كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم
ذكر تحريف أهل الكتاب وتبديلهم أديانهم
পৃষ্ঠা - ১১৭১
[ذِكْرُ تَحْرِيفِ أَهْلِ الْكِتَابِ وَتَبْدِيلِهِمْ أَدْيَانَهُمْ]
تَحْرِيفُ أَهْلِ الْكِتَابِ وَتَبْدِيلِهِمْ أَدْيَانَهُمْ
أَمَّا الْيَهُودُ فَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ التَّوْرَاةَ عَلَى يَدَيْ مُوسَى بْنِ عِمْرَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَانَتْ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {ثُمَّ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ تَمَامًا عَلَى الَّذِي أَحْسَنَ وَتَفْصِيلًا لِكُلِّ شَيْءٍ} [الأنعام: 154] وَقَالَ تَعَالَى {قُلْ مَنْ أَنْزَلَ الْكِتَابَ الَّذِي جَاءَ بِهِ مُوسَى نُورًا وَهُدًى لِلنَّاسِ تَجْعَلُونَهُ قَرَاطِيسَ تُبْدُونَهَا وَتُخْفُونَ كَثِيرًا} [الأنعام: 91] وَقَالَ تَعَالَى {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاءً وَذِكْرًا لِلْمُتَّقِينَ} [الأنبياء: 48] وَقَالَ تَعَالَى {وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ - وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ} [الصافات: 117 - 118]
[الصَّافَّاتِ: 117، 118] وَقَالَ تَعَالَى {إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَكَانُوا عَلَيْهِ شُهَدَاءَ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ} [المائدة: 44] فَكَانُوا يَحْكُمُونَ بِهَا وَهُمْ مُتَمَسِّكُونَ بِهَا بُرْهَةً مِنَ الزَّمَانِ، ثُمَّ شَرَعُوا فِي تَحْرِيفِهَا وَتَبْدِيلِهَا وَتَغْيِيرِهَا وَتَأْوِيلِهَا وَإِبْدَاءِ مَا لَيْسَ مِنْهَا، كَمَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ১১৭২
ষ্ষ্
এ প্রেক্ষিতেই রাসুলুল্লাহ (সা) ঐ ব্যভিচারীদের জন্যে রজম-এর রায় দিয়েছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন, হে আল্লাহ ! আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে আপনার নির্দেশ পুনরুজ্জীবিত
করেছে, যখন তারা তা মৃত করে ফেলেছিল ৷
পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ (সা)ত তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কেন তারা এরুপ আল্লাহর
নির্দেশ বর্জন করেছিলঃ উত্তরে তারা বলেছিল৪ আমাদের স্ন্তুাম্ভ লোকদের মধ্যে ব্যভিচার
ব্যাপকভাবে সংঘটিত হচ্ছে ৷ তাদের উপর দণ্ড প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে ন ৷ দুর্বল ও নিম্ন শ্রেণীর
যারা ব্যভিচ৷ ৷র করে, শুধু তাদের উপরই আমরা রজম দণ্ড প্রয়াে প করে থাকি ৷ তারপর আমরা
পরামর্শ করে বললাম যে, ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে আমরা এমন একটি মাঝামাঝি দণ্ড নির্ধারণ
করি, যা আশরাফ-আত রাফ সকলের উপর কার্যকর করা চলে ৷ ফলে আমরা সমঝোতার
ভিত্তিতে রেত্রাঘাত ও মুখে কা ৷লি যেখে দেয়া র দণ্ড নির্ধা ৷রণ ৷করি ৷ এটি তাদের তাওরাত বিকৃতি,
পরিবর্তন ও ভুল ব্যাখ্যার একটি উদাহরণ ৷ কিতাবে রজা মর শ্ণ্ব্দ অক্ষুগ্ন রেখে তারা তার ভুল
ব্যাখ্যা দিয়েছে ৷ উপরোক্ত হাদীস তা প্রমাণ করে ৷ এ জন্যে ন্াদ্রুতক লোক বলেন যে, ত বা শুধু
অর্থের বিকৃতি ও ভুল ব্যাখা প্রদান করেছে শব্দগুলো সব কিতারে যথাযথ বিদ্যমান রয়েছে ৷ এই
প্রকারের লোকদের বিরুদ্ধে এই যুক্তি দেয়৷ যায় যে, তারা যদি তাদের কিতাবের সকল কিছু
পালন করতো তাহলে তা অবশ্যই তাদেরকে সত্যের অনুসরণ ও রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর প্রতি
আনুগত্য প্রদর্শনের দিকে পরিচালিত করত ৷
যেমন আল্লাহ তা জানা বলেন :
@
ষ্ : ;
“যায়৷ অনুসরণ করে বাতাবাহক উমী নবীর, যাব উল্লেখ ত ৷ওরাত ও ইনৃজীল যা তাদের
নিকট আছে তাতে লিপিবদ্ধ পায় ৷ যে তাদেরকে সৎ কার্যের নির্দেশ দেয় ও অসৎকার্যে বাধা
দেয়, যে তাদের জন্যে পবিত্র বন্তু বৈধ করে ও অপবিত্র বন্তু অবৈধ করে এবং যে মুক্ত করে
তাদেরকে তাদের গুরুভার হতে ও শৃৎখল হতে যা তাদের উপর ছিল ৷ ” (৮ আনফাল : ১৫ ৭)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন :
া
তারা যদি ত ৷ওরাত, ইনৃজীল ও তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তা ৷দের প্রতি যা অবতীর্ণ
হয়েছে তা প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তারা তাদের উপর ও পদতল হতে আহার্য লাভ করত ৷
তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা মধ্যপন্থী ৷ (৫ মায়িদা : ৬৫)
اللَّهُ تَعَالَى {وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلْوُونَ أَلْسِنَتَهُمْ بِالْكِتَابِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ الْكِتَابِ وَمَا هُوَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [آل عمران: 78] فَأَخْبَرَ تَعَالَى أَنَّهُمْ يُفَسِّرُونَهَا وَيُئَوِّلُونَهَا، وَيَضَعُونَهَا عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهَا. وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ وَهُوَ أَنَّهُمْ يَتَصَرَّفُونَ فِي مَعَانِيهَا وَيَحْمِلُونَهَا عَلَى غَيْرِ الْمُرَادِ، كَمَا بَدَّلُوا حُكْمَ الرَّجْمِ وَالتَّحْمِيمِ مَعَ بَقَاءِ لَفْظِ الرَّجْمِ فِيهَا، وَكَمَا أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَاذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ، مَعَ أَنَّهُمْ مَأْمُورُونَ بِاقَامَةِ الْحَدِّ وَالْقَطْعِ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ.
