُ كُلُّ شَيْءٍ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ غَلَبَتْنَا عَلَى بِلَادِنَا الْأَغْرِبَةُ. قَالَ كِسْرَى: أَيُّ الْأَغْرِبَةِ; الْحَبَشَةُ أَمِ السِّنَدُ؟ قَالَ: بَلِ الْحَبَشَةُ فَجِئْتُكَ لِتَنْصُرَنِي، وَيَكُونُ مُلْكُ بِلَادِي لَكَ. فَقَالَ لَهُ كِسْرَى: بَعُدَتْ بِلَادُكَ مَعَ قِلَّةِ خَيْرِهَا فَلَمْ أَكُنْ لِأُوَرِّطَ جَيْشًا مِنْ فَارِسَ بِأَرْضِ الْعَرَبِ لَا حَاجَةَ لِي بِذَلِكَ، ثُمَّ أَجَازَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَافٍ، وَكَسَاهُ كُسْوَةً حَسَنَةً فَلَمَّا قَبَضَ ذَلِكَ مِنْهُ سَيْفٌ خَرَجَ فَجَعَلَ يَنْثُرُ تِلْكَ الْوَرِقَ لِلنَّاسِ. فَبَلَغَ ذَلِكَ الْمَلِكُ فَقَالَ: إِنَّ لِهَذَا لَشَأْنًا، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِ فَقَالَ: عَمَدْتَ إِلَى حِبَاءِ الْمَلِكِ تَنْثُرُهُ لِلنَّاسِ! قَالَ: وَمَا أَصْنَعُ بِهَذَا؟ مَا
পৃষ্ঠা - ১২৫৩
جِبَالُ أَرْضِي الَّتِي جِئْتُ مِنْهَا إِلَّا ذَهَبٌ وَفِضَّةٌ يُرَغِّبُهُ فِيهَا فَجَمَعَ كِسْرَى مَرَازِبَتَهُ فَقَالَ لَهُمْ: مَا تَرَوْنَ فِي أَمْرِ هَذَا الرَّجُلِ وَمَا جَاءَ لَهُ؟ فَقَالَ قَائِلٌ: أَيُّهَا الْمَلِكُ إِنَّ فِي سُجُونِكَ رِجَالًا قَدْ حَبَسْتَهُمْ لِلْقَتْلِ فَلَوْ أَنَّكَ بَعَثْتَهُمْ مَعَهُ فَإِنْ يَهْلِكُوا كَانَ ذَلِكَ الَّذِي أَرَدْتَ بِهِمْ، وَإِنْ ظَفِرُوا كَانَ مُلْكًا ازْدَدْتَهُ. فَبَعَثَ مَعَهُ كِسْرَى مَنْ كَانَ فِي سُجُونِهِ كَانُوا ثَمَانَمِائَةِ رَجُلٍ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ وَهْرِزَ وَكَانَ ذَا سِنٍّ فِيهِمْ وَأَفْضَلَهُمْ حَسَبًا وَبَيْتًا فَخَرَجُوا فِي ثَمَانِ سَفَائِنَ فَغَرِقَتْ سَفِينَتَانِ وَوَصَلَ إِلَى سَاحِلِ عَدَنَ سِتُّ سَفَائِنَ فَجَمَعَ سَيْفٌ إِلَى وَهْرِزَ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْ قَوْمِهِ، وَقَالَ لَهُ: رِجْلِي وَرِجْلُكَ حَتَّى نَمُوتَ جَمِيعًا أَوْ نَظْفَرَ جَمِيعًا فَقَالَ لَهُ: وَهْرِزُ أَنْصَفْتَ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ مَسْرُوقُ بْنُ أَبْرَهَةَ مَلِكُ الْيَمَنِ، وَجَمَعَ إِلَيْهِ جُنْدَهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ وَهْرِزُ ابْنًا لَهُ، لِيُقَاتِلَهُمْ فَيَخْتَبِرَ قِتَالَهُمْ فَقُتِلَ ابْنُ وَهْرِزَ فَزَادَهُ ذَلِكَ حَنَقًا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا تَوَاقَفَ النَّاسُ عَلَى مَصَافِّهِمْ قَالَ وَهْرِزُ: أَرُونِي مَلِكَهُمْ فَقَالُوا لَهُ: أَتَرَى رَجُلًا عَلَى الْفِيلِ عَاقِدًا تَاجَهُ عَلَى رَأْسِهِ بَيْنَ عَيْنَيْهِ يَاقُوتَةٌ حَمْرَاءُ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالُوا: ذَلِكَ مَلِكُهُمْ فَقَالَ: اتْرُكُوهُ قَالَ: فَوَقَفُوا طَوِيلًا، ثُمَّ قَالَ: عَلَامَ هُوَ؟ قَالُوا: قَدْ تَحَوَّلَ عَلَى الْفَرَسِ قَالَ: اتْرُكُوهُ فَتَرَكُوهُ طَوِيلًا، ثُمَّ قَالَ عَلَامَ هُوَ؟ قَالُوا: عَلَى الْبَغْلَةِ قَالَ وَهْرِزُ: بِنْتُ الْحِمَارِ ذَلَّ وَذَلَّ مُلْكُهُ إِنِّي سَأَرْمِيهِ فَإِنْ رَأَيْتُمْ أَصْحَابَهُ لَمْ يَتَحَرَّكُوا فَاثْبُتُوا حَتَّى أُوذِنَكُمْ فَإِنِّي قَدْ أَخْطَأْتُ الرَّجُلَ، وَإِنْ رَأَيْتُمُ الْقَوْمَ قَدِ اسْتَدَارُوا بِهِ وَلَاثُوا فَقَدْ أَصَبْتُ الرَّجُلَ فَاحْمِلُوا عَلَيْهِمْ. ثُمَّ وَتَرَ قَوْسَهُ وَكَانَتْ -
পৃষ্ঠা - ১২৫৪
৷ ষ্


فِيمَا يَزْعُمُونَ - لَا يُوتِرُهَا غَيْرُهُ مِنْ شِدَّتِهَا، وَأَمَرَ بِحَاجِبَيْهِ فَعُصِبَا لَهُ، ثُمَّ رَمَاهُ فَصَكَّ الْيَاقُوتَةَ الَّتِي بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَتَغَلْغَلَتِ النَّشَّابَةُ فِي رَأْسِهِ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ قَفَاهُ، وَنَكَسَ عَنْ دَابَّتِهِ، وَاسْتَدَارَتِ الْحَبَشَةُ وَلَاثَتْ بِهِ، وَحَمَلَتْ عَلَيْهِمُ الْفُرْسُ فَانْهَزَمُوا فَقُتِلُوا وَهَرَبُوا فِي كُلِّ وَجْهٍ، وَأَقْبَلَ وَهْرِزُ لِيَدْخُلَ صَنْعَاءَ حَتَّى إِذَا أَتَى بَابَهَا قَالَ: لَا تَدْخُلْ رَايَتِي مُنَكَّسَةً أَبَدًا، اهْدِمُوا هَذَا الْبَابَ فَهُدِمَ. ثُمَّ دَخَلَهَا نَاصِبًا رَايَتَهُ فَقَالَ سَيْفُ بْنُ ذِي يَزَنَ الْحِمْيَرِيُّ يَظُنُّ النَّاسُ بِالْمَلِكَيْنِ ... أَنَّهُمَا قَدِ الْتَأَمَا وَمَنْ يَسْمَعُ بِلَأْمِهِمَا فَإِنَّ ... الْخَطْبَ قَدْ فَقُمَا قَتَلْنَا الْقَيْلَ مَسْرُوقًا ... وَرَوَيْنَا الْكَثِيبَ دَمًا وَإِنَّ الْقَيْلَ قَيْلُ النَّاسِ ... وَهْرِزَ مُقْسِمٌ قَسَمًا يَذُوقُ مُشَعْشَعًا حَتَّى ... نُفِيءَ السَّبْيَ وَالنِّعَمَا وَوَفَدَتِ الْعَرَبُ مِنَ الْحِجَازِ وَغَيْرِهَا عَلَى سَيْفٍ يُهَنِّئُونَهُ بِعَوْدِ الْمُلْكِ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ১২৫৫
ষ্ষ্


ইয়ড়াযিনকে অভিবাদন জানানোর জন্যে দলে দলে তার নিকট আসতে থাকে ৷ রাজ্য ক্ষমতায়
ফিরে আগমনকারী প্রতিনিধি দলসমুহের মধ্যে আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিমও ছিলেন ৷ তখন
সায়ফ ইবন ঘুইয়াষীন আবদুল মুত্তালিবকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর আগমনের
সুসংবাদ এবং ৎশ্রিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা
“রাসুলুল্লাহ (না)-এর আগমনের সৃসংবাদ” শিরোনামে আলোচিত হবে ৷

ইবন ইসহাকের মতে আবু সালত ইবন আবী রাবী’আ ছাকাফী এবং ইবন হিশামের মতে
উমাইয়া ইবন আবী সালত বলেছেন :

ইবন যী ইয়াযিনের ন্যায় সােকদেরই উচিত প্রতিশোধ গ্রহো: ণর এগিয়ে যাওয়া শোভা পড়ায়
যিনি প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে বছরের পর বছর ধরে সমুদ্রের পাড়ে লুকিয়ে থাকেন ৷

)


তার দেশ ত্যাগের সময় তিনি রোমান সম্রাট ক ৷য়সারের ড়ানকট গেলেন ৷ কিন্তু তার প্রার্থিত
সাহায্য সেখানে তিনি পেলেন না ৷

ন্থ১ট্টা
তারপর পারস্য সম্রাট কিসরার নিকট গেলেন ৷ দশ বছর পর তিনি নিজের ব্যক্তিত্ত্ব ও
ধন-সষ্পদকে তৃচ্ছ জ্ঞান করে ৷

ষ্ শ্

খুএে ফুট্রু১

অবশেষে তিনি এলেন বনি আহরার গোত্রের নিকট ৷ তিনিত তাদেরকে প্রতিশোধ গ্রহণের
জন্যে উত্তোজিত করেন ৷ আমার জীবনের শপথ আপনি খুব দ্রুত আন্দোলন সৃষ্টি করেছেন ৷



ধৃ এ্যা
সেই বাহিনীঢি এক সময় বিস্ময়করভা ৷বে অভিযানে রেরোল যে, মানব সমাজে আমি তো
তাদের তুলা কাউকে দেখিনি ৷
তারা সদা ৷বিজয়ী রাজন্যবর্গ এবং স্বচ্ছ ঝলমলে কংকন পরিদানকারী ৷৩ তারা সেই সিংহ
গভীর জঙ্গলে যারা সিংহ শাবক লালন-পালন করে ৷ তারা প্রভাত আলোতে তীর নিক্ষেপ করে
ওগুলো দ্রুত লক্ষ্যভেদ করে ৷
তারা প্রভাত আলোতে তীর নিক্ষেপ করে ওগুলো দ্রুত লক্ষ্য ভেদ করে ৷

