আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

قصة أصحاب الأخدود

পৃষ্ঠা - ১১১৬
ষ্ষ্

অগ্নিকুণ্ড অধিপতিদের ঘটনা

ট্রুা:১’দ্ব ৷ ,

ঢু১ ণ্ডা১ ং১ট্রুস্টু ’১র্দু;ট্রু১ট্রুপ্ ৷১শুট্রুয়ু ১১১৷ ১ড্রুশ্নড্রু ৷ ৷১ ) ৷১ ৷ এড্রুএ্ ১খু ৷ ১১ স্১১া
এট্রু ,১ ৷ ণ্এ্যা১ ৷,১১১এ ১ ৷ ১৷ ৷ ট্রু১ছু১ং১১ ৷ট্রু১১ন্নু’১ ঢ়প্রু , ,১১১ন্১১ ;)ট্রু১১১ ন্১ংা৷ ১ ঞা£ষ্১১


০ : fl ’ :

স্পো;স্খো


(১) শপথ বৃরুজ বিশিষ্ট আকাশের (২) এবং প্রতিশ্রুত দিবসের (৩) শপথ দ্রষ্টা ও দৃষ্টের
(৪) ধ্বংস হয়েছিল কুণ্ডের অধিপতির৷ (৫) ইন্ধনপুর্ণ যে কুণ্ডে ছিল আগুন (৬) যখন তারা
সেটির পাশে উপবিষ্ট ছিল (৭) এবংতারা ঘুমিনদের সাথে যা করছিল তা প্রত্যক্ষ করছিল (৮)
ওরা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধু এ কারণে যে তারা বিশ্বাস করত পরাক্রমশালী ও
প্রাৎসাহ আল্লাহে (৯) আকাশ রাজি ও পৃথিবীর সর্বময় কর্তৃতু যার আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে
দ্রষ্টা ৷ (১০) যারা ঈমানদার নর নারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তাওবা করেনি তাদের
জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি , আছে দহন যন্ত্রণা ৷ (৮৫ বুরুজং : ১ ১ : )

এ সুরার তফসীর প্রসঙ্গে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আমরা ব্যাপক ও বিস্তারিত আলোচনা
করেছি, আলহামদুলিল্লাহ ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মনে করেন যে, কুও অধিপতির৷ হযরত ঈসা
(আ) এর নবুওত প্রাপ্তির পরবর্তী যুগের লোক ৷ পক্ষাম্ভরে অন্যান্যরা মনে করেন যে, এটি তার
পুর্বের যুগের ঘটনা ৷ এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে একাধিকবার ঘটেছে ৷ ভৈস্বরাচারী কাফির রাজা
বাদশাহরা বারে বারে ঈমানদার মানুষদের ওপর এ প্রকার নির্যাতন চালিয়েছে ৷ তবে কুরআন
মজীদে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে একটি মারফু হাদীছ এবং ইবন ইসহাক বর্ণিত একটি
বর্ণনা রয়েছে ৷ এ দুটো পরস্পর বিরোধী ৷ পাঠকের জ্ঞাতার্থে আমি উভয় বর্ণনাই উল্লেখ করছি ৷
ইমাম আহমদ সুহায়ব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমাদের পুর্বের
যুগে এক রাজা ছিল ৷ তার ছিল এক যাদুকর ৷ যাদুকর বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পর রাজাকে
বলল, আমি ( তা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি আর আমার মৃত তাও ঘনিয়ে এসেছে ৷ এখন আমাকে একটি
বালক যােগাড় করে দিন, থাকে আমি যাদু শি ৷খাব ৷ রাজা একটি বালক যােগাড় করে দিলেন ৷


[قِصَّةُ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُرُوجِ - وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ - وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ - قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ - النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ - إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ - وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ - وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَنْ يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ - الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهِ عَلَى كُلِ شَيْءٍ شَهِيدٌ - إِنَّ الَّذِينَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيقِ} [البروج: 1 - 10] [الْبُرُوجِ: 10] قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ زَعَمَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ كَانُوا بَعْدَ مَبْعَثِ الْمَسِيحِ، وَخَالَفَهُ غَيْرُهُ فَزَعَمُوا أَنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَهُ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ هَذَا الصَّنِيعَ مُكَرَّرٌ فِي الْعَالَمِ مِرَارًا فِي حَقِّ الْمُؤْمِنِينَ مِنَ الْجَبَّارِينَ الْكَافِرِينَ، وَلَكِنْ هَؤُلَاءِ الْمَذْكُورُونَ فِي الْقُرْآنِ قَدْ وَرَدَ فِيهِمْ حَدِيثٌ مَرْفُوعٌ، وَأَثَرٌ أَوْرَدَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَهُمَا مُتَعَارِضَانِ، وَهَا نَحْنُ نُورِدُهُمَا لِتَقِفَ عَلَيْهِمَا. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ مَلِكٌ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ وَكَانَ لَهُ سَاحِرٌ فَلَمَّا كَبُرَ السَّاحِرُ، قَالَ لِلْمَلِكِ
পৃষ্ঠা - ১১১৭
ষ্ষ্


