আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

كتاب أخبار الماضين من بني إسرائيل وغيرهم

خبر ذي القرنين

পৃষ্ঠা - ১০৪৭
ষ্ষ্

যুল-কারনায়ন
হও ৷ওহ্র১
া’ এ

fl :


’ শ্ ; ; ষ্


ষ্ণ্হুত্র

ষ্ : #




ষ্ ; ) ষ্ ! :



fl ’ fl ষ্

ছু এটুঘ্রষ্ জুাট্টস্ৰুা৷ এষ্ন্


# : এ

“ওরা তোমাকে যুল-কারনায়ন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে ৷ বল, আমি তোমাদের নিকট তার
বিষয় বর্ণনা করব ৷ আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃতু দিয়েছিলাম এবং প্রতোক বিষয়ের
উপায়-উপকরণ দান করেছিলাম ৷ অতঃপর সে এক পথ অবলম্বন করল ৷ চলতে চলতে সে
যখন সুর্যের অস্তগমন স্থানে পৌছল তখন সে সুর্যকে এক পংকিল জলাশয়ে অস্তপমন করতে
দেখল এবং যে সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল ৷ আমি বললড়াম, হে যুল কারনায়না


[كِتَابُ أَخْبَارِ الْمَاضِينَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرِهِمْ] [خَبَرُ ذِي الْقَرْنَيْنِ] كِتَابُ أَخْبَارِ الْمَاضِينَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرِهِمْ إِلَى آخَرِ زَمَنِ الْفَتْرَةِ سِوَى أَيَّامِ الْعَرَبِ وَجَاهِلِيَّتِهِمْ، فَإِنَّا سَنُورِدُ ذَلِكَ بَعْدَ فَرَاغِنَا مِنْ هَذَا الْفَصْلِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَذَلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنْبَاءِ مَا قَدْ سَبَقَ وَقَدْ آتَيْنَاكَ مِنْ لَدُنَّا ذِكْرًا} [طه: 99] . وَقَالَ: {نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ وَإِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الْغَافِلِينَ} [يوسف: 3] .
পৃষ্ঠা - ১০৪৮
ষ্ষ্


তুমি এদেরকে শাস্তি দিতে পার অথবা এদের ব্যাপার সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পার ৷ সে বলল,
যে কেউ সীমালহুযন করবে, আমি তাকে শান্তি দিব, অতঃপর সে তার প্ৰতিপালকের নিকট
প্রত্যাবর্তিত হবে এবং তিনি তাকে কঠিন শান্তি দিবেন ৷৩ তবে যে ঈমান আসে এবং সৎকর্ম করে
তার জন্যে প্ৰতিদানারুপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলব ৷

আবার সে এক পথ ধরল ৷ চলতে চলতে যখন সে সুর্যোদয় স্থলে পৌছল , তখন সে দেখল
তা’ এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হচ্ছে যাদের জন্যে সুর্যতাপ হতে কোন অস্তরাল আমি
সৃষ্টি করিনি ৷ প্রকৃত ঘটনা এটাই, তার বৃত্তাম্ভ আমি সম্যক অবগত আছি ৷ আবার সে এক পথ
ধরল ৷ চলতে চলতে সে যখন দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থলে পৌছল, তখন সেখানে সে
এক সম্প্রদায়কে পেল যারা তার কথা একেবারেই বুঝতে পন্রছিল না ৷ তারা বলল, হে
যুলশ্কারনায়না ইয়াজুজ ও মাজুজ পৃথিবীতে অশাস্তি সৃষ্টি করছে; আমরা কি তোমাকে কর দিব
এই শর্তে যে, তুমি আমাদের ও তাদের মধ্যে এক প্রাচীর গড়ে দিবাে’ সে বলল, আমার
প্ৰতিপালক আমাকে যে ক্ষম৩া দিয়েছেন তা ই উৎকৃষ্ট; সুরু;রাহু তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে
সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যস্থলে এক মজবৃত প্রাচীর গড়ে দিব ৷ তোমরা
আমার নিকট লৌহ পিণ্ডসমুহ আনয়নকর, অতঃপর মধ্যবর্তী ফাকা স্থান পুর্ণ হয়ে যখন
লৌহন্তুপ দুই পর্বতের সমান হল তখন সে বলল তে তামরা হাপরে দম দিতে থাক ৷ যখন তা
আগুনের মত উত্তপ্ত হল, তখন সে বলল, তোমরা গলিত তামা আনয়ন কর, আমি তা ঢেলে
দিই এর উপর ৷ এরপর তারা তা’ অতিক্রম করতে পারল না বা ভেদ করতেও পারল না ৷ সে
বলল, এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ ৷ যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পুর্ণ হবে তখন
এটাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেবেন এবং আমার প্ৰতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য ৷ (১৮ কাহ্ফ :
৮৩ ৯৮)

আল্লাহ এখানে যুল-কারনায়নের বর্ণনা দিয়েছেন ৷ তাকে তিনি ন্যায়-পরায়ণ বলে প্রশংসা
করেছেন ৷ প্রাচ্য ও প্রভীচ্যের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তিনি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন ৷ সমস্ত
ভু খণ্ডের উপর তিনি বিজয় লাভ করেছিলেন ৷ সকল দেশের অধিবাসীরা তার আনুগত তাীকার
করেছিল ৷ তাদের মধ্যে তিনি পুর্ণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ৷ বন্তুত তিনি আল্লাহর
সাহায্যপ্ৰাপ্ত এক সফল ও বিজয়ী বীর এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী বাদশাহ্ ৷ তার সম্পর্কে বিশুদ্ধ
কথা হল, তিনি একজন ন্যায়-পরায়ণ বাদশাহ ৷ অবশ্য কারো কারো মতে, তিনি নবী, কারো
কারো মতে, রাসুল ৷ তার সম্পর্কে একটি বিরল মত হচ্ছে, তিনি ছিলেন ফেরেশতা ৷ এই
শেষোক্ত মতটি আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে দ্রুত হয়ে বর্ণিত
হয়েছে ৷ কেননা, হযরত উমর (রা) একদিন শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি অপর একজনকে
বলছে হে যুল-কারনায়ন তখন তিনি বললেন থাম, যে কোন একজন নবীর নামে নাম রাখাই
যথেষ্ট, ফেরেশ৩ার নামে নাম রাখার কী প্রযোজনা সুহায়লী এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷

ওকী’ মুজাহিদের সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
যুল-কারনায়ন নবী ছিলেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ আমি জানি না, তুব্বা বাদশাহ অভিশপ্ত ছিল কি না, আমি


