আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

بيان الإذن في الرواية عن أخبار بني إسرائيل

পৃষ্ঠা - ১১২৪
ষ্ষ্


যখন সে খৃষ্টানদেরকে হযরত ঈসা (আ) এর কিবলা ও তার প্রচারিত একতুবাদ থেকে ফিরিয়ে
নেয় ৷ সে তখন একটি অগ্নিকুণ্ড প্ৰজ্বলিত করেছিল ৷ যে সকল খৃষ্টান হযরত ৩ঈসা (আ) এর দীন
তার একতুবাদে অবিচল ছিল, সে৩ তাদেরকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মেরেছিল ৷

ওইরাকের ব্যাবিলন শহরে এ ঘটনা ঘটেছিল? সম্রাট বুখত নসর (মোঃা<ৰুা<৷ মোঃপ্লু৪ন্) এর
শাসনামলে তিনি একটি মুর্তি নির্মাণ করেছিলেন ৷ লোকজনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই মুর্তিকে
সিজদা ৷করতে ৷ লোকজন সিজদা করেছিল ৷ কিন্তু দানিয়াল (আ ) ও তার দুইজন সাথী আয়্রিয়া
ও মাসাইল সিজদা করতে অস্বীকৃতি তজানান ৷ সম্র৷ ট তাদের জন্যে একটি উনুন তৈরি করে ৷
তাতে কাঠ ও আগুন জ্ব৷ ৷লিয়ে সেই অগ্নিকুণ্ডে তাদের দু জনকে নিক্ষেপ করে ৷ আল্লাহ তাআলা
তাদের জন্য অগ্নিকুণ্ডকে শীতল ও শান্তিময় করে দেন এবং তাদেরকে আগুন থেকে রক্ষা করেন
এবং অত্যাচারীদেরকে ঐ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেন ৷ তারা ছিল সং থ্যায় ৯ জন ৷ আগুন
তাদেরকে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল ৷ আসবাত বর্ণনা করে ৷ যে , ১ ;’র্দু১১৷ ৷ মোঃ! ট্রুা১ট্র
এই আঘাতের ব্যাখ্যার সুদ্দী বলেছেন, অগ্নিকুন্ড ছিল তিনটি ৷ গুন্থাকটি সিরিয়ার, একটি ইরাকে
এবং অপরটি ইয়ামানে ৷ এটি ইবন আবী হাতিমের বর্ণনা ৷ সুরা বুরুজের তাফসীরে আমি
অগ্নিকুণ্ড অধিপতিদের ঘটনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা একমাত্র
আল্লাহর ৷

বনী ইসরাঈল থেকে ঘটনা বর্ণনায় অনুমতি প্রসঙ্গে
ইমাম আহমদ (র) আবু সাঈদ থুদরী (রা) থেকে বর্ণিত নবী করীম (সা) ইবশাদ করেছেনঃ

“আমার থেকে তোমরা হাদীস বর্ণনা কর ৷ আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না ৷ যে ব্যক্তি

ইচ্ছাকৃত৩ ভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে সে যেন জ হান্নামে তার আবাস স্থির করে
নেয় ৷ বনী ইসরাঈল থেকে বর্ণনা কর, তাতে কোন দোষ নেই ৷

আহমদ (ব) আবু সাঈদ থুদরী (যা) থেকে আরো বংনি৷ করেন যে, রাসুল (সা) ইবশাদ
করেছেন আমার থেকে তোমরা কুরআন ব্যতীত অন্যকিছু লিখবে না ৷ আমার থেকে কুরআন
ব্যতীত তঅন্য কিছু কেউ লিখে থাকলে তা মুছে ফেলবে ৷ তিনি আরও বলেছেন, ইসরাঈলীদের
থেকে বর্ণনা করতে পার, তাতে দোষ নেই ৷ আমার থেকে হাদীস বর্ণনা কর ৷ আমার প্রতি
মিথ্যা আরোপ করে৷ না ৷ যে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে (বর্ণনাকারী হাম্মাম
বলেন-আমার মনে হয় রাসুলুল্লাহ (সা) ইচ্ছাকৃত শব্দটি বলেছেন) ৷ সে যেন জাহান্নামকেই তার
আবাসস্থলরুপে নির্ধারণ করে নেয় ৷ (মুসলিম, নাসাঈ) ৷

