كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم
قصة أخرى
পৃষ্ঠা - ১১৪৮
[قِصَّةٌ أُخْرَى]
شَبِيهَةٌ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فِي الصِّدْقِ وَالْأَمَانَةِ
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْتَرَى رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ عَقَارًا لَهُ فَوَجَدَ الرَّجُلُ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ فِي عَقَارِهِ جَرَّةً فِيهَا ذَهَبٌ فَقَالَ لَهُ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ: خُذْ ذَهَبَكَ مِنِّي إِنَّمَا اشْتَرَيْتُ مِنْكَ الْأَرْضَ، وَلَمْ أَبْتَعْ مِنْكَ الذَّهَبَ، وَقَالَ الَّذِي لَهُ الْأَرْضُ: إِنَّمَا بِعْتُكَ الْأَرْضَ وَمَا فِيهَا فَتَحَاكَمَا إِلَى رَجُلٍ فَقَالَ الَّذِي تَحَاكَمَا إِلَيْهِ: أَلَكُمَا وَلَدٌ؟ قَالَ أَحَدُهُمَا: لِي غُلَامٌ، وَقَالَ الْآخَرُ: لِي جَارِيَةٌ قَالَ: أَنْكِحُوا الْغُلَامَ الْجَارِيَةَ، وَأَنْفِقُوا عَلَى أَنْفُسِهِمَا مِنْهُ، وَتَصَدَّقَا» هَكَذَا رَوَى الْبُخَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي أَخْبَارِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ.
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ هَذِهِ الْقِصَّةَ وَقَعَتْ فِي زَمَنِ ذِي الْقَرْنَيْنِ وَقَدْ كَانَ قَبْلَ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِدُهُورٍ مُتَطَاوِلَةٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১১৪৯
ষ্ষ্
ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান, সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (র)
সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
তোমাদের পুর্ববর্তী উম্মতের মধ্যে অনেক ইলহামপ্রাপ্ত লোকও ছিলেন ৷ এই উষ্মতের মধ্যে যদি
এরুপ কেউ থেকে থাকেন তবে তিনি হবেন উমর ইবনুল খড়াত্তাব (রা) ৷ ইমাম মুসলিম (র)
ভিন্নসুত্রে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) মুয়াবিয়া (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, যে বছর তিনি হজ্জ করেন সে বছর
জনৈক পাহারাদারের হাত থেকে এক গোছা পরচুলা নিয়ে বললেন, হে মদীনাবাসীগণ!
তোমাদের আলিমগণ কােথায়ঃ আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি এ ধরনের চুল
ব্যবহার করতে ধারণ করে বলেছেন, “বনী ইসরাঈলের মহিলাগণ যখন এরুপ কৃত্রিম চুলের
ব্যবহার করতে শুরু করে তখন তারা ৎস হয় ৷
ইমাম মুসলিম (র) এবং আবু দাউদ (র) এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র)
হড়াদীসটিকে সহীহ্ বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান শেষ বার যখন মদীনা শরীফ
এলেন তখন তিনি খুৎবা দানকালে তার আন্তীন থেকে এক গোছা পরচুলা বের করেন এবং
বলেন, ইয়াহুদী ব্যতীত অন্য কেউ এ কাজ করে বলে তা আমি মনে করতাম না ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এ কর্মকে মিথ্যাচার রুপে আখ্যায়িত করেছেন ৷ অর্থাৎ কৃত্রিম চুল লাগানো ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইরশাদকরেছেন, একটি কুকুর একটি কুয়ার পাড়ে ইাপাচ্ছিল ৷ তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায় ৷ বনী
ইসরাঈল বংশের একজন ব্যভিচারিণী মহিলা এ বিষয়টি লক্ষ্য করে ৷ অতঃপর সে তার মােজা
খুলে নেয় এবং তার সাহায্যে কুকুরটিকে পানি পান করার ৷ এর উসিলায় আল্লাহ তাআলা উক্ত
ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) ইরশাদ করেছেন, একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের ব্যাপারে আযাব দেয়া হয়েছে ৷ সে
قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ فِي كِتَابِهِ " الْمُبْتَدَأِ " عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ: إِنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ كَانَ يَتَفَقَّدُ أُمُورَ مُلُوكِهِ، وَعُمَّالِهِ بِنَفْسِهِ وَكَانَ لَا يَطَّلِعُ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ خِيَانَةً إِلَّا أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَكَانَ لَا يَقْبَلُ ذَلِكَ حَتَّى يَطَّلِعَ هُوَ بِنَفْسِهِ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ مُتَنَكِّرًا فِي بَعْضِ الْمَدَائِنِ فَجَلَسَ إِلَى قَاضٍ مِنْ قُضَاتِهِمْ أَيَّامًا لَا يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ أَحَدٌ فِي خُصُومَةٍ فَلَمَّا أَنْ طَالَ ذَلِكَ بِذِي الْقَرْنَيْنِ، وَلَمْ يَطَّلِعْ عَلَى شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ ذَلِكَ الْقَاضِي، وَهَمَّ بِالِانْصِرَافِ إِذَا هُوَ بِرَجُلَيْنِ قَدِ اخْتَصَمَا إِلَيْهِ فَادَّعَى أَحَدُهُمَا فَقَالَ: أَيُّهَا الْقَاضِي إِنِّي اشْتَرَيْتُ مِنْ هَذَا دَارًا عَمَّرْتُهَا، وَوَجَدْتُ فِيهَا كَنْزًا، وَإِنِّي دَعَوْتُهُ إِلَى أَخْذِهِ فَأَبَى عَلَيَّ فَقَالَ لَهُ الْقَاضِي: مَا تَقُولُ قَالَ: مَا دَفَنْتُ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ فَلَيْسَ هُوَ لِي وَلَا أَقْبِضُهُ مِنْهُ قَالَ الْمُدَّعِي: أَيُّهَا الْقَاضِي مُرْ مَنْ يَقْبِضُهُ فَتَضَعُهُ حَيْثُ أَحْبَبْتَ فَقَالَ الْقَاضِي: تَفِرُّ مِنَ الشَّرِّ وَتُدْخِلُنِي فِيهِ مَا أَنْصَفْتَنِي وَمَا أَظُنُّ هَذَا فِي قَضَاءِ الْمَلِكِ، فَقَالَ الْقَاضِي: هَلْ لَكَمَا فِي أَمْرٍ أَنْصَفَ مِمَّا دَعَوْتُمَانِي إِلَيْهِ؟ قَالَا: نَعَمْ قَالَ لِلْمُدَّعِي: أَلَكَ ابْنٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. وَقَالَ لِلْآخَرِ: أَلَكَ ابْنَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: اذْهَبَا فَزَوِّجِ ابْنَتَكَ مِنِ ابْنِ هَذَا وَجَهِّزُوهُمَا مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَادْفَعُوا فَضْلَ مَا بَقِيَ إِلَيْهِمَا يَعِيشَانِ بِهِ فَتَكُونَا قَدْ صَلَيْتُمَا بِخَيْرِهِ وَشَرِّهِ فَعَجِبَ ذُو الْقَرْنَيْنِ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ
পৃষ্ঠা - ১১৫০
ষ্ষ্
বিড়ালটি বেধে রেখেছিল ৷ শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি মারা যায় ৷ এ কারণেই তাকে শান্তি দেয়া হয় ৷
বেধে রাখা অবস্থায় সে ওটিকে কিছু থেতে দেয়নি এবং সেটিকে ছেড়েও দেয়নি যে, সে
পােকা-মাকড় ধরে খাবে ৷ ইমাম মুসলিম (র)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম আহমদ (ব) বলেন, আবু সাঈদ (বা) থেকে বর্ণিক্টন্দ্রন্ ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, বনী
ইসরাঈলেয় একজন ঘেটে মহিলা ছিল ৷ সে কাঠের সুদীর্ঘ দুটো পা তৈরি করে এবং সেটিতে
পা রেখে দু’জন খাটো মহিলার মধ্যে থেকে সে চলতে থাকে ৷ একদিন সে একটি সোনার আৎটি
প্রস্তুত করে রাখে ৷ তার আত্টির নপীনার নিচে সে তীব্র সুগন্ধি ও মিশক লুকিয়ে রেখেছিল ৷
অতঃপর কোন মজলিসে গেলে সে আত্টিটি একটু নাড়াচাড়া করে দিত আর তার হাত থেকে
খুশবু ছড়িয়ে পড়ত ৷ ইমাম মুসলিম (ব) মুসতড়ামির খালীদ ইবন জাফর থেকে মারফু সুত্রে এটি
বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (ব) বলেন এটি সহীহ হাদীস ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবন মাসউদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
অতীত যুগের যে সব নবুওতী বাণী লোকজনের কাছে পৌছেছে তার, একটি এই যে,
“লজ্জা না থাকলে তুমি যা ইচ্ছা করতে পার ৷”
ইমাম বুখারী (র) এককভাবে এটি উল্লেখ করেছেন ৷
অন্য একটি হিহাদীস
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
অতীত কালের এক ব্যক্তি ও তার শ্রী নিঃস্ব অবস্থায় ছিল ৷ তাদের কিছুই করার সামর্থ্য ছিল না ৷
একদিন ল্যেকটি বাড়ি ফিরে এসে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় তার ত্রীকে বলে, তোমার
কাছে কোন খাবার আছে কি? যে বলে, ইা, আছে ৷ সুসংবাদ নিন, আপনার জন্য আল্লাহর পক্ষ
থেকে রিযিক এসেছে ৷ স্বামী ত্রীকে তাগিদ দিয়ে বলল, আমি চাচ্ছি এখনই তোমার নিকট কিছু
থাকলে নিয়ে এসো ৷ শ্রী বললো, হ্যা, একটু অপেক্ষা করুন, আমরা আল্লাহর রহমতের আশায়
আছি ৷ বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সে ত্রীকে বললো, আল্লাহ রহম করুন ৷ খুজে
দেখ তো তোমার কাছে কোন খাবার আছে কিনা? থাকলে নিয়ে এসো ৷ আমার ভীষণ ক্ষুধা
পেয়েছে ৷ আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি ৷ সে বলল, হীা, খাবার আছে, চুলায় রান্না হচ্ছে ৷ একটু
অপেক্ষা করুন ৷ কিছুক্ষণ উভয়ে নীরব থাকার পর শ্রী মনে মনে বলল, আমি যদি উঠে গিয়ে
চুলাটা একটু দেখে আসতড়াম ! এরপর মহিলাটি নিজেই গেল এবং চুলায় গিয়ে দেখল সে বকরীব
لِلْقَاضِي: مَا ظَنَنْتُ أَنَّ فِي الْأَرْضِ أَحَدًا يَفْعَلُ مِثْلَ هَذَا أَوَقَاضٍ يَقْضِي بِمِثْلِ هَذَا؟ ! فَقَالَ الْقَاضِي: وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ، وَهَلْ أَحَدٌ يَفْعَلُ غَيْرَ هَذَا؟ قَالَ ذُو الْقَرْنَيْنِ: نَعَمْ. قَالَ الْقَاضِي: فَهَلْ يُمْطَرُونَ فِي بِلَادِهِمْ؟ فَعَجِبَ ذُو الْقَرْنَيْنِ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: بِمِثْلِ هَذَا قَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ.