যাদুকর ওকে যাদৃ শিখাচ্ছিল ৷ রাজার রাজপ্রাসাদ ও যাদৃকরের আখড়ার মধ্যখানে ছিল জনৈক
ধর্যযাজকের আন্ত ৷না ৷ বালকটি একদিন ধর্যযাজকের আস্তানায আসে এবং তার কথা গোলে ৷
তার কথা ব ৷লকটির পছন্দ হয় ৷ এ দিকে বালকটি যাদুকরের নিকট গেলে যাদুকর তাকে পহার
কর তে৷ এবং রণতো, ৷ রলষ করে ৷ ছুস কেন? কিসে তােকে অ টকে রাখে ? নিজের বাড়িতে গেলে
পরিবারের লোকজন তাকে প্রহার করতো এবং বলতো দেরী করেছিল কেন? এ বিষয়টি সে
যাজককে জানায় ৷ যাজক তাকে পরামর্শ দেয় যে, যাদুকর তোমাকে মারতে পেলে তুমি বলবে
আমার ঘরের লোকজন আমাকে আটকে রেখেছিল ৷ আর ঘরের লোকজন মারতে পেলে বলবে
যাদুকর আমাকে আটকে বেখেছিল ৷ একদিন যাওয়ার পথে সে পথের ওপর একটি
বিশালাকৃতির ভয়ানক জত্তু দেখতে পায় ৷ যেটি লোকজনের পথ আটকে বেখেছিল ৷ পথিকগণ
পথ অতিক্রম করতে পারছিল না ৷ বালকটি মনে মনে বলে, আল্লাহ তাআলার নিকট যাদুকরের
কাজ বেশি প্রিয়, নাকি ধর্মযাজকের কাজ বেশি প্রিয়, তা আমি আজ পরীক্ষা করব ৷ সে একটি
পাথর তুলে নিয়ে এ বলে জত্তুটির দিকে ছুড়ে মারল , হে আল্লাহ! যাজকের কর্ম যদি আপনার
বেশি প্রিয় ও পছন্দনীয হয় তবে এ পাথর দ্বারা জত্তুটিকে বধ করুন্ব্ল দিন, যাতে লোকজন পথ
অতিক্রম করতে পারে ৷ তার পাথরের আঘাতে জন্তুঢি নিহত হয় ৷ যাজকের নিকট গিয়ে যে তা
জানায় ৷ যাজক বললেন, প্রিয় বৎস ৷ আল্লাহর নিকট তুমি আমার চেয়ে অধিক প্রিয় ৷ তুমি
অবশ্যই বিপদে পড়বে, পরীক্ষা ৷র সম্মুখীন হয়ে ৷ বিপদে পড়লে কা ৷উকে আমার সন্ধান দি ব না৷



তারপর বালকটি জন্মান্ধকে দৃষ্টিশক্তি দা ন করত, কুষ্ঠরোপ নিরাময় করত ৷ তরে হাতে
আল্লাহ রােপীদেরকে সুস্থ করে দিতেন ৷ রাজার এক পারষদ ভাল হয়ে গিয়েছিল ৷ বালকের
কথা তার কানে যায় তিনি প্রচুর হাদিয়৷ নিয়ে বালকের নিকট এসে বলেন, ত্মি যদি আমাকে
সুস্থ করে দিতে পার তবে এসব হাদিয়৷ তুমি পাবে ৷ বালক বলল, আমি তে ৷ কাউকে সুস্থ
করতে পারি না ৷ একমাত্র আল্লাহই সুস্থ করেন ৷ আপনি যদি তার প্ৰ৷ ত ঈমান আনেন এবং
আমি তার নিকট দোয়া করি তাহলে তিনি আপনাকে সুস্থ করে দিবেন ৷ তিনি ঈমান আনলেন
এবং রাপকটি দোয়া করল ৷ আল্লাহ ওাকে সুস্থ করে দিলেন ৷





তারপর উক্ত স৩াযপ রাজার নিকট আসলেন এবং ইতিপুর্বে যেভাবে বসতেন সেভাবে
বললেন ৷ রাজা বললেন, তোমাকে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিল কে? জবাবে তিনি বললেন আমার
প্ৰতিপালক ৷ রাজা বলল, আমি? তিনি বললেন, না ৷ আমার ও অপনার প্ৰতিপালক আল্লাহ ৷
রাজা বলল, আমি ছাড়া তোমার কি অন্য কোন প্রতিপালক আছে?৩ তিনি বললেন, ইা৷ আমার
এবং আপনার প্রতিপালক আল্লাহ ৷ তখন রাজা তাকে বিরামহীনভাবে নির্যাতন করতে লাগল ৷
শেষ পর্যন্ত তিনি বালকটির সম্পদ নিয়ে নিলেন ৷ তখন বালকটিকে রাজ দরবারে নিয়ে আসা
হলো ৷ রাজ৷ বলল, বৎস! যাদু বিদ্যায় তুমি এত পারদর্শিত৷ অর্জন করেছ যে, জনা৷ন্ধ ও
কুষ্ঠরােপীকে পর্যন্ত নিরাময় করতে পার এবং সকল রোগের চিকিৎসা করতে পার ৷ বালকটি
বলল, আমি তো ৷নিরাময় করি না ৷ নিরাময় করেন আল্লাহ তা’আল৷ ৷ রাজা বলল, আমি? যে
বলল, না ৷ রাজা বলল, আমি ছাড়া তে আমার কি অন্য কোন প্রতিপালক আছে? জবাবে বালকটি
বলল, আমার এবং আপনার প্ৰতিপালক আল্লাহ ৷


