كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم
قصة الملكين التائبين
পৃষ্ঠা - ১১৫৯
[قِصَّةُ الْمَلِكَيْنِ التَّائِبَيْنِ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «بَيْنَمَا رَجُلٌ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانَ فِي مَمْلَكَتِهِ فَتَفَكَّرَ فَعَلِمَ أَنَّ ذَلِكَ مُنْقَطِعٌ عَنْهُ، وَأَنَّ مَا هُوَ فِيهِ قَدْ شَغَلَهُ عَنْ عِبَادَةِ رَبِّهِ فَتَسَرَّبَ فَانْسَابَ ذَاتَ لَيْلَةٍ مِنْ قَصْرِهِ فَأَصْبَحَ فِي مَمْلَكَةِ غَيْرِهِ، وَأَتَى سَاحِلَ الْبَحْرِ وَكَانَ بِهِ يَضْرِبُ اللَّبِنَ بِالْأَجْرِ فَيَأْكُلُ وَيَتَصَدَّقُ بِالْفَضْلِ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى رَقِيَ أَمْرُهُ إِلَى مِلْكِهِمْ وَعِبَادَتُهُ وَفَضْلُهُ فَأَرْسَلَ مَلِكُهُمْ إِلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَهُ فَأَبَى أَنْ يَأْتِيَهُ فَأَعَادَ ثُمَّ أَعَادَ إِلَيْهِ فَأَبَى أَنْ يَأْتِيَهُ، وَقَالَ: مَا لَهُ وَمَا لِي؟ قَالَ: فَرَكِبَ إِلَيْهِ الْمَلِكُ فَلَمَّا رَآهُ الرَّجُلُ، وَلَّى هَارِبًا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْمَلِكُ رَكَضَ فِي أَثَرِهِ فَلَمْ يُدْرِكْهُ قَالَ: فَنَادَاهُ يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْكَ مِنِّي بَأْسٌ، فَقَامَ حَتَّى أَدْرَكَهُ فَقَالَ لَهُ: مَنْ أَنْتَ رَحِمَكَ اللَّهُ؟ فَقَالَ أَنَا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ صَاحِبُ مُلْكِ كَذَا وَكَذَا، تَفَكَّرْتُ فِي أَمْرِي فَعَلِمْتُ أَنَّ مَا أَنَا فِيهِ مُنْقَطِعٌ فَإِنَّهُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ১১৬০
ষ্ষ্
অনুরুপভাবে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন
ঢু;াটু ৷প্রুষ্ট্রটুছুহু ব্লু৷ ৷টুছুটু৷ টুর্দুওর্দু৷ ৷ ঢুগ্লুর্দু৷ ৷ঠু
তোমরা রাসুলকে সম্বোধন করে # ৷টু বলো না বরং ;টুা ৷ (আমাদের প্রতি তাকান)
বলবে, আর তোমরা শোন, কাফিরদের জন্যে রয়েছে মর্যস্তুদ শাস্তি ৷ আলোচ্য আঘাতের
প্রেক্ষাপট এই যে, ক ফিবগণ রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে কথা বলার সময় “আমাদের দিকে
তাকান এবং আমাদের কথা শুনুন” বুঝানোর জন্যে বলত ৷শ্রোটু ( ; ৷ শব্দটি মুলত
দ্ব্যর্থবোধক উপরোক্ত অর্থ ছাড়া ও মুর্থ অর্থেও এটি ব্যবহৃত হয়) ৷ ৷;; ৷ শব্দ ব্যবহার করে
তারা “ হে আমাদের মুর্থ ব্যক্তির” অর্থ বুঝাত ৷ ঈমানদারগণে ৷ৱ কেউ উক্ত শব্দ ব্যবহার করলে
কখনোই তাদের মনে উক্ত অর্থের লেশ ম এ থাকবে না; তবুও তাদেরকে এরুপ বলতে নিষেধ
করা হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ ও তিরমিযী (র) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে নবী কৰীম (সা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেনং :
চুেটুন্ম্৷ র্দু,ষ্টু টু ষ্ঠ্টু
০ :
“কিয়ামণ্ডে র নিকটবর্তী কালে আমি প্রেরিত হয়েছি তররাবি সহকারে, যতক্ষণ না
সামগ্রিকভা ৷বে একক লা-শরীক আল্লাহর ইবাদত করা হবে, আমার বর্শার ছ যায় আমার রিয্ক
নিহিত ৷ লাঞ্চুনা ও হীনত৷ সে ব্যক্তির জন্যে, যে আমার নির্দেশের বিরোধিতা করবে ৷ যে ব্যক্তি
যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত ৷
সুতরাং ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানদের সাথে সামঞ্জস্য রাখা কোন মুসলমানের জন্যে মোটেই সমীচীন
নয় ৷ তাদের আনন্দ উৎসব, মেলা পার্বন কিৎব৷ পুজা-অর্চনা কোন ক্ষেত্রেই তাদের সাথে
সামঞ্জস্য রাখা উচিত নয় ৷ কারণ আল্লাহ তাআ ৷ল৷ এই উম্মতকে সর্বশেষ নবী দ্বারা ৷মহিমাম্বিভ
করেছেন ৷ তিনি তার জন্যে পরিপুর্ণ, সামগ্রিক সুদৃঢ় ও মহান দীন ও শরীয়ত দান করেছেন ৷
এমন যে তাওরাতপ্রাপ্ত হযরত মুসা ইবন ইমরান এবং ইনজীলপ্রাপ্ত হযরত ঈস৷ ইবন মারয়াম
(আ) যদি জীবিত থাকতেন তবে এই পবিত্র শরীয়ণ্ডে র বর্তমানে তাদের কো ন শরীয়ত থাকতো
সম্মানিত ও পবিত্র শরীয়ভ্রুতর অনুসরণ ছাড়া তাদের গত্যম্ভর থাকতো না ৷
আল্লাহ তাআলা যখন আমাদেরকে হযরত মুহাম্মদ (না)-এর অনুসারী বানিয়ে অনুগৃহীত
করেছেন, তাই যে সম্প্রদায় ইতিপুর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং পােমরাহ ও পথভ্রষ্ট করেছে এবং
شَغَلَنِي عَنْ عِبَادَةِ رَبِّي فَتَرَكْتُهُ وَجِئْتُ هَاهُنَا أَعْبُدُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَنْتَ بِأَحْوَجَ إِلَى مَا صَنَعْتَ مِنِّي. قَالَ: ثُمَّ نَزَلَ عَنْ دَابَّتِهِ فَسَيَّبَهَا ثُمَّ تَبِعَهُ فَكَانَا جَمِيعًا يَعْبُدَانِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَدَعَوَا اللَّهَ أَنْ يُمِيتَهُمَا جَمِيعًا قَالَ: فَمَاتَا. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَلَوْ كُنْتُ بِرُمَيْلَةِ مِصْرَ، لَأَرَيْتُكُمْ قُبُورَهُمَا، بِالنَّعْتِ الَّذِي نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الْغَافِرِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ رَجُلًا كَانَ قَبْلَكُمْ رَغَسَهُ اللَّهُ مَالًا فَقَالَ لِبَنِيهِ لَمَّا حُضِرَ: أَيَّ أَبٍ كُنْتُ لَكُمْ؟ قَالُوا: خَيْرَ أَبٍ. قَالَ: فَإِنِّي لَمْ أَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ فَاذَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اسْحَقُونِي، ثُمَّ اذْرُونِي فِي يَوْمٍ عَاصِفٍ. فَفَعَلُوا فَجَمَعَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ؟ قَالَ: مَخَافَتُكَ. فَتَلَقَّاهُ بِرَحْمَتِهِ» . وَرَوَاهُ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ عَنْ قَتَادَةَ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ১১৬১
