كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم
قصة الرجلين المؤمن والكافر
পৃষ্ঠা - ১০৮৩
ষ্ষ্
অর্থাৎ যখন কোন বিষয়ে অস্পষ্টতা এসে যায় এবং ল্যেকজনের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় তবে
আপনি আল্লাহ অভিমুখী হোন, তিনি বিষয়টিকে আপনার জন্যে সহজ ও স্বাভাবিক করে
দিবেন ৷ এরপর আল্লাহ তাআল৷ বলেন, এ
!;ৰুদ্াএপ্রুাপ্রুএ এ “তারা তাদের গুহায় ছিল তিনশ বছর, আরও নয় বছর ৷ তাদের সুদীর্ঘ
কাল গুহায় অবস্থানের কথা উল্লেখ তাৎপর্যবহ ৷ ত ৷ই আল্লাহ৩ তাআলা এর উল্লেখ করেছেন ৷
এখানে অতিরিক্ত নয় বছর হল চা ন্দ্র মাসের হিসাবে ৷ সৌর বছরের ৩০০ বছর পুর্ণ করতে চান্দ্র
মাসের হিসেবে অতিরিক্ত নয় বছরের প্রয়োজন হয় ৷ কারণ প্রতি ১০০ সৌর বছর থেকে ১ : :
চান্দ্র বছরের সময়কাল তিন বছর কম হয়ে থাকে ৷ ৷ এ৷ ৷এ ণ্া;৷ ট্রুা৷ ! াপুষ্ “বল তারা
কতক৷ ল ছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন ৷” অর্থাৎ এ জা ৷ভীয় কোন বিষয়ে যদি আপনাকে কেউ
জিজ্ঞেস করে আর আপনার নিকট সে বিষয়ে কোন লিখিত প্রমাণ না থাকে তবে বিষয়টি মহান
আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করে দিন ৷
এ০এ১৷ ৷ এ এণ্ ,এ ৷ ৷ ; ব্লু “আকাশরাজিও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান
তারই ৷” অর্থাৎ অদৃশ্য বিষয়ে অবগত তিনিই তার সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে তা অবগত
করান, অন্য ক উকে নয় ৷ গ্লু ! এ এ< এ১; ! এ “তিনি কত সুন্দর স্রষ্টা ও শ্রোতা ৷” অর্থাৎ
তিনি সবকিছুকে যথাস্থানে স্থাপন করেন ৷ কারণ তার সৃষ্টি সম্পর্কে এবং সেগুলোর চাহিদা ও
প্রয়োজন সম্পর্কে তিনি সম্যক অবগত ৷
ণ্ :
তারপর আল্লাহ তাআল৷ বললেন, ৷ষ্টুৰু
:; ৷ মোঃ “তিনি ব্যভীত ওদের অন্য কোন অভিভাবক নেই ৷ তিনি কাউকে নিজ কর্তত্বে
শরীক র্করেন না ৷ অর্থাৎ বাজং৩ , ক্ষমতায় ও কর্তত্বে আপনার প্রতিপালক একক, অনন্য ৷ তীর
কোন শরীক ও অংশীদার নেই ৷
একজন ঈমানদার একজন কাফিরের বিবরণ
সুরা কাহফ-এ গুহাবাসীদের ঘটনা বর্ণনার পর আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
অ্যাংএএ
ইৰুট্রুপ্ ন্া৬এ
ষ্এঞ ৰু১ট্রু ন্এ
[قِصَّةُ الرَّجُلَيْنِ الْمُؤْمِنِ وَالْكَافِرِ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْكَهْفِ " بَعْدَ قِصَّةِ أَصْحَابِ الْكَهْفِ: {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا رَجُلَيْنِ جَعَلْنَا لِأَحَدِهِمَا جَنَّتَيْنِ مِنْ أَعْنَابٍ وَحَفَفْنَاهُمَا بِنَخْلٍ وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمَا زَرْعًا} [الكهف: 32] {كِلْتَا الْجَنَّتَيْنِ آتَتْ أُكُلَهَا وَلَمْ تَظْلِمْ مِنْهُ شَيْئًا وَفَجَّرْنَا خِلَالَهُمَا نَهَرًا - وَكَانَ لَهُ ثَمَرٌ فَقَالَ لِصَاحِبِهِ وَهُوَ يُحَاوِرُهُ أَنَا أَكْثَرُ مِنْكَ مَالًا وَأَعَزُّ نَفَرًا - وَدَخَلَ جَنَّتَهُ وَهُوَ ظَالِمٌ لِنَفْسِهِ قَالَ مَا أَظُنُّ أَنْ تَبِيدَ هَذِهِ أَبَدًا - وَمَا أَظُنُّ السَّاعَةَ قَائِمَةً وَلَئِنْ رُدِدْتُ إِلَى رَبِّي لَأَجِدَنَّ خَيْرًا مِنْهَا مُنْقَلَبًا - قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يُحَاوِرُهُ أَكَفَرْتَ بِالَّذِي خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ سَوَّاكَ رَجُلًا - لَكِنَّا هُوَ اللَّهُ رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِرَبِّي أَحَدًا - وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ إِنْ تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا - فَعَسَى رَبِّي أَنْ يُؤْتِيَنِ خَيْرًا مِنْ جَنَّتِكَ وَيُرْسِلَ عَلَيْهَا حُسْبَانًا