পৃষ্ঠা - ১১৫১
قِصَّةٌ أُخْرَى
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ إِنْسَانًا، ثُمَّ خَرَجَ يَسْأَلُ فَأَتَى رَاهِبًا فَسَأَلَهُ فَقَالَ: هَلْ مِنْ تَوْبَةٍ؟ قَالَ: لَا. فَقَتَلَهُ فَجَعَلَ يَسْأَلُ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: ائْتِ قَرْيَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَنَاءَ بِصَدْرِهِ نَحْوَهَا فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَقَرَّبِي، وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَبَاعَدِي، وَقَالَ: قِيسُوا مَا بَيْنَهُمَا فَوُجِدَ إِلَى هَذِهِ أَقْرَبَ بِشِبْرٍ فَغُفِرَ لَهُ» هَكَذَا رَوَاهُ هَاهُنَا مُخْتَصَرًا وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ بُنْدَارٍ بِهِ وَمِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ قَتَادَةَ بِهِ مُطَوَّلًا.
حَدِيثٌ آخَرُ
قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: بَيْنَا رَجُلٌ يَسُوقُ بَقَرَةً إِذْ رَكِبَهَا فَضَرَبَهَا فَقَالَتْ: إِنَّا لَمْ نُخْلَقْ لِهَذَا، إِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ১১৫২
ষ্ষ্
সিনায় ডেগচী ভর্তি এবং একটি যাতার অটো পেষমা হচ্ছে ৷ মহিলাটি নিকটে গেল এবং মাতার
আটা ঢেলে নিলে তা এবং চুলার উপরের বকরীর সিনা নিয়ে আসল ৷
রাসুলুল্পাহ (না)-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করে আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আবুল কাসেম (সা) এর
প্রাণ র্যার হাতে সেই পবিত্র সত্তার শপথ করে বলছি! মহিলার্টি যদি মাতা থেকে আটাগুলাে
নিয়ে চাক্কি উপুড় না করত, তবে ঐ চাক্কিতে আটা পেষা কিয়ামত পন্ান্ত চলতে থাকত ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোকের
ঘটনা ৷ সে তার পরিবারের নিকট উপস্থিত হয় ৷ তাদের অভাব-অনটন দেখে সে মাঠের দিকে
রওয়ানা হয় ৷ এ অবস্থা দেখে তার শ্রী আটা পেষার চাক্কির নিকট যায়, এবং তা চালু করে
দেয় ৷ তারপর ম্পোর নিকট গিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দেয় ৷ তারপর আল্লাহর নিকট দোয়া করে বলে,
“হে আল্লাহ ! আমাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিন’ হঠাৎ সে দেশে আবার--তড়াদের পামলা ভর্তি
হয়ে গিয়েছে ৷ চুলার নিকট গিয়ে দেখে চুলা ভর্তি হয়ে রয়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর স্বামী ফিরে আসে এবং বলে, তোমরা কিছু পেয়েছ কি? তার শ্রী
বলে , হ্যা, আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে পেয়েছি ৷ অতঃপর তার চাক্কির নিকট যায় ৷ এ
ঘটনা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট বর্ণনা করা হয় ৷ তিনি বলেন, যদি ঐ চাক্কি উঠানাে না হত ,
তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তা ঘুরতে থাকত ৷
বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এ সময় তিনি বলছিলেন, আল্লাহর কসম ,
কারো কাছে এসে ভিক্ষা চাওয়া অপেক্ষা কাঠের বোঝা বাহন করে এনে তা বিক্রি করে নিজের
মর্যাদা রক্ষা করা তোমাদের জন্যে অধিকতর কল্যাণকর ৷
তওবাকারী দু’রজোর ঘটনা
ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
তোমাদের পুর্ববর্তী জনৈক রাজার কথা ৷ একদা তিনি তার রাজতু নিয়ে গভীরভাবে চিত্তামগ্ন
হলেন ৷ তাতে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, একদিন না একদিন তাকে এই রাজত্বের মায়া ছাড়তে
হবে ৷ অথচ তখন এটাই র্তাকে আপন প্রতিপালকের ইবাদত থেকে গাফিল করে রেখেছে ৷
একরাতে তিনি চুপিসারে নিজের প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পড়েন ৷ তিনি অন্য এক রাঃজ্য