خَبَرُ ذِي الْقَرْنَيْنِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُمْ مِنْهُ ذِكْرًا إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا فَأَتْبَعَ سَبَبًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَاذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَنْ تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَنْ تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا قَالَ أَمَّا مَنْ ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهُ ثُمَّ يُرَدُّ إِلَى رَبِّهِ فَيُعَذِّبُهُ عَذَابًا نُكْرًا وَأَمَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُ جَزَاءً الْحُسْنَى وَسَنَقُولُ لَهُ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَمْ نَجْعَلْ لَهُمْ مِنْ دُونِهَا سِتْرًا كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِنْ دُونِهِمَا قَوْمًا لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا قَالُوا يَاذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا آتُونِي زُبَرَ الْحَدِيدِ حَتَّى إِذَا سَاوَى بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انْفُخُوا حَتَّى إِذَا جَعَلَهُ نَارًا قَالَ آتُونِي أُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا فَمَا اسْطَاعُوا أَنْ يَظْهَرُوهُ وَمَا اسْتَطَاعُوا لَهُ نَقْبًا قَالَ هَذَا رَحْمَةٌ مِنْ رَبِّي فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ رَبِّي جَعَلَهُ دَكَّاءَ وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا} [الكهف: 83] [الْكَهْفِ: 83 - 98] . ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى ذَا الْقَرْنَيْنِ هَذَا، وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِالْعَدْلِ، وَأَنَّهُ بَلَغَ الْمَشَارِقَ وَالْمَغَارِبَ، وَمَلَكَ الْأَقَالِيمَ وَقَهَرَ أَهْلَهَا، وَسَارَ فِيهِمْ بِالْمَعْدَلَةِ التَّامَّةِ، وَالسُّلْطَانِ
পৃষ্ঠা - ১০৪৯
الْمُؤَيَّدِ الْمُظَفَّرِ الْمَنْصُورِ الْقَاهِرِ الْمُقْسِطِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ مَلِكًا مِنَ الْمُلُوكِ الْعَادِلِينَ، وَقِيلَ: كَانَ نَبِيًّا. وَقِيلَ: كَانَ رَسُولًا. وَأَغْرَبَ مَنْ قَالَ: مَلَكًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ. وَقَدْ حُكِيَ هَذَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَإِنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ لِآخَرَ: يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ، فَقَالَ: مَهْ، مَا كَفَاكُمْ أَنْ تَتَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى تَسَمَّيْتُمْ بِأَسْمَاءِ الْمَلَائِكَةِ. ذَكَرَهُ السُّهَيْلِيُّ. وَقَدْ رَوَى وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: كَانَ ذُو الْقَرْنَيْنِ نَبِيًّا. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي نَصْرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمَّادٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا أَدْرِي أَتُبَّعٌ كَانَ لَعِينًا أَمْ لَا، وَلَا أَدْرِي الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لِأَهْلِهَا أَمْ لَا، وَلَا أَدْرِي ذُو الْقَرْنَيْنِ كَانَ نَبِيًّا أَمْ لَا» وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ السَّاجِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ
পৃষ্ঠা - ১০৫০
ষ্ষ্


এটাও জানি না যে, শরয়ী শাস্তি দ্বারা দণ্ডপ্রাপ্তের গুনাহ্ মাফ হবে কি না; আমি জানি না ,
যুল-কারনায়ন নবী ছিলেন কি না ! এ হাদীস উপরোক্ত সনদে গরীব ৷

ইসহাক ইবন বিশ্ব ইবন আব্বাস (না) থেকে বণ্নাি করেন যে, যুল-কারনায়ন
ছিলেন একজন ধার্মিক বাদশাহ ৷ আল্লাহ তার কাজ-কর্মে সন্তুষ্ট ছিলেন নিজ কিভাবে তিনি তার

ৎসা করেছেন ৷ তিনি ছিলেন আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত ৷ হযরত খিযির (আ) ছিলেন তার উযীর ৷
তিনি আরও বলেহ্নেরু যে , খিযির (আ) থাকতেন র্তার সেনাবাহিনীর অগ্রভাপে ৷ বর্তমান কালে
বাদশাহ্র নিকট উযীরের যেই স্থান, যুল-কারনায়নের নিকট হযরত খিযিরের ছিল ঠিক সেইরুপ
উপদেষ্টার মর্যাদা ৷ আযরকী প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে যুল-কারনায়ন হযরত
ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্ (আ)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হযরত ইবরাহীমের সাথে তিনি
ও ইসমাঈল (আ) একত্রে কাবা তাওয়াফ করেন ৷ উবায়দ ইবন উসায়র তার পুত্র আবদুল্লাহ ও
অন্যান্য বর্ণনাকারী বলেছেন যে, যুল-কারনায়ন পদব্রজে হজ্জ পালন করেন ৷ ইব্রাহীম (আ)
র্তার আগমনের সংবাদ পেয়ে তীর সাথে সাক্ষাত করেন, তাকে দোয়া করেন ও তার উপর
সভুষ্টি প্রকাশ করেন ৷ আল্লাহ যেঘপুঞ্জকে ষুল-কারনায়নের অনুগত করে দিয়েছিলেন ৷ যেখানে
তিনি যেতে চাইতেন মেঘমালা তাকে সেখানে বহন করে নিয়ে যেত ৷

যুল-কারনায়ন নামকরণের ব্যাপারে ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন ৷ কারও
মতে, তার মাথায় দুইটি শিং-এর মত ছিল এ কারণে তাকে যুল-কারনায়নঃ (দুই শিৎওয়ালা)
বলা হয়েছে ৷ ওহব ইবন মুনাব্বিহ বলেন, তীর মাথায় তামার দুইটি শিং ছিল ৷ এটা দুর্বল মত ৷
কোন কোন আহলি-কিতড়াব বলেছেন, যেহেতু তিনি রোম ও পারস্য এই উভয় সাম্রাজেক্লর সম্রাট
ছিলেন তাই র্তাকে এরুপ উপাধি দেয়া হয়েছে ৷ কেউ বলেন, যেহেতু তিনি সুর্যের দুই প্রান্ত পুর্ব
ও পশ্চিম এবং এর মধ্যবর্তী সমস্ত জায়গার একচ্ছত্র বাদশাহ ছিলেন, তাই তাকে এই নামে
ভুষিত করা হয়েছে ৷ এই ব্যাখ্যা ইমাম যুহরীর এবং অন্যান্য মতের তুলনায় এ মতটিই অধিক
গ্রহণযোগ্য ৷ হাসান বসরী বলেন, তার মাথার চুলের দু’টি উচু ঝুকি ছিল যার কারণে তাকে এই
নাম দেয়া হয় ৷ ইসহাক ইবন বিশর শুআয়রের পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক
পরাক্রমশালী বাদশাহকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন ৷ এতে যে তার একটি শিং-এর উপর
আঘাত করে ভেৎগে চুরমার করে দেয় ৷ এ ঘটনার পর থেকে তাকে যুল-কারনায়ন বলে
আখ্যায়িত করা হয় ৷ ইমাম ছাওরী আলী ইবন আবি তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
জনৈক ব্যক্তি হযরত আলী (রা)-কে যুল-কারনায়ন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
যুল-কারনায়ন আল্লাহর এক সৎ বান্দা ৷ আল্লাহ র্তাকে উপদেশ দেন ৷ তিনি উপদেশ কবৃল
করেন ৷ তিনি তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন ৷ র্তারা তার একটি সিং এর উপর
সজােরে আঘাত করে ৷ ফলে তিনি মারা যান ৷ আল্লাহ র্তাকে জীবিত করেন ৷ আবারও তিনি
তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেন ৷ তখন তারা তার অপর সিং এর উপর আঘাত
করে ৷ এ আঘাতেও তিনি মারা যান ৷ এখান থেকে তাকে যুল-কারনায়ন বলা হয়ে থাকে ৷ শুবা
আল-কাসিমও হযরত আলী (বা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আবৃত তুফায়ল হযরত
আলী (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন, যুল-কারনায়ন নবী, রাসুল বা ফেরেশতা কােনটিই ছিলেন
না ৷ তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান ব্যক্তি ৷


