قصة عيسى بن مريم
ذكر خبر المائدة
পৃষ্ঠা - ১০০৩
ষ্ষ্
হয়ে শাম দেশের বুসরা নগরী প্রাসাদরাজিকে আলোকে উদ্ভাসিত করে দিয়েছে ৷ ইরবায ইবন
সারিয়া ও আবু উমামাও রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তাদের বর্ণনায় এসেছে
যে, আমি ইবরাহীম (আ)-এর দোয়া এবং ঈসা (আ)-এর সুসংবাদ ৷ ইবরাহীম (আ) যখন
কা’বা ঘর নির্মাণ করেন তখন আল্লাহর নিকট দোয়া করেছিলেন যে, “হে আমাদের প্রতিপালক ৷
তাদের মধ্য হতে তাদের নিকট এক রাসুল প্রেরণ কর ৷ (২ বকোরা ল্গু ১২৯) ৷
অতঃপর বনী ইসরাঈলের মধ্যে নবুওতের ধারাবাহিকতা যখন ঈসা (আ) পর্যন্ত এসে শেষ
হল তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, তাদের মধ্যে নবী প্রেরণের ধারা শেষ হয়ে
গিয়েছে ৷ এরপর আরবদের মধ্যে এক উঘী নবী আসবেন ৷ তিনি হবেন খাতিমুল আন্বিয়া বা
শেষ নবী ৷ তার নাম হবে আহমদ, তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব
ইবন হাশিম ৷ ইসমাঈল ইবন ইবরাহীমের বংশধর ৷
আল্লাহ বলেন, “পরে সে যখন স্পষ্ট নিদশ্নিসহ তাদের নিকট আসল, তারা বলতে লাগল,
এতেড়া এক স্পষ্ট যাদু” (৬ সাফ্ : ৬) ৷ “সে যখন আসল এখানে ’সে’ সর্বনাম দ্বারা ঈসা
(আ)-কেও বুঝান হতে পারে, এবং আবার মুহাম্মদ (সা)-কেও বুঝান হতে পারে ৷ তারপার
আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে ইসলামের সেৰায় আত্মনিয়োগ করতে , মুসলমানদেরকে সাহায্য
করতে এবং নবীকে সম্মান করতে ও ইকামতে দীন এবং দাওয়াত সম্প্রসারণ কাজে সহযোগিতা
করতে নির্দেশ দান করেন ৷
আল্লাহ বলেন, “হে ঘুমিনগণশু আল্লাহর দীনেব সাহায্যকারী হও, যেমন মারয়ামতনয়
বলেছিল তার শিষ্যগণকে , আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে ৷ ” অর্থাং আল্লাহর দিকে
মানুষকে আহ্বান জানাবার কাজে কে আমাকে সাহায্য করবো “শিষাগণ বলেছিল, আমরাই
তো আল্লাহর পথে সাহায্যকারী ৷ ” নাসিরা নামক একটি গ্রামে ঈসা নবীর সাথে শিষ্যদের এই
কথাবার্তা হয়েছিল; এ জন্যেই পরবর্তীতে তারা নাসারা নামে আখ্যায়িত হয় ৷
আল্লাহ্ড়ার বাণী : “অতঃপর বনী ইসরাঈলদের একদল ঈমান আনল এবং একদল কুফবী
করল ৷” অর্থাং ঈসা (আ) যখন বনী ইসরাঈলসহ অন্যদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেন
তখন কিছু লোক দাওয়াত কবুল করল এবং কিছু লোক প্রত্যাখ্যান করল ৷ সীরাতবেত্তা
ইতিহাসবিদ ও তাকন্সীরবিদগণ লিখেছেন যে, এন্টিয়কের সমস্ত অধিবাসী ঈসা৷ (আ) এর প্ৰতি
ঈমান আনয়ন করে ৷ ঈসা (আ) এন্টিয়কে তিনজন দুত প্রেরণ করেন তাদের এক জনের নাম
শামউন আস-সাফা ৷ তারা তার আহ্বানে সাড়া দেয় এবং ঈমান গ্রহণ করে ৷ সুরা ইয়াসীনে যে
