আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

صفة عيسى عليه السلام وشمائله وفضائله

পৃষ্ঠা - ১০৩১
[صِفَةُ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ وَشَمَائِلُهُ وَفَضَائِلُهُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ} [المائدة: 75] قِيلَ: سُمِّيَ الْمَسِيحَ لِمَسْحِهِ الْأَرْضَ، وَهُوَ سِيَاحَتُهُ فِيهَا، وَفِرَارُهُ بِدِينِهِ مِنَ الْفِتَنِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ ; لِشِدَّةِ تَكْذِيبِ الْيَهُودِ لَهُ، وَافْتِرَائِهِمْ عَلَيْهِ وَعَلَى أُمِّهِ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ كَانَ مَمْسُوحَ الْقَدَمَيْنِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِمْ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الْإِنْجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ} [المائدة: 46] وَقَالَ تَعَالَى: {وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [البقرة: 87] . وَالْآيَاتُ فِي ذَلِكَ كَثِيرَةٌ جِدًّا. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا وَالشَّيْطَانُ يَطْعَنُ فِي خَاصِرَتِهِ حِينَ يُولَدُ، فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا إِلَّا مَرْيَمَ وَابْنَهَا، ذَهَبَ يَطْعَنُ فَطَعْنَ فِي الْحِجَابِ» وَتَقَدَّمَ حَدِيثُ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ جُنَادَةَ عَنْ عُبَادَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَكَلِمَتُهُ الَّتِي أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ، وَالْجَنَّةَ حَقٌّ، وَالنَّارَ حَقٌّ، أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ১০৩২
ষ্ষ্


লোক প্রেরণ করেন ৷ তারা ক্রুবুশর শুল দণ্ডটি খুজে পায় ৷ কথিত আছে উক্ত শুলদণ্ড যেই কোন

বুরাগী স্পর্শ করবুল আরোগ্য লাভ করত ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ঘটনা এই রকম হয়েছিল কিন৷ ৷
কেননা যেই ব্যক্তি শুলে জীবন দিয়ে আবুত্ম৷ ৷ৎসর্গ করেছিল যে একজন নেককার বুলাক ছিল ৷
অথবা হতে পারে এটা সেই যুগের খ্রীষ্টবুদর জন্যে একটি ফিৎন৷ বিশেষ ৷ যে কারণে তারা উক্ত
দণ্ডবুক সম্মান করত এবং স্বর্ণ ও মুক্তাদ্ব র বা তাবুক ঘুড়িবুয় রেবুখাছল এখান থেকে তারা বরকত
ও কল্যাবুণর প্রতীক হিসেবে ক্রুশটিক ব্যবহার করা আরম্ভ করে ৷

এরপর সম্রাটের ম৷ হায়লানার নির্দেশে ঐ স্থানের সমস্ত আবর্জন৷ পরিষ্কার করে যেখানে
উন্নত মানের পাথর দ্বারা একটি সুশোভিত র্গীর্জা নির্মাণ করা হয় ৷ বর্তমান কাবুল যা বায়তৃল
মুকাদ্দাস শহর নামে খ্যাত ৷ এই শহরটির অপর নাম কুমাম৷ ৷কুমাম ৷ অর্থ আবর্জন৷ যেহেতু
পুর্বে এখানে আবর্জনা ছিল) ৷ খৃষ্টানর৷ একে কিয়ামাহ্ও ববুল ৷ কেননা কিয়ামবুত র দিন এই
স্থান থেকে মাসীহ্র দেহ পুনরুথিত হবুব বলেও ৷ তাদের বিশ্বাস ৷ সম্র ট জননী হায়লান৷ অতঃপর
নির্দেশ দেন যে, এখন থেকে এই শহরের সমস্ত ময়লা আবজন৷ ও পচা-গল৷ ইয়াহুদীদের
কিবল৷ হিসেবে পরিচিত বায়তৃল মুকাদ্দাসে অবস্থিত শুভ্র পাথর (সাখরা)-এর উপর ফেলতে
হবুব ৷ নির্দেশ মবুত সমস্ত আবজন৷ সেখানেই নিক্ষেপ করা অব্যাহত থাকে ৷ অবশেষে হযরত
উমর ইবনুল থাত্তাব (বা) বায়তৃল মুকাদ্দাস জয় করেন ৷ তিনি স্বয়ং সেখানে গমন করে নিজের
চাদর দ্বারা বায়তৃল মৃকাদ্দাংস ঝাড়ু দেন এবং সকল নাপাকী ও ময়লা আবর্জন৷ পরিষ্কার করেন ৷
অবশ্য তিনি ইয়াহদীদেব কিবল৷ হিসেবে রক্ষিত পাথরের পেছনে মসজিদের প্রতিষ্ঠা করেন নি
বরং তার সামনের দিকে রেখেবুছন যেখানে রাসুল (সা) ইসরার রাবুত্র নবীদের সাথে সালাত
আদায় করেছিলেন ৷

ঈস৷ (আ)-এর গুণাবলী স্বভাব-চরিত্র ও মাহাত্ম্য
আল্লাহর বাণী ং

; (, শ্ ; § ’ :

ণ্ এে ণ্,ণ্ ৷ এ ট্রুট্রুটু৷ ৷ ধ্াট্রু দ্বু শ্রুষ্ ;প্রুদ্বুট্রুণ্ৰুাট্র রুটুঠু) ১৷ ৷ ণ্ঠুব্লু এ; ৷ ৰু ৷ ৷ (
মারয়াম-তনয় মসীহ্ তো কেবল একজন রাসুল, তার পুর্বে বহু রাসুল গত হয়েছে এবং
তার মা সতানিষ্ঠ ছিল ৷ (৫ মায়িদা৪ ৭৫)

মাসীহ্ অর্থ অত ৷ধিক ভ্রমণকারী ৷ ঈস৷ (আ) এর প্ৰতি ইয়াহুদীবুদর কঠোর শত্রুত৷ মিথ্যা
আরোপ এবং তার উপর ও তার মায়ের উপর অপবাদ দেওয়ার কারণে সৃষ্ট ফিৎন৷ ফসাদ থেকে
দীনকে রক্ষার জন্যে তিনি জীবনের অধিকা ৷ৎশ সময় সফরে কাটা ৷ন ৷ এই কা ৷রণে ৷তবুক মাসীহ্
ববুল আখ্যায়িত করা হয় ৷ কেউ কেউ বলেন, তার পায়ের তলা সমতল থাকার কারণে হযরত
ঈস৷ (আ) কে মাসীহ্ বলা হয় ৷ আল্লাহর বাণী :