ذُو الْقَرْنَيْنِ مَلِكًا صَالِحًا، رَضِيَ اللَّهُ عَمَلَهُ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي كِتَابِهِ، وَكَانَ مَنْصُورًا، وَكَانَ الْخَضِرُ وَزِيرَهُ. وَذَكَرَ أَنَّ الْخَضِرَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ عَلَى مُقَدَّمَةِ جَيْشِهِ وَكَانَ عِنْدَهُ بِمَنْزِلَةِ الْمُشَاوِرِ، الَّذِي هُوَ مِنَ الْمَلِكِ بِمَنْزِلَةِ الْوَزِيرِ فِي إِصْلَاحِ النَّاسِ الْيَوْمَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْأَزْرَقِيُّ وَغَيْرُهُ، أَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، وَطَافَ مَعَهُ بِالْكَعْبَةِ الْمُكَرَّمَةِ هُوَ وَإِسْمَاعِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَرُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ وَغَيْرِهِمَا، أَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ حَجَّ مَاشِيًا، وَأَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا سَمِعَ بِقُدُومِهِ تَلَقَّاهُ وَدَعَا لَهُ وَرَضَّاهُ، وَأَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لِذِي الْقَرْنَيْنِ السَّحَابَ يَحْمِلُهُ حَيْثُ أَرَادَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَاخْتَلَفُوا فِي السَّبَبِ الَّذِي سُمِّيَ بِهِ ذَا الْقَرْنَيْنِ ; فَقِيلَ: لِأَنَّهُ كَانَ لَهُ فِي رَأْسِهِ شِبْهُ الْقَرْنَيْنِ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: كَانَ لَهُ قَرْنَانِ مِنْ نُحَاسٍ فِي رَأْسِهِ. وَهَذَا ضَعِيفٌ. وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْكِتَابِ: لِأَنَّهُ مَلَكَ فَارِسَ وَالرُّومَ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ بَلَغَ قَرْنَيِ الشَّمْسِ غَرْبًا وَشَرْقًا، وَمَلَكَ مَا بَيْنَهُمَا مِنَ الْأَرْضِ. وَهَذَا أَشْبَهُ مِنْ غَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ الزُّهْرِيِّ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: كَانَتْ لَهُ غَدِيرَتَانِ مِنْ شَعْرٍ يَطَأُ فِيهِمَا ; فَسُمِّيَ ذَا الْقَرْنَيْنِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ،
পৃষ্ঠা - ১০৫১
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادِ بْنِ سَمْعَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ قَالَ: دَعَا مَلِكًا جَبَّارًا إِلَى اللَّهِ فَضَرَبَهُ عَلَى قَرْنِهِ فَكَسَرَهُ وَرَضَّهُ، ثُمَّ دَعَاهُ فَدَقَّ قَرْنَهُ الثَّانِيَ، فَكَسَرَهُ، فَسُمِّيَ ذَا الْقَرْنَيْنِ. وَرَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ فَقَالَ: كَانَ عَبْدًا نَاصَحَ اللَّهَ فَنَاصَحَهُ، دَعَا قَوْمَهُ إِلَى اللَّهِ فَضَرَبُوهُ عَلَى قَرْنِهِ فَمَاتَ، فَأَحْيَاهُ اللَّهُ فَدَعَا قَوْمَهُ إِلَى اللَّهِ فَضَرَبُوهُ عَلَى قَرْنِهِ الْآخَرِ فَمَاتَ، فَسُمِّيَ ذَا الْقَرْنَيْنِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ شُعْبَةُ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي بَزَّةَ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ عَلِيٍّ بِهِ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا وَلَا رَسُولًا وَلَا مَلَكًا، وَلَكِنْ كَانَ عَبْدًا صَالِحًا. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ ; فَرَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ اسْمُهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الضَّحَّاكِ بْنِ مَعْدٍ. وَقِيلَ: مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قِنانَ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَزْدِ بْنِ غَوْثِ بْنِ نَبْتِ بْنِ مَالِكِ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانَ بْنِ سَبَأِ بْنِ قَحْطَانَ.
পৃষ্ঠা - ১০৫২
ষ্ষ্


যুল-কারনায়নের আসল নাম কি ছিল সে ব্যাপারে বিভিন্ন রকম বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ যুবায়র
ইবন বাক্কার ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, র্তরে নাম আবদুল্লাহ ইবন যাহ্হাক
ইবন মাআদ ৷ কারও বর্ণনা মতে, মুসআব ইবন আবদুল্লাহ ইবন কিনান ইবন মানসুর ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আঘৃদ ইবন আওন ইবন নাবাত ইবন মালিক ইবন যায়দ ইবন কাহলান ইবন
সাব৷ ইবন কাহ্তান ৷

একটি হাদীসের বর্ণনায় আছে যে, যুল-কারনায়ন হিমৃয়ার গোত্রভুক্ত ছিলেন ৷ তার মা
ছিলেন রোম দেশীয় ৷ প্রখর জ্ঞানের অধিকারী হওয়ায় যুল-কারনায়নকে ইবনুল ফায়লাসুফ বা
মহাবিজ্ঞানী হলা হতো ৷ হিমৃয়ার গোত্রের জনৈক কবি তাদের পুর্ব পুরুষ যুল কারনায়নের

ৎসায় নিম্নরুপ গৌরবপাথা লিখেন০ :

fl ’ :

মোঃ স্


০ ’ : এ : : :


অর্থ৪ যুল-কারনায়ন ছিলেন আমার পিতামহ, মুসলমান ও এমন এক বাদশাহ ৷ অন্যান্য
রাজন্যবর্গ তীর বশ্যতা স্বীকার করে ও তার নিকট আত্মসমপণ করেন ৷ তিনি অভিযানের পর
অভিযান পরিচালনা করে পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম প্রা ও পর্যন্ত পৌছেন এবং মহাজ্ঞানী পথপ্ৰদর্শক
আল্লাহর প্রদত্ত উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করেন ৷ পশ্চিমে সুর্যের অস্তাচলে গিয়ে সেখানে সুর্যকে
এক কর্দমাক্ত কাল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখেন ৷ তার পরে আসেন সম্রাজী বিলকীস ৷ তিনি
ছিলেন আমার ফুফু ৷ বিশাল রাজ্যের অধিকারী হন তিনি ৷ সুলড়ায়মানের হুদৃহুদু পাখীর আগমন
পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত প্রতাপের সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন ৷ ’

সুহায়লী লিখেছেন, কেউ কেউ তার নাম বলেছেন মাবৃযুবান ইবন মারযুব৷ ৷ ইবন হিশাম এ

কথা উল্লেখ করেছেন ৷৩ তবে তিনি অন্যত্র যুল-কড়ারনায়নের নাম লিখেছেনঃঅ আসে না ব ইবন
যী-মারাইদ ৷ তুবব৷ বং শের ইনিই প্রথম বাদশাহ ৷ বীরুনৃ সাবা র ঘটনায় তিনি ইররাহীমের
পক্ষে ফয়সালা দিয়েছিলেন ৷ কেউ বলেছেন, যুল-কারনায়নের নাম আফরীদুন ইবন
আসফিয়ান-যিনি যাহ্হড়াককে হত্যা করেছিলেন ৷ আরবের বাশ্মী পুরুষ কুস তার এক ভাষণে
বলেছিলেন : হে আয়াদ ইবন সাব যুল-কারনায়নের বংশধর ৷ তোমাদের পুর্বপুরুষ
যুল-কারনায়ন যিনি পুর্ব ও পশ্চিমের বাদশাহ, জিন ও ইনসানের উপর ক্ষমতা প্ৰয়োগকারী এবং
দু’হাজার বছর যার বয়স ৷ এ সত্বেও তা যেন ছিল এক লহ্মার মত ৷ এ কথা উল্লেখ করার পর
ইবন হিশাম করি আশার নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :


“অতঃপর সাব যুল-কারনায়ন মাটির নীচে কবরের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ীভারে অবস্থান গ্রহণ
করেন এবং সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় তার সুবাস নিতে থাকেন ৷ ”
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৬-

ণোণোণো(হ্রাশ্রোা৪গাে০ওোড়া

وَقَدْ جَاءَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهُ كَانَ مِنْ حِمْيَرٍ، وَأُمُّهُ رُومِيَّةٌ، وَأَنَّهُ كَانَ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ الْفَيْلَسُوفِ ; لِعَقْلِهِ. وَقَدْ أَنْشَدَ بَعْضُ الْحِمْيَرِيِّينَ فِي ذَلِكَ شِعْرًا يَفْخَرُ بِكَوْنِهِ أَحَدَ أَجْدَادِهِ فَقَالَ: قَدْ كَانَ ذُو الْقَرْنَيْنِ جَدِّيَ مُسْلِمًا ... مَلِكًا تَدِينُ لَهُ الْمُلُوكُ وَتَحْشُدُ بَلَغَ الْمَشَارِقَ وَالْمَغَارِبَ يَبْتَغِي ... أَسْبَابَ أَمْرٍ مِنْ حَكِيمٍ مُرْشِدِ فَرَأَى مَغِيبَ الشَّمْسِ عِنْدَ غُرُوبِهَا ... فِي عَيْنِ ذِي خُلُبٍ وَثَأْطٍ حَرْمَدِ مِنْ بَعْدِهِ بَلْقِيسُ كَانَتْ عَمَّتِي ... مَلَكَتْهُمُ حَتَّى أَتَاهَا الْهُدْهُدُ قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقِيلَ: كَانَ اسْمُهُ مَرْزَبَى بْنَ مَرْذَبَةَ، ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ، وَذَكَرَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ أَنَّ اسْمَهُ الصَّعْبُ بْنُ ذِي مَرَاثِدَ. وَهُوَ أَوَّلُ التَّبَابِعَةِ، وَهُوَ الَّذِي حَكَمَ لِإِبْرَاهِيمَ فِي بِئْرِ السَّبْعِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ أَفْرِيدُونُ
পৃষ্ঠা - ১০৫৩
ষ্ষ্


ইমাম দারাকুত্নী ও ইবন মাকুলা বলেছেন, যুল-কারনায়নের নাম হুরমুস ৷ র্তাকে বলা হত
হারবীস ইবন কায়তুন ইবন রামী ইবন লানৃতী ইবন কাশলুখীন ইবন ইউনান ইবন ইয়াফিছ
ইবন নু২ (আ) ৷ ইসহাক ইবন বিশ্ব কাতাদা (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, বাদশাহ
ইস্কান্দর (আলেকজাণ্ডার)-ই হলেন যুল-কারনায়ন ৷ তার পিতা ছিলেন প্রথম কায়সার (রোম
সম্রাট) ৷ ইনি নাম ইবন নুহ (আ) এর বংশধর ৷ আর দ্বিতীয় যুল--কারনায়ন হচ্ছেন ইস্কানদার
ইবন ফিলিপস ইবন মুসবীম ইবন হুরযুস ইবন মড়ায়তুন ইবন রুমী ইবন লানৃতী ইবন ইউনান
ইবন ইয়াফিছ ইবন য়ুনাহ ইবন শারথুন ইবন রুমাহ্ ইবন শারফত ইবন তাওফীল ইবন রুমী
ইবন আসফার ইবন ইয়াকিয ইবন ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইররাহীম আল-খালীল (আ) ৷
হাফিজ ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে এই নসরনাম৷ উল্লেখ করেছেন ৷ যুল-কারনায়ন
আল-মাকদুনী আল-ইউনানী আল মিসরী আলেকজাদ্রিয়া নগরীর প্রতিষ্ঠাতা, যিনি স্বীয়
শাসনামলে রোমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন ৷ প্রথম যুল-কারনায়ন থেকে এই দ্বিতীয়
যুল-কারনায়ন দীর্ঘকাল পরে হযরত ঈসা (আ)-এর তিনশ’ বছর পুর্বে জন্মগ্রহণ করেন ৷
দার্শনিক এরিক্টটল ছিলেন তীর উষীর ৷ তিনি দারার পুত্র দারাকে হত্যা করেন এবং পারস্য
সাম্রাজ্যকে পদানত করেন ৷ আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করলাম এজন্যে যে,
অনেকেই উভয় ইস্কান্দারকে অভিন্ন ব্যক্তি মনে করেন ৷ ফলে তারা এ বিশ্বাস করেন যে ,
কুরআনে যে যুল-কারনায়নের কথা বলা হয়েছে ভীরই উষীর ছিলেন এরিক্টটল ৷ এ বিশ্বাসের
ফলে বিরাট ভুল ও জটিলতার সৃষ্টি হয় ৷ কেননা প্রথম যুল-কারনায়ন ছিলেন মৃমিন সৎ,
আল্লাহভক্ত ও ন্যায়-পরায়ণ বাদশাহ ৷ হযরত খিযির (আ) তার উষীর ৷ অনেকের মতে , তিনি
ছিলেন নবী ৷

পক্ষাম্ভরে দ্বিতীয় যুল্ল-কারনায়ন ছিল ঘুশরিক ৷ তার উষীর একজন দার্শনিক ৷ তাছাড়া এ
দুজনের মধ্যে দু’হজাের বছরের চাইতেও অধিক সময়ের ব্যবধান ৷ সুতরাং কোথায় এর
অবস্থান, আর কোথায় তার অবস্থান ৷ উভয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান, কোনই সামঞ্জস্য নেই ৷
অজ্ঞ ও নির্বোধ লোকেরইি দৃ’জনকে এক বলে ভাবতে পারে ৷ এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহর বাণী :
“ওরা তোমাকে যুল-কারনায়ন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে ৷ এর কারণ হচ্ছে ? কতিপয় কুরায়শের
কাফিরপণ ইহুদীদের কাছে গিয়ে বলে, তোমরা আমাদেরকে এমন কিছু কথা বলে দাও, যে
বিষয়ে আমরা মুহাম্মদ (না)-এর জ্ঞান পরীক্ষা করতে পারি ৷ ইহুদীরা এদেরকে শিখিয়ে দিল যে,
তোমরা তাকে এমন এক ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস কর, যে সমগ্র ভু-খণ্ড বিচরণ করেছে ৷ আর
কতিপয় ষুরকের পরিচয় জিজ্ঞেস কর, যারা তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে
গিয়েছিল, যাদের পরিণতি সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না ৷ কুরায়শরা ফিরে এসে রাসৃলুল্লাহ
(না)-কে এ প্রশ্ন করলে আল্লাহ তাআলা আসহাবে কাহ্ফ ও যুল-কারনায়নের ঘটনা সম্বলিত
আয়াতসমুহ নাযিল করেন ৷

আল্লাহ বলেনৰু “বল, আমি শীঘ্রই তােযাদেরকে এ বিষয়ে জানার ৷ অর্থাৎ এদের বচ্নাি ও
অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ৷ আয়াতে উল্লেখিত ৷ )ও ১ অর্থ৪ তার পরিচয়ের জন্যে যেটুকু
প্রয়োজন ও কল্যাণকর ততটুকু বলা হবে ৷ অতঃপর আল্লাহ বলেন : আমি তাকে পৃথিবীতে


