আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

حديث الذي استسلف من صاحبه ألف دينار فأداها

পৃষ্ঠা - ১১৪৬
ষ্ষ্


ইসহ৷ ক ইবন বিশররে তার আল মুরতাদা গ্রন্থে সাঈদ ইবন আবী আরুবড়াহ--হ ৷সান (ব )
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যুলকাবনাইন নিজেও তার অধীনস্থ রাজা-বাদশাহ এবং কর্মচারীদের
অবস্থা ৷পর্যবেক্ষণ করতেন ৷ কারো সম্পর্কে কোন বিশ্বাস ভঙ্গের ঘত্টনাণ্ড তার গোচরে এলে তিনি
সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন ৷ নিজে সরাসরি অবগত না হয়ে কাংন্ র৷ অভিযোগের প্রেক্ষিতে
কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন না ৷

একদিন তিনি ছদ্মবেশে এক শহরে ঘুবছিলেন ৷ একাদিক্রাম কয়েকদিন তিনি এক
বিচারকের আদালতে বসেন ৷ তিনি দেখলেন, কেউই বিচার প্রার্থী হয়ে ঐ বিচারকের আদালতে
আসে না ৷ বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত এ অবস্থা লক্ষ্য করার পর যুলকারনাইন যখন এ বিচারক
সম্বন্ধে কিছুই জানতে পারলেন না ৷ তখন তিনি ওখান থেকে ফিরে যেতে মনস্থ করেন ৷ সেদিনই
তিনি লক্ষ্য করলেন, দু’জন লোক বিচারপ্রার্থী হয়ে উক্ত বিচারকের নিকট এসেছে ৷ একজন
আরজি পেশ করে বলে যে, মাননীয় বিচ৷ রক আমি ঐ ব্যক্তি থেকে একটি বাড়ি ক্রয় করে তা
আবড়াদ করি ৷ ঐ বাড়িতে আমি গুপ্ত ধনের সন্ধান পাই ৷ আমি তাকে এটি নিয়ে যেতে তবলি ৷
বিক্ষ্ম যে তা নিয়ে যেতে অম্বীক৷ ৷র করে ৷

অপরজনকে উদ্দেশ ৷ করে বিচারক বলেন, এ ব্যাপারে তুমি কি বল? জবাবে সে বললাে,
আমি কখনো এ মাটির নিচে কোন সম্পদ লুকিয়ে রাখিনি এবং এ গুপ্তধন সম্পর্কে আমি কিছুই
জানি না ৷ সুতরাং এটি আমার নয় ৷ আমি তা ৷গ্রহণ করব না ৷ বাদী বলে, মাননীয় বিচারক !
কাউকে আমার নিকট থেকে তা নিয়ে আসতে আদেশ করুন ৷৩ তা পর আপনার যেখানে খুশী
তা ব্যবহার করবেন ৷ বিচারক বললেন, তুমি নিজে যে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে চাও আমাকে
তার মধ্যে জড়াতে চাচ্ছো৷ তুমি আমার প্রতি সুৰিচার করনি ৷ আমি মনে করি, দেশের আইনেও
এরুপ বিধান নেই ৷ বিচারক আরও বললেন, আচ্ছা, আমি কি এমন একটি ব্যবস্থা করব যাতে
তোমাদের উভয়ের প্রতি ইনসাফ হয় ৷ তারা বললাে , অবশ্যই ৷

বিচারক বাদীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার কি কোন পুত্র সন্তান আছেঃ সে বলল :

জী হব্রু৷ ৷ অপরজনকে বললেন, তোমার কি কোন কন্যা সন্তান আছেঃ সে বললাে জী হী৷ ৷

তিনি বললেন, দৃ’জনেই যাও তোমার মেয়েকে তার ছেলের সাথে বিবাহ দিয়ে দাও ৷ এ সম্পদ

থেকে তাদের বিবাহের ব্যয় নির্বাহ করবে ৷ আর যা অবশিষ্ট থাকবে তা তাদেরকে দিয়ে দেবে ৷

সেটি দ্বারা তারা তাদের সংসার চালাবে ৷ তাহলে দুজনেই এ বনের লাভ-ক্ষতির সমান
ৎশীদার হবে ৷

