আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

قصة جريج أحد عباد بني إسرائيل

পৃষ্ঠা - ১১৩১
[قِصَّةُ جُرَيْجٍ أَحَدِ عُبَّادِ بَنِي إِسْرَائِيلَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنِي أَبِي سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ يَتَكَلَّمْ فِي الْمَهْدِ إِلَّا ثَلَاثَةٌ ; عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَالَ: وَكَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ عَابِدٌ يُقَالُ لَهُ: جُرَيْجٌ فَابْتَنَى صَوْمَعَةً وَتَعَبَّدَ فِيهَا قَالَ: فَذَكَرَ بَنُو إِسْرَائِيلَ عِبَادَةَ جُرَيْجٍ فَقَالَتْ بَغِيٌّ مِنْهُمْ: لَئِنْ شِئْتُمْ لِأَفْتِنَنَّهُ! فَقَالُوا: قَدْ شِئْنَا ذَاكَ. قَالَ: فَأَتَتْهُ فَتَعَرَّضَتْ لَهُ فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهَا فَأَمْكَنَتْ نَفْسَهَا مِنْ رَاعٍ كَانَ يَأْوِي غَنَمَهُ إِلَى أَصْلِ صَوْمَعَةِ جُرَيْجٍ فَحَمَلَتْ فَوَلَدَتْ غُلَامًا فَقَالُوا: مِمَّنْ؟ قَالَتْ: مِنْ جُرَيْجٍ فَأَتَوْهُ فَاسْتَنْزَلُوهُ فَشَتَمُوهُ وَضَرَبُوهُ وَهَدَمُوا صَوْمَعَتَهُ فَقَالَ: مَا شَأْنُكُمْ؟ قَالُوا: إِنَّكَ زَنَيْتَ بِهَذِهِ الْبَغِيِّ فَوَلَدَتْ غُلَامًا فَقَالَ: وَأَيْنَ هُوَ؟ قَالُوا: هُوَ هَذَا قَالَ: فَقَامَ فَصَلَّى وَدَعَا، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْغُلَامِ فَطَعَنَهُ بِإِصْبَعِهِ فَقَالَ: بِاللَّهِ يَا غُلَامُ مَنْ أَبُوكَ؟ فَقَالَ: أَنَا ابْنُ الرَّاعِي فَوَثَبُوا إِلَى جُرَيْجٍ فَجَعَلُوا يُقَبِّلُونَهُ، وَقَالُوا: نَبْنِي صَوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ قَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِي ذَلِكَ ابْنُوهَا مِنْ طِينٍ كَمَا كَانَتْ قَالَ: وَبَيْنَمَا امْرَأَةٌ فِي حِجْرِهَا ابْنٌ لَهَا تُرْضِعُهُ إِذْ مَرَّ بِهَا رَاكِبٌ ذُو شَارَةٍ فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ اجْعَلِ ابْنِي مِثْلَ هَذَا، قَالَ: فَتَرَكَ ثَدْيَهَا
পৃষ্ঠা - ১১৩২
ষ্ষ্


এবং ঘোড় সওয়ারের দিকে তাকিয়ে বলে, হে আল্লাহ! আমাকে ওর মত করবেন না ৷ ’ এরপর
সে পুনরায় মায়ের স্তনে ফিরে আসে এবং তা’ চুষতে থাকে ৷ আবু হুরায়রা (বা ) বলেন, আমি
যেন এখনও দেখছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) শিশুর ঐ কাজটি দেখিয়ে দিচ্ছেন এবং তিনি তার
নিজের আঙ্গুল মুখে পুরে তা চুষছেন ৷

এরপর মহিলাটি একজন ক্রীতদাসীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল ৷ লোকজন তাকে প্ৰহড়ার
করছিল ৷ মহিলাটি বলল, হে আল্লাহ! আমার ছেলেকে ওই ক্রীতদাসীর ন্যায় করবেন না ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বপ্সছিলেন যে, তখনই শিশুটি তার মায়ের স্তন ছেড়ে দেয় এবং ক্রীতদাসীর
প্রতি তাকিয়ে বলে , হে আল্লাহ! আমাকে এই ক্রীতদাসীর মত করবেন ৷ তখন মা-ছেলের মধ্যে
এরুপ কথােপকথন শুরু হয় ৷