فَأَمَّا تَبْدِيلُ أَلْفَاظِهَا ; فَقَالَ قَائِلُونَ بِأَنَّهَا جَمِيعَهَا بُدِّلَتْ، وَقَالَ آخَرُونَ: لَمْ تُبَدَّلْ، وَاحْتَجُّوا بِقَوْلِهِ تَعَالَى {وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرَاةُ فِيهَا حُكْمُ اللَّهِ} [المائدة: 43] وَقَوْلُهُ {الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ} [الأعراف: 157] الْآيَةَ. وَبِقَوْلِهِ {قُلْ فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} [آل عمران: 93] وَبِقِصَّةِ الرَّجْمِ فَإِنَّهُمْ - كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَفِي السُّنَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَغَيْرِهِ - «لَمَّا تَحَاكَمُوا
পৃষ্ঠা - ১১৭৩
إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ الْيَهُودِيِّ وَالْيَهُودِيَّةِ اللَّذَيْنِ زَنَيَا فَقَالَ لَهُمْ: " مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الرَّجْمِ؟ " فَقَالُوا: نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِحْضَارِ التَّوْرَاةِ فَلَمَّا جَاءُوا بِهَا وَجَعَلُوا يَقْرَءُونَهَا وَيَكْتُمُونَ آيَةَ الرَّجْمِ الَّتِي فِيهَا، وَوَضَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صُورِيَا يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ، وَقَرَأَ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعْ يَدَكَ يَا أَعْوَرُ " فَرَفَعَ يَدَهُ فَاذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهِمَا، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ» ". وَعِنْدَ أَبِي دَاوُدَ أَنَّهُمْ لَمَّا جَاءُوا بِهَا نَزَعَ الْوِسَادَةَ مِنْ تَحْتِهِ فَوَضَعَهَا تَحْتَهَا، وَقَالَ: آمَنْتُ بِكِ وَبِمَنْ أَنْزَلَكِ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قَامَ لَهَا. وَلَمْ أَقِفْ عَلَى إِسْنَادِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهَذَا كُلُّهُ يُشْكِلُ عَلَى مَا يَقُولُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُتَكَلِّمِينَ وَغَيْرِهِمْ: إِنَّ التَّوْرَاةَ انْقَطَعَ تَوَاتُرُهَا فِي زَمَنِ بُخْتُنَصَّرَ، وَلَمْ يَبْقَ مَنْ يَحْفَظُهَا إِلَّا الْعُزَيْرُ، ثُمَّ الْعُزَيْرُ إِنْ كَانَ نَبِيًّا فَهُوَ مَعْصُومٌ وَالتَّوَاتُرُ إِلَى الْمَعْصُومِ يَكْفِي، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: إِنَّهَا لَمْ تَتَوَاتَرْ إِلَيْهِ، لَكِنْ بَعْدَهُ زَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى، وَكُلُّهُمْ كَانُوا مُتَمَسِّكِينَ بِالتَّوْرَاةِ فَلَوْ لَمْ تَكُنْ صَحِيحَةً مَعْمُولًا بِهَا، لَمَا اعْتَمَدُوا عَلَيْهَا وَهُمْ أَنْبِيَاءُ مَعْصُومُونَ، ثُمَّ قَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِيمَا أَنْزَلَ عَلَى رَسُولِهِ مُحَمَّدٍ خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَعَلَى جَمِيعِ الْأَنْبِيَاءِ مُنْكِرًا عَلَى الْيَهُودِ فِي
পৃষ্ঠা - ১১৭৪
ষ্ষ্
আল্লাহতাআল! আরে! বলেন :
ভৈ
বল, হে কিতাবীবা ! ত!ওরাত, ইনৃজীল ও য! তোমাদের প্র!তপ!লকের পক্ষ হতে আমাদের
প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা ৩! প্রতিষ্ঠিত না কর! পর্যন্ত তোমাদের কোন ভিত্তি নেই ৷
(৫ মায়িদা : ৬৮)
ত!ওরাতের শব্দে বিকৃতি ৩ঘটেনি বরং অর্থেই বিকৃতি ৩ঘটানো হয়েছে এই অভিমত হযরত
ইবন আব্বাস (রা) ও পোষণ করতেন বলে ইমাম বুখারী (র)৩ ভীর সহীহ গ্রন্থের শেষ দিকে
উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) নিজেও এই অভিমত সমর্থন করেছেন ৷ আল্লামা ফখরুদ্দীন
রাযী তার তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, অধিকাংশ কালাম শ!স্ত্রবিদ এই অভিমত পোষণ
করতেন ৷
নাপাক ব্যক্তির জন্যে ত!ওরড়াত স্পর্শ কর! জায়েয নেই
হ!ন!ফী ফিকহ্ বিদদের মতে নাপাক অবস্থায় ও বিন! উয়ুতে ত!ওর!ত স্পর্শ কর! জায়েয
নেই ৷ আল্লামা হ ন!তী তার ফা৩ !ওয়! গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, কতক শাফিঈ পন্থী আলিমও
উপরোক্ত মত পোষণ করেন ৷ এই মত টি একটি বিরল মত ৷ কতক উলাম! উভয় অভিমতের
মাঝামাঝি অভিমত পোষণ করেন ৷ তাদের মধ্যে শায়খ ইমাম আল্লাম! আবুল আব্বাস ইবন
ত!য়মিয়্যা অন্যতম ৷ তিনি বলেন, যায়! এ মত পোষণ করে যে, ত!ওর!ত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
সম্পুইি পরিবর্তন করে ফেল! হয়েছে এবং এর একটি অক্ষরও আসল অবস্থায় নেই, তাদের এ
অভিমত কােনমতেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ড্ডাপ যার! এ অভিমত পোষণ করে যে, ত!ওর!ত আদৌ
পরিবর্তন কর! হয়নি, তাদের অভিমতও গ্রহণযোগ্য নয় ৷ সত্য ও বাস্তবতা এই যে, ত!ওরাতের
কতক শব্দেহ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্ত্য!, বিকৃতি ও রুপান্তর সংঘটিত হয়েছে; যেমন বিকৃতি
ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এর মর্ম ও ব্য!খ্যায় ৷ ভালভাবে চিন্তা করলে এটি অবগত হওয়!
যায় ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ নেই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
তাদের তাওর!ত বিকৃতির একটি উদাহরণ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর পুত্র কুরব!নীর
ঘটনা ৷ সেখানে আছে একক পুত্রকে কুরব!নী কর ৷
৷ তোমার একক
শিশু পুত্র ইসহাককে কুরব!নী কর ৷ এসব কপিতে বর্ণিত এা! শব্দটি নিঃসন্দেহে তাদের
নিজেদের সংযোজন ৷ কারণ তখন হযরত ইব্রাহীমের একক ও প্রথম শিশু পুত্র ছিলেন হযরত
ইসমাঈল (অ!) ৷ হযরত ইসহ!ক (অ!)-এর জন্মের ১৪ বছর পুর্বে ইসমাঈল (অ!)-এর জন্ম
হয় ৷ তাহলে ইসহ!ক (অ!) একক শিশু পুত্র হন কীভাবাে আরবদের প্রতি তাদের বিদ্বেষের
প্রেক্ষিতে আরবদের পুর্ব পুরুষ হযরত ইসমাঈল (অ!)-এর জন্যে কুরব!নী বিষয়ক সামান
قَصْدِهِمُ الْفَاسِدِ إِذْ عَدَلُوا عَمَّا يَعْتَقِدُونَ صِحَّتَهُ عِنْدَهُمْ - وَأَنَّهُمْ مَأْمُورُونَ بِهِ حَتْمًا - إِلَى التَّحَاكُمِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُمْ يُعَانِدُونَ مَا جَاءَ بِهِ، لَكِنْ لَمَّا كَانَ - فِي زَعْمِهِمْ - مَا قَدْ يُوَافِقُهُمْ عَلَى مَا ابْتَدَعُوهُ مِنَ الْجَلْدِ وَالتَّحْمِيمِ الْمُصَادِمِ لِمَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ حَتْمًا، وَقَالُوا: إِنْ حَكَمَ لَكُمْ بِالْجَلْدِ وَالتَّحْمِيمِ فَاقْبَلُوهُ، وَتَكُونُونَ قَدِ اعْتَذَرْتُمْ بِحُكْمِ نَبِيٍّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَإِنْ لَمْ يَحْكُمْ لَكُمْ بِهَذَا بَلْ بِالرَّجْمِ فَاحْذَرُوا أَنْ تَقْبَلُوا مِنْهُ.
فَأَنْكَرَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِمْ فِي هَذَا الْقَصْدِ الْفَاسِدِ الَّذِي إِنَّمَا حَمَلَهُمْ عَلَيْهِ الْغَرَضُ الْفَاسِدُ، وَمُوَافَقَةُ الْهَوَى لَا الدِّينُ الْحَقُّ فَقَالَ {وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرَاةُ فِيهَا حُكْمُ اللَّهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوْنَ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ - إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ} [المائدة: 43 - 44]
[الْمَائِدَةِ: 43، 44] الْآيَةَ. وَلِهَذَا لَمَّا حَكَمَ بِالرَّجْمِ قَالَ: " «اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ " وَسَأَلَهُمْ مَا حَمَلَهُمْ عَلَى هَذَا؟ وَلِمَ تَرَكُوا أَمْرَ اللَّهِ الَّذِي بِأَيْدِيهِمْ؟ فَقَالُوا: إِنَّ الزِّنَا قَدْ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا، وَلَمْ يُمْكِنَّا أَنْ نُقِيمَهُ عَلَيْهِمْ، وَكُنَّا نَرْجُمُ مَنْ زَنَى مِنْ ضُعَفَائِنَا فَقُلْنَا: تَعَالَوْا إِلَى أَمْرٍ نِصْفٍ نَفْعَلُهُ مَعَ الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَاصْطَلَحْنَا عَلَى الْجَلْدِ وَالتَّحْمِيمِ» فَهَذَا مِنْ جُمْلَةِ تَحْرِيفِهِمْ وَتَبْدِيلِهِمْ وَتَغْيِيرِهِمْ وَتَأْوِيلِهِمُ الْبَاطِلِ. وَهَذَا إِنَّمَا فَعَلُوهُ فِي الْمَعَانِي، مَعَ بَقَاءِ لَفْظِ الرَّجْمِ فِي كِتَابِهِمْ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ الْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهِ.
فَلِهَذَا قَالَ مَنْ قَالَ هَذَا مِنَ النَّاسِ: إِنَّهُ لَمْ
পৃষ্ঠা - ১১৭৫
ষ্ষ্
নির্ধারণের জন্যেত তারা আল্লাহ ও রাসুল (সা) সম্বন্ধে মিথ্যা আরোপ করে এ ৷ ৷ শব্দ
সংযোজন করে দিয়েছে ৷
তাদের এই সংযোজনের প্রেক্ষিতে পুর্বের ও পরের অনেক লোক প্রতাবিত হয়েছে এবং
তাদের সাথে এ মত পোষণ করেছেন যে, কুরবানী বিষয়ক পুত্র হলেন ইসহাক (আ) ৷ সঠিক
মতামত এই যে, কুরবানী বিষয়ক পুত্র ছিলেন হযরত ইসমাঈল (আ) ৷ ইতিপুর্বে আমরা তা
বর্ণনা করেছি ৷ আল্লাহ্ইতাল জানেন ৷ সামিরা সম্পাদিত তা ওবাতেব দশম বাকে৷ নামাযে তুর
পর্বতের দিকে মুখ করার নির্দেশটিত তাদের অতিরিক্ত সংযোজন ৷ ইয়াহুদী ও নাসারাদের অন্যান্য
কপিতে এটুকু নেই ৷ হযরত তদাউদ (আ) এর নামে প্রচলিত তযাবুরের কপিতে প্রচুর অসংপতি
পাওয়া যায় ৷ তাতে এমন সব অতিরিক্ত ও সংযুক্ত বিষয়াদি পাওয়া যায়, যা মুলত যাবুরের ভাষ্য
নয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইয়াহুদীদের নিকট এখন যাবুরের যে আরবী অনুবাদ রয়েছে, তার মধ্যে যে প্রচুর বিকৃতি
পরিবর্তন, সংযোজন ঘটনা ৷র মিথ্যাচাবিতা ৷ও স্পষ্টহ্রাস বৃদ্ধি রয়েছে, তাতে কোন বিবেকবান
মানুষেরই সন্দেহ থাকতে পারে না ৷ এ কপিতে সুস্পষ্ট ৷মথ্যা চার ও প্রচুর মারাত্মক ভ্রান্তি
রয়েছে ৷ তারা নিজেদের ভাষায় যা পাঠ করে এবং নিজেদের কলমে যা লিখে সে সম্পর্কে অবশ্য
আমাদের জানা নেই ৷ তবে তারা যে মিথ্যাবাদী, বিশ্বাস তঙ্গকারী এবংঅ ৷ল্লাহ তার রাসুল ও
তার কিতাব সম্পর্কে মিথ্যা আরোপক৷ ৷রী এরুপ ধারণা করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে ৷ নাসারাদের
ইনজীল চ তুষ্টয় যা মার্ক, লুক, মথি ও যে হন থেকে বর্ণিত সেগুলো তওরাভের তুলনায় আরো
বেশী পরস্পর বিরোধী ও অসংগতিপুর্ণ
নাসারাগণ কোন কোন ক্ষেত্রে তাওরাত ও ইনজীল উভয়ের বিধানের বিরোধিতা করে ৷ এ
সকল ক্ষেত্রে তারা নিজেরা নিজেদের জন্যে নতুন বিধান তৈরী করে নেয় ৷ এ জা ৷ভীয় বিধান
সমুহের একটি হলত তাদের পুর্বযুখী হয়ে নামায আদায় করা ৷ ইনজীল চতুষ্টয়ের কােনটিতে
সরাসরি এ বিধান নেই এবং এ বিষয়ে তারা আদিষ্ট নয় ৷ অনুরুপ তাদের উপাসনালয়ে মুতি
স্থাপন, খতন৷ বত্তনি, রোজার সময়কে বসন্তকালে সরিয়ে দেয়া এবং রোযার মেয়াদ ৫০ দিন
পর্যন্ত বর্ধিত করণ, শুকরের গোশৃত খাওয়া, ক্ষুদ্র একটি খিয়ানতকে বড় আমানত বলে গ্রহণ
করা, সন্যাব্রেতের প্রচলন করা, সন্যাসব্রত হল ইবাদাত আগ্রহী ব্যক্তির বিয়ে শাদী বর্জন করা
এবং তার জন্যে বিয়ে শাদী হারাম বলে গণ্য করা এবং ৩১৮ জন ধর্মযাজক কর্তৃক রচিত
বিধি বিধানগুলেড়া লিপিবদ্ধ কর১ এসবই হচ্ছেত তাদের বানানো ও স্বরচিত বিধান ৷
কনক্টান্টিননােপল রাজের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কনষ্টান্টিন ইবন কন্তুন এর শাসনামলে তারা
এগুলো ভৈত বি করে ও তার প্রচলন ঘটায় ৷ রাজা কনক্টাস্টের সময়কাল ছিল হযরত ঈসা
(আ)-এর ৩০০ বছর পর ৷ তার পিতা ছিলেন রোমের একজন রাজা ৷ তার পিতা হারবান
অঞ্চলে শিকারের উদ্দেশ্যে এক সফরে গিয়ে তার মাতা হায়লানাকে বিবাহ করেন ৷ এই
মহিলাটি প্রাচীন সন্যাম্প্রভী খৃষ্টান সম্প্রদায়তুক্ত ছিলেন ৷
কনন্টান্টিন তার বাল্যকালে দর্শনশাস্ত্র শিক্ষা করেন এবং তাতে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন ৷
তিনি তার মায়ের ধর্ম খৃষ্টবাদের প্রতি কিছুটা ঝুকে পড়েন ৷ নিজে দর্শনের অনুসারী হয়েও
يَقَعْ تَبْدِيلُهُمْ إِلَّا فِي الْمَعَانِي وَإِنَّ الْأَلْفَاظَ بَاقِيَةٌ، وَهِيَ حُجَّةٌ عَلَيْهِمْ، إِذْ لَوْ أَقَامُوا مَا فِي كِتَابِهِمْ جَمِيعِهِ ; لَقَادَهُمْ ذَلِكَ إِلَى اتِّبَاعِ الْحَقِّ، وَمُتَابَعَةِ الرَّسُولِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ} [الأعراف: 157] الْآيَةَ وَقَالَ تَعَالَى {وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ مِنْ رَبِّهِمْ لَأَكَلُوا مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ أَرْجُلِهِمْ مِنْهُمْ أُمَّةٌ مُقْتَصِدَةٌ} [المائدة: 66] الْآيَةَ وَقَالَ تَعَالَى {قُلْ يَاأَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّى تُقِيمُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ الَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ} [المائدة: 68] الْآيَةَ. وَهَذَا الْمَذْهَبُ وَهُوَ الْقَوْلُ بِأَنَّ التَّبْدِيلَ إِنَّمَا وَقَعَ فِي مَعَانِيهَا لَا فِي أَلْفَاظِهَا - حَكَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي آخِرِ كِتَابِهِ " الصَّحِيحِ " وَقَرَّرَ عَلَيْهِ وَلَمْ يَرُدَّهُ، وَحَكَاهُ الْعَلَّامَةُ الْإِمَامُ فَخْرُ الدِّينِ الرَّازِيُّ فِي " تَفْسِيرِهِ " عَنْ أَكْثَرِ الْمُتَكَلِّمِينَ.
وَذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ إِلَى أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لِلْجُنُبِ مَسُّ التَّوْرَاةِ وَهُوَ مُحْدِثٌ، وَحَكَاهُ الْحَنَّاطِيُّ فِي فَتَاوِيهِ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ الشَّافِعِيِّ وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَذَهَبَ آخَرُونَ مِنَ الْعُلَمَاءِ إِلَى التَّوَسُّطِ فِي هَذَيْنَ الْقَوْلَيْنِ مِنْهُمْ شَيْخُنَا
পৃষ্ঠা - ১১৭৬
الْإِمَامُ الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ ابْنُ تَيْمِيَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ فَقَالَ: أَمَّا مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا كُلَّهَا مُبَدَّلَةٌ مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا حَرْفٌ إِلَّا بِدَّلُوهُ فَهَذَا بِعِيدٌ، وَكَذَا مَنْ قَالَ: لَمْ يُبَدَّلْ شَيْءٌ مِنْهَا بِالْكُلِّيَّةِ بَعِيدٌ أَيْضًا وَالْحَقُّ أَنَّهُ دَخَلَهَا تَبْدِيلٌ وَتَغْيِيرٌ، وَتَصَرَّفُوا فِي بَعْضِ أَلْفَاظِهَا بِالزِّيَادَةِ وَالنَّقْصِ كَمَا تَصَرَّفُوا فِي مَعَانِيهَا. وَهَذَا مَعْلُومٌ عِنْدَ التَّأَمُّلِ، وَلِبَسْطِهِ مَوْضِعٌ آخَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. كَمَا فِي قَوْلِهِمْ فِي قِصَّةِ الذَّبِيحِ: اذْبَحِ ابْنَكَ وَحِيدَكَ، وَفِي نُسْخَةٍ: بِكْرَكَ إِسْحَاقُ فَلَفْظَةُ إِسْحَاقَ مُقْحَمَةٌ مَزِيدَةٌ بِلَا مِرْيَةٍ ; لِأَنَّ الْوَحِيدَ - وَهُوَ الْبِكْرُ - إِسْمَاعِيلُ لِأَنَّهُ وُلِدَ قَبْلَ إِسْحَاقَ بِأَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَكَيْفَ يَكُونُ الْوَحِيدُ الْبِكْرَ إِسْحَاقُ؟! ! وَإِنَّمَا حَمَلَهُمْ عَلَى ذَلِكَ حَسَدُ الْعَرَبِ أَنْ يَكُونَ أَبُوهُمْ هُوَ الذَّبِيحُ فَأَرَادُوا أَنْ يَذْهَبُوا بِهَذِهِ الْفَضِيلَةِ لَهُمْ فَزَادُوا ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ افْتِرَاءً عَلَى اللَّهِ وَعَلَى رَسُولِهِ، وَقَدِ اغْتَرَّ بِهَذِهِ الزِّيَادَةِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلْفِ، وَوَافَقُوهُمْ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ إِسْحَاقُ وَالصَّحِيحُ أَنَّ الذَّبِيحَ إِسْمَاعِيلُ كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهَكَذَا فِي تَوْرَاةِ السَّامِرَةِ فِي الْعَشْرِ الْكَلِمَاتِ زِيَادَةُ الْأَمْرِ بِالتَّوَجُّهِ إِلَى الطُّورِ فِي الصَّلَاةِ، وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي سَائِرِ نُسَخِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، وَهَكَذَا يُوجَدُ
পৃষ্ঠা - ১১৭৭
ষ্ষ্
খৃষ্টবাদ অবলম্বীদেরকে তিনি মোটামুটি শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন ৷ তার পিতার মৃত তুর পর তিনি
ভালবাসতে থাকে ৷ তিনি তা ৷দের মধ্যে নেতৃতৃ অর্জন করেন এবং সামরিক অভিযান চালিয়ে দ্বীপ
সমুহসহ সমগ্র সিরিয়া জয় করে নেন ৷ এতে তার সম্মান ও মর্যাদা বহুলাং শ বৃদ্ধি পায় ৷ তিনিই
ছিলেন সর্বপ্রথম কায়সার ৷ তার শাসনামলে ত্রিমুখী ধমীয়ি সংঘাত সৃষ্টি হয় ৷ একদিকে
নাসারাগণ একদিকে আলেকজাদ্রিয়ার আক্সান্দরুস অন্য দিকে তা৷দরই জনৈক পণ্ডিত ব্যক্তি
নাম আব্দুল্লাহ ইবন আরইউস ৷ আকসন্দরুস এর মতে হযরত ঈস৷ (আ) ছিলেন আল্লাহর
পুত্র ৷ আল্লাহ তাআলার শা তার এ মতের অনেক উর্ধে ৷
ইবন আরইউসের মতে, ঈসা (আ) ছিলেন আল্লাহর বান্দাও ওরাসুল ৷ নাসারাদের একটি
ছোট দল৩ তার অনুসরণ করেছিল ৷৩ তাদের অধিকাংশ লোক তাদের ধর্ম যাজকের অভিমত
গ্রহণ করে ৷ তারা ইবন আরইউস ওত তার অনুসারীদেরকে তাদে< উপাসনালয়ে প্রবেশে বাধা
দেয় ৷ ইবনে আরইউস তার প্রতিদ্বন্দী আকসান্দরুস ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে রাজা
কনষ্ট৷ ন্টইনের নিকট অভিযোগ দায়ের করে ৷ রাজা তার মতবাদ সম্পর্কে জানতে চান ৷ তিনি
হযরত ঈস৷ (আ) আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল বিষয়ে নিজের অভিমত রাজার নিকট পেশ
করেন এবং এ বিষয়ে দলীল প্রমাণ ও যুক্তি উপস্থিত করেন ৷ এতে রাজা তার প্রতি আকৃষ্ট হন
এবং তার বক্তব্যের প্রতি ঝুকে পড়েন ৷
রাজ দরবারে কেউ কেউ প্রস্তাব করে যে, ইবন আরইউসের বক্তব্য যখন শোনা হল তখন
তার প্রতিপক্ষের বক্তব্যও তো শোনা উচিত ৷ রাজা তখন তার প্রতিপক্ষকে উপস্থিত করতে
নির্দেশ দিলেন ৷ সাথে সাথে নেতৃস্থানীয় ধর্মভীরু ব্যক্তি, খৃষ্ট ধর্ম সম্পর্কে অভিজ্ঞ সকল লোক
এবং বায়তুল মুকাদ্দাস, এন্টিয়ক, বোন ও আলেকজাদ্রিয়ার ধর্মযাজকদেরকেও উপস্থিত করার
নির্দেশ জারী করেন ৷
কথিত আছে যে চৌদ্দ মাস সময়ের মধ্যে ২০০০ এর অধিক ধর্যযাজক সমবেত হন ৷
রাজা তাদেরকে একটি মজলিসে উপস্থিত করেন ৷৩ তাদের তিনটি প্রসিদ্ধ মজলিসের এটি হল
প্রথম মজলিস ৷ এরা সব ই পরস্পর প্রচণ্ডভাবে ভিন্ন মত ৷বলম্বী ৷ তাদের পরস্পরের মধ্যে