; ) ,



শ্




مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَهَذَا لَفْظُهُ، وَمُسْلِمٌ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَدَّبَ الرَّجُلُ أَمَتَهُ، فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا، وَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا، ثُمَّ أَعْتَقَهَا، فَتَزَوَّجَهَا كَانَ لَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا آمَنَ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ثُمَّ آمَنَ بِي، فَلَهُ أَجْرَانِ، وَالْعَبْدُ إِذَا اتَّقَى رَبَّهُ وَأَطَاعَ مَوَالِيَهِ، فَلَهُ أَجْرَانِ» هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ (ح) وَحَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ: «لَقِيتُ مُوسَى قَالَ: فَنَعَتَهُ فَإِذَا رَجُلٌ حِسْبْتُهُ قَالَ: مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ. قَالَ: وَلَقِيتُ عِيسَى فَنَعَتَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: رَبْعَةٌ أَحْمَرُ كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ، يَعْنِي الْحَمَّامَ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ وَأَنَا أَشَبَهُ وَلَدِهِ بِهِ» الْحَدِيثَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي قِصَّتَيْ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ عِيسَى، وَمُوسَى، وَإِبْرَاهِيمَ، فَأَمَّا عِيسَى فَأَحْمَرُ جَعْدٌ عَرِيضُ الصَّدْرِ، وَأَمَّا مُوسَى فَآدَمُ جَسِيمٌ سِبْطٌ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ الزُّطِّ»
পৃষ্ঠা - ১০৩৩
ষ্ষ্


অতংপর আমিও তাদের অনুগামী করেছিলাম আমার রাসুলগণকে এবং অনৃগাহী৷ করেছিলাম
মারযাম তনয় ঈসাকে আর তাকে দিয়েছিলাম ইনজীল ৷ (৫ ৭ হাদী দ ং ২ ৭ )

আল্লাহ্র বাণী

) ’ : : ) ) : রুচু শ্


এবং মারয়াম তনয় ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি এবং পবিত্র আত্মা দ্বার৷ তাকে শক্তিশালী
করেছি ৷ (২ বাকারা : ৮৭)

এ সম্পর্কে কুরআনে প্রচুর আয়াত বিদ্যমান ৷ ইতিপুর্বে বৃথারী ও মৃসলিমে হাদীস বর্ণিত
হয়েছে যে, এমন কোন শিশু সন্তান যেই, যাকে জন্মের সময় শয়তান পেটের পার্শ্বদেশে খোচা
না দেয় ৷ জন্মের সময় শয়তানের ঘোচার কারণেই সে চিৎকার করে র্কাদে ৷ তবে মারয়াম ও
তার পুত্র ঈস৷ (আ) এর ব্যতিক্রম ৷ শয়তান তাকে ঘোচ৷ ম রতে গিয়েছিল ৷ কিন্তু তা না পেরে
ঘরের পর্দায় ঘোচ৷ মেরে চলে যায় ৷ উবাদা থেকে উমায়র ইবন হানীর বর্ণিত হাদীস ইতি পুর্বে
উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসুলুলাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়ে যে আল্লাহ ব্যতীত
আর কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি একক তার কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মদ( (সা) তীর বান্দা
রাসুল ৷ আ র ঈসা আল্লাহ্র বান্দা, তার রাসুল এবং৩ তার কলেমা যা তিনি মরয়াম এর নিকট
প্রেরণ করেছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে প্রেরিত রুহ্ ৷ (আরও সাক্ষ্য দিয়ে যে ) জান্নাত সত্য
ও জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন তার অন্য আমল যাই হোক না
কেন ৷ বৃথারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তার এ পাঠটি বৃথারী ও মুসলিমে শাবী
আবু বুরদা, আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন যদি কোন লোক তার দাসীকে আদব কায়দ৷ ৷শ্ খায় এবং তা
ভালভাবে শেখার এবং তাকে ইলম শেখায় আরত ৷উত্তমভ৷ ৷বে শে খায় তারপর তাকে আ বাস
করে দেয় এবং পরে তাকে বিয়ে করে নেয় তবে সে দু’টি প্রতিদ৷ ৷ন পাবে ৷ আর যদি কেউ ঈসা
(আ) এর প্রতি ঈমান রাখে অতঃপর আমার প্রতিও ঈমান আসে তার জন্যেও দুটি পুরস্কার ৷
আর গোলাম যদি৩ ৷র প্রতিপালককে ভয় করে এবং দুনিয়ার মুনিবদেরকেও মেনে চলে তবে
সেও পাবে দু’টি পুরস্কার ৷ এ পাঠ বুখা ৷রীর ৷

ইমাম বৃথারী (র) ইবরাহীম ইবন মুসার সুত্রে আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে বংনিা
করেন, নবী করীম (সা) বলেছেনঃ যে রাতে আমার মিরাজ হয়েছিল, সে রাতে মুসার সাথে
আমার সাক্ষাত হয়েছিল ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ তার বর্ননা দিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন দীর্ঘ দেহী
ব্যক্তি, তার চুল ফোকড়ান ছিল ৷ মনে হচ্ছিল, তিনি যেন ইয়ামান দেশীয় শ্া৷নুয৷ গোত্রের
লোক ৷ তিনি বলেন, ঈসার সাথেও আমার সাক্ষাত হয়েছিল ৷ অতঃপর তিনি তার বর্ণনা দিয়ে
বলেনঃ তিনি ছিলেন মধ্যম দেহী ও গৌরবর্ণেব ৷ যেন তিনি এই মাত্র হাম্মামখানা থেকে বের
হয়েছেন ৷ ঐ রাতে আমি ইবরাহীমকেও দেখতে পেয়েছি ৷ আর তার বংশধরদের মধ্যে তার
সাথে আমার চেহারার মিল সবচাইতে বেশী ৷ ইবরাহীম ও মুসা (আ)-এর বর্ণনায় আমরা এ
হাদীসখানা উল্লেখ করেছি ৷ ইমাম বৃথারী মুহাম্মদ ইবন কাহীর সুত্রে ইবন উমর (রা)


تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمًا بَيْنَ ظَهَرَانَيِ النَّاسِ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، إِلَّا إِنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ الْعَيْنِ الْيُمْنَى، كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ، وَأَرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فِي الْمَنَامِ، فَإِذَا رَجُلٌ آدَمُ كَأَحْسَنِ مَا يُرَى مَنْ أُدْمِ الرِّجَالِ، تَضْرِبُ لِمَّتُهُ بَيْنَ مَنْكِبَيْهِ، رَجِلُ الشَّعْرِ، يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً، وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى مَنْكِبَيْ رَجُلَيْنِ، وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالُوا: الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ. ثُمَّ رَأَيْتُ رَجُلًا وَرَاءَهُ جَعْدًا قَطَطًا أَعْوَرَ عَيْنِ الْيُمْنَى كَأَشْبَهِ مَنْ رَأَيْتُ بِابْنِ قَطَنٍ، وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى مَنْكِبَيْ رَجُلٍ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالُوا: الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: تَابَعَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ. ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَابْنُ قَطَنٍ رَجُلٌ مِنْ خُزَاعَةَ، هَلَكَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَبَيَّنَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، صِفَةَ الْمَسِيحَيْنِ ; مَسِيحِ الْهُدَى وَمَسِيحِ الضَّلَالَةِ; لِيُعْرَفَ
পৃষ্ঠা - ১০৩৪
هَذَا إِذَا نَزَلَ، فَيُؤْمِنَ بِهِ الْمُؤْمِنُونَ، وَيُعْرَفَ الْآخَرُ فَيَحَذَرَهُ الْمُوَحِّدُونَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَى عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَجُلًا يَسْرِقُ فَقَالَ لَهُ: أَسَرَقْتَ؟ قَالَ: كَلَّا، وَالَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ. فَقَالَ عِيسَى: آمَنْتُ بِاللَّهِ وَكَذَّبْتُ عَيْنَيَّ» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنِ الْحَسَنِ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «رَأَى عِيسَى رَجُلًا يَسْرِقُ فَقَالَ: يَا فُلَانُ، أَسَرَقْتَ؟ فَقَالَ: لَا، وَاللَّهِ مَا سَرَقْتُ. فَقَالَ: آمَنْتُ بِاللَّهِ وَكَذَّبْتُ بَصَرِي» وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى سَجِيَّةٍ طَاهِرَةٍ ; حَيْثُ قَدَّمَ حَلِفَ ذَلِكَ الرَّجُلِ - وَظَنَّ أَنَّ أَحَدًا لَا يَحْلِفُ بِعَظَمَةِ اللَّهِ كَاذِبًا - عَلَى مَا شَاهَدَهُ مِنْهُ عِيَانًا، فَقَبِلَ عُذْرَهُ، وَرَجَعَ عَلَى نَفْسِهِ، فَقَالَ: آمَنْتُ بِاللَّهِ. أَيْ: صَدَّقْتُكُ. وَكَذَّبْتُ بَصَرِي ; لِأَجْلِ حَلِفِكَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ১০৩৫
ষ্ষ্


থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেনঃ মিবাজের রাতে আমি ঈসা, মুসা ও
ইবরাহীমকে দেখতে পেয়েছি ৷ ঈসা পৌর বর্ণ, কৌকড়ানাে চুল এবং প্রশস্ত বক্ষ বিশিষ্ট লোক,
মুসা বাদামী রং বিশিষ্ট, তার দেহ সুঠাম এবং মাথার চুল কৌকড়ান, যেন জাঠ গোত্রের লোক ৷

এ হাদীসটি কেবল বুখারীতেই আছে ৷

ইমাম বুখারী (ব) ইবরাহীম ইবন মুনযিরের সুত্রে আব্দুল্লাহ ইবন উমর (র৷ ) থেকে
বর্ণনা করেন একদা নবী করীম (সা) লোকজনের সামনে মাসীহ্ দাজ্জালের কথা উল্লেখ
করলেন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ একচক্ষু বিশিষ্ট নন ৷ শুনে রেখো, মাসীহ্ দাজ্জালের ডান চোখ
কানা ৷ তার চোখ যেন ফুলে যাওয়া আৎগুরের মত ভাসাভাসা ৷ আমি এক রাতে স্বপ্নে আমাকে
কাবার কাছে দেখলাম ৷ হঠাৎ সেখানে বাদামী রং এর এক ব্যক্তিকে দেখলাম ৷ তোমরা যেমন
সুন্দর বাদামী রঙের লোক দেখে থাক তার চাইতেও বেশী সুন্দর ছিলেন তিনি ৷ তার মাথার
সোজা চুলগুলাে তার দু’র্কাধ পর্যন্ত ঝুলছিল ৷ তার মাথা থেকে ফৌট৷ ফৌট৷ পানি ঝরে
পড়ছিল ৷ তিনি দু’জন লোকের কাধে হাত রেখে কাবা শরীফ তাওয়ড়াফ করছিলেন ৷ আমি
জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কো তারা জবাব দিল, ইনি হলেন মাসীহ্ ইবন মারয়াম ৷ তারপর তার
পেছনে আর একজন লোক দেখলাম ৷ তার মাথার চুল ছিল বেশী কৌকড়ান , ডান চোখ কানা ৷
আকৃতিতে সে আমার দেখা লোকদের মধ্যে ইবন কাতানের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ সে
একজন লোকের দু’কীধে ভর করে কাবার চারদিকে ঘৃরছিল ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই
সোকটি কে? তারা বলল, এ হল মাসীহ্ দাজ্জাল ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীসখানা মুসা ইবন
উকবার সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন নাফিও এ হাদীস অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অতঃপর
তিনি যুহরী থেকে বর্ণনা করেন, ইবন কাতান খুজাআ গোত্রের লোক, জাহিলী যুগে তার মৃত্যু
হয় ৷ এ হাদীসে রাসুল (সা) হিদায়েতকারী মাসীহ্ ও গোমরাহকারী মাসীহ্র মধ্যে পার্থক্য বলে
দিয়েছেন ৷ যাতে ঈসা মাসীহ্ পুনরায় আগমন করলে মুমিনগণ তার উপর ঈমান আনতে ও
মাসীহ্ দাজ্জাল থেকে সতর্ক হতে পারেন ৷ ইমাম বুখারী আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদের সুত্রে
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ ঈসা (আ) এক ব্যক্তিকে চুরি
করতে দেখে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি চুরি করেছ? সে বলল, “কখনও নয় ৷ সেই সত্তার
কসম, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ৷’ তখন ঈসা (আ) বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি
ঈমান আনলাম ও আমার দু’ চোখকে অবিশ্বাস করলাম ৷’ আবদুর রাজ্জাক (র) থেকেও
অনুরুপ হাদীস মুহাম্মাদ ইবন রাফি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফানের সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

এ হাদীস থেকে হযরত ঈসা (আ)-এর পবিত্র ও বলিষ্ঠ চরিত্র ফুটে উঠেছে ৷ যখন লোকটি
আল্লাহর কসম বলল, তখন তিনি মনে করলেন যে, কোন ব্যক্তি আল্লাহ্র নামে মিথ্যা কসম
যেতে পারে না, বরং নিজের চোখে দেখা বিষয়কে আগ্রাহ্য করে তার ওযরই গ্রহণ করলেন ৷
তিনি বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছি ৷ অর্থাৎ তোমার কসমের জন্যে তোমার কথা


«تُحْشَرُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا» ثُمَّ قَرَأَ: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ} [الأنبياء: 104] فَأَوَّلُ الْخَلْقِ يُكْسَى إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ يُؤْخَذُ بِرِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِي ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ، فَأَقُولُ: أَصْحَابِي. فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ. فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 117] تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تُطْرُونِي كَمَا أَطَرْتِ النَّصَارَى عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدٌ، فَقُولُوا: عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَمْ يَتَكَلَّمْ فِي الْمَهْدِ إِلَّا ثَلَاثَةٌ: عِيسَى، وَكَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: جُرَيْجٌ. يُصَلِّي إِذْ جَاءَتْهُ أُمُّهُ فَدَعَتْهُ، فَقَالَ: أُجِيبُهَا أَوْ أُصَلِّي؟ فَقَالَتْ: اللَّهُمَّ لَاتُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهِ وُجُوهَ الْمُومِسَاتِ. وَكَانَ جُرَيْجٌ فِي صَوْمَعَتِهِ، فَعَرَضَتْ لَهُ امْرَأَةٌ وَكَلَّمَتْهُ، فَأَبَى، فَأَتَتْ رَاعِيًا فَأَمْكَنَتْهُ مِنْ نَفْسِهَا، فَوَلَدَتْ غُلَامًا، فَقِيلَ لَهَا:
পৃষ্ঠা - ১০৩৬
ষ্ষ্


সত্য বলে মেনে নিচ্ছি এবং আমার চােখকে অবিশ্বাস করছি ৷ ইমাম বুখারী (র) ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা হাশরের মাঠে খালি পা,
নগ্ন দেহ এবং খাতনা বিহীন অবস্থায় সমবেত হবে ৷ত তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন,“
যেতা বে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছি, ঠিকশ্ব তমনিতা ৷বে দ্বিতা ৷য় বারও করবো ৷ এটা আমার
ওায়াদ ৷ আমি তা অবশ্যই পুর্ণ করবো ৷ (২১ আম্বিয়াং : ১ :৪ )

