আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

خبر الثلاثة الأعمى والأبرص والأقرع

পৃষ্ঠা - ১১৪৩
ষ্ষ্


আপনাকে সব সম্পদ দান করেছেন ৷ সে বলল, আমি তো বংশ্ ৷৷নুত্রুমে উত্তরাধিকার সুত্রে এ
সম্পদের মালিক হয়েছি ৷ ফেরেশ৩ ৷ বললেন, তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে৷ তাহলে আল্লাহ
যেন তোমাকে পুর্বাবন্থড়ায় ফিরিয়ে দেন!

এরপর ফেরেশতা ণ্টকে৷ মাথা লোকের নিকট তার আকৃতি ৩নিয়ে আসলেন ৷ কুষ্ঠরোগীকে
যেরুপ বলেছিলেন, তাকেও সেরুপ বললেন ৷ সেও ঐ কুষ্ঠরোপ র মত উত্তর দিল ৷ ফেরেশতা
বললেন, তুমি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহ যেন তোমাকে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে ণ্দনা

এরপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির নিকট তার আকৃতিতে আসলেন ৷ তিনি বললেন, আমি
মিসকিন ও মুসফির ব্যক্তি ৷ সফরে এসে আমার সহায় সম্বল ফুরিয়ে পািয়ছে ৷ আল্লাহর সাহায্য
ও তারপর আপনার সহায়তা ব্যতীত আমার বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই ৷ যে মহান
আল্লাহ আপনাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার দােহ ই দিয়ে আমি আপনার নিকট একটি
বকারী যড়াপ্লো করছি ৷ ওটি দ্বারা আমার সফরের প্রয়োজনীয় খরচ ৷মটাবাে ৷ বকরী ওয়ালা বলল,
আমি ছিলাম অন্ধ ৷ আল্লাহ আমাকে দৃষ্টিশ ৷ক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ মাম ছিলাম দরিদ্র ৷ আল্লাহ
আমাকে ধনী বানিয়েছেন ৷ তোমার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে যাশুৰ ৷ আল্লাহর নামে তুমি আজ
যেটিই নিয়ে আমি তাতে দুঃখ পাব না ৷ ফিরিশত৷ বললেন, আপনার মাল আপনি রেখে দিন!
বন্তুত আল্লাহ আপনাদের তিনজনকে পরীক্ষা করলেন ৷ আপনার প্রতি আল্লাহর রাজী হয়েছেন ৷
পক্ষান্তরে আপনার অপর দুই সাথীর প্রতি আল্লাহ নারাজ ও অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷

এটি ইমাম বুখারী (র)-এর ভাষ্য ৷ বনী ইসরাঈল বিষয়ক হাদীসসমুহে তিনি এটি উদ্ধৃত
করেছেন ৷

এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ধার নিয়ে তা পরিশোধের ঘটনা

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হযরত হুরায়র৷ (যা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বনী
ইসরাঈলের এক লোকের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত লোক বনী ইসরাঈলের অন্য এক ব্যক্তি
থেকে এক হাজ জার স্বর্ণ মুদ্রা ধার ঢেয়েছিল ৷ ঋণ ৷দাত৷ বললাে কয়েকজন সাক্ষী নিয়ে আস ৷ সে
বললাে, সাক্ষীরুপে আল্লাহই যখেষ্ট’ ৷ ঋণদ৷ তা বলেছিল, একজন জ মিন নিয়ে আসুন ৷ সে
বলল, জামিন হিসেবে অ৷ ৷ল্লাহই যথেষ্ট ৷ ঋণদাতা তখন বলে,তু মি যথাংইি বল্যেছা