মা-টি বলে, আমার পেছন দিয়ে সুসজ্জিত অশ্বারােহী মাচ্ছিল , আমি বললাম , হে আল্লাহ!
আমার ছেলেকে এই এর মত বানাবেন ৷ তখন তুমি বললে যে, হে আল্লাহ! আমাকে ওর মত
বানাবেন না ৷ তারপর আমি এই ক্রীতদাসীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ আমি বললাম, হে আল্লাহ!
আমার ছেলেকে ঐ ক্রীতদাসীর মত বানাবেননা ৷ তুমি বললে, হে আল্লাহ! আমাকে ওর মত
বানাবেন ৷’ এর রহস্য কি? জবাবে গ্রিণ্ডেটি বলল, অড়াম্মজােন, অশ্বারোহী সৃসজ্জিত ব্যক্তিটি
একজন প্রতাপশালী ও অত্যাচারী লোক ৷ আর ওই ক্রীতদাসীটি একজন অসহায় মহিলা ৷ তারা
তাকে ব্যতিচারের অপবাদ দিচ্ছে ৷ অথচ যে তা করেনি ৷ তার! বলছে, তুই চুরি করেছিল ! অথচ
সে চুরিও করেনি ৷ সে সর্বাবস্থায় বলছিল--- আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট ৷ ’

ইমাম বুখড়ারী (র) আম্বিয়া’ সংক্রান্ত অধ্যায়ে এবং জুলুম সংক্রান্ত অধ্যায়ে এবং ইমাম
মুসলিম (র) আদর অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) ইরশাদ
করেছেন, জুরায়জ একদা তীর ইবাদতখানায় ইবাদত করছিলেন, এমন সময় সেখানে তার মা
এসে হাজির হন ৷ তিনি বলেন, হে জুরায়জ ! আমি তোমার যা, আমার সঙ্গে কথা বল ! হাদীস
বর্ণনার সময় রাসুলুল্লাহ (সা) কিভাবে তার ডান ভ্রু-এর ওপর হাত রেখেছিলেন আবু হুরায়রা
(বা) তা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ জুরায়জের না যখন হাজির হন তখন জুরায়জ ছিলেন নামাষের
মধ্যে ৷ মনে মনে তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমি এখন কি করি, একদিকে মা অপর দিকে
নামায ! শেষ পর্যন্ত তিনি নামাযকেই প্রাধান্য দেন ৷ তার যা তখন ফিরে চলে যায় ৷ এরপর তার
মা পুনরায় তার নিকট আসেন ৷ ঘটনাক্রমে তখনও তিনি নামাযে রত ছিলেন ৷ মা ডেকে
বললেন, হে জুরায়জ ! আমি তোমার মা ৷ আমার সাথে কথা বল ৷ তিনি মনে মনে বললেন, হে
আল্লাহ ৷ একদিকে নামায, অপর দিকে আমার মা ৷ আমি তখন কি করি? শেষ পর্যন্ত তিনি
নামাযকেই প্রাধান্য দিলেন ৷

তখন মা বললেন, হে আল্লাহ! এই জুরায়জ, আমার পুত্র ৷ আমি তার সাথে কথা বলতে
চেয়েছিলাম সে আমার সাথে কথা বলেনি ৷ হে আল্লাহ! কোন ব্যতিচারিণীর হাতে লাঞ্ছিত না
করে তার মৃত্যু দিবেন না ৷ কোন ব্যতিচারিণী তাকে ফীদে ফেলার জন্যে ডাকলে হে আল্লাহ!
আপনি তাকে ফীদে ফেলার ব্যবস্থা করে দিবেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৪-