হাশরের দিন সর্বপ্রথম র্ষাকে কাপড় পরানাে হবে তিনি হলেন ইবরাহীম (আ) ৷ তারপর
আমার অনুসারীদের কিছু সং খ্যককে ডান দিকে জান্নাতে এবং কিছু স খ্যককে বাম দিকে
জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ তখন আমি বলব, এরা তো আমার লোক ৷ তখন বলা হবে,
আপনি তাদের থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকেই তারা পিছটান দিয়েছে ৷ যেমন বলেছিলেন,
পুণ্যবান বান্দা ঈসা ইবন মাবয়াম ৷ তার উক্তিটি হলো এ আয়াতহ্র “ আর আমি যতদিন
তাদের মধ্যে ছিলাম, ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছলাম ৷ এরপর আপনি যখন আমাকে
উঠিয়ে নিলেন তখন আ ৷পনিই তাদের হেফাজতকা ৷রী ছিলেন ৷ আর আপনি তো সব কিছুর উপর
সাক্ষী ৷ যদি আপনিত ৷দেরকে আমার দিতে চান তবে এরা তাে আপনারই বন্দো ৷ আর যদি
আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন, তবে আপনি নিশ্চয়ই পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় ৷
হাদীসটি বর্ণিত সুত্রে কেবল ইমাম বুখারীই বর্ণনা করেছেন, ইমাম মুসলিম এ ত্রে বর্ণনা
করেন নি ৷ এ ছাড়াও ইমাম বুখারী হুমায়দী সুত্রে ইবন আব্বাস (র৷ ) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি হযরত ৩উমর (রা) ৫ক মিম্বারের উপর দী ড়িয়ে বলতে শুনেছেন, তিনি বলছেন, আমি নবী
(সা) কে বলতে শুনেছি, তোমরা আমার প্রশং না করতে গিয়ে অতিশয়ােক্তি করে৷ না, যেমন
ঈসা ইবন ম ৷রয়াম সম্পর্কে নাসারারা করেছিল ৷ আমি তাে আল্লাহর বান্দা মাত্র ৷ সুতরাং তোমরা
আমার সম্পর্কে বলবে, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল ৷

ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা ) বলেছেন, তিন
জন শিশু ব্যতীত আর কেউ দােলনায় কথা বলেন নি ৷ (১) হযরত ঈসা ( ২) বনী ইসরাঈলের
মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল, যাকে জুরাইজ বলে ডাকা হত ৷ একদা সে নামাযরত থাকা অবস্থায় তার
না এসে তাকে ডাকল ৷ যে তা ৷,বল আমি কি ডাকে সাড়া দিব, না নামাঘে নিমগ্ন থাকর ৷ জবাব
না পেয়ে তার মা বলল, ইয়৷ আল্লাহ! ব্যভিচ৷ রীণীর চেহারা না দেখা পর্যন্ত তুমি একে মৃত্যু দিও
না ৷ জুরাইজ তার ইবাদত থানায় থাকতেন ৷ একবার তার কাছে এক মহিলা আসল ৷ সে অসৎ
উদ্দেশ্যে তার সাথে কথা বলল ৷ কিভু জুরাইজ তাতে রাজী হলেন না ৷ অতঃপর মহিলাটি
একজন রাখালের নিকট গেল এবং তাকে দিয়ে মনােবাসনা পুরণ করল ৷ পরে সে একটি পুত্র
সন্তান প্রসব করল ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হল, এটি করি সন্তান ? ত্রীলােকটি বলল , জুরাইজের ৷
লোকেরা তার কাছে আসল এবং তার ইবাদত খানাটি ভেঙ্গে দিল ৷ আর তাকে নিচে নামিয়ে
আনল ও পালিপালাজ করল ৷ তখন জুরাইজ উযু করে সালাত আদায় করলেন৪ এরপর নবজাত
শিশুটির নিকট এসেত তাকে জিজ্ঞেস করলেনং : হে শিশু তোমার পিতা ণ্ক৷ সে জবাব দিল
অমুক রাখাল আমার পিতা ৷ তখন বনী ইসরাঈলের লোকেরা জুরাইজকে বলল, আমরা


مِمَّنْ؟ فَقَالَتْ: مِنْ جُرَيْجٍ. فَأَتَوْهُ وَكَسَرُوا صَوْمَعَتَهُ، فَأَنْزَلُوهُ وَسَبُّوهُ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى، ثُمَّ أَتَى الْغُلَامَ فَقَالَ: مَنْ أَبُوكَ يَا غُلَامُ؟ قَالَ: فُلَانٌ الرَّاعِي. قَالُوا: أَنَبْنِي صَوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا مِنْ طِينٍ. وَكَانَتِ امْرَأَةٌ تُرْضِعُ ابْنًا لَهَا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ رَاكِبٌ ذُو شَارَةٍ، فَقَالَتِ: اللَّهُمَّ اجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهُ. فَتَرَكَ ثَدْيَهَا وَأَقْبَلَ عَلَى الرَّاكِبِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى ثَدْيِهَا يَمُصُّهُ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُصُّ أُصْبُعَهُ: «ثُمَّ مُرَّ بِأَمَةٍ فَقَالَتْ: اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَ هَذِهِ. فَتَرَكَ ثَدْيَهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا. فَقَالَتْ: لِمَ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: الرَّاكِبُ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، وَهَذِهِ الْأَمَةُ يَقُولُونَ: سَرَقْتِ وَزَنَيْتِ. وَلَمْ تَفْعَلْ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِابْنِ مَرْيَمَ وَالْأَنْبِيَاءُ أَوْلَادُ عَلَّاتٍ، لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ الْحَفَرِيِّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، هُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ أَوْلَادُ عَلَّاتٍ، وَلَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَ عِيسَى
পৃষ্ঠা - ১০৩৭
نَبِيٌّ» وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِهِمَا، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَأَخْرَجَهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِنَحْوِهِ. وَأَخْرَجَهُ ابْنُ حِبَّانَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ آدَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ لَعَلَّاتٍ، وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى، وَأَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ نَازِلٌ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَاعْرِفُوهُ، فَإِنَّهُ رَجُلٌ مَرْبُوعٌ إِلَى الْحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ، سَبْطٌ كَأَنَّ رَأْسَهُ يَقْطُرُ، وَإِنْ لَمْ يُصِبْهُ بَلَلٌ، بَيْنَ مُمَصَّرَتَيْنِ، فَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَيُعَطِّلُ الْمِلَلَ، حَتَّى تَهْلِكَ فِي زَمَانِهِ الْمِلَلُ كُلُّهَا غَيْرَ الْإِسْلَامِ، وَيُهْلِكُ اللَّهُ فِي زَمَانِهِ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ الْكَذَّابَ، وَتَقَعُ الْأَمَنَةُ فِي الْأَرْضِ حَتَّى تَرْتَعَ الْإِبِلُ مَعَ الْأُسْدِ جَمِيعًا، وَالنُّمُورُ مَعَ الْبَقَرِ، وَالذِّئَابُ مَعَ الْغَنَمِ، وَيَلْعَبُ الصِّبْيَانُ وَالْغِلْمَانُ بِالْحَيَّاتِ، لَا يَضُرُّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَيَمْكُثُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ، ثُمَّ يَتَوَفَّى، فَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ وَيَدْفِنُونَهُ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ،
পৃষ্ঠা - ১০৩৮
ষ্ষ্


আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি ৷ জুরাইজ বললেন, না, তবে কাদা মাটি
দিয়ে তৈরি করে দিতে পার ৷ (৩) বনী ইসরাঈলের একজন মহিলা তার শিশুকে দুধ পান
করাচ্ছিল ৷ তার কাছ দিয়ে একজন সুদর্শন পুরুষ আরোহী চলে গেল ৷ মহিলাটি দোয়া করল ,
ইয়া আল্লাহ! আমার ছেলেটিকে তার মত বানাও ৷ শিশুঢি তখনই তার মায়ের স্তন ছেড়ে দিল
এবং আরােহীর দিকে মুখ ফিরিয়ে বলল, ইয়া আল্লাহ ! আমাকে তার মত করে৷ না ৷ এরপর মুখ
ফিরিয়ে মায়ের দুধ পান করতে লাগল ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলেন, আমি যেন নবী কবীম
(না)-কে দেখতে পাচ্ছি, তিনি নিজের আৎগুল চুষে দেখাচ্ছেন ৷ এরপর সেই মহিলাটির পাশ
দিয়ে একটি দাসী চলে গেল ৷ মহিলাটি বলল, ইয়া আল্লাহ ! আমার শিশুটিকে এর মত করো
না ৷ শিশুটি তৎক্ষণাৎ মায়ের স্তন ছেড়ে দিয়ে বলল, ইয়া আল্লাহ ৷ আমাকে তার মত কর ৷ মা
জিজ্ঞেস করল, তা কেন? শিশুটি জবাব দিল, সেই আরোহী লোকটি ছিল বড় জালিম, আর এ
দাসীটিকে লোকে বলছে তুমি চুরি করেছ, যেনা করেছ ৷ অথচ সে এসবের কিছুই করেনি ৷

ইমাম (র) বুখারী আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেনআমি শুনেছি,
রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেনঃ আমি মারয়ামের পুত্র ঈসার বেশী নিকটতম ৷ আর নবীগণ যেন
পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই, অর্থাৎ বাপ এক, মা ভিন্ন ভিন্ন ৷ আমার ও ঈসার মাঝখানে কোন নবী
নেই ৷ এই সুত্রে ইমাম বুখারীই-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন হব্বান এবং ইমাম আহমদ
হাদীসটি ঈষৎ শাব্দিক পরিবর্ত্যসহ বর্ণনা করেন ৷ তবে ইমাম আহমদের বর্ণনায় অতিরিক্ত
আছে, কিয়ামতের পুর্বে ঈসা পুনরায় দুনিয়ার অবতরণ করবেন ৷ যখন তাকে দেখবে তখন
তোমরা চিনতে পারবে ৷ কারণ তিনি হবেন মাঝারি গড়নের ৷ গায়ের রং লালচে সাদা ৷ মাথার
চুল সোজা ৷ মনে হবে যেন মাথার চুল থেকে পানি টপকে পড়ছে ৷ যদিও তিনি পানি ষ্ংপর্শ
করেন নি ৷ তিনি এসে ক্রুশ ভাঙ্গবেন, শুকর হত্যা করবেন ৷ জিযিয়া কর রহিত করবেন ৷
একমাত্র ইসলাম ছাড়া সে যুগের সকল ধর্ম ও মতবাদ খতম করবেন ৷ আল্লাহ তার হাতে
মিথুব্রুক মাসীহ দাজ্জালকে ধ্বংস করবেন ৷ সমস্ত পৃথিবী শান্তি ও নিরাপত্তার ভরে যাবে ৷ এমনকি
উট ও সিংহ, বাঘ ও গরু এবং নেকড়ে ও বকরী একই সাথে একই মাঠে বিচরণ করবে ৷
কিশোর বালকগণ সাপের সাথে খেলা করবে ৷ কিন্তু কেউ কারও ক্ষতি করবে না ৷ যতদিন
আল্লাহর ইচ্ছা ততদিন তিনি পৃথিবীতে থাকবেন ৷ তারপর তিনি স্বাভাবিকভাবে ইনতিকাল
করবেন এবং মুসলমানরা র্তার জানাযা পড়বে ৷ আবুদাউদ হামমাম ইব ন ইয়াহ্য়া থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ হিশাম ইবন উরওয়া আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ঈসা (আ) পৃথিবীতে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন ৷ এই কিতাবের
মালাহিম (যুদ্ধ বিগ্রহ) অধ্যায়ে ঈসা (আ)-এর অবতরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷
তাফসীর গ্রন্থেও আমরা সুরা নিসার এই আয়াত : “কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার মৃত্যুর
পুর্বে তার প্রতি ঈমান আনবেই এবং কিয়ামতের দিন যে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে ( ৪নিসাঃ
১ ৫৯)-এর তাফসীর প্রসঙ্গে এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে ৷


عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ: «فَيَمْكُثُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، ثُمَّ يَتَوَفَّى وَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى بِهِ نَحْوَهُ. وَرَوَى هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «فَيَمْكُثُ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعِينَ سَنَةً» وَسَيَأْتِي بَيَانُ نُزُولِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي آخِرِ الزَّمَانِ فِي كِتَابِ " الْمَلَاحِمِ " كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ أَيْضًا فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ " النِّسَاءِ ": {وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا} [النساء: 159] وَقَوْلِهِ: {وَإِنَّهُ لَعِلْمٌ لِلسَّاعَةِ} [الزخرف: 61] الْآيَةَ. وَإِنَّهُ يَنْزِلُ عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ بِدِمَشْقَ، وَقَدْ أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ، فَيَقُولُ لَهُ إِمَامُ الْمُسْلِمِينَ: تَقَدَّمْ يَا رُوحَ اللَّهِ فَصَلِّ. فَيَقُولُ: لَا، بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ، تَكْرِمَةُ اللَّهِ هَذِهِ الْأُمَّةَ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَيَقُولُ لَهُ عِيسَى: إِنَّمَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ لَكَ. فَيُصَلِّي خَلْفَهُ، ثُمَّ يَرْكَبُ وَمَعَهُ الْمُسْلِمُونَ فِي طَلَبِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، فَيَلْحَقُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ، فَيَقْتُلُهُ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ. وَذَكَرْنَا أَنَّهُ قَوِيَ الرَّجَاءُ حِينَ بُنِيَتْ هَذِهِ الْمَنَارَةُ الشَّرْقِيَّةُ بِدِمَشْقَ الَّتِي هِيَ مِنْ حِجَارَةٍ بِيضٍ، وَقَدْ بُنِيَتْ أَيْضًا مِنْ أَمْوَالِ النَّصَارَى حِينَ حَرَقُوا الَّتِي هُدِمَتْ وَمَا حَوْلَهَا، فَيَنْزِلُ عَلَيْهَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ وَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ، وَلَا يَقْبَلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১০৩৯