ষ্ ! fl ষ্


আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) : ৪-

وَامْتَدَحُوهُ فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ وَفَدَ عَلَيْهِ قُرَيْشٌ وَفِيهِمْ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ فَبَشَّرَهُ سَيْفٌ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرَهُ بِمَا يَعْلَمُ مِنْ أَمْرِهِ، وَسَيَأْتِي ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي بَابِ الْبِشَارَاتِ بِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ أَبُو الصَّلْتِ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ الثَّقَفِيُّ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَتُرْوَى لِأُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ. لِيَطْلُبِ الْوِتْرَ أَمْثَالُ ابْنِ ذِي يَزَنَ ... رَيَّمَ فِي الْبَحْرِ لِلْأَعْدَاءِ أَحْوَالَا يَمَّمَ قَيْصَرَ لَمَّا حَانَ رِحْلَتَهُ فَلَمْ ... يَجِدْ عِنْدَهُ بَعْضَ الَّذِي سَالَا ثُمَّ انْثَنَى نَحْوَ كِسْرَى بَعْدَ عَاشِرَةٍ ... مِنَ السِّنِينَ يُهِينُ النَّفْسَ وَالْمَالَا حَتَّى أَتَى بِبَنِي الْأَحْرَارِ يَحْمِلُهُمْ ... إِنَّكَ عَمْرِي لَقَدْ أَسْرَعْتَ قِلْقَالَا لِلَّهِ دَرُّهُمْ مِنْ عُصْبَةٍ خَرَجُوا ... مَا إِنْ أَرَى لَهُمْ فِي النَّاسِ أَمْثَالَا
পৃষ্ঠা - ১২৫৬
غُلْبًا مَرَازِبَةً بِيضًا أَسَاوِرَةً أُسْدًا تُرَبِّبُ فِي الْغَيْضَاتِ أَشْبَالَا ... يَرْمُونَ عَنْ شُدُفٍ كَأَنَّهَا غُبُطٌ بِزَمْخَرٍ يُعَجِّلُ الْمَرْمِيَّ إِعْجَالَا ... أَرْسَلْتَ أُسْدًا عَلَى سُودِ الْكِلَابِ فَقَدْ أَضْحَى شَرِيدُهُمُ فِي الْأَرْضِ فَلَّالَا ... فَاشْرَبْ هَنِيئًا عَلَيْكَ التَّاجُ مُرْتَفِقًا فِي رَأْسِ غُمْدَانَ دَارًا مِنْكَ مِحْلَالَا ... وَاشْرَبْ هَنِيئًا فَقَدْ شَالَتْ نَعَامَتُهُمْ وَأَسْبِلِ الْيَومَ فِي بُرْدَيْكَ إِسْبَالًا ... تِلْكَ الْمَكَارِمُ لَا قَعْبَانِ مِنْ لَبَنٍ شِيبَا بِمَاءٍ فَعَادَا بَعْدُ أَبْوَالَا يُقَالَ: إِنَّ غُمْدَانَ قَصْرٌ بِالْيَمَنِ، بِنَاهُ يَعْرُبُ بْنُ قَحْطَانَ، وَأَكْمَلَهُ
পৃষ্ঠা - ১২৫৭
ষ্ষ্


আপনি কালো কুকুরদের প্রতি সিংহ লেলিয়ে দিয়েছেন ফলে৩ তাদের পলায়নপর বাহিনী ভুলষ্ঠিত
হয়েছে ৷


ৰু ১২ট্রু;ঠুৰু
আপনি তৃপ্ত চিত্তে পানীয় পান করুন ৷ আপনার মাথায় রয়েছে রাজমুকুট ৷ আপনার
বিশ্রামস্থল গুমদান প্রাসাদ, এটি আপনার বৈধ ভবনে পরিণত হয়েছে ৷
ৰু৷ ৷ টু
আপনি তৃপ্তি সহকারে পান করুন ৷ শত্রুর৷ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ এখন আপনি আপনার
চাদর জোড়া হেচড়িয়ে অহংকারী চালে পথ চলুন ৷
ৰুা

এগুলো মহৎ গৃণাবলী পানি মিশ্রিত দুধের তেমন দুটি পাত্র লোঃ১রুল৷ পরিণত হয় প্ৰস্রাবের
পাত্রে ৷

কথিত আছে যে, গুমদান হলো ইয়ামানের একটি রাজপ্রাসাদ ৷ ইয়ারুব ইবন কাহতান
সেটি নির্মাণ করেন ৷ পরবর্তী ওয়াইলা ইবন হিমইয়ার ইবন সারা কৌশলে সেটি করতলগত
করেন ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এটি ছিল বিশ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ ৷ আ ৷ল্লাহ্ইভ ৷ল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন আদি ইবন যায়দ হিমইয়ারী বলেছেন, তিনি ছিলেন বনী তামীম
গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ৷


ক্রোা;ৰু১ চুষ্

সান আর পওনের এটির কী হলো? যা গড়ে তুলে ছিলেন শাসকবর্গ যাদের দান দক্ষিণা
ছিল তারা ৷তরি

যে ব্যক্তি এটি নির্মাণ করেছে সে এটিকে মেঘমালা পর্যন্ত উন্নীত করেছিলেন ৷ এটির
মেহরারগুলাে থেকে কন্তুরির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে ৷

০ ’ ৩

(¢; ),; ষ্ব্লুছুট্রুঠু ৷ ঠেম্শ্রো ৷ এেট্রু; ঠু,টু; ধ্া(ট্ ;ংা৷ন্ হ্ষ্প্রু;টুং

এটি পর্বতরাজি দ্বারা পরিবেষ্টিত ৷ এটি চক্র ন্তকারীদের চক্রাস্ত থেকে নিরাপদ ৷ এ
প্রাসাদের চুড়ায় আরোহণ করা যায় না ৷

সান্ধ্যক৷ ৷লীন বজ্রনিনাদ ঐ প্রাসাদে কাঠ মিত্রীর শব্দের ন্যায় খঃটখট শব্দ করে ৷


بَعْدَهُ وَاحْتَلَّهُ وَائِلَةُ بْنُ حِمْيَرَ بْنِ سَبَأٍ، وَيُقَالَ: كَانَ ارْتِفَاعُهُ عِشْرِينَ طَبَقَةً فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ عَدِيُّ بْنُ زَيْدٍ الْحِيَرِيُّ وَكَانَ أَحَدَ بَنِي تَمِيمٍ مَا بَعْدَ صَنْعَاءَ كَانَ يَعْمُرُهَا ... وُلَاةُ مُلْكٍ جَزْلٍ مَوَاهِبُهَا رَفَّعَهَا مِنْ بَنَى لِذِي قَزَعٍ الْمُزْنِ ... وَتَنْدَى مِسْكًا مَحَارِبُهَا مَحْفُوفَةٌ بِالْجِبَالِ دُونَ عُرَى الْ ... كَائِدِ مَا يَرْتَقِي غَوَارِبُهَا يَأْنَسُ فِيهَا صَوْتُ النَّهَامِ ... إِذَا جَاوَبَهَا بِالْعَشِيِّ قَاصِبُهَا سَاقَتْ إِلَيْهَا الْأَسْبَابُ جُنْدَ بَنِي ... الْأَحْرَارِ فُرْسَانُهَا مَوَاكِبُهَا
পৃষ্ঠা - ১২৫৮
ষ্ষ্



নানা প্রকারের উপড়াদ ন বনী আহরড়ার গোত্রের সৈনিকদেরকে৩ তার দিকে টেনে এনেছে ৷
তাদের অশ্বারোহীগণ এসেছিল মিছিল সহকারে ৷

মৃতপ্রায় ভারবাহী খচ্চরগুল্যেকে পৃথক করে দেয়া হয়েছে ৷ তাদের সাথে ছুটে গেল তাদের
বাচ্চাগুলেড়া


শ্শ্শ্শ্শ্

বন্তুত হিমইয়ারী রড়াজাগণ দুর্গের উপর থেকে ওদের প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা অশ্বারােহী বাহিনীকে
দেখতে পেলেন ৷

যেদিন তারা বর্বর কা য়সুম বংশের ৫লাকদেরকে ডাকর্ট র্দয়েছিল ওদের পলড়ায়নক রী পালিয়ে
বীচতে পারবে না ৷
৫স দিবসের এ আলোচনাই শুধু অবশিষ্ট রয়েছে যে, মর্যাদা বোন ও শক্তিশালী একদল মানুষ
যে দিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ৷
;ার্মু১ন্১
সে দিন উত্তেজিত বাহিনী নিরীহ জিরড়াফে পরিণত হয়েছিল ৷ সেই দিনগুলাে বহু ঘটনার
সড়াক্ষীতে পরিণত হয়েছে ৷
সম্মানিত তৃব্বা সম্প্রদায়ের পর এ দৃর্গে পারস্যের সামম্ভগণ নিশ্চিম্ভে সেটির মালিকানা লাভ
করেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, পুর্বোল্লেখিত ৫জ্যাতিষী সাভীহ্ তার বক্তব্য “তারপর ইরান যী ইয়ড়াযীন
তাদের নিকট আসবে আদন থেকে ৷ অতঃপর কড়াউকেই ইয়ড়ামড়ানে অবশিষ্ট রাখবে না” দ্বারা
এটাই বুঝিয়েছিল ৷ আর ৫জ্যাতিষী শিক “এমন একটি বালক যে , প্রামাও নয় শহুরেও নয় ৷
যীইয়ড়াযানের গোত্র থেকে সে বের হরে” দ্বড়ারাও এ দিকেই ইঙ্গিত করেছিল ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, ওয়াহ্রিয এবং পারসিকগণ ইয়ড়ামড়ানে বসবাস করতে থাকে ৷
এখনকার ইয়ড়ামড়ানের অধিবাসিগণ সেই পারসিকদের বংশধর ৷ অড়ারিয়াতের ইয়ড়ামড়ানে প্রবেশ
থেকে শুরু করে পারসিকদের হাতে মাসরুক ইবন অড়াবরড়াহা এর নিহত হওয়া এবং হাবশীদের
ইয়ামান থেকে বহিষ্কৃত হওয়া পর্যন্ত তাদের রড়াজতুকাল ছিল ৭২ বছর ৷ এই মেয়াদে পরপর