وَأَقْبَلَ عَلَى الرَّاكِبِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ قَالَ: ثُمَّ عَادَ إِلَى ثَدْيِهَا فَمَصَّهُ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْكِي صَنِيعَ الصَّبِيِّ، وَوَضَعَ أُصْبَعَهُ فِي فَمِهِ يَمَصُّهَا، ثُمَّ مُرَّ بِأَمَةٍ تُضْرَبُ فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهَا قَالَ: فَتَرَكَ ثَدْيَهَا، وَأَقْبَلَ عَلَى الْأَمَةِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا قَالَ: فَذَاكَ حِينَ تَرَاجَعَا الْحَدِيثَ فَقَالَتْ: حَلْقَى! مَرَّ الرَّاكِبُ ذُو الشَّارَةِ فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ اجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهُ فَقُلْتَ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ، وَمُرَّ بِهَذِهِ الْأَمَةِ فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهَا فَقُلْتَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا فَقَالَ: يَا أُمَّتَاهُ إِنَّ الرَّاكِبَ ذُو الشَّارَةِ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ يَقُولُونَ: زَنَتْ وَلَمْ تَزْنِ، وَسَرَقَتْ وَلَمْ تَسْرِقْ، وَهِيَ تَقُولُ: حَسْبِيَ اللَّهُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي أَحَادِيثِ الْأَنْبِيَاءِ، وَفِي الْمَظَالِمِ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ ابْرَاهِيمَ، وَمُسْلِمٌ فِي كِتَابِ الْأَدَبِ عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ كِلَاهُمَا عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ১১৩৩
ষ্ষ্


একজন রাখাল জুরায়জের ইবাদতখানার পাশে র ৷ত্রি যাপন করত ৷ এক রাতে এক মহিলা
বেরিয়ে আসে ৷ রাখাল তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় ৷ ফলে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে ৷
লোকজন বলে এটি ক র সন্তানঃ সে বলল, এই ইবাদতখানার মালিকের সন্তান ৷ লোকজন
তাদের কুঠ৷ রাদি নিয়ে জুরায়জের ইবাদত থানায় উপস্থিত হয় এবং চীৎকার করে র্তাকে ভাকতে
থাকে ৷ তিনি নিরুত্তর রইলেন ৷ এরপর তারা তার ইবাদতখানাঢি ভাঙ্গতে শুরু করে ৷ তিনি
বেরিয়ে তাদের নিকট আসেন ৷ তারা বললাে, এই মহিলাটির সাথে কথা বল ৷ তিনি বললেন,
আমি তো তাকে হাসতে দেখছি ৷ তারপর তিনি শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, তোমার
পিতা কে? জবাবে শিশুটি বলল, আমার পিতা বকরীর রাখাল ৷ তখন তারা বলল, হে জুরায়জ !
তোমার যে ইবাদতখানাটি আমরা নষ্ট করেছি তা আমরা সােনা-রুপ৷ দিয়ে নির্মাণ করে দিব ৷
তিনি বললেন, না, বরং পুর্বে যেমন ছিল তেমন করে তৈরি করে দাও ৷ তখন তারা তাই
করলো ৷ ইমাম মুসলিম (র) অনুমতি প্রার্থনা’ পর্বে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে এ মর্মে আরেকটি হাদীসবর্ণনা করেন ৷ তাতে
রাখ৷ ল পুরুষের স্থলে রাখলে শ্রী লোকের উল্লেখ রয়েছে ৷ তাতে ব ৩ হয়েছে যে, এক রাখাল
বালিকা নিজেদের বকরী চরাত ৷ সে এসে জুরায়জের ইবাদতখানার ছারায় বসত ৷ একদিন সে
কোন এক লোকের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং তাতে সে গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে ৷ সে জনতার
হাতে ধরা পড়ে যায় ৷ তখনকার বিধান ছিল ব্যভিচারীকে মৃতুদণ্ড দেয়া হত ৷ লোকজন বলল, এ
সম্ভানটি কার? রাখাল মহিলাটি বলল, ইবাদতখানার মালিক জুরায়জের ৷ লোকজন তাদের
কুঠারাদি নিয়ে ইবাদতখানার উপর বাপিয়ে পড়লো ৷ তার ৷ বললাে, হে জুরায়জ, হে ভণ্ড
ইবাদতকারী! বেরিয়ে আয় ৷ জুরায়জ নেমে আসতে অস্বীকৃতি জানালো এবং নামায়ে রত
রইলেন ৷ লোকজন তার ইবাদতখানা ভাঙা শুরু করে ৷ এ অবস্থা দেখে তিনি নিচে নেমে
আসেন ৷ তারা জুরায়জ এবং উক্ত মহিলার গলায় রশি বেধে দদ্বুজনকে পাতায় পাতায় ঘুরাতে
থাকে

