كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم
قصة أصحاب أيلة الذين اعتدوا في سبتهم
পৃষ্ঠা - ১০৯৩
ষ্ষ্
কতক তাফসীরকার বলেন,আলােচ্য দৃষ্টান্ত দ্বারা মক্কাবাসীদেরকেই বুঝানো হয়েছে ৷ তাদেরকে
এবং তাদের কাজ কর্মবেইি তাদের নিকট দৃষ্টান্ত রুপে পেশ করা হয়েছে ৷ এ উভয় মতের মধ্যে
কোন বিরোধ নেই ৷ আল্লাহই সঠিক জানেন ৷
সাবুত১ বিষয়ক সীমা লংঘনকারী আয়লা অধিবাসীদের ঘটনা
সুরা আরাফে মহান আল্লাহ তাঅ ৷লা বলেন,
৷ এ; ণ্ট্রুপুট্রুট্রুওট্রু
০ #
ৰুাও ৷
মোঃ
×
এে
০
“তাদেরকে সমুদ্র তীরবর্তী জনপদবাসীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস কর, তা ৷র৷ শনিবারে সীমালংঘ
করত ৷ শনিবার উদযাপনের দিন মাছ পানিতে ভেসেত তাদের নিকট আসত ৷ কিংম্বু যেদিন৩ ৷ ৷রা
শনিবার উদযাপন করত ৩ন৷ ৷ সেদিন মাছগুলাে৩ তাদের নিকট আসত না ৷ এভাবে তাদেরকে
পরীক্ষা করেছিলাম, যেহেতু তারা সত্য ত্যাগ করত ৷
স্মরণ কর, তাদের একদল বলেছিল, আল্লাহ যাদেরকে ধ্বংস করবেন : কিংবা কঠোর শাস্তি
দিবেন, তোমরা তাদেরকে সদৃপদেশ দা ও কেনা তারা ৷ব,লেছিল তোমাদের প্রতিপালকের নিকট
দায়িতৃ মুক্তির জন্য এবং যাতে তারা সাবধান হয় এ জন্যে ৷ যে উপদেশ তাদেরকে দেয়া
হয়েছিল তারা যখন সেটি বিস্মৃত হয় তখন যারা অসৎ কার্য থেকে নিবৃত্ত করত৩ ৩তাদেরকে আমি
উদ্ধার করি এবং যারা জুলুম করে তারা কুফরী করত বলে আমি তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেই ৷
তারা যখন নিষিদ্ধ কার্য ঔদ্ধতা সহকারে করতে লাগল তখন তাদেরকে বললাম , ঘৃণিত বানর
হও
সুরা বাকারাতে আল্লাহ বলেন
০ ’ :
াঠুওাও
১ সাবৃত শব্দের অর্থ শনিবার ৷ ঐটি ইয়াহুদীদের সাপ্তাহিক ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট ছিল ৷
২ ৭ আরাফ ১৬৩-১৬৬
৩ ২ বাকার৷ ৬৫
[قِصَّةُ أَصْحَابِ أَيْلَةَ الَّذِينَ اعْتَدَوْا فِي سَبْتِهِمْ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، فِي سُورَةِ " الْأَعْرَافِ ": {وَاسْأَلْهُمْ عَنِ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَتْ حَاضِرَةَ الْبَحْرِ إِذْ يَعْدُونَ فِي السَّبْتِ إِذْ تَأْتِيهِمْ حِيتَانُهُمْ يَوْمَ سَبْتِهِمْ شُرَّعًا وَيَوْمَ لَا يَسْبِتُونَ لَا تَأْتِيهِمْ كَذَلِكَ نَبْلُوهُمْ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌ مِنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا اللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا قَالُوا مَعْذِرَةً إِلَى رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ أَنْجَيْنَا الَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ السُّوءِ وَأَخَذْنَا الَّذِينَ ظَلَمُوا بِعَذَابٍ بَئِيسٍ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ فَلَمَّا عَتَوْا عَنْ مَا نُهُوا عَنْهُ قُلْنَا لَهُمْ كُونُوا قِرَدَةً خَاسِئِينَ} [الأعراف: 163]
[الْأَعْرَافِ: 163 - 166] .
وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَوْا مِنْكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا قِرَدَةً خَاسِئِينَ فَجَعَلْنَاهَا نَكَالًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِلْمُتَّقِينَ} [البقرة: 65]
[الْبَقَرَةِ: 65، 66] .
وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " النِّسَاءِ ": {أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّا أَصْحَابَ السَّبْتِ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا} [النساء: 47] .
পৃষ্ঠা - ১০৯৪
ষ্ষ্
স্পোট্রু৷ ৰুা ; প্রুটুৰুট্রু তোমাদের মধ্যে যারা শনিবার সম্পর্কে সীমালংঘন করেছিল তাদেরকে
তোমরা নিশ্চিতভ৷ ৷বে জা ন ৷ আ ৷মি তাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা ঘৃণিত বানর হও ৷ আমি এটি
তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীগণের শিক্ষা গ্রহণের জন্য দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্যে উপদেশ
স্বরুপ করেছি ৷ ”৩
অন্যত্র ৯আল্লাহ তাআল৷ বলেন প্রুৰু০ ৷ ষ্র্চুৰুট্রু ;ট্রু৷ ৷ ন্ ৷ ৷টুট্রুশু এে ণ্শুষ্ান্ , ৷
) :
১াপ্রুধ্ঙ্;টুৰু ধ্া৷ ৷ “অথবা সাবৃতওয়ালাদেরকে যেরুপ লানত করেছিলাম যেরুপ তাদেরকে লানত
করার পুর্বে ৷ আল্লাহর আদেশ কার্যকরী হয়েই থাকে ৷”
ইবন আব্বাস, মুজাহিদ, ইকরীমা, কাতাদা, সুদ্দী (র) ও তানা৷ন্য মুফাসসিরগণ বলেছেন,
এরা ছিল আয়লা বা ঈলা (দ্রা৪া৷া) অধিবাসী ৷ ইবন আব্বাস (বা) এও বলেছেন যে, স্থানটি
মাদয়ান ও তুর এর মধ্যস্থলে অবস্থিত ৷৩ তাফসীরকারগণ বলেন, যে যুগে তাওরাতের শিক্ষা
অনুযায়ীতার৷ শনিবারে পার্থিব কাজকর্ম হারাম জ্ঞান করত ন্া১লে মাছ এ দিবসে তাদের পক্ষ
থেকে নিরাপদ ও স্বস্তিরু৩ থাকত ৷ কারণ ঐ দিন মাছ শিকার করা তাদের জন্যে হারাম ছিল ৷
সকল প্রকারের কাজ-কর্ম ব্যবসা বাণিজ্য ও আর উপার্জন সেদিনের জন্যে হারাম ছিল ৷
শনিবারে প্রচুর মাছ তাদের সমুদ্র তীরবর্তী আবাসিক এলাকার কাছাকাছি চলে আসত এবং
নির্ভয়ে-নিরাপদে এদিক-ওদিক ঘোরাফের৷ করত ৷ তারা ওগুলো ধরতও না ওগুলোকে ভীতি
প্রদর্শনও করতো না ৷
ণ্ৰুগ্লু, ম্র ৷ ১’ এপ্রুছু;ট্রুন্ঠু ১’ ণ্টুপ্রুট্রু “যেদিন তারা শনিবার উদযাপন করত ৩ন৷ সেদিন
তাদের নিকট মাছও আসত না’ এ জন্যে যে, শনিবার ব্যতীত অন্যান্য দিনে৩ রা৷ মাছ শিকার
করত ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন ং ১র্টুাট্রু ;ঠু ;া৷১ৎ “এভাবে আমি তাদেরকে পরীক্ষা
করেছিলাম ৷” অর্থ৷ ৷ৎ শনিবারে প্রচুর মাছের আনাগােনার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদেরকে যাচাই
করেছিলাম ঠুটুড়ুরব্লুৰু ৷প্রু১াহ্র ৷; “যেহেতু তারা সত্য তাগ করত ৷” অর্থাৎ তাদের
ইতিপুর্বেকার সত্যত্যাগের কারণে ৷
তারা শনিবারে প্রচুর মাছের সমাহার দেখে শনিবারেই তারা মাছ শিকারের ফন্দি ঘোজে ৷
তারা রশি, জাল ও বড়শী তৈরি করে এবং খালও খনন করে রাখে ৷ ঐ খাল হয়ে পানি যেন
তাদের তৈরি শিকার ক্ষেত্রে পৌছে ৷ পানির সাথে মাছ তাদের প্রন্তুতকৃত শিকার ক্ষেত্রে গিয়ে
পৌছলে যেন বের হতে না পারে ৷