إِنِّي قَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَحَضَرَ أَجَلِي فَادْفَعْ إِلَيَّ غُلَامًا فَلْأُعَلِّمْهُ السِّحْرَ. فَدَفَعَ إِلَيْهِ غُلَامًا فَكَانَ يُعَلِّمُهُ السِّحْرَ وَكَانَ بَيْنَ الْمَلِكِ وَبَيْنَ السَّاحِرِ رَاهِبٌ فَأَتَى الْغُلَامُ عَلَى الرَّاهِبِ فَسَمِعَ مِنْ كَلَامِهِ فَأَعْجَبَهُ نَحْوُهُ وَكَلَامُهُ، وَكَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ وَقَالَ: مَا حَبَسَكَ، وَإِذَا أَتَى أَهْلَهُ ضَرَبُوهُ وَقَالُوا: مَا حَبَسَكَ، فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فَقَالَ: إِذَا أَرَادَ السَّاحِرُ أَنْ يَضْرِبَكَ فَقُلْ: حَبَسَنِي أَهْلِي، وَإِذَا أَرَادَ أَهْلُكَ أَنْ يَضْرِبُوكَ فَقُلْ: حَبَسَنِي السَّاحِرُ. قَالَ: فَبَيْنَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ، إِذْ أَتَى عَلَى دَابَّةٍ فَظِيعَةٍ عَظِيمَةٍ قَدْ حَبَسَتِ النَّاسَ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَجُوزُوا فَقَالَ: الْيَوْمَ أَعْلَمُ أَمْرَ السَّاحِرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ أَمْ أَمْرَ الرَّاهِبِ قَالَ: فَأَخَذَ حَجَرًا فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَمْرُ الرَّاهِبِ أَحَبَّ إِلَيْكَ وَأَرْضَى مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فَاقْتُلْ هَذِهِ الدَّابَّةَ حَتَّى يَجُوزَ النَّاسُ، وَرَمَاهَا فَقَتَلَهَا، وَمَضَى فَأَخْبَرَ الرَّاهِبَ بِذَلِكَ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ أَنْتَ أَفْضَلُ مِنِّي، وَإِنَّكَ سَتُبْتَلَى فَإِنِ ابْتُلِيتَ فَلَا تَدُلَّ عَلَيَّ. فَكَانَ الْغُلَامُ يُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ، وَسَائِرَ الْأَدْوَاءِ وَيَشْفِيهِمْ. وَكَانَ جَلِيسٌ لِلْمَلِكِ فَعَمِيَ فَسَمِعَ بِهِ فَأَتَاهُ بِهَدَايَا كَثِيرَةٍ فَقَالَ: اشْفِنِي وَلَكَ مَا هَاهُنَا أَجْمَعُ. فَقَالَ: مَا أَنَا أَشْفِي أَحَدًا، إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنْ آمَنْتَ بِهِ، وَدَعَوْتُ اللَّهَ شَفَاكَ، فَآمَنَ فَدَعَا اللَّهَ فَشَفَاهُ، ثُمَّ أَتَى الْمَلِكَ فَجَلَسَ مِنْهُ نَحْوَ مَا كَانَ يَجْلِسُ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: يَا فُلَانُ مَنْ رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ؟ فَقَالَ: رَبِّي قَالَ: أَنَا قَالَ: لَا. رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ. قَالَ: وَلَكَ رَبُّ غَيْرِي؟ قَالَ: نَعَمْ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ. فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبْهُ،
পৃষ্ঠা - ১১১৮
حَتَّى دَلَّ عَلَى الْغُلَامِ فَأُتِيَ بِهِ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ بَلَغَ مِنْ سِحْرِكَ أَنْ تُبْرِئَ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَهَذِهِ الْأَدْوَاءَ، قَالَ: مَا أَشْفِي أَنَا أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ: أَنَا؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَوَلَكَ رَبٌّ غَيْرِي؟ قَالَ: رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ قَالَ: فَأَخَذَهُ أَيْضًا بِالْعَذَابِ، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى دَلَّ عَلَى الرَّاهِبِ فَأُتِيَ بِالرَّاهِبِ فَقَالَ: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبَى، فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ، وَقَالَ لِلْأَعْمَى: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبَى، فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ. وَقَالَ لِلْغُلَامِ: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبَى، فَبَعَثَ بِهِ مَعَ نَفَرٍ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا، وَقَالَ: إِذَا بَلَغْتُمْ ذُرْوَتَهُ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلَّا فَدَهْدِهُوهُ، فَذَهَبُوا بِهِ فَلَمَّا عَلَوُا الْجَبَلَ قَالَ: اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ فَرَجَفَ بِهِمُ الْجَبَلُ فَدُهْدِهُوا أَجْمَعُونَ، وَجَاءَ الْغُلَامُ يَتَلَمَّسُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى الْمَلِكِ فَقَالَ: مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ فَقَالَ: كَفَانِيهِمُ اللَّهُ فَبَعَثَ بِهِ مَعَ نَفَرٍ فِي قُرْقُورٍ فَقَالَ: إِذَا لَجَجْتُمُ الْبَحْرَ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلَّا فَأَغْرِقُوهُ فِي الْبَحْرِ، فَلَجَّجُوا بِهِ الْبَحْرَ فَقَالَ الْغُلَامُ: اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ فَغَرِقُوا أَجْمَعُونَ، وَجَاءَ الْغُلَامُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى الْمَلِكِ فَقَالَ: مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ فَقَالَ: كَفَانِيهِمُ اللَّهُ. ثُمَّ قَالَ لِلْمَلِكِ: إِنَّكَ لَسْتَ بِقَاتِلِي حَتَّى تَفْعَلَ مَا آمُرَكَ بِهِ فَإِنْ أَنْتَ فَعَلْتَ مَا آمُرُكَ بِهِ قَتَلْتَنِي، وَإِلَّا فَإِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ قَتْلِي. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: تَجْمَعُ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ تَصْلُبُنِي عَلَى جِذْعٍ، وَتَأْخُذُ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِي، ثُمَّ قُلْ: بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلَامِ فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتَنِي. فَفَعَلَ
পৃষ্ঠা - ১১১৯
ষ্ষ্


