আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب الجامع لأخبار الأنبياء المتقدمين

পৃষ্ঠা - ১১৮২
[كِتَابُ الْجَامِعِ لِأَخْبَارِ الْأَنْبِيَاءِ الْمُتَقَدِّمِينَ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِنْهُمْ مَنْ كَلَّمَ اللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [البقرة: 253] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 253] وَقَالَ تَعَالَى {إِنَّا أَوْحَيْنَا الَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَى وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَارُونَ وَسُلَيْمَانَ وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلًا لَمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا رُسُلًا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا} [النساء: 163] . وَقَدْ رَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، وَابْنُ مَرْدَوَيْهِ فِي " تَفْسِيرِهِ " وَغَيْرُهُمَا مِنْ طَرِيقِ ابْرَاهِيمَ بْنِ هِشَامٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيِّ الشَّامِيِّ - وَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ - حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ «قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمِ الْأَنْبِيَاءُ؟ قَالَ: " مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا " قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ: كَمِ الرُّسُلُ مِنْهُمْ؟ قَالَ: " ثَلَاثُمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ جَمٌّ غَفِيرٌ ". قُلْتُ يَا
পৃষ্ঠা - ১১৮৩
ষ্ষ্


অন্য একটি হাদীস

আব্দুল্লাহ ইবন আহমদ আবুল ওয়াদ্দাক সুত্রে বলেন, আবু সাঈপ্ন্ বলেছিলেন, আপনি
কি থারিজীদেরকে দাজ্জাল বলে স্বীকার করেন? তিনি বলেন, আমি বললড়াম, না ৷ আবু সাঈদ
, (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (স) ইরশাদ করেছেন, আমি এক হাজার কিংরা ততোধিক নবীর শেষ
নবী ৷ আল্লাহ তাআলা অনুসরণযােগ্য যত নবী প্রেরণ করেছেন, সকলেই নিজ নিজ উম্মতকে
দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ৷ দাজ্জালের পরিচিতি ও চিহ্ন সম্পর্কে আমাকে যত বেশী স্পষ্ট
জানানো হয়েছে অন্য কাউকে ততটুকু জানানো হয়নি ৷ দাজ্জাল হয়ে এক চোখ বিশিষ্ট ৷
তোমাদের প্রতিপালক একচােখ বিশিষ্ট নয় ৷ তার ডান চোখ কানা এবং কোটর থেকে বের হয়ে
থাকবে ৷ এটি গোপন রাখা যায় না ৷ এ যেন আস্তর করা প্রাচীরের উঢিয়ে থাকা অংশ ৷ তার
বাম চোখ যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র ৷ তার নিকট থাকবে সকল ভাষার জ্ঞান সম্ভার ৷ আরও থাকবে
সবুজ রং এর কৃত্রিম বেহেশৃত ৷ তাতে পানি প্রবহমান থাকবে ৷ আরও থাকবে ধুমায়িত কালো
কৃত্রিম দোযখ ৷ এটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ হাকিম আবু বকর রাজ্জাক জাবির (রা) সুত্রে
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

তবে তার বর্ণিত হাদীসের সনদ হাসান পর্যায়ের ৷ উক্ত হাদীসটিতে দাজ্জাল সম্পর্কে
সর্তককারী নবীগণের সংখ্যাই কেবল উল্লেখ করা হয়েছে ৷ অন্য রিওয়ায়েতে প্রতেকে নবীই এ
ব্যাপারে তার উম্মতকে সতর্ক করেছেন বলে উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইমাম বুথাবী (র) হযরত আবু হুরায়রা (বা) সুত্র বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা)
বলেছেন, নবীগণই বনী ইসরাঈলীদের শাসন পরিচালনা করতেন ৷ এক নবীর ইনতিকালের
পর অপর নবী তার স্থলাভিষিক্ত হতেন ৷ তবে আমার পরে কোন নবী আসবে না ৷ অবশ্য
আমার খলীফাগণ আসবেন ৷ খলীফা হবেন বহু সংখ্যক ৷ সাহারা-ই কিরাম বললেন ইয়া
রাসুলাল্লাহ (সা) ! সে পরিস্থিতিতে আপনি আমাদেরকে কী করার নির্দেশ দেন? রাসুলুল্লাহ (সা )
বললেন, তখন তোমরা প্রথমে প্রথম খলীফার বায়আতে অটল থাকবে ৷ তারপর পর্যায়ক্রমে
যারা খলীফা হবেন তাদেরকে তাদের হক (আনুগত্য ) আদায় করবে ৷ কারণ, আল্লাহ তাআলা
তাদেরকে তাদের দাযিতু পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ৷

ইমাম বুথারী (র) হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে বলেন, আমি যেন
এখনও দেখছি, রাসুলুল্লাহ (মা) একজন নবীর ঘটনা বর্ণনা করছেন ৷ নিজের সম্প্রদায়ের
লোকেরা ঐ নবীকে প্রহারে প্ৰহারে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল ৷ নবী তার মুখমণ্ডল থেকে রক্ত মুছে
ফেলছিলেন ৷ তখনও নবী বলছিলেন, হে আল্লাহ! আমার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ক্ষমা করে
দিন, কারণ তারা সত্য উপলব্ধি করতে পারছে না ৷ ইমাম মুসলিমও আনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আবু সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন,
একজন ব্যক্তি তার ডান হাত রেখেছিল রাসুলুল্লাহ (না)-এর উপর ৷ সে বলল, ইয়া রড়াসুলড়াল্লাহ !
আপনার দেহ মুবারকের যে প্রচণ্ড উত্তাপ, তাতে আমি আমার হাত আপনার দেহে রাখতে
পারছি না ৷ নবী করীম (সা) বললেন, আমরা নবীগণ , আমাদেরকে বহুগৃণ বেশী বিপদ-আপদ
দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, যেমন আমাদের ছওয়ড়াবও বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয় ৷ একজন নবীকে