মতাদর্শগত পার্থক্য প্রচণ্ড ও গুরুতর ৷ ক্ষুদ্র একটি দল এমন মতবাদে বিশ্বাস করে যা অন্য কেউ
সমর্থন করে না ৷ এ ৫০ জন হল এক আদর্শে বিশ্বাসী, অপর ৮০ জন অপর এক মতবাদে
বিশ্বাসী ৷ অপর দশজন এক মতবাদপন্থী অপর ৪০ জন ভিন্ন এক আদর্শের অনুসারী ৷ ১০০
জন এক প্রকার বিশ্বাসের অনুসারীতে ৷অন্য ২০০ জন অন্য অভিমত পোষণকারী ৷ একদল
ইবন আরইউসের মত তাবলম্বী তো অন্যদল অন্য মতাবলম্বী ৷ এসব ধর্মীয় ব্যক্তিদের মতদ্বৈততা
মওতপাকৈ যখন চরমে পৌছে তখন রাজা কনক্টান্টিনােপল হত তভম্ব ও কিৎকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে
পড়েন ৷ অবশ্য তার পুর্বসুরী গ্রীক সাবিইনদের ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মমতের প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ
ছিলেন ৷
১ এখানটি ৩২৫ খ্রীষ্টানদের ৷ এটি খ্রীষ্টান যাজকদের প্রথম কাউন্সিল বলে পরিচিতি ৷
فِي الزَّبُورِ الْمَأْثُورِ، عَنْ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مُخْتَلِفًا كَثِيرًا، وَفِيهِ أَشْيَاءُ مَزِيدَةٌ مُلْحَقَةٌ فِيهِ، وَلَيْسَتْ مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَأَمَّا مَا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ التَّوْرَاةِ الْمُعَرَّبَةِ فَلَا يَشُكُّ عَاقِلٌ فِي تَبْدِيلِهَا، وَتَحْرِيفِ كَثِيرٍ مِنْ أَلْفَاظِهَا، وَتَغْيِيرِ الْقَصَصِ وَالْأَلْفَاظِ وَالزِّيَادَاتِ وَالنَّقْصِ الْبَيِّنِ الْوَاضِحِ، وَفِيهَا مِنَ الْكَذِبِ الْبَيِّنِ وَالْخَطَأِ الْفَاحِشِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا فَأَمَّا مَا يَتْلُونَهُ بِلِسَانِهِمْ، وَيَكْتُبُونَهُ بِأَقْلَامِهِمْ فَلَا اطِّلَاعَ لَنَا عَلَيْهِ وَالْمَظْنُونُ بِهِمْ أَنَّهُمْ كَذَبَةُ خَوَنَةٌ يُكْثِرُونَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَرُسُلِهِ وَكُتُبِهِ.
وَأَمَّا النَّصَارَى فَأَنَاجِيلُهُمُ الْأَرْبَعَةُ مِنْ طُرُقِ مُرْقُسٍ وَلُوقَا وَمَتَّى وَيُوحَنَّا، أَشَدُّ اخْتِلَافًا وَأَكْثَرُ زِيَادَةً وَنَقْصًا وَأَفْحَشُ تَفَاوُتًا مِنَ التَّوْرَاةِ وَقَدْ خَالَفُوا أَحْكَامَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ فِي غَيْرِ مَا شَيْءٍ قَدْ شَرَعُوهُ لِأَنْفُسِهِمْ، فَمِنْ ذَلِكَ صَلَاتُهُمْ إِلَى الشَّرْقِ، وَلَيْسَتْ مَنْصُوصًا عَلَيْهَا وَلَا مَأْمُورًا بِهَا فِي شَيْءٍ مِنَ الْأَنَاجِيلِ الْأَرْبَعَةِ، وَهَكَذَا تَصْوِيرُهُمْ كَنَائِسَهُمْ، وَتَرْكُهُمُ الْخِتَانَ، وَنَقْلُهُمْ صِيَامَهُمْ إِلَى زَمَنِ الرَّبِيعِ، وَزِيَادَتُهُ فِيهِ إِلَى خَمْسِينَ يَوْمًا، وَأَكَلُهُمُ الْخِنْزِيرَ، وَوَضْعُهُمُ الْأَمَانَةَ الْكَبِيرَةَ، وَإِنَّمَا هِيَ الْخِيَانَةُ الصَّغِيرَةُ الْحَقِيرَةُ، وَالرَّهْبَانِيَّةُ، وَهِيَ تَرْكُ التَّزْوِيجِ لِمَنْ أَرَادَ التَّعَبُّدَ، وَتَحْرِيمَهُ عَلَيْهِ، وَكَتْبُهُمُ الْقَوَانِينَ الَّتِي وَضَعَتْهَا لَهُمُ الْأَسَاقِفَةُ الثَّلَاثُمِائَةِ وَالثَّمَانِيَةَ عَشَرَ.
فَكُلُّ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ ابْتَدَعُوهَا، وَوَضَعُوهَا فِي أَيَّامِ قُسْطَنْطِينَ بْنِ قَسْطَسَ بَانِي الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ وَكَانَ زَمَنُهُ بَعْدَ الْمَسِيحِ
পৃষ্ঠা - ১১৭৮
ষ্ষ্
অবশেষে যে অভিমতের পক্ষে সমর্থক স০ ×খ৷ ৷যেশী, তিনি যে দলের প্রতি মনােযোগী
হলেন ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, ৩১৮ জন্য ধর্মযাজক আকসিন্দরুম-এর মতের সমর্থক ৷
তাদের সমান সংখ্যক অন্য কে ন দল তিনি পেলেন না ৷ তিনি বললেন যে এর ই সাহায্য
পাওয়ার অগ্ৰাধিকারী ৷ কারণ, তারা স ×খা৷গরিষ্ঠ দল ৷ আদি তাদেরকে সহায়তা ৷দিব ৷ তিনি
তাদের সাথে একান্ত বৈঠকে বললেন ৷ তিনি তার তরবায়ী ও ঘোড়া তাদের হাতে অর্পণ
করলেন এবং বললেন, আমি ছাড়া আর সবাই রাজাকে সিজদ৷ করল ৷ তিনি তাদেরকে ধর্মীয়
বিধান সম্বলিত একটি পুস্তক প্রণয়নের অনুরোধ জানালেন ৷ তিনি এও বললেন যে, উসামনা
যেন পুর্বমুখী হয়ে আদায় করা হয়, কারণ নায়িারা নক্ষত্র পৃর্বদিক থেকে উদিত হয় ৷ আর
তাদের উপাসনালয়ে যেন দেহ বিশিষ্ট মুর্তি স্থাপন করা হয় ৷ তরা সমঝোতায় উপনীত হয় যে,
মুর্তি স্থাপন করা হবে উপসনালয়ের প্রাচীরে ৷ এ সব বিষয়ে ঐকমতে৷ পৌছার পর রাজা
তাদেরকে সাহায্য করতে শুরু করেন ৷ তিনি তাদের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে,
বিরুদ্ধবাদীদেরকে কােনঠাসা করতে এবং তাদের মতবাবন্কে দুর্বল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ
করেন ৷ রাজা এ পৃষ্ঠপোষ্টকতায় তারা বিরুদ্ধবাদীদের উপর ৷রজয ও প্রতিষ্ঠা পায় ৷ নিজেদের
দীনের স্বপক্ষে বহু সংখ্যক উপাসনালয় নির্মাণে র জন্যে রাজা তাদেরকে নির্দেশ দেয় ৷ রাজার