তখন রাজা তার উপর বিরামহীন নির্যাতন চালাতে লাগল ৷ ণ্:শষ পর্যন্ত যে যাজকের নাম
প্রকাশ করে দিল ৷ যাজককে রাজ দরবারে ডাকা হল ৷ রাজা তাকে বলল, তোমার ধর্ম ত্যাগ
কর ৷ তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান ৷ তার মাথার মধ্যভাগে করতে চালিয়ে তাকে দৃভাগে বিভক্ত
করে দেয়া হয় ৷ অন্ধ ব্যক্তিকে রাজা বলল, ঐ ধর্ম ত্যাগ কর ৷ তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷
তার মাথায় করাত রেখে তাকে দুভাপে ভাগ করে দেয়া হল ৷ রাজা তখন বালককে বলল, ঐ
ধর্ম ত্যাগ কর ৷ যে তাতে অস্বীকৃতি জানলে ৷ অতঃপর একদল নয়৷ লোক দিয়ে তাকে পাহাড়ের
ওপর পাঠানো হয় ৷ রাজা তাদেরকে নির্দেশ দিল যে, তোমরা পাহাড়ের চুড়ায় উঠে দেখবে, সে
তার ধর্ম ত্যাগ করে কিনা ! যদি সে ধর্ম ত্যাগ করে তো ভাল ৷ নতুবা ধাক্কা মেরে তাকে ওখান
থেকে ফেলে দিয়ে ৷

তারা বালকটিকে নিয়ে যায় ৷ যখন তারা পাহাড়ের ওপর উঠল , তখন বালকটি বলল, হে
আল্লাহ আপনার ইচ্ছা মুতাবিক তাদের বিরুদ্ধে আমাকে লক্ষ্য করুন ৷ এ সময় হঠাৎ সবাইকে
নিয়ে পর্বত কেপে উঠে ৷ সবাই পাথর চাপা পড়ে মারা যায় ৷ বালকটি পথ খুজে খুজে সেখান
থেকে বেরিয়ে আসে এবং রাজার নিকট উপস্থিত হয় ৷ আর রাজা তাকে জিজ্ঞেস করে , তোমার
সাথে যারা ছিল তাদের খবর কি? বালকটি উত্তর দিল, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহই আমার জন্য
যথেষ্ট হয়েছেন ৷ তখন রাজা তাকে তার লোকজন দিয়ে এ নৌকায় করে সমুদ্রে পাঠিয়ে
দিল ৷ রাজা বলল, তোমরা যখন গভীর সমুদ্রে গিয়ে পৌছবে তখন যদি সে তার ধর্ম ত্যাগ করে
তবে ভাল কথা ৷ অন্যথায় তাকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারবে ৷ লোকজন তাকে সমুদ্রে নিয়ে গেল ৷
বালকটি বলল, হে আল্লাহা আপনার যেভাবে ইচ্ছা আমাকে ওদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন ৷
তখন তারা সবাই সমুদ্রে ডুবে মারা গেল ৷ বেচে গেল (বালকটি) সে ফিরে এসে রাজার নিকট
উপস্থিত হল ৷ তখন রাজা তাকে জিজ্ঞেস করলো, তোমার সাথী লোকজনের সংবাদ কি?
বালকটি উত্তরে জানাল, আল্লাহ তাআলা আমার সাহায্যে ওদের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা
নিয়েছেন ৷

বালক রাজাকে আরো বলল যে, আমি যে পরামর্শ দিব, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে
আপনি আমাকে হত্যা করতে পারবেন না ৷ আমার পরামর্শ মানলেই কেবল আমাকে হত্যা
করতে পারবেন ৷ তখন রাজা জিজ্ঞেস করল, তোমার পরড়ামর্শটি কি? যে বলল, সকলকে একটি
মাঠে সমবেত করবেন ৷ তারপর আমাকে খেজুর গাছের কাণ্ডেশুলে চড়াবেন ৷ এরপর আমার
ঝুড়ি থেকে একটি তীর নিয়ে এই বিসযিল্লাহি রাব্বিল গোলাম-এই বালকের প্রভু আল্লাহর নামে
নিক্ষেপ করছি ৷ বলে তীরটি আমার দিকে নিক্ষেপ করবেন ৷ রজাে তখন তাই করল ৷ তীর গিয়ে
বালকের ললাটের উপর পড়ল যে নিজের ক্ষত স্থানে হাত রাখল এবং শহীদ হয়ে গেল ৷ এসব
দেখে উপস্থিত লোকজন চীৎকার করে বলে উঠল , আমরা বালকটির প্রতিচালকেয় প্ৰতি ঈমান
আনলাম ৷ আমরা বালকটির প্রতিচালকের প্রতি ঈমান আনলাম ৷ রাজাকে বলা হল, আপনি যা
আশঙ্কা করেছিলেন তাইভাে হল ৷ আল্লাহ আপনার প্রতি সেই বিপদই তাে নাযিল করলেন ৷
লোকজন সকলেই তো ঈমান এনে ফেলেছে ৷ রাজার নির্দেশে প্রত্যেক গলির মুখে গর্ত খনন
করা হল ৷ তাতে আগুন জ্বালানাে হল ৷ রাজা বলল, যে ব্যক্তি ঐ ধর্ম ত্যাগ করবে তাকে রেহাই
দিবে ৷ আর যারা তাতে স্বীকৃতি জানাবে তাদেরকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করবে ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩৩-