এসে পৌছেন এবং সাগর তীরে আস্তানা স্থাপন করেন ৷ সেখানে তিনি ইট তৈরির কাজ শুরু
করেন ৷ এতে বা আর হত তা দিয়ে প্রয়োজন মাফিক খাদ্য দ্রব্যের ব্যবস্থা করতেন এবং উদ্বুত্ত
অর্থ সাদকা করে দিতন ৷ এভাবে তার দিন কাটছিল ৷ ঐ দেশের রাজার নিকট তার সংবাদ
পৌছে ৷ রাজা তাকে ডেকে পাঠান ৷ তিনি যেতে অস্বীকার করেন ৷ রাজা তখন নিজেই তার
কাছে চলে আসেন ৷ রাজাকে দেখেই ঐ রাজা পালাতে শুরু করেন ৷ রাজা ও ঘোড়া নিয়ে তার
পিছু নেন ৷ কিন্তু তিনি তার নাপাল পেলেন না ৷
অবশেষে রাজা চিৎকার করে বলেন, হে আল্লাহর বান্দা ! আমার পক্ষ থেকে আপনার কোন
ক্ষতির আশংকা নেই ৷ তখন ঐ রাজা থামলেন, ফলে উভয়ের সাক্ষাৎ হলো ৷ রাজা বললেন,
خُلِقْنَا لِلْحَرْثِ فَقَالَ النَّاسُ: سُبْحَانَ اللَّهِ بَقَرَةٌ تَكَلَّمُ! فَقَالَ: فَإِنِّي أُومِنُ بِهَذَا أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ - وَمَا هُمَا ثَمَّ -. وَبَيْنَمَا رَجُلٌ فِي غَنَمِهِ إِذْ عَدَا الذِّئْبُ فَذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ فَطَلَبَ حَتَّى كَأَنَّهُ اسْتَنْقَذَهَا مِنْهُ فَقَالَ لَهُ الذِّئْبُ: هَذَا اسْتَنْقَذْتَهَا مِنِّي! فَمَنْ لَهَا يَوْمَ السَّبُعِ، يَوْمَ لَا رَاعِيَ لَهَا غَيْرِي؟ فَقَالَ النَّاسُ: سُبْحَانَ اللَّهِ ذِئْبٌ يَتَكَلَّمُ! قَالَ فَإِنِّي أُومِنُ بِهَذَا أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ - وَمَا هُمَا» .
ثَمَّ قَالَ: وَحَدَّثَنَا عَلِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ، وَقَدْ أَسْنَدَهُ الْبُخَارِيُّ فِي الْمُزَارِعَةِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ، وَمُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ كِلَاهُمَا عَنْ سَعْدٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَأَخْرَجَ مُسْلِمٌ الطَّرِيقَ الْأَوَّلَ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১১৫৩
ষ্ষ্
আল্লাহ তা আলা আপনাকে দয়া করুন, আপনার পরিচয় কি? তিনি বললেন আমি অমৃকের পুত্র
অমুক ৷ অমুক রাজ্যের রাজা ৷ আমার রাজত্ব নিয়ে আমি একদিন গভীরতা ৷বে চিন্তা করেছিলাম ৷
তাতে আমি উপলব্ধি করেছি যে, শেষ পর্যন্ত আমি এ রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হবই ৷ আর তখন এ
রাজ্যই আমাকে আমার প্রতিপালকের ইবাদত থেকে গাফিল করে রেখেছে ৷ তাই আমি ঐ রাজ্য
ত্যাগ করে এখানে এসে আমার প্রতিপালকের ইবাদত করছি ৷ রাজা বললেন, আপনি যা
করছেন এ ব্যাপারে আমি আপনার চাইতে কম মুখাপেক্ষী নই ৷ এ বলে রাজা বাহন থেকে
নেমে পড়েন এবং সেটিকে ছেড়ে দেন ৷ তিনি পুর্ববর্তী রাজার পথ অনুসরণ করেন ৷ এবার তারা
দৃ’জনে একসাথে আল্লাহর ইবাদত করতে লাগলেন ৷ তারা দৃ’জনে আল্লাহর নিকট এক সাথে
মৃত্যু কামনা করলেন এবং পরে দৃ’জনেই মারা গেলেন ৷
হাদীস বর্ণনাক৷ রী আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, আমি যদি তখন মিসরের রমনিয়ায়
থাকতাম, রাসুলুল্লাহ (না) আমাদের নিকট তাদের যে পরিচয় বর্ণনা করেছেন ৷ তার আলোকে
আমি কবর দুটো চিনিয়ে দিতাম ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তোমাদের পুর্ববর্তী যুগে এক লোক ছিল ৷ আল্লাহ তাঅ ৷লা তাকে প্রচুর ধন-সম্পদ দান
করেছিলেন ৷ তার মুল সময় উপস্থিত হওয়ায় সে তার পুত্রদেরকে কাছে ডাকে ৷ তাদেরকে
বলে বৎসপণ! আমি তোমাদের পিতা রুপে কেমন ছিলাম? তারা বলে, আপনি খুবই ভ ৷ল পিতা
ছিলেন ৷ অতঃপর যে ব্যক্তি বলে, আমি কখনো কে ৷নাে পুণ্যকর্ম করিনি ৷ সুতরাং আমার মৃত্যুর
পর তোমরা আমাকে পুড়িয়ে ফেলবে ৷৩ তারপর পিষে চুর্ণ বিচুর্ণ করে ফেলার এবং প্রচণ্ড বেগে