رَسُولَ اللَّهِ: مَنْ كَانَ أَوَّلُهُمْ؟ قَالَ: " آدَمُ " قَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: نَبِيٌّ مُرْسَلٌ قَالَ: " نَعَمْ خَلَقَهُ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، ثُمَّ سَوَّاهُ قَبْلًا " ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ، أَرْبَعَةٌ سُرْيَانِيُّونَ: آدَمُ وَشِيثٌ وَنُوحٌ وَخَنُوخُ وَهُوَ إِدْرِيسُ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ خَطَّ بِالْقَلَمِ، وَأَرْبَعَةٌ مِنَ الْعَرَبِ هُودٌ وَصَالِحٌ وَشُعَيْبٌ وَنَبِيُّكَ يَا أَبَا ذَرٍّ، وَأَوَّلُ نَبِيٍّ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُوسَى، وَآخِرُهُمْ عِيسَى، وَأَوَّلُ النَّبِيِّينَ آدَمُ، وَآخِرُهُمْ نَبِيُّكَ» ". . وَقَدْ أَوْرَدَ هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمَوْضُوعَاتِ " وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا مَعَانُ بْنُ رِفَاعَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ «قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: كَمِ الْأَنْبِيَاءُ؟ قَالَ: مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا، الرُّسُلُ مِنْ ذَلِكَ ثَلَاثُمِائَةٍ وَخَمْسَةَ عَشَرَ جَمًّا غَفِيرًا» . وَهَذَا أَيْضًا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ضَعِيفٌ فِيهِ ثَلَاثَةٌ مِنَ الضُّعَفَاءِ مُعَانٌ وَشَيْخُهُ وَشَيْخُ شَيْخِهِ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَوْهَرِيُّ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ ابْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ
পৃষ্ঠা - ১১৮৪
ষ্ষ্


উকুনের য়ন্ত্রণ৷ দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৷ এই য়ন্ত্রণ৷ ভোগ করতে করতে তার মৃত্যু ঘটে ৷
একজন নবীকে দারিদ্রোর কষ্ট দ্বারা পরীক্ষা করা হয় ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি জামা সেলাইয়ের পেশা
গ্রহণ করেছিলেন ৷ র্তারা অবশ্য স্বচ্ছলত৷ ও নিরাপত্তার সময় যেমন খুশী থাকতেন,
বালামুসীবতের সময়ও তেমনি খুশী থাকতে ৩ন ৷ ইবন মান্ এাহ্ (র) আবু সাঈদ (রা ) সুত্রে
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ সাদ (বা) থেকে বর্ণনা করেন,, তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ (সা) কোন প্রকারের মানুষ কঠোরতম বিপদে পতিত হয়? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

ষ্টু৷ ৷
মোঃ

“সর্বাধিক কঠোর বিপদে পতিত হন নবীগণ অ ৷ ) ’ তারপর নেককারগণ ৷ এরপর
পর্যায়ক্রমে অপেক্ষাকৃত উত্তম লোকগণ ৷ মানুষকে বিপদাংাদ দ্ব৷ ৷রা পরীক্ষা করা হয়৩ তার দীন বা
ধর্মের প্রতি ৩দৃঢ়৩ তা ও নিষ্ঠ৷ অনুপাতে ৷ যদি ধর্মের প্রতি তা ৷র দৃঢ়ত ৩৷ ও অবিচলত৷ থাকে, তাহলে

তার বিপদ আরো কঠিন বলা হয় ৷ আ র যদি ধর্মের প্রতি তার শৈথিল্য থাকে , তবে তার বিপদ
হালকা করে দেয়া হয় ৷ কোন কোন ব্যক্তির উপর বিপদ আসতে থাকে অনবরত ৷ অবশেষে সে
পৃথিবীতে বিচরণ করে এমনভাবে যে, তার কোন পাপ থাকে না ৷

ইমাম তিরমিঘী (র) নাসাঈ ও ইবন মাজাহ্ (র) উক্ত হাদীসটি ভিন্ন সনদে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ ইমাম তিরমিঘী (র) বলেন, হাদীসটি সহীহ এবং হাসান ৷ ইতিপুর্বে একটি হাদীস
উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেনা১৷ প্রু ৷ ;ট্র াাম্পু ৷ সা;া, ^ ;, -;১
ফ্লে;ন্; ৷১ গ্র-প্ ৷ , ;ন্ ৷ , ৷;ৰু৷ ;;১া আমরা নবীগণ বৈমাত্রেয় ভাইদের মত ৷ আমাদের
দীন ধম এক ৷ আমাদের মায়েরা হচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন ৷ অর্থাৎ নবীগণের শরীয়ত সমুহে শাখাগত
মাসআলায় যদিও বা ভিন্নতা ও পার্থক্য রয়েছে এবং এদের একটি অপরটিকে মানসুখ বা রহিত
করতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে সবগুলো শরীয়ত হযরত মুহাম্মদ (না)-এর শরীয়তে এসে মিলে
গিয়েছে,৩ তবু এটা ব্রুব সত্য যে, যত নবীকেই আল্লাহ্ তাআলা প্রেরণ করেছেন তাদের
সকলের দীন ছিল ইসলাম ধর্ম ৷ ইসলাম ধর্মের মুল কথা তাওহীদ তথা একক লা শরীক
আল্পহ্র ইবাদত করা ৷ এ এস গে আল্লাহ তা আলা বলেন ৰু;এে ;া৷গৃদ্বু ;,ন্শু ৷াংএ ৷ ৷ ,

ট্রু,টুঠু;ঢ়প্ ৷; ৷ ১৷ ৷ < ৷ ১৷ হু; ৷ ণ্৷ ৷ ;; ন্৷ ৷ ,টুঠু, আমি আপনার পুর্বে এমন কোন
রাসুল প্রেরণ করিনি তার প্রতি এই ওহী বাতীত যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷
সুতরাং আমারই ইবাদত কর ৷ (২১ অ ৷ম্বিয়৷ ২৫)