وَفُوِّزَتْ بِالْبِغَالِ تُوسَقُ بِالْحَتْفِ وَتَسْعَى بِهَا تَوَالِبُهَا ... حَتَّى رَآهَا الْأَقْوَالُ مِنْ طَرَفٍ الْمَنْقَلِ مُخْضَرَّةٌ كَتَائِبُهَا ... يَوْمَ يُنَادُونَ الْبَرْبَرَ وَالْيَكْسُومَ لَا يُفْلِحَنَّ هَارِبُهَا ... فَكَانَ يَوْمًا بَاقِي الْحَدِيثِ، وَزَالَتْ أُمَّةٌ ثَابِتٌ مَرَاتِبُهَا ... وَبُدِّلَ الْفَيْجُ بِالزَّرَافَةِ وَالْأَيَّامُ خُونٍ جَمٌّ عَجَائِبُهَا ... بَعْدَ بَنِي تُبَّعٍ نَخَاوِرَةٌ قَدِ اطْمَأَنَّتْ بِهَا مَرَازِبُهَا قَالَ ابْنُ هِشَامٍ. وَهَذَا الَّذِي عَنَى سَطِيحٌ بِقَوْلِهِ: يَلِيهِ إِرَمُ ذِي يَزَنَ، يَخْرُجُ عَلَيْهِمْ مِنْ عَدَنَ فَلَا يَتْرُكُ أَحَدًا مِنْهُمْ بِالْيَمَنِ وَالَّذِي عَنَا شِقٌّ بِقَوْلِهِ: غُلَامٌ لَيْسَ بِدَنِيٍّ وَلَا مُدَنٍّ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِ ذِي يَزَنَ.
পৃষ্ঠা - ১২৫৯
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَقَامَ وَهْرِزُ وَالْفُرْسُ بِالْيَمَنِ فَمِنْ بَقِيَّةِ ذَلِكَ الْجَيْشِ مِنَ الْفُرْسِ الْأَبْنَاءُ الَّذِينَ بِالْيَمَنِ الْيَوْمَ. وَكَانَ مَلِكُ الْحَبَشَةِ بِالْيَمَنِ فِيمَا بَيْنَ أَنْ دَخَلَهَا أَرْيَاطُ إِلَى أَنْ قَتَلَتِ الْفُرْسُ مَسْرُوقَ بْنَ أَبْرَهَةَ، وَأَخْرَجَتِ الْحَبَشَةَ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ سَنَةً تَوَارَثَ ذَلِكَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ: أَرْيَاطُ، ثُمَّ أَبْرَهَةُ، ثُمَّ يَكْسُومُ بْنُ أَبْرَهَةَ، ثُمَّ مَسْرُوقُ بْنُ أَبْرَهَةَ.
পৃষ্ঠা - ১২৬০
ষ্ষ্


চারজন হাবশী রাজা রাজতৃ করে ৷ তারা হলো পর্যায়ক্রমে আরইয়াত, আবরাহা, ইয়াকসুম ইবন
আবরাহা এবং মাসরুক ইবন আবরাহা ৷

ইয়ামানে পারসিকদের শেষ পরিণতি

ইবন হিশাম বলেন, ওয়াহ্রিযের মৃত্যুর পর পারস্য সম্রাট কিসরা ওয়াহ্রিয়ের পুত্র
মারযুবানকে ইয়ামাংনর শাসনকর্তা নিযুক্ত করে ৷ শ্মারযুবানের মৃত্যুর পর তদীয়পুত্র
তাইনুজানকে তারও মৃত্যুর পর তার পুত্রকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয় ৷ পরবর্তীতে
তাইনুজানের পুত্রকে বরখাস্ত করে বাযালকে ইয়ামানের শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয় ৷ বাযানের
শাসন আমলেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) নবুওত প্রাপ্ত হন ৷

ইবন হিশাম বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, পারস্য সম্রাট কিসরা ইয়ামানের
শাসনকর্তা বাযানের নিকট এই মর্মে পত্র লিখেছিল, আমার নিকট সংবাদ এসেছে, কুরায়শ
ৎশের জনৈক ব্যক্তি মক্কা নগরীতে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং সে নিজেকে নবী বলে দাবী
করছে ৷ তুমি তার কাছে যাও ৷ তাকে বল সে যেন ঐ দাবী ত্যাগ করে ৷ সে যদি তা ত্যাগ করে
তবে তো নতুবা তুমি তার ছিন্নমস্তক আমার নিকট পাঠাবে ৷ বাযাল্ তখন সম্রাটের পত্রটি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করে ৷ উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) লিখেন, আল্লাহ তাআলা
আমার সাথে অঙ্গীকার করেছেন যে, অমুক মাসের অমুক তারিখে কিসরা নিহত হবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উত্তর পেয়ে শাসনকর্তা বাযান উল্লেখিত দিনের জন্যে অপেক্ষা করতে
থাকেন ৷ তিনি বলেন উক্ত ব্যক্তি যদি সত্যই নবী হয়ে থাকেন তিনি যা বলেছেন অচিরেই
ঘটবে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) কিসরার নিহত হওয়ার যে তারিখ উল্লেখ করেছিলেন ঠিক সে তারিখেই
আল্লাহ তাআলা তাকে হত্যা করান ৷

ইবন হিশাম বলেন, কিসরা নিহত হয় তার পুত্র শের ওয়েহের এর হাতে ৷ কোন কোন
ঐতিহাসিক বলেন, তার সকল পুত্রই তার হত্যার জড়িত ছিল ৷ এই কিসরা হল পারভেয় ইবন
হরঘুয ইবন নওশেরাওয়া ইবন কুবায় ৷ সে-ই রোম সম্রাটকে পরাস্ত করেছিল : ১; ণ্া৷
ট্রট্রুঠু৷ ৷ শ্ আসিফ, লাম, মীম, রােমকগণ পরাজিত হয়েছে নিকটবর্তী অঞ্চলে আয়াতে সেই
রোম বিজয়ের উল্লেখ রয়েছে ৷ পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে ৷ সুহাইলী
বলেন, নবম হিজরীর জুমাদাল উলা মাসের ১১ তারিখ বুধবারে সে নিহত হয় ৷ কথিত আছে
যে, তাকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে তার প্রতি রাসুলুল্লাহ্ (না) যে পত্র পাঠিয়েছিলেন সেটি
পেয়ে সে ভীষনণ ক্রুদ্ধ হয় এবং পত্রটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে ৷ অতঃপর তার বক্তব্য
লিখে ইয়ামানের শাসনকর্তা বাযানের নিকট পত্র পাঠায় ৷
কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাযানের প্রতিনিধিকে বলেছিলেন, আমার
প্রতিপালক তাে এ রাতে তোমার রাজাকে হত্যা করেছেন ৷ পরে দেখা গেল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা
বলেছেন তা-ই হয়েছে ৷ ঠিক ঐ রাতেই সে নিহত হয়েছে ৷ প্রথম দিকে ন্যায়পরায়ণ থাকলেও
পরবর্তীতে সে অত্যাচারী হয়ে উঠে ৷ ফলে তার ছেলেরা তাকে সিংহাসনচ্যুত করে এবং হত্যা
করে ৷ তারা তার পুত্র শেরওয়েহকে সিংহাসনে বসায় ৷ পিতা নিহত হওয়ার ছয়মাস বা তারও
কম সময়ের মধ্যে শেরওয়েহ্র মৃত্যু হয় ৷ এ প্রসংগে কালিদ ইবন হক শায়বাণী বলেন :


[ذِكْرُ مَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُ الْفُرْسِ بِالْيَمَنِ] قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: ثُمَّ مَاتَ وَهْرِزُ فَأَمَّرَ كِسْرَى ابْنَهُ الْمَرْزُبَانَ بْنَ وَهْرِزَ عَلَى الْيَمَنِ، ثُمَّ مَاتَ الْمَرْزُبَانُ فَأَمَّرَ كِسْرَى ابْنَهُ التَّيْنُجَانَ، ثُمَّ مَاتَ فَأَمَّرَ ابْنَ التَّيْنُجَانِ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنِ الْيَمَنِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهَا بَاذَانَ، وَفِي زَمَنِهِ بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ابْنُ هِشَامٍ فَبَلَغَنِي عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: كَتَبَ كِسْرَى إِلَى بَاذَانَ: إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ خَرَجَ بِمَكَّةَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ فَسِرْ إِلَيْهِ فَاسْتَتِبْهُ فَإِنْ تَابَ، وَإِلَّا فَابْعَثْ إِلَيَّ بِرَأْسِهِ. فَبَعَثَ بَاذَانُ بِكِتَابِ كِسْرَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ اللَّهَ قَدْ وَعَدَنِي أَنْ يُقْتَلَ كِسْرَى فِي يَوْمِ كَذَا وَكَذَا مِنْ شَهْرِ كَذَا» فَلَمَّا أَتَى بَاذَانَ الْكِتَابُ وَقَفَ لِيَنْتَظِرَ، وَقَالَ: إِنْ كَانَ نَبِيًّا فَسَيَكُونُ مَا قَالَ. فَقَتَلَ اللَّهُ كِسْرَى فِي الْيَوْمِ الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ: ابْنُ هِشَامٍ عَلَى يَدَيِ ابْنِهِ شِيرَوَيْهِ قُلْتُ: وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَنُوهُ تَمَالَئُوا عَلَى قَتْلِهِ. وَكِسْرَى هَذَا هُوَ أَبْرَوِيزُ بْنُ هُرْمُزَ بْنِ أَنُوشِرْوَانَ بْنِ قُبَازَ وَهُوَ الَّذِي غَلَبَ الرُّومَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {الم غُلِبَتِ الرُّومُ فِي أَدْنَى الْأَرْضِ} [الروم: 1] [الرُّومِ: 1 - 3] كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَكَانَ قَتْلُهُ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءَ لِعَشَرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى
পৃষ্ঠা - ১২৬১
سَنَةَ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ كَانَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. لَمَّا كَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوهُ إِلَى الْإِسْلَامِ فَغَضِبَ، وَمَزَّقَ كِتَابَهُ كَتَبَ إِلَى نَائِبِهِ بِالْيَمَنِ يَقُولُ لَهُ مَا قَالَ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِرَسُولِ بَاذَانَ «إِنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ اللَّيْلَةَ رَبَّكَ» فَكَانَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُتِلَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ بِعَيْنِهَا قَتَلَهُ بَنُوهُ لِظُلْمِهِ بَعْدَ عَدْلِهِ بَعْدَمَا خَلَعُوهُ، وَوَلَّوُا ابْنَهُ شِيرَوَيْهِ فَلَمْ يَعِشْ بَعْدَ قَتْلِهِ أَبَاهُ إِلَّا سِتَّةَ أَشْهُرٍ أَوْ دُونَهَا، وَفِي هَذَا يَقُولُ خَالِدُ بْنُ حِقٍّ الشَّيْبَانِيُّ وَكِسْرَى إِذْ تَقَسَّمَهُ بَنُوهُ ... بِأَسْيَافٍ كَمَا اقْتُسِمَ اللِّحَامُ تَمَخَّضَتِ الْمَنُونُ لَهُ بِيَوْمٍ ... أَنَى، وَلِكُلِّ حَامِلَةٍ تَمَامُ قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ بَاذَانَ بَعَثَ بِإِسْلَامِهِ، وَإِسْلَامِ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْفُرْسِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتِ الرُّسُلُ: إِلَى مَنْ نَحْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ «أَنْتُمْ مِنَّا، وَإِلَيْنَا أَهْلَ الْبَيْتِ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَمِنْ ثَمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَلْمَانُ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ» قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا كَانَ بَعْدَ مَا هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَلِهَذَا بَعَثَ الْأُمَرَاءَ إِلَى الْيَمَنِ لِتَعْلِيمِ النَّاسِ الْخَيْرَ، وَدَعْوَتِهِمْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَبَعَثَ أَوَّلًا خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَعَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ১২৬২
ষ্ষ্