তিনজন দুতের উল্লেখ আছে, এরা সেই তিনজন নন, আলাদা তিনজন ৷ আসহাবুল কারিয়ার
ঘটনায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা ইতিপুর্বে করেছি ৷ বনী ইসরাঈলের অধিকাংশ ইয়াহুদী ঈসা
(আ)-এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে ৷ পরবর্তীতে আল্লাহ ঈমান গ্রহণকারীদেরকে সাহায্য ও
শক্তি দান করেন ৷ ফলে তারা ঈমান প্ৰত্যাখ্যানকাবীদেরকে পর্বুদস্ত করে এবং তাদের উপর
বিজয় লাভ করে ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন,“ম্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা ! আমি
তোমার মেয়াদ পুর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি এবং যারা সত্য প্রত্যাখ্যান
করেছে তাদের মধ্য হতে তোমাকে মুক্ত করছি ৷ আর তোমার অনুসাবীগণকে কিয়ামত পর্যন্ত
[ذِكْرُ خَبَرِ الْمَائِدَةِ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ قَالُوا نُرِيدُ أَنْ نَأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 112]
[الْمَائِدَةِ: 112 - 115] . قَدْ ذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ الْآثَارَ الْوَارِدَةَ فِي نُزُولِ الْمَائِدَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَغَيْرِهِمْ مِنَ السَّلَفِ، وَمَضْمُونُ ذَلِكَ، أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَمَرَ الْحَوَارِيِّينَ بِصِيَامِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا، فَلَمَّا أَتَمُّوهَا سَأَلُوا مِنْ عِيسَى إِنْزَالَ مَائِدَةٍ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهِمْ لِيَأْكُلُوا مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ بِذَلِكَ قُلُوبُهُمْ، أَنَّ اللَّهَ قَدْ تَقَبَّلَ صِيَامَهُمْ وَأَجَابَهُمْ إِلَى طَلِبَتِهِمْ، وَتَكُونَ لَهُمْ عِيدًا يُفْطِرُونَ عَلَيْهَا يَوْمَ فِطْرِهِمْ، وَتَكُونَ كَافِيَةً لِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، لِغَنِيِّهِمْ وَفَقِيرِهِمْ، فَوَعَظَهُمْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي ذَلِكَ وَخَافَ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يَقُومُوا بِشُكْرِهَا، وَلَا يُؤَدُّوا حَقَّ شُرُوطِهَا، فَأَبَوْا عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَسْأَلَ لَهُمْ ذَلِكَ مِنْ رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمَّا لَمْ يُقْلِعُوا عَنْ ذَلِكَ، قَامَ إِلَى مُصَلَّاهُ وَلَبِسَ مِسْحًا مِنْ شَعْرٍ، وَصَفَّ بَيْنَ قَدَمَيْهِ وَأَطْرَقَ رَأْسَهُ، وَأَسْبَلَ عَيْنَيْهِ بِالْبُكَاءِ، وَتَضَرَّعَ
