قصة عيسى بن مريم
فصل في مشي عيسى على الماء
পৃষ্ঠা - ১০০৭
ষ্ষ্
কিছু দিন অতিবাহিত হলে একদিন পর পর খাঞ্চা অবতরণ করত ৷ যেমন সালিহ (অড়া)-এর
উটনীর দুধ একদিন পর পর লোকেরা পান করত ৷ অতঃপর আল্লাহ্ হযরত ঈসা (আ)-কে
আদেশ দেন যে, এখন থেকে খাঞ্চার খাবার শুধুমাত্র দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত লোকেরাই আহার
করবে ৷ ধনী লোকেরা তা থেকে আহার করতে পারবে না ৷ এই নির্দেশ অনেককেই পীড়া দেয় ৷
মুনাফিকরা এ নিয়ে বিরুপ সমালোচনা করতে শুরু করল ৷ ফলে আসমানী খাঞ্চা সম্পুণরুপে বন্ধ
হয়ে গেল এবং সমালোচনাকারীরা শুকরে পরিণত হল ৷
ইবন আবি হাতিম ও ইবন জারীর উভয়ে আমার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বপ্টা
করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন : রুটি ও গোশতসহ খাঞ্চা আসমান থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল
এবং বনী ইসরাঈলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা এর অপব্যবহার করবে না, সঞ্চয় করে
রাখবে না ও আগামী দিনের জন্যে ঘরে তুলে নিবে না ৷ কিভু তারা এতে খিয়ানত করে সঞ্চয়
করে রাখে ও আগামী দিনের জন্যে ঘরে তুলে নেয় ৷ ফলে তাদেরকে বানর ও শুকরে পরিণত
করা হয় ৷ ইবন জারীর আমার (বা) থেকে বিভিন্ন সুত্রে মওকুফরুগে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন
এবং এটাই সঠিক ৷ হাদীসটি যে সুত্রে মারফুরুগে বর্ণিত হয়েছে তা মুনকাতা বা বিভিন্ন সুত্রের
হাদীস ৷ হাদীসটির মারফু হওয়া নিশ্চিত হলে এ ব্যাপারে এটি হবে চুড়ান্ত ফয়সালা ৷ কেননা,
খড়াদ্যপুর্ণ খাঞ্চা আদৌ অবতীর্ণ হয়েছিল কি না সে সম্পর্কে অড়ালিমদের মধ্যে মতভেদ আছে ৷
তবে অধিকাৎশের মতে তা’ অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ উপরোক্ত হাদীস ও কুরআনের প্ৰকাশতংগী
থেকে তাই বুঝা যায় ৷
বিশেষ করে এই আয়াত : ;§;£; ’€;’;; হেট্রু, (আমি অবশ্যই তা তোমাদের উপর
অবতীর্ণ করব ৷)” ইবন জারীর দৃঢ়তার সাথে এই মতের্ব পক্ষে প্ৰমাণাদি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি
বিশুদ্ধ সনদে মুজাহিদ ও হাসান বসরীর মতামত উল্লেখ করেছেন ৷ তারা বলেছেন, মাযিদা
আদৌ অবতীর্ণ হয়নি ৷ তারা বলেন, এই আয়াত “এরপর তোমাদের মধ্যে কেউ কুফরী করলে
তাকে এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাউকেও দিব না” ৷ (মায়িদা : ১ ১ ৫ ) যখন
নাযিল হয় তখন বনীইসরাঈলরা মাযিদা অবতীর্ণের আবদার প্রত্যাহার করে নেয় ৷ এ কারণেই
বলা হয়ে থাকে যে, নাসারাপণ মায়িদার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নয় এবং তাদের কিতাবেও এ
ঘটনার বাস্তবে কোন উল্লেখ নেই ৷ অথচ এমন একটি ঘটনা বাস্তবে সংঘটিত হলে তার উল্লেখ
না থেকে পারে না ৷ তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে আমরা বির্শদভাবে আলোচনা করেছি ৷ আগ্রহী
ব্যক্তি সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন ৷
পরিচ্ছেদ
আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া বকর ইবন আবদিল্লাহ মুমানী থেকে বর্ণনা করেনঃ
একদা হাওয়াবীপণ হযরত ঈসা (আ) কে খুজে পাচ্ছিলেন না ৷ জনৈক ব্যক্তি তাদেরকে বলল,
তিনি সমুদ্রের দিকে গিয়েছেন ৷ তারা সন্ধান করতে করতে সমুদ্রের দিকে গেল ৷ সমুদ্রের তীরে
গিয়ে দেখেন, তিনি পানির উপর দিয়ে হীটছেন ৷ সমুদ্রের তরঙ্গ একবার তাকে উপরে উঠাচ্ছে
এবার নীচে নামাচ্ছে ৷ একটি চাদরের অর্ধেক গায়ের উপর দিয়ে রেখেছেন আর বাকী অর্ধেক
তার পরিধানে আছে ৷ পানির উপর দিয়ে হীটতে হীটতে তিনি তাদের নিকটে আসেন ৷ তাদের
[فَصَلٌ فِي مَشْيِ عِيسَى عَلَى الْمَاءِ]
فَصْلٌ
قَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا رَجُلٌ سَقَطَ اسْمُهُ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، قَالَ: فَقَدَ الْحَوَارِيُّونَ نَبِيَّهُمْ عِيسَى، فَقِيلَ لَهُمْ: تَوَجَّهَ نَحْوَ الْبَحْرِ. فَانْطَلَقُوا يَطْلُبُونَهُ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْبَحْرِ، إِذَا هُوَ يَمْشِي عَلَى الْمَاءِ، يَرْفَعُهُ الْمَوْجُ مَرَّةً وَيَضَعُهُ أُخْرَى، وَعَلَيْهِ كِسَاءٌ، مُرْتَدٍ بِنِصْفِهِ، وَمُؤْتَزِرٌ بِنِصْفِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِمْ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ - قَالَ أَبُو هِلَالٍ: ظَنَنْتُ أَنَّهُ مَنْ أَفَاضِلِهِمْ -: أَلَا أَجِيءُ إِلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَوَضَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْمَاءِ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَضَعَ الْأُخْرَى فَقَالَ: أَوَّهْ، غَرِقْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ: أَرِنِي يَدَكَ يَا قَصِيرَ الْإِيمَانِ، لَوْ أَنَّ لِابْنِ آدَمَ مِنَ الْيَقِينِ قَدْرَ شَعِيرَةٍ، مَشَى عَلَى الْمَاءِ. وَرَوَاهُ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ أَبِي الْجَحِيمِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ بَكْرٍ، بِنَحْوِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْعَثِ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ قَالَ: قِيلَ لِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: يَا عِيسَى، بِأَيِّ شَيْءٍ تَمْشِي عَلَى الْمَاءِ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১০০৮
ষ্ষ্
মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিটি বললেন, “হে আল্লাহর নবী ! আমি কি আপনার নিকট আসর ? তিনি
বললেন, হীা, এস, যখন তিনি এক পা পানিতে রেখে অন্য পা তুলেছেন, অমনি চিৎকার করে