ই৩ দ্রবসরে জুরায়জ তার আঙ্গুলী মহিলা ৷র পেটে রেখে বলেন হে শিশু তোমার পিতা কে ?
গর্ভস্থিত শিশু বলে ওঠে, আমার পিতা বকরীর রাখা ল ওমুক ব্যক্তি ৷ লোকজন তখন জুরায়জকে
চুমু যেতে শুরু করে ৷ তারা বলে যে , আপনি যদি অনুমতি দেন তবে আমরা সোনা-রুপা দিয়ে
আপনার ইবড়াদতখান৷ তৈরি করে দেব ৷ তিনি বললেন, না, দরকার নেই ৷ বরং পুর্বে যেরুপ ছিল
সেইরুপেই পুনঃ নির্মাণ করে দাও ৷ এটি একটি গরীব পর্যায়ের হাদীস ৷ এর সনদ ইমাম
মুসলিমের শর্ত পুরণ করে ৷

উল্লেখিত তিনজন ব্যক্তি মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় কথা বলেছেন ৷ ঈস৷ ইবন মরিয়ম
(আ) তার ঘটনা ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ জুরায়জের ইবাদত থানার পার্শ্ববর্তী রাখালের
ঔরসে যেনাক কারিণীর পুত্র ৷ যা এইম৷ ৷ত্র বর্ণিত হলো ৷ তার নাম ছিল ইয়াবুস ৷ ইমাম ৰুখারী (ব )
স্পষ্টভ৷ ৷বে এটি উল্লেখ করেছেন ৷

তৃতীয় ব্যক্তি হল দৃগ্ধদানকারিণী মহিলার কোলে থাকা পুত্র ৷ মহিলা কামনা করেছিল তার
পুত্র যেন সুসজ্জিত অশ্বারোহীর মত হয় ৷ আর পুত্র চেয়েছিল সে যেন অপবাদ প্রাপ্তা অথচ