পরিকল্পনা মুতাবিক৩ারা সব কিছু তৈরি করে নেয় ৷ শুক্রবারে তারা যন্ত্রপাতি ও সকল
কৌশল কার্যকর করত ৷শনিবারে নির্ভয়ে মাছগুলো যখন উপস্থিত হত তখন শিকার ক্ষেত্রের
মুখ বন্ধ করে দেয়৷ হত ৷ শনিবার চলে গেলে তারা মাছগুলো ধরে আনত ৷
আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি অসত্তুষ্ট হলেন এবং৩ তাদেরকে লানত দিলেন ৷ কারণ তারা
আল্লাহর নিদেশের বিরুদ্ধে এমন কৌশল অবলম্বন করেছিল বাহ্যিকভাবে তা কোন লই মনে হবে
কিন্তু মুলত ৩সেটি ছিল আল্লাহর নিদােশর স্পষ্ট বিরুদ্ধাচরণ ৷
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَغَيْرُهُمْ: هُمْ أَهْلُ أَيْلَةَ. زَادَ ابْنُ عَبَّاسٍ: بَيْنَ مَدْيَنَ وَالطُّورِ. قَالُوا: وَكَانُوا مُتَمَسِّكِينَ بِدِينِ التَّوْرَاةِ فِي تَحْرِيمِ السَّبْتِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، فَكَانَتِ الْحِيتَانُ قَدْ أَلِفَتْ مِنْهُمُ السَّكِينَةَ فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَحْرُمُ عَلَيْهِمُ الِاصْطِيَادُ فِيهِ وَكَذَلِكَ جَمِيعُ الصَّنَائِعِ وَالتِّجَارَاتِ وَالْمَكَاسِبِ، فَكَانَتِ الْحِيتَانُ فِي مِثْلِ يَوْمِ السَّبْتِ يَكْثُرُ غَشَيَانُهَا لِمَحِلَّتِهِمْ مِنَ الْبَحْرِ ; فَتَأْتِي مِنْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا ظَاهِرَةً آمِنَةً مُسْتَرْسِلَةً فَلَا يُهَيِّجُونَهَا وَلَا يَذْعَرُونَهَا. {وَيَوْمَ لَا يَسْبِتُونَ لَا تَأْتِيهِمْ} [الأعراف: 163] وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَصْطَادُونَهَا فِيمَا عَدَا السَّبْتِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَذَلِكَ نَبْلُوهُمْ} [الأعراف: 163] أَيْ: نَخْتَبِرُهُمْ بِكَثْرَةِ الْحِيتَانِ فِي يَوْمِ السَّبْتِ. {بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ} [البقرة: 59] أَيْ: بِسَبَبِ فِسْقِهِمُ الْمُتَقَدِّمِ، فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ احْتَالُوا عَلَى اصْطِيَادِهَا فِي يَوْمِ السَّبْتِ، بِأَنْ نَصَبُوا الْحِبَالَ وَالشِّبَاكَ وَالشُّصُوصَ، وَحَفَرُوا الْحُفَرَ الَّتِي يَجْرِي مَعَهَا الْمَاءُ إِلَى مَصَانِعَ قَدْ أَعَدُّوهَا، إِذَا دَخَلَهَا السَّمَكُ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا، فَفَعَلُوا ذَلِكَ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ، فَإِذَا جَاءَتِ الْحِيتَانُ مُسْتَرْسِلَةً يَوْمَ السَّبْتِ، عَلِقَتْ بِهَذِهِ الْمَصَايِدِ، فَإِذَا خَرَجَ سَبْتُهُمْ أَخَذُوهَا، فَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَلَعَنَهُمْ ; لَمَّا احْتَالُوا عَلَى خِلَافِ أَمْرِهِ، وَانْتَهَكُوا مَحَارِمَهُ بِالْحِيَلِ الَّتِي هِيَ ظَاهِرَةٌ لِلنَّاظِرِ، وَهِيَ فِي الْبَاطِنِ مُخَالَفَةٌ مَحْضَةٌ، فَلَمَّا فَعَلَ ذَلِكَ طَائِفَةٌ مِنْهُمُ افْتَرَقَ الَّذِينَ لَمْ يَفْعَلُوا فِرْقَتَيْنِ ; فِرْقَةٌ أَنْكَرُوا عَلَيْهِمْ صَنِيعَهُمْ