সে মতে সে তাকে এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দিল ৷ ঋণ গ্রহিত৷ এরপর এক সমুদ্র যাত্রায় বের
হয় ৷ তার কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ে যে ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে ঋণ দাতার নিকট
পৌছার জন্যে একটি বাহন খুজতে থাকে ৷ বিক্ষ্ম কোন বাহন সে খুজে পায়নি ৷ তখন সে একটি
কাষ্ঠখণ্ড সংগ্রহ করে ৷ সেটিকে ছিদ্র করে ৷ এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা এবং ঋণদাতার উদ্দেশ্যে
লিখিত একটি চিঠি যে ঐ ছিদ্রের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় ৷ অতঃপর ভাল করে ছিদ্রের স্থানটি বন্ধ
করে দেয় ৷ অতঃপর ঐ কাষ্ঠখণ্ডটি নিয়ে সে উপস্থিত হয় সমুদ্রের তীরে ৷ সে বলে, হে আল্লাহ !
আপনি তো জানেন অমুক ব্যক্তি থেকে আমি এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা ধার নিয়েছিলাম ৷ সে আমার
নিকট জামিন দাবি করে ৷ আমি তাকে বলেছিলাম যে , জামিন রুপে আল্লাহই যথেষ্ট ৷ সে আমার
নিকট সাক্ষী দাবি করে ৷ আমি বলি সাক্ষীরুপে আল্লাহই যথেষ্ট ৷ এতে যে রাজী হয় ৷ আমি তো
যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি একটি বাহন যােগাড় করার জন্যে ৷ যাতে যথাসময়ে আমি তার টাকা


[خَبَرُ الثَّلَاثَةِ الْأَعْمَى وَالْأَبْرَصِ وَالْأَقْرَعِ] رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «إِنَّ ثَلَاثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَبْرَصُ وَأَعْمَى وَأَقْرَعُ، بَدَا لِلَّهِ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الْأَبْرَصَ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ فَقَالَ: لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ قَالَ: فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ فَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا، فَقَالَ: أَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ الَيْكَ؟ قَالَ: الْإِبِلُ - أَوْ قَالَ: الْبَقَرُ هُوَ شَكٌّ فِي ذَلِكَ أَنَّ الْأَبْرَصَ وَالْأَقْرَعَ قَالَ أَحَدُهُمَا: الْإِبِلُ، وَقَالَ الْآخَرُ: الْبَقَرُ - فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ فَقَالَ: يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا. قَالَ: وَأَتَى الْأَقْرَعَ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: شَعْرٌ حَسَنٌ، وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ، وَأُعْطِيَ شَعْرًا حَسَنًا. قَالَ: فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ الَيْكَ؟ قَالَ: الْبَقَرُ فَأَعْطَاهُ بَقَرَةً حَامِلًا، وَقَالَ: يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا. وَأَتَى الْأَعْمَى فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ
পৃষ্ঠা - ১১৪৪
ষ্ষ্


পৌছিয়ে দিতে পারি ৷ কিন্তু আমি কোন বাহন পেলাম না ৷ এখন সেই এক হাজার মুদ্রা
আপনার নিকট আমানত রাখছি ৷ এ বলে ঐ কাষ্ঠখণ্ডটি সে সমুদ্র ভাসিয়ে দেয় ৷ কাঠ ভেসে যায়
সমুদ্রে ৷ সে ফিরে যায় এবং নিজ দেশে পৌছার জন্যে বাহন খুজতে থাকে ৷ ঋণ গ্রহীতা তার
সম্পদ নিয়ে আগমনকায়ী বাহনের অপেক্ষায় থাকে ৷ হঠাৎ সেই সম্পদ সম্বলিত কাঠটি তার
নজরে পড়ে ৷ পরিবারের জ্বালানি কাঠ রুপে ব্যবহারের জন্যে সে কাঠটি বাড়ি নিয়ে যায় ৷ সেটি
কাটতে গিয়ে যে উক্তার্ণ মুদ্রা ও চিঠিটি পড়ায় ৷ পরবর্তীতে একদিন ঋণ গ্রহীতা তার নিকট
এক হাজারার্ণ মুদ্রা নিয়ে এসে উপস্থিত হয় ৷ সে বলে, আমি বাহন সংগ্রহ করার জন্যে
যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি ৷ যাতে করে পাওনা টাকা নিয়ে যথাসময়ে আপনার নিকট আসতে
পারি ৷ কিন্তু যে বাহনে করে আমি আপনার নিকট এসেছি সেটির পুর্বে কোন বাহন পাইনি ৷
ঋণদাতা বললো, তুমি ইতিপুর্বে আমার নিকট কোন কিছু প্রেরণ করেছিলো সে বললো, আমি
তো আপনাকে বলেছি-ই যে, এ বাহনের পুর্বে আমি কোন বাহন পাইনি ৷ ঋণ দাতা বললো,
তোমার কাঠের ভেতরে রাখার্ণ মুদা আল্লাহ তাআলা আমার নিকট পৌছিয়ে দিয়েছেন ৷ যে
এক হাজারার্ণ মুদ্রা সাথে করে এন্যেছা তা নিয়ে তুমি ফিরে যাও ৷