طَرِيقٌ أُخْرَى وَسِيَاقٌ آخَرُ، قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ جُرَيْجٌ يَتَعَبَّدُ فِي صَوْمَعَتِهِ قَالَ: فَأَتَتْهُ أُمُّهُ فَقَالَتْ: يَا جُرَيْجُ أَنَا أُمُّكَ فَكَلِّمْنِي قَالَ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَصِفُ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصِفُهَا، وَضَعَ يَدَهُ عَلَى حَاجِبِهِ الْأَيْمَنِ قَالَ: فَصَادَفَتْهُ يُصَلِّي قَالَ: يَا رَبِّ أُمِّي وَصَلَاتِي فَاخْتَارَ صَلَاتَهُ فَرَجَعَتْ ثُمَّ أَتَتْهُ فَصَادَفَتْهُ يُصَلِّي فَقَالَتْ: يَا جُرَيْجُ أَنَا أُمُّكَ فَكَلِّمْنِي فَقَالَ: يَا رَبِّ أُمِّي وَصَلَاتِي فَاخْتَارَ صَلَاتَهُ فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ هَذَا جُرَيْجٌ وَإِنَّهُ ابْنِي، وَإِنِّي كَلَّمْتُهُ فَأَبَى أَنْ يُكَلِّمَنِي، اللَّهُمَّ فَلَا تُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهُ الْمُومِسَاتِ. وَلَوْ دَعَتْ عَلَيْهِ أَنْ يُفْتَتَنَ لَافْتَتَنَ قَالَ: وَكَانَ رَاعٍ يَأْوِي إِلَى دَيْرِهِ فَخَرَجَتِ امْرَأَةٌ فَوَقَعَ عَلَيْهَا الرَّاعِي فَوَلَدَتْ غُلَامًا فَقِيلَ: مِمَّنْ هَذَا؟ فَقَالَتْ: هُوَ مِنْ صَاحِبِ الدَّيْرِ، فَأَقْبَلُوا بِفُئُوسِهِمْ وَمِسَاحِيهِمْ وَأَقْبَلُوا إِلَى الدَّيْرِ فَنَادَوْهُ فَلَمْ يُكَلِّمْهُمْ، فَأَقْبَلُوا يَهْدِمُونَ دَيْرَهُ فَنَزَلَ إِلَيْهِمْ فَقَالُوا: سَلْ هَذِهِ الْمَرْأَةَ قَالَ أُرَاهُ تَبَسَّمَ قَالَ: ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَ الصَّبِيَّ فَقَالَ: مَنْ أَبُوكَ؟ قَالَ: رَاعِي الضَّأْنِ قَالُوا: يَا جُرَيْجُ نَبْنِي مَا هَدَمْنَا مِنْ دَيْرِكَ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ قَالَ: لَا وَلَكِنْ أَعِيدُوهُ كَمَا كَانَ فَفَعَلُوا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي الِاسْتِئْذَانِ عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ
পৃষ্ঠা - ১১৩৪
سِيَاقٌ آخَرُ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ أَنْبَأَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ جُرَيْجٌ كَانَ يَتَعَبَّدُ فِي صَوْمَعَتِهِ، فَأَتَتْهُ أُمُّهُ ذَاتَ يَوْمٍ فَنَادَتْهُ فَقَالَتْ: أَيْ جُرَيْجُ أَيْ بُنَيَّ أَشْرِفْ عَلَيَّ أُكَلِّمْكَ أَنَا أَمُّكَ أَشْرِفْ عَلَيَّ فَقَالَ: أَيْ رَبِّي صَلَاتِي وَأُمِّي فَأَقْبَلَ عَلَى صَلَاتِهِ، ثُمَّ عَادَتْ فَنَادَتْهُ مِرَارًا فَقَالَتْ: أَيْ جُرَيْجُ أَيْ بُنَيَّ أَشْرِفْ عَلَيَّ فَقَالَ: أَيْ رَبِّ صَلَاتِي وَأُمِّي فَأَقْبَلَ عَلَى صَلَاتِهِ فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ لَا تُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهُ الْمُومِسَةَ. وَكَانَتْ رَاعِيَةً تَرْعَى غَنَمًا لِأَهْلِهَا، ثُمَّ تَأْوِي إِلَى ظِلِّ صَوْمَعَتِهِ فَأَصَابَتْ فَاحِشَةً فَحَمَلَتْ فَأُخِذَتْ، - وَكَانَ مَنْ زَنَى مِنْهُمْ قُتِلَ - فَقَالُوا: مِمَّنْ؟ قَالَتْ: مِنْ جُرَيْجٍ صَاحِبِ الصَّوْمَعَةِ فَجَاءُوا بِالْفُئُوسِ وَالْمُرُورِ فَقَالُوا: أَيْ جُرَيْجُ أَيْ مُرَاءٍ انْزِلْ فَأَبَى وَأَقْبَلَ عَلَى صِلَاتِهِ يُصَلِّي، فَأَخَذُوا فِي هَدْمِ صَوْمَعَتِهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ نَزَلَ فَجَعَلُوا فِي عُنُقِهِ وَعُنُقِهَا حَبْلًا فَجَعَلُوا يَطُوفُونَ بِهِمَا فِي النَّاسِ، فَوَضَعَ أُصْبُعَهُ عَلَى بَطْنِهَا فَقَالَ: أَيْ غُلَامُ مَنْ أَبُوكَ؟ فَقَالَ: أَبِي فُلَانٌ رَاعِي الضَّأْنِ. فَقَبَّلُوهُ وَقَالُوا: إِنْ شِئْتَ بَنَيْنَا لَكَ صَوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ. قَالَ أَعِيدُوهَا كَمَا كَانَتْ.» . وَهَذَا سِيَاقٌ غَرِيبٌ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ
পৃষ্ঠা - ১১৩৫
ষ্ষ্


নির্দোষ মহিলার ন্যায় হয় ৷ দাসীটি অনবরত বলছিল-আল্লাহই আমার জন্যে যথেষ্ট ৷ তিনি
কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক ৷ ’ ইতিপুর্বে মুহাম্মদ ইবন সীরীন আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারফু
সনদে এটি বর্ণিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) হাওয়া আবু হুরায়রা (বা) সনদে রাসুলুল্লাহ (সা ) থেকে দুগ্ধপোষ্য
এ শিশুর ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ সনদটিও হাসান পর্যায়ের : ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ
(না)-কে বলতে শুনেছেন যে, একজন মহিলা তার পৃত্রকে দুধ পান করাচ্ছিল ৷ এমতাবস্থায়
সেখান দিয়ে য়াচ্ছিল এক অশ্বড়ারোহী ৷ মহিলাটি এ বলে দোয়া করে, হে আল্লাহ ! আমার পুত্র ঐ
আশ্বরোহীর মত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যু দিবেন না ৷ হেলেঢি বলে উঠল, হে আল্লাহ আমাকে
ঐ অশ্বারােহীর মত বানাবেন না ৷ তারপর পুনরায় দুধ চুষতে থাকে ৷