ষ্ষ্
নিজেরা সত্যপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, সে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করা কী করে আমাদের জন্যে
সমীচীন হবে? ঐ সম্প্রদায় তো তাদের দীনকে পরিবর্তিত করেছে, বিকৃত করেছে এবং তার ভুল
ব্যাখ্যা দিয়েছে ৷ শেষে তারা এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছে যেন কখনো তাদের প্রতি কোন
শরীয়ত নাযিলই হয়নি ৷ পরবত ড এ শরীয়ত তো রহিতই হয়ে গিয়েছে ৷ রহিত এবং
বাতিলকৃত দীনের অনুসরণ করা হারাম ৷ কেউ তা অনুসরণ করলে তার ছোট-বড় কোন আমল
আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন না ৷ যা আদৌ শরীয়তরুপে নির্ধারিত হয়নি, তার মধ্যে আর এ
বাতিলকৃত শরীয়তের মধ্যে কােন পার্থক্য নেই ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথপ্ৰদর্শন করেন
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বৃখারী ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ ( সা ) বলেছেন, তোমাদের
পুর্ববর্তী উম্মতদের মেয়াদের তুলনায় তোমাদের মেয়াদ হল আসরের নামায থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত
সময়ের ন্যায় ৷ তোমাদের এবং ইয়াহুদী-নাসারাদের উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তির ন্যায়, যে
কতক কর্মচারী নিয়ােগের ইচ্ছা করল ৷ সে বলল, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রত্যেকে এক
কীরাত করে পাবে ৷ প বিএমিকেব বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী? এ প্রেক্ষিতে
এক কীরাণ্ডে তর বিনিময়ে ইয়াহুদীগণ ৷৷সক ল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করল ৷৩ তারপর ওই লোক
বলল, দুপুর থেকে আসরের নামায়ের সময় পর্যন্ত এক কীরাত ৷ এক কীরাত পারিশ্রযিকের
বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী ? এ প্রেক্ষিতে নাসারাগণ এক কীরাতের বিনিময়ে
দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত কাজ করল ৷
তারপর ঐ ব্যক্তি বলল, আসরের নামায়ের সময় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রণ্ডে তাকে দু কীবা
পরিশ্রমিকের বিনিময়ে আমার কাজ করার কেউ আছে কী? জেনে রেখ, হে আমার উম্মত
তোমরা এখন আসর থেকে মাগবিব পর্যন্ত দু র্কীবাভ্রু তর বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছ ৷ জেনে ব্লেখ,
তোমাদের পারিশ্রমিক হল ওদের দ্বিগুণা
তাতে ইয়াহুদী ও নাসড়ারাগণ ক্ষুব্ধ হলো এবং বলল, আমরা কাজ করলাম বেশী আর
পারিশ্রমিক পেলাম কম ! আল্লাহ তাআলা বললেন, “আমি কিন্তু আমাদের পাওন৷ পরিশোধের
ব্যপারে জুলুম করেছি? তারা বলল, না’ ৷ আল্লাহ তা জানা বললেন, ওদেরকে যে দ্বিগুণ দিচ্ছি
তা আমার অনুগ্রহ ৷ আমি যাকে চাই, আমার অনুগ্রহ দান করি ৷”
আলোচ্য হাদীস থানা প্রমাণ করে যে, অতীত উম্মতদের মেয়াদের তুলনায় এ উম্মতের
মেয়াদকম হবে ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন
স্পো ৷
“ণ্ত ৷মাদের পুর্ববর্তী উন্মতদের মেয়াদের অনুপাতে তোমাদের মেয়াদ হল আসর থেকে
মাগরিব পর্যন্ত সময়ের ন্যায় ৷ ” অবশ্য পুর্ববর্তী উস্মতদের সাকুল্য মেয়াদ কত টুকু ছিল,ত
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জানা নেই ৷ তদ্রাপ এই উম্মন্ব তর সাকুল্য মেয়াদ কতটুকু হবে
الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا ابْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ رَجُلٌ يُدَايِنُ النَّاسَ، فَكَانَ يَقُولُ لِفَتَاهُ: إِذَا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عَنْهُ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَتَجَاوَزَ عَنَّا. قَالَ: فَلَقِيَ اللَّهَ فَتَجَاوَزَ عَنْهُ» وَقَدْ رَوَاهُ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَعَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّاعُونِ؟ قَالَ أُسَامَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطَّاعُونُ رِجْسٌ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ - أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ - فَاذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ
পৃষ্ঠা - ১১৬২
بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» قَالَ أَبُو النَّضْرِ: لَا يُخْرِجُكُمْ إِلَّا فِرَارًا مِنْهُ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَمِنْ طُرُقٍ أُخَرَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ.