وَوَضَعَ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ، ثُمَّ رَمَاهُ وَقَالَ: بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلَامِ فَوَقَعَ السَّهْمُ فِي صُدْغِهِ فَوَضَعَ الْغُلَامُ يَدَهُ عَلَى مَوْضِعِ السَّهْمِ وَمَاتَ فَقَالَ النَّاسُ: آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلَامِ فَقِيلَ لِلْمَلِكِ: أَرَأَيْتَ مَا كُنْتَ تَحْذَرُ فَقَدْ وَاللَّهِ نَزَلَ بِكَ قَدْ آمَنَ النَّاسُ كُلُّهُمْ فَأَمَرَ بِأَفْوَاهِ السِّكَكِ فَحَفَرَ فِيهَا الْأَخَادِيدَ، وَأُضْرِمَتْ فِيهَا النِّيرَانُ، وَقَالَ: مَنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ فَدَعُوهُ، وَإِلَّا فَأَقْحِمُوهُ فِيهَا. وَقَالَ: فَكَانُوا يَتَعَادَوْنَ فِيهَا، وَيَتَدَافَعُونَ، فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ بِابْنٍ لَهَا تُرْضِعُهُ فَكَأَنَّهَا تَقَاعَسَتْ أَنْ تَقَعَ فِي النَّارِ فَقَالَ الصَّبِيُّ: اصْبِرِي يَا أُمَّاهُ فَإِنَّكِ عَلَى الْحَقِّ» كَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ زَادَ النَّسَائِيُّ: وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ كِلَاهُمَا عَنْ ثَابِتٍ بِهِ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ ثَابِتٍ بِإِسْنَادِهِ، نَحْوَهُ، وَحَرَّرَ إِيرَادَهُ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ
পৃষ্ঠা - ১১২০
ষ্ষ্


লোকজন ওখান দিয়ে যাচ্ছিল আর অগ্নিকুণ্ডে পতিত হচ্ছিল ৷ জনৈকা মহিলা তার ণ্ নিকট
উপস্থিত হল ৷ এক দৃগ্ধপোয্য শিশুসহ সেখানে মহিলাটি আগুনে পতিত হতে ইতস্ততঃ করছিল ৷
তার শিশুটি বলে উঠল, মা! তুমি ধৈর্যধারণ কর, কারণ, তুমি সত্যে য় ওপর রয়েছ ৷ এটি ইমাম
আহমদের বর্ণনা ৷ ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ প্রমুখ সহীহ্ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এগুলো
আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি ৷

মুহাস্মদ ইবন ইসহাক এ ঘটনাটি অন্যভাবে বর্ণনা করেছেন৷ তিনি বলেন, নাজরানেব
অধিবাসিগণ ছিল মুশরিক ৷৩ তারা দেব দেবীর পুজা করত ৷ নাজরানের পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে
(নাজরান নগর হল নাজরান অঞ্চলের কেদ্রীয় শহর) এক যাদুকর বসবস করত ৷ নাজরানেব
বালকদের সে যাদু বিদ্যা শিক্ষা দিত ৷ ইবনে ঘুনাব্বিহ্ বলেন, ফইিমুন নামক জ্যানক ব্যক্তি
সেখানে এসে একটি র্তাবু স্থাপন করে ৷ তার তাবুটি ছিল নাজরান ও যাদুকরের গ্রামের মধ্যবর্তী
স্থানে ৷ নাজরানেব লোকেরা তাদের ছেলেদেরকে ঐ যাদুকরের নিকট নিয়মিত পাঠাত ৷ সে
তাদেরকে যাদু বিদ্যা শিক্ষা দিত ৷ অন্যান্য বালকের সাথে তামুর তার পুত্র আবদুল্লাহকে
যাদৃকরের নিকট প্রেরণ করে ৷ যাওয়ার পথে আবদুল্লাহ ঐ তাবুওয়ামা লোকটিকে দেখত ৷ তার
নামায ও ইবাদত আবদুল্লাহর ভাল লাগত ৷ সে র্তাবু ওয়ালার ৩ এবং তার কথাবার্তা
শুনতে লাগলো ৷ শেষ পর্যন্ত যে মুসলমান হয়ে গেল ৷ আল্লাহর একতৃবাদে বিশ্বাস স্থাপন করে
সে তার ইবাদত করতে লাগল ৷ তাবু ওয়ালার নিকট থেকে ইসলামের বিধি-বিধান জেনে নিত ৷
অবশেষে ইসলামের বিধি বিধান-সম্পর্কে যখন সে গভীর জ্ঞান অর্জন করে তখন সে
তড়াবুওয়ালার নিকট ইসমে আজম শিখতে চায় ৷ তাবুওয়ালা ইসমে আজম জানতেন বটে , কিত্তু
আবদুল্লাহর নিকট তা গোপন রাখতেন ৷ তিনি বললেন, ভাতিজা ! তুমি ইসমে আজম সহ্য
করতে পারবে না ৷ তোমার দৃর্বলত৷ সম্পর্কে আমি শ ৎকিত ৷ তামুরের ধারণা ছিল যে অন্যান্য
বালকের ন্যায় তার পুত্রটিও নিয়মিত যাদৃকরের আস্ত স্তানায় যাতায়াত করছে !

আবদুল্লাহ যখন বুঝতে পারল যে, ইসমে আজম শিক্ষা ৷দেওয়ার ব্যাপারে তার গুরু কার্পণ্য
করছেন এবং তার দুর্বলতার আশংকা করছেন তখন যে কয়েকটি তীর সৎগ্র হ করে ৷ এরপর
তার জানা আল্লাহর প্রত্যেকটি নাম ঐ তীরগুলোতে লিখে ৷ প্রত্যেকটিতে একটি করে নাম লিখা
শেষ করে সে এক স্থানে আগুন জ্বালড়ায় ৷ এরপর একটি একটি করে তীর আগুনে নিক্ষেপ করতে
থাকে ৷ ক্রমে আমি লেখা তীরটি আগুনে ফেলার সাথে সাথে তীরটি লাফিয়ে উঠে এবং আগুন
থেকে বেরিয়ে আসে ৷ আগুনে তীরটির সামান্যতমও ক্ষতি হয়নি ৷ ঐ তীরটি নিয়ে আবদুলাহ
তার গুরুর নিকট উপস্থিত হয় এবং বলে যে, সে ইসমে আজম জেনে ফেলেছে, যা তার গুরু
গোপন রেখেছিলেন ৷ গুরু বললেন, বল তো কোনটি ইসমে আজমঃ সে বলল, তা এরুপ
এরুপ ৷ গুরু বললেন, তুমি কেমন করে জানল্যে বালক সকল ঘটনা খুলে বলে ৷ গুরু বললেন,
ভাতিজা! তুমি ঠিইে ইসমে আজম জেনে নিয়েছ ৷ তবে নিজেকে সংযত রাখবে ৷ অবশ্য ব্মি
তা পারবে বলে আমার মনে হয় না ৷