আবু আওয়ানা যায়দ ইবন আসলাম সুত্রেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ
বলেন, হাম্মাম এতে ভুল করেছেন ৷ আসলে এ উক্তিটি আবু সাঈদের ৷ তিরমিযী (র) সুফিয়ান


[بَيَانُ الْإِذْنِ فِي الرِّوَايَةِ عَنْ أَخْبَارِ بَنِي إِسْرَائِيلَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا هُمَامٌ حَدَّثَنَا زَيْدٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «حَدِّثُوا عَنِّي وَلَا تَكْذِبُوا عَلَيَّ، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ، وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ» . وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هُمَامٌ أَنْبَأَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَكْتُبُوا عَنِّي شَيْئًا غَيْرَ الْقُرْآنِ فَمَنْ كَتَبَ عَنِّي شَيْئًا غَيْرَ الْقُرْآنِ فَلْيَمْحُهُ» وَقَالَ «حَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ حَدِّثُوا عَنِّي وَلَا تَكْذِبُوا عَلَيَّ» قَالَ «، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ - قَالَ هَمَّامٌ: أَحْسَبُهُ قَالَ مُتَعَمِّدًا - فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ، وَرَوَاهُ أَبُو عَوَانَةَ الْإِسْفِرَايِينِيُّ عَنْ أَبِي دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيِّ عَنْ هُدْبَةَ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ১১২৫
ষ্ষ্


যায়দ ইবন আসলড়াম সুত্রে এ হাদীসের অংশ বিশেষ মারফু রুপে বর্ণনা করেছেন ৷
আল্লাহই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে ,
তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে বলতে শুনেছেন : ক্ট্রৰু,৷ ট্রুড়ুন্ ট্রুন্ট্রুন্ছু ৷ ,ধ্া,

“তোমরা একটি আয়াত হলেও আমার থেকে প্রচার কর ৷” বনী ইসরাঈল থেকে বর্ণনা
করতে পার, তাতে দোষ নেই ৷ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে, সে
তার বাসস্থান জাহান্নামে ধরে নিয়ে ৷ অনুরুপভাবে ইমাম আহমদ (র) ইমাম বুখড়ারী ও ইমাম
তিরমিযী (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে উক্ত হাদীসঢি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসঢি
হাসান ও সহীহ পর্যায়ের ৷

আবৃ বকর বাযযার আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা৷ সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
প্রায়ই রাতের বেলা আমাদের নিকট ইসরাঈলীদের ঘটনাবলী বর্ণনা করতেন ৷ এভাবে ভোর
হয়ে যেত ৷ গুরুতুপর্ণ নামায ব্যতীত অন্য কোন কাজে অড়ামর’ ঐ মজলিস থেকে উঠতাম না ৷
আবু দাউদেও বর্ণনড়াটি রয়েছে ৷

বাযযার ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) সুত্রে অনুরুপ একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

তবে বড়ায্যারের মতে, হাদীসঢি ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে নয় বরং আবদুল্লাহ ইবন
অড়ামর (বা) থেকেই বর্ণিত ৷

আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে এ মর্মে আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেন এবং
তার সনদ সহীহ বলে উল্লেখ করেন ৷