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ঈসা (আ) এর পুনরায় দুনিয়ার আগমন কিয়ামতের অন্যতম
লক্ষণ ৷ দামিশকের শুভ্র মিনারায় উপর তিনি অবতরণ করবেন ৷ তিনি যখন অবতরণ করবেন
তখন ফজরের নামায়ের ইকামত হতে থাকবে ৷ র্তাকে দেখে মুসলমানদের ইমাম বলবেন, হে
রুহুল্লাহ! সম্মুখে আসুন ও নামায়ের ইমামতি করুন ! ঈসা (আ) বলবেন, “না, আপনারা একে
অন্যের উপর নেতা, এ সম্মান আল্লাহ এ উম্মতকেই দান করেছেন ৷” অন্য বর্ণনায় এসেছে, ঈসা
(আ) ইমাম ছাহেবকে বলবেন, আপনিই ইমামতি করুন ৷ কেননা, আপনার জন্যে ইকামত
দেয়া হয়েছে ৷ অতঃপর ঐ ইমামের পেছনে তিনি সালাত আদায় করবেন ৷ নামায শেষে তিনি
বাহনে আরোহণ করে মাসীহ দাজ্জালের সন্ধানে বের হবেন এবং মুসলমানরা তীর সাথে
থাকবেন ৷ দাজ্জালকে লুদ তোরণের নিকট পেয়ে সেখানেই তিনি নিজ হাতে তাকে হত্যা
করবেন ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দামিশকের পুর্ব পার্শে এই মিনার যখন শুভ্র পাথর
দ্বারা নির্মাণ করা হয় তখনই দৃঢ় আশা করা হয়েছিল যে, এখানেই তিনি অবতরণ করবেন ৷ এই
স্থানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর নাসারাদের অর্থ দ্বারাই এটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ ঈসা (আ) এখানে
অবতরণ করে শুকর নিধন করবেন ৷ ক্রুশ তেৎগে চুরমার করবেন এবং ইসলাম ছাড়া অন্য কোন
দীন তিনি গ্রাহ্য করবেন না ৷

ঈসা (আ) রাওহা থেকে হজ্জ কিত্বা উমরা অথবা উভয়টির নিয়ত করে বের হবেন এবং
তা’ সম্পন্ন করবেন ৷ চল্লিশ বছর জীবিত থাকার পর তিনি ইনতিকাল করবেন ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ
(না)-এর হুজরায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তীর প্রথম দুই খলীফার নিকট দাফন করা হবে ৷ এ
সম্পর্কে ইবন আসাকির তীর ইতিহাস গ্রন্থ ঈসা (আ)-এর বর্ণনা প্রসংগে হযরত আয়েশা (রা)
বর্ণিত মারকু’ হাদীসে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ঈসা (আ)-কে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ছজরা
শরীফের মধ্যে রাসুলুল্লাহ, আবু বকর ও উমরের সাথে দাফন করা হবে ৷ কিন্তু এই হাদীসের
সনদ বিশুদ্ধ নয় ৷ ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তাওরাত কিভাবে মুহাম্মদ (সা) ও ঈসা ইবন মারয়ামের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে ৷
সেখানে আছে যে, হযরত ঈসাকে মুহাম্মদ (স)এর সাথে দাফন করা হবে ৷ এ হাদীসের
অন্যতম রাবী আবু মওদুদ মাদানী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হুজরায় একটি কবর পরিমাণ
স্থান খালি আছে ৷ ইমান তিরমিযী (র) এ হাদীসকে হাসান বলেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেন,
আমার মতে এ হাদীসটি বিশুদ্ধ নয় ৷ ইমাম বুখারী সুলায়মান থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত
ঈসা ও মুহাম্মদ (না)-এর মধ্যে নবুওভের বিরতিকাল ছয় শ’ বহ্ব ৷ কাতদাের মতে, পাচ শ’
ষাট বহ্ব ৷ কারও মতে পাচ শ’ চল্লিশ বহ্ব ৷ যাহ্হাকের মতে, চার শ’ ত্রিশ বছরের কিছু বেশী
কিন্তু প্রসিদ্ধ মত ছয় শ’ বছর ৷ তবে কেউ কেউ বলেছেন, চান্দ্র বছরের হিসেবে ছয় শ’ বিশ
বছর এবং সৌর বছর হিসেবে ছয় শ’ বছর ৷

ইবন হিব্বান তার সহীহ গ্রন্থে ঈসা (আ)ষ্এর উষ্মতগণ কত কিং সঠিক দীসের উপরে ও
নবীর আদর্শের উপরে টিকেকাি সে সম্পর্কে আংলাচনা করেছেন ৷ তিনি আবুদ দারদা (বা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আল্লাহ দাউদ নবীকে তার অনুসারীদের মধ্যে
মৃত্যু দেন ৷ কিত্তু এতে তার অনুসারীরা বিপথপামীও হয়নি, দীনও পরিবর্তন করেনি ৷ আর ঈসা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৫-

أَحَدٍ إِلَّا الْإِسْلَامَ، وَأَنَّهُ يَحُجُّ مِنْ فَجِّ الرَّوْحَاءِ، حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا، أَوْ لِثِنْتَيْهِمَا، وَيُقِيمُ أَرْبَعِينَ سَنَةً ثُمَّ يَمُوتُ فَيُدْفَنُ - فِيمَا قِيلَ - فِي الْحُجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبَيْهِ. وَقَدْ وَرَدَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي آخِرِ تَرْجَمَةِ الْمَسِيحِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي كِتَابِهِ، عَنْ عَائِشَةَ مَرْفُوعًا، أَنَّهُ يُدْفَنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ فِي الْحُجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَلَكِنْ لَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ. وَقَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ صِفَةُ مُحَمَّدٍ، وَعِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، يُدْفَنُ مَعَهُ. قَالَ أَبُو مَوْدُودٍ: وَقَدْ بَقِيَ فِي الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرٍ. ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ. كَذَا قَالَ. وَالصَّوَابُ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: هَذَا الْحَدِيثُ لَا يَصِحُّ عِنْدِي، وَلَا يُتَابَعُ عَلَيْهِ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدَيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ: الْفَتْرَةُ مَا بَيْنَ عِيسَى وَمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سِتُّمِائَةِ سَنَةٍ. وَعَنْ قَتَادَةَ: خَمْسُمِائَةٍ وَسِتُّونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ১০৪০
وَقِيلَ: خَمْسُمِائَةٍ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَعَنِ الضَّحَّاكِ: أَرْبَعُمِائَةٍ وَبِضْعٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَالْمَشْهُورُ سِتُّمِائَةِ سَنَةٍ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: سِتُّمِائَةٍ وَعِشْرُونَ سَنَةً بِالْقَمَرِيَّةِ فَتَكُونُ سِتَّمِائَةٍ بِالشَّمْسِيَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ ": ذِكْرُ الْمُدَّةِ الَّتِي بَقِيَتْ فِيهَا أُمَّةُ عِيسَى عَلَى هَدْيِهِ. حَدَّثَنَا أَبُو يَعْلَى، حَدَّثَنَا أَبُو هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنِ الْوَضِينِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ قَبَضَ اللَّهُ دَاوُدَ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِهِ فَمَا فُتِنُوا وَلَا بَدَّلُوا، وَلَقَدْ مَكَثَ أَصْحَابُ الْمَسِيحِ عَلَى سُنَّتِهِ وَهَدْيِهِ مِائَتَيْ سَنَةٍ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَإِنْ صَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ وَصَّى الْحَوَارِيِّينَ بِأَنْ يَدْعُوَا النَّاسَ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَعَيَّنَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ إِلَى طَائِفَةٍ مِنَ النَّاسِ فِي إِقْلِيمٍ مِنَ الْأَقَالِيمِ مِنَ الشَّامِ وَالْمَشْرِقِ، وَبِلَادِ الْمَغْرِبِ، فَذَكَرُوا أَنَّهُ أَصْبَحَ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ يَتَكَلَّمُ بِلُغَةِ الَّذِينَ أَرْسَلَهُ الْمَسِيحُ إِلَيْهِمْ. وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ الْإِنْجِيلَ نَقَلَهُ عَنْهُ أَرْبَعَةٌ: لُوقَا، وَمَتَّى وَمُرْقُسُ، وَيُوحَنَّا. وَبَيْنَ هَذِهِ الْأَنَاجِيلِ الْأَرْبَعَةِ تَفَاوُتٌ كَثِيرٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى كُلِّ نُسْخَةٍ وَنُسْخَةٍ، وَزِيَادَاتٌ كَثِيرَةٌ وَنَقْصٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى الْأُخْرَى، وَهَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةُ
পৃষ্ঠা - ১০৪১
ষ্ষ্