এরপর থেকে আবদুল্লাহ নাজরানে প্রবেশ করলে এবং কোন দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত লোক
দেখলে বলত, হে আল্লাহর বান্দা, ব্মি আল্লাহর একতৃবাদ মেনে নাও এবং আমার দীনে প্রবেশ


وَقَدْ أَوْرَدَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ عَلَى وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَحَدَّثَنِي أَيْضًا بَعْضُ أَهْلِ نَجْرَانَ عَنْ أَهْلِهَا أَنَّ أَهْلَ نَجْرَانَ كَانُوا أَهْلَ شِرْكٍ يَعْبُدُونَ الْأَوْثَانَ وَكَانَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ قُرَاهَا قَرِيبًا مِنْ نَجْرَانَ - وَنَجْرَانُ هِيَ الْقَرْيَةُ الْعُظْمَى الَّتِي إِلَيْهَا جِمَاعُ أَهْلِ تِلْكَ الْبِلَادِ - سَاحِرٌ يُعَلِّمُ غِلْمَانَ أَهْلِ نَجْرَانَ السِّحْرَ فَلَمَّا نَزَلَهَا فَيْمَيُونُ - وَلَمْ يُسَمُّوهُ لِي بِالِاسْمِ الَّذِي سَمَّاهُ ابْنُ مُنَبِّهٍ قَالُوا: رَجُلُ نَزَلَهَا - فَابْتَنَى خَيْمَةً بَيْنَ نَجْرَانَ وَبَيْنَ تِلْكَ الْقَرْيَةِ الَّتِي فِيهَا السَّاحِرُ، وَجَعَلَ أَهْلُ نَجْرَانَ يُرْسِلُونَ غِلْمَانَهُمْ إِلَى ذَلِكَ السَّاحِرِ يُعَلِّمُهُمُ السِّحْرَ فَبَعَثَ الثَّامِرُ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الثَّامِرِ مَعَ غِلْمَانِ أَهْلِ نَجْرَانَ فَكَانَ إِذَا مَرَّ بِصَاحِبِ الْخَيْمَةِ أَعْجَبَهُ مَا يَرَى مِنْ عِبَادَتِهِ وَصَلَاتِهِ فَجَعَلَ يَجْلِسُ إِلَيْهِ، وَيَسْمَعُ مِنْهُ حَتَّى أَسْلَمَ فَوَحَّدَ اللَّهَ وَعَبَدَهُ، وَجَعَلَ يَسْأَلُهُ عَنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ حَتَّى إِذَا فَقُهَ فِيهِ، جَعَلَ يَسْأَلُهُ عَنِ الِاسْمِ الْأَعْظَمِ وَكَانَ يَعْلَمُهُ فَكَتَمَهُ إِيَّاهُ. وَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ أَخِي إِنَّكَ لَنْ تَحْمِلَهُ أَخْشَى ضَعْفَكَ عَنْهُ. وَالثَّامِرُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لَا يَظُنُّ إِلَّا أَنَّ ابْنَهُ يَخْتَلِفُ إِلَى السَّاحِرِ كَمَا يَخْتَلِفُ الْغِلْمَانُ، فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللَّهِ أَنَّ صَاحِبَهُ قَدْ ضَنَّ بِهِ عَنْهُ، وَتَخَوَّفَ ضَعْفَهُ فِيهِ، عَمَدَ إِلَى قِدَاحٍ فَجَمَعَهَا، ثُمَّ لَمْ يَبْقَ لِلَّهِ اسْمًا يَعْلَمُهُ إِلَّا كَتَبَهُ فِي قَدَحٍ، لِكُلِّ اسْمٍ قَدَحٌ حَتَّى إِذَا أَحْصَاهَا أَوْقَدَ نَارًا، ثُمَّ جَعَلَ يَقْذِفُهَا قَدَحًا قَدَحًا حَتَّى إِذَا مَرَّ بِالِاسْمِ الْأَعْظَمِ، قَذَفَ فِيهَا بِقَدَحِهِ فَوَثَبَ الْقَدَحُ حَتَّى خَرَجَ مِنْهَا لَمْ تَضُرَّهُ
পৃষ্ঠা - ১১২১
شَيْئًا فَأَخَذَهُ، ثُمَّ أَتَى بِهِ صَاحِبَهُ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَدْ عَلِمَ الِاسْمَ الْأَعْظَمَ الَّذِي قَدْ كَتَمَهُ فَقَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: كَذَا وَكَذَا قَالَ: وَكَيْفَ عَلِمْتَهُ؟ فَأَخْبَرَهُ بِمَا صَنَعَ قَالَ: أَيِ ابْنَ أَخِي قَدْ أَصَبْتَهُ فَأَمْسِكْ عَلَى نَفْسِكَ وَمَا أَظُنُّ أَنْ تَفْعَلَ. فَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الثَّامِرِ إِذَا دَخَلَ نَجْرَانَ لَمْ يَلْقَ أَحَدًا بِهِ ضُرٌّ إِلَّا قَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتُوَحِّدَ اللَّهَ، وَتَدْخُلَ فِي دِينِي، وَأَدْعُو اللَّهَ لَكَ فَيُعَافِيَكَ عَمًّا أَنْتَ فِيهِ مِنَ الْبَلَاءِ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ فَيُوَحِّدُ اللَّهَ وَيُسْلِمُ وَيَدْعُو لَهُ فَيُشْفَى. حَتَّى لَمْ يَبْقَ بِنَجْرَانَ أَحَدٌ بِهِ ضُرٌّ إِلَّا أَتَاهُ فَاتَّبَعَهُ عَلَى أَمْرِهِ، وَدَعَا لَهُ فَعُوفِيَ حَتَّى رُفِعَ شَأْنُهُ إِلَى مَلِكِ نَجْرَانَ فَدَعَاهُ فَقَالَ: أَفْسَدْتَ عَلَيَّ أَهْلَ قَرْيَتِي، وَخَالَفْتَ دِينِي وَدِينَ آبَائِي لَأُمَثِّلَنَّ بِكَ قَالَ: لَا تَقْدِرُ عَلَى ذَلِكَ، فَجَعَلَ يُرْسِلُ بِهِ إِلَى الْجَبَلِ الطَّوِيلِ فَيُطْرَحُ عَلَى رَأْسِهِ فَيَقَعُ إِلَى الْأَرْضِ مَا بِهِ بَأْسٌ، وَجَعَلَ يُبْعَثُ بِهِ إِلَى مِيَاهٍ بِنَجْرَانَ بُحُورٍ لَا يُلْقَى فِيهَا شَيْءٌ إِلَّا هَلَكَ، فَيُلْقَى بِهِ فِيهَا فَيَخْرُجُ لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، فَلَمَّا غَلَبَهُ قَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الثَّامِرِ: إِنَّكَ وَاللَّهِ لَا تَقْدِرُ عَلَى قَتْلِي حَتَّى تُوَحِّدَ اللَّهَ فَتُؤْمِنَ بِمَا آمَنْتَ بِهِ فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ سُلِّطْتَ عَلَيَّ فَقَتَلْتَنِي، قَالَ: فَوَحَّدَ اللَّهَ ذَلِكَ الْمَلِكُ، وَشَهِدَ شَهَادَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الثَّامِرِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ بِعَصًا فِي يَدِهِ فَشَجَّهُ شَجَّةً غَيْرَ كَبِيرَةٍ فَقَتَلَهُ، وَهَلَكَ الْمَلِكُ مَكَانَهُ، وَاسْتَجْمَعَ أَهْلُ نَجْرَانَ عَلَى دِينِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الثَّامِرِ وَكَانَ عَلَى مَا جَاءَ بِهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ مِنَ الْإِنْجِيلِ وَحِكَمِهِ، ثُمَّ أَصَابَهُمْ مَا أَصَابَ أَهْلُ دِينِهِمْ مِنَ الْأَحْدَاثِ فَمِنْ هُنَالِكَ كَانَ أَصْلُ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ بِنَجْرَانَ.
পৃষ্ঠা - ১১২২
ষ্ষ্