مِنَ السَّمَاءِ فَتُصْبِحَ صَعِيدًا زَلَقًا - أَوْ يُصْبِحَ مَاؤُهَا غَوْرًا فَلَنْ تَسْتَطِيعَ لَهُ طَلَبًا - وَأُحِيطَ بِثَمَرِهِ فَأَصْبَحَ يُقَلِّبُ كَفَّيْهِ عَلَى مَا أَنْفَقَ فِيهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي لَمْ أُشْرِكْ بِرَبِّي أَحَدًا - وَلَمْ تَكُنْ لَهُ فِئَةٌ يَنْصُرُونَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَمَا كَانَ مُنْتَصِرًا - هُنَالِكَ الْوَلَايَةُ لِلَّهِ الْحَقِّ هُوَ خَيْرٌ ثَوَابًا وَخَيْرٌ عُقْبًا} [الكهف: 33 - 44]
[الْكَهْفِ: 32 - 44] . قَالَ بَعْضُ النَّاسِ: هَذَا مَثَلٌ مَضْرُوبٌ وَلَا يَلْزَمُ أَنْ يَكُونَ وَاقِعًا. وَالْجُمْهُورُ أَنَّهُ أَمْرٌ قَدْ وَقَعَ، وَقَوْلُهُ: {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا} [الكهف: 32] يَعْنِي لِكُفَّارِ قُرَيْشٍ،
পৃষ্ঠা - ১০৮৪
ষ্ষ্
০ :
৷ ,;
স্শ্ৰু
০ ; ষ্ ,
৷ মোঃ; ৷;, ;াহ্র
ট্রু,£১
“তুমি ওদের নিকট পেশ কর দুই ব্যক্তির উপমা ৷” তাদের একজনকে আমি দিয়েছিলায়
দুটি আঙ্গুরের বাগান এবং এ দুটোকে আমি খেজুর গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত করেছিলাম এবংএ
দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানকে করেছিলাম শস্যক্ষেত্র ৷ উভয় উদ্যানই ফল দান করত এবং তাতে কোন
ত্রুটি করত না ৷ এবং উভয়ের ফাকে ফাকে প্রবাহিত করেছিলাম নহর এবং তার প্রচুর ধন
সম্পদ জ্জি ৷ ,
তারপর কথা প্রসঙ্গে সে তার বন্ধুকে বলল, ধন সম্পদে আমি তােমা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং
জনবলে তােমা অপেক্ষা শক্তিশালী ৷ এভাবে নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার উদ্যানে প্রবেশ
করল ৷ সে বলল, আমি মনে করি না যে, এটি কখনো ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ আমি মনে করি না যে,
কিয়ামত হবে, আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হইই, তবে আমি তো
নিশ্চয়ই এটি অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ন্থ ন পা ৷ব ৷ উত্তরে তার রন্ধু৩ তাকে বলল, তুমি কি তাকে অস্বীকার
করছ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি ও পরে শুক্র থেকে এবং তারপর পুর্ণাঙ্গ করেছেন মানব
আকৃতিতে? কিভু আল্লাহই আমার প্রতিপালক এবং আমি কাউকে আমার প্রতিপালকের শরীক
করি না ৷ তুমি যখন তোমার উদ্যানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না, আল্লাহ যা চান তা-ই
হয়, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি নেই?
তুমি যদি ধনে ও সন্তানে আমাকে৫ তামা অপেক্ষা নিকৃষ্টতর মনে কর, তবে হয়তো আমার
প্রতিপালক আমাকে তোমার উদ্যান অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর কিছু দেবেন ৷ এবং তোমার উদ্যানে
আকাশ থেকে নির্ধারিত বিপর্যয় প্রেরণ করবেন, যার ফলে সেটি উদ্ভিদশুন্য ময়দানে পরিণত
হবে ৷ অথবা সেটির পানি ভুগর্ভে অম্ভর্হিত হবে এবং তুমি কখনও সেটির সন্ধান লাভে সক্ষম
হবে না ৷ তার ফল সম্পদ বিপর্যয়ের রেষ্টিত হয়ে গেল এবং যে তাতে যা ব্যয় করেছিল তার
জন্যে আক্ষেপ করতে লাগল, যখন সেটি মাচানসহ ভুমিসাৎ হয়ে গেল ৷ সে বলতে লাগল, হায়,
আমি যদি কাউকে আমার প্রতিপালকের শরীক না করতাম ! আর আল্লাহ ব্যতীত তাকে সাহায্য