ঠুছুাট্রু৷ ৷ ন্’ন্ব্লু’:;ট্র’া

আর কিসরার ব্যাপারটি তার পুত্রগণ তাকে তলোয়ার দ্বারা টুকরো টুকরো করেছে যেমন

টুকরো করা হয় গােশত ৷
টু,

একদিন তার মৃত্যু এলো এবং প্রত্যেক জীবেরই মৃতু৷ আছে ৷

ঘুহরী (র) বলেন, এ সংবাদ অবগত হয়ে বাযান নিজের ইসলাম গ্রহণ এবং তার সাথী
পারসিকদ্যে৷ ইসলাম গ্রহণের বার্তা সহ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রতিনিধি প্রেরণ করেন ৷
তখন প্রতিনিধিণণ বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমরা কাদের সাথে যুক্ত হবো? রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন, তোমরা আমাদের পরিবারের সাথে ফুক্ত হবে ৷ এ প্ৰসংপে ষুহরী (র) বলেন, যে
দৃষ্টিকোণ থেকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) হযরত ৩সালমান (রা) চম্পের্কে বলেছিলেন (এ ৷ ৷ট্রু @
;ৰুট্রু এ ৷) সালমান রাসুল পরিবারের অম্ভঙুক্তি ৷ আমি বলি আলোচ্য বর্ণনা থেকে স্পক্ট বুঝা যায়
হীয, বাযানের ইসলাম গ্রহণের সম্পর্কিত ঘটনা সংঘটিত হয় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মদীনায়
হিজরতের পর ৷ এ জন্যে ইয়ামড়ানের লোকজনকে ভাল কাজের শিক্ষা দেয়৷ এবং আল্লাহর পথে
দাওয়াত দেয়ার জন্যে তিনি প্রশাসকগণকে ইয়ামান প্রেরণ করেছিলেন ৷ সর্বপ্রথম প্রেরণ করেন
খালিদ ইবন ওলীদকে এরৎঅ আলী ইবন আবীতালিব (রা) কে ৷ তারপর প্রেরণ করেন আবু মুসা
আশআরী ও মু’আয ইবন জবল (রা) কে ৷ এ সময়ে ইয়ামানবাসীরা ইসলামের ছায়াতলে
আসে ৷ বাযানের মৃত্যু হলে তার পুত্র শাহর ইবন বাযান তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ ভণ্ড নবী
আসওয়াদ আনাসী যখন নবুওত দাবী করে তখন সে শাহর ইবন বাযানকে হত্যা করে এবং
তার ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷ সে ইয়ামানে নিযুক্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতিনিধিকেও সেখান
থেকে বহিষ্কার করে ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা আসবে ৷ আসওয়াদ আনাসী নিহত হওয়ার পর
সেখানে পুনরায় মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ ইবন হিশাম বলেন, জ্যোতিষী সাতীহ তার
বক্তব্য “পবিত্র নবী, উর্ধ্ব জগত থেকে র্ডার ওহী আসবে” দ্বারা এদিকে ইঙ্গিত করেছিল এবং
জ্যোতিষী শিক তার বক্তব্য” “এবং ঐ রাজত্বে ছেদ পড়বে একজন রাসুলৌ৷ দ্বারা ৷ তিনি সত্য
ও ন্যায় সহকারে আসবেন, তিনি আসবেন দীনদার ও মর্যাদাবান লোকদের মধ্যে অতঃপর
কিয়ড়ামত দিবস পর্যন্ত রাজত্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকবে” দ্বারা এদিকেই ইঙ্গিত করেছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইয়ামান বাসীরা দাবী করে যে,সেখানকার একটি পাথরে যবুর
কিতাবের উক্তি লিখিত ছিল ৷ এটি প্রাচীন যুগের লিখিত হয়েছিল ৷ তাতে লেখা ছিল রাজত্বের
মালিক হবে শ্রেষ্ঠ হিময়ারীগণ ৷ রাজত্বে র মালিক হবে মন্দ লোক হড়াবশীণণ, রাজত্বের মালিক
হবে স্বাধীন পা ৷রসিকগণ ৷ রাজত্বের মালিক হবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কুরায়শগণ ৷

একজন করি এই বিষয়টিকে কবিতায় সন্নিবোশিত করেছেন ৷ মাসউদীত ৷উল্লেখ করেছেন

যুদ্ধের প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন হল তখন বলা হল তুমি কার পক্ষে? তখন যে বলল শ্রেষ্ট
সম্প্রদায় হিমইয়৷ রীদের পক্ষে ৷


أَتْبَعَهُمَا أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ. وَدَانَتِ الْيَمَنُ، وَأَهْلُهَا لِلْإِسْلَامِ، وَمَاتَ بَاذَانُ فَقَامَ بَعْدَهُ وَلَدُهُ شَهْرُ بْنُ بَاذَانَ وَهُوَ الَّذِي قَتَلَهُ الْأَسْوَدُ الْعَنْسِيُّ حِينَ تَنَبَّأَ وَأَخَذَ زَوْجَتَهُ - كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ - وَأَجْلَى عَنِ الْيَمَنِ نُوَّابَ رَسُولِ اللَّهِ فَلَمَّا قُتِلَ الْأَسْوَدُ عَادَتِ الْيَدُ الْإِسْلَامِيَّةُ عَلَيْهَا. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ. وَهَذَا هُوَ الَّذِي عَنَى بِهِ سَطِيحٌ بِقَوْلِهِ: نَبِيٌّ زَكِيٌّ، يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنْ قِبَلِ الْعَلِيِّ وَالَّذِي عَنَى شِقٌّ بِقَوْلِهِ: بَلْ يَنْقَطِعُ بِرَسُولٍ مُرْسَلٍ يَأْتِي بِالْحَقِّ وَالْعَدْلِ بَيْنَ أَهْلِ الدِّينِ وَالْفَضْلِ، يَكُونُ الْمُلْكُ فِي قَوْمِهِ إِلَى يَوْمِ الْفَصْلِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فِي حِجَرٍ بِالْيَمَنِ فِيمَا يَزْعُمُونَ كِتَابٌ بِالزَّبُورِ كُتِبَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ: لِمَنْ مُلْكُ ذِمَارٍ؟ لِحِمْيَرَ الْأَخْيَارِ لِمَنْ مُلْكُ ذِمَارٍ؟ لِلْحَبَشَةِ الْأَشْرَارِ لِمَنْ مُلْكُ ذِمَارْ؟ لِفَارِسَ الْأَحْرَارْ لِمَنْ مُلْكُ ذِمَارْ؟ لِقُرَيْشٍ التُّجَّارْ. وَقَدْ نَظَمَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ هَذَا الْمَعْنَى فِيمَا ذَكَرَهُ الْمَسْعُودِيُّ حِينَ شِيدَتْ ذِمَارُ قِيلَ لِمَنْ أَنْتِ ... فَقَالَتْ لِحِمْيَرَ الْأَخْيَارِ ثُمَّ سِيلَتْ مِنْ بَعْدِ ذَاكَ فَقَالَتْ ... أَنَا لِلْحُبْشِ أَخْبَثِ الْأَشْرَارِ
পৃষ্ঠা - ১২৬৩

তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হল, এবার তুমি কার? তখন সে বলল , মন্দ ব্যক্তি হাবশীদের
পচুক্ষ
ব্লু ৷ ;;
তারপর তারা বলল, এবার তুমি কার পক্ষে ? সে বলল স্বাধীন ঢেতব্ পারসিকদের পক্ষে ৷
;, ৷; ;;
তারপর বলা হল এবার তুমি কার পক্ষে? সে বলল, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কুরায়শদের পক্ষে ৷
কথিত আছে, যে, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এখানে যা উল্লেখ করেছেন তা হযরত হুদ
(আ)-এর কবরের পাশে লিখিত পাওয়া গিয়েছিল ৷ বায়ু প্রবাহের ফলে ইয়ামানে অবস্থিত তার
কবরের মাটি সরে গেলে এটি পাওয়া যায় ৷ রাণী বিলকীসের শাসনামলের অল্প কিছুদিন পুর্বে
আমর যিলি ইযআ’বের ভাই মালিক যীল মানারের শাসনামলে এ র্ঘটনা ঘটে ৷ কেউ কেউ

বলেন, এটি হযরত হ্রদ (আ) এর কবরের উপরের লেখা ছিল এটি তারই বাণী ৷ শেষোক্ত
মন্তব্য করেছেন আল্লামা সুহায়লী (র) ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

হাযর অধিপতি সাতিরুন-এর বিবরণ

আব্দুল মালিক ইবন হিশাম এ পর্যায়ে সাতিরুন-এর আলোচনার অবতারণা করেছেন ৷
কারণ ইয়ড়ামান রাজ্য পুনরুদ্ধারে সায়ক ইবন যী ইয়াযানের নু’মান ইবন মুনযিরের নিকট
সাহায্য প্রার্থনা গ্রসংগে যে নু’মানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে কোন কোন কুলজী বিশারদ
বলেছেন যে, সেই নুমান হাযর অধিপতি সাতিরুন’ এর অধষ্কস্তন বংশধর ৷ ইতিপুর্বে ইবন
ইসহড়াক সুত্রে আমরা উল্লেখ রুরেছি যে, নু’মান ইবন মুনযির হচ্ছেন রাবীআ ইবন নাসর এর

শধর ৷ উপরন্তু জুবায়র ইবন মুতইম সুত্রে ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে নু মান হল
কায়সার ইবন ম র্দি ইবন আদনানের বংশধর ৷ বন্তুত নুমান ইবন মুনযিরের বংশ তালিকা
সম্পর্কে এ তিন প্রকারের বক্তব্য এসেছে ৷ এই সুত্রে ইবন হিশাম (র) হাযর অধিপতি
সাতিরুন’ এর আলোচনার অবতারণা করেছেন ৷ হাযর হল একটি বিশাল দুর্গ ৷ বাদশা
সাতিরুন ফোরাত নদীর তীরে এটি নির্মাণ করেন ৷ প্রাসাদটি গগনচুম্বী, সুউচ্চ, সুপ্রশস্ত ও
বিশালায়তনটি ৷ এটির চৌহদ্দী একটি বিরাট শহরের সমান ৷ দৃঢ়তা, সৌন্দর্য ও চমৎকারিত্বে
এটি তুলনাহীন ৷ চতুর্দিক থেকে সড়ক ও জনপথ সমুহ এখানে এসে থেমেছে ৷ সাতিরুনের নাম
দীবান ইবন মুআবিয়া ইবন উবায়দ ইবন আজরম ৷ আজরম হল সাতিহ ইবন হুলওয়ান ইবন
ইলহাফ ইবন কুযাআ এর বংশধর ৷ ইবন কুযাঅ৷ তার এ বংশ তালিকা উল্লেখ করেছেন ৷