দীন অনুসরণকারী হিসেবে তারা মালাকামী (রাজতাগ্রিক সম্প্রদায়) আখ্যায়িত হয় ৷ সম্রাট
কন্টা৷ষ্টটনের আমলে সিরিয়া ও অন্যান্য শহরে ও জনপদে তারা ১২০০-এর অধিক পীর্জা
নির্মাণ করে ৷ রাজা নিংজী হযরত ঈস৷ (আ) এর জন্মস্থানে বেথেলহাম ভবন নির্ম৷ ৷ণের উদ্যোপ
নেন ৷ তার মা হায়লানাহ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী হযরত ঈসা ৷(আ) এর শুলে চড়ানাের স্থানে
বায়তৃল মুকাদ্দাসে একটি গম্বুজ নির্মাণ করেন ৷
ইহুদী ও নাসারাগণ তাদের মুর্থতা ও জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এ বিশ্বাস পোষণ করে যে
সা(আ) সেখানে শুলবিদ্ধ হয়েছিলেন ৷
কথিত আছে যে, রাজা কনষ্টন্টি ৷ইন উক্ত ম৩ ৷দর্শের বিরোধীদেরকে হত্যা করেন এবং
তাদের জন্যে মাটিতে বড় বড় গর্ত খনন করে ৷ তাতে আগুন জ্বালিয়ে তাদেরকে পুড়িয়ে
মারেন ৷ সুরা বুরুজের তাফসীরে আমরা এ প্রসৎগে আলোচনা করেছি ৷ রাজা থ্রিষ্ট ধর্মের এই
শাখাকে মর্যাদার আসনে আসীন করেন ৷ এবং তার কারণে এ মতাদর্শ অন্যসব মতাদর্শের উপর
বিজয় লাভ করে ৷ তিনি এই ধর্মকে এ৩ ই বিকৃত করেন, বা কখনো সংশোধন হওয়ার নয় ৷
এগুলো বজায় রেখে ঐ ধর্ম দ্বারা কল্যাণ অজনও সম্ভব নয় ৷৩ তাদের মধ্যে নেতস্থানীয় লোকদের
ৎখ্যাধিকোর কারণে তাদের পুজা পার্বণ অনেক বৃদ্ধি পায় ৷ তাদের সাধু সম্ভদের নামে প্রচুর
ৎখা৷ক পীর্জ্য স্থাপিত হয় ৷৩ তাদের কুফরী চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে ৷ তারা স্থায়ীভাবে গোমরাহীর
শিকার হয় এবং৩ তাদের কুকর্ম বৃদ্ধি পায় ৷ আল্লাহ্৩ তাদের অন্তরকে হিদায়াতের দিকে ধাবিত
করেন নি বা তাদের অবস্থাও স০ ×শোধন করেন নি ৷ বরং তাদের অম্ভরকে স৩ তা থেকে বিচ্যুত
করেছেন এবং মাতা অবিচলতা থেকে তাদের দুরে সরিয়ে দিয়েছেন ৷ “
এরপর তারা নাসতুরিয়্যা ও ইয়াকুবিয়্যা নামক আরো দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷
একদল অপর দলকে কাফির বলতে থাকে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীপণ চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে বলে
بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ وَكَانَ أَبُوهُ أَحَدَ مُلُوكِ الرُّومِ، وَتَزَوَّجَ أُمَّهُ هِيلَانَةَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ لِلصَّيْدِ مِنْ بِلَادِ حَرَّانَ وَكَانَتْ نَصْرَانِيَّةً عَلَى دِينِ الرَّهَابِينَ الْمُتَقَدِّمِينَ فَلَمَّا وُلِدَ لَهَا مِنْهُ قُسْطَنْطِينُ الْمَذْكُورُ تَعَلَّمَ الْفَلْسَفَةَ وَمَهَرَ فِيهَا، وَصَارَ فِيهِ مَيْلٌ بَعْضَ الشَّيْءِ إِلَى النَّصْرَانِيَّةِ الَّتِي أُمُّهُ عَلَيْهَا فَعَظَّمَ الْقَائِمِينَ بِهَا بَعْضَ الشَّيْءِ وَهُوَ عَلَى اعْتِقَادِ الْفَلَاسِفَةِ فَلَمَّا مَاتَ أَبَوْهُ، وَاسْتَقَلَّ هُوَ فِي الْمَمْلَكَةِ سَارَ فِي رَعِيَّتِهِ سِيرَةً عَادِلَةً فَأَحَبَّهُ النَّاسُ وَسَادَ فِيهِمْ، وَغَلَبَ عَلَى مَلِكِ الشَّامِ بِأَسْرِهِ مَعَ الْجَزِيرَةِ، وَعَظُمَ شَأْنُهُ.
وَكَانَ أَوَّلَ الْقَيَاصِرَةِ، ثُمَّ اتَّفَقَ اخْتِلَافٌ فِي زَمَانِهِ بَيْنَ النَّصَارَى، وَمُنَازَعَةٌ وَقَعَتْ بَيْنَ بِطْرِيقِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ إِكْصَنْدَرُوسَ وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنْ عُلَمَائِهِمْ يُقَالَ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْيُوسَ فَذَهَبَ إِكْصَنْدَرُوسَ إِلَى أَنَّ عِيسَى ابْنُ اللَّهِ، - تَعَالَى اللَّهُ عَنْ قَوْلِهِ - وَذَهَبَ ابْنُ أَرْيُوسَ إِلَى أَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَاتَّبَعَهُ عَلَى هَذَا طَائِفَةٌ مِنَ النَّصَارَى، وَأَصْفَقَ الْأَكْثَرُونَ الْأَخْسَرُونَ عَلَى قَوْلِ بِطَرِيقِهِمْ، وَمَنْعِ ابْنِ أَرْيُوسَ مِنْ دُخُولِ الْكَنِيسَةِ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، فَذَهَبَ يَسْتَعْدِي عَلَى إِكْصَنْدَرُوسَ وَأَصْحَابِهِ إِلَى الْمَلِكِ قُسْطَنْطِينَ، فَسَأَلَهُ الْمَلِكُ عَنْ مَقَالَتِهِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَرْيُوسَ مَا يَقُولُ فِي الْمَسِيحِ مِنْ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَاحْتَجَّ عَلَى
পৃষ্ঠা - ১১৭৯
ذَلِكَ فَمَالَ إِلَيْهِ، وَجَنَحَ إِلَى قَوْلِهِ فَقَالَ لَهُ قَائِلُونَ: فَيَنْبَغِي أَنْ تَبْعَثَ إِلَى خَصْمِهِ فَتَسْمَعُ كَلَامَهُ فَأَمَرَ الْمَلِكُ بِإِحْضَارِهِ، وَطَلَبَ مِنْ سَائِرِ الْأَقَالِيمِ كُلَّ أُسْقُفٍ، وَكُلَّ مَنْ عِنْدَهُ عِلْمٌ فِي دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ، وَجَمَعَ الْبَطَارِقَةَ الْأَرْبَعَةَ مِنَ الْقُدْسِ، وَأَنْطَاكِيَةَ وَرُومِيَّةَ وَالْإِسْكَنْدَرِيَّةَ فَيُقَالَ: إِنَّهُمُ اجْتَمَعُوا فِي مُدَّةِ سَنَةٍ وَشَهْرَيْنِ مَا يَزِيدُ عَلَى أَلْفَيْ أُسْقُفٍ.