পৃষ্ঠা - ১০০৪
ষ্ষ্
কাফিরদের উপরে প্রাধান্য দিচ্ছি ৷ (৩ আলে ইমরান : ৫৫) এ আঘাতের আলোকে যে সব দল
ও সম্প্রদায় হযরত ঈসা(আ)-এর দীন ও দাওয়াতের অধিক নিকটবর্তী, তারা তুলনামুলক
নিম্নবর্তীদের উপর বিজয় ও প্রাধান্য লাভ করবে ৷ সুতরাং ঈসা (আ ) এর ব্যাপারে
ঘুসলামানদের বিশ্বাসই যথার্থ যাতে কো ন সন্দেহ নেই ৷ আর তা হচ্ছে৩ তিনি আল্লাহর বান্দ৷ ও
রাসুল ৷ সুতরাং নাসাবাদেব (খ্রীষ্টানদের) উপর৩শর৷ বিজয়ী থাকবেন ৷ কেননা, নাসারাগণ তার
ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে৩ তার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং আল্লাহ তাকে যে মর্যাদা
দিয়েছেন তার ৷ বতার চাইতে উর্ধে স্থান দিয়েছে ৷
যেহেতু মােটাঘুটিভাবে অভিশপ্ত ইয়াহুদীদের তুলনায় ঈসা (আ)-এর আদর্শের কাছাকাছি
অবস্থানে আছে, সে জন্যে তারা ইয়াহুদীদের উপরে বিজয়ী হয়ে ইসলামের পুর্বেও ছিল এবং
ইসলামের অড়াবির্ভাবের পরেও রয়েছে ৷
আসমানী খাঞ্চার বিবরণ
আল্লাহ্র বাণী ;
ন্শ্শ্ র্বু,শু×র্বু,শ্’০
১ন্দ্বু১ ৷টুাট্রুশু ৰু,ট্রু;;ৰুৰু;পু ;£§’: ং ৷ ব্লুএপু ৷ ৷ প্রু; ৷ ৰুাএে £;৷ ৷ ,,ঠু ৰু১;,টু;ঙ্ ঙ্া;
(
ড্রু,;দ্বু,াহুা৷ ;: ;; ৰু:;৷ এেব্লু,া, ;াট্রু; ৰু;া, ৷ন্,১১ এেড্রছগু ট্টহ্ন্৫ এে :ট্টৰুৰু
০ fl : : এ
১া৷ট্রুা;ধ্;ছুট্রু১:৷ ম্ড্রুণ্ৰুর্দু ;ঠু,শুন্নুন্স্পে ণ্ড্রু;া;£ঠু’া);এে
ট্রু,ট্রু ন্ণ্ঠুঠুং৷ ৷ ;,; ৷ র্মু; ৷
“স্মরণ কর, হাওয়ারীগণ বলেছিল, হে মারয়াম তনয় ঈসা! তোমার প্ৰতিপালক কি
আমাদের জন্যে আসমান হতে খাদ্য পরিপুর্ণ খাঞ্চা (মায়িদা) প্রেরণ করতে সক্ষম ? সে বলেছিল,
আল্লাহ্কে ভয় কর, যদি তোমরা ৷মৃমিন হও ৷৩ তারা বলেছিল আমরা ৷চাই যে, শ থেকে কিছু
খাব এবং আমাদের অন্তর প্রশা ৷ন্তি লাভ করবে ৷ আর আমরা জানতে চ ই যে,তু মি আমাদেরকে
সত্য বলেছ এবং আমরা এর সাক্ষী থাকতে চাই ৷ মারয়াম-তনয় ঈসা বলল, হে আল্লাহ,
আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জন্যে আসমান হতে খাদ্যপুর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ কর; এটা আমাদের
পুর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্যে হবে আনন্দোৎসব স্বরুপ ও তোমার নিকট হতে নিদশ্নি ৷
এবং আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তৃমিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা ৷ আল্লাহ বললেন, আমিই
তোমাদের নিকট এটা প্রেরণ করব; কিন্তু এরপর তোমাদের মধ্যে কেউ কুফরী করলে তাকে
এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজপতের অপর কাউকেও দিব না ৷ ” (মায়িদা : ১ ১ ২ ১ ১ ৫ )
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ২২-