প্রবাহিত বাতাসে নিক্ষেপ করবে ৷ সে মতে পুত্ররা তাই করল ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআল৷ সে সব
একত্রিত করে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তোমার এরুপ করার হেতু কী? যে বলল, প্ৰভাে আপনার
ভয়ে এরুপ করেছি ৷ তখন আল্লাহ তা জানা তাকে তার রহমত দান করলেন ৷ ইমাম মুসলিম
(র) ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বৃখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে নবী করীম (না) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, এক ব্যক্তি লোকজনকে প্রায় ঋণ দিত ৷ নিজের কর্মচ৷ রীকে সে নির্দেশ দিত যে কোন
অভ৷ ৷বী ব্যক্তি এলে৩ তার ঋণ মাফ করে দিবে ৷ এর উসিলায় হয়ত আল্লাহ তা জানা আমাদেরকে
মাফ করে দিবেন ৷ ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর সে আল্লাহর নিকট পৌছলে আল্লাহ তা আল৷ তাকে
মাফ করে দেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বৃখারী (র) সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত
উসাম৷ ইবন যায়দ (রা)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, প্নেগ রোগ সম্পর্কে আপনি রাসুলুল্লাহ
(না)-এর মুখে কী শুন্যেছনঃ হযরত উসাম৷ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন,
عُيَيْنَةَ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي الزِّنَادِ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ عَنْ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهُ كَانَ فِيمَا مَضَى قَبْلَكُمْ مِنَ الْأُمَمِ مُحَدَّثُونَ، وَإِنَّهُ إِنْ كَانَ فِي أُمَّتِي هَذِهِ مِنْهُمْ فَإِنَّهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ".» لَمْ يُخْرِجْهُ مُسْلِمٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ «أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَامَ حَجَّ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَنَاوَلَ قُصَّةً مِنْ شَعْرٍ كَانَتْ فِي يَدَيْ حَرَسِيٍّ فَقَالَ: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ؟ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذِهِ، وَيَقُولُ: إِنَّمَا هَلَكَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ حِينَ اتَّخَذَهَا نِسَاؤُهُمْ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَكَذَا رَوَاهُ مَعْمَرٌ
পৃষ্ঠা - ১১৫৪
وَيُونُسُ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِنَحْوِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدِيثٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ «قَدِمَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ الْمَدِينَةَ آخِرَ قَدْمَةٍ قَدِمَهَا فَخَطَبَنَا فَأَخْرَجَ كُبَّةَ شَعْرٍ فَقَالَ: مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَحَدًا يَفْعَلُ هَذَا غَيْرَ الْيَهُودِ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمَّاهُ الزُّورَ يَعْنِي: الْوِصَالُ فِي الشَّعْرِ» . تَابَعَهُ غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ وَالْعَجَبُ أَنَّ مُسْلِمًا رَوَاهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ غُنْدَرٍ عَنْ شُعْبَةَ بِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ فَنَزَعَتْ مُوقَهَا فَسَقَتْهُ
পৃষ্ঠা - ১১৫৫
ষ্ষ্
প্নেগ রোগ হল শান্তি বিশেষ ৷ বনী ইসরাঈলের একটি গোত্রের ওপর আল্লাহ তাআলা এটি
প্রেরণ করেছিলেন ৷ আর তোমাদের পুর্ববর্তী লোকদের উপরও এ শাস্তি এসেছিল ৷ কোন
এলাকায় প্লেগ রোগের প্রাদৃর্ডাব ঘটেছে শুনলে তোমরা ঐ এলাকার দিকে অগ্রসর হয়াে না ৷