হাকিম আবু ইয়ালা জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
ইরশাদ করেছেন, তোমরা বনী ইসরাঈল সুত্র থেকে বর্ণনা কর, কেননা তাদেরকে উপলক্ষ করে
বহু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) বলতে শুরু করলেন যে, একদা রনী
ইসরাইলের একদল লোক পথে বের হয় ৷ তারা এসে একটি গোরন্থানে পৌছে ৷ তারা পরস্পর
বলাবলি করে যে, আমরা যদি দু’রাকআত নামায আদায় করে আল্লাহর নিকট দোয়া করি,
অতঃপর এ গোরস্থান থেকে একজন মৃত ব্যক্তি বেরিয়ে আসে, তাহলে আমরা তাকে মৃত্যুর
অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম ৷ তারা নামায অভে দোয়া করে ৷ তখনই একজন লোক কবর
থেকে মাথা তোলে ৷ তার দু’ চক্ষুর মধ্যখানে সিজদার চিহ্ন ৷ সে বলল, আপনারা আমার কাছে
কি চানঃ একশ বছর আগে আমার মৃত্যু হয়েছে ৷ এখনও আমার দেহ থেকে মৃত্যুর তাপ ঠাণ্ডা
হয়নি ৷ আপনারা আল্লাহর নিকট দোয়া করুন আল্লাহ যেন আমাকে আমার পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে
নেন ৷ এটি একটি গরীব পর্যায়ে হাদীস ৷ বস্তুত বনী ইসরাঈল থেকে ঘটনা বর্ণনা জায়েয সাব্যস্ত
হলেও তাদ্বড়ারা ঐ ঘটনাবলীর কথাই বুঝাবে, যেগুলোর যথার্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ যে
সকল ঘটনাও বর্ণনা আমাদের নিকট সুরক্ষিত সত্যের বিপরীত ও বিরোধী হওয়ার প্রেক্ষিতে
বাতিল ও অসত্য বলে প্রমাণিত ৷ কিৎবা সন্দেহমুলক হবে সেগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য ও
প্ৰত্যাখ্যাত হবে ৷ ওগুলোর ওপর নির্ভর করা যাবে না ৷


ثُمَّ قَالَ: قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَخْطَأَ فِيهِ هَمَّامٌ وَهُوَ مِنْ قَوْلِ أَبِي سَعِيدٍ كَذَا قَالَ وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ وَكِيعٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ بِبَعْضِهِ مَرْفُوعًا فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنْبَأَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ السَّلُولِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي يَقُولُ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً، وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَبْدِ الرَّزَّاقِ كِلَاهُمَا عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ بِهِ، وَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الذُّهْلِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ بِهِ. وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمَثْنَى أَبُو مُوسَى حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي حَسَّانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১১২৬
«كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُنَا عَامَّةَ لَيْلِهِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ حَتَّى يُصْبِحَ مَا يَقُومُ فِيهَا إِلَّا لِعُظْم ِ صَلَاةٍ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي حَسَّانَ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُنَا عَامَّةَ لَيْلِهِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا يَقُومُ إِلَّا لِعُظْمِ صَلَاةٍ» . قَالَ الْبَزَّارُ: وَهُشَامٌ أَحْفَظُ مِنْ أَبِي هِلَالٍ. يَعْنِي أَنَّ الصَّوَابَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، لَا عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ الْقَطَّانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ» إِسْنَادٌ صَحِيحٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا رَبِيعُ
পৃষ্ঠা - ১১২৭
ষ্ষ্


উপরন্তু ইসরাঈলী কোন বর্ণনা জায়েয হলেও তার বিশুদ্ধতায় বিশ্বাস স্থাপন জরুরী নয় ৷
কেননা, এ প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন, কিতাবীরা হিব্রু ভাষায় তাওরাত পাঠ করে এবং মুসলমানদের নিকট তা
আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করে ৷ এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

০ ’ : ’

৷ ;,§ £ড়ু ৰুা৷া; ৷ ৷টুদ্বুৰু,টুওড়ু ণ্প্লে গ্১র্ন্তষু৷ ১াএ হ্র৷ ৷ ট্রুাং৷ ৷ঠুছুাঠুট্রুশুষ্ট্র ১া

শ্ : ’ : : : ) )

স্১সৌং-^ খ্এ ১র্দুণ্হ্নিড়ু ১১০ি ণ্ওগােঢ় ছো ণ্;; ণ্£পুা৷ এ১১ ভ্রু০১

“তোমরা ইয়৷ হুদী-নাসারাদেরকে সত্যবাদী বা মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন করবে না, বরং তোমরা

বলবে, আমরা ঈমান এসেছি আল্লাহর প্রতি, আমাদের নিকট যা নাযিল হয়েছে৩ তার প্রতি এবং

তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি, আমাদের ইলাহ এবং তোমাদের ইলাহ এক,