পৃষ্ঠা - ১০৯৫
ষ্ষ্
তাদের একদল এ সকল কাজ করার পর যারা তা করেনিত ৷রা দু দলে বিভক্ত হয়ে যায় ৷
একদল ওদের এ অপকর্ম এবং আল্লাহর নির্দেশের ও তার শরীয়ব্লুৎ তর বিরোধিতা করাকে
প্রত্যাখ্যান করে ৷ অপর দল নিজেরা ঐ অপকর্মে লিপ্ত হয়নি, আবার অপকর্মে লিপ্তদেরকে
বাধাও দেয়নি ৷ বরং যারা বাধা দিয়েছিলতারা তাদেরকে তিরস্কার করেছিল ৷ এবং বলেছিলং :
ণ্া
“আল্লাহ যাদেরকে ধ্বংস করবেন কিৎবা কঠোর শাস্তি দিবেন তোমরা তাদেরকে সদৃপদেশ
দাও কেন?’ অর্থাৎ তাদেরকে বাধা দানে লাভ কিন্তারা নি তত ৷বে শাস্তি ভোগের উপযুক্ত
হয়েছে ৷ বাধাদানকারী দল উত্তর দিল যে, ংণ্ছুট্রু) র্লে ৷ ;)¢, তোমাদের প্ৰতিপালকের
নিকট৷ দ ৷য়িতু মুক্তির জন্যে ৷” অর্থাৎ আমাদেরকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের বাধাদানের
যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আল্লাহর শাস্তির ভয়ে আমরা যে দ যিষ্হুই পালন করছি ৷ র্টিধ্;া চ্াএ
ঠুটুয়ুব্লুঠু এবৎ যাতে তারা সাবধান হয় অর্থাৎ এমনও হতে পারে যে তারা তাদের অপকর্ম
থেকে বিরত হবে ৷ ত রা যদি আমাদের উপদেশ গ্রহণ করে এবং অপকর্ম থেকে ফিরে আসে
তবে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং তার আমার থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন ৷
আল্পাহ্তাআলা বলেন ধ্ণ্ ৷ এ)হ্রএ্াণ্ ৷ প্রু৷ এে “যে উপদেশ তাদেরকে দেয়া হয়েছিল
তারা যখন তা বিস্মৃত হয় ৷” অর্থাৎ যারা এ গর্হিত অপকর্ম থেকে বারণ করেছিল তাদের প্রতি
কর্ণপাত করেনি ৷ ন্ট্রুশুপু ৷ ব্লু,; ;)ং:; ;,;;¢ ৷া ৷ তখন যারা অসৎকর্ম থেকে নিবৃত্ত
করত আমি তাদেরকে উর্দ্ধার করি ৷” এরা হল সৎ কাজে আদেশ দানকারী ও অসৎকাজে
নিবৃত্তকারী দল ৷ ৷ এ “এবং যারা জুলুম করে অর্থাৎ
দুষ্কর্ম করেছে আমি তাদেরকে কঠিন শাস্তি র্দিহ ৷” অর্থাৎ যস্ত্রণাদায়ক শাস্তি ৷ ৷এ;দ্বু ৷ং
’
ওেদ্বুব্লু তারা সীমড়ালঙ্ঘন করত বলে তারপর আল্লাহ তা জানা তাদের উপর আপতিত
) ষ্ ) : ’ শ্ )
শাস্তির বিবরণ দিচ্ছেন এই বলে
ট্রু ন্ৰু পু;া যখন তারা নিষিদ্ধ কার্য ঔদ্ধত্য সহকারে করতে লাগল তখন তাদেরকে বললাম,
ঘৃর্ণির্ত বানর হয়ে যাও” এ সম্পর্কে আরও যে সকল আয়াত এসেছে একটু পরেই আমরা
সেগুলো উল্লেখ করব ৷
ষোদ্দাকথা, আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিলেন যে, যারা জালিম ছিল তিনি তাদেরকে ধ্বংস
করেছেন আর তাদের অপকর্ম প্রতাথ্যানকারী ঈমানদারদেরকে তিনি রক্ষা করেছেন ৷ কিন্তু