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الطَّاعُونِ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ عَذَابٌ يَبْعَثُهُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَأَنَّ اللَّهَ جَعَلَهُ رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِينَ لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِي بَلَدِهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا يَعْلَمُ أَنَّهُ لَنْ يُصِيبَهُ إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ شَهِيدٍ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُسْلِمٍ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا: مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلَّا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ: أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ، ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ، وَايْمُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا» وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ مِنْ طُرُقٍ عَنِ
পৃষ্ঠা - ১১৬৩
ষ্ষ্
তা-ও আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না ৷ তবে এটা ঠিক যে, পুর্ববর্তী উম্মতের
মেয়াদের তুলনায় এ উম্মতের মেয়াদ কম ৷ কিন্তু ঐ মেয়াদের কতটুকু এখনও অবশিষ্ট আছে,
তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন ৷
এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন স্পো ৰু৷ ৷ ৰুট্র ট্রু৷ ধ্£১ ছু৷ শুধু তিনিই যথাসময়ে তা
প্রকাশ করবেন ৷ ’ ’ ’
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন :
গ্রিট্রুৰু)
া
৷ ’
“ওরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত সম্পর্কে, <নটি কখন ঘটবো এটির আলোচনার
সাথে আপনার কী সম্পর্ক? এটির চরম জ্ঞান আছে আপনার প্রতিপালকের নিকট ৷ রাসুলুল্লাহ
(না)-এর পরে পৃথিবী হাজার বছর আবু পাবে না বলে যে ক্রাশ্রুতি মশহুর রয়েছে, তা আদৌ
কোন হাদীস নয় ৷
, এ বিষয়ে অবশ্য অন্য একটি হাদীস রয়েছে ৷ সেটি হল ট্টছু;ছু ং;,,, ৰুগ্১ ৷ৰু ট্রুৰু ৷ টু) ৷
ম্ভট্রু$১৷ ! দুনিয়া হল আখিরাতের জুমা সমুহের মধ্যকার একটি জুমাশ্(সপ্তাহ) বরাবর মাত্র ৷
তার এ হাদীসের বিশুদ্ধতায় সন্দেহ রয়েছে ৷ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত উদাহরণ প্রদানের উদ্দেশ্য
হল তাদের হওয়ার ও পারশ্রমিকের তারতম্য বর্ণনা করা এবং এটাও জানিয়ে দেয়া যে,
ছওয়াবের প্রাচুর্য ও কমতি কর্মের পরিমাণের উপর নির্জাশীল নয়; বরং এটি নির্ভর করে অন্য
বিষয়ের উপর, যা আল্লাহ্র নিকট অত্যন্ত গুরুতুপুর্ণ ৷ এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে স্বল্প
আমল দ্বারা এমন প্রচুর ছওয়াব অর্জন করা যায়, যা অন্যখানে বেশী আমল দ্বারা অর্জন করা যায়
না ৷ যেমন লায়লাতুল কদর ৷ এই রাতে ইবাদত করা লাইলাতুল কদর বিহীন হাজার মাস
ইবাদত করা অপেক্ষা উত্তম ৷ অরুপ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর সাহাবীগণ ৷ তারা এমন
এক সময়ে আল্লাহ্র পথে দান করেছেন যে, অন্যরা উহুদ পর্বত সমান স্বর্ণ আল্লাহ্র পথে দান
করলেও সাহাবীগণের ঐ পরিমাণ বা তার অর্ধেক দানেরও সমান হবে না ৷ আর রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে তার ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তাআলা নবুওত দান করেন এবং ৬৩ বছর বয়সে র্তাকে
দুনিয়া থেকে তুলে নেন, এটাই প্রসিদ্ধ মত ৷
২৩ বছরের এই স্বল্প মেয়াদে তিনি কল্যাণকর জ্ঞান ও সৎকর্মে সকল নবী (আ)-কে
অতিক্রম করে গিয়েছেন ৷ এমন কি নুহ (আ) যিনি দীর্ঘ ৯৫০ বছর তার সম্প্রদায়কে লা-শরীক
আল্লাহ্র ইরাদতের প্রতি দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং দিনে-রাতে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ্র
ইৰাদতে নিয়োজিত ছিলেন; তার উপরও রাসুলুল্লাহ (সা) শ্রেষ্ঠতৃ অর্জন করেছেন ৷ তার সকল
নবীর উপর সালাত ও সালাম বর্ধিত হোক ৷ এই উষ্মত, তারা গৌররাম্বিত হয়েছে এবং দ্বিগুণ
ছওয়াবের অধিকারী হয়েছে তাদের নবীর শ্রেষ্ঠতৃ, মাহড়াত্ম্য ও সম্মানের বরকতে ৷ এ প্রসৎগে
আল্লাহ তাআলা বলেন :
اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: وَقَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ سَمِعْتُ النَّزَّالَ بْنَ سَبْرَةَ الْهِلَالِيَّ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ «سَمِعْتُ رَجُلًا قَرَأَ آيَةً، وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ خِلَافَهَا فَجِئْتُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَعَرَفْتُ فِي وَجْهِهِ الْكَرَاهِيَةَ، وَقَالَ: كِلَاكُمَا مُحْسِنٌ وَلَا تَخْتَلِفُوا فَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ اخْتَلَفُوا فَهَلَكُوا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا ابْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: قَالَ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبِغُونَ فَخَالِفُوهُمْ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ، وَفِي سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ «صَلُّوا فِي نِعَالِكُمْ خَالِفُوا الْيَهُودَ.» .