অভিন্ন ৷ আমরা তার প্রতি আত্মসমর্পণকারী ৷” ইমাম বুখারী( র৷ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু নামল৷ আনসারীর পিতা সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে একদা
তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তখন সেখানে একজন ইয়াহুদী উপস্থিত
হয় ৷ সে বলে , হে মুহাম্মদ (সা) ! এ লাশটি কি কথা বলতে পারবে? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
আল্লাহ ভাল জানেন ৷ ’ ইয়াহুদী বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, এ লাশটি কথা বলবে ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন, আহলি কিতাব তথা ইয়াহুদী নাসারাগণ তোমাদের নিকট কোন কথা বললে
তোমরা তাদেরকে সত্যবাদী বা মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে৷ না ৷ বরং তোমরা এ কথা বলবে যে ,
আমরা ঈমান এসেছি আল্লাহর প্রতি, তার কিতাব সমুহের প্রতি , এবং তার রাসুলগণের
প্রতি ৷ ’ এতটুকু বলার ফলে তারা সতাবাদী হয়ে থাকলে তোমরা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলছ
না ৷ আর তারা মিথ্যাবাদী হয়ে থাকলে তোমরা তাদেরকে সত্যবাদী বলছ না ৷ হাদীসটি ইমাম
আহমদ (র) এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, উমর ইবন খাত্তাব
(বা) একদা রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এলেন ৷ তার হাতে ছিল একটি কিতাব ৷ আহলি
কিতাবের জনৈক ব্যক্তি থেকে তিনি তা পেয়েছিলেন ৷ তিনি সেটি রাসুলুল্লাহ (না)-কে পাঠ করে
শুনান ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ক্রুদ্ধ হলেন এবং বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র ৷ তোমরা কি এ শরীয়ত
সম্পর্কে সন্দিহানঃ যে মহান সভার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, আমি তোমাদের নিকট নিয়ে
এসেছি সুস্পষ্ট আলােকময় দীন ৷ তোমরা ওদের নিকট কিছু জানতে চাইবে না ৷ তাহলে তারা
হয়ত তোমাদেরকে সত্য তথ্য দিয়ে কিন্তু তোমরা সেটাকে মিথ্যা গণ্য করবে ৷ আবার তারা
হয়ত তোমাদেরকে অসত্য তথ্য দিবে, কিন্তু তোমরা তা সত্য বলে মেনে নেবে ৷

০ শ্ ’ ;,


যে পবিত্র সত্তার হাতে আমার প্রাণ তার কসম , মুসা (আ) ও যদি এখন জীবিত থাকতেন
তাহলে আমার অনুসরণ না করে তার কোন উপায় থাকতো না ৷ ’ এ হাদীসটি ইমাম আহমদ


بْنُ سَعْدٍ الْجُعْفِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ فِيهِمُ الْأَعَاجِيبُ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَرَجَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ حَتَّى أَتَوْا مَقْبَرَةً مِنْ مَقَابِرِهِمْ فَقَالُوا: لَوْ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ، وَدَعَوْنَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَيُخْرِجُ لَنَا رَجُلًا قَدْ مَاتَ نُسَائِلُهُ يُحَدِّثُنَا عَنِ الْمَوْتِ فَفَعَلُوا فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَطْلَعَ رَجُلٌ رَأَسَهُ مِنْ قَبْرٍ مِنْ تِلْكَ الْقُبُورِ، بَيْنَ عَيْنَيْهِ أَثَرُ السُّجُودِ فَقَالَ: يَا هَؤُلَاءِ مَا أَرَدْتُمْ إِلَيَّ فَقَدْ مُتُّ مُنْذُ مِائَةِ عَامٍ فَمَا سَكَنَتْ عَنِّي حَرَارَةُ الْمَوْتِ حَتَّى الْآنَ، فَادْعُوَا اللَّهَ أَنْ يُعِيدَنِي كَمَا كُنْتَ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. إِذَا تَقَرَّرَ جَوَازُ الرِّوَايَةِ عَنْهُمْ فَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى مَا يُمْكِنُ أَنْ يَكُونَ صَحِيحًا فَأَمَّا مَا يُعْلَمُ أَوْ يُظَنُّ بُطْلَانُهُ، لِمُخَالَفَتِهِ الْحَقَّ الَّذِي بِأَيْدِينَا عَنِ الْمَعْصُومِ فَذَاكَ مَتْرُوكٌ مَرْدُودٌ لَا يُعَرَّجُ عَلَيْهِ، ثُمَّ مَعَ هَذَا كُلِّهِ، لَا يَلْزَمُ مِنْ جَوَازِ رِوَايَتِهِ أَنْ تَعْتَقِدَ صِحَّتَهُ لِمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ قَائِلًا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالْعَبْرَانِيَّةِ، وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا {آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا} [البقرة: 136] »
পৃষ্ঠা - ১১২৮
ষ্ষ্