অন্যান্য ৰুকুলজী বিশারদগণ বলেন, যে ছিল জারমুক বংশের অন্তর্ভুক্ত এবং একজন
আঞ্চলিক রাজা ৷ তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলে সাতিরুনকে সকলের সম্মুখে এগিয়ে
দেয়া হতো ৷ তার দুর্গ ছিল দিজল৷ ও ফোরাত নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ৷


ثُمَّ قَالُوا مِنْ بَعْدِ ذَاكَ لِمَنْ أَنْتِ ... فَقَالَتْ لِفَارِسَ الْأَحْرَارِ ثُمَّ قَالُوا مِنْ بَعْدِ ذَاكَ لِمَنْ أَنْتِ ... فَقَالَتْ إِلَى قُرَيْشِ التُّجَّارِ وَيُقَالُ: إِنَّ هَذَا الْكَلَامَ الَّذِي ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وُجِدَ مَكْتُوبًا عِنْدَ قَبْرِ هُودٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ حِينَ كَشَفَتِ الرِّيحُ عَنْ قَبْرِهِ بِأَرْضِ الْيَمَنِ، وَذَلِكَ قَبْلَ زَمَنِ بِلْقِيسَ بِيَسِيرٍ فِي أَيَّامِ مَالِكِ بْنِ ذِي الْمَنَارِ أَخِي عَمْرٍو ذِي الْأَذْعَارِ بْنِ ذِي الْمَنَارِ، وَيُقَالَ: كَانَ مَكْتُوبًا عَلَى مِنْبَرِ هُودٍ أَيْضًا وَهُوَ مِنْ كَلَامِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ. حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১২৬৪
[قِصَّةُ السَّاطِرُونَ صَاحِبِ الْحَضْرِ] وَقَدْ ذَكَرَ قِصَّتَهُ هَاهُنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ لِأَجْلِ مَا قَالَهُ بَعْضُ عُلَمَاءِ النَّسَبِ أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ فِي وُرُودِ سَيْفِ بْنِ ذِي يَزَنَ عَلَيْهِ، وَسُؤَالِهِ فِي مُسَاعَدَتِهِ فِي رَدِّ مُلْكِ الْيَمَنِ إِلَيْهِ أَنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ السَّاطِرُونَ صَاحِبِ الْحَضْرِ وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ الْمُنْذِرِ مِنْ ذُرِّيَّةِ رَبِيعَةَ بْنِ نَصْرٍ، وَأَنَّهُ رُوِيَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَنَّهُ مِنْ أَشْلَاءِ قُنُصِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ فَهَذِهِ ثَلَاثَةُ أَقْوَالٍ فِي نَسَبِهِ. فَاسْتَطْرَدَ ابْنُ هِشَامٍ فِي ذِكْرِ صَاحِبِ الْحَضْرِ، وَالْحَضْرُ حِصْنٌ عَظِيمٌ بَنَاهُ هَذَا الْمَلِكُ وَهُوَ السَّاطِرُونَ عَلَى حَافَّةِ الْفُرَاتِ وَهُوَ مُنِيفٌ مُرْتَفِعُ الْبِنَاءِ، وَاسِعُ الرَّحْبَةِ وَالْفِنَاءِ دَوْرُهُ بِقَدْرِ مَدِينَةٍ عَظِيمَةٍ وَهُوَ فِي غَايَةِ الْإِحْكَامِ وَالْبَهَاءِ وَالْحُسْنِ وَالسَّنَاءِ، وَإِلَيْهِ يُجْبَى مَا حَوْلَهُ مِنَ الْأَقْطَارِ وَالْأَرْجَاءِ، وَاسْمُ السَّاطِرُونَ: الضَّيْزَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ أَجْرَمَ مِنْ بَنِي سَلِيحِ بْنِ حُلْوَانَ بْنِ الْحَافِ بْنِ قُضَاعَةَ. كَذَا نَسَبَهُ ابْنُ الْكَلْبِيِّ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ مِنَ الْجَرَامِقَةِ وَكَانَ أَحَدَ مُلُوكِ الطَّوَائِفِ وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ১২৬৫
ষ্ষ্


ইবন হিশাম বলেন, পারস্য সম্রাট সাপুর যুল আকতাফ আলোচ্য হাযর অধিপতি
সাতিরুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ৷ ইবন হিশাম ব্যতীত অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ বলেন, হাযর
অধিপতি সাতিরুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল সাপুর ইবন আয়দশীর ইবন বাবক , সে সাসান
গোত্রের প্রথম রাজা ৷ সে আঞ্চলিক রাজাদেরকে পদানত করে পারস্য সাম্রাজেব্রর অধীনে
ফিরিয়ে এনেছিল ৷ পক্ষ ম্ভবে সাপুর যুল আকতাফ ইবন হরমুয সে পুর্বোক্ত সাপুর ইবন্
আরদশীরের বহুকাল পরের লোক ৷ আ ৷ল্লাহ্ইভ ল জ নেন ৷ এটি সুহায়লীর বর্ণনা ৷ ইবন হিশাম
বলেন, পারস্য সম্রাট সাপুর সাতিরুনকে দীর্ঘ দুই বছর পর্যন্ত দুর্গের মধ্যে অবরুদ্ধ করে
রাখে ৷ অন্যরা বলেন, এই অবরোধের মেয়াদ ছিল চার বছর ন্ আক্রমণের কারণ এই ছিল যে,
সম্রাট সাপুর ইরাক সফরে থাকার কারণে অনুপস্থিতির প্রাক্কালে সাতিরুন গিয়ে সাপুরে রাজ্য
আক্রমণ করে এবং সেখানে লুটপাট চালায় ৷ প্রতিশোধ স্বরুপ সাপুর তার উপর আক্রমণ করে
এবং অবরোধ সৃষ্টি করে ৷ অবরোধকালীন সময়ে এন্ন্ধন্দিন সাতিরুনের কন্যা দুদ্বর্গর ছাদে
আরোহণ করে ৷ তার নাম নাযীরা ৷ সম্রাট সাপুরকে দেখে খােয়টি আসক্ত হয় ৷ সাপুরের পরনে
ছিল রেশমী কা ৷পড় আর মাথায় ছিল মনি মুক্তা ও ইয়াফুত পাথর খচিত স্বর্ণ মুকুট ৷ সে ছিল
সুদর্শন ও রুপবান যুবক ৷ নাযীরা গোপনে সাপুরের নিকট বাত ৷ পাঠায় যে পিতার দুর্গের
ফটক খুলে দিলে তুমি কি আমাকে বিয়ে করবো সাপুর ইতিবাচক উত্তর দেয় ৷
সন্ধ্য৷ বেলা সাতিরুন প্রচুর মদপান করে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ নেশাগ্রস্ত না হয়ে সে
ঘুমাতাে না ইত তাবসরে নাযীরা সাতিরুনের মাথার নীচ থেকে দুর্গের চাবি নিয়ে আসে এবং তার
এক ক্রীতদ৷ ৷সের মাধ্যমেও ৷ ৩াসাপুরের নিকট প৷ ৷ঠিয়ে দেয় ৷ সা পুর প্রাসাদের ফটক খুলে ফেলে ৷
কেউ কেউ বলেন, নাযীরা ওদেরকে একটি প্রশস্ত ঝর্নার কথা জানিয়ে দেয় ৷ সেটির মধ্য দিয়ে
প্রাসাদের ভেতরে পানি প্রবেশ করত ৷ অতঃপর ঐ ঝর্নার ভেতর দিয়ে তারা “হাযর দুর্গে
প্রবেশ করে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, “হাযর প্রাসাদে অবস্থানরত একটি গুপ্তরহস্য সে
তাদেরকে জানিয়ে দেয় ৷ তাদের জানা ছিল যে, একটি নীল কবুতর ধরে তার পা দু’টি যতক্ষণ
না কুমারী বালিকার রজঃস্রাবের রক্তে রঞ্জিত না করা হবে এবং সেটিকে ছেড়ে না দেয়৷ হবে
ততক্ষণ ঐ ফটক খুলবে না ৷ ঐ কবুতর গিয়ে দুর্গের প্রাচীরে পতিত হলে ঐ যাদুকরী প্রভাব
বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং যল্টক খুলে যাবে ৷ সাপুর তাই করল এবং দরজা খুলে গেল ৷ সে তখন
ভিতরে ঢুকে সাতিরুনকে হত তাড়া করে হাযর প্রাসাদকে লুটতরাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় এবং
ৎস করে ফেলে ৷ তারপর নাযীরাকে দিয়ে বিয়ে করে ৷ একরাতে নাযীরা বিছ৷ ৷নায় ঘৃমুতে গিয়ে
অনিদ্র৷ ৷য় ছটফট করতে থাকে ৷ সাপুর একটি প্রদীপ আনিয়ে তার বিছানা পরীক্ষা করে বিছানায়
একটি ফুলের পাতা খুজে পায় ৷ সে নাযীরাকে বলে, এটা ই কি তোমার অজ্যিার ক ৷রণপ্ উত্তরে
সে বলে, হ্যা, সাপুর বলে তোমার পিত৷ তোমাকে নিয়ে কি করত? সে বলল, তিনি আমার
জন্যে মখমলের বিছ৷ ৷ন৷ বিছা ৷তেন ৷ আমাকে রেশমী ক৷ ৷পড় পড়াতেন ৷ হাড়ের মগজ খাওয়াতেন
এবং মদ পান করাতেন ৷ সাপুর বলে তুমি ওে ৷মার পিতার সাথে যে আচরণ করেছ এটি কি
ড্রার উচিত প্রতিদলোঃ আমার প্রতি তোমার বিশ্বাসঘাতকতা তা হলে আরো দ্রুততর হবে ৷
অতঃপর তার চুলের রেনীকে ঘোড়ার লেজের সাথে বেধে ঘোড়াটিকে ছুটিয়ে দেওয়া হয় ৷
এভাবে তার মৃত্যু হয় ৷ এ প্রসঙ্গে করি আ’শা ইবন কায়েছ ইবন ছালাবা বলেনঃ