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،
পৃষ্ঠা - ১১৬৪
ষ্ষ্
ট্রু;ৰু
স্শ্ গ্রা০শ্
১১ ধ্র্বু ;বুণ্,র্বু,
“হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তার রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তিনি
র্তারঅনুগ্নহে তােমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তােমাদেরদ্বহুক দিবেন আলো , যার
সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তিনি ভোমাদেরকে ক্ষমা করবেন ৷ আল্লাহ ক্ষমড়াশীল, পরম দয়ালু ৷
এটি এজ্যন্য যে, কিতাবীগণ যেন জানতে পারে , আল্লাহ্র সামান্যতম অনুপ্রহের উপরও তাদের
কোন অধিকার নেই ৷ অনুগ্রহ আল্লাহ্রই ইখতিয়ড়ারে , যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি তা দান করেন ৷
আল্লাহ মহা অনুগ্নহশীল ৷
অধ্যায় : কুরআন করীমে এবং রাসুলুল্লাহ (না)-এর হাদীসে বনী ইসরাঈল সম্পর্কে বহু
বিবরণ রয়েছে ৷ তার সবগুলো যদি আমরা উল্লেখ করতে যাই তবে গ্রন্থটির কলেবর বেড়ে
যাবে ৷ ইমাম বুখাবী (বা) যা উল্লেখ করেছেন আমরা সেগুলেইি এই কিভাবে উল্লেখ করলাম ৷
এতটুকুই যথেষ্ট, এ অধ্যায়ের জন্যে এগুলো স্মারক ও নমুনা ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷ (৫ ৭
হাদীদ : ২৮ ২৯ )
ইসরাঈলীদের থেকে বর্ণিত তাদের বর্ণনা, যেগুলো অনেক তাফসীরকার ও ঐতিহাসিকগণ
উল্লেখ করেছেন, তার সংখ্যা তো বহু, এগুলোর কিছু কিছু সঠিক এবং প্রকৃত ঘটনার অনুকুল
বটে; কিংল্লু অধিকাৎশ হল মিথ্যা, অসত্য ও বানােয়াট ৷ তাদের পথভ্রষ্ট ও সতাত্যাগী লোকেরা
এগুলো রটনা করেছে এবং তাদের কাহিনীকাররা প্রচার করেছে ৷
ইসরাঈলী বর্ণনাগুলো তিন প্রকার ৷ (১) কতক বর্ণনা সঠিক ৷ আল্পাহ্র কুরআনে বর্ণিত
এবং রাসুলুল্লাহ (না)-এর হাদীসে বিবৃত ঘটনাসমুহের অনুরুপ (২) কতক বর্ণনা এরুপ যে,
কুরআন ও হড়াদীসের সরাসরি বিপরীত হওয়ার কারণে এগুলোর অসত্য ও বানোয়াট হওয়া
সুস্পষ্ট (৩) কতক এমন যে, এগুলো সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে ৷ এ জাতীয়
বর্ণনাগুলাে সম্পর্কেই আমাদেরকে নীরব থাকতে বলা হয়েছে যে, আমরা এগুলোকে সত্যও
বলব না, মিথ্যাও বলব না ৷ বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
০ শ্ষ্ ষ্া
ৰুথু১ংম্ট্র এে’ ৰুথু১ংও
ইয়াহুদী-নাসারাগণ যখন তেড়ামাদের নিরুট (কান কথা পেশ করে তখন ণ্তামরা তাদেরকে
সত্যবাদীও সব্যস্ত করো না; মিথ্যাবাদীও সাব্যস্ত করো না ৷ বরং তোমরা বল : আমরা যে
সবের প্রতি ঈমান এসেছি, যেগুলো আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতিও
عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ( «سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: قَاتَلَ اللَّهُ فُلَانًا أَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ، حُرِّمَتْ عَلَيْهِمُ الشُّحُومُ فَجَمَلُوهَا فَبَاعُوهَا» رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، وَمِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ تَابَعَهُ جَابِرٌ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِهَذَا الْحَدِيثِ طُرُقٌ كَثِيرَةٌ سَتَأْتِي فِي بَابِ الْحِيَلِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ فَذَكَرُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، فَأُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ، وَأَنْ يُوْتِرَ الْإِقَامَةَ وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي قِلَابَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْجَرْمِيِّ بِهِ.