আর তোমরা যেখানে অবস্থান করছ সেখানে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিলে রোগে আক্রান্ত
হওয়ার ভয়ে তোমরা সেখান থেকে পালিয়ে যেয়াে না ৷
ইমাম মুসলিম (র) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি প্লেগ
রোগ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম ৷ তিনি আমাকে জানালেন যে, এটি
একটি শাস্তি বিশেষ ৷ বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি আল্লাহ ইচ্ছা করেন তাদের নিকট এটি প্রেরণ
করেন ৷ আল্লাহ তাআলা এটিকে ঈমানদারদের জন্যে রহমত ও কল্যাণরুপে নির্ধারণ করেছেন ৷
কোন এলাকায় প্লেগ রোগের প্রকােপ দেখা দিলে কোন ব্যক্তি যদি পুর্ণ ধৈর্য সহকারে, সওয়াবের
আশায় এবং এ বিশ্বাস নিয়ে তথায় অবস্থ ন করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীরের অন্যথা
করে কোন বিপদ তার ওপর আসবে না, অতঃপর সে যদি সেখানে মারা যায় তবে সে শহীদের
মর্যাদা পাবে ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) হযরত আয়েশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মাখযুম গোত্রীয় যে মহিলাটি
চুরি করেছিল৩ ৷৩ ৷র ব্যাপারটি কুরায়শদেরকে উদ্বিগ্ন করে তোলে ৷ তা ৷র৷ বলাবলি করছিল যে,
তা তার বিষয়ে কে রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট সুপারিশ করবো তারা বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর
একান্ত প্রিয় উসামা, ইবন যায়দ (রা) ব্যতীত আর কে এ সাহস করবেঃ সে মতে হযরত উসামা
(বা) এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে আলাপ করলেন ৷ অটল রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
আল্লাহর নির্ধারিত দণ্ড বাতিলের জন্যে তুমি সুপারিশ করছ? এরপর তিনি উঠে র্দাড়ালেন এবং
খুৎব৷ দিতে গিয়ে বললেন :
’ টুহ্রটুছু ৷
’ #
৷ ১ ৷ টু
০
“তোমাদের পুর্বে যারা ধ্বংস হয়েছে তাদের ধ্বংসের কারণ হলো, তাদের কোন সম্রান্ত
লোক চুরি করলে তাকে তারা ছেড়ে দিত ৷ আর কোন দুর্বল শ্রেণীর কেউ চুরি করলে তাকে
তারা শাস্তি দিত ৷ আল্লাহর কসম , মুহাম্মদের (সা) কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করত তবে অবশ্যই
আমি তার হাত কেটে দিতাম ৷
অন্যান্য সহীহ হাদীস গ্রহুসমুহেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদা আমি এক
লোককে কুরআন তিলাওয়াত করতে শুনলাম ৷ আমি কিত্তু রাসুলুল্লাহ (সা) কে তা অন্যভাবে
فَغُفِرَ لَهَا بِهِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ بْنِ السَّرْحِ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ فَلَا هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلَا سَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلَا هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ» . وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بِهِ.
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا الْمُسْتَمِرُّ بْنُ الرَّيَّانِ حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ امْرَأَةٌ قَصِيرَةٌ فَصَنَعَتْ رِجْلَيْنِ مِنْ خَشَبٍ فَكَانَتْ تَمْشِي بَيْنَ امْرَأَتَيْنِ قَصِيرَتَيْنِ، وَاتَّخَذَتْ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ، وَحَشَتْ تَحْتَ فَصِّهِ أَطْيَبَ الطِّيبِ الْمِسْكَ فَكَانَتْ إِذَا مَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ حَرَّكَتْهُ فَنَفَحَ رِيحُهُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْمُسْتَمِرِّ، وَخُلَيْدِ بْنِ جَعْفَرٍ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا قَرِيبًا مِنْهُ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ حَدِيثٌ صَحِيحٌ.