فِي عَدَمِ اجْتِمَاعِهِمْ بِالضُّعَفَاءِ وَالْفُقَرَاءِ، وَازْدِرَائِهِمْ بِهِمْ، وَافْتِخَارِهِمْ عَلَيْهِمْ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ} [يس: 13] . كَمَا قَدَّمْنَا الْكَلَامَ عَلَى قِصَّتِهِمْ قَبْلَ قِصَّةِ، مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّ هَذَيْنِ كَانَا رَجُلَيْنِ مُصْطَحِبَيْنِ، وَكَانَ أَحَدُهُمَا مُؤْمِنًا وَالْآخِرُ كَافِرًا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ لِكُلٍّ مِنْهُمَا مَالٌ، فَأَنْفَقَ الْمُؤْمِنُ مَالَهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ وَمَرْضَاتِهِ ابْتِغَاءَ وَجْهِهِ، وَأَمَّا الْكَافِرُ فَإِنَّهُ اتَّخَذَ لَهُ بُسْتَانَيْنِ، وَهُمَا الْجَنَّتَانِ الْمَذْكُورَتَانِ فِي الْآيَةِ، عَلَى الصِّفَةِ وَالنَّعْتِ الْمَذْكُورِ ; فِيهِمَا أَعْنَابٌ، وَنَخْلٌ تَحُفُّ تِلْكَ الْأَعْنَابَ وَالزُّرُوعُ فِي خِلَالِ ذَلِكَ، وَالْأَنْهَارُ سَارِحَةٌ هَاهُنَا وَهَاهُنَا لِلسَّقْيِ وَالتَّنَزُّهِ، وَقَدِ اسْتَوْسَقَتْ فِيهِمَا الثِّمَارُ، وَاضْطَرَبَتْ فِيهِمَا الْأَنْهَارُ، وَابْتَهَجَتِ الزُّرُوعُ وَالثِّمَارُ، وَافْتَخَرَ مَالِكُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ الْمُؤْمِنِ الْفَقِيرِ قَائِلًا لَهُ: {أَنَا أَكْثَرُ مِنْكَ مَالًا وَأَعَزُّ نَفَرًا} [الكهف: 34] أَيْ: وَأَمْنَعُ جَنَابًا. وَمُرَادُهُ أَنَّهُ خَيْرٌ مِنْهُ، وَمَعْنَاهُ، مَاذَا أَغْنَى عَنْكَ إِنْفَاقُكَ مَا كُنْتَ تَمْلِكُهُ فِي الْوَجْهِ الَّذِي صَرَفْتَهُ فِيهِ؟ كَانَ الْأَوْلَى بِكَ أَنْ تَفْعَلَ كَمَا فَعَلْتُ لِتَكَوْنَ مِثْلِي. فَافْتَخَرَ عَلَى صَاحِبِهِ {وَدَخَلَ جَنَّتَهُ وَهُوَ ظَالِمٌ لِنَفْسِهِ} [الكهف: 35] أَيْ: وَهُوَ عَلَى غَيْرِ طَرِيقَةٍ مَرْضِيَّةٍ {قَالَ مَا أَظُنُّ أَنْ تَبِيدَ هَذِهِ أَبَدًا} [الكهف: 35] وَذَلِكَ لِمَا رَأَى مِنِ اتِّسَاعِ أَرْضِهَا، وَكَثْرَةِ مَائِهَا وَحُسْنِ نَبَاتِ أَشْجَارِهَا ; وَلَوْ قَدْ بَادَتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْ هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ১০৮৫
ষ্ষ্
করার কোন লোকজন ছিলনা এবং সে নিজেও প্রতিকারে সমর্থ হল না ৷ এ ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব
আল্লাহরই, যিনি সত্য ৷ পুরস্কার সালে ও পরিণাম নির্ধারণে তিনিই শ্রেষ্ঠ ৷ ১৮ কাহফ : ৩২-৪ :
কতক তাফসীরকার বলেন, এটি একটি উদাহরণ মাত্র ৷ বাস্তবে এমনটা ঘটেই ছিল তা নাও
হতে পারে ৷ তবে জমহুর তাফসীরকারের অভিমত এই যে , এটি একটি বাস্তব ঘটনা ৷ আল্লাহ
তাআলার বাণী (ৰুাট্রুছুট্রু০ ন্ ছু, রুপ্রুর্দু১!ট্রু“তাদের নিকট পেশ কর একটি উপমা ৷ ” অর্থাৎ কুরায়শ
ৎশীয় ক ফিবপণ যে দুর্বল ও দরিদ্র মুসলমানদের সাথে মিলিত হয় না বরং তাদেরকে
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং ঈমানদারদের ওপর অহৎ কার করে তা ৷র প্রেক্ষিতে ঐ কাফিরদের নিকট
এই উদাহরণ বর্ণনা করুন ৷ যেমন অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ব,ন্সেছেন ৰুাট্রুপ্ ন্ছু,৷ প্রুট্রু;াগ্লু
“ওদের নিকট পেশ কর এক জনপদ
অধিবাসীদের দৃষ্টাম্ভ৩ তাদের নিকট তো এসেছিল রাসুলগণ ৷ ” > মুসা (আ) এর ঘটনা বর্ণনার
পুর্বে আমরা জনপদ বাসীদের ঘটনা উল্লেখ করেছি ৷
প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, আলোচ্য ব্যক্তিদ্বয় পরস্পর বন্ধু ছিল, একজন ঈমানদার,
অপরজন কাফির ৷ কথিত আছে যে, তাদের উভয়ের ধনসম্পদ ছিল ৷ ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহর
সভুষ্টি অর্জনের লক্ষে তার ধনসম্পদ আল্লাহর আনুগত্যে ও তার পছন্দনীয় খাতে ব্যয় করে
দেয় ৷ পক্ষান্তরে কাফির ব্যক্তি তার সম্পদ ব্যয় করে দুটো বাগান তৈরী করে ৷ আলোচ্য আয়াতে
বর্ণিত বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বাগান দ্বারা তার বাগানদ্বয়কে বুঝানো হয়েছে ৷ সেই দুটোতে ছিল আঙ্গুর