বিচারকের রায় শুনে বাদশাহ যুলকারনইিন মুগ্ধ হলেন ৷ তারপর বিচারককে ডেকে
বললেন, আপনার মত এমন চমৎর্কার করে বিচার অন্য কেউ করতে পারে বলে আমার মনে হয়
না ৷ অন্য কোন বিচারক এমন ফয়সালা দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না ৷ বিচারক
বাদশাহকে চিনেননি ৷ তিনি বললেন, কেউ কি এছাড়া অন্য কোন রায় দিতে পারো
ষুলকারনাইন বললেন, হীা, দেয়ই তো ৷ বিচারক বললেন, তারপরও ওদের দেশে কি বৃষ্টি
বর্ধিত হয়? একথা শুনে বিস্মিত হলেন যুলকারনাইন ৷ তিনি মন্তব্য করলেন, এরুপ লোকের
বদৌলতেই আসমানযমীন এখনও টিকে রয়েছে ৷


[حَدِيثُ الَّذِي اسْتَسْلَفَ مِنْ صَاحِبِهِ أَلْفَ دِينَارٍ فَأَدَّاهَا] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلَ بَعْضَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يُسْلِفَهُ أَلْفَ دِينَارٍ فَقَالَ: ائْتِنِي بِشُهَدَاءَ أُشْهِدُهُمْ قَالَ: كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا قَالَ: ائْتِنِي بِكَفِيلٍ قَالَ: كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلًا قَالَ: صَدَقْتَ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَخَرَجَ فِي الْبَحْرِ فَقَضَى حَاجَتَهُ، ثُمَّ الْتَمَسَ مَرْكَبًا يَقْدَمُ عَلَيْهِ لِلْأَجْلِ الَّذِي كَانَ أَجَّلَهُ فَلَمْ يَجِدْ مَرْكَبًا فَأَخَذَ خَشَبَةً فَنَقَرَهَا، وَأَدْخَلَ فِيهَا أَلْفَ دِينَارٍ، وَصَحِيفَةً مَعَهَا إِلَى صَاحِبِهَا، ثُمَّ زَجَّجَ مَوْضِعَهَا، ثُمَّ أَتَى بِهَا الْبَحْرَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ قَدْ عَلِمْتَ أَنِّي اسْتَلَفْتُ مِنْ فُلَانٍ أَلْفَ دِينَارٍ فَسَأَلَنِي كَفِيلًا فَقُلْتُ: كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلًا فَرَضِيَ بِذَلِكَ، وَسَأَلَنِي شَهِيدًا فَقُلْتُ: كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا فَرَضِيَ بِذَلِكَ، وَإِنِّي قَدْ جَهِدْتُ أَنْ أَجِدَ مَرْكَبًا أَبْعَثُ إِلَيْهِ بِالَّذِي لَهُ فَلَمْ أَجِدْ مَرْكَبًا، وَإِنِّي اسْتَوْدَعْتُكَهَا فَرَمَى بِهَا فِي الْبَحْرِ حَتَّى وَلَجَتْ فِيهِ، ثُمَّ انْصَرَفَ
পৃষ্ঠা - ১১৪৭

আরেকটি শিক্ষণীয় ঘটনা

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন,
বনী ইসরাঈলের এক লোকের ঘটনা ৷ সে ৯৯ জন মানুষ খুন করেছিল ৷ তারপর কোন বুযর্গ
ব্যক্তির খোজে বের হয় ৷ সে একজন ইয়াহুদী ধর্মযাজকের নিকট এসে পৌছে বলে, আমার
তাওবা কবুল হবে কি? ধর্মযাজক বলেন, না, তোমার কোন তাওবা কবুল হবে না ৷ তখন যে ঐ
ধর্মযাজককেও হত্যা করে ৷

এরপর যে অন্য বুয়র্গ লোকের সন্ধান করছিল ৷ একজন বলল, অমুক জনপদে যাও ৷ পথে
তার মৃত্যুর সময় হয় ৷ তার বক্ষদেশ তখন ঐ জনপদ অভিমুখী ঝুকে রয়েছিল ৷ তখন রহমতের
ফিরিশতা ও আযাবের ফিরিশতা উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয় ৷ আল্লাহ তাআলা
সম্মুখ ভাগের ভুমিকে নির্দেশ দিলেন সংকুচিত ও কাছাকছি হয়ে যেতে ৷ পেছনে রেখে আসা
ভুমিকে নির্দেশ দিলেন সম্প্রসারিত ও দুরে সরে যেতে ফিরিশতড়াদেরকে নির্দেশ দিলেন উভয়
দিকে ভুমি মেপে দেখতে ৷ দেখা গেল, সম্মুখের গন্তব্য স্থল পেছনের ছেড়ে আসা স্থান থেকে
এক বিঘত নিকটে ৷ অতঃপর তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয় ৷