আল্লাহ তাআল৷ আরও ৷

প্রু; শ্ ৫াগ্লুএ ৷ §,;;”) ৷ গ্লু,স্৷ ৰু)ন্ধ্ এেষ্ ৷ তোমার পুর্বে আমি যে সব রাসুল প্রেরণ

করেছিলাম তাদেরকে তুমি জিজ্ঞেস কর, আমি কি দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত কোন দেবতা স্থির
করেছিলাম৷ যা র ইবাদতণ্ডু করা যায়? (৪৩ যুখরুফ ৪৫)


عُبَيْدَةَ الرَّبَذِيُّ عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَعَثَ اللَّهُ ثَمَانِيَةَ آلَافِ نَبِيٍّ أَرْبَعَةَ آلَافٍ إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَأَرْبَعَةَ آلَافٍ إِلَى سَائِرِ النَّاسِ» . مُوسَى وَشَيْخُهُ ضَعِيفَانِ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتٍ الْعَبْدِيُّ حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ خَالِدٍ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ فِيمَنْ خَلَا مِنْ إِخْوَانِي مِنَ الْأَنْبِيَاءِ ثَمَانِيَةُ آلَافِ نَبِيٍّ، ثُمَّ كَانَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، ثُمَّ كُنْتُ أَنَا يَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ ضَعِيفٌ وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْإِسْمَاعِيلِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ طَارِقٍ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بُعِثْتُ عَلَى إِثْرِ ثَمَانِيَةِ آلَافِ نَبِيٍّ مِنْهُمْ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ لَا بَأْسَ بِهِ لَكِنِّي لَا أَعْرِفُ حَالَ أَحْمَدَ بْنِ طَارِقٍ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: وَجَدْتُ فِي كِتَابِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ১১৮৫
بِخَطِّهِ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُتَعَالِي بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ عَنْ أَبِي الْوَدَّاكِ قَالَ: قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: هَلْ تُقِرُّ الْخَوَارِجُ بِالدَّجَّالِ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا. فَقَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي خَاتَمُ أَلْفِ نَبِيٍّ أَوْ أَكْثَرَ وَمَا بُعِثَ نَبِيٌّ يُتَّبَعُ إِلَّا وَحَذَّرَ أُمَّتَهُ الدَّجَّالَ، وَإِنِّي قَدْ بُيِّنَ لِي مِنْ أَمْرِهِ مَا لَمْ يُبَيَّنْ لِأَحَدٍ، وَإِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، وَعَيْنُهُ الْيُمْنَى عَوْرَاءُ جَاحِظَةٌ لَا تَخْفَى، كَأَنَّهَا نُخَامَةٌ فِي حَائِطٍ مُجَصَّصٍ، وَعَيْنُهُ الْيُسْرَى كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ، مَعَهُ مِنْ كُلِّ لِسَانٍ، وَمَعَهُ صُورَةُ الْجَنَّةِ خَضْرَاءُ يَجْرِي فِيهَا الْمَاءُ، وَصُورَةُ النَّارِ سَوْدَاءُ تَدْخَنُ» . . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لِخَاتَمُ أَلْفِ نَبِيٍّ أَوْ أَكْثَرَ، وَإِنَّهُ لَيْسَ مِنْهُمْ نَبِيٌّ إِلَّا وَقَدْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ الدَّجَّالَ، وَإِنَّهُ قَدْ تَبَيَّنَ لِي فِيهِ مَا لَمْ يَتَبَيَّنْ لِأَحَدٍ مِنْهُمْ، وَإِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ وَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى ذِكْرِ عَدَدِ مَنْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ الدَّجَّالَ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ لَكِنَّ فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ
পৃষ্ঠা - ১১৮৬
ষ্ষ্


আল্লাহ্ তাআলআ আরও বলেন

’ :

হ্;ণ্ৰু’এ’া৷৷ ৷ এ

শ্ :

“আল্লাহর ইবাদত করার ও তাণ্তক্টে বর্জন করার নির্দেশ দেয়৷ র জন্যে আ ৷মি তো প্রত্যেক
জাতির মধ্যেই রাসুল পাঠিয়েছি ৷ অতঃপর তাদের কতককে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন
এবং তাদের কতকের উপর পথভ্রাস্তি সাব্যস্ত হয়েছিল ৷ (১৬ নাহল ৩৬)
উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যার বলা যায় যে, বৈমাত্রের ভাই বলতে তাদেরকে বুঝান হয়েছে
যাদের পিতা একজন আর যা ভিন্ন ভিন্ন ৷ নবী (আ) দেরকে পরস্পর ৷ বমাত্রেব ভাই বলার
তাৎপর্য এই যে, তাদের সকলের দীন একটি ৷ এটি হল তাওহী দ ও একতৃবাদ ৷ এটিকে
পিতারুপে আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷ আর তাদের প্রত্যেকের শরীয়তগুলাে বিধি বিধান ও রীতি
নীতির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ৷ এগুলোকে মা রুপে আখ্যায়িত করা হব্মোঃ ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ


তাআলা ক্রুছু) “তোমাদের প্রতোকের জন্যে
আইন ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি ৷ (৫ মায়িদ৷ ৪৮) আল্লাহ তা আলা আরও বলেন৪ ৰু)বুা
’ ংএ£া; ণ্ণ্ড্র ৷হ্র ৷ঠুাহু হট্রু ৷ আমি প্রকৃত তাক সম্প্রদায়ের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছি
ইবাদত পদ্ধতি, যা তারা অনুসরণ করে ৷ (২২ হজ্জ৪ ৪৮) আল্লাহ্ তা আলা অন্যত্র বলেন :
£ঠু র্দুাএঠু এ১ ৰুাট্রুগ্লুট্রুন্এ প্রে এ প্রতেব্রুকের একটি দিক রয়েছে, যে দিকে যে মুখ করে ৷ উক্ত
আঘাতের একটি ব্যাখ্যা অনুযায়ী এ আয়াত আলোচ্য বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত ৷
মোদ্দাকথা, শরীয়ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার হয়েছে বটে কিত্তু; এর সবগুলোই একক
লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশক ৷ আর তা হলো ইসলাম ৷ সকল নবীর জন্যে আল্লাহ
তাআলা-এর বিধান দিয়েছেন ৷ কিয়ামতের দিন এ দীন ব্যতীত অন্য কিছু আল্লাহ্ গ্রহণ