وَالْمَقْصُودُ مِنْ هَذَا مُخَالَفَةُ أَهْلِ الْكِتَابِ فِي جَمِيعِ شِعَارِهِمْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ كَانَ الْمُسْلِمُونَ يَتَحَيَّنُونَ وَقْتَ الصَّلَاةِ بِغَيْرِ دَعْوَةٍ إِلَيْهَا، ثُمَّ أَمَرَ مَنْ يُنَادِي فِيهِمْ وَقْتَ الصَّلَاةِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ، ثُمَّ أَرَادُوا أَنْ يَدْعُوَا إِلَيْهَا
পৃষ্ঠা - ১১৬৫
بِشَيْءٍ يَعْرِفُهُ النَّاسُ فَقَالَ قَائِلُونَ: نَضْرِبُ بِالنَّاقُوسِ، وَقَالَ آخَرُ: نُورِي نَارًا فَكَرِهُوا ذَلِكَ لِمُشَابِهَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَأُرِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ الْأَنْصَارِيُّ فِي مَنَامِهِ الْأَذَانَ، فَقَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ بِلَالًا فَنَادَى بِهِ كَمَا هُوَ مَبْسُوطٌ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ بَابِ الْأَذَانِ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ".
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَائِشَةَ، وَابْنَ عَبَّاسٍ قَالَا: «لَمَّا نُزِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً عَلَى وَجْهِهِ فَاذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ فَقَالَ وَهُوَ كَذَلِكَ: لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا» وَهَكَذَا رَوَاهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَتَتَّبِعُنَّ سُنَنَ مَنْ قَبْلَكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ، وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ حَتَّى لَوْ سَلَكُوا جُحْرَ
পৃষ্ঠা - ১১৬৬
ষ্ষ্
০
নাযিল করা হয়েছে ৷ ইতিপুর্বে উল্পেখি হাদীস ( ৰু )-ষ্ক ১৷ এ এ ৷ এ১ :১ ংএ; ৷ এ; ১ঠুশুএ)
তোমরা ইসরাঈলীদের থেকে হাদীস বর্ণনা কর, তাতে দোষ (নই-এর প্রেক্ষিতে এ প্রকারের
উদ্ধৃতিগুলো বর্ণনা করা বৈধ ৷
ইয়াহুদী-নাসারাদের দীন বিকৃতির বিবরণ
ইয়াহুদী জাতি ৷ আল্লাহ্ তাআলা হযরত মুসা ইবন ইমরানের প্ৰতি তাদের জন্যে তা ওবাত
নাযিল করেন ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন৪ ৷ৰু০াট্রু০১ ছু০ৰুন্নু ৷ ছুএ০ র্চুট্রু৷ ন্র্মুট্র
“এবং মুসাক্লে দয়েছিলাম কিতাব, যা সৎকর্ম
পরায়ণদের জন্যে সম্পুর্ণ, যা সমস্ত কিছুর বিশ দ বিবরণ ৷
আল্লাহ্ ত আলা আরো বলেন :
৷ ৷ এট্রু “বল তবে মুসার আনীত কিতাব যা মানুষের
জন্যে আলো ও পথনির্দেশ ছিল, তা তোমরা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করে কিছু প্রকাশ কর ও
যার অনেকাৎ গোপন রাখ ৷
আল্লাহ্ তা আলা আরও বলেন : ঢ় ১প্এন্ এঞেএ’ব্র ৷ এ এ এ ৷ণ্ড্র এ ক্লে;এৰুন্ র্চুট্রু ট্র’৷ ংধ্ব্লু এ
স্পো হেএদ্বু১এ “আমি তো মুসাও হারুনকে দিয়েছিলাম কুরআন, জ্যোতি ও উপদেশ
মুত্তাকীদের জন্যে ৷ আল্লাহ্ তা আলা অন্যত্র বন্সেছেনষ্ক ( ৷ এ
মুণ্১১০ ৷ ০াএট্রু ৷ ৷ট্রুট্রু;;ট্রু ;ষ্টুএ) “আমি উভয়কে দিয়েছিলাম বিশদ কিতাব ৷ আমি
উভয়কে পরিচালিত করেছিলাম সৎপথে ৷ (৩৭ সাফ্ফাত ১১ ৭)
আল্লাহ্ তাআলা অন্য এক আয়াতে বলেন $
৷ এেএ০ ৷ ৷১ ৷
,
ৰু,এএ০দ্বু৷ ৷ এষ্এ
“আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো, নবীগণ যারা
আল্লাহ্র অনুগত ছিল, তারা ইয়াহুদীদেরকে তদনুসারে বিধান দিত আরও বিধান দিত
রাব্বানীগণ ৷এবং বিদ্ব৷ ৷নগণ কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা
ছিল সেটির সাক্ষী ৷ সুতরাং মানুষকে ভয় করে৷ না, আমাকেই ভয় কর এবং আমার আয়াত তুচ্ছ
ضَبٍّ لَسَلَكْتُمُوهُ، قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، قَالَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَمَنْ؟» ! وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ بِهِ.