إِلَى اللَّهِ فِي الدُّعَاءِ وَالسُّؤَالِ، أَنْ يُجَابُوا إِلَى مَا طَلَبُوا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى الْمَائِدَةَ مِنَ السَّمَاءِ، وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهَا تَنْحَدِرُ بَيْنَ غَمَامَتَيْنِ، وَجَعَلَتْ تَدْنُو قَلِيلًا قَلِيلًا، وَكُلَّمَا دَنَتْ سَأَلَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَجْعَلَهَا رَحْمَةً لَا نِقْمَةً وَأَنْ يَجْعَلَهَا بَرَكَةً وَسَلَامَةً، فَلَمْ تَزَلْ تَدْنُو حَتَّى اسْتَقَرَّتْ بَيْنَ يَدَيْ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهِيَ مُغَطَّاةٌ بِمَنْدِيلٍ، فَقَامَ عِيسَى يَكْشِفُ عَنْهَا، وَهُوَ يَقُولُ: بِسْمِ اللَّهِ خَيْرُ الرَّازِقِينَ. فَإِذَا عَلَيْهَا سَبْعَةٌ مِنَ الْحِيتَانِ، وَسَبْعَةُ أَرْغِفَةٍ، وَيُقَالُ: وَخَلٌّ. وَيُقَالُ: وَرُمَّانٌ وَثِمَارٌ. وَلَهَا رَائِحَةٌ عَظِيمَةٌ جِدًّا. قَالَ اللَّهُ لَهَا: كُونِي. فَكَانَتْ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ بِالْأَكْلِ مِنْهَا، فَقَالُوا: لَا نَأْكُلُ حَتَّى تَأْكُلَ. فَقَالَ: إِنَّكُمُ الَّذِينَ ابْتَدَأْتُمُ السُّؤَالَ لَهَا. فَأَبَوْا أَنْ يَأْكُلُوا مِنْهَا ابْتِدَاءً، فَأَمَرَ الْفُقَرَاءَ وَالْمَحَاوِيجَ وَالْمَرْضَى وَالزَّمْنَى، وَكَانُوا قَرِبَيًا مِنْ أَلْفٍ وَثَلَاثِمِائَةٍ، فَأَكَلُوا مِنْهَا فَبَرَأَ كُلُّ مَنْ بِهِ عَاهَةٌ، أَوْ آفَةٌ، أَوْ مَرَضٌ مُزْمِنٌ، فَنَدِمَ النَّاسُ عَلَى تَرْكِ الْأَكْلِ مِنْهَا ; لِمَا رَأَوْا مِنْ إِصْلَاحِ حَالِ أُولَئِكَ، ثُمَّ قِيلَ: إِنَّهَا كَانَتْ تَنْزِلُ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّةً، فَيَأْكُلُ النَّاسُ مِنْهَا، يَأْكُلُ آخِرُهُمْ كَمَا يَأْكُلُ أَوَّلُهُمْ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهَا كَانَ يَأْكُلُ مِنْهَا نَحْوُ سَبْعَةِ آلَافٍ. ثُمَّ كَانَتْ تَنْزِلُ يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ، كَمَا كَانَتْ نَاقَةُ صَالِحٍ يَشْرَبُونَ لَبَنَهَا يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ. ثُمَّ أَمَرَ اللَّهُ عِيسَى أَنْ يَقْصُرَهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ أَوِ الْمَحَاوِيجِ، دُونَ الْأَغْنِيَاءِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ، وَتَكَلَّمَ مُنَافِقُوهُمْ فِي ذَلِكَ، فَرُفِعَتْ بِالْكُلِّيَّةِ، وَمُسِخَ الَّذِينَ تَكَلَّمُوا فِي ذَلِكَ خَنَازِيرَ.