অতঃপর তারা পথে দেখল, একজন মহিলা-তারে টোন টেনে নেয়া হচ্ছে ৷ আর তাকে
নিয়ে সবাই হাস্য, কৌতুক ও খেলা করছে ৷ শিশুর মাতা বলল, হে আল্লাহ ! আমার ছেলেকে ঐ
মহিলার মত বানাবেন না ৷ ছেলে বলল, হে আল্লাহ; আমাকে ঐ মহিলার মত বানাবেন ৷
অতঃপর ব্যাখ্যা স্বরুপ ছেলেটি বলল, ওই যে অশ্বারোহী সে তো কাফির ৷ আর ঐ
ক্রীতদাসী-ল্যেকজন বলছে, যে যেনা করেছে, আর সে বলছে, আমার জন্যে আল্পাহই যথেষ্ট ৷
তারা বলছে, যে চুরি করেছে; সে বলছে, আমার জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট ৷ যারা মায়ের কোলে
থাকা অবস্থায় কথা বলেছে, তাদের মধ্যে ইউসুফ (আ) এর পক্ষে সাক্ষ্যদাতা শিশুটিও রয়েছে
যা ইতিপুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে ফিরআওন পরিবারের চুল বিন্যাসকারিণীর
শিশুটিও রয়েছে ৷ আল্লাহ ভাল জানেন ৷


مُسْلِمٍ وَلَمْ يُخْرِجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. فَهَؤُلَاءِ ثَلَاثَةٌ تَكَلَّمُوا فِي الْمَهْدِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَدْ تَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَى قِصَّتِهِ، وَصَاحِبُ جُرَيْجٍ ابْنُ الْبَغِيِّ مِنَ الرَّاعِي كَمَا سَمِعْتَ وَالثَّالِثُ ابْنُ الْمَرْأَةِ الَّتِي كَانَتْ تُرْضِعُهُ فَتَمَنَّتْ لَهُ أَنْ يَكُونَ كَصَاحِبِ الشَّارَةِ الْحَسَنَةِ فَتَمَنَّى أَنْ يَكُونَ كَتِلْكَ الْأَمَةِ الْمَتْهُومَةِ بِمَا هِيَ بَرِيئَةٌ مِنْهُ، وَهِيَ تَقُولُ: حَسْبِيَ اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ هَوْذَةَ عَنْ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ عَنْ خِلَاسٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقِصَّةِ هَذَا الْغُلَامِ الرَّضِيعِ وَهُوَ إِسْنَادٌ حَسَنٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَمَا امْرَأَةٌ تُرْضِعُ ابْنَهَا إِذْ مَرَّ بِهَا رَاكِبٌ وَهِيَ تُرْضِعُهُ، فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ لَا تُمِتِ ابْنِي حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ هَذَا. فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ، ثُمَّ رَجَعَ فِي الثَّدْيِ، وَمُرَّ بِامْرَأَةٍ تُجَرُّ، وَيُلْعَبُ بِهَا فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَ هَذِهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا فَقَالَ: أَمَّا الرَّاكِبُ فَإِنَّهُ كَافِرٌ وَأَمَّا الْمَرْأَةُ،
পৃষ্ঠা - ১১৩৬
فَإِنَّهُمْ يَقُولُونَ: إِنَّهَا تَزْنِي، وَتَقُولُ: حَسْبِيَ اللَّهُ، وَيَقُولُونَ: تَسْرِقُ، وَتَقُولُ: حَسْبِيَ اللَّهُ» وَقَدْ وَرَدَ فِي مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْمَهْدِ أَيْضًا شَاهِدُ يُوسُفَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَابْنُ مَاشِطَةِ آلِ فِرْعَوْنَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.