উঠেন উহ্৪ হে আল্লাহর নবী! আমি তো ডুবে গেলাম ৷ ঈস৷ (আ) বললেন, ওহৈ দুর্বল
ঈমানদার তোমার হাত আমার দিকে বাড়াও ৷ কোন আদম সন্তানের যদি একটা বব পরিমাণও
ঈমান থাকে তাহলে সে পানির উপর দিয়েছু ন্ ৷টতে পারে ৷
আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী বকর থেকে অনুরুপ ঘটনা বণ্ না করেছেন ৷ ইবন আবিদ
দুনিয়া ফুযায়ল ইবন ইয়ায থেকে বর্ণনা ৷করেনং , জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে ঈস৷
আপনি কিসের সাহায্যে পানির উপর দিয়ে ইাটেনঃ তিনি বললেন ঈমন ও ইয়াকীনের বলে ৷
উপস্থিত লোকেরা বলল, আপনি যেমন ইয়াকীন রাখেন, আমরাও তেমনি ইয়াকীন রাখি ৷ ঈসা
বললেন, ত ই যদি হয় তা হলে তোমরাও পানির উপর দিয়ে হেটে চল ৷ তখন নতারা নবী
ঈসার সাথে পানির উপর দিয়ে হাট৷ শুরু করল ৷ কিন্তু ঢেউ আস৷ মাত্রই তারা সকলেই ডুবে
গেল ৷ নবী বললেন, তে ৷মাদের কী হল হে? তারা বলল, আমর ঢেউ দেখে ভীত হয়ে
গিয়েছিলাম ৷ নবী বললেন, কত ৩াল হত যদি ঢেউ এর মালিককে তোমরা ভয় করতে ৷
অতংপর তিনি৩ তাদেরকে বের করে আনলেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি মাটিতে হাত মেরে এক মুষ্টি
মাটি নিলেন ৷ পরে হাত খুললে দেখা গেল এক হাতে স্বর্ণ এবং অন্য হাতে মাটির ঢেলা কিৎবা
কঙ্কর ৷ তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন এ দুহাভ্রুত র কােনটির বস্তু তোমাদের কাছে
প্রিয়তর? তারা বলল, স্বর্ণ ৷ নবী বললেন, আমার নিকট স্বর্ণ ও মাটি উভয়ই সমান ৷ ইতিপুর্বে
ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়৷ (আ)-এর ঘটনায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, হযরত ঈস৷ (আ) পশমী
বস্ত্র পরিধান করতেন, গাছের পাতা আহার করতেন ৷ তার বসবাসের কোন ঘরবাড়ী ছিল না ৷
পরিবার ছিল না, অর্থ সম্পদ ছিল না এবং আগামী দিনের জ্যন্য কিছু সঞ্চয় করেও তিনি
রাখতেন না ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি তার মায়ের সুতা কাটার চরকার আয় থেকে আহার
করতেন ৷
ইবন আসাকির শা’বী থেকে বংনাি করেছেন যে, ঈস৷ (আ) এর সম্মুখে কিয়ামতের
আলোচনা করা হলে তিনি চিৎকার করে উঠতেন এবং বলতেন, ইবন মারয়ামের নিকট
কিয়ামতের আলাচনা করা হবে আ র তিনি চুপচাপ থাকবেন তা’ হয় না ৷ আবদুল মালিক ইবন
সাঈদ ইবন বাহ্র থেকে বর্ণিত৪ হযরত ঈস৷ (আ) যখন উপদেশ বাণী শুনাতেন তখন তিনি
সন্তান হারা মায়ের ন্যায় কান্া৷ক টি করতেন ৷ আবদুর রায্যাক জা ’ফর ইবন বালকাম থেকে
বর্ণনা করেন যে, ঈস৷ (আ) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এরুপ দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ !
আমার যা অপছন্দ তা থেকে আত্মরক্ষ৷ করতে আমি সক্ষম নই; যে কল্যাণ আমি পেতে চাই তা
আমার অধিকারে সেই, সব বিষয় রয়েছে অন্যের হাতে আমি আমার কাজের মধ্যে বন্দী;
সুতরাং আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ নেই ৷ হে আল্লাহ ! আমার শত্রুকে হাসিয়ো না এবং
আমার কারণে আমার বন্ধুকে কষ্ট দিও না ৷ আমার দীনের মধ্যে ৎকট সৃষ্টি করিও না এবং
আমার প্রতি সদয় হবে না এমন লোককে আমার উপর চাপিয়ে দিও না ৷”
بِالْإِيمَانِ وَالْيَقِينِ. قَالُوا: فَإِنَّا آمَنَّا كَمَا آمَنْتَ وَأَيْقَنَّا كَمَا أَيْقَنْتَ. قَالَ: فَامْشُوا إِذًا. قَالَ: فَمَشَوْا مَعَهُ فِي الْمَوْجِ فَغَرِقُوا. فَقَالَ لَهُمْ عِيسَى: مَا لَكُمْ؟ فَقَالُوا: خِفْنَا الْمَوْجَ. قَالَ: أَلَا خِفْتُمْ رَبَّ الْمَوْجِ. قَالَ: فَأَخْرَجَهُمْ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ إِلَى الْأَرْضِ، فَقَبَضَ بِهَا ثُمَّ بَسَطَهَا، فَإِذَا فِي إِحْدَى يَدَيْهِ ذَهَبٌ، وَفِي الْأُخْرَى مَدَرٌ أَوْ حَصًى، فَقَالَ: أَيُّهُمَا أَحْلَى فِي قُلُوبِكُمْ؟ قَالُوا: هَذَا الذَّهَبُ. قَالَ: فَإِنَّهُمَا عِنْدِي سَوَاءٌ. وَقَدَّمْنَا فِي قِصَّةِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ يَلْبَسُ الشَّعْرَ وَيَأْكُلُ مِنْ وَرَقِ الشَّجَرِ، وَلَا يَأْوِي إِلَى مَنْزِلٍ وَلَا أَهْلٍ وَلَا مَالٍ، وَلَا يَدَّخِرُ شَيْئًا لِغَدٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ يَأْكُلُ مِنْ غَزْلِ أُمِّهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: كَانَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِذَا ذُكِرَ عِنْدَهُ السَّاعَةُ صَاحَ، وَيَقُولُ: لَا يَنْبَغِي لِابْنِ مَرْيَمَ أَنْ تُذْكَرَ عِنْدَهُ السَّاعَةُ وَيَسْكُتَ. وَعَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبْجَرَ، أَنَّ عِيسَى كَانَ إِذَا سَمِعَ الْمَوْعِظَةَ صَرَخَ صُرَاخَ الثَّكْلَى.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ: أَنَّ عِيسَى كَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ لَا أَسْتَطِيعُ دَفْعَ مَا أَكْرَهُ، وَلَا أَمْلِكُ نَفْعَ مَا أَرْجُو، وَأَصْبَحَ الْأَمْرُ بِيَدِ غَيْرِي، وَأَصْبَحْتُ مُرْتَهِنًا بِعَمَلِي، فَلَا فَقِيرَ أَفْقَرُ مِنِّي،
পৃষ্ঠা - ১০০৯