নিরবতা অবলম্বনকড়ারী ঈমানদারগণের ব্যাপারে কিছু বলেননি ৷ ফলে নীরবতা অবলম্বনকারী
ঈমানদারগণের পরিণতি সম্পর্কে আলিমগণের দু’টি মত রয়েছে, একদল বলেন, এরা উদ্ধার
প্রাপ্তদের সাথে উদ্ধার লাভ করেছেন, আর অপর দল বলেন, তারা ধ্বংস প্রাপ্তদের সাথে ধ্বংস
হয়েছে ৷ মুহাক্কিক আলিমগণের মতে প্রথম অভিমতটিই সঠিক ৷ শ্রেষ্ঠ তাফসীরকার হযরত ইবন
আব্বাস (রা) শেষ পর্যন্ত এ অভিমতটিই গ্রহণ করেছেন ৷ তীর আযাদকৃত দাস ইকরামার সাথে
যুক্তি তর্কেব প্রেক্ষিতে তিনি এ সিদ্ধান্তে পৌছেন ৷ এজন্যে ইকরামা (না)-কে তিনি এক জোড়া
উচ্চ মুল্যের পোশাক দানে সম্মানিত করেন ৷
هَذَا وَاحْتِيَالَهُمْ عَلَى مُخَالَفَةِ اللَّهِ وَشَرْعِهِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَفِرْقَةٌ أُخْرَى لَمْ يَفْعَلُوا وَلَمْ يَنْهَوْا، بَلْ أَنْكَرُوا عَلَى الَّذِينَ نَهَوْا وَقَالُوا: {لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا اللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا} [الأعراف: 164] يَقُولُونَ لَهُمْ: مَا الْفَائِدَةُ فِي نَهْيِكُمْ هَؤُلَاءِ وَقَدِ اسْتَحَقُّوا الْعُقُوبَةَ لَا مَحَالَةَ؟ فَأَجَابَتْهُمُ الطَّائِفَةُ الْمُنْكِرَةُ بِأَنْ قَالُوا: {مَعْذِرَةً إِلَى رَبِّكُمْ} [الأعراف: 164] أَيْ: فِيمَا أُمِرْنَا بِهِ مِنَ الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَنَقُومُ بِهِ خَوْفًا مِنْ عَذَابِهِ. {وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ} [الأعراف: 164] أَيْ: وَلَعَلَّ هَؤُلَاءِ يَتْرُكُونَ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ هَذَا الصَّنِيعِ، فَيَقِيهِمُ اللَّهُ عَذَابَهُ وَيَعْفُو عَنْهُمْ إِذَا هُمْ رَجَعُوا وَاسْتَمَعُوا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ} [الأنعام: 44] أَيْ: لَمْ يَلْتَفِتُوا إِلَى مَنْ نَهَاهُمْ عَنْ هَذَا الصَّنِيعِ الشَّنِيعِ الْفَظِيعِ {أَنْجَيْنَا الَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ السُّوءِ} [الأعراف: 165] وَهُمُ الْفِرْقَةُ الْآمِرَةُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهِيَةُ عَنِ الْمُنْكَرِ {وَأَخَذْنَا الَّذِينَ ظَلَمُوا} [الأعراف: 165] وَهُمُ الْمُرْتَكِبُونَ الْفَاحِشَةَ {بِعَذَابٍ بَئِيسٍ} [الأعراف: 165] وَهُوَ الشَّدِيدُ الْمُؤْلِمُ الْمُوجِعُ. {بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ} [البقرة: 59] ثُمَّ فَسَّرَ الْعَذَابَ الَّذِي أَصَابَهُمْ بِقَوْلِهِ: {فَلَمَّا عَتَوْا عَنْ مَا نُهُوا عَنْهُ قُلْنَا لَهُمْ كُونُوا قِرَدَةً خَاسِئِينَ} [الأعراف: 166] وَسَنَذْكُرُ مَا وَرَدَ مِنَ الْآثَارِ فِي ذَلِكَ.