মাসীহ্র অনুসারীরা তার বিদায়ের পরে দু শ বছরত তার নীতি ও আদর্শের উপরে টিকে ছিল ৷
ইবন হিব্বান এ হাদীসকে সহীতন্বললেও মুলত এর সনদ পরীব পর্যায়ের ৷ ইবন জারীর মুহাম্মদ
ইবন ইসহাকের বরাত দিয়ে লিখেছেন যে, ঈসা (আ)-কে আসমানে তুলে নেয়ার পুর্বে তিনি
হাওয়ারীগণকে উপদেশ দিয়েছেলেন, তারা যেন মানুষকে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের
দিকে ডাকতে থাকে ৷ তিনি তাদের প্রত্যেককে সিরিয়া ও প্ৰাচ্য-প্রভীচ্যের জনগোষ্ঠির এক এক
এলাকা দাওয়াতী কাজের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন ৷

বর্ণনাকারীগণ বলেছেন যে, সে এলাকায় যে হাওয়ারীকে নাি,হাাগ করা হয়েছিল, তিনি সেই
এলাকার অধিবাসীদের সাথে তাদের নিজ ভাষায় কথা বলতেন ৷ অনেক ঐতিহাসিক বলেছেন,
হযরত ঈসা (আ) এর নিকট থেকে চার জন লোক ইনজীল উদ্ধৃত করেছেন ৷ তারা হলেন লুক
মথি, মার্কস ( মার্ক) ও ইউহান্না (যোহন) ৷ কিন্তু এই ইনব্জীল চ তুষ্টয়ের মধ্যে একটির সাথে
আর একটির যথেষ্ট গরমিল বিদ্যমান ৷ একটির মধ্যে বেশী ণ্’তা আর একটিতে কম ৷ উক্ত চার
জনের মধ্যে মথি ও ইউহান্না হযরত ঈসার যুগের এবং তারা তাকে দেখেছিলেন ৷ মার্কা ও লুক
তার সমসামায়িক ছিলেন না, বরং৩ তারা ছিলেন ঈসার শিষরুংার শিষ্য ৷ তবে তারা মাসীহর
উপর যথার্থ ঈমান আসেন ও তাকে সত্য নবী বলোীকার করেন ৷ দামিশকের এক ব্যক্তি ঈসা
মড়াসীহ্র উপর ঈমান আনেন, তার নাম যায়ন ( এে১) ৷ তবে তিনি গোল নামক জনৈক
ইহুদীর ভয়ে দ মিশকেব পুর্ব পেটে পীর্জার নিকটে একটি গুহায় আত্মগোপন করে থাকেন ৷
উক্ত ইহুদী ছিল অত ব্রুড়াচারী ও ঈসা (আ) এর প্রতি এবং তার আদর্শের প্রতি চরম বিদ্বেষী ৷ এই
ব্যক্তির এক ভাইপো ঈসা (আ)-এর উপর ঈমান আনার কারণে সে তার মাথার চুল মুড়িয়ে
দেয় ৷ শহরের রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরায় এবং পাথর মেরে তাকে হত্যা করে ৷ একদিন সে শুনতে
পেল ঈসা (আ) দ মিশক অভিমুখে রওনা হয়েছেন ৷ তখন সে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে
খচ্চরে আরোহণ করে সেদিকে বেরিয়ে পড়ল ৷

কাওকাব নামক স্থানে পৌছে সে ঈসা (আ)-কে দেখতে পেল ৷ ঈসা (আ) এর শিষ্যদের দিকে
অগ্রসর হতেই এক ফেরেশতা এসে পাখা দিয়ে আঘাত করে তার চোখ কানা করে দিলেন এ
ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তার অন্তরে ঈসা (আ) এর প্রতি বিশ্বাস জন্মায় ৷ তখন সে ঈসাা(অ ) এর
নিকটগ্ গিয়ে নিজের অপরাধাীকার করে ঈমান আসে ঈসা (আ)ত তার ঈমান গ্রহণ করলেন ৷
অত০পর সে ঈসা (আ) কে৩ তার চক্ষুদ্বয়ের উপর হাত বুলিয়ে দিতে অনুরোধ করল, যাতে
আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন ৷ ঈসা (আ) বললেন, তুমি যায়ন-এর কাছে ফিরে যাও ৷
দামিশকের পুর্ব প্রান্তে লম্বা বাজারের পার্শে তাকে পাবে ৷ সে তোমার জন্যে দােয়া করবে ৷ ঈসা
(আ)-এর কথামত যে সেখানে এসে যায়নকে পেল ৷ যায়ন তার জন্যে দোয়া করলে সে
দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল ৷ গোল আম্ভবিকভাবে ঈসার প্রতি ঈমান এসেছিলেন তিনি তাকে আল্লাহর
বন্দো ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করতেন ৷ তার নামে দামিশকে একটি গীর্জা ভৈত বি করা হয় ৷
গোলের গীর্জা নামে খ্যাত এই গীর্জাটি সাহাবাদের যুগে দামিশক বিজয়কালেও বিদ্যমান ছিল ৷
পরবর্তীকালে এটা ধ্বংস হয়ে যায় ৷ সে ইতিহাস আমরা পরে বলব ৷