পৃষ্ঠা - ১১৫৬
حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ سَمِعْتُ رِبْعِيَّ بْنَ حِرَاشٍ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ رَسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسَ مِنْ كَلَامِ النُّبُوَّةِ: إِذَا لَمْ تَسْتَحِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا وَمَوْقُوفًا أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ يَعْنِي ابْنَ بَهْرَامَ حَدَّثَنَا شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: «بَيْنَمَا رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ لَهُ فِي السَّلَفِ الْخَالِي، لَا يَقْدِرَانِ عَلَى شَيْءٍ فَجَاءَ الرَّجُلُ مِنْ سَفَرِهِ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ جَائِعًا قَدْ أَصَابَتْهُ مَسْغَبَةٌ شَدِيدَةٌ فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: أَعِنْدَكِ شَيْءٌ؟ قَالَتْ: نَعَمْ أَبْشِرْ أَتَاكَ رِزْقُ اللَّهِ. فَاسْتَحَثَّهَا فَقَالَ: وَيَحَكِ ابْتَغِي إِنْ كَانَ عِنْدَكِ شَيْءٌ قَالَتْ: نَعَمْ هُنَيَّةً نَرْجُو رَحْمَةَ اللَّهِ حَتَّى إِذَا طَالَ عَلَيْهِ الطَّوَى قَالَ: وَيْحَكِ قُومِي فَابْتَغِي إِنْ كَانَ عِنْدَكِ خُبْزٌ فَأْتِينِي بِهِ فَإِنِّي قَدْ بَلَغْتُ وَجَهَدْتُ فَقَالَتْ: نَعَمِ الْآنَ يُنْضِجُ التَّنُّورُ فَلَا تَعْجَلْ، فَلَمَّا أَنْ سَكَتَ عَنْهَا سَاعَةً، وَتَحَيَّنَتْ أَيْضًا أَنْ يَقُولَ لَهَا قَالَتْ هِيَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১১৫৭
ষ্ষ্
পাঠ করতে শুনেছি ৷ তাকে ধরে এনে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে উপস্থিত করি এবং
তার ভিন্ন রকম কুরআন পাঠ সম্পর্কে অভিযোগ পেশ করি ৷ এতে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর
চেহারা কিছুটা অসত্তুষ্টির চিহ্ন লক্ষ্য করি ৷ তিনি বললেন, তোমাদের দু’জনই তো যথার্থ ও শুদ্ধ
পাঠকারী ৷ তোমরা মতভেদ করো না ৷ কারণ তোমাদের পুর্বে যারা ছিল তারা পরস্পর
বাদানুবাদে লিপ্ত হয়েছিল ফলে তারা ধ্বংস হয়েছে ৷ ইমাম বুখারী (র) হাদীসটি এককভাবে
বর্ণনা করেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) হযরত আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
০
ণ্ঞড্রু& ছু,টুছুটু টু১ঠু ৰু৷ এেঠুর্চুশু৷ ৷দ্ভু ছুটুধ্ এ ৷ :, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানগণ চুল দীড়িতে রং
ব্যবহার করে না ৷ তোমরা তাদের বিপরীত করবে ৷ ইমাম বুখারী (র) এককভাবে এ রিওয়াতটি
বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে, তোমরা পাদুকাসহ সালাত আদায় করবে
এবং এভাবে ইয়াহুদীদের বিরোধিতা করবে ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখাৰী (ব) হযরত ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বলেন, আমি হযরত উমর (রা)-কে
বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা অমুক ব্যক্তিকে ধ্বংস করুন ৷ সে কি জানে না যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন, আল্লাহ লানত করুন ইয়াহুদীদের ওপর, তাদের জন্যে চর্বি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল
কিত্তু তারা তা গলিয়ে বিক্রি করতো ৷ ইমাম মুসলিম (র ) ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, নামাষের সময়ের ঘোষণারুপে লোকজন আগুন জ্বালানাে এবং সিঙ্গায় কুৎকার দেওয়ার
প্রস্তাব করেছিল ৷ তখন এও আলোচনা হয়েছিল যে, এগুলো তো ইয়াহুদী ও নাসারাদের
প্রতীক ৷ অতঃপর হযরত বিলাল (না)-কে জোড় শব্দে আযান এবং বেজােড় শব্দে ইকামত
দিতে নির্দেশ দেয়া হল ৷ এর উদ্দেশ্য হল, সকল কর্মে ইয়াহুদী নাসারাদের বিপরীত কাজ করা ৷
কারণ রাসুলুল্লাহ (না) যখন মদীনায় পদার্পণ করেন, তখন নামাষের প্রতি আহ্বানকারী কোন
আহ্বান ব্যতিরেকেই মুসলমানগণ নামাষের সময়ে উপস্থিত হত ৷ এরপর তাদের মধ্যে জনৈক
ঘোষককে নামাষের সময় হলে ইট্রু ৷টু ক্ট্রপ্রুাশুা৷ নামাষের জামাত আসন্ন বলে ঘোষণা দেয়ার
নির্দেশ দেয়া হল ৷ অতঃপর জামার্বুতর সময়ের প্রতীকরুপে র্তারা এমন কোন বিষয় নির্ধারণের
ইচ্ছা করলেন, না দেখে মানুষ বুঝবে ভৈয, জামাতের সময় আসন্ন ৷ তখন কেউ কেউ প্রস্তাব
দিলেন যে, আমরা তখন সিঙ্গায় কুৎকার দিব ৷ অপর কেউ প্রস্তাব করলেন যে, আমরা বরং
যথাসময়ে আগুন প্রজ্বলিত করব ৷