يَقْدُمُهُمْ إِذَا اجْتَمَعُوا لِحَرْبِ عَدُوٍّ مِنْ غَيْرِهِمْ وَكَانَ حِصْنُهُ بَيْنَ دِجْلَةَ وَالْفُرَاتِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ كِسْرَى سَابُورَ ذُو الْأَكْتَافِ غَزَا السَّاطِرُونَ مَلِكَ الْحَضْرِ، وَقَالَ غَيْرُ ابْنِ هِشَامٍ: إِنَّمَا الَّذِي غَزَا صَاحِبَ الْحَضْرِ ; سَابُورُ بْنُ أَزْدَشَيْرِ بْنِ بَابِكَ أَوَّلُ مُلُوكِ بَنِي سَاسَانَ أَذَلَّ مُلُوكَ الطَّوَائِفِ وَرَدَّ الْمُلْكَ إِلَى الْأَكَاسِرَةِ، وَأَمَّا سَابُورُ ذُو الْأَكْتَافِ بْنُ هُرْمُزَ فَبَعْدَ ذَلِكَ بِدَهْرٍ طَوِيلٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَحَصَرَهُ سَنَتَيْنِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَرْبَعَ سِنِينَ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ أَغَارَ عَلَى بِلَادِ سَابُورَ فِي غَيْبَتِهِ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ فَأَشْرَفَتْ بِنْتُ السَّاطِرُونَ - وَكَانَ اسْمُهَا: النَّضِيرَةَ - فَنَظَرَتْ إِلَى سَابُورَ وَعَلَيْهِ ثِيَابُ دِيبَاجٍ، وَعَلَى رَأْسِهِ تَاجٌ مِنْ ذَهَبٍ مُكَلَّلٌ بِالزَّبَرْجَدِ وَالْيَاقُوتِ وَاللُّؤْلُؤِ وَكَانَ جَمِيلًا فَدَسَّتْ إِلَيْهِ: أَتَتَزَوَّجُنِي إِنْ فَتَحْتُ لَكَ بَابَ الْحَضْرِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ فَلَمَّا أَمْسَى سَاطِرُونَ شَرِبَ حَتَّى سَكِرَ وَكَانَ لَا يَبِيتُ إِلَّا سَكْرَانَ فَأَخَذَتْ مَفَاتِيحَ بَابِ الْحَضْرِ مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ، وَبَعَثَتْ بِهَا مَعَ مَوْلًى لَهَا فَفَتَحَ الْبَابَ، وَيُقَالَ: بَلْ دَلَّتْهُمْ عَلَى نَهْرٍ
পৃষ্ঠা - ১২৬৬
ষ্ষ্



তুমি কি দেখনি হাযর দৃশ্চেরি অধিবাসীদেরকে যখন তারা ভোগ বিলাসে মত্ত ছিল ? কোন
নিয়ামত ও শান্তি কি চিরস্থায়ী?

বাদশাহ সাপুর দৃ’ বছর দুর্গের চা ৷বিদিকে তার সৈনিক দ্ব ৷র৷ অববাে ধ করে রেখেছিল ৷ তাতে
তারা কুঠারাঘা ৷ত করত ৷
যখন তার প্রতিপালক ডাক দিল ৷ তখন সে তার দিকে ফিরে গেল ৷ প্রতিশোধ গ্রহণ করল
না ৷

)ষ্ঠাং
তার প্রতিপালক কি তার কো ন শক্তি বৃদ্ধি করেছেঃ ঐরুপ আশ্রয়দাতা কোন সাহায্য করতে
পারে না ৷

এ ৷হ্র এ
যে তার সম্প্রদায়কে ডা ৷ক দিয়েছিল ৷ এই বলে যে, তোমরা এগিয়ে আস এমন এক কর্মের
প্রতি যা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে

০ :

তোমরা তরবারী ধারণ করে মর্যড়াদার সাথে মৃত্যুবরণ কর ৷ আমি মনি কবি, যে ব্যক্তি কষ্ট
সইিষ্ণু মৃত্যু সহজে তার নিকট আসে না ৷

এ প্রসঙ্গে আদী ইবন যায়দেরও দীর্ঘ কবিতা রয়েছে যার শেষ কয়টি পংক্তি এরুপঃ


এহ্র১;এ ,,
তুমি স্মরণ কর থাওরানাক১ প্রাসাদের মালিকের কথা ৷ একদিন সে প্রাসাদের ছাদে
উঠেছিল ৷৩ তার জীবনে হেদ যা প্রার্থীদের জন্যে চিন্তার খােরাক রয়েছে ৷

০ ) ’ :

এৰুহ্রর্দুএ্ ৷ এ
তার ধন সম্পদ ও মালিকানাধীন বন্তুসমুহ, তাকে আনন্দ দান করেছিল ৷




অবশেষে তার অন্তর সুপথ প্রাপ্ত হল এবং সে বলল, কো ন জীবিত ব্যক্তির ঈর্ষণীয় কীই বা
আছেঃ সে তো মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে ৷

এএঠুট্ট ৷ এ ণ্;
অবশেষে তারা হয়ে গেল শুকনো পাতায় ন্যায় ৷ পুবাল ও পশ্চিমী বায়ু সেটিকে
ওলট পালট করে দেয় ৷

১ রুৰু৮ৰু টুএ১এ প্রথম ৰুমান কর্তৃক নির্মিত রাজপ্রাসাদ




يَدْخُلُ مِنْهُ الْمَاءُ مُتَّسِعٍ فَوَلَجُوا مِنْهُ إِلَى الْحَضْرِ، وَيُقَالَ: بَلْ دَلَّتْهُمْ عَلَى طِلَّسْمٍ كَانَ فِي الْحَضْرِ وَكَانَ فِي عِلْمِهِمْ أَنَّهُ لَا يُفْتَحُ حَتَّى تُؤْخَذَ حَمَامَةٌ وَرْقَاءُ، وَتُخَضَّبُ رِجْلَاهَا بِحَيْضِ جَارِيَةٍ بِكْرٍ زَرْقَاءَ، ثُمَّ تُرْسَلُ فَاذَا وَقَعَتْ عَلَى سُورِ الْحَضْرِ سَقَطَ ذَلِكَ الطِّلَّسْمُ فَيُفْتَحُ الْبَابُ فَفَعَلَ ذَلِكَ فَانْفَتَحَ الْبَابُ فَدَخَلَ سَابُورُ فَقَتَلَ سَاطِرُونَ، وَاسْتَبَاحَ الْحَضْرَ، وَخَرَّبَهُ، وَسَارَ بِهَا مَعَهُ فَتَزَوَّجَهَا فَبَيْنَا هِيَ نَائِمَةٌ عَلَى فِرَاشِهَا لَيْلًا إِذْ جَعَلَتْ تَمَلْمَلُ لَا تَنَامُ فَدَعَا لَهَا بِالشَّمْعِ فَفَتَّشَ فِرَاشَهَا فَوَجَدَ عَلَيْهِ وَرَقَةَ آسٍ فَقَالَ لَهَا سَابُورُ: أَهَذَا الَّذِي أَسْهَرَكِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ قَالَ: فَمَا كَانَ أَبُوكِ يَصْنَعُ بِكِ؟ قَالَتْ: كَانَ يَفْرِشُ لِي الدِّيبَاجَ، وَيُلْبِسُنِي الْحَرِيرَ، وَيُطْعِمُنِي الْمُخَّ، وَيَسْقِينِي الْخَمْرَ قَالَ: أَفَكَانَ جَزَاءُ أَبِيكِ مَا صَنَعْتِ بِهِ؟ ! أَنْتِ إِلَيَّ بِذَلِكَ أَسْرَعُ، ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُبِطَتْ قُرُونُ رَأْسِهَا بِذَنَبِ فَرَسٍ، ثُمَّ رَكَضَ الْفَرَسُ حَتَّى قَتَلَهَا فَفِيهِ يَقُولُ أَعْشَى بْنُ قَيْسِ بْنِ ثَعْلَبَةَ أَلَمْ تَرَ لِلْحَضْرِ إِذْ أَهْلُهُ ... بِنُعْمَى وَهَلْ خَالِدٌ مَنْ نَعِمْ
পৃষ্ঠা - ১২৬৭
أَقَامَ بِهِ شَاهْبُورُ الْجُنُو ... دِ حَوْلَيْنِ تَضْرِبُ فِيهِ الْقُدُمْ فَلَمَّا دَعَا رَبَّهُ دَعْوَةً ... أَنَابَ إِلَيْهِ فَلَمْ يَنْتَقِمْ فَهَلْ زَادَهُ رَبُّهُ قُوَّةً ... وَمِثْلُ مُجَاوِرِهِ لَمْ يُقِمْ وَكَانَ دَعَا قَوْمَهُ دَعْوَةً ... هَلُمُّوا إِلَى أَمْرِكُمْ قَدْ صُرِمْ فَمُوتُوا كِرَامًا بِأَسْيَافِكُمْ ... أَرَى الْمَوْتَ يَجْشَمُهُ مَنْ جَشِمْ وَقَالَ عَدِيُّ بْنُ زَيْدٍ فِي ذَلِكَ وَالْحَضْرُ صَابَتْ عَلَيْهِ دَاهِيَةٌ ... مِنْ فَوْقِهِ أَيِّدٌ مَنَاكِبُهَا رَبِيَّةٌ لَمْ تُوَقِّ وَالِدَهَا ... لِحِينِهِا إِذْ أَضَاعَ رَاقِبُهَا إِذْ غَبَقَتْهُ صَهْبَاءَ صَافِيَةً ... وَالْخَمْرُ وَهْلٌ يَهِيمُ شَارِبُهَا
পৃষ্ঠা - ১২৬৮
ষ্ষ্


আমি বলি কবিতায় উল্লেখিত খাওরানড়াক প্রসারের মালিক হলো প্রাচীন যুগের অন্যত
খ্যাতিমান রাজা ৷ তার অপচয়, সতাদ্রোহিতা সীমালংঘন, গৌড়াযী, কু প্রবৃত্তির অনুসরণ এবং
আপন প্ৰতিপালকের অবাধ্যতার জন্যে সে যুগের জনৈক আলেম তাকে উপদেশ দেন ৷ তার
পুর্ববর্তীরাজা বাদশাহ ও রাজ্য রাজত্বের কথা উল্লেখ করে তনি তাকে উপদেশ দেন যে, কেমন
করে ওরা সবাই ধ্বংস হয়ে গেল এবং তা ৩াদের কেউই অবশিষ্ট থাকল না ৷ তিনি আরো বললেন
অন্যের নিকট থেকে যে রাজত্ব হস্ত৷ ৷ম্ভরিত হয়ে আপনার ৷ন্ ম্কট এল আপনার মৃতু ভ্যুর পর সেটি
হস্তা ৷ন্তরিত হয়ে অন্যের নিকট চলে যাবে ৷ উক্ত আলেমের উপদেশ তার মনে গভীর রেখা ৷পাত
করে এবং চুড়ান্ত ভাবাবেগের জন্ম দেয় ৷ ফলে৩ার অন্তর ইিদায়ান্ব৩ র দিকে ফিরে আসে ৷ সে
একদিন একরাত চিন্তা করে ৷ সংকীর্ণ কবরের ভয় তার অম্ভরে জ ৷গে ৷ অতঃপর সে তাওবা করে
এবং ইতিপুর্বেকার সকল অপকর্ম থেকে নিবৃত হয় ৷ সে রাজতু ত্যাগ করে ৷ ফর্কীর বেশে মাঠে
প্রাম্ভরে ঘোরা ফেরা করে এবং নির্জ্যাতাপ্রিয় হত্তে উঠে ৷ প্রবৃত্তির অনুসরণ ও বিশ্ব
প্ৰতিপা ৷লকের অবাধ্য৩ ৷ থেকে নিজেকে নিবৃত রাখে ৷