পৃষ্ঠা - ১০০৫
ষ্ষ্
তাফসীর গ্রন্থে এ আঘাতের ব্যাখ্যার আমরা খাঞ্চা অবতারণ প্রসংগে সেই সব হাদীস
উল্লেখ করেছি যা হযরত ইবন আব্বাস, সালমান ফারসী, আম্মার ইবন ইয়াসির প্রমুখ থেকে
বর্ণিত হয়েছে ৷ ঘটনার সারসংহ্মেপ এই; হযরত ঈস৷ (আ) হাওয়ারীগণকে ত্রিশ দিন সওম
পালনের নির্দেশ দেন ৷ তার৷ ত্রিশ দিন সওম পালন শেষে ঈস৷ (আ) এর নিকট আসমান
থেকে খাদ্যপুর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণ করার আবদার জানায় ৷ উদ্দেশ্য ছিল্ তারা আল্লাহর প্রেরিত
এই খাদ্য আহার করবে ৷ তাদের সওম ও দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন এ ব্যাপারে অম্ভরে
প্রশান্তি লাভ করবে, সওমের মেয়াদ শেষে সওম তংগের দিনে ঈদ উৎসব পালন করবে,
তাদের পুর্ব পুরুষ ও উত্তর পুরুষ এবং তা ধনী ও দরিদ্র সকলের জন্যে আনন্দের বিষয় হিসেবে
গণ্য হবে ৷ ঈস৷ (আ) এ ব্যাপারে তাদেরকে অনেক উপদেশ দিলেন ৷ তার আশংকা হল এরা
আল্লাহর এ নিয়ামতের শুকরিয়৷ আদায় করতে এবং এর শর্তা ৷দি পুরণ করতে সক্ষম হবে না৷
কিন্তু তারা তাদের আবদার পুরণ না হওয়া পর্যন্ত উপদেশ শুনতে প্রস্তুত হল না ৷ অবশেষে
তাদের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে তিনি আল্লাহর নিকট দোয়া করতে প্রস্তুত হন ৷ তিনি সালাতে
দণ্ডায়মান হলেন ৷ পশম ও চুলের তৈরি কম্বল পরিধান করলেন এবং অবনত মস্তকে কান্নায় বুক
তাসিয়ে দিলেন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট কাকুতি-মিনতি করে দোয়া করলেন যেন তাদের প্ৰার্থীত
জিনিস তিনি দিয়ে দেন আর আল্লাহ আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতীর্ণ করেন ৷
মানুষ তাকিয়ে দেখছিল যে, দু’টি মেঘের মাঝখান থেকে খাঞ্চাটি ধীরে ধীরে নীচের দিকে
নেমে আসছে ৷ খাঞ্চাটি যতই পৃথিবীর নিকটবর্তী হচ্ছিল ততই ঈস৷ (আ) বেশী বেশী করে
আল্লাহর নিকট দোয়া করছিলেন, “হে আল্লাহ! একে তুমি রহমত, বরকত ও শান্তি হিসেবে
দান কর ৷ শাস্তি হিসেবে দিও না ৷” খাঞ্চাটি ক্রমান্বয়ে নেমে এসে একেবারে নিকটবর্তী হয়ে
গেল এবং ঈস৷ (আ) এর সম্মুখে মাটির উপর থামল ৷ খাঞ্চ টি ছিল রুমাল দিয়ে ঢাকা ৷ ঈসা
(আ) বলে রুমালখা না উঠালেন ৷ দেখলেন, তাতে সাতটি
মাছ ও সাতটি রুটি আছে ৷ কেউ বলেছেন, এর সাথে সির্ক৷ ছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন,
ঐগুলোর সাথে তালিম এবং ফল ফলাদিও ছিল ৷ উক্ত খাদ্য দ্রব্যগু লো ছিল অত্যন্ত সুগন্ধি ৷
আল্লাহ বলেছিলেন, হও আর তাতে তা হয়ে গিয়েছিল ৷’ তারপর ঈস৷ ৷(আ) তাদেরকে
খাওয়ার জন্যে আহ্বান করেন ৷ তারা বলল, আপনি প্রথমে খাওয়া আরম্ভ করুন তারপরে আমরা
খাব ৷ ঈস৷ ৷(আ) বললেন, এ খাঞ্চার জন্যে তোমরা ৷ই প্রথমে আবেদন করেছিলে; কিন্তু প্রথমে
খেতে ত বা কিছুতে ই রাজি হল না ৷ হযরত ঈস৷ ( আ) তখন ফকীর, মিসকীন, অভা ৷বগ্রস্ত,
রোপাক্রান্ত ও পঙ্গুদেরকে খাওয়ার আদেশ দেন ৷ এ জাতীয় লোকদের সং খ্যা ছিল তেরশ ৷
সকলেই তা ৷থেকে থােলা ৷ ফলে দুঃখ-দুর্দশা ও রোগ-শোক যার যে সমস্যা ছিল , এই খাদ্যের