وَالْمَقْصُودُ هُنَا أَنَّ اللَّهَ أَخْبَرَ أَنَّهُ أَهْلَكَ الظَّالِمِينَ، وَنَجَّى الْمُؤْمِنِينَ الْمُنْكِرِينَ، وَسَكَتَ عَنِ السَّاكِتِينَ، وَقَدِ اخْتَلَفَ فِيهِمُ الْعُلَمَاءُ عَلَى قَوْلَيْنِ ; فَقِيلَ: إِنَّهُمْ مِنَ النَّاجِينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ مِنَ الْهَالِكِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ عِنْدَ الْمُحَقِّقِينَ، وَهُوَ الَّذِي رَجَعَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ، إِمَامُ الْمُفَسِّرِينَ، وَذَلِكَ عِنْدَ مُنَاظَرَةِ
পৃষ্ঠা - ১০৯৬
ষ্ষ্
আমার মতে, নীরবতা অবলম্বনকারী দলকে নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করা হয়নি এ
জন্যে যে, তারা অম্ভরে ওদের অশ্লীলতাকে অপছন্দ করেছিল বটে, কিন্তু তাদের উচিত ছিল
বাহ্যিক দিকটাকেও অস্তরের দিকের ন্যায় মৌখিকভাবে প্রত্যাখ্যানের স্তরে উন্নীত করা ৷ এটি
অবশ্য মধ্যম স্তরের অবস্থান ৷ সর্বোচ্চ স্তর হল অন্যায় কাজকে সরাসরি শক্তি প্রয়োগে বাধা
দান, এর পরের স্তর হল মুখে প্রতিবাদ করা এবং তুউায় স্তর হল অম্ভরে ঘৃণা করা ৷
আলোচ্য নীরবতা অবলম্বনকারী লোকদের কথা যখন স্পষ্টভারে উল্লেখ করা হয়নি তখন
নিশ্চয়ই তারা নাজাতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত ৷ কারণ তারা অশ্লীল কাজে অংশ গ্রহণ করেনি বরং
অশ্লীলতাকে ঘৃণা করেছিল ৷
আবদুর রাজ্জাক আতা থুরাসানী (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ;য যারা উল্লেখিত অপকর্ম ও
পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল শহরের অন্য অধিবাসীরা তাদের ক সমাজচ্যুত করেছিল এবং কেউ
কেউ তাদেরকে ঐ অপকর্মে বাধাও দিয়েছিল ৷ কিম্বু তারাঐ উপদেশ গ্রহণ করেনি ৷
বাধা দানকারীরা একটি পৃথক স্থানে রাত্রি যাপন করত এবং অপরাধী ও নির্দোষদের মাঝে
অম্ভরায় স্বরুপ স্থাপিত দরজাগুলো রাতে বন্ধ করে রাখত ৷ কারণ, তারা অপকর্মকারীদের
ধ্বংসের অপেক্ষায় ছিলেন ৷ একদিন ভোরবেলা দেখা গেল ওদের দিককার দরজা বন্ধ ৷ ওরা
দরজা থােলেনি ৷ অনেক বেলা হয়ে গেল ৷ শহরের অধিবাসিগণ একজন লোককে ওদের
সিড়িতে ওঠে ওপর থেকে তাদের অবস্থা জেনে নিতে নির্দেশ দিল ৷ উপরে উঠে সে দেখতে
পেল যে, ওরা সবা ৷ই লেজ বিশিষ্ট বানরে পরিণত হয়ে রয়েছে ৷ তারা লাফালাফি ও দৌড়াদৌড়ি
করছিল ৷ শেষে ওদের দরজা খোলা হল ৷ বানরেরা তাদের আত্মীয় স্বজন ও ঘনিষ্ঠ সােকদেরকে
চিনতে পেয়েছিল কিন্তু আত্মীয় স্বজনেরা ওদেরকে চিনতে পারেনি ৷ ওরা অসহায়ভারে আত্মীয়
স্বজনের নিকট আশ্রয় চাচ্ছিল ও কাকুতি মিনতি করছিল ৷ অপকর্মে বাধা দা৷নকারী লোকেরা
ভৎসনার স্বরে বলছিল, আমরা ৷কি ওে আমাদেরকে অপকর্মে নিষেধ করিনিঃ মাথা নেড়ে বানরেরা
সায় দিচ্ছিল যে, হ্যা , নিষেধ করেছিলে ৷
এতটুকু বলে হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) কেদে ফেললেন ৷ তিনি বললেন
আমরা তো এখন বহু অন্যায় ও গর্হিতক কাজ দেখছি কিন্তু তা প্ৰতিরোধও করছি না এবং ঐ
বিষয়ে কোন কথাও বলছি না ৷ আওফী (র) হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বলেন,