কিন্তু এগুলোতে ইয়াহুদী-নাসারাদের সাথে সামঞ্জস্য হয়ে যায় ৷ বিধায় দুটো প্রস্তাবই
অগ্রাহ্য হয় ৷ অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবদ রাব্বিহী (বা) কে তার ঘুমের মধ্যে
আযান দেখানো হলো ৷ তিনি এসে বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (না)-কে জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৬-
عِنْدِ نَفْسِهَا: لَوْ قُمْتُ فَنَظَرْتُ إِلَى تَنُّورِي فَقَامَتْ فَوَجَدَتْ تَنُّورَهَا مَلْآنَ مِنْ جُنُوبِ الْغَنَمِ، وَرَحْيَيْهَا تَطْحَنَانِ فَقَامَتْ إِلَى الرَّحَى فَنَفَضَتْهَا وَأَخْرَجَتْ مَا فِي تَنُّورِهَا مِنْ جُنُوبِ الْغَنَمِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَوَالَّذِي نَفْسُ أَبِي الْقَاسِمِ بِيَدِهِ - عَنْ قَوْلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَوْ أَخَذَتْ مَا فِي رَحْيَيْهَا وَلَمْ تَنْفُضْهَا، لَطَحَنَتْهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى أَهْلِهِ فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ الْحَاجَةِ خَرَجَ إِلَى الْبَرِّيَّةِ فَلَمَّا رَأَتِ امْرَأَتُهُ قَامَتْ إِلَى الرَّحَى فَوَضَعَتْهَا، وَإِلَى التَّنُّورِ فَسَجَرَتْهُ، ثُمَّ قَالَتِ: اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا فَنَظَرَتْ فَإِذَا الْجَفْنَةُ قَدِ امْتَلَأَتْ. قَالَ: وَذَهَبَتْ إِلَى التَّنُّورِ فَوَجَدَتْهُ مُمْتَلِئًا قَالَ: فَرَجَعَ الزَّوْجُ قَالَ: أَصَبْتُمْ بَعْدِي شَيْئًا قَالَتِ امْرَأَتُهُ: نَعَمْ مِنْ رَبِّنَا. قَامَ إِلَى الرَّحَى فَرَفَعَهَا فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَمَا إِنَّهُ لَوْ لَمْ يَرْفَعْهَا، لَمْ تَزَلْ تَدُورُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
পৃষ্ঠা - ১১৫৮
ষ্ষ্
উক্ত নিয়মে আযান দেয়ার জন্যে হযরত বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দিলেন ৷ হযরত বিলাল আমান
দিলেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) হযরত আয়েশা ও ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) যখন ইন্তিকালের সময়ে উপনীত হলেন, তখন তিনি একটি চাদর টেনে তার মুখে ঢাকতে
শুরু করলেন ৷ আর যখন তিনি অস্বস্তিবােধ করছিলেন, তখন তা মুখ থেকে সরিয়ে
ফেলছিলেন ৷ এমতাবস্থায় তিনি বলে উঠলেন :
; ৷
ইয়াহুদী ও নাসারাদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ধিত ছুউক কারণ তারা তাদের নবীদ্যো
কবরগুলোকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে ৷ তিনি তাদের কার্যকলাপ থেকে সতর্ক
করছিলেন ৷
অন্য একটি হাদীস
ইমাম বুখারী (র) আবু সাঈদ (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (যা) বলেন :
০ শ্ , ,
ৰুা£ঘ্র ঞ
“তোমরা এক সময় তোমাদের পুর্ববর্তীদের রীতিনীতির অনুসরণ করবে ৷ একেবারে বিঘতে
বিঘতে, হাতে হাতে (সমানে-সমান) এমনকি তারা যদি কোন গুইসাপের গর্ভে ঢুকে থাকে
তেদ্বমরাও তাতে ঢুকবে ৷ আমরা বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহা পুর্ববর্তীগণ বলে কি আপনি
ইয়াহুদী-নাসারাদেরকে বৃঝিয়েছেনঃ তিনি বললেন, তা না হলে আর কারা?
হাদীসটি ইমাম মুসলিম (র) ও বর্ণনা করেছেন ৷
ইহুদী খ্রীষ্টা ৷নদের আচার আচরণের সাথে সামঞ্জস্যশীল, ইসলামী শরীযতে নিষিদ্ধ, পরবর্তী
যুগে অনুষ্ঠিতব্য এসব কথা ও কর্ম সম্পর্কে অবগত করানোর পেছনে উদ্দেশ্য এই যে, মহান
আল্লাহ ও তীর রাসুল ঈমানদারদেরকে ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানদের সাথে সামঞ্জস্যশীল কথা ও কর্ম
থেকে বারণ করেছেন ৷ এ প্রকার কথা ও কাজের পেছনে কোন মুমিনের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও
এটি মুলত ওদেরই অনুকরণ ৷ সুতরাং এরুপ কর্ম স্পষ্টত তাদের কর্ম ৷
এভাবে ঈমানদারদেরকে সুর্যোদয় ও সুর্যড়ান্তের সময় নামায পড়তে নিষেধ করা হর্থোছ,
যাতে করে মুশরিকদের সাথে সামঞ্জস্য না হয় ৷ কেননা তারা এ সময়ে সুর্যের উপাসনা করত
যদিও ঈমানদারের মনে সুর্যের উপাসনার কোন কল্পনাও না থাকে ৷
«شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لَأَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمْ صَبِيرًا، ثُمَّ يَحْمِلَهُ فَيَبِيعَهُ فَيَسْتَعِفَّ مِنْهُ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَأْتِيَ رَجُلًا فَيَسْأَلَهُ» .