খেজুর এবং শস্য ক্ষেত্র ৷ পানি সিঞ্চনের জন্য ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে তার স্থানে স্থানে নহর
প্রবাহিত ছিল ৷ বাগানে ফল এসেছিল প্রচুর, নদীগুলোতে নয়নাভিরাম ঢেউ থেলত এবং
ফল-ফসল ছিল মনােমুগ্ধকর ৷ এগুলো নিয়ে বাগানের মালিক তার ঈমানদার দরিদ্র বন্ধুর
মুকাবিলড়ায় গর্ব প্রকাশ করে বলে ৷ৰু,ট্রু;টু :;;’, % এট্রু টুট্রুং<৷ ;( “ধন সম্পদে আমি
তোমার চাইতে শ্রেষ্ঠ এবং জনবলে তোমার চাইতে শক্তিশালী ৷”২ অর্থাৎ বিশাল বাগানের
মালিক ৷ এ কথা দ্বারা সে বুঝিয়েছে যে, সে ঈমানদার অপেক্ষা উত্তম ৷ তার উদ্দেশ্য হল, বন্ধু
তোমার যে ধন সম্পদ ছিল তা তুমি যে পথে ব্যয় করেছ তাতে তোমার কী লাভ হলঃ তোমার
বরং উচিত ছিল তা-ই করা যা আমি করেছি ৷ তাহলে তুমি আমার সমান হয়ে যেতে পারতে ৷
এসব বলে সে ঈমানদার বন্ধুটির মুকাবিলায় অহংকার করতে থাকে ৷
ক্রো ন্ৰু৷ ৷ত্রগু এ^১ ণ্ন্ ৰুাট্টশ্’এ১
“এভাবে নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল ৷ ’ অর্থাৎ অশোভন পন্থায়
সে বাগানে প্রবেশ করে এবং বলে :
১
১ ৩৬ ইয়াসীন ১৩ ৷
২ ১৯ মারইয়াম আয়াত ৭৮
৩ : ১ , হা-মীম সাজদা ৫০
الْأَشْجَارِ لَاسْتَخْلَفَ مَكَانَهَا أَحْسَنَ مِنْهَا، وَزُرُوعُهَا دَارَّةٌ لِكَثْرَةِ مِيَاهِهَا. ثُمَّ قَالَ: {وَمَا أَظُنُّ السَّاعَةَ قَائِمَةً} [الكهف: 36] فَوَثِقَ بِزَهْرَةِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ، وَكَذَّبَ بِوُجُودِ الْآخِرَةِ الْبَاقِيَةِ الدَّائِمَةِ، ثُمَّ قَالَ: {وَلَئِنْ رُدِدْتُ إِلَى رَبِّي لَأَجِدَنَّ خَيْرًا مِنْهَا مُنْقَلَبًا} [الكهف: 36] أَيْ: وَلَئِنْ كَانَ ثَمَّ آخِرَةٌ وَمَعَادٌ فَلَأَجِدَنَّ هُنَاكَ خَيْرًا مِنْ هَذَا. وَذَلِكَ لِأَنَّهُ اغْتَرَّ بِدُنْيَاهُ، وَاعْتَقَدَ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يُعْطِهِ ذَلِكَ فِيهَا إِلَّا لِحُبِّهِ لَهُ وَحَظْوَتِهِ عِنْدَهُ، كَمَا قَالَ الْعَاصِ بْنُ وَائِلٍ فِيمَا قَصَّ اللَّهُ مِنْ خَبَرِهِ وَخَبَرِ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ فِي قَوْلِهِ: {أَفَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًا وَوَلَدًا أَطَّلَعَ الْغَيْبَ أَمِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا} [مريم: 77]
[فُصِّلَتْ: 50] . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِمَا عَمِلُوا وَلَنُذِيقَنَّهُمْ مِنْ عَذَابٍ غَلِيظٍ} [فصلت: 50] . وَقَالَ قَارُونُ {إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي} [القصص: 78] . أَيْ لِعِلْمِ اللَّهِ فِيَّ أَنِّي أَسْتَحِقُّهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَوَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَهْلَكَ مِنْ قَبْلِهِ مِنَ الْقُرُونِ مَنْ هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ قُوَّةً وَأَكْثَرُ جَمْعًا وَلَا يُسْأَلُ عَنْ ذُنُوبِهِمُ الْمُجْرِمُونَ} [القصص: 78] . وَقَدْ قَدَّمَنَا الْكَلَامَ عَلَى قِصَّتِهِ فِي أَثْنَاءِ قِصَّةِ مُوسَى. وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ بِالَّتِي تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفَى إِلَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُولَئِكَ لَهُمْ جَزَاءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا وَهُمْ فِي الْغُرُفَاتِ آمِنُونَ} [سبأ: 37] . وَقَالَ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ১০৮৬
ষ্ষ্
কারুন বলেছিল “এ সম্পদ আমি আমার জ্ঞান বলে
প্রাপ্ত হয়েছি ৷ অর্থাৎ আল্লাহ জানেন যে, আমি ঐ ধন সম্পদ পাওয়ার হকদাব ৷ এ সম্পর্কে
আ ল্লাহতাআলা বলেন :