اللَّهُمَّ لَا تُشْمِتْ بِيَ عَدُوِّي، وَلَا تَسُؤْ بِي صَدِيقِي، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتِي فِي دِينِي، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ مَنْ لَا يَرْحَمُنِي. وَقَالَ الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ كَانَ عِيسَى يَقُولُ: لَا يُصِيبُ أَحَدٌ حَقِيقَةَ الْإِيمَانِ حَتَّى لَا يُبَالِيَ مِنْ أَكْلِ الدُّنْيَا. قَالَ الْفُضَيْلُ: وَكَانَ عِيسَى يَقُولُ: فَكَّرْتُ فِي الْخَلْقِ، فَوَجَدْتُ مَنْ لَمْ يُخْلَقْ أَغْبَطَ عِنْدِي مِمَّنْ خُلِقَ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: إِنَّ عِيسَى رَأْسُ الزَّاهِدِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قَالَ: وَإِنَّ الْفَرَّارِينَ بِذُنُوبِهِمْ يُحْشَرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ عِيسَى. قَالَ: وَبَيْنَمَا عِيسَى يَوْمًا نَائِمٌ عَلَى حَجَرٍ قَدْ تَوَسَّدَهُ، وَقَدْ وَجَدَ لَذَّةَ النَّوْمِ، إِذْ مَرَّ بِهِ إِبْلِيسُ، فَقَالَ: يَا عِيسَى، أَلَسْتَ تَزْعُمُ أَنَّكَ لَا تُرِيدُ شَيْئًا مِنْ عَرَضِ الدُّنْيَا؟ فَهَذَا الْحَجَرُ مِنْ عَرَضِ الدُّنْيَا. فَقَامَ عِيسَى فَأَخَذَ الْحَجَرَ فَرَمَى بِهِ إِلَيْهِ، وَقَالَ: هَذَا لَكَ مَعَ الدُّنْيَا. وَقَالَ مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ: خَرَجَ عِيسَى عَلَى أَصْحَابِهِ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ صُوفٌ وَكِسَاءٌ وَتُبَّانٌ، حَافِيًا بَاكِيًا شَعِثًا، مُصْفَرَّ اللَّوْنِ مِنَ الْجُوعِ، يَابِسَ الشَّفَتَيْنِ مِنَ الْعَطَشِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَنَا الَّذِي أَنْزَلْتُ الدُّنْيَا مَنْزِلَتَهَا بِإِذْنِ اللَّهِ، وَلَا عَجَبَ وَلَا فَخْرَ، أَتَدْرُونَ أَيْنَ بَيْتِي؟ قَالُوا: أَيْنَ بَيْتُكَ يَا رُوحَ اللَّهِ؟ قَالَ: بِيتِي الْمَسَاجِدُ، وَطِيبِي الْمَاءُ، وَإِدَامِي الْجُوعُ، وَسِرَاجِي الْقَمَرُ بِاللَّيْلِ، وَصَلَاتِي فِي الشِّتَاءِ مَشَارِقُ
পৃষ্ঠা - ১০১০
ষ্ষ্
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ ৭৩
ফুযায়ল ইবন ইয়ায, ইউনুস ইবন উবায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ঈসা (আ) রলতেন
যতক্ষণ আমরা দুনিয়ার ভোগ বিমান থেকে বিমুখ হতে না পারবো, ততক্ষণাপ্ৰকৃত ঈমানের
াদ অনুভব করতে পারব না ৷ ফুযায়ল আরও বলেছেন, ঈসা (আ) বলরু তন, আমি সৃষ্টিতত্ত্ব
নিয়ে চিন্তা গবেষণা করেছি ৷ তাতে আমি দেখেছি যে মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে তার তুলনায়
যাকে সৃষ্টি করা হয়নি সে ই আমার কা ছে বেশী ঈর্ষণীয় ৷ ইসহাক ইবন বিশর হাসান (র)
সুত্রে বংনাি করেন, কিয়ামভ্রু তর দিন হযরত ৩ঈসা (আ) হবেন সংসার বিমুখদের নেতা তিনি
আরও বলেছেন০ কিয়ামতৃত তর দিন পাপ থেকে পলাযনকারী লোকদের হাশর হভ্রুব ঈসা
(আ ) এর সাথে ৷
রাবী আরও বলেনঃ একদিন হযরত ঈসা (আ) একটি পাথরের উপর মাথা রেখে শুয়ে
পড়েন ৷ তিনি গভীর ফ্লিায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ৷ এমন সময় ৯ স্থান দিয়ে ইবলিস যাচ্ছিল ৷ সে
বলল, “ওহে ঈসা তুমি কি বলে থাক না যে, দুনিয়ার ;কান বস্তুর প্ৰতিঢন্ ৩ামার আগ্রহ (নই?
কিভু এই পাথরটি তো দুনিয়ার বস্তু তখন হযরত ঈসা (আ) পাথরটি ধরে তার দিকে ছুড়ে
মারলেন এবং বললেন, দুনিয়ার সাথে এটিও তুই নিয়ে যা ৷ ণুতামির ইবন সুলায়মান বলেন
একদা হযরত ঈসা (আ) তার শিষ্যদের সাথে নিয়ে বের হন ৷ ৩ার পরিধানে ছিল পশমের
জুব্বা, চাদর ও অতর্বাস ৷ তার পায়ে কো ন জুতা ছিল না ৷ তিনি ছিলেন ক্রন্দনরত ৷ র্তার মাথার
চুল ছিল এলােমেলো৷ ক্ষুধার তীব্রায় ঢেহারা ছিল ফাকাশে ৷াপপাসায় ঠোট দু টি শুষ্ক ৷ এ
অবস্থায় তিনি বনী ইসরাঈলের লোকদেরকে সালাম দিয়ে বললেন০ : আল্লাহর যেহেরবানীতে
আমি দুনিয়াকেতারা সঠিক অবস্থানে রেখেছি ৷ এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই এবং এর জন্যে
আমার গৌরবেরও কিছু নেই ৷ তামরা কি জান আমার ঘর কোথায়? তারা বলল, হে কহুল্লাহ্!
কোথায় আপনার ঘর? তিনি বললেন আমার ঘর হল মসজিদ, পানি দিয়েই আমার অঙ্গসজ্জা ৷
ক্ষুধাই আমার ব্যঞ্জন ৷ রাতে র র্চাদ আমার বাতি শীতকালে আমার স লাত পুবাচল, শাক সজিই
আমার জীবিকা, যে টা পশমই আমার পোষাক ৷ আল্লাহর ভয়ই আমার পরিচিতি, পঙ্গু ও
নিঃারা আমার সঙ্গী-সাথী ৷ আমি যখন সকালে উঠি তখন আমার হাত শুন্য যখন সন্ধ্য৷ হয়
তখনও আমার হাতে কিছু থাকে না ৷ এতে আমি সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত এবং নিরুদ্বিগ্ন ৷ সুতরাং আমার
চাইতে ধনী ও সচ্ছল আর কে আছো বংনিাটি ইবন আসাকিরের ৷
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে তিনি বংনাি করেছেনং রাসুলুল্লাহ (না) বলেন আল্লাহ হযরত
ঈসার নিকট এই মর্মে ওহী পাঠান যে, তোমাকে শত্রুরা যাতে চিনতে ও কষ্ট দিতে না পারে সে
জন্যে ভুমি সর্বদা স্থান পরিবর্তন করতে থাকবে ৷ আমার স্স্তুম ও প্ৰতিপত্তির কলম, আমি
তোমাকে এক হাজার হুরের সাথে বিবাহ দিব এবং চারশ’ বছর যাবত ওলীমা খাওয়ার ৷ এ
হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷ এটা একটি ইসরাঈলী বর্ণনা ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুরারক, খালফ ইবন
হাওশব থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছিলেন, রাজা-বাদশাহরা
যেমন দীন ও হিকমত তোমাদের জন্যে ছেড়ে দিয়েছে, তােমরাও তেমন তাদের জন্যে দুনিয়া
ছেড়ে দাও ৷ কাতাদা বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেছিলেন : তোমরা আমার নিকট প্রশ্ন কর ৷
কেননা, আমার অন্তর কোমল, নিজের কাছে আমি ক্ষুদ্র ৷ ইসমাঈল ইবন আইয়্যাশ ইবন
الشَّمْسِ، وَرَيْحَانِي بُقُولُ الْأَرْضِ، وَلِبَاسِي الصُّوفُ، وَشِعَارِي خَوْفُ رَبِّ الْعِزَّةِ، وَجُلَسَائِي الزَّمْنَى وَالْمَسَاكِينُ، أُصْبِحُ وَلَيْسَ لِي شَيْءٌ، وَأُمْسِي وَلَيْسَ لِي شَيْءٌ، وَأَنَا طَيِّبُ النَّفْسِ غَنِيٌّ مُكْثِرٌ، فَمَنْ أَغْنَى مِنِّي وَأَرْبَحُ؟ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