فَجَمَعَهُمْ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ وَهُوَ الْمَجْمَعُ الْأَوَّلُ مِنْ مَجَامِعِهِمُ الثَّلَاثَةِ الْمَشْهُورَةِ، وَهُمْ مُخْتَلِفُونَ اخْتِلَافًا مُتَبَايِنًا مُنْتَشِرًا جِدًّا فَمِنْهُمُ الشِّرْذِمَةُ عَلَى الْمَقَالَةِ الَّتِي لَا يُوَافِقُهُمْ أَحَدٌ مِنَ الْبَاقِينَ عَلَيْهَا فَهَؤُلَاءِ خَمْسُونَ عَلَى مَقَالَةٍ، وَهَؤُلَاءِ ثَمَانُونَ عَلَى مَقَالَةٍ أُخْرَى، وَهَؤُلَاءِ عَشَرَةٌ عَلَى مَقَالَةٍ وَأَرْبَعُونَ عَلَى أُخْرَى وَمِائَةٌ عَلَى مَقَالَةٍ وَمِائَتَانِ عَلَى مَقَالَةٍ، وَطَائِفَةٌ عَلَى مَقَالَةِ ابْنِ أَرْيُوسَ، وَجَمَاعَةٌ عَلَى مَقَالَةٍ أُخْرَى فَلَمَّا تَفَاقَمَ أَمْرُهُمْ، وَانْتَشَرَ اخْتِلَافُهُمْ حَارَ فِيهِمُ الْمَلِكُ قُسْطَنْطِينُ، مَعَ أَنَّهُ سَيِّئُ الظَّنِّ بِمَا عَدَا دِينَ الصَّابِئِينَ مِنْ أَسْلَافِهِ الْيُونَانِيِّينَ فَعَمَدَ إِلَى أَكْثَرِ جَمَاعَةٍ مِنْهُمْ عَلَى مَقَالَةٍ مِنْ مَقَالَاتِهِمْ فَوَجَدَهُمْ ثَلَاثَمِائَةٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ أُسْقُفًا قَدِ اجْتَمَعُوا عَلَى مَقَالَةِ إِكْصَنْدَرُوسَ، وَلَمْ يَجِدْ طَائِفَةً بَلَغَتْ عِدَّتَهُمْ فَقَالَ: هَؤُلَاءِ أَوْلَى بِنَصْرِ قَوْلِهِمْ ; لِأَنَّهُمْ أَكْثَرُ الْفِرَقِ فَاجْتَمَعَ بِهِمْ خُصُوصًا، وَوَضْعَ سَيْفَهُ وَخَاتَمَهُ إِلَيْهِمْ، وَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرَ الْفِرَقِ قَدِ اجْتَمَعْتُمْ عَلَى مَقَالَتِكُمْ هَذِهِ فَأَنَا أَنْصُرُهَا
পৃষ্ঠা - ১১৮০
ষ্ষ্
ধারণা করতে থাকে ৷ কোন উপাসনালয়েই তাদের উভয় পক্ষকে একত্রিত হতে দেখা যেত না ৷
প্ৰত্যক দলই তিন মুল সত্তর প্রবক্তা ড়া-ছিল পিতা, পুত্র এবং কলেমা বা বাণী সত্তা ৷ কিন্তু
অতীদ্রিয় জগত ও পার্থিব স্রষ্টার অবত ৩াররুপে আগমন অথবা মড়ানবড়াকৃতির মধ্যে একাত্ম হওয়া
বিষয়ে তাদের মধ্যে চরম মতভেদ ছিল ৷ আল্লাহ তাআলা খােদ ঈসা (আ) এর রুপে অবতরণ
করেছিলেন, না কি তার মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন, না আ৷ল্পাহ্ ও ঈসা একীভুত সত্তা ভুক্ত এ
বিষয়ে তাদের মতবিরোধ চরমে পৌছেছিল ৷ এ কারণে তাদের কুফরী জঘন্য পর্যায়ে
পৌছেছিল ৷ মুলত তাদের সকল পক্ষই ছিল বাতিল, অসাত্যর অনুসারী ৷
অবশ্য আব্দুল্লাহ্ ইবন আরইউসের অনুসারীণণ যারা বলত যে, হযরত ঈসা (আ) আল্লাহ্র
বড়ান্দা ও রাসুল, আল্লাহ্র দাসীর সুত্র ও তার বাণী মারয়ামের প্রতি এ বাণী নিক্ষেপ করেছেন
এবং তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে রুহ রুপে আবির্ভুক্তত হয়েছিলেন তারা সত পন্থী ছিল ৷
মুসলমানরাও হযরত ঈসা (আ) সম্পর্কে অনুরুপ মত পোষণ করেন ৷ কিন্তু আরইউসী পন্থীগণ
যখন এই বিশ্বাসে অনমনীয় থাকে, তখন উপরোক্ত তিন ফির্ক; এসে তাদের উপর আক্রমণ
করল এবং তাদেরকে মেরে-কেটে ছত্রভঙ্গ করে দুরে তাড়িয়ে দিল ৷ ক্রাম ক্রমে তাদের সংখ্যা
হ্রাস পেতে পেতে অবশেষে এমন হয়ে গেল যে, এখন ঐ পন্থী কাউকেই দেখা যায় না ৷
অড়াল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
পুর্বতন নবীগণের বিবরণ বিষয়ক অধ্যায়
আল্লাহ্ তাআলা বলেন €
এই রাসুলগণ,ত তাদের কতককে অপর কতকের উপর শ্রেষ্ঠতু দিয়েছি ৷ তাদের মধ্যে এমন
কেউ কেউ রয়েছে, যার সাথে আল্লাহ্ কথা বলেছেন ৷ আবার কতককে উচ্চ মর্যাদার উন্নীত
করেছেন ৷ মারয়াম তনয় ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ প্রদান করেছি ও পবিত্র আত্মা দ্বারা তাকে
শক্তিশালী করেছি ৷ (২ বাকারা ২৫৩)
আল্লাহ্ তাআলা বলেন ল্
ঐ ও
মোঃম্পো ষ্এএঞ্জীএ এ্যা“টীস্
শ্
০ এ ;
وَأَذْهَبُ إِلَيْهَا فَسَجَدُوا لَهُ، وَطَلَبَ مِنْهُمْ أَنْ يَضَعُوا لَهُ كِتَابًا فِي الْأَحْكَامِ، وَأَنْ تَكُونَ الصَّلَاةُ إِلَى الشَّرْقِ ; لِأَنَّهَا مَطْلِعُ الْكَوَاكِبِ النَّيِّرَةِ، وَأَنْ يُصَوِّرُوا فِي كَنَائِسِهِمْ صُوَرًا لَهَا جُثَثٌ فَصَالَحُوهُ عَلَى أَنْ تَكُونَ فِي الْحِيطَانِ فَلَمَّا تَوَافَقُوا عَلَى ذَلِكَ أَخَذَ فِي نَصْرِهِمْ، وَإِظْهَارِ كَلِمَتِهِمْ وَإِقَامَةِ مَقَالَتِهِمْ، وَإِبْعَادِ مَنْ خَالَفَهُمْ وَتَضْعِيفِ رَأْيِهِ وَقَوْلِهِ، فَظَهَرَ أَصْحَابُهُ بِجَاهِهِ عَلَى مُخَالِفِهِمْ وَانْتَصَرُوا عَلَيْهِمْ، وَأَمَرَ بِبِنَاءِ الْكَنَائِسِ عَلَى دِينِهِمْ، وَهُمُ الْمَلِكِيَّةُ ; نِسْبَةً إِلَى دِينِ الْمَلِكِ فَبُنِيَ فِي أَيَّامِ قُسْطَنْطِينَ بِالشَّامِ وَغَيْرِهَا فِي الْمَدَائِنِ وَالْقُرَى أَزِيدُ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أَلْفَ كَنِيسَةٍ، وَاعْتَنَى الْمَلِكُ بِبِنَاءِ بَيْتِ لَحْمٍ يَعْنِي عَلَى مَكَانِ مَوْلِدِ الْمَسِيحِ، وَبَنَتْ أُمُّهُ هِيلَانَةُ قُمَامَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ عَلَى مَكَانِ الْمَصْلُوبِ الَّذِي زَعَمَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى بِجَهْلِهِمْ، وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ أَنَّهُ الْمَسِيحُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَتَلَ مَنْ عَدَا أُولَئِكَ، وَخَدَّ لَهُمُ الْأَخَادِيدَ فِي الْأَرْضِ، وَأَجَّجَ فِيهَا النَّارَ وَأَحْرَقَهُمْ بِهَا، كَمَا ذَكَرْنَاهُ فِي سُورَةِ الْبُرُوجِ.