ইমাম বুখারী (র) এরুপ সংক্ষিপ্ত-ই-বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) তা বিশদভাবে
বর্ণনা করেছেন ৷

অন্য একটি হাদীস

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে একাধিক সনদে বর্ণনা করেন, একদিনের
কথা, রাসুলুল্লাহ (না) ফজরের নামায শেষে মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বললেন ৷ তিনি বললেন,
একজন লোক একটি গরু নিয়ে যাচ্ছিল ৷ এক সময় সে পরুটির পিঠে চড়ে বসে এবং সেটিকে
প্ৰহার করে ৷ গরুটি বলে উঠে, আমাকে তো এ কাজের জন্যে সৃষ্টি করা হয়নি ৷ আমাকে সৃষ্টি
করা হয়েছে জমি চাষ করার জন্যে ৷ তখন লোকজন অবাক হয়ে বলে , সুবহানাল্লাহ, গরু আবার
কথা বলে! রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি নিজে এ ঘটনাটি বিশ্বাস করি ৷ আবু বকর (বা) এবং
উমর (রা)-ও এ ঘটনা বিশ্বাস করেন ৷ এ আলোচনার সময় আবু বকর ও উমর (রা) কিন্তু
সেখানে ছিলেন না ৷

অতঃপর রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, এক ব্যক্তি বকরী চরাচ্ছিল ৷ এমন সময় একটি নেকড়ে
বাঘ হামলা চালিয়ে একটি বকরী নিয়ে যায় ৷ বকরী ওয়ালা তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে ৷ শেষ
পর্যন্ত যে বকরী নেকড়ের হাত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় ৷ নেকড়েটি বললো, আজ তৃ
এটিকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করে নিলে তবে হিংস্র জীবদের রাজত্বের দিনে, কে তাকে
রক্ষা করবেঃ সেদিন তো আমি ব্যতীত কোন রাখাল থাকবে না ৷ এটি শুনে লোকজন বলে ওঠে,
সুবহানাল্পাহ! সেকড়েও আবার কথা বংলঃ রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেন, আমি আবু বকর (বা) ও
উমর (রা) আমরা সবাই এটি বিশ্বাস করি ৷ সেখানে আবু বকর (রা) ও উমর (রা) উপস্থিত
ছিলেন না ৷


يَنْظُرُ وَهُوَ فِي ذَلِكَ يَطْلُبُ مَرْكَبًا إِلَى بَلَدِهِ فَخَرَجَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ أَسْلَفَهُ يَنْظُرُ لَعَلَّ مَرْكَبًا يَجِيءُ بِمَالِهِ فَاذَا بِالْخَشَبَةِ الَّتِي فِيهَا الْمَالُ فَأَخَذَهَا لِأَهْلِهِ حَطَبًا فَلَمَّا كَسَرَهَا وَجَدَ الْمَالَ وَالصَّحِيفَةَ، ثُمَّ قَدِمَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ تَسَلَّفَ مِنْهُ فَأَتَاهُ بِأَلْفِ دِينَارٍ، وَقَالَ وَاللَّهِ مَا زِلْتُ جَاهِدًا فِي طَلَبِ مَرْكَبٍ لِآتِيَكَ بِمَالِكَ فَمَا وَجَدْتُ مَرْكَبًا قَبْلَ الَّذِي أَتَيْتُ فِيهِ، قَالَ: هَلْ كُنْتَ بَعَثْتَ إِلَيَّ بِشَيْءٍ قَالَ: أَلَمْ أُخْبِرْكَ أَنِّي لَمْ أَجِدْ مَرْكَبًا قَبْلَ هَذَا الَّذِي جِئْتُ فِيهِ، قَالَ: فَإِنَّ اللَّهَ أَدَّى عَنْكَ الَّذِي بَعَثْتَ بِهِ فِي الْخَشَبَةِ فَانْصَرِفْ بِأَلْفِكَ رَاشِدًا» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُسْنَدًا وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ صَحِيحِهِ بِصِيغَةِ الْجَزْمِ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، وَأَسْنَدَهُ فِي بَعْضِهَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ كَاتِبِ اللَّيْثِ عَنْهُ، وَالْعَجَبُ مِنَ الْحَافِظِ أَبِي بَكْرٍ الْبَزَّارِ كَيْفَ رَوَاهُ فِي مُسْنَدِهِ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُدْرِكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، ثُمَّ قَالَ: لَا يُرْوَى إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ بِهَذَا الْإِسْنَادِ.