ইমাম আহমদরে সনদ সহকারে হড়াদীসটি এভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) তার
সহীহ গ্রন্থের একাধিক স্থানে সনদ ছাড়াই নিশ্চয়তা প্রকাশক শব্দ দ্বারা লাইছ ইবন সাদ সুত্রে
এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তার কাতিব আবদুল্লাহ ইবন সালিহ সুত্রে সনদ সহকারে উল্লেখ
করেছেন ৷ এতদসংত্ত্বও হাকিম বায্যার যে তার মুসনাদ গ্রন্থে হাদীসটি একক বর্ণনা বলে মন্তব্য
করেছেন, তাতে বিস্মিত হতে হয় ৷

সততা ও অড়ামানতেয় আরও দৃষ্টান্ত ঘটনা

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, বাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির নিকট থেকে একখণ্ড জমি ক্রয় করেছিল ৷ যে
ব্যক্তি জমি ক্রয় করে সে ঐ জমিতে একটিার্ণভর্তি কলসী পায় ৷ সে বিক্রেতাকে বলে যে,
আপনারার্ণ আপনি নিয়ে নিন ৷ আমি তো আপনার নিকট থেকে শুধু জমিই ক্রয় করেছি ৷ার্ণ
ক্রয় করিনি ৷

জমির মালিক বলে, আমি জমি এবং জমির অভ্যম্ভরস্থ সবকিছু আপনার নিকট বিক্রয়
করেছি ৷ তারা দৃ’জনে মীমাংসার জন্যে তৃতীয় এক ব্যক্তিকে সালিশ নির্ধারণ করে ৷ সে ব্যক্তি
বলে, আপনাদের কোন ছেলে যেয়ে আছে কি? একজন বললো, আমার একটি পুত্র সন্তান
আছে ৷ অন্যজন বললো, আমার আছে একটি কন্যা সন্তান ৷ মীমাংসাকারী ব্যক্তিটি বললো , ঐ
মেয়েকে ঐ ছেলেটির নিকট বিয়ে দিয়ে দিন ৷ ঐার্ণ দৃ’জনের জন্যে ব্যয় করুন এবং ঐ
দৃ’জনকে দান করে দিন ৷

বনী ইসরাঈলের বর্ণনায় ইমাম বৃখারী (র) এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম
(র)-ও হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, বাদশাহ যুলকারনাইন-এর
যুগে এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ যুলকারনাইনের যুগ তো বনী ইসরাঈলের যুগের বহু পুর্বে ছিল ৷
আল্লাহই ভাল জানেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (২য় খণ্ড) ৩৫

أَحَبُّ الَيْكَ؟ قَالَ: يَرُدُّ اللَّهُ إِلَيَّ بَصَرِي فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ، قَالَ: فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ، قَالَ: فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ الَيْكَ؟ قَالَ: الْغَنَمُ، فَأَعْطَاهُ شَاةً وَالِدًا، فَأَنْتَجَ هَذَانِ وَوَلَدَ هَذَا فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنَ الْإِبِلِ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْبَقَرِ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ، ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الْأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ تَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلَا بَلَاغَ الْيَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ، ثُمَّ بِكَ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي، فَقَالَ لَهُ: إِنَّ الْحُقُوقَ كَثِيرَةٌ فَقَالَ لَهُ: كَأَنِّي أَعْرِفُكَ، أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ؟ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ؟ فَقَالَ: لَقَدْ وَرِثْتُ لِكَابِرٍ عَنْ كَابِرٍ! فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ. وَأَتَى الْأَقْرَعُ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَمَا قَالَ لِهَذَا فَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هَذَا فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ. وَأَتَى الْأَعْمَى فِي صُورَتِهِ فَقَالَ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ، وَابْنُ سَبِيلٍ، وَتَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلَا بَلَاغَ الْيَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ، شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي
পৃষ্ঠা - ১১৪৫
فَقَالَ: قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيَّ بَصَرِي، وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِي فَخُذْ مَا شِئْتَ فَوَاللَّهِ لَا أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ بِشَيْءٍ أَخَذْتَهُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: أَمْسِكْ مَالَكَ فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ فَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْكَ وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ» هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ فِي أَحَادِيثِ بَنِي إِسْرَائِيلَ.