وَعَظُمَ دِينُ النَّصْرَانِيَّةِ، وَظَهَرَ أَمْرُهُ جِدًّا بِسَبَبِ الْمَلِكِ قُسْطَنْطِينَ وَقَدْ أَفْسَدَهُ عَلَيْهِمْ فَسَادًا لَا صَلَاحَ لَهُ وَلَا نَجَاحَ مَعَهُ وَلَا فَلَاحَ عِنْدِهِ، وَكَثُرَتْ أَعْيَادُهُمْ بِسَبَبِ عُظَمَائِهِمْ، وَكَثُرَتْ كَنَائِسُهُمْ عَلَى أَسْمَاءِ عُبَّادِهِمْ، وَتَفَاقَمَ كُفْرُهُمْ، وَغَلُظَتْ مُصِيبَتُهُمْ، وَتَخَلَّدَ ضَلَالُهُمْ، وَعَظُمَ وَبَالُهُمْ، وَلَمْ يَهْدِ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ وَلَا
পৃষ্ঠা - ১১৮১
ষ্ষ্
“আমি আপনার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীপহ্বণর নিকট প্রেরণ
করেছিলাম ৷ ইব্রাহীম , ইসমাঈল , ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ ঈসা , আইয়ুব, ইউনুস
হারুন এবং সুলায়মানের নিকট ওহী প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে যাবুর দিয়েছিলাম ৷ আমি
অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি যাদের কথা পুর্বে তোমাকে বলেছি এবং অনেক রাসুল যাদের কথা
আমি বলিনি ৷ এবং মুসার সাথে আল্লাহ সাক্ষাত বাক্যালাপ করেছিলেন ৷ আমি সৃসংবাদবাহী ও
সাবধানকারী রাসুল প্রেরণ করেছি যাতে রাসুল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন
অভিযোগ না থাকে ৷ এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় ৷ (৪ নিসা ১৬৩ ১৬৫ )
ইবন হিব্বান তার সহীহ গ্রন্থে ইবন মারদুয়েহ তার তাফসীর গ্রন্থে এবং অন্যান্য অনেকে
আবুযর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করি , ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) !
নবীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেন, এক লাখ চব্বিশ হাজার ৷ আমি আবার বললাম , ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তাদের মধ্যে রাসুল কতজন? তিনি বললেন ৩১৩ জন, তাদের সংখ্যা প্রচুর ৷
আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তাদের মধ্যে সর্বপ্রথ্যা কে ছিলেনা তিনি বললেন, আদম
(আ) ৷ আমি বললাম, তিনি কি রিসালাতপ্রাপ্ত নবী ? তিনি বললেন, হীন্ব ৷ আল্লাহ তাআলা
র্তাকে আপন হাতে তৈরী করেছেন ৷ তার মধ্যে তার রুহ কুকে দিয়েছেন ৷ তারপর তাকে প্রথম
মানবরুপে তৈরী করেছেন ৷ এরপর রাসুলল্পাহ্ (সা) বললেন, হে আবু যর ! ৪জন নবী সুরয়ানী
ভাষাভাষি তারা হলেন আদম, শীছ, নুহ ও খানুখ অর্থাৎ ইদরীস (আ) ৷ হযরত ইদরীস সর্বপ্রথম
কলম ব্যবহার করেন ৷ : জন নবী আরব বংশোদ্ভুত ৷ হুদ, সালিহ, শুআয়ব, ও তোমাদের এই
নবী ৷ হে আবুযর ৷ বনী ইসরাঈল বংশীয় প্রথম নবী হযরত মুসা (আ) ৷ আর তাদের গোত্রভুক্ত
শেষ নবী হযরত ঈসা (আ) ৷ সর্বপ্রথম নবী হচ্ছেন হযরত আদম (আ) এবং সর্বশেষ নবী
তোমাদের নবী ৷ আবুল ফয়জ ইবন জাওযী এ হাদীসকে বানােয়াট বলে অভিহিত করেছেন ৷
ইবন আবী হাতিয আবু উমামা (র) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বলেছিলড়াম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! নবীগণের সংখ্যা কত? তিনি বললেন, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার ৷ তন্মধ্যে
রাসুল ৩১৫ জন ৷ তাদের সংখ্যা অনেক ৷ এই সনদটিও দুর্বল ৷ বর্ণনড়াকাবী মাআয , তার শায়খ
এবং এই শায়খের শায়খ তারা তিনজনই দুর্বল বর্ণনাকারী ৷
আবু ইয়ালা মাওসেলী আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন আল্লাহ্ তাআলা আট হাজার নবী প্রেরণ করেছেন ৷ চার হাজার
বনী ইসরাঈলের প্রতি আর চার হাজার অন্য সকল লোকের প্রতি ৷ এই বর্ণনার দুজন বর্ননাকারী
মুসা ও তার শায়খ উভয়ে দুর্বল রাবী ৷
আবু ইয়ালা আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন ,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, আমার পুর্বসুরী নবীগণের সংখ্যা ছিল আট হাজার ৷ তারপর
আসেন ঈসা (আ), তারপর আমি ৷ এই সনদে ইয়াযীদ রক্কাশী দুর্বল রাবী ৷
হাকিম আবু বকর আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে অনুরুপ আরেকটি হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৮-
أَصْلَحَ بَالَهُمْ بَلْ صَرَفَ قُلُوبَهُمْ عَنِ الْحَقِّ، وَأَمَالَ عَنِ الِاسْتِقَامَةِ حَالَهُمْ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا بَعْدَ ذَلِكَ مَجْمَعَيْنِ فِي قَضِيَّةِ النُّسْطُورِيَّةِ وَالْيَعْقُوبِيَّةِ، وَكُلُّ فِرْقَةٍ مِنْ هَؤُلَاءِ تُكَفِّرُ الْأُخْرَى، وَتَعْتَقِدُ تَخْلِيدَهُمْ فِي نَارِ جَهَنَّمَ وَلَا تَرَى مُجَامَعَتَهُمْ فِي الْمَعَابِدِ وَالْكَنَائِسِ، وَكُلُّهُمْ يَقُولُ بِالْأَقَانِيمِ الثَّلَاثَةِ: أُقْنُومِ الْأَبِ، وَأُقْنُومِ الِابْنِ، وَأُقْنُومِ الْكَلِمَةِ، وَلَكِنْ بَيْنَهُمُ اخْتِلَافٌ فِي الْحُلُولِ وَالِاتِّحَادِ فِيمَا بَيْنُ اللَّاهُوتِ وَالنَّاسُوتِ هَلْ تَدَرَّعَهُ أَوْ حَلَّ فِيهِ أَوِ اتَّحَدَ بِهِ، وَاخْتِلَافُهُمْ فِي ذَلِكَ شَدِيدٌ، وَكُفْرُهُمْ بِسَبَبِهِ غَلِيظٌ، وَكُلُّهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ إِلَّا مَنْ قَالَ مِنَ الْأَرْيُوسِيَّةِ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَرْيُوسَ: إِنَّ الْمَسِيحَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ وَابْنُ أَمَتِهِ، وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ. كَمَا يَقُولُ الْمُسْلِمُونَ فِيهِ سَوَاءٌ، وَلَكِنْ لَمَّا اسْتَقَرَّ أَمْرُ الْأَرْيُوسِيَّةِ عَلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ تَسَلَّطَ عَلَيْهِمُ الْفَرْقُ الثَّلَاثَةُ بِالْإِبْعَادِ وَالطَّرْدِ حَتَّى قَلُّوا فَلَا يُعْرَفُ الْيَوْمَ مِنْهُمْ أَحَدٌ فِيمَا نَعْلَمُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.