وَالْمَقْصُودُ مِنْ هَذِهِ الْأَخْبَارِ عَمَّا يَقَعُ مِنَ الْأَقْوَالِ وَالْأَفْعَالِ الْمَنْهِيِّ عَنْهَا شَرْعًا مِمَّا يُشَابِهُ أَهْلَ الْكِتَابِ قَبْلَنَا فَإِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِ عَنْ مُشَابِهَتِهِمْ فِي أَقْوَالِهِمْ وَأَفْعَالِهِمْ حَتَّى وَلَوْ كَانَ قَصْدُ الْمُؤْمِنِ خَيْرًا، لَكِنَّهُ تَشَبَّهَ بِفِعْلِهِ فِي الظَّاهِرِ مِنْ فِعْلِهِمْ. وَكَمَا نُهِيَ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَعِنْدَ غُرُوبِهَا; لِئَلَّا يُشَابِهَ الْمُشْرِكِينَ الَّذِينَ يَسْجُدُونَ لِلشَّمْسِ حِينَئِذٍ، وَإِنْ كَانَ الْمُؤْمِنُ لَا يَخْطُرُ بِبَالِهِ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ بِالْكُلِّيَّةِ. وَهَكَذَا قَوْلُهُ تَعَالَى {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقُولُوا رَاعِنَا وَقُولُوا انْظُرْنَا وَاسْمَعُوا وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [البقرة: 104] فَكَانَ الْكُفَّارُ يَقُولُونَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَلَامِهِمْ مَعَهُ: رَاعِ نَا أَيِ: انْظُرْ إِلَيْنَا بِبَصَرِكَ، وَاسْمَعْ كَلَامَنَا، وَيَقْصِدُونَ بِقَوْلِهِمْ: رَاعِنَا مِنَ الرُّعُونَةِ فَنُهِيَ الْمُؤْمِنُونَ أَنْ يَقُولُوا ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ لَا يَخْطُرُ بِبَالِ أَحَدٍ مِنْهُمْ هَذَا أَبَدًا.
فَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «بُعِثْتُ بِالسَّيْفِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ حَتَّى يُعْبَدَ اللَّهُ وَحْدَهُ
পৃষ্ঠা - ১১৬৭
ষ্ষ্
মুল্যে বিক্রয় করো না আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন ৷ সে আনুযায়ী যারা বিধান দেয় না, তারাই
সত্য প্রত্যাখ্যানকারী ৷ (৫ মায়িদা : ৪৪)
দীর্ঘকাল পর্যন্ত ইয়াহুদীরা তাওরাত কিতাব অনুযায়ী ফয়সাল করেছিল এবংসু সুদৃঢ়ভাবে
সেটিকে গ্রহণ করেছিল ৷ তারপর তারা সেটিকে পরিবর্তন করতে , বিকৃত করতে ভুল ব্যাখ্যা
দিতে ও যা তার মধ্যে নেই তা প্রচার করতে শুরু করল ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
এট্রি গ্রাই
: : ) শ্ শ্ ণ্ fl : ’
“তাদের মধ্যে এক দল লোক আছেই, যারা কিতাবকে ৷জহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাতে
তোমরা সেটিকে আল্লাহ্র কিতাবের অংশ মনে কর; কিন্তু সেটি কিতাবের অংশ নয়, এবং তারা
বলে; এটি আল্লাহ্র পক্ষ হতে,কিন্তু সেটি মুলত আল্লাহ্র পক্ষ হতে প্রেরিত নয় ৰু তারা
(জলে-শুনে আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে ৷” (৩ আল ইমরান : ৭৮)
আলোচ্য আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ তাআলা জানিয়ে দিলেন যে, তারা তাওরাতেব অসত্য,
মিথ্যা ও অপ্রাসংগিক ব্যাখ্যা করে ৷ তারা যে এরুপ অপকর্মে জড়িত, তাতে আলিমপণের মধ্যে
কোন দ্বিমত নেই ৷ র্তারা এ ব্যাপারে একমত যে, তারা তাওরাতেব বিকৃত অর্থ প্রকাশ করে
এবং মুল মর্মের সাথে সস্পর্কহীন ভিন্ন অর্থ বুঝানাের জন্যে সংশ্লিষ্ট বাণী ব্যবহার করে ৷ যেমন
উক্ত কিতাবে রজম বা প্রস্তর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান বিদ্যমান থাকা সত্তেও তারা
উক্ত বিধানকে বেত্রাঘাত ও মুখে চুনক লি মেখে দেয়ার’ বিধান দ্বারা পরিবর্তন করেছে ৷
অনুরুপভাবে চুরির শাস্তি কার্যকর এবং আশরাফ-আত রাফ নির্বিশেষে সকল চোরের হাত কাটার
জন্যে তারা আদিষ্ট হওয়া সত্বেওত তাদের কোন সভ্রাম্ভ ব্যক্তি চুরি করলে তাকে তারা ছেড়ে
দিত ৷ আর নিম্নশ্রেণী ও দুর্বল কেউ চুরি করলে তার উপর দও কার্যকর করত ৷
অবশ্য তারা তাওরাত তারের মুল শব্দ পরিবর্তন করেছে কি-না, এ বিষয়ে একদল
বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন যে, তারা পুরো তাওরাতেব সকল শব্দই পরিবর্জা করে ফেলেছে ৷
অপর একদল বলেন যে, তাওরাতেব মুল শব্দ পরিবক্তা করা হয়নি ৷ প্রমাণ স্বরুপ তারা এই
’ ৷ শ্া
আয়াত পেশ করেন
“তারা আপনার উপর কিভাবে বিচার তার ন্যস্ত কররে যখন তাদের নিকট রয়েছে
তাওরাত’ যাতে আল্লাহ্র আদেশ আছে ৷ (৫ মাযিদাং : ৪৩)
এবং আল্পাহ্ তাআলার বাণী ঘ্র
ধ্ছুট্রু১’,’দুট্রু ;,ন্;ট্র৷ ৷
০ :