করবেন না ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ তাআলা বলেন ং



এে ৷

কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না
এবং সে হবে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত ৷ (৩ আসে ইমরান : ৮৫)

আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেন :



ত্বেপ্ : গ্রাংট্রু



«مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ الدَّجَّالَ» فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ فُرَاتٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ قَالَ «قَاعَدْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ خَمْسَ سِنِينَ فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ، كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي، وَسَيَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُونَ قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: فُوا بِبَيْعَةِ الْأَوَّلِ فَالْأَوَّلِ، أَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ بُنْدَارٍ، وَمِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ فُرَاتٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنِي الْأَعْمَشُ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ «721 كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْكِي نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ ضَرَبَهُ قَوْمُهُ فَأَدْمَوْهُ، وَهُوَ يَمْسَحُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ، وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِقَوْمِي ; فَإِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ،
পৃষ্ঠা - ১১৮৭
ষ্ষ্


ক্সে০া ৷ হ্এ; ৷ বু-,৷ বুৰু;;াব্লু ;;পু’;;০পু ;এ <দ্বু ;; ’ণ্পু ;াএং; ৷ ৷ৰু; চুেপু;০এএ মোঃ ৷ “;)া
এংএট্রু০াট্রু;;র্দু০ ঠু;ংা৷ এ ১৷ ৷ ;ওএ’;;ও ১াষ্ ’এট্রু;৷ ৷ ন্হ্র
“ যে নিজেকে নির্বোধ করেছে, সে ব্যতীত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবো
পৃথিবীতে তাকে আমি মনোনীত করেছি, পরকালেও সে সত্কর্ম পরায়ণদের অন্যতম ৷ তার
প্রতিপালক যখন তাকে বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ কর ৷ সে বলেছিল, জগত তসমুহের প্রতিপা ৷লকের
নিকট আত্মসমর্পণ করলাম ৷ এবং ইবরাহীম ও ইয়াকুব এ সম্বন্ধে তাদের পুত্রগণকে নির্দেশ দিয়ে
বলেছিল হে পুত্রগণ! আল্লাহ ৫৩ আমাদের জন্যে এই দীনকে মনোনীত করেছেন ৷ সুতরাং
আত্মসমর্পণকারী না হয়ে তোমরা কখনো মৃত্যু বরণ করো না ৷ (২ বাক্য বা, আয়া৩ ১৩ : ৩ ২ )

আল্লাহ্ তাআলা বলেন :


আমি তাওবাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো, নবীগণ, যারা
আল্লাহর অনুগত ছিল , তারা ইহুদীদেরকে সে অনুযায়ী বিধান দিত ৷ (৫ মায়িদা : ৪ )

সুতরাং দীন ইসলাম হল একক লা-শরীক আল্লাহ্র ইবাদত করা এবং এটি হল
একনিষ্ঠভাবে একক আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ইবাদত নিবেদন করা ৷ অন্য কারো উদ্দেশ্যে নয় ৷ আর
ইহসান হল নির্দেশিত সময়সীমার মধ্যে শরীয়ত নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইবাদত করা ৷ তাই মুহাম্মদ

(সা) ৫-ক তার জন্যে নির্ধারিত শরীয়ত প্রেরণ করার পর অন্য শরীয়তের কো ন ইবাদত আল্লাহ্
ত অ লা কবুল করবেন না ৷ এ প্রসৎগে আল্লাহ

এং;ঞ্জো১ বল, হে লোকসকল! আমি তোমাদের সকলের জন্যে আল্পাহ্র
রাসুল ৷ (৭ আ বাফ ১৫৮)

আল্লাহ তা আলা তার রাসুল (সা) কে বলেন, হে রাসুল! আপনি বলুন৪ :, এ ৷ এ
ছুা ং এ; এ ধ্; ণ্হ্রএ১ট্রু১’১৷ ’ ¢ং) ’;fi’ ৷ ৷£) “এবং এই কুরআন আমার নিকট প্রেরিত হয়েছে,
যেন আমি ভৌমাদেরকে এবং যাদের নিকট এটি পৌহর্বে তাদেরকে এটি দ্বারা ৷সতর্ক করি ৷”

আল্লাহ তা আলা আরও বলেনং : ;;এ;০এর্চু;৷ ৷১ ,ন্;াএ১৷ ৷ (এ; ণ্া এ£;ং এ; এ “অন্যান্য
দলের য বা৷ এটিকে অস্বীকা ৷র করে অগ্নিই তাদের প্রতি,ান্দ্ভ স্থান ৷ (৬ আনআম ১৯) রাসুলুল্লাহ
(সা) ইরশাদ কালো সকল মানুষের
প্ৰতি রাসুল রুপে প্রেরিত হয়েছি ৷ এর ব্যাখ্যার কেউ কেউ বলেন যে, এতদ্বারা আরব, অনারব