শায়খ ইমাম মুওয়ড়াফ্ফিক ইবন কুদাসা মুকাদ্দিসী (র) তার আত তাউয়াবীন’ কিভাবে
এই ঘটনা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ মজবৃত সনদে সুহাইলী তার সৃৰিন্যস্ত কিতাব
আররাওযুল উনুফ কিভাবে এটি উল্লেখ করেছেন ৷

আঞ্চলিক রাজাদের বিবরণ

ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে যে হাযর অধিপতি সাতিরুন ছিলআিঞ্চলিক রাজাদের মধ্যে
শ্রেষ্ঠ ৷ তার মেসিডোনিয়ার ফিলিপৃস৩ তনয় গ্রীকসম্র৷ ট আলেকজা ভোরের যুগ ৷ কারণ তিনি যখন
পারস্য সম্র৷ ৷ট দা ৷রা ইবন৷ দ ৷রার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন, তার সম্রাজ্য পদানত করেন এবং তার
শহর নগর বিধ্বস্ত করে দিয়ে তার কােষাগারসমুহ লুট করে, পারসিকদের শক্তিকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন
করে যেন তখন তিনি এই স০কল্পও করেন যে, অতঃপর তারা যেন কোন প্রকারেই ঐক্যবদ্ধ
হতে না পারে ৷ এজন্যে তিনি তাদের এক একজন লোককে আরব-অনারব অঞ্চলের এক একটা
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজের জনগণের জন্য রাজা রুপে মনোনীত করেন ৷ এদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ
এলাকার নিরাপত্তা বিধান করে ৷ বহিরাক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা ৷র ব্যবস্থা করত এবং কর আদায়
করত ৷ সংশ্লিষ্ট কোন রাজার মৃত্যু হলে তারই কোন পুত্র কিৎবা ঐ সাম্প্রদায়ের অন্য কাউকে
তার স্থলে রাজা রুপে নিয়োগ করা হতো ৷ প্রায় ৫০০ বছর এভাবেই অতিবাহিত হয় ৷ তারপর ’
আবির্ভাব হয় সম্র৷ ৷ট “ আরদশীর” ইবন বাবকের ৷ তিনি ছিলেন সাসান (ইবন বাহমান ইবন
ইসকান দিয়ার ইবন ইয়াশ৩াসিব ইবন লাহরাসিব) এর অন্যতম পুত্র ৷ তিনি পারস্য রাজ্য
পুনরুদ্ধার করে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয় ৷ তিনি সকল আঞ্চলিক রাজ্য তার অধীনে নিয়ে
আসেন আঞ্চলিক সকল রাজার রাজ্যের তিনি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন ৷ তাদের কোন ধন সম্পদ
তিনি অক্ষুন্ন রাখেননি ৷ তাদের সংশ্লিষ্ট রাজ্য হাযর পুনর্দখল হয় অনেক দেরীতে ৷ আরদশীরের
মৃত্যুর পর তার পুত্র সাপুর তা অবরোধ করেন এবং তা দখল করে নেন ৷ ইতিপুর্বে এ ঘটনা
আলোচনা হয়েছে ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ৪৫


فَأَسْلَمَتْ أَهْلَهَا بِلَيْلَتِهَا ... تَظُنُّ أَنَّ الرَّئِيسَ خَاطِبُهَا فَكَانَ حَظُّ الْعَرُوسِ إِذْ جَشَرَ ... الصُّبْحُ دِمَاءً تَجْرِي سَبَائِبُهَا وَخُرِّبَ الْحَضْرُ وَاسْتُبِيحَ وَقَدِ ... أُحْرِقَ فِي خِدْرِهَا مَشَاجِبُهَا وَقَالَ عَدِيُّ بْنُ زَيْدٍ أَيْضًا أَيُّهَا الشَّامِتُ الْمُعَيِّرُ بِالدَّهْرِ ... أَأَنْتَ الْمُبَرَّأُ الْمَوْفُورُ أَمْ لَدَيْكَ الْعَهْدُ الْوَثِيقُ مِنَ الْأَيَّا ... مِ بَلْ أَنْتَ جَاهِلٌ مَغْرُورُ مَنْ رَأَيْتَ الْمَنُونَ خَلَّدْنَ أَمْ مَنْ ... ذَا عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يُضَامَ خَفِيرُ أَيْنَ كِسْرَى كِسْرَى الْمُلُوكِ أَنُوشِرْ ... وَانَ أَمْ أَيْنَ قَبْلَهُ سَابُورُ وَبَنُو الْأَصْفَرِ الْكِرَامِ مُلُوكِ ... الرُّومِ لَمْ يَبْقَ مِنْهُمُ مَذْكُورُ وَأَخُو الْحَضْرِ إِذْ بَنَاهُ وَإِذْ دِجْ ... لَةُ تُجْبَى إِلَيْهِ وَالْخَابُورُ شَادَهُ مَرْمَرًا وَجَلَّلَهُ كِلْ ... سًا فَلِلطَّيْرِ فِي ذُرَاهُ وُكُورُ
পৃষ্ঠা - ১২৬৯
ষ্ষ্


ইসমাঈল (আ)-এর বংশধরগণে এবং জাহেলী যুগ থেকে নবুওয়াত
প্রাপ্তিকাল পর্যন্ত ঘটনাবলী

নবীগণের আলোচনা প্রসংগে হযরত, ইসমাঈল (আ)-এর কথা আলোচিত হয়েছে৷ তার
মা হাজেরাসহ র্তাকে সাথে নিয়ে পিতা ইবরাহীম (আ) মক্কায় যে অণমন আলোচনা করেছিলেন
এবং ফারান পর্বতের পাদদেশে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে ছিলেন তাও আলোচিত হয়েছে ৷

সেখানে তার না ছিল কোন বন্ধু-বড়ান্ধব আর না ছিল কোন সহানৃভুতিশীল লোক ৷ তখন
হযরত ইসমাঈল (আ) দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন ৷ আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আ)
তাদেরকে সেখানে রেখে চলে যান ৷ এক থলে খেজুর ও এক মাত্র পানি ছাড়া হাজেরা (আ ) এর
নিকট তখন অন্য কিছু ছিল না ৷ তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহ্ তাআলা হযরত হাজেরা
(আ) এর জন্যে যমযম কুয়ো উৎসারিত করে দেন ৷ এটির পড়ানি ছিল একই সাথে সৃমিষ্ট খাদ্য
স্বরুপ ও রোগের প্রতিষেধক ৷ ইমাম বুখারী (র) বর্ণিত হযরত ইবন আব্বাস (বা)-এর দীর্ঘ
হাদীসটিতে তা আলোচিত হয়েছে ৷ এরপর মক্কায় হাজিরা (আ)-এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগমন
করে জুরহুম গোত্র ৷ এ কুয়াে থেকে তাদের শুধুমাত্র পানি পান করার ও প্রয়োজনীয় কার্যাদি
সমাধার অনুমতি ছিল ৷

সঙ্গীরুপে তাদেরকে পেয়ে হযরত হাজেরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)
নিয়মিত তাদের খোজখবর নিতে আসতেন ৷ কথিত আছে যে, বায়তুল মুকাদ্দস ও মক্কা
যাতায়াতে তিনি বুরাকে আরোহন করতেন ৷ হযরত ইসমাঈল যখন দৌড়াদৌড়ি করার মত
বয়সে পৌছলেন এবং পিতার সাথে কাজ করার মত তরুণে পরিণত হলেন তখন তার কুরবানী
বিষয়ক ঘটনাটি সংঘটিত হল ৷ ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, বিশুদ্ধ মতানুযায়ী হযরত
ইসমাঈল (আ)-কেই কুরবানীর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ৷ হযরত ইসমাইল (আ) বয়ঃপ্রাপ্ত হলে
জুরহুম গোত্রের এক মহিলার সাথে তার বিবাহ হয় ৷ পরে ঐ ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়
এবং তিনি অন্য মহিলাকে বিবাহ করেন ৷ এবার তিনি বিবাহ করেন মৃদাদ ইবন আমর
জুরহুমীর কন্যা সাইয়েদাকে ৷ তার গর্ভে ১২ জন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন ৷ ইতিপুর্বে তাদের
কথাও, আলোচিত হয়েছে ৷ এ পুত্রগণ হলেন নাবিত, কায়যার, মানশা, মিসমা, মাশী, দিম্বা,
আযরট্রু ইয়াতৃর, নায়শী, তাইমা এবং কায়যুমা ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও অন্যরা কিতাবীদের
গ্রন্থ সুত্রে এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷ হযরত ইসমাঈল (আ) এর একজন মাত্র কন্যা সন্তান
ছিলেন ৷ তার নাম ছিল নাসিমা ৷ তার ভ্রাতুম্পুত্র ঈসু ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীমের নিকট
তাকে বিবাহ দেন ৷ এ কন্যার গর্ভে রুম ও কারিমের জন্ম হয় ৷ এক বর্ণনা মুতাবিক আশৃবানও
;,র্তার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ৷

হেজাজী আরবগণ বিভিন্ন গোত্র ও উপগােত্রে বিভক্ত হলেও বংশগত উৎসের দিক থেকে
তারা হযরত ইসমাঈল (আ)-এর দু’পুত্র নাবিত ও কায়যার-এর বংশধর ৷ হযরত ইসমাঈল
(আ) এরপর তার পুত্র নাবিত কাবা শরীফ ও যমযমের তত্ত্বাবধায়ক, মক্কা ষুকাররমার প্রশাসক
হন এবং ঐ অঞ্চলের নেতৃতৃ গ্রহণ করেন ৷ তিনি জুরহুমীদের ভাগ্রেও বটে ৷ এরপর ভাগ্নেদের
হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জুরহুমীগণ কাবা শরীফের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে ৷ অতঃপর