مِنْهُمُ اثْنَانِ مِمَّنْ أَدْرَكَ الْمَسِيحَ وَرَآهُ، وَهُمَا مَتَّى وَيُوحَنَّا وَمِنْهُمُ اثْنَانِ مِنْ أَصْحَابِ أَصْحَابِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهُمَا مُرْقُسُ وَلُوقَا. وَكَانَ مِمَّنْ آمَنَ بِالْمَسِيحِ وَصَدَّقَهُ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: ضِينَا، وَكَانَ مُخْتَفِيًا فِي مَغَارَةٍ دَاخِلَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ قَرِيبًا مِنَ الْكَنِيسَةِ الْمُصَلَّبَةِ ; خَوْفًا مِنْ بُولِصَ الْيَهُودِيِّ، وَكَانَ ظَالِمًا غَاشِمًا مُبْغِضًا لِلْمَسِيحِ، وَلَمَّا جَاءَ بِهِ. وَكَانَ قَدْ حَلَقَ رَأْسَ ابْنِ أَخِيهِ حِينَ آمَنَ بِالْمَسِيحِ، وَطَافَ بِهِ فِي الْبَلَدِ ثُمَّ رَجَمَهُ حَتَّى مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَلَمَّا سَمِعَ بُولِصُ أَنَّ الْمَسِيحَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَدْ تَوَجَّهَ نَحْوَ دِمَشْقَ جَهَّزَ بِغَالَهُ وَخَرَجَ لِيَقْتُلَهُ فَتَلَقَّاهُ عِنْدَ كَوْكَبَا، فَلَمَّا وَاجَهَ أَصْحَابَ الْمَسِيحِ، جَاءَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَضَرَبَ وَجْهَهُ بِطَرَفِ جَنَاحِهِ فَأَعْمَاهُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ وَقَعَ فِي نَفْسِهِ تَصْدِيقُ الْمَسِيحِ، فَجَاءَ إِلَيْهِ وَاعْتَذَرَ مِمَّا صَنَعَ، وَآمَنَ بِهِ فَقَبِلَ مِنْهُ، وَسَأَلَهُ أَنْ يَمْسَحَ عَيْنَيْهِ ; لِيَرُدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بَصَرَهُ، فَقَالَ: اذْهَبْ إِلَى ضِينَا عِنْدَكَ بِدِمَشْقَ فِي طَرَفِ السُّوقِ الْمُسْتَطِيلِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ১০৪২
ষ্ষ্


পরিচ্ছেদ

হযরত ঈসা মাসীহ (আ) কে আসমানে উঠানাের পর তার সম্পর্কে তার অনুসারীদের মধ্যে
বিভিন্ন মতামতের সৃষ্টি হয় ৷ ইবন আব্বাসসহ প্রথম যুগের অনেক মনীষী এ সম্পর্কে বর্ণনা
করেছেন ৷ আমরা সুরা সাফ এর আয়াত “পরে আমি মুমিনদেরকে শক্তিশালী করলাম
তাদের শত্রুদের মুকাবিলায়; ফলে৩ারা বিজয়ী হল ৷” (৬১ সাফ৪ ১৪ )-এর ব্যাখ্যার ইবন
আব্বাস (বা) প্রমুখ বলেছেন, তাদের একদল বিশ্বাস করে যে, তিনি আল্লাহ্র বান্দা ও তার
রাসুল ৷ তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, এখন তাকে আসমানে ভুলে নেয়া হয়েছে ৷ দ্বিতীয় দল
বলে, তিনি হলেন স্বয়ং আল্লাহ ৷৩ তৃতীয় দলের মতে ,তিনি আল্লাহর পুত্র ৷ বন্তুত প্রথম দলের
বিশ্বাসই যথার্থ ৷ অন্য দল দু’টির বক্তব্য জঘন্য কুফ্রী তাদের মতবিরোধ সম্পর্কে আল্লাহ
বলেন : “অত০পর দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করল, সুতরাং দুর্তোগ কাফিরদের
মহাদিবস অ ৷গামনক লে ৷” (১৯ মাবৃয়ামঃ ৩৭)

এ ছাড়া ইনজীলের৷ চা রজন বর্ণনাকা রীর বর্ণনা উদ্ধৃত করার মধ্যেও কম, বেশী পরিবর্তন ও
পরিবর্ধন করা হয়েছে৷ তারপর হযরত ঈসা (আ)-এব তিনশ বছর পর ইনজীল ও ঈসায়ী
ধর্মের উপর বিরাট দুর্যোগ নেমে আসে ৷ চার দলের চারজন আর্ক বিশপ, পাদ্রী ও
সাধু সন্নাসীগণ মাসীহ সম্পর্কে এত অসং থ্য মতে বিভক্ত হয়ে পড়েন, যা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে
পড়ে ৷ তারা তাদের এ বিরোধের ফয়সালড়ার জন্যে কনষ্টান্টিনোপল নগরীর প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট
কনক্টান্টাইনের শরণাপন্ন হয় ৷ এটা ছিল তাদের প্রথম মহাসম্মেলন ৷ সম্রাট সবকিছু শুনে
অধিকাৎশ দল যে মতে র উপর ঐকমত্য পোষণ করে, সে মতকেই গ্রহণ করেন ৷ এই দলের
নামকরণ করা হয় মালাইক৷ (মালাকিয়া) ৷ এ মতের বাইরে যারা ছিল তাদেরকে নির্যাভীত
করেন ও দেশাম্ভরি৩ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আদয়ুসের অনুসারী যারা ঈসা (আ) কে আল্লাহর
বান্দা ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করতেন তারা একঘরে হয়ে পড়েন ৷ তারা বিভিন্ন পাহাড়ী
অঞ্চলে ও উপত্যকায়শ্চ গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন ৷ তারা সেখানে ইবাদতখানা , গীর্জা ও
উপাসনালয় তৈরি করেন এবং সন্যুাসী জীবন-যাপন করতে থাকেন ৷ এরা উপরোক্ত
ফের্কাসমুহের সংশ্রব থেকে দুরে থাকেন ৷ অপরদিকে মালাইক৷ সম্প্রদায় গ্রীক স্থাপত্যের
অনুকরণে বিভিন্ন জায়গায় বিরাট বিরাট গীর্জ৷ স্থাপন করে ৷ তারা তাদের কিবলা পুর্ব দিকে
পরিবর্তন করে , যদিও কিবলা ইতিপুর্বে উত্তরে জাদাইর দিকে ছিল ৷

বেথেলহাম ও কুমামার ভিত্তি স্থাপন

হযরত ঈস৷ মাসীহ (আ) যে স্থানে জন্মগহণ করেছিলেন যে স্থানে সম্রাট কনপ্টান্টাইন
একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন, যার নাম রাখা হয় বায়তৃ লাহাম (বেথেলহাম) ৷ অপর দিকে
সম্রাটের মা হায়লান৷ কথিত ক্রুশবিদ্ধ ঈসার কবরের উপর আর একটি প্রাসাদ তৈরি করেন, যার
নাম রাখা হয় কুমামা ৷ ইহুদীদের প্রচারণায় পড়ে৩ ৷রাও বিশ্বাস করত যে, নবী ঈসা মাসীহকেই
ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে ৷ কিন্তু এই মত পােষণকরীি পুর্বের ও পরের সকলেই কাফির ৷ এরা বিভিন্ন
রকম মনগড়া বিধি বিধান ও আইন কানুন তৈরি করে ৷ এসব ৰিধানের মধ্যে ছিল পুরাতন


الْمَشْرِقِ، فَهُوَ يَدْعُو لَكَ. فَجَاءَ إِلَيْهِ فَدَعَا، فَرَدَّ عَلَيْهِ بَصَرَهُ، وَحَسُنَ إِيمَانُ بُولِصَ بِالْمَسِيحِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَبُنِيَتْ لَهُ كَنِيسَةٌ بِاسْمِهِ، فَهِيَ كَنِيسَةُ بُولِصَ الْمَشْهُورَةُ بِدِمَشْقَ، مِنْ زَمَنِ فَتَحَهَا الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، حَتَّى خَرِبَتْ فِي الزَّمَانِ الَّذِي سَنُورِدُهُ. إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.