বুঝান হয়েছে ৷ আর কেউ কেউ বলেন যে, জিন-ইনসান বুঝান হয়েছে ৷


عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ «، وَضَعَ رَجُلٌ يَدَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أُطِيقُ أَنْ أَضَعَ يَدِي عَلَيْكَ مِنْ شِدَّةِ حُمَّاكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ يُضَاعَفُ لَنَا الْبَلَاءُ كَمَا يُضَاعَفُ لَنَا الْأَجْرُ، إِنْ كَانَ النَّبِيُّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يُبْتَلَى بِالْقَمْلِ حَتَّى يَقْتُلَهُ، وَإِنْ كَانَ النَّبِيُّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ لَيُبْتَلَى بِالْفَقْرِ حَتَّى يَأْخُذَ الْعَبَاءَةَ فَيُحَوِّيَهَا، وَإِنْ كَانُوا لَيَفْرَحُونَ بِالْبَلَاءِ كَمَا تَفْرَحُونَ بِالرَّخَاءِ» . هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ دُحَيْمٍ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ «قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً؟ قَالَ: الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ مِنَ النَّاسِ، يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسْبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ زِيدَ فِي بَلَائِهِ، وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رِقَّةٌ خُفِّفَ عَلَيْهِ، وَلَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَمْشِيَ عَلَى ظَهْرِ
পৃষ্ঠা - ১১৮৮
الْأَرْضِ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ، وَتَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ «نَحْنُ مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ أَوْلَادُ عَلَّاتٍ، دِينُنَا وَاحِدٌ، وَأُمَّهَاتُنَا شَتَّى» وَالْمَعْنَى أَنَّ شَرَائِعَهُمْ، وَإِنِ اخْتَلَفَتْ فِي الْفُرُوعِ، وَنَسَخَ بَعْضُهَا بَعْضًا حَتَّى انْتَهَى الْجَمِيعُ إِلَى مَا شَرَعَ اللَّهُ لِمُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، إِلَّا أَنَّ كُلَّ نَبِيٍّ بَعَثَهُ اللَّهُ فَإِنَّمَا دِينُهُ الْإِسْلَامُ وَهُوَ التَّوْحِيدُ أَنْ يَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ} [الأنبياء: 25] وَقَالَ تَعَالَى {وَاسْأَلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رُسُلِنَا أَجَعَلْنَا مِنْ دُونِ الرَّحْمَنِ آلِهَةً يُعْبَدُونَ} [الزخرف: 45] وَقَالَ تَعَالَى {وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ فَمِنْهُمْ مَنْ هَدَى اللَّهُ وَمِنْهُمْ مَنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلَالَةُ} [النحل: 36] الْآيَةَ [النَّحْلِ: 36] فَأَوْلَادُ الْعَلَّاتِ أَنْ يَكُونَ الْأَبُ وَاحِدًا وَالْأُمَّهَاتُ مُتَفَرِّقَاتٌ فَالْأَبُ بِمَنْزِلَةِ الدِّينِ وَهُوَ التَّوْحِيدُ وَالْأُمَّهَاتُ بِمَنْزِلَةِ الشَّرَائِعِ فِي اخْتِلَافِ أَحْكَامِهَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى. وَقَالَ {لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ} [الحج: 67] وَقَالَ {وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا} [البقرة: 148] عَلَى أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ فِي تَفْسِيرِهَا.
পৃষ্ঠা - ১১৮৯
ষ্ষ্


রাসুলুল্লাহ (সা) আরও বলেন :

শ্’ষ্’শ্ষ্০ন্,,ন্শ্ষ্

প্ ’ :

“যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম , যদি মুসা (আ) তোমাদের মধ্যে থাকতেন
এবং তোমরা তার অনুসরণ করতে আর আমাকে বর্জন করতে তবে নিশ্চয়ই তোমরা পথভ্রষ্ট

ষ্ ষ্

হতে ৷ এ বিষয়ে প্রচুর হাদীস রয়েছে ৷

অপর একটি হাদীস এসেছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন : ন্ঢ় ন্;ট্রুখু ! চ্;ঢ়ছুশু ’;,ং’;
ইএ ট্রুট্রুষ্ট্র ৷ট্রুছুৰুওর্চুৰু ;; )ং;; ৰু৷ “আমরা নবীর দল ৷ আমরা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী রেখে
যাই না ৷ আমরা যে সম্পদ রেখে যাই, তা সাদকারুপ ৷ এটি সম্মনিত নবীগণের বৈশিষ্ট্য ;
কেননা, দুনিয়া ও পার্থিব ধন-সম্পদ তাদের নিকট নিতাস্ত তুচ্ছ বিষয় নিজের ইনতিকালের পর
কাউকে এর উত্তরাধিকারী করে যাওয়ার ব্যাপারটিকে তারা কো ন গুৰুতুই দেন না উপরত্তু
তাদের অবর্তমানে তাদের সম্ভানাদির সুব্যবস্থা গ্রহণের জনৰু৩ তারা আল্লাহর উপবই নির্জ্য করে
থাকেন ৷ ত দের অনুসৃত এ তাওয়াক্কুল ও আস্থা খুবই দৃঢ় ও গভীর ৷ যেখানে আল্লাহ তা আলা
রয়েছেন, সেখানে তাদের ৫ছলে-মেয়েদেব জন্যে কিছু সহায়-সম্পত্তি রেখে গিয়ে এগুলো দ্বারা
তারা নিজেদের ছেলে-মেয়েদেরকে অন্যান্য সাধারণ মানুষের উপর প্রাধান্য দিবেন, এমন
অবস্থান থেকে তারা বহু উধের্ব ৷ বরং তারা যা ই রেখে যান, তার সবই দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত ও
অসহায় লোকদের জন্যে সাদকা বলে গণ্য হয় ৷

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর বৈশিষ্ট্যাবলীসহ সকল নবী (আ)-এর
বৈশিষ্ট্যাবলী আল আহকামুল কাবীর’ কিভাবে ৰিবাহ অধ্যায়ের শুরুতে আমি উল্লেখ করব ৷
ইমাম আবু আব্দুল্লাহ শাফিঈ (র) এর অনুসরণে অনেক নেতৃস্থানীয় লেখক নবীদের (আ)
বৈশিষ্ট্যাবলী উক্ত অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন ৷ আমিও তাই করব ৷