বরকতে তা থেকে সে নিরাময় লাভ করল ৷ যায়৷ খেতে অস্বীকার করেছিল তা দেখে তারা
খুবই লজ্জিত হল ও অনুশোচন৷ করতে লাগল ৷ কথিত আছে, এই খাঞ্চা প্রতিদিন একবার করে
আসত ৷ লোক এ থেকে তৃপ্তি সহকারে আহার করত ৷ খাদ্য একর্টুও হ্রাস পেতে৷ না ৷ প্রথম
দল যেভাবে আহার করত, শেষের দলও ঐ একইভ৷ রুাব আহার করত ৷ কথিত আছে, প্রতিদিন
সাত হাজার লোক ঐ খাদ্য আহার করত ৷
وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَابْنُ جَرِيرٍ جَمِيعًا، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ قَزَعَةَ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ عَنْ، خِلَاسٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَزَلَتِ الْمَائِدَةُ مِنَ السَّمَاءِ خُبْزٌ وَلَحْمٌ، وَأُمِرُوا أَنْ لَا يَخُونُوا، وَلَا يَدَّخِرُوا، وَلَا يَرْفَعُوا لِغَدٍ، فَخَانُوا وَادَّخَرُوا وَرَفَعُوا، فَمُسِخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ» ثُمَّ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلَاسٍ، عَنْ عَمَّارٍ، مَوْقُوفًا، وَهَذَا أَصَحُّ، وَكَذَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سِمَاكٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عِجْلٍ، عَنْ عَمَّارٍ مَوْقُوفًا، وَهُوَ الصَّوَابُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَخِلَاسٌ عَنْ عَمَّارٍ مُنْقَطِعٌ، فَلَوْ صَحَّ هَذَا الْحَدِيثُ مَرْفُوعًا لَكَانَ فَيْصَلًا فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ ; فَإِنَّ الْعُلَمَاءَ اخْتَلَفُوا فِي الْمَائِدَةِ، هَلْ نَزَلَتْ أَمْ لَا؟ فَالْجُمْهُورُ أَنَّهَا نَزَلَتْ، كَمَا دَلَّتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآثَارُ، وَكَمَا هُوَ الْمَفْهُومُ مِنْ ظَاهِرِ سِيَاقِ الْقُرْآنِ، وَلَا سِيَّمَا قَوْلُهُ: {إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ} [المائدة: 115] كَمَا قَرَّرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ إِلَى مُجَاهِدٍ، وَإِلَى الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، أَنَّهُمَا قَالَا: لَمْ تَنْزِلْ. وَإِنَّهُمْ أَبَوْا نُزُولَهَا، حِينَ قَالَ: {فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ} [المائدة: 115]
পৃষ্ঠা - ১০০৬
وَلِهَذَا قِيلَ: إِنَّ النَّصَارَى لَا يَعْرِفُونَ خَبَرَ الْمَائِدَةِ، وَلَيْسَ مَذْكُورًا فِي كِتَابِهِمْ مَعَ أَنَّ خَبَرَهَا مِمَّا تَتَوَفَّرُ الدَّوَاعِي عَلَى نَقْلِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَصَّيْنَا الْكَلَامَ عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ "، فَلْيُكْتَبْ مِنْ هُنَاكَ، وَمَنْ أَرَادَ مُرَاجَعَتَهُ فَلْيَنْظُرْهُ مِنْ ثَمَّ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.