لَا شَرِيكَ لَهُ، وَجُعِلَ رِزْقِي تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِي، وَجُعِلَ الذِّلَّةُ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي، وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ» فَلَيْسَ لِلْمُسْلِمِ أَنْ يَتَشَبَّهَ بِهِمْ; لَا فِي عِبَادَاتِهِمْ وَلَا مَوَاسِمِهِمْ وَلَا فِي أَعْيَادِهِمْ; لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى شَرَّفَ هَذِهِ الْأُمَّةَ بِخَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ الَّذِي شَرَعَ لَهُ الدِّينَ الْعَظِيمَ الْقَوِيمَ الشَّامِلَ الْكَامِلَ الَّذِي لَوْ كَانَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ التَّوْرَاةُ، وَعِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْإِنْجِيلُ حَيَّيْنِ، لَمْ يَكُنْ لَهُمَا شَرْعٌ مُتَّبَعٌ بَلْ لَوْ كَانَا مَوْجُودَيْنِ بَلْ وَكُلُّ الْأَنْبِيَاءِ لَمَا سَاغَ لِوَاحِدٍ مِنْهُمْ أَنْ يَكُونُ عَلَى غَيْرِ هَذِهِ الشَّرِيعَةِ الْمُطَهَّرَةِ الْمُشَرَّفَةِ الْمُكَرَّمَةِ الْمُعَظَّمَةِ، فَإِذَا كَانَ اللَّهُ تَعَالَى قَدْ مَنَّ عَلَيْنَا، بِأَنْ جَعَلَنَا مِنْ أَتْبَاعِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَيْفَ يَلِيقُ بِنَا أَنْ نَتَشَبَّهَ بِقَوْمٍ، {قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ} [المائدة: 77] قَدْ بَدَّلُوا دِينَهُمْ وَحَرَّفُوهُ وَأَوَّلُوهُ حَتَّى صَارَ كَأَنَّهُ غَيْرُ مَا شُرِعَ لَهُمْ أَوَّلًا، ثُمَّ هُوَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَنْسُوخٌ وَالتَّمَسُّكُ بِالْمَنْسُوخِ حَرَامٌ لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ قَلِيلًا وَلَا كَثِيرًا وَلَا فَرْقَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الَّذِي لَمْ يُشْرَعْ بِالْكُلِّيَّةِ وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِي أَجَلِ مَنْ خَلَا مِنَ الْأُمَمِ مَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ، وَإِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمِثْلُ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، كَرَجُلٍ اسْتَعْمَلَ عُمَّالًا فَقَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ
পৃষ্ঠা - ১১৬৮
عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ؟ فَعَمِلَتِ الْيَهُودُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى صَلَاةِ الْعَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ؟ فَعَمِلَتِ النَّصَارَى مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى صَلَاةِ الْعَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ؟ أَلَا فَأَنْتُمُ الَّذِينَ تَعْمَلُونَ مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، أَلَا لَكُمُ الْأَجْرُ مَرَّتَيْنِ. فَغَضِبَ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَقَالُوا: نَحْنُ أَكْثَرُ عَمَلًا وَأَقَلُّ عَطَاءً! قَالَ اللَّهُ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَإِنَّهُ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ شِئْتُ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مُدَّةَ هَذِهِ الْأُمَّةِ قَصِيرَةٌ، بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا مَضَى مِنْ مُدَدِ الْأُمَمِ قَبْلَهَا; لِقَوْلِهِ «إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِي أَجَلِ مَنْ خَلَا مِنَ الْأُمَمِ مَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ» .
فَالْمَاضِي لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ كَمَا أَنَّ الْآتِيَ لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا هُوَ، وَلَكِنَّهُ قَصِيرٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا سَبَقَ، وَلَا اطِّلَاعَ لِأَحَدٍ عَلَى تَحْدِيدِ مَا بَقِيَ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {لَا يُجَلِّيهَا لِوَقْتِهَا إِلَّا هُوَ} [الأعراف: 187] وَقَالَ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا فِيمَ أَنْتَ مِنْ ذِكْرَاهَا إِلَى رَبِّكَ مُنْتَهَاهَا} [النازعات: 42]
[النَّازِعَاتِ: 42 - 44] وَمَا يَذْكُرُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنَ الْحَدِيثِ الْمَشْهُورِ عِنْدَ الْعَامَّةِ مِنْ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا يُؤَلَّفُ تَحْتَ الْأَرْضِ فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ فِي كُتُبِ الْحَدِيثِ، وَوَرَدَ فِيهِ حَدِيثٌ إِنَّ الدُّنْيَا جُمُعَةٌ مِنْ جُمَعِ الْآخِرَةِ
পৃষ্ঠা - ১১৬৯
ষ্ষ্
“যে উঘী নবীর উল্লেখ তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইনজীলে রয়েছে ৷ তাতে তারা
লিপিবদ্ধ পায় যে তাদেরকে সৎকার্যের নির্দোণ দেয় ও অসৎকাঘে বাধা দেয়, যে তাদের জন্যে
পবিত্র বস্তু বৈধ করে ৷ ( ৭ আরাফ : ১৫৭) নীচের আয়াতাঃ তাদের প্রমাণ
গ্ :
বল, তোমরা তাওরাত নিয়ে আস, সেটি পাঠ কর, যদি তোমরা সতাবাদী হও ৷ (৩ আল
ইমরান : ৯৩)
রজম (প্রস্তরড়াঘাতে মৃত্যুদণ্ড) সম্পর্কিত যটনাটিও তাদের প্রমাণ ৷ সহীহ বুখড়ারী ও সহীহ
মুসলিমে ইবন উমর (রা) থেকে, সহীহ মুসলিমে বাবা ইবন আযিব ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ
থােক এবং সুনান গ্রস্থসমুহে আবু হুরায়রা (বা) প্রমুখ থেকে বর্ণিত যে , এক ইহুদী পুরুষ ও