بْنُ أَسْفِيَانَ، الَّذِي قَتَلَ الضَّحَّاكَ. وَفِي خُطْبَةِ قَسٍّ: يَا مَعْشَرَ إِيَادٍ، أَيْنَ الصَّعْبُ ذُو الْقَرْنَيْنِ، مَلَكَ الْخَافِقَيْنِ، وَأَذَلَّ الثَّقَلَيْنِ، وَعَمَّرَ أَلْفَيْنِ، ثُمَّ كَانَ كَلَحْظَةِ عَيْنٍ، ثُمَّ أَنْشَدَ ابْنُ هِشَامٍ لِلْأَعْشَى: وَالصَّعْبُ ذُو الْقَرْنَيْنِ أَصْبَحَ ثَاوِيًا ... بِالْحِنْوِ فِي جَدَثٍ أُمَيْمَ مقُيِمِ وَذَكَرَ الدَّارَقُطْنِيُّ وَابْنُ مَاكُولَا أَنَّ اسْمَهُ هَرْمَسُ. وَيُقَالُ: هَرْدِيسُ بْنُ فَيَطْوُنَ بْنِ رُومِيِّ بْنِ لَنْطِيِّ بْنِ كَسْلُوجِينَ بْنِ يُونَانَ بْنِ يَافِثَ بْنِ نُوحٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: إِسْكَنْدَرُ هُوَ ذُو الْقَرْنَيْنِ وَأَبُوهُ أَوَّلُ الْقَيَاصِرَةِ، وَكَانَ مِنْ وَلَدِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَأَمَّا ذُو الْقَرْنَيْنِ الثَّانِي فَهُوَ إِسْكَنْدَرُ بْنُ فِيلَيبْسَ بْنِ مَضْرِيمَ بْنِ هَرْمَسَ بْنِ هَرْدَسَ بْنِ مَيْطُونَ بْنِ رُومِيِّ بْنِ لَنْطِيِّ بْنِ يُونَانَ بْنِ يَافِثَ بْنِ نُونَةَ بْنِ سَرْحُونَ بْنِ رُومَةَ بْنِ ثَرْنَطَ بْنِ تَوْفِيلَ بْنِ رُومِيِّ بْنِ الْأَصْفَرِ بْنِ الْيَفَزَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ১০৫৪
الْعِيصَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. كَذَا نَسَبَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " الْمَقْدُونِيُّ الْيُونَانِيُّ الْمِصْرِيُّ، بَانِي إِسْكَنْدَرِيَّةَ، الَّذِي يُؤَرِّخُ بِأَيَّامِهِ الرُّومُ، وَكَانَ مُتَأَخِّرًا عَنِ الْأَوَّلِ بِدَهْرٍ طَوِيلٍ، كَانَ هَذَا قَبْلَ الْمَسِيحِ بِنَحْوٍ مَنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، وَكَانَ أَرِسْطَاطَالِيسُ الْفَيْلَسُوفُ وَزِيرَهُ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ دَارَا بْنَ دَارَا، وَأَذَلَّ مُلُوكَ الْفُرْسِ وَأَوْطَأَ أَرْضَهُمْ. وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَيْهِ ; لِأَنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ يَعْتَقِدُ أَنَّهُمَا وَاحِدٌ، وَأَنَّ الْمَذْكُورَ فِي الْقُرْآنِ هُوَ الَّذِي كَانَ أَرِسْطَاطَالِيسُ وَزِيرَهُ، فَيَقَعُ بِسَبَبِ ذَلِكَ خَطَأٌ كَبِيرٌ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ طَوِيلٌ كَثِيرٌ، فَإِنَّ الْأَوَّلَ كَانَ عَبْدًا مُؤْمِنًا صَالِحًا وَمَلِكًا عَادِلًا، وَكَانَ وَزِيرُهُ الْخَضِرَ، وَقَدْ كَانَ نَبِيًّا عَلَى مَا قَرَّرْنَاهُ قَبْلَ هَذَا. وَأَمَّا الثَّانِي، فَكَانَ مُشْرِكًا، وَكَانَ وَزِيرُهُ فَيْلَسُوفًا، وَقَدْ كَانَ بَيْنَ زَمَانَيْهِمَا أَزْيَدُ مِنْ أَلْفَيْ سَنَةٍ. فَأَيْنَ هَذَا مِنْ هَذَا، لَا يَسْتَوِيَانِ وَلَا يَشْتَبِهَانِ، إِلَّا عَلَى غَبِيٍّ لَا يَعْرِفُ حَقَائِقَ الْأُمُورِ. قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ} [الكهف: 83] . كَانَ سَبَبُهُ أَنَّ قُرَيْشًا سَأَلُوا الْيَهُودَ عَنْ شَيْءٍ يَمْتَحِنُونَ بِهِ عِلْمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا لَهُمْ: سَلُوهُ عَنْ رَجُلٍ طَوَّافٍ فِي الْأَرْضِ، وَعَنْ فِتْيَةٍ خَرَجُوا لَا يُدْرَى مَا فَعَلُوا. فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى قِصَّةَ أَصْحَابِ الْكَهْفِ وَقِصَّةَ ذِي الْقَرْنَيْنِ. وَلِهَذَا قَالَ: {قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُمْ مِنْهُ ذِكْرًا} [الكهف: 83] أَيْ مِنْ خَبَرِهِ وَشَأْنِهِ
পৃষ্ঠা - ১০৫৫
ষ্ষ্


কর্তৃতৃ দিয়েছিলাম ও প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণদ দান করেছিলাম ৷ অর্থাৎ তাকে বিরাট
রাজতু দিয়েছিলাম এবং রাইের এমন সব উপায়-উপকরণ ৷তার করায়ত্ত করে দিয়েছিলাম যার
সাহায্যে সে বিরাট বিরাট কাজ সমাধা করতে ও বড় বড় উদ্দেশ্য পুরণ করতে পারতো ৷
কুতায়বা হাবীব ইবন৷ হ ৷ম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ হাবীব বলেন, আমি হযরত আলী ইবন
আবি তালিবের কাছে বসা ছিলাম ৷ এমন সময় এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করল, যুল কারনায়ন
কী উপায়ে পৃথিবীর পুর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত পৌছতে পারলেন? হযরত আলী (বা)
বললেন, যেঘমালাকে তার অনুগত করে দেয়া হয়েছিল, সকল উপকরণ তার হন্তপত করা
হয়েছিল এবং তার জন্যে আলো বিচ্ছুরিত করা হয়েছিল ৷ এ পর্যন্ত বলে জিজ্ঞেস করলেন,
আরও বলা লাগবে না কি? শুনে লোকটি চুপে হয়ে গেল, আর হযরত আলী (বা)ও থেমে
গেলেন ৷ আবু ইসহাক সাবীয়ী মুঅড়াবিয়৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন, সমগ্র পৃথিবীর বাদশাহী
করেছেন চারজন ও (১) সুলায়মান ইবন দাউদ (আ), ৷ ২) ষুল-কারনায়ন ( ৩) হুলপুওয়ানের
জনৈক অধিবাসী (৪) অন্য একজন ৷ জিজ্ঞেস করা হল, তিনি কি থিযিরন্ বললেন, না ৷
যুবায়র ইবন বাক্কার সুফিয়ান ছাওরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন, সমগ্র পৃথিবীতে