কর ৷ আমি তোমার জন্যে আল্লাহর নিকট দোয়া করব ৷ আল্লাহ তোমাকে বিপদ থােক উদ্ধার
করবেন ৷ সংশ্লিষ্ট লোক ঈমান আনলে সে দোয়া করত এবং আল্লাহ ঐ বিপদগ্রস্ত লোককে
বিপদমুক্ত করতেন ৷ এভাবে তার বিষয়টি নাজরানের রাজার কানে পৌছে ৷ রাজা তাকে তলর
করে এবং তাকে অভিযুক্ত করে বলে যে, ব্মি আমার প্রজাদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করেছ ৰু
আমার দীন ও আমার পুর্ব পুরুষের দীনের বিরুদ্ধাচরণ করেছ ৷ আমি ওর প্রতিশোধ নেব ৷

আবদুল্লাহ বলল, আপনি তা পারবেন না ৷ রাজা পাইক পেয়াদা সহকারে তাকে পাঠান ৷
সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গ থেকে তাকে নিচে নিক্ষেপ করা হল ৷ কিত্তু তার কােনই ক্ষতি হল না ৷ তাকে
প্রেরণ করা হল নাজরানের সমুদ্রে, সেখানে যাই নিক্ষেপ করা হয় তাই ধ্বংস হয় ৷ বালককে ঐ
সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয় ৷ সে সমুদ্র থেকে নির্বিরাদে উঠে আসে ৷ আবদুল্লাহ যখন সকল ক্ষেত্রে
জয়ী হল তখন সে রাজাকে বলল, আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহহ্ত ঈমান না আনবেন এবং
যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর একতৃবাদ স্বীকার না করবেন, ততক্ষণ আমাকে হত্যা করতে পারবেন
না ৷ আপনি যদি ঈমান আনেন তবে আমার ওপর কর্তৃতৃ পাবেন এবং আমাকে হত্যা করতে
পারবেন ৷ অগত্যা রাজা আল্লাহর একতুবড়াদ স্বীকার করল এবং আবদুল্লাহ ইবন তামুরের ন্যায়
কলেমা পাঠ করল ৷ তারপর তার লাঠি দ্বারা আবদুল্লাহকে আঘাত করে রক্ত প্রবাহিত করে
দিল ৷ অবশেষে আবদুল্লাহ মারা গেল ৷ রাজারও সেখানে মৃত্যু হল ৷ এবার সকলে আল্লাহর দীন
গ্রহণ করলেন ৷