وَرَوَى فِي تَرْجَمَةِ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبَانِ بْنِ حِبَّانَ أَبِي الْحَسَنِ الْعُقَيْلِيِّ الْمِصْرِيِّ، حَدَّثَنَا هَانِئُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْإِسْكَنْدَرَانِيُّ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ شُفَيِّ بْنِ مَاتِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى عِيسَى، أَنْ يَا عِيسَى انْتَقِلَ مِنْ مَكَانٍ إِلَى مَكَانٍ، لِئَلَّا تُعْرَفَ فَتُؤْذَى، فَوَعِزَّتِي وَجَلَالِي، لَأُزَوِّجَنَّكَ أَلْفَ حَوْرَاءَ، وَلَأُولِمَنَّ عَلَيْكَ أَرْبَعَمِائَةِ عَامٍ» . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَفْعُهُ، وَقَدْ يَكُونُ مَوْقُوفًا مِنْ رِوَايَةِ شُفَيِّ بْنِ مَاتِعٍ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَوْ غَيْرِهِ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيِّينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ خَلَفِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ: قَالَ عِيسَى لِلْحَوَارِيِّينَ: كَمَا تَرَكَ لَكُمُ الْمُلُوكَ الْحِكْمَةَ، فَكَذَلِكَ فَاتْرُكُوا لَهُمُ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ১০১১
ষ্ষ্
উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছিলেন : যবের রুটি আহার
কর খালিস পানি পান কর এবং দুনিয়া থেকে শান্তি ও নিরাপদের সাথে বের হয়ে যাও ৷ আমি
তােমাদেরকে নিপুঢ় তত্ত্বকথ৷ জা ৷নাচ্ছি যে, দুনিয়ার যা সুস্বাদু, আখিরাতে তা বিস্বাদ আর দুনিয়ার
যা বিস্বাদ আখিরাতে তা ই সুস্বাদু ৷ আল্লাহর প্রকৃত বান্দ বা দুনিয়ার ভোগ বিলাসের জীবন
যাপন করতে পারে না ৷ তােমাদেরকে আমি সঠিক বলছি যে, তোমাদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট
ব্যক্তি হচ্ছে সেই লোক, যে জ্ঞানী হওয়া সত্বেও প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং চার যে, সকলেই
যেন তার মত হয় ৷
আবু হুরায়রা (বা) থেকেও অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ আর মুসআব মালিক থেকে
বর্ণনা করেন ঈসা (আ) বনী ইসরাঈলদেরকে বলতে ন৪ খালিস পানি পান কর, তাজা সজি
খাও এবং ঘরের রুটি আহার কর ৷ পমের রুটি থেয়ো না যেন ৷ কেননা তোমরা এর শোকর
আদায় করতে পারবে না ৷ ইবন ওহাব ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ)
বলতেন : তোমরা দুনিয়া অতিক্রম করে যাও ৷ একে আবাদ করো না ৷ তিনি বলতেন :
দুনিয়ার মহব্বত সকল গুনাহের মুল এবং কুদৃষ্টি অম্ভরেয় মধ্যে কাম-ভাব উৎপন্ন করে ৷
উহায়ব ইবন ওয়াবদও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনায় এইটুকু বেশী আছে যে,
কামনা-বাসনা অধিকাৎশ ক্ষেত্রে মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী দুঃখে ফেলে ৷ ঈসা (আ) বলতেন, হে
দুর্বল আদম-সন্তান ! যেখানেই থাক আল্লাহ্কে ভয় কর, দুনিয়ার মেহমান হিসেবে জীবন যাপন
কর ৷ মসজিদকে নিজের ঘর বানাও ৷ চক্ষুদ্বয়কে র্কাদতে শিখাও , দেহকে ধৈর্যধারণ করতে ও
অন্তরকে চিন্তা করতে অভ্যস্ত কর ৷ আগামী দিনের খাদ্যের জন্যে দুশ্চিম্ভা করে৷ না এটা পাপ ৷
তিনি বলতেন, সমুদ্রেরত তরঙ্গের উপরে ঘর বানান যেমন সম্ভব নয় তেমনি দুনিয়ার স্থায়ীভাবে
থাকাও সম্ভব নয় ৷ ’কবি সাবিকুল বরবরী এ প্ৰসংগে সুন্দর কথা বলেছেন যথা :
অর্থাৎ তলোয়ারের পথেই তোমাদের ঘর শোভা পায় ৷ যে ঘরের ভিত্তি মাটির উপবে,ত
কি পানির উপরে বানানো সম্ভব ?
সুফিয়ান ছাওরী বলেন, ঈসা (আ) বলেছেন : মুমিনের অস্তরে দুনিয়ার মহব্বত ও
আখিরাতের মহব্বত একত্রে থাকতে পারে না যেভাবে একত্রে থাকতে পারে না একই পাত্রে
আগুন ও পানি ৷ ইব্রাহীম হারবী আবৃ আবদুল্লাহ সুফী সুত্রে বলেন, ঈসা (আ ) বলেছেন :
দুনিয়া অম্বেষণকাবী লোক সমুদ্রের পানি পানকারীর সাথে তুলনীয় ৷ সমুদ্রের পানি যত বেশী
পান করবে ৩৩ বেশী পিপাসা বৃদ্ধি পাবে এবংত তা তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেবে ৷ ঈসা (আ)
বলেছেন : শয়তান দুনিয়া অন্বেষণ ও কামনাকে আকর্ষণীয় করে এবং প্রবৃত্তির লালসার সময়
শক্তি যোগায় ৷
আ’মাশ খায়ছামা থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) সংপী-সাথীদের সামনে আহার্য রেখে
নিজে আহার থেকে বিরত থাকতেন এবং বলতেন, মেহমানদের সাথে তােমরাও এইরুপ আচরণ
করবে ৷ জনৈক মহিলা ঈসা (আ)-কে বলেছিল , ধন্য সেই লোক, যে আপনাকে ধারণ করেছিল
وَقَالَ قَتَادَةُ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: سَلُونِي فَإِنِّي لَيِّنُ الْقَلْبِ، وَإِنِّي صَغِيرٌ عِنْدَ نَفْسِي. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِلْحِوَارِيَّيْنِ: كُلُوا خُبْزَ الشَّعِيرِ، وَاشْرَبُوا الْمَاءَ الْقَرَاحَ، وَاخْرُجُوا مِنَ الدُّنْيَا سَالِمِينَ آمِنِينَ، لَحَقٌّ مَا أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ حَلَاوَةَ الدُّنْيَا مَرَارَةُ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ مَرَارَةَ الدُّنْيَا حَلَاوَةُ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ عِبَادَ اللَّهِ لَيْسُوا بِالْمُتَنَعِّمِينَ، لَحَقٌّ مَا أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ شَرَّكُمْ عَالِمٌ يُؤْثِرُ هَوَاهُ عَلَى عِلْمِهِ، يَوَدُّ أَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمْ مِثْلُهُ. وَرُوِيَ نَحْوُهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
وَقَالَ أَبُو مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ: إِنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عِيسَى كَانَ يَقُولُ: يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، عَلَيْكُمْ بِالْمَاءِ الْقَرَاحِ، وَالْبَقْلِ الْبَرِّيِّ، وَالْخُبْزِ الشَّعِيرِ، وَإِيَّاكُمْ وَخُبْزَ الْبُرِّ، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَقُومُوا بِشُكْرِهِ.
وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: كَانَ عِيسَى يَقُولُ: اعْبُرُوا الدُّنْيَا وَلَا تُعَمِّرُوهَا. وَكَانَ يَقُولُ: حُبُّ الدُّنْيَا رَأْسُ كُلِّ خَطِيئَةٍ، وَالنَّظَرُ يَزْرَعُ فِي الْقَلْبِ الشَّهْوَةَ. وَحَكَى وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ مِثْلَهُ، وَزَادَ: وَرُبَّ شَهْوَةٍ أَوْرَثَتْ أَهْلَهَا حُزْنًا طَوِيلًا. وَعَنْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا ابْنَ آدَمَ الضَّعِيفَ، اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ، وَكُنْ فِي الدُّنْيَا ضَيْفًا، وَاتَّخَذِ الْمَسَاجِدَ بَيْتًا، وَعَلِّمْ عَيْنَكَ الْبُكَاءَ، وَجَسَدَكَ الصَّبْرَ، وَقَلْبَكَ التَّفَكُّرَ، وَلَا تَهْتَمَّ
পৃষ্ঠা - ১০১২
بِرِزْقِ غَدٍ، فَإِنَّهَا خَطِيئَةٌ. وَعَنْهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّهُ قَالَ: كَمَا أَنَّهُ لَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَتَّخِذَ عَلَى مَوْجِ الْبَحْرِ دَارًا، فَلَا يَتَّخِذِ الدُّنْيَا قَرَارًا. وَفِي هَذَا يَقُولُ سَابِقٌ الْبَرْبَرِيُّ:
لَكُمْ بُيُوتٌ بِمُسْتَنِّ السُّيُولِ وَهَلْ ... يَبْقَى عَلَى الْمَاءِ بَيْتٌ أُسُّهُ مَدَرُ
وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: لَا يَسْتَقِيمُ حُبُّ الدُّنْيَا وَحُبُّ الْآخِرَةِ فِي قَلْبِ مُؤْمِنٍ، كَمَا لَا يَسْتَقِيمُ الْمَاءُ وَالنَّارُ فِي إِنَاءٍ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ رَشِيدٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الصُّوفِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: طَالِبُ الدُّنْيَا مِثْلُ شَارِبِ مَاءِ الْبَحْرِ، كُلَّمَا ازْدَادَ شُرْبًا ازْدَادَ عَطَشًا، حَتَّى يَقْتُلَهُ. وَعَنْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الدُّنْيَا، وَمَكْرَهُ مَعَ الْمَالِ، وَتَزْيِينَهُ مَعَ الْهَوَى، وَاسْتِمْكَانَهُ عِنْدَ الشَّهَوَاتِ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ: كَانَ عِيسَى يَصْنَعُ الطَّعَامَ لِأَصْحَابِهِ وَيَقُومُ عَلَيْهِمْ، وَيَقُولُ: هَكَذَا فَاصْنَعُوا بِالْقِرَى. وَبِهِ: قَالَتِ امْرَأَةٌ لِعِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: طُوبَى لِحِجْرٍ حَمَلَكَ، وَلِثَدْيٍ
পৃষ্ঠা - ১০১৩
ষ্ষ্
এবং ধন্য সেই স্থান যে আপনাকে দুধ পান করিয়েছিল ৷ উত্তরে ঈসা (আ) বলেছিলেন, ধন্য
সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে ও তার বিধান মেনে চলে ৷ ঈসা (আ) আরও
বলেছেন, সেই ব্যক্তিই সৌভাগ্যের অধিকারী যে নিজের গুনাহ স্মরণ করে কান্নাকাটি করে ,
জিহ্বাকে সংযত রাখে এবং যার ঘরই তার জন্য যথেষ্ট হয় ৷ তিনি বলেছেন, ঐ চক্ষুর জানা
সুসংবাদ, যে গুনাহ থেকে চিন্তামুক্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে যায় এবং, জেগে উঠে গুনাহ বিহীন কাজে
মনোনিবেশ করে ৷ মালিক ইবন দীনার থেকে বর্ণিত ৷ ঈসা (আ) আপন শিষ্যবর্গের সাথে
কোথাও যাচ্ছিলেন ৷ পথে একটি মৃত দেহ দেখতে পেলেন ৷ শিষ্যরা বলল , মৃত দেহ থেকে তীব্র
দুর্গন্ধ বের হচ্ছে ৷ ঈসা (আ) বললেন, তার দীতগুলাে কত সাদা ৷ এ কথা বলে তিনি
শিষ্যদেরকে পীবত করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিচ্ছিলেন ৷ আবু বকর ইবন আবিদু
দুনিয়া যাকারিয়া ইবন আদী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ একদা ঈসা (আ) ইবন মারয়াম বললেন,
হে হাওয়ারীগণ ! দীন নিরাপদ থাকলে দুনিয়ার নিম্নমান নিয়েই সন্তুষ্ট থাক; যেমন দুনিয়াদার
ব্যক্তিরা দুনিয়ার জীবন নিরাপদ থাকলে দীনের নিম্নমান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ৷ এ প্রসংগে করি
বলেন :
(র্চু)া
অর্থাৎ আমি লক্ষ্য করেছি, এক শ্রেণীর লোক আছে যাদের মধ্যে দীন কম থাকলেও তাতে
তারা সত্তুষ্ট ৷ কিন্তু দুনিয়ার সৎকীর্ণতড়ায় তারা রাজী নয় ৷ সৃতরাৎ রাজা বাদশাহ্দের দুনিয়া
থেকে বিমুখ হয়ে দীন নিয়েই তুমি সন্তুষ্ট থাক, যেমন রজো বাদশাহ্রা দীন থেকে বিমুখ হয়ে
দুনিয়া পেয়ে সন্তুষ্ট থাকে ৷
আবু মাসআব মালিক থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন মারয়াম বলেছেন : আল্লাহর যিকির
ব্যতীত কথাবার্তা বেশী বল না; অন্যথায় তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে যাবে ৷ আর কঠিন অন্তর
আল্লাহ থেকে দুরে থাকে, কিন্তু তোমরা সে বিষয়ে অবগত নও ৷ মানুষের গুনাহের প্ৰতি
এমনভাবে দৃষ্টি দিও না, যেন তুমিই প্রভু বরং নিজেকে দাসের ভুমিকায় রেখে যে দিকে লক্ষ্য
কর ৷ কেননা, মানুষ দুই শ্রেণীর হয়ে থাকে ৷ কেউ বিপদ থেকে মুক্ত, কেউ বিপদগ্রস্ত ৷
বিপদগ্রস্তের প্ৰতি সদর হও এবং বিপদমুক্তের জনেই আল্লাহর প্রশংসা কর ৷ ছাওরী
ইবরাহীম তড়ায়মী সুত্রে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) তীর সাথীদেরকে বলেছেন, আমি ভোমড়াদেরকে
যথার্থ বলছি, যে ব্যক্তি ফিরদাউস আশা করেন তার উচিত যবের রুটি আহার করা এবং
আবর্জনা ন্তুপের মধ্যে কুকুরদের সাথে বেশী বেশী ঘুমড়ান ৷ মালিক ইবন দীনার বলেন, ঈসা
(আ) বলেছেন, ছাইযুক্ত যৰ্ আহার করা এবং আবর্জনার উপরে কুকুরের সাথে ঘুমানাের
অভ্যাস ফিরদাউস প্রত্যাশীদের মধ্যে খুব কমই দেখা যাচ্ছে ৷
أَرْضَعَكَ. فَقَالَ: طُوبَى لِمَنْ قَرَأَ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبَعَهُ. وَعَنْهُ: طُوبَى لِمَنْ بَكَى مِنْ ذِكْرِ خَطِيئَتِهِ، وَحَفِظَ لِسَانَهُ، وَوَسِعَهُ بَيْتُهُ. وَعَنْهُ: طُوبَى لِعَيْنٍ نَامَتْ، وَلَمْ تُحَدِّثْ نَفْسَهَا بِالْمَعْصِيَةِ، وَانْتَبَهَتْ إِلَى غَيْرِ إِثْمٍ. وَعَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: مَرَّ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ بِجِيفَةٍ، فَقَالُوا: مَا أَنْتَنَ رِيحَهَا. فَقَالَ: مَا أَبْيَضَ أَسْنَانَهَا. لِيَنْهَاهُمْ عَنِ الْغِيِبَةِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ عَدِيٍّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، ارْضَوْا بِدَنِيِّ الدُّنْيَا مَعَ سَلَامَةِ الدِّينِ، كَمَا رَضِيَ أَهْلُ الدُّنْيَا بَدَنِيِّ الدِّينِ مَعَ سَلَامَةِ الدُّنْيَا. قَالَ زَكَرِيَّا: وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الشَّاعِرُ:
أَرَى رِجَالًا بِأَدْنَى الدِّينِ قَدْ قَنَعُوا ... وَلَا أَرَاهُمْ رَضُوا فِي الْعَيْشِ بِالدُّونِ
فَاسْتَغْنِ بِالدِّينِ عَنْ دُنْيَا الْمُلُوكِ كَمَا ... اسْتَغْنَى الْمُلُوكُ بِدُنْيَاهُمْ عَنِ الدِّينِ
وَقَالَ أَبُو مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ: لَا تُكْثِرُوا الْحَدِيثَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ، فَتَقْسُوَ قُلُوبُكُمْ، فَإِنَّ الْقَلْبَ الْقَاسِيَ بَعِيدٌ مِنَ اللَّهِ وَلَكِنْ لَا تَعْلَمُونَ، وَلَا تَنْظُرُوا فِي ذُنُوبِ الْعِبَادِ كَأَنَّكُمْ أَرْبَابٌ، وَانْظُرُوا فِيهَا
পৃষ্ঠা - ১০১৪
ষ্ষ্
আবদুল্লাহ ইবন মুবারক সালিম ইবন আরিল জা’দ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈসা
(আ) বলেছেন : তোমরা কাজ কর আল্লাহর জন্যে, পেটের জন্যে নয় ৷ পাখীদের প্রতি লক্ষ্য
কর, তারা সকালে বের হয় ৷ সন্ধ্যায় ফিরে তারা চাষাবাদও করে না ফসলও ফলায় না;
আল্লাহ ই তাদেরকে থাওয়ান ৷ যদি বল যে, পাখীদের চেয়ে আমাদের পেট বড় ৷ তা হলে গরু
ও গাধার দিকে ত ৷কাও ৷ সকালে যায়, সন্ধ্যায় ফিরে আসে ৷ এব৷ ও না ক্ষেত করে, না ফসল
ফলায়; আল্লাহ-ই এদেরকে রিযিক দান করেন ৷ সাফওয়ান ইবন আমরইয়াযীদ ইবন
মায়সার৷ থেকে বর্ণনা করেন, একদা হাওয়ারীগণ ঈস৷ ৷(আ) কে বললেন হে মাসীহুল্লাহ!