ঐ জনপদের যুবকরা বানরে পরিণত হয়েছিল, আর বৃদ্ধরা পরিণত হয়েছিল শুকরে ৷
ইবন আবী হাতিম ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তারা
অল্প সময় জীবিত থেকেই মরে গিয়েছিল ৷ ওদের আর কোন বংশধর হয়নি ৷
যাহ্হাক (র) হযরত ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, বানরে রুপান্তরিত
মানুষগুলাে৩ তিনদিনের বেশি জীবিত থাকেনি ৷ এদের খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের কোন সুযোগ
হয়নি ৷ ওদের কোন বংশধরও হয়নি ৷ সুরা বাকাব৷ ও সুরা আরাফের৩ তাফসীরে আমরা এ
সম্পর্কিত বর্ণনাগুলাে বিস্তারিত আলোচনা ৷করেছি ৷
আল-বিদড়ায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩১-
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া
مَوْلَاهُ عِكْرِمَةُ، فَكَسَاهُ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ حُلَّةً سَنِيَّةً ; تَكْرِمَةً. قُلْتُ: وَإِنِمَّا لَمْ يُذْكَرُوا مَعَ النَّاجِينَ ; لِأَنَّهُمْ وَإِنْ كَرِهُوا بِبَوَاطِنِهِمْ تِلْكَ الْفَاحِشَةَ، إِلَّا أَنَّهُمْ كَانَ يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَحْمِلُوا ظَوَاهِرَهُمْ بِالْعَمَلِ الْمَأْمُورِ بِهِ مِنَ الْإِنْكَارِ الْقَوْلِيِّ، الَّذِي هُوَ أَوْسَطُ الْمَرَاتِبِ الثَّلَاثِ، الَّتِي أَعْلَاهَا الْإِنْكَارُ بِالْيَدِ ذَاتِ الْبَنَانِ، وَبَعْدَهَا الْإِنْكَارُ الْقَوْلِيِّ بِاللِّسَانِ، وَثَالِثُهَا الْإِنْكَارُ بِالْجَنَانِ. فَلَمَّا لَمْ يُذَكِّرُوا، لَمْ يُذْكَرُوا مَعَ النَّاجِينَ، إِذْ لَمْ يَفْعَلُوا الْفَاحِشَةَ، بَلْ أَنْكَرُوا. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَحَكَى مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ رُومَانَ، وَشَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، مَا مَضْمُونُهُ أَنَّ الَّذِينَ ارْتَكَبُوا هَذَا الصُّنْعَ، اعْتَزَلَهُمْ بَقِيَّةُ أَهْلِ الْبَلَدِ، وَنَهَاهُمْ مَنْ نَهَاهُمْ مِنْهُمْ، فَلَمْ يَقْبَلُوا، فَكَانُوا يَبِيتُونَ وَحْدَهُمْ وَيُغْلِقُونَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ أَبْوَابًا، حَاجِزًا لِمَا كَانُوا يَتَرَقَّبُونَ مِنْ هَلَاكِهِمْ فَأَصْبَحُوا ذَاتَ يَوْمٍ وَأَبْوَابُ نَاحِيَتِهِمْ مُغْلَقَةٌ لَمْ يَفْتَحُوهَا، وَارْتَفَعَ النَّهَارُ وَاشْتَدَّ الضُحَاءُ فَأَمَرَ بَقِيَّةُ أَهْلِ الْبَلَدِ رَجُلًا أَنْ يَصْعَدَ عَلَى سَلَالِمَ وَيُشْرِفَ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِهِمْ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ، إِذَا هُمْ قِرَدَةٌ لَهَا أَذْنَابٌ يَتَعَاوَوْنَ وَيَتَعَادَوْنَ، فَفَتَحُوا عَلَيْهِمُ الْأَبْوَابَ فَجَعَلَتِ الْقِرَدَةُ تَعْرِفُ قَرَابَاتِهِمْ، وَلَا تَعْرِفُهُمْ قَرَابَاتُهُمْ، فَجَعَلُوا يَلُوذُونَ بِهِمْ، وَيَقُولُ لَهُمُ النَّاهُونَ: أَلَمْ نَنْهَكُمْ عَنْ صَنِيعِكُمْ؟ فَتُشِيرُ الْقِرَدَةُ بِرُءُوسِهَا أَنْ نَعَمْ. ثُمَّ بَكَى عَبْدُ