ইহুদী মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাদের বিচারের জন্যে রানুৰল্লাহ (সা) এর নিকট উপস্থিত
করা হয় ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) বললেন, রজম কার্যকর করা সম্পর্কে তোমাদের তাওরাতে কী নির্দেশ
পাও? তারা, বলল, এ জাতীয় লোকদেরকে আমরা অপমান ও বেইজ্জত করে দেই এবং
বেত্রাঘাত করি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে তাওরাত উপস্থিত করতে নির্দেশ দিলেন ৷ তাওরাত
নিয়ে এসে তারা যখন পাঠ শুরু করল তখন রজমের আয়াত তারা গোপন করছিল৷ আব্দুল্লাহ
ইবন সুরিয়া তার হাত দিয়ে রজমের আয়াত ঢেকে রেখেছিল এবং ঐ আঘাতের পুর্বের ও পরের
অংশ পাঠ করছিল ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, হে কানা ! তোমার হাত উঠাও ৷ সে তার হাত তৃলল , তখন দেখা
গেল সেখানে রজমের আয়াত রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (স) ওদেরকে রজম করার নির্দেশ দিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (স) তখন বললেন :
-ষ্টুটুওা;৷া৷ এদ্বু;৷ ;ছু৷ :,; ৰুাটু৷ ংষ্;৷ স্পোা৷
“হে আল্লাহা আমিই৫ তা প্রথম ব্যক্তি, তারা অকার্যকর করার পর যে আ পনার নির্দেশকে
পুনর্জীবিত করল ৷”
আবু দাউদ (র)-এর বর্ণনায় আছে, তারা যখন তাওরাত নিয়ে আসলো তখন তিনি তার
নীচ থেকে বান্সিশ টেনে এনে তাওরাতের নীচে রাখলেন এবং বললেন “আমি তোমার প্রতি
ঈমান এসেছি এবং যিনি তোমাকে নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান এসেছি ৷” কেউ কেউ
বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাওরাতের সষ্মড়ানার্থে উঠে দাড়িয়েছিলেন ৷ এই সনদ সম্পর্কে আমি
অবগত নই ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷
অনেক কালাম শাস্ত্রবিদ যারা বলেন যে, রাজা বুখত নসরের সময়ে তাওরাত কিতড়াবের
তাওয়াতৃর বা সন্দেহাতীত প্রসিদ্ধি বিলুপ্ত হয়ে যায়, উপরোক্ত দলীল-প্রমড়াণ তাদের বক্তব্যের
গ্রহণযােগ্যতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তোলে ৷ তারা বলেন যে, সে সময়ে একমাত্র উযায়র (আ)
ব্যতীত অন্য কারো নিকট তাওরাত সংরক্ষিত ছিল না ৷ এ প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, যদি তা-ও
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৭-
وَفِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ. وَالْمُرَادُ مِنْ هَذَا التَّشْبِيهِ بِالْعُمَّالِ تَفَاوُتُ أُجُورِهِمْ، وَأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ مَنُوطًا بِكَثْرَةِ الْعَمَلِ وَلَا قِلَّتِهِ، بَلْ بِأُمُورٍ أُخَرَ مُعْتَبَرَةٍ عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى، وَكَمْ مِنْ عَمَلٍ قَلِيلٍ أَجْدَى مَا لَا يُجْدِيهِ الْعَمَلُ الْكَثِيرُ ; هَذِهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ الْعَمَلُ فِيهَا أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ أَلْفِ شَهْرٍ سِوَاهَا، وَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْفَقُوا فِي أَوْقَاتٍ لَوْ أَنْفَقَ غَيْرُهُمْ مِنَ الذَّهَبِ مِثْلَ أُحُدٍ مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيفَهُ مِنْ تَمْرٍ. وَهَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ، وَقَبَضَهُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ عَلَى الْمَشْهُورِ وَقَدْ بَرَزَ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ - الَّتِي هِيَ ثَلَاثٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً - فِي الْعُلُومِ النَّافِعَةِ وَالْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ عَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلَهُ، حَتَّى عَلَى نُوحٍ الَّذِي لَبِثَ فِي قَوْمِهِ أَلْفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمْسِينَ عَامًا يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَيَعْمَلُ بِطَاعَةِ اللَّهِ لَيْلًا وَنَهَارًا صَبَاحًا وَمَسَاءً صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ أَجْمَعِينَ.
فَهَذِهِ الْأُمَّةُ إِنَّمَا شَرُفَتْ وَتَضَاعَفَ ثَوَابُهَا بِبَرَكَةِ سِيَادَةِ نَبِيِّهَا وَشَرَفِهِ وَعَظَمَتِهِ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ يُؤْتِكُمْ كِفْلَيْنِ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيَجْعَلْ لَكُمْ نُورًا تَمْشُونَ بِهِ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ - لِئَلَّا يَعْلَمَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَلَّا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَأَنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهِ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ} [الحديد: 28 - 29] . [الْحَدِيدِ: 28، 29]