আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

فصل موقف المسلم مما يذكره أهل الكتاب من قصصهم

পৃষ্ঠা - ১১৭০
ষ্ষ্


হয় এবং উক্ত উযায়র নবী হয়ে থাকেন তবে তাতে তাওয়াতুর বা সন্দেহাত্তীত প্ৰসিদ্ধি বিনষ্ট
হবে না ৷ কারণ নবী নিম্পাপ ৷ নিষ্পাপ ব্যক্তি পর্যন্ত যথাযথভ৷ ৷বে পৌছাই যথেষ্ট ৷ অবশ্য, যদি
কেউ বলেন যে, তার নিকট থেকেত তাওয়াতুর বা স্যান্দহাভীত প্ৰসিদ্ধি সুত্রে পৌছেস্লি, তাহলে
সমস্যা থেকে যাবে ৷ এই সমস্যা নিরসনে এ-ও বলা যায় যে, বুখত নসরের শাসনামলের পর
যাকাবিয়্যা, ইয়াহয়া ও ঈসা (আ) প্রমুখ নবীগণ এসেছেন ৷ তারা সবাই তাওরাতের অনুসরণ
করেছেন তাওরাত যদি বিশুদ্ধরুপে বিদ্যমান ও আমলযোপ্য না থাকত তবে তারা সেটির উপর
নির্ভর করতেন না ৷ত তারা তো নিম্পাপ নবী ৷

ইহুদীগণ যা সত্য বলে বিশ্বাস করতো কুমতলব হাসিলের উদ্দেশ্য তা থেকে তারা সরে
যেত ৷ বিচার মীমাত্সার জন্যে৩ তাদেরকে অনিবার্যভাবে রাসৃলুল্লাহ (সা) এর নিকট যেতে
আদেশ দেয়া সত্বেও তারা রাসুলের আনীত বিধানকে প্রত্যাখ্যান করত ৷ অবশ্য তাদের
বানােয়াট ও স্বরচিত কিছু কিছু বিষযকে তারা সত্য বলে বিশ্বাস করুত ৷ যা মুলত আল্লাহর
নির্দেশের পবিপন্থী ৷ যেমন ব্যভিচারের শাস্তি স্বরুপ বেত্রাঘাত ও মুখে চ্নকালি (মখে দেয়া ৷
এটি অবশ্যই আল্লাহর নির্দেশে ৷র সরাসরি বিরোধী ৷৩ তারা বলেছিল তোমাদের জন্যে বিধান হল
বেত্রাঘাত ও মুখে কালি যেখে দেয়া, তামর৷ এটি গ্রহণ কর, কিয়ামণ্ডে র দিনে আল্লাহর নিকট
এ বলে তোমরা ওযর পেশ করতে পারবে যে, তোমরা একজন নবীর হুকুম পালন করেছ ; আর
যদি এই নবী তোমাদের জন্যে বেত্রাঘাত ও মুখে কালি মাখা’ শাস্তির নির্দেশ না দিয়ে রজম
(প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ডের) নির্দেশ দেন, তবে তোমরা তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে ৷ সত্য
দীনের বিপরীতে তাদের দুষ্ট মনের প্ররােচণ৷ ও কু-প্ৰবৃত্তির অনুসরণের এই অসৎ উদ্দেশ্য
প্রত্যাখ্যান করে ৷

আল্লাহ তাআলা বলেন :
’ ; , বু ব্লু



াস্পোা

“তারা ওে ৷মার উপর কীভা ৷বে বিচ৷ ৷রভা র ন্যস্ত করবে অথচ তাদের নিকট রয়েছে তাওরাত

যাতে আল্লাহর আদেশ আছে, এরপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নয় এবং তারা মু মিন নয় ৷ নিশ্চয়

আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছি ৷ তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো ৷ নবীগণ, যারা আল্লাহর

অনুগত ছিল তারা ইহুদীদেরকে সে অনুযায়ী বিধান দিত রব্বানীগণ এবং বিদ্বানগণ কারণ
তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল ৷ ” (৫ মায়িদ৷ : ৪ : : ৫ )


[فَصْلٌ مَوْقِفُ الْمُسْلِمِ مِمَّا يَذْكُرُهُ أَهْلُ الْكِتَابِ مِنْ قِصَصِهِمْ] فَصْلٌ وَأَخْبَارُ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَثِيرَةٌ جِدًّا فِي الْكِتَابِ، وَفِي السُّنَّةِ النَّبَوِيَّةِ وَلَوْ ذَهَبْنَا نَتَقَصَّى ذَلِكَ لَطَالَ الْكِتَابُ، وَلَكِنْ ذَكَرْنَا مَا ذَكَرَهُ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُخَارِيُّ فِي هَذَا الْبَابِ فَفِيهِ مَقْنَعٌ وَكِفَايَةٌ وَهُوَ تَذْكِرَةٌ، وَأُنْمُوذَجٌ لِهَذَا الْبَابِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا الْأَخْبَارُ الْإِسْرَائِيلِيَّةُ مِمَّا يَذْكُرُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ وَالْمُؤَرَّخَيْنِ فَكَثِيرَةٌ جِدًّا، وَمِنْهَا مَا هُوَ صَحِيحٌ مُوَافِقٌ لِمَا وَقَعَ وَكَثِيرٌ مِنْهَا - بَلْ أَكْثَرُهَا - مِمَّا يَذْكُرُهُ الْقُصَّاصُ مَكْذُوبٌ مُفْتَرًى، وَضَعَهُ زَنَادِقَتُهُمْ وَضُلَّالُهُمْ، وَهِيَ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ: مِنْهَا مَا هُوَ صَحِيحٌ لِمُوَافَقَتِهِ مَا قَصَّهُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ أَوْ أَخْبَرَ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْهَا مَا هُوَ مَعْلُومُ الْبُطْلَانِ لِمُخَالَفَتِهِ كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ، وَمِنْهَا مَا يَحْتَمِلُ الصِّدْقَ وَالْكَذِبَ فَهَذَا الَّذِي أُمِرْنَا بِالتَّوَقُّفِ فِيهِ فَلَا نُصَدِّقُهُ وَلَا نُكَذِّبُهُ; لِمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ «إِذَا حَدَّثَكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَلَا تُصَدِّقُوهُمْ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا: آمَنَّا بِالَّذِي أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَأُنْزِلَ الَيْكُمْ» وَتَجُوزُ رِوَايَتُهُ مَعَ هَذَا الْحَدِيثِ الْمُتَقَدِّمِ «وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ.» .