দেখুন, আল্লাহর মসজিদ ক৩ ই না সুন্দর ৷ মাসীহ বললেন, ঠিক ঠিক তবে আমি তোমাদেরকে
যথার্থ জ৷ ৷নাচ্ছি, আল্লাহ এ মসজিদের পাথরগুলোকে স্থা ৷য়ীভ৷ ৷বে দণ্ড য়মান রাখবেন না ৷ বরং তার
সাথে সৎশ্রিষ্টদের গুনাহের কারণে ধ্বংস করে দিবেন ৷ তোমাদের স্বর্ণ রৌপ্য ও পছন্দনীয়
ধন-সম্পদ দিয়ে আল্লাহর কোন কাজ সেই ৷ এই দুনিয়ায় আল্লাহর নিকট প্রিয় বস্তু হচ্ছে সৎ
অন্তর ৷ এর সাহায্যেই আল্লাহ দুনিয়াকে আবাদ রেখেছেন এবং এর জন্য তিনি দুনিয়া ধ্বংস
করে দিবেন, যখন তা’ পরিবর্তিত হয়ে যাবে ৷
ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে মুজাহিদের সুত্রে ইবন আব্বাস (বা ) থেকে বর্ণনা
করেন, নবী আকরম (সা) বলেছেন৪ একদা হযরত ৩ঈসা (আ) একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের উপর
দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ শহরের বিধ্বস্ত প্রাসাদরাজি দেখে তিনি অবাক হয়ে৩ তাকিয়ে থাকেন ৷ কিছু
সময় পর তিনি আল্লাহ্র নিকট আবেদন করেন, হে আল্লাহ! এই শহরকে আমার কতিপয়
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার অনুমতি দিন ৷ আল্লাহ তা’আলা বিধ্বস্ত শহরটিকে ঈসার প্রশ্নের উত্তর
দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তখন শহরটি ঈস৷ (আ)-কে ডেকে বলল, হে প্রিয় নবী ঈসা
(আ) ! আপনি আমার নিকট কী জানতে চান? ঈস৷ (আ) বললেন, তোমার বৃক্ষরাজি কোথায়
গেল? তোমার নদী-নালার কী হলো? তোমার প্রাসাদ-রাজির কী অবস্থা ?৫ তোমার বাসিন্দারা
কোথায় গেল? উত্তরে শহর বলল হে প্রিয় নবী আল্লাহর ওয়াদা কার্যকরী হয়েছে ৷৩ তাই আমার
বৃক্ষরাজি শুকিয়ে গিয়েছে, নদী-ন৷ ৷ল৷ পানিশুন্য হয়ে গিয়েছে, প্রাসাদরাজি ধ্বংস ন্তুপে পরিণত
হয়েছে এবং আমার বাসিন্দারা সবাই মারা গিয়েছে ৷ ঈস৷ (আ) বললেন, তবে তাদের
ধন সম্পদ কোথায়? শহরটি উত্তর দিল, ত বা হ লাল ও হারাম পন্থায় নির্বিচারে সম্পদ সঞ্চয়
করেছিল, যে সবই আমার অভ্যন্তরে রক্ষিত আছে ৷ আসমান ও যমীনের সব কিছুর সত্ত্ব৷ ৷ধিকারী
তো আল্লাহ্ই ৷
অতঃপর ঈস৷ (আ) বললেন : তিন ব্যক্তির ব্যাপারে আমার অবাক লাগে ৷ তারা হল ( ১ )
যে ব্যক্তি দুনিয়ার সন্ধানে মত্ত ৷ অথচ মৃত্যু তার পশ্চাতে লেগে আছে (২) যে ব্যক্তি প্রাসাদ
নির্মাণ করছে, অথচ কবর৩ তার ঠিক না (৩) যে ব্যক্তি অট্টহাসিতে মজে থাকে, অথচ তার
সম্মুখে আগুন ৷ আদম সন্তানের অবস্থা ৷এই যে, অধিক পেয়েও সে তৃপ্ত হয় না; আর কম
পেলেও ভুষ্ট থাকে না ৷ হে আদম সন্ত ন তুমি তোমার ধন-সম্পদ এমন লোকদের জন্যে সঞ্চয়
করে রেখে যাচ্ছ, যার৷ তোমার প্রশংসা করবে না ৷ তুমি এমন প্রভুর পানে এগিয়ে চলছ, যিনি
كَأَنَّكُمْ عَبِيدٌ، فَإِنَّمَا النَّاسُ رَجُلَانِ: مُعَافًى وَمُبْتَلًى، فَارْحَمُوا أَهْلَ الْبَلَاءِ، وَاحْمَدُوا اللَّهَ عَلَى الْعَافِيَةِ.
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى لِأَصْحَابِهِ: بِحَقٍّ أَقُولُ لَكُمْ: مَنْ طَلَبَ الْفِرْدَوْسَ، فَخُبْزُ الشَّعِيرِ لَهُ، وَالنَّوْمُ فِي الْمَزَابِلِ مَعَ الْكِلَابِ كَثِيرٌ.
وَقَالَ مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ: قَالَ عِيسَى: إِنَّ أَكْلَ الشَّعِيرِ مَعَ الرَّمَادِ، وَالنَّوْمَ عَلَى الْمَزَابِلِ مَعَ الْكِلَابِ لَقَلِيلٌ فِي طَلَبِ الْفِرْدَوْسِ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: اعْمَلُوا لِلَّهِ وَلَا تَعْمَلُوا لِبُطُونِكُمُ، انْظُرُوا إِلَى هَذِهِ الطَّيْرِ تَغْدُو وَتَرُوحُ، لَا تَحْرُثُ وَلَا تَحْصُدُ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا، فَإِنْ قُلْتُمْ: نَحْنُ أَعْظَمُ بُطُونًا مِنَ الطَّيْرِ. فَانْظُرُوا إِلَى هَذِهِ الْأَبَاقِرِ مِنَ الْوُحُوشِ وَالْحُمُرِ، فَإِنَّهَا تَغْدُو وَتَرُوحُ لَا تَحْرُثُ وَلَا تَحْصُدُ، وَاللَّهُ يَرْزُقُهَا.