রাজতু করেছেন এমন বাদশাহ ছিলেন চারজন, দুইজন মুমিন ( ১ ) নবী সুলায়মান (২)
যুল-কারনায়ন এবং দুইজন কাফির ৷ (৩) নমরুদ ও ( : ) বুখৃত নসর ৷ সাঈদ ইবন বশীরও
এইরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইসহাক ইবন বিশ্ব হাসন বসরী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে
নমরুদের পরে যুল-কারনায়ন বাদশাহ হন ৷ তিনি একজন র্থীটি-নেককার মুসলমান ছিলেন ৷
তিনি প্রাচ্য ও প্ৰতীচ্যে অভিযান চালান ৷ আল্লাহ তার আযু বাড়িয়ে দেন ও তাকে সাহায্য
করেন ৷ ফলে সমস্ত জনপদ তিনি নিজের অধীনে আনেন, ধন-রতু করায়তু করেন, দেশের পর
দেশ জয় করেন এবং বহু কাফির নিধন করেন ৷ তিনি বিভিন্ন জনপদ, শহর ও কিল্লা অতিক্রম
করে চলতে চলতে পৃথিবীর পুর্ব সীমান্তে ও পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত পৌছে যান ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্
বলেন০ ং “তারা তোমাকে যুল-কারনড়ায়ন সম্পর্কেজিজ্ঞেস করে ৷ বল, আমি তোমাদের কাছে

তার কিছু অবস্থা বর্ণনা করব ৷ আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্ৰতেকে
বিষয়ের কার্যোপকরণদ ৷ন করেছিলাম ৷” অর্থাৎ উপায় উপকরণ ৷অন্বেষণের জ্ঞান দান
করেছিলাম ৷

ঐতিহাসিক ইসহাক লিখেছেন, মুকাতিল বলেন যে, যুল-কারনায়ন দেশের পর দেশ জয়
করেন, ধ্নরত্ন সংগ্রহ করেন এবং যারা তার দীন গ্রহণ করত ও তা অনুসরণ করত তাদেরকে
ছেড়ে দিতেন, অন্যথায় হত্যা করতেন ৷ আমি তাকে
প্রতেদ্রক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দিয়েছিলাম ৷ এ আয়াতে ৷; এর অর্থ ইবন আব্বাস
মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র, ইকবিমা, উবায়দ ইবন ইয়া লা, সুদ্দী, ক তোলা ও যাহহ ক এর
মতে ইলম বা জ্ঞান ৷ কা৩ ৷দ৷ ও মাতা আল ওয়াররাকের মতে, ভু পৃষ্ঠের বিভিন্ন নিদর্শন
অবস্থান, অবস্থা ও প্রকৃতি ৷ আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলামের মতে, বিভিন্ন ভাষার
জ্ঞান ৷ কেননা, যুল কারনায়ন যে জ বিব বিরুদ্ধেই লড়াই করতে ন সেই জ বিব ভাষায় তাদের

সাথে কথা বলতেন ৷ কিন্তু এর সঠিক অর্থ এই যে, এমন প্রতিটি উপকরণই এর অন্তর্ভুক্ত যার


{ذِكْرًا} [الكهف: 70] أَيْ خَبَرًا نَافِعًا كَافِيًا فِي تَعْرِيفِ أَمَرِهِ وَشَرْحِ حَالِهِ. فَقَالَ: {إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا} [الكهف: 84] أَيْ: وَسَّعْنَا مَمْلَكَتَهُ فِي الْبِلَادِ وَأَعْطَيْنَاهُ مِنْ آلَاتِ الْمَمْلَكَةِ مَا يَسْتَعِينُ بِهِ عَلَى تَحْصِيلِ مَا يُحَاوِلُهُ مِنَ الْمُهِمَّاتِ الْعَظِيمَةِ وَالْمَقَاصِدِ الْجَسِيمَةِ. قَالَ قُتَيْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ حِمَازٍ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ، كَيْفَ بَلَغَ الْمَشْرِقَ وَالْمَغْرِبَ؟ فَقَالَ: سُخِّرَ لَهُ السَّحَابُ، وَمُدَّتْ لَهُ الْأَسْبَابُ، وَبُسِطَ لَهُ فِي النُّورِ. وَقَالَ: أَزِيدُكَ؟ فَسَكَتَ الرَّجُلُ، وَسَكَتَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَعَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْوَادِعِيِّ، سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: مَلَكَ الْأَرْضَ أَرْبَعَةٌ: سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ النَّبِيُّ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَذُو الْقَرْنَيْنِ، وَرَجُلٌ مِنْ أَهْلِ حُلْوَانَ وَرَجُلٌ آخَرُ. فَقِيلَ لَهُ: الْخَضِرُ؟ قَالَ: لَا. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الضَّحَّاكِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّهُ مَلَكَ الْأَرْضَ كُلَّهَا أَرْبَعَةٌ: مُؤْمِنَانِ وَكَافِرَانِ ; سُلَيْمَانُ النَّبِيُّ، وَذُو الْقَرْنَيْنِ، وَنُمْرُودُ، وَبُخْتُ نَصَّرَ. وَهَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، سَوَاءً.
পৃষ্ঠা - ১০৫৬
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: كَانَ ذُو الْقَرْنَيْنِ، مَلَكَ بَعْدَ النَّمْرُودِ وَكَانَ مِنْ قِصَّتِهِ أَنَّهُ كَانَ رَجُلًا مُسْلِمًا صَالِحًا أَتَى الْمَشْرِقَ وَالْمَغْرِبَ، مَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْأَجَلِ وَنَصَرَهُ، حَتَّى قَهَرَ الْبِلَادَ وَاحْتَوَى عَلَى الْأَمْوَالِ، وَفَتَحَ الْمَدَائِنَ وَقَتَلَ الرِّجَالَ وَجَالَ فِي الْبِلَادِ وَالْقِلَاعِ، فَسَارَ حَتَّى أَتَى الْمَشْرِقَ وَالْمَغْرِبَ، فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُمْ مِنْهُ ذِكْرًا} [الكهف: 83] أَيْ: خَبَرًا {إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا} [الكهف: 84] أَيْ: عِلْمًا بِطَلَبِ أَسْبَابِ الْمَنَازِلِ. قَالَ إِسْحَاقُ: وَزَعَمَ مُقَاتِلٌ أَنَّهُ كَانَ يَفْتَحُ الْمَدَائِنَ وَيَجْمَعُ الْكُنُوزَ، فَمَنِ اتَّبَعَهُ عَلَى دِينِهِ وَتَابَعَهُ عَلَيْهِ، وَإِلَّا قَتَلَهُ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَعِكْرِمَةُ، وَعُبَيْدُ بْنُ يَعْلَى، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ {وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا} [الكهف: 84] يَعْنِي عِلْمًا. وَقَالَ قَتَادَةُ، وَمَطَرٌ الْوَرَّاقُ: مَعَالِمُ الْأَرْضِ وَمَنَازِلُهَا وَأَعْلَامُهَا وَآثَارُهَا. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ: يَعْنِي تَعْلِيمَ الْأَلْسِنَةِ، كَانَ لَا يَغْزُو قَوْمًا إِلَّا حَدَّثَهُمْ بِلُغَتِهِمْ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ يَعُمُّ كُلَّ سَبَبٍ يَتَوَصَّلُ بِهِ إِلَى نَيْلِ مَقْصُودِهِ فِي الْمَمْلَكَةِ وَغَيْرِهَا; فَإِنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ إِقْلِيمٍ مِنَ الْأَمْتِعَةِ وَالْمَطَاعِمِ وَالزَّادِ مَا يَكْفِيهِ وَيُعِينُهُ عَلَى أَهْلِ الْإِقْلِيمِ الْآخَرِ. وَذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ مَكَثَ أَلْفًا وَسِتَّمِائَةِ سَنَةٍ يَجُوبُ الْأَرْضَ،
পৃষ্ঠা - ১০৫৭
ষ্ষ্