(র) এককভাবে উদ্ধৃত করেছেন ৷ অবশ্য এর সনদ ইমাম মুসলিম (র) এর শত র্তপুরণ করে ৷

এ সব হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টতাবে প্রমাণিত হয় যে, ইসরাঈলীরা তাদের প্রতি নাযিলকৃত
আসমানী কিতাবকে পরিবর্ভা ও বিকৃত করেছে ৷ এসবের ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং এগুলোর
অপব্যবহার করেছে ৷ বিশেষত সে সব আরবী ভায্যের ক্ষেত্রে যেগুলো তারা উদ্ধৃত করে থাকে,
এগুলো সম্পর্কে তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই ৷ ঐ কিতাবগুলে৷ তাদেরই ভাষায় নাযিল হওয়া সত্বেও
তারা এর ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যা করে থাকে ৷ এমতাবস্থায় অন্য ভাষায় তার সঠিক ব্যাখ্যা তারা
কেমন করে করবে? এ জন্যে তাদের আরবী উদ্ধৃদৃততে প্রচুর ভুল ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় ৷ তা
ছাড়া তাদের অসৎ উদ্দেশ্য ও তাতে মনোভাব তা রয়েছেই ৷ যে ব্যক্তি তাদের বর্তমান
কিতাবগুলাে মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করবে এবং তাদের ভুল ব্যাখ্যা ও জঘন্য বিকৃতিগুলো
গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে৩ তাদের বিকৃতি ও পরিবর্তন পরিবর্ধন তার নিকট স্পষ্টভারে ধরা
পড়বে ৷ আ ৷ল্লাহই সাহায্যকারী ও রক্ষাক৷ ৷রী ৷

তাওরাত কিতাবের কিছু অংশ তারা প্রকাশ করে ৷ কািহু তারা অধিকা ৎশই৩ ৷ গোপন
রাখে ৷ এর যতটুকু তারা প্রকাশ করেত তার মধ্যে রৰেছে সত৷ বিকৃতি ও ভুল ব্যাখ্যা ৷ যারা
ওদের বক্তব্য, প্রকাশিত বিবৃতি, অপ্রকাশিত তথ্য এবং শব্দ ও অর্থগত দিক থেকে ত্রুটিপুর্ণ
ভাষ্যগুলাে পর্যালোচনা করবে, তাদের নিকট তা ধরা পড়বে ৷

ইসরাঈলীদের থেকে যিনি সর্বাধিক ও সর্বোত্তম ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন তিনি হচ্ছেন
কাব আল-আহবার ৷ উমর (রা)-এর যুগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আহলি কিতাব থেকে
তিনি কিছু কিছু বিষয় বর্ণনা ৷করতেন ৷ ইসলামের কষ্টিপাথরে সতের অনুকুল হওয়ায় এবং
তার মনকে ইসলামের প্রতি ৩আকৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে উমর (রা)ত তার কতক বর্ণনাড ভাল বলে
গ্রহণ করতেন ৷ এর ফলে বহু মানুষ ক৷ ব আল-আহবার থেকে তা ৷র বর্ণনা ৷গুলাে সপ্রেহ করার
সুযোগ পায় ৷ তিনিও সে সকল বিষয়াদি ব্যাপকভাবে বর্ণনা করেছেন, যেগুলোর অধিকাৎশেরই
কানাকড়ি মুল্য নেই ৷ এর কতকনিশ্চিতভাবেই অসত্য আর কতক সত্য ও বিশুদ্ধ ৷ আমাদের
নিকট প্রমাণিত সত্য এ গুলোকে সমর্থন করে ৷