পৃষ্ঠা - ১০৯৭
ষ্ষ্
ইবন আবি হাতিম ও ইবন জারীর মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন
মুলত ঐ লোকগুলোর অন্তঃকরণ সমুহ বিকৃত করে দেয়া হয়েছিল ৷ দৈহিকভাবে বাবর ও শুকরে
তারা পরিণত হয়নি ৷ বরং এটি একটি রুপক উদাহরণরুপে আল্লাহ তাআলা এটা বর্ণনা
করেছেন ৷ যেমন অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
“তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে পুস্তক বহনকারী গর্দভের মত ৷ তার এ বর্ণনার র্সনদ বিশুদ্ধ হলেও
বর্ণনাটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ এটি কুরআন মজীদের প্রকাশ্য বর্ণনার বিপরীত এবং এ
বিষয়ে বহু প্রাচীন ও আধুনিক উলামা-ই-কিরামের স্পষ্ট বক্তব্যের বিরোধী ৷ আল্লাহই ভাল
জানেন ৷
জনপদ অধিবাসীদের ঘটনা ৷ “যখন তাদের নিকট এসেছিল
রাসুলগণ ৷” হযরত মুসা (আ) এর ঘটনা বর্ণনা ৷র পুর্বে ঐ জনপদ অধিবাসীদের ঘটনা আলোচিত
হয়েছে ৷ সাবা অঞ্চলের অধিবাসীদের ঘটনা ৷ অড়ারবদের ইতিহান্ব্ অধ্যায়ে সাবার অধিবাসীদের
কথা আলোচিত ৩,হবে ইনৃশাআল্লাহ ৷
থিযির (আ) ফিরআওন ও যাদুকরগণ সম্পর্কে মুসা (আ) এর বর্ণনা প্রসঙ্গে আলোচনা করা
হয়েছে ৷ গাভীর ঘটনাটিও মুসা (আ)এর বর্ণনায় আলোচিত হয়েছে ৷ মৃত্যু তার যে কয়েক
হাজার লোক নিজেদের বাসস্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিল ৷ তাদের কথা হিযকীল’ এর বর্ণনায়
আলোচিত হয়েছে ৷ মুসা (আ) এর পর আগত বনী ইসরাইলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্পের কথা
শামুয়েল (আ)-এর বর্ণনায় আলোচিত হয়েছে ৷ আর জনপদ অতিক্রমকারী ব্যক্তির কথা
আলোচিত হয়েছে হযরত উযায়র (আ) এর বর্ণনায় ৷
اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: إِنَّا لَنَرَى مُنْكَرَاتٍ كَثِيرَةً، وَلَا نُنْكِرُهَا، وَلَا نَقُولُ فِيهَا شَيْئًا. وَقَالَ الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: صَارَ شَبَابُ الْقَرْيَةِ قِرَدَةً، وَشُيُوخُهَا خَنَازِيرَ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُمْ لَمْ يَعِيشُوا إِلَّا فُوَاقًا، ثُمَّ هَلَكُوا، مَا كَانَ لَهُمْ نَسْلٌ. وَقَالَ الضَّحَّاكُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّهُ لَمْ يَعِشْ مَسْخٌ قَطُّ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، وَلَمْ يَأْكُلْ هَؤُلَاءِ وَلَمْ يَشْرَبُوا وَلَمْ يَنْسِلُوا. وَقَدِ اسْتَقْصَيْنَا الْآثَارَ فِي ذَلِكَ، فِي تَفْسِيرِ سُورَتَيِ " الْبَقَرَةِ "، وَ " الْأَعْرَافِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: مُسِخَتْ قُلُوبُهُمْ، وَلَمْ يُمْسَخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ، وَإِنَّمَا هُوَ مَثَلٌ ضَرَبَهُ اللَّهُ، كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا. وَهَذَا صَحِيحٌ إِلَيْهِ، وَغَرِيبٌ مِنْهُ جِدًّا، وَمُخَالِفٌ لِظَاهِرِ الْقُرْآنِ، وَلِمَا نَصَّ عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلْفِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