আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

اختلاف أصحاب المسيح عليه السلام بعد رفعه إلى السماء فيه

পৃষ্ঠা - ১০৪৩
[اخْتِلَافُ أَصْحَابِ الْمَسِيحِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ رَفْعِهِ إِلَى السَّمَاءِ فِيهِ] فَصْلُ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ الْمَسِيحِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ - بَعْدَ رَفْعِهِ إِلَى السَّمَاءِ - فِيهِ عَلَى أَقْوَالٍ، كَمَا قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ السَّلَفِ، كَمَا أَوْرَدْنَاهُ عِنْدَ قَوْلِهِ: {فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ} [الصف: 14] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ: قَالَ قَائِلُونَ مِنْهُمْ: كَانَ فِينَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، فَرُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ اللَّهُ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ ابْنُ اللَّهِ. فَالْأَوَّلُ هُوَ الْحَقُّ، وَالْقَوْلَانِ الْآخَرَانِ كُفْرٌ عَظِيمٌ، كَمَا قَالَ: {فَاخْتَلَفَ الْأَحْزَابُ مِنْ بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ مَشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [مريم: 37] . وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي نَقْلِ الْأَنَاجِيلِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَقَاوِيلَ، مَا بَيْنَ زِيَادَةٍ وَنُقْصَانٍ وَتَحْرِيفٍ وَتَبْدِيلٍ، ثُمَّ بَعْدَ الْمَسِيحِ بِثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ حَدَثَتْ فِيهِ الطَّامَّةُ الْعُظْمَى، وَالْبَلِيَّةُ الْكُبْرَى اخْتَلَفَ الْبَطَارِكَةُ الْأَرْبَعَةُ وَجَمِيعُ الْأَسَاقِفَةِ وَالْقَسَاوِسَةُ وَالشَّمَامِسَةُ وَالرَّهَابِينُ فِي الْمَسِيحِ عَلَى أَقْوَالٍ مُتَعَدِّدَةٍ لَا تَنْحَصِرُ وَلَا تَنْضَبِطُ، وَاجْتَمَعُوا وَتَحَاكَمُوا إِلَى الْمَلِكِ قُسْطَنْطِينَ، بَانِي الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَهُمُ الْمَجْمَعُ الْأَوَّلُ، فَصَارَ الْمَلِكُ إِلَى قَوْلِ أَكْثَرِ فِرْقَةٍ اتَّفَقَتْ عَلَى قَوْلٍ مِنْ تِلْكَ الْمَقَالَاتِ، فَسُمُّوا الْمَلَائِكَةَ، وَدَحَضَ مَنْ عَدَاهُمْ، وَأَبْعَدَهُمْ، وَتَفَرَّدَتِ الْفِرْقَةُ التَّابِعَةُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَدْيُوسَ، الَّذِي ثَبَتَ عَلَى أَنَّ عِيسَى عَبْدٌ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، وَرَسُولٌ مِنْ رُسُلِهِ، فَسَكَنُوا الْبَرَارِيَ وَالْبَوَادِيَ، وَبَنَوُا الصَّوَامِعَ
পৃষ্ঠা - ১০৪৪
ষ্ষ্


নিয়ম তথা তাওরাতের বিরোধিতা করা ৷ তারা তাওরাতে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ও হড়ারাম বস্তুকে
হালাল করে নেয়, যেমন শুকর খাওয়া ৷ তারা পুর্বমুখী হয়ে উপাসনা করে ৷ অথচ ঈসা-মাসীহ
বায়তুল মুকাদ্দাসের শুভ্র পাথরের দিকে মুখ করে ছাড়া ইবাদত করতেন না ৷ শুধু তিনিই নন
বরং মুসা (আ)-এর পরবর্তী সকল নবী বায়তৃল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায়
করেছেন ৷ এমনকি শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-ও হিজরতের পরে যােল কিংবা সতের মাস
পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাসকে কিবলা করে নামায আদায় করেছেন ৷ পরে তিনি আল্লাহর হুকুমে
ইররাহীম খলীল (আ) কর্তৃক নির্মিত কাবা ঘরের দিকে ফিরে নামায পড়েন ৷