لَمْ يَهَبْهُ رَيْبُ الْمَنُونِ فَبَانَ الْمُلْكُ ... عَنْهُ فَبَابُهُ مَهْجُورُ وَتَذَكَّرْ رَبَّ الْخَوَرْنَقِ إِذْ أَشْ ... رَفَ يَوْمًا وَلِلْهُدَى تَفْكِيرُ سَرَّهُ مَالُهُ وَكَثْرَةُ مَا يَمْ ... لِكُ وَالْبَحْرُ مُعْرِضًا وَالسَّدِيرُ فَارْعَوَى قَلْبُهُ وَقَالَ وَمَا غِبْ ... طَةُ حَيٍّ إِلَى الْمَمَاتِ يَصِيرُ ثُمَّ أَضْحَوْا كَأَنَّهُمْ وَرَقٌ جَ ... فَّ فَأَلْوَتْ بِهِ الصَّبَا وَالدَّبُورُ قُلْتُ: وَرَبُّ الْخَوَرْنَقِ الَّذِي ذَكَرَهُ فِي شِعْرِهِ، رَجُلٌ مِنَ الْمُلُوكِ الْمُتَقَدِّمِينَ، وَعَظَهُ بَعْضُ عُلَمَاءِ زَمَانِهِ فِي أَمْرِهِ الَّذِي كَانَ قَدْ أَسْرَفَ فِيهِ وَعَتَا، وَتَمَرَّدَ فِيهِ، وَأَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا، وَلَمْ يُرَاقِبْ فِيهَا مَوْلَاهَا فَوَعَظَهُ بِمَنْ سَلَفَ قَبْلَهُ مِنَ الْمُلُوكِ وَالدُّوَلِ، وَكَيْفَ بَادُوا وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَأَنَّهُ مَا صَارَ إِلَيْهِ عَنْ غَيْرِهِ إِلَّا وَهُوَ مُنْتَقِلٌ عَنْهُ إِلَى مَنْ بَعْدَهُ فَأَخَذَتْهُ مَوْعِظَتُهُ، وَبَلَغَتْ مِنْهُ كُلَّ مَبْلَغٍ فَارْعَوَى لِنَفْسِهِ، وَفَكَّرَ فِي يَوْمِهِ وَأَمْسِهِ، وَخَافَ مِنْ ضِيقِ رَمْسِهِ فَتَابَ وَأَنَابَ وَنَزَعَ عَمَّا كَانَ فِيهِ، وَتَرَكَ الْمُلْكَ وَلَبِسَ زِيَّ الْفُقَرَاءِ وَسَاحَ فِي الْفَلَوَاتِ وَحَظِيَ بِالْخَلَوَاتِ، وَخَرَجَ عَمَّا كَانَ النَّاسُ فِيهِ مِنِ اتِّبَاعِ الشَّهَوَاتِ وَعِصْيَانِ رَبِّ
পৃষ্ঠা - ১২৭০
السَّمَاوَاتِ وَقَدْ ذَكَرَ قِصَّتَهُ مَبْسُوطَةً الشَّيْخُ الْإِمَامُ مُوَفَّقُ ابْنُ قُدَامَةَ الْمَقْدِسِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِ " التَّوَّابِينَ "، وَكَذَلِكَ أَوْرَدَهَا بِإِسْنَادٍ مَتِينٍ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ فِي كِتَابِ " الرَّوْضُ الْأَنِفُ " الْمُرَتَّبُ أَحْسَنَ تَرْتِيبٍ، وَأَوْضَحَ تَبْيِينٍ.
পৃষ্ঠা - ১২৭১
ষ্ষ্


ইসমাঈল বং শীয়দের স্থলে৩ তারাই দীর্ঘদিন মক্কা যুক৷ ররমা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা শাসন করে ৷
নাবিত এরপর জুরহুমীদের মধ্যে সর্বপ্রথম শাসনভার গ্রহণ করে মুদাদ ইবন আমার ইবন সাদ
ইবন রাকীব ইবন আবীর ইবন নাবৃত ইবন জুরহুম ৷ জুরহুম ছিলেন কাহতানের পুত্র ৷

কেউ কেউ বলেন, জুরহুমের বংশ তালিকা হল জুরহুম ইবন ইয়াকতান ইবন আবীর ইবন
শালিখ ইবন আরফাখশায ইবন নাম ইবন নুহ্ ৷ তিনি বসতি স্থাপন করেছিলেন মক্কার উচু
অঞ্চল ক ইকা আল নামক স্থানে ৷ কাতৃরা সম্প্রদায়ের ( ন ৷ সামীদা তার সম্প্রদায়কে নিয়ে
বসতি স্থাপন করেন মক্কার নিম্নাঞ্চলে ৷ তাদের উভয়ে নিজ নিজ এলাকা দিয়ে মক্কায়
যাতায়ড়াতকারী কাফেলা থেকে কর উশুল করত ৷ পরবর্তীতে জুরহুম ও কাতৃরা সম্প্রদায়ের মধ্যে
মতবিরোধ সৃষ্টি’ হয় এবং তারা যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ যুদ্ধে সামীদা নিহত হয় ৷ মুদাদের ক্ষমতা
অধিকতর দৃঢ় হয় ৷ তিনি মক্কা মুকাররমা ও বায়তুল্লাহর একচ্ছত্র শাসকরুপে আবির্ভুত হন ৷
ইসমাঈল বংশীয় লোকজন তখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ মর্যাদাবান এবং মক্কায় ও অন্যান্য স্থানে প্রভাব
বিস্তা ৷রক৷ ৷রী ছিল ৷ কিন্তু মুদাদ তাদের মাতুল হওয়ার কারণে এবং বায়তৃল্লাহ্ শরীফের সম্মানের
খাতিরে ইসমাঈল বং শীয় কেউ তার বিরুদ্ধাচারণ করেনান ৷ মুদাদের পর তার পুত্র হাবিছ
কর্তৃতৃ লাভ করে ৷ তারপর ক্ষমতা লাভ করেন হারিছের পুত্র আমর ৷ এরপর জুরহুম গো ল
মক্কায় সত্যদ্রোহিতা ও অনাচারে লিপ্ত হয় ৷ তারা চরম অশা ৷স্তি সৃষ্টি করে ৷ মসজিদুল হারামুে
পাপ কার্য সংঘটিত করে ৷
কথিত আছে যে, আসাক ইবন বুপ৷ নামক জনৈক পুরুষ এবং নাইলা বিনত ওয়ায়িল নাস্বী
এক মহিলা কাবা শরীফে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় ৷ আল্লাহ তড়াআলা তাদের দৃজনকে পাথরে
পরিণত করে দেন ৷ তাদের দৃজনকে দেখে মানুষ যেন শিক্ষা গ্রহণ করে এ উদ্দেশ্যে তাদের
প্র স্তরমুর্তি বায় তুল্লাহ শরীফের অদুরে এক জায়গায় স্থাপন করা হয় ৷ দীর্ঘদিন পর খুযাআ
গোত্রের শাসনামলে মানুষ আল্লাহ্কে ছেড়ে এ দু টি মুর্তির উপাসনা শুরু করে ৷ শেষ পর্যন্ত
তারা আসাফ ও নাইলা নামের দেব-ক্কুদবীতে পরিণত হয় ৷

জুরহুম গোত্র যখন হারাম শরীফ ও সম্মানিত নগরীতে ব্যাপক হারে পাপাচার ও
সীমালংঘন শুরু করে তখন খুযাআ গোত্র তাদের বিরুদ্ধে রুখে দীড়ায় ৷ খুযাআ গোত্র ইতিপুর্বে
হারাম শরীফ এলাকায় বসবাস করছিল ৷ তারা ছিল আমর ইবন আমির-এর বংশধর ৷
ইয়ামানের বীধ ভাঙ্গ৷ প্লাবনের ঘটনায় সে ইয়ামান ত্যাগ করে এ অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন
করেছিল ৷ কেউ কেউ বলেন যে, খুযাআ ছিল হযরত ইসমাঈল (আ )-এর বংশধর ৷ আল্লাহ
ভাল জানেন ৷

রন্তুত জুরহুমীদের অনাচারের প্রেক্ষিতে খুযাআ গোত্র ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে সংঘবদ্ধ
হয় এবং ওদেরকে যুদ্ধের আহবান জানায় ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ হয় ৷ এ সময়ে ইসমাঈল বংশীয়গণ
নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে ৷ যুদ্ধে খুযাআ গোত্রের জয় হয় ৷ তারা বনু বকর ইবন আবদ
মানাত গোত্র ও পাবশান গোত্র, তারা জুরহুমীদেরকে বায়তৃল্লাহ শরীফ ও তৎসংলপ্ন এলাকা
থেকে বহিষ্কার করে ৷ তখন তাদের নেতা আমর ইবন হারিছ ইবন মুদাদ জুরহুমী বায়তৃল্লাহ
শরীফের দৃই প্রধান ও প্রিয় বস্তু রুকন ও হাজরে আসওয়াদ খুলে নেয় ৷ সাথে অলংকৃত


[خَبَرُ مُلُوكِ الطَّوَائِفِ] وَأَمَّا صَاحِبُ الْحَضْرِ وَهُوَ سَاطِرُونَ فَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ كَانَ مُقَدَّمًا عَلَى سَائِرِ مُلُوكِ الطَّوَائِفِ وَكَانَ مِنْ زَمَنِ إِسْكَنْدَرَ بْنِ فِيلِبْسَ الْمَقْدُونِيِّ الْيُونَانِيِّ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ لَمَّا غَلَبَ عَلَى مَلِكِ الْفُرْسِ دَارَا بْنِ دَارَا وَأَذَلَّ مَمْلَكَتَهُ، وَخَرَّبَ بِلَادِهِ، وَاسْتَبَاحَ بَيْضَةَ قَوْمِهِ، وَنَهَبَ حَوَاصِلَهُ، وَمَزَّقَ شَمْلَ الْفُرْسِ شَذَرَ مَذَرَ، عَزَمَ أَنْ لَا يَجْتَمِعَ لَهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ شَمْلٌ وَلَا يَلْتَئِمَ لَهُمْ أَمْرٌ فَجَعَلَ يُقِرُّ كُلَّ مَلِكٍ عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ النَّاسِ فِي إِقْلِيمٍ مِنْ أَقَالِيمِ الْأَرْضِ، مَا بَيْنَ عَرَبِهَا وَأَعَاجِمِهَا فَاسْتَمَرَّ كُلُّ مَلِكٍ مِنْهُمْ يَحْمِي حَوْزَتَهُ وَيَحْفَظُ حِصَّتَهُ، وَيَسْتَغِلُّ مَحِلَّتَهُ فَاذَا هَلَكَ قَامَ وَلَدُهُ مِنْ بَعْدِهِ أَوْ أَحَدُ قَوْمِهِ فَاسْتَمَرَّ الْأَمْرُ كَذَلِكَ قَرِيبًا مِنْ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ حَتَّى كَانَ أَزْدَشَيْرُ بْنُ بَابِكَ مِنْ بَنِي سَاسَانَ بْنِ بَهْمَنَ بْنِ إِسْفِنْدِيَارَ بْنِ يَشْتَاسِبَ بْنِ لِهْرَاسِبَ فَأَعَادَ مُلْكَهُمْ إِلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَرَجَعَتِ الْمَمَالِكُ بِرُمَّتِهَا إِلَيْهِ، وَأَزَالَ مَمَالِكَ مُلُوكِ الطَّوَائِفِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ تَالِدٌ وَلَا طَارِفٌ وَكَانَ تَأَخَّرَ عَلَيْهِ حِصَارُ صَاحِبِ الْحَضْرِ الَّذِي كَانَ أَكْبَرَهُمْ وَأَشَدَّهُمْ وَأَعْظَمَهُمْ إِذْ كَانَ رَئِيسَهُمْ وَمُقَدَّمَهُمْ فَلَمَّا مَاتَ أَزْدَشَيْرُ تَصَدَّى لَهُ وَلَدُهُ سَابُورُ فَحَاصَرَهُ حَتَّى أَخَذَهُ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.