ইমাম আহমদ (র) আবৃদে রাব্বিল কাবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন
আমি আব্দুল্লাহ ইবন অড়ামর (রা)-এর নিকট উপস্থিত হই ৷ তিনি তখন কাবা শরীফের ছায়ায়
বসা ছিলেন ৷ আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে
এক সফরে ছিলাম ৷ তিনি এক, জায়গায় থামলেন ৷ তখন আমাদের মধ্যে কেউ তাবু খাটানােব
কাজে লেগে গেল , কেউ বেরিয়ে পড়ল পশুগুলো নিয়ে চারণ ক্ষেত্রের দিকে ৷ কেউ কেউ
নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব ও কথাবার্তায় যেতে উঠল ৷

এমন সময় মুয়ায্যিন ঘোষণা করলেনঃ হঢু ম্ভ১াৰু;! ! “নামাষের জামাত প্রস্তুত
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমরা সবাই একত্রিত! হলাম ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) দাড়িয়ে
আমাদের উদ্দেশেব্র একটি ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, প্রতেকে নবী নিজ নিজ উম্মতকে
নিজের অবগতি মু৩ তাবিক কল্যারুংার পথ দেখিয়েছেন এবং যেটিকেই তিনি অকল্যাণকর ও


وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الشَّرَائِعَ، وَإِنْ تَنَوَّعَتْ فِي أَوْقَاتِهَا إِلَّا أَنَّ الْجَمِيعَ آمِرَةٌ بِعِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَهُوَ دِينُ الْإِسْلَامِ الَّذِي شَرَعَهُ اللَّهُ لِجَمِيعِ الْأَنْبِيَاءِ وَهُوَ الدِّينُ الَّذِي لَا يَقْبَلُ اللَّهُ غَيْرَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. كَمَا قَالَ تَعَالَى {وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [آل عمران: 85] وَقَالَ تَعَالَى {وَمَنْ يَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ ابْرَاهِيمَ إِلَّا مَنْ سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ - إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ - وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ} [البقرة: 130 - 132] [الْبَقَرَةِ: 130 - 132] وَقَالَ تَعَالَى {إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا} [المائدة: 44] الْآيَةَ [الْمَائِدَةِ: 44] فَدِينُ الْإِسْلَامِ هُوَ عِبَادَةُ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَهُوَ الْإِخْلَاصُ لَهُ وَحْدَهُ دُونَ مَا سِوَاهُ وَالْإِحْسَانُ أَنْ يَكُونَ عَلَى الْوَجْهِ الْمَشْرُوعِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ الْمَأْمُورِ بِهِ، وَلِهَذَا لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْ أَحَدٍ عَمَلًا بَعْدَ أَنْ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا عَلَى مَا شَرَعَهُ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {قُلْ يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا} [الأعراف: 158] وَقَالَ تَعَالَى {وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَذَا الْقُرْآنُ لِأُنْذِرَكُمْ بِهِ وَمَنْ بَلَغَ} [الأنعام: 19] وَقَالَ تَعَالَى {وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الْأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ} [هود: 17] وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بُعِثْتُ إِلَى الْأَحْمَرِ وَالْأَسْوَدِ» قِيلَ: أَرَادَ الْعَرَبَ وَالْعَجَمَ. وَقِيلَ: الْإِنْسَ وَالْجِنَّ. وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَصْبَحَ فِيكُمْ مُوسَى،
পৃষ্ঠা - ১১৯০
ثُمَّ اتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي لَضَلَلْتُمْ» وَالْأَحَادِيثُ فِي هَذَا كَثِيرَةٌ جِدًّا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ إِخْوَةَ الْعَلَّاتِ أَنْ يَكُونُوا مِنْ أَبٍ وَاحِدٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى، مَأْخُوذٌ مِنْ شُرْبِ الْعَلَلِ بَعْدَ النَّهَلِ، وَأَمَّا إِخْوَةُ الْأَخْيَافِ فَعَكْسُ هَذَا أَنْ تَكُونَ أُمُّهُمْ وَاحِدَةً مِنْ آبَاءٍ شَتَّى، وَإِخْوَةُ الْأَعْيَانِ فَهُمُ الْأَشِقَّاءُ مِنْ أَبٍ وَاحِدٍ وَأُمٍّ وَاحِدَةٍ وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «نَحْنُ مُعَاشِرَ الْأَنْبِيَاءِ لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» . وَهَذَا مِنْ خَصَائِصِ الْأَنْبِيَاءِ أَنَّهُمْ لَا يُورَثُونَ وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ الدُّنْيَا أَحْقَرُ عِنْدَهُمْ مِنْ أَنْ تَكُونَ مُخَلَّفَةً عَنْهُمْ ; وَلِأَنَّ تَوَكُّلَهُمْ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَرَارِيِّهِمْ، أَعْظَمُ وَأَشَدُّ وَآكَدُ مِنْ أَنْ يَحْتَاجُوا مَعَهُ إِلَى أَنْ يَتْرُكُوا لِوَرَثَتِهِمْ - مِنْ بَعْدِهِمْ - مَالًا يَسْتَأْثِرُونَ بِهِ عَنِ النَّاسِ بَلْ يَكُونُ جَمِيعُ مَا تَرَكُوهُ صَدَقَةً لِفُقَرَاءِ النَّاسِ وَمَحَاوِيجِهِمْ وَذَوِي خَلَّتِهِمْ. وَسَنَذْكُرُ جَمِيعَ مَا يَخْتَصُّ بِالْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ مَعَ خَصَائِصِ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ فِي أَوَّلِ كِتَابِ النِّكَاحِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " حَيْثُ ذَكَرَهُ الْأَئِمَّةُ مِنَ الْمُصَنِّفِينَ اقْتِدَاءً بِالْإِمَامِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الشَّافِعِيِّ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ، وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ.
পৃষ্ঠা - ১১৯১
ষ্ষ্