সে কি জানত না আল্লাহ৩ তার পুর্বে বহু মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছেন যারা তার অপেক্ষা
শক্তিতে ছিল প্রবল, সংখ্যায় ছিল অধিক? অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা
হবে না?২ ইতিপুর্বে হযরত মুসা (আ)-এর ঘটনা বর্ণনাকালে আমরা কারুনের ঘটনা আলোচনা
করেছি ৷
’ ’
অন্ধুল্লশুহ্ তঅন্লত্ত্ব এ
: , ,:¢ তোমাদের ধ্ন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি এমন কিছু নয় যা তেমােদেরকে আমার
নিকটবর্তী করে দিয়ে ৷ তবে যারা ৷ঈমা ন আসে ও সৎকর্ম করে তা ৷রাই তাদের কর্মের জন্যে পাবে
বহুগুণ পুরস্কার ৷ আর তারা প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে ৷ ণ্ণ্৩
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন০ ং
“ তারা কি মনে করে যে, আমি তাদেরকে সাহায্য স্বরুপ যে ধনৈশ্বর্য ও সন্তান সন্ততি দান
করেছি তার দ্বারা তাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করছি? না, তারা বুঝে ৫ ৷ ৪
আয়াতে উক্ত মুর্থ ব্যক্তিটি পার্থিব ধনৈশ্বর্য পেয়ে ঘেড়াকায় পতিত হয় ৷ তাই সে অস্বীকার
করে আখিরাতকে এবং সে যখন দাবি করে যে, আখিরাত যদি সংঘটিত হয়ই তবে সেখানে
প্রভুর নিকট সে এখানকার তুলনায় উৎকৃষ্ট স্থান পাবে আর তার সাথী ঈমানদার ব্যক্তি যখন
এসব কথা শুনল তখন ঈমানদার ব্যক্তিটি তাকে বলল, ধ্ন্স্ঙু স্পোটু অর্থাৎ যুক্তি পেশ
০ :
করৰুলম্ব এ তুমি কি তত্বকে
অস্বীকড়ার করছ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে ও পরে শুক্র থেকে এবং তারপর
পুর্ণাৎগ করেছেন মানুষের অ ৷কৃতিতে? অর্থাৎ তুমি কি পুনরুথান অস্বীকার করছ অথচ ভুমি জন
যে, আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর শুক্র থেকে ৷ তারপর পর্যায়ক্রমে
তোমাকে আকৃতি দিয়েছেন ৷ অবশেষে তুমি পরিণত হয়েছ শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন
১ ২৮ কাসাস ৭৮
২ ২৮ কাসাস ৭৮
৩ ৩৪ স্যবাহ ৩৭
৪ ২৩ মু’মিনুন ৫৫
{أَيَحْسَبُونَ أَنَّمَا نُمِدُّهُمْ بِهِ مِنْ مَالٍ وَبَنِينَ نُسَارِعُ لَهُمْ فِي الْخَيْرَاتِ بَلْ لَا يَشْعُرُونَ} [المؤمنون: 55] أَيْ: يُجَادِلُهُ {أَكَفَرْتَ بِالَّذِي خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ سَوَّاكَ رَجُلًا} [الكهف: 37] أَيْ: أَجَحَدْتَ الْمَعَادَ وَأَنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ، ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ صَوَّرَكَ أَطْوَارًا حَتَّى صِرْتَ رَجُلًا سَوِيًّا سَمِيعًا بَصِيرًا، تَعْلَمُ وَتَبْطِشُ وَتَفْهَمُ، فَكَيْفَ أَنْكَرْتَ الْمَعَادَ وَاللَّهُ قَادِرٌ عَلَى الْبَدَاءَةِ {لَكِنَّا هُوَ اللَّهُ رَبِّي} [الكهف: 38] أَيْ: لَكِنْ أَنَا أَقُولُ بِخِلَافِ مَا قُلْتَ وَأَعْتَقِدُ خِلَافَ مُعْتَقَدِكَ {هُوَ اللَّهُ رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِرَبِّي أَحَدًا} [الكهف: 38] أَيْ: لَا أَعْبُدُ سِوَاهُ، وَأَعْتَقِدَ أَنَّهُ يَبْعَثُ الْأَجْسَادَ بَعْدَ فَنَائِهَا، وَيُعِيدُ الْأَمْوَاتَ، وَيَجْمَعُ الْعِظَامَ الرُّفَاتَ، وَأَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ لَا شَرِيكَ لَهُ فِي خَلْقِهِ، وَلَا فِي مُلْكِهِ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُهُ. ثُمَّ أَرْشَدَهُ إِلَى مَا كَانَ الْأَوْلَى بِهِ أَنْ يَسْلُكَهُ عِنْدَ دُخُولِ جَنَّتِهِ فَقَالَ: {وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ} [الكهف: 39] وَلِهَذَا يُسْتَحَبُّ لِكُلِّ مَنْ أَعْجَبَهُ شَيْءٌ مِنْ مَالِهِ أَوْ أَهْلِهِ أَوْ حَالِهِ أَنْ يَقُولَ كَذَلِكَ.
وَقَدْ وَرَدَ فِيهِ حَدِيثٌ مَرْفُوعٌ، فِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ ; قَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا جَرَّاحُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ زُرَارَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ১০৮৭
ষ্ষ্
পরিপুর্ণ পুরুষে ৷ ফলে তুমি জ্ঞান লাভ করতে পারছ, হাতে ধারণ করতে পারছ এবং হৃদয়ে
উপলব্ধি করতে পারছ ৷ তাহলে কি করে তুমি পুনরুথান অস্বীকার করছহ্ব অথচ নতুন করে সৃষ্টি
করতেও আল্লাহ তাআলা ক্ষমতড়াবান ৷
র্দু,:ঠু এ৷ ৷ ট্রুট্রুগু :,§fl “কিত্তু আল্লাহই আমার প্রতিপালক” অর্থাৎ আমি কিন্তু বলি
৫তামার বলার বিপরীত এবং বিশ্বাস করি তোমার বিশ্বাসের বিপরীত যে, ১াএ পু ণ্প্রু ণ্এ৷ ৷ ১ং
৷ ৷ ণ্ৰু ৷ প্রু;ণ্ ৷ “আল্লাহই আমার প্ৰতিপ লক এবং আমি কাউকে আমার প্রতিপালকের
শরীক কবিনা ৷”১ অর্থাৎ তিনি ব্যতীত ৩অন্য কারো ইবাদত করি না ৷ আমি বিশ্বাস করি যে,
দেশগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর তিনি সেগুলোকে পুনরুথান করবেন এবং মৃতদেরকে
পুনরুজ্জীবিত করবেন ৷ চুর্ণ বিচুর্ণ হাতগুলোকে একত্রিত করবেন ৷ আমি এও জানি যে, আল্লাহর
সৃষ্টি জগতে এবং তার রাজত্বে তীর কোন শরীক নেই এবং তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷
এরপর ঈমানদার ব্যক্তিটি তার সাথীকে সে আচরণ শিখিয়ে দিচ্ছে বাগানে প্রবেশের সময়
তার যা করা উচিত ছিল ৷ এ সুত্রে সে বলল, «fl ৷ ;এে£; ট্রু১দ্বুট্র ছু;£;; £ ঠু ৷ ৷ ১াটুএপ্রু
এ! ৮ চা ৷ ইৰুন্দ্বুখু “তুমি যখন তোমার উদ্যানে প্রবেশ করলে তখন :কন বললেনা আল্লাহ যা
চান তইি হয় আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কো ন শক্তি নেই?” এ জন্যে কারো নিকট তা র ধন সম্পদ
ৎবা পরিবার পবিজন কিত্ব৷ ব্যক্তিগত কোন অবস্থা পছন্দসই ও আনন্দদায়ক মনে হলে তার
জন্যে এর একটি
মরফু হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ অবশ্য হাদীসটির বিশুদ্ধতা প্রশ্নাতীত নয় ৷
আবু ইয়ালা মুসিলী বর্ণনা করেন যে, হযরত আনাস (বা) থেকে বর্ণিত আছে যে ,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন :
া
fl ষ্শ্
ণ্এ ৷
দ্রএ১১ত্র খু
“আল্লাহ কোনৃ বড়ান্দাকে পরিবারে, ধন-সম্পদে কিংবা সম্ভান-সস্তনিতে কোন নিয়ামত দান
করলে সে যদি <া£; ১৷ ৷ ;,: ১৷ ধ্া৷ ৷ ; ৷ £০ বলে, তবে সে মৃত্যু ব্যতীত নিয়ামতের
ধ্বংস প্রত্যক্ষ করবে না ৷ তিনি ঐ আঘাতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি এ কথাটি বলেন ৷ হাফিজ
আবুল ফাতহ আবদী এই সনদ বিশুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এরপর ঈমানদার সােকটি
তার ক ফির সাথীকে বলল৪ “আমি আশা করি
আমার প্রতিপালক আমাকে তামার উদ্যান অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর কিছু দিবেন ৷ ” অর্থাৎ
আখিরাতে ৷ ; “আর তোমার উদ্যানে আকাশ থেকে
নির্ধারিত বিপর্যয় প্রেরণ করবেন ৷” হযরত ইবন আব্বাস (রা) যাহ্হাক ও ক ৷তাদ৷ (র) বলেন,
অর্থাৎ আকাশ থেকে আবার প্রেরণ করবেন ৷ এখানে বুঝান হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা প্রচণ্ড
বৃষ্টি বর্যণ করবেন যা সকল ক্ষোভ ও বৃক্ষকে উৎপাটিত করে দিয়ে ৷ ণ্৷ ) ৷ মোঃ চুে ;ণ্;;ছুন্
«مَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى عَبْدٍ نِعْمَةً مِنْ أَهْلٍ أَوْ مَالٍ أَوْ وَلَدٍ فَيَقُولُ: مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. فَيَرَى فِيهِ آفَةً دُونَ الْمَوْتِ» وَكَانَ يَتَأَوَّلُ هَذِهِ الْآيَةَ: {وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ} [الكهف: 39] قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْفَتْحِ الْأَزْدِيُّ: عِيسَى بْنُ عَوْنٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ زُرَارَةَ، عَنْ أَنَسٍ، لَا يَصِحُّ.
ثُمَّ قَالَ الْمُؤْمِنُ لِلْكَافِرِ: {فَعَسَى رَبِّي أَنْ يُؤْتِيَنِ خَيْرًا مِنْ جَنَّتِكَ} [الكهف: 40] أَيْ: فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ {وَيُرْسِلَ عَلَيْهَا حُسْبَانًا مِنَ السَّمَاءِ} [الكهف: 40] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَالضَّحَّاكُ، وَقَتَادَةُ: أَيْ: عَذَابًا مِنَ السَّمَاءِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ الْمَطَرُ الْمُزْعِجُ الْبَاهِرُ، الَّذِي يَقْتَلِعُ زُرُوعَهَا وَأَشْجَارَهَا {فَتُصْبِحَ صَعِيدًا زَلَقًا} [الكهف: 40] وَهُوَ التُّرَابُ الْأَمْلَسُ الَّذِي لَا نَبَاتَ فِيهِ {أَوْ يُصْبِحَ مَاؤُهَا غَوْرًا} [الكهف: 41] وَهُوَ ضِدُّ الْمَعِينِ السَّارِحِ {فَلَنْ تَسْتَطِيعَ لَهُ طَلَبًا} [الكهف: 41] يَعْنِي، فَلَا تَقْدِرُ عَلَى اسْتِرْجَاعِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأُحِيطَ بِثَمَرِهِ} [الكهف: 42] أَيْ: جَاءَهُ أَمْرٌ أَحَاطَ بِجَمِيعِ حَوَاصِلِهِ، وَخَرَّبَ جَنَّتَهُ، وَدَمَّرَهَا {فَأَصْبَحَ يُقَلِّبُ كَفَّيْهِ عَلَى مَا أَنْفَقَ فِيهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا} [الكهف: 42] أَيْ: خَرِبَتْ بِالْكُلِّيَّةِ، فَلَا عَوْدَةَ لَهَا، وَذَلِكَ ضِدُّ مَا كَانَ عَلَيْهِ أَمَّلَ حَيْثُ قَالَ: {وَمَا أَظُنُّ أَنْ تَبِيدَ هَذِهِ أَبَدًا} [الكهف: 35] وَنَدِمَ عَلَى مَا كَانَ سَلَفَ مِنْهُ مِنَ الْقَوْلِ الَّذِي كَفَرَ بِسَبَبِهِ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ، فَهُوَ يَقُولُ: {يَا لَيْتَنِي لَمْ أُشْرِكْ بِرَبِّي أَحَدًا} [الكهف: 42] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمْ تَكُنْ لَهُ فِئَةٌ يَنْصُرُونَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَمَا كَانَ مُنْتَصِرًا هُنَالِكَ} [الكهف: 43] أَيْ: لَمْ يَكُنْ لَهُ أَحَدٌ يَتَدَارَكُ مَا فَرَطَ مِنْ أَمْرِهِ، وَمَا كَانَ لَهُ قُدْرَةٌ فِي نَفْسِهِ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَمَا لَهُ مِنْ قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ} [الطارق: 10] .
পৃষ্ঠা - ১০৮৮
“ফলে সেটি উদ্ভিদ শুন্য ময়দানে পরিণত হবে !এএদ্বু ১এ ঢ় ংব্লু ট্রুখু ংএ৷ “অথবা উহার
পানি ভুগর্ভে অন্তর্হিত হবে ৷ এটি প্রবহমান প্রবনের বিপরীত !র্দু !০ এ ব্লুএৰু অতঃপর
তুমি কখনও সেটির সন্ধান লাভে সক্ষম হবে না ৷ অর্থাৎ ঐ পানি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে
সক্ষম হবে না ৷
আল্লাহ তা জানা বলেন ষ্এ;;, !ৰু ! এ “তার সকল সম্পদ বিপর্যয়ে বেষ্টিত হয়ে
গেল ৷ অর্থ ৎ এমন এক বিপর্যয় নেমে এল যে, যা তার সকল ফল ফসল পরিবেষ্টন করে
ফেলল এবং তার উদ্যান ধ্বংস ও বিনষ্ট করে দিল ৷
“এবং যে তাতে যা ব্যয় করেছিল তার জন্য আক্ষেপ করতে লাগল, যখন সেটি মাচানসহ
ভুমিস্যাৎ হয়ে গেল ৷’ ’অর্থাৎ সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস হয়ে গেল যার পুনঃ আবাদেব কোন অবকাশই
থাকল না ৷ এটি হল তা র প্রত্যাশার সম্পুর্ণ বিপরীত
যখন সে বলেছিল, ( এ “আমি মনে করি না যে, এটি
কখনও ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ অবশেষে সে মহান আল্লাহর সম্পর্কে তার ইতিপুর্বেকার কুফরী
মন্ত্যব্যর জন্য অনুতপ্ত হল এবং বলতে লাগল, “হায়!
আমি যদি কা ৷উকেও আম৷ ৷র প্রতিপালকের শরীক না করতাম ! ’
০ ’ : শ্ : ’ : : ’ : × শ্
আল্লাহ তাআলা বলেন৪ এব্লে এ এ
এে৫শু ৷এ;ংৰু১ “এবং আল্লাহ ব্যতীত তাকে সাহায্য করার কেউ ছিল না ৷ এবং সে
নিজেও প্রর্তিকারে সমর্থ হল না সেখানে” অর্থাৎ যে দোষ সে করেছে৩ তার ক্ষতিপুরণ করে
দেয়ার মত কেউ ছিল না আর তা র নিজেরও তা করার ক্ষমতা ছিল না ৷ যেমন অন্যত্র আল্লাহ
তা আল৷ বলেন, এণ্১!ছু ১! এ ,ংএে এশু এ ৷ৰুট্র কােন শক্তিও নেই, সাহায্যকারীও নেই ৷
শ্ ,
আল্লাহ তা জানা বলেন, ;,;fi এ৷ <১াএপু৷ “সাহায্য করার অধিকার একমাত্র
আল্পাহরই ৷ কতক তাফসীরকার থেকে নতুন বাক্য শুরু
করেন ৷ এরুপ পাঠ করাও উত্তম বর্টে যেমন আল্লাহ তা আলা বলেন, এ;এ ! ১এ ম্ ’া৷৷ !
“সেদিন প্রকৃত কর্তৃতু হবে দয়াময়ের
এবংক কাফিরর্দের জন্য সেদিন হবে কঠিন ৷ তখন কোন অবস্থাতে তা তার নির্দেশ রদ করা যাবে
না, বাধা দেয়া যাবে না ৷ এবং কেউ তা লংঘন করতে পারবে না আর সর্বাবস্থায়ই যথার্থ কতৃতৃ
আল্লাহরই ৷ অবশ্য কত তক তাফসীরকার এ! ! শব্দকে ম্বু১াএ!! শব্দের বিশেষণরুপে পেশ
যুক্তভাবে পাঠ করেছেন ৷ এ দুটো পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত ৷
আল্লাহ তাআলার বাণী “পুরস্কার সালে ও পরিণাম
নির্ধারণে তিনিই শ্রেষ্ঠ ৷ ১ অর্থাৎ ছওয়াব তথা প্ৰতিদানের দিক থেকে এবং পরিণাম তথা দুনিয়া
ও আখিরাতে শেষ ফল রুপে তার আচরণ উদ্যান মালিকের জন্যে উত্তম ও কল্যাণকব ৷
১ ১৮ কাহফ ৪৪
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩০-
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া
وَقَوْلُهُ: {الْوَلَايَةُ لِلَّهِ الْحَقِّ} [الكهف: 44] وَمِنْهُمْ مَنْ يَبْتَدِئُ بِقَوْلِهِ: {هُنَالِكَ الْوَلَايَةُ لِلَّهِ الْحَقِّ} [الكهف: 44] وَهُوَ حَسَنٌ أَيْضًا، كَقَوْلِهِ: {الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ لِلرَّحْمَنِ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا} [الفرقان: 26] . فَالْحُكْمُ الَّذِي لَا يُرَدُّ وَلَا يُمَانَعُ وَلَا يُغَالَبُ - فِي تِلْكَ الْحَالِ وَفِي كُلِّ حَالٍ - لِلَّهِ الْحَقِّ. وَمِنْهُمْ مَنْ رَفَعَ (الْحَقِّ) جَعَلَهُ صِفَةً لِ (الْوِلَايَةَ) وَهُمَا مُتَلَازِمَتَانِ. وَقَوْلُهُ: {هُوَ خَيْرٌ ثَوَابًا وَخَيْرٌ عُقْبًا} [الكهف: 44] أَيْ: مُعَامَلَتُهُ خَيْرٌ لِصَاحِبِهَا ثَوَابًا، وَهُوَ الْجَزَاءُ، وَخَيْرٌ عُقْبًا ; وَهُوَ الْعَاقِبَةُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.
وَهَذِهِ الْقِصَّةُ تَضَمَّنَتْ أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَرْكَنَ إِلَى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا، وَلَا يَغْتَرَّ بِهَا، وَلَا يَثِقَ بِهَا، بَلْ يَجْعَلَ طَاعَةَ اللَّهِ وَالتَّوَكُّلَ عَلَيْهِ فِي كُلِّ حَالٍ نُصْبَ عَيْنَيْهِ، وَلْيَكُنْ بِمَا فِي يَدِ اللَّهِ أَوْثَقَ مِنْهُ بِمَا فِي يَدِهِ. وَفِيهَا أَنَّ مَنْ قَدَّمَ شَيْئًا عَلَى طَاعَةِ اللَّهِ وَالْإِنْفَاقِ فِي سَبِيلِهِ، عُذِّبَ بِهِ، وَرُبَّمَا سُلِبَ مِنْهُ ; مُعَامَلَةً لَهُ بِنَقِيضِ قَصْدِهِ. وَفِيهَا أَنَّ الْوَاجِبَ قَبُولُ نَصِيحَةِ الْأَخِ الْمُشْفِقِ، وَأَنَّ مُخَالَفَتَهُ وَبَالٌ وَدَمَارٌ عَلَى مَنْ رَدَّ النَّصِيحَةَ الصَّحِيحَةَ. وَفِيهَا، أَنَّ النَّدَامَةَ لَا تَنْفَعُ إِذَا حَانَ الْقَدَرُ، وَنَفَذَ الْأَمْرُ الْحَتْمُ. وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.