ইমাম বৃখারী (র) হাযীদ ইবন আবদুর রহমান সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি মুআবিয়া (রা)-কে
মদীনা শরীফে একদল কুরায়শ বংশীয় লোকের নিকট হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন ৷
প্রসঙ্গক্রমে কাব আলআহবারের কথা উল্লেখিত হয় ৷ মুআবিয়া (রা) বলেন, আহলি কিতাব
থেকে যারা বর্ণনা করেছেন, তাদের মধ্যে কাব আল-আহবড়ার সর্বাধিক সঠিক ও সত্য তথ্য
বর্ণনাকারী ৷ এতদসাত্ত্বও আমরা তার বর্ণনায় অসতা তথ্য দেখতে পাই ৷ অর্থাৎ তার
অজ্ঞাতসারেই এরুপ ঘটেছে ৷

ইমাম বৃখারী (র) হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
ইয়াহুদী নাসারাদের নিকট লোকে কোন বিষয়ে জানতে চায় কিভাবে? অথচ আল্লাহ তা আলা
তার রাসুলের প্রতি যে কিতাব নাযিল করেছেন তোমাদের সেই কিতাব তো সর্বশেষ আসমানী
কিতাব ৷ তোমরা এটি তিলাওয়াত করে থাকো-যা র্খাটি ও নির্ভেজাল ৷


تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي نَمْلَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِيهِ «أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَتَكَلَّمُ هَذِهِ الْجِنَازَةُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُ أَعْلَمُ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: أَنَا أَشْهَدُ أَنَّهَا تَتَكَلَّمُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا حَدَّثَكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فُلَا تُصَدِّقُوهُمْ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ، وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ فَإِنْ كَانَ حَقًّا لَمْ تُكَذِّبُوهُمْ، وَإِنْ كَانَ بَاطِلًا لَمْ تُصَدِّقُوهُمْ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا هَشِيمٌ أَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ أَصَابَهُ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقَرَأَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَغَضِبَ، وَقَالَ: أَمُتَهَوِّكُونَ فِيهَا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً، لَا تَسْأَلُوهُمْ عَنْ شَيْءٍ فَيُخْبِرُوكُمْ بِحَقٍّ فَتُكَذِّبُوا بِهِ، أَوْ بِبَاطِلٍ فَتُصَدِّقُوا بِهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ مُوسَى كَانَ حَيًّا مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ.
পৃষ্ঠা - ১১২৯
فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا مَا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ الْكُتُبِ السَّمَاوِيَّةِ، وَحَرَّفُوهَا وَأَوَّلُوهَا، وَوَضَعُوهَا عَلَى غَيْرِ مَوَاضِعِهَا وَلَا سِيَّمَا مَا يُبْدُونَهُ مِنَ الْمُعَرَّبَاتِ الَّتِي لَمْ يُحِيطُوا بِهَا عِلْمًا، وَهِيَ بِلُغَتِهِمْ فَكَيْفَ يُعَبِّرُونَ عَنْهَا بِغَيْرِهَا، وَلِأَجْلِ هَذَا وَقَعَ فِي تَعْرِيبِهِمْ خَطَأٌ كَبِيرٌ، وَوَهْمٌ كَثِيرٌ مَعَ مَا لَهُمْ مِنَ الْمَقَاصِدِ الْفَاسِدَةِ وَالْآرَاءِ الْبَارِدَةِ. وَهَذَا يَتَحَقَّقُهُ مَنْ نَظَرَ فِي كُتُبِهِمُ الَّتِي بِأَيْدِيهِمْ، وَتَأَمَّلَ مَا فِيهَا مِنْ سُوءِ التَّعْبِيرِ، وَقَبِيحِ التَّبْدِيلِ وَالتَّغْيِيرِ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَهُوَ نِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ. وَهَذِهِ التَّوْرَاةُ الَّتِي يُبْدُونَهَا، وَيُخْفُونَ مِنْهَا كَثِيرًا فِيمَا ذَكَرُوهُ فِيهَا تَحْرِيفٌ وَتَبْدِيلٌ وَتَغْيِيرٌ وَسُوءُ تَعْبِيرٍ، يَعْلَمُهُ مَنْ نَظَرَ فِيهَا، وَتَأَمَّلَ مَا قَالُوهُ وَمَا أَبْدَوْهُ وَمَا أَخْفَوْهُ، وَكَيْفَ يَصُوغُونَ عِبَارَةً فَاسِدَةَ الْبِنَاءِ وَالتَّرْكِيبِ، بَاطِلَةً مِنْ حَيْثُ مَعْنَاهَا وَأَلْفَاظُهَا. وَهَذَا كَعْبُ الْأَحْبَارِ مِنْ أَجْوَدِ مَنْ يَنْقُلُ عَنْهُمْ، وَقَدْ أَسْلَمَ فِي زَمَنِ عُمَرَ وَكَانَ يَنْقُلُ شَيْئًا عَنْ كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَكَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَسْتَحْسِنُ بَعْضَ مَا يَنْقُلُهُ ; لِمَا يُصَدِّقُهُ مِنَ الْحَقِّ، وَتَأْلِيفًا لِقَلْبِهِ فَتَوَسَّعَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فِي أَخْذِ مَا عِنْدَهُ، وَبَالَغَ أَيْضًا هُوَ فِي نَقْلِ تِلْكَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي كَثِيرٌ مِنْهَا مَا يُسَاوِي مِدَادَهُ، وَمِنْهَا مَا هُوَ بَاطِلٌ لَا مَحَالَةَ، وَمِنْهَا مَا هُوَ صَحِيحٌ لِمَا يَشْهَدُ لَهُ الْحَقُّ الَّذِي بِأَيْدِينَا. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو الْيَمَانِ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ
পৃষ্ঠা - ১১৩০
ষ্ষ্