ক্ষতিকর বলে জোনছেন৩ তা থেকে উম্মতকে সাবধান করে দিয়েছেন ৷ আর তোমরা এই উম্মত
এই উম্মতের নিরাপত্তা ও শান্তি তাদের প্রথম যুগের লোকদের অনুসরণের মধ্যে নিহিত ৷ এদের
শেষ জামানার লোকদের উপর আসবে বিপদাপদ এবং তারা সম্মুখীন হবে এমন সব পরিস্থিতির,
যা তাদের জন্যে হবে অস্বস্তিকর ৷ তাদের উপর একের পর এক ফিতনা ও নানারুপ বিপর্যয়
নেমে আসবে ৷ এমন মারাত্মক মারাত্মাক অশান্তি ও বিশৃৎখল৷ নেমে আসবে যে, ঈমানদার
ব্যক্তি বলবে, এটিতেই আমার ধ্বংস অনিবার্য ৷ তারপর ঐ বিপর্যয় কেটে যাবে ৷ আবার নতুন
ফিতনা আসবে ৷ ঈমানদার লোক বলবে, এটিতেই আমি ধ্বংস হব ৷৩ তারপর বিপর্যয় কেটে

যাবে ৷ তোমাদের মধ্যে যে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ ও জান্নাতে প্রবেশের আশা রাখে, তার
মৃত্যু যেন এ অবস্থায় হয় যে, সে আল্পাহ্ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী থাকে এবং সে যেন
মানুষের সাথে তেমন ব্যবহার করে , যে আচরণ যে নিজের জন্য পছন্দ করে ৷

যে ব্যক্তি নিজের হাত ও অন্তর দিয়ে কোন ইমামের আনুগতোর শপথ করে, সে যেন
সাধ্যানুযায়ী তার আনুগত্য করে ৷ অন্য কেউ যদি নেতৃত্বের দাবী করে, তোমরা তার গর্দান
উড়িয়ে দেবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি তখন লোকজঃনয় ভিড়ের মধ্যে আমার মাথা ঢুকিয়ে
এগিয়ে গিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, আমি আপনাকে আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে বলছি, আপনি কি
নিজে এই হাদীস রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখে শুন্যেছনঃ তখন আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (বা) তার কান
দু’টোর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, আমার এ কান দুটো হাদীসটি শুনেছে এবং আমার অন্তরে
তা সংরক্ষিত রেখেছে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, ইনি আপনার চাচাত ভাই অর্থাৎ মুয়াবিয়া (বা)
তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দেন আমরা যেন অসৎ পথে একে অন্যের ধন-সম্পদ ভোগ করি এবং
আমরা যেন নিজেরা নিজেদেরকে খুন করি ৷

অথচ০ : আল্লাহ তা আল৷ বলেছেনং ণ্ন্নু
ধ্া৷ষ্এোন্ ণ্হ্র৷ “হে ঈমানদারগণ৷ তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ কর
না ৷ (৪নিস৷ ২৯) এ কথা শুনে আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) দু হাত একত্রিত করে তার কপালে
রাখলেন ৷ কিছুক্ষণ মাথা নিচু রেখে তারপর তিনি মাথা তৃললেন এবং বললেন, তার আনুগত্যে
আল্লাহর আনুগত্য হলে আপনি তখনত র আনুগত্য করুন আর অন্যথায় আপনি তার নির্দেশ

পালন করবেন না ৷ ইমাম আহমদ (র)৩ ভিন্ন সুত্রে কিছুটা শাব্দিক পরিবর্তাসহ অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ র্দুর) প্রমুখ রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

আরব জাতির বংনাি

কেউ কেউ বলে থাকেন যে, গোটা আরব জাতি হযরত ইসমাঈল (আ ) এর বংশধর ৷ তবে
বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, আরব-ই-আরিবা নামে পরিচিত আরবগণ হযরত ইসমাইল
(আ)-এব পুর্ব যুগের লোক ৷ আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি যে, আদ, ছামুদ, তসম, জাদীছ,


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ «عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: بَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ إِذْ نَزَلَ مَنْزِلًا فَمِنَّا مَنْ يَضْرِبُ خِبَاءَهُ، وَمِنَّا مَنْ هُوَ فِي جَشَرِهِ، وَمِنَّا مَنْ يَنْتَضِلُ إِذْ نَادَى مُنَادِيهِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ قَالَ: فَاجْتَمَعْنَا قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَنَا فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا دَلَّ أُمَّتَهُ عَلَى مَا يَعْلَمُهُ خَيْرًا لَهُمْ وَيُحَذِّرُهُمْ مَا يَعْلَمُهُ شَرًّا لَهُمْ، وَإِنَّ أُمَّتَكُمْ هَذِهِ جُعِلَتْ عَافِيَتُهَا فِي أَوَّلِهَا، وَإِنَّ آخِرَهَا سَيُصِيبُهَا بَلَاءٌ شَدِيدٌ، وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا، تَجِيءُ فِتَنٌ يُرَقِّقُ بَعْضُهَا بَعْضًا تَجِيءُ الْفِتْنَةُ فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ: هَذِهِ مُهْلِكَتِي، ثُمَّ تَنْكَشِفُ. ثُمَّ تَجِيءُ الْفِتْنَةُ فَيَقُولُ الْمُؤْمِنُ: هَذِهِ، ثُمَّ تَنْكَشِفُ. فَمَنْ سَرَّهُ مِنْكُمْ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَأَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلْتُدْرِكْهُ مَوْتَتُهُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَلْيَأْتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْهِ. وَمَنْ بَايَعَ
পৃষ্ঠা - ১১৯২
ষ্ষ্