সাহায্যে তিনি রাভৈষ্ট্রর মধ্যে ও বাইরে নিজ উদ্দেশ্য পুরণের জন্যে ব্যবহার করতেন ৷ কারণ,
তিনি প্রতিটি বিজিত দেশ থেকে প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ, খাদ্য-সামগ্রী ও পাখেয় গ্রহণ
করতেন-যা তার কাজে লাগত এবং অন্য দেশ জয়ের জন্যে সহায়ক হত ৷

কোন কোন অড়াহলি কিতাব উল্লেখ করেছেন, যুল-কারনড়ায়ন এক হাজার ছয় শ’ বছর আযু
পেয়েছিলেন ৷ তিনি গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করেন এবং মানুষকে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে
থাকেন ৷ কিন্তু তার বয়সকাল সম্পর্কে যে সব মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে, তাতে সন্দেহের
অবকাশ আছে ৷ “আমি তাকে প্রতোক বিষয়ের উপায়উপকরণ দিয়েছিলাম এ আয়াত
সম্পর্কে বায়হাকী ও ইবন আসাকির এক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সে হাদীসটি অত্যন্ত
মুনকার পর্যায়ের ৷ ঐ হাদীসের জনৈক রাবী মুহাম্মদ ইবন ইউনুসের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারিতার
অভিযোগ রয়েছে ৷ এ কারণে আমরা এখানে যে হাদীস উল্লেখ করলাম না ৷ আল্লাহর বাণী৪
“অতঃপর সে এক পথ অবলম্বন করল ৷ চলতে চলতে সে যখন সৃাহ ৷র অস্তগমন স্থলে পৌছল ৷
অর্থাৎ চলতে চলতে পৃথিবীর পশ্চিম দিকে এমন এক স্থানে গিয়ে <;পীছলেন, যে স্থান অতিক্রম
করা কারও পক্ষে সম্ভব নয় ৷ এখানে এসে তিনি থেমে যান ৷ এই স্থানটি হল পশ্চিম আটলান্টিক
মহাসাগরের উপকুল ৷ এর মধ্যে ছিল কত গুলো দ্বীপ ৷ দ্বীপগুলােকে আরবীতে খালিদাত দ্বীপপুঞ্জ
বলা হয় ৷

মানচিত্রবিদদের কারও কারও মতে, এই দ্বীপ থেকেই ভু-ভাগ শুরু হয়েছে , কিভু অন্যদের
মতে উক্ত সাগরের উপকুল থেকে ভু পৃষ্ঠের সুচনা যা পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷ যুল ক বনাযন
এখানে দাড়িয়ে সুর্যের অস্তণমন প্রত্যক্ষ করেন ৷ সে সুর্যকে এক পা কিল জলাশয়ে অস্তগমন
করতে (দখল ৷” পংকিল জলাশয় বলতে সাগরকে বৃঝান হয়েছে ৷ কেননা যে ব্যক্তি সাগর
থেকে বা তা ৷র উপকুল থেকে প্র৩ ত্যক্ষ করে সে দেখতে পায় সুর্য যেন সমুদ্রের মধ্য থেকে উদিত
হচ্ছে এবং সমুদ্রের মধ্যে অস্ত যাচ্ছে ৷ এ কার ণে আঘাতের মধ্যে ৮১া এ শব্দ বলা হয়েছে, যার
অর্থ সে দেখতে পেল ৷ একথা বলা হয়নি যে, সুর্য পংকিল জলাশয়ে অস্ত পেল ৷ কাব আল
আহবার বলেছেন মোঃ অর্থ কাল বর্ণের কাদা ৷ ধ্ণ্ ন্ কে কেউ কেউ য়ু ; পড়েছেন ৷
কারও মতে, উভয় ন্ছুাব্দের অর্থ একই অর্থাৎ প্াত্কিল্৷ জলাশয় ৷ আবারন্র্কউ কেউ বলেন

ছু১ অর্থ উষ্ণ ৷ কেননা সুর্যের কিরণ এখানে সােজাসুজি ও ভীর্যকভাবে পতিত ক্রয় ফলে
এখানকার পানি উষ্ণ থাকে ৷ ইমাম আহমদ আবদৃল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার সুর্য অস্ত যাওয়ার সময় সেদিকে তাকড়ালেন এবং বললেন : এটা
আল্লাহর সৃষ্ট এক উষ্ণ অগ্নিপিণ্ড ( এে ৷ ৰু ৷ ! ,ট্রু , দ্বু) ৷ আল্লাহ্র হুকুম দ্বারা যদি বাধা
প্রদান না করা হত তবে ভু পৃষ্ঠের সবকিছু জ্বা ৷লিয়ে পুড়িয়ে দিত ৷ এ হাদীস গরীব পর্যায়ের
সনদে জ্যানক অজ্ঞাত পরিচয় রাবী বলেছেন ৷ হাদীসটি মারফু পর্যায়ের হওয়ার ব্যাপারেও
সন্দেহ আছে ৷ এটা আবদুল্লাহ ইবন আমরের উক্তিও হতে পারে ৷ কেননা, ইয়ারমুকের যুদ্ধে
দুইটি প্রাচীন কিতাবর্ত ৷র হস্তগত হয় ৷ এই কিতাব থেকে তিনি অনেক কথা বর্ণনা করতেন ৷

কোন কোন কাহিনীকার বলেছেন যে, যুল-কারনায়ন সুর্যের অস্তগমন স্থান অতিক্রম করে
সেনাদল সহ দীর্ঘদিন পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে সম্মুখপানে অগ্রসর হয়েছিলেন ৷ তাদের এ কথা
ভুল এবং যুক্তি ও রেওয়ায়ত এর পরিপন্থী ৷


وَيَدْعُو أَهْلَهَا إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَفِي كُلِّ هَذِهِ الْمُدَّةِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ حَدِيثًا مُتَعَلِّقًا بِقَوْلِهِ: {وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا} [الكهف: 84] مُطَوَّلًا جِدًّا، وَهُوَ مُنْكَرٌ جِدًّا. وَفِي إِسْنَادِهِ مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ الْكُدَيْمِيُّ وَهُوَ مُتَّهَمٌ، فَلِهَذَا لَمْ نَكْتُبْهُ لِسُقُوطِهِ عِنْدَنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَوْلُهُ: {فَأَتْبَعَ سَبَبًا} [الكهف: 85] أَيْ: طَرِيقًا {حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ} [الكهف: 86] يَعْنِي مِنَ الْأَرْضِ، انْتَهَى إِلَى حَيْثُ لَا يُمْكِنُ أَحَدًا أَنْ يُجَاوِزَهُ، وَوَقَفَ عَلَى حَافَّةِ الْبَحْرِ الْمُحِيطِ الْغَرْبِيِّ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: أُوقْيَانُوسُ الَّذِي فِيهِ الْجَزَائِرُ الْمُسَمَّاةُ بِالْخَالِدَاتِ، الَّتِي هِيَ مَبْدَأُ الْأَطْوَالِ، عَلَى أَحَدِ قَوْلَيْ أَرْبَابِ الْهَيْئَةِ، وَالثَّانِي مِنْ سَاحِلِ هَذَا الْبَحْرِ كَمَا قَدَّمْنَا. وَعِنْدَهُ شَاهَدَ مَغِيبَ الشَّمْسِ - فِيمَا رَآهُ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مُشَاهَدَتِهِ - {تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ} [الكهف: 86] وَالْمُرَادُ بِهَا الْبَحْرُ فِي نَظَرِهِ، فَإِنَّ مَنْ كَانَ فِي الْبَحْرِ أَوْ عَلَى سَاحِلِهِ يَرَى الشَّمْسَ كَأَنَّهَا تَطْلُعُ مِنَ الْبَحْرِ وَتَغْرُبُ فِيهِ، وَلِهَذَا قَالَ وَجَدَهَا، أَيْ: فِي نَظَرِهِ، وَلَمْ يَقُلْ: فَإِذَا هِيَ تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ. أَيْ: ذَاتِ حَمْأَةٍ. قَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ وَهُوَ الطِّينُ الْأَسْوَدُ. وَقَرَأَهُ بَعْضُهُمْ (حَامِيَةٍ) . فَقِيلَ: يَرْجِعُ إِلَى الْأَوَّلِ. وَقِيلَ: مِنَ الْحَرَارَةِ. وَذَلِكَ مِنْ شِدَّةِ الْمُقَابَلَةِ لِوَهَجِ ضَوْءِ الشَّمْسِ وَشُعَاعِهَا.
পৃষ্ঠা - ১০৫৮
ষ্ষ্