আল্লাহ তাআলা তো তােমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইয়াহুদী-নাসারম্পোণ তাদের
কিতাব বিকৃত ও পরিবর্তন করেছে এবং তাদের নিজ হাতে কিতাব দিয়ে তা আল্লাহর কিতাব
বলে চালিয়ে দিয়েছে, স্বল্প মুল্যের পার্থিব স্বার্থ হাসিলেৱ উদ্দেশ্যে ৷ তোমাদের নিকট যে জ্ঞান
এসেছে তা কি ভোমাদেরকে ওদের নিকট কিছু জিজ্ঞেস করতে ধারণ করেনি? আল্লাহর কলম
আমি তো ওদের কাউকেই তোমাদের প্রতি নাযিলকৃত কিতাব সম্পর্কে কিছু জানতে চাইতে
দেখি না ৷

ইবন জারীর (র) থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, তোমরা ইয়াহুদী
নাসারাদের নিকট কিছু জানতে চেয়ে না ৷ কারণ তারা তােমাদেরকে সত্য পথ দেখাবে না ৷
তারা নিজেরাই তো পথভ্রষ্ট হয়েছে ৷ তাদের কথা শুনলে তোমরা হয়ত সতরুকে মিথ্যা এবং
মিথ্যাকে সত্য বলে ধারণা করবে ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