উমাইম, জুরহুম, আমালীক ও আরো অনেক সম্প্রদায় যাদের সম্পর্কে শুধু আল্লাহ-ই জানেন
তারা সবাই আরব-ই আরিবা-এর অন্তর্ভুক্ত ৷ এরা হযরত ইব্রাহীম (অ: ) এর পুর্ববর্তী যুগের
লোক ছিল ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)-এর যুগেও তাদের অস্তিতৃ ছিল ৷ তবে আরবে মুস্তারাবা
নামে পরিচিত হিজাযের আরবগণ ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর ৷

আরব-ই ইয়ামন নামে যারা পরিচিত, তারা হল হিময়ারী আরব ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী
তারা কাহতানের বংশধর ৷ কাহতানের নাম মুহাযযাম এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ইবন মাকুলা’র ৷
বলা হয়ে থাকে যে, তারা ছিল চার তাই-কাহতান, কাহিত, মুক্হিত এবং ফালিগ ৷ কাহতান
ছিলেন হুদের পুত্র ৷ কেউ কেউ বলেন, হ্রদের নামই কাহতান ৷ কারো কারো মতে, হুদ ছিলেন
কাহতানের ডাই ৷ অপর কেউ কেউ বলেন, হুদ কাহতানের অধঘ্রস্তন বংশধর ৷ কতক গবেষকের
ধারণা, কাহতান হযরত ইসমাঈলের বংশধর ৷ ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ এরুপ বলেছেন ৷ এ
সুত্রে তারা এ বংশ তালিকা পেশ করেন কাহতান ইবন তীমান ইবন কায়দার ইবন ইসমাঈল ৷
অবশ্য হযরত ইসমাঈল (আ) পর্যন্ত কাহতানের বংশ তালিকা কেউ কেউ অন্যভাবেও বর্ণনা
করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থে এ বিষয়ে একটি শিরোনাম রচনা করেছেন ৷ তিনি
বলেছেন, এই অধ্যায় আরব-ই ইয়ামন নামে পরিচিত লোকগণ হযরত ইসমাঈল (আ)-এর
বংশধর সাব্যস্তকরণ বিষয়ে ৷ ইমাম বুখারী সালমা (র) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আসলড়াম
গোত্রের কতক লোকের নিকট গেলেন ৷ তারা তখন তরবারী পরিচালনার প্রতিযোগিতা
করছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, হে ইসমাঈলের বংশধরগণ! তোমরা তীর নিক্ষেপ করতে
থাক, আমি অমুক দলের সাথে যোগ দিলাম ৷ তখন অপর পক্ষ হাত গুঢিয়ে ফেললেন ৷
রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, তোমাদের কী হল? তারা বলল, ইয়া রড়াসুলাল্লাহ! আপনি অমুক দলে
থাকা অবস্থায় আমরা তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করব কীভাবেঃ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
ঠিক আছে, তোমরা তীর নিক্ষেপ কর; আমি তোমাদের সকলের সাথে থাকলাম ৷ এই বংনাি
শুধু ইমাম বুখারী-ই উদ্ধৃত করেছেন ৷

কোন কোন বর্ণনায় আছে, “হে ইসমাঈলের বংশধরগণ৷ নিক্ষেপ করতে থাক, কারণ
তোমাদের পুর্ব-পুরুষ ইসমাঈল নিক্ষেপকারী ছিলেন ৷ তোমরা নিক্ষেপ কর, আমি ইবন
আদরা এর পক্ষে যোগ দিলাম ৷ তখন অপরপক্ষ তীর নিক্ষেপ বন্ধ করে দিল ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন, ঠিক আছে, তোমরা নিক্ষেপ কর ৷ আমি তোমাদের সকলের সাথে আছি ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আসলড়াম-এর বংশ তালিকা হল, আসলড়াম ইবন আকসা ইবন
হড়ারিছ ইবন আমর ইবন আমির ৷ এরা খুযাআ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ৷ থুযাআ গোত্র হল ধ্বংসপ্রাপ্ত
সারা সম্প্রদায়ের রক্ষাপ্রাপ্ত একটি ক্ষুদ্র গোত্র ৷ আল্লাহ তাআলা যখন সারা সম্প্রদায়ের উপর
আরিম প্লাবন’ প্রেরণ করেছিলেন ৷ তখন সারা সম্প্রদায়ের অধিকাত্শ লোক ধ্বংস হয়ে
গিয়েছিল ৷ তাদের বর্ণনা পরবর্তীতে আসবে ৷ আউস ও খড়াযরাজ গোত্র এদের উপগোত্র ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বলেছিলেন “ হে ইসমাঈলের বংশধরগণ! তোমরা তীর নিক্ষেপ
কর ৷” এতে প্রমাণিত হয় যে, এরা হযরত ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর ৷


إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ، وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ مَا اسْتَطَاعَ. فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَ الْآخَرِ. قَالَ فَأَدْخَلْتُ رَأْسِي مِنْ بَيْنِ النَّاسِ فَقُلْتُ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: فَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى أُذُنَيْهِ، وَقَالَ: سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ، وَوَعَاهُ قَلْبِي قَالَ: فَقُلْتُ هَذَا ابْنُ عَمِّكَ - يَعْنِي مُعَاوِيَةَ - يَأْمُرُنَا بِأَكْلِ أَمْوَالِنَا بَيْنَنَا بِالْبَاطِلِ، وَأَنْ نَقْتُلَ أَنْفُسَنَا وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ} [النساء: 29] قَالَ: فَجَمَعَ يَدَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَلَى جَبْهَتِهِ، ثُمَّ نَكَّسَ هُنَيَّةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: أَطِعْهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ، وَاعْصِهِ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ وَكِيعٍ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ، وَقَالَ فِيهِ «أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ قَبْلِي إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى مَا يَعْلَمُهُ خَيْرًا لَهُمْ، وَيُنْذِرَهُمْ مَا يَعْلَمُهُ شَرًّا لَهُمْ.» وَذَكَرَ تَمَامَهُ بِنَحْوِهِ، وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ، وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ.