আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

بيان طلب ذي القرنين عين الحياة

পৃষ্ঠা - ১০৫৯
[بَيَانُ طَلَبِ ذِي الْقَرْنَيْنِ عَيْنَ الْحَيَاةِ] وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ وَكِيعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، عَنْ أَبِيهِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ خَبَرًا مُطَوَّلًا جِدًّا فِيهِ أَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ كَانَ لَهُ صَاحِبٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُقَالُ لَهُ: رَنَاقِيلُ. فَسَأَلَهُ ذُو الْقَرْنَيْنِ: هَلْ تَعْلَمُ فِي الْأَرْضِ عَيْنًا يُقَالُ لَهَا: عَيْنُ الْحَيَاةِ؟ فَذَكَرَ لَهُ صِفَةَ مَكَانِهَا، فَذَهَبَ ذُو الْقَرْنَيْنِ فِي طَلَبِهَا وَجَعَلَ الْخَضِرَ عَلَى مُقَدَّمَتِهِ، فَانْتَهَى الْخَضِرُ إِلَيْهَا فِي وَادٍ فِي أَرْضِ الظُّلُمَاتِ، فَشَرِبَ مِنْهَا وَلَمْ يَهْتَدِ ذُو الْقَرْنَيْنِ إِلَيْهَا. وَذَكَرَ اجْتِمَاعَ ذِي الْقَرْنَيْنِ بِبَعْضِ الْمَلَائِكَةِ فِي قَصْرٍ هُنَاكَ، وَأَنَّهُ أَعْطَاهُ حَجَرًا، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى جَيْشِهِ سَأَلَ الْعُلَمَاءَ عَنْهُ، فَوَضَعُوهُ فِي كِفَّةِ مِيزَانٍ، وَجَعَلُوا فِي مُقَابَلَتِهِ أَلْفَ حَجَرٍ مِثْلَهُ فَوَزَنَهَا، حَتَّى سَأَلَ الْخَضِرَ فَوَضَعَ قُبَالَهُ حَجَرًا، وَجَعْلَ عَلَيْهِ حَفْنَةً مِنْ تُرَابٍ فَرَجَحَ بِهِ، وَقَالَ: هَذَا مَثَلُ ابْنِ آدَمَ لَا يَشْبَعُ حَتَّى يُوَارَى بِالتُّرَابِ. فَسَجَدَ لَهُ الْعُلَمَاءُ تَكْرِيمًا لَهُ وَإِعْظَامًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ ذَكَرَ تَعَالَى أَنَّهُ حَكَّمَهُ فِي أَهْلِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ {قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَنْ تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَنْ تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا قَالَ أَمَّا مَنْ ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهُ ثُمَّ يُرَدُّ إِلَى رَبِّهِ فَيُعَذِّبُهُ عَذَابًا نُكْرًا} [الكهف: 86] أَيْ: فَيَجْتَمِعُ عَلَيْهِ عَذَابُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَبَدَأَ بِعَذَابِ الدُّنْيَا ; لِأَنَّهُ أَزْجَرُ عِنْدَ الْكَافِرِ {وَأَمَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُ جَزَاءً الْحُسْنَى وَسَنَقُولُ لَهُ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا} [الكهف: 88]
পৃষ্ঠা - ১০৬০
ষ্ষ্


উবায়দ ইবন উমায়র ও তার পুত্র আবদুল্লাহ প্রমুখ আলিমগণ বলেছেন যে, যুল কারনায়ন
পদব্রজে হজ্ব পালন করেন ৷ হযরত ইবরাহীম খলীল (আ) যুল-ক ৷রনায়নের আগমনের সংবাদ
পেয়ে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ উভয়ে একত্রে মিলিত হলে ইবরাহীম
খলীল (আ) তার জন্যে দোয়া করেন এবং কতিপয় উপদেশ দেন ৷ কথিত আছে , হযরত খলীল
একটি ঘোড়া নিয়ে এগিয়ে যান এবং যুল-কারনায়নকে তাতে আরোহণ করতে বলেন ৷ কিন্তু
যুল-কারনায়ন অস্বীকার করে বলেন, যে শহরে আল্লাহর খলীল বিদ্যমান আছেন সেই শহরে
আমি বাহনে আরোহণ করে প্রবেশ করব না ৷ তখন আল্লাহ মেঘমালাকে তার অনুগত করে দেন
এবং ইবরাহীম এ সুখবর তাকে জা ৷নিয়ে দেন ৷ তিনি যেখানে যাওয়ার ইচ্ছে করতেন মেঘমালা
তাকে সেখানে নিয়ে যেত ৷ আল্লাহর বাণী৪ ”আমার যে এক পথ চলতে চলতে সে যখন দুই
পর্বত প্রাচীরের মধ্যবটুর্তীন্থলে পৌছল, তখন সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে পেল যারা তার কথা
একেবারেই বুঝতে প বছিল না ৷” এ সম্প্রদায় সম্পর্কে বলা হয়েছে যে এরা হল তুর্কী জাতি-
ইয়াজুজ ও মাজুজের জ্ঞাতি ভাই ৷

এ সম্প্রদায়ের লোকজন যুল-কারনায়নের নিবস্ট অভিযোগ করে যে, ইয়াজুজ ও মাজুজ
গোত্রদ্বয় তদের উপর অত্যাচার চালায় লুট তরাজ ও ধ্বং সাত্নক কার্যক্রমের দ্বারা শহরকে
বিপর্যস্ত করে ফেলে ৷৩ তারা যুল-ক ৷রনায়নকে কর দিতে আগ্নহ প্রকাশ করল যাতে তিনি তাদের
ও ইয়াজুজ-মাজুজের মাঝে একটি প্রাচীর তৈরী করে দেন ৷ যাতে করে তারা আর এদিকে উঠে
আসতে না পারে ৷ যুল-কারনায়ন তাদের থেকে কর নিতে অস্বীকার করেন এবং তাকে আল্লাহ
যে সম্পদ ও ক্ষমতা দিয়েছেন তাতেই সন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ তিনি বললেন “আমার
প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তা ই উৎকৃষ্ট ৷ ” তিনি তাদেরকে শ্রমিক ও উপকরণ
সরবরাহ করতে বললেন এবং উক্ত দুই পর্বতে র মধ্যবর্তী ফ কা স্থান ভরাট করে বীধ নির্মাণ
করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন ৷ আর এ দু’ পর্বতের মধ্যবর্তী স্থান ছাড়া ইয়াজুজমাজুজের
আমার অন্য কোন পথ ছিল না ৷ তাদের এক দিকে ছিল গভীর সমুদ্র অন্য দিকে সুউচ্চ
পর্বতমালা ৷ অতঃপর তিনি লোহা ও গলিত তামা, মতাম্ভরে সীসা দ্বারা উক্ত বাধ নির্মাণ করেন ৷
কিভু প্রথমোক্ত ম৩ইি সঠিক ৷ সে মতে এ রা ধ নির্মাণে তিনি ইটের পরিবর্তে লোহা এবং সুরকির
পরিবর্তে তামা ব্যবহার করেন ৷ আল্লাহ বলেন “এরপর তারা তা’ অতিক্রম করতে পারল না” ৷
অর্থাৎ সিড়ি কিৎবা অন্য কিছুর সাহায্যে বাধ পড়ার হয়ে আসতে পারল না ৷ “এবং ভেদ করতেও
পারল না” অর্থাৎ কুঠার বা শাবল দ্বারা ছিদ্র করতে পারল না ৷ সহজের মুকাবিলায় সহজ ও
কঠিনের মুকাবিলায় কঠিন নীতি অবলম্বন করা হল ৷ “সে বলল, এটা আমার প্রতিপালকের
অনুগ্রহ ৷ ” অর্থাৎ এ বীধ নির্মাণের ক্ষমতা আল্লাহ ই দান করেছেন ৷ এটা তারই অৰুগ্নহ ও
দয়া ৷ কেননা, এর দ্বারা উক্ত সীমালংঘনকারী জাতির অত্যাচার থেকে তাদের প্রতিবেশী
লোকদেরকে রক্ষা করতে পেরেছেন ৷ “যখন আমার প্রতািলকের প্রতিশ্রুতি পুর্ণ হবে” অর্থাৎ
শেষ যামানায় মানব জা ৷তির উপর তাদের বের হয়ে আসা র নির্ধারিত ৩সময় যখন উপস্থিত হবে ৷
“তখন তিনি একে চুর্ণ বিচুর্ণ করে দিবেন ৷” অর্থাৎ মাটির সাথে মিশিয়ে দিবেন ৷ কেননা,
তাদের বের হয়ে আমার জন্যে এ রকম হওয়া আবশ্যক ৷ এ কারণে আল্লাহ বলেন “এবং
আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য ৷”


فَبَدَأَ بِالْأَهَمِّ وَهُوَ ثَوَابُ الْآخِرَةِ، وَعَطَفَ عَلَيْهِ الْإِحْسَانَ مِنْهُ إِلَيْهِ، وَهَذَا هُوَ الْعَدْلُ وَالْعِلْمُ وَالْإِيمَانُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا} [الكهف: 89] أَيْ: سَلَكَ طَرِيقًا رَاجِعًا مِنَ الْمَغْرِبِ إِلَى الْمَشْرِقِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ رَجَعَ فِي ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً {حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَمْ نَجْعَلْ لَهُمْ مِنْ دُونِهَا سِتْرًا} [الكهف: 90] أَيْ: لَيْسَ لَهُمْ بُيُوتٌ وَلَا أَكْنَانٌ يَسْتَتِرُونَ بِهَا مِنْ حَرِّ الشَّمْسِ. قَالَ كَثِيرٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ: وَلَكِنْ كَانُوا يَأْوُونَ، إِذَا اشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْحَرُّ، إِلَى أَسْرَابٍ قَدِ اتَّخَذُوهَا فِي الْأَرْضِ، شِبْهِ الْقُبُورِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا} [الكهف: 91] أَيْ: وَنَحْنُ نَعْلَمُ مَا هُوَ عَلَيْهِ وَنَحْفَظُهُ وَنَكْلَؤُهُ بِحِرَاسَتِنَا فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ كُلِّهِ مِنْ مَغَارِبِ الْأَرْضِ إِلَى مَشَارِقِهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ وَابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ، وَغَيْرِهِمَا مِنَ السَّلَفِ، أَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ حَجَّ مَاشِيًا، فَلَمَّا سَمِعَ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ بِقُدُومِهِ تَلَقَّاهُ، فَلَمَّا اجْتَمَعَا دَعَا لَهُ الْخَلِيلُ وَوَصَّاهُ بِوَصَايَا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ جِيءَ بِفَرَسٍ لِيَرْكَبَهَا فَقَالَ: لَا أَرْكَبُ فِي بَلَدٍ فِيهِ الْخَلِيلُ. فَسَخَّرَ اللَّهُ لَهُ السَّحَابَ، وَبَشَّرَهُ إِبْرَاهِيمُ بِذَلِكَ، فَكَانَتْ تَحْمِلُهُ إِذَا أَرَادَ. قَوْلُهُ تَعَالَى: {ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِنْ دُونِهِمَا قَوْمًا لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا} [الكهف: 92] يَعْنِي غُتْمًا. فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ هُمُ التُّرْكُ، أَبْنَاءُ عَمِّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ هَاتَيْنِ الْقَبِيلَتَيْنِ قَدْ تَعَدَّوْا عَلَيْهِمْ وَأَفْسَدُوا فِي بِلَادِهِمْ، وَقَطَعُوا السُّبُلَ عَلَيْهِمْ، وَبَذَلُوا لَهُ حِمْلًا وَهُوَ الْخَرَاجُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ১০৬১
أَنْ يُقِيمَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ حَاجِزًا يَمْنَعُهُمْ مِنَ الْوُصُولِ إِلَيْهِمْ، فَامْتَنَعَ مِنْ أَخْذِ الْخَرَاجِ ; اكْتِفَاءً بِمَا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنَ الْأَمْوَالِ الْجَزِيلَةِ {قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ} [الكهف: 95] ثُمَّ طَلَبَ مِنْهُمْ أَنْ يَجْمَعُوا لَهُ رِجَالًا وَآلَاتٍ لِيَبْنِيَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ سَدًّا، وَهُوَ الرَّدْمُ بَيْنَ الْجَبَلَيْنِ، وَكَانُوا لَا يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوجَ إِلَيْهِمْ إِلَّا مِنْ بَيْنِهِمَا، وَبَقِيَّةُ ذَلِكَ بِحَارٌ مُغْرِقَةٌ، وَجِبَالٌ شَاهِقَةٌ، فَبَنَاهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى، مِنَ الْحَدِيدِ وَالْقِطْرِ، وَهُوَ النُّحَاسُ الْمُذَابُ، وَقِيلَ: الرَّصَاصُ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، فَجَعَلَ بَدَلَ اللَّبِنِ حَدِيدًا، وَبَدَلَ الطِّينِ نُحَاسًا، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {فَمَا اسْطَاعُوا أَنْ يَظْهَرُوهُ} [الكهف: 97] أَيْ: يَعْلُوَا عَلَيْهِ بِسَلَالِمَ وَلَا غَيْرِهَا {وَمَا اسْتَطَاعُوا لَهُ نَقْبًا} [الكهف: 97] أَيْ: بِمَعَاوِلَ وَلَا فُؤُوسٍ وَلَا غَيْرِهَا، فَقَابَلَ الْأَسْهَلَ بِالْأَسْهَلِ وَالْأَشَدَّ بِالْأَشَدِّ {قَالَ هَذَا رَحْمَةٌ مِنْ رَبِّي} [الكهف: 98] أَيْ: قَدَّرَ اللَّهُ وُجُودَهُ لِيَكُونَ رَحْمَةً مِنْهُ بِعِبَادِهِ أَنْ يَمْنَعَ بِسَبَبِهِ عُدْوَانَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ عَلَى مَنْ جَاوَرَهُمْ فِي تِلْكَ الْمَحِلَّةِ {فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ رَبِّي} [الكهف: 98] أَيِ الْوَقْتُ الَّذِي قَدَّرَ خُرُوجَهُمْ عَلَى النَّاسِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ {جَعَلَهُ دَكَّاءَ} [الكهف: 98] أَيْ مُسَاوِيًا لِلْأَرْضِ. وَلَا بُدَّ مِنْ كَوْنِ هَذَا، وَلِهَذَا قَالَ: {وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا} [الكهف: 98] كَمَا قَالَ تَعَالَى: {حَتَّى إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُمْ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ} [الأنبياء: 96] الْآيَةَ [الْأَنْبِيَاءِ: 96، 97] . وَلِذَا قَالَ هَاهُنَا: {وَتَرَكْنَا بَعْضَهُمْ يَوْمَئِذٍ يَمُوجُ فِي بَعْضٍ} [الكهف: 99] يَعْنِي يَوْمَ فَتْحِ السَّدِّ، عَلَى الصَّحِيحِ {وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَجَمَعْنَاهُمْ جَمْعًا} [الكهف: 99] وَقَدْ أَوْرَدْنَا الْأَحَادِيثَ الْمَرْوِيَّةَ، فِي خُرُوجِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَسَنُورِدُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ فِي كِتَابِ " الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ " مِنْ كِتَابِنَا هَذَا، إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ، بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ،
পৃষ্ঠা - ১০৬২
ষ্ষ্


অন্যত্র আল্লাহ বলেন, “ইয়াজুজ-মাজুজকে যখন ছেড়ে দেয়া হবে তখন তারা ভু-পৃ পষ্ঠের উচু
স্থান দিয়ে দ্রুত অগ্রসর হতে থাকবে ৷ “আল্লাহর সত্য প্রাতশ্রুতি নিকটবর্তী৷ ” এজন্যে
এখানেও আল্লাহ বলেছেন, “সেদিন আমি তাদেরকে ছেড়ে দিব এ অবস্থায় যে, একদল আর
এক দলের উপর তরংগের মত পতিত হবে ৷ ” সেদিন বলতে বিশুদ্ধ মতে ৰ্বাধ্ ভেৎগে দেয়ার
দিনকে বুঝান হয়েছে ৷ “এবং শি ৷ৎগায় কুৎকা র দেওয়া হবে ৷ অতঃপর আমি তাদের সকলাকই
একত্রিত করব ৷” (১৮ কাহফং ৯৯ ৷ ৷ ইয়াজুজ ও না জুজের :বর হওয়া সংক্রান্ত বর্ণিত হাদীস
সমুহ আমরা ত ৷ফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছি ৷ এই গ্রন্থের ফিতা ন ও মালাহিম’ অধ্যায়ে আমরা
সেগুলো উল্লেখ করব ৷

আবু দা ৷উদ আ তায়ালিসী (র) সুফিরান ছওবী (রা ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন সর্বপ্রথম
যিনি মুসাফাহার প্রবর্তন করল তিনি হলেন, বুল কারনায়ন ৰু কা ব আল আহবার থােক বর্ণিত ৷
তিনি মুআবিয়৷ (রা)-৫ক বলেছেন : যুল-কারনায়নের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি তার
মাকে ওসিয়ত করেন যে, আমার মৃত্যু হয়ে গেলে আপনি ভোজের ব্যবস্থা করবেন এবং
নগরীতে সমস্ত মহিলাদেরকে ডাকবেন ৷ তারা আসলে তত্ত্বস্থদব সম্মুখে থানা বোখ সন্তান হ বা
মহিলারা ব্যতীত অন্যদেরকে আহার করতে বলবেন ৷ যে সব মহিলা সন্তান হারিয়েছে তা ৷রা
যেন উক্ত খাদ্য তক্ষণ না করে ৷ ওসিয়ত অনুযায়ী মা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করে উক্তরুপে আহার
গ্রহণের আহ্বান জানালেন ৷ কিভু একজন মহিলাও খাবার স্পর্শ করল না ৷ যুল-কারনায়নের মা
আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন কী ব্যাপার তোমরা সকলেই কি সন্তান হারাঃ তারা বলল
আল্লাহর কসম, আমরা প্রত্যেকেই সন্তান হারিয়েছি ৷ তখন এ একই অবস্থা প্র৩ তাক্ষ করে তিনি
মনে সা৷ন্তুন লাভ করলেন ৷ ইসহাক ইবন ৰিশৃর আবদুল্লাহ ইবন যিনাদের মাধ্যমে জনৈক
আহলি কিতাব থেকে বর্ণনা করেন যে, যুল-কারনায়নের ওসিয়ত ও তার মায়ের উপদেশ একটি
সুদীর্ঘ মুল্যবান উপদেশ ৷ বহু-জ্ঞানপুর্ণ ও কল্যাণকর কথা তাতে আছে ৷ যুল-কারনায়ন যখন
ইস্তিকাল করেন, তখন তার বয়স হয়েছিল তিন হাজার বছর ৷ এ বর্ণনাটি গরীব’ পর্যায়ের ৷

ইবন আসাকির (র) অন্য এক সুত্রে বলেছেন, যুল-কারনায়ন ছত্রিশ বছর জীবিত ছিলেন ৷
কারও মতে তিনি বত্রিশ বছর বেচে ছিলেন ৷ হযরত দাউদ (আ)-এর সাতশ চল্লিশ বছর পর
এবং আদম (আ)এর পাচ হাজার একশ একাশি বছর পর তিনি দুনিয়ার আগমন করেন এবং
ষোল বছর রাজতৃ করেন ৷ ইবন আসাকিরের এ বক্তব্য দ্বিতীয় ইসকান্দারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়,
প্রথম ইসকান্দারের ক্ষেত্রে নয় ৷ তিনি ইে ইসকান্দারের মধ্যে প্রথম জন ও দ্বিতীয় জনের মধ্যে
তালগােল পাকিয়ে ফেলেছেন ৷ প্রকৃত পক্ষে ইসকান্দার দুইজন ৷ আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞজনের
উদ্ধৃতি দিয়ে এ আলোচনার শুরুতে সে বিষয়ে উল্লেখ করে এসেছি ৷ যারা দুই ইসকান্দরকে
একজন ভেবেছেন তাদের মধ্যে সীরাত লেখক আবদুল মালিক ইবন হিশাম অন্যতম ৷ হাফিজ
আবুল কাসিম সুহায়লী এর জোর প্রতিবা ৷দ করেছেন ও কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং উভয়
ইসকান্দারের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পার্থক্য নির্ণয় করে দেখিয়েছেন ৷ সুহায়লী বলেছেন, সম্ভবত
প্রাচীন যুগের কতিপয় রাজা-বাদশাহ প্রথম ইসকান্দরের সাথে তুলনা করে দ্বিতীয় ইসকান্দরকেও
যুল-কারনায়ন নামে আখ্যায়িত করেছেন ৷


وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ وَمَعُونَتِهِ وَهِدَايَتِهِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ: بَلَغَنَا أَنَّ أَوَّلَ مَنْ صَافَحَ، ذُو الْقَرْنَيْنِ. وَرُوِيَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: إِنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَى أُمَّهُ ; إِذَا هُوَ مَاتَ أَنْ تَصْنَعَ طَعَامًا، وَتَجْمَعَ نِسَاءَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَتَضَعَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ، وَتَأْذَنَ لَهُنَّ فِيهِ، إِلَّا مَنْ كَانَتْ ثَكْلَى، فَلَا تَأْكُلْ مِنْهُ شَيْئًا، فَلَمَّا فَعَلَتْ ذَلِكَ لَمْ تَضَعْ وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ يَدَهَا فِيهِ، فَقَالَتْ لَهُنَّ: سُبْحَانَ اللَّهِ! كُلُّكُنَّ ثَكْلَى! فَقُلْنَ: أَيْ وَاللَّهِ مَا مِنَّا إِلَّا مَنْ أُثْكِلَتْ. فَكَانَ ذَلِكَ تَسْلِيَةً لِأُمِّهِ. وَذَكَرَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَصِيَّةَ ذِي الْقَرْنَيْنِ وَمَوْعِظَتَهُ أُمَّهُ مَوْعِظَةً بَلِيغَةً طَوِيلَةً، فِيهَا حِكَمٌ وَأُمُورٌ نَافِعَةٌ، وَأَنَّهُ مَاتَ وَعُمْرُهُ ثَلَاثَةُ آلَافِ سَنَةٍ، وَهَذَا غَرِيبٌ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَبَلَغَنِي مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَنَّهُ عَاشَ سِتًّا وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: كَانَ عُمْرُهُ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَكَانَ بَعْدَ دَاوُدَ بِسَبْعِمِائَةِ سَنَةٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ بَعْدَ آدَمَ بِخَمْسَةِ آلَافٍ وَمِائَةٍ وَإِحْدَى وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَكَانَ مُلْكُهُ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ إِنَّمَا يَنْطَبِقُ عَلَى إِسْكَنْدَرَ الثَّانِي لَا الْأَوَّلِ، وَقَدْ خَلَطَ فِي أَوَّلِ التَّرْجَمَةِ وَآخِرِهَا بَيْنَهُمَا، وَالصَّوَابُ التَّفْرِقَةُ كَمَا ذَكَرْنَا، اقْتِدَاءً بِجَمَاعَةٍ مِنَ الْحُفَّاظِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ১০৬৩
وَمِمَّنْ جَعَلَهُمَا وَاحِدًا الْإِمَامُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ، رَاوِي السِّيرَةِ، وَقَدْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، إِنْكَارًا بَلِيغًا، وَرَدَّ قَوْلَهُ رَدًّا شَنِيعًا، وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا تَفْرِيقًا جَيِّدًا، كَمَا قَدَّمْنَا. قَالَ: وَلَعَلَّ جَمَاعَةً مِنَ الْمُلُوكِ الْمُتَقَدِّمِينَ، تَسَمَّوْا بِذِي الْقَرْنَيْنِ تَشَبُّهًا بِالْأَوَّلِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.