আবদুল্লাহ মুলতঃ হযরত ঈসা (সা) এর ইনজীলের অনুসারী ছিলেন ৷ এরপর খৃষ্ট
ধর্মাবলম্বীপণের যে পরিণতি হয়েছিল, তাদের পরিণতিও তাই হয়েছিল ৷ নাজরান অঞ্চলে খৃষ্ট
ধর্মের প্রসারের এটাই ছিল মুল কারণ ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন তামুর সম্পর্কে
মুহাম্মদ ইবন কাব ও কতক নাজরান অধিবাসীর বর্ণনা এরুপই ৷ প্রকৃত ঘটনা যে কোনটি , তা
আল্লাহই ভাল জানেন ৷ বর্ণনাকারী আরও বলেন, অতঃপর বাদশাহ য়ু-নুওয়াস তার সৈন্য
সামন্তসহ এ খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৷ সে তাদেরকে ইয়াহুদী ধর্ম
গ্রহণ অথবা মৃত্যু এ দুটোর যে কোন একটি বেছে নিতে বলে ৷ তারা মৃত্যুকেই বছে নেয় ৷
আক্রমণকড়ারীরা বহু গর্ত খনন করে এবং তাতে আগুন জ্বালিয়ে অগ্নিকুণ্ড তৈরি করে ৷ অতঃপর
ওদেরকে তরবারীর আঘাতে খণ্ড বিখণ্ড করে হাতপা কেটে ফেলে এবং অগ্লিকুন্ডে নিক্ষেপ করে
পুড়িয়ে মারে ৷ প্রায় বিশ হাজার খ্রীষ্টানকে তারা এভাবে হত্যা করে ৷

যুনুওয়াস ও তার সৈন্যদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তা’আলা তার রাসুলের নিকট এ আয়াত
নাযিল করেন :

ৎস হয়েছিল কুণ্ড আধিপতিরা ৷ ইন্ধনপুর্ণ যে কুণ্ডে ছিল অগ্নি ৷ এতে বুঝা যায় যে, এই
ঘটনা আর সহীহ মুসলিমে বর্ণিত ঘটনা এক নয় ৷

কেউ কেউ বলেন যে, অগ্নিকুণ্ড বিষয়ক ঘটনা পৃথিবীতে একাধিক বার ঘটেছে ৷ যেমন ইবন
আবী হাতিম আবদুর রহমান ইবন জুবায়ের থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইয়ড়ামড়ানে অগ্নিকুণ্ডেব
ঘটনা ঘটেছিল তুব্বা রাজার আমলে ৷ কনষ্টান্টিনােপালে ঘটেছিল রাজা কনষ্টন্টিনাইনের আমলে


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَهَذَا حَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَبَعْضِ أَهْلِ نَجْرَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الثَّامِرِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ: فَسَارَ إِلَيْهِمْ ذُو نُوَاسٍ بِجُنْدِهِ فَدَعَاهُمْ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ، وَخَيَّرَهُمْ بَيْنَ ذَلِكَ أَوِ الْقَتْلِ فَاخْتَارُوا الْقَتْلَ فَخَدُّوا الْأُخْدُودَ، وَحَرَّقَ بِالنَّارِ، وَقَتَّلَ بِالسَّيْفِ، وَمَثَّلَ بِهِمْ فَقَتَلَ مِنْهُمْ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ أَلْفًا فَفِي ذِي نُوَاسٍ، وَجُنْدِهِ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ {قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ - النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ} [البروج: 4 - 5] الْآيَاتِ. وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّ هَذِهِ الْقِصَّةَ غَيْرُ مَا وَقَعَ فِي سِيَاقِ مُسْلِمٍ. وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ الْأُخْدُودَ وَقَعَ فِي الْعَالَمِ كَثِيرًا كَمَا قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَنْبَأَنَا صَفْوَانُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: كَانَتِ الْأُخْدُودُ فِي الْيَمَنِ زَمَانَ تُبَّعٍ، وَفِي الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ زَمَانَ قُسْطَنْطِينَ حِينَ صَرَفَ النَّصَارَى قِبْلَتَهُمْ عَنْ دِينِ الْمَسِيحِ وَالتَّوْحِيدِ، وَاتَّخَذَ أَتُّونًا، وَأَلْقَى فِيهِ النَّصَارَى الَّذِينَ كَانُوا عَلَى دِينِ الْمَسِيحِ وَالتَّوْحِيدِ، وَفِي الْعِرَاقِ فِي أَرْضِ بَابِلَ فِي زَمَانِ بُخْتُنَصَّرَ حِينَ صَنَعَ الصَّنَمَ، وَأَمَرَ النَّاسَ فَسَجَدُوا لَهُ فَامْتَنَعَ دَانْيَالُ، وَصَاحِبَاهُ عَزْرِيَا وَمَشَايِلُ فَأَوْقَدَ لَهُمْ أَتُّونًا وَأَلْقَى فِيهَا الْحَطَبَ وَالنَّارَ، ثُمَّ أَلْقَاهُمْ فِيهِ فَجَعَلَهَا اللَّهُ عَلَيْهِمْ بَرْدًا وَسَلَامًا، وَأَنْقَذَهُمْ مِنْهَا، وَأَلْقَى فِيهَا الَّذِينَ بَغَوْا عَلَيْهِ، وَهُمْ تِسْعَةُ رَهْطٍ فَأَكَلَتْهُمُ النَّارُ. وَقَالَ أَسْبَاطٌ عَنِ السُّدِّيِّ فِي قَوْلِهِ {قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ} [البروج: 4]
পৃষ্ঠা - ১১২৩
قَالَ: كَانَ الْأُخْدُودُ ثَلَاثَةً، خَدٌّ بِالشَّامِ، وَخَدٌّ بِالْعِرَاقِ، وَخَدٌّ بِالْيَمَنِ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ وَقَدِ اسْتَقْصَيْتُ ذِكْرَ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ وَالْكَلَامَ عَلَى تَفْسِيرِهَا فِي سُورَةِ الْبُرُوجِ مِنْ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.