وَقَالَ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مَيْسَرَةَ، قَالَ: قَالَ الْحَوَارِيُّونَ لِلْمَسِيحِ: يَا مَسِيحَ اللَّهِ، انْظُرْ إِلَى مَسْجِدِ اللَّهِ مَا أَحْسَنَهُ. قَالَ: آمِينَ آمِينَ، بِحَقٍّ أَقُولُ لَكُمْ: لَا يَتْرُكُ اللَّهُ مِنْ هَذَا الْمَسْجِدِ حَجَرًا قَائِمًا
পৃষ্ঠা - ১০১৫
إِلَّا أَهْلَكَهُ بِذُنُوبِ أَهْلِهِ، إِنَّ اللَّهَ لَا يَصْنَعُ بِالذَّهَبِ وَلَا بِالْفِضَّةِ، وَلَا بِهَذِهِ الْأَحْجَارِ الَّتِي تُعْجِبُكُمْ شَيْئًا، إِنَّ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا الْقُلُوبُ الصَّالِحَةُ، وَبِهَا يُعَمِّرُ اللَّهُ الْأَرْضَ، وَبِهَا يُخَرِّبُ اللَّهُ الْأَرْضَ إِذَا كَانَتْ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو مَنْصُورٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصُّوفِيُّ، أَخْبَرَتْنَا عَائِشَةُ بِنْتُ الْحَسَنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْوَرْكَانِيَّةُ، قَالَتْ: حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَيْثَمِ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبَانٍ إِمْلَاءً، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَرَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى مَدِينَةٍ خَرِبَةٍ فَأَعْجَبَهُ الْبُنْيَانُ، فَقَالَ: أَيْ رَبِّ، مُرْ هَذِهِ الْمَدِينَةَ أَنْ تُجِيبَنِي. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى الْمَدِينَةِ أَيَّتُهَا الْمَدِينَةُ الْخَرِبَةُ جَاوِبِي عِيسَى. قَالَ: فَنَادَتِ الْمَدِينَةُ عِيسَى: حَبِيبِي، وَمَا تُرِيدُ مِنِّي؟ قَالَ: مَا فَعَلَ أَشْجَارُكِ، وَمَا فَعَلَ أَنْهَارُكِ، وَمَا فَعَلَ قُصُورُكِ، وَأَيْنَ سُكَّانُكِ؟ قَالَتْ: حَبِيبِي، جَاءَ وَعْدُ رَبِّكَ الْحَقُّ، فَيَبِسَتْ أَشْجَارِي، وَنَشَفَتْ أَنْهَارِي، وَخَرِبَتْ قُصُورِي، وَمَاتَ سُكَّانِي. قَالَ: فَأَيْنَ أَمْوَالُهُمْ؟ قَالَتْ: جَمَعُوهَا مِنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مَوْضُوعَةٌ فِي بَطْنِي، لِلَّهِ مِيرَاثُ
পৃষ্ঠা - ১০১৬
ষ্ষ্
তোমার কোন ওযর শুনবেন না ৷ তুমি তো তোমার পেট ও প্ৰবৃত্তির গোলাম হয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু
তোমার পেট সেই দিন পুর্ণ হবে, যে দিন তুমি কবরে প্রবেশ করবে ৷ হে আদম-সন্তান ৷
অচিরেই তুমি কবরে প্রবশ করবে ৷ হে আদম সন্তান ! অচিরেই তুমি দেখতে পাবে, তোমার
সঞ্চিত ধন-রতু অন্যের পাল্লাকে ভারী করছে ৷ এ হড়াদীসটি সনদের বিচারে খুবই গরীব ’
পর্যায়ের ৷ কিন্তু উক্তা উপদেশপুর্ণ হওয়ায় উল্লেখিত হলো ৷
সুফিয়ান ছাওরী ইবরাহীম তড়ায়মী সুত্রে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেন : হে হাওয়ারীগণ ৷
তোমরা তোমাদের মুল্যবান সম্পদ আসমানে রাখ ৷ কেননা, মানুষের অন্তর সেই দিকেই আকৃষ্ট
থাকে, যেখানে তার মুল্যবান সম্পদ সঞ্চিত থাকে ৷ ছাওর ইবন ইয়াযীদ আবদুল আযীয ইবন
যুবয়ান থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন মারয়াম থেকে বংনাি করেন,ঈসা ইবন মারয়াম
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইলম শিখে অন্যকে শিখায় এবং সে মতে আমল করে , উর্ধজগতে তাকে
বিরাট সম্মানে ভুষিত করা হয় ৷ আবু কুরায়ব বলেন, বর্ণিত আছে , হযরত ঈসা (আ) বলেছেন :
যেই ইলম তোমাকে কাজের ময়দানে নিয়ে যায় না, কেবল মজলিস মাহফিলে নিয়ে যায়, তাতে
কোন কল্যাণ নেই ৷ ইবন আসড়াকির এক গরীর ’ সনদে ইবন আব্বাস থেকে মারকু হাদীস বর্ণনা
করেছেন যে, ঈসা (আ) বনী ইসরাঈলদের মাঝে গিয়ে এক ভাষণে বলেন ? হে হাওয়ারীগণ ৷
অযোগ্য লোকদের নিকট হিকমতের কথা বলিও না ৷ এরুপ করলে হিকমত ও প্রজ্ঞাকে হেয়
করা হবে ৷ কিন্তু যোগ্য লোকদের নিকট তা’ বলতে কৃপণতা কর না ৷ তা হলে তাদের উপর
অবিচার করা হবে ৷ যে কোন বিষয়ের তিনটি অবস্থা হতে পারে ( ১ ) যার উত্তম হওয়া স্পষ্ট ;
এগুলোর অনুসরণ কর ৷ (২) বার মন্দ হওয়া স্পষ্ট ; এর থেকে দুরে থাক ; (৩) যার ভাল বা
মন্দ হওয়া সন্দেহযুক্ত ; তার ফয়সাল) আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও ৷ আবদুর রায্যাক ইকরিমা
থেকে বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) বলেছেন শুকরের কাছে ঘুক্তা ছড়ায়ো না ৷ কেননা মুক্তা দিয়ে
সে কিছুই করতে পারে না, আর জ্ঞানপুর্ণ কথা ঐ ব্যক্তিকে বলো না, যে তা শুনতে চায় না ৷
কেননা জ্ঞানপুর্ণ কথা মুক্তার চাইতেও মুল্যবান আর যে তা’ চায় না, সে শুকরের চাইতেও
অধম ৷ ওহাব প্রমুখ রাবী ইকরিমা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইকরিমা আরও বর্ণনা করেন, ঈসা (আ) হাওয়ারীদেরকে বলেছেনঃ তোমরা হচ্ছ পৃথিবীতে
লবণ তু ল্য ৷ যদি নষ্ট হয়ে যাও তবে তোমাদের জন্য কোন ঔষধ নেই ৷ তোমাদের মধ্যে
মুহতিার দু’টি অভ্যাস আছে (১) বিনা কারণে হলো এবং (২) রাত্রি জাগরণ না করে সকালে
উঠা ৷ ইকরিমা থেকে বর্ণিত , ঈসা (আ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন ব্যক্তির ফিৎনা সবচাইতে
মারাত্মক? তিনি বললেনঃ আলিমের পদস্খালন ৷ কেননা আলিমের পদস্থালনে আরও বহু লোক
বিপথপামী হয়ে যায় ৷ রাবী আরও বলেন, হয রত ঈসা (আ) বলেছেনঃ হে জ্ঞান পাপীরা!
দুনিয়াকে তোমরা মাথার উপরে রেখেছ, আর আখিরাতকে রেখেছ পায়ের নীচে ৷ তোমাদের
কথাবার্তা যেন সর্বরােগের নিরাময় হয় ৷ কিন্তু তোমাদের কার্যকলাপ হচ্ছে মহাব্যাধি ৷ তোমাদের
উপমা হচ্ছে সেই মাকাল গাছ যা দেখলে মানুষ আকৃষ্ট হয় কিন্তু তার ফল খেলে মারা যায় ৷
ওহাব থেকে বর্ণিত, ঈসা (আ) বলেছেনঃ হে নিকৃষ্ট জ্ঞান পাপীরা ! তোমরা জান্নাতের দরজায়
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২৩-
السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ. قَالَ: فَنَادَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: فَعَجِبْتُ مِنْ ثَلَاثِ أُنَاسٍ: طَالِبِ الدُّنْيَا وَالْمَوْتُ يَطْلُبُهُ، وَبَانِي الْقُصُورِ وَالْقَبْرُ مَنْزِلُهُ، وَمَنْ يَضْحَكُ مِلْءَ فِيهِ وَالنَّارُ أَمَامَهُ، ابْنَ آدَمَ، لَا بِالْكَثِيرِ تَشْبَعُ، وَلَا بِالْقَلِيلِ تَقْنَعُ، تَجْمَعُ مَالَكَ لِمَنْ لَا يَحْمَدُكَ، وَتُقْدِمُ عَلَى رَبٍّ لَا يَعْذُرُكَ، إِنَّمَا أَنْتَ عَبْدُ بَطْنِكَ وَشَهْوَتِكَ، وَإِنَّمَا تَمْلَأُ بَطْنَكَ إِذَا دَخَلْتَ قَبْرَكَ، وَأَنْتَ يَا ابْنَ آدَمَ تَرَى حَشْدَ مَالِكَ فِي مِيزَانِ غَيْرِكَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِيهِ مَوْعِظَةٌ حَسَنَةٌ، فَكَتَبْنَاهُ لِذَلِكَ.
وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، قَالَ: قَالَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، اجْعَلُوا كُنُوزَكُمْ فِي السَّمَاءِ، فَإِنَّ قَلْبَ الرَّجُلِ حَيْثُ كَنْزُهُ. وَقَالَ ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ ظَبْيَانَ، قَالَ: قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: مَنْ تَعَلَّمَ وَعَلَّمَ وَعَمِلَ، دُعِيَ عَظِيمًا فِي مَلَكُوتِ السَّمَاءِ. وَقَالَ أَبُو كُرَيْبٍ: رُوِيَ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالَ: لَا خَيْرَ فِي عِلْمٍ لَا يَعْبُرُ مَعَكَ الْوَادِيَ، وَلَا يَعْمُرُ بِكَ النَّادِيَ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، بِإِسْنَادٍ غَرِيبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا، «أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَامَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْحَوَارِيِّينَ، لَا تُحَدِّثُوا بِالْحِكْمَةِ غَيْرَ أَهْلِهَا فَتَظْلِمُوهَا، وَلَا تَمْنَعُوهَا أَهْلَهَا، فَتَظْلِمُوهُمْ، وَالْأُمُورُ ثَلَاثَةٌ: أَمْرٌ تَبَيَّنَ رُشْدُهُ فَاتَّبِعُوهُ، وَأَمْرٌ تَبَيَّنَ غَيُّهُ فَاجْتَنِبُوهُ، وَأَمْرٌ اخْتُلِفَ عَلَيْكُمْ.»
পৃষ্ঠা - ১০১৭
ষ্ষ্
বসে আছ, কিন্তু তাতে প্রবেশ করছো না আর নিঃস্বদেরকে তাতে প্রবেশ করার জন্যে আহবানও
করছ না ৷ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট মানুষ সেই জ্ঞানী ব্যক্তি, যে তার জ্ঞানের বিনিময়ে
দুনিয়া অর্জন করে ৷ মাকহ্রল বর্ণনা করেন, একবার ঈসার সাথে ইয়াইয়া (আ )-এর সাক্ষাত
হয় ৷ ঈসা (আ) হাসিমুখে তার সাথে মুসাফাহা করেন ৷ ইয়াহ্ইয়া (আ) বললেন, কি খালাত
ডাই! হাসছেন যে, মনে হচ্ছে আপনি নিরাপদ হয়ে গেছেনঃ ঈসা (আ) বললেন, তোমাকে
বিষণ্ন দেখাচ্ছে কেন, নৈরাশ্যে ভুগছ না কি? তখন আল্লাহ উভয়ের নিকট ওহী প্রেরণ করে
জানালেন, তোমাদের দুজনের মধ্যে সে-ই আমার নিকট প্রিয়তরন্ যে তার সঙ্গীর সাথে
অধিকতর হাসিমুখে মিলিত হয় ৷ ’
ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ বর্ণনা করেছেন, একদা হযরত ঈসা ও তার সংগীরা একটি কবরের
পাশে থামলেন ৷ ঐ কবরবাসী সংকটপুর্ণ অবস্থায় ছিল ৷ তখন সংগীরা কবরের সংকীংতাি নিয়ে
আলাপ করতে লাগলেন ৷ তাদের কথা শুনে ঈসা (আ) বললেনঃ তোমরা মায়ের পেটে এর
চেয়ে সংকীর্ণ স্থানে ছিলে ৷ তারপরে আল্লাহ যখন চাইলেন প্রশস্ত জায়গায় নিয়ে আসলেন ৷
আবু উমর বলেন, ঈসা (আ) যখন মৃত্যুর কথা আলোচনা করতেন, তখন তার চামড়া ভেদ
করে রক্ত ঝরে পড়ত ৷ হযরত ঈসা (আ)-এর থেকে এ জাতীয় অনেক উক্তি বর্ণিত আছে ৷
হাফিজ ইবন আসাকির তার গ্রন্থে বহু উক্তি উদ্ধৃত করেছেন ৷ আমরা এখানে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু
উল্লেখ করলাম ৷
فِيهِ فَرُدُّوا عِلْمَهُ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: قَالَ عِيسَى: لَا تَطْرَحُوا اللُّؤْلُؤَ إِلَى الْخِنْزِيرِ ; فَإِنَّ الْخِنْزِيرَ لَا يَصْنَعُ بِاللُّؤْلُؤِ شَيْئًا، وَلَا تُعْطُوا الْحِكْمَةَ مَنْ لَا يُرِيدُهَا ; فَإِنَّ الْحِكْمَةَ خَيْرٌ مِنَ اللُّؤْلُؤِ، وَمَنْ لَا يُرِيدُهَا شَرٌّ مِنَ الْخِنْزِيرِ. وَكَذَا حَكَى وَهْبٌ وَغَيْرُهُ عَنْهُ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: أَنْتُمْ مِلْحُ الْأَرْضِ، فَإِذَا فَسَدْتُمْ فَلَا دَوَاءَ لَكُمْ، وَإِنَّ فِيكُمْ خَصْلَتَيْنِ مِنَ الْجَهْلِ: الضَّحِكُ مِنْ غَيْرِ عَجَبٍ، وَالصُّبْحَةُ مِنْ غَيْرِ سَهَرٍ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: مَنْ أَشَدُّ النَّاسِ فِتْنَةً؟ قَالَ: زَلَّةُ الْعَالِمِ، فَإِنَّ الْعَالِمَ إِذَا زَلَّ يَزِلُّ بِزَلَّتِهِ عَالَمٌ كَثِيرٌ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: يَا عُلَمَاءَ السُّوءِ جَعَلْتُمُ الدُّنْيَا عَلَى رُءُوسِكُمْ، وَالْآخِرَةَ تَحْتَ أَقْدَامِكُمْ، قَوْلُكُمْ شِفَاءٌ وَعَمَلُكُمْ دَاءٌ، مَثَلُكُمْ مَثَلُ شَجَرَةِ الدِّفْلَى، تُعْجِبُ مَنْ رَآهَا، وَتَقْتُلُ مَنْ أَكَلَهَا. وَقَالَ وَهْبٌ: قَالَ عِيسَى: يَا عُلَمَاءَ السُّوءِ، جَلَسْتُمْ عَلَى أَبْوَابِ الْجَنَّةِ، فَلَا أَنْتُمْ تَدْخُلُونَهَا، وَلَا تَدَعُونَ الْمَسَاكِينَ يَدْخُلُونَهَا، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ عَالِمٌ يَطْلُبُ الدُّنْيَا بِعِلْمِهِ. وَقَالَ مَكْحُولٌ: التَقَى يَحْيَى وَعِيسَى، فَصَافَحَهُ عِيسَى، وَهُوَ يَضْحَكُ، فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ১০১৮
يَحْيَى: يَا ابْنَ خَالَةٍ، مَا لِي أَرَاكَ ضَاحِكًا كَأَنَّكَ قَدْ أَمِنْتَ. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: مَا لِي أَرَاكَ عَابِسًا كَأَنَّكَ قَدْ يَئِسْتَ. فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِمَا: إِنَّ أَحَبَّكُمَا إِلَيَّ أَبَشُّكُمَا بِصَاحِبِهِ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: وَقَفَ عِيسَى هُوَ وَأَصْحَابُهُ عَلَى قَبْرٍ، وَصَاحِبُهُ يُدْلَى فِيهِ، فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ الْقَبْرَ وَضِيقَهُ، فَقَالَ: قَدْ كُنْتُمْ فِيمَا هُوَ أَضْيَقُ مِنْهُ فِي أَرْحَامِ أُمَّهَاتِكُمْ، فَإِذَا أَحَبَّ اللَّهُ أَنْ يُوَسِّعَ وَسَّعَ. وَقَالَ أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ: بَلَغَنِي أَنَّ عِيسَى كَانَ إِذَا ذَكَرَ الْمَوْتَ يَقْطُرُ جِلْدُهُ دَمًا.
وَالْآثَارُ فِي مِثْلِ هَذَا كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْهَا طَرَفًا صَالِحًا، اقْتَصَرْنَا مِنْهُ عَلَى هَذَا الْقَدْرِ، وَاللَّهُ تَعَالَى الْمُوَفَّقُ لِلصَّوَابِ.