তারা গীর্জাগুলোতে মুর্তি স্থাপন করে অথচ ইতিপুর্বে গীর্জায় কখনও কোন মুর্তি রাখা হতো
না ৷ তারা এমন সব আকীদা তৈরি করে যা শিশু, মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই বিশ্বাস
করত ৷ এই আকীদার নাম ছিল আমান’ ৷ প্রকৃত পক্ষে এটা ছিল সম্পুর্ণ কুফরী আকীদা ও
বিশ্বাস ভঙ্গের নামাম্ভর ৷ মালাকিয়া ও নাসতৃরিয়া দলভুক্ত সকলেই ছিল নাসতৃরাস এর
অনুসারী ৷ এরা ছিল দ্বিতীয় মহা সম্মেলনপন্থী ৷ আর ইয়াকুবিয়া সম্প্রদায় হচ্ছে ইয়াকুব আল
বারাদায়ীর অনুসারী ৷ এরা হল তৃতীয় মহা সমাবেশ পন্থী ৷ এ দুই দলই প্রথমােক্ত দলের একই
আকীদা পোষণ করত, যদিও খুটিনাটি বিষয়ে পারস্পরিক বিরোধ ছিল ৷ আমি তাদের কুফরী
আকীদার কথা বর্ণনা করছি ৷

আর কুফরের বনাি করার কেউ কাফির হয় না ৷ তাদের আকীদার বাক্যগুলোর মধ্যে
এমন সব জঘন্য শব্দ আছে, যার মধ্যে কুফরীর ভাব অতি প্রকট এবং তা অত্যন্ত বিভ্রাস্তিকর ৷
এ আকীদা মানুষকে জ্বলম্ভ অগ্নিকুণ্ডে পৌছিয়ে দেয় ৷ তাদের বলে থাকে যে আমরা এক
আল্লাহ্কে ৰির্শ্বসে কবি যিনি সবকিছুর নিয়ন্ত্রক, আসমান ও যমীনের দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান
সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, ঐ একই প্ৰতিপালককে আমরা মানি ৷ মাসীহ সেই এক আল্লাহ্রই একক
পুত্র ৷ অনাদিকালেই পিতা থেকে তার জন্য ৷ তিনি নুর থেকে সৃষ্ট নুর ৷ সদা প্রভু থেকে তিনিও
সদা প্রভু ৷ তিনি জন্মলাভ করেছেন, সৃষ্ট হননি ৷ সেই মুল উপাদানে তিনি পিতার সমকক্ষ যার
দ্বারা সবকিছু সৃষ্ট হয়েছে ৷ আমাদের ললাটলিপি অনুযায়ী আমরা মানুষ ৷ আমাদের মুক্তির জন্যে
তিনি আসমান থেকে অবতরণ করেছেন এবং পবিত্র আত্মা দ্বারা দেহ ধারণ করেছেন ও কুমারী
মার য়ামের গর্ত থেকে মানবরুপে আত্মপ্রকাশ করেছেন ৷ এরপর মালাতিস নবােতীর আমলে
ক্রুশৰিদ্ধ হয়েছেন, দুঃখ পেয়েছেন ৷ তারপরে সমাধিস্থ হয়েছেন ৷ সমাধিস্থু হওয়ার তিন দিন পর
কবর থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং আসমানে উঠে গিয়ে পিতার ডান পাশে বসে আছেন ৷
আবার তিনি দেহ ধারণ করে আসবেন ৷ জীবিত ও মৃতদের খোজ খবর নিবেন ৷ তার রাজত্বের
ক্ষয় নেই ৷ তিনি পবিত্র আত্মা ৷ তিনি প্রভু, জীবন দানকারী ৷ পিতার কাছ থেকে এসেছেন ৷
পিতার সাথে থাকবেন ৷ পুত্র সিজদা পাওয়ার যোগ্য ৷ নবীকুলের মধ্যে দোলনয়ে কথা বলার
:ণীরব তিনিই লাভ করেছেন৷ আল্লাহর সাথে পবিত্র ও পুর্ণাত্প সম্পর্ক তার ৷ সমস্ত পাপ ক্ষমা


وَالدِّيَارَاتِ وَالْقَلَّايَاتِ، وَقَنِعُوا بِالْعَيْشِ الزَّهِيدِ، وَلَمْ يُخَالِطُوا أُولَئِكَ الْمِلَلَ وَالنِّحَلَ، وَبَنَتِ الْمَلَائِكَةُ الْكَنَائِسَ الْهَائِلَةَ، عَمَدُوا إِلَى مَا كَانَ مِنْ بِنَاءِ الْيُونَانِ، فَحَوَّلُوا مَحَارِيبَهَا إِلَى الشَّرْقِ، وَقَدْ كَانَتْ إِلَى الشَّمَالِ إِلَى الْجَدْيِ.