বনী ইসরাঈন্সের তাপস জুরায়জের ঘটনা“

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ
করেছেন, তিনজন ছাড়া মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় আর কেউ কথা বলেনি ৷ ১ ৷ ঈসা ইবন
মরিয়ম (আ), ২ ৷ বনী ইসরাঈলের একজন ইবাদতগুজার লোক, যার নাম ছিল জুরায়জ ৷
একটি ইবড়াদতখানা তৈরি করে তিনি ওখানে ইবাদত করতেন ৷ জুরায়জের ইবাদতের কথা বনী
ইসরাঈলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ৷ তাদেরই একজন ব্যাভচারিণী বলে যে, তোমরা চাইলে আমি
ওকে জব্দ করে দিতে পারি ৷ লোকজন বলল, ঠিক আছে, আমরা তাই চাই ৷ সে তখন
জুরায়জের নিকট এসে নিজেকে তার কাছে পেশ করল ৷ জুরায়জ সেদিকে তাকিয়েও দেখলেন
না ৷ জুরায়জের ইবাদতথানার পাশে একটি রাখাল তার বকরী চরাতে৷ ৷ সে তার সাথে
ব্যভিচারে লিপ্ত হয় ৷ তাতে সে গর্জাতী হয়ে পড়ে ৷ যথাসময়ে সে একটি পুত্র সন্তান প্ৰসব
করে ৷ লোকজন জিজ্ঞেস করল, এটি কার সন্তান? সে বলল, জুরায়জের ৷ তারা তখন
জুরায়জের ইবাদতখানায় চড়াও হয় ৷ তারা তাকে টেনে নামায় ৷ এমনকি তারা পালাপালি করে,
প্রহাব করে তার ইবাদত খড়ানাটি ভেঙ্গে দেয় ৷ তখন জুরায়জ বললেন, ব্যাপার কি? তারা বলল,
তুমি এ শ্রী লোকটির সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছ ৷ ফলে সে একটি ছেলে প্রসব করেছে ৷
জুরায়জ বললেন, যে ছেলেটি কোথায়? তারা বলল, এই যে ৷ জুরায়জ তখন উঠে দাড়িয়ে
নামায আদায় করেন ৷ আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন ৷ তারপর ছেলেটির নিকট গিয়ে আঙ্গুলে
ঘেচাে দিয়ে বললেন, হে বালক! আল্লাহর কলম, তোমার জন্মদাতা কে? সে বলল, আমি
রাখালের পুএ ৷ ’ এটা শুনে সবাই জুরায়জের দিকে অগ্রসর হয় এবং তাকে চুযাে যেতে থাকে ৷
তারা বলে, আমরা সোনা দিয়ে আপনার ইবাদতখানা তৈরি করে দেব ৷ জুরায়জ বললেন, না ,
তা আমার দরকার নেই ৷ পুর্বে যেমন ছিল তেমন করে মাটি দিয়েই তৈরি করে দাও ! রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন, তৃভীয়জন হল জনৈকা মহিলা তার শিশুকে কোলে নিয়ে দুধ পান করাচ্ছিল ৷
সেখান দিয়ে একজন সুসজ্জিত ঘোড় সওয়ার অতিক্রম করছিল ৷ মহিলাটি বলল, “হে আল্লাহ !
আমার ছেলেকে এ লোকের ন্যায় বানিয়ে দিন!’ এটা শুনে শিশুটি তার মায়ের স্তন ছেড়ে দেয়


أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ يُحَدِّثُ رَهْطًا مِنْ قُرَيْشٍ بِالْمَدِينَةِ، وَذَكَرَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ فَقَالَ: إِنْ كَانَ مِنْ أَصْدَقِ هَؤُلَاءِ الْمُحَدِّثِينَ الَّذِينَ يُحَدِّثُونَ عَنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَإِنْ كُنَّا - مَعَ ذَلِكَ - لَنَبْلُو عَلَيْهِ الْكَذِبَ يَعْنِي مِنْ غَيْرِ قَصْدٍ مِنْهُ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: كَيْفَ تَسْأَلُونَ أَهْلَ الْكِتَابِ عَنْ شَيْءٍ، وَكِتَابُكُمُ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ أَحْدَثُ الْكُتُبِ بِاللَّهِ تَقْرَءُونَهُ مَحْضًا لَمْ يَشِبْ؟ وَقَدْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ بَدَّلُوا كِتَابَ اللَّهِ وَغَيَّرُوهُ، وَكَتَبُوا بِأَيْدِيهِمُ الْكِتَابَ، وَقَالُوا: هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أَلَا يَنْهَاكُمْ مَا جَاءَكُمْ مِنَ الْعِلْمِ عَنْ مَسْأَلَتِهِمْ، لَا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا مِنْهُمْ رَجُلًا يَسْأَلُكُمْ عَنِ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَيْكُمْ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ: لَا تَسْأَلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ عَنْ شَيْءٍ فَإِنَّهُمْ لَنْ يَهْدُوكُمْ وَقَدْ ضَلُّوا، إِمَّا أَنْ تُكَذِّبُوا بِحَقٍّ، أَوْ تُصَدِّقُوا بِبَاطِلٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.