আবে-হায়াতের সন্ধানে যুল-কারনায়ন

ইবন আসাকির ওকী (র) এর সুত্রে যায়নুল আবেদীন থেকে এক দীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ ঘটনার সারমর্ম এই যে, যুল-কারনায়নের সাথে একজন ফেরেশতা থাকতেন ৷ তার
নাম ছিল রানাকীল ৷ একদিন যুল-কারনায়ন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, পৃথিবীতে একটি ঝর্ণা
আছে নাকি, যার নাম আইনুল হায়াত বা সঞ্জীবনী ঝর্ণাত্ন ফেরেশতা ঝর্ণাটির অবস্থান সম্পর্কে
বিস্তারিত জানালেন ৷ যুল-কারনায়ন তার সন্ধানে যাত্রা শুরু করলেন ৷ হযরত খিযির (আ ) কে
তিনি অগ্রবর্তী দলে রাখলেন ৷ যেতে যেতে এক অন্ধকার উপত্যকায় গিয়ে ঝর্ণার সন্ধান
পেলেন ৷ খিযির ঝর্ণার কাছে গিয়ে সেখান থেকে পানি পান করলেন ৷ কিন্তু যুল-কারনায়ন
ঝর্ণার কাছে যেতে পারলেন না ৷ তিনি সেখানে অবস্থিত একটি প্রাসাদে এক ফেরেশতার সাথে
মিলিত হলেন ৷ ফেরেশতা যুল-কারনায়নকে একটি পাথর দান করলেন ৷ পরে তিনি
সেনাবাহিনীর নিকট ফিরে এলে আলিমগণ পাথরটি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি
পাথটিকে ওজন করার জন্য এক পাল্লায় রাখলেন এবং অপর পাল্লায় অনুরুপ এক হাজার পাথর
রাথলেন ৷ কিন্তু ঐ পাথরটির পাল্লা ভারী হল ৷ তখন হয়রত খিযির (আ)-ও পাথরটির রহস্য
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তখন তিনি তার বিপরীত পাল্লায় একটি পাথর উঠিয়ে তার উপর
এক মুষ্টি মাটি ছেড়ে দিলেন ৷ এবার পাল্লাটি ভারী হয়ে গেল ৷ তখন তিনি বললেন, এটা ঠিক
বনী আদমের উপমা যারা কবরের মাটি ছাড়া কোন কিছুতেই তৃপ্ত হয় না ৷ এ দৃশ্য দেখে
আলিমগণ ভক্তিভরে তার প্রতি নত হলেন ৷

এরপর আল্লাহ ঐ এলাকার অধিবসীদের ব্যাপারে ফয়সাল দেন ও “আমি বললাম হে
যুল-কারনায়ন! তুমি এদেরকে শান্তি দিতে পার অথবা এদের ব্যাপার সদয়ভাবে গ্রহণ করতে
পার ৷ সে বলল, যে কেউ সীমালংঘন করবে আমি তাকে শাস্তি দিব, অতঃপর সে তার
প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন হবে এবং তিনি তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন ৷” সুতরাং তার উপর
দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের শাস্তি উভয়টিই কার্যকর হবে ৷ দুনিয়ার শাস্তির কথা আগে বলা
হয়েছে ৷ কেননা, কাফিরদের জন্যে এটা সাবধান ও সতর্কতাস্বরুপ ৷ “তবে যে ঈমান আসে
এবং সৎকর্য করে তার জন্যে প্রতিদানস্বরুপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র
কথা বলব ৷ এখানে অধিক মুল্যবান প্রতিদানের কথা প্রথমে বলা হয়েছে অর্থাৎ-আখিরাতের
পুরস্কার, তারপরে বলা হয়েছে তাদের প্রতি তার অনুগ্নহের কথা, এই অনুগ্রহ হলো ন্যায়-নীতি ,
জ্ঞান ও ঈমান “আবার সে এক পথ ধরল” ৷ অর্থাৎ তিনি পশ্চিম থেকে প্রত্যাবর্তন করে পুর্ব
দিকে যাওয়ার পথ ধরলেন ৷ কথিত আছে, পশ্চিম প্রান্ত থেকে পুর্ব প্রান্তে ফিরে আসতে তার
বার বহ্ব অতিবাহিত হয় ৷ “লেতে চলতে যখন সে সুর্যোদয়ন্থলে পৌছল, তখন সে দেখল তা’
এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হচ্ছে, যাদের জন্যে সুর্যতাপ থেকে কোন অম্ভরাল আমি সৃষ্টি
করি নি ৷ অর্থাৎ তাদের কোন ঘর-বাড়ি জ্জি না এবং সুর্যের তারু ৷ থেকে ৰ্বাচার কোন উপায়
জ্জিণ্না ৷ তবে অনেক আলিম বলেছেন যে, তারা মাটিতে কবরের ন্যায় এক প্রকার সুড়ৎগে
প্রচণ্ড তাপের সময় আশ্রয় নিত ৷ “প্রকৃত ঘটনা এটাই তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি” ৷
অর্থাৎ যুল-কারনায়নের সকল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি অবহিত ৷ আমি তাকে হেফাজত
করেজ্জিমে এবং পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পুর্ব সীমান্ত পর্যন্ত সুদীর্ঘ যাত্রা পথে আমার প্রহর৷ তার
উপর কার্যকর ছিল ৷


وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي مَوْلًى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الشَّمْسِ حِينَ غَابَتْ فَقَالَ: فِي نَارِ اللَّهِ الْحَامِيَةِ، لَوْلَا مَا يَزَعُهَا مِنْ أَمْرِ اللَّهِ لَأَحْرَقَتْ مَا عَلَى الْأَرْضِ» فِيهِ غَرَابَةٌ، وَفِيهِ رَجُلٌ مُبْهَمٌ لَمْ يُسَمَّ، وَرَفْعُهُ فِيهِ نَظَرٌ، وَقَدْ يَكُونُ مَوْقُوفًا مِنْ كَلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، فَإِنَّهُ أَصَابَ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ زَامِلَتَيْنِ مِنْ كُتُبِ الْمُتَقَدِّمِينَ، فَكَانَ يُحَدِّثُ مِنْهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَنْ زَعَمَ مِنَ الْقُصَّاصِ، أَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ جَاوَزَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ، وَصَارَ يَمْشِي بِجُيُوشِهِ فِي ظُلُمَاتٍ مُدَدًا طَوِيلَةً، فَقَدْ أَخْطَأَ، وَأَبْعَدَ النُّجْعَةَ، وَقَالَ مَا يُخَالِفُ الْعَقْلَ وَالنَّقْلَ.